![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যবসাটা অদ্ভুত। এরকম ব্যবসার কথা আগে কেউ চিন্তা করেছে কিনা জানিনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব মিলাতে গেলে পিছু হটারই কথা। কিন্তু আমি বদ্ধপরিকর। নেইলকাটারের ব্যবসা করবই। হ্যাঁ, শুধুই নেইলকাটারের, আর অন্য কিছুর না। ফুটপাতে, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, অথবা বড়সড় শপিংমলেও নেইলকাটার পাওয়া যায়। মানুষ কেনেও। কিন্তু আমি অনেক ভেবে দেখেছি যে, একটা স্বতন্ত্র নেইলকাটারের দোকান দেয়াটা জরুরী হয়ে পড়েছে। সেখানে আমি শুধুই নেইলকাটারই বিক্রী করব। মানুষজনের নখ বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে ইদানীং। না, আমার কাছে কোন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার ফলাফল বা পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান নেই। তবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে, মানুষের নখ বড় হয়ে যাচ্ছে। নখ ধারালীকরণ এবং সঠিক পরিচর্যা খুবই প্রয়োজন। অনেকেরই খেতে গিয়ে বড় নখের অভ্যন্তরে খাদ্যকণা সেঁধিয়ে গিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করছে। সব সমস্যার সমাধান আমি দেবো। শহরের ভালোমন্দ দেখভালকারীর কাছ থেকে একটা ট্রেড লাইসেন্সও বাগিয়ে নিয়েছি খুব সহজেই। না চাইতেই যেন দিয়ে দিল! আসলে তারাও এরকম ব্যতিক্রমী এবং মহান একটা উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে ছিলো। আঁচড় দেয়ার প্রয়োজন হলে মানুষ নখ ব্যবহার না করে দাঁতও ব্যবহার করতে পারে অবশ্য। তবে নখের ব্যবহারটাই বেশি হচ্ছে
ইদানীং। "আমি আশাবাদী খুব শীঘ্রই আমাদের হিংস্র ছেদনদন্ত গজাবে, আপাতত নখের জনপ্রিয়তাটাই বেশি। ধারালো নখগুলো যেন ভোঁতা হয়ে না যায় অধিকমাত্রায় ব্যবহারের কারণে, এজন্যে আপনার অত্যাধুনিক নেইলকাটার প্রকল্পকে আমরা অভিনন্দন জানাই"
আমি খুব উৎসাহিত হয়েছিলাম তার এহেন আশ্বাসবাণীতে।
আজ আমার ব্যবসার প্রথমদিন। বেশ উত্তেজিত বোধ করছি। কতজন আসবে না আসবে..আমার দোকানভর্তি নেইলকাটার। আমি প্রফুল্লচিত্তে শীষ দিতে দিতে কাঁচের বাক্সে ওগুলো সাজিয়ে রাখি। ক্রেতাদের মনোরঞ্জনের জন্যে সঙ্গীতের ব্যবস্থা রয়েছে। থাকেনা, ছোট্ট কিন্তু আধুনিক বিপণীবিতানগুলোতে যেরকম? মৃদুলয়ে গান বাজতে থাকে আর ক্রেতারা শ্রবণানন্দে ঘুরেফিরে পণ্যের মান যাচাই করতে থাকে? অবশ্য আমার ব্যতিক্রমী ব্যবসাটার মত সঙ্গীত নির্বাচনও একটু বিশেষ। সেকথা পরে বলি।
আজকের দিনটা মনে হয় খুব ব্যস্ত যাবে। দুপুরে বাইরে খেতে যাবার ফুরসৎও বোধহয় পাওয়া যাবেনা। আমি তাই টিফিন ক্যারিয়ার ভর্তি করে খাদ্য নিয়ে এসেছি।আমার আবার খুব ক্ষিধে পায়। আপনাদেরও পায় নিশ্চয়ই? ক্ষুধাকে এড়িয়ে চলতে পারে কে!
ধীরে ধীরে লোকজন আসা শুরু করেছে দোকানে। দুজন সমবয়সী যুবক, বন্ধু হবে হয়তো, তাদের নখ বড় হয়ে চীনের প্রাচীরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, হাহাহা! তারা এগিয়ে আসে আমার দিকে। আমি তাদের বিশালাকার একটি নেইলকাটার এগিয়ে দিই। বললে অহংকার মনে হতে পারে, কিন্তু নিজেকে একজন দক্ষ ব্যবসায়ী'ই দাবী করি আমি। সবরকমের মাল মজুদ রেখেছি। ওরা নেইলকাটারটা পরখ করে দেখছে।
এই মুহূর্তে আমার দোকানের মিউজিক সিস্টেমটা কাজ করছেনা। তাই টিভি ছেড়ে দিয়ে রেখেছি। ওখানে খুব আজগুবী একটা অনুষ্ঠান দেখাচ্ছে। দুজন যুবক তাদের প্রেমিকাকে পাবার অভিপ্রায়ে, অবাক হবেন না, একজনকে দুজন ভালোবাসতেই পারে। হাজারজনও ভালোবাসতে পারে, এবং আমাদের এখানে যে কেউ চাইলেই তাকে পেতে পারে! যা হোক, তারপর সে কি ভীষণ রক্তারক্তি ব্যাপার! তরুণীর বাবা-মাকে তারা নখ দিয়ে খোঁচাতে লাগলো। এটা অবশ্য আমার দোকানের জন্যে ভালো একটা বিজ্ঞাপন হতে পারে। নখের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্যে যথার্থ।
"এটা নিতে পারেন" আমি আমার ক্রেতাদের দিকে নজর দিই।
"নখ যতই বড় আর শক্ত হোক, এটা দিয়ে আপনি চমৎকার একটা আকৃতিতে নিয়ে আসতে পারবেন, ছেটে ফেলতে পারবেন।" বলি আমি।
"কিন্তু নখ তো আমাদের দরকার। বড় নখ দিয়ে আমরা রক্তাক্ত করতে পারি সহজেই। আমাদের অভিজোযন প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানেন, এখন ছুরির বদলে আমরা নখ ব্যবহার করতেই সাচ্ছ্যন্দ বোধ করি। আর...."
"আরে শুনুন শুনুন...." অভিযোজন বিষয়ক জ্ঞান দেয়াতে বিরক্ত হলেও আমি ধৈর্য হারাইনা। ঝানু সেলসম্যানের মত মুখে হাসি লেপটে রেখে তাদেরকে বোঝাই,
"অতি ব্যবহারে নখ ভোঁতা হয়ে যেতে পারে। আপনাদের বিশালাকার নখের আমি প্রশংসা করি, কিন্তু তা সূচালো নয় যথেষ্ঠ। একটু যত্ন-আত্নি করা দরকার না এই অমূল্য সম্পদের? আর আমার এই নেইলকাটারে শুধুমাত্র যে কর্তনের ব্যবস্থা আছে তা না, ধারালো করার ব্যবস্থাও আছে। নিয়েই দেখুন!"
আমি তাদেকে নেইলকাটারের যান্ত্রিক কলাকৌশল বোঝাতে থাকি। ধারালো করার সুবিধেটা দেখে তারা সন্তুষ্ট হয়।
আমার আজকের দিনের প্রথম বিক্রী!
এবারে আমি অন্য খদ্দেরদের দিকে নজর দিই।
"আমি অনেক দূর থেকে এসেছি, আপনার নখ ধারালীকরণ প্রক্রিয়াটা কিরকম একটু দেখানতো? বিজ্ঞাপনে যা দেখেছি সেটা স্রেফ ধাপ্পাবাজি কিনা কে জানে!"
আমি মনে মনে আমার ব্যবসাবুদ্ধির তারিফ করি। বিজ্ঞাপনটা নেহায়েৎ মন্দ হয়নি! দূর থেকে মানুষ আসছে। বেশ কয়েকজন আছে এই দলে, দেখলাম। কারও বয়স ১৪-১৫'র বেশি হবেনা। ওদেরতো কেবল নখ বড় হবার সময়, এখনই ধারালো করার প্রয়োজন পড়ল!
"আর বলবেননা"
ওদের একজন বলে ওঠে। মনে হয় আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই।
"এটা প্রায়ই ব্যবহার করতে হচ্ছে, ভোঁতা হয়ে গেছে। একটু ধার না দিলেই না!"
আমার মিউজিক সিস্টেমটা চালু হয়ে গেছে আবার। চমৎকার একটা মিউজিক বাজছে। ঠিক মিউজিক না অবশ্য..
সেই মুহূর্তে কোথা থেকে একটা বিশাল কুকুর চলে আসলো হম্বিতম্বি করতে করতে। তার ক্রুদ্ধ মুখ থেকে সারি সারি দাঁত বের হয়ে এসেছে গর্জনের ফলে। তার ক্রোধের কারণটা বুঝতে পেরেছি। কারণগুলো যা হতে পারে,
১। যে সঙ্গীতটা বাজছিলো, সেটা ছিলো কিছু মানুষের, নিদৃ্ষ্টভাবে বলতে গেলে আমার বর্তমান কাস্টমারদের বয়সী কয়েকজনের কুকুরের অনুকরণে চিৎকার, উল্লাস এবং দূর্বল নখহীন প্রতিপক্ষ একজনের প্রতি আক্রমণের অডিও টেপ। বিনা অনুমতিতে কুকুরজাতির অনুকরণ এবং তা প্রচার স্বাভাবিকভাবেই সে ভালোভাবে নেয়নি।
২। তারও হয়তোবা একটা নেইলকাটারের প্রয়োজন পড়েছে, এবং সে তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তা চাইতে এসেছে।
প্রথম প্রসঙ্গে আমি তাকে বলি,
"দেখুন, সংস্কৃতি এখন কোন ঘেরাটোপে বন্দী নয়। আমাদের উচিৎ পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা। আমরা আজ আপনাদের উন্নততর সংস্কৃতি অনুকরণ করে পরিশূদ্ধ হচ্ছি, এতে আপনার খুশীই হওয়া উচিত। পরবর্তীতে আমরা সবাই মহামান্য হায়না জাতির সংস্কৃতি অনুসরণ করার কথা ভাবছি। আশা করি বুঝতে পারছেন যে আপনাদের ব্যঙ্গ করার জন্যে এসব নয়, বরং শ্রদ্ধাবোধ থেকেই উৎসারিত"
একটানে কথাগুলো বলার পরে আমি একটু দম নিই। তারপর দ্বিতীয় প্রসঙ্গের ব্যাখ্যা দেয়া শুরু করি,
"দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে, আমাদের বর্তমান চালানে যে নেইলকাটারগুলো আছে, সেগুলো শুধুমাত্র মনুষ্য ব্যবহারের জন্যে। আপনাদের কাছে বিক্রীর জন্যে নয়। যেদিন আমরা আপনাদের সমপর্যায়ে যেতে পারবো, আমরা অভিযোজিত হব, সেদিন নতুন নেইলকাটার আনা হবে, যা সবার জন্যে উন্মুক্ত। আশা করি বুঝতে পারছেন শ্রদ্ধেয়.."
