নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের পাড়ায় আমি খুব একটু পরিচিত মুখ না। চা-সিগারেটের দোকানে মহল্লার ছেলেদের তুমুল আড্ডায় যদিও বা কখনও যাই, ম্লানমুখ করে বসে থাকি। ওরাও আলাপ জমাতে গিয়ে খুব একটু সুবিধে করতে পারে না। তাই বছর খানেক এখানে আসার পরেও নিজাম সাহেবের সদ্য গজিয়ে ওঠা প্রতিপত্তি বা জামাল সাহেবের কর্মস্থলের দূরাবস্থা সম্পর্কে আমি মোটেও ওয়াকিবহাল নই। মা-খালাদের সান্ধ্যকালীন আড্ডায় টুকটাক যা শোনা যায় আর কী। অবশ্য আমার মত একজন বেকার, অপদার্থ, বাবার ভাষায় "গুড ফর নাথিং" একজন যুবককে পাড়ার হালহকিকত বলতে কারই বা বয়ে গেছে। এইতো কদিন ধরে বাসার কাজ শুরু হয়েছে, রড-সিমেন্ট, ঢালাই যন্ত্রের ব্যস্ততায় সবাই নিজেকে সন্নিবিষ্ট করে ফেলেছে, আমায় বাদে। এসব ব্যাপারে অবশ্য কোন আগ্রহও নেই, তারাও জানে আমার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করতে গেলে বিশাল একটা গুবলেট করে ফেলবো। এই বেশ ভালো আছি! এমনটাই আসলে আমি চাই। নির্ঝঞ্জাট জীবন, রাত জেগে জোনাকীদের কোরাস শোনা, আর স্লিপিং পিল খেয়ে দিনভর ঘুম।
আমার ফেভারিট ব্র্যাান্ড হলো জিওনিল। কেমিক্যাল নেম ব্রোমাজিপাম থ্রি এমজি। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অবশ্য বজ্জাত দোকানদারেরা দেয় না, পরিচিত ডাক্তারও নেই যে একটা প্রেসক্রিপশন যোগাড় করবো। আগের পাড়াটা ভালো ছিলো। চাহিবা মাত্র ইনসমনিয়াক যুবককে ঘুমবটিকা প্রদানে বাধ্য থাকিতো! এই পাড়ায় কাউকে বাধ্য করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে একজনকে খুঁজে পেলাম। এজন্যে অবশ্য আমাকে কিছুটা ছলচাতুড়ির দ্বারস্থ হতে হয়েছিলো।
"একটা ব্রোমাজিপাম দেন তো ভাই। আম্মার জন্যে লাগবে। প্রেসক্রিপশন আনতে ভুলে গেছি। প্লিজ ভাই!"
উদাস চেহারার হালকা চুলের দোকানদার কী মনে করে যেন আমাকে বিশ্বাস করলো। অবশ্য ব্রোমাজিপাম খুব কড়া ডোজের সিডেটিভ না, আমি এমনটাও শুনেছি যে একজন ৬০টা খেয়েও মারা যাওয়া তো দূরের কথা কিছুদিন ঝিমিয়েছিলো কেবল, আমার এক বন্ধু। সুতরাং, অতি সাবধানী দোকানদারদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে বিশ্বাসের পারদটা একটু উঠিয়ে সে দিতেই পারে!
প্রথম প্রথম আমি তার কাছে একটা করেই নিতাম। সেও বুঝে গিয়েছিলো ওসব অভিনয়ের আর দরকার নেই, আমিও! ধীরে ধীরে এক পাতা নিতে থাকলাম। এখন হয়তোবা আপনারা তার অবিমৃষ্যকারিতার নিন্দে করতে পারেন, তবে বাস্তবতা হলো, আমি প্রতি দশ দিনে এক পাতা নিতাম। প্রতিদিন একটি করে পিল নিলে সেটা নিশ্চয়ই খুব ক্ষতিকর কিছু না! ফার্মেসির লোকজনেরা ঔষধ সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানে বৈকি! তার সাথে আমার কখনও কথা হয়নি লেনদেনের ব্যাপার ছাড়া। নামটাও জানা হয়নি। যদিও এই পাড়াতে তার সাথেই আমার সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ ছিলো। খাতিরটা হয়তো হয়েও যেতে পারতো, কিন্তু হবে কী করে! সেও যে আমার মতো মুখচোরা আর বিরস বদনের অধিকারী! হয়তোবা সেও প্রতিরাতে জিওনিল নেয়। তারও হয়তো ঘুমের কষ্ট। চোখের কোণে কালি দেখে আঁচ করা যায়। আমরা, বেনজোবাডিরা এতটুকু মৌন বন্ধুত্ব তো স্থাপন করতেই পারি! কথা বলা না বলা, নাম না জানা এতে কী বা আসে যায়!
জ্বর-জারি, পেটের পীড়া, গ্যাসের প্রবলেম এসব আমার একদম হয় না। কিন্তু হতে কতক্ষণ! জীবনটা যেমন অনিয়মে চলছে, রাত জাগা, দিনভর ঘুম, নতুন ধরণের ঔষুধের প্রয়োজন পড়েই গেলো। এই ঔষধগুলো, যেমন প্যারাসিটামল, ওমিপ্রাজল ইত্যাদি ফার্মেসি থেকে নিতে প্রেসক্রিপশনের দরকার পড়ে না। বাসার পাশের ফার্মেসি থেকেই দিব্যি কিনে নেয়া যায়। তবুও আমি কেন যেন ঘুরপথে গিয়ে সেই বিষণ্ন যুবকের দোকানের শরণাপন্ন হলাম।
-এক প্যাকেট গ্যাসের ট্যাবলেট দেন তো।
-কোনটা নিবেন?
-কোনটা ভালো?
-জেলড্রিন নিতে পারেন, ওমিপ্রাজল, লোসেকটিল...
-আচ্ছা যেটা ভালো সেটাই দেন।
এই ছিলো তার সাথে আমার এতদিনকার পরিচয়ে দীর্ঘতম কথোপকথন।
হঠাৎ একদিন হলো কী, আমি একটা চাকুরি পেয়ে গেলাম। তেমন কিছু নয় অবশ্য, তবুও বেশ খুশির ব্যাপার। সমস্যা একটাই, সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। জিওনিল খাওয়া বন্ধ করতে হবে। জিওনিলবিহীন প্রথম রাতটা বেশ কষ্টেই কাটলো। সিভিট চিবিয়ে তার বিকল্প বেছে নিলাম। তাতে আর কোন কাজ না হলেও মানসিক প্রশান্তি মিললো। শেষরাতের আগেই কীভাবে যেন ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফর্মাল ড্রেস পরে যাবতীয় ফর্মালিটিজ পালন করে এবং গুরুজনদের উপদেশ এবং দোয়া গলাধঃকরণ করার পরে আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করলাম, আমার কোনো চুঁয়ো ঢেকুর উঠলো না। দীর্ঘ নিঃসঙ্গ অন্তরীণ জীবনের অন্তিম লগ্নটা তেমন খারাপ না তাহলে!
