নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউটোপিয়া

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫০



আজকের মত এমন অসম্ভব সুন্দর দিন আর কখনও আসেনি আমার জীবনে। পৃথিবীর সুন্দরতম প্রজাপতিটির ডানার রঙের কারুকার্যও এই রঙের উৎসবের কাছে ম্লান। ম্লানমুখ করে তারা উৎসবের দর্শক হয়ে ছিল। কিন্তু এ এমনই এক উচ্ছল পরিবেশ, যেখানে কেউ মুখ গোমড়া করে থাকতে পারে না। প্রজাপতিরা উড়ছে বুকে বকুলফুলের ঘ্রাণ নিয়ে। পানীয় পরিবেশনকারী যুবকদের জামার হাতা থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে সোনালী আভা। অস্তগামী সূর্যটা বাড়ি ফেরার তাড়া রহিত করে এখানে ছুড়ে দেয় কিছু লালচে আনন্দরশ্মি। রঙের সাথে মিশে যায় আলো, শিরা-উপশিরা-ধমনীর ট্র্যাক ধরে ছুটে যায় রক্তকণিকারা বেপরোয়া উল্লাসে। উৎসবস্থলে যোগ দেবার আগ্রহ প্রকাশ করে বাতাসযান জরুরী বার্তা পাঠালে খুলে দেয়া হয় ছাদ, জানালা এবং দরজা। হুহু করে ঢুকে পড়ে হাওয়া। উড়তে থাকে পানীয়ের বোতল, পরিবেশনকারী, প্রজাপতি, পাখি, নারী, নাকফুল, হৃৎকলম, দেবশিশু, আলোর বল, টুকরো চাঁদ, জোছনার জাল, এবং অপঠিত জললিপি। আলোয় ভাসে ছোট্ট শহর, বাতাস তাকে নিয়ে যায় নতুন ঠিকানায়, ছোট্ট উৎসবস্থলটি কলেবরে বৃদ্ধি পেয়ে শহরের রূপ ধারণ করে। মানুষ বাড়তে থাকে। আলোর সঞ্চারপথ ধরে মোহগ্রস্থের মত ছুটে আসে তারা। অবশেষে সেই স্থানটির দেখা পেয়েছে যেখানে "দুঃখ নেই, কষ্ট নেই, ঝলমল করে আলো, রোদ্দুর"।

আর আমি? আমি নিশ্চিত হই এমন সুন্দর, এমন অদ্ভুত,অবিশ্বাস্য সুন্দর দিন আমারর জীবনে কখনও আসেনি, এবং আসবেও না। এই শহরেই পাকাপাকিভাবে থেকে গেলে কেমন হয়? চেয়ারটায় আয়েশ করে গা ঝুলিয়ে দিয়ে ভাবি। আমার তো কোথাও যাবার কোন তাড়া নেই। কেউ আমার জন্যে পথ চেয়ে বসে থাকবে না। কারো কাছে জবাবদিহির কোন ব্যাপারও নেই। তাহলে? কেন যাবে আমি? ভাগ্যক্রমে একটা ইউটোপিয়ান জগতের সন্ধান পেয়ে গেছি। এখান থেকে প্রস্থানের মূর্খতা দেখাতে পারলে পৃথিবীর মূর্খতম মানুষটির কাছেও হাস্যস্পদ হতে হবে।

-এই, এটা কি আলসে বুড়োদের মত চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে মাতবরি করে চারদিক তদারক করার জায়গা? ওঠো! নাচো!

নৃত্যে আমি খুব পটু ছিলাম না কখনই। কীভাবে পা এবং হাতের সঞ্চালনে একেকটি সুন্দর নৃত্যমুদ্রা গঠিত হয় সে সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই আমার। কিন্তু আমাকে আহবানকারী নৃত্যরতা মেয়েটির কথা শুনে মনে হল, না পারার কিছু নেই! তার মুখনিঃসৃত শব্দ যেন নৃত্যতরঙ্গ হয়ে ঢেউ খেলিয়ে দিতে লাগলো শরীরের সর্বস্তরে। স্বাভাবিকভাবে উঠে দাঁড়ানো এখন অসম্ভব। দেহের কোষে কোষে বাজনা বাজছে, অঙ্গকে চালিত করছে যেন নৃত্যের ঈশ্বর! যে নাচ জানেনা ফিঙে পাখি, জানেনা ঘাসফড়িঙ। আকাশে মেঘের টিকলি পরিয়ে দিলে ময়ূরের আনন্দনৃত্যও একটা গতে বাঁধা। নৃত্যরতা মেয়েটির সংস্পর্শে এসে আমি নৃত্যবিষয়ক যাবতীয় শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে তার হাত ধরে নাচতে থাকি। আমাদের সাথে সঙ্গত করে গলা ফুলিয়ে ব্যাগপাইপ বাজায় শহুরে ডোবাপৌরে জীবনে বিরক্ত একজন মাঝবয়েসি কোলাব্যাং, পারকিউশনের দায়িত্বটা থাকে চকমকি পাথরের কাছে। নৃত্যরতার সাথে নাচতে গিয়ে আমার হাঁফ ধরে না মোটেও। যদিও জানি আমার এই শরীরটা নানারকম অনিয়ম এবং অযাচিত আরামের ফলে শক্তি হারিয়েছে অনেকটাই। যদিও নারীসঙ্গহীন জীবনে মাঝেমধ্যে কামনার অনল আমাকে ধর্ষক হতে প্রলুদ্ধ করে, তবুও নৃত্যরতার শরীরের এত কাছাকাছি থাকার পরেও আমার মধ্যে কোন যৌন অনুভূতি জাগে না। নৃত্যের একটা আলাদা সৌরভ আছে। যার স্পর্শ পেলে ওৎ পেতে থাকা শিকারী কামনার দল পালিয়ে যায় সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনায় ধুঁপ জ্বালানোর ফলে পলায়নপর মশাদের মত। নৃত্যরতা মেয়েটির কোমর জড়িয়ে ধরে নতুন এক ভঙ্গিমায় অঙ্গ সঞ্চালন করতে গিয়ে জিজ্ঞেস করি,

-নাম কী তোমার?

-নাম কিছু একটা ছিলো একসময়! "রাবেয়া কী রোখসানা ঠিক তো মনে পড়ে না!"

-হু, শুনেছি গানটা। মহীনের ঘোড়াগুলির "সেই ফুলের দল"। তারপর কি হল? অস্থির ভাবনা ঠিকমত মনে করতে দিচ্ছে না।

নাচের তালে গুনগুন করে গাইলো সে,

-"অস্থির এ ভাবনা শুধু করে আনাগোনা

ফেলে আসা দিন তার মিছে মনে হয়"

আসলে অস্থির ভাবনাগুলো মনে করতে দিচ্ছে না কথাটা ভুল! মনে করতে চাইছি না। কিছুক্ষণ পর মনে করতে পারবোও না। তার আগেই তোমাকে যা বলার বলে নিই। আর আমার নামটা মনে কর "নৃত্যরতা" ঠিক আছে?

-খুব ঠিক আছে। এখন তোমার কাহিনী বল।

নৃত্যরতা তার কাহিনী বলা শুরু করে।

-আমি যখন ঐ পৃথিবীতে ছিলাম, কিছুতেই সবার সাথে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। আমাকে পরিচালিত করতেন নৃত্যের ঈশ্বর। তোমরা অনেকেই আটপৌরে বাস্তবকে ঘৃণা করে সৃষ্টি কর অধিবাস্তব, অপরবাস্তব, জাদুবাস্তব নামক বিমূর্ত শিল্প। আমি তৈরি করেছিলাম নৃত্যবাস্তব। ইংরেজিটাও বেশ জবরদস্ত "ডান্সরিয়ালিজম"! কেমন লাগছে শুনতে?

