নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিসফাস

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৪



ফিসফাস করো না মা। ভাইয়া ভয় পায়। এমন অবুঝ হলে কী করে চলবে বলতো? ভাইয়াকে ভয় দেখিয়ে তুমি কি মজা পাও? অনেক হয়েছে। এবার বন্ধ কর। ফিসফাস বন্ধ করে পিশপাশ বানাও। এই তো লক্ষী মা আমার। আজ সন্ধ্যায় আমরা সবাই পিশপাশ খাবো।



আজ সন্ধ্যায়

পিশপাশ বানাবে মা

দুধে ও মাখনে

নুনে ও পেঁয়াজে

মৃদুআঁচে সবজিকুচির

সুঘ্রাণ ছড়াবে ঘরময়



আত্মহত্যা করিসনা দাদাভাই!




ভাইয়া, গলার কাছ থেকে ছুরিটা নামাও। ফ্যানের ব্লেডে রশি লাগাতে যেয়োনা, পা হড়কে ব্যথা পাবে। আত্মহত্যার সকল সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলো। ড্রয়ারে স্লিপিং পিল রেখেছো নিশ্চয়ই গাদা গাদা? আমাকে দাও সব। এমন করলে কিন্তু মা পিশপাশ বানাবে না। তুমি কাকার দোকান থেকে কিসমিস আর জাফরান রঙ কিনে নিয়ে এসো। পোলাও হবে রাতে। হ্যাঁ, আমিই রাঁধবো। পিশপাশ শুধু মায়েরাই বানাতে পারে। আমি যখন মা হব, আমার ছেলের জন্যে পিশপাশ বানাবো। কি বললে? সব টাকা বাবা নিয়ে গেছে? আরে না বোকা! জানো না, "পৃথিবীতে খারাপ মানুষ আছে অনেক, কিন্তু কোন খারাপ বাবা নেই"? হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন। কোন নাটকে বলতো? হু, কোথাও কেউ নেই তে। সব টাকা বাবা নিয়ে যাবে কেন! আসলে বাবার কাছ থেকে সব টাকা নিয়ে গেছে শয়তানেরা। বাবা আর ঘরে ফেরে নি তো কি হয়েছে? একদিন নিশ্চয়ই ফিরবে। বাবা ফিরে আসবেন রঙিব বল, মিহিদানা আর কমিকস নিয়ে। নন্টে ফন্টে তোমার পছন্দ না? তোমার জন্যে ইয়া বড় একটা ভলিউম কিনে নিয়ে আসবে। আমাদের টাকা নেই বলে তোমাকে উদ্বিগ্ন হতে হবে না। কী না আমার বয়স, এই তোর তো বিয়ের বয়সই হয়নি রে! বাবা ফিরে এলে তোকে এই বয়সেই একটা টিয়াপাখির মত সবুজ মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেব। আমি খুব বড় বড় কথা বলি, না? মেয়েদের ম্যাচুইরিটি লেভেল একটু দ্রুতই ডেভেলপড হয়, আমি স্কুলের লাইব্রেরিতে অবহেলায় পড়ে থাকা রিডার্স ডাইজেস্টে পড়েছি। রিডার্স ডাইজেস্টে অনেক সুন্দর ছবি আর লেখা থাকে জানিস ভাইয়া! কৌতুকও থাকে। তোর পাঠানো কৌতুক ছাপা হলে ১০০ ডলার দেবে। পাঠাবি নাকি? ভাইয়া, প্লিজ থামো। এমন করো না। হাত কেটো না। দাও আমার কাছে ছুরিটা, দাও! মা কিন্তু পিশপাশ বানাবে না। মা তোমাকে ভয় পাবে। জানো না আমাদের মা'টা কত ভীতু? জানো না বাবা চলে যাবার পর থেকে মা একটু পর পর আঁতকে ওঠে কেবল? কী বললে? মা পিশপাশ বানানো ভুলে গেছে? ভুল বললে ভাইয়া। ঝড়ের মত কিছু মিথ্যে হাওয়া আর বিজলীর চমকে স্বাদলবণের কৌটোটা উড়ে গেলেও, পুড়ে গেলেও এখনও তার সৌরভ রয়ে গেছে। আমাদের ভীতু মা এক আশ্চর্য জাদুতে ওখান থেকেই পিশপাশ বানানোর উপকরণ বের করে নিতে পারেন। পাশের ঘর থেকে এত ফিসফাস কেন? মা মন্ত্র পড়ছে। পিশপাশ বানাতে অবশ্য মন্ত্র লাগে না। ধরে নাও এটা মায়ের একটা অদ্ভুত খেয়াল। আমাদের মামনি তো একটু অদ্ভুতই তাই না?



ঘুমাও ভাইয়া। বড্ড ক্লান্ত তুমি। নাওয়া খাওয়ার ঠিক নেই, কিন্তু ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে ঘুমের ওষুধ খাও, অভিমান কর, রেগে দাপিয়ে বেড়াও ঘরময়। সইবে কী করে তোমার এমন হ্যাংলা শরীর? ঘুমাও। কতদিন পর ঘুমের ওষুধ ছাড়া একটা আরামদায়ক ক্লান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছো তুমি! জেগে উঠলে দেখবে কত সতেজ লাগবে! আর ততক্ষণে মা'র পিশপাশ বানানোও শেষ হয়ে যাবে।



মা, ভাইয়া ঘুমিয়ে পড়েছে। হ্যাঁ, খুব হুটোপুটি করছিলো। তোমার জন্যে, হ্যাঁ তোমাকে দেখে ভয় পায় সে। সন্ধ্যে নামলে ফিসফাস, সন্ধ্যে নামলে অন্ধসন্ধি, সন্ধ্যে নামলে গরলআঁধার, সন্ধ্যে নামলে দূর্বিপাক। এই সন্ধ্যে সময়টাই আমাদের জন্যে খারাপ। বাবা চলে গিয়েছিলো এমনই এক সন্ধ্যেয়। এক হাত দিয়ে হাফপ্যান্ট টেনে ধরা সিকনি টানা বোকা বোকা চেহারার পাশের বাড়ির ছেলেটা দলবল নিয়ে এসে পাওনাদারদের তরফ থেকে খিস্তি, ভাংচুর আর অপমান করে গিয়েছিলো এই সন্ধ্যেবেলাতেই। সন্ধ্যের ধন্দে পড়ে ঐ যে তুমি পাশের ঘরে লুকোলে, প্রার্থনা করতে থাকলে ফিসফাস করে, ভুলেই গেলে পিশপাশ বানানোর কথা। পিশপাশ কত ভালো একটা খাবার। ভাইয়ার অম্বলের সমস্যা, কিছু খেতে পায়না ঠিকমত, অম্লীয় তরল উগড়ে দেয়। পিশপাশ খেলে ও ভালো থাকতো। ভালো থাকতো অনেকদিন। তুমি পিশপাশ বানাও না বলে আমাদের বারান্দার গোলাপের স্মৃতি বহন করে চলা টবটায় স্মৃতিস্মর কুঁড়িরা বেঁচে ওঠেনা। কী বললে? ভাইয়া ছাইপাশ খেয়ে লিভারের বারোটা বাজিয়েছে বলে বমি করত? আর তাই তুমি পিশপাশ বানাবে না? কচু জানো তুমি! এইতো সেদিন ল্যাব এইড থেকে এসজিপিটি টেস্টের রেজাল্ট আনলাম। ভাইয়াকে জোর করে নিয়ে গিয়েছিলাম। ভালোমত বললে ও এখনো কথা শোনে, বুঝেছ? লিমিটের চেয়ে সামান্য বেশি আছে, তবে ওটা তেমন কিছু না। টাকা কোথায় পেলাম? খুব বেশি টাকা তো লাগে নি, ল্যাব এইডে আমার এক পরিচিত বড়ভাই আছেন, ডাক্তার।



চুপ! একদম বাজে কথা বলবে না। একটাও বাজে কথা বলবে না। চিৎকার করো না। বলছি চিৎকার করো না! ভাইয়ার ঘুম ভেঙে যাবে। ভাইয়াকে আমি বলেছি ঘুম ভাঙলে পিশপাশ পাবে। সারা ঘর লেবুপাতা আর কাটারিভোগের সুবাসে মৌ মৌ করবে। ও উঠে এসব কিছু না পেলে আবার হইচই শুরু করে দেবে। তোমার পিশপাশ বানাতে হবে না মা। তুমি ঘুমাও। তুমি ঘুমাও। ঘুমাও তুমি!



