নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গালিব ভাইয়ের সাথে কোথাও যেতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। সেটা বিয়েবাড়ির মতো বিরক্তিকর কোন জায়গায় হলেও। তেল-ঝোল মাখিয়ে গলা পর্যন্ত গিলতে আমার আপত্তি নেই, শুধু একলা বসে একঘেয়ে সময় পার করাটাই যা হ্যাপা। তবে গালিব ভাই থাকলে সময়টা বেশ ভালোই কেটে যায়। এছাড়া বিয়েটা হচ্ছেও বেশ ঘরোয়া পরিবেশে, কোন কমিউনিটি সেন্টারে না। দোতলা বাড়ির ছাদে প্যান্ডেল টানিয়ে উচ্চশব্দে মাইকে গান বাজিয়ে একেবারে সনাতন মফস্বলী কায়দায় বিয়ে। স্বভাববশত গাঁইগুই করলেও শেষপর্যন্ত আপত্তি করার কোন কারণ খুঁজে না পেয়ে যেতে রাজী হই। এখন মনে হচ্ছে না এলে পস্তাতে হতো। অনেক চেনা মুখ, অনেক হারিয়ে যাওয়া মুখ, সবাই আনন্দনৃত্যে তৈরি করেছে জীবনের এক গতিময় প্রবাহ। ঢেউ আছড়ে পড়ছে আমার চোখের পাতায়, ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমায় দূরে। এই ঢেউ আনন্দের, স্মৃতিময়তার, মৃত্যুমুখী সম্পর্কগুলোকে বাঁচিয়ে তোলার। সমুদ্রের নিয়ম মেনে চলা এই ঢেউ জোয়ারের মত এসেছে, খুব বেশি সময় থাকবে না জানি। আবার ভাটার টান শুরু হবে। তাই আমি বিলম্ব না করে আনন্দস্নানে মেতে উঠি। তবে যার কল্যাণে আমার এখানে আসা সেই গালিব ভাইকে এসবকিছুতে মোটেই উৎসাহী মনে হচ্ছে না। কোথাও যাবার তাড়া আছে তার হয়তো।
-রেজা, তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়ে চলো বেরুই।
-কেন ভাই! থাকি কিছুক্ষণ। সবাই আসছে, মজা লাগতেছে।
-তুমি থাকলে থাকো, আমার কাজ আছে।
-আজকের দিনটার জন্যে কাজ বাকি রাখা যায় না একটু?
-না। জরুরী কাজ। আচ্ছা আমি গেলে সমস্যা কী! তুমি তোমার মত করে মজা করো, অসুবিধা তো নাই!
অসুবিধা নেই কথাটি সাদাচোখে সঠিক মনে হতে পারে, গালিব ভাই চলে যাবেন, আমি আমার মতো করে আনন্দ করবো, গান গাইবো, কবজি ডুবিয়ে খাবো কেউ তো বাগড়া দিতে আসছে না! কিন্তু আমার অনুসন্ধিৎসু মন একটু নিরীখের অভিপ্রায়ে গালিব ভাইয়ের পিছু নিতে চাইলো কেন যেন। অনেকদিন পর জোয়ারের জলের স্পর্শ পাবার পর ভাটার কথাটাও মাথায় রাখা উচিত। আর কে না জানে ভাটার সময় সমুদ্রে অবস্থান করা বিপদজনক। ভাটার টানে ভেসে গিয়ে দুদিন পরে কলেজছাত্রের লাশ ভেসে ওঠার খবর এই তো সেদিনই পড়লাম পত্রিকায়। গালিব ভাই চলে যাবার উপক্রম করলে একটা তীব্র টানের ভাটার অবশ্যম্ভাবী আগমন অনুভব করছিলাম। বিপদজনক ভাটা। একেকজনের মনের সমুদ্র একেকরকম। জোয়ার-ভাটার হিসেবও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। তাই আমার পায়ের নিচ থেকে পানি সরে যাওয়া, বালু দিয়ে পায়ের পাতা ঢেকে যাওয়া অনুভব করলেও অন্যরা দিব্যি জোয়ারের জলে নিজেদের ভাসাতে থাকলো। গালিব ভাইয়ের ভেসে যাবার দিকে তাদের কোন খেয়ালই নেই। যেন তারা চায় এমনটা হোক। কেন তারা চায় আমি বুঝতে পারি না। শুধু তাকে আটকে রাখার প্রবল ইচ্ছেটাকে স্বাগত জানাই।
-থাকেন না আর কিছুক্ষণ! কাজ একটু পরে করলে কী হয়!
-আরে তুমি বুঝতেসো না, এটা অনেক টাকার ব্যাপার। বিরাট লস হয়ে যাবে আমি সময়মত না গেলে।
গালিব ভাইকে আমার অচেনা লাগে। এই গালিব ভাই একসময় পরীক্ষার আগের রাতে সিনেমা দেখতে গিয়ে ধরা পড়ে কাকার বেধড়ক পিটুনির পরেও দাঁত কেলিয়ে হাসতো। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে গিয়ে প্রিয় দলের পরাজয়ে বুক ভাসিয়ে কাঁদতো। আমাদের সকল তুতো ভাই-বোনদের এক সূতোয় গেঁথেছিলেন তিনি। বয়েস ত্রিশ পার হবার পরেও তার ভেতরকার ছেলেমানুষী মনটা উজ্জীবিত ছিলো সবসময়, বয়সের সাথে সাথে তা আরো পরিশলীত এবং নতুন আঙ্গিকে সবাইকে স্নেহাঞ্চলে ঢেকে রাখতো। তিনি কবে থেকে এমন কাটখোট্টা হয়ে গেলেন? কবে থেকে এমন নিরেট বস্তুবাদী হলেন? কবে থেকে আনন্দের চেয়ে টাকা পয়সা তার কাছে জরুরী হলো?
নাহ, তাকে যেতে দেয়া যায় না। তাকে চলে যেতে দিলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আমি দেখতে পাচ্ছি লাইফগার্ডেরা তেড়ে আসছে হুইসেল বাজিয়ে। আনন্দসমুদ্রে স্মৃতিস্নান রহিত করার জন্যে সাইরেন বেজে চলে তাড়স্বরে।
"উঠে পড়েন, উঠে পড়েন! এই সময় সমুদ্রে থাকা নিরাপদ না। বিপদজনক। উঠে পড়েন উঠে পড়েন!"
আমি যেন চোরাবালির ভেতরে আটকে পড়েছি, হাঁসফাঁস করতে থাকি, গালিব ভাইকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে স্রোত...
"এই, থামো সবাই! গান বন্ধ করো। পরে নেচো। গালিব ভাইকে বাঁচাও আগে"
চিৎকার করে উঠি আমি। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তাদের উৎসবের তান্ডব আরো বেড়ে চলে। আমার সবকিছু অসহ্য লাগতে শুরু থাকে, বিপন্নতার বোধ গ্রাস করে আমায়। আমি নৃত্যরতা কাজিনের বগলের তলা দিয়ে, গান গাইতে থাকা আত্মীয়াকে ধাক্কিয়ে, বোর্ডগেমে ব্যস্ত ছোকড়াদের গুটি এলোমেলো করে আর কয়েকটা বেলুন পা দিয়ে দলে গালিব ভাইয়ের পিছু নেই। আঁকড়ে ধরি তার কাঁধ।
-আপনি তাহলে যাবেনই?
