নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Adorsho lipi

পদ্মা_েমঘনা

খুব সাধারণ একজন মানুষ।

পদ্মা_েমঘনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেতনার সিরাম বিস্ফোরন

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯



"তোমরা যারা জাফর ইকবালের অন্ধ অনুসরণ করো"



শুরুতেই গণিত অলিম্পিয়াড ও সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতির মতো আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য উনাকে ধন্যবাদ জানাই। এবং অবশ্যই উনি এইক্ষেত্রে ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার।



আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা ছোটবেলা থেকে যার বই পড়ে বড় হয়,যার বইয়ের প্রতিটি কথা তাদের মননে গেঁথে যায় তিনি হলেন জাফর ইকবাল। আমি নিজেও স্কুল লাইফে থাকার সময় টেক্সট বইয়ের উপরে তার বই রেখে পড়তাম। আম্মু আসলেই লুকিয়ে টেক্সট বই পড়ার ভান করতাম। এতো সুন্দর করে লিখার ক্ষমতা তার এক বই পড়া শেষ হলেই আরেক বই পড়তে ইচ্ছা করে। এমন কোন ছেলে-মেয়ে পাওয়া যাবে না যে তার লিখা বই না পড়ে বড় হয়েছে। সমকালীন সকল লেখকের মধ্যে কিশোর বয়সীদের উপর তার আধিপত্য শীর্ষে। কলেজ লাইফে থাকাকালিন একদিন মসজিদের ইমাম হুজুর কুরআনের তাফসির করার সময় কথা প্রসঙ্গে বললেন আজকের ছেলে-মেয়েরা কুরআন হাদিস পড়ার পরিবর্তে হুমায়ুন আজাদ,জাফর ইকবালদের বই পড়ে ছোটবেলা থেকেই ব্রেইনওয়াশড হয়ে বড় হচ্ছে। পরে হুজুরের সাথে এই ব্যাপারে কথা বললে উনি আমাকে বিস্তারিত বলেন।কিন্তু আমার মাথায় কোনভাবেই ঢুকে না যে জাফর ইকবালের মতো একজন মানুষ কিভাবে ইসলামবিদ্বেষী হতে পারেন।



তার বইয়ে তো ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি কিছুই বলা নেই তারপরও কেন তার বিরোধিতা করা হয়????



বছর দু’য়েক ধরে প্রথম আলোতে লিখা তার কলামগুলো মনযোগ দিয়ে পড়া শুরু করি। সত্যিই তার মতো ধূর্ত মানুষ বাংলাদেশে একটিও আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। কলমের খোঁচায় এতো নিপুণভাবে হিজাবের বিরোধিতা,দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবীকে রাজাকারের প্রতীক এবং দুষ্ট লোকের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন খুব কম লেখকের পক্ষে লিখাই সম্ভব। এমনভাবে লিখে যে “সাপও যেন মরে লাঠিও যেন না ভাঙে” ধাঁচের! উনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন,তরুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিতে বলেন অথচ যুদ্ধের সময় তিনি একজন তরুণ ছিলেন কিন্তু যুদ্ধে কেন যাননি তার জবাব তরুণ প্রজন্ম কখনই পাবে কিনা সন্দেহ। চেতনার আড়ালে উনি উনার সায়েন্স ফিকশন+গল্পের বইগুলোতে দাড়ি-টুপি-হিজাব সম্পর্কে কিশোর বয়স থেকেই এক ধরণের নেগেটিভ ধারণা তৈরি করে চলেছেন।



তার লিখা কিছু বইয়ের উদাহরণ দিলাম।



বইয়ের নামঃ জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়

লেখকঃ মুহম্মদ (মোহাম্মাদ না কিন্তু) জাফর ইকবাল

একুশে বইমেলা ৯৫-তে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত



বইয়ের প্রধান চরিত্র ও গল্পকথক বার বছরের মুনিরের বাবার যে বৈশিষ্ট্যগুলো সেই শিশুদের জন্য লেখা বইয়ে বর্ণনা করা হয়েছে তা হল,





