নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১)
Disk Error. Please reboot or press any key to continue.
কম্পিউটারের মনিটরে কালো আবহে নিষ্ঠুর কয়েকটি শব্দ ববির বুকে হিমভয়ের বৃক্ষ বুনে দিয়ে শেকড় ছড়িয়ে দিল অভ্যন্তরীন সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে। পাঁচ বছরের বেকারত্ব জীবনে বহু তদবীর করেও যে কাজটি হয়নি, মাসছয়েক আগে হঠাৎ স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই তা হয়ে গিয়েছিলো, অপ্রত্যাশিত কর্মযোগে গতিময় হয়ে উঠেছিলো তার স্থবির জীবন। কবে যেন কোন একটা এনজিওর সার্কুলার দেখে সম্ভবত তার তিনশতম সিভিটা পাঠিয়েছিল তাদের দপ্তরে, এবং কী অবাক ব্যাপার, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেখান থেকে ফোন এলো, এরপর ইন্টারভিউ দিয়ে একটা এ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও পেয়ে গেল! বেতনের অংকটাও লুকিয়ে রাখার মত না, ভদ্রসমাজে বলা যায়। মেসভাড়া, সিগারেটের ব্র্যা ন্ড পাল্টানোর বিলাসিতা, সেলফোনে বাড়তি কিছু টাকা ভরার পরে বাড়িতেও হাজারখানেক পাঠানো যায়। আরো একটা বড় ব্যাপার হল, বেশিরভাগ কাজই অন্তর্জাল সম্পর্কিত হওয়াতে সে সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ রক্ষাকারী ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান থেকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগও রাখতে পারে কাজের ফাঁকে। বন্ধুরা বেশ সমীহই করে তাকে এখন, এমন এক চাকরী বগলদাবা করেছে, যাতে সর্বক্ষণীক ইন্টারনেট কানেকশন আছে, না জানি কি উচ্চস্তরের ব্যাপার স্যাপার! ববি জানায় না ব্যাপারটা সেরকম কিছুই না এবং জানে তেমন হবার সম্ভাবনাও নেই, তবে ঠাঁট বজায় রাখার খাতিরে সেও ইদানিং লাঞ্চের সময় কলা আর পাউরুটি খেতে খেতে অন্তর্জালের বন্ধুদের জানিয়ে দেয়, "At office. Heavy load of work. feeling tired".
-এই যে ববি ভাই আমাদের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল-২০১৪ এর একটা প্রিন্টআউট দেন তো। কুইক! স্যার বলছে জরুরী দরকার।
পাশের ডেস্ক থেকে সহকর্মী ফারুক তাগাদা দেয়।
-এখন হবে না ভাই। কম্পিউটারে সমস্যা হইছে।
স্ক্রিনে দৃশ্যমান নিষ্ঠুর শব্দগুলোর দিকে তাকিয়ে ববি আমসিমুখে জানায়।
-ক্যান, কী হইছে? অপারেটিং সিস্টেম ক্রাশ?
-মনে হয়!
ঢোঁক গিলে বলে ববি। যদিও তার আশঙ্কা আরো খারাপ কিছুর।
-ঝামেলা হয়ে গেল। সমস্যা নাই, ব্যাক আপ রাখসেন তো?
-হ্যাঁ সেটা নিয়মিতই করি। সি ড্রাইভ আর ডেস্কটপের সব জিনিসপত্র এফ ড্রাইভে রাইখা দিসি।
-তাইলে আর কী! উইন্ডোজটা সেটআপ দিয়া ফালান। ঘন্টাখানেক লাগবো তো? স্যাররে আমি ম্যানেজ কইরা নিমু ঐ সময়টা। আরে আপনি এত টেনশন নিয়েন না তো! বি ইজি।
শুকনোমুখে হেসে ববি ফারুক সাহেবের এই আন্তরিকতার প্রত্যুত্তর দিলো। ইজি থাকার কোন আভাস অবশ্য সামনে দেখা যাচ্ছে না। হার্ডডিস্কটা বোধ হয় গেছে। অপারেটিং সিস্টেমের সিডি প্রবেশ করানোর পরে অসহায় চাকতিটির গোয়ার্তুমি এবং সবশেষে অক্ষমতা প্রকাশ এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করলো ববিকে অনিঃশেষ অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়ে। নতুন হার্ডডিস্ক এত দ্রুত ক্র্যাশ করবে সে ভাবতেও পারেনি। তাই যাবতীয় ফাইলপত্তর সে সি ড্রাইভ থেকে সরিয়েই নিশ্চিত ছিল। আলসেমি করে ডিভিডি রাইট করে ব্যাক আপ রাখেনি। পেন ড্রাইভে রাখলেও হত!
-ববি ভাই, একটু ডিস্টাপ করব।
বিনীত স্বরে পিয়ন দেলোয়ার তার ঘরে প্রবেশের অনুমতি চায়।
-কি ব্যাপার দেলোয়ার ভাই?
-এই ইন্টারনেটটায় একটু যায়া দেখেনতো এসএসসির রেজাল্ট দিছে কী না। আমার মাইয়াডা বড় পেরেশান হইয়া আছে।
দেলোয়ার তার হাতে ধরা কাগজটা ববির কাছে দিয়ে অনুরোধ করে।
-আজকে হবে নারে ভাই। কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে।
-ওহ তাইলে আর কী করা!
কী করা যায় ভেবে কূল পাচ্ছেনা ববি। গত ছয়মাসে সে মন দিয়ে কাজ করেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে টাইপ করতে করতে হাত এবং পিঠ ব্যথা হয়ে গেছে। এতদিনের পরিশ্রম সব জলে গেল! শুধু তার পরিশ্রম বৃথা যাচ্ছে বলে না, সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে গিয়ে তাকে যদি অনেকগুন ধকল পোহাতে হয়, সে তাতেও রাজী আছে। কিন্তু এই কদিনে কাজ বিঘ্নিত হবে চরমভাবে। ববির ছন্নছাড়া জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসা এই চাকুরী এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি তার একটা ভৃত্যসুলভ আনুগত্য এবং নীরব কৃতজ্ঞতা আছে। তাদের উচ্চস্তরের কর্মকান্ড, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, বিদেশ গমন প্রভৃতির সাথে নিজের সংযোগ আছে ভেবে সে আত্মশ্লাঘা অনুভব করতো। এখন তার অদূরদর্শীতার কারণে যদি তাদের কাজেকর্মে ক্ষতি হয়, তাহলে সে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে না। পরবর্তী এক ঘন্টা ববির কাটলো কম্পিউটারে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ওপরে অসফল সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এবং পরীক্ষায় ব্যর্থ হবার পরিণামে গোঁয়ার যন্ত্রগুলোকে তার আক্রোশের মুখোমুখি করে।
বেলা তিনটার সময় ববির ডাক পড়লো সিইও'র কক্ষে। সিইও ভদ্রলোক অন্যান্য প্রাইভেট কোম্পানীর মত রাশভারী বা পায়াভারী না। তার আচরণে অভাবনীয় কোমলতা এবং আশকারা ববিকে এক ধরণের নির্বোধ বিনয়ে আচ্ছাদিত করে তোলে দিনদিন।
-কি খবর ববি? কেমন চলছে তোমার কাজ?
মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে কুশল বিনিময় করাটা ভদ্রলোকের একটি বিশেষ সদগুন।
-জ্বী স্যার। এইতো ভালোই আছি!
-কম্পিউটারে নাকি সমস্যা হয়েছে?
-একটু আর কি... মানে... জ্বী স্যার!
-কদ্দিন লাগবে ঠিক করতে?
-ফোন দিয়েছি দোকানে। এখনই চলে আসবে সার্ভিসিং সেন্টারের লোক। দেখি কী বলে...
-ডাটাগুলোর ব্যাকআপ রেখেছে তো?
*
সার্ভিস সেন্টার থেকে কমবয়সী কিন্তু বেশ চটপটে একটা ছেলে এসে মুহূর্তেই যন্ত্রটাকে স্ক্রু ড্রাইভারের প্যাচে ফেলে খন্ড খন্ড করে ফেললো। তার কর্ম তৎপরতা ববিকে বেশ আশান্বিত করে তোলে। এই গুণধর ছেলেটাকে দিয়ে হবে! কিন্তু আশা নামক বায়বীয় পদার্থটি দৃষ্টিসীমার বাইরে, দূর গগনে উড়ে যেতে সদা তৎপর থাকে বরাবরই।
-হার্ড ডিস্ক চেঞ্জ করতে হবে।
ববির আশঙ্কাটাই শেষতক সত্যি হল। মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর আত্মীয় যেমন কাতর কন্ঠে ডাক্তারের কাছে আশার বাণী শুনতে চায়, ববি ঠিক তেমন কন্ঠেই ছেলেটির কাছে অনুনয় ভরে জানতে চাইলো,
-কিছুই কী করার উপায় নেই?