শ্রদ্ধেয় কুকুরটি আমার ব্যাখ্যায় তুষ্ট হয়। সে তর্জন গর্জন থামিয়ে মৃদু ঘরঘর শব্দ করতে করতে লেজ নাড়িয়ে চলে যায়।
আমি উনাকে বোঝাতে পেরে খুশী হই। কুকুর সম্প্রদায়ের সাথে ভাষাগত দূরত্বের কারণে আগে আমাদের যোগাযোগ করতে বেশ সমস্যা হত। কিন্তু এখন আমরা পরস্পরের বেশ কাছে এসে গেছি, সহজেই ভাব বিনিময় করতে পারি।
এবার আমি আমার কাস্টমারদের দিকে নজর দিই।
"কম বয়সেই আপনাদের নখ যেরকম বেড়ে উঠেছে, তা প্রশংসনীয়।"
"কি যে বলেন!" তাদের মধ্যে একজন ভদ্রতা করে লজ্জা দেখায়।
"না সত্যিই, এরকম নখ দিয়ে আপনারা হাজার কিশোরের শরীর রক্তাক্ত করতে পারবেন"
"ধন্যবাদ" তারা কৃতজ্ঞতা জানায়।
"তো, যা বলছিলাম" ভদ্রতাসূচক বাক্যাবলী বিনিময়ের পরে তাদের একজন কাজের কথায় আসে।
"আমাদের চাই আরো ধারালো নখ। ইদানীং একটু সমস্যা হচ্ছে আঁচড় কাটতে বা ছোবল মারতে"
তাদের অসুবিধার কথা শুনে আমি উদ্বিগ্ন হই।
"আপনাদের যা বয়স, তাতে তো এই নেইলকাটার কিনতে গেলে শহরের মহান দেখভালকারীর ছাড়পত্র লাগবে, জানেন নিশ্চয়ই? সেটা এনেছেন কি?"
তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে বেশ কিছু নেইলকাটার নিয়ে চলে যায়।
আমি আরও বেশ কিছু বেচাকেনা করি। এখন আমার দুপুরের খাবার সময়। দোকান বন্ধ করে আমি খেতে বসি। লম্বা নখের কারণে নখের ভেতরে খাদ্যকণা আর পিঁপড়ে ঢুকে যেতে থাকে। আমি দংশিত হই। অস্বস্তি বোধ করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আমার অস্বস্তিবোধ চলে যায়। আমি নখের ভেতর থেকে খাদ্যকণা বের করে ফেলে দিই, আর বেয়াক্কেল পিঁপড়া সহ যাবতীয় কীটপতঙ্গ গুলোকে চেটেপুটে চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি। ব্যাস! আমার নখ পরিস্কার! আচ্ছা, পিঁপড়েদেরও কি নেইলকাটার লাগে? নিজের আজগুবী চিন্তায় আমি নিজেই হোহো করে হেসে উঠি। অবশ্য ব্যবসায়ী মানুষদের যে রসবোধ আর দার্শনিকতা থাকতে পারবেনা তা নয়।
দুপুরের এই সময়টায় দোকানটা একটু নিরিবিলি। এসময় ব্যবসাপাতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে না ভেবে ভবিষ্যতের জন্যে মহাপরিকল্পনা করা যেতে পারে। আমার এই বিশেষ ধরনের নখ ধারালীকরণ নেইলকাটারের চাহিদা খুব একটা খারাপ হবে বলে মনে হচ্ছেনা। আমি আমার ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারি। বাজারে অনেক কিছুর দরপতন হয়, চাহিদা কমে যায়, কিন্তু এই নেইলকাটারের ক্ষেত্রে এমন অবস্থা হবেনা এটা বলতে ঝানু অর্থনীতিবিদ হতে হয়না।
হু, আমার অনুমান মিথ্যে না। শেষ দুপুরের দিকে তো ভীড়-ভাট্টা সমালাতে রীতিমত হাবুডুবু খেতে হল।
সন্ধ্যার দিকে যখন দোকান বন্ধ করে বাড়ী ফিরতে যাবো, তখন ভীত চেহারার এক লোক তার শিশুকণ্যাকে নিয়ে ইতস্ততভাবে প্রবেশ করল। তার মেয়েটি রক্তাক্ত। বয়স কত হবে? তিন বছর? ওরকমই হবে। আমার অনুমানশক্তি খুব ভালো।
"এখানে নাকি কৃত্রিম নখ পাওয়া যায়?" তার কন্ঠে কেমন যেন একটা আকূতি।
"জ্বী না, আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। এটা নেইলকাটারের দোকান। যাদের নখ আছে, ধারালো এবং বৃহৎ, তাদের পরিচর্যার জন্যে এ জায়গা।"
আমি লোকটাকে আরেকবার ভালোমত জরিপ করে নিই।
"হাহাহা! আপনারতো নখই নেই দেখছি! খামোখাই এসেছেন"
তার কণ্যার শরীর থেকে টপটপ করে রক্ত ঝরতে থাকে। তার অস্ফুট আর্তনাদ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। আমি যারপরনাই বিরক্ত হই।
"আর শুনুন, সবার নখ থাকতে নেই। সবার আঁচড় কাটার অধিকার নেই। কেউ কেউ থাকবে শুধু আক্রান্ত হবার জন্যে। আপনি এবং আপনার মেয়ে তাদেরই দলে। আমাদের মহামান্য দেখভালকারী এমনটাই বলেছেন"
লোকটা বোবাদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, আর মেয়েটার চিৎকার ক্রমশঃ বেড়ে চলে।
"ব্যতা করে গো মা, ব্যতা করে"
"ছিঁচকাঁদুনে কোথাকার!" আমি ধমকে দিই।
"তবে আমি আপনাদের জন্যে যা করতে পারি, তা হল, আপনাদের দ্রুতবর্ধমান নখগুলো কেটে দিতে পারি। যেন আর কখনও না গজায়।"
বলেই আমি আর প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করে রক্তাক্ত শিশুটিকে কাছে টেনে নিই।
ওর তো আর নখ নেই, তাই আঙুলগুলোই কাঁটতে থাকি। মেয়েটির চিৎকারের সাথে চলতে থাকা রেডিওর ধারাভাষ্যে চমৎকার এক ফিউশন তৈরী হয়। ইতঃমধ্যেই নখবাজি যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নখবাজদের সাফল্যের খবর যত্নের সম্প্রচারিত হচ্ছে। নখহীনেদের একদল, যারা আক্রান্ত, তারা ভয় পায় এতে, তাদের অন্যদলটি বেমক্কা বিস্মিত হয় এবং অতিদ্রুত ভুলে যায়।
"ব্যতা করে গো মা, ব্যতা করে!"
শিশুটি চিৎকার করতে থাকে। তার বয়স তিন বছর। তার মা এখানে নেই। খামোখাই চেচাচ্ছে।
অতঃপর সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করে আমি নির্বাক হয়ে থাকা লোকটির দিকে অগ্রসর হই। তার হাস্যকর ছোট নখগুলো আমার প্রবল নেইলকাটার দিয়ে একদম নিকেষ করে দিতে হবে।
অনেক কাজ হয়েছে আজকে। এখন দোকানপাট বন্ধ করে খেতে যাবার সময়। আমার বড় বড় নখে লেগে থাকা রক্ত পরিস্কার করতে আলস্য লাগে। থাকুকনা! রাতের খাবারের সময়, নখের ভেতর খাদ্যকণা আর পিঁপড়েরা ঢুকে বিরক্ত করে। কিন্তু তাতে কি এসে যায়! একটু অস্বস্তি লাগে অবশ্য বেয়াকুফ পিঁপড়েগুলোর সঞ্চালনে। কিন্তু ওগুলোকে ঝেরে ফেলা এক মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা কেমন হৈসে জানায়ো আদৌ প্লাস পাওয়ার যোগ্য কিনা কে জানে।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৯
চতুষ্কোণ বলেছেন: কি বলবো হামা ভাই। কাল থেকে মন খারাপ হয়ে আছে।
ভালো থাকেন। লেখায় প্লাস বলতেও লজ্জা লাগছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার অসুস্থ্য লাগছিলো কালকে।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫০
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫২
প্রবাসী রনি বলেছেন: রাজসোহান কোথায় পুত্তুম পিলাচ এখন কাখার দখলে
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা পড়েন ভাই। পড়ে জানান।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫২
কাঠের খাঁচা বলেছেন: আশ্চর্য রকমের গল্প।
কিসের যেন প্রতিফলন দেখতে পেলাম। নিজেদেরই নয় কি???
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: তুমি পেপার পড়না?
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৭
পারভেজ আলম বলেছেন: স্থম্ভিত হইয়া গেলাম। এই ধরণের গল্পের পর কিছু না বলাই ভাল। তাও বলি। আমার কাছে সেই গল্পই সফল মনে হয় যেই গল্প ঠিক ম্যাসেজ না কিন্তু ইমোশন আদান প্রদান করতে পারে। ম্যাসেজ দেয়া প্রবন্ধের কাজ। এই গল্প সেই হিসাবে, এবং ইদানিংকার সময় বিচারে প্রায় শতভাগ সফল।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মতামত পেয়ে ভালো লাগলো পারভেজ ভাই। আসলে কি জানেন, কিছুদিন পর আমরা স্তম্ভিত হবার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলবো।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০০
অরণ্যচারী বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষ হয়ে জন্ম না হলেই ভালো হত। মানুষের পক্ষেই এমন পাশবিকতা দেখানো সম্ভব কোন পশুর পক্ষে না।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও তাই ভাবি।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০১
প্রবাসী রনি বলেছেন: গল্প পড়ে পুরো থ হয়ে গেলাম। যুক্তিতে আপনার সাথে পারব না শুধু বলব সময় বিচারে এটা শতভাগ সফল একটা লেখা।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের ব্যর্থতাগুলোই এখন সফল।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০২
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে। এত সংকোচের কিছু নেই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: সংকোচ না, আমি আসলে চাচ্ছিলাম লেখাটা মানুষ ফিল করুক। এবং ফিলিংসটা জানাক।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৫
বৃত্তবন্দী বলেছেন: অবাস্তবতার মোড়কে বাস্তবকে সবাই এভাবে পরিবেশন করতে পারেনা, এক/দুইজন পারে, আপনি সেই হাতেগোনা কয়েকজনের ভিতরে আছেন...
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেলাম। ভালো লাগলো, ভালো থাকুন।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৬
আহমেদ রাকিব বলেছেন: ভয়াবহ। এক ঝলকে ঠিক পুরোপুরি মাথায় ঢোকাতে পারিনি। তবে পরিতৃপ্তি সহকারে পড়েছি। আপনার লেখার ঝাঁজটা আলাদা। একেবারেই আলাদা। পড়লেই মনে হয় পুরো পৃথিবীর উপর আপনার সুপ্ত একটা ক্ষোভ আছে। সরাসরি প্রকাশ করতে পারেন না। তাই লেখার মধ্য দিয়ে পুরোটা ঝেড়ে ফেলতে চান। ভালো লেগেছে হামা। পরে সময় করে আবার পড়ে যদি বোধগম্য হয় পুরোপুরি, তবে আবার কমেন্ট করা যাবে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা অনেক বড়। সময় করে আবার পড়ে নিয়েন। আর চাইলে আরো মতামত জানিয়েন।
আপনি আমাকে আশ্চর্যভাবে রিড করেছেন, সত্যিই অবাক হলাম।
পড়লেই মনে হয় পুরো পৃথিবীর উপর আপনার সুপ্ত একটা ক্ষোভ আছে। সরাসরি প্রকাশ করতে পারেন না। তাই লেখার মধ্য দিয়ে পুরোটা ঝেড়ে ফেলতে চান।
একদম ঠিক!
