নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল রাতে সম্ভবত আমার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু ব্যাপারটা বরাবরই কেমন অস্পষ্ট আর ধোঁয়াটে। সেটা যে কেমন, মানবজাতি তা আজো বুঝে উঠতে পারলো না! কোন মৃত ব্যক্তি তো কখনও এসে বলে যায়নি কাউকে, জীবনের সূতো ছিড়ে গেলে তা দিয়ে কতটুক কি বোনা যায়। তাই আমিও নিশ্চিত নই আমার মৃত্যুর ব্যাপারে। বিজ্ঞানমতে মৃত্যুর পরে আর কোন অনুভূতি থাকবে না। কিন্তু আমি তো দিব্যি সব দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি, নাস্তার টেবিলে পুষ্টিকর খাবার গিলছি গোগ্রাসে। তবে কি আমি মরিনি? ধর্মমতে অবশ্য মৃত্যুর পরেও আরেক জীবন থাকে। সে জীবনের বর্ণনা আবার একেক গ্রন্থে একেকরকম। সবগুলো ধর্মগ্রন্থ পড়া হয়নি বলে মিলিয়ে দেখাও দুস্কর। এমনিতে জীবন আর মৃত্যু নিয়ে তেমন একটা চিন্তা ভাবনা করি না। তবে মৃত্যুর মত অপ্রত্যাগামী কিছু একটা ঘটে গেলে তার আশু সুরাহা করা দরকার। জীবন বা মৃত্যু কোনটাই গুরুত্বপূর্ণ কিছু না, কিন্তু জীবন্মৃত হয়ে কে থাকতে চায়। আমার স্ত্রীও সম্ভবত আঁচ করতে পেরেছে ব্যাপারটা। এতদিন ধরে আমাদের পাশাপাশি বসবাস, এতদিন ধরে একে অপরকে স্প্রে করেছি উন্নত ব্র্যান্ডের সম্পর্কসুবাস, সে না বুঝলে কে বুঝবে? গতরাতে বাসায় ফেরার পর নতুন রেসিপির খাবার, টিভি দেখা, মশারি গুঁজে লাইট নিভিয়ে ঘুমুতে যাওয়া সবই ঠিকঠাক মত চলছিলো। সমস্যাটা আতঙ্ক অথবা আশঙ্কায় রূপ নেয় আমার বাথরুমের বেগ পেলে কোনভাবেই মশারি থেকে বের হতে না পারার মাধ্যমে। সামান্য এক মশারি, আলতোভাবে গোঁজা আছে তোষকের সাথে; তুলে ফেললেই হয়! অথচ আমি তুলবো কী, খুঁজেই পাচ্ছিলাম না নির্গমন পথ কোনভাবেই। ঘুমের ব্যাঘাৎ ঘটায় স্ত্রী খুব বিরক্তচোখে তাকাল আমার দিকে। কিন্তু আমার বেগতিক অবস্থা দেখেও কোনরকম সহায়তা করল না। হাই তুলে বলল,
-তোমার অবস্থা তো সুবিধের মনে হচ্ছে না। মশারীর ভেতর থেকে বের হবার প্রানশক্তি যার নেই, সে কীভাবে বাহ্যিত্যাগ করবে? আর বাহ্যিত্যাগ করতে না পারলে বাঁচবেই বা কীভাবে? থাক, আর চেষ্টা করে লাভ নেই। ঘুমিয়ে পড় অথবা মারা যাবার চেষ্টাও করতে পারো। আমার মনে হয় তোমার সময় ঘনিয়ে এসেছে। শুভমৃত্যু।
আমি তার আন্তরিক শুভকামনার জবাবে জানাই যে ঘুম এবং মৃত্যুর জন্যে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, এবং তার নাসিকাগর্জনের ফলে কোনরকম সমস্যা হবে না।
সকালবেলায় ঘুম এবং মৃত্যুবিষয়ক জটিলতা প্রকট হয়ে ওঠে। আমি দ্বিধাণ্বিত অবস্থায় শুয়ে থাকি, শুয়েই থাকি। কাজে যেতে ইচ্ছে করে না। মৃত মানুষদের কি অফিসে যাওয়া জরুরী? এখন আমার উচিত সৎকারকার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। মরে গেছি বলে তো আর দায়িত্ব শেষ হয়নি। আর নিজের কাজ নিজে করলে তবেই না সর্বোৎকৃষ্ট ফল পাওয়া সম্ভব! স্ত্রীকে ডাকি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার জন্যে। সে নিশ্চিত করে বলতে পারে না, তবে মৃত্যুর সম্ভাব্যতাও উড়িয়ে দেয়না একেবারে। তার মতে, বিষয়টি যেহেতু জরুরী, আগেভাগে সব সেরে রাখাই ভালো। সে আমাকে ডেথ সার্টিফিকেট আগে থেকেই ইস্যু করার পরামর্শ দেয়।
-যা দিনকাল পড়েছে, সবারই একটা করে ডেথ সার্টিফিকেট করে রাখা উচিত। নইলে দেখা যাবে দিব্যি মরা মানুষ খাটিয়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ, অথচ জীবিত ভেবে প্রাণরস শুষে নিতে ছেঁকে ধরবে পিঁপড়ের দল।
তার কথা কে নাকচ করে দিতে পারিনা। কিন্তু মৃত্যুসনদের প্রাপ্তিস্থান এবং এ সংক্রান্ত বিবিধ দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম বলে বাধ্য হয়ে তার সাহায্য প্রার্থনা করতেই হয়। আমার স্ত্রী একজন করিৎকর্মা এবং বুদ্ধিমতী মহিলা। সে বেশ দ্রুতই সিন্দুক, ওয়ার্ডরোব, আলমিরা ঘেঁটে একটি জীর্ণ কাগজ বের করে ফেলে।
-এটা নাও!
-কী এটা?
-আমাদের বিয়ের কাবিননামা।
-এটা দিয়ে কি হবে!
আমার বৈষয়িক জ্ঞানের অভাব দেখে সে কিঞ্চিত বিরক্ত হয়।
-আরে, এটা নিয়ে আশেপাশের কোন ডেথগ্রাফিক দোকানে যাও না! পাড়ায় নতুন দোকান উঠেছে দেখনি? সুন্দর করে লেখা, " এখানে যাবতীয় কাবিননামা, জন্মদিনের কার্ড, চাকুরির অভিজ্ঞতাপত্র ইত্যাদিকে সম্পূর্ণ কমপিউটারাইজড গ্রাফিক পদ্ধতিতে ডেথ সার্টিফিকেটে রুপান্তরিত করা হয়"। রাস্তায় চোখ বন্ধ করে হাঁটো নাকি?
তার ঝাঁঝালো বাক্যবাণ আমার অজ্ঞতাকে বিশ্রীভাবে ফুটিয়ে তুললে বেশ অপ্রতিভ হয়ে পড়ি আমি। একটা ব্যাগের মধ্যে কাবিননামাটি নিয়ে দ্রুত বেড়িয়ে যাই। আজ অনেক কাজ।
কম্পিউটারের দোকানের কর্মীরা বেশ অমায়িক এবং দক্ষ। তারা খুঁটিনাটি কথা বলতে বলতে নিমিষেই ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে ফেলে। বিল পরিশোধের সময় আবারো আমার অজ্ঞানতা শোচনীয়রূপে প্রকাশ পায়।
-তাহলে ডেথ সার্টিফিকেট হয়ে গেল! আমি ভেবেছিলাম কত জটিল হবে কাজটি!
-আরে ভাই, কাজ শেষ হইসে ভাবসেন? কাজ তো কেবল শুরু! আমরা কেবল একটা ফরম্যাটে কনভার্ট করসি। এখন আপনার স্বাক্ষর লাগবে, মৃত্যায়িত ছবি লাগবে, কত কিছু বাকি, যান যান! শেষ কইরা ফেলেন তাত্তাড়ি!
সত্যায়িত শব্দটার সাথে পরিচিত ছিলাম। কিন্তু মৃত্যায়িত? নাকি মিথ্যায়িত? আবারও প্রশ্ন করে সবার সামনে বোকা বনে যাবার কোন ইচ্ছা ছিলো না। তাই কনভার্টেড প্রি-ডেথ সার্টিফিকেটটি পুনরায় ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে রওনা দিই শহরের পথে। দাপ্তরিক কাজগুলো আজকে আজকেই শেষ করে ফেললে ভালো।
মহল্লা পেরিয়ে বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বাসের জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। পেয়েও গেলাম একটা সহজেই। আজ হরতাল নাকি? সবকিছু বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। বাসের ভেতর ঢুকে গ্যাঞ্জাম লেগে গেলো কিছু যাত্রীর সাথে। তারা মৃতদের জন্যে সংরক্ষিত আসনে বসে যাচ্ছিলো। আমি প্রতিবাদে সোচ্চার হলাম।
-এই যে ভাই, উঠেন। দেহেন না এইডা মৃতদের জন্যে সংরক্ষিত সিট?
লোকগুলো শুনেও না শোনার ভান করলে আমার মেজাজ চড়ে যায়।
-ঐ মিয়া! কী কই শুনেন না? মৃতদের সিটে বইছেন ক্যান? ওঠেন!