-নাহ। নতুন হার্ডডিস্ক লাগবে। পিয়নটারে দিয়া কিনা আনান। কাছেই তো এলিফ্যান্ট রোড। আমি একটা দোকানের কথা বলতাছি, ওখানে যায়া আমার কথা বললে মার্কেট প্রাইসের চেয়ে কম দামে পাবেন। জলদি করেন, নতুন হার্ডডিস্ক লাগায়া সবকিছু সেটআপ দিয়া বিকালের মধ্যেই ঠিক কইরা দিমু।
-ডাটা রিকভারির কোন উপায় নাই?
-তা করা যাবে। তবে তাইলে আজকের মধ্যে হবে না।
-আরে আজকের মধ্যে লাগবে এমন তো কোন কথা নাই! কয়দিন লাগবে?
-তিন-চারদিন তো লাগবেই।
-আপনি সময় নেন। তবে ডাটা সব রিকভার করে দিতে হবে। আমি রিকুইজিশন স্লিপ লিখে দিচ্ছি। এক্ষুণি দেলোয়ার একাউন্টস থেকে টাকা নিয়ে হার্ডডিস্ক কিনে আনবে নতুন। তবে কাজটা ঠিকমত কইরেন ভাই। ডাটাগুলা খুবই দরকার।
*
-হ্যালো! কী রে ভাই আপনি ফোন ধরেন না কেন? ডাটা রিকভারির কতদূর কী করলেন?
-ফরম্যাট নিচ্ছেনা হার্ডডিস্ক। আমি সেই সকাল থেকে চেষ্টা করতেছি।
-হবে না?
-আমি আপনাকে পরে ফোন দিব। এখন রাখি।
অভদ্রের মত লাইনটা কেটে দিল ছোকড়া।
গত কয়েকদিন ববির সময় কেটেছে ব্যাপক উদ্বিগ্নতায়। হার্ডডিস্কে শুধু যে তার কাজের স্মৃতি তা না, এর ওর কাছ থেকে সংগ্রহ করা গান, সিনেমা, নাটক, মজার ভিডিও ক্লিপ, ববি কাজের অবসরে এসব দেখে বিনোদিত হত। তার তো বাসায় কম্পিউটার নেই, তাই এটাই ভরসা ছিলো। থান ইটের সমান একটা শক্ত চাকতি তার জীবনের সাথে এভাবে জড়িয়ে যাবে সে ভাবতেই পারে নি। ডাটাগুলো যদি রিকভার নাই করা যায় তবে আবার হার্ডকপি দেখে দেখে সফটকপি বানানো সবকিছুর, একদম নাভিঃশ্বাস উঠে যাবে। গাধার মত খাটতে হবে আগামী অন্তত এক সপ্তাহ, ছুটির দিন সহ। সিইওর শান্ত সমাহিত মুখের রেখাগুলো কঠোর হবার আগেই সেরে ফেলতে হবে কাজ। তবে এখনও পুরোপুরি আশা ছাড়েনি ববি। ছোকড়া তো চেষ্টা করে যাচ্ছেই। হয়তোবা কোন একটা উপায় বের করে ফেলবে। পুনরুদ্ধার করা যাবে সকল তথ্য। কাঁপা কাঁপা হাতে ববি আবার ডায়াল করে। বুকের ভেতর অনিশ্চয়তা আর ভয়ের ভয়ারিজম। তারা পারভার্টের মত দূর থেকে দেখছে ববির বুকের ভেতরের নগ্ন কাঁপন। সময় বুঝে ঠিক ঠিক ঝাঁপিয়ে পড়বে।
-হ্যালো! কি অবস্থা হার্ডডিস্কের? ডাটা রিকভার করা গেছে?
-না ভাই। পারা গেলো না। হার্ডডিস্ক ভাঙতে হবে। তারপরেও ম্যালা ঝামেলা। আর অনেক এক্সপেনসিভ।
-এক্সপেনসিভ মানে কত টাকা লাগবে?
-মিনিমাম দশ হাজার তো লাগবেই! তারপরেও পাওয়া যাবে কী না শিওর না। এত বাজেভাবে ড্যামেজড হইসে।
ববি হিসেব কষে দেখল, তার অসচেতনতার খেসারত স্বরূপ কোম্পানী এত টাকা ব্যয় করতে মোটেও রাজী হবে না। বা হলেও তার বেতন থেকে কেটে রাখবে। এমন কী ক্ষেপে গিয়ে তাকে ছাটাইও করে দিতে পারে। দরকার নেই ডাটা রিকভারির। সে জানপ্রাণ দিয়ে খেটে সমস্ত ডাটা নতুনভাবে তৈরি করবে আবার। মানুষ চাইলে কী না পারে!
-ক্ষ্যাতা পুড়ি ডাটা রিকভারির!
খিস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্বস্তি আনয়নের চেষ্টা চালায় ববি। তবে খিস্তিতে উপশম না হওয়াতে বাস্তববাদী হয়ে শেষ চেষ্টা হিসেবে ব্যাপারটা সরেজমিনে যাচাই করে আসার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
(২)
তার মনে হচ্ছে যেন সে হাজার-অযুত-লক্ষ-কোটি বছর ধরে শুধু বেঁচে আছে, বেঁচেই আছে। জীবন, মৃত্যু, সময়, চেতনা সবকিছু জট পাঁকিয়ে আছে এখানে। মস্তিষ্কে রক্ষিত স্মৃতিগুলো ঝাপসা, এলোমেলো, অর্থহীন এবং বিমূর্ত হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। কোন এক উন্মাদ শিল্পী যেন তার মনের ভেতর বিশাল একটা ইজেল বসিয়ে এঁকে যাচ্ছে ইচ্ছেমত। মুছে দিচ্ছে রঙ, অনুভূতি, ব্যথা, বেদনা, আকাঙ্খা, কামনা। তুলির খেয়ালী আঁচড়ে পাল্টে দিচ্ছে সব। অর্থহীন এবং অবর্ণনীয় একঘেয়েমীতে মারা যেতে ইচ্ছে করছে নাকি বেঁচে উঠতে, তাও সে জানে না। এখানে বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার অনুভূতিগুলো গা জড়াজড়ি করে তুমুল বেগে নাচতে থাকে, তাদের মুখ দেখা যায়না। চেনা যায়না কোনটা জীবন, কোনটা মৃত্যু। মাঝেমধ্যে চেতনার জলাশয়ে ঢিল ছোড়ে কে যেন। তরঙ্গায়িত হয় সারা শরীর। এইটুকু যন্ত্রণাই তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন এখন। এই যন্ত্রণাটুকুই মাঝেমধ্যে তাকে জানিয়ে দেয়, সে বেঁচে আছে। জানিয়ে দেয় মনের স্লেটে চক দিয়ে অঙ্কিত শব্দাবলী দ্রুত ডাস্টার দিয়ে মুছে দিচ্ছে কোন এক দুরভিসন্ধিকারী।
-ওর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কতটুকু?
-নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বেঁচে যাবে হয়তো, তবে তার আগের জীবনের কোন স্মৃতি থাকবে না। জড়ভরত হয়ে কাটাতে হবে বাকিটা জীবন।
*
-ডাটা রিকভারির সম্ভাবনা কতটুকু?
নিজের রুমে অপ্রসন্ন মুখে বসে আছেন সিইও মহাশয়। ববি ছেলেটার ওপর প্রচন্ড বিরক্ত তিনি। হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করল, সে কোন ব্যাকআপ রাখেনি। কতগুলো ডাটা মুছে গেল! রিকভার করতে নাকি অনেক টাকা লাগবে। কোম্পানির অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে এতগুলো টাকা খরচ করা, তাও আবার এমন একটা ক্ষেত্রে, যেখানে বিনিয়োগের সুফল নিশ্চিত না...সার্ভিসিংয়ের ছেলেটাও কিছু বলতে পারছে না নিশ্চিতভাবে।
-শিওর না স্যার। হার্ডডিস্ক ভেঙে দেখতে হবে। তারপরেও পাওয়া যাবে কী না বুঝতে পারছি না। আর খরচের কথাটা তো বললামই। এর চেয়ে নতুন হার্ডডিস্ক কিনে হার্ডকপি থেকে সফ্টকপি বানানোই ভালো হবে।
এতসব ঝক্কি ঝামেলার ভার কে নেবে? নতুন ছেলেটা এসেছে কী যেন নাম...ববি। ওকে দিয়েই করাতে হবে। সিইও সাহেব ববিকে জরুরী তলব করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন।
-এই দেলোয়ার! ববিকে পাঠাওতো একটু।
-স্যার ববি সাহেব তো একসিডেন করসে। হাসপাতালে ভর্তি কয়েকদিন ধইরা।
-তাই নাকি? কেন? কীভাবে?
সবকিছু শোনার পর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন,
-তো রিকভার করতে পারবে?