*

ওরা ঘুমোয়। ওদের নিঃশ্বাস ফিসফাস করে। নিঃশ্বাসের শব্দ এমন হয় কেন? যেন ঘুমের মধ্যে না বলা কত কথা বলতে চায়। আমার লাজুক ভাইয়া আর ভীতু মা ঘুমের মধ্যে বড্ড বাচাল হয়ে যায়। তাদের ফিসফাসের শব্দে আঁধার পর্যন্ত সচকিত হয়। আমাদের ঘরে আঁধারের ছানাপোনারা স্থায়ী বসত গড়েছে। বেলাজ আত্মীয়ের মত গেড়ে বসেছে, আতিথ্য নিচ্ছে, কিন্তু যাবার কোন নাম নেই। জমাট বাঁধা অন্ধকারের মধ্যে আমি হঠাৎ আঁধারবাতি থেকে উৎসারিত আলোর রঙধনু দেখতে পাই খুব আবছা। খুব আবছাভাবে। তারা চলে যায় নিমিষেই। এই ফিসফাসের রাজ্যে উদ্বেগ আর আতঙ্কের কীটপটঙ্গেরা মোহগ্রস্থের মত, মাতালের মত ছুটে আসে। কিছু আলোকসংবেদী পোকা থাকে না, টিউবলাইটের ওপর, বা টেবিলল্যাম্পটাকে ছেকে ধরে, মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও কূপি বা মোমবাতির আগুনে নিজেদের সঁপে দেয়, তেমন। তেমনভাবে অন্ধকারের কীটেরা তাদের রোঁয়াজর্জর পা আর পাখনা নিয়ে সদর্পে ঘুরে বেড়ায় এখানে। আমি তারাদের কাছে আলো ধার চাইলে মেঘেদের দল অপনাক্ষত্রিক সমাবেশে সমবেত হয়। আমি জোনাকের কাছে আলো ধার চাইলে ঝিলের ধার থেকে শুকনো পাতা মরামাছের পিঠে চড়ে এসে আবরণ তৈরি করে। আমি স্মৃতির কাছ থেকে আলো ধার চাইলে তারা অবাধ্য সন্তানের মত ছুটে বেড়ায় ঘরময়, সবশেষে ধরা দেয় ঠিকই, আলোর আল তৈরি করে স্মৃতির প্রাসাদে যাবার পথ সুগম করে দেয়। স্মৃতির প্রাসাদে কী আর এমনি এমনি যাওয়া যায়? এমন বেখাপ্পা পোষাকে? অন্তত মাথায় একটা গোলাপমুকুট তো পরতে হবে! আমি খুঁজতে গিয়ে পথ হারাই। পথ হারাই বারেবার। স্মৃতির সাম্রাজ্যের পতন দেখি, ধ্বসে পড়ে সবকিছু। এক দমকা হাওয়ায় উড়ে যায় বাবার সদ্য আয়রন করা ভালো জামাটা, ভাইয়ার উপহার পাওয়া অর্নবের পোস্টার, মামনির শখ করে আড়ঙ থেকে কেনা নস্টালজিক ডিজাইনের সিন্দুক। দৃশ্যপট থেকে বাবা বিদায় নেন, হয়তোবা চিরদিনের জন্যেই। জানি না বাবা তুমি স্বার্থপর, নাকি ভীতু, নাকি কাপুরুষ। জানিনা তুমি জীবিত না মৃত। মৃতদের সাথে কথা বলতে আমার কোন সমস্যা নেই। মৃতবৎদের সাথে কথা বলা বরং পীড়াদায়ক। এ্যাংজাইটিক ডিজঅর্ডারে ভোগা মানুষদের সাথে সখ্য করতে দেখেছি আকাশ থেকে খসে পড়া জমিন থেকে ঠেলে বের হওয়া বিভ্রমিকাদের। তারা সন্ধ্যে হলে আতঙ্কে কাঁপে, পুরোনো আতরের শিশি থেকে সবজির বুনন দেয়া ঘি-পরোটার গন্ধ নিতে টানে নিঃশ্বাস। তাদের শ্বাসকষ্ট হয়। ইনহেলার কেনার টাকা ফুরিয়ে গেছে। আমার অবশ্য একজন বড়ভাই আছেন পরিচিত। ডাক্তার। ল্যাব এইডে বসেন।



মা চুপ কর, চুপ কর! নিজের মেয়ের সম্পর্কে এমন বাজে কথা বলতে বাঁধেনা তোমার? সংসারটা কীভাবে চলছে একটুও কী ভাবো? সন্ধ্যে হলে ভ্যাম্পায়ারদের মত ভয় তোমার আঁচল থেকে বের হয়। কিসের এত ভয় তোমার মা? আমি আছি না? আমি আছি, ভাইয়া আছে, বাবা আসবে। তুমি পিশপাশ বানাওগে যাও।



সবজিকুচি, মিহিদানা, গোলাপজল আর দুধের ছানা/ কী দিয়ে মা/ বানাও তুমি এমন স্বাদের ঝাঁজপরোটা/ সান্নিধ্য আর সান্ধ্যসুবাস/ হলদে বিকেল, রঙিন উচ্ছাস/ তোমার গোপন এই রেসিপি/ জানতে আমি চাইবো না মা/ জানিই তো খুব/ সব মা জানে/আমিও তো জেনেই যাবো/ যখন আমার বাবু হবে/ যখন তুমি নানু হবে/যখন ভাইয়া মামা হবে/আর হবে না সন্ধ্যেবেলার ভয় ফিসফাস/ রাত্রি হলে প্রদীপ জ্বেলে/ আমরা খাবো সুগন্ধী পিশপাশ!



তুমি ভুলে গেছ? তুমি কেমনে ভুললে? তুমি ভুলো না মা! ভাইয়া আজ আত্মহত্যা করবে বলে বসে আছে সন্ধ্যে থেকে। অনেক সন্ধ্যে ওর হাতের মুঠো, হৃৎপিন্ডের অলিন্দ, ক্ষয়ে যাওয়া দেহ উপকরণ থেকে ক্রল করে বেরিয়ে আসছে। ওরা ঘিরে ধরছে তাকে। কোন ভরসায় তাকে আত্মহত্যা করতে মানা করব বল? হ্যাঁ, ও আজকেই মারা যাবে আমি জানি। আমি তোমাদের চোখের ভাষা বুঝতে পাই মা। ভাইয়া আত্মহত্যার সমস্ত উপকরণ অনেক আগে থেকেই যোগাড় করেছে, পিশপাশ বানাও মা, মৃদু আঁচে, সুবাসে, তোমার গোপন রেসিপি দিয়ে।



ভাইয়া, শান্ত হও! এতদিন পর ঘুমুলে, আরেকটু ঘুমিয়ে নিলে কী হত? বিশ্বাস কর, মা পিশপাশ বানাবে। বিশ্বাস কর আমায়! তোমার ক্ষিধে নেই! তুমি ভুলে গেছ পিশপাশের স্বাদ? ভুলে গেছ!



মা, তোমার আঁচলের ভেতর থেকে জাদুর বল বের কর। রঙীন। জাদুর শিশি। সুবাসিত। জাদুর ঘন্টা, টুংটাং! আমি রান্নাঘরে গিয়ে লাগিয়ে দেব। পশ্চিম দিক থেকে মৃদু হাওয়া বইছে। তুমি পুরোনো দিনের মত মৃদুলয়ে গান গাইতে গাইতে রাঁধবে। ভাইয়া তোমার পেছনে ঘুরঘুর করবে আর বকা খাবে।



ওঠো মা, ওঠো! তোমার ঠান্ডা হাতের রক্তবর্জিত ফ্যাকাশে ছোবল অনেক দেখেছি আর না!



থামো ভাইয়া থামো! চোখের পাঁপড়িতে মাকড়সাদের বসতবাড়ি করতে দিয়েছো কেন? ওরা তোমার চোখ খেয়ে ফেলবে। তোমার সুন্দর চোখ!



মা! ভাইয়া বলেছে পিশপাশের স্বাদ ভুলে গেলে বেঁচে থাকার আর কোন দরকার নেই। তুমি একবার ওঠো, আর একবার, আমাদের জন্যে, আচ্ছা থাক, দুজনের জন্যে বানাতে বড্ড পরিশ্রম হয়ে যাবে তোমার, শুধু ভাইয়ার জন্যেই বানাও। ভাইয়ার চোখের মনি সাদা হয়ে আসছে। চোখ উল্টে আসছে। আমার অজান্তেই ও অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলো। আমাকে লুকিয়ে।



