নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃতবৎসা জোছনার কাল

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮



জরায়ুতে জলীয় দ্রব্যের ঘাটতি, উচ্চ রক্তচাপ আর হিমোগ্লোবিনের অভাব, সেইসাথে ক্ষতিকর হরমোনের আধিক্য, ভুমিষ্ট হবার আগেই শিশুটিকে চিরনিস্পন্দ করে দেবার জন্যে এর চেয়ে বেশি আয়োজনের দরকার ছিলো না। আর মাত্র এক মাসও যদি সে টিকে থাকতে পারতো তবে প্রি-ম্যাচিওরড বেবি হিসেবে পৃথিবীতে পদার্পন করে টিকে থাকার লড়াইটা চালানোর সুযোগটা অন্তত থাকতো। আর এখন? তার অগ্রজ রক্তস্বজনেরা রিক্ত হৃদয়ে সিক্ত চোখে জল মোছার সুযোগও পাচ্ছে না, প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্যে। শিশুটি শুধুমাত্র কিছু কোষের সমন্বয়ে একটা কিম্ভূত আকৃতি নয় এখন আর, তার স্নায়ুমন্ডলী রীতিমত তাকে শ্রবণসক্ষম করে তুলেছিলো, পৃথিবীতে অবতরণের পরে প্রথম শ্বাস নেবার জন্যে তার ফুসফুস তৈয়ার হচ্ছিলো, প্রায় ফুটখানেক দৈর্ঘ্যের এই আধামনুষ্য অবয়বটাকে শল্যকার্যের মাধ্যমে বের করে তার মায়ের জীবন নিশ্চিত করাটাই জরুরী এখন। তাই শোকের ডেকচি থেকে বলগ ধমকে উঠে ঢাকনা ফেলে দেবার উপক্রম করলেও বুকের ভেতরে জমানো পাথরটা ওর ওপরে রাখতেই হয়। কিন্তু এতে ভার লাঘব হয়না কোনভাবেই। পাথরের পর পাথর জমতে থাকে বক্ষপিঞ্জরে। তারা কেউ পাথরের নামতা জানতো না। খুব অল্প সময়েই শিখে যায় জীবনের এই কঠিন পাঠ।



কবরস্থানে শুয়ে থাকা আত্মাদের মাঝে যোগ হতে যাচ্ছে আরো একজন। যে শিশুটি পৃথিবীকে দেখতে পেলো না, যার অস্থিসংস্থাপনায় এখনও মিশে আছে মাতৃগুহার সৌরভ, যে জীবনকে চিনতে পারার আগেই মরণের কাছে পরাভূত হল, কী করে থাকবে সে এই মাংসখেকো কীটপতঙ্গের দেশে? তার কবরের জন্যে গর্ত খুড়ছে গোরস্থানের কর্মচারী। ছোট আকৃতির কবর খুড়লেই চলবে বলে পরিশ্রম কম হবে এই আনন্দে মশগুল হয়ে তার কর্মস্পৃহা বেড়ে গেছে। পাশে দাঁড়িয়ে শূন্যচোখে তা দেখছে মৃত শিশুর বাবা। কবর খননকারী লোকটি বেশ খোশমেজাজে আছে। সে কিছুটা বাচালও বটে। কথা না বলে থাকা তার জন্যে কষ্টকর। তবে এই পরিস্থিতিতে কথা বলাটা সমীচীন হবেনা অনুধাবন করে সে চুপই ছিলো এতক্ষণ। পরে সে ভেবে দেখলো, প্রাসঙ্গিক আলাপ চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

-কবরে শুধু মাটি দিয়ে পুঁতে রাখবেন, নাকি বাঁশের বেড়া দিবেন?

-বেড়া দেব।

-খুব ভালো। জায়গাটাও ভালো পছন্দ করেছেন। পাশেই নিমগাছ। নিমগাছে খোদার বরকত থাকে। আপনার সাথে আর কে কে আছে?

-আমার বাবা, ভাই,আর দুঃস্বম্পর্কের এক দাদা।

-ও আচ্ছা।

কথা বলার পর্ব আপাতত মূলতবী রেখে খননকারী আবার কাজে মনোনিবেশ করে। কবর খনন করা কঠিন পরিশ্রমের কাজ, আবার জ্যামিতিক আকৃতি ঠিক আছে কী না এই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হয়। তাই পরিশ্রমের পাশাপাশি মনোযোগও দরকার পড়ে এই কার্যে।

-আমার বাবার বয়স ৬৫, ভাইয়ের বয়স ৩৫, আমার বয়স ২৮ আর আমার দুঃসম্পর্কের দাদার বয়স কত জানেন?

হঠাৎ লোকটার এমন কথাবার্তায় খননকারী বেশ অবাক হলেও তা প্রকাশ করে না। শোকে -দুঃখে মানুষের আচরণে অনেকসময় অসংলগ্নতা প্রকাশ পেতে পারে। সে জানে। তাই সে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিমায়ই কথা চালিয়ে যায়।

-কত বয়স?

-৯৫! এই বয়সেও তার শরীর বেশ মজবুত। খবর শুনে সে নিজেই চলে এসেছে লাঠিতে ভর করে। কারো সাহায্য লাগেনি।

-বাহ! বেশতো।

-আমাদের প্রতি তার খুব নজর। যদিও রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় না, কিন্তু আমাদের যেকোন বিপদে সবসময় পাশে থেকেছেন, দেখভাল করেছেন। আমি তাকে শ্রদ্ধা করি।



তার কথার সার্থকতা প্রমাণ করতেই যেন বৃদ্ধ লাঠিতে ভর করে চলে এল খননস্থলের কাছে।

-কবরের কাজ কতটুকু হলো?

মৃতশিশুর বাবা স্নেহময় বৃদ্ধের স্পর্শ পেয়ে চোখের অশ্রূগ্রন্থিতে এক অভূতপূর্ব আলোড়ন অনুভব করে। তার ব্যাকুল কান্নায় বিঘ্নিত হয় কবর খননের অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা। খননকারী বাচাল লোকটি মাথা নিচু করে কবর খুড়তে থাকে কোন কথা না বলে।

-দাদা, আমি কী করব বলেন তো? এত স্বপ্ন, এত পরিকল্পনা, সব ধূলিস্মাৎ হয়ে গেলো। আর ওকেই বা কীভাবে বলি? বেচারী এখনও জানে না। জানলে সহ্য করতে পারবে? এ্যানেস্থেসিয়ার প্রভাব কাটেনি এখনও। আর যদি কখনও না কাটে? ও যদি আর কখনও সুস্থ হয়ে না ওঠে? যেখানে ওর জীবন নিয়েই সংশয়, কীভাবে এই মৃত্যুর খবর জানাবো, আমাকে বলেন! বলেন দাদা! আপনি তো আমাদের সবসময় সাহস যুগিয়েছেন, সহায় হয়েছেন, এখন কেন চুপ করে আছেন? কিছু বলেন!



শোক থেকে উদগত কঠোর আলিঙ্গনের চাপে পড়ে বৃদ্ধ হাঁশফাঁস করছিলেন। আরো কথা বলতে গিয়ে মৃতশিশুটির বাবা খেয়াল করে ব্যাপারটি। সে খেয়াল করে, বৃদ্ধ আর আগের মত মজবুত নেই। অশক্ত শরীরে ঝড়-জলে কুঁচকানো মাদুরের মত লেপটে আছে কুশ্রী চামড়া। সে ছেড়ে দেয় তাকে। বৃদ্ধ প্রকৃতস্থ হবার জন্যে কিছুটা সময় নেন। বড় বড় করে শ্বাস ছাড়তে থাকেন। নিঃশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসার পরে তার সহজাত প্রবৃত্তিবশে খোঁজখবর নিতে থাকেন মৃত্যুপূর্ববর্তী ঘটনাপুঞ্জির। বয়সের কারণে সেখানে থাকতে না পারার জন্যে খেদ প্রকাশ করেন। তবে মৃত্যুপরবর্তী আচার অনুষ্ঠানে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারার কারণে সে খেদ দূরীভূত হয় অনেকটাই। তিনি আবারও নিজেকে বর্তমান পরিস্থিতির একজন সক্রিয় উপযাচক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টায় রত হন।

-কবর কতটুকু খোড়া হয়েছে?