*
"ববি, আমি কে তোমার জানার দরকার নেই। তোমার অধিকাংশ নিউরন সেল মরে গেছে দলবেঁধে। তোমার মনটা এখন আস্ত একটা মাইনফিল্ড। বিশাল এক ভস্মকীট। তোমাতে প্রবেশ করে দগ্ধ হয়, ভস্মীভূত হয় পুরোনো স্মৃতিরা। ব্ল্যাকহোলের মত তীব্র আকর্ষণে গ্রাস করে নাও আবেগ, ভালোবাসা, স্মৃতি। হয়তোবা আমি তোমার খুব কাছের কেউ, রক্ত সম্পর্কের। হয়তোবা বন্ধু-বান্ধব বা সহকর্মী। তোমার কি কোন প্রেমিকা ছিল? তোমার কি কাউকে ভালো লাগতো? এসব প্রশ্নের উত্তরে মস্তিষ্কের কোষগুলোতে শক্তিশালী সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে চষে ফেলেও কিছু পাওনা তুমি। অতি স্বল্পমাত্রার উদ্দীপনায় প্রশ্নটা ধরে নিতেই ব্যর্থ হও শোচনীয়ভাবে, উত্তর দেবে কী! মনীষীরা স্মৃতির অবিনশ্বরতা সম্পর্কে অনেক বড় বড় বুলি ছেড়েছেন। তার কিছু হয়তো তুমি পড়েছিলে। মানুষ মারা যায়, ক্ষয়ে যায়, কিন্তু রয়ে যায় স্মৃতি। কোথায় তোমার স্মৃতি ববি? তোমার স্মৃতি ছড়িয়ে থাকবে এখানে, সেখানে, ইথারে, বেতারে। কেউ পড়ে থাকা স্মৃতিখন্ড দিয়ে প্রজাপতি বানাবে কেউ বানাবে পাপোষ, আর অধিকাংশই অবলীলায় অগ্রাহ্য করে যাবে।
আমি তোমার সম্মিলিত স্মৃতিগোষ্ঠীর দুর্লভ সুজন।
একবার চেষ্টা করে দেখবে ববি, ঘ্রাণ পাওয়া যায় কী না? শীতের সকালে মায়ের বুক ঘেষে শুয়ে থাকার ঘ্রাণ? কুয়াশার ঠোঙায় করে নিয়ে আসা তরতাজা এক টুকরো সকালের ঘ্রাণ? তা কী আমি!
তুমি যে দুর্ভেদ্য অপস্মৃতিবলয় তৈরি করেছ, তা কী করে ভেদ করি আমি?
দেখতে কি পাও ববি? এ্যাপয়ন্টমেন্ট লেটারে মুদ্রিত তোমার নাম। বন্ধুদের সাথে উদযাপনের আনন্দ। ভাঙা গ্লাস, অসংখ্য সিগারেটের বাট। স্টেডিয়ামে গিয়ে তোমার পাশে উত্তেজনার মুহূর্তগুলোতে সঙ্গ যুগিয়েছে, সে কী আমি! সে কী আমি!
তোমার কোষ থেকেই আমার জন্ম, অথচ কী ভীষণ মৌন তিরস্কারে তিরোহিত করলে আমায়! এখন আমি কী করে ফিরে আসি তোমাতে?
ববি, তোমাকে দেখতে ফারুক সাহেব আসছেন। তোমাদের অফিসের একাউন্টেন্ট। মজার ব্যাপার কী জানো? তার ব্যাগের ভেতর নষ্ট হার্ডডিস্কটা রয়েছে। কি করে জানলাম? তোমার বিশাল স্মৃতিমন্ডলীর অতি ক্ষুদ্র এক উপগ্রহ হিসেবে ফারুক সাহেবও তো আছেন, হয়তোবা! সম্ভাব্যতা এবং যুক্তিবর্তনী এখনও অদৃশ্যভাবে ক্রিয়াশীল। ডাটা রিকভারির চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে। সে এলে পরে আমি কি বলব হার্ডডিস্কটাকে তোমার বিছানার পাশে রেখে দিতে? সত্যি কথা বলতে কি, এমন সহচর তুমি আর পাবেনা। তোমাদের দুজনের মেমরিতেই ব্যাড সেক্টরের আগ্রাসন। রিকভারির চেষ্টা চলছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল, এবং ধীর এক প্রক্রিয়া। মানুষজন আর কতদিন সহ্য করবে বল? তোমাদের দুজনের পরিণতিই তো এক হতে যাচ্ছে। আমি শুধু দেখে যাই। শুধু দেখে যাই। কিচ্ছু করার ক্ষমতা নাই। তোমাকে চুপিচুপি এসব বলার পথও রুদ্ধ হয়ে আসছে...
*
-হার্ডডিস্কটা ঠিক করা গেলো না তাহলে?
-না স্যার! এখন কী করব ওটা দিয়ে?
-যা ইচ্ছা কর! ফেলে দাও। এসব তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে আমাকে আর বিরক্ত করোনা তো!
ববি যদি বেঁচে থাকে অল্পবিস্তর চেতনা নিয়ে,এবং এই সংলাপ যদি তার কানে যায় তাহলে সে খুব কসরৎ করে হয়তোবা একটি ভাবনার উৎপত্তি করতে পারে, ফেলে দেয়া নষ্ট হার্ডডিস্ক এবং রেখে দেয়া বিপন্ন মানুষের দর্শন বিষয়ক।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: মস্তিষ্কের স্মৃতিগুলোরও যদি ব্যাকআপ রাখা যেতো!
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পে যেভাবে প্রবেশ করেছেন কি আর বলবো!
খুব করে চেয়েছিলাম ববির কাজের একটা সমাধান হবে! না হয় আবার খেটে করে দিয়ে সম্মান ফিরে পাবে! তাতে হয়তো গল্প জমতোনা। হার্ডডিস্ক টা তো ফেলে দিলো, ববির মস্তিষ্কের স্মৃতি কোষ আর ববির কি হবে! অনবদ্য ছোট গল্প!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: নষ্ট হার্ডডিস্ক ফেলে দেয়া যায়, কিন্তু বিপন্ন মানুষকে রেখে দিলেও তা ফেলে দেবার মতনই দেখায়। (এটা গল্পে এ্যাড করে দিব ভাবতেসি!)।
অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৮
সিলেটি জামান বলেছেন: পড়লাম, আবার পড়তে হবে
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম সবসময়।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১২
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া । বাতিলের খাতায় খসখস করে নাম লিখে রাখা ।
চমৎকার একগুচ্ছ ভাবনা ! গল্পে প্লাস
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সিফাত!
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: মাথার ফাইল গুলোর ব্যাকআপ এর ব্যবস্থা করা গেলে ভাল হইতো!!!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। শুভরাত অপু।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: চমৎকার !
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আদনান। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেল!
তবে ছোট বলেই সার্থক বলা চলে, দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়কে একসাথে টেনে একই বিন্দুতে আনা, এবং গল্পের পেছনে আরেকটা গল্প বলা- চমৎকার লেগেছে। আপনার অন্যান্য গল্পের চেয়ে এটায় উপমা-রূপক কম ছিল, এবং গল্পের ফাঁকে ফাঁকে আসায় ওগুলোকে গল্পের 'অলংকার' মনে হল।
কম্পিউটারের নানা টার্ম আমার কাছে কেমন অপরিচিত, বিজাতীয় লাগে; তাই গল্পে দুই একটা লাইন থেমে থেমে পড়তে হয়েছে। তবে শেষমেশ বুঝেছি।
নিজের রুমে অপ্রসন্ন মুখে বসে আছেন সিইও মহাশয়। ববি ছেলেটার ওপর প্রচন্ড বিরক্ত তিনি। হার্ডডিস্ক ক্র্যাছশ করল, সে কোন ব্যাকআপ রাখেনি।
এটা ঠিক করে দিয়েন।
ববিকে নিয়ে আপনার আরও লেখা আছে, পড়েছি। এই চরিত্রের প্রতি এত ভালবাসার নির্দিষ্ট কোন কারণ আছে কি? জানতে চাই।
শুভকামনা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার শেষটা নিয়ে ভেবেছি বেশি তাড়াহুড়ো হয়ে গেল কী না! আমি চেয়েছিলাম শেষ কটি ডায়লগের মাধ্যমে মোটামুটি পুরো ক্যানভাসটাই ধরতে। ব্যাপারগুলো নিষ্ঠুর এবং বেদনাময়।
ববি নামটা আমার খুব পছন্দ। স্টাইলিশ লাগে। আর আমি নাম নিয়ে তেমন ভাবতে পছন্দ করি না। অনেক নামেরই পুনরাবৃত্তি ঘটে। যেমন জেনি। ববিটাও স্রেফ আমার পছন্দের একটা নাম, আর কিছু না। সে হল হেরে যাওয়া মানুষের প্রতিভূ, ট্রাজেডি তার প্রেমিকা।
ভুলটা শুধরে নিচ্ছি। ধন্যবাদ প্রফেসর!
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আর বলতে ভুলে গেছিলাম, এই প্রথম, প্রথম প্লাস আমি দিয়েছি!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাদরে গৃহীত হল!