-হ্যাঁ যাবো। কেন কী হয়েছে তোর?
খুব প্রগলভ অবস্থায় থাকলে গালিব ভাই আমাকে তুই করে বলেন। আমি আশা ফিরে পাই আবার। হয়তো তাকে ফেরানো যাবে। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করি,
-আপনি চলে গেলে আমার ভালো লাগবে না মোটেও। আমাদের কারোরই ভালো লাগবে না। ডোন্ট বি সাচ আ স্পয়েলস্পোর্ট!
আমার কথা তার কানে যায় কী যায় না, তড়িঘড়ি করে ঘড়ি দেখে যবার চুড়ান্ত প্রস্তুতি নেন তিনি।
-নাহ বড্ড দেরী হয়ে গেছে।
আমিও বুঝতে পারি বড্ড দেরী হয়ে গেছে। গালিব ভাই চলে যাচ্ছেন ভাটার টানে। এত দূরে, যেখানে লাইফগার্ডরাও যেতে সাহস করবে না। কে বাঁচাবে তাকে? উজবুক কাজিনেরা সব মূর্খের মত নেচেই চলেছে এখনও। আমাকেই উদ্যোগ নিতে হবে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে। প্যান্টের ভেতরে গোঁজা বাকানো ছুরিটা বের করি আমি। প্রয়োজন হবে মনে করে নিয়ে এসেছিলাম উৎসবমন্ডপ থেকে। প্রয়োজন হচ্ছে এখন। গালিব ভাইকে বাঁচাতে প্রচুর রক্ত দরকার। অন্য কারো রক্ত দিয়ে হবে না। তার নিজের রক্ত চাই। যে রক্ত শীতকালের সরিসৃপদের মত জমে গিয়েছিলো, শীতল হয়ে গিয়েছিলো, সেই রক্তকে একটু উষ্ণতার ছোঁয়া আমিই দিতে পারি। তার গলা বরাবর ছুরিটা চালিয়ে দিলে রক্ত বেরুতে থাকে সুন্দর ধারায়। তাকে আর টেনে নিতে পারেনা ভাটার জল। রক্তদেয়ালে বাধা পেয়ে ফিরে যায়। তার দেহটা কাঁধে করে আমি উৎসবস্থলে উপস্থিত হই।
-এ্যাই তুই কী করেছিস! মেরে ফেলছিস গালিব ভাইকে!
আর্তনাদ করে ওঠে তার সহোদর ছোট ভাই।
-না মেরে উপায় ছিলো না। এটা অবশ্য এক রকমের বাঁচিয়ে তোলাই। সে ভেসে যাচ্ছিলো ভাটার স্রোতে। তোরা তো কেউ খেয়াল করিস নি তখন, এখন খামোখা বিতন্ডা করছিস!
-করবো না? সে যাচ্ছিলো টেন্ডার সাবমিট করে একটা বিশাল দাঁও মারতে। আমরা সবাই লালে লাল হয়ে যেতাম। আর তুই তাকে মেরে ফেললি!
-তোদের কম আছে নাকি! ব্যবসায় নামার দুই বছরের মাঝে পাঁচতলা বাড়ি উঠিয়ে দিয়েছে, আরো দিতো ধীরে ধীরে। এত তাড়াহুড়ো কেন? এত লালচ কিসের? আজকে এই উৎসবের দিনেও তোরা তাকে একটু কাছে থাকতে দিবি না? কতদিন পরে আমরা এক হলাম বলতো?
আমার কম্পিত গলার আবেগ তাকে আরো শোকাতুর এবং হিংস্র করে তোলে। জিঘাংসু কন্ঠে তার অন্যান্য ভাই-বোনদের ডেকে ঘটনা বিবৃত করে আমাকে আক্রমনের মাধ্যমে প্রতিহিংসা চারিতার্থ করারা আহবান জানায়। তারা সক্রোধে চিৎকার করে গালিব ভাইয়ের নিথর দেহটা মাড়িয়ে আমার পিছু ধাওয়া করে। কারো হাতে বটি, কারো হাতে ছুরি, সবার কাছেই ধারালো সব অস্ত্র। সম্ভাব্য অর্থপ্রাপ্তির সুফলা ক্ষেত্রটি বিনষ্ট হবার শোকে তারা হাহাকার করে ওঠে। তবে আমার সাথে দৌড়ে তারা পেরে ওঠে না। হয়তোবা অধিক আনন্দ উদযাপনের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো। সহজেই তাদেরকে নাগালের বাইরে ছিটকে দিয়ে আমি একটা রিকশায় উঠে হুড তুলে দেই। ব্যস, নিরাপদ এবার!
রিকশাঅলা আমার পরিচিত। ছোটবেলায় আমাকে স্কুলে নিয়ে যেতো।
-কী হইছে, হাঁপাও কেন?
-খুন করছি চাচা। গলায় ছুরি চালায়া দিছি। ওরা আমার পিছু ধাওয়া করতাছে।
-কিয়ের খুন করলা, কারে খুন করলা? কোন শব্দ পাইলাম না তো।
-এইগুলা নিঃশব্দ খুন চাচা। সবাই শুনতে পায় না এই আর্তনাদ।
-হ! আমারে শিখাও তুমি। আমি সাউন্ড না হইলেও সব শুনবার পারি। কারে খুন করছো, গালিবরে?
-আপনে কেমনে বুঝলেন?
-তুমি যে অরে খুন করবা এইটা অনেকদিন আগে থিকাই বুঝতাসিলাম। ছোটবেলা থেইকা তোমগো দেইখা আইতাছি। এরকম কতো খুন-খারাবি দেখলাম!
-এখন আমার কী হইব চাচা? আমারে এই এলাকা থিকা বাইর করেন। ডেঞ্জারাস জায়গা এইডা। ওরা ওৎ পাইতা আছে। প্রতিশোধ নিবেই।
-আমি তো এই এলাকা ছাড়া অন্য কোন জায়গা চিনি না।
-কী কন?
-চিনতাম, তয় ভুইলা গেসি। বয়স হইছে না? বয়স হইলে মাইনষে অনেক কিছু ভুইলা যায়। নতুন কিছু মনে রাখতে পারে না। তাই চেনা জায়গাতেই ঘুরঘুর করতে থাকে। বয়স হইলে মানুষ ভীতু হয়া যায়। গালিব তোমারে ভয় পাইতো। তাই তোমার কাছ থিকা পালাইতে চাইতো।
-আমারে ভয় পাইতো!