-দারুণ! অনুভব করতে পারছি। বলে যাও!

-কেমন একটা বেখাপ্পা মেয়ে ছিলাম আমি ভাবতেই অবাক লাগে এখন! যেমন ধর বৃষ্টি নামলো হঠাৎ শহরজুড়ে। সবাই দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয় বেঁছে নিল। আর আমি একলা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শরীর দোলাতে দোলাতে পদব্রজে বাড়ির পথে রওনা দিলাম। তখন অবশ্য শরীর দোলানোর বেশি তেমন কিছু পারতামও না। তখন তো আমি রাবেয়া কি রুখসানা ছিলাম, এখনকার মত নৃত্যরতা না!

-তারপরেও তুমি অসাধারণ ছিলে।

-ছাই ছিলাম! হয়তোবা বৃষ্টির মধ্যে আমার নৃত্যরতা অবয়ব দেখে দূর থেকে তুমিই তখন লোলূপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে! যাহ, এসব কী বলছি! এসব কথা এই অসম্ভব সুন্দর ইউটোপিয়ান জগতে বলতে মানা। এখন সেইসব পঙ্কিলতাকে কি ভীষণ ছেলেমানুষী আর খেলো মনে হচ্ছে! আচ্ছা বাদ দাও, কাহিনী শোন। জানো, আমি বাসের রড ধরে ঝুলে থাকার সময়ও নাচতাম। মানে ঐ অবস্থায় যতটুকু পারা সম্ভব আর কী! অফিস থেকে সন্ধ্যায় বেরুনোর সময় কানে যখন হেডফোন গুঁজে দিতাম এবং আমার ফেভারিট ডান্সমিউজিক গুলো বাজতো, তখন মনে হত পুরো শহর নাচছে! নাচছে বিলবোর্ডের হাস্যময়ী মেয়েটা, নাচছে গাড়ির হেডলাইট, নিয়ন সাইন। আলোকনৃত্য যে কত সুন্দর তোমরা কেউ অনুধাবন করতে পারতে না। আমার সাথে নাচতো শহর, নাচতো ছাদের ফুলের টব, নাচতো বিষাদ সন্ধ্যেবেলা, নাচতো পুষ্পসব।

-বাহ! তুমি দেখি নৃত্যের পাশাপাশি ছন্দেও বেশ পটু!

-দুটো তো সম্পর্কযুক্ত। একটার সাথে আরেকটা থাকবেই। ছন্দ, নৃত্য সব মিলিয়ে বেশ আনন্দেই ছিলাম। কিন্তু নৃত্যবাস্তবের ধারণাটা সবাইকে বোঝাতে গিয়ে বেশ বিপত্তির মাঝে পড়তে হয়েছিলো। কেউ বুঝতে চায়না। কেউ বোঝেই নি! নৃত্য মানে তাদের কাছে যেন শুধুমাত্র বিটিভির সেই আদ্যিকালের "নৃত্যের তালে তালে" অথবা কনসার্টে গিয়ে উদ্দাম লাফালাফি। নাচকেও যে শরীর, মন এবং কর্মের সাথে যুক্ত করে এক অন্য বাস্তবতার অসাধারণ স্বাদ আস্বাদন করা যায়, কেউ বোঝেই নি! খামোখা বোঝাতে গিয়ে কতসব ঝঞ্ঝাট, ওসব কথা অবশ্য এখানে বলা বারণ।

নৃত্যরতাকে এবার আমি জড়িয়ে ধরে চুম্বন করি। কিছুক্ষণের জন্যে থেমে যায় নাচ। নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বেজে ওঠে। আমার অফিসের বুড়ো পিওন স্যাক্সোফোনে কেনিজির "জয় অফ লাইফ" এর সুর ধরে। নৃত্যরতা এই সুরের তাৎপর্য বুঝতে পারে। আমাদের ঠোঁটের ঘর্ষণে বেজে ওঠে হারমোনিকা। বিশুদ্ধ প্রেমে কাম আসবেই। সে পিউরিটান ইউটোপিয়ান জগৎ হলেও। তবে তা আসতে সময় দরকার। আমি এবং নৃত্যরতা সে সময়টাটুকু অতিক্রম করেছি। এখন এই চুম্বনে কোন অপবিত্রতা নেই। দেহজ বিস্ফোরণের জন্যে আরো অপেক্ষা করতে আমাদের বিন্দুমাত্র অসহিষ্ণুতা নেই।



আমরা জানি কখন দোয়েল ডাকে

কখন যেন কে চিনে নেয় কাকে!



দোয়েলের ডাকের জন্যে অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই আর। নাতিদীর্ঘ চুম্বনপর্ব শেষে একে অপরকে আসন্ন প্রেমসংক্রান্তির স্যুভনির উপহার দিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে বেরিয়ে পড়ি। আমরা ভালোবাসার বৃহত্তর অর্থ জেনেছি। ভালোবাসা মানে আমাদের এই নশ্বর শরীরকে শুধুমাত্র ভোগের উপকরণ বানানো না, সীমাবদ্ধ করে ফেলা না। প্রাণ ভরে শ্বাস নেয়া, চোখ ভরে রঙ দেখা, সমস্ত সুন্দরকে স্পর্শ করা। নৃত্যরতা এবং আমি এই অনুসন্ধানে আকুল হয়ে ছুটে যাই নিঃশ্বঙ্ক চিত্তে। যেহেতু আমরা জানি, আবার দেখা হবে, যেহেতু আমরা জেনে গেছি ইউটোপিয়ান জগতে কোন বিচ্ছেদের বেদনা নেই!



শহরটা যে হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা তা পায়নি। এখন আর সেটা বাড়ছেও না। তবে উৎসব, আল্পনা, গান, নাচ সবই চলছে ঠিকঠাক। নবনির্মিত বাগানে প্রাক্তন জীবনে প্রত্যাখ্যাত অথবা ব্যর্থ প্রেমিক প্রেমিকেরা নতুন কাউকে খুঁজে নিয়ে গাছের ছায়ায়, ঘাসের গালিচায়, ফুলের সুবাসে, এক মনোহর পরিবেশে নব আবিস্কারের সন্ধান পেয়ে উদ্বেলিত চিত্তে নিজেদেরকে সঁপে দিচ্ছে। তবে শহরের বর্ধিত না হবার বিষয়টা আমাকে চিন্তিত করে। আমাকে চিন্তাক্লিষ্ট দেখে উপযাচক হয়েই একজন স্বেচ্ছাসেবক ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে,

"দেখুন, আমরা সবাই এই স্বপ্নে বিভোর, একটা চিরসুখময়, আনন্দময় জগতের। কিন্তু সবার কি এখানে প্রবেশাধিকার আছে? থাকা উচিত? হ্যাঁ, এখানে যারা এসেছে তাদের কেউই শূদ্ধ ভালো মানুষ না। কিন্তু তারা কষ্ট করে উপার্জন করে, খেটে খেয়ে বাঁচে। বিলাসিতা বিবর্জিত জীবন তাদের। তারচেয়েও বড় কথা, স্বপ্ন দেখাটা এখনও ভুলে যায়নি তারা।"

বলতে বলতে হঠাৎ সে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কারো ডাকে। আমি তাদের কথা অস্পষ্ট শুনতে পাই দূর থেকে।

-আল্পনাগুলো কি মুছে ফেলব?

-হ্যাঁ, কিছুতো মুছতেই হবে।

-দেয়াল, আয়না, নাচঘর, ঝাড়বাতি?

-নামিয়ে ফেল, ভেঙে ফেল কিছু। এত দরকার নেই।

এক ভয়ংকর আশঙ্কা আমাকে পেয়ে বসে। আমি ছুটে যাই তাদের কাছে।

-শহরটা বাড়াবেন না, ভালো কথা। সংকুচিত করছেন কেন?

