নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আগে আমি ভাল, সৎ ও দূর্নীতিমুক্ত হই তারপর ........

অন্যায়, দূর্নীতি এবং অসত্যের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব, ফলাফল শূন্যই হোক।

বদলে যাই

অনিয়ম আর দূর্নীতি দেখলে খুব খারাপ লাগে

বদলে যাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদুকাটা নদী ও বারেক টিলায় দিন দিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২২

দিন দিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা তাহিরপুরের মাদার ফিশারীজ টাঙ্গুয়া হাওর, যাদুকাটা নদী ও বারেক টিলায়। হাওর ও পাহাড়ের নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঝড়-বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করে প্রতিদিন দেশ বিদেশের শত-শত পর্যটক ভীড় করছেন এ সমস্থ স্থানে। তবে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আবাসিক হোটেল না থাকায় দর্শনার্থী ও পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে নান মূখী বিড়ম্বনায়। স্থানীয় লোক মুখে রচিত নয়কুড়ি বিল ও ছয়কুড়ি কান্দার সমন্বয়ে গঠিত টাঙ্গুয়ার হাওর। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এ বিশাল জলরাশির হাওরটি নৈসর্গিক সৌন্দয্য আর জীব বৈচিত্রের অভয়াশ্রম।শতবর্গ কিলোমিটার হাওরে বিভিন্ন রকম জলজ গাছ হিজল-করচ, বল্লা, বনতুলশী, ছালিয়া, বিন্না, নলখাঘরা সহ অসংখ্য জলজ প্রাণী এ হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।অপরদিকে ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী নদী যাদুকাটা ও তার পার্শ্বস্থ বারেক টিলা, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে এক আকর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের উওরপূর্বাঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় ঘেষে অবস্থিত বারিক টিলা ও পাশ দিয়ে প্রবাহিত পাহাড়ি নদী যাদুকাটা যেন নৈসর্গিক সূন্দর্যের লীলাভূমি দর্শনীয় ও আকর্ষনীয় এক স্থান। সুনামগঞ্জ জেলার উওর পশ্চিমে এবং তাহিরপুর উপজেলা থেকে উওরে ভারত সীমান্তে অবস্থিত এ বারিকটিলা ও যাদুকাটা নদী। বর্ষায় পাহাড়ি নদী যাদুকাটার বুকে স্রোতধারা আর হেমন্তে শুকিয়ে যাওয়া যাদুকাটার বুক জুড়ে ধু-ধু বালুচর এবং পার্শ্বস্থ ভারতের সারি-সারি উচু নীচু মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় ও বাংলাদেশের বারিক টিলার সবুজ বনায়ন মাটিয়া পাহাড় এখানে আসা লোকজনের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। টাঙ্গুয়া হাওর ও বারেক টিলা, যাদুকাটার নান্দনিক নৈসর্গিকতার পাশাপাশি তাহিরপুরের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে যাদুকাটা ও বারিক টিলার পূর্ব প্রান্তে ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফর সঙ্গী শাহ আরফিনের আস্তানা, যাদুকাটা নদীতীরে লাউর নবগ্রাম শ্রী-শ্রী অদ্বৈত মহা প্রভুর মন্দির ও পনতীর্থ ধাম, পশ্চিমতীরে ইস্কন মন্দির, বোত্তাশাহর মাজার, বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর শুল্কষ্টেশন, কড়ইড়গড়া রাজা উইক্লিবসিম এর বাড়ি, ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্প, আওলি জমিদার বাড়ি উল্লেখযোগ্য। তাহিরপুরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হলে এবং উল্লেখিত স্থানগুলো যথাযথভাবে তত্বাবধান করা হলে বারিকটিলা ও টাঙ্গুয়ার হাওর কে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এবারও প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা হাওর ও বারেক টিলা ভ্রমন করতে ছুটে আসছেন। ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে হাওরে অনেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আবার অনেকে রাতের টাঙ্গুয়া হাওর কে উপভোগ করতে রাত্রি যাপনও করছেন হাওরে। অপরদিকে যাদুকাটা নদীতে সরাসরি নৌকা নিয়েও যাচ্ছেন অনেকে আবার অনকে মোটরবাইকে করে ঘুরে আসছেন বারেক টিলা যাদুকাটায়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সফানশন ফোরাম (বিটিএফ)এর সদস্য শাহীন আহমেদ, সালেহীন রেজা, সাবিবর ফেরদৌস বলেন, বারেক টিলা ও টাঙ্গুয়ার হাওরের ওপার সৌন্দর্য উপভোগ করেছি বার বার হাওরে আসার ইচ্ছে কিন্তু আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের সমস্যা হয় সে কারণে একবার কেউ আসলে দ্বিতীয়বার আসতে সাহস পান না।

সূত্র : সিলেটেরে ডাক, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা। Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.