নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যোদ্ধা, সকল সামাজিক অপকর্মের বিরোদ্ধে

অতৃপ্‌ত আত্‌মা

আমি স্বাধীন, স্বার্থহীন, নির্বোধ ব্যক্তি, অথচ উচ্চ মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের ধারক, যে কিনা মানুষের চিন্তা-ধারাকে, অপ্রিয় সত্য কথার মাধ্যমে, মুহূর্তে ভেঙ্গেচুরে, তছনছ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে

অতৃপ্‌ত আত্‌মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের স্বার্থকতার প্রধান অংশই যদি বাচ্চা উৎপাদন হয়, তাহলে, প্রজননের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় বা কার্যকলাপকে কেন এত খারাপ চোখে দেখা হয়?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৪


জীবনের স্বার্থকতার প্রধান অংশই যদি বাচ্চা উৎপাদন হয়,
তাহলে, প্রজননের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় বা কার্যকলাপকে কেন এত খারাপ চোখে দেখা হয়?

আর, সৃষ্টির প্রত্যেকটি প্রাণীই অবাধ মিলন করতে পারলেও মানুষের ক্ষেত্রে কেন এত রেস্ট্রিকশন?

প্রথম অংশটির সাথে অনেকের লজিক মিল থাকলেও, বেশিরভাগ মানুষই নিচের আংশটি নিয়ে আপত্তি করবেন। কেউ কেউ আবার আমার বিবেক, বুদ্ধি, ও মানসিকতার উচ্চ/নিম্ন পর্যায় নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।

কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যার মাধ্যমে বা যে সিস্টেমের মধ্য দিয়ে অথবা যে প্রক্রিয়ায় আপনি, আমি বা আমরা সবাই পৃথিবীতে আবির্ভুত হলাম, সেটাকে আমরা পুজো না করে,কেন ঘৃণার চোখে দেখছি ?

আমাদের বাঙ্গালী সমাজে, সামাজিকভাবে প্রচলিত ও স্বীকৃত বিভিন্ন ধর্ম আছে। সেসব বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে, নারী-পুরুষ উভয়কেই প্রত্যেকের শরীরের উপরে অধিকার প্রদান করা হয়। সবাই জানে আজ কি ঘটবে, অথবা কি হতে যাচ্ছে।(সরাসরিই বললাম, কেননা এসব ট্যাবু ভাঙ্গা উচিত)

কিন্তু ঐ কাগজে কলমে লেখার কয়েকটি অক্ষরের শব্দ আর কতিপয় মানুষের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমেই যদি কোন নারীর উপর পুরুষের, আর পুরুষের উপর কোন নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়, লোক সমাগম করে, অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, কয়েকঘণ্টা পর ভূমিকম্পকেও অনুমান করা যায়, তাহলে এই বিষয়টা গোপন করার দরকারটাই বা কি? আর সেটা কতটুকু গোপন থাকল সেটাও কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে?

যাহোক, তারপর বিয়ে করলেন এখানেই এটার সমাপ্তি।

দ্বিতীয় অংশটি যদি চিন্তা করি, আপনি যদি নিজেকে ন্যাচারাল ভাবেন, তাহলে অবাধ মিলনে আপনি সাপোর্ট করবেন, কাপড় পরিধানকে এভয়েড করবেন। কেননা, প্রত্যেকটি প্রাণীই যদি তার জন্মগত জিনিসপত্র যা সঙ্গে করে এনেছে, সেটা নিয়েই শেষ জীবন পর্যন্ত কাটাতে পারে, তবে মানুষ কেন পারবে না?

কাপড় যদি মানুষের নিতান্তই প্রয়োজনীয় জিনিস হতো তাহলে, সেটা জন্মগতভাবেই সঙ্গে নিয়ে আসতো। যেহেতু নিয়ে আসেনি, তাই সেটার দরকারও নেই মে বি। ( লজিক্যালি চিন্তা করলে এরকম ভাবনার উদয় হতেই পারে, তাই না?)

অথচ একটা জিনিস যেটা জন্মগতভাবে নিজের ভিতরে ইন্সটল করে দিয়েছে, সেটাকে বিভিন্ন ভাবে ধামাচাপা দিয়ে, সেটার স্বাভাবিকতাকে বিকৃত করা হচ্ছে। কিন্তু, সেটার উপযুক্ত ব্যবহার করাটাই কি স্বাভাবিক না?