-প্লিজ, এসব ব্যাপার আমাদের হ্যান্ডল করতে দিন। আপনার তো কোন সমস্যা হচ্ছে না!

অন্য একজন মিটমিটিয়ে হেসে যোগ করে,

-আপাতত!

-আপাতত মানে কী! মানে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে?

-চুপ! ইউটোপিয়ান জগতে ঝগড়া-বিবাদ-তর্ক-শঙ্কা এসবের কোন স্থান নেই।

বেশ মোলায়েম এবং হৃদ্যতাপূর্ণ গলায়ই আমাকে সান্ত্বনা দেয় সে।

-যান, ঘুরে দেখুন না শহরটা! এখনও তো পুরোটা দেখেনই নি। আরো অনেক কিছু আছে দেখার। অনুভব করার। ভালো লাগবে আপনার। যান।

এখানকার পরিবেশটা আসলেই অন্যরকম। কোনরকম শঙ্কা বা ভীতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। আমি আবারও নিরুদ্বেগ চিত্তে ঘুরে বেড়াতে শুরু করলাম। পকেটভর্তি জোনাকপোকা মানিব্যাগের বদলে। তারা আমাকে পথ দেখায়। নৃত্যরতা কি করছে এখন? কি করছে আমার ছটফটে প্রজাপতিটা? ক্লান্তির মাস্তুল ধরে শহর যখন ভুলপথে ভুলজলে নৌকা ভাসিয়ে দেয় তখন একটা চঞ্চল কম্পাস যেন সবাইকে দিক নির্দেশিকা দেখায়। আমার নৃত্যবালিকা! খুব শিগগিরই তার সাথে দেখা হবে শহরটা প্রদক্ষিণ শেষ হলে। তখন আমরা ভালোবাসবো তার প্রবর্তিত নৃত্যবাস্তব বা ডান্সরিয়ালিজমের নিয়ম মেনে। এখানে এখন দেবশিশুরা মেঘেদের ভেলায় উড়ে চলেছে, কিছুক্ষণ আগে হয়ে যাওয়া বৃষ্টির ফোঁটা কচুরিপানার বনে স্বচ্ছ স্ফটিকবিন্দুর মত জড়িয়ে ধরে আছে, যেন আজীবন থাকবে! রঙধনু থেকে ধনুকবার্তা এসে গেঁথে যাচ্ছে সবার গায়ে। আরো রঙ! আরো আনন্দ! আরো উচ্ছলতা! জীবনের পরম সৌন্দর্য নিখুঁত তুলির আঁচড়ে এঁকে দিচ্ছে কেউ এই শহরের ক্যানভাসে। এই জীবনকে ফেলে কোথায় ছিলাম এতদিন! শহর প্রদক্ষিণ প্রায় শেষ। বেশ ক্লান্ত লাগছে। কোন একটা পানশালা থেকে গলাটা ভিজিয়ে, একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার ফিরে যাব নৃত্যকন্যার কাছে। আমার নিয়তির কাছে। বেশি খুঁজতে হল না। পাশেই একটা পানশালা দেখতে পেলাম। ওখান থেকে ভেসে আসছে মহান স্বপ্নচারী জন লেননের সেই অমর কথামালা যেন কোন সুরপ্রপাত থেকে,

"Imagine there's no heaven

It's easy if you try

No hell below us

Above us only sky

Imagine all the people living for today



Imagine there's no countries

It isn't hard to do

Nothing to kill or die for

And no religion too

Imagine all the people living life in peace



You, you may say

I'm a dreamer, but I'm not the only one

I hope some day you'll join us

And the world will be as one"



স্বর্গের লোভ নেই, নরকের আতঙ্ক নেই, দেশের সীমারেখা নেই, ধর্মের নামে হানাহানি নেই, সম্পত্তির লোভ নেই। সবাই সবার জন্যে। সবাই এক আকাশের নীচে গাইবে শান্তির সঙ্গীত। জন লেনন ছাড়া এমন সার্থকভাবে ইউটোপিয়ান কনসেপ্টকে অনুদিত করতে পেরেছেন আর কে! তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমি একটা চেয়ার দখল করে বসি। প্রচুর পরিমাণ সোডা মিশিয়ে দু পেগ রাম খাব। নিমিষেই দূর হয়ে যাবে ক্লান্তি।

-দু পেগ রাম দাও তো, সাথে সোডা এক বোতল। আর জন লেননের গানটা থামালে কেন? বাজাও ওটা?

-আপনারে আর দেওন যাইবো না। প্রচ্চুর খাইসেন। এখন ওঠেন। বমি করলে পরিস্কার করব কেডা? আফনে?

কী বলছে! আমাদের এই চিরশান্তির জগতে কেউ এমন রূঢ় ব্যবহার করতে পারে! আমি রেগে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে খেয়াল করি, আমার হেডফোনটা কান থেকে বিচ্যুত হয়ে পকেট সংলগ্ন হয়ে ঝুলছে। ওহ, তাহলে জন লেননের গানটা আমিই চালাচ্ছিলাম! কিন্তু তারপরেও এই বারটেন্ডারটার বাজে আচরণ মেনে নেয়া যায় না। তাকে কষে ধমক দিলে সে গজগজ করতে করতে আরো দু পেগ আনতে যায়। আর তখন আমি টিভিতে দেখি নৃত্যরতাকে। কোন একটা রিয়ালিটি শোতে খুব শরীর ঝাঁকিয়ে নাচছে। এই নাচ ফিঙের না, ফড়িঙের না, কাশবনের না, জারুল ফুলের না, মেঘদলের না, আবেগী বালিকার না। এটা নৃত্যবাস্তব না! এটাই নিত্যবাস্তব! এটা কুৎসিত একটা মাংসল নাচ। যে মাংসের পরতে পরতে মিশে আছে লোভ আর ক্ষুধা! নৃত্যরতা এমনটা করতে পারলো! আমাকে শাস্বত জীবনের প্রতিশ্রূতি দিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা টেলিভিশনের ভেতর সেঁধিয়ে গেল? আবার দেখ, কিছু বখাটে ছোকরা শিষ দিচ্ছে!

-এই লন আপনার দুই পেগ রাম। ভাইগ্নারে কিছু বকশিশ দিয়েন। তয় বস, এইডাই কিন্তু লাস্ট।

-লাস্ট মাস্ট পরে, আগে টেলিভিশনটা বন্ধ করতে ক। আর ঐ টেবিলের ছ্যামড়াগুলারে উইঠা যাইতে ক।

-দেহেন মামা, আগেই কইছিলাম হুজ্জত হাঙ্গামা কইরেন না। এইখানে ডেয়ারিং সব পাবলিক আসে। পরে সমস্যায় পড়বেন।

-ঐ কি হৈছে রে? কোন মাদারচোতের খাউজানি উঠসে?

পাশের টেবিলের দল থেকে একজন শাসাল গলায় জানতে চায়।

আমি আর বাগাড়ম্বর না করে বিল চুকিয়ে দিয়ে নির্জলা রাম গলার ভেতর ঢেলে দিই।



শহর থেকে...থুক্কু বার থেকে ফেরার পথে আমার ভীষণ পেচ্ছাপের বেগ পায়। একটা ল্যাম্পপোস্টের ধারে কুকুরের শৌচকর্মের সঙ্গী হয়ে দাঁড়াই। ছ্যাড়ছ্যাড় করে বিসর্জন করি ইউটোপিয়ান মুত্র। শরীরটা বেশ হালকা লাগে এতে। মাথাটাও হালকা হয়ে আসে। বাসস্টপে পোঁছুতে হলে আরো বেশ কিছুদুর হাঁটতে হবে। হাঁটার সময় আমি অবাক হয়ে খেয়াল করি, আমার শরীর নৃত্যাকারে দুলছে। নৃত্যরতা চলে গেলেও আমার মাঝে দিয়ে গেছে নৃত্যবাস্তবতা! আরো কিছু টাকা জমলে দামী পানীয়ের কোলাবোরেশনে নৃত্যবাস্তবতা এবং ইউটোপিয়া আবারও এক হবে। ততদিন না হয় আমি আয়রনযুক্ত পানি আনফিল্টারড অবস্থায় পান করে পেটের অসুখে ভুগলাম!