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার খুব ভালো লেগেছে! চমৎকার। ইদানিং অল্প কথার ভালো গল্প তেমন একটা পড়িনি। আপনারটা দিয়েই সেই বন্ধ্যত্ব ঘুচল। কাহিনীর বর্ননা আগের গল্পগুলোর তুলনায় অনেক সহজ এবং প্রাঞ্জল।
হার্ডডিস্কে ডাটা মুছে যাওয়ার পাশাপাশি একটা বিশেষ সমস্যাও হয়, কিছু অপ্রয়োজনীয় ডাটা মুছে ফেলার ঝামেলা। ফরম্যাট না করলে সেই সব ডাটা মুছে ফেলা যায় না। ডিলেট চাপলেও বলে, এক্সেস এরর, এ্যানাদার প্রোগ্রাম ইজ ইউজিং দিস প্রোগ্রাম। স্টপ দ্যাট প্রোগ্রাম বিফোর ডিলিট।
প্রশ্ন হলো মানবমস্থিস্কের যে হার্ডডিস্ক আছে, সেখানেও এমন কিছু মেমোরী থাকে যা মুছে ফেলা যায় না, বার বার সেই এরর ম্যাসেজ দেখায়। মানব মস্থিস্ক ফরম্যাটে উপায় কি??
গল্পের ববির প্রতি মায়া ও হিংসা দুটোই হচ্ছে। দ্বিতীয় প্লাস।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা।
নিউরন সেলে বিপর্যয়জনিত স্মৃতিনাশ যেমন জীবন্মৃত করে তোলে, তেমনই সম্পূর্ণ তরতাজা মস্তিষ্ক, যার ধারণক্ষমতা অনেক, সেও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে যদি ভুলতে না পারে, মুছতে না পারে। ভুলে যাবার ক্ষমতা পর্বতসম হওয়া চাই।
শুভরাত্রি।
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩০
অনাহূত বলেছেন:
পড়লাম। সত্যি হাসান ভাই, অনেক এনজয় করলাম গল্পটা পড়ে। ম্যাসেজটাও ঠিক ঠিক বুঝে নিয়েছি - ক্র্যাসড হার্ডডিস্ক বনাম অক্ষম মানুষের মধ্যকার দর্শন।
আপনার অন্যান্য গল্পের চাইতে এই গল্পে ভাষার সহজ ব্যবহারের কারণে কোন কিছু না ভেবেই পাঠের সময় দৃশ্য এঁকে ফেলা যায়। গল্পে এটা খুব ইম্পর্টেন্ট।
সাধারণত আপনি জীবনের অন্ধকারাচ্ছন অধ্যায় নিয়ে লিখেন। যেহেতু ববি চলে এসেছে - সো, হেরে যাওয়া, ট্রাজেডি থাকবে একটু আঁচ করতে পেরেছিলাম। ববির হার্ড ডিস্ক কোনদিনও ঠিক হবে না, এটা গল্পের নিয়মিত পাঠক হিসেবে ভেবেই নিয়েছিলাম। হে হে। তবে গল্পটা মোটেও প্রেডিক্টেবল ছিলো না।
সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।
আচ্ছা, ববির এক্সিডেন্টটা নিয়ে আরেকটু কিছু বলা যেত না? ভেবে দেইখেন তো।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু অর্ণব। ববিকে নিয়ে অনেকদিন পর লিখলাম। লাস্ট লিখেছিলাম প্রায় বছর দেড়েক আগে। তাই নতুন পাঠকেরা গল্পের ভাবগতিক আগে থেকে আঁচ করতে না পারলেও পুরোনোরা যে বুঝে যাবে এটা ধারণা করতে পেরেছিলাম। এটা এক দিক দিয়ে বেশ তৃপ্তির ব্যাপার। এত পুরোনো লেখার সাথে পাঠকরা এখনও লিংকড আছে জানলে ভালো লাগে।
এ্যাক্সিডেন্ট এবং তার চিকিৎসা, ফলাফল এসব নিয়ে লিখতে গেসিলাম, কিন্তু লেখার সময় মনে হল আমার আরো বেশি মেডিক্যাল বিষয়ক জ্ঞান থাকলে ভালো হত। লিখে আরাম পাচ্ছিলাম না ওভাবে। তাই বাদ দিয়ে দিলাম!
শুভদিন।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাপরে ! সব ধরনের লেখাই যে দেখছি তুমি লিখতে পার! অলরাউন্ডার লেখক।
গল্পের প্রথম অংশটা পড়তে পড়তে বারবার মনে হচ্ছিল আসলেই কি হাসানের লেখা পড়ছি ! একবার এড্রেসবারে "Paranoid" টেক্সটার উপর নজর বুলিয়ে নিয়েছিলাম অজান্তেই। আরও কিছুটা পড়ার পর একবারে স্ক্রল করে প্রোভাল দেখে কনফার্ম হলাম, নাহ হাসানেরই লেখা।
বেশ ভাল মানের লেখা। দুইটা বর্ননার শেষে একজায়গায় নিয়ে এসে ফিনিসিংটা বেশ হয়েছে। আর গল্পের দ্বিতীয় অংশে এসে তোমার লেখার ইউনিক স্টাইল ফুটে উঠেছে।
পুরা গল্পে শুধু একটা খটকা লেগেছে, কোম্পানীর সিইও কে তুমি বেশ ভাল, নরম ও বিনয়ী মানুষ হিসাবে অংকিত করেছ, কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে রবি এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে এটা উনি জানেন না এটা কেমন বেখাপ্পা লাগছে। যদি অন্য কেউ হত তাহলেও বুঝা যেত কিন্তু গল্পে যেটা বুঝেছি রবির কাজের উপর ম্যানেজমেন্ট বেশ ডিপেনডেন্ট ছিল; এ ক্ষেত্রে ত এক্সিডেন্টের খবরটা সাথেসাথে পুরা অফিসে ছড়িয়ে পড়ার কথা।
সব মিলিয়ে খুব ভাল হয়েছে, পুরা গল্পজুড়ে একটা অদৃশ্য উত্তেজনা ছিল। রবির অসহায় আকুতিটা নাড়া দিয়ে গিয়েছে। গল্পে এক মূহুর্তের জন্যেও মনে হয়নি এই রবি গল্পের রবি। বরং মনে হয়েছে আমাদের আশেপাশের খুব সাধারন, খুব চেনাজানা কেউ একজন। তার ফেসবুকে স্যাটাস,,পিয়ন দেলোয়ার, সিইও ভদ্রলোক, সার্ভিস সেন্টারের চটপটে ছেলেটা এদের মধ্যমে রবি বেশ স্বার্থকভাবেই ফুটে উঠেছে। শুভেচ্ছা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। গল্পের প্রথম অধ্যায় লিখতে গিয়ে আমার নিজেরই নিজেকে অচেনা লাগছিলো। হাহা! তবে এটা ইচ্ছাকৃত ছিলো। দ্বিতীয় অধ্যায়ের টার্নটা যেন পাঠককে কিছুটা হলেও বিমূঢ় করতে পারে সেজন্যে এমন আয়োজন।
কোম্পানির সিইওর ব্যাপারটা ঠিকই বলেছেন, এখন এটাকে কীভাবে ম্যানেজ করি বলেন তো! ধরে নেন মাঝের কয় দিন সে অফিসে আসেনি, ঢাকার বাইরে বা বিদেশে ছিলো!
শুভকামনা নিরন্তর। ভালো থাকবেন।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৪
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
খুব মুগ্ধকর একটি গল্প........
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। ভালো থাকবেন।
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
প্রথম থেকেই পুরা ঢুকে গেসিলাম ভিতরে, জোস !
কুয়াশার ঠোঙায় করে নিয়ে আসা তরতাজা এক টুকরো সকালের ঘ্রাণ - লাইনটা চমৎকার হৈসে ||
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু মুন। লাইনটা আমারও পছন্দের!
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৯
ম.র.নি বলেছেন: আসগর তার হাতে ধরা কাগজটা ববির কাছে দিয়ে অনুরোধ করে; দেলোয়ারের সাথে আসগর চরিত্র কিভাবে এলো?
মূল চরিত্রে ববি নামটা সমান্জস্যপূর্ণ মনে হলো না।দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভিন্নটাইপের নাম হলে আরো যুঁতসই হতো মনে হয়।
আপনি কবিতা লিখেন কিনা জানি না, ট্রাই করবেন?
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসগর নামটা ভুলে চলে এসেছে। ঠিক করেছি।
ববি চরিত্রটা আমার অন্যান্য গল্পেও আছে। সে হচ্ছে একজন চিরপরাজিত মানুষ। প্রতিটা গল্পেই সে হেরে যায়। ঐ নাম দিয়ে শুরু করেছিলাম, এখানেও তার ক্রম রক্ষা করলাম।
কবিতা তো লিখতাম একসময়। এখনও লিখি টুকটাক, তবে এই নিক থেকে না!
