নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*
আমার সুরক্ষার জন্যে একটা ব্লেডই যথেষ্ট। পাতলা করে কাটা এক ফালি ধারালো ধাতব টুকরো, ব্যস! আর কিছু লাগবে না। দিনে দিনে তৈরি হয়েছে অনেক শত্রু;পথে-ঘাটে, কর্মস্থলে। পাড়ার সদ্য গোঁফ গজানো ছেলেটা দলবল নিয়ে শাসিয়ে গিয়েছে যার সাথে আমার জীবনে দুই একবারের বেশি কথা হয় নি। এত সহজে ছেড়ে দেবো নাকি? এত সহজে ছেড়ে দেবো সবাইকে? তোমাদের অপমানের তীর আমাকে বিক্ষত করেছে, বিঁধে গিয়েছে মর্মমূল পর্যন্ত। তোমাদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের চাবুক আমার পিঠ ছিলে-ছুবড়ে শিরীষ কাগজের মতো রুক্ষ করে দিয়েছে। ব্যায়ামাগার থেকে শরীরমন্ত্র আর রান্নাঘর থেকে আমিষকল্প তোমাদের শক্তিশালী হাতের মুষ্টিতে জুড়ে গিয়ে আমার মুখে কতবার অংকন করেছে রক্তের মানচিত্র তার ইয়ত্তা নেই। আমি ভুলিনি কিছুই।
ভুলতে চাইলে ঘুমের ভেতর রাতের আঁধার সর্প হয়ে পেঁচিয়ে ধরে স্বপ্নমাঝে,
ভুলতে চাইলে তপ্ত আকাশ ঊনুন জ্বালায় মাথার ওপর সকাল-সাঁঝে।
আমি দংশিত হয়েছি, আমি দগ্ধ হয়েছি। শরীরের ভেতর এখনও সরিসৃপের মত ঘুরে বেড়ায় অপবোধের স্প্লিন্টার, তোমাদের অপরাধ আর জিঘাংসা আমার মনের বনে পোচারদের মত সবুজতার চোরাকারবার করে পাঠিয়ে দিচ্ছে দূর সীমান্তে, যেখানে হলুদ আকাশের নীচে তান্ডবনৃত্য নাচে নেড়েমাথা খুনীদের স্লাটি স্ত্রীরা। কিভাবে ভুলবো আমি? অনাহুত হেমন্তবাতাস শীতশিষ দিয়ে কানে কানে এখন আর ওম উদ্বোধনের আবাহন করে না, হিসহিসিয়ে বলে যায় "মরে যাও অথবা শোধ নাও"। মরে যাওয়াটা আমার এক বহুলচর্চিত অভ্যাস, কিন্তু এই শিল্পে দক্ষ হয়ে উঠতে পারিনি আমি এখনও। বারবার মরে যেতে গিয়ে হেরে যাই শুধু। তাই ভুলতে না পারার অভিশাপকে শাপ হিসেবে নিয়ে আমি হন্তারকের হৃদয় প্রতিস্থাপন করি বুকের ভেতর।
*
নিহিলা, আমাকে জাগিয়ে দিও ভোর হলে। ব্লেডের পরিচর্যা করবো সকালের শুভ্র বিষণ্নতা গায়ে মেখে। ভালোমত ঘুম না হলে ওদের মোকাবেলা করার শক্তি হবে কী করে বলো? তাই আমাকে ভোরের আগে ডেকো না। আবার খুব বেশি বেলা করেও ঘুমুতে দিওনা আমায়। শরীর স্লথ হয়ে যাবে। নিহিলা, ওরা আসতে পারে যেকোন সময়, দলবেঁধে। পঙ্গপালের মত আকাশ আঁধার করে ডানা ঝাপটে ছুটে আসতে পারে তারা গভীর রাতে অথবা সুপ্রভাতে। আমি প্রস্তুত থাকবো, আমি প্রস্তুত করছি নিজেকে। তবে তোমার এসব দাঙ্গা-হাঙ্গামায় জড়ানোর কোন দরকার নেই সোনা। তোমার চোখে আমি ঘুমের কাঠি ছুঁইয়ে কুয়াশাপালংকে শুইয়ে দেবো। তুমি ঘুমুবে। ঘুমুবে বসুন্ধরার সকল শান্তি বুকে ধারণ করে। শান্তিটুকু তোমার থাক, শাস্তি না হয় আমিই নেবো, দেবো। নিহিলা, আমার প্রবঞ্চনার ইতিহাস তুমি শুনেছো রাতভর, আমার গুমড়ে কেঁদে ফেরা অপমানকে আদর দিয়ে লালিত্যে লালন করেছো, নির্ঘুম যন্ত্রণাকাতর রাতে মাথায় ঘুমপট্টি বেঁধে দিয়েছো ভিন্টেজ সিনেমার প্রেমময়ী নার্সদের মতো। তোমাকে আমি কোন বিপদের মুখোমুখি হতে দেবো না। আমি নিজেকে এবং তোমাকে সুরক্ষিত করতে শিখছি নিহিলা, খুব শিঘ্রই একদিন আসবে সম্মুখসমরের সময়, সেদিন আমার নৃশংস প্রতিশোধ দেখতে হবে না তোমায়, দেখতে হবেনা রক্তস্নাত, ঘর্মক্লান্ত অবয়বদের, তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেবো আমি। আমি জিতে গেলে তোমাকে জাগাবো, তুমি আমার গলায় বরমাল্য পরিয়ে দেবে। একদিন না একদিন জয়ী আমাকে দেখবেই তুমি।
*
দিন ঘনিয়ে আসছে নিহিলা। তুমি প্রস্তুতি নাও দীর্ঘঘুমের। তার আগে আমাকে জাগিয়ে দিও। ওরা এলে আমাকে জাগিয়ে দিও। হয়তোবা অনেক রাত জাগতে হবে তোমার আরো। ওরা সম্ভবত রাতের বেলায়ই আসবে। রাত জেগে তোমার চোখের কোণে কালি জমবে, চিন্তা করো না এজন্যে। আমার কাছে জাদুর কাঠি তো আছেই, ছুঁয়ে দিলেই ঘুম আসবে, ক্লান্তি চলে যাবে, মুছে যাবে পিঁচুটি আর কালি। আর কিছুক্ষণ তুমি রবে না আমার জন্যে?
-এক প্রশ্ন কেন করো বারবার? তুমি তো জানোই আমি আছি এবং থাকবো। তোমাকে উত্তেজিত এবং বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে। আজ আবার কী হলো?
আজ বলার মতো অনেক কিছুই হয়েছে। এমন সবকিছু, যেগুলো শুধুমাত্র নিহিলাকেই বলা যায় এবং নিহিলাকে না বলে আমার স্বস্তি নেই।
-ওরা যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করছে নিহিলা। আজকেও অফিসে আমাকে অপমান করেছে সে।
-কে? তোমাদের নতুন ম্যানেজার?