এবার তারাও পাল্টা বচসা শুরু করে দেয়। শহরে মৃতদের বৃদ্ধি এবং অবাধ চলাচল কীভাবে জীবিতদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করছে এ নিয়ে তারা উষ্মা প্রকাশ করে। আমি ক্ষিপ্ত হয়ে কন্ডাক্টরকে ডাকলে সে আমার ডেথ সার্টিফিকেট দেখতে চায়। অন্যান্য যাত্রীরাও এতে সায় দেয় এবং গভীর আগ্রহে মৃত্যুসনদ দেখার জন্যে তাকিয়ে থাকে। যেহেতু আমার মৃত্যুসনদের কাজ এখনও শেষ হয়নি, তাই আমি ব্যাপারটা এড়িয়ে চলে সুকৌশলে পরের স্টপেজে নেমে যাবার চেষ্টা করি।
-ঐ বাস, থামাও। আমি নামুম এইহানে।
-এইখানে স্টপেজ নাই। ঐ মিয়া ফাঁপড় নিসেন এতক্ষণ? ধরেন তো ব্যাডারে, এর ডেথ সার্টিফিকেট দেইখাই ছাড়ুম।
তাদের ভাবগতিক খুব একটু সুবিধের মনে হচ্ছে না। মেরে টেরে বসতে পারে। তাই আমি প্রাণভয়ে চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে নেমে পড়ে কিছুদূর দৌড়ে গিয়ে বেদম হাঁপাতে থাকি। মৃত্যুপরবর্তী কার্যক্রমে একের পর এক বিপত্তি তৈরি হচ্ছে। অবশ্য আমি এখনও নিশ্চিত না মারা গেছি কী না। হঠাৎ এমন অনুভব হচ্ছে আর কী! সে তো জীবিত থাকা অবস্থায়ও হত! হঠাৎ হঠাৎ মনে হত যে বেঁচে আছি। হঠাৎ, খুব হঠাৎ দিগ্বিজয়ী মেঘেদের জয়রথে নিজেকে অভিযাত্রী হিসেবে আবিস্কার করতাম, পূবালী বাতাসের তোড়ে ভেসে আসতো ঘাসফুলের গন্ধ, রাঙিয়ে দিত প্রজাপতির ডানার রঙ। বেঁচে থাকলে এরকম হতেই পারে মাঝেমধ্যে, জানি আমি। এও জানি, বেঁচে থাকা আর মরে যাবার মধ্যে খুব ক্ষীণ একটা রেখা আছে। রেখার দুইদিকের মানুষ নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে না জেনেই ভুল জীবন অথবা মরন যাপন করছে। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই আমার ভেতর মরণ অনুভব প্রবল হচ্ছিলো। রাতে ঘুমুবার সময় চুম্বনের বদলে কদমবুছি করে বসতাম বউকে, পোষা টিয়াপাখিটাকে দেখলে ক্ষিধে লেগে যেত, বাসে উঠতে পুরান পল্টন থেকে ফার্মগেট হেঁটে যেতাম অক্লেশে, ভীড়, ঘাম, গরম তোয়াক্কা না করে। অবশেষে গতকাল রাতের সেই মশারী কান্ড। জীবনের মশারীরূপ ঘেরাটোপে বন্দী হয়ে যখন শারীরিক বর্জ্য অপসারণের মত জৈবিক কাজগুলো বাধাপ্রাপ্ত হয়, এবং এতে আমার নির্বিকারত্বে স্ত্রীও যোগদান করে, তখন আমি নিজেকে একজন মৃত বা সম্ভাব্য মৃত ভাবতেই পারি!
হয়তোবা এসবই মৃতের অনুভব।
মৃত্যানুভব আমার চারিপাশে নৃত্যরত হয়। কুশীলবেরা আসতে থাকে একে একে। শাহবাগের মোড়ে দেখা হয়ে যায় কুহকের সাথে। পুরোনো বন্ধু। অন্তরঙ্গতা বজায় আছে এখনও। সেও একটা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বিরসমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার অবশ্য বিরসমুখে থাকার কারণ রয়েছে। বেচারা অনেকদিন আগেই মৃত্যুকে অনুভব করেছে, কিন্তু কাগজিক জটিলতার কারণে ছাড়পত্র পাচ্ছে না। আমাকেও এভাবে এখানে কতদিন থাকতে হবে কে জানে!
-কী রে দোস্ত, খবর কী? এখনও ছাড়পত্র পাস নাই?
-আরে কেমনে পামু ক! ভেতরে যাওয়ার পাস নাই! যে বিশাল লাইন! কাগজপত্র সব রেডি করছি, ছবি তুলছি, মাগার সাইনটা নিতে পারতাছি না ডেথ মিনিস্ট্রির মন্ত্রীর কাছ থিকা।
-ছবিও তোলা লাগে নাকি? কি টাইপ? পাসপোর্ট না এনভেলপ সাইজ?
-সেইটা একটা হইলেই হইলো। মূল ব্যাপারটা হইলো, তুমি যে মারা গেছো তার প্রমাণ থাকতে হবে ছবিতে।
-এ তো আরেক ঝামেলায় ফালায় দিলি। মারা গেছি বা যাইতাছি এইডা তো বুঝতাসিই! আবার প্রমাণ দিমু কেমুন কইরা!
-আরে বুঝোস না! সরকারী কাজকম্ম। ফর্মালিটির কুনো শেষ নাই। দেখা গেলো সব কাগজ ঠিকঠাক, কিন্তু ছবি এ্যাপ্রুভ হইলো না। এহন থাকো বাইচ্চা! বিতিকিচ্ছিরি কিচ্ছা বুঝছো!
-তুই ছবি তুলসোস?
-তুলসি কিছু। তবে আরো তুলতে হইব। বেশি ভালো তুলিনাই। ডেথ মিনিস্ট্রিতে ছবি তুলার লোক আছে। মাগার ঢুকতে তো হইব আগে, যে ভীড়!
-আজকে যাবি? বেশি বেলা তো হয় নাই। এখুনি রওনা দিলে হয়তো সিরিয়াল মিলতে পারে।
-যাওয়া যায়, চল!
-সার্টিফিকেটটা নিসোস ঠিকমত?
-আরে ঐডা নিয়াই তো ঘুরি সারাদিন!
কথা বলতে গিয়ে কুহকের মুখ থেকে শীতকালের হিমেল ধোঁয়া বের হয়। ঠান্ডাটা বেশ ভালোই পড়েছে। প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে। দিনাজপুরে, পঞ্চগড়ে, শ্রীমঙ্গলে...কোথাও মঙ্গলের দেখা নেই। তবে এসব প্রান্তিক মানুষের মৃত্যুর জন্যে কোন সনদ লাগে না। গোয়ালঘরে বা ধানক্ষেতে পশ্চাদ্দেশ ভেটকিয়ে শক্ত কাঠি হয়ে পড়ে থাকুক, কার কী! তারা অনেকদিন যাবৎ সুস্পষ্টভাবে মৃত্যুরেখার এপাড়ে অবস্থান করছে দুর্লঙ্ঘ্য নিয়তিকে মেনে নিয়ে। আমাদের মত এপার-ওপার ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে না। তাই সনদপ্রণেতারাও তাদের নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না।
এসব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলতে থাকি আর আমাদের মুখ থেকে কুয়াশা নির্গত হতে থাকে। কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। রাস্তা, বাতি, বস্তি, মন্ত্রনালয় সবকিছু। আমরা পথ হারিয়ে ফেলি।
-কুহক, কুহক! কোথায় তুই?
কথা বলতে গেলেই বিপদ। কুয়াশার প্রলেপ গাঢ়তর হতে থাকে।
-আজকে মনে হয় আর যাওয়া হবে না। বাদ দে।
কুহকের মুখনিঃসৃত কুয়াশা আমাদের মোটামুটি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আমরা কেউ কাউকে দেখতে পাই না।
-তবে কাজটা আগায় রাখা যায়। আমি ক্যামেরা নিয়া আসছি। আয় তোর ছবি তুলে দেই। ছবিটা ঠিকমত না তুলতে পারলে সাইন জীবনেও পাইবা না।
-এই কুয়াশার মধ্যে ছবি তুলবি কীভাবে?
-আরে ভালো ক্যামেরা। ফ্ল্যাশ আছে। নাইট মোড, ফগ মোড সবই আছে। তুই যেখানে আছিস সেখানেই দাঁড়ায়া থাক। আমি ছবি তুলতেসি।
স্ন্যাপস
-রেডি?
-হ।
-চপ প্লিজ!
-চপ মানে?
-তোরে বলি নাই। যাদের বলার তারা ঠিকই বুঝছে।
এবং আমিও বুঝে যাই। Chop. কর্তন। চাপাতি এবং ক্ষুর হাতে নিয়ে জাঁহাবাজ মাস্তানেরা এগিয়ে আসে আমার দিকে। আমার বুকে এবং পাঁজরে আঘাত করার মোক্ষম মুহূর্তে চমৎকার একটি স্ন্যাপ নিয়ে নেয় কুহক। রক্তে ভিজে গা আঁঠালো হয়ে আছে। বিরক্তিকর ব্যাপার। এখন এগুলো কখন শুকোবে কে জানে! তবে আশাপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে, চাপাতিঅলাদের আগমনের পরপরই কুয়াশা কেটে গেছে। রোদ উঠছে। পত্রিকার ভাষায় বলা যায় "প্রকাশ্য দিবালোক"। তারা হাসছে। তাদের হাসি থেকে আলো বের হয়ে বিভ্রম দূর করছে কিছুটা। তারা জানান দিচ্ছে যে জীবনরেখার প্রান্তেই তাদের সদম্ভ বসবাস। তাদের কিছু বখশিস দিয়ে দিই সুন্দরভাবে কর্ম সম্পাদনে সহায়তা করার জন্যে। তারা কালবিলম্ব না করে চলে যায়। আরো কতজনের সেবায় নিয়োজিত হতে হবে কে জানে!
-বি রেডি ফর এ্যানাদার স্ন্যাপ।
-আবার কেন?
