নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকদিন ধরে কিছু না লিখতে পারার কষ্ট একজন লেখকই কেবল অনুভব করতে পারেন। এই রোগের রাইটার্স ব্লক নামক একটা বাহারী নাম থাকলেও প্রতিষেধকের সন্ধান মেলেনি এখনও। হিতাকাঙ্খীদের সদুপদেশের অভাব অবশ্য হয় না কখনও,
"যাও একটু হাওয়া বদল করে আসো"
"লেখালেখি করার কোনো চেষ্টাই করো না। এমনিই লেখা আসবে"
"জীবনকে নিয়ে গভীরভাবে ভাবো..." ইত্যাদি।
শৌভিক এসব এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেয়। হাওয়া বদল করলে কলমে কালি ভরবে না, লেখালেখি করার চেষ্টা না করলে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যাওয়াই ভালো, আর জীবন নিয়ে গভীর ভাবনা! ভাবা তো যায় কত কিছুই, তা লেখাতে অনুদিত করতে পারাটাই সমস্যা।
অক্টোবরের এক হেমন্তবিকেলে শীতশীত আবহাওয়ায় শৌভিকের ইচ্ছে হলো তার এক লেখক বন্ধুর সাথে বিরাজমান সমস্যা নিয়ে কোন পানশালায় আলোচনা করতে । এমনিতে এ্যালকোহল সে খুব একটা নিতে পারে না, তবে জীবনের এমন চরম হতাশার লগ্নে কয়েক পেগ গিলে বমি করে উগড়ে দিয়ে শিথিল শরীরে সময়ের সিঁথি কাটা আরামদায়কই হবে। রায়াহানকে প্রস্তাবটা দেয়াতে সে লুফে নিলো একেবারে। সে আবার এসব ব্যাপারে না বলাটা অভদ্রতা মনে করে।
পানশালার ম্লান আলোয় দু বন্ধুর চিয়ার্স শুরু হলো রাইটার্স ব্লককে শাপ শাপান্ত করে। এমনিতে লেখার সময় তারা অবশ্য বেশ সুশীল ভাষা প্রয়োগ করে, তাদের মতে এটাই শুদ্ধ সাহিত্যের নিদর্শন। বৃত্তের বাইরের কিছু হাংরিয়ালিজম প্রভাবিত ক্ষ্যাপাটে তরুণের 'অভব্য' লেখার সমালোচনা করে শৌভিক বেশ কিছু প্রবন্ধও লিখেছে। বাস্তব জীবনে, বিশেষ করে পান করার সময় এসবের তোয়াক্কা করলে চলে না।
-রাইটার্স ব্লকের মায়েরে বাপ!
শৌভিকের এহেন প্রতিক্রিয়ায় সোৎসাহে রায়হান চ বর্গীয় শব্দ দিয়ে চালিয়ে যেতে থাকে চাকা। আজকে অনেক দূরে চলে যাবে তারা এ্যালকোহলের উড়ালগাড়িতে করে।
রায়হানের জন্যে ব্যাপারটা স্রেফ একটা আনন্দ উপলক্ষ্য, শৌভিকের জন্যে তা না। রায়হান আকন্ঠ গিলে বার থেকে বের হয়ে ফূর্তির ভঙ্গিতে সিগারেট কিনে ধোঁয়া ওড়ানোর চেষ্টা করবে চঞ্চলা মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে। আর শৌভিকের জন্যে সব শেষে এটা আরেকটি বিষণ্ণ সন্ধ্যা।
বিষ তার অন্ন।
তার বিষ অন্য।
তাই সে বিষণ্ণ।
-লিখতে পারছিস না এতে এতো উতলা হচ্ছিস কেন? কবেই বা লিখতে পারতি? লিখিস তো সব বালছাল।
এ্যালকোহলের প্রভাবে রায়হানের বোলচাল পাল্টে যায়।
-বালছাল লিখি আর তোমার সোনার বিচি লিখি তাতে তর কী? একটা লেখা শেষ করার কী যে আনন্দ! কতদিন সে আনন্দ থেইকা বঞ্চিত আমি!
কেঁদে ফেলে শৌভিক।
-আরে দোস্ত, লেখালেখির আনন্দ ছাড়াও আরো আনন্দ আছে জীবনে। আমার সাথে আইছো, মজা লইবা। ঐসব ফ্যাঁচফ্যাঁচানি কান্দন তোমার লুতুপুতু বান্ধবীদের সাথে যায়া কইয়ো। লও আরো এক পেগ লও। বোতলটা শেষ করা লাগবো।
-বাল! বমি করলে তুই পরিষ্কার করবি?