-হ্যাঁ। সে ছাড়া আর কে হবে! দুদিন হলো অফিস জয়েন করেছে, করে সারেনি, শুরু করেছে হম্বিতম্বি আর ফুটোচ্ছে কথার হুল। আমি অবশ্য কিছু বলি নি তাকে। নীরবে সয়ে গেছি। যেমনটা এ পর্যন্ত সয়ে এসেছি সবার ক্ষেত্রে। তবে তুমি তো জানোই, আমি ছেড়ে দেবো না কাউকেই। কাউকে না! ব্লেডটা তো আর এমনি এমনি কিনিনি! অনেকেই হয়তো দু টাকার এই সামান্য অস্ত্রটা দেখে না সিঁটকাবে। তবে তুমি তো আমার গেমপ্ল্যান জানো, তাই না নিহিলা? অবশ্য তুমি না জানলে আর কে জানবে? তুমি জানো এই ব্লেডটা কত ভয়ংকর অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। রক্তের প্লাবন বইয়ে দিতে পারে। এত রক্ত আমি ঝরাবো ওদের সবার দেহ থেকে যে শহরে রক্তোচ্ছাস শুরু হবে। মানুষজন ভেসে যাবে রক্তের স্রোতে। ভেলা বানিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচতে চাইবে।
-আহ! তুমি এত বাজে বকোনা তো। বাড়িয়ে বলা আমার মোটেও পছন্দ না।
আমি জানি নিহিলা বাড়িয়ে বলা আর আতিশায্য পছন্দ করে না। তাই ওকে সবসময় সারবস্তুটাই বলে এসেছি। সবকিছু শুনে ব্লেড কেনার পরামর্শটা সেই দেয়। ব্লেডের সুবিধার দিকগুলি হলো- এটা সহজে পরিবহনযোগ্য, কেউ সন্দেহ করবে না, অস্ত্র হিসেব এটা অপ্রত্যাশিত বিধায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভড়কে যাবে।
আমার প্রতিপক্ষরা
আমার প্রতিপক্ষ, বিশেষ করে বললে শত্রুর অভাব নেই কোন। তাদের এই দীর্ঘ তালিকার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিতে দিতে সম্মুখ সমরের সেই দিন চলে আসতে পারে। তাই আপাতত কয়েকজনের কথা বলি, যারা মহাযুদ্ধের দিন প্রতিপক্ষের নেতৃত্ব দেবে।
আমি ছোটবেলা থেকেই দুর্বল এবং শীর্ণকায়। সাততাড়াতাড়ি কোনকিছু বুঝে নিয়ে সেই অনুযায়ী কাজ করার মত চাতুরতাও ছিলো না আমার। এমন না যে আমি বোকা ছিলাম, কিছুটা মন্থর ছিলাম আর কী। আমার এই মানসিক আর শারীরিক দুর্বলতাগুলোর সুযোগে যা হয় আর কী, স্কুল আর মহল্লার গাব্দাগোব্দা ছেলেপুলেগুলো বিরক্ত করতো, ক্ষেপাতো, কখনও শারিরীক আঘাতও করতো। তাদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য পরবর্তীতে বন্ধু হয়ে গেছে। অনেকের সাথে যোগাযোগ নেই। অনেকের সাথে মাঝেমধ্যে দেখা হয়ে যায় রাস্তায়। তাদের ছোটবেলার নাবুঝ অপরাধ ক্ষমা করে দেয়ার মত ঔদার্য আমার রয়েছে। আসলে ছিলো না অতটা, এটা নিহিলার অবদান। তবে সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। নিহিলাও এ ব্যাপারে একমত। যেমন, যেই ছেলেটি ছোটবেলা থেকে আমার সাথে মস্করা করেছে, সবার সামনে ছোট করেছে, সব প্রতিযোগিতায় জিতে গেছে, সে যদি এখনও দেখা হলে নাক কুঁচকে ক্রুর হাসি হেসে আমার কাজ এবং ব্যর্থতা নিয়ে খোঁচা মেরে কথা বলে,
-কী রে রাজপুত্র! অফিসে যাচ্ছিস? অফিসে তোর রোল কত রে? ফার্স্ট হস তো? ঠিকমত কাজ করিস বাপধন, নাইলে টিসিমিসি খেয়ে যাবি, আমাদের শৈশবের কিন্ডারগার্টেনের বদনাম হবে।
আমি কেন সইবো?
অথবা পাওনার খোঁজে বারবার তাগাদা দেয়া সেই ব্যবসায়ী, এক মুহূর্তের জন্যেও যে টাকা ছাড়া অন্যকিছুর কথা ভাবতে পারে না, তা সে না পারুক আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু সবার সামনে টাকা চেয়ে হেনস্থা করে যদি,
-ঐ মিয়া! আর কত ঘুরাইবেন? নেয়ার সময় তো বড় মুখ কইরা অনেক কথা কইছিলেন। ক্ষ্যাম নাই কুত্তার বাঘা নাম তার। টাকা যদি না দিতে পারেন তো কয়া দেন, নাহয় ভিক্ষা হিসাবে ধইরা লমু নি, কিন্তু তাইলে আমারে জনস্বার্থে একটা কাজ করতে হইবো, সবার সামনে ঘাড় ধইরা নিয়া যায়া কমু, এই ফকিন্নীর পুতটারে ভুলেও কেউ টেকা ধার দিবেন না।
অনেক মানুষের সামনে এভাবে আমাকে অপমান করেছিলো সে। আমি কেন সইবো?
আর এই তালিকার সাম্প্রতিক সংযোজন, আমাদের অফিসের নতুন বস, যে আমাকে গত সাত দিনে চৌদ্দবার স্যাক করার হুমকি দিয়েছে, আমার মন্থরতাকে নিয়ে টিপ্পনি কেটেছে, পরিবারের ঔচিত্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তার নরম চামড়ায় ব্লেড চালিয়ে দেব সবার আগে।
আমার চামড়াও একসময় নরম ছিলো। খুব লাগতো আমার। এখন শক্ত হয়ে গেছে। চামড়ার কারবারী আমি খুব ভালোই জানি। প্রস্তুত হও নরম চামড়ার মানুষেরা!
*
ওরা আসছে! ওরা আসছে সরবে। ওরা একসাথে সবাই আসছে। আমি শুনতে পাচ্ছি...
আমি শুনতে পাচ্ছি ছোট্টবেলার গড়িয়ে চলা ছোট্টবল
কেমন করে আঘাত করে কেমনে ঝরায় চোখের জল
দেখতে পাচ্ছি হোঁৎকামুখো ব্যবসায়ীটার খুব তাগদ
হাসতে গিয়ে ফেলছি গিলে আনন্দ-হাসি সবই রদ
শুনতে পাচ্ছি বখে যাওয়া পাড়াতুতো ভাই পাড়ছে গাল
নিহিলাকে দেখে তারা বলেছিলো "এ দারুণ মাল!"
এসব শুনে, এসব দেখে করেছি আমি ভীষণ পণ
শোধটা এবার নিতেই হবে আর নয় যে স্মৃতি রোমন্থন।
-ওরা আসছে, আর তুমি এসময় ছড়া লিখছো? এটা ছড়া লেখার সময়?
নিহিলার কন্ঠে অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়।
-এটাই ছড়া লেখার সময়। লিখে নিজেকে চাঙা করা আর কী! ভালো ছাত্রদের দেখো না, তারা পরীক্ষার আগের মুহূর্তে কিছু পড়ে না। রিলাক্স করে। আমিও তেমন করছি।
-কিন্তু তুমি তো ভালো ছাত্র না। আর তোমার মধ্যে মোটেই কোন রিলাক্সড অনুভূতি কাজ করছে না। আমার কাছ থেকে লুকোতে পারবে?
