নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে নিজেকে আঠেরো শতাব্দীর অঘোষিত সাফল্যহীন কবি মনে হয়। যার কিছু লেখা নামহীন বাজারি পত্রিকায় ছাপা হয়ে ছিল কিন্তু কেউ তা পড়ে দেখিনি।

পবিত্র হোসাইন

আমি মানুষ, রোবট নই।

পবিত্র হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবু’র আম্মু - (২য় ও শেষ পর্ব)

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

বাবু’র আম্মু (১ম পর্ব) কেবিনের দরজায় দাড়িয়ে দেখলাম রনি
বেহুশ হয়ে পরে আছে হাসপাতালের বিছানায় ,পাশে দুজন পুলিশ দাড়ানো !
ব্যাপারটা কেমন যেন লাগল ? ডাক্তার এর বদলে পুলিশ ?
কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করতেই পুলিশ বলল -
শালাপুত একটা চোর , চুরি করতে গিয়া কুকুরের কামড় খাইছে ।
-সব বুঝলাম কিন্তু ও বেহুশ কেন ? কুকুরের কামড়ে কেউ বেহুশ হয় আগে শুনি নাই ।ছুটলাম ডাক্তারের রুমের দিকে ।ডাক্তারের সাথে কথা বলতেই সব পরিষ্কার হয়ে গেল ।
আসলে কামড় খাওয়ার পর রনি, ভয়ে উত্তেজ্যিত হয়ে পরে , কিভাবে কুকুর কামড় দিল ডাক্তারের প্রশ্নের জবাবে , পেটে যত কথাছিল সব গড়গড় করে দেয় ।কিন্তু , সব উল্টাপাল্টা !!! অবস্তা খারাপ দেখে ডা: রনিকে ঘুমের ইনজেশন দিয়েছে।
হাসপাতাল আর পুলিশের মধ্যে ভাল একটা যোগসূত্র আছে তাই পুলিশও দেরী করেনি ।তারউপরে কালরাতে চুরির একটা অভিযোগ আসে গুলশান থানায় । ব্যাস , কেল্লা খালাস , রনি এখন চোর ।

৪র্থ পরিচ্ছেদ :

যথাসাধ্য লোকটাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু মনে হয় কাজ হল না। দেখুন আমি ওসি কামরুজ্জামান !! আমি সব বুঝি । নিয়ে আসেন কুকুরটা !! দেখি কি করা যায় । আসলে ওসি সাহেব কি বুঝে আমাকে কুকুরটা আনতে বলল সেটার কারন খুজে পেলাম না । পরে চিন্তা করলাম ,কুকুর দিয়ে হোক , আর ছাগল দিয়ে হোক , রনিকে ছাড়াতে হবে । আমার জন্য বেচারা অনেক বড় ঝামেলার মধ্যে পরেছে । রনির বাসা থেকে কুকুরটা নিয়ে আসলাম । ততক্ষনে ভোর ভোর , থানার ভিতরে কুকুর নিয়ে ঢুতেই ওসি সাহেব আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে অন্য এক পুলিশকে ডাকতে ডাকতে বললেন মনসুর..... এদিকে আস ....আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল ,এজন্য কুকুরটা আনতে বলেছিলাম ,এইটাই তো “ডি আই জি” সাহেবের মেয়ের কুকুর !!!! কাল যেটা গুলশান শপিং সেন্টারের সামনে থেকে হারিয়ে গেছে । “ডি আই জি” সাহেব আমাকে ফোনে পাগল করে দিয়েছে এই কুকুর খোজার জন্য ।

আরে বসুন, বসুন ...কি যেন নাম বলেছিলেন আপনার?
-জ্বি , পবিত্র ।
•দাড়ান !! স্যারকে একটা ফোন দেই ।
-স্যার.... পাইছি ....
•অবন্তি মামনি কে বলেন । আর আপনি কবে ঢাকায় আসবেন স্যার ?
ওকে স্যার , ওকে স্যার....