ইউটোপিয়া, তুমি থাক বা না থাক, নৃত্যরতা, তুমি দেখা দাও বা না দাও, আমি আসবো। আমি আমার মত করে গড়ে নেব শান্তি-সুখের জগত আর ডান্সরিয়ালিজম, মাসে ঘন্টাখানেকের জন্যে প্রচুর অর্থ এবং স্বাস্থ্যের বিনিময়ে হলেও...

মন্তব্য ১১৬ টি রেটিং +৩৭/-০

মন্তব্য (১১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন: না পইড়া ফাস্টু!

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: যান এখন পড়তে বসেন!

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১০

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:


ম্যালাদিন পর একটা লেখা পড়ে আরাম পাইলাম । আমার কিছু লেখতে ইচ্ছা করতেসে ।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্লিজ লেখ! আর আমার পুরান লেখাগুলাও পর!

৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আহ! দারুন!
ইস! আমার যদি একটা ইউটোপিয়ান জগৎ থাকত।

ফিনিসিংটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। +

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইউটোপিয়ান কনসেপ্ট একটা বিভ্রম ছাড়া আর কিছুই না। তবুও অনেকেই স্বপ্ন দেখেন! আর কেউ স্বপ্নের বাঘবন্দী খেলায় আটকা পড়েন!

শুভরাত!

৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০

সায়েম মুন বলেছেন: সুন্দর একটা থিমে। কম্পোজিশন জোস হৈছে। জন লেননের গানটা শোনা হয়নি। লিরিক্সটা সেইরাম।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: জন লেননের গানটা শোনেন নাই! :-/ এইটাতো আমার জাতীয় সঙ্গীত! এহনই শোনেন। রাতটা ভালো কাটবো।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
গানের পরের অংশটুকু থেকে লাস্ট পর্যন্ট বেশি জোস হৈসে।
You, you may say
I'm a dreamer, but I'm not the only one
I hope some day you'll join us
And the world will be as one"
||

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: জন লেননরা কেন বারবার জন্মায় না!

৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আজকেই বিকেলে ভাবছিলাম আপনাকে বলি, গল্প দেন :)
এখন সামুতে এসেই দেখি পেয়ে গেলাম :)

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও কালকে থেকে ভাবতেসিলাম লেখার কথা। তবে ক্লান্তির কারণে দেয়া হয় নাই। আজকে দিয়া ভালো লাগতেসে।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৭

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: গল্প বললেন আর সাথে একটা মেসেজ দিয়ে গেলেন।অসাধারন।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুসরাত! শুভরাত্রি।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪০

স্বপনবাজ বলেছেন: প্রতিনিয়ত মনে হয় এমন একটা জগতের বাসিন্দা আমি!
অনেক ভালো লাগা!

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার নামটা তাহলে বেশ সার্থকই বলা যায়! স্বপ্ন দেখা অব্যাহত থাকুক স্বপনবাজ। শুভেচ্ছা।

৯| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: আহ স্বপ্ন-
অবশেষে সেই স্থানটির দেখা পেয়েছে যেখানে "দুঃখ নেই, কষ্ট নেই, ঝলমল করে আলো, রোদ্দুর"।

গল্পের সাথে সাথেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম স্বপ্নের সেই ইউটোপিয়ান জগতে! আবার ফিরেও আসতে হল এই একঘেয়ে বাস্তবে :(

আপনি একদম ঠিক বলেছেন জন লেননের এই গানটা স্বপ্নের জগতের জন্যই!
"Imagine there's no heaven
It's easy if you try
No hell below us
Above us only sky
Imagine all the people living for today
...............................
Imagine all the people living life in peace..................

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: যেখানে দুঃখ নেই কষ্ট নেই, এটাও কিন্তু একটা গানের লাইন। উইনিংয়ের "ইচ্ছে করে"।

অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১০| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সবকিছু মিলিয়ে দারুণ হৈছে

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুম আহমদ! শুভরাত্রি।

১১| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২২

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আপনে মিয়া আসলেই বস পাব্লিক। + লন

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী যে বলেন! আমি সামান্য একজন কর্মচারী। দেন দেন পেলাস দেন!

১২| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প যে ভাল হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বরাবরের মতই মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে চরিত্রটা বাস্তবে যেভাবে ফিরল, তা দারুণ লেগেছে। গল্পটা পড়ে একটা কবিতা দেবার ইচ্ছা সামলাতে পারলাম না।

'দূরে বহুদূরে
স্বপ্নলোকে উজ্জয়িনীপুরে
খুঁজিতে গেছিনু কবে শিপ্রানদীপারে
মোর পূর্বজনমের প্রথম প্রিয়ারে।
মুখে তার লোধ্ররেণু, লীলাপদ্ম হাতে
কর্ণমূলে কুন্দকলি, কুরুবক মাথে,
তনু দেহে রক্তাম্বর নীবীবন্ধে বাঁধা,
চরণে নুপুরখানি বাজে আধা আধা।
তাহার সাথে, এই যে মধুর আলস ভরে
মেঘ ভেসে যায় আকাশ 'পরে
এই যে বাতাস দেহে করে অমৃত ক্ষরণ
এই তো তুমি, আমার হল হৃদয় হরণ।

হঠাৎ কি ছলে, ঘুম টুটে গেলে
দেখি একা আছি বালুকাতলে।
রজনীর অন্ধকার
উজ্জয়িনী করে দিল লুপ্ত একাকার।
দিপ দ্বারপাশে
কখন নিবিয়া গেল দুরন্ত বাতাসে।
শিপ্রানদীতীরে
আরতি থামিয়া গেল শিবের মন্দিরে।।'

বলাই বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন। এই দাড়িঅলা বুড়ো আধুনিক লেখকদের বিশাল ক্ষতি করে গেছেন। সব গল্পেই তার শেকড় পাওয়া যায়।

ভাল থাকুন।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর! রবীন্দ্রনাথের খুব একটু ভক্ত নই আমি। কিন্তু তাকে এড়িয়ে যাওয়াও অসম্ভব। আমার দুটো গল্পের শিরোনাম তার কবিতার লাইন থেকে নেয়া। আপনার দেয়া কবিতাটা আগে পড়া ছিল না। এ ধরণের রচনাভঙ্গিতে আমি আসলে খুব একটু সাচ্ছন্দ্য বোধ করি না, তারপরেও এ নিশীথে এটা পড়ে অন্যরকম ভালো লাগলো।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমরা জানি কখন দোয়েল ডাকে
কখন যেন কে চিনে নেয় কাকে!