ঠান্ডা! এত ঠান্ডা কেন তোমাদের দেহ? সারা ঘরে আঁশটে সোঁদাগন্ধ বুক থেকে দম কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ কোন ষড়যন্ত্রীরা এসেছে আজ ফিসফাস ছড়িয়ে দিচ্ছে ঘর থেকে বারান্দা, বারান্দা থেকে রান্নাঘর, রান্নাঘর থেকে স্টোররুমে। আমি কোথাও যেয়ে তিষ্টোতে পারছি না। কোথা থেকে নিঃশ্বাস সঞ্চয় করে প্রবাহিত করব তোমাদের ফুসফুসে? কোথা থেকে উত্তাপ চুরি করে ওম দেব তোমাদের শরীরে? আমার ক্ষিধে পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমার ক্ষিধে পাবে কে জানতো! তবে এ ক্ষিধে অন্যরকম। আমিষ কিংবা কোমল পানীয়, রুটিনমাফিক চাগাড় দিয়ে ওঠা ভালো খাবারের জন্যে না। এ ক্ষিধে কিসের তোমরা জানো। আমি জানি কেন ভাইয়া আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। কেন মা নিশ্চল শুয়ে আছে, শীতলতর হচ্ছে। কোথায় রেখেছ মা তোমার গোপন রেসিপি? আমাকে বল মা! আমি পারবো। বিশ্বাস কর, আমি একদিনের জন্যে হলেও তোমাদের মা হয়ে দুজনকেই পিশপাশ বানিয়ে খাওয়াতে পারবো। বলো না মা! বলবে না মা? একদিকে রক্ত আর একদিকে হিম, আমার গা আঁঠালো হয়ে আসে, আঁঠায় মৃত্যুগন্ধা বরফকুচি জমতে থাকে। আমি স্থবির হয়ে যাই। আমার আর কিছু করার নেই। আমার অপারগতাকে চরম অবজ্ঞা করে হেসে ওঠে মা আর ভাইয়া। ভাইয়া পিশপাশ বানানোর জন্যে আবদার করে আর মা ধমকে ওঠেন স্বভাবমত। একটু পর ভাইয়ার খলখল হাসি আর মায়ের মৃদু গুনগুন শব্দে গান গাওয়া আমাকে আশান্বিত করে তোলে ক্ষণিকের জন্যে।



আজ রাতে

পিশপাশ বানাবে মা

দুধে ও মাখনে

নুনে ও পেঁয়াজে

মৃদুআঁচে সবজিকুচির

সুঘ্রাণ ছড়াবে ঘরময়




ধীরে ধীরে সব শব্দ শবদেহতে পরিণত হয়। রেখে যায় ফিসফাস ফিসফাস ফিসফাস। রেখে যায় আমার শরীরে রক্ত আর হিমের আঁঠাল অসমস্বত্ত ভারী মিশ্রণ। আমি সংকুচিত হয়ে যাই। কুঁচকে যাই একটা রোল করা কাগজের মত। চারিদিকের ফিসফাস শব্দ প্রবল থেকে প্রবলতর হয়। আমি প্রাণপনে চেষ্টা করি কান ঢেকে রাখতে। হিমশাব্দিক আতঙ্কের কাঁচ গেঁথে যায় শিরদাঁড়াতে। ওঠার বৃথা চেষ্টা করি আমি।



চোখ বুঁজে আসার পূর্বমুহূর্তে কেউ এসে বলে যায় আমায়, পিশপাশ বানাবার রেসিপিটা আর কোনদিনই জানা হবে না আমার।





#গল্পের শুরুতে ব্যবহৃত "পিশপাশ বানাবে মা" কবিতাটি লিখেছেন নম্রতা। তার এই কবিতাটি পড়ার পরেই গল্পটি লেখার ইচ্ছে জাগে।

মন্তব্য ১৭৬ টি রেটিং +৩৮/-০

মন্তব্য (১৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: বুঝি নাই :D :D :D :D :D

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগের গল্পটা নিয়ে গবেষনা শেষ হইসে?

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: প্রথমবার ঝড়ের গতিতে পড়েছি । কিছু বুঝি নাই । তারপর ধীরে ধীরে পড়লাম তবুও কিছু বুঝলাম না !
:D :D :D :

পিশপাশ জিনিসটা কি ??

আর লেখাটা মনে হচ্ছে দুবার এসেছে ! একটু দেখবেন কি !!
:):)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা আসলেই দুইবার আসছিলো। ধরায় দেবার জন্যে থ্যাংকস!

পিশপাশ একটা জাদুর খাবার। যা শুধুমাত্র মায়েরাই বানাতে পারে। এর রেসিপি কেউ জানে না। তবে কেউ মা হলে এমনিতেই শিখে যায়।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কতোটা আবেগ দিয়ে লিখেছেন -সেটা গল্পের প্রতিটা লাইনে ফুটে উঠেছে

খুব ভালো লাগলো । অনুভব করতে পারা যায় , পিশপাশ

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! হ্যাঁ, নম্রতার লেখা কবিতাটি আমাকে বেশ আবেগী করে তুলেছিলো।

শুভরাত।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: তৃতীয় মাত্রার গল্প ।

হতাশায় আত্মহত্যা করা ভাই আর স্বপ্নহীন মায়ের ভীতু নিঃশ্বাসে আশার স্বপ্ন দেখায় এক তরুনী, পরিবারটিকে বাঁচানোর জন্য যে কিনা বেছে নিয়েছে অন্ধকারের পথ । এ পর্যন্ত বুঝেছি, মানে দুই মাত্রা..

আর যে ম্যাসেজ এখনো ধরতে পারিনি সেটাই তৃতীয় মাত্রা ।


দেখি কে কি বলে, কমেন্ট আসতে থাকুক । কমেন্টের প্রতিউত্তর থেকেও কিছু হিডেন ম্যাসেজ পেয়ে যেতে পারি ।


গল্পটা মনে হয় দুইবার আসছে ।


ছড়াটা নিঃসন্দেহে গভীর মাত্রার, হাসান মাহবুব ভাইয়ের গ্রে সেল কে উদ্দীপ্ত করা কম কথা নয়!

অর্ধেক বুঝতে পারা গল্পে ভালোলাগা ।


+++

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা তো সিম্পল! যা বললেন তেমনই। সবকিছু ভেঙে-ক্ষয়ে যাবার পরও বাঁচা যায় যদি নিজেদের ভেতর মমতা থাকে। কিন্তু সবাই দুরবস্থা সইতে না পেরে অপ্রকৃতস্থ হয়ে যাচ্ছিলো। শুধু মেয়েটাই স্মৃতি অবলম্বন করে বেঁচে ছিলো। স্বপ্ন দেখছিলো মা ছোটবেলার মত করে রাঁধবে, ভাই তাকে বিরক্ত করে বকা খাবে। আসলে এই আনন্দ নিয়ে যে খাবার সকলে খায় সেটাই "পিশপাশ"। কিন্তু তা আর তৈরি করা হয় না। সবকিছু চুড়ান্ত অবক্ষয়ের সম্মুখীন হয়ে আবছা আকৃতির ভয়ার্ত ফিসফাসে পরিণত হয়।

দুইবার আসছিলো। ঠিক করলাম।

অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই!

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
লেখাটা কি দুবার এসে গেলো?

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন ঠিক করসি।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমি আসলে পোস্ট আসার পরই পড়ছিলাম, শেষ করতে দেরী হচ্ছিলো।
ততক্ষনে এডিট হয়ে গেছে :)

ভালো লেগেছে গল্প, একটু ভিন্নতর।
কবিতাটা ও সুন্দর।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দুর্জয়! শুভরাত্রি।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮

টুম্পা মনি বলেছেন: মেয়েটির মা আর ভাইকে পিশপাশের বদলে কিছু এন্টিডিপ্রেসেন্ট খাইয়ে দিলে আশা করি ওরা আবার বেঁচে উঠবে। :D

গল্পটি ভয়ংকর সুন্দর হয়েছে! শুভরাত্রি বিগ হামা।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এন্টিডিপ্রেসেন্ট দীর্ঘদিন খাইলে আবার সেই অবস্থাই ফিরে আসবে!

থেংকু টুম্পা!

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৯

আমি সাজিদ বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছিলো মনে হয়।
পড়লাম, মোহগ্রস্ত করার মতো লেখা আপনার হামা ভাই।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছিলো। ঠিক করেছি।

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সাজিদ!

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা! সত্যি বলতে আপনার অন্য গল্পগুলোর চাইতে লেখাটা বেশ অন্যরকমই লাগল। বেঁচে থাকার জন্য জনৈক তরুনীর মায়াময় স্মৃতির গল্প যা কিনা বেঁচে থাকা হয়ত কোন এক অনুপ্রেরনা।

৭ নাম্বার প্লাস।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, অনেকদিন পর মেয়ের জবানীতে লিখলাম। আর পুরো গল্পটাই একটা মনোলগ, এরকম আগে লিখি নাই!

অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত।

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৭

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: বরাবরের মতই অন্যরকম আরেকটি লেখা আপনার। গল্পে ভাললাগা রইল ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নুসরাত! ভালো থাকবেন।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার লেখনীর ভিন্ন মাত্রার স্বাদ পেলাম এই গল্পে ! গল্প তো নয় যেন কোন একটা চিত্রপট এঁকেছেন লাইনের পর লাইনে ! একটি পরিবারের সীমাহীন মানসিক আর আর্থিক টানপোড়ন সমান তালে ছুটে চলেছে গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ! গল্পের প্রধান চরিত্র , সম্ভবত সবার ছোট মেয়েটি সীমাহীন স্বপ্নবাজ স্বপ্ন দেখিয়ে কিভাবে সতেজ করে তোলা যায় মৃতপ্রায় মুহুর্তগুলো সেটা এই গল্পে তার কন্ঠে আপনি তুলে দিয়েছেন !
গল্প পড়ার পর ফিশফাশ শব্দটা অনুভুত হচ্ছে খুব , নিজের শ্বাস প্রশ্বাসে !
চমৎকার এক কথায় !