আমি মাথা গুঁজে লিখতে থাকি। নিহিলার কাছে কিছুই লুকোনো যায় না। ও সব জানে। সব বুঝে ফেলে।
আসছে ওরা, শুনতে পাচ্ছি বাজছে রণডম্বুর
আসছে ওরা শোধের পেয়ালা রক্তে টইটম্বুর
আসছে ওরা গভীর রাতে পাড়ায় যখন ঘুম নিঝুম
আসছে ওরা ছিনিয়ে নেবে আমার গোপাল, জবা, কুমকুম!
-মিটারে মিলছে না। তুমি এলোমেলো হয়ে যাচ্ছো। খামোখা রিলাক্স থাকার ভান করো না। দরজায় কড়া নাড়ছে ওরা। ওঠো! ওঠো কাপুরুষ! এবারও যদি তুমি পালিয়ে যাও তোমাকে চিরকালের জন্যে ত্যাগ করবো আমি। এসব ছড়া লিখে অনেক বুঝ দিয়েছো আমাকে। ওঠো! ব্লেডটা নাও। আজ তোমাকে পারতেই হবে।
নিহিলা আমার গলা চেপে ধরে। আমার শ্বাসরোধ হয়ে আসে। নিঃশ্বাসের জন্যে নিস্ফল চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। ওর চামড়া আমার মতই শক্ত। আর নিস্তার নেই এবার।
-কই রে, লুজারটা গেলো কই! সে নাকি কি কিনছে! আমাদের সাথে যুদ্ধ করবে বলে! বাইর হও সোনার চান!
আমার ছেলেবেলার প্রাচীন উত্যক্তকারীর কন্ঠে তীব্র শ্লেষ।
-আরে ঐ হুমুন্দির পুতের কবুতরের কইলজা। অয় বাইর হইবো বইলা মনে করসেন? ক্ষ্যাম নাই কুত্তার বাঘা নামও নাই। একটা হাড্ডি দিয়েন ডাস্টবিন থিকা কুড়ায়া ওরে খাইতে। দেইখেন হাভাইত্যা কেমনে গাপুসগুপুস কইরা খায়!
পাওনাদার সুযোগ পেয়ে তার নোংরা মুখটা খুলতে ছাড়েনা।
-টোটালি ওর্থলেস পিস ওফ শিট। ফাকিং এ্যাসহোলটা আবার আমাদের সাথে পাল্লা দিতে চায়। হোয়াট আ জোক!
ম্যানেজারের জোক শুনে সবাই বেদম হাসতে থাকে।
-কী রে তুই যাবি না? যাবি না কাওয়ার্ড! যা দেখিয়ে দিয়ে আয় ওদেরকে তোর ব্রহ্মাস্ত্র।
নিহিলার এমন রূপ আর কখনও দেখিনি আমি।
-যাবো?
হঠাৎ করে ভীষণ দুর্বল আর বিপন্ন বোধ হতে থাকে আমার। তা দেখে নিহিলা তার সুর পাল্টায়।
-অবশ্যই যাবা সোনা। যাও এবং ওদের সবাইকে ব্লেড দিয়ে কেটে আসো। মাত্র তিনজন এসেছে। তিন পোঁচেই হয়ে যাবে। একটা দিবে গলায়, আরেকটা ঘাড়ে, আর শেষটা কপালের পাশের রগে। খুব সহজ কাজ। না পারার কিছুই নেই।
সে আমাকে ব্লেডটা এনে দেয়। ব্লেডটা হাতে নিয়ে আমি সমস্ত দুর্বলতা ঝেঁটিয়ে বিদেয় করি। চরম মুহূর্তের সামনে এসে একটু নার্ভাস হওয়াটা কোন ব্যাপার না। নিহিলা আমার দিকে তাকিয়ে হাসে। সে হাসিতে শরীরের আনাচে কানাচে প্রতিহংসার বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। আমি তেতে উঠি। আমি ক্ষেপে উঠি। আমার মনে বিশ্বাস জন্মায়, আমি পারবো। ওদের ভীতচোখ দেখে বিশ্বাসটা অদম্য আকাঙ্খায় পরিবর্তিত হয়। আর কোন বাধা নেই, আর কোন শংকা নেই, নিশ্চিত সাফল্য, নিশ্চিত বিজয়। দ্যা সুইট স্মেল অফ সাকসেস! দ্যা ওল্ড ওয়াইন অফ রিভেঞ্জ! আমি নেশাতুর হয়ে প্রথম পোঁচটা দিই গলায়
-এইটা আমারে ছোটবেলা থেকে ত্যক্ত করার জন্যে, বুঝছোস?
কেমন তড়পাচ্ছে আমার বন্ধু কাটা মুরগীর মত দেখো!
ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে থাকা পাওনাদার আর বসের ঘাড়ে আর কপালে দুটো পোঁচ দেয়ার পরে আমার কেমন যেন অবসন্ন লাগে। এত সহজেই শেষ হয়ে গেলো? এত সহজ?
*
নিহিলা আর আমি। শুয়ে আছি পাশাপাশি। অবশ্য আমার পাশে না শুয়ে ও যাবেই বা কোথায়।
-আমরা সবাইকে মেরে পালিয়ে আসতে পেরেছি!
খুশি খুশি খুকী খুকী কন্ঠ তার।
-আমি পেরেছি অবশেষে নিহিলা! পেরেছি।
-হ্যাঁ। তোমার প্ল্যানটা আসলেই নিখুঁত ছিলো। সবকিছু থেকে বেরিয়ে আসতে এর থেকে ভালো কিছু ভাবা সম্ভব ছিলো না।
আমি কিছু বলতে গিয়ে পারি না। গলা থেকে ঘরঘর শব্দ হয়।
-এ্যাই, এখন কোন কথা বলোনা তো! গলা কেটে ফালি করে দিয়েছো এখন কথা বলা যায় নাকি! ঘাড় থেকেও রক্ত বেরুচ্ছে অবিরাম। আর কপালের রগটা ঠিকমতো কাটতে পারো নি। তাহলে আর এতক্ষণ এখানে শুয়ে কথা বলতে পারতে না। চলে যেতে অন্য কোথাও।
আমি কিছু বলার চেষ্টা করে আবারও ব্যর্থ হই শোচনীয়ভাবে।
-তুমি নিজেকে কেটেছো, রক্তাল্পনা দিয়ে নতুন নকশা করেছো সুন্দর। তুমি এখন সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছো। আর কেউ তোমাকে অপমান করতে পারবে না। খোঁটা দিতে পারবে না। আঘাত করতে পারবে না। এই দেখ, আজরাঈল এসে উপস্থিত তুমি ভয় পেয়োনা একদম কেমন? আমি তোমার হাত ধরে আছি। তোমার সাথে আমিও যাবো।
জানি তো নিহিলা আমার সাথেই যাবে। আমাকে ছাড়া ওর গতি কী! আর কোথাও যে নিবাস গড়ার নেই ওর। আমার চোখ বুঁজে আসে। আমি নিহিলার অদৃশ্য হাত ধরে দৃশ্যান্তরে যাওয়ার প্রতীক্ষা করতে থাকি।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: কল্পনায় তৈরি মেয়েরা সবসময় সুন্দরীই হয়!
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: নিহিলা কি নিহিলিস্ট থেকে উদ্ভূত?
প্রিয়তে নিলাম, পছন্দ হইছে।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আহা! জানতাম তুমিই বুঝবা।
প্রিয়তে যায় নাই। আরেকবার ক্লিকবাজি করো!
