নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু মুসলিম

শুধু মুসলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেকিং নিউজ: দুনিয়াতে আল্লাহ নাই। তো আল্লাহ কোথায় আছেন? আসুন জেনে নেই কোরআন ও সহীহ হাদিস থেকে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৩

প্রশ্নঃ আল্লাহ কোথায় আছেন? তিনি কি সর্বত্র বিরাজমান?



উত্তরঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কোরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী মহান আল্লাহ আছেন আরশের উপর। কোরআন ও সহীহ হাদিসে আল্লাহর সিফাত বা গুনাবলীর যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে ঈমান আনা ওয়াজিব। যেমন, আমরা জানি, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সবকিছু শোনেন ও দেখেন, তার মানে এই না যে, তার শোনার যন্ত্র অর্থ্যাৎ কান ও দেখার যন্ত্র অর্থ্যাৎ চোখ আমাদেরই মতো। আল্লাহর সিফাত বা গুনাবলীর কান, চোখ, হাত যেভাবে কোরআন ও সহীহ হাদিসে আছে সেভাবেই স্বীকার ও বিশ্বাস করতে হবে। “আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান” আক্বিদা দুইটি জাতির মধ্যে বিদ্যমান, জাহমিয়া (ইসলামের একটি ভ্রান্ত দল) স¤প্রদায় ও হিন্দু স¤প্রদায়। দুনিয়াতে আল্লাহ নাই। তবে আল্লাহর ক্ষমতা, দয়া, জ্ঞান সর্বত্র বিরাজমান। গাছের একটি পাতায় ঝরে পড়ে না যা তার জ্ঞানে নাই। তিনি সবকিছু দেখেন, শুনেন এবং জানেন। তবে সেটা আরশ থেকে যা সপ্ত আসমানের উপর অবস্থিত।



আল্লাহ তায়ালা আছেন আরশের উপর।

কোরআনের অসংখ্য আয়াত উপরোক্ত কথাকেই সমর্থন করে।

১ম দলিলঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى ﴿طه৫﴾

পরম করুণাময় আল্লাহ রয়েছেন আরশের উপর। (সূরা তাহা-২০:৫)



২য় দলিলঃ



আল্লাহ তায়ালা বলেন,

أَأَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْض(الملك ১৬)



তোমরা তার থেকে নির্ভয় হয়ে গেলে যিনি আসমানের উপরে আছেন, আর তিনি তোমাদের সহকারে জমিনকে ধ্বসিয়ে দিবেন না? (সূরা মূলক ৬৭:১৬)



ইবনে আব্বাস রাঃ এই আয়াতের তাফসীরে বলেন: যিনি আসমানে আছেন, তিনি হলে আল্লাহ। (তাফসীরে ইবনুল জাওযি)।



৩য় দলিলঃ

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন,

يَخَافُونَ رَبَّهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ(النحل৫০)

তারা তাদের উপরস্থ রবকে ভয় করে। (সূরা নাহল-১৬:৫০)



৪র্থ দলিলঃ



আল্লাহ তায়ালা ঈসা আঃ সম্বন্ধে বলেন:

بَلْ رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ(النساء ১৫৮)



বরং আল্লাহ ঈসা আঃ কে তার নিকটে (অর্থ্যাৎ আসমানের দিকে) তুলে নিয়েছেন। (সূরা নিসা-৪:১৫৮)



৫ম দলিলঃ



তিনি আরও বলেন,

وَهُوَ اللَّهُ فِي السَّمَاوَاتِ(الأنعام৩)

আর তিনিই আল্লাহ যিনি আসমানের উপরে আছেন। (সূরা আনআম-৬:৩)