-তরে বেশি কইরা মিশায়া দিতাছি। খা। দেখবি একটা সোবার ফিলিংস হইবো। পেটেও হান্দায়া যাইবো ঠিকঠাক।
-দে শালা!
মেশানোর ব্যাপারে রায়হানের বেশ দক্ষতা আছে। শৌভিক যখন আরো চেয়ে নেয় তার কাছ থেকে তখন তার বেশ গর্বের একটা অনুভূতি হয়।
-লেখালেখির গুষ্টি মারি। এখন থিকা প্রতিদিন তোর সাথে বসুম। দিজ ইজ হ্যাভেন ম্যান। আই ডিডন'ট আন্ডারস্ট্যান্ড বিফোর। ইউ মাই নিগা। মাদারফাকিং নিগা। হাগ মি ডুড!
বাঙালি মাতালরা সলিলকেলি করলে পরে আশ্চর্য দক্ষতায় সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারে।
-ইংলিশ চুদাবিনা বাইঞ্চোত। তোর ইংলিশের উপ্রে আমি মুতি।
-দোস্ত আসলেই তো মোতা চাপছে রে। বাথরুমটা কোনে?
নাহ! শেষতক আর পারা গেলো না। কঠিন প্রতিজ্ঞা আর দক্ষ মিশ্রণও শৌভিকের পাকস্থলীর তরল-গরল-মুরগীর সাথে সহজেই যুদ্ধজয় করে সবাইকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করলো ওয়াশরুমের বেসিনে। নেশা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করলো তার। পানশালাটা যে কোন ইন্দ্রপুরী না এবং এখানকার কেবিনের খাটে অজস্র ছাড়পোকা, বাসায় গিয়ে একটা সতেজ স্নান আর ফোমের বিছানা একান্তই দরকার এ বোধ তার মধ্যে দ্রুতই জাগ্রত হলো। রায়হানও ততক্ষণে কিছুটা ধাতস্থ হয়েছে। বন্ধুর শোচনীয় দশা দেখে করুণার উদ্রেক হয়েছে।
-একা একা যেতে পারবি তো?
-পারলেই বা কী? একরাত আমার সঙ্গে থাক না!
-ওকে, থাকবো। তবে আরো অল্পবিস্তর পানের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
-আবারও!!
-বেশি না। দুইটা বিয়ার নিমু। একটা তোর, একটা আমার। পেট থিকা তো সব ফালায় দিসোস। এখন আরো কিছু যোগ না করলে এ্যালকোহলের প্রতি অসম্মান করা হয়। নে চল!
শুক্রাবাদ থেকে বনানী। অনেকদূরের পথ। ট্যাক্সিক্যাবে দুই বন্ধু কিছুক্ষণ খুব মৌজমাস্তি করার পর কেমন যেন ঝিমিয়ে আসে। শরীরের ওপর তো কম ধকল যায় নি। শরীরের ওপর তো অত দখল নেই তাদের। যেমন আছে কলমের ওপর। অবশেষে তারা বিকেলের আয়োজিত কাঙ্খিত আলোচনা বিলম্বে হলেও শুরু করতে পারে। বেশ লেখকসুলভভাবেই।
-কলমটাকে কম ধকল দেই নাই দোস্ত। কত আজেবাজে লেখা লেখসি। এর ওর নামে কুগীত গাইসি। কিন্তু ভালো লেখাও তো লেখসি। ভালোবাসার অবিনশ্বরতা নিয়ে আমার ঐ গল্পটার তো তুই খুব প্রশংসা করেছিলি। এখন কোথায় সে আমি? কোথায় আমার কলম?
-আমি তোকে আজকে একটা কলম কিনে দেবো। বিয়ারটা খোল। খেয়ে দেখ, ভালো লাগবে। খাটি জার্মান জিনিস। ১২.২% এ্যালকোহল। ঠান্ডা থাকতেই খা।
এবার আর আপত্তি করে না শৌভিক। তার মনে পড়ে জার্মান দেয়াল ভাঙার পরে এক পূর্ব জার্মানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো,
"দেয়াল কেন ভাংলেন আপনারা? নিশ্চয়ই মহান জাতীয়তাবাদ, ভ্রাতৃত্ববোধ..."
"আরে রাখেন! পশ্চিম জার্মানিতে দেদার বিয়ার খেতে পারবো এজন্যে।
মৃদু হেসে বিয়ারের কয়ানে চুমুক দেয় সে। স্বাদটা প্রথমে একটু তেতো লাগলেও কিছুক্ষণ পর বেশ হালকা লাগে তার।
-কী রে, জিনিসটা ভালো না?
-বেশ ভালো। আমি আরেকটা খাবো।
-খা। কোন সমস্যা নেই। এই গাড়িটা একটু থামান তো।
ট্যাক্সিচালককে নির্দেশ করে রায়হান।
-আবার কী হলো?