-হ। তোমার মাঝে সে নিজেরে দেখতে পাইতো। তুমি ছিলা আয়নার মতো। নিজেরে দেইখা সে ভয় পাইতো। সে বুঝবার পারছিলো যে আগের মতো হইতে পারবে না কখনও। অবশ্যি আর কেউ তাকে আগের মত চাইতোও না। তুমি চাইতা। তাই সে পালাইতো।
-একসময় আমিও কারো কাছে এমুন হয়া যামু। তখন সে আমারে খুন করতে চাইবো! আচ্ছা সেটা পরে চিন্তা করা যাইবো। আপনি আমারে বর্তমান বিপদ থিকা রক্ষা করেন। ওরা আইবো আমারে ধরতে। খুন করতে।
-ওরা কেউ আইবো না। ওরা জানে যে তুমি বেশিদূর যাইতে পারবা না। আটকা পড়বা এই এলাকায়। আমার রিকশায়। যতক্ষণ ঘুরতে ইচ্ছা করে ঘোরো। কিন্তু একসময় তো ফিরতে হইবো ঘরে, তাই না? তোমার বাসার সব মানুষ এখন ওই বিয়াবাড়িতে। তোমার না ফিরা উপায় কী?
-ধুরু বুইড়া, তুমি বড় বেশ ফাউ প্যাচাল পারো! নামায় দাও আমারে রিকশা থিকা!
বুড়োর এত শক্তি এলো কোথা থেকে! সে তীরবেগে রিকশা চালাতে থাকে। প্রমত্ত গতিতে অতিক্রম করে পাড়ার অলিগলি, পথঘাট। সন্ধ্যাবাতির আলোয় তার পিঠে অলীক ছায়াচিত্র তৈরি হয়, দৃশ্যগুলো আমার কাছে অশ্লীল লাগলেও আমোদ পেয়ে দূর থেকে সিটি বাজায় বিয়েবাড়ির স্বজনেরা। ওরা আসছে! আমি রিকশা থেকে নেমে পড়ার চিন্তা স্থগিত করে দেই। এই যানটার মত দ্রত ছোটা আমার পক্ষে সম্ভব না।
সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি আমার রিকশাভ্রমণ চলতে থাকে পলায়নের নিমিত্তে। পালানো হয় না আমার। বারবার আটকে দেয় মধ্যরাতের ট্রাফিক পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে রাখে প্রতিটি প্রস্থান পথে। টলতে টলতে টহল দেয় পাড়ার ডেঁপো ছেলেরা। চক্র তৈরি করে আমাকে আটকে রাখে। একসময় আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার অনুভূতি পরাজিত হয় ক্ষুধার কাছে।
-রিকশাটা থামান চাচা। কোথাও নাইমা কিছু খায়া নেই।
-কোথায় নামবা তুমি? সব দোকান বন্ধ। এত রাতে কেউ ব্যবসা খোলা রাখে নাই আমি ছাড়া।
-আমারে আপনার বাসায় নিয়া যান। আপনার কাছে যা আছে তা দিয়া দুইমুঠ খায়া প্রাণডা বাঁচাই।
-ঘরের মানুষের কাছে ফিরা যাও বাবা। পরের মাইনষেরে বিশ্বাস নাই।
-কী যে কন চাচা! আপনি আবার পর হইলেন কবে থিকা! নিয়া যান আমারে আপনের বাসায়।
-আমার বাসায় যা আছে তা তোমার ভালা লাগবো না।
-আরে চলেন তো চাচা!
সে স্মিত হেসে রিকশার গতি কমিয়ে দিক পরিবর্তন করে। পাড়ার এ অংশে আমি কখনও আসি নি। বড্ড অপরিচিত ঠেকে সবকিছু।
-আস্তে আসো। পা পিছলাইবা।
-এই জায়গায় আমি তো আগে কখনও আসি নাই চাচা!
-চেনা জায়গাই। হয়তো খেয়াল করো নাই।
শ্যাওলা জমে পিছল হয়ে আছে পথ। দেয়ালে মাকড়সাদের অবাধ যাতায়াত। অত্যন্ত নোংরা পরিবেশ। গা গুলিয়ে আসে এখানে খাবার কথা ভাবলে। কিন্তু কিছু তো খেতে হবে! বিয়েবাড়িতে ফিরে যাবার প্রশ্নই আসে না। ওরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে কাটবে। বারবার পিছলে পড়ে পথ চলতে থাকি আমি। পথ আর শেষ হয় না। বোঁটকা গন্ধে দমবন্ধ হয়ে আসে।
-আর কতদূর?
-পথ ভুইলা গেছি!
-মানে!
-মানে কী! তোমারে কইছিলাম না, বুড়া বয়সে কিছু মনে টনে থাকে না। স্মৃতিনাশ হয়।
-তাই বইলা নিজের ঘর ভুইলা গেছেন?
-আমার ঘর নিয়ে এত দরদ কিল্লিগা তোমার? সারাজীবন তো রিকশায় চড়ছো, কখনও আমার ঘরে আসছো? খবর নিছো? এটা নিয়া আমার কোন অভিযোগ নাই। না নেয়ারই কথা। আর আমার মতো মানুষের ঘর থাকাও যা না থাকাও তা। তাই মনে রাখার চেষ্টাও করি নাই। যাদের ঘর থাকা দরকার তাদের ঘরে পৌঁছায় দেয়াই আমার কাম। চলো। ওঠো।
সে আমাকে হাত ধরে টেনে তোলে শ্যাওলাবাগান থেকে।
-আমাকে কোথায় নিয়া যান?
*
বিয়েবাড়ির তীব্র রঙিন আলোয় শুকিয়ে গেছে গালিব ভাইয়ের রক্ত, বাস্পীভূত হয়ে গেছে তার দেহ। তার চিহ্নটি কোথাও নেই। শুধু জেগে আছে তার স্বজনেরা রক্তের পিপাসা নিয়ে। আমাকে দেখে তারা হুল্লোড় করে ওঠে তারা।
-কী রে এতক্ষণে আসলি? তোর জন্যে খাবার রেখে দিয়েছি। খেয়ে নে।
তাদের কথার আন্তরিকতা আমাকে বিস্মিত করে।
গালিব ভাইয়ের বাবা কাছে এসে আমাকে আদর করে বসান। খাবারের তদারকি করতে থাকেন। ক্ষুধার্ত আমি গোগ্রাসে গিলে চলি অন্যসব চিন্তা বাদ দিয়ে। খাবারটা বড় চমৎকার হয়েছে।
-আর কিছু লাগবে তোমার?
-আমি নিয়ে নিয়ে খাবো। আপনি কিছু চিন্তা করবেন না!
-খাও।
-রেজা তোর খাবার হলে একটু চিলেকোঠার ঘরে আসিস তো। কথা আছে।
গালিব ভাইয়ের ছোটভাই আমাকে বলে।
-কী ব্যাপার?
হাতমুখ ধুয়ে আয়েশ করে একটা পান চিবুতে চিবুতে তার কাছে যাই আমি।
-খুব ঘরকুনো হয়ে গেছিস তুই। ঘর ছাড়া থাকতে পারিস না একদম। ভালো। আমরা জানতাম তুই ফিরে আসবি। তাই আর পরিশ্রম করি নি অযথা। এটা ভাঙনের সময় ভ্রাতা! একান্ন কেটে সতের। সতের কেটে সাত। এসময় এমন গোঁয়ার আবেগে কাউকে ধরে রাখতে চাওয়াটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। আনন্দ ভালোবাসা আর বিষয়বুদ্ধিকে একসাথে জড় করলে ভজঘট ছাড়া কিছু হয় না।
আমার গলায় ধাতব ফলার শীতল স্পর্শ অনুভব করি।
-আমাকে আরেকবার সুযোগ দে!