-তুই কি ভেবেছিস এতেই হয়ে যাবে? আরো কয়েকটা তুলতে হবে। সমস্যা নাই, মৃত্যুকুশীলবেরা আশেপাশেই আছে সব। এরপর কুহক আমার ছবি তোলে পাঁচ টনি ট্রাকের টায়ারের নিচে পিষ্ট অবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রসফায়ারে গুলিবিদ্ধরূপে, হতাশ প্রেমিকের বেদনাময় শেষমুহূর্তের আশ্রয়-ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়। শাটার টিপতে থাকে সে অবিরত। পুরো একটা দিন আমরা এর পেছনেই ব্যয় করি। আজকে আর ডেথ মিনিস্ট্রিতে যাওয়া না হলেও প্রয়োজনীয় কাগজ, এবং ছবির সংগ্রহ গড়ে ওঠায় আগামীকাল সাক্ষরপ্রদানকারী ব্যক্তিটি আমাদের সাথে সদয় আচরণ করবেন ভেবে উৎফুল্ল হই।
*
বাসায় ফেরার পর আমার স্ত্রী মৃত্যুসনদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি তাকে সমস্ত ঘটনা বিবৃত করে আগামীকালের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা জানাই। বিশেষ উৎসাহের সাথে তাকে ফটোসেশনের বর্ণনা দিই। আমি ভেবেছিলাম আমাদের ফটোসেশন উল্লিখিত কাজের প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে ভেবে সে বাহবা দেবে আমাকে। কিন্তু অভিজ্ঞা নারী আমাকে দেশের হালচাল সম্পর্কে কিছু জ্ঞান প্রদান করে জানায় যে এসব ছবি মৃত্যায়িত করে সনদের সাথে সংযুক্ত করলে তাতে তো কোন লাভ হবেই না, উল্টো এমন আচরণকে রাষ্ট্রদ্রোহীতা এবং মিথ্যাচারণের অভিযোগে দোষী করে শাস্তি দেয়া হতে পারে। আমি তার এমন আচরনে অবিশ্বাস প্রকাশ করলে সে তার কোন এক দরিদ্র শিক্ষক আত্মীয়ের জীবন থেকে বাস্তব উদাহরণ দেয়, যে নাকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক পিপার স্প্রের কবলে পড়ে মারা যাবার ছবি সংযুক্ত করে তা মৃত্যায়িত করতে গেলে ঊর্ধতন মহলের প্রবল রোষকবলিত হয়ে এখন সুপেয় মৃত্যুতরলের বদলে বক্সিং কোর্টে জীবন নামক ষন্ডার সাথে আজীবন লড়ে যাবার দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছে।
অগত্যা...
আবারও প্রলম্বিত মৃত্যু অনুভবকে সাথে করে আরেকটা দীর্ঘ রাত কাটাই। চুম্বন করতে গিয়ে ঢেকুর তুলি, মশাদের ডানা ঝাপটানিতে বিছানার এক কোণে সভয়ে লুকিয়ে থাকি, ব্যাগ থেকে ডেথ সার্টিফিকেটটা বের করে তাতে নানা কারিকুরি করে ম্যারেজ সার্টিফিকেট বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা শেষে গভীর মনোযোগের সাথে স্ত্রীর নাসিকাগর্জন শুনি। আর মেঝেতে নেমে এক্কাদোক্কা খেলি, জীবন আর মরণের ক্ষীন রেখার কোনখানে আমার অবস্থান, জানার অক্ষম চেষ্টা!
সকালবেলায় কুহক আসে। তার মাথায় নাকি দারুণ কিছু আইডিয়া এসেছে। এবারের স্ন্যাপগুলোয় কাজ না হয়েই যায় না! কুহক ছবি তুলতে থাকে একের পর এক। মৃত্যুকুশীলবেরা আসে আর যায়, কুশলী নটবর তারা। আমার স্ত্রী বেলা করে ঘুমোতেই থাকে নাক ডেকে। ফটো-নাক-ঘুম এর মন্টাজ অসহ্য লাগে আমার। আমি তার নাকে বালিশ চেপে ধরি। সে গোঙাতে থাকে। তার দেহ নিস্তেজ হয়ে আসছে। মৃত্যু কুশীলবেরা জীবনরেখায় অবস্থান নিয়ে উপভোগ করতে থাকে এই দৃশ্য। মরণরেখা প্রকট এবং বিভাজিত হয়ে ফুটে ওঠে আমাদের ক্ষুদ্র আঙ্গিনায়। আমার নিথর হয়ে আসা স্ত্রীর থেকে মৃতবৎ আমি ক্রমশ দূরবর্তী স্থানে যেতে থাকি। দুজনই মৃত্যুরেখায়, অথচ কি বিপুল বৈপরীত্য এ দুটোর মাঝে! পিছুতে পিছুতে আমি কুহকের কাছে গিয়ে দাঁড়াই। এখানে আমাদের দুজনের মরণরেখাটা একইরকম। ওর কাছ থেকে ক্যামেরাটা ধার নিয়ে নিয়ে আমি অন্যরেখায় অবস্থিত মানুষদের ছবি তুলতে থাকি। ডিএসএলআর ক্যামেরাটি তার কর্মকৌশল ভঙ্গ করে প্রাচীন আমলের পোলারয়েড ক্যামেরার মত ছবির হার্ডকপি উগড়ে দেয়।
সেখান থেকে বের হয় সকলের স্বাক্ষর এবং ছবিবিহীন ডেথ সার্টিফিকেট।
#প্রাসঙ্গিক কবিতা- দ্বিধাণ্বিত মৃত্যুর সম্মুখে
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি যে কী করি! সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর একটুও রেস্ট নেইনাই এখনও। ঘুম ধরতাসে। আবার গল্প থুইয়া ঘুমাইতেও ইচ্ছা করে না!
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: মৃত মানুষের কেমন যেন মৃত্যুশ্বাস চারপাশে ভোঁ ভোঁ করে গেলো- কিছু গায়ে লাগলো আর কিছু ভাসা ভাসা হয়ে চারপাশে চক্কর দিতে লাগলো। ঠিক যেন ধরতে পারলাম না।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত মানুষদের শ্রেণীবিভাগ আছে, যেমন আছে জ্যাতাদের! আমরা কখন কোথায় ট্রেসপাস করছি তার খোঁজ রাখি না। নিজের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব নিয়ে সন্দীহান কেই বা ধরতে পারে!
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
হা-মা ভাই, জাইগা থাকেন! গল্প পড়া শুরু করলাম। শেষমেশ তো আপনার কাছ থেকেই গল্প বুঝতে হইবো। আপনি না থাকলে বুঝমু কেমনে?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আছি কিছুক্ষণ। তয় গল্প মনে হয়না বেশি জটিল হৈছে!
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭
ভিয়েনাস বলেছেন: হামা ভাই এখন ঘুমান। ঘুম থেকে জেগে গল্প নিয়ে বইসেন
আপাতত গল্পে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, ঘুমায় যাবো। শুভভোর ভিয়েনাস!
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ডেথগ্রাফিক দোকানে, মৃত্যুসনদ, মৃত্যায়িত ছবি, মৃতদের জন্যে সংরক্ষিত সিট, মরন যাপন,ডেথ মিনিস্ট্রি সব কিছু মিলাইয়া পুরাই "ওয়াও" !!!ছবি তুলার দুই দৃশ্য আর শেষের দিকে নাকে বালিশ চেপে ধরাতো যে কেউরে জাগাইয়া তুলবে ! নো ডাউট পুরাই অন্যরকম গল্প হৈছে !
অট - অনেক আগে একটা মুভি দেখছিলাম, এক কাপল রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় । তারপর তাদের বাড়িতে ছুটি কাটাতে একটা ফেমেলি আসে। মারা যাওয়া কাপলের কান্ডকারখানা নিয়াই পুরা ছবি। মুভির নাম ভুলে গেছি, তবে মুভিটা অস্কার জিতছিল মনে হয় (পুরা শিউর না)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! গল্পের কুহক চরিত্রটা কিন্তু বাস্তব থেকে মডিফাইড করা। কুহক মাহমুদ, চিনবেন হয়তো। তার সাথে সেইদিন দেখা হবার সময় সে কৈসিলো যে সে একজন ডেডম্যান, আমি যোগ করসিলাম ডেথ সার্টিফিকেট কই? সে আমার বেশ কিছু ছবিও তুলসিলো। সব মিলায় শাহবাগে এক ফুচকাঅলার দোকানের সামনে এই গল্পের ভাবনার সূচনা।
সিনেমাটা দেহি নাই!
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: কুহক মাহমুদ চিনি - উনি দাঁত ভাঙা সব কবিতা লিখেন
মডিফিকেশন অচম হৈছে -
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেদিন প্রথম দেখা হৈল। জোস একটা লোক!
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৩
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
অদ্ভুত! জীবিত থেকেও মৃত। আবার অনুভূ্তি কাজ করলেও, বিষ বাষ্পের সাথে পেরে উঠে না জীবন!
হা-মা ভাই, আমার কাছে এমনটাই মনে হইছে গল্পের বিষয়বস্তু, আমি কী ঠিক আছি?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: একদম অল্প কথায় এইতো গল্প! ভালো পড়েছেন। শুভসকাল।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৭
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: :-&
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী?
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৫
আশিক মাসুম বলেছেন: আপনার লিখা পড়ে কমেন্ট করতে ভয় হয়, অসাধারন।
মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয় লাগার কী আছে! এই তো কমেন্ট করে গেলেন।
অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২০
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: খুব ভালোলাগলো, আরো একবার পড়তে হবে...
শুভোরাত্রি
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসকাল কবি।
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
জাহাজী পোলা বলেছেন: ভোর হয়ে গেছে ভাই, সিরিয়াল দিয়া রাখলাম কাল দুপুরে পড়ুম হামা ভাই
বাবু কেমন আছে??
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছে। সে অবশ্য গল্প লেখার সময় একটু ঝামেলা করসে। বড় হলে নিশ্চয়ই আর করবে না, বাবার প্যাশনের জায়গাটা বুঝবে!
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫১
মুনসী১৬১২ বলেছেন: আমি বাইচ্চা আছি তো............
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনারই ভালো বলতে পারার কথা!
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১১
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলেছেন: থীমটা এককথায় অসাধারণ...
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
সায়েমবিপ্লবি বলেছেন: ভাল লাগল ,
ডেথ মিনিস্ট্রি
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! ডেথ মিনিস্ট্রি!