-ফার্মেসিতে যাচ্ছি। কিছু ঔষুধ কিনতে হবে।
ফার্মেসি থেকে ফিরে এসে রায়হান শৌভিকের মনোবেদনার ব্যাপারে দৃষ্টিপাত করে।
-চিন্তা করিস না দোস্ত। তোকে আমি একটা ভালো কলম কিনে দেবো বলেছি তো! সেই কলম দিয়ে তুই লিখতে বাধ্য!
-কী সব পদ্য করছিস। ভালো লাগছে না এসব এখন। আবার ভালো লাগছেও জানিস! অনেকেই অনেকরকম কথা বলেছে, সান্ত্বনা দিয়েছে, কিন্তু কেউ কলম কিনে দেবার কথা বলে নি। যদিও তুই কথাটা রূপকার্থে বলেছিস, তারপরেও আমার খুব ভালো লাগলো। হয়তোবা আমার পরের গল্পের প্রথম লাইনই হবে এমন, "তোকে একটা কলম কিনে দিবো। সেই কলম..." যাক এখন জট পাকিয়ে যাচ্ছে চিন্তাগুলো। বাসায় গিয়ে পরে ভাববো।
-আমি কিছু লাইন যোগ করি, "একটা কলম আমিও নেবো। আমারও কলম দরকার। কলমিলতার তৈরি কলম, বুনোফুলের সুঘ্রাণ মাখানো কলম, বন্ধুত্বের পরশ মাখানো কলম। আমাদের দুজনের কাছেই থাকবে সে কলম। শৌভিক, আমিও ভীষণ কষ্টে আছি রে। আমি লিখছি ঠিকই কিন্তু সব বুলশিট। তোকে দিয়ে যদি একটা ভালো লেখা লিখিয়ে নিতে পারি, সেই আনন্দ আমাকেও ছুঁয়ে যাবে। কলমের পর তুই'ই যে আমার পরম বন্ধু।
-আমরা বাঁচার জন্যে লিখি না। লেখার জন্যে বাঁচি। আমাদের লিখতে না পারার কষ্ট এত খেলো না। আমাদের নিয়ে খেলো না হাস্যরত করুণাগদগদ সমাজ! উই উইল কামব্যাক! তাই না রায়হান?
-একদম। ফাক সোসাইটি!
-এসব কথা আমাদের মধ্যে আগে হয় নি কেন?
-সবকিছুরই একটা সময় থাকে। উপযুক্ত সময় বেছে নিতে হয়। আমরা লিখতে পারি বা না পারি, এই সময়টা অক্ষয় হয়ে থাকবে। হয়তো বা বহুদিন পরে কোন লেখার পটভূমিকা হবে এই রাত, এই পানীয়, এই বাহন...ওহ এসে গেছি! বিল কত হলো?
*
-খুব ঘুম পাচ্ছে রে রায়হান। আজকে আর আড্ডা বা লেখালেখির চিন্তা বা বিষাদবর্ণন কিছু না।
-তুমি ঘুমুতে পারবে না বাউন্ডুলে, কবি না কবিতা কে বেশি পাগল তার হিসাব নেবার দরকার আছে।
-কবীর সুমনের গানের মডিফিকেশন তো ভালোই করলি! যাক, এখন আমি ঘুমুতে যাবো। একটা ভালো ঘুম না হলে খুব বাজে রকমের হ্যাংওভার হবে।
-তুই ঘুমাতে পারবি না। তোকে ঘুমাতে দেয়া যাবে না। ঘুমুলেই তোর মৃত্যুর ভয়। আই এ্যাম ড্যাম ফাকিং সিরিয়াস। আপ অন গড।
-মানে কী! কী বলিস এইসব?
-মানে হইলো কী, আমি যখন ফার্মেসি থেকে নেমে গিয়েছিলাম না, তখন কয়েকটা রিভোট্রিল ট্যাবলেট কিনেছি। এ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ড্রাগ। প্যানিক এ্যাটাকের জন্যেও উপযোগী। সমস্যা হলো, আমি তোর বিয়ারের সাথে বেশ হাই ডোজের রিভোট্রিল মিশিয়ে দিয়েছিলাম। এখন এ্যালকোহল জিনিসটাও কিন্তু অনেকটা একই কাজ করে। দুই মিলে কী হয় জানিস? সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রান্ত করে। দুইটা আলাদাভাবে নিলে সমস্যা নাই। তবে একসাথে নিলেই প্রবলেম। বিশ্বাস হয় না? এই দেখ নেট ঘেঁটে বের করছি,
Do not drink alcohol while taking clonazepam. This medication can increase the effects of alcohol. It can even lead to death.