-তুই গালিব ভাইকে সুযোগ দিয়েছিলি?
-সুযোগ দেয়ার সুযোগ পাই নি। অত সময় ছিলো না।
-এক্সাক্টলি! আমাদের সময়ের বড়ই অভাব! আর সত্যি কথা বলতে কী, বড় হয়ে ওঠা পরিবারের বৃদ্ধি রোধে তোর প্রচেষ্টা ভালো ছিলো। এপ্রিসিয়েটেড। সেই একই কাজ আমি করবো এখন।
-তাড়াতাড়ি করো ভাইয়া, গালিব ভাইয়ের জায়গায় তোমাকেই তো যেতে হবে।
পাশ থেকে তাগাদা দেয় একজন।
চামড়া কাটার শব্দে রিকশাঅলা বুড়োটা ঘুম থেকে উঠে মাথা নাড়ায়, সবকিছু ঠিকঠাকমত চলছে দেখে আশ্বস্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে আবার।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই মাসে পাঁচটা গল্প দিলাম। রেকর্ড!
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
বোকামন বলেছেন:
টগবগ করা রক্তের শত্রু শীতল ক্রোধ !
ডার্ক টোন আপনার লেখনীর অলংকার। উপমা, ছন্দোবদ্ধ বাক্য থাকা স্বত্বেও সাবলীল এগিয়ে চলা। মুগ্ধতায় ভারী হই...।
আপনি নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কবিতা লিখেন !
এখন পর্যন্ত পড়ার সুযোগ হয়নি আমার
ভালো থাকুন লেখক।।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: কবিতা একসময় লিখতাম। এখনও মাঝেমধ্যে গল্পের সাথে জুড়ে দেই!
অনেক ধন্যবাদ! শুভবৃষ্টিদিন।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
তালেব মাষ্টার বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়লাম
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
এটা একবার পড়ে হবে না। আবার পড়ি। তয় একটু বুঝায়া দিয়েন, মাথার র্যাম আজকাল কাজ করে না!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা!
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: প্রিয়তে নিয়া রাখলাম পরে পরমুনে।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে।
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
বার দুয়েক আবার পড়তে হবে :!>
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ুয়া ছাত্র!
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
একজন আরমান বলেছেন:
পটভূমি আর লেখনি দুটোই চমৎকার। কেমন একটু ঘোরের মধ্যে ছিলাম।
গোঁয়ার আবেগে মানে কি?
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস আরমান।
গোঁয়ার আবেগ মানে জেদ ধরে থাকা দৃঢ় আবেগ।
৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: হামা ভাই একবার পড়লাম তবে এখনো এন্টেনা পুরোটা ধরতে পারে নাই... আরেকবার ট্রাই করে দেখতে হবে
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে রোমাস। শুভেচ্ছা।
৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নাইস!
ঘুম থেকে উঠে ঘোরে থাকা অবস্থায় পড়ায় মনে হয় বুঝতে পারসি, ঘোর ছাড়া অবস্থায় এসব লিখা বুঝা মুশকিল।
শেষের ২ লাইন তো চমৎকার লাগসে ||
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। এই গল্পটা আজকে স্বপ্নে পাইসি। ঘোর ভাঙার আগেই লিখে ফেলসি। শেষ দুই লাইনের জন্যে অনেক ভাবতে হইসে।
১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
গোর্কি বলেছেন:
-আবর্তনশীল বৃত্তস্থ চক্রে ঘুরপাক খেয়েই চলেছি।
-খুনের বদলে খুন! জিঘাংসা, আত্মতৃপ্তি; সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে পড়ে।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস গোর্কি। শুভকামনা রইলো।
১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: গল্প প্রতীকি ভাব নিয়ে এগিয়েছে। সাসপেন্স বোধহয় আপনার অন্তর্গত রক্তে মিশে আছে। সব কিছু মিলিয়ে মিশিয়ে চমৎকার। ধরা যাক দু-একটা ইদুর এবার।
আমার যে কেবল আসে তা না। হুমায়ূন আহমেদের ও আসতো।
রেকর্ড যে করে রেকর্ড ভাঙার দায়টা তারই থাকে বেশি। আশা করি আপনি এই রেকর্ডও ভাঙবেন।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধরা যাক দু-একটা ইদুর এবার- চমৎকার একটা ডায়ালগ। কোন বইয়ের যেন, ভুলে গেছি। রেকর্ড ভাঙার ইচ্ছা আছে। আপনাকেও চাই পাঠক হিসেবে সবসময়।
শুভকামনা।
১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর লেখা ,শুভকামনা
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা। শুভেচ্ছা।
১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: লৌমহর্ষক। ব্লগে এমন গল্প বোধ হয় প্রথম পড়লাম।
লেখককে শুভেচ্ছা
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে! আমার পুরোনো গল্প পড়লে এমন লেখা পাবেন। সামনেও আশা করি দিতে পারবো। কিপ ইন টাচ!
১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৪
সায়েম মুন বলেছেন: এই জগতে এটাই বোধয় নির্ধারিত নিয়তি!
আপনার অন্যান্য গল্পের তুলনায় এই গল্পটা অনেক সরলতর। এবং তড়তড় করে পড়ার মত। একটানে পড়েছি। খুব ভাল লেগেছে।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! আজকে ভোরে দুঃস্বপ্ন দেখার ফল।
১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: পরাবাস্তব ভালো লাগা!!!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগসে কমেন্ট। অনেকদিন পর একদম বেসিক সুররিয়ালিজম নিয়ে পুরো গল্প লিখলাম। থেংকু।
১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৫
সায়েম মুন বলেছেন: তাও ভাল একটা দু:স্বপ্ন দেখেছেন। নাইলে কি আর এরকম গল্প পাওয়া যেত। আপনার এই গল্পটা ফেসবুক লিংক থেকে মোবাইল থেকে পড়েছি। বহুদিন পর এই প্রথম একটা আস্ত গল্প মোবাইল থেকে পড়া। পড়েই ঘুমাইছিলাম কিছুক্ষণ। কিন্তু কোন স্বপ্নটপ্ন তো দেখলাম না। তবে একটা বিষয় বুঝলাম। মোবাইল থেকে আপনার গল্পে বেশী করে মনোযোগ দেয়া সম্ভব। যা কম্পু থেকে কিছুটা কঠিন।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: দুঃস্বপ্ন আসলে ফাইন জিনিস। আমি বেশ কিছু গপ্প লিখছি দুঃস্বপ্ন দেইখা। মুবাইল থিকা ঠেকায় না পড়লে ব্লগে ঢুকি না। ছোট স্ক্রিন বিরক্তিকর
১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: বরাবরের মতই কিছুই বুঝি নাই !!