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ লাগলো ।
+++++++
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভবিকেল।
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
কয়েস সামী বলেছেন: নিহিলিস্ট নিহিলার গল্প পড়তে কাব্যময় শুনালো। ভালো লাগা!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভবিকেল।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লাইক এবং প্রিয় কোনটাই নিতে পারছি না। আক্ষরিক অর্থে শতবার ক্লিকবাজি করেও সফল হলাম না। ব্যর্থ ক্লিকবাজ।
গল্পটা অনেক ভালো লাগল। প্রথমদিকটা অনেকটা মুক্ত গদ্যের মত লাগল। কবিতাটাও দারুন হয়েছে। সব মিলিয়ে "জটিল" একটা গল্প।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস কাভা! আবার এসে লাইক আর হলুদ তারকায় ক্লিক করে যাবেন। ক্লিকবাজির জয় হোক!
৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার গল্প পড়তে হলে হাতে সময় নিয়ে আসতে হবে !
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাতভর্তি করে সময় নিয়ে এসেন!
৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
গোর্কি বলেছেন:
-'গেইট লক' বিরতিহীন একটানে পড়ে গেলাম।
-অস্ত্রের মহীমা বড়ই অদ্ভূত!
-সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের লেখাগুলো আপনার।
-নিঃসন্দেহে পঠনে মুগ্ধতা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে নিয়মিত পেয়ে ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।
৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
এম ই জাভেদ বলেছেন: ব্লেড আসলেই একটা সাংঘাতিক অস্ত্র।
মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে গেলাম। ত্রেভিয়া ......
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্ত্র পড়ে ফু দিয়েছিলাম। কাজ হয়েছে তাহলে! হাহা!
অনেক ধন্যবাদ।
৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মুগ্ধ পাঠ্য। আপনার গল্প সবসময় একটু ভিন্ন মাত্রার হয়ে থাকে এই দিক থেকে আপনার লেখার ভক্ত।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভসন্ধ্যা।
১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সানড্যান্স বলেছেন: রক্তাল্পনার নকশা মাঝে মাঝে মেহেদীর চেয়ে সুন্দর হয়, মেহেদী তবু শুকিয়ে ধুয়ে মুছে যায়, রক্তাল্পনা শরীরে চিরস্থায়ী দাগ রেখে যায়!
এই আর কি!
ভালো লাগা!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সানড্যান্স। শুভসন্ধ্যা।
১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ব্লেডখানা আমারও দরকার !!! নিহিলা আপনি কোথায় ??
মুগ্ধতা আবারও !
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিহিলাকে তো আমরাই তৈরি করি। যখন আর কোথাও যাবার পথ থাকে না, আক্রমণ থেকে পালানোর উপায় থাকে না, তখন আমাদের পলায়নপর মন সান্ত্বনা হিসেবে খুঁজে নেয় নিহিলাকে।
ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আসলে সব কাইট্টা ফালাফালা করে ফেলা দরকার। চমৎকার লিখেছ। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলআমার আত্মজীবনি পড়ছি। তোমার গল্পে টুপি দিতে দিতেই ত ফতুর হয়ে গেলাম!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন থেকে তাহলে অন্যকিছু দিয়েন ভাইয়া
শুভসন্ধ্যা!
১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাদরিল বলেছেন: কাল পরীক্ষা।একটু পড়ে গেলাম, বড় গল্প, বাকীটুকু পরীক্ষা দিয়ে এসে পড়তে বসবো
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। পরীক্ষা ভালো হোক।
১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সোহাগ সকাল বলেছেন: কবিতার মতো গল্প। ভালো লেগেছে। নামটা সুন্দর।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সোহাগ।
১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব বলেছেন:
মুগ্ধ পাঠ্য। আপনার গল্প সবসময় একটু ভিন্ন মাত্রার হয়ে থাকে এই দিক থেকে আপনার লেখার ভক্ত।
প্লাস দিলাম।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাসের জন্যে।
১৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১১
অনির্বাণ প্রহর বলেছেন: ঘোর গল্প! অনেক অনিদ্রা সামন।..........
অনেক ভাল লাগলো।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অনির্বাণ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
টুম্পা মনি বলেছেন: ভয়ংকর ভালো হইসে!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: তীব্র ধন্যবাদ!
১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমি আবার দাগাদাগিতে ফেরত আসছি! লাস্ট পোষ্ট কয়েকটা পোষ্ট পড়া হয় নাই। আশা শীঘ্রই আগের মতো পড়া শুরু করতে পারবো।
শুভ কামনা হা-মা ভাই।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা একটা ভালো খবর। শুভকামনা রইলো।
১৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কা_ভা-র মতো আমারও একই অবস্থা- কোন পোস্টে প্লাস দিতে বা প্রিয়তে নিতে পারছি না। সুতরাং প্লাস না দিয়েই কমেন্ট করতে হল।
পলায়নবাদের ওপরে চমৎকার একটা দৃশ্যকল্প। লেখার প্রথমাংশে দ্রুতগতির বর্ণনা এবং লাইনে লাইনে রূপকময় বিস্তৃতি এই পাগলাটে আত্মকথনকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
মূল চরিত্রের এমন মনোভাব, আর শেক্সপিয়ারের হাজারবার মৃত্যুর সেই বিখ্যাত উক্তির পরোক্ষ উপস্থাপন লেখার মাঝে সুন্দরভাবে 'আটকে' গেছে। ভাল লাগল গল্প।
শুভরাত্রি।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্লাস আর যা কিছু প্রাপ্য তা কিন্তু পাওনা রইলো। ব্লগিং করে এসবের দাবী ছেড়ে দিবো নাকি হুহু!
আপনার কমেন্ট মানে থিমকে ভেরিফাই করা সিগনেচার। অসংখ্য ধন্যবাদ!
২০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ও, আর শুরুর অস্থিরতা মাঝখানে এসে কমে গেছে, কেমন একটা আলস্য মিশে গেছে- এই পরিবর্তনটা চমৎকার।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্যারানয়েডের ডিফেন্স মেকানিজম কাজ করা শুরু করেছে যে!
২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
ব্ল্রেডটা কি বলাকা ??
btw পোস্ট এত্তগুলা বড় হইসে ! :#>
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমারে দরকার ছিলো আমার। আমি ব্লেডের নাম আর কিছু স্পেসিফিকেশন মনে করার চেষ্টা করতেসিলাম, কিন্তু কিছু মনে পড়ে নাই। নেটে ব্লেড লিখে সার্চ দিলে সিনেমা দেহায়। গল্প মোটেই বড় হয় নাই। ২০০০ শব্দেরও কম।
২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আহারে, নায়করে শেষমেশ আত্মহত্যায় বাধ্য করলেন?
আপনার অন্যান্য গল্পের মতো ততটা ভাল লাগে নি।
ভাল থাকবেন হাসান ভাই।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, তবে ভয় কী তার সাথে নিহিলা তো ছিলোই!