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। এই গল্পটি চাইছিলাম সবাই অনুভব করুক। আমিও লেখার সময় বেশ আবেগী হয়ে গেছিলাম।

ধন্যবাদ এবং শুভরাত।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪০

গরম কফি বলেছেন: আবেগী লেখা খুব ভালো লাগলো।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে কী খবর! অনেকদিন পর। পড়লেন বলে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৮

অন্তহীন বালক বলেছেন: গল্পটা পড়ার সময় আমার নিশ্বাসও ফিসিফিস করছিল!
আশা জাগানিয়া তরুণীর গল্প; যার বাবা মারা গেছেন, ভাই হতাশায় আত্মহত্যা ব্রত আর ভীতু মায়ের পিশপাশ বানানোর কাহিনী। বেশ আবেগী গল্প মনে হল।
শব্দগুলোর ঝংকার অনেক কঠিন মনে হল; তবুও আমি আমার মত করে বুঝেছি।


+

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মত করেই অনুভূতির সওদা করে নিয়ে যান গল্প থেকে। লেখক এতেই লাভবান!

শুভরাত্রি।

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২১

অনাহূত বলেছেন: পড়ে শেষ করলাম। অনেকদিন পর ভিন্ন স্বাদ পেলাম হাসান ভাই। পিশপাশ। পিশপাশ। মনোলগ ভালো লেগেছে। আচ্ছা, নম্রতা কি ব্লগে লিখেন? লিংক দিয়েন তো।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: নম্রতা একজন দারুণ কবি। তার সামু একাউন্ট- http://www.somewhereinblog.net/blog/nomrota

আর এই কবিতাটা দিসিলো চতুরে

http://tinyurl.com/oeep3d3

শুভরাত্রি অর্নব।

১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২১

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: আপন কা স্টাইল হা মা ভাই
আপনার প্রতিটা গল্পের মতই চমৎকার হইছে!

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল। শুভরাত্রি।

১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩১

অনাহূত বলেছেন: 'নতুন'
'সায়মন এ শুভ' অফলাইন গেলেই আপনি প্রথম, আমি দ্বিতীয় :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন সেকেন্ড। যদি পরথম হৈতে পারি আর তা তোমার চোখে পড়ে একটা স্ক্রিনশট নিয়া রাইখো!

১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৬

অনাহূত বলেছেন: ওকে।
আমি ততক্ষণ সজাগ থাকলে আর চোখে পড়লে স্ত্রিনশট নিয়ে আপনাকে পাঠাবো নে। :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে।

১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫১

অনাহূত বলেছেন: নম্রতার কবিতা পড়েছি। সুন্দর লিখেছেন। অল্প একটু কবিতা কিভাবে ভাবিয়ে গেলো আপনার গল্প পড়ে বুঝা যায়।

এ কবিতাটাও কিন্তু দারুণ হয়েছে -

সবজিকুচি, মিহিদানা
গোলাপজল আর দুধের ছানা
কী দিয়ে মা বানাও তুমি
এমন স্বাদের ঝাঁজপরোটা
সান্নিধ্য আর সান্ধ্যসুবাস
হলদে বিকেল, রঙিন উচ্ছাস
তোমার গোপন এই রেসিপি
জানতে আমি চাইবো না মা
জানিই তো খুব
সব মা জানে
আমিও তো জেনেই যাবো
যখন আমার বাবু হবে
যখন তুমি নানু হবে
যখন ভাইয়া মামা হবে
আর হবে না সন্ধ্যেবেলার ভয় ফিসফাস
রাত্রি হলে প্রদীপ জ্বেলে
আমরা খাবো সুগন্ধী পিশপাশ!

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: টিউনে থাকলে লেখা হয়ে যায়। টিউনে না থাকলে কিছুতেই হয়না। তখন আমি এভাবে পাতার পর পাতা লিখে যেতে পারতাম! ভাব আইসা গেসিলো!

১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: রিজভী
সায়মন এ শুভ ! ওনারা মনে হয় আজকে অফলাইন হবেন না ! শেষবার এসে দেখে যাবার পর ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি কিন্তু না আপনাদের বোধ হয় আর আজকে প্রথম , দ্বিতীয় হওয়া হলোনা !

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: একবার প্রথম হইসিলাম। খুব রেয়ার ঘটনা। তবে পুনরাবৃত্তি হবে আশা করা যায়!

২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

রোমেন রুমি বলেছেন: হাসান ভাই
কেমন আছেন ?

গল্পে কি বুঝলাম অথবা বুঝলাম না আমার কাছে এই মুহূর্তে সেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে না ।
আমি কেমন জানি একটা ঘোরের মধ্যে ডুবে গেলাম এই মাঝ রাত্তিরে । চারপাশে শুধু ফিসফাস ফিসফাস .........

ভাল লেগেছে ভীষণ

শুভ রাত্রি ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘো...র। ঘোরগ্রস্থতা সর্বদা সাথী হোক।

শুভভোর রুমি।

২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪০

সাগর রহমান বলেছেন: হাসান ভাই, বিশ্বাস করেন, অতি অতি ভাল লেগেছে। এমন লেখা আপনার হাতেই হতে পারে, এটা আমি সবসময়ই দেখে আসছি। অদ্ভুত ভাল হয়েছে।

শুভ রাত্রি।।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

শুভভোর। শুভঘোর।

২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
এখন ঘুম!

আবার পড়ে মতামত...

তয় ফাস্টু পাঠে মজা পাইছি...

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা মজার গল্প নাকি! :||

শুভঘুম।

২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৫০

কালোপরী বলেছেন: আহারে :(

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, এই লেখায় হাসির ইমো দেয়া ঠিক হতনা। থিংকু।

২৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:১৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার কোমল ১টা ভাব আসে লেখাটায়, ভাল্লাগসে ||

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটু ট্র‌্যাকের বাইরে বের হতে চেষ্টা করলাম।

থ্যাংকস মুন!

২৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:২৮

তোমোদাচি বলেছেন: স্যালুট বস!!!

কেমনে লেখেন এত সুন্দর করে???

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাই নাকি?

May be I was possessed by the poem!

শুভদিন।

২৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০০

প‌্যাপিলন বলেছেন: জীবনের কোন কোন স্তরে এরকম গল্প কখনো খুব স্বাভাবিক ঘটতে দেখেছি, তাই ভয় হয়, সে স্তরগুলোতে যেতেই হবে

গল্পে ভাললাগা

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, পেইন হ্যাজ নো লিমিট।

ধন্যবাদ। শুভসকাল।

২৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

অদৃশ্য বলেছেন:





হাসান ভাই

লিখাটি খুবই স্পর্শ করলো আমাকে... ঠিক যেমনটা কবি নম্রতার কবিতাটি পড়বার পর অনুভব করেছিলাম...

তার কবিতা পড়বার পর আমার সামনে যেমন দৃশ্য তৈরী হচ্ছিলো আপনি এই লিখাটিতে তার পূর্ণতা দিলেন যেন...

খুবই ভালো লেগেছে লিখাটি আমার...


শুভকামনা...

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য।

ভালো কাটুক দিন।

২৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০১

ইখতামিন বলেছেন: অনেক ভালো লাগা রইল :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন। ভালো থাকুন।

২৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পুরোটা পড়ে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস বের হল। পিশপাশ :( :( :(

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: পিশপাশ বানাতে ভুলে গেছে মা।

শুভদুপুর।

৩০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শুভ দুপুর নোটিফিকেশন এর সূত্র ধরে চলে এলাম

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নোটিফিকেশন।

৩১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: গল্পটা ঠিক যেন গল্প না। প্রতিটা শব্দই গভীর অনুভবের। পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল আমি ঠিক পড়ছি না, সমস্ত কিছুই অনুরণিত হচ্ছে মস্তিষ্কের ভেতর। আমি নিজেই ভাবছি, অনুভব করছি, লিখছি।

অনেকদিন পরে এমন একটা লেখা লিখেছো। খুব ভাল লাগছে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আবারও হয়তোবা অনেকদিন পর এমন লিখবো। দেখা যাক!

৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

বৃতি বলেছেন: মনোলগ স্টাইলে সবগুলো চরিত্র ফুটিয়ে তোলার মত কঠিন কাজটা অনেক দক্ষতার সাথে করেছেন । বেশ ভালো লেগেছে ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি। শুভদুপুর।

৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

সোমহেপি বলেছেন: জ্বরের কথা কয়া ছুটি ছাটা নিছেন নাকি?এতরাইতে বলগিং?


একটা অন্ধগলিতে কতিপয় জীবন্মৃত মানুষের অসহায় জীবন,কষ্ট ,কান্না সান্ত্বনা এবং আশা........