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৯
শ।মসীর বলেছেন: সব কিছু কি আর ঝেড়ে ফেলা যায়.....।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিষ্ঠুর সত্যি হল, নিজের গায়ে না লাগলে কেউ বোঝেনা। শিশুটির কথা শুনে আপনার প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগবে। কয়েকদিন পরে আবার ভুলে যাবে। আমি মনে হয় সপ্তাখানেক পরে আর মনেই করতে পারবোনা।
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১০
এরশাদ বাদশা বলেছেন: ++++
কারেন্ট ছিলো তখন, যখন গল্পটা লিখছিলেন?
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: না ছিলোনা। এটা লোডশেডিং এর সময় লেখা। কিছু অংশ দিনে, কিছু রাত্রে চার্জার লাইট জ্বালিয়ে।
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১১
আহমেদ রাকিব বলেছেন: তার বয়স তিন বছর
--------------------------------
লেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লাইন। এবার পুরোপুরি বোধগম্য হলো। কিছু বলার নাই। কিছুই না।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের কিছুই বলার নাই, কিছুই করার নাই। আমরা অথর্ব আর নির্জীব একদল।
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৬
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: ফিলিংসটা তো আসলে ঠিক ভাষায় প্রকাশ করার মত না। স্তব্ধতাই সার। কিছু বলার ভাষা হারিয়ে যায় এখানে এসে।
সাধারণতঃ সমসাময়িক ব্যাপারগুলো নিয়ে লিখলেও এবারে তোর লেখাটা অনেক বেশি স্পেসিফিক, আর সেই হিসেবেই ব্যতিক্রম। ভালো লাগলো দেখে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, এবার একটু অন্য স্টাইলে লেখার চেষ্টা করেছি।
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৮
মেহেরুবা বলেছেন: শুরুর দিকে বুঝতে পারিনি গল্পটা কোথায় যাচ্ছে
কিছু বলার মত ভাষা নেই। জানোয়ারগুলিকে যদি ছিড়ে দুইভাগ করে ফেলতে পারতাম তারপরও শান্তি পেতাম কিনা জানিনা। এই অসভ্য জন্তু জানোয়ারগুলো মানুশের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ায় আর আমাদের কলিজার টুকরোগুলিকে খেয়ে ফেলতে চায়।
আগে এই কলিজার টুকরোগুলির চিৎকারে কান্না পেতো। আর এখন চোখে জলের বদলে আগুন জ্বলে। জানোয়ারগুলিকে পুড়িয়ে মারতে ইচ্ছা করে। ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছা করে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এদেরকে আইনের হাতে না তুলে দিয়ে জনগণের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিৎ। কোন শাস্তিই এদের জন্যে যথেষ্ঠ না।
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৪
নৈশচারী বলেছেন: লেখাটা যে এই ঘটনাটা নিয়ে প্রথম কয়েকটা লাইন পড়ার পরই সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। এর চেয়ে আর ভালোভাবে এই ঘটনাটাকে ইন্টারপ্রিট করা যেত না। হ্যাটস অফ টু ইউ। তবে একটা কথা,যদিও পাশবিক আচরণ বোঝাতে আমরা রূপক হিসাবে সবসময় কুকুরকেই ব্যবহার করি কিন্তু আমি বলব এইসব মানুষরূপী জন্তুদের কুকুরের সাথে তুলনা করলে ওই অপেক্ষাকৃত নিরীহ,বিশ্বস্ত,আর প্রভুভক্ত প্রাণীটিকে ভয়ানক অপমান করা হয়। এদের তুলনা দেয়ার জন্য কোনো পশুর হিংস্রতাই যথেষ্ঠ নয়।
অ ট: ব্লগে কেউ সম্ভবত এই ঘটনাটা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিল কিন্তু আমি সেটা খুঁজে পাইনি। আপনার কাছে সেই পোস্টের লিঙ্ক থাকলে কষ্ট করে একটু দেবেন। আমি ওই পোস্টটা পড়তে চাই
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকেই দিয়েছিলো। দেবো পরে। এখন কারেন্ট চলে গেছে। এক ঘন্টা পরে কথা হবে আবার। আর একটা কথা, এই গল্পটা কিন্তু একটা মাত্র সত্য ঘটনা না, তিনটা সট্য ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা।
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৬
জেরী বলেছেন: +
আপনার পোস্টে রেটিং করতে পারছি না
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে জেরী। ধন্যবাদ।
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৬
মনজু মজুমদার বলেছেন: জরায়ুর গহবরে মাংস পিন্ড কাঁপে
কুয়াশার গভীরে তার শেকড়
"ঘুমো তুই বাছা আমার!ঘুমো!"
শূন্যতা আকড়ে ধরে ঘুমায় ভ্রুণ
আহা সোনামানিক ,জাগিস নে যেন
কোন দিন জাগিসনে আর
জেগে উঠে খামোকাই ভয়ে মরে যাবি
জাগলেই মাথার কাছে নখর উঁচিয়ে
ছুটে আসবে শহর
তোর কফিনের কাঠ আর পেরেক
উঠে আসবে মিস্ত্রির হাতে
এই অচেনা শহরে তোর ছায়া
গিলে খাবে প্রখর রৌদ্র-
কেন জাগবি বল? বাবা মানিক আমার!
তুই পড়ে পড়ে ঘুমো কেবল
লক্ষ বছর ঘুমিয়ে থাক....
আহা সোনামানিক ,জাগিস নে যেন
কোন দিন জাগিসনে আর
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ আর খুব প্রাসঙ্গিক একটা কবিতা। কার লেখা, আপনার?
২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৯
ভূত ও ভবিষ্যত বলেছেন: "ব্যতা করে গো মা, ব্যতা করে"
+++++++++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই লাইনটা খবরের কাগজ থেকে তুলে দিয়েছি। মেয়েটি এভাবেই তার কষ্ট জানান দিচ্ছিলো।
২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৯
রাজিব খান০০৭ বলেছেন: আজকেও এধরনের একটা খবর দেখলাম। আশ্চর্যরকম নরপশুতে ভরে যাচ্ছে চারপাশটা
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকেও এধরনের খবর! আমি পড়তে চাইনা।
২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৩
কাঠের খাঁচা বলেছেন: রাকিব ভাইয়ের হাতে ধরা খাইলাম। আপচুচ।
পেপার পড়ুমনা ক্যান??
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আচ্ছা। আমি ভাবসিলাম ঘটনাগুলা জানোনা।
২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৪
আলঝেইমার ক্রিস্টোসান বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিষ্ঠুর সত্যি হল, নিজের গায়ে না লাগলে কেউ বোঝেনা। শিশুটির কথা শুনে আপনার প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগবে। কয়েকদিন পরে আবার ভুলে যাবে। আমি মনে হয় সপ্তাখানেক পরে আর মনেই করতে পারবোনা।
"পড়লেই মনে হয় পুরো পৃথিবীর উপর আপনার সুপ্ত একটা ক্ষোভ আছে। সরাসরি প্রকাশ করতে পারেন না। তাই লেখার মধ্য দিয়ে পুরোটা ঝেড়ে ফেলতে চান। "
আমি অবাস্তব বলতে চাই, বলতে চাই পরাবাস্তব। আর এটাই perfect way to narrate it. +
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, সুররিয়্যালিজমের ওপর আমার বিশেষ আগ্রহ আছে। এইভাবে লিখতে সাচ্ছ্যন্দ বোধ করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৪
সুনেত্রা বলেছেন: আমি নিশ্চিৎ এটা হাসান মাহবুবের নিজের লেখা-
কি ভয় পেয়ে গেলেন? দাঁত কড়মড় করে বির বির বলছেন - আমি আবার কবে ছাড়া পেলাম, তাইনা?
আপনার সব লেখা আমার পড়া হয়নি, যত গুলো লেখা এই যাবৎ পড়েছি এই লেখা আপনার সব লেখাকে ছাড়িয়ে গেল।
প্রতিটা মানুষ অনুকরণে পারদর্শী,আমরা জন্ম থেকেই অনুকরণ করি, তেমন করে পৃথিবীর সকল গোত্রের মানুষও তাই করে, গায়ক করে, নায়ক করে, করে চিত্র শিল্পিরাও, লেখক,কবি, ইত্যাদি।
এই ভাবে সবাই অনুকরণ শেষে একদিন হুট করে নিজেই কিছু একটা করে ফেলে ভয়ে ভয়ে।যা ব্যক্তির একদম আপন অর্জন।
আজকের এই লেখায় আপনি আপনার মধ্যে মানুষটাকে জাগালেন, জাগাতে চেষ্টা করছেন আমাদের,বুড় আংগুলের ধাক্কায় আমাদের ঝুলে যাওয়া মগজের বৎসনা।
লেখকরা আগে সাধারণের , পরে সে নিজের। আজকে সাধারণের দায় টুকু সম্পাদন পর আপনি একজন সম্পুর্ন মানুষ।যদি কিছুটা বাকি থাকে তো হবার গতিতে আছেন, আমি আশাবাদি।
শুভ কামনা হাসান ভাই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি পুরোপুরি মানুষওনা, পুরোপুরি লেখকও না। আপনার দয়াদ্র মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ সুনেত্রা। ভালো থাকবেন।
২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৪
নৈশচারী বলেছেন: হমম বাকি দুইটাও বুঝতে পেরেছি তবে শেষেরটাই সবচেয়ে সাম্প্রতিক আর ভয়াবহও। তাই অল্প একটু পড়ার পর প্রথমেই ওটার কথা মনে হয়েছিল। আসলেই মানুষের নখ দিন দিন খুব বড় আর ধারালো হয়ে যাচ্ছে.......কিছু বলার নাই
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুই বলার নাই কে বলেছে? এই যে দেখলানা, গল্প লিখে শিল্পিত প্রতিবাদ জানিয়ে সবার বাহবা কুড়োচ্ছি! এই'ই বলার, এই'ই করার।
২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৬
ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: মানুষের নখ বড় হয়ে যাচ্ছে .
ক্ষয়িষ্ণু সমাজের প্রতিচ্ছবি ।
মুল কন্সেপ্ট এর সাথে রুপক আর উদাহরনের সাদৃশ স্থাপনে আপনি ভাই বস । আরো কথা আছে । পরের কমেন্টে খাইয়া আইসা লেখুম ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে ফাহাদ। তোমার কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো।
২৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৮
অমিত চক্রবর্তী বলেছেন:
এইখানে মানুষ মরে গেছে।তাদের মৃত্যুকালে সেই নাবালিকার বয়স ছিল ২ বছর ৯ মাস।
আমার খালি খুন করতে ইচ্ছা করে কিন্তু নিজেকে ছাড়া আর কাউকে খুন করার ক্ষমতা আমার নাই।
এইটার জন্য আপনারে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ ছিল কিন্তু দিলাম না।ভালো থাকেন ভাইজান,আসেন এট লিস্ট এক্টিং করি ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই ঘটনাগুলো ধারণ করে বেঁচে থাকা সম্ভব না। ভাগ্যিস ভুলে যাওয়ার ক্ষমতা আছে মানুষের!
২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৬
মনজু মজুমদার বলেছেন: হুম..লিখেছিলাম মেলা আগে !