সদর রাস্তায় শর্টকাটে যেতে হলে আমার বেনজোবাডির দোকানটা এড়িয়ে যেতে হয়। তাতে কী! দরকার পড়বে না আর হয়তো। আর ব্যাপারটা তো এমনও না যে আমার বিরহে কাতর হয়ে সে দোকান বন্ধ করে দেবে! দরকার পড়লে তো আবার যাবোই! এবার তার নাম জিজ্ঞেস করে কিছুক্ষণ আড্ডা আর চা'ও হয়ে যাবে! শর্টকাট পথটিতে এর আগে আমি কখনও যাই নি। যেতে গিয়ে এক অশীতিপর বৃদ্ধের ভেষজ ঔষধের দোকান চোখে পড়লো। সাইনবোর্ডে বিতং করে লেখা "এখানে যাবতীয় ইউনানী, ভেষজ এবং আয়ূর্বেদী চিকিৎসার মাধ্যমে জন্ডিস, আমাশয়, নারীদিগের গোপন রোগ..." আরো কী সব যেন জটিল ব্যাধির নিরাময়ের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। বেচারা! তার স্বাস্থ্যের যা অবস্থা, তা এই দোকানের জন্যে মোটেও কোন ভালো বিজ্ঞাপন হয়নি। তাতে কজন বিশ্বাস করে চিকিৎসা নিতে আসবে সন্দেহ আছে! বৃদ্ধ নিজেও তার ব্যবসার ব্যাপারে খুব একটু উৎসাহী না বলে মনে হচ্ছে। একমনে একটি ধর্মীয় পুস্তক পড়ে যাচ্ছেন, বৃদ্ধ বয়সের সময় কাটানোর একটা পন্থা আর কী! আমার খুব ইচ্ছে করছিলো তার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করি। এই বয়সে ব্যবসা ফেঁদে বসে তিনি কী আশা করেন! কিন্তু আমার অত সময় ছিলো না। অফিসের দেরী হয়ে যাচ্ছিলো।
অফিস জিনিসটা যেমন খারাপ ভেবেছিলাম মোটেই তা না। হতে পারতো, যদি মনমতো কাজ না পেতাম। লেখালেখি, অনুবাদ, রেডিওর ভয়েস ওভার খারাপ লাগে না করতে। কাজ উপভোগ করছিলাম বেশ, দ্রুত একটা ইনক্রিমেন্টও পেয়ে গেলাম! এখন নিশ্চিতভাবেই আমাকে মুখোমুখি হতে হবে মায়ের চিরাচরিত সেই বাসনার।
-এইবার একটা বউ এনে দে বাবা!
যেন চাইলেই এনে দেয়া যায়! কীজন্যে যে তারা এত তাড়াহুড়ো করে আমি বুঝি না! তবে বউয়ের কথা বলায় আমার মধ্যে একটা অন্যরকম শিহরণ সৃষ্টি হলো। রণডম্বুর বাজতে লাগলো শরীরের আনাচে কানাচে। সেদিন আমি বাসায় ফেরার সময় আমার বেনজোবাডির ফার্মেসিতে গেলাম ঘুরপথে। কিছু কেনার জন্যে না, দাঁড়িয়ে থেকে অবলোকন করতে থাকলাম যৌনাবেদনময়ী প্যাকেটের কনডমগুলো। বেনজোবাডিকে আজকে আরো বিষণ্ণ লাগছে। দোকানের হাল-হকিকতও খুব একটু ভালো না। ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে নাকি? কার সাথে যেন আলাপচারিতায় জানতে পারলাম ব্যবসা উঠিয়ে দেবার চিন্তা করছে। আমি অবশ্য তখন রঙ-বেরঙের কনডমগুলো দেখতে ব্যস্ত। জিনিসগুলোকে দ্রূত ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। মায়ের উপদেশ আমার এই প্রথমবারের মতো যৌক্তিক মনে হলো! সেদিন আমি দোকান থেকে কিছু না কিনেই চলে আসি।
অফিসে যাবার পথে আবারও সেই শর্টকার্ট পথ। বৃদ্ধ এখনও কী মনে করে দোকানটা খুলে রেখেছে কে জানে! আজকাল আমি বেশ প্রগলভ হয়ে গেছি। অপরিচিত মানুষদের সাথে কথা বলতে সংকোচ হয় না মোটেও। ভাবলাম বৃদ্ধের সাথে কিছু কথাবার্তা বলেই যাই! উপায় নেই! আজ সে গভীর ঘুমে মগ্ন। বাসায় কী ভালো করে ঘুমোনোর সময় পায় না? ভেষজ ঔষধগুলো আসলেই যৌনক্ষমতাবর্ধক কী না জানলে মন্দ হতো না। কৌতূহলকে নিবৃত্ত করতে না পেরে আমি তাকে জাগিয়েই তুলি।
-চাচা, শুনছেন?
-কি হইছে?
অদ্ভুত ব্যাপার! এতদিন পর কাস্টমার এলো, একটু সমাদর করবে তা না, এমনভাবে প্রশ্ন করছে যেন এসে বিশাল অপরাধ করে ফেলেছি!
-না মানে, ঔষুধের ব্যাপারে একটু জানতে এসেছিলাম।
-কী সমস্যা আপনের? এই বয়সেই ধ্বজভঙ্গ হইসেন?
প্রশ্নের ছিড়ি দেখো! বোঝাই যাচ্ছে অসময়ের ঘুম ভেঙে যাওয়ায় তিনি বেশ ক্ষিপ্ত।
-হইসে কী না কেমনে বুঝবো চাচা! বিয়াই তো করি নাই!
-আইচ্ছা বিয়া করলে পরে আইসো। এখন মালসামান নাই। ঘুমাইবার দাও।
মহল্লার পরিচিত দুই দোকানদারের মধ্যে বেশ মিল খুঁজে পাই আমি। দুজনেই নির্লিপ্ত, একজন অবশ্য বেশ কাটখোট্টা, দুজনের ব্যবসার অবস্থাই বেশ সঙ্গীণ।
বিয়ের পরে বেশ কিছুদিন এই পথ দিয়ে চলা বন্ধ থাকলো। দুজনের কারো সাথেই দেখা হলো না অনেকদিন। আমার অবশ্য ভেষজ যৌনবর্ধক বা জিওনিল কোনটাই আর দরকার পড়ে না এখন। তারপরেও মধুচন্দ্রিমা শেষে একবার তাদের সাথে দেখা করবার তাগিদ অনুভব করি। বিষণ্ন দোকানদার আমাকে একটা খারাপ সময়ে অনেক সহায়তা করেছে। হাঁফ ধরা বৃদ্ধের অসহায়তা আমাকে আপ্লুত করেছে। তাদের সাথে একবার দেখা না করলে কেমন হয়! যদিও জানি কোন সহৃদয় আপ্যায়ন আমার জন্যে অপেক্ষা করছে না। তবুও গেলাম এক সান্ধ্যভ্রমণে তাদের খোঁজ নিতে। এছাড়া কনডমও শেষ, অচেনা দোকান থেকে কেনা তাও আবার মহল্লার, কিছুটা বিব্রতকর ব্যাপারটা আমার জন্যে।
-কী ভাই, কেমন আছেন?
এই প্রথম তার সাথে আমি সম্ভাষণমূলক কথা বলি।
-আছি আর কী!
-আপনার নামটা যেন কী? এতদিন ধরে পরিচয় অথচ নামটাই জানা হলো না! হেহেহে!