এ সমস্ত আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর রহঃ বলেন: তাফসীরকারকগণ এ ব্যাপারে একমত পোষন করেন যে, তারা আল্লাহ সম্বন্ধে ঐভাবে বর্ণনা করবেন না যেভাবে জাহমিয়ারা (একটি ভ্রষ্ট দল) বলে যে, আল্লাহ সর্বত্র আছেন। আল্লাহ তাদের এ জাতীয় কথা হতে পবিত্র ও অনেক উর্ধ্বে। (তাফসীর ইবনে কাসীর ৮ম খন্ড পৃষ্ঠা-১২)



৬ষ্ঠ দলিলঃ



আল্লাহ বলেন,



নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। (সূরা আরাফ-৭:৫৪)



৭ম দলিলঃ



সূরা বাকারা-২: ১৪৪> নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছšদ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর।



এখানে নবীজি সাঃ মূলত বায়তুল্লাহ বা কাবাকেই কেবলা হিসেবে পাওয়ার আকাংখা করেছিলেন এবং সেই জন্যই তিনি বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন যেন কাবাকে আল্লাহ কেবলা হিসেবে নির্ধারণ করে ওহী নাজিল করেন। আল্লাহ যদি সর্বত্র বিরাজমান হতেনই তবে নবীজি সাঃ কেন আসমানের দিকে তাকালেন? তিনি তো ডানে বায়েও তাকাতে পারতেন।



৮ম দলিলঃ

ফেরেশতাগণ এবং রুহ আল্লাহ তায়ালার দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়। (সূরা মায়ারিজ-৪)



৯ম দলিলঃ

আল্লাহর দিকেই আরোহন করে উত্তম কথা এবং সৎকর্ম তাকে তুলে নেয়। (সূরা ফাতির-১০)



১০ দলিলঃ



আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমন্ডলী স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত- তোমরা এটা দেখেছ। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হলেন (অর্থ্যাৎ সপ্ত আসমানের উপরে আরশে সমাসীন হয়েছেন)। (সূরা রা’দ-১৩:২)





১১তম দলিলঃ



স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, হে ঈসা! আমি তোমার কাল পূর্ণ করছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলে নিচ্ছি। (আল ইমরান-৩:৫৫)



১২তম দলিলঃ



ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ দাবী করেছিল। কাফের হওয়া সত্ত্বে সে মূসা আঃ এর কথা বিশ্বাস করে হামানকে বলেছিল,

ফেরাউন বলল, হে হামান! তুমি আমার জন্য এক সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরী কর, যাতে আমি অবলম্বন পাই আসমানে আরোহনের এবং আমি দেখতে পাই মূসা (আঃ) এর রব আল্লাহকে। (সূরা মুমিন-৪০:৩৭-৩৮)



এতেই বুঝা যায় মুসা আঃ আল্লাহর ঠিকানা দিয়েছেন আরশের। আল্লাহ যদি সর্বত্র হতেন তবে ফেরআউন কোন কারণে হামান কে সুউচ্চ প্রাসাদ বানানোর নির্দেশ দিবে?



>>>>>>>>>>>>>হাদিস থেকে প্রমাণঃ<<<<<<<<<<<<<<



১ম হাদিসঃ-



আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিথ, তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে মহান আল্লাহর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছ যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছ যে আমার কাছে কিছু চাইবে? আমি তাকে তা দান করব। কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। (বুখারী হা/১১৪৫, হা/৬৯৮৬ (ইফা) মুসলিম হা/৭৫৮, আবু দাউদ হা/১৩১৫, ইবনে মাজাহ হা/১৩৬৬, মিশকাত হা/১২২৩, সালাত অধ্যায়, তাহাজ্জুদের প্রতি উৎসাহিতকরণ অনুচ্ছেদ)।



প্রতি রাতে আল্লাহর দুনিয়ার আসমানে নেমে আসা প্রমাণ করে যে আল্লাহ আরশের উপর রয়েছেন। তিনি যদি সর্বত্র বিরাজমান হয়ে থাকেন তো “দুনিয়ার আসমানে নেমে আসা” সংক্রান্ত এই হাদিস বাতিল হয়ে যায় যেটা অসম্ভব।