-----------------------------------------------------------------------------------
"আর শুনুন, সবার নখ থাকতে নেই। সবার আঁচড় কাটার অধিকার নেই। কেউ কেউ থাকবে শুধু আক্রান্ত হবার জন্যে। আপনি এবং আপনার মেয়ে তাদেরই দলে। আমাদের মহামান্য দেখভালকারী এমনটাই বলেছেন"
-----------------------------------------------------------------------------------
এই লাইনগুলা খুব ভাল্লাগছে হা.মা ভাই!
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মনজু ভাই। কবিতাটার জন্যে আরেকবার ধন্যবাদ।
২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:১৪
সাগর রহমান বলেছেন: একটা চমৎকার বা মহান সৃষ্টি আমি আমার ভেতরে বুঝি, যখন দেখি সেই সৃষ্টিটি দেখে/পড়ে আমার ভেতরেও ঝনঝনিয়ে উঠে কিছু সৃষ্টি করার ; নিজের অক্ষমতা জানা আছে ; তথাপিও।
আজকের লেখাটি সর্ম্পকে আমার সাময়িক মূল্যায়ন এমন করে বলি।
এমন এক ঘটনাকে নিয়ে লিখলেন, আমি যার সংবাদ টি পুরো পড়তে পারিনি। খালি কান্না পেয়েছে। আমার পৃথিবী ভরে গেছে এক অবোধ কন্যার শুধু ব্যথা বোঝার হাহাকারে...
কয়েকটা হাস্যকর শব্দে বলি: চমৎকার, সত্যিই চমৎকার।।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে......ঠাঁকুরগাওয়ে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত........
৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:১৮
শিরীষ বলেছেন:
আমি প্রথম আলোর রিপোর্টটি সত্যি বলছি পড়তে পারিনি। শুধু হেডিং। বিশ্বাস কর হামা, সারাটা দিন মুখের ভেতরটা তিতো হয়েছিলো। জানোয়ারীর কোন পর্যায়ে আমরা পৌঁছে গেছি তা ভাবতেও ঘৃণা হয়। এধরনের তীব্র satire আর sarcasm আমাদের প্রাপ্য। ভাল লাগলো, সুতীব্র কথাগুলো অনেক ধীর লয়ে ভোঁতা ছুরির মত এই নষ্ট সমাজকে জবাই করলো মনে হোল। ভীষন আবেগ ছাড়া এই শ্লেষ উপস্থাপন করা সম্ভব নয়। স্যালুট ! আর '+' -এ ক্লিক করা মানে এই লেখার মূল বক্তব্যকে সাপোর্ট করা। ঘৃণ্য কোন কিছুকে আস্কারা দেয়া নয়।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে......ঠাঁকুরগাওয়ে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত........ গতকাল আরেকটা ঘটনা পড়েছিলাম। ভিকারুননেসা স্কুলের একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সেটার সিডি বাবা-মা'র কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলো শুয়োররা। ভাবতে পারো! কিভাবে করে ওরা এগুলো! কি অবিশ্বাস্য নিষ্ঠুর একটা জগত! কি অবিশ্বাস্য!
৩১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৫
নৈশচারী বলেছেন: এই যে দেখলানা, গল্প লিখে শিল্পিত প্রতিবাদ জানিয়ে সবার বাহবা কুড়োচ্ছি! এই'ই বলার, এই'ই করার। - সত্যি করে বললে এটা আসলে কিছু করার পর্যায়েই পড়ে না, তাই বলার মত কিছু থাকেও না। আর আমার নির্বাক হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আজকে ঘটেনি আমার যখন ১২-১৩ বছর বয়স তখন এইরকমই কিছু ভয়াবহ ঘটনার বিবরণ পড়ে ও শুনে আমি আক্ষরিকভাবেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম এবং অনেকদিন পর্যন্ত সেটার প্রভাব আমি কাটিয়ে উঠতে পারিনি
এখন আমি এই ঘটনাগুলি দেখলে এড়িয়ে যাই কারণ ওই সময়ের পর থেকে আমি পুরোপুরি নির্বাক হয়ে গেছি। কিন্তু আজকে অনেকদিন পর ওই বাচ্চাটার কথা শুনে মনে হলো একবার পড়ে দেখি আমার কোনো অনূভুতি হয় কিনা। নতুবা মানুষ হিসাবে আমার অনেক আগেই মৃত্যু ঘটেছে
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি আসলে ঐ কথাগুলো বলেছিলাম নিজেকে এবং আর সবাইকে বিদ্রুপ করে। সেটাইতো! এইগুলোই করব, আর বলব....সাহিত্য মাহিত্য ছুড়ে ফেলে খুনী হয়ে যেতে ইচ্ছে হয় মাঝেমধ্যে। কিন্তু না..কালকে আমাকে অফিসে যেতে হবে। সময় কাটানোর জন্যে পেপার পড়ব। আর এসব ঘটনা দেখতেই থাকবো।
এই ঘটনাগুলো ধারণ করে বেঁচে থাকা সম্ভব না। ভাগ্যিস ভুলে যাওয়ার ক্ষমতা আছে মানুষের!
৩২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৩২
হোরাস্ বলেছেন: নেইলকাটারের দোকানের বদলে এখন মনে হয় গিলোটিনের দোকান দেয়ার সময় হইছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ কি যে বলেন! নেইলকাটার দিয়ে নখ ধারালো করতে থাকেন। জঙ্গলে বেঁচে থাকতে হলে নখ ধারালো হওয়া জরুরী।
৩৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৩৩
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: শুয়োরগুলার পিছনে মাকলা বাশ দিয়া ক্রমাগত ধর্ষণ করা হোক, ওদের পশ্চাতদেশ রক্তাক্ত করা হোক। তাপররে ঐগুলারে দড়ি দিয়া ঝুলাইয়া একটু একটু করে এসিডে চুবাইয়া যন্ত্রণা দিয়া মারা হোক। যন্ত্রণায় অজ্ঞান হইলে ওদের শক দিয়া জাগানি হোক। নরকযন্ত্রণা ওরা এই পৃথিবীতেই ভোগ কইরা যাক।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: বলেন..আরো বলেন..মনের ঝাল মিটান..এ ছাড়া কি আছে করার!!
৩৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৩৫
নস্টালজিক বলেছেন: বিষাদ বিস্ময়!
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিষাদ কখনও খুব উপভোগ্য, কিন্তু কখনও বিষাদ খুব বিস্বাদ হয়ে যায়।
৩৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ডাবল +
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:২০
জুন বলেছেন: বর্তমানে কি এক ভয়ংকর অবস্হার মধ্যে দিয়ে যে আমরা যাচ্ছি তা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন হাসান।
আপনি একজন বড় মাপের লেখক, আমার বলা শোভা পায়না তবুও বলিঃ আর একটু সংক্ষিপ্ত করলে পারতেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ, জুন। আসলে ব্লগের জন্যে লিখতে গেলে একটু সংক্ষেপেই লিখতে হয়, নাহলে পাঠক ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে, এটা জানি। কিন্তু এই লেখাটা আমি ব্লগের কথা মাথায় রেখে লিখিনি। যতটুক লেখা দরকার মনে করেছি ততটুক লিখেছি। পাঠকের কাছে যদি কোন অংশ আরোপিত বা বাহুল্য বলে মনে হয়, সেটা আমার ব্যর্থতা।
৩৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:৩৬
রাজসোহান বলেছেন: বস গতকাল ঐটা জানার পর খুব আপসেট ছিলাম, বিশেষ করে যখন ঐ লাইনটা পড়লাম
ব্যতা করে গো মা, ব্যতা করে!
বিশ্বাস করেন কানে খুব জোড়ে বেজেছিল,
শুয়োরের বাচ্চা রে পাইলে জঘন্য ভাবে খুন করতাম।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবারই একই অনুভূতি..কিছু কিছু মানুষ কিভাবে যে এত অমানুষ হতে পারে!
৩৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১১
ভাঙ্গন বলেছেন:
আমাদের মানবিকতার নিম্নগামী পারদ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! এত সীমাহীন পাষন্ড আর মানুষখেকো হয়ে উঠছি আমরা সভ্য মানুষেরা। ভিতরের পশুত্ব এত প্রবল মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে যে নিজেকে আসলেই আজকাল নখবাজ নরখাদকই মনে হয়।
'' আমার নপুংসক বিশ্বাসের নীল দেয়াল
ভেঙ্গে যায় সশব্দে।
ব্র্যাকেটবন্দী শস্যাগারে
প্রতিদিন জমা হয় ক্ষোভের ধনলিপ্সা।
নিভে যাওয়া আগুনের উত্তাপ
ঢেলে নিই চোখের ভেতর।
তবু জ্বলে উঠতে পারি না।
কী ভীষণ অস্থির পারিপার্শ্বিক জগত।''
...............
আপনার গল্পের মাধ্যমে ফুটে ওঠা যাবতীয় ক্ষোভ আর প্রতিবাদ আমাকেও সহগামী করে। আমাদের নখরবাজির সমাজে সারমেয় শ্রেণীর নিম্নপদস্থ এইসব হায়েনাগুলোর মুখে থু থু ছিটাই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থু থু ছেটানো..বা আরো কিছু..বাস্তবে করতে পারলে শান্তি পেতাম। কিন্তু কাগুজে প্রতিবাদ ছাড়া আর করার কিচ্ছু নেই.......আমাদের নখ নেই।
৩৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৩৩
সুবিদ্ বলেছেন: লেখাটা আসলেই খুব ঝরঝরে হইছে.......আমার তো একদমই বড় মনে হয়নাই.......
একটা পর্যায়ে বমি বমি ভাব হচ্ছিল.......খুব ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হয় মাঝে মাঝে নিজেকে, মানুষগোত্রে জন্মাতে হয়েছে বলে
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষ হল সৃষ্টির সেরা জীব। ধিক্কার দিবা কেন!
বড় লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ!
৪০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৭
সকাল রয় বলেছেন:
কদ্দিন ধরে পত্রিকায়
জানোয়ার রচনা পড়ে পড়ে মনটা বিষিয়ে আছে।
আমি তাই মাথা তুলবার মতো সাহস পাচ্ছিনা কেননা কিছু একটা ঘটে গেছে আমার পাশ দিয়ে .................
গল্পটা পড়বার পর এখন আরো বাড়ছে
লেখার ষ্টাইলটা ভালো লাগলো ,,,,,,,,,,,,, আমি মাথা খাটাতে পারি না আজকাল নয়তো
ইচ্ছে ছিলো ।
কবি ভালো লাগলো ..................
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল। তোমার তিন পর্বের গল্পটাও পড়া হয়ে উঠছেনা আমার। সময় পাইনা, মনোযোগ পাইনা। তবে একদিন সময় করে পড়ে নেব নিশ্চয়ই।
৪১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪১
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: তোমার অহেতুক আবজাব লেখার মাঝে এটা একটা মহা আবজাব গদ্য। উপস্থাপনা চমৎকার। তিন বছরের বাচ্চাটার আকুতি বুকে গাঁথে আর সেই সাথে গল্প কথকের আপেক্ষিক নির্লিপ্ততা বর্তমান সময়ে আমাদের কাপুরুষ, নপুংশক সমাজ ব্যাবস্স্থাকে রিপ্রেজেন্ট করছে ভয়াবহ ভাবে।
কি বলবো নিজেকে ধিক্কার।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার অহেতুক আবজাব লেখা! আচ্ছা যাই হোক, এটা নিয়ে অন্যখানে কথা হবে। তবে একটা জিনিস খুব ভালো ধরেছো, আমি আমার গল্পে সবকিছুই নির্লিপ্তভাবে বলার চেষ্টা করি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। গল্পের কথা আর কি বলব, আমরা তো আসলে তাই'ই!