-আমার নাম মমতাজ। আপনার নাম শিহাব। আপনি একটা ভালো চাকরি করেন। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। এখন আর ব্রোমাজিপাম খান না। পাশের গলির ভেষজ দোকানদারের কর্মপন্থা সম্পর্কে আপনার বিশদ আগ্রহ আছে। আর আমি এখনও বেনজো খাই। খায়া খায়া দোকান লাটে উঠাইসি।
আমাকে স্তম্ভিত করতে এর চেয়ে বেশি কিছু দরকার ছিলো না। সে করলোও বেশ সূচারুভাবে। সে বলে চললো,
-অবাক হইলেন? আমার মতো না-মানুষ তো আপনার মতো হ্যাঁ-মানুষের দিকে তাকায়া থাকবেই। ভালা লাগে দেখতে এসব। আমার খবর হইলো, আজকেই দোকানের শেষ দিন। নতুন ব্যবসা ধরসি। বাসের কন্ডাকটারি করবো। বুড়া আমাকে ক্যাপিটাল দিয়া গেছে।
-সে আপনার কী হয়?
-কিছুই না! আপনে আমার কী হন? কিছুই না। ব্রোমাজিপাম আপনার কি হয় এখন, কিছুই না! তারপরেও জীবন যাদের কিছুই দেয় না, তাদের কীভাবে কীভাবে যেন মিরাকলের মত কিছু একটা হয়ে যায়। আপনার কী লাগবো? কনডম?
-না, ব্রোমাজিপাম।
-বুঝছি! আমার কথা শুইনা সেন্টু খায়া গেছেন। তাই মাইন্ড রিলাক্সের জন্যে বেনজো খাইবেন। বাদ দেন বস! জীবনের অত কিছু ধরতে নাই।
-আপনার বাস কবে থেকে চালু হবে?
-কালকে থেকে। মিরপুর-আজিমপুর রুট।
-আমি যাবো।
-যাইবেন সে আর কী কথা! যাইবেন।
-চাচারে একটু দেখতে যাবো। নিয়া চলেন না!
ত্রিভূবনে কেউ না থাকাটা কষ্টকর। তবে জীবন একটা উপায় খুঁজে বের করেই নেয়! আশি বছরের বৃদ্ধের মাঝেও নতুন স্বপ্ন জাগ্রত হয়। তার সাথে যুক্ত হয় না-মানুষেরা! যেমন আমার প্রাক্তন বেনজো-বাডি! এতদিনে আমার এই বোধোদয় হয়েছে যে ব্রোমাজিপামের ঊনজীবন কোন জীবন না। আমি জীবন বেছে নিয়েছি। অশক্ত ভেষজরাজ বৃদ্ধ তা পারেনি। বিষণ্ণ যুবক দোকানদার তা পারেনি। হঠাৎ করে আমার মাথায় একটা পরিকল্পনা আসে, যদিও তা খুব স্বল্প পরিসরের, তারপরেও...।
"ঐ শ্যামলী, কলেজগেট, রাপা প্লাজা, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাব, আজিমপুর..."
মমতাজ যাত্রী ডেকে চলেছে। অফপিক টাইম। খুব একটু মানুষ নেই। সারাদিনের ধকলে সে ক্লান্ত। অভ্যেস নেই তো! বাসের শেষের দিকের সিট সব ফাঁকা। আমি ওখানেই বসেছি। ভাড়া কাটা শেষ হলে মমতাজের আর কিছু করার থাকে না। দাঁড়িয়ে থাকে অবিচল। হঠাৎ আমার দিকে চোখ পড়ায় সন্তর্পণে সে এগিয়ে আসে সামনে। কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে। এগুতে থাকে সে। সে চায়টা কী! ভাড়া কি দিইনি আমি? সিটের একেবারে কাছে শ্বাস ছোঁয়া দূরত্বে এসে সে থমকে দাঁড়ায়। সে কি বসতে চায়? কে কবে দেখেছে কোন কন্ডাক্টরকে সিটে বসতে? তাদের পায়ে যান্ত্রিক সার্কিট, বনবন করে ঘোরে। তারা কখনও ক্লান্ত হয় না। নিয়ম নেই। হাজারটা সিট ফাঁকা থাকলেও তাদের বসার অধিকার নেই। আমার দিকে সকাতর দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সে অনুমতির প্রার্থনায়। আমি দেখেও না দেখার ভান করলাম। সে এখন আর আমার বেনজোবাডি না। একজন ঘামস্নান করা নোংরা কন্ডাক্টর। যাকে পরিচালিত করছে শীর্ণকায় না-মানুষ এক বৃদ্ধ। তাদের সাথে আনন্দভ্রমনটাকে ভ্রম হিসেবে বুঝতে পেরে আমি আমার পরিকল্পনার হাস্যকর দিকটা বুঝতে পারি। সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে বাস এলে ভাড়া দিয়ে নেমে যেতে গিয়ে খেয়াল করি পকেট থেকে একটা কনডমের প্যাকেট বেরিয়ে এসেছে, যা মমতাজের কাছ থেকে গতকাল কিনেছিলাম।
কনডমের পিচ্ছিল অঙ্গে আজ বীর্যের বদলে ঘাম, অশ্রূ আর রক্ত ইজাকুলেট হলে হয়তোবা আমি ক্ষণিকের জন্যে অবাক হলেও হতেও পারি!
ক্ষণিকের জন্যেই!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ জাগরণ! আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: অতি সাবধানী দোকানদারদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে বিশ্বাসের পারদটা একটু উঠিয়ে সে দিতেই পারে!
তাদের পায়ে যান্ত্রিক সার্কিট, বনবন করে ঘোরে। তারা কখনও ক্লান্ত হয় না।
লাইন দুটো খুবই ভালো লেগেছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসকাল।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পরিবর্তনে দূর কাছে হয় , কাছ দূরে হয় ।
জীবনের ত অত কিছু ধরতে নাই। - আসলেই । সামনে - পেছনে কিছু
জিনিসের ইচ্ছা - অনিচ্ছায় আবর্তন এভাবেই ত জীবন কেটে যাচ্ছে ।
এই প্রথমবার শুরুর দিকে মন্তব্য করার সুযোগ পেলাম । ভাল লাগছে খুব ।
সকাল টা সুন্দর হোক ।
শুভকামনা রইল হাসান ভাইয়ের প্রতি ।
ভাল থাকবেন ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা মাহমুদ। ভালো থাকবেন।
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
মানুষ যে কত কিছু দিয়ে নেশা করে !! ভাল লাগল+
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: তুমি আবার করো না তো! তেংস।
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
না পারভীন বলেছেন: ভাল লাগল , সূক্ষ্ণভাবে মানুষিক পরিবর্তন গুলো উঠে এসেছে । আরো ক্যারেক্ট্রের যোগ ছাড়াই ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: পরিবর্তনগুলো সূক্ষ্ণভাবে করার চেষ্টা করেছি। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পের ভিতরকার আবেদনটা বেশ ভাবিয়ে তোলার মত।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠকের ভাবনায় লেখকের তৃপ্তি। ধন্যবাদ!
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
তাসজিদ বলেছেন: জীবনের খুব সাধারণ ঘটনাও খুব অসাধারণ করে লেখনীতে কিভাবে ফুটিয়ে তুলেন, তা বিস্মিত করে বৈকি।
তবে গল্পের নায়কের ঘুমের ট্যাবলেট খাবার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ তার লাইফ এ তেমন কোন struggle ছিল না।
সব ধরনের নেশাকে না বলা উচিৎ। এবং এটিকে শৈল্পিকতা দান করাও অনুচিত।
আর ঘুম বাটিকা এত সহজে ছেড়ে দেয়া যায় কি?
