![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেটে জাগরণের আন্দোলনের প্রথম দিন
থেকেই একটি মেয়েকে বার বার চোখের
সামনে দেখছিলাম কখনো রংতুলি হাতে তুলির
আচরে মানুষকে রাঙাতে ,কখনো আল্পনা আঁকতে আর কখনো শিল্পীদের সাথে গলাছেড়ে গান
গাইতে আবার কখনওবা মোমবাতি প্রজ্জলনে ব্যাস্ত
থাকতে,আবার কখনো আমজনতার
ভীড়ে আলোকচিত্র থেকে অনেক দূরে।বাদ ছিল
না কিছুই ………
আমরা এম সি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সবসময় মূল
মঞ্চের ঠিক সামনে অবস্থান নেওয়ায় প্রায়
প্রতিদিনি চোখের সামনে বার বার তার
মুখখানা আনাগোনা করেছে।মঙগলবার হঠাৎ
করে আবিষ্কার করলাম সেই অচেনা মেয়েটি ঠিক
আমার পাশে বসে অবিরতভাবে সবার সাথে স্লোগান
দিচ্ছে আর বাজনার তালে তালে তার
হাতজোড়া বাজতেছে।
হাস্যোজ্জ্বল সেই মেয়েটির সাথে মুহূর্তেই পরিচয়
হয়ে গেল।নাম সিনথিয়া। জানতে পারলাম
সে শ্রুতি সিলেট এর সাথে সম্পৃক্ত।সে আরও জানাল
সে ব্লু বার্ড স্কুল ও কলেজের ছাত্রী।
সিলেটের অগ্নিকন্যা অনিন্দিতার স্লোগানে মুখরিত
চারপাশ।আমরা সবাই সেই স্লোগানে যোগ দিলাম।ওভাই আর কোন দাবি আছে……।ওভাই কোন সে দাবি।…ফাঁসী ফাঁসী ফাঁসী ফাঁসী ফাঁসী।
ভেবেনিয়েছিলাম হয়তোবা উচ্ছমাধ্যমিক
প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে।
স্লোগান শেষ।আবার কথা হল।কৌতূহল
ধরে না রাখতে পেরে আমি কোন
বর্ষে পড়ছে জানতে চাইলাম।আমাকে অবাক
করে দিয়ে সে যখন জানাল যে সে এ বছর এস
এস সি পরীক্ষা দিচ্ছে।আমি কিছু সময়ের জন্য
বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।
আমি নিজের আবেগকে আর সামলে রাখতে পারি নি যখন সে জানাল পরীক্ষায় তার একাবারেই মন নেই,মন পড়ে আছে এই জনস্রোতের রাস্তায়।আমি আর দেরি না করে তাকে স্যালুট জানালাম।
সত্যি এই সিনথিয়ারা আছে বলেই
আমরা তরুনতুরুণীরা আজ নতুন বাংলাদেশের
স্বপ্ন দেখছি।এই সিনথিয়ারা আছে বলেই আজ
বাংলাদেশ আবার জেগেছে।
স্যালুট সিনথিয়া তোমাকে স্যালুট।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
নিষ্কর্মা বলেছেন:
আমাদের স্যালুট সিনথিয়াকে।