-এইতো হয়ে এসেছে প্রায়। আর বেশিক্ষণ লাগবে না। আপনারা লাশ রেডি করেন। হাসপাতাল থেকে এসে যাওয়ার কথা এতক্ষণে।

গোরখোদক অনেকক্ষণ পরে মুখ খোলে। আজকে কবরটা খুড়তে এত বেশি সময় লাগছে কেন সে বুঝতে পারছে না। মনে হচ্ছে কে যেন তাকে খাটিয়ে নিচ্ছে ইচ্ছেমত মওকা পেয়ে।



লাশ। ছোট্ট একটা লাশ। কাপড়ে মোড়ানো একটা পুঁটলি। যে হতে পারতো জীবন্ত পুতুল, সে আজ মৃত পুঁটলি। আর তাই হয়তো আজ শরতের ঝকঝকে নীল আকাশ থেকে নেমে এসেছে সহমর্মী গোধূলি। চারিদিকে আঁধার হয়ে আসছে এই অবেলায়, কিন্ত মেঘের দেখামাত্র নেই। অপরিমেয় শুষ্কতায় সবার চোখে যেন চর জেগে উঠেছে। একটু আর্দ্রতা পেলে কবরের খননকার্যটা তরান্বিত হত। কিন্তু জল সব কলরব করছে গোরখোদকের সারা শরীরে ঘামের ক্যামোফ্লেজে। গোরস্থানের কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মচারীরা দুপুরের খাবার খেতে চলে গিয়ে এলাকাটাকে অস্বস্তিকর এবং শুনশান বানিয়ে ফেলেছে। মৃদু বাতাসে মৃতপাতাদের পায়চারির খসখস শব্দের সাথ সঙ্গত করছে শুধু বেলচার থ্যাপথ্যাপ শব্দ। কবর খোড়া বড্ড পরিশ্রমের কাজ।

-আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে? ঘেমে নেয়ে একেবারে স্নান করে ফেলেছেন। দিন আমাকে দিন বেলচাটা, আমি খুড়ি।

-আরে না, কী যে বলেন! আমার কাজ আমাকে করতে দিন।

সন্তানের মৃত্যুতে এমন অস্বাভাবিক আচরণ মোটেও অস্বাভাবিক নয়, সে ভাবে। তবে এটাও ঠিক, শরীরটা বিশেষ সুবিধের লাগছে না তার। বড্ড ক্লান্ত বোধ করছে। কিন্তু তাই বলে এমন অদ্ভুত প্রস্তাবে সাড়া দেয়াও নিশ্চয়ই সাজেনা তার!

-কী হলো, বললাম না আমাকে দিতে?

কন্ঠস্বরে আচমকা কঠোরতা এবং রূঢ়তা তাকে কিছুটা বিচলিত করে তোলে। লোকটি এমন করছে কেন? চোখেমুখে খুনে দৃষ্টি। হাতদুটো মুঠো পাকিয়ে আছে আক্রমণের ভঙ্গিতে। অকালগোধূলির আলো তার চোখের মণিতে আশ্চর্য নিস্প্রভ এক মৃত্যুরঙ এঁকে দিয়েছে যা সে আগে কখনও প্রত্যক্ষ করেনি। অনেকটা সম্মোহিতের মত সে তার দিকে তাকিয়ে থাকে, হাত থেকে পড়ে যায় বেলচাটা। খপ করে কেড়ে নিয়ে অমানুষিক শক্তিতে মাটিতে কোপ দেয়া শুরু করে লোকটা।

-সব কাজ সবাইকে দিয়ে হয়না। পরিস্থিতির সাপেক্ষে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়। হতে পারে আপনি অভিজ্ঞ একজন, কিন্তু অভিজ্ঞতাই সব না। এখন এই কবরটার আমাকে প্রয়োজন।

তার খননশক্তির প্রাবল্য দেখে গাছের পাতারাও যেন বাতাসের সাথে মিতালী করতে ভুলে গেছে। গোরস্থানজুড়ে শুধু মাটি কোপানোর থ্যাপথ্যাপ শব্দ। ইতিমধ্যে তার সাথে উপস্থিত স্বজনেরাও ঘটনাস্থলে এসে গেছেন। প্রাথমিক বিহবলতা কাটিয়ে উঠে সবাই বেশ আগ্রহের সাথেই ঘটনা অবলোকন করতে লাগলেন। বাবা এবং ভাই তার প্রাণশক্তি এবং কর্মতৎপরতার প্রশংসা করলেও তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিষয়বুদ্ধিজ্ঞানসম্পন্ন নব্বইঊর্ধ বৃদ্ধ ব্যাপারটির অসুবিধার দিকটি নজরে আনলেন সবার,

-এত বড় কবর খুড়ছে কেন? ছোট্ট একটা দেহ, এত জায়গার কি কোন দরকার আছে?

-কখন কি দরকার পড়ে যায় বলা যায় না দাদা। আপনার ওপর অনেক হ্যাপা যাচ্ছে এই বয়সে। আপনি বরঙ বসে থেকে বিশ্রাম নিন। এই উনাকে একটা চেয়ার এনে দাও তো।

গোরখোদককে আদেশ করেন খননরত ব্যক্তির ভাই। তার বাবাও মাথা নেড়ে এ বক্তব্য অনুমোদন করেন।

-আপনার শরীরটা সত্যিই অনেক খারাপ হয়ে গেছে চাচা, কখন যে কী হয় বলা যায়না। আপনি এতদিন আমাদের খেয়াল রেখেছেন, কতদিন আর রাখতে পারবেন কে জানে!

-পারবো রে পারবো! কবরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত, এমন কী কবরে শোয়ার মুহূর্তেও তোদের কথা ভাববো আমি। এই, কবরটা এত বড় করে খুড়ো না তো! থামো এবার, থামো!



তার আতঙ্কমিশ্রিত কন্ঠস্বর শুনে শোকাক্রান্ত দিবসের প্রথম হাস্য পরিস্থিতির সূচনা করে মৃত শিশুর বাবা, চাচা এবং দাদা। গত কয়েকদিন যাবৎ তারা হাসেনি। গত কয়েকদিন তারা মৃত্যুদূতের সাথে সমস্ত জীবনিশক্তি নিঙড়ে লড়াই করে ক্লান্ত হয়েছে। হাসবার অবসর বা অবকাশ কোনটাই পায়নি। কত হাসি জমা ছিলো তাদের! না হাসতে পারলে কি মানুষ বাঁচে? হয়তোবা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার তাগিদেই তারা হাস্যপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করতে থাকে। বেলচার থ্যাপথ্যাপ শব্দের সাথে তাদের হাসির শব্দের অনুরণনে গোরস্থানটা যেন জ্যান্ত হয়ে ওঠে। প্রতিটা কবরের হাড়মাশবিহীন প্রতিকৃতি থেকে প্রতিধ্বণিত হতে থাকে হাহাকার এবং হাসি। রুহের অলিন্দে ফুৎকার দিয়ে জাগিয়ে তোলে কেউ জীবনের স্মৃতি। জীবন এবং স্মৃতি চক্রোবদ্ধভাবে এগুতে থাকে হাস্যরত দলটির দিকে। ঘিরে ধরে তাদের। তাদেরকে আরো হেসে চলার শক্তি যোগায়। আর প্রবীণতম অশক্ত এবং কুঞ্চিত চামড়ার লোকটি আরো ন্যুব্জ হয়ে যেতে থাকে, কোনঠাসা হতে থাকে। সে কোনভাবেই এই হাস্যউৎসবে যোগ দিতে পারে না।

-ঠিক আছে, বড় করেই বানাও। বড় করে খোড়ো। এটার দরকার রয়েছে।

ভবিতব্য মেনে নিয়ে কম্পমান কিন্তু প্রশান্ত স্বরে বলে সে।

-এই তো এতক্ষণে বুঝলেন দাদা। আমার প্রায় হয়ে এসেছে কাজ। আর একটু অপেক্ষা করুন।

-আরে তাড়াতাড়ি কর না! তোমাদের দিয়ে আসলে কোন কাজই হবে না ঠিকমত। কোনদিন একটা কাজ সময়মত করতে পারোনি।

তার ভর্ৎসনা শুনে স্বস্তির শ্বাস ফেলে সবাই। সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছে। আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে আগের মত। কারো জন্যে কোনকিছু থেমে থাকে না।

-কই, হলো?

