নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাদামাটা মানুষ। ভালবাসার কাঙ্গাল। অল্পতেই তুষ্ট। সবাই আমাকে ঠকায়, তবুও শুরুতে সবাইকে সৎ ভাবি। ভেবেই নেই, এই মানুষটা হয়ত ঠকাবেনা। তারপরেও দিনশেষে আমি আমার মত...

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি রোপন, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ

২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:০০

গত ১৫ বছর ধরে বৃক্ষপ্রেমী আর কৃষকদের বলে আসছিলাম, ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি গাছ লাগাবেন না। ২০০৮ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেটা তেমন একটা প্রচার হয়নি। এখন ২০২৫ এ নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হল। এবার না মানলে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।


ব্যক্তি স্বার্থেই ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি লাগাবেন না। কারন:
১. প্রচুর পানি শোষন করে। চাষের জমির ফসলের চেয়ে ৪-৫গুন পানি শোষন করতে ১টি মাঝারি আকৃতির গাছ যথেষ্ট। সেচ খরচ বেড়ে যায়।
২. এক প্রকার তেল ছাড়ে, যা অন্য প্রজাতির বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়, বিলুপ্ত করে দেয় বা বংশ বিস্তারে বাঁধা দেয়।
৩. অন্য ফসলের বা ফলজ বৃক্ষের ফলন কমিয়ে দেয়।
৪. মাটির পুষ্টি নি:শেষ করে ফেলে। কাছাকাছি থাকা ফসলী জমিতে বেশি রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। ফসলের উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে।
৫. পাতা মাটিতে পড়লে তা সহজে মিশে যায় না। বরং PH লেভেলের ব্যালেন্স নষ্ট করে। মাটি এসিডিক হয়ে যায়।
৬. ইউক্যালিপটাস-আকাশমনির অরন্য তৈরী করলে শুষ্ক মৌসুমে আগুন লেগে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
৭. ইউক্যালিপটাস-আকাশমনির ফুলের রেনু মানুষ ও পশু পাখির এলার্জি ও শ্বাস কষ্টের স্পষ্ট কারন। প্রজনন ক্ষমতাও কমে যায়।
৮. বাতাস থেকে O2 শোষন করে বেশি এবং CO2 ত্যাগ করে বেশি। যেটা আমাদের দেশীয় প্রজাতির পুরোই উল্টো মেকানিজম।




সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যে বহু প্রজাতির দেশীয় গাছ গাছালি আছে, সেগুলো লাগান, পরিবেশ বাঁচান। সেগুলো হতে পারে: চাপালিশ, গামার, জারুল, বকফুল, শাল, কদম, তেঁতুল, অশ্বথ, নিম, শিমুল, পলাশ, তাল, বাঁশ ইত্যাদি।

একটা বট বা অশ্বথ গাছ ২৪ ঘন্টা O2 ছাড়ে। এমনকি এই দুটো গাছ একই বয়স্ক অন্য প্রজাতির গাছের চেয়ে ৫ গুন বেশি O2 ছাড়ে এবং পরিবেশ বান্ধব। পানি সঞ্চয় করে রাখে, বাতাসের আদ্রতা ধরে রাখে, পাখির খাদ্য নিশ্চিত করে। রাস্তার মোড়ে বা স্কুল কলেজে লাগানোর জন্যে অনেক ভাল।

নিম গাছ জমির আশপাশে লাগানোর জন্যে অনেক ভাল। রোগ বালায় কম হবে। ফলের গোটা পাখি ও ছাগল খায়। পাতার বহুবিদ ব্যবহার আছে। পাতা কেজি দরে বাজারে বিক্রিও হয়।



যে মাটি নিতান্তই অনুর্বর। সেখানে শাল বা চাপালিশ গাছ লাগান। চাপালিশের ফল অনেক সুস্বাদু, পশু পাখির খাদ্য। মানুষও খায়। খুব ভাল মানের কাঠ পাওয়া যায়। উভয় গাছ দ্রুত বর্ধনশীল।