১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
একদম বেফাঁস কিছু বলেন নি । ভেবে দেখার মতো ।
যদি ঐপাড়ে যেতেই হয় আর সেখানে যদি ডান বাম দুটো দরজা থাকে আর থাকে গার্ড তবে তো সার্টিফিকেটের ঠ্যালা সামলাতেই হবে ।
দেখছেন না, যে ভাবে সগ্গে যা্ওয়ার টিকিট দিচ্ছে লোকজন আজকাল । যে ভাবে বলে দিচ্ছে নরকে যা্ওয়া নির্ঘাৎ তখন ব্যাপার টি ভাবায় বটে । ঐগুলো দেখিয়ে লোকজন আগে চলে যেতে চাইবে ।
কোটি কোটি মানুষের লম্বা লাইন সামলাবে কি করে ঐপাড়ের গার্ডরা ? ওদের কি আধুনিক ট্রেনিং আছে , নাকি ইমিগ্রেশানের কম্পিয়্যুটারের মতো কিছু আছে যে আমার ছবি মিলিয়ে বলে দিতে পারবে "ডান" দরজা দিয়ে ঢুকে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করুন ????
যেহেতু ওখানে সব পুরোনো আমলের লোকজন তাই সার্টিফিকেট তো লাগতেই পারে ! আবার "সগ্গে যা্ওয়ার সার্টিফিকেট" যারা যারা দেয় তাদের সই-সাবুদ ও তো লাগতে পারে ফর ইজি গোয়িং ! নইলে তো খাড়াইয়া থাহন লাগবো " জান্নাতুল শাহবাগ" এর মোড়ে ।
আপনার হয়ে গেলে একটু বলবেন তো কিভাবে জোগাড় করা সহজ হবে । জীবনে কিছুই তো করলাম না, আখেরাতের এই কাজটা সেরে রাখি.....
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কমেন্টে গল্পপাঠের সাথে মিল রেখেই নতুন একটা সারকাস্টিক/রম্য লেখার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। ট্রাই করে দেখেন না! থিমটা আরো অনেকভাবে অনুদিত হতেই পারে।
১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০০
অন্ধকারের রাজপুত্র বলেছেন: অসাধারণ !
খুব ভালো লেগেছে গল্পটা !
+++++++
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভসকাল।
১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
অন্তি বলেছেন: ৮ম ভালোলাগা। মৃত্যু খুব ভয়ংকর লাগে আমার। একটা প্রাণহীন দেহ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অন্তি। আমারও খুব ভয়ংকর লাগে। অবাকও লাগে ভাবতে, যে আমি একদিন থাকবো না। কোথায় যাবো তখন!
১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
টপিকটা মারাত্মক হৈসে ভাইয়া।
চমৎকার ||
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মুন। শুভসকাল।
১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
নক্ষত্রচারী বলেছেন: মৃত্যুমাত্রায় দাঁড়িয়ে সমগোত্রীয়দের সাথে ওপার টিকিট কেনা । মৃত্যুসনদ এপ্রোভ না হলে এ যাত্রা কি থেমে থাকবে?
সাম্প্রতিক বিষয়াদিও উঠে এসেছে দেখি গল্পে !
অসাধারণ ! অন্যরকম একটা থিম । প্রত্যাশা পূরণ করসেন ।
ভালো থাকবেন হাসান ভাই ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যুর দুটো মাত্রা। আমরা এক মাত্রায় বসবাস করি, আরেক মাত্রার দিকে এগিয়ে যাই। প্রথম মাত্রাটিতে জীবন এবং মৃত্যু দুটোই একইরকম। পার্থক্য করা কঠিন!
শুভসকাল রাফি!
২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: দ্বিধাণ্বিত মৃত্যুর সম্মুখে থেকেই ঘোরটা লেগেছে আপনার, এবং লাগিয়েছেনও । ঘোরের মধ্যেই হারিয়ে যাই ইচ্ছে মৃত্যু আর হত্যার আবেশী বর্ননায় । শব্দের ভাংগাচোরা দাহ্য ঢেলে দেয় জ্বলন্ত উনুনে ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘোরগ্রস্থতা থাকুক আমৃত্যু। জীবন্মৃত খন্ডগুলো উনুনে চড়িয়ে দিন!
শুভসকাল।
২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া। বিশেষ করে ডেথ সার্টিফিকেট ও সংশ্লিষ্ট ব্যাপারগুলো অসাধারণ হয়েছে। আচ্ছা ভাইয়া আমাদের জীবনের এপাড় থেকে মৃত্যুর ওপাড়ে যেতে যেমন হ্যাপা পোহাতে হয় বা একটা সিস্টেম আছে, তেমনি জীবনে আসতেও কি কোন সিস্টেমের ভেতর দিয়ে আসতে হয়েছে ?? প্রস্থান নিয়ে লিখলেন, আগমন নিয়ে লিখুন না একটা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ঐ থিম নিয়ে হয়তোবা লিখতেও পারি কখনও। দেখা যাক!
শুভদুপুর।
২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
শুভ মৃত্যু দিবস ---
লেখাটা মেঘের উপর বাড়ি বইটার ইন্ট্রোর মতো --
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মেঘের ওপর বাড়ি...হুমায়ুন আহমেদের? পড়সি কী না মনে পড়তেসে না।
২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সকালবেলায় ঘুম এবং মৃত্যুবিষয়ক জটিলতা প্রকট হয়ে ওঠে। আমি দ্বিধাণ্বিত অবস্থায় শুয়ে থাকি, শুয়েই থাকি। কাজে যেতে ইচ্ছে করে না। মৃত মানুষদের কি অফিসে যাওয়া জরুরী?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: জরুরী না, তবুও যেতে হয়। মইরা গেসেন বইলা কামে ফাঁকি দিবেন নাকি হুহু!
২৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১১
কুহক' বলেছেন: ঝামেলা তাইলে ঠিকই লাগাইলেন? হাহ হাহ হা:....
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক আটা পর্ছেন! আমার ছবিগুলা আপনার কাছ থিকা নিতে হৈব তাত্তাড়ি!
২৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ঘুম ভেঙ্গেই মৃত্যুবিষয়ক গল্প।
কিন্তু দারুন।
পিপার স্প্রে'র কবলে শিক্ষকের মৃত্যু, জাতির জন্য যেন কিছুই না।
আমরা বড়ই সহ্যপ্রবণ জাতি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা বড়ই সহ্যপ্রবণ,ঘুমপ্রবণ, ,মৃত্যুপ্রবণ...
২৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
স্বপ্নবাজ শোয়েব বলেছেন: আমি কি বেঁচে আছি! বরাবরের মত মোর দ্যান ভাললাগা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শোয়েব। বেঁচে থাকার চেয়েও বড় কথা তা অনুভব করা। উপভোগের চেয়েও জরুরী, অনুভব।
২৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
স্বপ্নবাজ শোয়েব বলেছেন: বেঁচে থাকার চেয়েও বড় কথা অনুভব করা! ভাবনায় ফেলে দিলেন। এইটা নিয়া কিছু লিখেন ভাইয়া।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই জাতীয় বিষয় অনেকবারই আমার লেখায় উঠে এসেছে। আপনি এই গল্পটা পড়ে দেখতে পারেন,
রঙ, সময় ও মৃত্যু বিষয়ক
২৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১০
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ফাটাফাটি হইসে হামা ভাই।
জীবন আর মৃত্যুর মাঝে বিভাজন রেখাটা বড়ই চিকন। সম্পুর্ন বিপরীত ব্যাপার হলেও ক্রমশ এদের মাঝে সাদৃশ পাওয়া যায়। জীবিত থাকাকালে যেই জটিলতা নিয়ে বেচে থাকতে হয়, জীবন রেখা পার করতে গেলেও একই জটিলতা ভিন্নভাবে দেখা দেয়। আর সামগ্রিকভাবে বলা যায় বেচে থাকলেও আসলে আমরা মৃতসদৃশ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছো তন্ময়।
শুভ শীতদুপুর।
২৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১২
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অসাধারণ, অনন্যসাধারণ।
ঘুম থেকে উঠেই একটা দারুণ এবং নিদারুণ অনুভূতি - ডেড ম্যান।
কবিতাটা পরার সময়ই একটা অস্থির গল্পের আভা পাচ্ছিলাম... অসাধারণ রূপায়ণ।
মুগ্ধপাঠ।
অটঃ পড়া শেষ করার পর হঠাত জাকারিয়া স্যারের মশারি পোস্টের কথা মনে পইড়া গ্যাসে
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মশারি, কম্পিউটার...আহা। কম্পিউটার পুস্টের কথা মনে পড়লনা কেনু? এই পোস্টে তো কম্পিউটারের কথাও ছিলো!
তেংস!
৩০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: জীবন একপ্রকার ঘুম, মৃত্যু এক জাগ্রত চৈতন্য এরকম ই মনে হয় ।
ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারভীশ এর এই লাইনগুলো খুব প্রিয়
“এই মৃত্যু মৃত্যু নয়। না, আমি আমার যাবতীয় সূচনার কিছুই জানি না।
কারণ, আমি নদীর সমকক্ষ হতে চাই। এমনকি আমি নদী হয়ে যেতে চাই !
গল্প ভালো লাগছে , গল্প বুঝতে চাইনি , কিন্তু ঘোরটা নিয়ে নিলাম !
