![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকালের ম্যাচ চলাকালীন সময়ে আমরা যারা মাঠের বাইরে থেকে খেলা দেখেছি, অর্থাৎ যারা টেলিভিশনে খেলা দেখেছি; তাদের সৌভাগ্য হয়েছে ১৬ কোটি বাঙালির ভেতর লুকিয়ে থাকা বেজন্মা বাঙালি এবং প্রকৃত বাঙালি এই দুই শ্রেণীকেই দেখার।
এই সময় আমরা টেলিভিশনের সামনে বসে থাকা প্রকৃ্ত বাঙালিদের পাশাপাশি গুটিকয়েক নামধারী বেজন্মা বাঙালি দেখেছি; যারা আফ্রিদির ৪ মারা দেখে তালি দিচ্ছিল, ছয় মারা দেখে চিতকার করছিল, সবশেষে মাতৃভূমির পরাজয়ে ব্যথীত না হয়ে পাকিস্তানের পক্ষে বিজয়-উল্লাস করছিল।
আবার টিভি ক্যামেরায় বেশ কয়েকটি দৃশ্য আমাদের চোখে পড়ছে, যার সাথে মিশে ছিল ১৬ কোটি বাঙালির (ঐ সকল বেজন্মা ছাড়া) আবেগ ও অনুভূতি। এর মধ্যে ছিল;
আফ্রিদির ক্যাচ মিসের সাথে সাথেই ৩ জন মেয়ে কেঁদে দেয়, তখনকার এই কান্না শুধু তাদের কান্না-ই ছিল না; এটা ছিল প্রতিটি বাঙালির আবেগের প্রতিক।
ম্যাচের শেষ দিকে এক পঞ্চাশোর্ধ আন্টি জয়ের জন্য প্রার্থনায় মগ্ন ছিল, আল্লাহর নিকট তুলে ধরা ঐ দুই হাতের সাথে মিশে ছিল আরও বত্রিশ কোটি হাত।
একতারা হাতে সত্তর-উর্ধো চাচার অনুপ্রেরনার সুর। যার সাথে মিলে ছিল প্রতিটি বাঙালির অনুপ্রেরনার সুর।
এই কান্না, এই প্রার্থনা, এই অনুপ্রেরনা, শুধু একদিনের জন্য নয়; বরং সকল বাঙালির (বেজন্মাগুলো ব্যতীত) পক্ষ থেকে সারাজীবন টাইগারদের সাথে থাকবে।
আর ঐ সকল বেজন্মাদের বলিঃ ১৭৫৭ সালের পর আরও ২৫৭ বছর কেটে গেল, কিন্তু তোরা মীর-জাফর এর বংশধর-ই থেকে গেলি; বাঙালি হতে পারলি না…! একবারের জন্য হলেও তোরা বাঙালি হ… কারণ আমরা জানি একবার মনে-প্রাণে বাঙালি হয়ে গেলে আর কখনো বাংলার মায়া-মমতাকে উপেক্ষা করতে পারবি না। আর যদি বাঙালি হতে না পারিস তবে তোরা তোদের নাড়ির টানে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানে চলে যা।
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
শাওন দি গ্রেট বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন । ওদের পাকিস্তান ভিসা দিয়ে দেয়া উচিত ।
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
সেদিন রাতে ওদের কর্মকান্ড দেখে এতটাই খারাপ লেগেছিল যে আমার ক্ষমতা থাকলে তখন-ই তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দিতাম।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
অহন_৮০ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
আরিফ রুবেল বলেছেন: বাংলাদেশে পাকিস্তানের সমর্থকদের একটা বড় অংশ আটকে পড়া পাকিস্তানী বা বিহারী, এছারাও আছে শরণার্থী হিসেবে দেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রতিনিধি জামায়াতে ইসলাম এবং তার সহযোগী বিএনপিও রাজনৈতিক কারনে ভারত বিরোধীতা ও ধর্মের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলায় প্রকাশ্যে এমন করার সাহস পায় না। এর বাইরে পাকিস্তানের নাগরিকরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং এশিয়া কাপ উপলক্ষ্যে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলংকার নাগরিকরাও এসেছেন বাংলাদেশে।
প্রথম গ্রুপ পাকিস্তানে যেতে চায় তবে এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বাংলাদেশকে আপন করে নিয়েছে এবং বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করে। রোহিঙ্গারা ধর্মের কারনে দেশ থেকে বিতারিত একটি জাতিসত্ত্বা এবং পাকিস্তান তাদের কাছে অপেক্ষাকৃত অধিক ধার্মিক রাষ্ট্র। জামায়াতিরা বাইরে প্রকাশ না করলেও ভেতরে ভেতরে উল্লসিত হয় কারণ তারা এখনও পাকিস্তান দর্শনে বিশ্বাস করে এবং দুই পাকিস্তান এক করার স্বপ্ন দেখে। বিএনপির রাজনীতি ভারত বিদ্বেষী রাজনীতি তাই থেকে থেকে তার মাঝে পাকিস্তানপ্রেম ধরা পরে।
এখন এই বিশাল সংখ্যক মানুষকে তো আপনি চাইলেই পাকিস্তান পাঠাতে পারেন না। তবে ধারাবাহিকভাবে এদের এবং এদের পরের প্রজন্মকে সাংস্কৃতিকভাবে সংস্কারের চেষ্টা চালাতে পারেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি রাজাকারের সমর্থক হতে পারে রাজাকারের বাচ্চা কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী হতে পারবে না ? চেষ্টা চালিয়ে গেলে সবই সম্ভব।
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: ভালো বলেছেন। তবে আমরা তো বিহারী বা রোহিঙ্গাদের জোর করে চলে যেতে বলছিনা। তারা, বিশেষ করে বিহারীরা যেহেতু আমাদের দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে এবং আমাদের দেশ থেকে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে সেহেতু এই দেশের প্রতি নূন্যতম আনুগত্য তো আমরা তাদের নিকট থেকে আশা করতে পারি।
তাছাড়া আমি তাদের নিয়ে লিখিনি। আমি লিখেছি ঐ সকল মুখোশধারী মোনাফেকদের বিরুদ্ধে যারা কিনা পৈতৃক ও জন্মসূত্রে বাংলাদেশী, কিন্তু মানসিক ও আন্তরিক সূত্রে পাকিস্তানী। এরা বসবাস সহ সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে বাংলাদেশের, আর গোলামী করে পাকিস্তানের। যার বহিঃপ্রকাশ সেদিনের খেলায় ঘটিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: ভালো বলেছেন। +++