মতামতের জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫২
রোমেন রুমি বলেছেন:
গল্পের মূল চরিত্রে কি ইনপিউরিটি কমপ্লেক্স প্রাধান্য পেয়েছে হাসান ভাই ? আমার তাই মনে হয়েছে । তবে নিহিলার মত কেউ একজন থাকলে জীবন খুব একটা মন্দ না
গল্পের বর্ণনায় কাব্যিক প্রবাহ দুর্দান্ত ; পাঠকে আপনা আপনি টেনে নিয়ে যাচ্ছে । আমার কাছে এমনই মনে হল ।
সবকিছু মিলিয়ে মুগ্ধ পাঠ ।
গল্পে ভাল লাগা রইল বস ।
ভাল থাকুন ।
শুভ রাত্রি ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সের কথা বলছেন? হ্যাঁ হীনমন্যতা তো ছিলোই। ক্রমাগত বঞ্চনা, অপমান আর হেরে যাওয়া তাকে কোণবদ্ধ করে রেখেছিলো। আর সেখানেই সে সৃষ্টি করে নিহিলাকে।
অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
২৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: আমার গেস হচ্ছিল ব্লেডটা সে নিজের উপরেই চালাবে । আজীবন অপমানিত একজন টোটাল সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়তে পারবেনা । দুর্বিনিত হওয়া তার চরিত্রে ছিলনা, যদিও নিহিলা তাকে প্রাণপন উৎসাহ দিয়ে গেছে ।
এর আগেও মরতে গিয়ে সে বারবার হেরেছে । 'মরে যাও অথবা শোধ নাও' এর কোনটাই সে করতে পারেনি । কিন্তু এবার সে জিততে চলেছে । সব অপমান মুছে গিয়ে এক প্রশান্তিময় মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে । নিহিলা তার সঙ্গে থাকায় মৃত্যুটা সত্যি নির্ভার আর প্রশান্তিময় ।
সাম্প্রতিক সময়ে হামা ভাইয়ের লেখা সেরা গল্প এটা ।
ক্লিকবাজ হিসেবে দেখি বেশ সফল, তিন নাম্বার প্লাসটা আমার ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা আসলে এমনই সিম্পল। আমি একটু পেঁচিয়ে আর ধোঁয়াশাবৃত করে ফেলছি মনে হয় বেশি! নিবিড় পাঠের জন্যে ধন্যবাদ মামুন ভাই!
ক্লিকবাজির জয় হোক!
২৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: আপনার গল্প- ভিন্নতা'ত থাকবেই। পরাজিত , অপদার্থ মানুষটাকে মেরে ফেললেন !!! গল্পে অবশ্যই +++++++।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুসরাত। ভালো থাকবেন।
২৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২১
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: শেষমেশ আত্মহত্যা?? নেগেটিভ গল্প। প্লাস দেয়াও যায় নাও দেয়া যায়।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্পগুলাতো নেগেটিভই হয়। আপনিই বা কবে হ্যাপি এন্ডিং দিসেন!
২৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৬
আদনান০৫০৫ বলেছেন: অদ্ভূত হামা ভাই, অদ্ভূত রকমের একটা অনুভূতি দিলেন!!! মাঝেমাঝে সবকিছুকে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে, শেষটায় হতাশায় নিজেই বিলীন হতে হওয়া ছাড়া উপায় থাকেনা।
"ভুলতে চাইলে ঘুমের ভেতর রাতের আঁধার সর্প হয়ে পেঁচিয়ে ধরে স্বপ্নমাঝে" -এর পরে একটা কমা দিয়েন, পড়তে নিয়ে টানা পড়ায় একটু থামতে হয়েছিলো পুরোটা বুঝার জন্যে।
ভালো থাকুন।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক করে নিলাম। থ্যাংকিউ আদনান!
২৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৫
সাসুম বলেছেন: কি যে লেখেন , হামা ভাই ! একলাইন বুঝি তো ১০ লাইন বুজি না । সব মাথার উপর দিয়ে যায় । যাই হোক আপনার লেখা না বুঝলেও আজ পর্যন্ত একটাও বাদ দি নাই । ।াি জালিয়ে যান বস।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষতক টোটাল কয় লাইন বুঝলেন?
শুভরাত্রি।
২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৬
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: কাপুরুষেরা সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কখনই পারে না । যত উৎসাহই পাক না কেন, শেষে সব গুলিয়ে ফেলে।
বেশ ভাল লেগেছে। বর্ণনার ভাষা চমৎকার।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৩০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নিজের ব্যাক্তিগত সমস্ত ব্যার্থতা (অপ্রাপ্তি বলবোনা ) থেকে মুক্তি পাওয়ার পুরুষিত (পড়ুন কাপুরুষিত) পথ দেখে কিছুটা মর্মাহত হয়েছি ! শেষে হয়তো আত্নার শান্তি হয়েছে , এতে আত্নবিজয় থাকেনা !
শুধুমাত্র কাহিনীর মত করে বলে যাওয়া আর সংলাপ ছারাও গল্প হয় সেটা আপনার কাছ থেকেই শিখছি শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় হাসান মাহবুব ভাই !
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম। শিক্ষাকাল আরো দীর্ঘায়িত করা দরকার আমাদের সবারই! শুভেচ্ছা।
৩১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ছোটকালের কথা মনে করিয়ে দিলেন, আমার স্বভাব হলো,
গল্পের শেষের দিকে নায়ক মারা গেলে কস্ট লাগতো । অনেক সময় কয়েকদিন ধরে এটা নিয়ে আফসুস করতাম।
আস্তে আস্তে সে স্বভাব বদলে গিয়েছিলো, কিন্তু আপনার গল্পের শেষের দিকটা পড়ে কেমন জানি অস্বস্থি লাগছে।
যদি সম্ভব হতো, তাহলে গল্পের শেষের দিকে লাইনগুলা মুছে শুভসমাপ্তি দিয়ে আসতাম।
তবে এসব গল্পগুলা ক্ষনিকের জন্য কষ্ট দিলেও দীর্ঘদিন মনে থাকে, গল্পের লেখকের প্রতি রাগ হলেও বার বার সে গল্প পড়তে বাধ্য হই।
আমার ঝুলিতে এরকম আরেকটি গল্প যুক্ত হলো।
+++++ সহকারে ঝুলিতে নিলাম।
আর হ্যা, আপনি নায়ককে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করিয়েছেন, তাই আপনার জন্য একটা মাইনাচ রইলো।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্লাস মাইনাস মিলে গল্পটি আপনাকে শেষ পর্যন্ত নাড়া দিতে পেরেছে, নতুন সমাপ্তি প্রদানের ইচ্ছা জাগিয়েছে এটা আমার জন্যে বড় প্রাপ্তি। শুভেচ্ছা।
৩২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪০
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: অনেক সুন্দর হইছে। ভাল লাগছে। বড় গল্প হইলেও এইটা ভাল লাগছে।
ভালোলাগা
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু হেক্টু। শুভ জাগরণ।
৩৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: টানটান বর্ননা.......গতিশীল গল্পের ভঙ্গি, শুভকামনা রইল।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা। শুভদিন।
৩৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
মাক্স বলেছেন: আপনার কথাতো দেখি অক্ষরে অক্ষরে ফলতাসে, সামনের কোন গল্পেই টুইস্ট নাই!