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: লাইনগুলো খুবই ফিলোসফিকাল।
তেংস।
৩১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: গল্পটা বেশ সাবলীল , পড়তেও ভালো লাগছে , কিন্তু আমি ঠিক মূল থীমটা বুঝতে পারি নাই
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মূল থিমটা জটিল কিছু না। মানুষের বেঁচে থাকার প্রতি এক ধরণের সার্কাজম। বেঁচে থাকাটা একসময় এমন হয়ে যায়, সবকিছু থাকার পরেও মৃতদের সাথে তেমন কোন পার্থক্য থাকে না। মানুষ সামাজিকভাবে চুড়ান্তরকম অপাঙক্তেয় হয়ে গেলে তখন তার একরকম মৃত্যু ঘটে, কিন্তু সেই মৃত্যুর পরেও তাকে জৈবিক কার্যাবলী চালিয়ে যেতে হয়। সত্যিকারের মৃত্যু আর এই সামাজিক মৃত্যু, সত্যিকারের বেঁচে থাকা আর মৃতের বেঁচে থাকা সবকিছু শেষে একবিন্দুতেই মিলে যায়।
৩২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটা বেশ ভালো লাগল। আমি নিজেও কিছুদিন এমন কিছু নিয়ে লিখার চেষ্টা করেছি। আপনি হয়ত দেখেও থাকবেন। কিন্তু দূর্বল লেখার কারনে ঠিক প্রকাশ করতে পারি না।
আপনাকে অভিনন্দন, আপনি চমৎকার করে জীবন এবং মৃত্যুর বিভাজনের সুক্ষতার কথা আপনি দারুন ভাবে তুলে এনেছেন। বেশ কিছু নতুন শব্দ যোগ হলো- ডেথগ্রাফিক দোকানে, মৃত্যুসনদ, মৃত্যায়িত ছবি, মৃতদের জন্যে সংরক্ষিত সিট, মরন যাপন,ডেথ মিনিস্ট্রি ।
এক দিন শহর চলে যাবে মৃতমানুষের দখলে, জীবনকে দেখব আমরা কোন মৃত্যুমাত্রিক পর্দায়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি চমৎকার লেখেন। এরকম বিষয় নিয়ে লিখে ফেলুন না! বেশ ভালো হবে। গল্পের মেটাফরগুলো এত মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এমন পাঠক পেলে লিখে তৃপ্তি হয়।
ভালো থাকবেন। শুভদুপুর।
৩৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
স্বাধীনতার বার্তা বলেছেন: ++
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বউয়ের নাক ডাকা শুনে বালিশ চেপে ধরার ব্যাপারটা
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ, খুবই বেরহম ব্যাপার হৈসে সেইটা!
৩৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
ভিয়েনাস বলেছেন: হামা ভাই কবিতাটা অবশেষে গল্প বানিয়েই ছাড়লেন
সব কাগজ ঠিকঠাক, কিন্তু ছবি এ্যাপ্রুভ হইলো না। এহন থাকো বাইচ্চা! বিতিকিচ্ছিরি কিচ্ছা বুঝছো! .... লাইনটা পড়ে হাসি পেলেও বোঝা যায় বেঁচে থাকায় কত অনীহা। জীবন মৃত্যু এখন একি রেখায় চলে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অবশেষে গল্প বানায়েই ছাড়লাম! অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে।
৩৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
অস্থির ভদ্রলোক বলেছেন: ভাই আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। অসাধারণ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। শুভবিকেল।
৩৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আপনার গল্পগুলো উচ্চমার্গীয়। থিমটা ধরতেও দুইবার পড়তে হইছে। মন্তব্য গুলো পড়ে থিমটা আরেকটু ক্লিয়ার হইল।
কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছিনা। তাই বোকার মত কমেন্ট করলাম।
আল্লাহ আমাকে আরেকটু জ্ঞান দাও, প্লিজ।
ভাল থাকবেন ভাই।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি তো আমাকে বিব্রত করে ফেললেন!
পাঠের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। শুভবিকেল।
৩৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
কালীদাস বলেছেন: থিমটা সেরকম, শেষদিকে এসে খানিকটা ডিজি মনে হচ্ছে আমার শেষরাতের পোস্ট, টাইমিংটা জটিল হয়েছে এই গল্পের জন্য
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিন্তু শেষরাতে আর কয়জন পড়সে বলেন! টাইমিং করা ইদানিং প্রায় দুঃসাধ্য। বৃহস্পতিবার রাত ছাড়া গল্প লেখার সুযোগ হয় না। আর সব বৃহস্পতিবারে মুড ও থাকে না। টাইমিং এইবার ভালো মিলসে!
৩৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
কালীদাস বলেছেন: আপনার উইকেন্ড শুধু শুক্রবার নাকি? আমারও (অফিশিয়ালি) আনঅফিশিয়ালি রোজ
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ খালি শুক্কুরবার
৪০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নেক্সাস বলেছেন: হামা ভাই গল্প বরাবরের মত জটিল ভাল হয়েছে।
ভাল লাগা জানালাম?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগা জানালেন? ধন্যবাদ!
৪১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: মৃতদের শহরে ডেথ সার্টিফিকেট একটা প্রহসন বৈকি! গল্পে ভাল লাগা!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! ভালো কাটুক এইসব দিনরাত্রি।
৪২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৫
শান্তা273 বলেছেন: মৃত্যু আমার কাছে খুব ভয়ংকর একটা ব্যাপার।
আপনার গল্প পড়ে কি বলব বুঝতে পারছি না।
এক কথায় অসাধারন সাথে ভয়ংকর ভালোলাগা!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার অনুভূতি জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ শান্তা।
৪৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: 'মৃত্যু" ব্যাপারটা মাঝে মধ্যে খুব ভাবায়।কখনো মনে হয় আসলেই বেচেঁ আছি তো নাকি এটাও এক ধরনের স্বপ্ন ? এটা স্বপ্ন হলে তাহলে ঘুমঘোরে যা দেখি সেটা কি ?
আরো গভীর স্তরের কোনো স্বপ্ন ?
এসব ভাবতে ভাবতে যখন হাপিঁয়ে উঠি তখন নিমিষেই সব ফু দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে বর্তমান নিয়ে মাতি।
এমন অসংখ্য ভাবনার কিছু ভাবনা আপনার লেখার সাথে মিলিয়ে নিলাম।ভালো লাগলো।
লেখকের জন্য শুভকামনা
তিথীপুর জন্য লাল সালাম
আর পপিন্স মামনির জন্য অনেক অনেক আদর +
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও কিন্তু অনেকটা আপনার মত করেই ভাবি। যেদিন গল্পটার ভাবনা মাথায় এলো সেদিন মৃত্যু নিয়ে একজনের সাথে দীর্ঘ আলাপ করেছিলাম।
শুভকামনা, সালাম এবং আদর যথাযথ স্থানে পৌঁছে গেলো।
শুভরাত্রি।
৪৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: বেশ হাইপোথেটিক্যাল গল্প। প্রথম দিকে একটু বোর হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম একবার না পড়েই পালাবো। কিন্তু হামা ভাইয়ের গল্প বলে কথা! জোর করে পড়া শুরু করলাম।
অতঃপর উপভোগ করলাম মৃত্যু দর্শন নিয়ে অনেক সুন্দর গল্পটি। বিশেষ করে ডেথ সার্টিফিকেট বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে।
আরো এরকম গল্প আশা করি। ভালো লাগা রেখে গেলাম।+++++
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও লেখার আশা করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে।
৪৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১২
জ্বীন কফিল বলেছেন: সব চলতিফিরতি মৃতমানুষের দল
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ। আর জ্বীনদের পোয়াবারো! ভালোই আছেন আপনেরা
৪৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১
কালো ঘোড়ার আরোহী বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে। সত্যিই অসাধারন। আর, আর.... চমৎকার।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কালো ঘোড়া চলতে থাকুক।
৪৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩২
অচিন.... বলেছেন: মাঝে মাঝে আমারও মৃত্যুকে পরম আকাঙ্খিত মনে হয়। সমাজের ভয়ে মরতে পারিনা
-
গল্প দারুন হইছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অচিন!
৪৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসকাল।
৪৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: আক্ষরিক অর্থেই কঠিন লেখা হামা ভাই।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: কঠিন লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ! আর আমারে নিন্দাবাদ।
৫০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
মিঠেল রোদ বলেছেন: অনেক ভাললাগা রইল।আপনার জন্য শুভ কামনা।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও শুভকামনা।
৫১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
shfikul বলেছেন: আপনার লেখা আমি দূর থেকে পড়ি।পড়তে ভালো লাগে তাই পড়ি।পড়ে বোঝার চেস্টা করি।এ লেখাটাও বেশ কঠিন লাগলো।তবু শেস করেছি।আপনার একটা মন্তব্যে আপনার উপর আমার ক্ষানিক রাগ ছিলো।তাই চুরি করে আপনার লেখা পড়েই চলে যেতাম মন্তব্য না করেই।লেখা বলে কথা।সময় বদলায়,মানুষ বদলায়,বদলায় মানুষের ভাবনা।আমারো বদলেছে।হামা ভাই,পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু বলতে বা করতে বাধ্য করে।আমার বেলায়ও তেমন কিছু হয়েছিলো হয়তো।আশা করছি আপনি আমার অনুভূতি বুঝতে পেরেছেন।
আর একটা কথা, "ফেসবুকে বুড়ো ভাম" নামে আপনার কি কোনো গল্প আছে?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার মনে আছে মন্তব্যটার কথা। আমিও আপনার ব্লগ এ্যাভয়েড করতাম। বদলানো আপনাকে স্বাগতম।
"ফেসবুকে বুড়ো ভাম" আবার কি বস্তু! যা লেখার এখানেই লিখি।
৫২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১২
সানজিদা হোসেন বলেছেন: পড়তে পড়তে কনফিউজড হয়ে গেলাম। বেঁচর আছি না মরে গেছি?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: কনফিউশন দূর করুন। বেঁচেই থাকুন!
৫৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনুভূতি শূণ্য, প্রতিক্রীয়াহীন মানুষ মানসিক ভাবে ভাবে মৃত! কতগুলো জম্বি...অভিনব থিম!
গল্প আর কবিতা একসাথে পড়লাম, কি চমৎকার লিখলে......
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: জম্বি শব্দটা গল্পের শিরোনামে দিবো ভাবসিলাম। কিন্তু পরে মনে হল সেইটা বেশি টিপিক্যাল হয়ে যাবো।
অনেক ধন্যবাদ রেজু'পা!
৫৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: আমি সম্ভবত মৃত! কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট নাই। এখন কি করা যায়???
মারাত্মক লাগলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী করা যায়? আমিও তো তাই ভাবছি!