এবার মেঘগর্জন করে ওঠেন তিনি। শরীরটা আবার চনমনে বোধ করতে থাকেন।

-শেষ! নেমে পড়ুন দাদা। এই ভাইয়া, বাবা; দাদাকে কবরে নামিয়ে দাও না। কী যে কর তোমরা! সবকিছু বলে দিতে হয়। উনি কি একা একা নামতে পারবেন? পড়ে গিয়ে হোঁচট খান যদি?

বাবা এবং ভাই নিজেদের অপ্রতিভতা ছুড়ে ফেলে দিয়ে বৃদ্ধকে তুলে নেন কাঁধে। গোরখোদকের সাহায্য নিয়ে তাকে নিয়ম অনুযায়ী শুইয়ে দেন কবরে।

-এখন কী কী ধর্মীয় আচার-আরাধনা আছে বলেন, আমরা তো এতশত জানি না!

গোরখোদককে নতুন কাজের সন্ধান দেয়া হয়।

-কিছু করতে হবে না। তাকে মাটি দেন সবাই। মুরুব্বী, আপনি ঠিকমত শুয়ে থাকেন। কোন অসুবিধা হলে আমাদের জানাবেন।

-আমার অসুবিধা নিয়ে তোমাদের চিন্তা করতে হবে না। আমি নিজেই নিজের দেখভাল করতে পারি।

তার মুখমন্ডলে গুড়িগুড়ি, মিহিমিহি মাটি এসে পড়ে।

-কাপড়ের পুঁটলিটা ঠিকমত রেখ। ওটা কোথায় সাজিয়ে রাখতে হবে বলছি আমি...

একদলা কাঁদামাটি তার মাথার ওপর ছুড়ে দেয় কেউ। তিনি সন্তুষ্ট হন মাটির সাহচর্যে।

-হ্যাঁ তারপর যা করবে তা হল...

তার উপদেশ সবাই নীরবে মন দিয়ে শুনতে থাকে। আর মাটি ছুড়ে দেয় দলা দলা, মিহিমিহি, গুড়িগুড়ি। মাটি দিয়ে তার শরীর ঢেকে যায়। এবার বসে বসে একঘেয়েমীতে ভুগতে থাকা গোরখোদক নতুন কার্যের সন্ধান পেয়ে সবার ওপর খবরদারী করতে থাকে।

-সরেন সরেন! মাটিগুলো লেভেল করে দিতে হবে। ঐ কাজ আপনারে পারবেন না। আমাকে করতে দেন।

সবাই সরে এসে মৃতপুঁটলিটাকে স্মৃতিস্মারক হিসেবে স্থায়ীভাবে রক্ষা করার তৃপ্তিতে গোল হয়ে বসে।

-বেশিক্ষণ বিশ্রাম নেবার সময় নেই। চাচাকে যথাযথ সম্মানপ্রদর্শন পূর্বক সমাহিত করা হয়েছে। মৃতপুঁটুলিতে স্মৃতিদল এসে প্রাণের সঞ্চার করেছে। এখন এটাকে সংরক্ষণ করতে হবে, আরো একটা কাজ করে যেতে হবে বিরামহীনভাবে।

-ভালো হয়েছে। উপদেশগুরু জরাজীর্ণ। তারেই কবর দেয়া উচিত।নতুন আগন্তক যে আসতে আসতেও পারলো না ,সে আবার আসবে অন্য প্রচেষ্টায়।পুরাতনকে কবর দিতেই হবে।

- এইভাবে বলতে হয় না। তাকে ভালোবেসে কবর দাও। তার অবদান তুমি অস্বীকার করতে পারবা না। সবকিছু স্বীকার করে নিয়েই আমাদের কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়।



কথাগুলো বলে তিনি মৃতপুঁটুলিকে তার ছেলের কাছে হস্তান্তর করে ইঙ্গিতপূর্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন।

-আমি আমার করণীয় জেনে গেছি বাবা। জানি সময় নষ্ট করার মত সময় নেই। এক্ষুণি যাচ্ছি।

পুঁটুলিটাকে বুকে চেপে ধরে দৌড় দেয় সে।



*

-তোমার এ্যানেস্থেসিয়ার প্রভাব কেটেছে?

পুঁটুলিটাকে তাদের শোবার ঘরের বিছানার পাশে টাঙাতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে সে তার স্ত্রীকে।

-না।



*

-তোমার সেলাইয়ের ক্ষত সেরেছে?

জানলার পাশে টাঙানো পুঁটুলিটাকে ঝাড়ামোছা করতে করতে জিজ্ঞাসা করে সে।

-না।



*

-ডাক্তারের নিষেধের মেয়াদকাল শেষ হয়েছে?

পুঁটুলিটার ওপরে রাতের একখন্ড আঁধার এসে খেলা করে।

-হ্যাঁ, তবে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করা উচিত।



*

-আমাদের আবার শুরু করা উচিত।

-হ্যাঁ!

জোছনাপ্লাবিত রাতের আলো এসে ছায়া দেয় রঙচটা পুঁটলি আর সঙ্গমরত দুই নর-নারীর ওপর।

মন্তব্য ১২৮ টি রেটিং +৩২/-০

মন্তব্য (১২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

মেহেদী হাসান '' বলেছেন: পড়তে পড়তে গল্পের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছিলাম। আসাধারন!

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভবিকেল।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ২য় প্লাস দিলাম।


:) :)

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: না পড়েই কমেন্ট করছি, রাতে পড়ব..........পরে পূর্নাঙ্গ কমেন্ট করব...

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার মন্তব্যের।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ফ্যান্টাবুলাস্টিক

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকুয়েল্কাম।

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পটা পড়তে এমনিতেই কষ্ট হচ্ছিল, নাড়ি ছেঁড়া বিষাদে ডুবে যাচ্ছিল মন ।

পড়া শেষ হবার পর মৌনতার পালা । হিসেব মেলানো যাচ্ছেনা কিছুতেই । শিশুটির শোকে কি সবাই অপকৃতস্ত হয়ে গিয়েছিল- এমনকি গোরখোদকও ।

অর্ধেক পড়া হতেই ভাবছিলাম, হামা ভাইয়ের আগের গল্পটার মত এটাও সহজ ভাষায় লেখা । কিন্তু গল্প পড়া শেষ হবার পর বুঝতে পারছি ভাষার সহজবোধ্যতা মানেই অগম্যতাকে জয় করা নয় ।

দেখি অন্যরা কি বলে..

