নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যোদ্ধা, সকল সামাজিক অপকর্মের বিরোদ্ধে

অতৃপ্‌ত আত্‌মা

আমি স্বাধীন, স্বার্থহীন, নির্বোধ ব্যক্তি, অথচ উচ্চ মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের ধারক, যে কিনা মানুষের চিন্তা-ধারাকে, অপ্রিয় সত্য কথার মাধ্যমে, মুহূর্তে ভেঙ্গেচুরে, তছনছ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে

অতৃপ্‌ত আত্‌মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মানুষ কেন এবং কখন ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়??

০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

আমরা যারা ধর্মে বিশ্বাসী, তারা এটা অবশ্যই মানতে বাধ্য হই যে, আমাদেরকে আল্লাহ,/ ঈশ্বর / ভগবান নামক এক মহাশক্তিধর/সর্বশক্তিমান কেউ সৃষ্টি করেছেন। আপনি এটা অব্যশই বিশ্বাস করছেন, যদি আপনি নাস্তিক না হয়ে থাকেন।

কিন্তু এই বিশ্বাসে ফাঁটল ধরে যখন, মানুষের জীবনের চাওয়া- পাওয়া, প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তি, সুস্হতা ও সুখের খাতাটি একদম শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। কেউ প্রকাশ না করলেও, মনে মনে, অপ্রকাশিতভাবেই অনেকে নিজেকে আল্লাহ/ ঈশ্বরের/ভগবানের প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোষণা করতে কোন প্রকার দ্বিধাবোধ করেন না। যারা চরম ধৈর্য্যশীল, তাদের কথা কোন উদাহরণ হিসেবে টানার পক্ষপাতি আমি না।

আমাদের আশেপাশের অনেকেই আছেন, যারা জন্মের পর থেকেই নিজের বিনা দোষেই এমন এক পরিবেশ, পরিস্থিতি বা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যাদের প্রথম নিঃশ্বাস ফেলা থেকে শুরু করে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ফেলা পর্যন্ত সামান্য উদরপূর্তির টাকা জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়। শত চেষ্টা করেও তারা এই অবস্থার উন্নতি করতে পারে না, তখন সষ্টিকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বকা দিতে তারা নিজের মনের কষ্ট অল্প হলেও লাঘব করার চেষ্টা করে। আর তখনই নিজেদেরকে ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতেও কুণ্ঠিত হয় না।

আবার অনেক বাচ্চা জন্ম লগ্ন থেকেই স্পেশাল চাইল্ড( আমি প্রতিবন্ধী বলতে, লজ্জাবোধ করছি), যাদের বেশিরভাগই ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে। অনেকের হাত নেই,,পা নেই অথবা হাত -পা দুটোই নেই,, অনেককে দেখতে বিকৃতও মনে হয়, অনেকের তো চোখেই দেখার শক্তি নেই। পৃথিবীতে এসেছে অথচ সেটা দেখা থেকে তাকে বিনা কারণে, বিনা দোষে, বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই মানুষগুলো জীবনের প্রকৃত স্বাদ বুঝতে পারে না। সব সময়ই এক হীনমন্যতায় ভোগে, তারাও স্বপ্ন দেখে যদি তারা স্বাভাবিক হতো, চলাফেরা করতে পারতো,নাঁচতে পারতো, গাইতে পারতো, সুন্দর পৃথিবীটা এক পলক দেখতে পারতো।

তারা যতই ধৈর্য্যশীল হোক না কেন, কোন না কোন সময়, বিশেষ কোন মুহূর্তে, তারা যখন দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, জীবনের সকল অতৃপ্ত বাসনা বা আক্ষেপ, সেটা যখন শত চেষ্টা করেও অপূর্ণ থেকে যায়,, সেই সময়ে তারা নিজেদেরকে ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা অস্বাভাবিক কিছু না, এবং তারা যথা সম্ভব এটা করবেই।

আবার অনেকে আছে যারা জন্মের পর থেকেই মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত।, কেউ আবার অতি অল্প বয়সে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক সেটা প্রধান বিষয় না। একটা সুস্থ মানুষকে তার পাশে দিয়ে যেতে দেখলেই, সে আফসোস করে। সে চায় তার আর কোন কিছু না থাকুক শুধু শারীরিক সুস্থতটা যেন সে পায়। এসব বলে সে অনেক কাকুতি মিনতি করলেও যখন সে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে কোন প্রকার সাঁড়া পায় না, নিজের অবস্থার কোন উন্নতি দেখতে পায় না, তখনও সে ঈশ্বরকে বকা দিয়ে বসে। সমস্ত ঈমান চলে যাচ্ছে সেই ভয়টুকু সে তখন করে না। নিজে নিজে, অপ্রকাশিত ঘৃণার তীর ছুড়ে দেয় সৃষ্টিকর্তার প্রতি। আবার অনেকে একদম আনুগত্য প্রকাশ করে,। তবে, এখানে আমি তাদের কথা বলতে চাচ্ছি না।

আবার অনেক শিশু জন্মগ্রহণ করে, সেক্সুয়াল ডিসএবিলিটি নিয়ে, যাদেরকে আমরা ট্রান্স জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গধারী মানুষ বলে থাকি। এদেরকে সমাজ প্রতিনিয়তই অভিশপ্ত বলে ধিক্কার দিচ্ছেই । যদিও তাদের এই অবস্থা বা অসমর্থের জন্য, তারা বা তাদের পরিবার কোনভাবেই হয়তো দায়ী নয়। সোজাসুজি বলতে গেলে যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনিই একমাত্র দায়ী৷ তিনি সব কিছু তৈরী করে দিতে পারলে, জাস্ট ঐ জায়গাটুকুতে কি এমন ক্লান্তি অনুভব করছিলেন যে, ঠিকঠাক মতো তৈরী করে দেন নি?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.