![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্ভবত ১৯৯৬/৯৭ সালের কথা। আন্ডারগ্রেডে কেবল ভর্তি হয়েছি। ক্লাস তখনও শুরু হয় নি।পত্রিকায় খবর বেরুলো জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির একজন সরকারদলীয় ছাত্রনেতা একটি বিশেষ বিষয়ে সেঞ্চুরী করে ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করেছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীরা লজ্জায়, ভয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত করতে পারে নাই।বিচার চেয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ, আন্দোলন হলো।এতবড় অনাচারের উপযুক্ত বিচারই হলো বটে! সেই নেতাকে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে পত্রিকায় খবর পড়লাম।এত বড় যোগ্যতাকে তো আর অসম্মান করা যায় না! সেঞ্চুরী বলে কথা! সেই ঘটনার দায় এখনও এই ইউনিভার্সিটি বয়ে বেড়াচ্ছে।এখনও এই ইউনিভার্সিটিকে মানুষ একটু অন্য চোখে দেখে (আশা করি এই ইউনিভার্সিটির কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না)।
কারণ কয়েক বছর আগে আমার এক বন্ধু বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছিল। তাকে জাবির ছাত্রী আমার বোনের কথা বলায় সে ভার্সিটির নাম শুনে ইতস্তত করা শুরু করে।এই মনোভাব অন্য অনেক পরিচিতদের মধ্যেও দেখেছি।
তারপর অনেকদিন পার হল। এটা ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ।আবারও সেই একই দল ক্ষমতায়। ঘটনার নায়ক সেই একই দলের এক কুলাঙ্গার। দেশের ক্ষমতায় আসীন দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্বভাবসুলভ হাস্যকর মন্তব্য সকলেই দেখেছেন, শুনেছেন। ফেসবুক, ওয়েবসাইটগুলিতে দেখছি ওই জানোয়ারটা ২৩ কোটি টাকা তুলে বিদেশ পালিয়েছে অথবা পালানোর পর্যায়ে আছে।ফেসবুক, ব্লগগুলিতে বিভৎস সব ছবি দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলছি, চোখ ভিজে যাচ্ছে। আপনাদের হচ্ছে না?! ওই জানোয়ারটা কয়েক বছর বাইরে থেকে ফিরে (ফেনী, নারায়নগঞ্জ এ কি এরকম ঘটে নাই !) এসে আবার মানুষের জমি দখল করে বেআইনি, নিম্নমানের গগনচুম্বী দালান করবে।আমরা কি শুধু দেখেই যাব? কোন দায়িত্ব নাই! জাবির ঘটনা থেকে সাভারের ঘটনা-বিস্তর সময়ের ব্যবধান। আমরা কতটুকু এগিয়েছি? কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি? যদি জানোয়ারটা পালিয়েও যায়, তবু আসুন আওয়াজ তুলি যারা একে প্রশ্রয় দিয়েছিল, পালাতে সাহায্য করেছে তাদের যেন ধরা হয়, শাস্তি দেয়া হয়। কান টানলে মাথা আসবেই।তা নাহলে এর দায় থেকে আমরা কেউ মুক্তি পাব না। এর দায় আমাদেরই বহন করে যেতে হবে। যার-যার অবস্থানে থেকে ইস্পাত-কঠিন প্রতিবাদ গড়ে তুলি।
©somewhere in net ltd.