খুপরি ঘরটা ঠিক চোখের সামনে।ভাষ্যকার যেনো কান্ডারী দিদি মণি।

অনেক ভাল লাগছে

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ। ঘুমাই নাই কালকে রাতে। ঘোরগ্রস্থ গল্প ঘুম কেড়ে নিসে।

শুভদুপুর।

৩৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: দ্রুত পড়লে বোঝা অনেকটাই মুশকিল।

গল্পের প্রতি লাইনে আবেগের যে প্রকাশ, সেটা টের পাওয়া যায়। সুন্দর একটা গল্প উপহার দেয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ। একটা কবিতা পড়েই এত বড় গল্পের সৃষ্টি সহজ কথা নয়।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা কবিতা, কবিতার একটা শব্দ বা তার থেকেও ক্ষুদ্র কোন কিছু থেকে গল্পের ভাবনা আসে অনেক সময়। মানুষের অনুভব একবার জাঁকিয়ে বসলে তা অনেক জায়গা নিয়ে নেয়।

শুভকামনা।

৩৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

কে আমি ২০১২ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

নম্রতা বলেছেন: ব্লেডের দাগগুলো গেঁথে গেলো মনের গহীনে! চোখে জল টলমল।
ভাইয়া, আমি কবিতাটি লেখার সময় এমন কিছুই হয়তো ভিজুয়ালাইজ করছিলাম।আর আপনি অদ্ভুতভাবে সেটাই লিখেছেন!স্যালুট!মনে হচ্ছিলো ছবিঘরে বসে দেখছি!

সেদিন মন খারাপ ছিল। আধার ঘরে বসে বসে লিখেছিলাম এই কবিতাটি। আমার কোন ভাই নেই।শুধুই বোন।
আমি সেই 'নেই ভাই' টিকে নিয়ে অনেক কিছুই ভাবি। মাকে বলিনি কখনো।

টিউবয়েল,পোষ্টার,আধারবাতি,ফিসফাস,মা,সিন্দুক,টুংটাং,বোন,বরফকুচি,শবদেহ,ছোটভাই এইসব শব্দ গেঁথে অন্য কোন সাধারণ গল্প হতে পারতো কিন্তু আজ হাসান মাহবুব মগজে একটি পেরেক ঠুকে দিলেন।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: নম্রতা, আপনি আসাতে খুব ভালো লাগলো। আপনার কবিতাটি মাথায় নিয়ে ঘুরেছি পড়ার পর থেকেই। এত অল্প শব্দে এত গভীর বোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন, তার প্রতিদানে আপনাকে কিছু ফিরিয়ে না দেয়াটা অন্যায় হত।

ভালো থাকুন। শুভদুপুর।

৩৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০২

আমার মন বলেছেন: অসাধারণ অভিজ্ঞতা পেলাম।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভদুপুর।

৩৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

বোকামন বলেছেন:







ঝড়ের মত কিছু মিথ্যে হাওয়া আর বিজলীর চমকে স্বাদলবণের কৌটোটা উড়ে গেলেও, পুড়ে গেলেও এখনও তার সৌরভ রয়ে গেছে।

শোনার জন্যে বোধহয় কেউ থাকেনা, সবাই বলতে- ই ইচ্ছুক....।

সম্মানিত লেখক,
আপনার এই লেখাটি সম্পর্কে একটি কথাই বলতে পারি “সিম্পলি ইট ইজ সিম্পল”আপনার ফিসফাস অনুভূতি পিশপাশ করে বলে গেলেন... মুগ্ধ হলাম। আপনার লেখনী শক্তি বা লেখার স্টাইল নিয়ে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি না। একখানা প্রশ্ন- আপনার কবিতা/গল্প/উপন্যাসের কয়টি বই বের হয়েছে ? দু-একটি সংগ্রহে রাখতাম :-)

পোস্টের প্রথম পাঠক হয়ে প্রথম ভালোলাগাটি জানাতে পারলেও ব্যস্ততার কারণে প্রথম মন্তব্যটি করা হলো না। আচ্ছা গল্পটি দু’বার এসেছিল মনে হয়। আমি দু’বার করে চারবার পড়ে নিয়েছিলাম। যাতে ফিসফাস শব্দ চোখ এড়িয়ে না যায় .... হা হা

ভালো থাকুন লেখক
আস সালামু আলাইকুম
[১+]

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম।

অনেক ধন্যবাদ আপনার সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে। আমার একটি বই বের হয়েছে ২০১২ এর বইমেলায় "প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত"। সতেরটা গল্প আছে। তবে ঐ বই কোন দোকানে আছে কী না আমার জানা নাই!

ভালো থাকবেন। শুভদুপুর।

৩৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

আশিক মাসুম বলেছেন: onno rokom sadh pelam ekta... darun legeche.

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আশিক মাসুম। শুভদুপুর।

৪০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আপনার লেখাগুলোর মধ্যে এটা এক অন্যমাত্রার স্বাদ। পড়তে পড়তে ঘোর লেগে গিয়েছিল! শুভদুপুর! ১৭ নং প্লাস!

অট: গল্পটা পড়ে একটা নতুন জিনিশ শিখলাম! এভাবেও যে লিখা যায় জান্তামই না!

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প লেখার ক্ষেত্রে কাহিনীর চেয়ে বলার ভঙ্গিটাকেই আমি গুরুত্ব দিয়ে এসেছি সবসময়। এভাবে অবশ্য আমিও আগে লিখি নাই।

শুভদুপুর।

৪১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২১

এক্সপেরিয়া বলেছেন: খুবই সুন্দর....

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

৪২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আমিও বুঝিনাই!! :( :(

প্লিজ ভাইয়া!নিচে একটু সারমর্ম দিলে কিহয়!!

পিশপাশ একটা জাদুর খাবার। যা শুধুমাত্র মায়েরাই বানাতে পারে। এর রেসিপি কেউ জানে না। তবে কেউ মা হলে এমনিতেই শিখে যায়।


এটা খুব সুন্দর লেগেছে!!
:):):)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: যে অংশটুকুর উল্লেখ করলেন, সেটুকু অনুভব করাটাই অনেক কিছু। এর মধ্যেই কিন্তু গল্পের জিস্টটা লুকিয়ে! আপনি আসল জিনিসটাই পেয়ে গেছেন। শুভকামনা।

৪৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নম্রতার কবিতাটা আগেই পড়েছিলাম । ভালো লেগেছিল।

আপনার গল্পটাও পড়লাম।

শুরুতে আমার কাছে তেমন আকর্ষণীয় লাগে নি। হয়তো মেয়েটির ভীত সন্ত্রস্ত মনোভাবের কারণে তার কথার রিপেটেশন বেশি চলে আসছিল এমন মনে হচ্ছিলো।

তবে -

ওরা ঘুমোয়। ওদের নিঃশ্বাস ফিসফাস করে। নিঃশ্বাসের শব্দ এমন হয় কেন?

=== এই প্যারা থেকে পড়তে ভালো লেগেছিল। এই প্যারাটা পুরোই সুন্দর । কাব্যিক । । শেষের দিকটাও ভালো।

একটা মেয়ের তার পরিবার কে নিয়ে আকুতি , ভাইয়াকে বাঁচিয়ে রাখার আকুতি , বাবার ফিরে আসার স্বপ্ন , মা কে উজ্জিবিত করা কিংবা অন্ধকারের অতলে নিজেকে হারিয়ে ফেলা, দায়িত্ব নেয়া সংসারের - ইত্যাদি যন্ত্রণাকাতর ছবি ভালোই ফুটিয়ে তুলেছেন এখানে কাব্যিক ভাবে।

অন্যদের কমেন্ট পড়ে বুঝলাম এই লেখাটার মাঝে বিশেষ কিছু আছে , মনোলগ , গভীর ভাব । তাই মনে হচ্ছে আমার বোঝা বা অনুভবেই সম্ভবত কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে যা আপনার অন্য লেখার মতো আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে না । :||

ভালো থাকুন প্রিয় গল্পকার ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো না লাগার কারণটা বোধ হয় আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশেই লুকিয়ে আছে। শুরুটা আকর্ষনীয় না হওয়া। রিপিটেশন আসা। পিশপাশ শব্দটার রিপিটেশন হচ্ছে কী না এ নিয়ে আমিও ভাবছিলাম। সুতরাং, আপনি ঠিক জায়গাতেই আছেন আপনার দিক থেকে। পাঠঘাটতি ওসব বাজে কথা।

শুভদুপুর অপর্ণা।

৪৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

বলাক০৪ বলেছেন: ধুর। একটা খুশির কিছু ল্যাখেন।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিটল হামা থেকে এই মাসে দুইটা ফান পুস্ট দিসি তো!

৪৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

আম্মানসুরা বলেছেন: এতখানি দুঃখ পেয়েও মানুষ কিভাবে স্বপ্ন দেখতে পারে তা গল্পের মেয়েটার কাছে জানতে ইচ্ছে হয়।
আমার একটা স্বভাব হল, যখন যে গল্প পড়ি সেই গল্পে ছড়িয়ে দেয়া অনুভূতিগুলো আমাকে পেয়ে বসে। তাই এই মুহূর্তে দুঃখিত মনে কমেন্ট করছি।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা আপনার অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলতে পেরেছে জেনে ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন।

৪৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাইয়া, গলার কাছ থেকে ছুরিটা নামাও!

কি বললে? সব টাকা বাবা নিয়ে গেছে?