++

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। গল্পটায় সাবজেক্ট এবং অবজেক্টের সমন্বয়ে যে চিত্র সরলভাবে দেখা যায় তার অর্থ ঠিক অতটা সরল না। মেটাফরিক।

সাদাচোখে পরিবারটির আচরণ অসংলগ্ন এবং কিছুটা ভৌতিক। আসলে এই অসংলগ্নতা এবং অন্তর্গত হরর আমরা ধারণ করি, যা চাপা পড়ে যায় বিভিন্ন বাস্তব দৃশ্যের অন্তরালে। মৃত সন্তান এবং তার শেষকৃত্য খুবই বেদনাদায়ক ব্যাপার। এই বেদনাকে আমরা অস্বীকার করতে চাই, ভুলে থাকতে চাই, নতুন কিছু শুরু করতে চাই। যদি সম্ভব হত, তাহলে অতি কাছের কাউকে বিসর্জন দিয়েও আমরা অন্তত স্মৃতিটুকু অবিনশ্বর করে রাখতে চাইতাম। তা আমরা পারি না। কিন্তু এমন চিন্তা আমাদের মাথায় আসে। এমন চিন্তার প্রতিফলনই অবাস্তব দৃশ্যের মাঝে দেখাতে চেয়েছি। গোরখোদক একজন পর্যবেক্ষক এখানে। আর বৃদ্ধ ব্যক্তিটি এই আসা যাওয়া, যায়গা ছেড়ে দেয়া, বিসর্জন, ত্যাগ, ভালোবাসা এসবের সেতু। কবর দেয়ার সময়ও তার উপদেশ বর্ষণ আমাদের বলে দেয় যে জীবনসীমার সবটুকু অতিক্রম করার পরেও আমাদের বেঁচে থাকার আঁশ মেটেনা। কিছু একটা অবলম্বন করে বেঁচে থাকতেই চাই অসীম পর্যন্ত।

শুভবিকেল।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: আপনার লেখা পড়ার জন্য প্রিপারেশন নিতে হয়। মাথায় ভয়ানক চাপ পড়ে।
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ফ্যান্টাবুলাস্টিক একমত!

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয়ানক চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হাসান ভাই এই গল্পে কোন রকম মন্তব্য করতে ইচ্ছে করছেনা। আপনার পোস্ট পড়লাম কিন্তু একেবারেই কিছু না লিখে বের হয়ে যাওয়াটা শোভা পায় না। তাই কিছু একটা লেখা।

সব কিছু ওই একজনের ইশারাতেই হচ্ছে। আমরা শুধু পরীক্ষা দিচ্ছি মাত্র। যেসব বাবা - মায়ের সন্তান প্রসবের সময় মিস্কারেজ হয় তাদের আসলেই দুঃখের সীমা থাকেনা। তবু সব কিছু ভুলে আবার স্বপ্ন বুণে।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু বলতে না চেয়েও অনেক মূল্যবান কিছু কথা বলেছেন। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

শ্যামল জাহির বলেছেন: দুইবার পড়লাম!

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: বলেন কী!

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

রাইসুল সাগর বলেছেন: চমৎকার বরাবরের মত হামা ভাই। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার জন্যেও।

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
অসাধারণ, হাসান ভাই।

আপনার গদ্য আসলেই স্পেশাল.............
শুভকামনা রইল।।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

আকাশ_পাগলা বলেছেন: ক্লাসিক প্লট।
আপনাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্লাসিক ছোট গল্প লেখিয়ের পদক দেয়া যায়।

ব্যক্তিগত ভাবে মনে হচ্ছিলো খুব বড়ো মাপের কোন রাশান বা ইউরোপীয় লেখকের ছোট গল্পের অনুবাদ পড়ছি যেন ম্যাগাজিনে। শব্দের বুনন, প্লট, প্রেজেন্টেশান, এন্ডিং - সবকিছু লেখকের প্রফেশনালিজমের ইঙ্গিত দেয়।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পদক দিয়ে দাও। দেরী কেন! আর কিছু টাকাও দিও। তাইলে প্রফেশনাল হওয়া যায় কী না ভাইবা দেখুম!

থেংকিউ পাগলা।

১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কম করে হলেও 5 বার পড়তে হয়েছে!!
সম্ভবত শুরু - শেষ আর মাঝখানের কিছু প্রক্রিয়ার গল্প বলেছেন!

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ৫ বার! বলেন কী!

হ্যাঁ সেরকমই কিছুটা। মামুন ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে বিশদ বলেছি।

শুভকামনা।

১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

সোমহেপি বলেছেন: উপদেশগুরু জরাজীর্ণ।তারেই কবর দেয়া উচিত।নতুন আগন্ত্তক যে আসতে আসতেও পারলো না ,সে আবার আসবে অন্য প্রচেষ্টায়।পুরাতনকে কবর দিতেই হবে।
স্বাগতম নতুনত্ব।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইভাবে বলতে হয় না। তাকে ভালোবেসে কবর দাও। তার অবদান তুমি অস্বীকার করতে পারবা না। সবকিছু স্বীকার করে নিয়েই আমাদের কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়।

(মন্তব্য এবং জবাব এ্যাড করে দিলাম মূল গল্পে সংলাপ হিসেবে। ধন্যবাদ প্রাপ্য তোমার)।

১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

আরজু পনি বলেছেন:

:D

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: পেন্ডিং মন্তব্য। মনে থাকবে কিন্তু আমার!

১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আরজু পনি বলেছেন:

:P

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: :|

১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বৃদ্ধ লোকটির আগমন এবং সময়ের প্রয়োজনে তাকে কবরে শুইয়ে দেয়া আর অবশেষে মৃতপুঁটুলিটি শোবার ঘরে টাঙিয়ে রাখা ব্যাপারগুলো চোখে পড়ার মতো। মৃত শিশুটি ততদিন পর্যন্তই স্মৃতি হয়ে থাকবে যতদিন বাবা - মা বেঁচে থাকবে, যদিও ঘর আলোকিত করার উদ্দেশ্যে আরেকজন কে পৃথিবীতে আনার প্রস্তুতি চলছে !

গল্পে প্লাস ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অল্প কথায় পুরো গল্পটা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ। আপনাকেও প্লাস।

১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১২

টুম্পা মনি বলেছেন: সত্যি বলতে কি গল্পে অনেক কিছু ভালো লাগে। আর সেই ভালো লাগার পথ ধরে সাহিত্য এগিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে যারা সে সব ধারণ করেন তাদের জীবন অনেক কমপ্লিকেটেড হয়ে পড়ে। আমাদের একজন গাইনী টিচার একবার বলেছিলেন আমাদের দেশে মায়েদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায় কারণ সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই বাবা মা তার জন্য জল্পনা কল্পনা শুরু করে দেন। তার জন্য দোলনা কেনা, খেলনা কেনা, নতুন নতুন জামা কেনা কত কিছু শুরু করেন! এই জন্য ইন্ট্রাইউটেরাইন ডেথ বেবিগুলো মেনেজমেমেন্টে অনেক কমপ্লিকেশন বেড়ে যায়। তবুও বাবা মা সন্তান নিয়ে স্বপ্ন দেখবেনই এবং এগিয়ে যাবে মানবতার লং মার্চ।

যাই হোক আপনি খুব সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করতে জানেন এবং আপনার গল্পগুলোতে তার প্রতিফলন দেখা যায়। এত সূক্ষ্মভাবে অনেকেই ভাবতে জানে না।

অসংখ্য শুভকামনা।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ টুম্পা। ভালো থাকুন।

১৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পে কোন জিনিসটা বেশি ভাল লেগেছে-

শোক কাটাতে গিয়ে বেঁচে থাকার আকুতি দেখানো?
বুড়ো দাদার হঠাৎ বিসর্জন?
নাকি শেষের চমৎকার চারটি পরিচ্ছেদ?

