![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর:
আমাদের দেশে এক ধরনের লোক আছে যারা চায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হোক কিন্তু মায়ানমারে যেন না হয় । নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের চেয়ে এদের কাছে অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের দুঃখ নিয়ে বেশি কাতর । আমি কিন্তু সব দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের পাশে থাকতে চাই, এই সংখ্যালঘু নির্যাতন আমাকে আহত করে। আমি এসব নির্যাতনকারীদদের অভিশাপ জানাই। হোক তা মায়ানমার ভারত বা বাংলাদেশ । এটাই মানবতা, মনুষ্যত্ব । যারা সংখ্যালঘু, এক মাত্র তারাই তাদের কষ্ট যন্ত্রণাটা ভালো বোঝে । জাতিসঙ্গ বলছে ওদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার কথা এতে যে সমস্যা গুলো হতে পারে তা আমি তুলে ধরলাম ।কেনো রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়!! ........................................
১। দেশে নতুন করে স্বরনার্থী আসলে দেশ খাদ্য সংকটে পড়বে...
২।রোহিঙ্গারা এদেশে এসে মাদক,সাম্প্রদায়িক হামলা,চোরা চালান, জঙ্গিপনায় জড়াচ্ছে যা দেশের সম্মানের হানি ঘঠাবে।
৩। রোহিঙ্গাদের দিনের পর দিন এ দেশে জায়গা দিলে মায়ানমার সরকার আরো বেশি নির্যাতন করে ওদেরকে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিবে।
৪। রোহিঙ্গারা এ দেশের পার্সপোটে বিদেশ গিয়ে অবৈধ কাজ করে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করবে ।
৫। রোহিঙ্গারা এদেশে এসে নিরিহ বৌদ্ধদের উপর প্রতিশোধ নিবে,রামু উখিয়ায় গত বার তারা হামলা করেছে!! ফলে দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হতে পারে যা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে।
৬। রোহিঙ্গারা এ দেশে ভোটার হয়ে জামাতসহ সাম্প্রদায়িক গোষ্টিকে ভোট দেয়, জঙ্গিদের টার্গেট হয়, জঙ্গি হবে... এদেশ তলিয়ে যাবে।
৭। রোহিঙ্গাদের ভাষা সংস্কৃতি আলাদা তাই এত মানুষ এক সময় বিচ্ছিন্নতার সুর তোলবে,দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করবে!!
৮। আগে যে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে মায়ানমার সরকার তাদেরই পুনর্ভাসনের ব্যবস্থা করে নাই,তাই অনেক বছর রহিঙ্গাদের রাখতে হবে যা সম্ভব নয়!
৯। মানবিকতা বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার রাজনৌতিক ভাবে,কুটনৈতিক ভাবে মায়ানমার কে চাপ সৃষ্টি করতে পারে,
১০। রোহিঙ্গারা মায়ানমারের সেনাবাহিনীর উপর হামলা করে তাদের হতাহত করে পরে সেনাবাহিনী অভিযান করে, পরে মায়ানমার আমাদের উপর আক্রমন করবে। শুধু শুধু পাটকেল কোনো এ দেশ খাবে?
১১। রোহিঙ্গারা মায়ানমারে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম করে না,বা তাদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম নয় এটা সাম্প্রদায়িক সমস্যা,প্রাকৃতিক ভাবেই রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের নাগরিক তারা সেখানেই বাস করবে, এদেশে নয়!! তাদের সমস্যা তারা সমাধান করবে!! আর পালিয়ে আসা এর সমাধান নয়।
১২। এটা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এর একটি নতুন কৌশল,দক্ষিণ এশিয়া দখল করা,অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা!!
দয়া করে কেউ আমার কথাগুলোকে নেগেটিভ ভাবে নিবেন না, রোহিঙ্গা আর্তনাদে সারা বিশ্ব যখন কাদছে তখন আমার এই লেখাটি হয়ত আপনাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নাও পেতে পারে কিন্তু একটু সুক্ষভাবে চিন্তা করুন দেখবেন আপনি আমার সাথে একমত হবেন।
আর অনেক অমুসলিম ভাই বোনেরা মনে করেন মুসলিম রা শুধু হিন্দুদের ঘৃনা করে, কিন্তু এটা ঠিক নয়। একজন মুসলিম কখনোই খারাপ হতে পারেনা, যদি সে হয় তবে সে মুসলিম নয়।
এর একটি দৃষ্টান্ত হল, সারা পৃথিবীতে যখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ভরে গেছে তখন এই মুসলিম ছেলেটির কথা গুলো শুনে সত্যি চোখে পানি এসে গেল । ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে যিনি তার নিজের একটা কিডনি দিতে চাইছেন তার ভাষা টা হুবাহু তুলে দিলাম ......... "@SushmaSwaraj mam I am a BSP supporter and a Muslim, bt I want 2 donate my kidney 4 u,4 me u r like my mother figure, May allah bless u," he said on twitter.
এমন একটা পৃথিবী আমরা দেখতে চাই । যেখানে থাকবে না কোন জাত পাত আর ধর্মের ভেদাভেদ ।
সময় এসেছে পৃথিবীর সব ধর্মের বর্ণের মানুষ একসাথে হয়ে এই সব সাম্প্রদায়িক গুষ্টিকে পৃথিবী ছাড়া করা তা না হলে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ কেউ এদের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না।
লেখক: চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান,
এম সি কলেজ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮
তিসান বলেছেন: ধন্যবাদ। একমত হওয়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: একমত। বেশি লেখা যায়না, বিপদ আছে না?