নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমুর অন্য নাম

তিসান

১২৩৪

তিসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলনা যাই।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৯

চলনা যাই?
মেয়েটি চুপচাপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেই যাচ্ছে।
কি হল চুপ কেন?
বিরক্ত করছ কেন? দেখছনা প্রকৃতি দেখছি।
চলনা যাই?
খালি যাই যাই করছ করছ কেন? কত সুন্দর প্রকৃতি, নদীর স্রোত, নদীর মধ্যে জেলেরা মাছ ধরছে কি অপূর্ব দৃশ্য।
কি বলছ এসব? ময়লা আবর্জনার স্তুপ চারপাশে। এখানে প্রকৃতি দেখার কি হল?
তোমার যদি যেতে ইচ্ছে হয় তবে তুমি যেতে পার। আমাকে বিরক্ত করনা।
তিসান চুপচাপ বসে রইল। মিতু ঘাড়ত্যাড়া মেয়ে এক বার যা বলবে তাই ই করবে। মিতুর সাথে তার পরিচয়ের আজ সপ্তম দিন প্রতিদিনই তিসান চাচ্ছে মিতুকে নিয়ে তার একটা পছন্দের যায়গায় যাবে কিন্ত কে শুনে কার কথা। মিতু গম্ভির বলল,
আচ্ছা তিসান তুমি তো জানোই আমার পরিবার আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নিবেনা তবু আমারা ভুল করে ভুল পথে এগুচ্ছি। এটা কি আমাদের ঠিক হচ্ছে?
ঠিক বেঠিক আমি কিছু বুঝিনা , আমি তোমাকে ভালবাসি তোমাকে আমি পেতে চাই। তা যেকোন উপায়ে হোক।
তার মানে তুমি বলছ আমরা পালিয়ে বিয়ে করব?
আমি তো এটা বলিনি। আমি বলছি আমি তোমাকে পেতে চাই।
আর আমি বলেছি আমার পরিবার থেকে রিলেশনের বিয়ে কখনোই মেনে নিবেনা, এতে তুমি হও আর যে কেঊ ই হোক আমাকে দিবেনা, আমার বাবাকে তুমি চিননা।
আচ্ছা সোনা তুমি টেনশন করনা, দেখবে সব টিক হয়ে যাবে।
আমার না খুব ভয় করছে।
জান ভয় পাওয়ার কিছু নেই দেখবে সব ঠিকঠাক মতই হবে।
কিচ্ছু ঠিক হবেনা, কিচ্ছু ঠিক হবেনা দেখবে ওরা তোমাকে আর আমাকে কখনই মেনে নিবে না। মিতু আবেগে ভেঙ্গে পড়ে তিসানের বুকে মাথা রাখল। তিসানও মিতুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।
মিতু এত সহজে ভেঙ্গে পড়ার মেয়ে নয় কিন্তু আবেগের কাছে তাকেও হার মানতে হল। আবেগ বড়ই পাষাণ জিনিস যাকে গ্রাস করে ফেলতে পারে তাকে ধ্বংশ করে দেয়।
রাতে মিতু তিসান কে ফোন করে বলল, এই তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে বাসার নিচে একটু আসতে পারবা?
মিতুর কোন কথাই না রেখে পারেনা তিসান, মিতু বলার সাথে সাথে তিসান তাড়াহুড়ো করে মিতু বাসার নিচে গিয়ে মিতু কে ফোন দিল। মিতু ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে।
কি ব্যাপার তুমি কাদছ কেন?
তোমাকে আমি বলেছিলাম না ওরা আমাদেরকে মেনে নিবে।
মানে কি? এখন কি হয়ছে?
পাত্রপক্ষ আমাকে দেখতে এসেছে। পছন্দ হলে আজই বিয়ে করে নিতে চায়।
কি বল এসব?
তিসান তুমি কিছু একটা কর? তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবনা।
আচ্ছা আমি দেখছি।
যা করার জলদি কর হাতে সময় একদম কম।
তিসান হাঁটছে, অন্ধকার রাতে একাকী হাঁটলে নিজেকে ইতর প্রাণী মনে হয়। তিসানেরও হচ্ছে। এই মুহূর্তে সে কি করতে পারে মিতুর জন্য? নাকি মিতুকে সে ছেড়ে দিবে? আরো কত মিতু জীবনে আসবে এক মিতুর জন্য নিজের ক্ষতি করে কি লাভ? একটু স্বার্থপর হলেই ভালভাবে বাঁচা যায়, কিন্তু সবাই স্বার্থপর হতে পারেনা।
তিসান অনেকক্ষণ থেকে মিতুর জন্য নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছে। তিসান কে আজ খুব রাগী রাগী লাগছে, মিতু যখন জানত তার পরিবার থেকে ভালবাসার বিয়ে মেনে নিবে না তখন সে কেন তার সাথে রিলেশন করল?
মিতু আসতেই তিসান চেঁচিয়ে বলল, এই তুই কেন আমার সাথে এমন করলি? তুই যখন জানতি তোর পরিবার তেকে ভালবাসার বিয়ে মেনে নিবে না তখন কেন তুই তোর সাথে আমাকে জড়াতে গেলি?
মিতু কেঁদে কেঁদে বলল, বিশ্বাস কর আমি তোমার সাথে নিজেকে জড়াতে চাইনি কিন্তু কি করে কি হয়ে গেল।
কি করে কি হয়ে গেল না? একটা ছেলের জীবন নষ্ট করে এখন কি করে কি হয়ে গেল? ফাজলামি পাইছ? দেখ আমি তোর কি করি।
তিসানের এমন ব্যবহার দেখে মিতু খুব ভয় পেল।মিতু হাত পা কাঁপছে
মিতুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তিসান মিতুকে খুব জোরে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, যা মিতু যা নদীতে তুই ভাইস্যা যা, যা মিতু যা।

এই কি ব্যাপার তুমি চিল্লাইতেছ কেন? কি হল? এই শুন, এই তিসান।
ঠিক তখনি তিসানের ঘুম ভাংল। মিতুকে কাছে পেয়ে সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে মিতু পাগলের মত জড়িয়ে ধরে বলল, মিতু তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি, কেউ তোমাকে আর আমাকে আলাদা করতে পারবেনা। আমি শুধু তোমার আর তুমি শুধু আমার।

লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.