সারমর্ম টা একটু বলেন দেখি !!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা আসলেই কিছুটা জটিল হয়ে গেছে।
এই গল্প মূলত সম্পর্কের ভাঙনের, মরচে ধরা শ্যাওলা জমা স্মৃতির ঘরের, নতুনের আবাহনে পুরোনো প্রতাপকে ছুড়ে ফেলার। গল্পের কথক চরিত্র একান্নবর্তী পরিবারের ছেলে। তার সবচেয়ে কাছের জন ছিলো গালিব ভাই। বিয়ের অনুষ্ঠানে তার প্রত্যাশা ছিলো গালিব ভাই সবাইকে মাতিয়ে রাখবে সহজাত চপলতায়, কিন্তু তার মধ্যে পরিবর্তিত বস্তুবাদী মানুষটাকে দেখে সে মেনে নিতে পারে না। খুন করে ফেলে। অন্যদের কাছে গালিব ছিলো প্রয়োজনের উপাদান, তার সহজাত প্রগলভতা গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছিলো সবার কাছে। গালিবের কাছ থেকে টাকা পেয়েই তার খুশি। তাই গালিবের মৃত্যুতে তারা শোকাহত এবং ক্রুদ্ধ হয় এবং প্রতিশোধ নেবার পরিকল্পনা করে। তবে তাদের তাড়া ছিলো না কোনো। কারণ সংসারে যারা এসব বিষয়ে মানিয়ে নিতে পারে না, ভাবালুতায় ভোগে, স্মৃতি আর সম্পর্কের গোলকধাঁধায় ঘুরে তাদের শেষমেষ ফিরে আসতেই হয়, সমর্পিত করতে হয় নিজেকে উচ্চাকাঙ্খার ধারালো অস্ত্রের কাছে।
একটু ক্লিয়ার হইসে?
১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: হুম ! সরমর্ম পড়ে আবার গল্পটা পড়লাম ! এবার মনে হয় একটু বুঝলাম ! আমার জন্য প্রত্যেক গল্পের শেষে এইভাবে একটু সারমর্ম লিখে দিবেন ! তাহলে অনেক সুবিধা হবে !
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সারমর্ম লিখে দিবো না। কোথায় সমস্যা হচ্ছে জানতে চাইলেই হবে। আর জটিলতা কিছুটা কমাবো পরবর্তী গল্পগুলোতে আশা করছি।
১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আপনারে অনেক ধইন্না সারমর্মটা দাওয়ার জন্য।
বুঝছি কিছুটা......
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু। শুভরাত।
২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
অনাহূত বলেছেন: পড়ে ফেললাম।
১৭ নং মন্তব্যের জবাবে সারমর্ম পড়েছি। ঠিক এমনই একটা চিত্র ভেসে উঠেছিল পড়ার সময়।
ভালো লেগেছে হাসান ভাই। অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়ে ব্যাক করলাম।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক অর্ণব। ব্লগে ভালো সময় কাটুক।
২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ব্লগে ঢুকেই নিজের পোস্ট নিয়ে বসব, অনেক কাজ বাকি । হঠাৎ মনে হল অনুসারিত ট্যাবে একটু ঢুঁ মেরে আসি । এসেই অবাক.. হামা ভাইয়ের লেখা এই মাসের পঞ্চম গল্প
"গল্প যদি শুনতে চাও, আমার কাছে এসো' গল্পে কিছু কথা বলেছিলাম, নিশ্চয়ই মনে আছে,,
কখনো হয়ত এরকম সময়ও আসে- যাকে বলা যায় লেখকদের জন্য স্বপ্ন সময় । লেখক যেভাবে গল্প লেখার স্বপ্ন দেখে, সেভাবেই গল্পের প্লটগুলো ধরা দেয় । মাথা থেকে ঝর্ণার স্রোতের মত গল্প বের হয় । গল্পের চরিত্র বা থিমগুলোকে ইচ্ছেমত ভাঙ্গাগড়া যায় । একটা গল্পকে ভেঙ্গে অনেকভাবেই লেখা হয়ে যায় ।
প্রার্থনা করি, প্রিয় গল্পকারের এই স্বপ্ন সময়, এই হানিমুন পিরিয়ড দীর্ঘ দীর্ঘকাল ধরে বহমান থাকুক । এই ম্যাচিউরড ফেজ, এই ইনোভেটিভ টাইমের গ্রাফ দীর্ঘকাল ধরে উর্ধ্বমুখী থাকুক ।
নতুন করে আর কিছু বলার নেই, শুধু হৃদয় থেকে শুভকামনা চাওয়া ছাড়া ।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই অভাবনীয় একটা মাস গেলো। রেকর্ড করে ফেললাম! যদি অখন্ড অবসর পেতাম তো আরো অনেক লিখতাম। এমন সময় আসবে জানি যখন অবসর থাকবে কিন্তু লিখতে পারবো না। অগাস্ট ২০১৩ এর স্বপ্নীল সময়টার সঙ্গী হওয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই!
২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০০
সুমন কর বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত।
২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৮
মাক্স বলেছেন: সে আমাকে হাত ধরে টেনে তোলে শ্যাওলাবাগান থেকে।
এইখানে শ্যাওলাবাগান এর কি কোন আলাদা অর্থ আছে? এই নামে আপনার একটা গল্পও আছে তাই মনে হইল আলাদা কোন কিছু মিন করসেন নাকি!
আমরা কোন কিছুরই তোয়াক্কা করি না, যেকোন একটা নিরাপদ উৎস আঁকড়ে ধরে আর্থিক নিশ্চয়তা নিশ্চিত করি। কারো মৃত্যু এখন আর আবেগতারিত করে না, চিন্তার মুখ্য বিষয় হয়ে উঠে তার মৃত্যুর সাথে সাথে নিশ্চিত অর্থের একটা উৎসের হারিয়ে যাওয়া।
অ টঃ সায়েম মুন ভাই যে বলসে ফোন থেকে আপনার গল্প পড়তে ভাল্লাগে তার সাথে আমি একমত। এইটা আপনার ২য় গল্প যা পিসি থেকে পড়লাম। ১ম টা ছিল সভ্যতাতারুয়া!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শ্যাওলাবাগান আগের গল্পে যে মিনিং ছিলো অনেকটা তাই। চার লাইনে গল্পের অনেকখানি তুলে এনেছেন। থেংকু।
ফোন দিয়ে গল্প পড়তে গেলে কেমন যেন লাগে প্যারাগুলা!
২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২
মাক্স বলেছেন: ২য় প্লাসটা আমি দিসি কিন্তু!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্লাসের এমন আকালে আপনার প্লাস আনন্দের সাথে গৃহীত হলো!