অনেক ধন্যবাদ নিবিড় পাঠে।
১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
আম্মানসুরা বলেছেন: একদম বাস্তব। যেকোন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রয়োজন যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ আদর ও কদর থাকে, যেই মুহূর্তে অপ্রয়োজনের খাতায় নাম উঠায় তখনি আমরাও অপ্রয়োজনকে দূরে সরিয়ে সঠিক প্রয়োজন দ্বারা প্রতিস্থাপন করি। বিষয়টা নির্মম কিন্তু সত্য। সত্য কঠিন হয়।
পোস্টে ৮ম প্লাস।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আম্মানসুরা। ভালো থাকবেন।
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: গল্পে ভালোলাগা।
গল্পে আপনার বিচিত্র চিন্তাভাবনা খুব সুন্দর উঠে আসে। উপস্থাপনের জোর না ঘটনার জোর, সেটা অবশ্য খতিয়ে দেখি নি।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার গভীর পাঠবোধের কারণেই হয়তো আমার এইসব লেখা বিশেষ হয়ে ওঠে। শুভকামনা।
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চরম হইছে ভাই।
ছোট্ট চাকুরে ববি'র হার্ড ডিস্ক ক্রাশ সম্পর্কিত সমস্যা আর শেষটায় মানুষের স্মৃতি শক্তির ছোট্ট পাঠ, দূর্দান্ত হয়েছে।
সব কিছুই যদি রিকভার করা যেত, ইস!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়! শুভ বৃষ্টিদিন।
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ববি নিয়ে অবশেষে লিখলেন ! ববির পরাজয় কিংবা ম্যানেজ করতে না পারার মাঝে টা যে অসহায়ত্ব সেখানেও তার একটা সারল্য থাকে।
আপনার এই লেখাটা ভালো লাগছে কারণ এখানে ঘটনা বা শব্দের মারপ্যাঁচ তেমন নাই। সহজ , সাধারণ। বলা যায় আপনার লেখার মৌলিকত্ব। আমার ধারণা আপনি এটা লেখার সময় একটানে লিখছেন, কাহিনীর টুইস্ট খুঁজতে হয় নাই।
২ নাম্বার অংশের " জড়ভরত হয়ে কাটাতে হবে বাকিটা জীবন। " -- এই পর্যন্ত অংশটুকু সুন্দর। প্রথমে ভেবেছিলাম নষ্ট হয়ে যাওয়া হার্ড ডিস্কের মানে যন্ত্রের অনুভব। পরে দেখলাম না , তেমন কিছু না। স্থবির মস্তিশের যে অংশটুকু শুধু তীব্র যন্ত্রণায় তরঙ্গায়িত হচ্ছে সে অংশের বর্ণনা।
গল্পে প্লাস।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাহিনীটা মাথায়ই ছিলো অনেকদিন যাবৎ। কীভাবে লিখব সেটা নিয়েই ভাবতে হয়েছে। লেখাটা একটানে লিখলেও বেশ কাটাকুটি করতে হয়েছে কয়েকবার।
শুভকামনা।
১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
আল ইফরান বলেছেন: অসম্ভব রকমের সুন্দর একটা গল্প লিখছেন ভাই।
বিশেষ করে মানুষের জীবনের ডার্ক সাইডগুলো নিয়ে আপনার লেখা প্রতিটি গল্পই অনন্য এবং অসাধারন।
ভালো থাকবেন।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।
২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
বোকামন বলেছেন:
পারফেক্ট ! ব্লগে ঢুকেই দারুন একখানা গল্প পড়লাম !!
গল্পটার এমন ফিনিশিংই দরকার ছিলো। গুণী লেখক তোর তার লেখনীর গুনের পরিচয় দিবেনই। গল্পটি চাকুরীজীবীদের নিশ্চিত মন ছুঁয়ে যাবে। ববি, সিইও এবং হার্ডডিস্ক, ক্যানভাসের এই তিনটি রঙ ক্যানভাসটাকে একদম ঢেকে দেয়নি। ফলাফল একটি সূক্ষ্ম ইঙিতপূর্ন ম্যাসেজ যার জন্যই হয়তো গল্পটি বলা, পেয়ে গেলুম।
“ববির ছন্নছাড়া জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসা এই চাকুরী এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি তার একটা ভৃত্য-সুলভ আনুগত্য এবং নীরব কৃতজ্ঞতা আছে।”
অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে ভৃত্যসুলভ আনুগত্য তৈরি হয়ে যায়। না হয়ে উপায় নেই। আর এ ব্যাপারটি স্যারগণ উপভোগই করেন। গল্পটি শেষ করে ববিদের নিয়ে ভাবছিলাম।
হার্ডডিস্কের জন্য ইসিসিএস আছে কিন্তু মানব মস্তিষ্কের জন্য ! ব্রেইন সেল রিজেনারেট না হয় করে দিলাম। কিন্তু ভৃত্যসুলভ আনুগত্য যে নিউরাল নেটওয়ার্কস জেমিং করে চলছে তার কী হবে ?! মন্তব্যে অপ্রাসঙ্গিক কিছু টেনে আনলাম না তো ! ও ! হা হা হা ...
আমি মনে করেছিলাম আপনি মনে হয় মেডিক্যাল কিটের ব্যবহার করবেন। করেননি, তাই সহজবোধ্য হলো পুরো গল্পটি :-)
ভালো থাকুন লেখক।। এবং আমারো বলতে বেশ ভালো লাগে- সবুজ থাকুন।।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষের সাথে যন্ত্রের কত মিল! সচল যন্ত্র, নষ্ট যন্ত্র, সক্ষম মানুষ, অক্ষম মানুষ, কিন্তু যন্ত্রের ফিরে আসার সাথে মানুষের ফিরে আসার কত অমিল! মানুষের ক্ষেত্রে এটা অপ্রত্যাগামী ক্রিয়া। থিংস উইল নেভার বি দ্যা সেম!
মেডিক্যাল টার্ম ইউজ করার ইচ্ছা ছিলো, লিখতে গিয়ে জ্ঞানের স্বল্পতা টের পেলাম, তাও আর লেখা হলো না।
ভালো থাকুন সবসময়।
২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ এবং একজন মানুষের মস্তিষ্কের নিউরণ ক্র্যাশের ঘটনাকে গল্পে খুব চমৎকার ভাবে সম্পর্কিত করেছেন ।
হার্ডডিস্ক আর ববি দুজনের ক্র্যাশ খাওয়া মেমরিতে রিকভারির চেষ্টা চলছে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ । আর এখানে এসেই যন্ত্র আর মানুষের একই পরিনতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে ।
হার্ডডিস্ক আর ববি দুজনেই বাস্তবতা আর অর্থনীতির বিচারে তুচ্ছ আর বাজে খরচ ।
তারপরও কেউ কেউ নিজের কাছে রেখে দেয় ক্র্যাশ খাওয়া হার্ডডিস্ক কিংবা মেমরি লস করা মানুষটিকে- পূর্ণ রিকভারির আশায় । আর তাতেই বেঁচে উঠে মানবতা ।
আর কিছু বলার নেই, ভালো লাগা জানানো ছাড়া ।
+++
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি এত অল্প কথায় পুরো গল্পের জিস্টটা তুলে ধরলেন আর কী বা বলার থাকে! পূর্ণাঙ্গ পাঠ। পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি লেখকের।
শুভদুপুর মামুন ভাই।
২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
বৃতি বলেছেন: তোমার স্মৃতি ছড়িয়ে থাকবে এখানে, সেখানে, ইথারে, বেতারে। কেউ পড়ে থাকা স্মৃতিখন্ড দিয়ে প্রজাপতি বানাবে কেউ বানাবে পাপোষ, আর অধিকাংশই অবলীলায় অগ্রাহ্য করে যাবে।
আসল কথা হোল সেটাই । তারচেয়ে, seize the day!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটাই বৃতি। শুভকামনা।
২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
কালোপরী বলেছেন: I wish one day my brain's harddisk may have a crash. ameen
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সে কী! না না না।
২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দারুন!!!
অপু তানভীর বলেছেন: মাথার ফাইল গুলোর ব্যাকআপ এর ব্যবস্থা করা গেলে ভাল হইতো!!!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু ইরফান।
হ্যাঁ অপুর কথামত কিছু করা গেলে খুব ভালো হত।
২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
তোমোদাচি বলেছেন: এই গল্পের মোরাল হচ্ছে, আজই হার্ডডিস্কের ফাইল অন্য কোথাও ব্যাক আপ রাখ!
মস্তিষ্কের ব্যাক আপ রাখতে গেলে ভয়ঙ্কর সমস্যা হতে পারে ... সারাক্ষণ মাথার ভিতর কত অচিন্তা-কুচিন্তা; এইগুলো কেও যদি দেখে ফেলে তাইলে সর্বনাশ!!!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! একদম ঠিক বলেছেন। প্রথম কমেন্টেও সেই কথাই বলেছেন একজন। ইহাকে একটি সচেতনতামূলক পোস্ট হিসেবে ধরে নিয়ে স্টিকি করা হউক!
২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্প খুব ভালো লেগেছে। নিজেকে ববির যায়গায় কল্পনা করার চেষ্টা করে দেখলাম। বিষয়টা সুখকর না। আর লেখনির কথা কি বলবো ! বরাবরের মতোই ভালো! প্লাস!
অট:
নিওরন সেলের ডাটার(আজাইরা চিন্তা, কুচিনতা, সুচিন্তা) ব্যাক আপ রাখি পিসিতে ওয়ার্ড ফাইলে টুকরো টুকরো ঘটনা প্রতিদিন লিখে রেখে! এখন তো দেখতেছি পিসির হার্ডডিক্সের ফাইল গুলারও ব্যাকাপ রাখতে হবে! জনসচেতনতা মুলক পোস্ট।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মধ্যে অস্বস্তির বোধ জাগাতে পেরে আনন্দিত।
জনসচেতনতামূলক পুস্ট স্টিকি করতে জনমত গড়ে তুলুন!
