নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ছন্নছাড়া, মুক্ত ও বাস্তববাদী একজন মানুষ...

অতঃপর বাউন্ডুলে

অতঃপর বাউন্ডুলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুপবদল…, অতঃপর আমাদের গালে হংকং এর চপেটাঘাত!!!

২২ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

১ যুগ আগে আমরা টেস্ট স্টাটাস পেয়েছি। এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের উন্নতিটা ধীরে ধীরে হয়েছে! এই টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার সময় থেকেই আমাদেরকে নানা ধরনের কটুক্তি শুনতে হয়েছে! যার ধারাবাহিকতায় আমরা শুনেছিঃ



* আই সি সি’র ততকালীন সভাপতি ডালমিয়া বাংলাদেশকে টেস্ট স্ট্যাটাস দেওয়ায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। এশিয়ার বাইরের দেশগুলো এর তীব্র বিরোধীতা করে।



কিন্তু টাইগাররা প্রথম ম্যাচেই জানিয়ে দেয় যে, তাদেরকে টেস্ট পরিবারের সদস্য করা ভূল হয়নি।



*পরে পাকিস্তানের ইউনুস খান বলেছিলেন; "বাংলাদেশ ক্রিকেটের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নিয়ে তা আফগানিস্তানকে দেওয়া উচিত"।



তার কয়েকদিন পরেই ঐ পাকিস্তানের বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়া আড়াই দিনে ম্যাচ শেষ করেছিল। দুই ইনিংসে পাকিস্তানের বিশাল স্কোরকার্ডের যোগফল ছিল; ৫৯ ও ৫৩



* বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড হুকসের মন্তব্য ছিল; অস্ট্রেলিয়ার উচিত টেস্টে একদিনেই বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়া।



২০০৩ সালের সেই সফরে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের মাটিতেই দুর্দান্ত খেলে পাল্টা জবাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। এর পর তো কার্ডিফে সেই অস্ট্রেলিয়া বধের মহাকাব্য।



*জিওফ বয়কট বলেছিলেন; বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেওয়া উচিত।



রার্ঙ্কিংয়ের তখনকার এক নম্বর দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরলি সামারের কঠিন কন্ডিশনে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলল। তামিমের ব্যাক-টু- ব্যাক সেঞ্চুরিতে আমরা ওয়ানডেতে হারালাম ইংল্যান্ডকে।



*শেবাগ বলেছিলেন; বাংলাদেশ অর্ডিনারি দল। ভারতের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।



চট্টগ্রাম টেস্টে ১৯ উইকেট তুলে নিয়ে তাৎক্ষণিক মৃদু জবাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। আসল জবাব এশিয়া কাপে, টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরির আনন্দকে বিস্বাদে পরিণত করে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়।



এভাবেই আমরা সর্বদাই তাদের কটুক্তির জবাব দিয়েছি। পাশাপাশি ছোট দলগুলোকে সমীহ না করে, তাদের নিয়ে রসিকতা ও কটুক্তির করায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিবাদের জড় তুলেছি!



মূলকথাঃ বড় দলগুলোর নিকট থেকে সমীহ আশা করা আমরা কি করলাম…? টি২০ এর বাছাই পর্বে প্রথম ২ ম্যাচ জিতে আমরাও প্রত্যেকেই শেবাগ/ইউনুস হয়ে গেলাম! যেই দলে যোগ দিল স্বয়ং আমাদের অধিনায়কও! হংকং এর বিপক্ষের ম্যাচকে একটা ছোট ম্যাচ বলে আখ্যায়িত করলাম।আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলাম এই ম্যাচ নিয়ে মাথা ঘামিয়ে অযথা সময় নষ্ট করার দরকার নেই! ভাবখানা এমন দেখাইলাম; যেন হংকং ক্রিকেট খেলতেই জানে না, আমাদের ৪/৫ খেললেই আমরা জিতে যাব!



হংকং এর জবাবটাও ছিল কিন্তু শেবাগ/ইউনুসদের কে দেয়া আমাদের জবাবের মত! আমাদের ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগকেই অহংকারের আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে আমাদের দুই গালেই জোড়া চপেটাঘাত করে শেষ হাসি হাসল।



**তাই আসুন অন্যদের নিকট থেকে সমীহ আশা করার আগেই নিজেরাই ছোটদেরকে সমীহ করতে শিখি। নইলে আমরা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তানকে যে চড়গুলো মেরেছি; সেগুলোই আবার আরব-আমিরাত, নেদারল্যান্ড, নেপালের হাত দিয়ে বুমেরাং হয়ে আমাদের গালে ফিরে আসবে!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

নিরীহ বালক বলেছেন: অহঙ্কারই পতনের মূল.... এমনটা করা কখনই উচিত না । খেলার ভবিষ্যৎ কি হবে তা সবসময় মাঠে গিয়াই ঠিক হয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.