বলা কঠিন। কিন্তু মৃত শিশুটির প্রতি যে আবেগ উঠে এসেছে গল্পে, সেটাকেই গল্পের প্রাণ বলব আমি। সহজ, অনায়াসভাবে কঠিন কথা বলেছেন। গল্প শেষে এক ধরণের বিষণ্ণতা চেপে ধরে, একই সাথে শিশুটির স্মৃতিগত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা আবেগি করে তোলে।

মনে হল পুরো গল্পটায় অন্তঃসলিলার ভূমিকা পালন করেছে একটা বিদ্রূপাত্মক মন। কটা লাইনে এরকম মনে হল। আমার ধারণা ভুলও হতে পারে।

সবমিলিয়ে গল্প দারুণ। নবম প্লাস।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা লেখার আগে ভেবেছিলাম একটা হরর ফ্লেভার রাখবো। কিন্তু লিখতে গিয়ে দেখলাম কয়েক জায়গায় ডার্ক হিউমার এসে গেছে। আপনি ঠিকই পড়েছেন।

আপনার মধ্যে একটা প্রবণতা আছে অন্ধকার থেকে আলো ছেঁকে তুলে ধরা। এটা ভালো লাগে।

ধন্যবাদ প্রফেসর। ভালো থাকবেন।

১৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: একজন মা'য়ের কাছে এই সিচুয়েশনটা মানসিক এবং শাররীক দুই দিক থেকেই ভয়বাহ রকমের কষ্টের, শুধু মাত্র যে এর মধ্যে দিয়ে গেছে সেই বুঝতে পারবে!

সাম্প্রতিক কোন ঘটনা অবলম্বন করে লেখা?
খুব সুন্দর করে শব্দবন্দী করেছো....

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস আপু।

হ্যাঁ সাম্প্রতিক একটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করার ফল এই গল্প। খুব পেইনফুল...

২০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০২

আরজু পনি বলেছেন:

হাসান...আমি হাসির ইমো দিয়েই যেতে চাই । অভিজ্ঞতাগুলো মনে রাখাটাই কষ্টকর । আর তার কাছাকাছি কিছু পড়ে কাছাকাছি মিলে গেলে...কষ্টটা বড্ড বেশি বাজে ... দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে আপনাতেই ।

আপনার লেখা পড়তে আমি যে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে পড়তে আসি ...সেটা হয়তো কিছুটা হলেও বুঝতে পারেন ।
আশেপাশের কোন পোস্ট পড়বো কি না, মন্তব্য করবো কি না..অন্যান্য সব রেখে আপনার পোস্টে ডুব দিতে হয়....

তাই আপনার পোস্ট দেখার সাথে সাথে আমার ভেতর একটা প্রস্তুতি নেয়ার ভাব তৈরী হতে থাকে....সেজন্যেই আজকে বুকিং দিতে গিয়ে যা জবাব দিয়েছেন রিতিমতো ধরা ।

কষ্টগুলোকে পাশে রেখে আবার হাসির ইমোই দিতে চাই ।।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি ধরা খাওয়ার মত করে কী বললাম! আসলে আমারও ইমো দেয়া উচিত ছিলো। আমি কিন্তু ওটা সাধারণভাবেই বলেছি আগে যেমন বলতাম। আপনি কোন কারণে আঘাত পেয়ে থাকলে অত্যন্ত দুঃখিত।

আমার লেখা পড়ার জন্যে আপনার এই আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভালো থাকুন, সাথে থাকুন সবসময় পনি আপা।

শুভকামনা সবসময়ের জন্যে।

২১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩

আফসিন তৃষা বলেছেন: আপনার যা যা লেখা পড়েছি, এটাই কেন যেন সবচে বেশি দাগ কেটে গেল। মারাত্মক। :)
আর আপনার ভাষা কি আরেকটু সহজ হচ্ছে না সাময়িক ইল্যুশন? :|

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তৃষা! আমি কি খুব কঠিন করে লিখতাম আগে? আমার তা মনে হয় না। এরকমই তো ছিলো ভাষার প্রকাশভঙ্গি!

২২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১

সোমহেপি বলেছেন: ভালোবেসে কবর দাও


আজব একটা কথা শুনলাম। :D

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ। এইডা নিয়া একটা কবিতা লিখা ফালাও।

২৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৪

আরজু পনি বলেছেন:

আররে নাহ্ দুঃখ পাবো কেন?

ঈমো না দিলে শব্দের মানেই বদলে যায় ....

আমার আসলে ওখানে ধরা খাওয়ার একটা ইমো দেয়া উচিত ছিল ।

শেষের মন্তব্যটা করার সময় আসলে ভেতরে ব্যাথা অনুভব করছিলাম, তাই ইমো দেয়া হয় নি।

আপনার ওই ধরনের মন্তব্য গুলো কিন্তু যথেষ্টই আনন্দের ।

অনেক শুভকামনা রইল প্রিয় হামা ।।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভকামনা পনি আপা।

২৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
এখানেও দেখি ইমো নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে।
ভাল।

অফ টপিকে কথা বলে গেলাম হাসান মাহবুব।
কিছু মনে করবেন না।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ কি মনে করবো। অনটপিকেও আইসেন।

২৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আপনার লেখা গুলো পড়তে গেলে মাথায় ভীষন চাপ পড়ে। সহজ ভাষায় জটিল গল্প যাকে বলে। এক নিশ্বাসে শেষ করলাম।

১৩তম +

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটাই আমার উদ্দেশ্য ছিলো।

শুভরাত্রি প্রিন্স হেক্টর।

২৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

সাদরিল বলেছেন: প্রথমবার পড়ে বুঝতে পারি নাই, দ্বীতিয়বার পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা রইলো।

২৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫০

সায়েদা সোহেলী বলেছেন:

গল্প লিখতে ইচ্ছে করে আপনাদের লেখা পড়ে !!

১৫তম হাতটি আমার

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: তো লেখা শুরু করে দিন না! অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভসকাল।

২৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
প্রথমদিকে মনে হচ্ছিল গল্পটা হররের দিকে যাচ্ছে। মনে হচ্ছিল হয়ত মৃতের মাঝে প্রান সঞ্চার বা উপস্থিত কারও মাঝে মৃতের আত্মা ভর করে অন্যদের সাথে কথা বলা ধরনের কিছু একটা চলে আসবে কিন্তু তেমনটি হয়নি দেখে বুঝলাম আপনাকে প্রেডিক্ট করার ক্ষমতা এখনও আসেনি আমার মধ্যে। শেষ মুহূর্তে বৃদ্ধের নিজেকে বিসর্জন আর মৃতপুঁটুলিটা ঘরে এনে সাজিয়ে রাখার মাঝে কিছু মেটাফরিক ব্যাপার খুজে পেলাম। আপনার লেখায় এটা তো নতুন কিছু নয়। গল্পের মাঝে যেন অন্য একটা গল্প। ভাল লেগেছে হামা ভাই।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস নাজিম। আশা করি শিঘ্রই নতুন লেখা পাবো তোমার কাছ থেকে।

২৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

ভিয়েনাস বলেছেন: এই গল্পের অস্থিরতা তখনি কেটে যাবে যখন মৃতপুটুলিটায় প্রানের সঞ্চার হবে । মুছে যাবে সকল কষ্টময় স্মৃতি।
একজন মায়ের জন্য এমন ঘটনা খুবি পীড়াদায়ক।

বরাবরের মতো গল্প অনেক ভালো হয়েছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস।