অনেক ধন্যবাদ।
৫৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
ডানাহীন বলেছেন: শীর্ষেন্দর 'ঘুণপোকা' উপন্যাসের নায়কের কাছে জীবন হয়ে যায়, " হাগো, মোতো, খাও " । সেই বোধটাকেই আরেকপ্রস্থ অবনমিত করলে যেটা কল্পনায় আসে আপনি সেটা সুচারুরুপে ফুটিয়ে তুলেছেন .. আসলেই তো উপভোগ করি বলেই আমরা বেঁচে থাকি .. নিরুত্তাপ, নিঃস্পৃহ জিন্দালাশেদের সারি যে লম্বাই হবে সেও অনুমিত ।
পরিবর্ধিত আকর্ষণ হিসাবে সমাজপতিদের জন্য কিছু খোঁচার সালাদ গল্প পরিবেশনের সাথে চমৎকার লাগল ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘুণপোকা...ঘুণপোকা...সম্ভবত শীর্ষেন্দুর প্রথম উপন্যাস। পড়েছি অনেক আগেই। অনেক ভালো লেগেছিলো এটা মনে আছে, তবে কাহিনীটা ভালোভাবে মনে পড়ছে না।
শুভসন্ধ্যা ডানাহীন!
৫৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
ফয়সাল হুদা বলেছেন:
মৃত্যুর যতগুলো মাত্রিকতা ,জীবনে তার চেয়ে বেশী বৈকি কম নয়।
অন্তত বর্তমানস্হ সম-সাপেক্ষে ....
ইন্টিলিজেন্স থিংকিং
প্লাস
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর, ফয়সাল!
ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। শুভসন্ধ্যা।
৫৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
অক্টোপাস পল বলেছেন: শূণ্যতার অনুভূতি মৃত্যুমাত্রিকতায়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ শূন্যতা উদযাপন!
৫৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৪
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।
গল্প এবং কবিতা দুই দিকেই সমান পারদর্শী।
অসাধারন এই পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম।
শুভেচ্ছা অফুরন্ত।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রোকেয়া। শুভকামনা রইলো।
৫৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
নস্টালজিক বলেছেন: কঠোর ইস্পাত দেয়ালে ক্রমাগত ঠোকর খেতে খেতে শব্দগুলো যখন দুদন্ড জিরিয়ে নেয়ার আকুলতায়, ঠিক তখন তোমার লেখার শব্দচয়ন, বিন্যাস আর দৃশ্যকল্প নতুন বাঁকে দাড়িয়ে!
চমৎকার একটা থিম... সার্থক শব্দচয়নে একটা সুন্দর ছোটো গল্প- মৃত্যুমাত্রিক!
তোমার লেখার নতুন মাত্রা!
অভিনন্দন! তোমার লেখার বহুরুপ বিচরণ হোক নানা বিষয়ে, আলোতে... আঁধারেও!
কাঠিন্য থেকে সরলতায় ফিরে আসা হোক সুন্দরের!
তোমার এই সুন্দর ছোটোগল্পগুলো সবাই পড়ুক!
প্রাউড অফ ইউ!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আর কখনও লিখতে পারি বা না পারি এই মন্তব্য মনে রাখবো। প্রত্যুত্তরে কী কমু বুঝতাসি না। আইচ্ছা টেলিভিশন দেখায়ো আর কলকাতার বিরানি খাওয়াইও, আমার আপত্তি নাই।
৬০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
ইখতামিন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো.
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
ইখতামিন বলেছেন: হাসান ভাই.
কেমন আছেন.
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো।
৬২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
লিখাটি শুরু করতেই মনে পড়ে গেলো হুমায়ূন আহমেদের ''মেঘের উপড় বাড়ি'' লিখাটির কথা....
আপনার লিখাটি সেম টাইপের হলেও অনেক কিছুতেই ভিন্নতা রাখে.... যা হোক লিখাটি ভালো লেগেছে....
আর আপনার কবিটাটি আমি দু'তিনদিন আগেই পড়েছিলাম... যেখানে জানতে পেরেছিলাম ওখান থেকেই একটি গল্প দাড় করানোর ইচ্ছা...
শুভকামনা ....
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: "মেঘের ওপর বাড়ি"র কথা আরেকজনও বলেছিলো। আমি মনে হয়না বইটা পড়েছি।
লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
৬৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
সুখী চোর বলেছেন: আপনের লেখা পড়তে আসলে মনে হয়, প্রাইমারী স্কুলের পুলারে সাইকোলজিতে পি এইচ ডির আর্টিকেল পড়তে দেয়া হইছে।
তার তোর ২/৪ টা এদিক ওদিকে গেছেগা আমার।কমেন্টস টমেন্টস পইড়া বুঝলাম, সিরিয়াস থীম।ডেথ লাইফ এর গ্র্যাডিয়েন্ট ফ্র্যাকশন থটস।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: গ্র্যাডিয়েন্ট ফ্র্যাকশন আবার কী! আমি হাই স্কুলে উঠসি কেবল
৬৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
সুখী চোর বলেছেন: ভাই, আপনে হাই স্কুলে!!! এই লেখা লেখেন ক্যামনে..??
আমি স্কুলে ভর্তি হইছি তো, তাই অনেক কিছু বুঝি না
গ্র্যাডিয়েন্ট এর ফ্র্যাকশন !!!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অবচেতন মনের খাতা দেইখা লেখি!
৬৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
সোমহেপি বলেছেন: সুন্দর কবিতানুবাদি-গল্প।
অনেক ভাল লাগা।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু!
৬৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: পইড়ালাইছি!
এক পোষ্টে গল্প-কবিতা দুইটারই মজা পেলুম!
চমৎকার!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৬৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
মাক্স বলেছেন: আমার একটা আক্ষেপ রয়েই গেল। আপনার কোন গল্পই তাজা তাজা পড়তে পারলাম না।
তবে আরেকটা ভালো নিউজ আছে। এখন গল্পগুলার অর্থ একটু একটু করে ধরতে পারতেসি।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাজা, বাসী ব্যাপার না। একসময় পড়লেই হল!
শুভরাত্রি মাক্স!
৬৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: অফলাইনে পড়েছিলাম। দারুণ গল্প । ++
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৬৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: অদ্ভুত চিন্তা ভাবনা আপনার!! মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!
আমারো মাঝে মাঝে এমন মনে হয়, মনে হয় আমি একটা ডেড বডি, আমাকে কর্পুর, চা পাতা, গোলাপজল, আগরবাতি এইসব দিয়ে পচে যাওয়া থেকে রক্ষা করে রাখা হয়েছে! সাপ্লাই শেষ হলে আমিও শেষ!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চিন্তাটা গেড়ে না বসুক। জীবন উপভোগ্য হোক। শুভকামনা।
৭০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
আরজু পনি বলেছেন:
আজবতো! পড়তে পড়তে একবার মনে হচ্ছিল বাসে সংরক্ষিত সিটে বাসা নারী, আবার বিশ্বজিৎ, আবার .....একেরপর এক অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো সামনে চলে এলো!!!!!!!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলোকেই গল্পে নিয়ে আসতে ভালো লাগে।
শুভবিকেল!
৭১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
চয়নিকা আহমেদ বলেছেন:
একটা ট্রেন যদি হয় গল্পটা,
ছোট ছোট বগির মতন বেশ কিছু আলাদা আলাদা কল্প আছে।
তারপরও ট্রেন আর বগিগুলোর গন্তব্য এক।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি, কি বলেছি।
সুন্দর!!!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ! শুভসন্ধ্যা।
৭২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৬
অচিন্ত্য বলেছেন: +++++++++++++
আমার পড়া আপনার সবচেয়ে দারুণ লেখা এটি !! মৃত্যু চিন্তাটিকে আশ্রয় করে কত কিই না বলে দিলেন ! কি বহুবিচিত্র অনুভবের কোলাজ অথচ কেন্দ্র মৃত্যুতে স্থির ! পড়তে পড়তে মনে হয় চারপাশের ঘটনাপঞ্জি এবং নিজের দ্বিধান্বিত অনুভূতি নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্নে সবকিছুই কীভাবে যেন অতিমাত্রিক হয়ে ওঠে। ঘটনা প্রবাহ অসংলগ্ন মনে হয়। কিন্তু তার উৎস বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং জাগ্রত অবস্থায় সেই প্রবাহ আর অসংলগ্ন মনে হয় না। স্বপ্ন দেখে লেখার চেষ্টা করেছি অনেক। আমার কলমে তা হাস্যকর হয়ে ওঠে। কীভাবে পারেন ? আমি অভিভূত ! ক্যামেরার শাটারে প্রান্তিক মানুষের অবহেলিত দিনলিপি, নাগরিক যন্ত্রণা, দাপ্তরিক অসার জটিলতা, সাম্প্রতিক উন্মত্ততা, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি, দুর্ঘটনা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, যুবকীয় হতাশা – বাদ পড়েনি কিছুই।
কি নাটকীয় সূচনা – গতকাল রাতে সম্ভবত আমার মৃত্যু হয়েছে ! উন্নত ব্র্যান্ডের সুবাস স্প্রে করার কল্পনা দারুণ হয়েছে ! দম্পতির প্রথম কথোপকথনের শব্দচয়ন গল্পটির স্বতন্ত্র চলন সম্পর্কে আভাষ দেয়। দ্বিধান্বিত হয়ে শুয়ে থাকার দৃশ্যটিতে কাফকা’র ‘মেটামরফসিস’এ উল্লিখিত গ্রেগর সামসার কথা মনে পড়ে। গল্প শেষে সামসার কথা আবারো মনে পড়ে।
কাগজপত্রকে ডেথ সার্টিফিকেটে রূপান্তরের দোকানের কথা; ‘মৃত্যায়িত’, ‘মিথ্যায়িত’ ছবির কথা। সত্যিই অসাধারণ ! (আমি একবার সত্যায়ন প্রক্রিয়াকে ব্যাঙ্গ করে একটা নাটিকার খসড়া তৈরি করেছিলাম। সেখানে ‘মিথ্যায়িত’ শব্দটি ছিল)
মৃতদের জন্য সংরক্ষিত সিট- বিষয়টিও অনন্য হয়েছে। যাদের জন্য সিট সংরক্ষিত করা হয়েছে তারা এখনো সজীব হয়ে উঠতে পারে নি; উঠতে দেওয়া হয় নি। এই মৃতপ্রায় মানব উপ-প্রজাতিটিকে আপনি অত্যন্ত সুন্দর ইঙ্গিতে ফিকশনে নিয়ে এসেছেন।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিরেখাটির অস্পষ্টতার বয়ানের মধ্য দিয়ে এক অদ্ভুত দার্শনিকতা স্পর্শ করছে কথককে। মশারিকে ঘেরাটোপ হিসেবে কল্পনা অনেকটা জীবনকেই বন্দীশালার মত দেখার মত মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে মৃত্যুর স্বাদটা অনেকটা মুক্তির মত। [অপ্রাসঙ্গিকভাবে একটি বিষয় একটু শেয়ার করি। পরশু রাতে মশারি খাটানোর সময় বউ বলে, “ছেলেরা ঘরের অন্যান্য কাজ করুক আর নাই করুক, মশারিটা খাটায়।” চিন্তায় পড়ে গেলাম। বিষয়টি সত্যি। কিন্তু ছেলেরা এই কাজে কেন উৎসাহ পায় ? আমাকে বেশিদূর ভাবতে হল না। প্রশ্নকারিনীর কাছ থেকেই উত্তর এল, “কারণ মশারি খাটানোর মানে মশা থেকে সুরক্ষা দেওয়া। ছেলেরা সিকিউরিটি দিতে পছন্দ করে।”]
‘মৃত্যুকুশীলবেরা আশেপাশেই আছে সব’ সহ শেষের লাইনগুলোর তুলনা হয় না। আপনার শব্দজগতের সাথে আমার পরিচয় আছে- বিষয়টি সত্যিই অত্যন্ত আনন্দের।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মজার ব্যাপার কী জানেন অচিন্ত্য? অবাক হবেন শুনলে। আমি কাফকার মেটামরফসিস এখনও পড়িনি! তার দ্যা ক্যাসল, আর মৃত্যুশিল্পী নামক রচনার সাথে পরিচিত হয়েছি কেবল। তাও লেখালেখি শুরু করার অনেক পরে। এইতো কদিন আগে। তার লেখা পাঠ করা আমার জন্যে খুবই জরুরী। বাংলা ভাষায় ভালো অনুবাদগুলো যা পাবো সব পড়ে ফেলব।
আপনার মশারিবিষয়ক দর্শন শুনে বেশ মজা লাগলো। ক্ষুদ্র একটা বিষয় থেকে দারুণ চিন্তা করেছেন। সত্যিই ভাববার বিষয়। ওহ আচ্ছা, আপনি বিবাহিত শুনে কেন যেন অবাক লাগলো। হাহা!