৪২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৩
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:
ওহে হামা আমার বক্তব্য ভুল বুঝলা... আমার প্রিয় পোস্টের তালিকা দেইখা আইসো
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: তুমি আমার কবিতা বেশি পছন্দ কর এটা জানি। যদি আরো বেশি কবিতা লিখতে পারতাম! গল্পগুলোর মধ্যে এটাই মনে হয় প্রথম প্রিয়তে নিলা।
৪৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩৮
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন বলেছেন: Y-ক্রোমজম, দুনিয়ার অধিকাংশ সমস্যার গোড়া।
প্রচন্ড ধারালো একটা গল্প। পড়ে একই সাথে তীব্র ক্রোধ এবং লজ্জার অনুভূতি পাচ্ছি।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই বলসো। জাফর ইকবালের একটা গল্প আছে এ নিয়ে।
৪৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪১
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: পুরাই ভিন্ন ধাচ। ++
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, এবার একটু চেষ্টা করেছি ভিন্নতা আনতে। তবে ফরম্যাটে না, থিমে।
৪৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫৩
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন বলেছেন: হ্যাঁ, ভবিষ্যত থেকে এক মেয়ে আসে মূল চরিত্রের কাছে। গল্পটা মনে পড়েছে।
জাফর ইকবাল স্যারের প্রথম দিকের ছোটগল্পগুলো ডেঞ্জারাস ছিলো!!
মানুষের বাচ্চা(শিওর না), নুরুল ও তার নোটবই.........এই গল্পগুলো সেইরকম। এখন যে কি ল্যাখেন!!
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: বইটার নাম হল ছেলেমানুষী। আরেকটা অসাধারণ ছোটগল্পের বই "একজন দূর্বল মানুষ"। এখনকার লেখাগুলো পড়তে আগ্রহ পাইনা। "রাশা" বিছানার পাশে পড়ে আছে অনেকদিন ধরে। কয়েকপাতা পড়ার পর আর ভালো লাগতেসেনা। একটু ন্যাকামি টাইপ লেখা।
৪৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৭
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন বলেছেন: তবে উনার লেভেলে সাই-ফাই বাংলা ভাষায় আর কেউ লিখে নাই। অবশ্য উনার গত ৩/৪ বছরের লেখা পড়া হয় নাই। আমি সাই-ফাই পড়ি হাল্কা পাতলা, এখন Gregory Benford এর Timescape পড়ার চেষ্টা করতেছি। মাথা খারাপ। ৩০% ফিকশান, তো ৭০% সায়েন্স!!!
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাই-ফাই চিনসিই তো উনার বই পৈড়া। খুবই ভালো লাগতো। এখনকার কিছু পড়সি। ফালতু!
৪৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বারবার ঘুরে ঘুরে আসলাম, বারবার পড়লাম। কিন্তু কিছুই বলতে পারছি না।
আমরা আর কবে মানুষ হবো! আর কত দেরি??
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাকে করছেন এই প্রশ্ন! জানিনা উত্তর। আসলে মানুষের মধ্যেকার পশুপ্রবৃত্তি কখনই দূর হবেনা। আমাদের দেখতেই হবে এসব..সয়ে যেতে হবে....
৪৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৩১
শায়মা বলেছেন: মিনিংটা কঠিন। মানে আমার জন্য বুঝতে বেশ কঠিন।
তবে পেরেক চিত্রটা প্রথমে দেখেই আমি মুগ্ধ হলাম।
নখবাজী একটু হিংস্র টাইপের গল্প। বিশেষ করে তিন বছরের মেয়েটার আঙ্গুলগুলো কেটে দেওয়া একদমই ঠিক হয়নি। খুব কষ্ট পেয়েছি। বিরক্তও হয়েছি খুব। এমন ভয়াবহ হিংস্রতা কেনো?
সে যাইহোক, পেরেক চিত্রের কথায় আসি। ঠিক যেন নৃত্যরত দুটো মানব মানবী।একজন অন্যজনের দিকে তাকিয়ে আছে। মুখোমুখি।
আবার যেন একটি লতানো গাছ। অথবা জ্যোসনামুখর রাতে একজোড়া সর্প সর্পিণী। একজনের ডাকে আরেকজন উঠে এসেছে। ভুতল ফেঁড়ে।
আবার গল্পে আসি। অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়লাম লেখাটা। নেইলকাটার ব্যবসাটার ভাবনা সত্যি প্রশংসনীয়।
দিনে দিনে যা সব অদৃশ্য নখর দন্ত গজিয়ে উঠছে মানুষের।
তবে সেটা পুঁজি করে আবার নখর ধারালীকরণ ব্যাবসার চিন্তা ভাবনা কেনো?
বরং তাদের নখগুলো গোড়া থেকেই তো উপড়ে ফেলর বুদ্ধি বের করা উচিৎ ছিলো।
তবে কুকুরের সাথে সমাজে মানুষ মুখোশধারী কিছু মানুষের তুলনা মজার লেগেছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে কি উচিৎ বা কি অনুচিৎ সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্ব তো গল্পের নয়। এই যে আপনি বললেন, দিনে দিনে যা সব অদৃশ্য নখর দন্ত গজিয়ে উঠছে মানুষের-এটাই তো গল্পের মূলকথা। এটাকে মেনে নিয়েই তো আমাদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে।
ছবিটার ব্যাপারে..ঐভাবে ভাবিনাই। আমার মনে হয়েছে যে, মানুষের বিবেক, মানবিকতা সব পেরেকের মত শক্ত এবং ভয়ংকর হয়ে উঠেছে, যা আঁচড়ে দিতে পারে যে কাউকেই।
৪৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৬
সোমহেপি বলেছেন: সোকেসে
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকবেন সোমহেপি।
৫০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫
তারার হাসি বলেছেন:
প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার মত শক্তি নেই।
মনে শুধু ক্ষোভ ...
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকবেন তারার হাসি।
৫১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫
শায়মা বলেছেন: ছবিটার ব্যাপারে..ঐভাবে ভাবিনাই। আমার মনে হয়েছে যে, মানুষের বিবেক, মানবিকতা সব পেরেকের মত শক্ত এবং ভয়ংকর হয়ে উঠেছে, যা আঁচড়ে দিতে পারে যে কাউকেই।
বাপরে ! কঠিন ভাবনার মানুষেরা এমনি সব কঠিন করে ভাবতেপারে। আমার কাছ্বে পেরেক দুটো শুধুই নৃত্যরতা দুজন মানব মানবী।
আপনার ভাবনাটার সাথে মিলাতে গেলে পেরেকদুটোর এমন নমনীয় শরীরের আদলের বদলে তা হতে হত দৃঢ় ও রিজু( বানান লিখতে পারছিনা)।
যাইহোক বেশী মাতবরী হয়ে গেলে নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।
লিখতে গেলে আমি আবার বেশী বাচলামী করি।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পে নৃত্যরতা মানব মানবীর কথা ভাবেন কিভাবে! কোন সম্পর্কই তো নাই। আপনি মনে হয় নাচ খুব ভালোবাসেন। ঋজুর বদলে কেন নমনীয় পেরেক দিলাম তারও ব্যাখ্যা দেয়া যায়, কিন্তু তা প্যাঁচানো হয়ে যাবে। আপনার কথাও অবশ্য ঠিক আছে..আসলে যুৎসই ছবি খুঁজে পাচ্ছিলামনা গল্পটার জন্যে।
ফোনেটিকে "ঋ" লিখতে হলে WR লিখুন।
৫২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৩০
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
নেইলকার্টার
ভালো লাগলো
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: নেইলকাটার, লাগবে নাকি সকাল? শুভকামনা।
৫৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৭
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: আবারও পড়লাম মনোযোগ দিয়ে। অসম্ভব মিনিংফুল হইসে লেখাটা। কষ্ট হয় পড়তে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখায় শকিং ভাব কম রাখার চেষ্টা করসি। কিন্তু ঘটনাগুলো, বিশেষ করে শেষেরটা এত ভয়াবহ, যে নির্লিপ্ত ভাবে বলে গেলেও পড়তে কষ্ট হয়।
৫৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪২
সন্ধ্যেরখাতাথেকে বলেছেন: কিছু কিছু লেখার কোনো মন্তব্যের সাহস করা পাগলামি।লেখা আর অন্য মন্তব্য পড়ে বুঝলাম যে কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখাটি...
সংবাদের লিঙ্ক টি দেবেন সহৃদয় কেউ??
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: তিনটি ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা। প্রথম দুটো দিতে পারছিনা আপাতত। শেষেরটা,
Click This Link
৫৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৭
প্রবাসী রনি বলেছেন: বউচ নতুন পোষ্ট দিয়েছি একটু দেখবেন আপনার কাছ থেকে গঠন মুলক মন্তব্য আশা করি।
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখবো। এমনিতেই দেখতাম লিঙ্ক না দিলেও।
৫৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১০
পাথুরে বলেছেন:
মেইট, কি বলবো? লেখাটা পড়ে আবারো মনে পরলো...
মাঝে মাঝে লজ্জাই হয় মানুষ হয়ে..
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইখানে মানুষ মরে গেছে। তাদের মৃত্যুকালে সেই নাবালিকার বয়স ছিল ২ বছর ৯ মাস।
________অমিত
৫৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২১
মনির হাসান বলেছেন: মানুষও একপ্রকার পশু ... পার্থক্য এটুকু যে পশুরা তার চরিত্র বদলাতে পারেনা । আর মানুষ নিত্য নতুন পশুর চরিত্রে নিজেকে বদলে নিতে পারে ।
লেখায়, মন্তব্যে তোমার যে নির্লিপ্ততা'টা ... সেটার চে সময়োপযোগি প্রতিবাদ আর কি হতে পারে সেটাই ভাবছি।
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: নির্লিপ্ততা..এটা কি প্রতিবাদ নাকি অভিযোজন প্রক্রিয়া তাই ভাবছি মনির ভাই!
৫৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৩৫
মনির হাসান বলেছেন: অভিযোজিত হতে হতে সৌজন্য প্রতিবাদ ... হা হা হা হা ... হতে পারে। আমারও একি অবস্থা।
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এ ছাড়া আর কি করার বলেন!
৫৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৮
সন্ধ্যেরখাতাথেকে বলেছেন: কি বলি......তৃতীয় বিশ্বে সবচেয়ে অভিশপ্ত জীবন কাটায় শিশুরা......শিশু কন্যাদের অভিশাপ আরও বেশি...
ভীষণ লজ্জা হয়......খাবার-শিক্ষা নাই দিতে পারি।।সামাজিক নিরাপত্তা টুকুও কি দিতে পারব না কোনোদিন???????
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: জানিনা....
৬০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫
আলিম আল রাজি বলেছেন: হাসান ভাই.... অসাধারণ লেখা! প্লাস দিতে আসলেই লজ্জা লাগছে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা, রাজি।
৬১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৪২
আলিম আল রাজি বলেছেন: হাসান ভাই, এটাই আপনার প্রথম লেখা যেটা প্রথমবার পড়েই বুঝতে পেরেছি। বুদ্ধি সুদ্ধি কি বেড়ে গেলো নাকি আজকাল???
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অভিনন্দন!