আমার যাদের ঘুমের ট্যাবলেট খেতে দেখেছি, তারা ৫ কি ৬ বার নিরাময়ে গিয়েও ভাল হতে পারেনি।
এটি এমন কিছু নয় যে, বিয়ে করিয়ে দিলাম, আর ছেলে ভাল হয়ে গেল
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছেলেটা তেমনভাবে আসক্ত ছিলো না। মুঠোমঠো তো আর খেতো না! ঘুম না এলে একটা। চাকুরিতে ঢোকার পর যেহেতু বাধ্য হয়ে সকালে উঠতেই হতো, তাই আর ঘুমের ওষুধের দরকার পড়ে নি। যাদের জীবনে কোন স্ট্রাগল থাকে না দায়িত্ব থাকে না, টারাই কিন্তু এসব খায়। ছেলেটির সমস্যা খুব একটু প্রকট ছিলো না। তাই সহজেই নিরাময় হয়েছে।
নেশাকে কি আমি গ্ল্যামারাইজড করার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় না। আপনার মনে হয়েছে, সেজন্যে দুঃখিত।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভসকাল,
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম এটা পড়া হল। বুঝতে পারছিলাম না গল্প কোন দিকে গড়াবে, অবশেষে এখানে এসে মনে হল গল্পের মূল উপজীব্য বর্ণিত হল।
এতদিনে আমার এই বোধোদয় হয়েছে যে ব্রোমাজিপামের ঊনজীবন কোন জীবন না। আমি জীবন বেছে নিয়েছি। অশক্ত ভেষজরাজ বৃদ্ধ তা পারেনি। বিষণ্ণ যুবক দোকানদার তা পারেনি।
অনেক ভালো লাগল। শুভকামনা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ টুম্পা। যারা পারে তারা কেন অন্যদেরকে অবজ্ঞা করে চলে যায়? মানুষ সাময়িকভাবে মানবিক।
শুভেচ্ছা।
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
টুম্পা মনি বলেছেন: সব মানুষ হয়ত না। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি ভেদে বেশির ভাগ। সত্যি বলতে কি এই ''সাময়িক মানবিক'' টাইপের মানুষদের সবার আগে অবজ্ঞা করে চলা উচিত। তবেই এরা মনুষ্য শ্রেণীর মধ্যে থাকে, নয়ত এরা আচার আচরণে দানব হয়ে যায়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ববববোঝা বড় মুশকিল টুম্পা, কে কেমন!
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
মাগুর বলেছেন: আপনার গল্প দেখামাত্রই পড়ে ফেলি। কান্ডারী ভাইয়ের ৬নং কমেন্টের সাথে একমত, গল্পের ভিতরকার আবেদনটা বেশ ভাবিয়ে তোলার মত।
ভালো লেগেছে হামা ভাই
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনারা ভাবছেন, আমি আনন্দিত। ভালো থাকবেন।
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কি বিচিত্র ভাবেই না দিক পরিবর্তন করে মানুষের জীবন । ঘুম ভেঙ্গেই আপনার তাজা একটা গল্প পরে তাজা ভাবে দিন শুরু করে বেশ তাজা তাজা ভালো লাগছে । আপনাকে তাজা শুভেচ্ছা আর গল্পে সেইরম তাজা ভালো লাগা !
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে এক কাপ ধূমায়িত লিপটন তাজা চায়ের শুভেচ্ছা।
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: হুম হামা ভাই, হুম। ভালোই লাগলো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিচ কিচ কুচ কুচ! ধন্যবাদ।
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক দিন পর সাবলীল ভাবে হামা ভায়ের একটা লেখা পড়তে পারলাম এতেই আমি তৃপ্ত, সবাই যেখানে গল্পের ভেতরের ভাব নিয়ে গবেষণায়-বিশ্নেষণে ব্যস্ত।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুক্তাফাই ভালো করসে। অত গবেষণা দিয়া কী কাম?
১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
নাসরীন খান বলেছেন: মানুষেরর পজিটিভ দৃষ্টি মানুষকে পরির্বতন করতে শিখায়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক বলেছেন নাসরীন। শুভেচ্ছা।
১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২
আম্মানসুরা বলেছেন: ক্ষণিকের জন্যে ভালো লাগল
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: দীর্ঘস্থায়ী ধন্যবাদ!
১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
জীবনের দুইটা সময়/অবস্থাকে চমৎকার সুক্ষ্ণভাবে ফুটিয়ে তুলেছ। এত শব্দের কারুকার্য, ভাষায় ব্যবহার, উপমার বাহার মিশিয়ে লেখ কিভাবে ! প্রতিটা বাক্যই যেন একেকটা কবিতা!! তোমার লেখা দিনদিন যে কোন লেভেলে যাচ্ছে সেটা মনে হয় নিজেও বুঝতে পারছ না ! কিপ ইট আপ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: তিনটা আলাদা গল্প লেখার কথা ছিলো। ঠিক করলাম কম্বাইন্ড করেই লেখি। রাত তিনটা পর্যন্ত ঘুমচোখে এপাশ ওপাশ করেছি। অস্থিরতা। অবশেষে গল্পটা লিখে শান্তি পেলাম। তারপর আপনার এই প্রসংসা! লেখা সার্থক!
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
সুমন কর বলেছেন: গোছানো এবং সুন্দর উপস্থাপন। একটানে পড়ে গেলাম। ভালো লাগল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
দীর্ঘস্থায়ী ভাল লাগা !!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমারে অনেক তিংকু!
১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: হয়তোবা আমি ক্ষণিকের জন্যে অবাক হলেও হতেও পারি!
ক্ষণিকের জন্যেই!
আরো কয়েকবার পরার সাধ জেগেছে হাসান ভাই !
আবার আসবো !
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশ্চয়ই আসবেন। খুশি হবো।
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শব্দ, ভাষা এবং উপমার দারুন প্রয়োগে চমৎকার একটি গল্প। কিছু সাধারন দৃশ্য থেকে গভীর কিছু অনুভূতি সৃষ্টি করেছেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার অনুভূতি আপনাকেও ছুঁয়ে গেছে বলে রাত জাগা সার্থক। শুভেচ্ছা কাভা।
২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হয়তোবা আমি ক্ষণিকের জন্যে অবাক হলেও হতেও পারি! ক্ষণিকের জন্যে!!
বেশ লাগলো!! রাতে আবারো পড়বো!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: চশমা পরে পড়বেন?
