নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Adorsho lipi

পদ্মা_েমঘনা

খুব সাধারণ একজন মানুষ।

পদ্মা_েমঘনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

উনি যদি মন্ত্রী হন তবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কে?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৯



স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সম্পর্কে এমপি গোলাম মাওলা রনির লেখা থেকে:



কাজ উপলক্ষে আমি এখন আমেরিকায়। শিকাগো শহরে। দেশের খবর পাই অনলাইন পত্রিকা ও ফেইসবুকের মাধ্যমে। ডিফরেন্ট নিউজের মাধ্যমেই জানলাম সাভার ট্র্যাজেডির কথা। যে দৃশ্য ছবিতে দেখেছি তা ভাষায় প্রকাশ করার শক্তি আমার নেই। আমার দেশের গরীব ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সুদূর প্রবাসী অন্যান্য বাঙালীর সঙ্গে আমাকেও কাঁদাচ্ছে। এখানে আমি লিজেসলেটিভ ফেলোশীপের ইন্টার্নীশীপ করছি শিকাগোর ৭ নম্বর ডিস্ট্রিক্টের কংগ্রেসম্যান ড্যানি ডেভিসের অফিসে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।



আমার ফেলোশীপের মেন্টর হলেন-এই ডিস্ট্রিক্টের চীফ এডমিনিস্ট্রেটর ড. ড্যান ক্যান ট্রেইল। আমি ডাকি মিস্টার ড্যান। বয়স ৭২ বছর। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমবয়সী। আগে ইউ-এস নেভীর কর্মকর্তা ছিলেন। এখন সিভিল এডমিনিস্ট্রেসন-এ কাজ করছেন। আমাদের দেশের জেলা প্রশাসকের পদমর্যাদার কর্মকর্তা।



অফিসে বসে আল জাজিরা এবং সিএনএন এ আমরা খবর দেখছিলাম। ড. ড্যানকে খুব চিন্তিত মনে হলো। আমি জিজ্ঞেস করতেই বলল, বাংলাদেশের ঐ দুর্ঘটনার জন্য এখনই আমাদের অনেক রাজনীতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। আমার প্রশ্ন ছিল, আমার দেশের এতগুলো প্রাণের অপমৃত্যু তোমাদের রাজনীতির আবার কি সমস্যা ঘটাবে?



তিনি বললেন, শিকাগো শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা নিয়ে আমার কর্ম এলাকা। এখানে সকল গার্মেন্টস-ইমপোর্টার যারা আমাদের ভোটের এই অঞ্চলের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এই দুর্ঘটনার পর অনেক মানবাধিকার সংগঠন, আইনজীবী সংগঠন, শান্তি মিশন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিছিল করবে। মামলাও হতে পারে। যেন তাঁরা বাংলাদেশ থেকে কোনো জিনিস আমদানি না করে। ব্যবসায়ীরা তখন সমঝোতাঁর জন্য এই অফিসে আসবে। এ ধরনের মিটিংয়ে অনেক ঝামেলা হয়।

তিনি আমার নিকট এ ধরনের দুর্ঘটনার কারণ জিজ্ঞেস করলেন। আমি যথাসাধ্য বর্ণনা করলাম।



আমি তাঁর পাশে বসে তাঁর কম্পিউটারে ফেইসবুক দেখছিলাম। আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনেক ছবি এবং বিবিসিকে দেওয়া তাঁর কমেন্ট নিয়ে ছোট ছোট পোস্ট পড়ছিলাম। ড. ড্যান দেখছিলেন এবং আমাকে লোকটি সম্পর্কে এবং তাঁর উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আমি কিছুটা সম্পাদনা করে তাকে বললাম। তিনি মুচকি হেসে দিয়ে বললেন, সম্মানিত এমপি-আমি এখনই বুঝে নিচ্ছি ঐ ফেইসবুকে বাংলাতে কি লেখা আছে? তিনি কমেন্টগুলো কপি করে একটি সফটওয়্যারের মধ্যে ঢোকালেন আর অমনি তা ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ হয়ে গেল। আমি প্রমোদ গুণলাম।



ড. ড্যান বললেন, লোকটা দেখছি পিএইচডি হোল্ডার, ঠিক আমারই মতো। তুমি কি জানো? তাঁর থিসিসের বিষয় কি ছিল? বললাম, খাল খনন। বুঝলো না। আমি ব্যাখ্যা করলাম। তাঁরপরও বুঝলো না। শুধু বললো-তাঁর বক্তব্য শুনেই মনে হয়েছে তিনি ঠিক নেই। এই যদি হয় মন্ত্রীর বুদ্ধি তাহলে আমরা বুদ্ধি প্রতিবন্দী কাকে বলবো! আমি চুপ হয়ে গেলাম। তিনি মুচকি হেসে বললেন, আমিও পিএইচডি ডিগ্রীধারী। ৭২ বছর বয়সী এক প্রবীণ মানুষ। তুমি আবার ভুল করে তোমাদের মন্ত্রীর মতো আমাকে মনে করো না। আমি সুস্থ্য আছি। আমার হালনাগাদ মেডিকেল টেস্টগুলো অফিসে আছে। তুমি চাইলে দেখতে পারো। চাইলেই আমার ওয়াইফ ও অফিসের সহকর্মীদের ইন্টারভিউও নিতে পারো। বলেই হা হা করে উচ্ছাসে হাসতে শুরু করলো। আমার তখন চীৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করলো।কাজ উপলক্ষে আমি এখন আমেরিকায়। শিকাগো শহরে। দেশের খবর পাই অনলাইন পত্রিকা ও ফেইসবুকের মাধ্যমে। ডিফরেন্ট নিউজের মাধ্যমেই জানলাম সাভার ট্র্যাজেডির কথা। যে দৃশ্য ছবিতে দেখেছি তা ভাষায় প্রকাশ করার শক্তি আমার নেই। আমার দেশের গরীব ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সুদূর প্রবাসী অন্যান্য বাঙালীর সঙ্গে আমাকেও কাঁদাচ্ছে। এখানে আমি লিজেসলেটিভ ফেলোশীপের ইন্টার্নীশীপ করছি শিকাগোর ৭ নম্বর ডিস্ট্রিক্টের কংগ্রেসম্যান ড্যানি ডেভিসের অফিসে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।