২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গালিব ভাই চলে যাবার উপক্রম করলে একটা তীব্র টানের ভাটার অবশ্যম্ভাবী আগমন অনুভব করছিলাম।
গালিব ভাই চলে যাবেন তার নিজস্ব প্রয়োজনে, এই প্রয়োজন হচ্ছে সংসার ধর্মের প্রয়োজন। সবাইকে নিয়ে স্বাভাবিক আনন্দের যে স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল তার মাঝে সেখানে আজ ভাটার টান। সংসার ধর্মে অধিক মাত্রায় ব্যস্ততার ফল হল অনেক স্বাভাবিক প্রবণতা, স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। নিজেকে গুটিয়ে রাখাই হল ভাটার টান। গালিবের এই ভাটার টান স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজার মধ্যেও ভাটার টান তৈরি করে। তবে দুজনের এই ভাটার মধ্যে ফারাক হল গালিবের ভাটার টান বস্তুতান্ত্রিকতার দিকে ভেসে যাওয়া, আর রেজার ভাটার টান গালিবকে হারানোর আসন্ন বেদনার দিকে।
তাই আমার পায়ের নিচ থেকে পানি সরে যাওয়া, বালু দিয়ে পায়ের পাতা ঢেকে যাওয়া অনুভব করলেও অন্যরা দিব্যি জোয়ারের জলে নিজেদের ভাসাতে থাকলো। গালিব ভাইয়ের ভেসে যাবার দিকে তাদের কোন খেয়ালই নেই।
না তাদের খেয়াল রাখার প্রয়োজন নেই তো। গালিব ভাটার টানে ভেসে যাচ্ছে বলেই তো আর সবাই জোয়ারের জলে ফূর্তি করতে পারছে। একজনের স্বাদ-আহ্লাদ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অন্যরা স্বাদ-আহ্লাদ অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু এটাই রেজার পছন্দ নয়। এমন আনন্দের দিনেও এমন সংসার-ধার্মিকতা তাকে ব্যথিত করে তোলে।
পরে গালিবকে ভাটার টানে হারিয়ে যেতে না দিয়ে তাকে হত্যা করে ধরে রাখাটা হচ্ছে প্রতীক। যে কোনো উপায়ে সে গালিবকে ধরে রেখেছে। উৎসব স্থলে গালিবের লাশ এনে ফেলার মানে হচ্ছে একদিনের জন্য হলেও বস্তুতান্ত্রিক গালিবের মৃত্যু ঘটিয়ে আগের গালিবকে হাজির করা। আর এতে অন্য সবাই ক্ষুব্ধ কারণ তাদের কাছে গালিবের উপার্জনটাই মুখ্য। তার উৎসবে অংশগ্রহণটা তাদের কাছে গৌণ।
অতঃপর রেজাকে হত্যা করে গালিবের কাছে পাঠানোর মানে রেজাকেও উৎসবে সামিল করা। গালিবকে উৎসবস্থলে পুনরায় নিয়ে আসায় সবাই যেহেতু ক্ষুব্ধ তাই রেজা সেখান থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। সে আবার ফিরে আসলে সবাই খুশি হয়ে উঠেছিল। এবং তাকেও গালিবের পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল। অর্থাৎ আনন্দ-উৎসবে মিশতে হয়েছিল।
আমার কাছে পুরো গল্পের সরল মানে এভাবেই ধরা পড়ল।
এটা ভাঙনের সময় ভ্রাতা! একান্ন কেটে সতের। সতের কেটে সাত। পুরো গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা এটা। এখানেই গল্পের বিষয়-বস্তুর ইশারা।
আপনার গল্প বুঝতে পারলাম কি না জানি না। তবে চেষ্টা করলাম।
শুভেচ্ছা....
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: পূর্ণপাঠ। অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বরাবরের মত চমৎকার লাগলো হামা ভাই! আপনার লেখায় কবিতার কিছু একটা থাকে, ভালো লাগে। আর পড়ে চিন্তা করতে বেশ কিছু, ভেবে গল্প উদ্ধার করতে হয়। পাঠকের জন্য এই ভাবনাটা আনন্দের!
শুভকামনা রইলো!
স্বপ্নিল সেপ্টেম্বরে ছয়টা গল্প আসুক!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছয়টা গল্পের থিম মাথায় আছে। সময় সুযোগ করে নামাইতে পারা নিয়ে কথা। হেভি লোড অফ ওয়ার্ক বাডি! চেষ্টা থাকবে। শুভকামনা সবসময়ের জন্যে।
২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
কয়েস সামী বলেছেন: এতো তাড়াতাড়ি আপনার আরেকটা গল্প দেখে অবাক হইসি। খুব ভাল লাগলো গল্পটা।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম ঘনঘন আপনাদের অবাক করতে পারলে খুশি হব। ভালো থাকবেন।
২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:
ইডা কি লিখলেন ভাই ! আপনার তুলনা কেবল আপনি ! আর ডার্ক ফ্যান্টাসিতে স্নিগ্ধ কিছু ফুটিয়ে তুলতে আপনার তুলনা নেই !
বদলে যাওয়া মানেই তো ভেতরের মানুষটার মরে যাওয়া ! আমার কাছে এমনটাই মনে হয়েছে গল্পের মোটিভ ! জীবনের উপর দিয়ে যত ঝড় ঝাপটা যাক না কেন নিজেকে বাচিয়ে রাখতে হবে নিজের মত করে !
প্লাস নেয় না সামু তাই দিলাম না !
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস অভি। প্লাস নিয়া ঝামেলায় আছি। মাত্র দুইটা প্লাস। তাও ভালো দুইটা পাইছি।
শুভসকাল।
২৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
++++++ রইল। বুঝে নিয়েন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অদৃশ্য প্লাস বুঝে নিলাম!
৩০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন যে আপনার অনুসারিত ট্যাব কাজ করছে। এবং ফিরে এসেই গল্প। সুন্দর উপহার।
হাসান ভাই, অল্প যা বুঝি তাতে আমার কাছে আপনার গল্প লেখার যে পরীক্ষামূলক ধারা সেটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে। যেমন গত লেখাগুলোর তুলনায় এটা বেশ সহজ ভাবেই লিখেছেন, যদিও ভেতরের সারমর্ম খুব সহজবোধ্য নয়। এটাই লেখার অলংকার। আসলে প্রকৃতসাহিত্যবোদ্ধারা একটানে পড়ে অনেক মজা পাবে আপনার লেখাগুলো। আর সাধারন পাঠক আপনার গল্প পূর্ন মনযোগ দিয়ে পড়তে বাধ্য। অর্ধেক পড়ে চোখ বুলিয়ে ভালো মন্দ বলা আপনার গল্পে সম্ভব নয়।
এই মাসে আপনার অনেকগুলো লেখা পেলাম। মামুন ভাইকে অনুরোধ, আগামী মাসের গল্প সংকলন আপনাকে যেন উৎসর্গ করে।
আর গল্পের ব্যাপারে কি বলব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। গল্পটা পড়ে নিজের মাঝে কেন যেন কিছুটা গালিবের ছায়া পেলাম। মুক্তি অপেক্ষা কি? খুন। হয়ত সেই অপেক্ষায়।
ভালো থাকুন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস কাভা। আমরা প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছি, খুন করছি, খুন হচ্ছি। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। যারা এতে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না তাদের বড় বিপদ। গল্পের কথকের মতো।
শুভসকাল।
৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৮
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
আমার এখানে এখন সময় রাত ১ টা; এরকম গল্প পড়ার উপযুক্ত সময়!!