২য় হাদিসঃ-



মু’আবিয়া বিন আল হাকাম আস সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিথ, তিনি বলেন, আমার একজন ক্রীতদাসী ছিল। ওহুদ ও জাওয়ানিয়্যাহ নামক স্থানে সে আমার ছাগল চরাত। একদিন দেখি নেকড়ে আমাদের একটি ছাগল ধরে নিয়ে গেছে। আমি ক্রুদ্ধ হয় তাকে একটি থাপ্পড় মারি। অতঃপর রাসুল সাঃ এর নিকট আসলে একে আমি সাংঘাতিক অন্যায় কাজ বলে গণ্য করি। তাই আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আমি কি ক্রীতদাসীকে আজাদ করে দিব? রাসুল সাঃ বললেন, তাকে আমার নিকট নিয়ে আস। আমি তাকে রাসুল সাঃ এর নিকট নিয়ে আসলাম। রাসুল সাঃ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে উপরের দিকে আঙ্গুল তুলে বলল, আসমানে। তখন নবী সাঃ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কে? তখন সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল মোহাম্মদ সাঃ। তখন নবী সাঃ বললেন, তাকে মুক্তি দিয়ে দাও, কারণ সে একজন মুমিনা/ঈমানদার নারী। (সহীহ মুসলিম হা/৫৩৭ ‘মসজিদ সমূহ ও সালাতের স্থানসমূহ’ অনুচ্ছেদ)।



এখান থেকেও প্রমাণ হয় যে মুমিনা সত্য বলেছিল। কিন্তু আল্লাহ যদি সর্বত্র বিরাজমান হতেন তবে নবী সাঃ কেন ওই মুমিনাকে শুধরিয়ে দিলেন না? কেন তিনি বললেন না যে, আল্লাহ আসমানে নয় সর্বত্র। আসলে ওই মুমিনা সত্যই বলেছিল। আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নয়। তিনি রয়েছেন আরশে।



৩য় হাদিসঃ-



আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “ আল্লাহ যখন সৃষ্টির কাজ সমাপ্ত করলেন তখন তার কাছে (আল্লাহর কাছে) আরশের উপর রক্ষিত এক কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন এবং নিজের সত্ত্বা সম্পর্কে লিখেন- নিশ্চয়ই আমার করুণা আমার ক্রোধের উপর জয়লাভ করেছে”। (বুখারী হা/২৯৬৭, সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, অনুবাদ-ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মিশকাত হা/২৩৬৪, দুআ অধ্যায়, আল্লাহর রহমতের প্রশস্থতা অনুচ্ছেদ)।



আরশের উপর আল্লাহর নিকট রক্ষিত কিতাব প্রমাণ করে কিতাব এবং আল্লাহর দুজনই রয়েছেন আরশের উপর। আল্লাহর ওহীও নাজিল হতো আসমান থেকে। আল্লাহ সৃষ্টির কাজ সমাপ্ত করে সেই কিতাবেই বাকী বক্তব্যগুলো লিখেছেন।



৪র্থ হাদিসঃ-



সালমান ফারসী (রাঃ) রাসুল সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ লজ্জাশীল ও মহানুভব। যখন কোন ব্যক্তি তার (আল্লাহর) নিকট দু’হাত তুলে দুআ করে, তখন তাকে শূন্য হাতে ফেরত দিতে তিনি লজ্জাবোধ করেন। (তিরমিজী হা/৩৫৫৬, ইবনু মাজাহ হা/৩৮৬৫, হাদিস সহীহ)



দু’আ করার সময় আমরা দু’হাত উত্তোলন করে আল্লাহর নিকট চাই। এতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ উপরে অর্থ্যাৎ আরশের উপরে আছেন।



