![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই তুমি আবার ঠাণ্ডা পানি খেয়েছ?
আরে না বাবু। ঠাণ্ডা পানি কই খেলাম?
মিথ্যা বলো কেন? তোমার গলা তো বসে গেছে।
আসলে হয়েছে কি খুব গরম লাগছিল তো তাই।
আমি তোমাকে কত্ত করে বলেছি ঠাণ্ডা পানি না খেতে কিন্তু কে শুনে কার কথা?
প্লিজ বাবু রাগ করেনা। আর খাবনা।
সত্যি তো?
হুম সত্যি।
আচ্ছা বলো তুমি কোথায় আছ?
বাসায়।
বাসায় কি করো?
কিছুনা বসে আছি।
শুনো বিকালে কফি শপে চলে আসবা জরুরি কিছু কথা আছে।
এখন বলো।
আরে না এখন বলা যাবেনা, সরাসরি বলতে হবে।
বাবু বিকালে আমি একটু মামার বাসায় যাব আম্মুকে নিয়ে।
আজ না গেলে হয়না?
না গো মামা খুব অসুস্থ।
ওহ আচ্ছা ওকে। তাহলে কাল দেখা করো।
ওকে।
আচ্ছা তাহলে এখন রাখি। আর শুনো মামাকে নিয়ে টেনশন করোনা। সব ঠিক হয়ে যাবে। আই লাভ ইউ বাবু।
নাজিফা ফোন কেটে দিল। সে চাচ্ছিল নিশাতের ব্যাপারে হারুনকে কিছু বলবে,। নিশাত নাজিফার বান্ধবি। সে খুব বিপদে পড়েছে একটা মেসের দরকার।
নিশাত ফোন করল নাজিফার কাছে।
কিরে মেস পেয়েছিস?
আরে না। তুই হারুনকে বল?
বলতে চাচ্ছিলাম কিন্তু ও তো খুব ব্যস্ত।
আচ্ছা হারুনের নাম্বারটা আমাকে দেয়।
নাজিফা হারুনের নাম্বার দিল।
নিশাত হারুনকে কাছে ফোন করল।
ভাইয়া আমি নিশাত বলছি।
হ্যা নিশাত বলো।
আপনি কোথায়?
বাসায় আছি। কোন দরকার নাকি?
জ্বি ভাইয়া একটু দরকার ছিল।
হ্যা বলো।
ভাইয়া বিকালে একটু দেখা করতে পারবেন?
হ্যা অবশ্যই। কখন এবং কোথায় করতে হবে বল?
জ্বি বিকালে কফি শপে চলে আসবেন।
আচ্ছা।
নিশাত ফোন কেটে নাজিফাকে ফোন দিতে যাবে এমন সময় হারুন আবার ফোন করল।
হ্যা নিশাত শুনো, আমি যে তোমার সাথে দেখা করব এটা নাজিফাকে বলবা না।
কেন ভাইয়া?
আমি বলছি তাই বলবা না।
আচ্ছা।
হারুন নিশাতের সামনে বসে আছে। সে ভেবে নিয়েছে নিশাত তাকে হয়ত অন্য কিছু বলবে। যদি নিশাত হঠাত করে তাকে বলে বসে, ভাইয়া আপনাকে আমি অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। তখন সে কি করবে?
নিশাত তার মেস দরকার এটা হারুনকে বলল। সব কিছু শুনে হারুন বলল, আরে এটা কোন সমস্যা হলো নাকি? আমি তোমাকে আজই মেসে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। বলতে বলতে হারুন নিশাতের হাত চেপে ধরে বলল। নিশাত হাত ছাড়াতে চাইল কিন্তু পারল না। হারুন বলে উঠল নিশাত আমি তোমাকে যা বলব তুমি নাজিফাকে কিছু বলনা।
কি বলতে চান আপনি?
আসলে নিশাত তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে। তোমার অসাধারণ দুটি চোখ, নাক, ঠোট। সত্যি আমি তোমারা প্রেমে পড়ে গেছি।
ছিঃ ভাইয়া। আপনি আমার বান্ধবীর বি এফ। আপনার কাছ থেকে এটা আশা করিনি। মেস আমার লাগবেনা। আমি গেলাম।
নিশাত তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেল।
হারুন জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল। কিছু কিছু পুরুষদের কাছে ভালোবাসা হলো টি শার্টের মতো। যতদিন রং থাকে ততো দিন পরতে ভালো লাগে রঙ নষ্ট হলেই অন্য আরেকটি খুজে। এসব ছেলেদের জন্যই ছেলেরা মেয়েদের বিশ্বাসের গণ্ডিতে থাকতে পারেনা।
লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান
এম সি কলেজ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
তিসান বলেছেন: আপু এটা কি ভালোবাসার কোন প্রতীক?
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
রিকতা মুখাজীর্র্ বলেছেন: বাস্তবটা তুলে ধরেছেন ভাই...............।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
তিসান বলেছেন: চেষ্টা করেছি মাত্র। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩
অবনি মণি বলেছেন: