নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ছন্নছাড়া, মুক্ত ও বাস্তববাদী একজন মানুষ...

অতঃপর বাউন্ডুলে

অতঃপর বাউন্ডুলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অতঃপর আওয়ামীলীগ এর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠিঃ

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কিছুক্ষণ আগে শেষ হলো বহুল আলোচিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুব-ই কম। তবে নির্বাচনে ভোটারদের সাড়া না দেওয়ায় এটাকে বিএনপির জনগণ কর্তৃক ভোট প্রত্যাক্ষান বলে উল্লেখ করার দাবী অগ্রহনযোগ্য।

কেননা আতীতের নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখতে পায়; এদেশের নির্বাচনে শতকরা সর্বোচ্চ ৭৫ ভাগ ভোট পড়ে। দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের হিসেব করলে দেখা যায় এর মধ্যে আওয়ামীলীগ ও তার জোটের ভোট ৪০ শতাংশ এবং বিএনপি ও তার জোটের ভোট ৩৫ শতাংশ।

যেহেতু বিএনপি ও তার জোট এই ভোট বর্জন করেছে, সেহেতু এই নির্বাচনে ভোট পড়ার কথা সর্বোচ্চ ৪০শতাংশ। কিন্তু এর মধ্যে আবার জাতীয় পার্টির একটি অংশও ভোট বর্জন করেছে। আমরা যদি ধরি বিগত নির্বাচন-গুলোতে কাস্ট হওয়া ভোটের ১০ শতাংশ জাতীয় পার্টির, তাইলে এখানে তার অর্ধেক অর্থাৎ ৫ শতাংশ ভোট বর্জন করেছে।

তাহলে এই নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হওয়া উচিত।

কিন্তু ভোটারের উপস্থিতি এতই কম ছিল যে; হার এর অর্ধেক হবে কিনা তা নিয়ে আমরা সন্দিহান!

উপস্থিতির হার এত কম হওয়ার পিছনে যে কারণগুলো প্রভাব ফেলেছে, তার মধ্যে; নিরাপত্তাহীনতা, প্রতিপক্ষের হুমকি, কেন্দ্রে কেন্দ্রে হামলা, ভোটের দায়িত্বে থাকা লোকজনকে হত্যা, গত ৫ বছরে সরকারী দলের প্রার্থীদের সংগে কর্মীদের তৈরি দূরত্ব থেকে ক্ষোভ প্রভৃতি রয়েছে। এক্ষেত্রে বিএনপির ভোট প্রত্যাক্ষান এর দাবী নিতান্তই হাস্যকর, কারণ এদেশের জনগণের ৯৫ শতানশই এখনো দলের নাম দেখে ভোট দেয়, কর্ম দেখে নয়!



তাই এই মূহুর্তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতি আমার আহবান; আপনারা কিন্তু ভোটার উপস্থিতির লড়াইয়ে হেরে গেছেন, এখন কোন ধরনের কারচুপির আশ্রয় নিয়ে নৈতিকতার লড়াইয়েও হারিয়েন না এবং গায়ে আপনাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিরোধী ভোট চুরির কলঙ্ক মাখিয়েন না। ঠিক যতগুলো ভোট পরেছে তার উপর-ই ফলাফল ঘোষণা করুন... কেননা, মিডিয়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সারা বিশ্ব দেখেছে যে ভোটারের উপস্থিতি কেমন ছিল। তাই এখন পারসেন্টেজ বাড়ানোর চাইতে সুষ্ঠ ও কারচুপি-বিহীন নির্বাচন হয়েছে এটা দেখানোই যুক্তিসংগত বলে আমি মনে করি। এর ফলে আপনারা দেখাতে পারবেন যে দলীয় সরকারের অধীনেও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। ফলে ভোটার উপস্থিত করতে না পারাটা আপনাদের পরাজয় হলেও মূলত দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্পন্ন করে আপনারাই জয়ী। পক্ষান্তরে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না, তাই তত্বাবধায়ক সরকার চাই; বিএনপির এই দাবী বিশ্বের কাছে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

মনে রাখবেন, গত দুই বছর থেকে আপনাদের দুই দলের লড়াই কিন্তু দলীয় সরকার বনাম তত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে। আর আপনারা কিন্তু ক্ষমতায় আছেন, তাই এখন আপনাদের একমাত্র কাজ; বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়া যে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ইউরো-বাংলা বলেছেন: ৫%-১০% এর ভিতরেই থাকবে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: দেখা যাক কতো হয়!

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

সত্যান্বেষী আমি বলেছেন: হ্যারে ভাই! নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। আমার এক ভাই নিজে ৫০-৬০ টা ভোট দিছে।আরেকজন নিজেও জানে না সে কইটা দিছে।
আর আল্লাহই জানে, আমার ভোটটা যে কে দিছে।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: আশা করি লিখার অর্থ বুঝে মন্তব্য করবেন।

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: যেমন হওয়ার তেমনি হয়েছে, এখন সময় সঠিক ফলাফল জাতির সামনে প্রকাশ করার । ৬শত কুটি টাকা খরচ করে জাতি কি পেয়েছে ?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: আমিও দেখার অপেক্ষায় আছি।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৩

nurul amin বলেছেন: আমার ভোট আমার ছোট ভাইকে দিয়ে দেওয়াইছি। আমি চাপে পরে দিছি ৭টি

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: আপনি তো নিজের ভোট অন্যকে দিয়ে দেওয়াইছেন, এইটা তো কারচুপির চেয়েও বড় অন্যায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.