৬২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫২
সুবিদ্ বলেছেন: এই যে তুমি বললা না যে আমরা অভিজোযিত হয়ে যাইতেছি........এইরকম ভাবনা সেরা জীব না হইলে ভাবতে পারতা??
আরে সেরা তো সবদিকেই সেরা.......ভালো দিকেও, শয়তানিতেও আর ভন্ডামিতেও
গল্পটা আবার পড়লাম........
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেরা তো সবদিকেই সেরা.......ভালো দিকেও, শয়তানিতেও আর ভন্ডামিতেও........
এটা ঠিক।
৬৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৪
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: লেখার সাথে ছবিটা ও আপনার ভাবনা সব ঠিক আছে।
এমন ছবি দেওয়া উচিৎ যা থেকে একেক জন পাঠক একেক রকম তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, আর তাহাই জ্ঞান চর্চা। পাঠক যতই বিচক্ষণ হোক না কেনো লেখক একটু কিপটেই থাকে, সব কিছু সবার দরজায় ঢেলে দেয়না, এবং তা দেওয়া উচিৎ ও নয়।
হাসান ভাই আজকে আমাদের একদম তার চেনা জগতের বাইরে ভিন্ন একটা জগতে নিয়ে এসেছেন, এবং এটাই আপনার সৃষ্টির সফলতা।
অসাধারণ
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্যে, ভালো থাকুন।
৬৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৩
েভােরর স্বপ্ন বলেছেন: +
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকিস।
৬৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০১
তাসবির বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়তে আসলাম । লেখা পড়ে নির্বাক হয়ে গেলাম । কিছুই বলার নেই । ভাবনা আর লেখা অসাধারন হয়েছে বরাবরের মতই। ভালো থাকবেন
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন। অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।
৬৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৭
সায়েম মুন বলেছেন: এমন সময়ে পোষ্ট চোখে পড়লো-----যখন ঘুমঘরে যাইযাই ভাব
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পোস্টতো থাকছেই, পরে পড়ে নিয়েন, এবং জানিয়েন। শুভরাত্রি।
৬৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:৪৩
স্বপ্নকথক বলেছেন: লা জওয়াব। চোখ বেয়ে আবার দুফোঁটা নামলো, তখনো নেমেছিলো।
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি যথাসম্ভব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে লিখেছি। আমাদের নির্লিপ্ত থাকার শিক্ষাটা জরুরী হয়ে পড়েছে।
৬৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:০৩
কঁাকন বলেছেন: ভালো লাগলো হামা
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কাঁকন।
৬৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২৬
আদনান০৫০৫ বলেছেন: আপনার এই গল্প পড়ে Anton Szandon Lavey-র একটা ডায়লগ দিতে ইচ্ছা হলো-"Man is just another animal,sometimes better, more often worse than those who walks on all fours, who because of his divine spiritual & intellectual development, has become the most vicious animal of all." ভাব নিতে না , এম্নেই দিলাম।
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ডায়লগটা জানা ছিলোনা। Anton Szandon সাহেব ভালো বলেছেন।
৭০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪০
এম এস সোহেল বলেছেন: লেখাটায় খুব বেশি সময় নেয়া হয়নি আপনার, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার ক্ষোভের ফসল।
ভালো লাগলো খুব
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:১৩
প্রাকৃত বলেছেন: আগের গল্পে মেঘুআপার মন্তব্য মাথায় জমা ছিল বলেই এ গল্পটা পড়েছি অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে।আপাতত নিজেকে সফল মনেহচ্ছে। তবে এটার পর্দা একটু হালকাই মনেহল। আমার মত পাঠকের জন্যে ভালই
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আগের গল্পটা একটু বেশিই দুর্বোধ্য ছিলো অনেকে বলেছে। এবারে মনে হয় তা হয়নি।
৭২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১২
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: কবে যে আপনার লেখার মন্তব্য করার যোগ্য হতে পারব!
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব কি কথা! ভালো থাকো।
৭৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬
আলম িসিিদ্দকী বলেছেন: আপনার লেখা সবসময় ভালো। আজকের টাও ভালো। ভালো থাকবেন।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।
৭৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: আসলে ভাল লাগে তাই শুধু দায় সারা মন্তব্য [ভাল লাগল/ প্লাস/চালিয়ে যান এই রকম] করতে খারাপ লাগে। সব সময় চেষ্টা করি লেখাটার মত করে মন্তব্য করতে। কিন্তু আমার কথা গুলো অনেক হালকা হয়ে যায়। তাই অনেক লেখায় মন্তব্য করতে দেরি করি বা করতে পারি না।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই সমস্যা আমারও। আমিও অনেক ভালো লাগা লেখাতে খুব ভালো লাগলো, চমৎকার এই জাতীয় মন্তব্য করি। ভালো লাগাটাকে ঠিক প্রকাশ করতে পারিনা..
৭৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৭
অসময়ের আমি বলেছেন: লাস্ট পেলাচ
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৭৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:১৮
সায়েম মুন বলেছেন: ভাল প্লট এবং নখবাজির মাধ্যমে উপস্থাপন চমৎকার হয়েছে।
দিনদিন নখবাজি বেড়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছি আমরা সমাজসুদ্ধ। এসব নখবাজদের নখ নয় পুরো আঙ্গুল কেঁটে সাফাসাফা করার জন্য ভোঁতা যন্ত্রপাতি দরকার যা দিয়ে কাঁটবে না সহজে --আঙ্গুল কাঁটা হবে দীর্ঘায়িত।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
একমত।
৭৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৮
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো খুব।++++++++++++++++
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৭
জুন বলেছেন: শুভ নববর্ষ হাসান ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।
৭৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৫৯
সাগর রহমান বলেছেন: শুভ নববর্ষ।।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ। নতুন বছরে সব অশুভের পরাজয় হোক।
৮০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:৫১
সায়েম মুন বলেছেন:
পান্তা খাইলে ঘুমটা ভালই হবে তাই রাতেই শুরু করলাম খাওয়া।
হামা ভাই পান্তা কখনও খান্নি?
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: খাইনাই কখনও।
৮১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:৫৫
সায়েম মুন বলেছেন:
টপিক অফের চাকা এখনও ঘুরে- তাই ভাবলাম এখানে লিখে ঐখানে পেষ্ট মারি কিন্তু ভুলে এখানেই পেস্ট মারলাম! উপরের কমেন্ট টা দুই পোষ্টেই থাকলো ইচ্ছে করলে রাখতে পারেন আবার ডিলিটও মারতে পারেন!
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থাকুক না, সমস্যা নাই।
৮২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:১৪
করবি বলেছেন: শুভ নববর্ষ ...............
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ। নতুন বছরে সকল অশুভের পরাজয় হোক।
৮৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:২৪
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ। নতুন বছরে সকল অশুভের পরাজয় হোক।
৮৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৫৬
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ আপা। নতুন বছরে সকল অশুভের পরাজয় হোক।
৮৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫২
আকাশনীল বলেছেন: লেখাটা ভীষন লেগেছে হামা ভাই
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা, নীল।
৮৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছিনা, এমন লেখাগুলো বুকের ভিতর বর্শার মত গিয়ে বিঁধে। সমাজের অন্ধকার দিকগুলো এভাবেই ফুঁটে উঠুক তোমার লেখনিতে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এই ঢেউগুলোই এক একদিন প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি করবে, দেখেনিও। শুভেচ্ছা রইলো।
ও! শুভ নববর্ষ।
আমাকে আবার প্রতিউত্তরে "শুভ নববর্ষ" জানাইও না, অলরেডি ঝাড়ি খাইয়া ফালাইছি, বছরের প্রথম দিনেই ... ... ... অবশ্য ঝাড়ি খাওয়ার কারন বুঝতে পারি নাই, সারাসকাল টোঁ টোঁ করে ঘুরেফিরে ক্লান্ত, আর এই সময় ফোন দিসি বইলা খাইলাম, না কী ফোন দিতে কেন এত দেরি হইলো সেই কারনে খাইলাম
.....
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিবাহনামার পরের পর্ব লেখার সময় হয়ে এসেছে দেবদূত ভাই! আর শুভ নববর্ষ জানাবোনা, এটা কি বলেন! শুভ নববর্ষ। নতুন বছরে সকল অশুভের পরাজয় হোক।
৮৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২৩
বৈরী হাওয়া বলেছেন: হ্যাঁ। এইবার প্লাস।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইবার বা আগেরবার....বুঝলামনা। যাই হোক, ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ। নতুন বছরে সকল অশুভের পরাজয় হোক।
৮৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৫
রুবাইয়্যাত বলেছেন:
শুভ নববর্ষ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ। নতুন বছরে সকল অশুভের পরাজয় হোক।
আপনার পোস্টগুলা ফিরায় আনলে খুশী হতাম।
৮৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫১
প্রবাসী রনি বলেছেন: শুভ নববর্ষ বৎসরের প্রথম রাত হোক আপনার জীবনের সেরা একাকীত্বের শেষ রাত। আর যেন একাকী জীবন আপনাকে কষ্ট না দেয়, আর যেন কোন অশূভ শক্তি আপনার হাতকে থামিয়ে না দেয়। সুন্দর সুখময়, আনন্দগন উজ্জল, প্রানচঞ্চল জীবনের কামনায় এক ক্ষুদ্র বিবেকতাড়িত আবেগ >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> ???
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো। ভালো থাকুন। অনেক শুভেচ্ছা।
৯০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫১
সন্যাসী বলেছেন: পড়লাম। ভালও লাগল। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার + বা - এর কোন জায়গা নেই। একী কেবল আমার ক্ষেত্রে? তাহলে ৫১টা + আসল কীভাবে?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সামুতে ইদানীং একটা সমস্যা হয়েছে যে, পুরো পেজ লোড না হলে রেটিং এর বাটন আসেনা। প্লাসের দরকার নেই। আপনি পড়েছেন, এবং আপনার ভালো লেগেছে এজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।
৯১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০২
প্রতীক্ষা বলেছেন: ৫২!!
শুভ শুভ শুভ নব নব নব বর্ষ!!!!!!
নখ! নেইল কাটার! আর পরিশেষে পুরো ঘটনা সবকিছুর সাথে
অনেক কষ্ট স্মৃতি লুকিয়ে আছে!
লেখা পড়িনি!
+
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ। সময় পেলে লেখাটা পড়ে নিয়েন। শুভেচ্ছা।
৯২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:২৭
রুবাইয়্যাত বলেছেন: তখন পোস্টটা পড়িনি। এখন মাত্র পড়লাম। নিজের চিন্তাভাবনার স্তর কতটুকু নিচে বুঝতে পেরে খারাপ লাগল, তিনবার পড়লাম, তারপরও সমস্যা। বোঝার চেষ্টা করছি, না পারলে হেল্প কইরেন।
অটঃ
উপরে একটা ভিডিও দিছিলাম, দেখা যাইতেছে না।
এই গানটা সম্পর্কে কিছু বলবেন?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে গল্পটা তিনটা সত্য বিভৎস ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা। ঘটনাগুলোর কথা মনে রাখলে বোঝা খুব একটু কঠিন না। আর আপনি যে "সুইট হোম" প্রিয়তে নিয়েছেন, তার চেয়ে অনেক সহজ গল্প এটা। আর গল্প সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় করবেন।
গানটা আমার খুব প্রিয়। চন্দ্রবিন্দুর অসাধারণ একটা গান। ভিডিওটাও বেশ ভালো লেগেছে। ইউটিউবে কমেন্টও করে এসেছি। আপনার বানানো নাকি?
