![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবা ভরসা ও ছায়ার নাম। পরম নির্ভরতার নাম। সন্তানের জন্য কী-ই না করেন তিনি!
আজ বিশ্ব বাবা দিবস। ভাষাভেদে শব্দ আর স্থানভেদে বদলায় উচ্চারণ, তবে বদলায় না রক্তের টান। দেশ থেকে দেশে কিংবা সময় থেকে সময়ে একই মমতায় চিরন্তন পিতা-সন্তানের বন্ধন।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে দিবসটি পালন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে একেকটি দেশ একেক দিন বাবা দিবস পালন করলেও বাংলাদেশসহ এশিয়া ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ জুন মাসের তৃতীয় রোববার পালন করে দিবসটি।
সন্তান সামনে এলে সব ক্লান্তি যেন ভুলে যান বাবা। সন্তানের চাওয়াই যেন তাঁর চাওয়া হয়ে ওঠে।
বাবাকেই আদর্শ মনে করে সন্তানরা। বাবা সন্তানকে শেখান, কীভাবে মাথা উঁচু করে পৃথিবীতে টিকে থাকতে হয়।
বাবা মানে একটু শাসন অনেক ভালোবাসা। বাবা মানে একটু কঠিন, মাথার উপর ছায়া। বাবা মানে সকল চাওয়া একটাও মিস যায় না। বাবা মানে কাছের বন্ধু...
যদিও আগের দিনে বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক ছিলো খানিকটা দূরত্ব, খানিকটা সংকোচ ও খানিকটা ভীতি মেশানো শ্রদ্ধা। তবে সেই অবস্থা এখন আর নেই বললেই চলে। এখনকার সময়ে অনেক বাবাই সন্তানদের বন্ধুর মতো, একদম কাছের মানুষ। স্নেহশীল। কর্তব্যপরায়ণ। সন্তানদের সব কাজ ও অকাজের প্রশ্রয়দাতা।
বাবা মানেই যেন বটবৃক্ষ! বাবা মানে যেন মসৃণ চলার পথ।
বাবা আর সন্তানের সম্পর্ককে কোনো দিবস দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। তার পরও একটি দিনে বিশেষভাবে যদি বাবাকে সম্মান, ভালোবাসা বা কৃতজ্ঞতা জানানো হয়, ক্ষতি কী তাতে?
দেশ বা ভাষা ভেদে বাবা ডাক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন, জার্মানিতে যিনি ‘ফ্যাট্যা’, বাংলায় তিনি ‘বাবা’। ইংরেজ ‘ফাদার বা ড্যাড’ ইন্ডিয়ায়‘পিতাজি’। ডাক যাই হোক না কেনো। রক্তের সম্পর্ক বদলায় না। বাদলায় এই ডাকের আবেগও। এই ডাকের মধ্যেই জরিয়ে থাকে পৃথিবীর সকল আবেগ ও ভালোবাসা।
আসুন এই 'বাবা দিবসে' আমারা সকলেই বাবাকে খুব ছোট হলেও তার পছন্দের একটি উপহার দিয়ে বলি, ‘বাবা, খুব ভালোবাসি তোমাকে, যে ভাবে পাশে আছো সেভাবেই থেকো চিরদিন’।
পৃথিবীর সব বাবা ভালো থাকুন—বাবা দিবসে এমনই প্রার্থনা সবার।
©somewhere in net ltd.