মুনিরের বাবা

১-নিয়মিত নামায পড়েন। কখনো নামায ক্বাযা করেন না।



২-তার থুতনিতে এক গোছা দাড়ি আছে। এই কারণে তাকে পশু মনে হওয়া বিচিত্র কিছু নয়।



৩- সন্তানদের পিটিয়ে খুব মজা পান। তাই কোন দোষ না পাওয়া গেলেও নিজ সন্তানদের প্রচণ্ড মারধর করেন।



৪-ওষুধের কোম্পানিতে চাকরী করেন। সেখান থেকে ওষুধ চুরি করেন আর ভেজাল ওষুধের ব্যবসা করেন।



৫- সন্তানদের 'শুওরের বাচ্ছা' এবং 'হারামজাদা' ছাড়া অন্য কিছু বলে ডাকেন না।



৬- নিয়মিত সুর করে কোরআন তেলাওয়াত করেন।





এই লেখাগুলো বইয়ের পাঁচ থেকে আট নম্বর পৃষ্ঠার মধ্যে রয়েছে।



এই বইয়ের ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে (নিজের চোখে পড়ে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।)https://dl.dropboxusercontent.com/u/5417937/PDFs/Muhammed Zafar Iqbal/Jarun Chowdhurir Manikjor.pdf





-বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর(ধার্মিক লোকটাকে খচ্চর-গোয়ার-দুষ্ট হিসেবে উপস্থাপন)



-আমার বন্ধু রাশেদ(হিজাব বিরোধীতা,রাজাকারের চরিত্রে দাড়িওয়ালা-পাঞ্জাবী-টুপি পরা)



-সায়রা সায়েন্টিস্ট(হুজুর বন্ধু যা বলবে তার উল্টা কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে)



-রাজু ও আগুনালির ভূত(ভিলেন হলেন জোব্বা পরা-দাড়ি-টুপি ধারী হুজুর)



-দুষ্ট ছেলের দল(যে আল্লাহ রাসুলের নাম নেয় তাকে খুনি কুৎসিত লোক হিসেবে দেখানো হয়েছে)



-বুবুনের বাবা(ভিলেন হল দাড়িওয়ালা-টুপি-জোব্বা পরা)



-টি-রেক্সের সন্ধানে ( এই বইতে সরাসরি খোদা নেই,খোদার উপরে বিশ্বাস নেই বলেই উল্লেখ করা হয়েছে,নামাজ পড়লেও কাজ হবে কিনা সন্দেহ তুলে ধরা হয়েছে)



এভাবে তার "প্রায়" প্রত্যেক বইতে ভিলেন হচ্ছে দাড়ি-টুপি- পাঞ্জাবী পরা লোকেরা। আর প্রথম আলোতে বিভিন্ন সময় লিখা তার কলামগুলো তো আছেই যেখানে হিজাবের বিরুদ্ধে উনার চুলকানি সরাসরি প্রকাশ পেয়েছে। (লিঙ্ক চেয়ে আমাকে লজ্জিত করবেন না আশা করি!)



এইভাবেই পিচ্চিকাল থেকেই মগজ ধোলাই হচ্ছি আমরা!



যেসব তরুণরা আজকে ইসলামি মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কথা বলে তারাই তার বই পড়ে এবং অন্তরে ধারণ করে গড়ে উঠা আজকের কথিত “নতুন প্রজন্ম” দাবিদার। এখনই সময় আমাদের ছোট ভাইবোনদের এইসব ইসলামবিদ্বেষী লেখকদের বই পড়া থেকে বিরত রাখা।



মনে রাখবেন এদের বই পড়ে সামান্য জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে আপনার আমার ভাইবোন যেন ইসলামি বিধিবিধানকে অবজ্ঞা করতে না শিখে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সহিহ বুঝ দান করুন এবং ইসলাম বিরোধী সকল ফিতনা থেকে হিফাজত করুন।আমিন।





বইয়ের রেফারেঞ্চগুলো সংগৃহীত, পরিমার্জিত ও সত্যায়িত।



By Sabet Bin Mukter



ফেবু থেকে সংগৃহীত।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কলমের খোঁচায় এতো নিপুণভাবে হিজাবের বিরোধিতা,দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবীকে রাজাকারের প্রতীক এবং দুষ্ট লোকের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন খুব কম লেখকের পক্ষে লিখাই সম্ভব।