আমার ফেলোশীপের মেন্টর হলেন-এই ডিস্ট্রিক্টের চীফ এডমিনিস্ট্রেটর ড. ড্যান ক্যান ট্রেইল। আমি ডাকি মিস্টার ড্যান। বয়স ৭২ বছর। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমবয়সী। আগে ইউ-এস নেভীর কর্মকর্তা ছিলেন। এখন সিভিল এডমিনিস্ট্রেসন-এ কাজ করছেন। আমাদের দেশের জেলা প্রশাসকের পদমর্যাদার কর্মকর্তা।



অফিসে বসে আল জাজিরা এবং সিএনএন এ আমরা খবর দেখছিলাম। ড. ড্যানকে খুব চিন্তিত মনে হলো। আমি জিজ্ঞেস করতেই বলল, বাংলাদেশের ঐ দুর্ঘটনার জন্য এখনই আমাদের অনেক রাজনীতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। আমার প্রশ্ন ছিল, আমার দেশের এতগুলো প্রাণের অপমৃত্যু তোমাদের রাজনীতির আবার কি সমস্যা ঘটাবে?



তিনি বললেন, শিকাগো শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা নিয়ে আমার কর্ম এলাকা। এখানে সকল গার্মেন্টস-ইমপোর্টার যারা আমাদের ভোটের এই অঞ্চলের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এই দুর্ঘটনার পর অনেক মানবাধিকার সংগঠন, আইনজীবী সংগঠন, শান্তি মিশন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিছিল করবে। মামলাও হতে পারে। যেন তাঁরা বাংলাদেশ থেকে কোনো জিনিস আমদানি না করে। ব্যবসায়ীরা তখন সমঝোতাঁর জন্য এই অফিসে আসবে। এ ধরনের মিটিংয়ে অনেক ঝামেলা হয়।

তিনি আমার নিকট এ ধরনের দুর্ঘটনার কারণ জিজ্ঞেস করলেন। আমি যথাসাধ্য বর্ণনা করলাম।



আমি তাঁর পাশে বসে তাঁর কম্পিউটারে ফেইসবুক দেখছিলাম। আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনেক ছবি এবং বিবিসিকে দেওয়া তাঁর কমেন্ট নিয়ে ছোট ছোট পোস্ট পড়ছিলাম। ড. ড্যান দেখছিলেন এবং আমাকে লোকটি সম্পর্কে এবং তাঁর উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আমি কিছুটা সম্পাদনা করে তাকে বললাম। তিনি মুচকি হেসে দিয়ে বললেন, সম্মানিত এমপি-আমি এখনই বুঝে নিচ্ছি ঐ ফেইসবুকে বাংলাতে কি লেখা আছে? তিনি কমেন্টগুলো কপি করে একটি সফটওয়্যারের মধ্যে ঢোকালেন আর অমনি তা ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ হয়ে গেল। আমি প্রমোদ গুণলাম।



ড. ড্যান বললেন, লোকটা দেখছি পিএইচডি হোল্ডার, ঠিক আমারই মতো। তুমি কি জানো? তাঁর থিসিসের বিষয় কি ছিল? বললাম, খাল খনন। বুঝলো না। আমি ব্যাখ্যা করলাম। তাঁরপরও বুঝলো না। শুধু বললো-তাঁর বক্তব্য শুনেই মনে হয়েছে তিনি ঠিক নেই। এই যদি হয় মন্ত্রীর বুদ্ধি তাহলে আমরা বুদ্ধি প্রতিবন্দী কাকে বলবো! আমি চুপ হয়ে গেলাম। তিনি মুচকি হেসে বললেন, আমিও পিএইচডি ডিগ্রীধারী। ৭২ বছর বয়সী এক প্রবীণ মানুষ। তুমি আবার ভুল করে তোমাদের মন্ত্রীর মতো আমাকে মনে করো না। আমি সুস্থ্য আছি। আমার হালনাগাদ মেডিকেল টেস্টগুলো অফিসে আছে। তুমি চাইলে দেখতে পারো। চাইলেই আমার ওয়াইফ ও অফিসের সহকর্মীদের ইন্টারভিউও নিতে পারো। বলেই হা হা করে উচ্ছাসে হাসতে শুরু করলো। আমার তখন চীৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করলো।



সূত্র: dnewsbd.com

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০০

খেয়া ঘাট বলেছেন: আগে পড়েছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.