৩০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০২

নস্টালজিক বলেছেন: এত ছোট কবর এর আগে কখনও দেখিনি ।

গোরস্থানে পৌঁছে আমরা সবাই খানিক দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরে যাই । যে শিশুটার কবরের বিষাদ রচিত হয় মাটির সন্তরণে তার নাম, জন্মদিন, মৃত্যুদিন, পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানে জন্ম ও মৃত্যুর সময়কাল ঘিরে দ্বিধার পাশাপাশি খানিক রহস্যময়তাও তৈরি হয় আমাদের ভিতরে। গোরস্থানের হুজুরের ভাষ্যমতে যে শিশুটার কবর ঘিরে আমরা ইতস্তত দাঁড়িয়ে আছি, আর একটু পরে মাত্রই মানব শিশুর খানিক আদল পাওয়া প্রাণের ধুকপুক চলে যাবে এক রহস্যময় জগতে, সেই শিশুটি স্বর্গীয়।
আমি কাতর চোখে স্বর্গীয় শিশুর জন্য অপেক্ষা করি। হুজুরের কথা শুনে আমার স্বর্গের স্পর্শ পেতে আকুতি জাগে, প্রায় লোভ হতে থাকে ।

মেঘলা দিন। শিশুর বাবা শিশুকে নিয়ে আসেন। কাফনের কাপড় হাতে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। মেঘের মুকুরে সাদা কাফনের রঙ খানিক নীলচে হয়ে যায়। অপূর্ণ অবয়বের স্বর্গীয় শিশুকে আমি সাদা কাফনে আবৃত করে দেই। শিশুর বাবাকে আমি চিনি। কবরের পাশে সে কেনো জানি বিব্রত হয়ে স্মিত হাসিমুখে থাকে। তার কোলে স্বর্গ সমান দুঃখ।

স্বর্গ সমান দুঃখের হাহাকারে আমি হতবিহবল হই। বাতাস থেকে শব্দ ধরা ভুলে যাই মুহূর্তের জন্য। এই অনুভূতিটার সাথে আমার পরিচয় ছিলো না। অদৃশ্য কারো সাথে দেখা হয়ে আমার খানিক অসহায় লাগে।

আমার খুব ইচ্ছে করে শিশুর বাবার বুক পাজরের কষ্ট-টাকে ধারণ করে তার চোখে জল এনে দিতে। স্বর্গের একজনের কথা ভুলে গিয়ে এই পৃথিবীর এক বাবার কষ্টে বুক পাজরে দম বন্ধ লাগে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় আমার।

স্বর্গের মানুষটা আমাকে দেখা না দিয়ে স্বর্গে চলে যায়, আমি পৃথিবীতে থেকে যাই আর কিছুদিন!...

মন খারাপ করা মেঘলা দিনে আমার ছোট্ট সুন্দর একটা কবর দেখা হয়।
এক রহস্যময় অ-পার্থিব বিষাদ আমার চোখেমুখে লেগে থাকে।


(জীবন তুমি মৃত্যু সমান)



























১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: যে শিশুটি পৃথিবীর মুখ দেখতে পেলো না বিধাতা তাকে স্বর্গের আলোতে রাঙিয়ে তুলবেন নিশ্চয়ই...

৩১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫৬

আদনান০৫০৫ বলেছেন: শোকের ডেকচি থেকে বলগ ধমকে উঠে ঢাকনা ফেলে দেবার উপক্রম করলেও বুকের ভেতরে জমানো পাথরটা ওর ওপরে রাখতেই হয়।

রুহের অলিন্দে ফুৎকার দিয়ে জাগিয়ে তোলে কেউ জীবনের স্মৃতি।

অদ্ভূত সুন্দর আপনার এই কথাগুলো।

পুরাতনকে মাটিচাপা দিয়েই নতুনকে সৃষ্টি করার উৎসব - এটা কেমন যেন লাগলো। কি জানি, হয়তো ভালো।

কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটনের কথা মনে পড়লো। বৃদ্ধাবস্থায় জন্ম নিয়ে শিশু হয়ে বিলীন হয়ে গেলো - কি আশ্চর্য্যরকম সুন্দর এসব জীবন-মৃত্যুর কবিতা।

মরে যাবো জানি... শেষ নিশ্বাসটুকু হোক জবাফুলের ঘ্রাণ নিয়েই। যে জবাফুলটা কখনো সূর্যোদয় দেখেনি। ঘরে ফেরার আকুলতা নিয়ে ডাকে যে ডাহুক, ভোরবেলায় তার ডাক শুনে আমার খুব মরে যেতে ইচ্ছে করে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ স্নিগ্ধ সকাল আদনান। ভালো থেকো, সুন্দর থেকো।

৩২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: মৃত্যু শোকের হলেও জীবন এত গতিশীল যে আমার এক পরিচিত ছেলে তার বাবার মৃত্যুর দুই দিন পরেই পূর্বনির্ধারিত ডেটিং এ গিয়েছিলো।

এই ঘটনাটা আমাকে খুব ভাবায় মাঝে মাঝে, এমন না যে কষ্ট পায়নি, প্রচুর কান্নাকাটিও করতে দেখেছি তাকে।

কবর খোড়ার সময় যে হাস্যরস তৈরি হয়েছিলো সেখানে বৃদ্ধের অংশগ্রহণ না করার বিষয়টা ব্রিলিয়ান্ট, আসলেই তাই যে কোন মৃত্যুর দিন ঐ পরিবারের বৃদ্ধরা বেশ চাপের মধ্যে থাকেন, এমনকি লোকজনও বলতে থাকে আরে তার দাদি-দাদু বা এত বয়স্ক সে মরে না, কিন্তু এত কম বয়সে মারা গেলো।

আজাইরা বক বক করলাম।

গল্প ভালো লাগছে :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘটনা শুইনা কেমন জানি তব্দা খায়া গেলাম। জীবন আসলে মরণের চেয়েও নিষ্ঠুর। বেঁচে থাকাটা একটা নিষ্ঠুর অভ্যাস।

থ্যাংকস নাহোল।

৩৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

অনাহূত বলেছেন: গল্পটায় যেকিছু জটিলতা ছিল সুন্দর সব মন্তব্যে এবঙ মন্তব্যের জবাবে স্পষ্ট হয়ে গেছে। গল্পে হঠাৎ করে যে টার্ণিংটা নিয়েছেন, ওই মুহুর্তে আমি কিছুটা বেকুব হয়ে ভাবছিলাম - একি!

জবাব পেয়ে গেছি। রানা ভাইয়ের মন্তব্য আরেকটা গল্প। দারুণ লেগেছে ওটাও।

মন্তব্যে জানতে পারলাম গল্পের প্লটটা সত্যি। নাহ্, এটা মেনে নেয়ার মতো না। এই সব গল্প গল্পই থাকুক। যেন সত্যি না হয়। সত্যি না হয়।



১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব সত্যি না। সত্যি না। এই ভেবেই জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

শুভেচ্ছা অর্ণব।

৩৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

সুস্মিতা গুপ্তা বলেছেন: আপনার গল্পের আমি এক নীরব পাঠক। সময় স্বল্পতা আর ঢাকার বাইরে থাকায় নেটের সমস্যা আশাকরি আপনিও জানেন ।
তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় কিছু বলা হয় না হাসান মাহবুব ভাই।
আপনার প্রতিটি গল্প অসাধারন । মোড়কে জরানো ধিরে ধিরে খুলতে হয় আবরন। তারপর বের হয়ে আসে আসল কাহিনী।
কিন্ত এই গল্পে বাচ্চাটির করুন মৃত্যু বেশ কস্টদায়ক।
++++++++

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নীরব পাঠককে সরব হতে দেখে ভালো লাগলো। স্বাগতম সবসময় সুস্মিতা।

৩৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বিচিত্র একটি বিষয়, মনোমুগ্ধকর বর্ণনা। একটি শিল্পকর্ম রচনা করেছেন বললে অত্যুক্তি হবে না।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

নেক্সাস বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার ব্লগে আসলাম ব্রো। খুব ভাল লাগলো গল্পটা। ঈদ মোবারক। কেমন আছেন?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি। আপনার শরীর এবং মন ভালো এখন?