২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাষা বর্ণনা ছক সব মিলিয়ে চমৎকার! অজানা জগৎটার গল্প ভাল লেগেছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভবিকেল।
২৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ফেবুতে দেখলাম আপনার গল্প আছে ব্লগে।
কিন্তু ব্লগে আসতে পারছিলাম না।
কি যে অসহ্যের।
পড়ে জানাচ্ছি।।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সামু আজকাল একটা দুর্ভোগের নাম
২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মশিকুর বলেছেন:
একটু অন্যরকম লেখা। সবাই নেশার ভয়াবহতা নিয়ে লেখে, আপনি নেশা থেকে ফিরে সুস্থ জীবন নিয়ে লিখলেন। ভাল লাগলো +
প্রায় একবছর হল ধূমপান ছেড়ে দিছি, তাই লেখাটা পড়ে একটু অন্যরকম অনুভূত হলাম। যারা ধূমপান বা হালকা নেশা ছাড়তে চেষ্টা করছেন, লেখা পড়ে তাদের অনুভুতি কি তা জানার আগ্রহবোধ করছি।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ঠিক নেশাবিরোধী লেখা না। কয়েকজন প্রান্তিক মানুষের মৌন টান, তারপর বিভিন্ন পর্যায়ে একজনের জীবনে প্রসার লাভ। তখন অন্য দুইজন কোথায়? মায়া মায়া লাগে না একটু? কিন্তু এই মায়া বড় ক্ষনস্থায়ী। আমরা ভুলে যাই আবার।
২৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১
অচিন্ত্য বলেছেন: আহ চমৎকার ! চমৎকার ! অসাধারণ !
গল্পবোধ বলে একটা বিষয় মনে হয় আছে। গল্প বলিয়ের গল্পবোধ এত প্রখর হলে তা পাঠককে না ছুঁয়ে পারে ?
আমাকে মনে হয় একটু বেশিই স্পর্শ করছে। একটা কারণ আছে। আমার সাকার-বেকার-সাকার জীবন যাপনের পর্যায়গুলো পার হওয়ার সময় অনুভূতির বিবর্তনটা এখানে কিছুটা পেলাম। বিশেষ করে কর্মহীন অধ্যায়ের চুপচাপ অবস্থাটা কর্মমুখরতায় মুখর হয়ে ওঠে বৈকি। আমার সে অধ্যায় নিয়ে একদিন লিখব। আপাতত গল্পের প্রতি সীমাহীন মুগ্ধতাটুকুই জানবেন।
হ্যাঁ-মানুষ, না-মানুষ কথাটা বেশ ভাল লেগেছে আর হ্যাঁ, উনমানুষও। বাসের কন্ডাকটরকে নিয়ে এ ধরণের একটি অনুভব আগেও কোন পোস্টে বা ফেসবুকে মনে হয় লিখেছিলেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইউ গট ইট! গল্পটা অনেককে ভুল মেসেজ দিচ্ছিলো। কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। নাউ হ্যাপি। গ্রাতিজ।
২৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০
সায়েম মুন বলেছেন: গল্প সুন্দর গতির। খুব ভাল লেগেছে। এক জায়গায় বেশ হেসেছি।
অবশ্য ব্রোমাজিপাম খুব কড়া ডোজের সিডেটিভ না, আমি এমনটাও শুনেছি যে একজন ৬০টা খেয়েও মারা যাওয়া তো দূরের কথা কিছুদিন ঝিমিয়েছিলো কেবল, আমার এক বন্ধু।
---এই বাক্যটাতে কিছুটা ক্যাবরা আছে।
ঘুমের ঔষধের নাম আসলো, রিভোট্রিলের নাম আসলো না।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: রিভোট্রিল আর ব্রোমাজিপাম একই গ্রুপের ড্রাগ। বাক্যটা একটু ইশটাইল কৈরা লিখতে গিয়া ক্যাবরা বাঁধাইসি। ভ্যাপার না!
২৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: বেশ কয়েকবার পড়লাম ! গল্পই পড়লাম ! কিন্তু কি মেসেজ দিতে চেয়েছেন একটু বলেন হাসান ভাই !!
একটু বুঝতে পারি যেন !!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মশিকুরকে দেয়া রিপ্লাইটা পড়ে ফেলো!
২৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপের মাঝে তেমন বিগ টার্ন নেই, তেমন উত্তেজনা নেই, তিনটা চরিত্রই কেমন সহজ সরল বাট কিছুটা অন্যরকম! কিছুকিছু লেখা কোন কারণ ছাড়াই ভালা লাগে! আপনার এই লেখাটা কোন কারণ ছাড়া ভালা লাগছে!
শিহাবের ঘুমের পিল কিনার দৃশ্য কিছুটা নস্টালজিক হইলাম
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু ব্রো। শুভরাত।
২৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫
স্বাধীনহ্যাপী বলেছেন: তারপরেও জীবন যাদের কিছুই দেয় না, তাদের কীভাবে কীভাবে যেন মিরাকলের মত কিছু একটা হয়ে যায়। যাদের জীবনে কোন স্ট্রাগল থাকে না দায়িত্ব থাকে না, টারাই কিন্তু এসব খায়। চরম হইছে ভাইয়া ।।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
৩০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
গোর্কি বলেছেন:
সব দ্রব্যই যা-কিছু নিজের অনুকূল উপযোগী সেটাই আপন শক্তি-প্রভাবে চারিদিক থেকে আকর্ষণ করতে থাকে, বাকী আর সবার প্রতি তার তেমন ক্ষমতা নেই। ক্ষণিকের এই জগৎ একটি প্রকান্ড পীড়া। জগতের প্রত্যেক পরমানু পীড়া, কিন্তু সেই প্রত্যেক পরমাণুর মধ্যে স্বাস্থ্যের নিয়ম সঞ্চারিত হচ্ছে। এই নিয়ম বর্তমান না থাকলে জীবন থাকতে পারে না । অতএব এই জগতের যে চেতনা তা পীড়ার চেতনা।
একটানে পড়ে ফেলার মত গল্প এবং তাই করলাম।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: পীড়া যেমন রেয়েছে, তার থেকে পরিত্রাণও রয়েছে। পীড়াযুক্তরা এক হয় অথ বা হয় না। তাদের কেউ পরিত্রাণ পায় বা পায়না। পেলে পরে তাদের সম্পর্ক কী একরকম থাকে? না থাকার সম্ভাবনাই বেশি!
৩১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: "কিছুকিছু লেখা কোন কারণ ছাড়াই ভালা লাগে! আপনার এই লেখাটা কোন কারণ ছাড়া ভালা লাগছে!" ---------- এত চমৎকার লাগলো গল্পটা !!!! আর তাসজিদ এর কমেন্ট সাথে আপনার রিপ্লাই এ গল্পেরই অংশ মনে হলো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নুসরাত। ব্লগের এ ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগে, কমেন্টের মাধ্যমেও গল্প উঠে আসে। শুভেচ্ছা।
৩২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ব্রোমাজিপাম, বেনজোডায়াজিপাম গ্রুপের ড্রাগ, সেই থেকেই কি বেনজোর কর্কশ ব্যাঞ্জো ?
ড্রাগের প্রতি আসক্তি না-মানুষ তৈরি করে । যারা এটাকে এড়িয়ে যেতে পারে তারাই হ্যাঁ-মানুষ । হ্যাঁ-মানুষরা জীবনে শৈনঃ শৈনঃ উন্নতি করে, না-মানুষেরা পড়ে থাকে পথের ধারে । না-মানুষদের জন্য তাদের কোন দায়িত্ববোধ কাজ করে না ।
ভিন্ন স্বাদের গল্প পড়লাম । আচ্ছা, বেনজো ছেড়ে কনডম ধরলো- দ্রব্যের পরিবর্তন হলেও আসক্তিটা তো রয়েই গেল ।
গল্পে ভাললাগা +++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, বেনজোডায়াজিপাম গোত্রের মানুষেরা সুমধুর স্বরে ব্যাঞ্জো বাজাতে পারলো না আর!
