![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১৩ই সেপ্টেম্বর প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের স্মরনে ও তাদের জনগনের প্রতি সহানুভুতি জানিয়ে প্রোফাইল পিকচারের জন্য একটি আপস তৈরি করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ, যেখানে প্রোফাইলের পিকচারের উপর ফ্রান্সের পতাকার জলছাপ পড়ে। এই বিষয়টি নিয়ে চরম বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটির ব্যবহারকারীরা।
.
একজন সভ্য নাগরিক হিসেবে আমি আর দশটা সন্ত্রাসী হামলার মতো বর্বরোচিত এই হামলার প্রতিও তীব্র নিন্দা জানায় এবং ফ্রান্সের জনগনের প্রতি জানায় গভীর সহানুভুতি।
তবে আমি এই অ্যাপসটি ব্যবহার না করাদের দলে এবং শুধু দলেই নয় বরং ব্যক্তিগতভাবে এটা ব্যবহারের চরম বিরোধী কয়েকটি কারনেঃ
.
•প্রথমত এই অ্যাপসটিতে একটি স্বাধীন দেশের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। আমি একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে কেন আমার প্রোফাইলে অন্য একটি দেশের পতাকা ওড়াবো? এটা কি আমার দেশের পতাকার অবমাননা নয়!
.
•এখানে ফ্রান্সের নিরীহ মানুষের উপর হামলার প্রতিবাদে ফ্রান্সের পতাকা ওড়ানো হয়েছে; কিন্তু মিথ্যা অজুহাত দিয়ে গত একযুগ ধরে ইরাক ও আফগানিস্তানে লাখ-লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে ইঙ্গ-মার্কিন জোট, হত্যাকান্ডগুলোর প্রতিবাদে তাদের পতাকা দিয়ে কয়টা অ্যাপস তৈরি করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ?
.
•ফিলিস্তিনে প্রতিদিন শতশত নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে ইহুদি নামক ইসরাইলী উগ্রপন্থীরা, এই হত্যাকান্ডগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একদিনও কি আমরা প্রোফাইল পিকচারে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছি?
.
•নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য চালানো হামলাগুলোর প্রতিবাদে প্রত্যেকটির জন্য যদি একদিন করে হলেও প্রোফাইল পিকচারে পতাকা ঝুলিয়ে সমবেদনা জানাতে হতো তাহলে প্রোফাইল পিকচারে নিজেদের ছবি ঝুলানোর কোন সুযোগ কোনদিন-ই আমাদের হতো না, কারণ সারাটাকাল সেখানে ফিলিস্তিনের পতাকা শোভা পেত!
.
>সহানুভুতি জানানোর অনেক ভাষা আছে, কিন্তু নিজেদেরকে ছোট করে এবং বড় বড় অন্যায়গুলো এড়িয়ে সুন্দর মুখের চাটুকারীতা করে তাদের সাথে হওয়া ছোট অন্যায়গুলোর প্রতি সহানুভুতি দেখানোর কোন যৌক্তিকতা নেই।
.
#অঃটঃ আইএসের চালানো এই সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে পরেরদিন-ই সিরিয়ায় হামলা চালায় ফ্রান্স। সেখানে তারা একটি হাসপাতালকে লক্ষ করে একের পর এক বোমাবর্ষণ করে। তারপরও মানবতাবাদীদের প্রোঃপিক পরিবর্তনের ধুমের রথ থামছেই না।
©somewhere in net ltd.