![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে এবং বিশ্বের সকল দেশেই সুস্থ চিন্তার মানুষেরা অনেক দ্রুতগতিতে ধর্মের কু-প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করে নিচ্ছেন। এর সুফলও আমরা দেখতে পাচ্ছি দ্রুত গতিতেই আসছে। শিক্ষা, দেশগড়া, রাজনীতিতে যতোবেশি 'মানুষ' (হিন্দু/মুসলিম/খ্রীস্টান নয়) সংযুক্ত হবেন,ততোই আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে মানবিকতা ও মানবতার পথে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া।
আজকের বাংলাদেশ জনপদ ঘৃনিত সউদি রাজতন্ত্রের বিষাক্ত এবং উগ্র 'সালাফি/ওহাবী' মতবাদে পাকিস্তানের মতোই আক্রান্ত। যে 'ইসলাম' এসেছিলো শত শত বছর আগে, সেই শান্তিপূর্ণ ধর্মের বিশ্বাসীদের হৃদয়হীন জঙ্গী ও হত্যায় উদ্বুদ্ধ করতে, নৈতিকতা ভুলিয়ে ফেলতে বঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এক দল সু-দক্ষ সউদি/পাকি এজেন্ট। পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের অর্থে পুষ্ট এই সউদি এজেন্টদের আমরা 'ইসলামি-স্ট' নামেই চিনে থাকি।
দেশজুড়ে যে বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী বাস করে, তারা আদতে মানুষ, অন্তরে কোমল এবং মানবিক, কিন্তু প্রগতিশীলদের আলসেমী ও বোকামীর দোষে ও ভুলে যুগ যুগ পার হয়ে আজ ওহাবী/সালাফি নামক জঙ্গী মতবাদের বিষে এই কোমলপ্রাণ জনগোষ্ঠী বিষাক্ত হয়ে উঠেছে।
এতোই সে বিষে মগ্ন যে মানুষ হত্যার মতো একটা কু-কর্মও নৈতিকতার মুসলিম অবক্ষয়ে হিন্দু/মুসলিম/নাস্তিক/খ্রীষ্টান বিভেদে তলিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনও নেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিভেদের খাতিরে। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার সময়ও আমরা দেখেছি ধর্মের উছিলায় কিভাবে মানুষ হত্যা হয়েছে।
আজকেও দেখতে পেলাম কিভাবে একটা আন্দোলনকে পেছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা হয়েছে। সরলপ্রাণ জনগোষ্ঠীকে সালাফি/ওহাবী উগ্রতায় এমনভাবেই ডুবিয়ে রাখা হয়েছে, যে সউদি উগ্রতার বিরুদ্ধে 'কথা' বলেছে বলেই একজন মানুষের জীবন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
যারা জীবন নিয়েছে, এবং যারা এর সমর্থন করেছে, তারা যে কি পরিমান মানসিক বিকারগ্রস্থ তা বলবার অপেক্ষা রাখে না। দেশজুড়ে এই যে বিকারের চর্চা চলেছে এবং আজও চলছে, এই চক্র আমাদের ভাঙতে হবে, শক্ত হাতেই।
ধর্ম, তা সে যে ধর্মই হোক না কেন, রাজনীতি থেকে বিদায় দিতে হবে। ব্যক্তি পরিসরে এর চর্চায় কারো বাধা নেই, কিন্তু ধর্মীয় কারনে জমায়েত বা মাহফিল বা সানডে সার্ভিস কিংবা মন্ডপে ধর্মের বাইরে কোন প্রকার রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান দরকার হলে আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
জনগনের দাবী এটি, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ শুধুমাত্র কতিপয় রাজনৈতিক দলগুলি নিষিদ্ধ করেই হবে না, সকল ধর্মীয় পরিবেশ যাতে শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক আলোচনা এবং প্রতিপালনে সীমাবদ্ধ থাকে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
যখনি কোন মসজিদ/মন্দির/গীর্জায় ইশ্বর এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মাঝখানে মোল্লা/পুরুত/পাদ্রী অযাচিত রাজনৈতিক কথাবার্তা টেনে আনবেন, মাগুরায় গতকাল এনায়েতুল্লা আব্বাসী'র মতো রাজনৈতিক ধর্মবাজেরা 'ধোলাই' খাবেন, এমনটাই হওয়ার কথা বাঙালীর এই সবুজ বাংলায়।
এটাই আমাদের পরিচয়। ধর্ম এবং রাজনীতি দুই ভিন্ন দুনিয়ার বিষয়, এদের আলাদা রাখা দরকার। রাজনীতিতে ধর্মের বিষাক্ত সংক্রমণ দুর করতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, নয়তো রাজীব হায়দারদের মৃত্যু বৃথাই যেতে থাকবে। আমাদের এই রাজাকারদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই আন্দোলন সউদি এজেন্টদের হাসির পাত্রে পরিনত হতে থাকবে।
©somewhere in net ltd.