নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার আমি ছাত্র

Palash Talukder

সময় এসেছে নতুন কিছু করার, সময় এখন বদলে যাওয়ার- পরিবর্তন

Palash Talukder › বিস্তারিত পোস্টঃ

"এপ্রিল ফুল" পালন করছি আর নিজেরাই বোকা হচ্ছি

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০০

এপ্রিল ফুল নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক উৎসাহ দেখা যায়।ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোর সাথে সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষরাও ১লা এপ্রিল, দিনটিকে গুরুত্বসহকারে দেখছে,পালন করছে।কিন্তু এর ইতিহাস নিয়ে অনেক মতভেদ আছে।এর সমন্ধে জানবার প্রবল আগ্রহের কারনে নেটে সার্চ করছিলাম।বাংলা, ইংরেজি মিলিয়ে এর সম্পর্কে কমপক্ষে এক'শ মতবাদ তো খুজে পাওয়া গেল।কিন্তু এ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারনা,বা যুক্তিসঙ্গত কোনো মতবাদ পাওয়া গেল না।ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত একটা মতবাদের কথা তুলে ধরছি।

""দিনটি ছিল ১৪৯২ সালের ১লা এপ্রিল ৷ দুর্ভাগ্য তাড়িত স্পেনের গ্রানাডাবাসী অসহায় নারী ও মাসুম বাচ্চাদের করুণ মুখের দিয়ে তাকিয়ে খ্রিষ্টানদের আশ্বাসে বিশ্বাস করে খুলে দেয় শহরের প্রধান ফটক ৷ সবাইকে নিয়ে আশ্রয় নেয় আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদে ৷ শহরে প্রবেশ করে খ্রিষ্টান বাহিনী মুসলমানদেরকে মসজিদের ভেতর আটকে রেখে প্রতিটি মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয় ৷ এরপর একযোগে শহরের সমস্ত মসজিদে আগুন লাগিয়ে বর্বর উল্লাসে মেতে ওঠে হায়েনারা ৷ লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ-শিশু অসহায় আর্তনাদ করতে করতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায় মসজিদের ভেতর ৷ প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখায় দগ্ধ অসহায় মুসলমানদের আর্তচিত্কার যখন গ্রানাডার আকাশ-বাতাস ভারী ও শোকাতুর করে তুলল তখন রাণী ইসাবেলা হেসে বলতে লাগলো, 'হায় এপ্রিলের বোকা! শত্রুর আশ্বাস কেউ বিশ্বাস করে?' সেই থেকে খ্রিষ্টান জগত্ প্রতি বছর ১লা এপ্রিল আড়ম্বরের সাথে পালন করে আসছে- April Fool মানে 'এপ্রিলের বোকা' উৎসব ৷
কিন্তু এই তথ্য সত্য কিনা,তা যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না।কারন অনেকেরর মতে এপ্রিল ফুল,১৪৯২ সালের অনেক আগে থেকেই প্রচলিত।
যুক্তিসংগত কারন থাক বা না থাক।নিজের বিবেক দিয়েই চিন্তা করে দেখুন,এটা কি ঠিক?কাউকে বোকা বাননো নিশ্চই ভাল কাজ নয়।কেনই বা আমরা বিদেশিদেরকে অনুকরন করছি।অনুকরন করতে গিয়ে নিজের সত্ত্বা হারিয়ে ফেলছি না তো???

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৭

রেজওয়ান করিম বলেছেন: দিনটি নিয়ে অনেক ধরনের তথ্য পাওয়া যায় ইতিহাস থেকে। চাইলে এই লিংকে পড়তে পারেন।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: এপ্রিল ফুল নিয়ে মুসলমাদের মধ্যে যে কাহিণী প্রচলিত আছে সেটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার প্রমান দেখুন। 
ঐ কাহিণীতে আছে মুসলমানদের প্রলুব্ধ করার জন্য মদ ও সিগারেট পাঠান হয়েছিল ঘটনা ঘটার বেশ কিছু আগে মানে ১/৪/১৪৯২ সালের আগে অথচ কৃষ্ঠফার কলোম্বাস তার কয়েক শতক পরে আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানদের এই নেশা সিগারেট ইয়োরপে নিয়ে আসে। 
১/৪/১৪৯২ তারিখে ইসাবেলা গ্রেনেডার দখন নেয় এবং ৭ লক্ষ মুসলমানকে মসজিদে পুড়িয়ে হত্যা করে । কিন্তু আসল সত্য হোল ইসাবেলা গ্রেনেডা হস্তগত করে ২ জানুয়ারি ১৪৯২।যেখানে 
হিরোসিমা নাগাসাকিতে ২ এটম বোম মেরে ৬ লক্ষ মানুষ মারা যায় সেখানে ১/৪/১৪৯২ তে একদিনে ৭ লক্ষ মানুষ এটম বোম ছাড়া কি করে মারা গেল। আমাদের মুক্তি যুদ্ধে ৯ মাসে মারা গেছে ৩০ লক্ষ তাহোলে ১/৪/১৪৯২ তারিখে এই ৭ লক্ষ মানুষকে গণহত্যার কথা অবশ্যই ইতিহাসে থাকতো । মুসলমানদের উপর যত গণহত্যা চালান হয়েছে তার সব দলিল ইতিহাসে লিপি বদ্ধ আছে তাহলে ১/৪/১৪৯২ তাং ৭ লক্ষ মানুষের হত্যার কাহিণী ইতিহাসের কোন দলিলে নাই কেন ? ক্রসেডাররা যখন জেরুজালেম দখল করে মুসলিম গণহত্যা চালাল তার দলিল লিপিবদ্ধ আছে। ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে খৃষ্টানরা ষ্পেন দখল করার পর কিভাবে মুসলমানদের নিপিড়ন করে মাত্র ১২০ বৎসরের মধ্যে স্পেনকে মুসলিম শুন্য করলো তাহোলে কেন ১ লা এপ্রিল ১৪৯২ তাং ৭ লক্ষ মুসলমান হত্যার দলিল ইতিহাসে নেই ? তখন যে প্রযুক্তি ছিল তা দিয়ে কি একদিনে ৭ লক্ষ মানুষ হত্যা করা সম্ভব যেখানে এটম বোমা মেরে হিরোসিমা নাগাসাকিতে ২ দিনে ৬ লক্ষ মানুষ হত্যা করা হয়েছিল ? এটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার প্রমান দেখুন 
২০০৭ আদম সুমারি অনুযা্য়ি গ্রানাডার জন সংখ্যা ২৩৭৯২৯ (২ লাক্ষ ৩৭ হাজার ৯২৯) এবং আয়তন ৮৮ (বর্গ কিলোমিটার) বা ৩৪ বর্গ মাইল তাহোলে এই ছোট্ট জায়গায় ১৪৯২ সালে কি করে ৭ লক্ষের উপর মানুষ বাস করে ???

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:২১

Palash Talukder বলেছেন: অনেক তথ্য পাওয়া যায়,সেটা আমি জানি।কিন্তু সব ভিত্তিহীন#রেজওয়ান সাহেব

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

নতুন বলেছেন:
আপনার তথ্যটি একটু জাচাই করে দেখুন... তবেই বুঝতে পারবেন যে আপনিই বোকা হয়েছেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.