পড়লাম, এবং আবারও মুগ্ধ হলাম.........
শুভকামনা হাসান ভাই।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার হরর ফ্লেভার আশা করি রাতকে একটা শিরশিরে অনুভূতি দিয়েছিলো।
শুভকামনা।
৩৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৩
আরমিন বলেছেন: ভালো লাগছে!
ভেবেছিলাম প্লাসের আকালে তিন নাম্বার প্লাস টা আমার হবে, কিন্তু প্লাস বাটনে মনে হয় কোনো সমস্যা হইছে, প্লাস বাটনে ক্লিক করার পর থেকে তা কেবল ঘুরতেই আছে , ঘুরতেই আছে!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস আরমিন। প্লাস নিয়া আর কী কমু!
৩৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: খুব ভালা করে গপটা ধরতে পারি নাই, তয় রেজা যে আবার ফিরে আসবে সেটা বুঝছিলাম
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৩৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: দারুণ এক আবেশ তৈরী হইছে ভাই গল্পে। এককথায় দারুণ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু স্বপ্নবাজ। স্বপ্নকাল দীর্ঘ হোক।
৩৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
একবার পড়লাম।
আয়ত্তে আসে নাই।
আবার পড়বো।
সামু পড়া যাচ্ছে, মন্তব্য করা যাচ্ছে, এই জিনিস ও বহুদিন পর
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, সামু কয়েকদিনের গোলযোগের পর ধীরে ধীরে লাইনে আসতেছে। শুভেচ্ছা দূর্জয়।
৩৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
রাশেদ অনি বলেছেন: মোটামুটি দীর্ঘ,কিন্তু এক নিঃশ্বাস এ পড়ে নিলাম। আমার কাছে ভাল লেগেছে ভাইয়া।আমার ১ম মন্তব্য টা আপ্নাকেই করলাম ভাইয়া। ++++++
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! স্বাগতম আমার ব্লগে।
৩৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
টুম্পা মনি বলেছেন: আজ দুপুরে পড়েছি। অসাধারণ। অবশ্য আপনি সব সময়ই অসাধারণই লেখেন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ সবসময় ভালো লিখি না। এটা রেয়ার ঘটনা। তবে শুইনা ভালো লাগসে। থিংকু টুম্পা।
৩৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
টুম্পা মনি বলেছেন: মুস্ট ওয়েল কম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: গুড নাইট!
৪০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১
প্যাপিলন বলেছেন: গল্প পড়া গড়ানোর সাথে সাথে কাল্পনিক চিত্রায়নে ঢুকে পড়ি...আর পড়া শেষ হলে বাস্তব জীবনচক্রের সাথে মিলিয়ে রিক্সাওয়ালার মতোই আশ্বস্ত হই....সব কিছু ঠিকঠাক চলছে.......
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা ঠিকঠিক ভুলপথ চিনে ফেলি আর আশ্বস্ত হই...
৪১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
গল্পের মাঝামাঝি একটি অংশে এসে রেজার গালীব ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসাটার চমৎকার প্রকাশ পায়... সে গালীব ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক কিছুর প্রত্যাশা করে, বিশেষ করে তার আন্তরিক বা মজাদার সঙ্গ...
কিন্তু সে হতাশ হয়, গালীব ভাইকে হারানো বা তার সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হবার ভয় অথবা হতাশায় আক্রান্ত হয়... এর পরের দৃশ্যগুলোকে আমি স্রেফ স্বপ্ন ভাবতে পারি বা চেতন অথবা অবচেতন মনের খেয়াল বলতে পারি...
গল্পটা অনেক প্যাঁচের মধ্যে থাকলেও... সেই অংটিতেই সব পরিষ্কার হয়ে গ্যাছে আমার কাছে...
লিখাটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে... একজন ভালোবাসার মানুষকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে ফেলার ভাবনা/ভয় থেকেই লিখাটি... আমার তাই মনে হলো... এরকম প্রিয়জন আমাদের প্রায় সবারই থাকে... যাকে আমরা সব সময়ই নিজেদের আনন্দ বা ব্যথার সময়ে প্রত্যাশা করি...
শুভকামনা...
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিবিড় পাঠের জন্যে অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য। যে অংশটুকু স্বপ্ন বা অবচেতন বলছেন তাও আসলে একপ্রকার বাস্তবতা। গল্পের বাস্তবতা। অধিবাস্তব। আমাদের অপ্রকাশিত বাস্তবকে গল্পে প্রকাশ করার একটি কৌশল।
শুভেচ্ছা।
৪২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০
মৌ রি ল তা বলেছেন: রিকসা :p
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৪৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আধাঘন্টা ট্রাই কৈরাও প্লাস দিতে পারলাম্না।
মুডটাই নষ্ট কৈরা দিলো! গল্প আবারো পড়বো। আপাতত হাজিরা দিয়ে গেলাম। সায়েম মুন কিন্তু ঠিক কথাই বলেছেন!! জিনিশটা সত্য!!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুনাপুর সাথে দেখি সবাই একমত হৈতাছে। ঘটনা তাইলে সইত্যই
৪৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
আম্মানসুরা বলেছেন: গল্প পড়ে যত না বুঝেছি তার চেয়ে বেশী বুঝেছি মন্তব্য গুলো পড়ে। প্লাস কাজ করে না।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ আম্মানসুরা। শুভসন্ধ্যা।
৪৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সীমিত সময়ের মাঝে অনেকগুলো গল্প পড়ছি, তাই ফাঁকিবাজি কমেন্ট করতে হচ্ছে।
এই মাসে আপনার গল্পগুলো একটু ভিন্নরকম ছিল। ভাষার চেয়ে থিম শক্তিশালী, জোর করে বর্ণনা নেই- কিন্তু ঘোর ভীষণরকম ভাবেই উপস্থিত। সবমিলিয়ে আপনি ফর্মে আছেন বোঝা যাচ্ছে!
আর, মোবাইলে গল্প পড়তে পারি না- চোখ টিপটিপ করে
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক...অবশেষে একজন পাওয়া গেলো আমার পক্ষের!
আজকে রাতে একটা গল্প আসছে প্রফেসর সাহেব। জেগে থাকলে গরম গরম পড়ে ফেলেন!
শুভরাত।
৪৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে ভাই! +
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৪৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
ইলুসন বলেছেন: পরিবারগুলো ভেঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়া, নিজের সব চেয়ে কাছের মানুষের অপরিচিত রূপ, সময়ের সাথে নিজের আমুদে স্বভাবের পরিবর্তন- যে পরিবর্তন হয়ত ইচ্ছাকৃত নয় আরোপিত। সব গল্পের মত এই গল্পেও একটা মেসেজ ছিল। গালিব ভাইকে খুন করা আর তাতে পরিবারের সবার স্বার্থপর আচরণ- এসব মেটাফর পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি কিনা জানি না, তবে যতটুকু বুঝেছি অনেক ভাল লেগেছে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকগুলো মেটাফর থাকলে সেগুলো সাজিয়ে নিজের মত বানাতে গেলে একেকজনের ভাবনা একেকরকম হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার পাঠ ভালো লাগলো।
শুভরাত্রি।
৪৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
ইখতামিন বলেছেন:
খুব ভালো লেগেছে হাসান ভাই
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন। শুভেচ্ছা।
৪৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অখন পিসিতে আছি। এখন থিকা মুপাইল ছাড়া আপনার গল্প পর্তাম্না কিন্তু।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়েন। তয় কেউ আবার মিস্কল দিয়া ডিশটাপ না করে!