আপনার লেখা সবসময়ের জন্য অসাধারন

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত পাঠ এবং উৎসাহ দেবার জন্যে।

শুভরাত্রি।

১৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২৬

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আসলাম !:#P

১৫ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অবসরপ্রাপ্ত ফুটবলার আসলাম? হে কি করচে? -_-

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

নোমান নমি বলেছেন: অনেকদিন পর! হামার গল্প। আপনার গল্প পড়ার আগেও পরে এবং মধ্যবর্তী সময় এত আলাদা। ভাবনা তৈরি করে অন্যের কাছে দেয়া বিরাট কৃতিত্ব। আপনার গল্প পড়লে একবার মনে হয় শালার জীবনে কিচ্ছু লিখতে পারলাম না।

১৫ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাইলে লাস্ট যেই গল্পে কমেন্ট করসিলা আর এই গল্প, এর মধ্যবর্তী গল্পগুলা পৈড়া কমেন্টাইতে থাকো! :-B

শুভ সকাল নমি।

১৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: "Imagine there's no heaven
It's easy if you try
No hell below us
Above us only sky
Imagine all the people living for today

Imagine there's no countries
It isn't hard to do
Nothing to kill or die for
And no religion too
Imagine all the people living life in peace

You, you may say
I'm a dreamer, but I'm not the only one
I hope some day you'll join us
And the world will be as one"

সেইরম একখান গান।




পোস্টে,
১০ ভাললাগা।

সাথে +++++





আগের পোস্টগুলো পড়তে আসবো খুব শিগ্রই...





শুভ কামনা সবসময়।

১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি নিয়মিত কথা হবে এখন থেকে।

শুভসকাল।

১৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: আপনার গল্প পড়তে ভিশন ভাল লাগে। গল্প যখন শেষ হয়ে যায় তখন মনে হয় আর একটু থাকলে ভাল হত। :)

আর আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষের মনের মধ্যে একটা স্বপ্নপুরি আছে যেখানে সে অবাদে বিচরন করে নিজের মত করে।

১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো লাবনী। স্বপ্নপুরীতে অবাধ বিচরণ অব্যাহত থাকুক।

শুভ সকাল।

১৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

নস্টালজিক বলেছেন: কি সুন্দর!

দৃশ্যকল্পগুলো খুব জীবন্ত ছিলো চুম্বন পর্বের আগে ইউটোপিয়ান জগত প্রকৃত অর্থেই অপাপবিদ্ধ লাগছিলো! চুম্বন পর্বের পর জগতটা একটু একটু করে মিলিয়ে যাচ্ছিলো!

সুপার্ব!


শুভেচ্ছা!

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সিকোয়েন্সটা একদম ঠিকঠাক ধরস। বর্ণনা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এই গল্পে বর্ণনার সৌন্দর্য দরকার ছিলো। ভালো লাগলো তোমার কমেন্ট পেয়ে।

থেংকু!

১৯| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ডান্সরিয়ালিজমের কনসেপ্ট টা সত্যিই সুন্দর। বিশেষ করে মেয়েটি বাসের রড ধরে ঝুলে থাকার সময়ও নাচত ব্যাপারটা মজার। নাচ বাস্তবতা নিয়ে যে ছোট ছোট বর্ণনা বা বৃষ্টির সময় মেয়েটির নিরাপদ আশ্রয় না খুঁজে ভিজতে ভিজতে শরীর দোলাতে দোলাতে বাড়ি ফেরার দৃশ্যটা কল্পনা করলাম ! সুন্দর !

গল্পের মাঝে মাঝে কিছু ডায়ালগ এর ভ্যারিয়েশন আনাটা আমি উপভোগ করি। রিলিফ টাইপ লাগে। তবে আপনার গল্পের শুরুটা বেশ কাব্যিক। ভালো লাগছে।

মাঝে মাঝে ভাবি আমাদের কল্পনার স্পেসটা যদি না থাকতো অথবা স্পেসটা সংকুচিত হয়ে যেত তাহলে বোধহয় আমাদের নিঃশ্বাস নেবার জায়গাটাও থাকতো না।

গল্প পড়ে মনে হচ্ছে এটাও এক বসায় লেখা। দুই এক জায়গায় বানান ভুল আছে। দেখে নিয়েন।

লম্বা কমেন্ট করে ফেললাম। তবে গল্পের খাতিরেই করলাম।
শুভ কামনা আপনার জন্য ।

==================

ইউটোপিয়া নিয়ে যত দূর জানি সেখানে সক্রেটিস আর তার শিষ্য প্লেটোর নামই বারবারে আসে এবং বৃটিশ আইনবিদ থমাস মোর প্রথম এই শব্দটির সাথে পরিচয় ঘটায়। তাই ইউটোপিয়া বলতে আমরা "আদর্শ কোনো ধ্যান-ধারণা, মতবাদ বা সমাজ-ব্যবস্থা" কে বুঝে থাকলেও প্লেটোর বর্ণিত রাষ্ট্র শ্রেণীবৈষম্যমূলক ছিল।

কিন্তু আপনি এক পর্যায়ে একটা ইনফো দিয়েছেন

জন লেনন ছাড়া এমন সার্থকভাবে ইউটোপিয়ান কনসেপ্টকে অনুদিত করতে পেরেছেন আর কে!

এটা পড়ে একটু কনফিউজড হলাম। তাই আরেকটু নেটে ঘেঁটে জানলাম –

জন লেনন স্বপ্ন দেখতেন নিউটোপিয়া নামে একটা দেশের। সারা পৃথিবীতে এই একটাই দেশ। ১৯৭৩ সালের ১ এপ্রিল নিউইয়র্কে।

তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো ? কনফ্যু ক্লিয়ার করেন।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ডান্সরিয়ালিজমের ভাবনাটা আমার জীবন থেকেই নেয়া। মেয়েটার জীবনে যেমন হয়েছিলো, অফিস থেকে বের হবার পরে সন্ধ্যেবেলা হেডফোন কানে দিয়ে ডান্স মিউজিক শুনতে শুনতে পুরো শহরটাকে নৃত্যরত মনে হবার অনুভূতি সেই সাথে নিজেরও নেচে নেয়া, এমন কী বাসের রড ধরে নাচার ব্যাপারটাও সত্যি। এটা অনেকদিন আগের কথা। ৬-৭ মাস আগের। তখন এই থিম নিয়ে একটা গল্প লেখার ভাবনা মাথায় আসে, কিন্তু লেখা হচ্ছিলো না। ইউটোপিয়া লিখতে গিয়ে এখানে বসিয়ে দিলাম!

ইউটোপিয়ার সংজ্ঞাটা যদিও আদর্শ রাষ্ট্র এবং শাসন ব্যবস্থাকেন্দ্রিক, কিন্তু সাহিত্যে এই কনসেপ্টটা ব্যবহার করতে গেলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা সক্রেটিস নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামায় বলে মনে হয় না। এটা একটা সুন্দর স্বপ্নলোক। একটা রোমান্টিক চিন্তা। তবে রাষ্ট্রে যদি আইনের শাসন একদম ঠিকঠাক চলে তাহলে তা স্বপ্নের মত সুন্দরই হবে!

সেই অর্থে জন লেননের গানটিকেও সবাই ইউটোপিয়ান ভাবনারই বলেন। নিউটোপিয়া একটি দেশ (আগে নাম শুনিনাই) যা ইউটোপিয়াতন্ত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত।

বানান আবারও ভুল হৈসে! এবারও অবশ্য যথারীতি এক বসায় লেখা। আচ্ছা ঠিক করে নেব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নিবিড় পাঠের জন্যে।



২০| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

মাক্স বলেছেন: ২য় বার পড়লাম।
অসাধারণ।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাক্স!

২১| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

ফয়সাল হুদা বলেছেন:
বাহ !!
নৃত্য চালিত শহর বা সমশিল্পের সহযাত্রিক জীবন...
দারুণ একটা স্কেচ

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ফয়সাল! অনেকদিন যাবৎ কিছু লিখছেন না...