মা চুপ কর, চুপ কর! নিজের মেয়ের সম্পর্কে এমন বাজে কথা বলতে বাঁধেনা তোমার? সংসারটা কীভাবে চলছে একটুও কী ভাবো?

আমাদের ঘরে আঁধারের ছানাপোনারা স্থায়ী বসত গড়েছে।


গল্পের ডিফাইনিং মোমেন্টের কয়েকটা অংশ। বাকিটুকু শব্দের কারুকাজ দিয়ে ভরা ছিল।

আপনার যেকয়টা লেখা পড়েছি তাদের মাঝে এটা অন্যরকম। কারণ আপনার লেখায় শেষটা সবসময়ই কাঁপিয়ে দেয়, এক্ষেত্রে ধারনা করি বিষয়বস্তু তেমন ছিল না। গল্পের শেষ-শুরু তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কৌতূহল মেটাতে শেষ থেকে আবার শুরু পর্যন্ত উলটোভাবে পড়লাম। একইরকম আবেগি মনে হল। সুতরাং গল্পের আবেগটাই মূল ব্যাপার ছিল, এবং সেই ভাবে দেখলে প্রতিটি লাইন অনবদ্য।

কাহিনি বোঝার জন্য চেষ্টা করতে হয়নি, অনুভূত হয়েছে।

সবমিলিয়ে দারুণ একটা আবেগি লেখা পেলাম। ভীষণ ভাল লাগল।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্য গল্পটাকে অন্য মাত্রা দিলো। আর এত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। রিভার্স ক্রোনোলোজিতে গল্পটা পড়ে দেখবো। ইন্টারেস্টিং হবে মনে হয়!

অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর!

৪৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: পিশপাশ মাথার উপর দিয়ে গেলেও গল্পটা ভাল লেগেছে...
প্লাস...

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! পিশপাশ খান, ভালো থাকুন।

৪৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

আরজু পনি বলেছেন:

পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল মেডিটেশনের ঘোর আছি ...

একটা সময় নিজেকেই শীতল মনে হচ্ছিল....

আসলেই, মা হলে কিছু বিষয় এমনিতেই চলে আসে আপনা থেকেই।

আর শেষ বলবো একটা লেখা, একটা কবিতা বা গল্প বা মন্তব্য কতোটা ভাবালে এমন দারুন একটা লেখা সৃষ্টি হয়ে যায় !


-----
ছয়টা বেজে গেছে দেখে ভেবেছিলাম বলে যাই যে, রাতে এসে পুরোটা পড়ে মন্তব্য করবো । কিন্তু পরে নাকচ করে পুরোটা পড়েই মন্তব্য করলাম কারণ আরো বেশ কটি লেখা এভাবেই আর শেষে পরিপূর্ণ মন্তব্য দিতে পারি নি।
অনেক শুভকামনা রইল হাসান।।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্য পেন্ডিং না রেখে ভালো করেছেন। এরকম কত মন্তব্য হারিয়ে গেলো!

আমার মেডিটেশন করা দরকার। মন বড় অস্থির।

ভালো থাকবেন পনি আপা।

৪৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপে'র মাঝে একবারে ডুবে গেছিলাম! কেমন একটা ঘোরের মধ্যে নিয়া গেছিলাম!

দারুন গপ!

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গপ পড়সেন, এখন গপগপ করে পিশপাশ খান!

শুভরাত্রি।

৫০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৬

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ল্যাবইডের ডাক্তার কি মেয়ের প্রেমিক নাকি অন্যকিছু?

দূর্দান্ত!

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিস ফিস ফিস ফিস! ফিস মানে মাছ। ফিসফাসে অনেক কিছুই শোনা যায়। সে তার প্রেমিকাও হতে পারে বা রক্ষিতা। কেউ জানে না সেটা। বলা হয়নি।

আমাকে তুমি যন্ত্রণা দিও বসুন্ধরা, আমি ঘুমোবো।

৫১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১২

কয়েস সামী বলেছেন: কতোটা আবেগ ঢেলে দেয়া হয়েছে গল্পটি লেখার সময় তা পাঠক মন স্পষ্ট ধরতে পারবে। খুব আপন করে লিখেছেন গল্পটি। শুধু মনোলোগ দিয়ে লেখার প্রয়াস অনেক আগে করেছিলাম একবার, কিন্তু অতো বিশালতার মাত্র দিতে পারিনি। আবার একবার চেষ্টা করার অভিপ্রায় আছে। অসাধারন হামার আরেকটি অসাধারন গল্প পড়ে মনটা খুব ফুরফুরে হয়ে গেল। ধন্যবাদ ব্রাদার।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার লেখাটাও পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভরাত্রি।

৫২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: পিশপাশ খেতে চাই না ।

গল্প ভালো হয়েছে , কারণ এই প্রথম একবার পড়েই মন্ত্রী সেটা বুঝতে পারছে ! ;)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: পিশপাশ খেয়ে দেখেন ভালো লাগবে।

মৃদুআঁচে সবজিকুচির
সুঘ্রাণ ছড়াবে ঘরময়

শুভরাত।

৫৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২১

তীর্থক বলেছেন: আমার ভালো লেগেছে।

একই কথা কোথাও কোথাও ঘুরে ফিরে এসেছে আর তাতে মাঝে মাঝে মনোসংযোগে ছেঁদ পড়েছে।

একটা দরিদ্র পরিবারের গল্প। মেয়েটির বাবা হয়ত পাওনাদারদের অপমান জনক কথা সইতে না পেরে হারিয়ে কিংবা পালিয়ে গেছে। হয়ত আত্মহত্যাও করতে পারে।

মা নিজের মধ্যে ডুবে আছে; জাগতিক মোহের উর্ধে। হয়ত অজান্তেই চলে গেছে অন্য জগতে।

ভাইটি হতসাগ্রস্থ হয়ে বেছে নিয়েছে আত্মহননের পথ।

শুধু একজন বেঁচে আছে আশা নিয়ে। আবার সব ঠিক হয়ে যাবে। বাবাও হয়ত ফিরে আসবে। মা আবার

দুধে ও মাখনে
নুনে ও পেঁয়াজে
মৃদুআঁচে সবজিকুচির

পিশপাশ বানাবে। সবকিছু আগের মত হয়ে যাবে! স্বাভাবিক!

আশা নিয়েই মানুষ বেঁচে থাকে। হয়ত সব সময় সে আশা পূরণ হয়না।

আশা নিয়ে ঘড় করি
আশায় বসত গড়ি
পরে গেছে কোন ফাঁকে চেনা আধুলি
হিসেব মেলান ভার
আয় ব্যয় একাকার
চলে গেলো সারা দিন এলো গোধুলি!!!!

+

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।

৫৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩০

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: মাই অ্যান্টেনা ইজ নট ডেভেলপড এনাফ টু ক্যাচ ইট ব্রো। মি স্যরি।

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা খুব জটিল গল্প না। আপনি এর চেয়ে জটিলভাবে চিন্তা করতে পারেন আমি জানি। ক্রিস্টোফার নোলানের "ফলোয়িং" এর মত জটিল মুভি দেখে গল্প লিখতে পারেন, এটা সেই তুলনায় অনেক সিম্পল।

৫৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
দারিদ্রের অভিশাপগ্রস্ত একটা পরিবারের চিত্র। একজন বাবা পাওয়ানাদের ভয়ে সব ছেড়ে পালিয়েছেন, একজন মা জাগতিক ভাবনার ঊর্ধ্বে চলে গেছেন, ভাইটি বেছে নিতে চাইছে আত্মহননের পথ কিন্তু সব কিছুর পরও মেয়েটি ভেঙে পড়া পরিবারটিকে আবার সোজা করে দাড় করাতে চাইছে। এই গল্প যেকোনোভাবে লেখা যেত। কিন্তু আপনার হাতে পড়েছে বলেই গল্পটা অন্যরকম মাত্রা পেয়েছে। এমন একটা গল্প এইভাবে লেখার কথা কেউ কখনো চিন্তা করতে পেরেছে বলে মনে হয়না।

গল্পে পিশশাব শব্দটির ব্যবহার কেন হয়েছে সেটা বুঝতে পারছিলাম না, মামুন ভাইয়ের কমেন্টের উত্তর দেখে বুঝলাম। নম্রতার কবিতা আগে পড়া হয়নি। কবিতাটাও অসম্ভব ভাল হয়েছে।

কি জানেন? ভাবছিলাম রাতের মধ্যে একটা গল্প নামিয়ে ফেলব আজ। কিন্তু আপনার লেখা পড়ার পর আর লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না। মনটা বিষণ্ণ হয়ে পড়েছে, কিছু ভাবতে লাগছে না। :(

শুভরাত্রি হামা ভাই।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্পের প্রভাবে তোমার লেখা বিঘ্নিত হল বলে দুঃখিত না। কালকে লেখ। কিছু বিষাদ হোক সাথী। আজ রাতে বিষাদকুচির সুঘ্রাণ সুন্দর স্বপ্ন দেখাক।

শুভরাত্রি।

৫৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৯

মামুন হতভাগা বলেছেন: আপনার গল্প পড়লে কেমন জানি আউলা আউলা লাগে

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি তো একটু আউলা টাইপেরই! ভিতরে ভিতরে। বাইরে থেকে বোঝা যায়না। অস্থিরতা সংক্রমনের গোপন মিশন নিয়ে নেমেছি। হাহা!