৯৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:১৬
নুরুন নেসা বেগম বলেছেন: কে যে কখন কোথায় দাঁত, নখের ব্যবহার করে বোঝা মুস্কিল! লেখাটা ভাল হয়েছে অনেক, কারন, পড়ে মনটা খারাপ হয়েছে। শুভকামনা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার ব্লগে স্বাগতম। মন খারাপ করা কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে..সেসবের ছোবল থেকে সবাই যেন দূরে থাকে এই প্রার্থনা করি।
৯৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৭
সিনসিয়ার বলেছেন: আমি অভিভুত - কনন্টের ভয়াবহ বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরে !!!
এতো সহজ ভঙ্গি এবং ভাষায় এতোটা বাস্তব ধরার প্রয়াশ দুঃসাহসী প্রচেষ্টা নিশ্চই...
এই ভয়ংকর গল্পের থিম এলো কি করে আপনার মাথায়?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পের থিম....মাথায় না এসে উপায় ছিলোনা। হয়তোবা লিখতে চেয়েছিলাম অন্যকিছু, কিন্তু অনিবার্যভাবে সাম্প্রতিক কদর্য বাস্তব উঠেই এলো। ভালো থাকবেন।
৯৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৫৩
স্তব্ধতা' বলেছেন: হা ঈশ্বর, এ আপনি কি লিখেছেন? সব মন্তব্য পড়ার সুযোগ হয়নি, কয়েকটি মন্তব্য পড়ে বুঝলাম কোন সত্য ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা।কিন্তু আমি বলবো আপনার এই লেখা কোন একটি ঘটনা নয় বরং আমাদের সমগ্র অসাড়তার মূলে ও হিংস্রতার উত্থানে এক দলা থুথু।অসাধারণ। হিংস্রতায় আমাদের উথ্থানে নখের এলিগরি, ও মানুষ হিসেবে ইতর শ্রেণীর প্রাণীতে আমাদের পতন, নেইল কাটার এর আইডিয়া, রেডিওর মিউজিক, টিভির প্রোগ্রাম....সব মিলিয়ে অসাধারন এক গাঁথুনী।লেখাটা কেনো আমার চোখে আগে পড়লোনা তাই নিয়ে এখন আফসোস হচ্ছে।অনেক ধন্যবাদ হামা। অনেক দিন পড় ব্লগে একটা লেখা পড়ে মনে হলো সত্যিকারের সাহিত্য কর্ম।প্রায় তেরো বছর আগে একটা লিটল ম্যাগে অমল আকাশ নামে একজনের একটা রুপক গল্প পড়েছিলাম।নামটা মনে নেই।আপনার লেখাটা পড়ে ওর ওই গল্পটার কথা মনে পড়ে গেলো।আবারও অভিবাদন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্য তিনটি ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা। শেষের ঘটনাটি বেশি মর্মান্তিক। ওটা নিয়ে আর কিছু না বলি..
রেডিও আর টেলিভিশনের পরাবাস্তব ব্যবহার সার্থক মনে হচ্ছে আপনার কমেন্ট পড়ে। একমাত্র আপনিই এ দুটির কথা বললেন। অবশ্য গল্পটি যখন লিখি, তখন সর্বশেষ ঘটনাটি নিয়ে সবাই এত সবাই এতটাই বেদনার্ত ছিলো যে, গল্পের এলিমেন্ট নিয়ে কেউ আলোচনা করতে আগ্রহী হয়নি। খুব রিসেন্ট ঘটনা ছিলোতো সেটা...
আপনাকে ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্যে। সময় সহায় হোক।
৯৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:৩০
ওমর নাসিফ বলেছেন: কবি অমিত চক্রবর্তীর লেখার সাথে সুর মিলিয়ে যে কথাগুলো তার ব্লগে বলেছিলাম, এই প্রেক্ষাপটে এর চেয়ে ভাল আর কিছু বলার ক্ষমতা নেই হাসান ভাই, তাই আবারো বলি-
এইখানে মানুষ মরে গেছে...এইখানে দেবশিশুর রক্ত জ্বেলে অগ্ন্যুৎসব করে উন্মত্ত সারমেয়...এইখানে আজ অনন্ত নিষাদ
অদ্ভুত একটা চিত্রকল্প তৈরী করে গল্প বলায় আপনি সবসময়ই ভাল। তবে এই প্রথম মনে হল যা বলতে চেয়েছেন তা বলতে একটু বেশীই বাক্য ব্যয় করেছেন। অবশ্য তাতে টুপি বিসর্জনে সমস্যা হবে না।
টুপি বিসর্জত হল।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে তিনটা সত্যি ঘটনাকে তুলে ধরতে চেয়েছিলামতো, তাই একটু বড় হয়ে গেছে। প=ড়তিতা ঘটনার জন্যেই আলাদা মনোযোগ ছিলো।
৯৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৭
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: বাস্তবতা বড্ড নষ্টা জিনিস। গল্প অনুভূত হলো।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাস্তবতা নষ্টা জিনিস। অনুভূতিগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে.....
ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৯৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৭
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো, পড়তে পড়তে আমার মনে হচ্ছিল, আমি নিয়মিত কেনো আপনার এ আঙ্গিনায় আসছি না।
এতো নতুন আর এতো তাৎপর্যময়, অনেক ভাল লাগলো, একটা বিয়য় নিয়ে আপনি এতোটা লিখেছেন, কিন্তু একটুও বাড়াবাড়ি মনে হয় নি, কোথাও ঝুলে পড়ে নি।
শেষের দিকে একেবারে বাচ্চা যে মেয়েটি এবং আরেকজন যে আসলো, এখানে আপনার/ দোকানদারের/ কথকের যে সংলাপ খুবই তাৎপর্যময়, এবং গুরুত্বর্পর্ন :
'আপনারতো নখই নেই দেখছি! খামোখাই এসেছেন (নিপিড়িত শ্রেণী)
তার কণ্যার শরীর থেকে টপটপ করে রক্ত ঝরতে থাকে। তার অস্ফুট আর্তনাদ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। আমি যারপরনাই বিরক্ত হই। (বাস্তবতা)
আর শুনুন, সবার নখ থাকতে নেই। সবার আঁচড় কাটার অধিকার নেই। কেউ কেউ থাকবে শুধু আক্রান্ত হবার জন্যে। আপনি এবং আপনার মেয়ে তাদেরই দলে (বাস্তবতা, বৈষম্য)
.............................................
লোকটা বোবাদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে................ ' (নিপিড়িত শ্রেণীর অসহায়তা)
সারা গল্পে, আপনি যখন এখানে মেয়েটির আঙ্গুল কেটে দেন, এখানে আমি বুঝতে পারি নি, আমার মনে হয়েছে দোকানদার মেয়েটির আঙ্গুল কেটে না দিলে ভাল হতো। দোকানদারের যে চরিত্র আমরা দেখি, তাতে আমার মনে হয়েছে সে আঙ্গুল কেটে না দিতে পারে না, এবং সে আঙ্গুল কাটার দলে নয়। হতে পারে, আপনার বা অন্য কারো আঙ্গুল কাটার পক্ষে বক্তব্য থাকতেই পারে।
শুভ কামনা...
১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাশেদীন ভাই। আমার আঙ্গিনায়তো আপনি নিয়মিতই আসেন। আমি তো আর বেশি লিখিনা, এই মাসে একটা দুটো... আপনার বিশ্লেষণাত্বক মন্তব্য আমাকে প্রাণিত করে।
মেয়েটির আঙ্গুল কাটার মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি যে, সে চিরজীবন নখবিহীন হয়েই থাকবে। প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করতে পারবেনা। আর দোকানদার চরিত্রটি তো নখবাজদের যোগান দিয়ে যাচ্ছে, মেয়েটির আঙ্গুল কেটে ফেললে নখবাজদেরই সুবিধা। এটা ঠিক যে,দোকানদার চরিত্রটি নখবাজ ছিলোনা। কিন্তু আমাদের এখানে যে কেউ যখন তখন নখবাজ হয়ে যেতে পারে। নির্মমতা অসীমের দিকে ধাবিত।
পাঠের জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৯৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:২২
ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: দু'বছর আগে ঢাকা মেডিকেলে এইরকম আরেকটা বাচ্চা ভর্তি হয়েছিল। ৪ বছরের মত বয়স। পুলিশ কাছে যেতে দিচ্ছিল না। অনেক অনুনয় বিনয় করে বাচ্চাটার কাছে গিয়েছিলাম। না যাওয়াটাই মনে হয় ভালো ছিল। পুরো শরীর নীল ছিল বাচ্চাটার। শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ব্যন্ডেজ, মাংস খুবলে নেয়া হয়েছিল। বাচ্চাটা মায়ের কোলে ছিল আর মানুয় দেখে ভয় পাচ্ছিল- এমনকি মেয়েদের দেখেও।
কিছু মানবাধিকার সংস্থা নাকি সাহায্য করতে এসেছিল, এদের ভীড়ে আমরা আর দ্বিতীয়বার কাছে ঘেষতে পারি নি, অপরাধিরা ধরা পড়েছিল কি না- পরে এ ব্যাপারে আর কোনো নিউজ পত্রিকায় পাই নি।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এ ধরনের ঘটনা বেশ কবারই ঘটেছে, কিন্তু কারও সাজা হতে দেখলামনা। দেখলে শান্তি পেতাম। এই বাচ্চাগুলো একটা দুঃস্বপ্ন বয়ে বেড়াবে সারাজীবন। কখনও স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারবেনা হয়তো..
১০০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১২
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন:
তুমি আর রাতের আকাশ আমাকে মুগ্ধ করে কখনো
তুমি সবসময়ই নতুন এবং অন্যরকম
১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি এবং রাতের আকাশ.... এর চেয়ে বরং রাতের আকাশ হতাম বরং...আমি হয়ে থাকতে আর ভালো লাগেনা
ভালো থেকো নির্ঝর।
১০১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০১
রিসাত বলেছেন: Click This Link
I request U to make a comment here
১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: কি শুরু করসো এইসব!
১০২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩০
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: নোখের ভেতর থেকে পোকাগুলো বার করে খেয়ে ফেলা বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: পোকা হল বিবেক। এগুলো আমাদের দংশন করে, কিন্তু আমরা অগ্রাহ্য করি।
১০৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২২
সন্যাসী বলেছেন: হামা ভাই, আমার ইয়ার্কি মার্কা কবিতা পোস্টটায় ধ্রুবতারার কমেন্টা একটু দেখুন। আমি সারাদিনে ব্লগে ঢুকিনি, তাই খেয়াল করিনি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওটা নিয়ে পোস্ট এসেছে একটা। Click This Link
১০৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: প্রথম প্যারা পড়েই বুঝেছিলাম,শেষে এসে মাথা ঝাকি দিয়ে উঠলো।আমরা কি শুধু গল্পই বানাবো হামা ভাই?
১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আর কি করতে পারি!
১০৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪০
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: গল্পটা পড়ে চিত্ত বিকল হয়েছে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইখানে মানুষ মরে গেছে...এইখানে দেবশিশুর রক্ত জ্বেলে অগ্ন্যুৎসব করে উন্মত্ত সারমেয়...এইখানে আজ অনন্ত নিষাদ
১০৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৫
পারভেজ বলেছেন: মন্তব্যে কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। মানুষের ভেতরের জান্তবতাটাকে শাস্তি দেয়া উচিত সেইভাবে বিচার করেই। কিছু কিছু পাপ ক্ষমাহীন।
লেখাটা অনেকদিন ভাবাবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকবেন পারভেজ ভাই।
১০৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৩
অগ্নিলা বলেছেন: লজ্জিত!