তবে টুইস্ট না থাকলেও বর্ণনা দিয়া ভুলায়া রাখতে পারতাসেন।
গল্প ভাল্লাগসে। আপনার রক্তারক্তিময় গল্পগুলা সবসময়ই ভাল্লাগে।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: রক্তারক্তির গল্প লিখতে আমার নিজেরও ভালো লাগে। ভাষা অটোমেটিক কাব্যিক হয়ে যায়। আর খুব দ্রুত কলম চলে। তেংস।
৩৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: দারুণ লাগছে - শেষের দিকটা একটু বেশি ভালা লাগছে
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ব্রাদার।
৩৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
এরিস বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প হাসান ভাই।
এলোমেলো বর্ণনা লিখেও এত সুন্দর গল্প দাঁড় করানো যায়!! একটা ব্লেড সাথে নিয়ে অতীত আর বর্তমানের ছোট ছোট কষ্ট অপ্রাপ্তি আর অপমান নিয়ে অনেকদিন ধরে ভুগতে থাকা একটা যন্ত্রণার সান্তনা ভাল লেগেছে। আসলে এরকম ছোট ছোট কিন্তু খোঁচা অপমান কিন্তু ভেতর থেকে আরও ভেতরে জ্বালিয়ে মারে। খুব বেশি বুঝতে পেরেছি এজন্যে যে এরকম কিছু মন্তব্যে নিজেকে নিজেও হীনমন্যতায় আমি ভুগি, বের হয়ে আসতে চাইলেও অতটা সহজ না কিন্তু ব্যাপারটা।
নিহিলার একটিভিটি ভাল লেগেছে। একবার রাগে ক্রোধে গলা টিপে ধরা, পরক্ষনেই বদলে যাওয়া, দুজনের চরিত্রেই পরিবর্তনশীলতা ছিল।
আমি ভেবেছিলাম গল্পকথক শেষ পর্যন্ত নিহিলাকে মারবে। কারণ অন্যদের সে কিছুই করতে পারবেনা। কিন্তু নিজের উপরেই সে ব্লেড চালাল। মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা এবং শেষ পর্যন্ত মর্মান্তিক পরিণতি।
অনেক অনেক ভাললাগা হাসান ভাই।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এরিস। গল্প নিয়ে আপনার নিবিষ্টতা সবসময়ই ভালো লাগে। ভালো থাকবেন।
৩৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
চটপট ক বলেছেন: জানি তো নিহিলা আমার সাথেই যাবে। আমাকে ছাড়া ওর গতি কী! আর কোথাও যে নিবাস গড়ার নেই ওর। আমার চোখ বুঁজে আসে। আমি নিহিলার অদৃশ্য হাত ধরে দৃশ্যান্তরে যাওয়ার প্রতীক্ষা করতে থাকি।
নাইচ হইচে
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!
৩৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
যে ভাবনা থেকে এই লিখাটি তা চমৎকার ভাবেই প্রকাশ করেছেন... মানুষের ভেতরের কিছু জিনিস থাকে যা প্রত্যেকেই ভেতরে ভেতরে ভাবে... কেউ খুব তড়িৎ প্রকাশ করে ফেলেন কেউ পারেন না... তাদেরটা একসময় খুব ভারি হয়ে যায়... নিজের বহন ক্ষমতার বাইরে চলে যায়...
ভেতরের গোপন ইচ্ছাগুলো/ভাবনাগুলো এভাবেই আপনি দেখিয়ে দিয়ে যান আমাদের সবাইকে...
শুভকামনা...
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার ভেতরের কথাগুলো আপনাদের কাছে দৃশ্যমান করতে পেরে আনন্দিত। ভালো থাকবেন।
৩৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
সোমহেপি বলেছেন: আপাতত গল্পের ব্যাপারে কিছু বলব না।নামকরণটা আর ভাষা নিয়ে বলব।
দিনকে দিন আমরা এক নতুন হামা কে পাচ্ছি।লেখায় কোমলতা আবেগ প্রয়োজনীয় মাত্রায় পড়ছে।
আগের কিছু লেখা পড়ে আমার কাছে লেখকের লেখনিকে অনেকটা কাঠখোট্টা টাইপ মনে হত।সে জায়গাটি থেকে দিন দিন লেখকের উত্তরণ ঘটছে।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: লাস্টের ইমোটা দেইখা মনে হইলো কমেন্ট কইরা তুমি ভ্যাবাচ্যাকা খায়া গেসো।
তেংস।
৪০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
সোমহেপি বলেছেন: আসলে ভ্যাবাচেকা আপনি খাইলে কেমন লাগতো সেইডা ভাইবা দিয়াছিলাম।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা!
৪১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২০
সায়েম মুন বলেছেন: নিহিলা সাথে থাকলে সব অসাধ্যসাধন করা সম্ভব বুঝি! প্রথম দিকে পড়তে ভাল লাগতেছিল। মাঝখানে একটু মিইয়ে গেছিল গতি। সব মিলায় ভাল্লাগছে।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিহিলা কিছুই করতে পারে না, কিন্তু মনে হয় অনেক কিছু পারে। সে শুধু পারে আত্মধ্বংস প্রক্রিয়া তরাণ্বিত করতে আর শেষযাত্রায় সাথী হতে।
শুভদুপুর।
৪২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দিন ঘনিয়ে আসছে নিহিলা।
এই অংশ থেকে পড়তে মজা পেয়েছি। আত্মবিশ্বাসহীন মানুষদের মর্মবেদনা নিদারুন কষ্টের । ছড়াটা ভালো লাগছে। তবে সব মিলিয়ে এভারেজ লেগেছে, আমার কাছে নতুনত্ব লাগে নাই এই গল্পের লেখার ধরণ। এর চেয়ে আপনার আগের গল্পটা ভালো লাগছে বেশি।
শুভ লেখালেখি। এতো লিখেন কিভাবে ? আমার হাত দিয়া কোনও লেখাই আসতে চায় না
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। হঠাৎ করে আমি হাইপার এ্যাকটিভ হয়ে গেছি। বুঝতাসি না এতকিছু কেমনে করতাসি। উপভোগ্য এই সময়টা।
৪৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখার পরিমান দেখে বুঝতে পারছি। লিখতে থাকেন। মাঝে মাঝে লেখার খরা সময় যায়। সে সময় না হয় এই লেখা গুলোতে ঘসামাজা করবেন। অনেকদিন একটু ডার্ক টাইপ লেখা লেখি না। ভাবতাছি ঐ সেক্টরে একটু চিন্তা ভাবনা করুম।
ভালো থাকেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ডার্ক টাইপ লেখা ব্যাপক ভালো পাই। আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকবো। শুরু করেন। শুভকামনা।
৪৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
শাওণ_পাগলা বলেছেন: চমৎকার লাগলো হামা ভাই। ছোটখাটো অপ্রাপ্তি গুলো ভেতরে ভেতরে অনেক বেশীই দুমড়ে মুচড়ে দেয়। আর তখনই সিস্টেম থেকে মুক্ত হওয়ার একটা প্রবনতা দেখা দেয়। আর মুক্ত হতে না পারলে "লাস্ট এস্কেপ" চিন্তাও মানুষ করে ফেলে। অনেকভাবেই গল্পের কাপুরুষ মানুষটার সাথে প্রাত্যাহিক জীবনটাকে রিলেট করা যায়।
আপনার গল্পের উপস্থাপনা তো বরাবরের মতোই চমৎকার। লাইক বাটন ফাটন কাজ করছে না।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাওন। ভালো থাকবেন।
৪৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
প্যাপিলন বলেছেন: শৈশবের শত্রুদের করা লিষ্টটা এখনও আছে। এরকম এক শত্রুর সাথে বহুদিন যোগাযোগ। সর্বশেষ দুই ঈদে ক্ষুদে বার্তায় শুভেচ্চা জানিয়েছিল, কোন উত্তর দেইনি। ইগনেরর মাধ্যমে আত্নতৃপ্তিটা বেশ উপভোগ করেছি।
আপনার গল্পগুলো বাস্তবিক অনেক মুহুর্তের রিফ্লেকট করে, তাই বেশ উপভোগ করি, আর আরেকটি অনবদ্য গল্প পড়লাম....