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: আপাতত উনি চেতনার ফিল্টারের গবেষণায় ব্যস্ত ;)

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ছোটবেলায় আমার প্রিয় লেখকের তালিকায় প্রথম ছিলেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। উনার বইগুলা আমি যেভাবে গিলতাম তিন গোয়েন্দা অথবা শীর্শেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজও আমার এত পছন্দের ছিল না। বিজ্ঞানী সফদার আলীর মহা মহা আবিষ্কার কম করে হলেও ষাট-সত্তুরবার পড়েছি।
পরবর্তীতে আপনি যেই বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন এটা আমিও লক্ষ্য করেছি। উনার প্রায় বেশীরভাগ কিশোর উপন্যাসেই ধার্মিক মুসলিম চরিত্রকে খারাপ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। বিষয়টা যথেষ্ট অস্বস্তিকর।
এবং কিছুদিন আগে উনার স্পেশাল ফিল্টারের বক্তব্য শুনে উনাকে বর্তমানে ধাপ্পাবাজ ছাড়া আমার আর কিছুই মনে হয়না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। বাঙালী গুনিকে সম্মান করতে জানে কোন ভন্ডকে নয়। আমি এখন পর্যন্ত আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের মত কাউকে খুঁজে পাইনি।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

মদন বলেছেন: জয়বাংলা

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: জয়চেতনা!

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

ফিলিংস বলেছেন: দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবী পরা লোকগুলা কি অন্যায় করেনা। মানুষ কে মাপার মানদন্ড কি দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবী। লালসালুর মজিদ মিয়া, নবাব সিরাজউদ্দৈালার মীর জাফর, গ্রামের সালিশ করা মাতবর, স্বাধিনতা বিরোধী রা সবাই তো দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবী লোক। এ রা কেন চিন্তা করে না দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবী ইসলামের প্রতীক, শান্তির প্রতীক এ পোশাক পড়ে অন্তত কোন অন্যায় করা যাবেনা। এতে পুরা মসুলমান জাতির দুর্নাম হবে। পাপের ভাগিদার তো এরা বেশি।

স্বাধিনতা বিরোধী রা সবাই তো দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবী লোক এদের কে কেন বলেন না, আপনারা এ পোশাক পড়বেন না । আপনাদের প্রতি তো খারাপ ধারনা আছেই পরে তা দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবীর উপর পড়বে।আপনাদের কোন অধিকার নাই পুরা মুসলিম জাতিকে খারাপ বানানোর।

আমি বলিনা যে দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবী পড়া ভালো লোক নাই, আছে এবং এদের সংখ্যায় বেশি। উদাহরন হিসাবে বেশি টাই আসা উচিৎ। মানুষ এখনও দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবী কে সম্মান করে ভাল বাসে, তাই এরা খারাপ কাজ করলে তার চেয়ে বেশি কষ্ট লেগে। মানুষ কষ্ট টা বেশি মনে রাখে।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

ফিলিংস বলেছেন: কিছু কিছু লোক শুধু অন্যায় করার সময় এগুলা ব্যাহার করে যাতে কেউ
সন্দেহ না করে...। অন্যয় তো দু"জনা্ই করছে তাই দু"জ নাকেই ঘৃনা করুন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো। লেবাস পড়ে খারাপ কাজ করে, তো লেবাস পড়া সবাই খারাপ এবং লেবাসটাও খারাপ! আর তাছাড়া একজন বিশিষ্ট বাঙালীতো ঘোষনা দিয়েই দিয়েছে হিজাব এদেশের কালচারের সাথে মানানসই নয়! কি বলতে চাচ্ছেন দয়া করে আগে নিজের কাছে ক্লিয়ার হোন।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তিনি যা লিখেন তা সমাজ সচেতন মুলক , নিন্দুকরা অযথাই মন্তব্য
করে ।।

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫০

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: :( :(( X( :| X(( :-/ :P

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

ফিলিংস বলেছেন: নিন্দুক হই আর সিন্দুক হই আমার মন্তব্যের উত্তর কিন্তু আমি পাইনি ।

২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২০

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: see no. 5

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.