শুভদুপুর।

২২| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সব মিলিয়ে ইউটোপিয়ান ভাবনার প্রকাশ হিসেবে গল্প ভালো লাগছে।
আমার এক কলিগ আছে সে আপনমনে কাজ করতে করতে গানের সুর ভাঁজে গুনগুনিয়ে এবং এক পর্যায়ে সে শব্দ করেই গাইতে থাকে। ব্যাপারটা প্রাথমিক ভাবে হাস্যকর লাগলেও ঘটনা কিন্তু সত্যি এবং সেও সম্ভবত ভুলে যায় আসলে অফিস আর বাসার বা পারসোনাল সময়ের প্রভেদ।

আপনার রিয়েল লাইফের ঘটনা শুনে ব্যাপারটা শেয়ার করলাম।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কলিগের সাথে মিল পাওয়া গেল। তবে আমি অফিসে গান গাই না। তবে এমন এমন পরিবেশে গুনগুন করা শুরু করি যেখানে তা আদতে করা শোভা পায়না!

শুভদুপুর!

২৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

মিরাশদার১০ বলেছেন: ভালো লাগসে। শব্দের ব্যবহার অন্যান্য গল্পের মতন হলেও গল্পটা নিজের মত করে চমৎকার ছিল। শেষের টুইস্ট ইন্টারেস্টিং। ++

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রত্যেকের তো একটা নিজস্ব প্রকাশভঙ্গি থাকে শব্দের তাই না? তারপরেও হয়তো ভেরিয়েশন দরকার হয়। দেখা যাক!

থ্যাংকস!

২৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

আমিনুর রহমান বলেছেন:

ভাইজান ২/১ খারাপ কিছু লিখেন :P

ইউটোপিয়া এর গল্প চমৎকার হয়েছে। বাস্তব ফিরে আসাটায় একটা টুইষ্ট ছিলো।

দামী পানীয়ের কোলাবোরেশনে নৃত্যবাস্তবতা এবং ইউটোপিয়া আবারও এক হবে। নিশ্চয়ই হবে :)

১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশ্চয়ই হবে! ছটাক খানেক ইউটোপিয়া না থাকলে নাগরিক জীবন চলবে কি করে? হোক না তা ভেজাল এবং ক্ষণস্থায়ী!

অনেক ধন্যবাদ আমিনুর! ভালো থাকবেন।

২৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমরা জানি কখন দোয়েল ডাকে
কখন যেন কে চিনে নেয় কাকে!

পুরো লেখাটাই যোশ হয়েছে দারুন থিম তাই পোস্টে++++

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং প্লাসের জন্যে!

২৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৪

অমৃত সুধা বলেছেন: ‘প্রধানমন্ত্রীর জীবন হুমকির মুখে’
http://dhakajournal.com/?p=7551

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: তো আমি কি করুম? যায়া পাহাড়া দেয়া শুরু করব?

ব্লকড।

২৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫১

শোশমিতা বলেছেন: ইদানিং সময়ের কারনে ব্লগে বসে কারো লেখাই পড়া হয়না।অনেক দিন পর সময় করে বসে আপনার লেখা পড়লাম। সুন্দর গল্প! অনেক অনেক ভালো লেগেছে +

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ব্লগে নিয়মিত দেখলে ভালো লাগবে। শুভেচ্ছা।

২৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হামাভাই ঘটনা শুনব। বিস্তারে শুনব। সবিস্তারে শুনব। প্লিজ, পোস্ট দেন না নিয়ার ডেথ নিয়ে। আপনার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এগুলা আমি স্মরণ করতে চাই না। বিস্তারিত লেখা হবে না মনে হয়। তবে বিভিন্ন লেখায় টুকরোভাবে এসেছে। আমি সবার সামনে বলতে অস্বস্তি বোধ করি। প্যানিক ওয়েভগুলো ফিরে আসুক তা চাই না।

২৯| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: :-*
আমার একটা ইউটোপিয়ান জগৎ চাই!

অনেক ভাল্লাগলো হামা ভাই। মুগ্ধ হলাম।

শুভরাত।

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: কেউ কখনও খুঁজে কি পায় স্বপনলোকের চাবি!

শুভেচ্ছা সোহাগ।

৩০| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১১

এম হুসাইন বলেছেন: লগ ইন করতে পারছিলাম না তাই মন্ত্যব্য করা হয় নি ভাই... লেখা অফ্লাইনে পড়ে ফেলছি...

আপনার লেখা... +++ তো থাকবেই...
যদিও গল্প আমার তেমন ভালো লাগতো না আগে... কিন্তু আপনার কিছু কিছু গল্প পড়ে ভালো লাগতে শুরু করেছে......

আর জন লেনন কে এনে গল্পের ভাবাবেগ অনেক গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে...


শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ভালো থাকুন হামা ভাই, নিরন্তর।

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্প একজন পাঠককে গল্পমুখী করছে জানাটা খুব আনন্দের।

অনেক শুভকামনা রইলো। শুভরাত্রি।

৩১| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:১৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
ইউটপিয়ান শব্দটা দেখে সুনীলের একটা উপন্যাসের কথা মনে পড়সে! উপন্যাসটা মে বি ক্লাস নাইন বা টেনে থাকতে পড়সিলাম। উপন্যাসের নামটা অবশ্য মনে নাই, বাট উপন্যাসের বিষয় বস্তু কিছুটা মনে আছে। আপনার গল্পের মতো সেখানেও এমন একটা গ্রাম/শহর ছিলো। ওখানকার মানুষদের চিন্তা ভাবনা বা ওদের জীবনের চলাফেরার যে গতি প্রকৃতি ছিলো সবই ছিলো একই ধাচের। অই উপন্যাসের একটা অংশের বর্ণনা দিলে বুঝতে পারবেন।

একবার গ্রাম/শহরের ওরা সিদ্ধান্ত নিলো পিকনিক বা এই জাতীয় কিছু করবে। তবে রান্না যা করার ওদের ঘর থেকে করে খাবার নিয়ে আসবে। যখন সবাই একসাথে মিলিত হলো তখন দেখা গেলো সবাই প্রায় একই রকম জামা কাপড় পড়ে আসছে আবার যখন খেতে বসলো তখন দেখলো ওরা সবাই প্রায় একই রকম খাবার নিয়ে আসছে!

আপনার গল্প পড়েও প্রায় একই রকম অনুভূতি হলো। এমন একটা সমাজ ব্যবস্থার কথা পড়সিলাম আরেকটা উপন্যাসেও। উপন্যাসটা নাম সম্ভত সময়। লেখকের নাম মনে নাই। আসলে সত্যি কী এমন একটা সমাজ বা এমন একটা দেশ আমরা প্রায় সবাই চাই! কিন্তু বাস্তবে এটা আর হয়ে উঠে না!

আপনার গল্পটা পড়ার পর, আমার লিখতে ইচ্ছে করতাসে। ভাবতাসি এটা নিয়ে একটা কবিতা লিখমু! জানি না সম্ভব হয় কিনা।

আমি মনে হয় সব অফটপিক কথা বলে ফেললাম। স্যরি হা-মা ভাই।

শুভ রাত্রি।

১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অফটপিক কথা বলে ভালোই করসেন। নতুন একটা উপন্যাসের কথা জানলাম। পেলে পড়ে ফেলব। আমার গল্পটায় ইউটোপিয়ান সমাজ অবশ্য ব্যক্তি অনুভূতিসর্বস্ব এবং রূপকথার মত! সুনীলেরটা থেকে আলাদা। তবে জানিনা তার থিমটা কি ছিল।

নতুন লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

৩২| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
*ইউটোপিয়া

১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসকাল।

৩৩| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আশিক মাসুম বলেছেন: গতকাল মোবাইল থেকে পড়েছিলাম কিন্তু বাংলিশ এ কমেন্ট করতে ইচ্ছে করেনি :)

নিখাদ ভাল লাগা যানিয়ে গেলাম , আপনার লিখা পড়ার পর এছারা আর উপায় থাকেনা।



শুভ কামনা থাকলো।

১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আশিক। শুভসন্ধ্যা!