ড্রাগস ডট কম থেকে নেয়া। দেখলিই তো! তোর ব্রেইন অকেজো হয়ে যাবে। নার্ভাস সিস্টেমের সিগন্যালগুলো ঠিকঠাক কাজ করবে না। ঘুম অবশ্য ভালোই হবে। তবে জেগে না ওঠার একটা প্রবল সম্ভাবনা আছে।
-আমি মারা যাচ্ছি? মারা যাচ্ছি আমি?
-যদি ঘুমিয়ে যাস, তবে মারা যাবার একটা সম্ভাবনা থাকে প্রবল। বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে হলে তোকে ব্রেইন এ্যাকটিভেট রাখতে হবে। কথা বলতে হবে। কফি খেতে পারিস। আর সবচেয়ে ভালো হয় একটা গল্প লিখলে। গল্প লেখা একটা হাইপার ক্রিয়েটিভ কাজ। এতে ব্রেইন ফাংশন সচল থাকে। নিউরন থেকে চিরনিদ্রার সংকেত আসে না।
-তুই কেন এমন করলি? কেন এমন করলি কুত্তার বাচ্চা?
-গালাগালি করছিস কেন? আমি তোকে বলেছিলাম না একটা কলম কিনে দেবো? সেই কলমটা দিয়ে তুই অনর্গল লিখতে পারবি? এই হলো সেই কলম। জীবন-মৃত্যু-আর ঘুমের শীর্ষবিন্দুতে কি থাকবে তুই নির্ধারণ কর। তোর কাছে না লেখার জন্যেই জীবন? তাহলে জীবন বাদ। একটা ভালো লেখা লিখতে পারার পর না তুই মরেও শান্তি পাবি বলেছিলি একদিন? তাহলে মৃত্যু বাদ। আর ঘুম? ঘুমোতে চাইলে ঘুমো! গুডনাইট!
-আমি সারারাত জেগে থাকলে বেঁচে থাকতে পারবো তো?
-আবারও বেঁচে থাকার কথা বলছিস? আগে তো লেখা, তারপর না বাঁচা! হতাশার হাওয়াই মিঠাই অনেক খাইয়েছিস মানুষকে। ভালো বিকিকিনি করছিলি। আর কলমটাকে বিকিনি পরিয়ে বেআব্রু করে রেখেছিলি। ওসব ভন্ডামি ছাড়ো এখন সোনা। লিখো,যাও লিখো!
রায়হানের বাক্যবাণে পর্যুদস্ত হয়ে শৌভিক ভগ্ন অবস্থায় ল্যাপটপের সামনে গিয়ে ওয়ার্ড ফাইল ওপেন করে।
-কেমন লাগছে শৌভিক? সবকিছু অসাড় হয়ে যেতে দিস না। লিখতে থাক। লিখতে লিখতে সাইড এফেক্ট কেটে যাবে। আর আমি তো আছিই সাথে। এসবক্ষেত্রে সাথে একজন না থাকলে বিপদ হতে পারে।
-তুই আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যা! আই নিড ইমিডিয়েট মেডিক্যাল এ্যাটেনশন।
-সেটা অবশ্যই একটা উন্নততর বিকল্প। বাট লিসেন মাদারফাকার, দেয়ার আর আদার ওয়েজ ফর রেমিডি। খুব তো লিখতে পারছিস না বলে কেঁদেকুঁদে বেড়াচ্ছিলি! এখন লেখ শুওরের বাচ্চা। বাঁচার জন্যে লেখ। রেমিডি হিসেবে লেখালেখিটা যেখানে সুযোগ হিসেবে আছে, তাহলে ডাক্তারের কাছে যাবি কেন? তোর কলম তোর ডাক্তার।
-আমার মাথা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমি...আমি মারা যাচ্ছি।
-তো যা না! মরতে, ঘুমোতে, বাঁচতে লিখতে কেউ মানা করে নি। নিজের পছন্দমত বেছে নে। তুই যদি আর দুই মিনিটের মধ্যে লেখা শুরু না করিস, তাহলে আমি দরজা লক করে দিয়ে ঘুমুতে যাবো। আর তুই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকবি ভেজিটেবল হয়ে।
-শেষ একটা কথা, আমার ওপর তোর কোন রাগ আছে? কেন এমন করছিস?
-শেষটাই তো শুরু বন্ধু! রাগের কথা যদি বলিস, তাহলে অনেক কথাই এসে যায়। সন্ধিপত্র প্রকাশনে আমার পাঠানো পান্ডুলিপি নাকচ করে দিয়েছিলো কে? তুই। অস্বীকার করে লাভ নেই। আমি জেনে ফেলেছি। তা সেটা হতেই পারে। হয়তো বা জেলাসি, হয়তো বা আমি অত ভালো লিখতামও না তখন।
-স্যরি...