বেনজো ছেড়ে কনডম ধরা ব্যাপারটা আসলে আসক্তি না। একসময় সে নিঃসঙ্গ ছিলো, ঘুমের ঔষহুধ ছিলো নির্ভর আশ্রয়, তারপর তার অনিয়মের কারণে লোসেকটিল খেতে হলো-গ্যাসের ঔষুধ, তারপর বিয়ে করে হ্যাঁ-মানুষ হবার পরে স্বাভাবিকভাবেই চাহিডা চেঞ্জ হলো। কিন্তু তখন তার বেনজোবাডিরা কোথায়? আদৌ কী দরকার আছে জানার!
৩৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
সাদরিল বলেছেন: আপনার গল্পগুলো অনেকটা জীবনান্দের কবিতার মতো।প্রথমে মাথার উপর দিয়ে যায়,আস্তে আস্তে গভীর কিছুর ইঙ্গিত দেয়্।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আকাশে উড়তে গেলাম। দুর্ঘটনা হৈলে মামলা খাইবেন।
৩৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব সহজ সরল ভাবে লেখা গল্প। ভালো লেগেছে পড়তে। ঘুমের ওষুধ খাওয়া বা এডিকেটড হওয়া খুব খারাপ ! গল্পের শেষটা ভালো বেশি যেখানে মানবিক আবেগের বদলে সময়ের কারণে জায়গা করে নিয়েছে চলমান চাহিদা, কর্পোরেট ভাবনা -- যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে বন্ধুত্বের দরকার কী হোক না সে যতই " বেনজো মেট "
শুভেচ্ছা । ব্লগের লগিন জনিত সমস্যার কারণে অনেকের লেখাই পড়তে পারছি না কমেন্ট তো দূরের কথা !
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা অপর্ণা। অচিন্ত্যের মত আপনাকেও বলি, ইউ গট দিজ!
৩৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: প্রথমত বেনজোবাডি শব্দটাতে ভালো লাগা! মজার একটা শব্দ হইসে!
আপনার অন্য লেখার তুলনায় সহজিয়া বর্ননাশৈলী, কিন্তু জাদুটা উপস্থিত পুরোমাত্রায়! মুগ্ধ- ভাবনা-পাঠ!
বেনজোবাডির দুঃখে নব্য ভালো চাকুরের কিছু যায় আসে না, মোড়ের অন্য না-মানুষ বৃদ্ধেরই কিছু যায় আসে!
বাসের কন্ডাক্টরের বর্ননা নাড়া দেয় এখানে, গ্রামের একটা ছেলেকে এনে বসিয়ে দিলে আমাদের সহজে নাড়া দিত কিনা জানিনা, কিন্তু মোড়ের অষুধের ছেলেটা কন্ডাক্টর হলে আমরা কল্পনা করতে পারি যন্ত্রণাটা, তবে তা ক্ষনিকের জন্যই!
কে কবে দেখেছে কোন কন্ডাক্টরকে সিটে বসতে? তাদের পায়ে যান্ত্রিক সার্কিট, বনবন করে ঘোরে। তারা কখনও ক্লান্ত হয় না।
একটা জায়গায় খটকা, মমতাজের দোকান ছেড়ে দিয়ে বাসের কন্ডাক্টর হওয়াটা সাধারণত নির্দেশ করে সে দেউলিয়া, তার আর কোনো পুজি নেই। কারন কন্ডাক্টরি করতে কোনো পুজি লাগে না। এখন বৃদ্ধ তাকে ক্যাপিটাল দিচ্ছে সেটার কী হল? সে ক্যাপিটালের যোগান পেলে কেন কন্ডাক্টরি করবে?
ভালো লাগা রেখে যাচ্ছি হামা ভাই! এই মাসে আপনার ছয়টা গল্প লেখার কথা!
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছয়টা কেন আরো বেশি লেখার ইচ্ছা। কিন্তু সময় চোখ রাঙাচ্ছে, কঠিন হবে ব্যাপারটা। ইয়ে মানে, কন্ডাক্টরি করতেও ক্যাপিটাল লাগে ইদানিং, মানে ধরে নিতে হবে আর কী গল্পের স্বার্থে
বৃহৎ এবং বিদগ্ধ মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। গল্পটা বেশ আবেগ দিয়ে লেখা। অন্যরাও তা ছুঁতে পেলে ভালো লাগে।
শুভকামনা।
৩৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
একজন কর্মহীন মানুষের জন্য রাতে সহজে ঘুম আসাটা কঠিন। কিন্তু সারাদিন পরিশ্রম করলে ঘুম এমনিতেই আসে, ঘুমের ওষুধ লাগেনা।
এখানে যদি রুপক আঁকারে চিন্তাকরি তাহলে বুঝতে হবে ঘুমের ওষুধটা হচ্ছে বেকার জীবনের দৈনন্দিন একঘেয়েমি। জীবন যখন কর্মময় হয়ে ওঠে তখন ঘুমের ওষুধ নামক এই একঘেয়েমি দূরে ঠেলে দিয়ে জীবন খুজে নেয় কিছু বৈচিত্রের স্বাদ। মনে হয় এইটাই মুল বিষয়। অন্যান্য ঘটনা গুলো গল্পের মুল থিমের সাপোর্ট হিসেবে এসেছে।
আল্লায় জানে ঠিক বুঝতে পারলাম কিনা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এখানে রূপকের মতো কঠিনভাবে চিন্তা না করলেও চলবে! তিনজন মানুষ। একই বিন্দু থেকে কেউ বিন্দুই থাকে, কেউ বৃত্ত হয়। মাঝখানে ঔষুধগুলো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। জীবন বদলে যায়। বদলে যায় সহমর্মিতা।
৩৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৬
নোমান নমি বলেছেন: অনেকদিন পর পড়লাম আপনার গল্প।
হামা ভাই এইটা বোধহয় ক্লাসিক হইছে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: নোবেক মনে হয় এবার পায়াই যামু :!>
৩৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ভালো হয়েছে হামা। গল্পের ডেভেলাপমেন্টটা বেশী ভালো লেগেছে। লিখতে থাকো।
ভালো থাকো।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু সোনিয়া ডিয়ার। ভালো থেকো সবসময়।
৩৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: যাক বিস্তর গবেষণা করে বুঝতে হয়নি। তারমানে অবশেষে আমার ব্রেইন আপনার গল্প কম্পাটিবল হলো হয়ত!
টানাপোড়েন, মায়া।
উপভোগ্য
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমাকে ব্লগে আবার নিয়মিত হতে দেখে ভালো লাগছে। তবে আবার কবে ফুড়ুৎ দিবা কোন ভরসা নাই
৪০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: টিকিট কাটো
৪১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অন্যান্য গল্পের চেয়ে অনেক 'সোজা' ভাষায় লেখা। মানুষ যখন থেমে যায়, তখন আশেপাশের চলমান সবকিছুর চাইতে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্টটাকে আপন মনে হয়। পেছনের ভিড় যখন ধাক্কিয়ে বলে- সামনে ছুটে চলা স্বাভাবিক; তখন মানুষ ছোটে। কিন্তু কি আশ্চর্য, ল্যাম্পপোস্টও কি ছুটতে পারে?