২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: মনে করেছিলাম ববির কাজের একটা সমাধান হবে । হত তো মুভির নায়কের মতন দিন রাত কষ্ট করে সব ফাইল আবার নতুন করে তৈরি করবে । যাক গল্পটা মুভির মতন হলোনা ।
তবে আমি এমন এক সমস্যায় পরেছিলাম ৬-৭ মাস আগে , আমার অফিসের সিসি ক্যামেরার সব ভিডিও আমার কম্পিউটারে সেভ করা হতো , তিন দিনের ভিডিও রেখে বাকি গুলা ডিলিট করতাম ।তো একদিন সকালে অফিসে এসেই দেখি চুরি হয়েছে , তাই পুলিশ ডাকা হয়েছে , আর যেইহেতু আমার কম্পিউটারে সিসি ক্যামেরার সব ভিডিও রেকর্ডিং হয় তাই পুলিশের কাছে আমার কম্পিউটারাই হবে সব চাইতে জরুরী , কিন্তু আমার কম্পিউটারে তো অনেক মুভি এবং অনেক গান সেভ করা আছে এই গুলা যদি পুলিশ বা অফিসের বস দেখে ফেলে তাই সময়া হবে এই চিন্তা করেই আমি সব মুভি এবং গান গুলা ডিলিট করে দিলাম , এবং ভিডিও রেকর্ডিং জমা রাখি যেখানে ওখানে গিয়ে দেখি আমার অবহেলার কারণে গত ৫ দিনের ভিডিও রয়ে গেছে ডিলিট করা হয়নি , তাই তিন দিনের ভিডিও রেখে আগের দুই দিনের ভিডিও গুলা ডিলিট মারলাম । কিন্তু ভাগ্য খারাপ গত কাল রাতের ভিডিওটাও ভুলে ডিলিট করে দিছি এখন কি করা যায় । অনেক খোজা খোজি করলাম কিছুতেই ভিডিওটা ফেরত আনতে পারলামনা । এই ভিডিও কিভাবে উদ্ধার করুম এই নিয়ে সামুতে একটা পোষ্ট ও দিয়েছিলাম , অনেকেই অনেক গুলা বুদ্ধি দিয়েছিল কিন্তু কাজ হয়নি ২৪ ঘন্টার ভিডিও , এতো বড় ভিডিও কি উদ্ধার করা সম্ভব !! তার পর আর কি পুলিশ এসে আমার কম্পিউটার গুতাগুতি করেও গত রাতের ভিডিওটা পেলোনা । জেরা শুরু হলো আমাকে নিয়ে কি আর করার বলে দিলাম ভুল বসত গতকাল সিসি ক্যামেরার ভিডিও রেকর্ড করিনি
যাক তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু চুরি হয়নি , আর বস ও আমাকে অনেক বিশ্বাস করে , আমাকে দিলে সে লাখ লাখ টাকা লেনদেন করারয়, এই ৮ বছরের বিশ্বাস মাত্র ১০-১২ হাজার টাকার মালপত্র চুরি জন্য ভেঙ্গে যাবে!! তাই বসে পুলিশকে মেনেজ করে নিলো এবং আমাকে সাবধান করে দিলো । যাক তার পর তেমন ভুল আর হয়নি , কারণ আমি শিক্ষা পেয়েছে তাই প্রতিটা মানুশেরই অন্তত একবার শিক্ষা হওয়া উচিৎ ।
আপনার গল্প অনেক ভালো হয়েছে ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার গল্পটাও বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। ভালো থাকুন। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য ধরা দিক।
২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
ইখতামিন বলেছেন:
অনেক ভালো লাগলো
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন। শুভরাত্রি।
২৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই। ++++++
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাহতাব। শুভকামনা।
৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: গল্পটা মিলে যায় অনেক ভাবে.. তার উপর দর্শন হাসান ভাইয়ের শব্দ চয়ন .. ঘোর লাগা ববি.. অনেকটা এরকমই একটা ঘটনা ঘটে অনন্ত হিরা ভাইয়ের পিসি তে.. ভাইজানের সমস্ত নাটকের স্ক্রিপ্ট থাকত তার ডেস্কটপে.. হার্ডডিস্ক ক্র্যশ. তার পর সেই মহভারত.. অতপর যদিও হার্ড ডিস্কের ভেতরের মেমরি প্লেট পরিবর্তন করে সেটা রিকভার করা গেছিল.. কিন্তু হিরাভাইয়ের এসিসটেন্ট জহির ভাইয়ের জীবন মরণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল অনেকটা ববির মত. যদিও জহির ভাই ওই ঘটনার দুবছরের মধ্যে দেশের উঠতি পপুলার ডিরেক্টরদের মধ্যে একজন এখন.... আর ব্যকআপ মানে হার্ড কপি মানেই হার্ডকপি...
বায় দা ওয়ে ভালো লাগলো হাসান ভাই..
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার জীবনেও এমন ঘটনা ঘটসিলো। জীবন মরণ প্রশ্ন না হলেও বেশ ঝামেলায় পড়ে গেসিলাম। গল্পটা সেখান থেকেই মাথায় আসে।
শুভেচ্ছা তুহিন।
৩১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আমি প্রুযুক্তির ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ। তবে সায়েন্স ফিকশন ধরনের লেখা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। আর আপনার লেখার হাত অনেক মজবুত।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ার পরে নিজেকে বিশাল প্রযুক্তিবিদ মনে হচ্ছে
৩২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গল্প গতরাতে পড়ে গিয়েছিলাম, আজ ফিরে আসলাম ভালোলাগা জানাতে।
মামুন ভাই খুব সুন্দর করে বলেছেন,-
তারপরও কেউ কেউ নিজের কাছে রেখে দেয় ক্র্যাশ খাওয়া হার্ডডিস্ক কিংবা মেমরি লস করা মানুষটিকে- পূর্ণ রিকভারির আশায় । আর তাতেই বেঁচে উঠে মানবতা ।
আপনার কবিতা পড়তে মুঞ্চাই! কোন নিকে লেখেন জানাবেন?
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু। কবিতা আমার পুরোনো ব্লগ ঘাঁটলে পাবেন। এখন আর লেখা হয় না। তবে সেকেন্ড নিক লিটল হামা থেকে মাঝেমধ্যে চেষ্টা করা হয় মূলত লিরিক জাতীয় বস্তু লেখার।
শুভরাত্রি ইফতি।
৩৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৭
এরিস বলেছেন: মানুষ যন্ত্র বানিয়েছে, সেই যন্ত্রের উপরেও কিছু কিছু সময় ক্ষমতা খাটিয়ে কাজ হয়না। যন্ত্রের রিকভারির চেষ্টা আর মানুষের রিকভারির চেষ্টা, দুয়ের সম্মিলন ভাল লেগেছে।
হার্ড ডিস্কের নাহয় ব্যাকআপ রাখা যাবে, মস্তিষ্কের ক্র্যাশ কিকরে ঠেকানো যাবে? রিকভারির কোন ব্যবস্থা তো নেই!!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এরিস।
কোন ব্যবস্থা নেই। মাঝেমধ্যে মনে হয় মগজের বদলে কপোট্রন থাকলে ভালো হত।
শুভরাত্রি।
৩৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৬
শাওণ_পাগলা বলেছেন: -হার্ডডিস্কটা ঠিক করা গেলো না তাহলে?
-না স্যার! এখন কী করব ওটা দিয়ে?
-যা ইচ্ছা কর! ফেলে দাও। এসব তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে আমাকে আর বিরক্ত করোনা তো!
ববি যদি বেঁচে থাকে অল্পবিস্তর চেতনা নিয়ে,এবং এই সংলাপ যদি তার কানে যায় তাহলে সে খুব কসরৎ করে হয়তোবা একটি ভাবনার উৎপত্তি করতে পারে, ফেলে দেয়া নষ্ট হার্ডডিস্ক এবং রেখে দেয়া বিপন্ন মানুষের দর্শন বিষয়ক।
গুল্পের এই শেষ অংশটা অনেক নির্মম কিন্তু সত্যি। সহজভাবে কি সুন্দর করে গভীর একটা ভাবনায় নিয়ে গেলেন!! ভালো লাগলো!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাওন। ভালো থাকবেন।
৩৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
টুম্পা মনি বলেছেন: ঘোর ধরানো লেখা! চমৎকার!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা। একটা এ্যাড ছিল অনেক আগে,
"কাঁদছো কেন টুম্পামনি কাঁদছো কেন মা?
কোকোলা লজেন্স পেলে বোধ হয় খুশি হবে, না?"
ঈষিতা ছিলো।
৩৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
কয়েস সামী বলেছেন: না। আমার কাছে অতোটা ভাল্লাগেনি।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ সামী। শুভরাত্রি।
৩৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৪
আদনান০৫০৫ বলেছেন: অনেস্টলি, আমি প্রেডিক্ট করেছিলাম - একটা আনপ্রেডিক্টেবল এন্ডিং দেখবো বলে। প্রেডিকশন অবজেক্টিফাইড!