৩৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ফ্যান্টাবুলাস লাগলো ভাইয়া। আঠারতম প্লাস!
শুভ দুপুর!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফ্যান্টাবুলাস শুনতে খুব ভালো লাগে তো!

শুভদুপুর অপ্সরা।

৩৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

ইমরান নিলয় বলেছেন: শেষটা পড়ে হাসিও পেল, আক্ষেপও লাগল। জীবনটা আসলেই একটা চটপটির প্লেট। সবস্বাদের মিশ্রন।
সুন্দর।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নিলয়।

৩৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: লেখাটা পড়তে গিয়ে নি:শ্বাস ঘন হয়ে আসছিলো। আমার জীবনের সবচাইতে কাছের বন্ধু মনজুর প্রথম বাচ্চাটা প্রিমেচিউর বেবী ছিলো। পৃথিবীতে আসার পরে দুদিন আইিসিইউতে থেকে তারপর চলে যায়। এই শিশুর মুখ আমি আজ ৬ বছর হলো এখনও ভুলতে পারিনি। তার শরীর যখন আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিলো আমি তখন তার পাশে বসে ছিলাম। ২ য় বাচ্চার জন্মের পর তার বাবা মার তার কথা এখন হয়তো মনে অতটা পড়ে না, কিন্তু আমি আজ ৬ বছর পরও তার মুখটা ভুলতে পারি নি।

আপনার এই লেখাটা পড়তে গিয়ে তার কথা আবার মনে হলো।

আচ্ছা বলেনতো, এই থিমটা আপনার মাথায় মিনিমাম ১ বছর আগে থেকে ঘুরছিলো তাই না ?

লিখাটা অসাধারন বললে কম বলা হবে............

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে দুঃস্মৃতি ভারাক্রান্ত করার জন্যে দুঃখিত। আমি নিজেও একটা দুঃস্মৃতি দ্বারা তাড়িত হয়ে গল্পটা লিখেছি। মাত্র এক সপ্তাহ আগের ঘটনা।

ভালো থাকবেন।

৪০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
আমার মনে হয় তুমি নিজেই জান না, বা বুঝতে পারছে না কি লিখে ফেলেছ। সত্যি বলছি, একটু বাড়িয়ে বলিনি। মাস্টার পিস। এযাবৎ তোমার বেস্ট বলব এটাকে।

প্রথম দিকে বেশ আবেগ নিয়ে ভালই পড়ছিলাম, কিছু শেষে এসে মেটাফরিক টার্নটা ! একেবারে চমকে উঠেছি।

৫নং কমেন্টের রিপ্লায়ে এভাবে ব্যাখ্যা না করলেই ভাল হত, পাঠকের নিজস্ব কিছু কল্পনা থাকে, সেটা গল্পের সাথেসাথে ধীরে ধীরে ফুটে উঠে, সেটা একেক জনের কাছে একেক রকম। আবার লেখকেরও নিজস্ব কল্পনা থাকে। সেজন্যে লেখক নিরপেক্ষ থাকলে ব্যাপারটা বেশ উপভোগ্য হয়। স্পয়লার এলার্ট আর কি।

তুমি দিনকে দিন নিজেকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছ। চালিয়ে যাও, কোন একদিন আড্ডায় বলতে পারবো, "আরে, আমি ত হাসান মাহবুবের সাথে ব্লগিং করতাম!"

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আর আমি বলতে পারবো যে আপনার মত একজন প্রাজ্ঞ পাঠক এবং লেখক আমার লেখাকে মাস্টারপিস বলেছিলো।

৫ এর রিপ্লাইয়ের ব্যাপারটা মাথায় থাকবে। আমার আসলে মনে থাকেনা যে অনেকেই পোস্টের সাথে সবগুলো কমেন্টও পড়েন!

শুভসন্ধ্যা ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

৪১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কয়েস সামী বলেছেন: এইবারে ঠিক আছে। অনেক ভাল্লাগসে। এক কথায় অসাধারন!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

শুভসন্ধ্যা।

৪২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৪

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: :| সে যোগ্যতা থাকলে কি আর এতোদিন না লিখে বসে থাকি! ! /:)

আপনি ভালো লিখেন , একটু মনে হয় বেশি ভালো #:-S 8-| 8-|

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখতে লিখতে লেখক হয় জানেন না? আপনার শেষ লেখাটাতে সে সম্ভাবনা আছে। লিখে যান।

৪৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সমাপ্তিটা ভাল হয়েছে। অনেকটা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়া সত্বেও আবারো অনিশ্চিত কোন সম্ভাবনার আশায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ।আর কিই বা করার আছে মানুষের।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, প্রমত্ত জীবন নদীতে তবুও খড়কূটোসম আশার ভেলা সাজায় মানুষ।

ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৪৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লেগেছে নতুন সৃষ্টির চেষ্টাটাকে। কোথায় যেন একটা কবিতায় পড়েছিলামঃ মৃতবৎসা জননীও আবার সংগম করে।
এরকমই কিছু লাইন। যার মূল ইংগিত ছিল কোন শোকই চিরস্থায়ী নয়। সময় শোকের উপরে উপশমের প্রলেপ দেয়। মানুষ আবার জীবন যাপনে মেতে ওঠে।

শেষের সংগম দৃশ্যটা তারই প্রতিধ্বনি।

অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম। কোথাও কোথাও অতিকথন হয়ে গেছে মনেহল। অর্থাৎ কিছু বর্ণনা, কিছু কথোপকথন ছেঁটে দেয়া যেত। মাউস কাজ করছে না বলে উদাহরণ দিতে পারছি না। কিবোর্ড দিয়ে মাউসের কাজ করা কী যে বিরক্তিকর।
সব মিলেয়ে অসাধারণ গল্প।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। তবে আমি ভাবছিলাম বেশি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেল নাকি। আরো বর্ণনা এবং দৃশ্য যোগ করা যায় নাকি। আপনার কথায় আশ্বস্ত হলাম যে তাড়াহুড়োয় শেষ করা মনে হয়নি গল্পটা। পরে সময় পেলে উদাহরণ দিয়েন।

শুভরাত্রি।

৪৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনাকে আমার 'আইবুড়ো কাল এবং দীর্ঘশ্বাস' উৎসর্গ করেছি। কেন উৎসর্গ করলাম তাও সেখানে লিখেছি।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

৪৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

ফালতু বালক বলেছেন: অসাধারণ, খুব ধীরে ধীরে পড়ছি। প্রত্যেকটা লাইন বুইঝা বুইঝা।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটির পেছনে এত সময় দেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা।

৪৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
২২ নাম্বার ভালো লাগা।
খুব ভালো লাগলো।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়। শুভকামনা।

৪৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় হাসান ভাই, অসাধারন একটা লেখা! দূর্দান্ত একটা মেটাফরিক গল্প। আপনার প্রতিটা লেখাই চমৎকার। কিন্তু এই লেখাটা আমার কাছে অনবদ্য লেগেছে। অনেক শুভ কামনা রইল।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা। শুভ স্নিগ্ধ সকাল।

৪৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: -তোমার এ্যানেস্থেসিয়ার প্রভাব কেটেছে?
-না।


আমার কাছে পুরো ব্যপারটা এরকম মনে হয়েছে। ভুল হতে পারে। আগের মত ভাবতে পারি না। লিখতেও না। কিছুই ভালো লাগে না।

কারো লেখা পড়লে মনে হয় অবোধ্য। নিজে কিছু লিখতে গেলে হয় আবর্জনা। :(

আপনার এই গল্পটা আগেই পড়েছি অফলাইনে। আজ মন্তব্য দিলাম।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানে কইতে চাও যে সে স্বপ্ন দেখসিলো? হ্যাঁ এইভাবেও ভাবা যায় দেখতেসি! কিন্তু তাতে গল্পের গভীরতা আর আবেদন ঠিক থাকে না। আবার পড়!