-তুই অনেক বড় লেখক হয়ে গেছিস এখন। তোর লিখতে না পারার খবরটা পত্রিকায় ছাপা হয়। তোর মধ্যে নাকি সুইসাইডাল প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি অত ভালো লেখক না। আমার লেখাতে বা না লেখাতে কারো কিছু এসে যায় না। আমার ছাড়া। শোন, তোকে অনেক পেইন দিয়েছি। এখন সত্যি কথাটা বলি। বিয়ারের সাথে রিভোট্রিল আমি মেশাই নি। তোর শরীরে রিভোট্রিল যায় নি। শুধু এ্যালকোহল। তারপরেও আমি তোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে কিছু একটা লেখাতে চেয়েছিলাম। আমি তোকে এবং তোর লেখাকে সত্যিই ভালোবাসি অনেককিছুর পরেও। রিভোট্রিল খেয়েছি আমি। ড্রাগস আর এ্যালকোহলের সাইড এফেক্টে মস্তিষ্ক অসাড় হয়ে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম বিকল হবার সম্ভাবনা আমার, তোর না। এতক্ষণ নিজেকে জাগ্রত রাখতে পেরেছি প্রচন্ড প্রেষণা আর অনুভবের তাড়ণায়। তোর সাথে কথা বলে, বচসা করে ব্রেইন এ্যাকটিভেট রেখেছি। আর দেখেছি চরমতম সংকটময় মুহূর্তে একটা লেখা তোকে বাঁচিয়ে তোলার রসদ যোগাতে পারে কী না। পারে না। তুই অনেক ভালো লেখক হলেও আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মত আত্মহত্যা করার মুরোদ নেই। আমার আছে। তাই জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নেও আমি জেগে থেকে আমার রাইটার্স ব্লক কাটাবো। তোকে বলেছিলাম না, সবকিছুর একটা উপযুক্ত সময় আছে? শিল্পের জন্যে জীবন, এই মহান বোধকে ধারণ করার জন্যে এমন একটা সময়ই দরকার ছিলো আমার। তুই যা, আমি লিখতে বসবো এখন। কলমটা দিয়ে যা! এটা এখন আমার। শুধুই আমার।
ঘুম টুঁটে গেলে ভয় কেটে গেলে এক অনাস্বাদিত লজ্জার বোধ নতজানু করে রাখে শৌভিককে। গভীর মগ্নতায় লিখতে থাকা রায়হানের কাঁধে হাত রেখে সে বলে,
"এই কলমটা, ঠিক এই কলমটাই আমি খুঁজছিলাম। জানি, এটা পেতে আরো দেরী হবে আমার। এখনও সে যোগ্যতা হয় নি। তুই আজ রাত জেগে থাক, লিখতে থাক ইচ্ছেমত। খবরদার ঘুমোবি না! কলমটা হারিয়ে যাবে তাহলে। আর এটা হারিয়ে গেলে তোর কাছ থেকে ছাড়া আর কার কাছ থেকে পাবো বল?"
রায়হান ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে হাসে, ঘুমে চোখ বুজে আসছে। কিন্তু ঘুমোনো বিপদজনক হতে পারে। মৃত্যু, জীবন, ঘুম আর রাসায়নিক পদার্থের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাকে জিততেই হবে! সে লিখে যায়।
হয়তোবা সেটাই ছিলো তার লেখার সত্যিকারের শুরু অথবা মিথ্যামিথ্যি শেষ!
#বিশেষ ধন্যবাদ সালেহ তিয়াসকে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আনন্দময় হোক পাঠ!
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৩
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: অদ্ভুত! আমার জীবনে যে লেখাটা পড়ে আমি দুইদিন আনন্দে বিহ্বল হয়ে কাটিয়েছি। এই লেখাটা তার অনেক কাছাকাছি। সেই লেখাটা নিয়ে আমার একটা নাটক করার ইচ্ছাও আছে। জানিনা আদৌ কখনো সম্ভব কিনা?
খুব ভালো লাগলো হাসান মাহবুব ভাই। ভালো থাকবেন। সব সময়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অত্যন্ত আনন্দিত এবং অপুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে। ভালো থাকুন। শুভরাত।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হয়তোবা সেটাই ছিলো তার লেখার সত্যিকারের শুরু অথবা মিথ্যামিথ্যি শেষ!