গল্পটি খুঁটিয়ে পড়ার জন্যে, অনুভব করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। মাথায় একটা খুব হিবিজিবি টাইপ প্লট এসেছে। ঐটা গল্পান্তর কীভাবে যে করি!
শুভদুপুর!
৭৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
মেলবোর্ন বলেছেন: জীবনে সুখ নাইরে পাগল মৃত্যুতেই প্রকৃত সুখ। তাই আমরা সবাই মরি সকালে বিকেলে , পুড়ে, পিস্ট হয়ে কোপ খেয়ে বা রাতের অন্ধকারে হাতকরা পড়ে মরি, সুখ না হইলে কি সবাই মরতো নিশ্চই না।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুখ একটা অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা। বেঁচে থাকার ত্রস্ততায় অথবা মরে যাবার ব্যস্ততায় সুখ নিয়ে চিন্তা করার অবসর সামান্যই!
শুভেচ্ছা মেলবোর্ন।
৭৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
শামীম আরা সনি বলেছেন: প্রথম থেকে সত্যি খুব উপভোগ করছিলাম, কিছু কিছু শব্দ পড়ে অনেক মজা পেয়েছি, আপনি মনে হয় এমনিই বুঝতে পারছেন যে কোন গুলো, আলসেমি লাগছে কপি করতে
কিন্তু একটা ঘটনা, কেউ যেন আমার কমেন্ট দেখে না হাসে, ইনক্লুডিং ইউ
শেষের প্যারাটা প্লিজ ব্যাখ্যা করেন। আমি মনে হয় বুঝতে পারছি না
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরোপুরি ব্যাখ্যা করব না। কিছু সুত্র ধরিয়ে দিই। শেষ প্যারাটায় ব্যবহৃত সমস্ত মেটাফোরগুলোকে এক করে একটা সম্মিলিত বহুমাত্রিক মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করেছি।
জীবনরেখা-মরণরেখা। এর দুই পাশে দুই ধরণের মানুষ। কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং তার বন্ধু মরণ রেখায় অবস্থান করে। এই মরণরেখাও বিভাজিত হয় যখন সে সত্যিকারের মৃত্যু দেখতে পায় তার স্ত্রীর নাকে বালিশ চেপে ধরে। সত্যিকারের মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে সবাই, মরণরেখার বিভাজিত নির্বিকার মানুষ, জীবনরেখার শাসালো মানুষ, তারা গভীর আগ্রহে চেয়ে থাকে গন্তব্যের দিকে, ছবি তোলে। কিন্তু ঝকমকে, সাজানো বা এলোমেলো দৃশ্যের বদলে তারা শুধু একটি কাগজই পায়, নিজেদের ডেথ সার্টিফিকেট।
নাহ, বেশি বৈলা ফালাইসি
৭৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
না পারভীন বলেছেন: অসাধারণ ,শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! স্বাগতম আমার ব্লগে।
৭৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: এই এই এই !!!
নিজেও কিন্তু ভালো করে জানেন যে কমেন্টে বেপারটা আরো জটিল করে তুলছেন
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ এইডা ঠিক, কমেন্ট লেখার সময় বাড়তি কিছু কথা এ্যাড করসি যা গল্প লেখার সময় মাথায় ছিলো না
৭৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৮
সায়েম মুন বলেছেন: নাইট শট। জীবন নিয়ে ছিনিমিনি। দিবালোকে আলোকিত স্ন্যাপ। সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত দেহ। মৃত্যু টেন্ডার যেন সর্বত্র। শব্দচয়ণে যথেষ্ট মুন্সিয়ানাও দেখলাম।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আশা করি আপনার আশা পূর্ণ হইসে
৭৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৪
ইনকগনিটো বলেছেন: অস্ফুটে শোনাও গেলো একটা মুক্তির আর্তনাদ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: বইয়ের জন্যে শুভকামনা।
৭৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
অচিন্ত্য বলেছেন: হুম, আপনার 'চিঠি ও চোখানুক্রম' এর শামীম আরা সনি'র একটি মন্তব্যের প্রত্যুত্যরে আপনি জানিয়েছিলেন যে 'মেটামরফোসিস' এখনো পড়া হয় নি। মশারি বিষয়ক ভাবনাটি আমার নয়, তেনার। তেনার কথা শুনে অবাক হয়েছেন ? সবাই অবাক হয়। একসাথে দেখেও বলে 'তোমরা ভাই বোন ?" হাহ হাহ
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! শুভকামনা আপনাদের জন্যে।
৮০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
অচিন্ত্য বলেছেন: তো আরেকটি সুন্দর লেখার আভাষ তো পাওয়া গেল। প্রতীক্ষায় রইলাম।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন আমার শুভকামনা দরকার!
৮১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০২
অনীনদিতা বলেছেন: আচ্ছা,আমি কি জীবিত!!!!!!!
ভয় ধরিয়ে দিলেন
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি অত্যন্ত জ্যান্ত! শুভকামনা।
৮২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: গল্পটা আগা গোঁড়া দুই বার পড়লাম। ভাল করে বুঝিনাই। বুঝার চেষ্টা করতেছি। বুঝতে পারলে বলব!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা
৮৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
প্যাপিলন বলেছেন: মশারীকে একসময় ভয় পেতাম, মৃত্যু ভয়, এখন পাইনা, তবে কি মৃত্যুরও পরের কোন অনুভুতিতে চলে গেছি...........যাই হোক-
আরেকটি পরিচিত ঘটনাক্রমিকের অসাধারণ সংযোজনে একটি লেখা পড়লাম-
দারুন
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যুর পরের অনুভূতি... নতুন মাত্রার অনুভূতি। আমরা অনেকেই এটা অনুভব করি। কেউ বেশি কেউ কম।
অনেক ধন্যবাদ প্যাপিলন!
৮৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
নোমান নমি বলেছেন: আপনার সেরা লেখার কাতারে ঢুকে গেল বোধহয় এটা। কমেন্ট বাড়াইলেই খালি প্রশংসা হইয়া যাইবো তাই আর লেখলাম না।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেরা লেখা ব্যাপারটা আপেক্ষিক (ভাবের ইমু) তবে তোমার কাছে যে সেরা মনে হইসে এতে আমি আনন্দিত (আনন্দের ইমু)!
৮৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অদ্ভুত!! অসাধারন লেখা!!! মুগ্ধ হয়ে পড়লাম !!!
অনেক অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতি! আপনি খুব জবরদস্ত একটা নিক নিয়ে মানুষকে ভড়কে দিতে চাইসেন, তবে আসল নাম বাইর কৈরা ফালাইসি
৮৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: :-&
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৮৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ইফতি একখান ফাউল পুলা, হের লগে আমার কুনো সম্পর্ক নাই। ইফতি আকাম কইরা বেড়ায়, আমি ভালু, আমি ৎঁৎঁৎঁ শুধু লিখালিখি করি।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। ইফতির আকাম আর ৎঁৎঁৎঁ এর লেখালেখি দুইডাই চলুক!
