নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমুর অন্য নাম

তিসান

১২৩৪

তিসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কসম মিথ্যার অন্য না্ম।।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২২

লিয়ানা পার্কের একটি বেঞ্চিতে বসে রায়হানের অপেক্ষা করছে। অপেক্ষা করা বিরক্তিকর ব্যাপার তবু সে করছে কারণ আজ সে এটার একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বে। রোজ এভাবে বসে থাকা যায়না। লিয়ানা মোবাইল বের করে রায়হানকে ফোন দিল কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার রায়হানের ফোন ব্যস্ত দেখাচ্ছে।
পিছন থেকে একটি ছেলে বলে উঠল, আমি কি এখানে একটু বসতে পারি?
জ্বি পারেন। এটা আমি কিনে রাখিনি , আপনি চাইলে বসতে পারেন।
ছেলেটি আর কিছু না বলে সন্তপর্নে বসে পড়ল। ছেলেটির হাতে বাদামের কৌটা । আপন মনে বাদাম ছিলছে আর খাচ্ছে,যেন তার মনে কোন চিন্তা নাই। সে বাদাম খাওয়ার জন্যেই জন্মেছে। ছেলেটির বাদাম খাওয়া দেখে লিয়ানার রাগ লাগছে। ছেলে মানুষ হয়ে এভাবে একা একা বসে কেন বাদাম খাবে? লিয়ানার রাগ একটু বেশি রাগের মাথায় কি করে বসে তা সে নিজেও জানেনা। আজ সে একটি নীল শাড়ি পরে এসেছে। রায়হানের অনেক দিনের শখ তাকে নীল শাড়িতে দেখতে। সে নীল শাড়ির সাথে মিলিয়ে নীল চূড়িও পরেছে। লিয়ানা্র বার বার ফোন ডায়াল করা দেখে ছেলেটি বলল, আপনি কি কারো অপেক্ষা করছেন?
জ্বি।
কার অপেক্ষা করছেন?
কার অপেক্ষ করছি বুঝেন না? পার্কে কেউ জামাইয়ের অপেক্ষা করেনা । বি এফ এর অপেক্ষাই করে।
ওহ আচ্ছা।
ছেলেটি এমন ভাবে ওহ আচ্ছা বলল যেন লিয়ানা এমনি এমনি অপেক্ষা করছে। লিয়ানার আবার রাগ লাগছে। রাগের মাথায় সে ছেলেটি কে বলল, আপনি এখান থেকে উঠুন?
কেন? উঠব কেন?
উঠুন বলছি। ওই বেঞ্চিতে গিয়ে বসেন। ওটা খালি আছে।
ছেলেটি উঠতে উঠতে বলল, আপনার ফোন নাম্বারটা দিবেন?
কি বললেন?
আপনি নিশ্চয় বয়রা না। আমি যা বলেছি তা আপনি শুনেছেন।
কেন? আমি আপনাকে নাম্বার দিব কেন?
আপনাকে আমার ভাল লেগেছে। আপনার সাথে বন্ধুত্ব করব।
কিন্তু আমি তো আপনার সাথে বন্ধুত্ব করব না।
না করলে না করবেন। তবু নাম্বারটা দেন,কিছু কথা বলব।
যা বলার এখানেই বলেন।
সামনা সামনি বলা যাবেনা।
না বলা গেলে নাই। এখন ফুটেন।
ছেলেটি চুপচাপ গিয়ে পাশের বেঞ্চিতে বসে পড়ল।
ছেলেটির চুপচাপ বসে থাকা দেখে লিয়ানার খুব হাসি পাচ্ছে। একটি ছেলে থাকে ভয় পেয়ে চুপচাপ বসে আছে।
রায়হানের কোন খোজ খবর নেই। লিয়ানা ঠিক করল আজ চলে যাবে। রায়হান হয়ত কোন সমস্যায় পড়েছে।
যাওয়ার জন্য লিয়ানা উঠতেই ছেলেটি আবার এসে বলল, শুধুই তো বন্ধুত্ব করতে চেয়েছি। বিশ্বাস করেন এর বেশি কিছু না। এই দেখেন কসম কেটে বলছি। ছেলেটি সত্যি সত্যি গলায় হাত দিয়ে ধরে কসম কেটে দেখাল।
লিয়ানা বলল, আচ্ছা লিখুন নাম্বার।
ছেলেটি নাম্বার পেয়ে চলে গেল।
রাত দশটার দিকে ছেলেটি ফোন দিল, কেমন আছেন?
কে বলছেন?
অই যে নাম্বার দিয়েছিলেন।
হ্যাঁ ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন?
খুব ঝামেলায় আছি।
কেন কি হইছে?
আর বইলেন না নতুন একটা বাইক কিনেছিলাম কিন্তু ওটার হেড লাইটে একটু সমস্যা।
তাই নাকি আপনার বাইক আছে নাকি?
জ্বি আছে।
ওমা তাই ?
জ্বি তাই।
আপনার বাইকের মডেল কি?
আর ওয়ান ফাইভ।
সত্যি বলছেন আপনার আর ওয়ান ফাইভ আছে?
হুম।
আচ্ছা আপনার বাইকের পিছনে কয়টা মেয়েকে বসাইছেন?
একটাও না। আসলে সেরকম মেয়ে পাইনি তো তাই। কিন্তু আপনাকে দেখে মনে হইছে আপনি হবেন সেই মেয়ে যাকে আমি প্রথম আমার বাইকের পিছনে বসাব।
সত্যি আমাকে দেখে এটা ভাবছেন? ইশ আমার কি যে ভাল লাগছে।
সত্যি বলছি। এই দেখ কসম কেটে বলছি।
এই চিটিং বাজ ফোন রাখবি? তোর মত অনেক চিটিং বাজ জীবনে দেখছি। তুই প্রথম না। তোর আর ওয়ান ফাইভ আছে তাইনা? থাপ্পড় দিয়ে সব কটা দাত ফেলে দিব।
লিয়ানা ফোন কেটে দিল। যেসব ছেলে ও মেয়েরা কথায় কসম কাটে তারা খুব মিথ্যুক হয়।

লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান
এম সি কলেজ, সিলেট।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩০

কালীদাস বলেছেন: হা হা :)

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

তিসান বলেছেন: হিহিহি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.