বেশ লাগ্ল হামা ভাই!!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অ.সি।
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনবদ্য +++++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
নোমান নমি বলেছেন: হামা ভাই কি দারুণ একটা গল্প। আমার মনে হল আপনি খুব দ্রুত শেষ করে দিছেন।
গল্পটা পড়ে মন্তব্য "ইশ!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুটা ক্লান্তি ছিলো অস্বীকার করবো না! তবে চেষ্টা করেছি খামতি না রাখার।
শুভরাত্রি।
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: ভাই, প্রথমেই একটা ধন্যবাদ দিই। কেন? কারণ এই না হলে প্যাশন! এই লেখা লেখার কথা ছিল বৃহস্পতিবার রাতে। কারণ কাল নাকি অফিস। আর এখন অফিসের গুষ্টি কিলিয়ে লেখা অলরেডি হয়ে গেছে। এই না হলে প্যাশন। এটাই তো চাই। থ্যাঙ্ক ইউ।
পুরো গল্পের আইডিয়াটাই দারুণ। শেষে যে টুইস্ট টাইপ দিলেন, মানে অ্যালকোহল কে খেয়েছে এটা নিয়ে যে টুইস্ট দিলেন, এটা গল্পের মোড়ই পাল্টে দিয়েছে বলা যায়। একটা খটকা রয়ে গেল, মানে এটা আপনি এডিট করে নিলেই হবে, ঘুমের ওষুধ, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টি-সাইকোটিক ইত্যাদি ড্রাগ যেগুলো সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের উপর কাজ করে সেগুলো ফার্মেসি থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেয় না, দিলেও একসাথে বেশি দেয় না, এটা তো আপনি জানেনই। সেটাই জাস্ট একটু এডিট করে দিলে গল্পের খটকা দূর হয়ে যেত।
আর ইয়ে, শেষমেশ লজ্জা দিলেনই??
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, এই প্যাশনের ওপরেই তো বেঁচে আছি!
গাড়ি থেকে নামার পরের অংশ কিন্তু বিবৃত হয় নি। হতে পারে তার চেনা দোকান, হতে পারে প্রেসক্রিপশন ছিলো, হতে পারে অল্পই নিয়েছিলো। তারপরেও ভেবে দেখবো। একটা নতুন দৃশ্য যোগ হলে খারাপ কী!
বান্দরের যে লজ্জা থাকে তা তো জানতাম না
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হাসান ভাই সলিলকেলি অর্থ কি ?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সলিল অর্থ জল। জলকেলি শব্দটাকেই একটু পাল্টে লিখলাম। ভালো দেখাচ্ছে না বোধ হয়।
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: রাইটার্স ব্লকের মতো মহান অসুখ কিনা জানি না, মাঝে মাঝে আমার এমন হয় যে আমি লিখতে চাচ্ছি কিন্তু কিচ্ছু হচ্ছে না । কয়েকদিন আগেও এমন হয়েছিলো । ওটাকে নিয়েই লিখে ফেলেছিলাম, কখনও একটি কলম প্রেমে পড়েছিলো একটি ভালোবাসার গল্পের ।
আপনার গল্পের গভীরতায় আলাদা । সম্পর্কের জটিলতা, মানসিক দ্বন্দ্ব, চমক, টান টান প্লট ! একসাথে এতো কিছু নিয়ত্রন করেন কিভাবে!!!?? যদিও গালাগালিটা আমি ঠিক নিতে পারি না । তবে যা প্রত্যাশা আপনার গল্প দেখলেই জেগে ওঠে তা পূরণ হয়েছে । ভালো লাগা জানবেন । শুভেচ্ছা এবং শুভ রাত্রি ! ধন্যবাদ ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ লিখতে গিয়ে আপনার গল্পটার কথা মনে পড়ছিলো। চমৎকার গল্প ছিলো সেটা।
শুভরাত্রি।
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২
কুহক' বলেছেন: তেমন কিছু বলবার নেই। নাকে এখনও ভেসে আছে ১৪ দিনের ডানোর ডিব্বার কথা।....
২০ তারিখ আসতে ভুল করবেন না আশা করছি।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুস্থতা কামনা করি। দেখা হবে আশা করি।
১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: দারুন !
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
না না ভালো লাগবেনা কেন নতুনত্ব রয়েছে বেশ ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক শুনে আশ্বস্ত হলাম!
১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৭
ফাহাদ রহমান খান কবির বলেছেন: তৃপ্তি মেটেনি, কিছুটা কি অসম্পূর্ণ?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি চেষ্টা করেছি পূর্ণতা দেবার। আপনার কোনখানে খটকা থাকলে জিজ্ঞেস করবেন অবশ্যই।
শুভকামনা।
১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল।
ইদানীং দেখছি অনেক লিখছেন। বিষয়টা কি ?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। আলসামী কমানোর চেষ্টা করতেসি এই হৈলো বিষয়!