৩৪| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রজাপতিরা উড়ছে বুকে বকুলফুলের ঘ্রাণ নিয়ে .........।


কি অসহ্য সুন্দর লাইন ।


একদিন এর চাইতে বেশী ভাললাগা সহ্য হবে না ...
আজকে এতেই থাকছি...

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন ভালো করা মন্তব্য। ভালো লাগা দীর্ঘায়িত হোক।

শুভেচ্ছা।

৩৫| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৬

কালোপরী বলেছেন: :)

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি সুন্দর করে হাসতে পারি না। আমার হাসি এরকম B-))

৩৬| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,

ব্লগে আসা হয়না তাই দেরীতে দেখলাম , দুঃখিত ।

"ইউটোপিয়া" তে অবাস্তব একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বোঝালেও প্রচলিত অর্থে আমরা অবাস্তব এবং অনুধাবনের অসম্ভব কিছুর কথা বুঝি ।
প্রাচীনকালে তো অনেক কিছুকেই অবাস্তব ও অসম্ভব বলে ধারনা করা হয়েছে যা কালের বিবর্তনে আবার সম্ভব এবং সত্য বলে প্রমানিতও হয়েছে। তাই ইউটোপিয়ার অর্থে আজকে যা অবাস্তব ও অসম্ভব ধারণা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে তা যে আগামী কোন দিনে বাস্তব হবেনা বা ফলে যাবেনা একথা তো নিশ্চিত বা হলফ করে বলার উপায় নেই।
তাই আপনি যখোন লেখেন - " আমি আমার মত করে গড়ে নেব শান্তি-সুখের জগত আর ডান্সরিয়ালিজম, মাসে ঘন্টাখানেকের জন্যে প্রচুর অর্থ এবং স্বাস্থ্যের বিনিময়ে হলেও.... " তখোন হয়তো ব্যাপারটি একদিন ঘটে যেতেও পারে ।
তাই অপেক্ষায় থাকলুম .. কবে আবার আপনি -"প্রাকটিকো-ইউটোরিয়ালিজম" নামে আরো কয়েক পাতা নামিয়ে দেবেন এখানে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রাচীন তত্ত্ব, বর্তমান রোমান্টিসিজম আর আটপৌরে জীবনের দুঃখবর্ম হিসেবে নানারূপে ইউটোপিয়া বিদ্যমান। কখনও কখনও তার দেখা পাওয়া যেতে পারে। খুঁজে ফিরি আমরা। কেউ কেউ খুঁজতে ভুলেই যাই...

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভরাত্রি!

৩৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৫৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনি তো জানেনই লগ ইন করতে সমস্যা হচ্চিল আমার। আজ অনেক চেষ্টার পর লগ ইন করতে পেরেছি। লেখাটা পড়েছিলাম পোস্ট দেয়ার পর পরই।

আসল কথা হল আমি ইউটোপিয়া সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতাম না। তাই গুগল মামার সাহায্য নিলাম। তাতে কাজের কাজ যা হইল আমার নিজের মাথাই আওলাইয়া গেল। প্লেটোর ইউটোপিয়া সংক্রান্ত কিছু লেখা পইড়া মাথায় চিন্তা আসছে উদ্ভট একটা গল্প লেখার। আর উইকি বাবাজি তো চিন্তার রসদ আরও বাড়ায় দিল

আর আপনার লেখা থেকেও কিছু ধার করার চিন্তা করছি। মাইন্ড খাইবেন না কিন্তু! রেফারেন্স দিয়া দিমু! :P

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: মাইন্ড করমু কেন! মাই প্লেজার। জমজমাট একটা গল্প আশা করতাছি।

অট-আপনার লেখার লিংকগুলো দ্রুত দিয়া দিয়েন।

৩৮| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭

প‌্যাপিলন বলেছেন: নি:স্ব কালীন সময়ে আগতকালীন বাজেটে কিছু বরাদ্দ রাখার অভিপ্রায় ছিল তরল গরলের, কারণ ইউটোপিয়ায় যতটা ডোবার সুযোগ ছিল তার খরচ পরের বদান্যতায়, না আর হইলনা, এখন বেশি বিষন্নতায় ডুবলে বিনা পানীয়তেই উড়তে থাকি, একসময় পতন চলে আসে বড় শব্দ করে, তীব্র ব্যাথাময়

গল্পে ভাললাগা। শুভ সকাল

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কাব্যিক এবং বিদগ্ধ মন্তব্য।

শুভসকাল প্যাপিলন!

৩৯| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০১

বৃতি বলেছেন: আপনার এই গল্পটা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি । কারণটা বলছি না ।
ভাল লেগেছে । প্লাস নেন ।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কারণটা জানতে পারলে ভালো লাগতো। যাই হোক, দেন প্লাস দেন!

৪০| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

বৃতি বলেছেন: আর হ্যাঁ, আপনাকে বলা হয়নি, আমি আপনার লেখা বেশ পছন্দ করি :) :)

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভসকাল।

৪১| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। পত্রিকার সাফল্য কামনা করছি।

৪২| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০৮

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অসাম লেগেছে ভাইয়া!!! মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!!!!

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

৪৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৭

কালীদাস বলেছেন: দাড়িকমা শুদ্ধা ইউটোপিয়ান বানায়া ছাড়ছেন দেখা যায় :) পুরাপুরি এরকম দেশ আর হবে বলে মনে হয়না আমার।

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আবার জিজ্ঞেস!

৪৪| ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: প্রথমে ডান্সরিয়ালিজম এর কাব্যময়তা ,তারপর বাস্তবের প্রখর গদ্য ,ব্লেন্ডিং টা একদম ঠিকঠাক ।তাই গল্প টা পড়ে দার্জেলিং চা এর আমেজ পাওয়া গেল ।

এই গল্প টার লাস্ট লাইন টা থেকে মাথায় আরেক টা প্লট আসলো ।লাস্ট লাইন টা দিয়ে একটা গল্প লিখে ফেলি ?

১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এক ফ্লাস্ক চা নিয়ে এখনই লিখতে বসেন!

শুভকামনা।

৪৫| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: আর তখন আমি টিভিতে দেখি নৃত্যরতাকে। কোন একটা রিয়ালিটি শোতে খুব শরীর ঝাঁকিয়ে নাচছে। এই নাচ ফিঙের না, ফড়িঙের না, কাশবনের না, জারুল ফুলের না, মেঘদলের না, আবেগী বালিকার না। এটা নৃত্যবাস্তব না! এটাই নিত্যবাস্তব! এটা কুৎসিত একটা মাংসল নাচ। যে মাংসের পরতে পরতে মিশে আছে লোভ আর ক্ষুধা!


বাস্তব জগতে নামিয়েই ছাড়লেন !! বাস্তবের সীমাবদ্ধতা, অপ্রাপ্তি আর জটিলতা-কূটিলতা থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতেই আমরা কল্পনার রঙে চড়ে ইউটোপিয়ায় জগতে হারিয়ে যাই । আর সবচেয়ে মজার ব্যপার হল বাস্তবে আমরা যাই হই না কেন, ইউটোপিয়ার জগতে আমাদের সবচেয়ে সুন্দর আর সূক্ষ্ণ বোধ গুলোই খেলা করে ।


মাঝখানে কিছু বিক্ষিপ্ততা কাজ করলেও এই গল্পে পুরানো হা-মা ভাইকে ফিরে পেলাম যেন । ভাব-ভাষার শৈলী আর রহস্যময়তায় ঠাসা সেই প্রিয় গল্পকার হাসান মাহবুব ভাই ।

১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিমগ্ন পাঠের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ মামুন ভাই!