বকফুল বা পলাশ ফুলের গাছও অনেক ভাল। বকফুল বড়া বা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। বাজারে অনেক দামে বিক্রি হয়।



অন্যদিকে জারুলের কথা না বললেই না। উপকারী গাছের ছাল থাকে না। জারুল হল সেই উপকারী গাছ। এর গুনের কথা বললে অনেক বড় পোস্ট হয়ে যাবে।

ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

আমাদের চারপাশে দ্রুত বর্ধনশীল ইউক্যালিপটাস গাছ নিয়ে কিছু কথা

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২০

ফারমার২ বলেছেন:



আমি নোয়াখালী সীমান্ত বরাবর ত্রিপুরা সীমান্তে অনেক অনেক ইউক্যািপটাস গাছের বাগান দেখেছি; দাদা কি নোয়াখালীর মানুষকে এলার্জি রোগের মহামারী ভোগানোর চেষ্টা করছে?

২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:০১

অপলক বলেছেন: মনে হয় ...

হয়ত বুবু ভাল বলতে পারবে।

২| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ২:১৫

ফারমার২ বলেছেন:



বুবু ভারত যাবার পর লাগায়েছে।

২৩ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৩

অপলক বলেছেন: তাইলে তো কাটায় কাটায় মিলে গেছে। নোয়াখালির ঐ জায়গায় লীগ ভক্তদের নিয়ে গিয়ে বুক ভরে নি:শ্বাস নিতে বলবেন। বিশেষ করে যখন হলুদ ফুলে ভরে যাবে। বেশি না ১৫ দিন বুক ভরে নি:শ্বাস নিলেই বুবু আর দাদা ভাইয়ের আর্শিবাদ বুঝতে পারবে।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: চুলকানি কমায় এমন কোনো গাছ আছে?

২৩ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫৮

অপলক বলেছেন: বিষে বিষক্ষয়। তাই তোমার চুলকানির জায়গায় বিছুটি বা চুলচুইল্লা গাছের পাতা ঘুসতে হবে। তাও না হলে বিলাই খামচি ফল দিয়ে কয়েকটা ডলা দিলেই চলবে... মনের চুলকানি থাকলে নিয়মিত আমার ব্লগে ঢু মারলেই চলবে।



৪| ২৩ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১৪

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: ইউকিলিপটাস গাছ পরিবেশের ক্ষতির থেকে এটি দারিদ্র বান্ধব গাছই শুধু না এটি এইদেশের কাঠ বা জ্বালানীর অভাব উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়েছে । এই গাছের থেকে বাঁশ বেশী পানি শোষণ করে থাকে । বাঁশ যেমন নিষিদ্ধ করার উপায় নেই তেমনি ইউকিলিপটাস গাছও নিষিদ্ধ করে তা বাস্তবে কার্যকর হবেনা ।

২৩ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭

অপলক বলেছেন: ইউক্যালিপটাস গাছের চেয়ে বাঁশ বেশি পানি গ্রহন করে তার প্রমান দিলে খুব খুশি হতাম। কোন রেফারেন্স থাকলে জানাবেন প্লিজ।

জ্বালানীর ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। আসলে নব্বয়ের দশকে মানুষ জানত না এই গাছের ক্ষতির কথা। এমন কি মানুষ এখনও জানে না, ইউক্যালিপটাসের মত আরও অনেক দ্রুত বর্ধনশীল দেশীয় গাছ আছে আমাদের দেশে। এখন যেহেতু মানুষ জানতে পারছে, নতুন করে তাদের ক্ষতিকর গাছ লাগনো উচিত হবে না।

৫| ২৪ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৪:০২

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: মন কাড়া সব ফুল ।

২৪ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২১

অপলক বলেছেন: গাছগুলো সুযোগ থাকলে লাগিয়ে ফেলুন।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২১

অপলক বলেছেন: ঘোড়াঘাটে প্রায় ২০০ ইউক্যালিপটাসের চারা ধ্বংস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.