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া আমার উদ্দেশ্য না, জাস্ট চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়েছি
ছবিটাঃ কালেক্টেড

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

সাসুম বলেছেন: প্রথমতঃ প্রজনন ছাড়াও হোমো সেপিয়েন্স একই মাধ্যমে প্লেজার পেয়ে থাকে! সমস্যা এসে দাড়ায় এই যায়গায়।

আর যুগ যুগ ধরে হাজার বছর ধরে, বিয়ে ছাড়াই চলে আসছিল প্লেজার আর প্রজনন। যখন এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট এর পর মানুষ জমির মালিক হল- তখন সম্পদ এর অধিকার ও মালিকানার জন্য দরকার ছিল সন্তান ও পরিবার এবং এভাবেই মেরিজ সিস্টেম চালু হোল।

এদিকে, ধর্ম ও সভ্যতা এসে মানুষ কে আরো বন্দী করল বিভিন্ন ধারায় । মানুষ কাপড় পড়তে শিখলো এবং প্লেজার, প্রজনন ও যৌণতা তে ইন্টারনাল জিনিষ হিসেবে পারসোনালি দেখা শুরু করল।

ফলে, যা হল- মানুষের নরমাল প্রবৃত্তি হারিয়ে গেল এবং মানুষ নিউ নরমাল সিস্টেমে অভ্যস্ত হয়ে গেল।

যদিও, যৌনতা আর প্লেজার নিয়ে মানুষের চিন্তা চেঞ্জ হচ্ছে উন্নত বিশ্বে এবং আস্তে আস্তে মেরিজ সিস্টেম থেকে মানুষ সরে আসবে। কারন- প্রজনন এর জন্য মেরিজ এর দরকার নাই।

আপনার সারভাইভাল এর জন্য বায়োলজিকালি যে জিনিষ এর দরকার নাই সেটা এম্নিতেই কালের গহবরে হারিয়ে যাবে আস্তে আস্তে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫১

অতৃপ্‌ত আত্‌মা বলেছেন: অসাধারণ বলেছেন। এমনটাই হবে হয়তো কোন একদিন.…

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: যৌনতা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, একে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে উপভোগের বস্তু বানিয়ে এর সাথে বিভিন্ন হাস্যকর শর্ত জুড়ে দিয়ে একে আচ্ছুত বানিয়ে রেখেছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

অতৃপ্‌ত আত্‌মা বলেছেন: একদম। সব ই জানা কথা অথচ সেটাকে খারাপ চোঁখে দেখে। কি আশ্চার্যের বিষয়!

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কি মনে হয় আপনি এই ট্যাবু ভাংতে পারবেন- বা ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৩

অতৃপ্‌ত আত্‌মা বলেছেন: আমরা সবাই বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকলে যেকোন ট্যাবু ভাঙ্গা যাবে....

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক উন্নত দেশে এই ধরণের ক্ষুদ্র সমাজ আছে। তারা পাড়ছে। অসম্ভব কিছু না। তবে আপনি যদি পছন্দ করেন আপনি ঐ মুখী হতে পারেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৪

অতৃপ্‌ত আত্‌মা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: মানসিকতার পরিবর্তনের সাথে সাথে একদিন সবকিছুর পরিবর্তন হয়ে যাবে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৫

অতৃপ্‌ত আত্‌মা বলেছেন: জ্বি, এবং হওয়া উচিত

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৭

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: বন্য পশুদের সমাজে অনেক কিছুই ঘটে। যেমন, এক পুরুষ অন্য পুরুষকে হত্যা করে সেই পুরুষের সংগীনিগুলোকে নিজের করে। অন্য পুরুষের সন্তানদের হত্যা করে। এমনকি নিজের সন্তানদেরও! জোরপূবক মিলন ঘটানো হয়। সোজা কথা, "জোর যার মুলুক তার" মনে করে আরও অনেক কিছুই করে যেসব বলে শেষ করা যাবে না। এমনকি গুহামানবেরাও সেসব নাকি করতো।

আপনি যেই সমাজের সম্ভাবনার কথা বলছেন সেখানে দারুন সব এডভেন্চার হতে পারে! যেমন, পাশের বাড়ীর মিলি ভাবির সাথে "ইয়ে" করতে ইচ্ছা করলে করা যাবে ওনার হাসব্যান্ড জানলেও। লোকটার উচিৎ হবে না "না" বলতে কারণ এটা natural। তেমনি, পাড়ার যুবতী লোপাকে দেখে হাই হয়ে গেলে জোর করে তার সাথে "ইয়ে" করা যাবে এবং তার বাধা দেয়া উচিত হবে না কারণ এটা natural।

আসলেই কি আমরা তা চাই? কেউ কি চাইবে তার মা, খালাকে কোন পুরুষ দাবড়ে বেড়াক?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.