সিনেমা দেখতে বা গল্প পড়তে নিলে আমার একটা দোষ হোক বা গুণ - আমি প্রথমেই চরিত্রগুলোকে নিজের আশপাশ দিয়ে চিন্তা করে নিই - আপনার কিছু লেখায় এভাবে চরিত্র হিসেবে খুব সহজ হয় ঢুকে যেতে। আর এই লেখাটা - লেখা শেষে নিজের ক্রমশ জীবন থেকে ফুরিয়ে যাওয়াটা অনুভব করলাম যেনো প্রবলভাবে। কিছু না পাওয়ার আফসোসের চেয়ে আমার বরং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু পাওয়াগুলোই অকস্মাৎ হারিয়ে যাওয়ার বেদনা তীব্র হয়ে উঠে। আর দিনশেষে আমরা একেকজন যে ব্যাড সেকটর পড়া হার্ড্ডিস্ক ছাড়া খুব বেশী কিছু নই - এ বোধটা ভীষণ কষ্টের কিন্তু কিছু করার নেই।
আপনার এটার আগের ২টা লেখা স্টার্ট করেও পড়া শেষ না করেই এই লেখাটা পড়লাম। আস্তেধীরে পড়বো - ধীরসুস্থে পড়ার সময়সুযোগটা হয়ে উঠেনা আর অথবা মস্তিষ্কের ব্যাড সেকটরগুলোও ক্রমশ সক্রিয়তর হয়ে উঠছে বলে।
ভালো থাকবেন।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখার সাথে তোমার এমন মিলেমিশে যাওয়া খুব ভালো লাগলো। আশা করি অন্য লেখাগুলোও পড়ে ফেলবা। ভালো থাকো। শুভ ঈদ।
৩৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১০
টুম্পা মনি বলেছেন: "কাঁদছো কেন টুম্পামনি কাঁদছো কেন মা?
কোকোলা লজেন্স পেলে বোধ হয় খুশি হবে, না?"
এটা এড ছিল! আমি তো ভাবতাম এই কবিতাটা আমার খালা মনি আমার জন্য বানাইসে। :!> :#>
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা খুব জনপ্রিয় এ্যাড ছিলো।
৩৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এমন কিছু যা মস্তিষ্কের স্মৃতিগুলোর ব্যাকাপ রাখতে পারবে থাকলে সত্যি মন্দ হত না।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি তাই। শুভেচ্ছা।
৪০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চমৎকার গপ......
এই গপে আপনার লেখক গুনের এক নয়া রুপ দেখলাম!
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: তুন কিছু উপহার দিতে পারাটা আনন্দের। ভালো থাকবেন।
৪১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৪
ফারিয়া বলেছেন: লেখার গতি মনমুগ্ধকর। প্রথমে ধাঁধাঁ মনে হলেও শেষে ভালোই লাগলো। আপনার চিন্তার গঠন ভালো লাগে সবসময়।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফারিয়া। ভালো থাকবেন।
৪২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১০
প্যাপিলন বলেছেন: অযান্ত্রিক আর যান্ত্রিক মেমোরি একই প্রবাহটা অন্যরকম ভালো লেগেছে।
আমার পারসোনাল যন্ত্রটার বয়স ১১ বছরেরও ওপর। এখন আর ভালো সাপোর্ট দিচ্ছেনা, কখন যে থেমে যায় ঠিক নেই। থেমে গেলে অসংখ্য কাজ, অসংখ্য স্মৃতি হারিয়ে যাবে। কোন ব্যাকআপও রাখিনা কারণ যন্ত্র ভাবতে ইচ্ছে করেনা। মায়ায় পড়ে গেছি। হারিয়ে গেলে যাক, প্রিয়জন হারানোর মতেই কষ্ট না হয় হবে..........
আপনার গল্পর থিমগুলো বেশ ভাবায়
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি তো অদ্ভুত! আপনার জন্যে একটা মুভি সাজেস্ট করি। ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত 'অযান্ত্রিক'। দেখে না থাকলে দেখে ফেলুন।
শুভকামনা।
৪৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
দারুন হয়েছে গল্পটা... আমার খুবই ভালো লেগেছে...
ববি ও একটি হার্ডডিস্কের আত্মকাহীনিতে দুই প্রান্তের দুই অসহায় সময়কেই যেন দেখলাম... ববির জন্য মনের ভেতরটা হাহাকার করে উঠলো... এমনভাবেই ববির উপস্থাপনাটা হয়েছে... আর একটি যন্ত্রের পূনর্জীবনের জন্য যেন আমিই অদৃশ্যে হাতপামাথা চালাচ্ছি... চালিয়ে যাচ্ছি...
এখানে একটি আশার করুন মৃত্যু দেখলামা যেন... এমন মৃত্যু এই সমাজে প্রতিনিয়তই হয়, হচ্ছে...
একটি অকার্যকর যন্ত্রকে ফেলে দেওয়া যায়... তবে একজন অকার্যকর মানুষকে ফেলে দেওয়া যায় না... রেখে দিলেও যেন সহ্য করা যায় না...
শব্দের জট ছাড়াই অত্যন্ত সুন্দর/ অনন্য সুন্দর একটি গল্প নামিয়ে ফেলেছেন...
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো...পরিবারের সবাইকে নিয়ে সময়টা সুন্দরভাবে উপভোগ করুন এই কামনা...
শুভকামনা...
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। কৃতজ্ঞতা এমন একটা মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।
৪৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
সায়েম মুন বলেছেন: গল্পের শুরুর কথা দেখে মনে পড়লো, কালকে আমার ল্যাপি ফরম্যাট দিছি। ৪ ঘন্টা চেষ্ঠার পর উইন্ডোজের সিডি নিছে।
গল্প টাইম নিয়ে পড়বোনে
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ৪ ঘন্টা!
৪৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৪
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: দারুন গল্প হামা ভাই ++++
ঈদ মোবারক । আপনার ঈদ ভাল কাটুক । শুভ কামনা ।
তো আছেন কেমন ?
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো আছি। ঈদ ভালো কাটুক।
৪৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩২
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: আপনার অন্য গল্পের তুলনায় কিছুটা ম্লান মনে হয়েছে। তবে ভাল লেগেছে অবশ্যই।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নুসরাত। চেষ্টা থাকবে পরের গল্পে এর চেয়ে ভালো করার। ভালো থাকবেন।
৪৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৪
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: অনবদ্য গল্প
নষ্ট হার্ডডিস্ক ফেলে দেয়া যায়, কিন্তু বিপন্ন মানুষ??
অ,টঃ আমার বান্ধবীর নাম ববি।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! ববি এবং আপনার জন্যে শুভকামনা।
৪৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কুয়াশার ঠোঙায় করে নিয়ে আসা তরতাজা এক টুকরো সকালের ঘ্রাণ ভাই এটা তো কবিতা। অর্থাৎ
সামুভিত্তিক আমাদের একটি সাহিত্য-গ্রুপ থাকা উচিত।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সামুতে গ্রুপব্লগ কখনই সাফল্য পায় নাই। সবার লেখা পড়েন, সময় দেন দেখবেন অলিখিত একটা গ্রুপ পেয়ে গেছেন
স্বাগতম আমার ব্লগে।
৪৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কুয়াশার ঠোঙায় করে নিয়ে আসা তরতাজা এক টুকরো সকালের ঘ্রাণ ভাই এটা তো কবিতা। অর্থাৎ বলতে চাচ্ছি আপনার কাছে এখন থেকে নিয়মিত কবিতাও চাই।
কুয়াশার ঠোঙা উপমাটা অসাধারণ। আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। এটা ধার নিলাম।
আর গল্পের কথা কি বলব। আপনি যে এত শক্তিশালী লেখক জানা ছিল না। নিয়মিত ব্লগিং করছি বেশি দিন হয়নি তো। আপনি অনুসরণে।
উপরের মন্তব্যে দেওয়া লিংকটায় একটু ক্লিক করে দেখবেন।
ঈদের শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখলাম। ভালো প্রস্তাব। আমি কবিতা লেখা একরকম ছেড়েই দিয়েছি। গল্পের মধ্যে তাই কাব্যিকতার ছিঁটেফোটা থাকে মাঝেমধ্যে। আর কখনও লিখলে আমার সেকেন্ড নিক থেকে দেই।
কথা হবে নিয়মিত। ভালো লাগলো পরিচিত হয়ে।
৫০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১২
নস্টালজিক বলেছেন: তার মনে হচ্ছে যেন সে হাজার-অযুত-লক্ষ-কোটি বছর ধরে শুধু বেঁচে আছে, বেঁচেই আছে। জীবন, মৃত্যু, সময়, চেতনা সবকিছু জট পাঁকিয়ে আছে এখানে। মস্তিষ্কে রক্ষিত স্মৃতিগুলো ঝাপসা, এলোমেলো, অর্থহীন এবং বিমূর্ত হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। কোন এক উন্মাদ শিল্পী যেন তার মনের ভেতর বিশাল একটা ইজেল বসিয়ে এঁকে যাচ্ছে ইচ্ছেমত। মুছে দিচ্ছে রঙ, অনুভূতি, ব্যথা, বেদনা, আকাঙ্খা, কামনা। তুলির খেয়ালী আঁচড়ে পাল্টে দিচ্ছে সব। অর্থহীন এবং অবর্ণনীয় একঘেয়েমীতে মারা যেতে ইচ্ছে করছে নাকি বেঁচে উঠতে, তাও সে জানে না। এখানে বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার অনুভূতিগুলো গা জড়াজড়ি করে তুমুল বেগে নাচতে থাকে, তাদের মুখ দেখা যায়না। চেনা যায়না কোনটা জীবন, কোনটা মৃত্যু.।.।.।
মেটাফোর-টা দারুণ! শুরুর দিকে পড়তে সাবলীল লাগতেসিলো, কিন্তু সাদামাটাও! গল্পের গল্প-টা ধরতে পারছিলাম না! পরে এসে গল্পে ঢুকে গেছি!
