নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Adorsho lipi

পদ্মা_েমঘনা

খুব সাধারণ একজন মানুষ।

পদ্মা_েমঘনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা প্রকৃত বীরদের কি এভাবে অসম্মান করেই যাব?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫২





ওনার প্রাপ্তি দেখেন:



লে. ক. কামরুজ্জামান- বেঁচে গিয়ে নিজেকে কতোটা অপরাধী করছেন আমাদের, দেখুন তার নিজের লেখায়ঃ



"সম্মানবিহীন সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক পদক ধারণ করে লাভ কি?"



বিগত ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পিলখানা প্যারেড গ্রাউন্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে বিডিআর এর সর্বোচ্চ পদক “বাংলাদেশ রাইফেলস্ পদক” (বিআরএম) পদকটি আমাকে নিজ হাতে পরিয়ে দেন। সীমান্ত সংঘর্ষে উপস্থিত বুদ্ধি, অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আমাকে ঐ উপাধি প্রদান করা হয়।

“বল বীর চির উন্নত মম শীর” এই বীরের উপাধি নিয়ে কি লাভ? বিগত ১৬ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে (বিএনপি সরকারের সময়ে) আখাউড়া সীমান্তে প্রতিবেশী দেশ কর্তৃক সশস্ত্র বিএসএফ সদস্যের দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী হীরাপুর গ্রামে অনুপ্রবেশ করে। অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ সদস্যগণ ভারতীয় নাগরিকদের সহায়তায় হিরাপুর গ্রামে ব্যাপক লুটতরাজসহ নিরীহ নারী ও শিশুদেরকে মারধর করে। গ্রামবাসী বাধা দিলে বিএসএফ গুলি বর্ষণ শুরু করে এবং গ্রাম দখল করে রাখে। বাংলাদেশী নাগরিকদের সশস্ত্র বিএসএফ এর কবল থেকে গ্রামবাসীদের উদ্ধার এবং বিএসএফ কে বাংলাদেশের ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঐ সময় বিএসএফ এর সাথে সম্মুখ সংঘর্ষে অংশগ্রহণ করি। আমার নেতৃত্বে বিডিআর ও বিএসএফ এর মধ্যে প্রায় ৪/৫ ঘন্টা তীব্রভাবে গুলি বিনিময় হয়। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ এর কোম্পানী কমান্ডার, এ্যাসিটেন্ট কমান্ড্যান্ট শ্রী জীবন কুমার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এবং কনষ্টেবল কে কে সুরেন্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়। সেই সাথে সশস্ত্র বিএসএফ দল কোম্পানী কমান্ডারের লাশ ও আহত কনষ্টেবল কে ফেলে রেখে বাংলাদেশের ভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং তাদের কবল থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের জানমাল রক্ষা পায়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বীরত্বসূচক সর্বোচ্চ সম্মান বা পদক বা খেতাব পেয়ে কি লাভ হলো? লাভ হয়েছে নিম্নরূপ:

১. বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) এর কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পাওয়া।

২. সম্মানী না পাওয়া।

৩. অবসরের পর থেকে ২১ নভেম্বর এর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে অদ্যবধি দাওয়াত না পাওয়া।

৪. মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বিএসএফ এর কোম্পানী কমান্ডার কে হত্যা করার অপরাধে সাময়িকভাবে আমেরিকার ভিসা না পাওয়া (পরবর্তীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি তা প্রমাণ করার পর ভিসা প্রাপ্তি)।

৫. ত্রিপুরা রাজ্যে বেসরকারীভাবে আমার মাথার দাম ১(এক) লক্ষ রুপি ঘোষণা।



এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মায়া ত্যাগ করে দেশ মাতৃকার টানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করলাম, সবশেষে এখন লাভ-ক্ষতির হিসাব এর Balance Sheet করলে কি পেলাম তার উত্তর আজ খুঁজে পাইনা?? অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে উপরোক্ত বিষয়ের অবতারনা করলাম, এটি পড়ে যদি কেউ দুঃখ বা কষ্ট পান তাহলে নিজ গুণে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।









আমার বলার ভাষা নাই! এরা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি! ভাবতেও ঘেন্না হয়! ওরা আপনাকে অসম্মান করুক, কিচ্ছু যায় আসে না।আমি আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে আপনাকে সমস্ত দেশপ্রেমিক জনতার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাই! দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।পরম করুনাময় আপনাকে আপনার স্বদেশ প্রেমের উত্তম পুরষ্কার দান করুন।



সূত্র: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত।



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০২

ম্রিয়মাণ বলেছেন: আপনি কি গাধা?

৭১ সালে কেউ যুদ্ধে গেছে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য। কেবল কৌশগত কারণে ভারতের সাহায্য নিয়েছে।

আর ৭১ সালেই কেউ কাজ করেছে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। তাদের স্বপ্ন আলাদা, তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আলাদা।

কাজেই খবরদার ভারতের বিরুদ্ধে কিছু করবেন না, এটাই এখন গৃহীত সংজ্ঞা (মুক্তিযুদ্ধের চেতনা)।

প্রতিবছর সীমান্তে শতশত মানুষ হত্যার কারণে কারো মাথার দাম কি ঘোষণা করা হয়েছে?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৭

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: আপনি কি গাধা?
আসলেই ভাই, বন্ধুদের হাতে যখন ফেলানীদের হত্যা দেখি অবাক হয়ে ভাবি কিভাবে এরা বন্ধু হয়!

টিপাইমুখ নিয়ে এদেশে কাউকে যখন সমর্থন করে বিবৃতি দিতে দেখি, তখন মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়, হায়! এদেশে কি হচ্ছে এসব?

রামপাল নিয়ে দালালদের অতি উৎসাহ দেখি আর ভাবি কবে আমরা মানুষ হব!

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ওনাকে শ্রদ্ধা জানাই।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।ওঁনার মত বাংলাদেশীদের যদি আমরা সম্মান জানাতে না পারি তাহলে আরেকজন বীর কখনও জন্মাবে না!

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

বেলা শেষে বলেছেন: আমরা প্রকৃত বীরদের কি এভাবে অসম্মান করেই যাব?
Assalamualikum, yes brother we have to learn a lot of new Things...
...Respect to you ...up to next time...

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৯

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ওলাইকুমসালাম।ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।কোনদিন দেখিনি ওঁনাকে, দেখার সম্ভাবনাও নাই তারপরও আমি ওঁনার দেশপ্রেমের প্রশংসা করি, শ্রদ্ধা জানাই! আল্লাহ তাঁকে উত্তম পুরষ্কার অবশ্যই দান করবেন, দালালদের প্রতিদান প্রয়োজন নাই।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৩

বেলা শেষে বলেছেন: you are right & good brother.

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
খানকির পোলারা দেশটারে শেষ করে ফেলবে।


আর কত বীরদের অসন্মান করব আমারা

লজ্জিত আমারা লজ্জিত

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আসুন আমরা আম-জনতা এই বীরকে শ্রদ্ধা, ভালবাসা জানিয়ে কিছুটা হলেও কম্পেনসেট করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.