পুরো গল্পটাই মুগ্ধ করে রাখল। আলাদা কোন লাইন নয়।
এই মাসে কি ছয়টা গল্প আসবে?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ল্যাম্পপোস্ট ছুটতে পারে না। তার আলো ছুটতে পারে। আলোর বেগ অনেক, কিন্তু একাকী এবং অবহেলিত ল্যাম্পপোস্ট ক্লান্ত হয়। আলো ম্রিয়মাণ হয়। ছুটতে পারে না।
গল্প 'এতগুলো' লিখবো এমন কোন প্ল্যান নেই। ছয়টাও আসতে পারে। একটাও না আসতে পারে!
শুভকামনা প্রফেসর।
৪২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: গতকাল রাতে মন্তব্য করেছিলাম। পোস্ট দেয়ার পর দেখি আর সামুতে ঢুকতে পারিনা। কি মুশকিল! আজ এসে দেখি আমার মন্তব্যটাই পোস্ট হয়নি। কি লিখেছিলাম কাল? গল্প পড়ে মন্তব্য করেছিলাম। আজ তো সব ভুলে গেছি।
গল্প ভালো লেগেছিলো এইটুকু মনে আছে। আর যা ছিলো তা না হয় পরের বারের জন্য তোলা রইলো।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগাটুকুই নিয়ে নিলাম। তবে হারিয়ে যাওয়া মন্তব্যটির জন্যে আক্ষেপ থাকলো। শুভেচ্ছা সজীব।
৪৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
ছিঃ ছিঃ ছিঃ আমি নেশা করতে যাব কেন :#> :!>
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন করতে যাবা তা আমি কী জানি! হয়তো বা ছ্যাক খায়া করবা। খবরদার!
৪৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: আপাতত ফুরুৎ দেয়ার ইচ্ছা নাই!
সমস্যা হলো লেখাও তো দেয়া লাগে। সে তো আর হচ্ছে না!
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। কমেন্টাইতে থাকো। লেখা যখন আসার আসবে।
৪৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
ছ্যাকা না খাইলেও ছ্যাকার কাছাকাছি যাওরার অভিজ্ঞতা আমার আছে !
ওই টাইমে নেশার ধারেকাছে দিয়া যাই নাই তবে অনেক বন্ধুরে দেখছি ছ্যাকা খায়া ট্যাবলেট , ডেক্স খাইতে :#> সিগারেট ত কমন !....আর ইয়াবা ত হালের ফ্যাশন
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমাকে অভিনন্দন না জানায়া পারলাম না!
৪৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
হা হা হা সত্যি না এমনি এমনি
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আচ্ছা
৪৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: আপনার গল্প গুলোই অনেক সুন্দর... বাসের ভেতরে ভাবনা নিয়ে প্রায় অনেক গুলো গল্প ... একটা বিষয় একটা সময় একটা সমেয়ের চরিত্র গুলো নিয়ে লেখালেখি শুধু মাত্র ঝানু লেখকের পক্ষেই সম্ভব... ধন্যবাদ হাসান ভাই .. মুগ্ধ আমি...
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তুহিন।
৪৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পের ম্যাসেজটা প্রথমে ধরতে পারি নাই।মশিকুরকে দেয়া রিপ্লাইটা পড়লাম। ভালই লাগল।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাহলে মশিকুরকেও একটা থিংকু দেন! শুভদুপুর।
৪৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
______ অনবদ্য ______
যারা দিনের মানুষদের সাথে খুব একটা মিশতে পারেনা... চলতে পারেনা... যারা বেকার বা অকর্মন্য হিসেবে পরিচিতি পায়... যাদের প্রতি মানুষ দায়িত্ব বা বিশ্বাস রাখতে চায় না... তারাই দিনে ঘুমাতে পছন্দ করে, কেননা দিনটা তাদের কাছে অশ্লিল... অথচ প্রত্যেকটা রাত তাদের অনেক প্রিয়... তারা যেমন বন্ধুও হতে পারে তেমনি আবার প্রিয়তমাও...
সেইসব মানুষের ভেতরেতো কিছুটা হতাশা তৈরী হয়ই... তাই তারাও হতাশাগ্রস্ত মানুষদের সংস্পর্শে চলে আসে, ভাবনায় চলে আসে...
ঘুমের ওষুধের ব্যপারটা আমাকে অনেক কিছুই মনে করিয়ে দিলো( একটা সময়ে সিডাকসিনের খুব চল ছিলো )... আপনার এখানে ওষুধের ব্যবহারটা সাময়িক, তাই এটাকে নেশা হিসেবে নিতে পারছি না... এটা একটা সময়ে শুধুমাত্র মানসিক শান্তির জন্যই অনেকেই ব্যবহার করে থাকে... তবে এর থেকে নেশ হয়ে যেতেই পারে...
আমি নিজেও মাঝে মাঝেই ব্রোমাজিপামের একটা ওষুধ মাঝে মাঝেই ব্যবহার করে থাকি... যখন বাসায় কেউ থাকেনা( সবসময় নয়, হঠাৎ)... অথবা বাসা বা বাড়ি ছাড়া যেকোন জায়গায় বেড়াতে গেলেই আমি ব্যবহার করি... কারন তখন আমি স্বাভাবিক ঘুমোতে পারিনা...
লিখাটিতে সময়ের পরিবর্তন দারুনভাবেই চোখে পড়েছে... যা ইদানিংকালের মানুষদের মাঝে খুব বেশি দেখা যায়... সম্ভবত আমরা ইদানিংকালের মানুষরা পেছনে ফিরে তাকাতে মোটেও ভালোবাসিনা... প্রয়োজন বা স্বার্থপরতা আমাদের গ্রাস করে...
এখানে পরিবর্তনই শেষ কথা... হতাশা... ঘুমের ওষুধ... কনডম সবই প্রয়োজনের খাতিরেই... সম্পর্কও
শুভকামনা...
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটার সাথে আমার জীবনের কিছু জড়িয়ে আছে। তাই এটার প্রতি বিশেষ পক্ষপাত রয়েছে। কিছু অনুভূতি আপনার সাথেও খুব মিলে গেল। এটা অত্যন্ত পরিতৃপ্তির।
অনেক ধন্যবাদ। শুভবিকেল।
৫০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
সোমহেপি বলেছেন: হ শেষে আইসা একটা ধান্দায় পইড়া গেলাম।লেখক একটা ভাবনায় ফালায় দিছে। কত কিছু ভাবি ।আসলে কিছুই ভাবি না। মনে হয় এখানে ভাবনার অনেক কিছু আছে। এমন একটা ধান্দা।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধান্দায় আবার আন্ধা হয়া যাইয়ো না
৫১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারন......।।
চমৎকার একটা লেখা পড়লাম। খুব ভাল লাগলো। আমি সবসময়ই ভাবি এত সুন্দর করে এতটা গুছিয়ে লিখেন কিভাবে।
সত্যি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম...।।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রোকেয়া। শুভেচ্ছা।
৫২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
খাটাস বলেছেন: গল্পের হেডিঙ দেখে বোঝার চেষ্টা করছিলাম কি নিয়ে লিখা, এত বড় গল্প পড়তে সাহস পাচ্ছিলাম। হঠাৎ পড়তে শুরু করে পুরোটা পড়ে ফেললাম। ব্লগে অনেক অনেক গল্প পড়ি, অনেকের লেখা ই ভাল লাগে। এটাই সম্ভবত মাচিউর লেখা। গল্পে তেমন কিছুই নাই, আবার সব ই আছে। অনেক ভাল লেগেছে ভাই।
আর না মানুষ আর হ্যাঁ মানুষ- শব্দ দুটো একেবারেই ইউনিক।
অনেক শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্যে। শুভরাত্রি।
৫৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৮
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: একদম সহজ ঝরঝরে লেখা। গল্পটা খুব খুবই ভালো লাগলো। শেষ হবার পরো মাথার ভেতর থেকে গেছে সবকিছু। আর এখানেই আপনি অন্য সবার থেকে আলাদা। লেখা দিয়ে একটা ঘোর তৈরি করে দেন।
সময় জিনিসটা খুবই অদ্ভুত। না মানুষকে হ্যা মানুষ বানিয়ে দেয় আবার হ্যা মানুষকে না মানুষ বানিয়ে দিতেও পারে।
অনেক অনেক শুভ কামনা হাসান ভাই। ভাল থাকবেন
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
৫৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
ভিয়েনাস বলেছেন: ইতিবাচক পরিবর্তন গুলো মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে যদিও সময় ও ব্যস্ততার কাছে মানুষের সম্পর্ক গুলোর চাহিদা কমে যাচ্ছে.......