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্যাপিলন। শুভবিকেল।
৪৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বলার ভঙ্গিটি সুন্দর। লেখককে ধন্যবাদ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
ভিয়েনাস বলেছেন: তিলে তিলে জমে উঠা ক্ষোভ, অপমানের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে ছোট্ট একটা ব্লেড কিভাবে কার্যকরী হয়ে উঠেছে তা কত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। চমৎকার হয়েছে গল্প। এ বসায় পড়ে ফেললাম
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস। শুভকামনা।
৪৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
মাগুর বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিকই পড়লাম এতক্ষণ। এটা আপনারই লেখা গল্প..... যার একটা ভিন্ন মাত্রা আছে
অনেক অনেক শুভকামনা হামা ভাই
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাগুর। শুভরাত্রি।
৪৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আত্মহত্যা করল?আসলেই লুজার দেখি
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু! ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৫০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ব্লগিং করতে কি যে সমস্যা হচ্ছে ! মারাত্মক স্লো আর কিছু ঠিক মত কাজ করছে না।
গল্পের শেষটা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছিলাম। অনেকদিন থেকে আপনার গল্প পড়ি তো! বুঝেছিলাম নেগেটিভ ভাবে শেষ করবেন। আপানার আগের গল্প থেকে কিছুটা ধারনা হয়েছিল যে হয়ত নিহিলাকে মারবে,আত্মহত্যা করতে পারে এটা মাথায় আসে নাই।
এত রাতে গল্পটা পড়ে ঠিক করলাম না। ঘুম আসবে না।
আপনার গল্পের ওপর বেজ করে গল্পটা লেখায় হাত দিয়েছি। মুল থিম এক রেখে কাহিনী একটু চেঞ্জ করেছি। তবে জানি এটা আপনার মত ভাল হবেনা।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘুম আসবে না কেন? এইখানে ঘুম ছুটায় দেয়ার মত কী উপাদান আছে! নেগেটিভ এন্ডিং দিতে ভালা পাই কেন যেন। আরেকটু দয়া মায়া থাকা দরকার! গল্পটা পড়ার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেসি। ভালো লিখবা জানি। শুভকামনা।
৫১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
একলা চলো রে বলেছেন: সোজাসাপ্টা বলি, ডার্কগল্প আমার খুবই অপছন্দ। আমার মনে হয়, পাঠককে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে গল্প লেখা যতটা কঠিন, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন লেখকের চিন্তাটা পাঠককে ধরিয়ে দেওয়া। চার্লস ডিকেন্স এই কাজটা সবচেয়ে ভাল পারতেন।
যাই হোক, গল্প কিন্তু বেশ ভাল লেগেছে। কারণ ছোটবেলায় আমিও এমনই ছিলাম। সমবয়সী-অসমবয়সী সবাইকে ভয় পেতাম। এক ধরণের হীনম্মন্যতাবোধ কাজ করত সবসময়। যাকে বলে আদি ও অকৃত্রিম কাপুরুষ। এখন অবশ্য আই ডোন্ট ইভেন নিড টু গিভ দেম আ শিট!
তবে আমার সেই সময়ের অনুভূতির অনেকটা ছোঁয়া পেলাম আপনার গল্পটাতে।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ডার্ক গল্প অবশ্য আমার লিখতে বেশ ভালো লাগে। এটা লিখে আনন্দ পেয়েছি। ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে পাঠককে নানা বিকল্প ভাবনার খোরাক দিতে চাই। পাঠক যেটা ভাববে সেটাই তার কাছে গল্প।
ধন্যবাদ অকপট মন্তব্যের জন্যে।
৫২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
সোমহেপি বলেছেন: গল্প মোটামোটি ধরনের হইছে।
নিহিলা যে তাৎপর্য ধারণ করে তার সমমানের লেখা হয় নাই।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু।
৫৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
সোমহেপি বলেছেন: অ আরেকটা কথা ছড়া লিখতে গিয়া লেখাটা হালকা হইয়ে গেছে।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এখানে দ্বিমত করবো। ছড়া লেখাটা তার একটা শখ ছিলো। নিহিলাকে সে যেমন তৈরি করেছে বিপদ থেকে বাঁচার জন্যে, সঙ্গী হিসেবে, ছড়া লেখাটাও তেমনই।
৫৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনেক কষ্টে আসা গেলো।
পোস্ট ও বরাবরের মত ভালো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু দূর্জয়। শুভদুপুর।
৫৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: মানুষের মনস্তত্ত্ব কি তোমার খুব পছন্দের বিষয়?
এই দারুন গল্পটার শুরু গল্পটা বলো, কিভাবে প্লটটার জন্ম হলো,
যদি অসুবিধা না থাকে!!
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাইকোলজি খুবই পছন্দের বিষয়।
আমার প্রায় প্রতিটা গল্পের পেছনেই একটা কাহিনী থাকে। কিন্তু আপনি এমন একটা গল্পের পেছনের গল্প জানতে চাইলেন, যেটার এমন কিছুই নাই! রাতে ঘুমুতে গিয়ে নানারকম জটপাঁকানো এলোমেলো তন্দ্রাচ্ছন্ন চিন্তার ভেতর থেকে এটাকে পেয়েছি!
থ্যাংকস রেজুআপু। শুভদুপুর।
৫৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
একলা চলো রে বলেছেন: "......পাঠককে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে গল্প লেখা যতটা কঠিন, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন লেখকের চিন্তাটা পাঠককে ধরিয়ে দেওয়া ।" সহ-ব্লগার "একলা চলো রে" র সাথে একমত ।
আপনি বেশ কায়দা করে ধোঁয়াশার ভেতর রেখে শেষতক একটা তীক্ষ্ণ পোঁচে নামিয়ে দিতে পেরেছেন পাঠকের চিন্তা ....
শুভেচ্ছান্তে ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস। শুভকামনা।
৫৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: গল্পটা পড়তে এসে দুই তিন বার ধৈর্য হারা হলাম । আসলে মনমেজাজ ভালো না থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা । দুই দিন ধরে অনেক অস্থিরতার মধ্যে আছি তাই গল্পটা মাথায় ঢুকছেনা । পড়ে পড়ে যখন গল্পের মাঝে চলে আসি তখন ভুলে যাই কি পড়ে এসেছি !
আজকেও একই অবস্থা অনুসারিত ব্লগ অপশনটা গত দুই দিন থেকে কাজ করছেনা , আর ব্লগে বেশি ক্লিক করেলে পেজ ডিসকানেক্ট হয়ে যায় । তাই সকালে অনেক চেস্টা করেও ব্লগে ঢুকতে পারিনি ।
গল্পটা আসলে এখনো সম্পূর্ণ পড়তে পারিনি তাই গল্প সম্পর্ক মন্তব্য করতে পারলামনা । মনের অস্থিরতা দূর হলে অন্য কোন এক সময়ে সম্পূর্ণ পড়ে গল্প সম্পর্কে মন্তব্য করবো ।
ধন্যবাদ ভালো থাকেন ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনের আবার কী হইল! মনের অস্থিরতা কেটে যাক। শুভকামনা।
৫৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১
বহুব্রীহি বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি ভাই, আমার গফ পড়ার শুরুর দিকে হসি আইতেছিল, মাইয়ার নামটা ব্যফুক আজিব।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাসি আইতেছিলো! নিহিলিস্ট থেকে নিহিলা বানাইসি। আমার ভালু লাকচে নামডি।
৫৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৫
বহুব্রীহি বলেছেন: একটা অবাক করা বিষয়-আপনার অধিকাংশ গল্পের বিষয়বস্তু হল নগর জিবনের টানাপোড়েন, নিহিলিজম। আপনার ব্যক্তিগত জীবন যাপন দাড়া খুব বেশী প্রভাবিত।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা অবাকের কী হৈলো! এমনই তো হবার কথা। চেঞ্জের জন্যে গ্রামে বা পাহাড়ী এলাকায় কিছুদিন থেকে আসলে ভালো হতো।
৬০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
তুষার আহাসান বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভসন্ধ্যা।
৬১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২০
আরজু পনি বলেছেন:
ভুলতে চাইলে ঘুমের ভেতর রাতের আঁধার সর্প হয়ে পেঁচিয়ে ধরে স্বপ্নমাঝে,
ভুলতে চাইলে তপ্ত আকাশ ঊনুন জ্বালায় মাথার ওপর সকাল-সাঁঝে। ...