শুভরাত।

৫৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৬

আকাশচুরি বলেছেন: কারো কবিতা পড়ে এমন একটা গল্পের অনুপ্রেরনা পাওয়া দারুন ব্যাপার! শহীদ কাদরির কবিতা পড়ে আমারো হয়েছিল এমন। শহীদ কাদরির প্রতিটি কবিতায় এমন ছিল, একেকটা পংক্তির মধ্যে হাজারটা গল্প ছড়ানো। অপরাগতা হেতু লেখা হয়ে ওঠেনি কখনো। ভালা লাগলো হামা ভাই :)

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি চাইলে কী না পারেন! অপারগতা নাকি আলসামি? অনেকদিন আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো তারিক ভাই। ভালো থাকবেন।

৫৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ধীরে ধীরে রাত গভীর হবার মত এই গল্পের স্টাইল । ভাল লেগেছে ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

৫৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
লেখাটা পড়ে মনটা কেমন যেন নরম হয়ে গেল।
আপনার অন্য লেখাগুলো থেকে বেশ ভিন্ন।
ইদানিং নিজকে ভাঙছেন খুব!!!!!

শুভকামনা হাসান ভাই.........

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। নিজেকে ভাঙতে আবার গড়তে ভালো লাগে।

শুভভোর।

৬০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পড়ে মন খারাপ হল । আবেগে , অনুভবে ।
সব্যসাচী হাসান ভাইয়ের আরেক দিকের পরিচয় পেলাম ।
ভিন্ন স্বাদের , ভিন্ন আঙ্গিকের ।
ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে যে ভিন্ন কিছু করলেন এটাই বেশি ভাল লাগছে ।

যা বলার প্রফেসর শঙ্কুই দেখি বলে দিল ।

ভাল থাকবেন হাসান ভাই ।
শুভকামনা ।


২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

৬১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:০১

নোমান নমি বলেছেন: ভালো লাগছে। আবেগেও কাঠিন্য আছে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কঠিন আবেগের গল্প!

শুভরাত্রি।

৬২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: অ্যান্টেনার রেঞ্জের মধ্যেই আছে।
বেশ সুন্দর একটি গল্প। পড়ে মন খারাপ হল। ভাইকে একমুঠো ঘুম উপহার দেয়ার জন্য ব্যাকুল বোন।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

শুভরাত্রি।

৬৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মাক্স বলেছেন: কোন কোন লিখা কি পরিমান নাড়া দিয়ে যায় সেটা মন্তব্য করে বোঝানো যায় না। এরকমই একটি লিখা!

ফিসফাস(আমি অনেকখানি জাতে উঠসি, গল্প বুঝতে আগের মত পরিশ্রম হয় না) :P

শুভ দুপুর!

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স। শুভরাত্রি।

৬৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আপনার লেখাগুলো একটু কঠিন কঠিন লাগলেও আমার কাছে বালই লাগে

+

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

৬৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল লাগল।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

৬৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৪

নস্টালজিক বলেছেন: ভাল লাগসে রে ভাল লাগসে! :)


গল্পে আমার নাম আছে!



২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: নস্টালজিক ডিজাইনের সিন্দুক! তোমার পুরা নামটা দেহি বিশাল বড়!

শুভরাত্রি।

৬৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৭

ফারিয়া বলেছেন: গল্পটা আমার ভালো লেগেছে। এ যেনো গল্পের মাঝে গল্প!

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফারিয়া। ভালো থাকবেন।

৬৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

সায়েম মুন বলেছেন: কবিতাটার আবেগ এবং গল্পের আবেগ মিলেমিশে একাকার। এক কথায় একটু অন্যরকম ভাল লাগলো।

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুই কথায় ধন্যবাদ এবং শুভকামনা!

৬৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: সন্ধ্যে নামলে ফিসফাস, সন্ধ্যে নামলে অন্ধসন্ধি, সন্ধ্যে নামলে গরলআঁধার, সন্ধ্যে নামলে দূর্বিপাক ...

কি করে হারিয়ে গেলাম! গল্পটা কেমন যেন একরকম অনুবাদ গল্পের স্বাদে লেখা! পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল।

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্প সম্পর্কে অনেকেই বলেছে মাঝেমাঝে অনুবাদ অনুবাদ লাগে। কখনও সেটা ইনটেনশনালি হলেও বেশিরভাগ সময়েই ওটাই আমার লেখার ধরণ।

শুভেচ্ছা মাফ্লো।

৭০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে একটু রেগুলার হচ্ছি। তোমার লেখাও অনেকদিন পর পরলাম। আগেরর মতই পুরোদমে লিখে যাচ্ছ দেখে ভাল লাগল। পুরানো কাউকে তেমন দেখছিনা ২/৩ দিন ধরে। আহা কি দিন ছিল।

গল্পের প্রসঙ্গে আসি, তোমার গল্পে সবসময়ই আবছা আবছা, বিমূর্ত একটা ভাব থাকে, ৩/৪ বার না পড়ে আসলে পুরোটা অনুধাবন করা সম্ভব না। তবে এই গল্পে দ্বিতীয় প্যারার পরে, "আত্মহত্যা করিসনা দাদাভাই!"- এখানে একটা ধাক্কা খেলাম। একটু নড়েচড়ে বসলাম। আবার প্রথম থেকে পড়লাম। দেখলাম আগের সাথে ধারাবাহিকতা নেই। মনে হলো, এটা পাঞ্চ লাইন, পাঠকে হঠাৎ ধাক্কা দেওয়া কৌশল। তাহলে সত্যি সার্থক। গল্পটা পড়ার সময় যে জিনিসটা হয়েছে তাহল, বারে বারে উপরে ফিরে গিয়ে আগের ১/২ টা প্যারা পুনরায় পড়তে হয়েছে। প্রতি প্যারায় প্যারায় ধাক্কা, নতুনত্ব।

এই গল্পে সবচেয়ে ভাল লেগেছে যে জিনিস তাহল, দুইটা মাত্র শব্দ "ফিসফাস, পিশপাশা" ঘিরে গল্প আবর্তিত হয়েছে এবং কোথাও এত বিচ্চুতি ঘটেনি। গল্পটা পড়ার সময় "ফিসফাস, পিশপাশ" এই শব্দদ্ব মাথা মধ্যে রিনঝিন করে বাজছিল, এখনো বাঝছে। এটা শুধু গ্রেট লেখকের দ্বারায় সম্ভব।

আমি কোন পোষ্ট পড়লে তার সমস্ত কমেন্ট ও রিপ্লায় সহ পড়ি। আমার কাছে এইগুলো লেখার অংশই মনে হয়। তোমার পোষ্ট পড়ে কমেন্ট করার ক্ষেত্রে এটা আমার জন্য বিশাল খাটুনির ব্যাপার, কারন সব পোষ্টে এত শত শত কমেন্ট থাকে সে খেই হারিয়ে ফেলি। তাই এই পোষ্টে এসে ফাকিবাজি করলাম। গল্প পড়া শেষ হওয়ার সাথে কমেন্ট। B-)

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গত কয়েকদিন ধরেই আপনাকে ভিজিটর লিস্টে দেখে পাঠ প্রতিক্রিয়া আশা করছিলাম। আজকে সেই প্রত্যাশা মিটলো পুরোপুরি। আপনার মন্তব্য পড়ার পরে তো আমার নিজেরই গল্পটা পড়ে দেখতে ইচ্ছে করছে আবার! অনেক ইনসপায়ার্ড হলাম ভাইয়া।

ব্লগে নিয়মিত হন প্লিজ!

৭১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

কাঠফুল বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো। গল্পটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। অভিনন্দন গ্রহণ করুন...

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৭২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৫৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: হাসান ভাই এত ক্যামনে পারেন সোজা কথা....... ক্যমনে.??? গল্প না কবিতা বুঝে ওঠার আগেই উপন্যাস শেষ.. বিশ্বাস করেন, বিশ্বাস করেন... এ এক মোহময় অণু কাব্য............... শুভকামনার যদি অন্যকোন শব্দ থাকতো আমিও হয়তো তাই জানাতাম... এত এত ক্যামনে>? ভালো থাকুন.. আপনি না থাকলে এই ব্লগে আসাই আমার পাপ হতো... ছাইরেননা কোন দিন লেখা...........

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা ছাড়বোনা। অনেক ধন্যবাদ তুহিন। এমন মন্তব্য ভরসা যোগায়।

৭৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালো লাগলো। লেখা ছাড়া যাবেনা!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনারা সাথে আছেন বলেই তো লিখতে পারছি!

ধন্যবাদ!