৫০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
শাওণ_পাগলা বলেছেন: পড়লাম, তারপর মুগ্ধ হলাম।
মেটাফোরিক গল্প ভালো লাগে!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও কমফোর্ট জোন এটা।
থ্যাংকস। শুভরাত্রি।
৫১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: লেখাটা অদ্ভুত লাগলো ভ্রাতা। ব্লেডটা দাও নিহিলা পড়লাম। কিছু বুঝিনাই। এটাও বেশ ঝাপসা ছিল সারমর্ম দাওয়ায় পড়তে বুঝতে সুবিধা হইসে। সারমর্ম পড়ার আগেও ভাল লাগসে পড়েও ভাল লাগলো।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিহিল গল্পটা এইটার চেয়ে সোজা। তবে ক্যারেকটার ওভারল্যাপিং এর সম্ভাবনা আছে। এজন্যে কঠিন লাগতে পারে। আর এই লেখাটা হয়তো একটু বেশিই জটিল।
শুভরাত্রি।
৫২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: যথারীতি ভাল লেখা।
আমার কাছে এতটা কঠিন মনে হয়নি।
১৭নং কমেন্টের রিপ্লায় এর সাথে আমার ধারনা পুরাই মিলে গেছে।
শুধু একটা খটকা, আমি ভেবেছিলাম গল্পের নায়ক রেজাও একসময় গালিবের মত বস্তুবাদী হয়ে যাবে আর অপর কোন এক "রেজা" এই রেজার গলায় গালিবের মত ছুরি চালিয়ে দিবে। কিন্তু গল্পের শেষে মনে হল, তারা রেজাকে হত্যা করছে প্রতিশোধস্পৃহা থেকে! আমি কি কোথাও বুঝতে ভুল করলাম?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু ভাইয়া।
রেজাকে হত্যা আসলে প্রতিশোধস্পৃহা থেকে না। কিন্তু এমনভাবে সাজানো যেন বিষয়টা প্রতিশোধের মুখোশে আবৃত থেকে একটা সুকৃতি পায়। রেজাকে তারা মেরে ফেলেছিলো কারণ রেজার সেই মানবিক এবং আবেগী স্বত্ত্বা তাদের বৈষয়িক জীবনের সাথে টিকে থাকার যোগ্য না। পুনর্জন্ম না হওয়া পর্যন্ত রেজা এবং গালিবেরা এভাবেই খুন হতে থাকবে।
৫৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিয়ের অনুষ্ঠানের আনন্দ , পূর্ব স্মৃতি থেকে গালিব ভাইকে বস্তুবাদী চোরাবালি থেকে উত্তরণের একশন টা মনে হয় দ্রুতই হইয়া গেলো। আমার বুঝার ভুলও হইতে পারে। এক মাসে এতো বেশি বেশি লেখার কারণে কিনা জানি না, গল্পের মান সব গুলোর সমান না । এই লেখাটা গতানুগতিক লাগলো।
শুভকামনা রইলো।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে সত্যি কথাটা বলি, এই লেখাটা অনেকটাই জোর করে লেখসি। একমাসে ৫টা গল্প লিখা রেকর্ড করমু বইলা। তারিখটাও ছিলো ৩১। তাই তাড়াহুড়ো থেকে গেছে। এটা নিয়ে অবশ্যই কাজ করতে হবে আরো। সঠিক পর্যবেক্ষনের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভদুপুর।
৫৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
একেকজনের মনের সমুদ্র একেকরকম। জোয়ার-ভাটার হিসেবও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন।
এটাই সত্য ... নির্মম । গল্পের এলোমেলো পথে কলম চালিয়ে ( বুড়োর রিক্সা নয় ) সেখানটাতেই নিয়ে গেছেন যেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।
৫৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
তাসজিদ বলেছেন: আপনার গল্পের ভেতরের ভেতর টা বোঝা কষ্টকর করে যায়।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কখনও কখনও। ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৫৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৪
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: শুধুমাত্র একি কারণেই ডাচম্যান আর ইমরান দুটো পৃথক সত্ত্বা হয়ে যায়। এক হতে পারে না!
ম্যাগ্নিফিকা!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ বলেছো ইমরান/ডাচম্যান!
৫৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
ভিয়েনাস বলেছেন: সময় প্রয়োজন আর নতুনদের কাছে বন্দি। পরিবারের মানুষ গুলোর ধীরে ধীরে বদলে যাওয়া , প্রয়োজন শেষে স্বার্থপর হয়ে যাওয়া ,মানবিকতা গুলো মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছে ,হারিয়ে যাচ্ছে.... সবকিছু মিলিয়ে অসাধারন একটা গল্প হয়েছে।
একেকজনের মনের সমুদ্র একেকরকম। জোয়ার-ভাটার হিসেবও ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। কথাটা ভালো লাগলো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্যে ভালো লাগা জানাই ভিয়েনাস। ভালো থাকবেন।
৫৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
ভিয়েনাস বলেছেন: আপনার এই গল্পটা পড়ার পর থেকে গল্পের শিরোনাম টা ( শেকড় থেকে শিখরে ) মাথার মধ্যে শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে... বুঝলাম না ঘটনা কি ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাহ দারুণ তো! ঘুরতে থাকুক আরো কিছুদিন
৫৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: এই গল্প পড়ে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলুম। কি কমেন্ট দিব জানি না।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী রিপ্লাই দিবো জানি না!
৬০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: অদ্ভুত আর অতি মাত্রায় গুরুপাকে রচিত গল্প। তবুও মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হল লেখাটা খারাপ হয়নি!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অতি মেটাফরিক গল্প। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। মন্তব্যগুলো পড়ে ভালো করেছেন।
৬১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১০
ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পটা আবারো পড়লাম। ঠিক এভাবেই আমরা নতুনরা পুরাতন প্রতাপ কে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি।হয়তো সম্পূর্নটুকু ছুঁড়ে ফেলে দেইনি কিন্তু না ফেলার অভিনয় করে যাচ্ছি।মনে মনে হাজার বার পুরাতন অথবা পারিবারিক সম্পর্ক গুলো কে খুন করে আবার ফিরে ফিরে আসছি কারণ এখনো সম্পর্কের গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছি। জীবনের সাথে সাদৃশ্য থাকায় আমিও গল্পটার সাথে ঘুরপাক খাচ্ছি
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। আবারও পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভরাত্রি।
৬২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
এহসান সাবির বলেছেন: নতুন কোন গল্প না পেলে পুরানো গুলোই সই!!!
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মাথায় আছে থিম। সময় করে লিখতে পারছি না!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
ফাস্টু হলাম! এইবার পড়া শুরু করি।