১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪
ভাল্লুক আকবর বলেছেন: ভাইয়া আমি আপনার সব লেখাই মন দিয়ে পড়ি কিন্তু মন্তব্য করতে সাহস হয় না। ভাইয়া এত সুন্দর গল্পের প্লট কোথা থেকে আসে আপনার মাথায়!! আর আপনার শব্দচয়ন দেখে বিস্মিত হই আর কিঞ্চিৎ ঈর্ষান্বিতও হই। ভাল থাকবেন......
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্য করতে সাহসের কী আছে! দেখেন না সবাই কত স্বতস্ফূর্তভাবে মন্তব্য করছে! স্বাগতম সবসময়।
১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৫
নষ্ট কাক বলেছেন: বহু দিন পর অন্যরকমের একটা গল্প পড়লাম ।
অনেক ভালো লাগছে ,ভাই।
শেষের টুইস্টা সেইরাম হইছে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সলিলকেলি
শব্দটায় ভাল লাগা ।
গল্পটার বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমি এই কয়দিন খুব ভাবছিলাম ,
চাইলেও লিখতে পারি না , এই ব্যাপারটি আমাকে খুব পীড়া দেয় ।
লিখালিখির যন্ত্রনা ভয়ানক , লিখাতেও জ্বালা , না লিখলেও জ্বালা ।
একজন লিখক হিসেবে আপনিও তার ব্যতিক্রম নন ।
( যন্ত্রণার তাপে আপনাকেও দগ্ধ হতে হয় ) ।
গল্পটায় অনেক ভাল লাগা । এই মাসে এই গল্পটায় সবচেয়ে বেশি ভাল লাগছে ।
ভাল থাকুন হাসান ভাই
শুভকামনা , শুভকামনা ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সলিলকেলি এবং গল্পে বেশি নম্বর পেয়ে খুশি হলাম।
লিখতে না পারাটা পীড়াদায়ক? কিন্তু তা কতটা তীব্র? জীবন, মৃত্যু, আরাম আয়েশকে অতিক্রম করতে পারে কজনা! আমার খুব রায়হানের মত হতে ইচ্ছে করে।
শুভরাত মাহমুদ।
১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো।
রাইটার ব্লক বড্ড বাজে জিনিস।।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। খুব জঘন্য জিনিস!
১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫১
আদনান০৫০৫ বলেছেন: হামা ভাই... আমি এখনো রাইটার হইতে পারিনাই... (বিশ্বাস করেন বিনয় দেখাচ্ছিনা, আমি যাদের লেখা পড়ি তাদের মত যদি ১টা লাইনও আমার দ্বারা লেখা সম্ভব হইতো তাইলে এটা বলতামনা) কিন্তু রাইটার্স ব্লকের ব্যাপারে অনেক শুনেছি, আসলেই যে কি পরিমাণ হতাশার মত ব্যাপার তা অনেকের সাথে কথা বলে বুঝেছি। মৃতবৎসা মায়ের অনুভূতির মতন মনে হলো সেটা।
আমরা বাঁচার জন্যে লিখি না। লেখার জন্যে বাঁচি। আমাদের লিখতে না পারার কষ্ট এত খেলো না। আমাদের নিয়ে খেলো না হাস্যরত করুণাগদগদ সমাজ! উই উইল কামব্যাক!
গল্পটা খুবই ভালো লাগছে। গত ১ মাস ব্লগের লেখা পড়া থেকে একটু বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে পড়ার ব্যস্ততায়, গতকালেই বড় রকমের সব ঝামেলা শেষ করে উঠলাম - আর শুরু করলাম আপনার এই লেখা পড়েই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আর আমি এখনও রাইটার হৈতে পারসি কী না এটা নিয়ে কনফিউজড। নিজেকে লেখক বলার চেয়ে ব্লগার বলাই মনে হয় শ্রেয়। তবে একদিন আশা করি লেখক হৈতে পারুম।
শুভেচ্ছা আদনান।
১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: লিখক ভেদে তীব্রতার বেশ - কম ত থাকবেই । এখানেই নিবেদনের
বিষয়টা আসছে । কে কতটুকু মানসিক বা শারিরিকভাবে নিবেদিত ?
ইলিয়াস বলতেন আমি ২৪ ঘন্টার রাইটার ।
অথচ উনি লিখে গেলেনই বা কয়টা ?