৫ম পরিচ্ছেদ :

হঠাৎ....

সুপ্ত পারফিউমের গন্ধে সুবাসিত চারিদিক... তাকিয়ে দেখি মেয়েটি !!! মেয়েটিকে দেখে শরীরে কেন জানি কোন শক্তি পাচ্ছি না..
কোন নিউক্লিয়ার মারলে আমায় ? কেন বুকে এত ব্যাথ্যা হচ্ছে ? গোলাপী টপস্ আর ন্যারো জিন্সের এত কম্বিনেশন ?


•হাই !! আমি অবন্তি ।

সরি, আসলে কাল ওয়াশরুমে যাবার সময় মাথা ঘুড়ে পরে যাই , পরে কিছু মানুষ ধরে আমাকে এক্সজিট গেট দিয়ে হাসপাতাল নিয়ে যায় ।তাই আপনাকে হারিয়ে ফেলি ...
সত্যি সরি ...

-ইটস্ ওকে.....


রনি : ভাই ,আমি না হাসপাতালে ছিলাম থানায় কিভাবে এলাম?

-চল !! বাসাই গিয়ে বলব....

অবন্তি: আচ্ছা শুনুন!!! আপনার ফোনটা দেখি !

-বুঝতে বাকী নেই কি হতে চলেছে,অবুজ বাচ্চার মত ফোনটা দিয়ে দিলাম ।

অবন্তি: আসি তাহলে, আবার দেখা হবে ।



৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ :

শ্ শ্ ....করে সিএন জি চলছে... আর তারমধ্যে আমি আর রনি...ঘুমচ্ছে বেচারা....
টিন্ টিন্ ...আবার কে ফোন দিল !!!
-হ্যালো
অপর পাশ থেকে নীল কণ্ঠী
•বুকের ব্যাথ্যা কমেছে ?
না হলে , আমার কাছে পেইনক্লিলার আছে .....
-আপনি কিভাবে জানেন ?
•আমি সব জানি , বুঝলেন !!!

সত্যি——
পৃথিবীতে সকল নারী ,ছেলেদের মনের কথা বোঝার বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়....

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!! বেশ ভালো লাগলো। অবন্তি ও রনির মধ্যে আপনাকে বেশ মানানসই লাগলো। ++

লাইক দিলাম।

শুভকামনা নিরন্তর ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০২

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার । আপনার মন্তব্য, আমার অনুপ্রেরণা যোগাবে।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বাহ ।।।। অসম্ভব সুন্দর লাগলো

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ভাই আপনাকেও অসম্ভব সুন্দর ধন্যবাদ...

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দুই পর্বই পড়লাম আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি প্রথম পাতায় দেখতে পাবো মনে হচ্ছে। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তারেক_মাহমুদ ভাই...
দোয়া করবেন।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কি ব্যাবার আমার মন্তব্য কি মুছে ফেলেছেন নাকি ?

শুভকামনা।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আমি আপনাদের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করি , মুছে ফেলার দুঃসাহস আমার নাই..
ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, মন্তব্যের জন্য ।

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৬

কালীদাস বলেছেন: দুইটা মিলিয়ে চমৎকার ছিল। প্রথম পর্বটা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ =p~ এই পর্বটাও মন্দ লাগেনি :)
কিপ ইট আপ :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০২

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: প্রিয় কালিদাস ভাই , আপনি আমার গল্প গুলো পড়ছেন এটি দেখে সত্যি ভালো লাগছে।
আপনার জন্য রবি ঠাকুরের কবিতা -
আয়না দেখেই চমকে বলে,
“মুখ যে দেখি ফ্যাকাশে,
বেশিদিন আর বাঁচব না তো–’
ভাবছে বসে একা সে।

ডাক্তারেরা লুটল কড়ি,
খাওয়ায় জোলাপ, খাওয়ায় বড়ি,
অবশেষে বাঁচল না সেই
বয়স যখন একাশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.