৫ম হাদিসঃ-



বিদায় হজ্জের ভাষণে আল্লাহর রাসুল সাঃ সাহাবীগণকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তোমাদের আমার সম্পর্কে (আল্লাহ তায়ালা) জিজ্ঞাস করা হলে কি বলবে? ঐ সময় উপস্থিত সাহাবীগণ বলেছিলেন, আমরা স্বাক্ষী দিব যে, আপনি আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। একথা শুনার পর রাসুল (সাঃ) তার হাতের আঙ্গুল আসমানের দিকে উত্তোলন করে বলেছিলেন, হে আল্লাহ! তুমি স্বাক্ষী থেক। (সহীহ মুসলিম হা/১২১৮ ‘হজ্জ্ব অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৯)



আল্লাহ যদি সর্বত্রই বিরাজমান হতেন তবে রাসুল সাঃ কেন শুধুমাত্র আসমানের দিকে হাত উত্তোলন করবেন? তিনি তো ডানে বামে সামনে পিছনে বিভিন্ন দিকে হাতের আঙ্গুল তুলতে পারতেন। যারা বলে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, তারা কি এটাই বলতে চান যে আল্লাহ পাহাড় পর্বত, নদী নালা, খাল-বিল, হাওড়-সাগর, আকাশ-বাতাস, আগুন-পানি, ময়লা আবর্জনা তথা বাঞ্জিত-অবাঞ্জিত সব কিছুতেই রয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।



৬ষ্ঠ হাদিসঃ-



আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, যয়নব (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অন্যান্য স্ত্রীগণের উপর গর্ব করে বলতেন যে, তাঁদের (অন্যান্য স্ত্রীদের) বিয়ে দিয়েছে তাদের নিজ নিজ পরিবার। আর রাসুল সাঃ এর সাথে আমার বিয়ে আল্লাহ তায়ালা সপ্ত আসমানের উপর (অর্থ্যাৎ আরশ) থেকে সম্পাদন করেছেন। (বুখারী হা/৬৯১৫ অনুবাদ-ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বুখারী হা/৭৪২০ ‘তাওহীদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২০)



এ হাদিসও স্পষ্ট করে প্রমাণ করছে যে উম্মুল মুমিনিন যয়নব রাঃ ও বিশ্বাস করতেন যে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরশে রয়েছেন।



৭ম হাদিসঃ-



মিরাজ এর ঘটনা থেকে আমরা জানি যে, রাসুল সাঃ কে যখন একের পর এক সপ্ত আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছিল নবী রাসুলগণের এবং আল্লাহর সান্নিধ্যের জন্য সপ্ত আসমানের উপরে তিনি গিয়েছিলেন। এরপর যখন আল্লাহ ৫০ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করলেন। তখন রাসুল সাঃ ৫০ ওয়াক্ত ফরজ সালাত নিয়ে মূসা (আঃ) এর সাথে ৬ষ্ঠ আসমানে দেখা হলে মুসা আঃ সালাত কমানোর পরামর্শ দেন। পরামর্শ মোতাবেক রাসূল সাঃ আরশে গিয়ে সালাত কমানোর আবেদন করলে ফরজ সালাতের পরিমাণ ৫০ থেকে কিছুটা কমানো হয়। আরশ থেকে ফিরে আসার সময় আবার ৬ষ্ঠ আসমানে মুসা (আঃ) এর সাথে দেখা হয় এবং আবারও তিনি সালাত কমানোর পরামর্শ দেন। এরপর কমতে কমতে ৫ ওয়াক্ত হয়। (বুখারী হা/৭০০৯, অনুবাদ-ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মিশকাত হা/৫৮৬২) এ দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, আল্লাহ তা’য়ালা আরশের উপরে আছেন, তিনি সর্বত্র বিরাজমান নন।



৮ম হাদিসঃ-



রাসুল সাঃ বলেছেন, তোমরা কি আমাকে আমিন (বিশ্বাসী) বলে স্বীকার কর না? আমি তো ঐ স্বত্ত্বার নিকট আমিন/বিশ্বাসী বলে চিহ্নিত/পরিগণিত যিনি আসমানের উপর আছেন (আর তিনি হলেন আল্লাহ)। (বর্ণনায়-বুখারী ও মুসলিম)