মাঝে মাঝে ভাবি নিজেকে কোথায় লুকাই?
লেখা খুব ভাল লাগল। আমি ব্লগে নতুন। আপনার লেখার সাথে পরিচিত না। এখন নিয়মিত পড়ব।
ভালো থাকবেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন অগ্নিলা।
১০৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২৩
অগ্নিলা বলেছেন: হামা,
আমার লিখাটা পড়ে খুব এলোমেলো লাগছে।
উপমাগুলো এত মিল!
কুকুর শ্রদ্ধেয়। হায়না আইডল।
ঘুরে ফিরে এ তো আমরাই।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, এ তো আমরাই। আপনার এলোমেলো ভাবটা কাটানোর জন্যে বিষণ্ণতার দ্বারস্থ হতে পারেন। এই কবিতাটি পড়ুন। Click This Link
১০৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: "লোকটা বোবাদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, আর মেয়েটার চিৎকার ক্রমশঃ বেড়ে চলে।
"ব্যতা করে গো মা, ব্যতা করে"..............মাঝে মাঝে খুনি হয়ে উঠতে ইচ্ছা করে....
২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: মাঝে মাঝে খুনি হয়ে উঠতে ইচ্ছা করে..
১১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:৫২
হাম্বা বলেছেন: আমরা আজ আপনাদের উন্নততর সংস্কৃতি অনুকরণ করে পরিশূদ্ধ হচ্ছি, এতে আপনার খুশীই হওয়া উচিত। পরবর্তীতে আমরা সবাই মহামান্য হায়না জাতির সংস্কৃতি অনুসরণ করার কথা ভাবছি।
আমি নখের ভেতর থেকে খাদ্যকণা বের করে ফেলে দিই, আর বেয়াক্কেল পিঁপড়া সহ যাবতীয় কীটপতঙ্গ গুলোকে চেটেপুটে চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি। ব্যাস! আমার নখ পরিস্কার!
ভাই যাই হোক এইটা মনে হয় বুঝতে পারছি।
তাই ডবল +
২১ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ অনুধাবন করতে পেরেছেন। শুভেচ্ছা।
১১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:০৩
দ্রোহি বলেছেন:
মন্তব্যহীন...
২১ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইখানে মানুষ মরে গেছে...
১১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪৬
রোডায়া বলেছেন: অদ্ভুত৷
২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই অদ্ভুত। ধন্যবাদ পরার জন্যে।
১১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৭
পল্লী বাউল বলেছেন: এটা একটা অসাধরণ লেখা। এত টাচি একটা লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই।
একটা ঘটনা বলি - গত কিছু দিন আগে ৮/৯ বছরের একটা মেয়েকে পাওয়া যায় আমাদের হেফাজতে। মেয়েটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম মেয়েটি যে কোন পুরুষ লোককে দেখলেই কেপেঁ কেপেঁ উঠছে। কিছু জিজ্ঞেস করলে কান্না ছাড়া কিছু বলে না।
-------------------------------------------------------------------------------
আপনার এ লেখাটা পড়ে মেয়েটির জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকবেন বাউল ভাই।
১১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩১
মেঘ রোদ্দুর বলেছেন: ভয়ঙ্কর লিখা.........
নখবাজির খবরতো প্রতিদিনই শুনি,দেখি কিন্তু গায়ে লাগে না........লিখাটা আজকে একটু নাড়া দিল মনে হয়,একটু না আসলে অনেকখানিই দিছে
কিন্তু তাতেই বা কি,কালকে থেকে আবার নির্বিকার হয়েই নখবাজি দেখতে থাকব
আসলে কুকুরের মত অভিযোজিত অনেক আগেই হয়ে গেছি
২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, সেটাই। ভালো থাকবেন।
১১৫| ০৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:১৬
তিতাকথা মিঠাকথা বলেছেন: মনির হাসান বলেছেন: মানুষও একপ্রকার পশু ... পার্থক্য এটুকু যে পশুরা তার চরিত্র বদলাতে পারেনা । আর মানুষ নিত্য নতুন পশুর চরিত্রে নিজেকে বদলে নিতে পারে ।
০৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী উনিই যথার্থই বলেছেন। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
১১৬| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ৯:০০
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: লেখাটা আগে পড়া হয় নাই কেন? হাইড করা ছিলো?
এই গল্পটা সবচেয়ে সরাসরি মেসেজ দিছে। তাই অন্য রকম ভালো লাগছে।
হায়রে পাশবিকতা!
আছেন কিরাম?
(আপনার একেক্টা পোস্ট লোড হইতে যেই টাইম লাগে!!!!! ৩০০/৪০০ কমেন্ট )
০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটায় কমেন্ট কম। এটা লোড হৈতে কম সময় লাগার কথা!
১১৭| ০১ লা জুন, ২০১০ দুপুর ১২:২১
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: বস এমন ট্রাকে আসেন কিভাবে ??? স্টানড হইয়া যাই। দারূন গল্প।
অ ট - আপনার লিরিক টা দেখবো কিভাবে ?? লিংক পাই কই ???
০১ লা জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ ঐ লিরিকটা! ঐটার কোন লিংক পাওয়া যাবেনা। আমি লিখেছিলাম অনেক আগে। এখন খুঁজেই হয়তো পাবোনা। কয়েকটা লাইন মনে আছে এরকম,
"হলুদ সবুজ কত রঙ
সোজা বাঁকা কত পথ
মুখোশ আঁটা কত মুখ
সবই আছে
কোনটা তোমার
মতামত"
১১৮| ০৬ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: ভাগ্যিস কত সহজে আমরা সবকিছু ভুলে যেতে পারি, সব ঠিক আছে - এমন একটা বোধ নিয়ে চলতে পারি।আপনার এই লেখাটা তো আছেই, তার সাথে বেগুনবাড়ি আর নিমতলী...............সবকিছু ঊল্টাপাল্টা লাগে
হলুদ সবুজ কত রঙ
সোজা বাঁকা কত পথ
মুখোশ আঁটা কত মুখ
সবই আছে
কোনটা তোমার
মতামত
০৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিরিকটা পাইসি। লাস্টের লাইনগুলো,
লাল-নীল এই পৃথিবী
সাদা-কালো হোক, হতেই পারে
শুধু সাদা থাক আমাদের মন
যেন ভালোবাসা বাঁচতে পারে!
কি মনে করে যে লিখসিলাম নিজেই বুঝতেসিনা এখন!
১১৯| ২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৩৭
মিরাজ is বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর, আর কি বলব বুঝতে পারছিনা ।
প্রিয়তে ।
২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তে নেবার জন্যে।
১২০| ২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৩৯
মিরাজ is বলেছেন: Click This Link
ভাই দেখেন তো কেমন লিখেছি......... চেষ্টা করেছিলাম ।
২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইদানিং ব্লগের অনেক লেখাই মিস হয়ে যাচ্ছে। আগের মত ব্লগ ফলো করতে পারছিনা। দেখছি। ধন্যবাদ।
১২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভালই তো লাগল।
১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
১২২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৩
কাদা মাটি জল বলেছেন: নির্লিপ্ততা দিয়ে যে মানুষকে এতোটা আবেগে ভাসানো যায়, এর আগে কখনো দেখিনি।
আমার পড়া ছোটগল্পের সংখ্যা হয়তো তেমন বেশী না, আবার তেমন কমও না, কিন্তু নির্দ্বিধায় বলি, আপনার এই গল্পটা আমার কাছে সেরাদের একটা। আপনাকে সত্যি পায়ে হাত দিয়ে সালাম করছি।
শুধু যদি এই ভাবটা ধরে রাখতে পারতাম। এই কষ্টগুলো শুধু যদি শক্তি হতে পারতো। সত্যিইতো, পিঁপড়ের মতো বিবেক আমাদের কামড়িয়ে যায়, আমাদের ব্যক্তিগত ঈশ্বর, আমাদের বিবেক, আজ এতোই তুচ্ছ, শক্তিহীন।
আজ লিখলাম, কাল ভুলে যাব। তাইনা?
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই! আমি রাহেলাকে নিয়ে একটা দীর্ঘ কবিতা লিখেছিলাম। ওটা মনে পড়ল এখন।
অনেক ধন্যবাদ! স্বাগতম আমার ব্লগে।
১২৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৫৮
হাঁড়িচাচা বলেছেন: ভাই কি আগুন লেখা লিখছেন। নিজেরেই তো বড় বড় নখওলাবিশিষ্ট জানোয়ার বলে মনে হচ্ছে। এই আমিই তো সব দেখেশুনেও চুপচাপ বসে ওদের নখে শান দেয়ার মছ্ছব দেখতে থাকি। জয়তু নখবাজি।
পোস্টে +।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: জয়তু নখবাজি!
১২৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২২
আহাদিল বলেছেন: এই ঘটনাগুলো ধারণ করে বেঁচে থাকা সম্ভব না। ভাগ্যিস ভুলে যাওয়ার ক্ষমতা আছে মানুষের!
ক্ষুরধার লেখা!!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুলে যান! ধন্যবাদ।
১২৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৫৫
শশী হিমু বলেছেন: চমৎকার !
বছর খানেক আগের ঘটনা মনে পড়ে গেলো।
অসাধারন ধারালো লেখা!
০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পুরোনো লেখা খুঁজে বের করে পড়ার জন্যে। ভালো থাকবেন।
১২৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৮
নাঈম আহমেদ আকাশ বলেছেন: ইহা একটি গল্প ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ তাইতো মনে হয়!
১২৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৯
বহুব্রীহি বলেছেন: আপনার আরেকটা গল্প ছিল একটা ছেলেকে নিয়ে শৈশবেই কুমারিত্ব হারায়। গল্পটার নাম মনে পড়ছে না।
প্রিয়তে নিলাম।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। কিন্তু আমার ওরকম কোন গল্প ছিলো বলে তো মনে পড়ছে না! অন্য কারো সাথে গুলিয়ে ফেলছো সম্ভবত।
১২৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিষণ্ণ হইলাম ঐ তিন বছরের শিশুটার আর্ত চিৎকারে যার কি না ব্যতা লাগে গো বলে রক্ত ঝরছে।
তারা তো অবশ্য জন্মেছেই আক্রান্ত হতে, রক্তাক্ত হতে ! আবার আরেক দল ভাবছে কী করে আরও শক্তিশালী হওয়া যায়, আরও ধারালো হওয়া যায় অন্যকে আঘাত করতে।
খুব নিরাসক্ত ভাবে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ী মনোভাবে আবার সব কিছুর যোগান দিয়েও যাচ্ছে, লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে দোকান দেবার !
৩৫০ কমেন্ট পড়ার মতো ধৈর্য হলো না যদিও আমি কমেন্ট পড়তেও লাইক করি !
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা। শুভদুপুর।
১২৯| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্যরি ভুলে বলছি ৩৫০ কমেন্ট ! ২৫৫ টা কমেন্ট !
জিবনেও এতগুলো কমেন্ট পাই নাই । আপচুচ !!!!
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও এখন আর এত কমেন্ট পাইনা। আপসুস।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪১
কাঠের খাঁচা বলেছেন: পু পি