নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমুর অন্য নাম

তিসান

১২৩৪

তিসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মরনীয় সেই দিনটি।।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০১

আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটির নাম শায়লা। আমি ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম ঠিক এরকম একটি মেয়ের হাতে হাত ধরে হাটব, ফুচকা খাব, টং দোকানে বসে চা খাব কিন্তু এই স্বপ্নের মেয়েটির দেখা যে এত তাড়াতাড়ি পাব তা কখনো চিন্তাও করিনি। শায়লাকে আমি প্রথম যেদিন দেখি সেদিন আমার ভিতর কেমন জানি কেপে উঠে। আমি সেদিনই বুঝতে পারি শায়লার সাথে আমার কিছু হতে চলেছে।
একদিন ক্লাসে এসে দেখি শায়লা একা একা বসে আছে। আমিও ক্লাসে ঢুকে চুপচাপ বসে থাকি। সাহস করে শায়লার কাছে যেতে পারছিলাম না। হঠাত করে মাথায় ফন্দি আসল। আমি শায়লার কাছে খুব ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গিয়ে বললাম, আচ্ছা কালকের সীট টা তোমার কাছে আছে। শায়লা বলল, আছে তবে তোমাকে দেওয়া যাবেনা।
আমি বললাম, কেন?
কারণ ওটা আমার। আমার কোন জিনিস আমি কাউকে কখনো দেইনা। প্লিজ রিকোয়েস্ট করনা, রিকোয়েস্ট আমার পছন্দ না।
আমি সেদিনই বুঝতে পারি শায়লা কেমন মেয়ে। আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ এসে আমার জায়গায় বসে পড়ি।
ক্লাস শেষে শায়লা আমার কাছে বলল, চলো।
আমি খুব অবাক হলাম। কি অদ্ভুত ব্যাপার। মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। ভীষণ রাগি মেয়ে শায়লা তাই বেশি প্রশ্ন না করে আমি তার সাথে চলা শুরু করলাম। আজ হয়ত সেই মাহেন্দ্রক্ষন যা অনেক কাল থেকে শুধু কল্পনা করতাম। কিছু মেয়েরা খুব আবাল টাইপের ছেলেদেরকে পছন্দ করে থাকে , কিন্তু কেন করে তা কেউ জানেনা। শায়লার মত চমৎকার একটি মেয়ে আমাকে পছন্দ করার কোন প্রশ্নই উঠেনা। এসব ভাবতে ভাবতে শায়লার সাথে হাটছিলাম।
শায়লা বলল,কি ব্যাপার চুপচাপ কেন? নাকি কোম্পানি হিসেবে আমি ভাল না?
আমি খুব বিব্রতবোধ করলাম। শায়লা কি বলছে এসব?
আমি আর কিছু না বলে অনেক সাহস সঞ্চয় করে শায়লাকে বলে বসলাম, আচ্ছা তোমার প্রিয় রঙ কি?
নীল।
বাহ কি চমতকার। আমার প্রিয় রংটি তারও প্রিয়। আমি তাকে কিছু বললাম না। আবেগগুলো আমি চাপা রাখলাম।
হাটতে হাটতে আমরা কলেজ পেরিয়ে অনেক দূর চলে আসছি। শায়লা আমাকে কেন নিয়ে এসেছে তা জানিনা। সামনে একটা ফুচকার দোকান। হয়ত ফুচকার দোকানে নিয়ে গিয়ে বলবে, খুব খেতে ইচ্ছে করছিল তাই আসলাম, হুটহাট তোমাকে নিয়ে আসায় তুমি কিছু মনে করোনি তো।
আমি এই প্রশ্নের উত্তরও ঠিক করে রেখেছি। কাব্যিক ভাষায় কিছু বলব। কি বলা যায়?
আমি তাকে বলব, কিছু কিছু জিনিস হুটহাট করেই হয়/ যা হয়ত জানেনা কোন হৃদয়।
আমি আর উত্তেজনা ধরে রাখতে পারছিনা। আর দু পা এগিয়ে গেলেই ফুচকার দোকান। আজ তাহলে আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় দিন হতে যাচ্ছে? ইস যদি শায়লা আমাকে ফুচকা খাইয়ে দিতে চায় তবে আমি কি করব? পরে যদি তাকে খিয়ে দেওয়ার জন্য আবদার করে বসে? মেয়েদের মন কখন কি চেয়ে বসে বলা যায়না। এসব ভাবতে ভাবতে হাটছিলাম হঠাত আমার ধ্যান ভাংল শায়লার চিতকারে।
ও হেলো কোন জগতে থাকো তুমি?
আমি খুব লজ্জিত ভংগিতে শায়লার দিকে তাকালাম। শায়লার দিকে তাকাতে আমার চোখ গেল দোকানে দিকে। আমি একটি ফটোকপির দোকানের ভিতর। শায়লা বলল,
তুমি না বলেছিলে, কালকের সীট টা তোমার দরকার। এখান থেকে কপি করে নিয়ে আমার সীট টা এখানে রেখে যেও। আমার বয়ফ্রেন্ড এসে সীট টা নিয়ে যাবে।
আমি আর কিছু বলতে পারিনি, শুধু বুঝতে পেরেছিলাম কোন এক অজানা কারণে আমার চোখ দুটি ভিজে উঠেছিল।

লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান
প্রাণীবিদ্যা বিভাগ, এম সি কলেজ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

মো: শাহিনুর ইসলাম বলেছেন: প্রেম শুরু করার আগে ব্যরথ

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

তিসান বলেছেন: জ্বি। কি আর করা?

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২২

জগতারন বলেছেন:
কচু আর ঘেচু,
এ স্মস্ত বা* পড়তে এখানে আসি না।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

তিসান বলেছেন: বা* না পড়লেও তো হয়। বা* পড়তে আসেন কেন আবাল?

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৩

কালীদাস বলেছেন: লেখার থিমটা দুর্বল, কেবল লাস্টের ছ্যাকার পরে কান্নাটাই আনকমন, যেটা লেখার নেগেটিভ সাইড কারণ ছেলেদের কান্নাকে কেউ ভাল চোখে দেখে না :((
আরও পড়ুন, ছকের বাইরে নতুন এক্সপেরিমেন্ট চালান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.