৫০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ভাল্লাগসে ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৫১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জন্ম নেয়া একটা রূপক । হয়তো একটি অপাপবিদ্ধ প্রানের অসময়ী মৃত্যু আপনাকে নাড়া দিয়েছে আর সে থেকেই আর একটি প্রয়োজনীয় প্রজননের কথা মনে হয়েছে । আর এ থেকেই গড়ে
উঠেছে আপনার গল্পের দ্বিতীয় শরীর ।

বরাবরের মতোই চৌকশ বাক্য, শব্দের গাথুনীতে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা রইলো।

শুভদুপুর।

৫২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: এই লেখা তো রাত বারটার পর পড়লে ভয় পেয়ে যেতাম মনে হচ্ছে!!! ...... কেমন লাগলো তা বোধহয় না বললেও চলে :)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয় পাওয়ানোটাও একটা উদ্দেশ্য ছিলো। আপনিই প্রথম বললেন সে কথা। শুইনা ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

৫৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আরুশা বলেছেন: আপনার মতন একজন লেখকের লেখা নিয়ে কি আর বলবো ।বাস্তবঘেষা গল্পে ২৪ নং ভালোলাগা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ আরুশা। শুভসন্ধ্যা।

৫৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭

বোকামন বলেছেন:
গল্পের থিম এবং শব্দ বুননে গল্পকার দারুণ সাহসী !

কিন্তু কেমন যেন একটু তাড়াহুড়ো করে শেষ করার মত হলো ! আচ্ছা যাইহোক সময় পেলে আবার আরো অধিক মনোযোগ দিয়ে পড়বো।।

ভালো থাকবেন।।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়েছিলো। আপনার মন্তব্য আগে পেলে ভালো হত! শুভেচ্ছা।

৫৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। কি করবো ঠিক বুঝবার পারতাছি না। #:-S

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ৫ নং কমেন্টের রিপ্লাইটা পড়ে দেখতে পারেন :-B

৫৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৪

সায়েম মুন বলেছেন: যাক এবার পুরাটাই বুঝতে পারলাম। থ্যাঙ্কস। :!>

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জানিয়ে লজ্জা দিবেন না :#>

৫৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: ভাল লাগলো। আপনার লেখায় আমি কাফকার ছোঁয়া দেখি - আগেও বলেছি। সহজ ভাবেই গল্পটা শুরু করলেন , তারপর নিজের লেখার বৈশিষ্ট্যে ফিরে গেলেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার আগের লেখায় আপনি কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন। এবার আশা করি প্রত্যাশা মেটাতে পেরেছি।

কাফকা নমস্য।

শুভরাত। ভালো থাকবেন।

৫৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

শাওণ_পাগলা বলেছেন: ইনটেন্স

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস শাওন। শুভবিকেল।

৫৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কালোপরী বলেছেন: জীবন থেমে থাকতে নেই

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ! শুভসন্ধ্যা।

৬০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৬

গোর্কি বলেছেন:
-রুপকশোভিত অনবদ্য একটি গল্প পড়লাম।
-গল্পের মূলভাব ছুঁয়ে গেল অসাধারণ শব্দ চয়নের এবং গাঁথুনির প্রকাশে। -শুভকামনা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গোর্কি। স্বাগতম আমার ব্লগে। নিয়মিত কথা হবে আশা করি।

শুভরাত্রি।

৬১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ৬-৭ মাস আগে আমার এক বন্ধুর সন্তান মারা গিয়েছিল ৭ মাসের গর্ভে থাকা অবস্থায় । সেই শোকে আমার বন্ধু এই কবিতাটি লিখেছিল !!! আপনার এই গল্পটি পড়ে সেই কবিতার কথা মনে হলো ।

সে চলে গিয়েছিল আমাদের ছেড়ে,
সে চলে গিয়েছিল চিরদিনের মত,
তাকে ঘিরে বানানো সব স্বপ্ন-সুখ ভেঙ্গে দিয়ে সে চলে গিয়েছিল।
সে চলে গিয়েছিল পৃথিবীর আলো দেখার আগেই,
পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ যে ঘর, মায়ের গর্ভ-
যেখানে তার ছোট্ট হৃদয়ের প্রথম হৃদস্পন্দনের শুরু
সেখানেই সে শেষ করে দিল সব, চিরতরে আমাদেরকে না জানিয়েই।
তার মুখটি দেখার জন্য যারা অপেক্ষায় ছিল এতটা সময়,
সেই মুখটি না দেখিয়েই অভিমান করে বিদায় নিয়েছিল সে।
যার কথা শুনার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনা,
সেই হারিয়ে গেলো কোনো কথা না বলে।
স্টেথস্কোপ কানে নিয়ে যার স্পন্দন শুনার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা জেগে থাকত একজন
তাকে না জানিয়েই সে স্পন্দন থামিয়ে দিযে বিদায় নিল :(

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছুঁয়ে গেলো কবিতাটা। অনেক ধন্যবাদ শেয়ারের জন্যে।

ভালো থাকুন।

৬২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: ভালো কমেন্টঃ চমৎকার গল্প। চমৎকার বলার প্রথম কারণ ভাষার গাঁথুনি। তারপর ভালো লাগলো কাহিনীটা। অনাগত সন্তানের প্রতি সব মা বাবার আলাদা প্যাশন থাকে, তাকে ঘিরে অনেক ফ্যান্টাসি থাকে। পারলে কাছের কাউকে বিসর্জন দিয়ে হলেও অনাগত সন্তানের জীবন কামনা করে বাবা মা। এটা ন্যাচারাল। এই ব্যাপারটাকেই রূপক হিসেবে গল্পে আনা হয়েছে। সুতরাং চমৎকার গল্প।

খারাপ কমেন্টঃ এই সহজ জিনিসটা বুঝতে কয়েকটা কমেন্ট পড়া লাগল। ধেত্তেরি। আপনার গল্প পড়ার আগেই বাই ডিফল্ট আপনি রূপক কিছু লিখবেন এইটা মাথায় রাখা জরুরি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুটো কমেন্টই আমার কাছে ভালো লাগলো। নেক্সট গল্প যেটা দিবো তাতে রুপক থাকবে না। অনেকটা আপনার জেনারেরই লেখা হবে সেটা।

স্টে টিউনড!

৬৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

অদৃশ্য বলেছেন:





হাসান ভাই

লিখাটি পড়া হলো... চমৎকার লেগেছে... কবর খোড়ার পরের দৃশ্যগুলো ছিলো অসংলগ্ন ও ভয়াবহ... ভাবছিলাম বাবা কি তার সন্তানের দেহটা তার খুব কাছের কারো বিনিময়ে ফিরে পেতে চাইছিলো...

তবে সেখানে সে নয় কেন? বেঁচে থাকার ইচ্ছা...
স্মৃতি ধরে রাখা ও সাথে কাম ও উত্তরাধিকারের বাসনা...

খুব সিম্পলি লিখলেও লিখাটিতে মাথা ঘুরানোর মতো সবকিছুই বিদ্যমান... আর আপনি ঠিক এভাবেই লিখে থাকেন...

শুভকামনা...

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। ভালো থাকবেন শব্দবাগিচায়।

৬৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

মাক্স বলেছেন: আপনার একটা গল্প, এখানে সবাই উপস্থিত ছিল। এই গল্পটা পড়তে পড়তে ঐটার কথা মনে হৈসে। তবে ঐটার তুলনায় এইটা অনেক অনেক বেশি ভৌতিক লাগতাসিল।
এক্কেবারে শেষে আইসা গল্প ধরতে পারসি!

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত আগের গল্প মনে রাখসেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। শুভবিকেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.