নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ছন্নছাড়া, মুক্ত ও বাস্তববাদী একজন মানুষ...

অতঃপর বাউন্ডুলে

অতঃপর বাউন্ডুলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদ রফিক স্মরণে

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২১

যে সকল ভাষা শহীদদের মহান আত্মত্যাগের ফলশ্রুতিতেই আমাদের মাতৃভাষা "বাংলা" ১৯৫৬ সালে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে শাসনতান্ত্রিক স্বীকৃতি লাভ করেছিল তাদের মধ্যে জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রফিকউদ্দিন আহমদ অন্যতম।

বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গনে পুলিশ গুলি চালালে সেই গুলি রফিকউদ্দিনের মাথায় লাগে এবং মাথার খুলি উড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে তার লাশ পড়ে ছিল। ছয়/ সাত জন ধরাধরি করে তার লাশ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন। তাদের মাঝে ডাঃ মশাররফুর রহমান খান পুলিশের গুলিতে ছিটকে পড়া রফিকউদ্দিনের মগজ হাতে করে নিয়ে যান। রাত তিনটা নাগাদ সামরিক বাহিনীর প্রহরায় ঢাকার আজিমপুর গোরস্তানে শহীদ রফিকের লাশ দাফন করা হয়।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ ১৯২৬ সালের এইদিনে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জন্মগ্রহণ করেন।
জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি জানায় বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা শহীদ রফিকের প্রতি।। আর আপনাকেও ধন্যবাদ তাকে স্মরন করার জন্য।।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

আশরাফুল এষ বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা শহীদ রফিকের প্রতি

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
একটি ভাল বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ ।


বিনম্র শ্রদ্ধা রইল শহীদ ভাষা সৈনিক রফিকউদ্দিন এর প্রতি ।

রফিকউদ্দিন সহ অন্যান্য সকল শহীদ ভাষা সৈনিক যথা সালাম, জব্বার, ও শফিউরের মহান আত্মত্যাগের ফলেই বাংলা ভাষা ১৯৫৬ সালে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে শাসনতান্ত্রিক স্বীকৃতি লাভ করে । আমরা পাই মায়ের ভাষায় কথা বলার যথাযথ মর্যাদার অধিকার এই সুযোগে সকলের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা । এই ভাষা শহীদদের স্মৃতি পরবর্তীকালে বাঙালি চেতনা জাগ্রত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। ভাষা আন্দোলন হতে সৃষ্ট চেতনার ভিত্তিতেই উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে সসস্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা লাভের পথ পরিক্রমা সহজতর করে । বাংলাদেশ সরকার শহীদ রফিকউদ্দিনকে ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখার জন্য ২০০০ সালে মরনোত্তর একুশে পদক প্রদান করেন।

ভাষার জন্য তাঁদের আত্ম ত্যাগের স্বীকৃতি আজ বিশ্বজুরে সমাদৃত , তাইতো একুশে ফেব্রুয়ারী আজ বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসাবে হচ্ছে প্রতিপালিত । কামনা করি আল্লাহ শহীদ রফিকসহ সকল ভাষা শহীদদের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.