গল্প অনেক ভালো হয়েছে হামা ভাই
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যতেও ভালো লাগা। শুভেচ্ছা।
৫৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
আরজু পনি বলেছেন:
মন্তব্য বা জবাব দেখে প্রভাবিত হতে চাইলাম না ।
কখনো কখনো খুব কম সময়ের জন্যে হলেও আমরা বিবেকের সামনে দাড়িয়ে যাই ! অপরাধ বোধ ছুঁয়ে যায় !
ভালো লাগা রইল হাসান ।।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রভাবিত না হয়ে নিজে যা ভাববেন সেটাই ঠিক। শুভবিকেল পনি আপা।
৫৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৭
নেক্সাস বলেছেন: বারবারের মত হাসান ভাই ইজ হাসান ভাই...
অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়লাম...
সময় মানুষ কে চর্কার মত ঘুরায়...তাইনা ভাই?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ তাই।
ধন্যবাদ নেক্সাস। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
৫৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: গল্পটি কিঞ্চিৎ বড় হলেও এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। দারুন ঝরঝরে আপনার লেখা। লেখার মধ্যে অনেক অলংকার ব্যবহার করেছেন দেখলাম। যেমন, তাদের পায়ে যান্ত্রিক সার্কিট, বনবন করে ঘোরে। আবার এক জায়গায় লিখেছেন, এখন হয়তোবা আপনারা তার অবিমৃষ্যকারিতার নিন্দে করতে পারেন ইত্যাদি। এগুলো গল্পকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। কামনা করছি চমৎকার ভাষালৈশীর গল্পগুলো নিয়মিত লিখে যাবেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্যে। স্বাগতম আমার ব্লগে। আশা করি কথা হবে নিয়মিত।
৫৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: *ভাষাশৈলীর
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাষালৈশী শব্দটায় মজা পেয়েছি। ব্যাপারনা!
৫৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০
কালীদাস বলেছেন: পড়লাম।
আছেন কিরাম?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইতো আছি! থিংকু পড়ার জন্যে।
৬০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
প্যাপিলন বলেছেন: তাহলে অনেককেই এরকম সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আপনার আমার মত অনেককেই!
৬১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
মাক্স বলেছেন: ভালো লাগলো সময়ের প্রভাবে পরিবর্তনের গল্প!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু। শুভকামনা।
৬২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার অনেক গল্পই আমার তেমন ভাল লাগে নি, আবার অনেক গল্পই অনেক ভাল লেগেছিল। এই গল্পটা অনেক অনেক ভাল লেগেছে। একজনের নেতি থেকে ইতির দিকে ক্রমশ উত্তরণ আরেকজনের নেতির তিমিরেই পড়ে থাকা এবং সেই অন্ধকারের শূন্যতাবোধ ছুঁয়ে গেল।
এভাবে চিন্তা না করে আমি এভাবেও ভাবতে পারি, একজন ইতিকে পেয়ে গেছে আরেকজন ইতির খোঁজেই আছে। সে পথ থেকে নেমে দাঁড়ায় নি। তাই ফার্মেসিতে ব্যর্থ হলেও জীবিকার জন্য সে আরেকটি উপায় খুঁজে নিয়েছে। সে চেষ্টা করছে, থমকে যায় নি। সুতরাং এটাকে ইতি আর নেতির গল্প না বলে বরং ইতিবাচকতার গল্প হিসাবেই সাব্যস্ত করা যায়।
শুভকামনা হামা ভাই। পড়ার একদম সুযোগ পাই না। লেখার সুযোগ তো পাইই না। অনেকগুলো প্লট মাথায় নিয়ে ঘুরছি।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখা এবং মন্তব্য দুটোই মিস করি। ভালো থাকবেন।
৬৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩
সাসুম বলেছেন: হাসান ভাই আপনার যন্ত্রনায় থাকতে পারি না । কি সব ছাইপাশ লিখেন !! তাও ভাই এতো ভাল করে কেন লিখেন তাও জানি না ।
বি: দ্র: আপনার কোন বই বের হয়ছে ভাই?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! থ্যাংকস।
একটা বই বের হয়েছে। "প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত"।
৬৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
নক্ষত্রচারী বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে কমেন্ট করতেসি ।
এই লেখাটা অনেক আগেই পড়সিলাম, একটু ব্যাতিক্রম কিন্তু ফিনিসিং লাইনটা ভাল্লাগলো ।
জমানো কিছু লেখা ছিলো ব্লগে দেবার, সেটআপের সাথে সব শেষ ! যাই হোক ব্লগে আবার ফিরতে চেষ্টা করতেসি ।
আশা করি ভালো থাকবেন । বাসার সবাই আছে কেমন?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাম ব্যাক সুন। তোমাকে মিস করি। ব্লগে, রিয়াল লাইফেও।
শুভরাত্রি রাফি।
৬৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: না-মানুষের নির্লিপ্ততার মত নির্লিপ্ত প্রহসন হয়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় হাসলাম। সুক্ষ হিউমার আছে গল্পের ভিতরে। বিশেষ করে আতকা জবাবগুলো জটিল হয়েছে। মানুষ আসলেই বদলে যায়। সুসময়ের আর দুঃসময়ের মানুষ এক না। সব মানুষই আসলে ভাবের ঠেলায় চলে। একটা চাকরী, একটা ব্যাবসা, এইজাতের কিছু পেলেই তারা আর দশজনের মত সাধারণ জীবনে ফিরে যায়। এর আগে তাদের সব ভাব হইলো ফাউ ভাব। ব্রোমাজিপামরে কেউ ভালবাসে না, সবাই তারে পতিতার মত ব্যাবহার করে। চাকরী পাইলে ব্রোমাজিপামরে লাত্থি মেরে বউয়ের কাছে চলে যায়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়েল অবজারভেশন। থিংকু।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
এই মধ্যরাতে ব্লগে ঢুকার সুফল হাতেনাতে পেলাম,
আপনার টাটকা সদ্য গল্পে ভালোলাগা রেখে তারিয়েতারিয়ে পড়তে বসছি;
একমগ কালো কফি সমেত........
শুভমধ্যরাত হাসান ভাই!!