৪৬| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৪

সোমহেপি বলেছেন: গল্পের প্রথম দিকটা গল্পই মনে হচছিল।শেষটা একজন আসক্ততের মনোজগৎ এর সন্ধান মিলল।ভালো।

কোকেইন!!

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: যেভাবে ভাবো! কোকেইন! ছোট মুখে বড় কথা কউ ক্যা? দাম জানস?

৪৭| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

কয়েস সামী বলেছেন: ইউটোপিয়ান মুত্র! হাহাহা! অনেক দেরীতে পড়া হল তাই এদ্দিন বারবার মাথায় চলে আসছিল এমন ভাবনা- কিছু একটা কাজ বাকি রয়ে গেল! আজ অবশেষে সেই কাজটা শেষ করলাম। গল্পটা পড়া হল। তবে,
আপনার অন্য গল্পগুলার মতো করে এ গল্পটা কেন জানি খুব একটা টানেনি।

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: মতামতের জন্যে ধন্যবাদ কয়েস সামী। ভালো থাকবেন।

৪৮| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

সোমহেপি বলেছেন: সব দেখাইয়া দিমু নাকি?

আইসেন আমার লগে কি পরিমাণ টানতে পারেন দেখা যাইবে।কোনটা পছন্দ আপনার সাদা না কালো?

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: কয় কী! সাদা কালো বুঝি না। ইউ উইন!

৪৯| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০০

সোমহেপি বলেছেন: বেশি বাড়াবাড়ি করলে কোকেইন মাইখা কাবাব বানাইয়া সেবনকারীদের কাছে দিয়া দিমু তারা যা করার করব :#)

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গুড বিজনেস আইডিয়া!

৫০| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১২

গাধা মানব বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর লেখা।


আর জন লেননের গানটা আমার অনেক প্রিয়। :)

১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: গানটা আমারও অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে পাঠের জন্যে।

৫১| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১০

ভিয়েনাস বলেছেন: ভালোবাসা মানে আমাদের এই নশ্বর শরীরকে শুধুমাত্র ভোগের উপকরণ বানানো না, সীমাবদ্ধ করে ফেলা না। প্রাণ ভরে শ্বাস নেয়া, চোখ ভরে রঙ দেখা, সমস্ত সুন্দরকে স্পর্শ করা। নৃত্যরতা এবং আমি এই অনুসন্ধানে আকুল হয়ে ছুটে যাই নিঃশ্বঙ্ক চিত্তে ..... আহ্ ইউটোপিয়ান জগৎ...... এমন একটা জগৎ খুব দরকার।

গল্পের ছান্দনিকতা খুব ভালো লাগলো। খুব আস্তে ধীরে আরাম করে
স্বস্তি নিয়ে পড়লাম। বর্ননা গুলো কে নৃত্যরত মনে হচ্ছিলো।

এক কথায় দারুন। প্লাস তো রইলোই।

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস!

৫২| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৬

শাহেদ খান বলেছেন: দারুণ !

প্রথম দিকটায় স্বপ্নময় পৃথিবী'র গল্প পড়তে পড়তে শেকসপীয়ারের লাইন গুলো ভাবছিলাম,

O wonder!
How many goodly creatures are there here!
How beauteous mankind is! O brave new world
That has such people in't!

পরে এসে পুরাই ভিন্ন সমাচার ! নৃত্যবাস্তবতা থেকে নিত্যবাস্তবতা'য় কনভার্শন'টা চরম লাগল !

গল্পে অনেক ভাল লাগা !

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর শাহেদ! শুভকামনা।

৫৩| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৯

মারুফের রহমান বলেছেন: ইউটোপিয়া, তুমি থাক বা না থাক, নৃত্যরতা, তুমি দেখা দাও বা না দাও, আমি আসবো। আমি আমার মত করে গড়ে নেব শান্তি-সুখের জগত-



কেমন আছেন?

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি। তুমি তো আমারে তুমি কৈরা বলতা। দীর্ঘদিনের যোগাযোগহীনতায় এমনই হয়!

৫৪| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

অদৃশ্য বলেছেন:




হাসান ভাই

লিখাটি গতকালকেই পড়া হয়েছে... সব মিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার...

তবে উৎসবের দৃশ্যগুলো কল্পনায় আনতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে... সেইসাথে নৃত্যরতার নৃত্যরত মুভমেন্ট কল্পনা করতেও বেশ সমস্যা হয়েছে... সিম্পলি নারীর বাঁকা চলনটাই সামনে চলে আসে... দৃশ্যত ... আমি একটু আলাদা ভাবে ভাবতে চাইছিলাম, হয়নি...

নৃত্যরতাকে চুমু খেলে হয়তো তার বাহ্যিক নৃত্যরত ভাবটা ক্ষনিকের জন্য থেমে যেতে পারে ... তবে চুম্বনরত সময়ে তার আভ্যন্তরিন কম্পনের উল্লেখ থাকলে আরও ভালো হতো...

পরিশেষে বলতে চাই... মাদককে না বলি ... তবে নেশাকে হাঁ বলি ... আমরা মাদক ছাড়া নেশাতে আচ্ছন্ন হয়েই যেন উপভোগ করতে পারি কল্পনার অনন্য উৎসব...

আপনার এইসব নিত্বনতুন ভাবনা ও তার প্রকাশ সবসময়ই ভালোলাগে...

শুভকামনা...

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিস্তারিত পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য। ভালো থাকবেন।

৫৫| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

ডানাহীন বলেছেন: স্বপ্নরাজ্যের স্বপ্ন স্বপ্নের মতোই থেমে যায় .. ভেঙ্গে যায় ..

লেখাতে গল্পের চেয়ে দর্শনই ফিরে ফিরে আসছিল আর নৃত্যবাস্তবতার দৃশ্যকল্পগুলি আমাকে ঠিক তৃপ্ত করতে পারেনি .. ব্যক্তিগত অল্পবিস্তর অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় নাচ ততটাই ভালো যতটা তা আকর্ষক আর আপনার নৃত্যপর্যায় টাকে আরও আকর্ষণীয় করার সুযোগ ছিল ..

আপনার লেখায় বৈচিত্র্য আসছে এইটা সবচে ভালো লাগছে ।

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কাহিনী খুঁজে পাই না, তাই আমার লেখায় ঘুরেফিরে জীবন বিষয়ক দর্শন বেশি আসে। দৃশ্যকল্প নির্মাণে সীমিত সামর্থেরই প্রমাণ মিলেছে। বৈচিত্র খুঁজে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

শুভসন্ধ্যা ডানাহীন।

৫৬| ০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

সেলিম তাহের বলেছেন: উত্তম পুরুষে লেখা অসাধারণ কথামালা! খুব ভালো লাগলো।

০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫৭| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৬

শাওণ_পাগলা বলেছেন: গল্প নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। তবু যোগ করি, এই গল্পের ট্রানজিশন সুন্দর ছিলো। আই মিন, টেনে টেনে কাহিনীকে আগাতে হয়নি। নিজ থেকেই যেন জায়গা করে নিচ্ছিলো। প্লাস না দেয়ার চান্স নাই।

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ট্রানজিশন পয়েন্ট বেশ কটা আছে। এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। মসৃনতা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ!

৫৮| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
লেখাটি কোথাও কী ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছিল ৷ ইউটোপিয়া ধারণায় শহুরে কনসেপ্ট বিবেচ্য অথবা গ্রামীণ নয় কেন ৷ লেখকের উপলব্দিগত নাকি অভ্যাসবশতঃ ৷ কল্প হৃদয়াঙ্গন সহযোগে ৷

প্রাপ্তিতে ধন্যবাদ ৷

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কোথাও ছাপা হয়েছিলো কী না বলতে পারছি না। ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.