ববির ক্যারেকটারাইজেশন সুপার্ব! তোমার এই লেখাটায় শব্দ বিন্যাস বেশি ভালো লাগসে! খুব প্রিসাইস ছিলা...
শুভেচ্ছা!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা নিয়ে আমার প্ল্যান যেরকম ছিলো, যেভাবে পাঠকের প্রবেশ চেয়েছিলাম তুমি সেভাবেই ঢুকেছো।
পাল্টা শুভেচ্ছা!
৫১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
সায়েম মুন বলেছেন: হার্ডডিক্স জনিত সমস্যা হলে সেটা খুবই মর্মান্তিক। সে কম্পিউটার হোক বা মনুষ্য। কিছুদিন আগে একটা এক্সিডেন্ট এ আমার হার্ডডিক্স কোনক্রমে বেঁচে এসেছে। একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম দু'মাস। এমনকি আত্নহননের ইচ্ছেও মাঝে মাঝে হচ্ছিল।
গল্পটা খুব ভাল লেগেছে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: খাইছে! এক্সিডেন কবে হৈল। কিছুই তো জানাইলেন না। নিরাপদে থাকুন সর্বদা।
৫২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
অচিন্ত্য বলেছেন: মনটা বড়ই খারাপ। সময় মিলছে না মোটে। জমা রাখলাম পড়ব বলে। যদি সময় অনুমোদন করে
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় সহায় হোক। মন ভালো হয়ে যাক। শুভকামনা অচিন্ত্য।
৫৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
মাক্স বলেছেন: এমন একটা সময়ে লেখাটা দেখলাম
পরেই পড়তে হবে!
ঈদ মোবারক!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মোবারক!
৫৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০
কাঠফুল বলেছেন: ঈদ মোবারক...
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মোবারক!
৫৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৮
কাউন্সেলর বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা রইল হাসান ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।
৫৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৯
কাউন্সেলর বলেছেন:
পাস্ওয়ার্ড ভুলে গিয়েছিলাম । আজকে উদ্ধার করে ব্লগে এলাম ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক!
৫৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধুর! বিকট!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এক্সাক্টলি!
৫৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: existentialism এর স্পর্শ পেলাম ঠাসবুনোন গল্পটিতে ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভ ঈদ।
৫৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ঈদ মোবারক হাসান ভাই !
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মুবারক!
৬০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হামাভাই, ঈদ মোবারক!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মুবারক!
৬১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
অন্তরন্তর বলেছেন:
ঈদ মোবারক শ্রদ্ধেয় হাসান মাহবুব।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মুবারক!
৬২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
টুম্পা মনি বলেছেন: ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা বিগ হামা।
ঈদ মোবারক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মুবারক!
৬৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
আরজু পনি বলেছেন:
উপস্ !
কি ভয়ঙ্কর !
কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক নষ্ট হলে তবু্ও খেটেখুটে একটা আশা থাকে , রাখা যায় ...
কিন্তু মানুষের !
এমন চাই না ...
সবার শুভ হোক ।
♥ ঈদ মোবারক ♥
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবার শুভ হোক। শুভকামনা পনি আপা। ঈদ মুবারক।
৬৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ববির জন্য মন খারাপ হয়ে গেল।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ববির তরফ থেকে লেখক ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
৬৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১৫
মাক্স বলেছেন: পড়লাম, অবশেষে আমি ইহাকে পড়লাম!
আপনার কাছ থিক্যা চমক খুজতাসি অনেকদিন চমক পাই না, অগ্নিঘড়ির ডায়াল, আপনাদের কাছে কি চাবুক আছে?'র মত চমক!
শুভ সকাল!
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমক নির্ভর লেখা বছরে দুই একটা আইতে পারে। দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে সামনে যেসব লেখা আসার সম্ভাবনা সেইগুলার কোনটাতেই টুইস্ট নাই।
শুভ সকাল।
৬৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
মাক্স বলেছেন: তাও আমি আশাবাদী, চমক আসবেই!
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখা যাউক!
৬৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
ভিয়েনাস বলেছেন: ববির পেরেশানি আমি একটু হলেও অনুভব করতে পারছি। একবার হুট করে আমার একটা ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে গেল। কোন কিছু করেও বন্ধ ল্যাপটপ ওপেন করতে পারলাম না। আড়াই বছর ধরে তোলা স্মৃতিময় ছবি এবং বেশ কিছু লেখা সহ নানা রকম দরকারী ফাইল সেখানে জমানো ছিল। সেগুলো ফিরে না পেয়ে খুবি কষ্ট পেয়েছিলাম।সেই শোক কাটাতে মেলা দিন লেগেছিল
গল্প ভালো লাগলো মানে স হজে পড়ে ফেললাম
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠ এবং স্মৃতিচারণের জন্যে ধন্যবাদ ভিয়েনাস। শুভবিকেল।
৬৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
সোমহেপি বলেছেন:
গফ হইছে ভালোই। ফ্লাট।
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু!
৬৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: এত বড় লেখা পড়তে পড়তে আমার ব্রেইনের Hardisk Error হয়ে গেল!
Format Required দেখাচ্ছে এখন কি করি? press any key to format
আপনারে আমি খাইছি...
গল্প ভাল লাগলো। পোস্টের ইমেজটা পছন্দ হয়েছে সেভ দিলাম মাইন্ড খাইয়েন না...
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিশাল মাইন্ড খাইসি। এত কষ্ট কইরা ছবিটা আঁকলাম
সকলের হার্ডডিস্ক ভালু থাকুক।
৭০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: যারা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায় তাদের হার্ডডিস্কটা কেমন হয়, মেমরি!!
এটাও দারুন ছিল......
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসংখ্য ব্যাড সেক্টর পড়া। পুনরূদ্ধার অসম্ভব। বড়ই কঠিন এই অবস্থা।
ধন্যবাদ রেজুপু।
৭১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: মাইন্ড খাইলে পানি খেতে হয় বেশী বেশী নাইলে হজম হইবে না । পারলে একটা হজমিও খেতে পারেন।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: পানি খাইছি। হজমি খাইনা। একটা ভিটামিন সি ট্যাবলেট খামু!
৭২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: আর হ্যা ছবিটা আকা অসাধারন হয়েছে... এটার জন্যেও প্লাস তবে ডাবল লাইক দেয়ার কোন সুযোগ নেই... তাই এটা মনে মনে ধরে নিয়েন
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি আঁকমু ছবি! হায় হায় আপনি বিশ্বাস করসেন!
৭৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
কম্পুর হার্ডডিস্ক আর মাথার হার্ডডিস্ক দুইডারে কেমনে যে সমান্তরালে নিয়া আসলেন...! অসাধারণ...
গল্প ভাল লাগল।
আরেকটা কথা। গল্পের এক জায়গায় ইথার শব্দটা ব্যবহার করেছেন। আমার জনামতে আপনি বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ। ধারণা করি ইঞ্জিনিয়ার আপনি। তো ইথার শব্দটা নিয়ে আমার মাঝে একটা খটকা আছে। বিজ্ঞান কি এখনো ইথারের সমর্থন করে?
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুপান্থ।
মহাবিশ্বের সবখানে ইথারের পরিব্যপ্তির ধারণা অনেক আগেই নাকচ হয়ে গেছে। তবে শব্দটা ভালো লাগে ইউজ করতে।
শুভদুপুর।
৭৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
এন এফ এস বলেছেন: মারাত্মক মারাত্মক মারাত্মক আকর্ষণ ফিল করেছি গল্পটা পড়ার সময়। হামা মামা আপনি বস
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ!
৭৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
এন এফ এস বলেছেন: প্রিয় + +
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কি দরকার ছিলো :!>
৭৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
নক্ষত্রচারী বলেছেন: স্মৃতি ছাড়া দুটোই অচল । জড়পদার্থ ।
ভাল্লাগলো লেখাটা । ববির প্রত্যাবর্তনের আশায় রইলাম ।
শুভকামনা ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস রাফি। শুভদুপুর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫০
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: গল্পটা পড়ে ভয়ংকর ভয় হলো, কালই আমার হার্ডডিস্কের সব ফাইল ব্যাক আপ রাখতে হবে।