৯ম হাদিসঃ-

রাসুল সাঃ বলেছেন, তোমরা জমিনে যারা আছে তাদের প্রতি দয়া কর, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। (তিরমিযী-হা/১৯৪১ হাদিসটি সহীহ)

এখানে যিনি আসমানে আছেন বলে রাসুল সাঃ আল্লাহকেই বুঝিয়েছেন এবং এই হাদিসও প্রমাণ করে যে আল্লাহ আরশে রয়েছেন।



১০ম হাদিসঃ



রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাহ বলেছেন, আরশ পানির উপর আর আল্লাহ আরশের উপর। তৎসত্বেও তোমরা কি কর বা না কর তিনি তা জ্ঞাত আছেন। (আবু দাউদ হাসান)



১১দশ হাদিস

আবু বকর রাঃ বলেছেন,

ومَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ فإنَّ اللهَ فيِ السماء حَيٌّ لا يمُوتُ (رواه الدارمي في الرد غلي الجهمية باسناد صحيح)



যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত করে (সে জেনে রাখুক) নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আসমানের উপর জীবিত আছেন, কখনোই তিনি মারা যাবেন না। (সুনানে দারেমী সহীহ সনদ)। জাহমিয়া স¤প্রদায়ের ”আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান” আক্বিদার লোকদের তিনি একথা বলেন।



আবু বকর রাঃ ছিলেন সিদ্দিক বা সত্যবাদী। এই সত্যবাদী লোকটির আক্বিদাও হলো আল্লাহ আসমানের উপর আরশে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের আক্বিদাহ আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান (নাউযুবিল্লাহ)।



আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের আক্বিদা থেকে শিরককে দুরীভূত করে কোরআন ও সহীহ হাদিস এবং মাজহাবী গোড়ামীমুক্ত জীবন দান করুন। আমীন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২

১১স্টার বলেছেন: ইসলামিক কোন পোস্ট আমি পড়ি না কারন অধিকাংশ নাস্তিক রা ভালো ভালো কথা বলে সুক্ষ্মভাবে একটি শিরক ঢুকায়ে দেয়। তবে আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে।

মাঝে মাঝে ইসলামের এতোগুলি ধারার ভিতর কোনটি সঠিক বিভ্রান্ত হই কোনটা আমি বেছে নেব ভেবে পাইনা।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ফুরব বলেছেন: আল্লাহ আসমানে বা আরসে থাকেন, এই পৃথিবী কি আসমান বা শুন্যে অবস্থান করছে না? হায়রে জ্ঞান-------------?

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কনিফউজড_েনিটেজন বলেছেন: ব্রেকিং নিউজ ??? :) :)

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: আল্লাহ সর্বত্র অর্থে আমি বুঝি যে দুনিয়ায় এমন কোন জায়গা নেই যেখানকার সম্বন্ধে তিনি জানেন না। মানে, আমি যদি ঘর বন্ধ করে খারাপ চিন্তা করি তাহলে আর কেউ জানুক না জানুক, তিনি জানবেন।

এর সঙ্গে উপরিউক্ত আয়াতগুলির কনফ্লিক্ট কোথায়?


মহানবী(সাঃ) কথিত আল্লাহের ধারণা খুবই Abstract। আমাদের এই দুনিয়ার ভাষা দিয়ে সে ধারণাকে পুরোপুরি প্রকাশ করার চেষ্টা অপচেষ্টা হতে বাধ্য।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

শুধু মুসলিম বলেছেন: সূরা মুমিন ৪০:৭> ........হে রব, তোমার দয়া, তোমার জ্ঞান সর্বত্র বিরাজমান।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫

ফারিহা রহমান বলেছেন: ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.