লেখার একটা অংশ পর্যন্ত ভাবছিলাম এই গল্প দিয়ে অনেকগুলো অসাধারণ কবিতার জন্ম দিতে পারে হাসান নিজেই ।
এর পর ভাবনারা মোড় নিল আরেকদিকে...শোধ নেবার জন্যে মনের মধ্যে যে একটা আকুতি তা যেন আমি আমার ব্লগ জীবনের ছায়া দেখতে পেলাম...নিজেকে দূর্বল মনে করি না কখনো কিন্তু আমার অনেক ঘৃণা জমে আছে কিছু মানুষের উপর যারা অন্যায় ভাবে আমার সাথে অন্যায় করেছে, করছে । মনে হয় এদের আড়ালের চেহারাটা পৃথিবীর মানুষগুলোর সামনে তুলে ধরতে পারতাম, সবাই দেখতো কতো নিকৃষ্ট মানসিকতা নিয়ে অন্তর্জালে চলছে কতো রকম নোঙরামী !
স্যরি, লেখাটা আমাকে খেপিয়ে তুলেছে ! এটাই হয়তো লেখকের সার্থকতা, পাঠককে নাড়িয়ে দেয়া !
আর শেষে !
না আমার পরিণতিটা এমন দেখতে চাই না ...কারো পরিণতিই এমন দেখতে চাই না ।
সত্যিই সব মিলিয়ে অসাধারণ !
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা। আমার ভেতরের কবিস্বত্তা খুব লাজুক, তাই সে গল্পের ভেতরে লুকিয়ে থাকতে চায়।
ভালো থাকবেন। শুভসন্ধ্যা।
৬২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
খুব উপভোগ্য গল্প।
আর এই লেখাটিতে আপনার গদ্যের ব্যবহার রীতিমত দ্রষ্টব্য।
আমি তো মুগ্ধ হয়ে কয়েকটা লাইন কবিতার আদলে আবৃতি করলাম!!
( ব্লেডের পরিচর্যা করবো সকালের শুভ্র বিষণ্নতা গায়ে মেখে।
তুমি নিজেকে কেটেছো, রক্তাল্পনা দিয়ে নতুন নকশা করেছো সুন্দর)
ব্লগার আরজুপনি ঠিকই বলেছেন এই গল্প দিয়ে অনেকগুলো অসাধারণ কবিতার জন্ম দিতে পারে হাসান নিজেই
হাসান ভাই, আমি এম্নিতেই আপনার লেখার একজন গুনমুগ্ধ পাঠক, আজ এই লেখাটি পড়ে সেই মুগ্ধতা আরও পরিব্যপ্ত ব্লগ ছাড়িয়ে.......
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। অত্যন্ত আনন্দিত হলাম মন্তব্যে।
৬৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০১
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: হাসান ভাই মন্তব্য করার সাহস নাই... শুভ কামনা ভাই...
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। সাহস সঞ্চয় করে মন্তব্য করে যেও। শুভকামনা।
৬৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্পে আমার পছন্দের থিম ডার্ক আবহ। প্রতিবার পড়ার সময় নতুন নতুন চিন্তা মাথায় আসে।
খুব বেশী ডার্ক গল্প পড়েছি তাও বলবো না কিন্তু আপনার নির্দিষ্ট কয়েকটা গল্প বারবার পড়ি।
এটাও সেই তালিকায় নিয়ে নিলাম।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার ডার্ক গল্পগুলো পড়ার সুবাদে জানতাম যে এটি পছন্দ করবেন। অনেক ধন্যবাদ!
৬৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমি শুনতে পাচ্ছি ছোট্টবেলার গড়িয়ে চলা ছোট্টবল
কেমন করে আঘাত করে কেমনে ঝরায় চোখের জল
দেখতে পাচ্ছি হোঁৎকামুখো ব্যবসায়ীটার খুব তাগদ
হাসতে গিয়ে ফেলছি গিলে আনন্দ-হাসি সবই রদ
শুনতে পাচ্ছি বখে যাওয়া পাড়াতুতো ভাই পাড়ছে গাল
নিহিলাকে দেখে তারা বলেছিলো "এ দারুণ মাল!"
এসব শুনে, এসব দেখে করেছি আমি ভীষণ পণ
শোধটা এবার নিতেই হবে আর নয় যে স্মৃতি রোমন্থন।
[/sb
এই ছড়াটা গল্পের আমেজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ।
ডেস্পারেট বর্ণনাভঙ্গি , বিশেষ করে এই অংশ টা ত ভাল লাগছে -
আমার ছেলেবেলার প্রাচীন উত্যক্তকারীর কন্ঠে তীব্র শ্লেষ।
-আরে ঐ হুমুন্দির পুতের কবুতরের কইলজা। অয় বাইর হইবো বইলা মনে করসেন? ক্ষ্যাম নাই কুত্তার বাঘা নামও নাই। একটা হাড্ডি দিয়েন ডাস্টবিন থিকা কুড়ায়া ওরে খাইতে। দেইখেন হাভাইত্যা কেমনে গাপুসগুপুস কইরা খায়!
পাওনাদার সুযোগ পেয়ে তার নোংরা মুখটা খুলতে ছাড়েনা।
-টোটালি ওর্থলেস পিস ওফ শিট। ফাকিং এ্যাসহোলটা আবার আমাদের সাথে পাল্লা দিতে চায়। হোয়াট আ জোক
গল্পটা উপভোগ করেছি । এ ধরণের গল্পে আপনার সাবলীলতা টের পাওয়া যায় ।
ভাল থাকা হোক । শুভকামনা রইল হাসান ভাই ।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ। শুভকামনা।
৬৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: মাথা ঘুরতেছে...
বরাবরের মত দারুন লিখেছেন।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু তপন ভাই!
৬৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: *
মানে আবার পড়বো। একটানে পড়ে হচ্ছেনা। যদিও বুঝতে সমস্যা হয়নি।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশি বেশি পড়ো!
৬৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
নক্ষত্রচারী বলেছেন: সাইকোলজির এই রোগটা বিভিন্ন মুভিতেও দেখা যায়, একই ভাবে । এরকম থিমগুলো আমারও পছন্দের!
গল্প, কারুকাজ আর মেটাফর সবমিলিয়ে ভালই লেগেছে ।
শুভকামনা
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস রাফি। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আহহা বেচারা "আমি" !
নিহিলা নামটা পছন্দ হৈসে, নামের মধ্যে একটা সুন্দরী ভাব আসে ||