৭৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

শাওণ_পাগলা বলেছেন: গল্পটা পড়লাম নাকি অনুভব করলাম বলতে পারছিনা।
আবেগী একটা গল্পকে শব্দের মাঝে, প্রচ্ছনতার মাধ্যমে উপস্থাপনাটা চমৎকার ছিলো। অনেক সুন্দর একটা গল্প!

কেমন আছেন হামা ভাই?

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাওন। আমি ভালো আছি। শুভকামনা রইলো।

৭৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
নম্রতা আপুর কবিতাটা আগেই পড়ছি। আজ পড়লাম আপনার গল্পটা। আপনার গল্পে এতো আবেগ সাধারণত দেখি না। সাইকো গুলোর কথা আলাদা। প্রতিটি দৃশ্য যেন চোখের সামনেই ধরা পড়লো!

ভেতর গিয়ে লাগছে! দেখি কী উগরে আসে!

২৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কবিতা আসুক তবে একটা! শুভকামনা রইলো।

৭৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সবজিকুচি, মিহিদানা, গোলাপজল আর দুধের ছানা/ কী দিয়ে মা/ বানাও তুমি এমন স্বাদের ঝাঁজপরোটা/ সান্নিধ্য আর সান্ধ্যসুবাস/ হলদে বিকেল, রঙিন উচ্ছাস/ তোমার গোপন এই রেসিপি/ জানতে আমি চাইবো না মা/ জানিই তো খুব/ সব মা জানে/আমিও তো জেনেই যাবো/ যখন আমার বাবু হবে/ যখন তুমি নানু হবে/যখন ভাইয়া মামা হবে/আর হবে না সন্ধ্যেবেলার ভয় ফিসফাস/ রাত্রি হলে প্রদীপ জ্বেলে/ আমরা খাবো সুগন্ধী পিশপাশ!

এইটা আপনার একটা দারুন লেখা হইসে হা-মা ভাই! সত্যিই অদ্ভুত রকম অসাধারন! সব মায়ের রান্নায় সন্তানের কাছে এত প্রিয় হয় কেন? পৃথিবীর বিখ্যাত রাঁধুনিদের বেশির ভাগ নাকি পুরুষ হয়। এর কারন খুব সাধারন। কারন নারীরা তাদের সেরা রান্নাটা সবসময় তাদের সন্তানের জন্য রেখে দেন। সব মায়ের হাতে থাকে এক অদৃশ্য জাদুর চামচ। তাঁরা সেই চামচে একটু নাড়া দিলেই খাবার গুলো হেসে ওঠে অমৃত রসনায়। আমার মায়ের মত আলু ভাজি এই পৃথিবীতে আর কেউ রাঁধতে পারে বলে আমার জানা নেই!

কবি নম্রতাকে অভিনন্দন! অসাধারন একটি কবিতা লেখার জন্য!

শুভকামনা !




৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্যের প্রথমেই গল্পের ভেতর লেখা কবিতাটি দেখে খুব ভালো লাগলো। গল্পটার প্রসংসা অনেকেই করসে কিন্তু এর ভেতর যে আস্ত একটা নতুন কবিতা আছে আমার লেখা সেটা অনেকেই খেয়াল করেন নি, বা করলেও জানান নি। তবে কবির চোখ এড়াবে কীভাবে!

আপনার মায়ের আলুভাজিই আপনার কাছে পিশপাশ। এর স্বাদ আর অন্য কেউ পাবে না। ভালো থাকুন মায়ের পিশপাশ সোহাগে।

৭৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২২

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ভাল লাগলো। লেখাগুলা একটু কঠিন লাগসে। চিন্তা করে করে বুঝতে হয়। কিন্তু পিশপাশ জিনিসটা কি? মিহিদানা, গোলাপজল দুধের ছানা দিয়ে ঝাঁঝপরোটা কেমনে কি? মিষ্টি পরোটা হবে না?

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু ব্রাদার। পিশপাশ জিনিসটা হল মায়ের হাতের স্বাদের খাবার যাতে মিশে থাকে পুরোনো সুখের দিনের গন্ধ। এর স্বাদ মিষ্টি বা ঝাল দুটোই হতে পারে। আর রন্ধনপ্রণালী শুধুমাত্র মায়েরাই জানে।

শুভরাত্রি।

৭৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৯

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: কিছু লিখা মনের উপর খুব চাপ ফেলে :(

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন একটা মন ভালো করা গান শোনেন। চাপ-টাপ বেশিক্ষণ রাখা ঠিক না।

শুভরাত্রি।

৭৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: (বিশ্বাস করেন লেখার শুরুতে মনে হচ্ছিল "হায় খোদা, তিনদিন ধরে ফেইসবুকে মা-এর মোরগ পোলাউ
রান্না দেখছি, এখন এখানেও?!"

পড়তে পড়তে বুঝলাম, আমার আশংকা মিথ্যে।)
লেখাটা এতই সিম্পল যে আমি একবার পড়েই মন খারাপ হয়ে গেল।
আমি খুব আশাবাদী একজন মানুষ। গল্পটার মধ্যে বেশ হারিয়ে গিয়েছিলাম!

যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মন্তব্য দুইবার পোস্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে, জানিয়ে রাখলাম ক্লিক করার আগেই :)

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ শাফকাত। ভালো থাকবেন।

৮০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: লেখাটা অফলাইনে পড়েছিলাম। অসাধারণ একটি পোলাও চালের মৌ মৌ গন্ধ সাথে মাখন ঘি নুন পিয়াজের স্বাদ জুড়ে ছিলো পুরোটা লেখাতেই। সাথে একটি শিশুর কলহাস্য ও তার গায়ের ঘ্রানও পাওয়া গেছে। আর সর্বোপরি একজন মায়ের মমত্ব।

আর লেখক যেন কোনো বাবা। শিশুর জন্য মায়ের পিশপাশ বানানোর উদ্যোগ, উৎকন্ঠা ও মমতাটুকু পুরোপুরি যেন উপভোগ করেছেন তিনি।

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা বাবার মমতা দিয়েই লিখেছি। অনেক ধন্যবাদ অনুধাবিত অনুভবে। ভালো থাকবেন।

৮১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!!!!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু ইরফান। শুভকামনা।

৮২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন লেখা পড়ার মজাই আলাদা
শুভকামনা

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি নরমালি কথা বলতে পারেন! :-/

শুভকামনা।

৮৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩১

ইলেভেন্থ আওয়ার বলেছেন: মধ্যবিত্ত সংসারের গল্প, ভালো লেগেছে পড়তে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

শুভসকাল।

৮৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৩

তুষার কাব্য বলেছেন: আবেগের বুনন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ।ভালোলাগা রইলো।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসকাল।

৮৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩২

ভিয়েনাস বলেছেন:
সব হারিয়ে যাক বেঁচে থাকুক শুধু বুক ভরা আশা । শত হতাশায় কেউ কেউ আশা জাগানিয়ার গল্প শুনিয়ে যায় তেমনি একটা গল্প পড়লাম........

ফিসফাস কথাটাকে কত আংগীকেই না ব্যবহার করেছেন । চমৎকার আবেগী হয়েছে ।

ব্লগার নম্রতার পিশপাশ কবিতাটা পড়া ছিল বলে পিশপাশ শব্দটা খুব চেনা চেনা লাগছিল।

প্লাস তো অবশ্যই রইলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস। জীবন পিশপাশের সৌরভে ভরে উঠুক।

৮৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

ফালতু বালক বলেছেন: দুইটা শব্দ মাথায় ঢুকাইয়া দিছেন হাসান ভাই, ফিসফাস আর পিশপাশ। ব্রেনের নিউরন গুলাতে শব্দদুটি খোশমেজাজে লাফাবে বেশ কিছুক্ষণ..........


খুব ধন্যবাদ, এরুপ গল্পের জন্য।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভকামনা।

৮৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

আরুশা বলেছেন: আপনার এই লেখাটা অনেক কস্টের ।অনেক আবেগে ভরা হাসান মাহবুব ভাই।
আপনি যে একজন শক্তিশালী লেখক তা আপনার প্রতিটি গল্পেই ফুটে ওঠে।
++++++্

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো আরুশা। নিয়মিত হোন আবার। শুভেচ্ছা।

৮৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
প্রথম মন্তব্যে আমি 'মজা পেলাম' বলছিলাম। সেটা এই গল্পের ভাষার জন্য। এই গল্পে মাঝে মাঝে শব্দের এমন পসরা আপনি সাজিয়েছেন যা আমার খুব ভাল লেগেছিল।

আচ্ছা গল্পে কি পিসপাস না খেয়েই ভাইটা সবদেহে পরিণত হয়েছিল?
এন্ডিংটা আরেকটু সহজ করা যেতো মনে হয়....

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

শবদেহে পরিণত হওয়াটা তাদের নিয়তি ছিলো। এমন অশান্তির জীবন, কোথাও আলোর দেখা নেই। অর্থ-বিত্ত না থাকলেও ভালোবাসা মানুষকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। সেটাও হারিয়ে যাচ্ছিলো। তাই তাদের পিশপাশ খাওয়া হয় না। তারা মৃত্যুবরণ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.