৮৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
ইব্রাহিম বিন আজিজ বলেছেন: আমি এই লেখাটা আরও ৩/৪ বার পড়বো! আমি প্রচণ্ড রকমের অবাক হয়েছি। কি অবলীলায় আপনি একের পর ঘটনার গতিপ্রবাহকে প্রবাহিত করেছেন। একজন পাঠক হয়ে গেলাম।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! স্বাগতম আমার ব্লগে।
৮৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫২
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপ্নিকি জানেন, আপ্নার লেখা পাঠককে বাধ্য করে পড়তে, একবার না বুঝলে আবার পড়তে ?
"জীবন আর মরণের ক্ষীন রেখার কোনখানে আমার অবস্থান, জানার অক্ষম চেষ্টা!"
সর্বদা এটা আমারও জানার চেষ্টা............কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনা বা আদৌ পারবো কিনা তাও জানিনা............
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি এটা জানতাম না। নিজের লেখা তো নিজেরই দ্বিতীয়বার পড়তে ইচ্ছা করে না!
আমি নিজেও সেই দোলাচলে ভুগছি...
শুভরাত্রি।
৯০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: শুরুতে প্যাচ লেগে গেসিল। অনেক কঠিন। আপনার বেশির ভাগ লেখার মধ্যে একটা অন্ধকার অন্ধকার ভাব আছে। কেমন জানি অস্বস্তি জাগানিয়া।
''দ্বিধাণ্বিত মৃত্যুর সম্মুখে'' কবিতাটা পড়ে ভাল লাগলো।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অন্ধকার বিষয় নিয়ে লিখতে ভালো লাগে।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে!
৯১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪
শহিদুল ইসলাম বলেছেন:
এই গল্পের প্রথমেই যেটা বলব - দুর্দান্ত থিম !
সেই সাথে চমৎকার গাঁথুনি , কমপ্যাক্ট !
প্রথম থেকেই আগ্রহ ! শেষে সমাপ্তি !
এক কথায় চমৎকার !
শুভ হিমরাত !
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ হিমরাত! এখন অবশ্য অতটা হিম নাই, তবে শব্দটা পছন্দ হৈসে।
৯২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১০
প্রিয়তমেষূ বলেছেন: গল্পটা অন্যরকম, মৃত্যুর ছাড়পত্র নিতে এত ঝামেলা!!!!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, অনেক ঝামেলা!
ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৯৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
আমিনুর রহমান বলেছেন: ভাই ২ বার পড়লাম। পরে কমেন্টস করমু আবার পড়ে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। শুভবিকেল।
৯৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
ফালতু বালক বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা গল্পই হজম হয় দেরিতে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের সাথে হজমী ফ্রি দেয়া যায় কী করে!
৯৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
চারকল বলেছেন: দুর্ধর্ষ লাগল হাসান ভাই। অনেক অনেক ভাল লাগা। নতুন ব্লগ লিখছি। আপনার গল্পটাই প্রথম প্রিয়তে নিলাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চারকল! হ্যাপি ব্লগিং।
৯৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
অনীনদিতা বলেছেন: একটা ছাড়পত্র দরকার
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐসব চিন্তা বাদ দেন! কোনই দরকার নাই।
৯৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
অনীনদিতা বলেছেন: ok
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসন্ধ্যা!
৯৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২
নীরব 009 বলেছেন: হাসান ভাই, গল্পটা গত কয়দিন আগে পড়েছিলাম। এরপর সম্পূর্ণ গল্প ভুলে গেছি। ঠিক গতকাল সন্ধ্যায় কানে ইয়ার ফোন গুজে প্রচণ্ড ভিড় রাস্তা পার হবার পর কেন যেন মনে হচ্ছিল আমি হয়তো আর বেঁচে নেই। বারবার কেমন যেন মৃত মৃত মনে হচ্ছিল। হাত ঘামছিল। টেনশন বাড়ছিল। বাস্তবে ফিরে আসতে চাইছিলাম। কোন কাজে জড়িয়ে রাখতে চাইছিলাম নিজেকে। কিন্তু এটা কঠিন একটা বিষয় হয়ে গিয়েছিল। কাল সারাটা রাত অস্থিরতায় কেটেছে আর ঠিক গভীর রাতে আপনার এই গল্প হঠাৎ আলোর মতো ভেসে এলো মনে। তখন সত্যি খুব ভয় পেয়েছিলাম।
এরপরের কথা জানি না, আজকে গতদিনের চেয়ে ভাল আছি, এটাই আশার কথা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম হওয়াটা সত্যিই খুব বিপত্তিকর।
শুভরাত্রি নীরব। অনেকদিন পর কথা হল!
৯৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: হামা ভাই ,বই মেলায় এবার আপনার নতুন কোনো বই এসেছে কি ?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ। প্রকাশকেরা এক ভুল বারবার করবে নাকি?
১০০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
নীলপথিক বলেছেন: আপনার গল্পগুলো যেন একেকটা রহস্য। যারা পাঠক, তারা সবাই গোয়েন্দা। তারা পড়তে আর তাদের মন্তব্যে সমাধান দেয়। আমি শুধু আপনার গল্পই পড়িনা, তাদের সবার কমেন্টও পড়ি। আর মাঝে মাঝে আপনমনেই হাসি। সাধারণভাবেই হয়ত কিছু বোঝাতে চেয়েছেন অথচ মানুষ ভাবছে জটিল। হয়ত আপনার গল্পের রূপকার্থের এমন সব অর্থবিন্যাস তারা সৃষ্টি করেছে যা আপনি কস্মিনকালেও চিন্তা করেননি।
ভালো লাগলো এই লেখা। ঘোরের মধ্যে টেনে নিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ। হয়ত এইই ছিলো আপনার উদ্দেশ্য।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্প সহজ ভাবলে সহজ, কঠিন ভাবলে কঠিন! অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে!
১০১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: হাসান ভাই আপনার লেখা গুলো যখন পড়ি তখন বার বার পড়ার চেষ্টা করি.......তাই কমেন্ট করতে বিলম্ব হয়........তবে ব্লগে ঢুকলেই পরথমে আপনার ব্লগ..........
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। শুভরাত্রি।
১০২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২
rudlefuz বলেছেন: খুবই কনভিউজিং গল্প
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুটা। হয়তোবা।
১০৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪
অবলোহিত বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট পড়লাম!!
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে। শুভরাত্রি।
১০৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
রুপ।ই বলেছেন: ভালো লাগলো , আপনাকে আমার কিছু বলার নেই ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আমারও লেখার কিছু নেই। ভালো লাগে না, লেখা মাথায় আসে না, এমন একটা পরিস্থিতি...
১০৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১
রুপ।ই বলেছেন: কেমন বাজে একটা সময় পার করছি আমরা, কাকে বিশবাস করব বুঝতে পারছি না !
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
১০৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অদ্ভুত একটা সময়
আপনার লেখা গুল পড়তে সুরু করলাম , দেখি কত দিন এ শেষ হয়
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার লেখায় আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক!
স্বাগতম!
১০৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৬
আমি+তুমি=আমরা বলেছেন: নিজে মরতে গিয়ে বউকে মেরে ফেলল!!! গল্পের ম্যাসেজ ধরতে পারলাম না
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মূল থিমটা জটিল কিছু না। মানুষের বেঁচে থাকার প্রতি এক ধরণের সার্কাজম। বেঁচে থাকাটা একসময় এমন হয়ে যায়, সবকিছু থাকার পরেও মৃতদের সাথে তেমন কোন পার্থক্য থাকে না। মানুষ সামাজিকভাবে চুড়ান্তরকম অপাঙক্তেয় হয়ে গেলে তখন তার একরকম মৃত্যু ঘটে, কিন্তু সেই মৃত্যুর পরেও তাকে জৈবিক কার্যাবলী চালিয়ে যেতে হয়। সত্যিকারের মৃত্যু আর এই সামাজিক মৃত্যু, সত্যিকারের বেঁচে থাকা আর মৃতের বেঁচে থাকা সবকিছু শেষে একবিন্দুতেই মিলে যায়।
শুভরাত্রি। যাইগা রিয়াল মাদ্রিদরে হারায়া আসি!
১০৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: মৃত্যু ও ঘুম বিষয়ক জটিলতা -
মৃত্যু ও ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিষয়ক জটিলতা
আমি দেখছি ওভারল্যাপ করা দুটো জগত
প্রি-ডেথ সার্টিফিকেট বা মৃত্যায়িত হওয়া -
মৃত-বান্ধব একটা পৃথিবীর গল্পে হামার কল্পনাশক্তির প্রমাণ পেলাম আবার।
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ হাসনাইন। অনেকদিন ধরে কোন গল্প লেখা হচ্ছে না। কিন্তু আমি লিখতে চাই!
১০৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৩
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: একশব্দে বলি - এইটা হচ্ছে পার্ফেক্ট - নেক্রপলিসের গল্প !
এতোদিন পরে পড়ার পর , আফসোস বাড়লো যে বিলম্বের এতো দেরী হলো ক্যানো ?
শুভেচ্ছা হামা। দূর্দান্ত ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা তোমাকে পড়ানর জন্যে আমি উদগ্রীব ছিলাম। বিশ্বাস ছিলো, ভালো লাগবে। কেন এত দেরী, কেন কেন!
শুভরাত ম্যাশ!
১১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আপনার এত ফাটাফটি গল্পগুলা পৈড়াইতো শেষ করতে পারাতসি না!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধীরে সুস্থেই পড়েন! এত তাড়াহুড়ার কী আছে!
১১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমার ডেথ সার্টিফিকেট প্রতিদিন নবায়িত হয় । আমি দেখি । দেখতে দেখতে জেনে যাই, মরে যাওয়ার আগে একদিন আমি ঠিক বেঁচে যাবো ।
প্রতিদিন ঘুম ঘুম চোখে আপনার গল্প শুরু করি, বোঝার জন্য বারবার পড়ি এবং ঘুম হারানোর জন্য দুঃখবোধ আর গল্পের জন্য ভালো লাগা নিয়ে গল্প শেষ করি ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘুম হারান। এত ঘুমায় কী হবে! রাত সুন্দর। রাত জেগে লেখালেখি করেন। থিংকু!
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৭
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন: ফাষ্টু হই!!