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রত্যেক নিবেদিত লিখক যা লিখেন তার চেয়ে বেশি লিখা মাথায় নিয়ে তাকে মারা যেতে হয় ।
পীড়া অনেক কারণেই হচ্ছে - লিখতে পারি না তার পীড়া , সময় পাচ্ছি না
অথচ লিখতে হবে তার পীড়া , ভাল লিখতে না পারার অক্ষমতার পীড়া ,
পীড়ার কি আর শেষ আছে হাসান ভাই ?
আবার মাঝে মাঝে মনে হয় লিখে কি লাভ ! নিজের কথা প্রকাশ
করে কি ই বা হবে ! এ ভাবনার কারণেও অনেক সময় নিশ্চল হয়ে যাই ।
কিন্তু যখন আবার নিজের লিখার সময়কার কথা স্মরণ করি , তখন সবকিছু তুচ্ছ মনে হয় । লিখার যে আনন্দ , নিজের জীবনের আনন্দময় মুহূর্ত - গুলোর
একটা । আমার আনন্দকে আমি কেন স্পর্শ করতে চাইব না ?
এটা একটা গোপন ও মহৎ গল্প হিসেবে থাকে , পাঠকরা এ গল্পের
ঠিকুজি কখনই পাবেন না ।
রায়হানের মত অনুভূতি কখনো হবে কিনা জানি না , তবে এটুকু বলতে পারি
যেদিন বুঝব মহৎ কিছু বের হবে আমার হাত দিয়ে - রায়হান হতে
চাইব আমিও !
যে সব কারণে ভাল ভাবে বাঁচতে চাই অনেক দিন , তার মধ্যে লিখা - লিখি ও যে আছে !
ভাল থাকুন হাসান ভাই
হৃদকলমের আঁকিবুঁকি চলতে থাকুক ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার বারবার হতে ইচ্ছে করে মানিকের মতন। তিনি একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য জীবন স্রেফ লেখালেখির পেছনে বিলিয়ে দিলেন! ভগ্নস্বাস্থ্য আর নোংরা বাসস্থান তাকে শেষ করে ফেলছিলো ধীরে ধীরে। কিন্তু তার ধ্যানজ্ঞান ছিলো কেবলমাত্র লেখা। অথবা ফাল্গুনী রায়ের কথাই ধরুন। হাংরিয়ালিস্ট কবি। কবিতা লিখেছেন ৩০-৩৫ টার মতো। কিন্তু কী ভিষণ তীব্রতা আর নিহিলিজম ধারণ করেছিলেন তিনি! কিছু না লিখলেও তিনি কবি হতেন। এই যে সৃজনের সৎ আকাঙ্খা এটা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।
শুভদুপুর।
২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
জোস।
লেখক নাক হওয়ার একটা মজা হলো-রাইটার্স ব্লক হবার ভয় নাই ||
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাবধান হয়া যাও!
২১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক মজা করে লিখেছেন হামা ভাই ।
রাইটার ব্লক হয়ত রাইটারদের ফেস করতেই হয় । লেখালেখি ব্যাপারটা যেহেতু মস্তিষ্ক প্রসূত, তাই সমাধানটাও ওখান থেকে হওয়া উচিত । অর্থাৎ মস্তিষ্কে একটা ঝাঁকুনি দেয়ার দরকার হয়ে পড়ে । লেখকেরা যেহেতু ক্রিয়েটিভ, তাই এটা থেকে বের হয়ে আসার ক্রিয়েটিভ একটা ওয়ে তারা বের করে ফেলে ।
কিন্তু মস্তিষ্কে ঝাঁকুনি দিতে গিয়ে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে কাজ করা কোন ড্রাগের উপর ঝুঁকে পড়া কোন কাজের কথা নয় । এই ড্রাগগুলো বাজে ধরনের নির্ভরতা (ডিপেনডেন্সি) তৈরি করে, যা ক্রমশ একজনকে মানসিক বৈকল্যের দিকে ঠেলে দেয় ।
মস্তিষ্কের ঝাঁকুনি বোধগত জায়গা থেকে হলে সবচেয়ে ভাল । এটা অনেকটা গ্রে সেল গুলোকে উদ্দীপ্ত করার মত । গ্রে সেলে উদ্দীপনা শুরু হলে মাথার ভিতরে সৃষ্টিশীলতার বাত্তি জ্বলে উঠবে, ব্লকাচ্ছন্ন লেখক তখন চিৎকার দিয়ে বলে উঠবে ইউরেকা, পাইছি পাইছি..
গল্পে ভাললাগা ++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: জীবন যখন সংকটাপন্ন, একটা ভীতি আপনাকে গ্রাস করছে মারা যাবার। তখন শুধু লিখে কি তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়? ধরুন এটা একটা বিকল্প, এর চেয়ে ভালো বিকল্পও আছে। কিন্তু একজন লেখক, যার চিন্তায় চেতনায় শুধু লেখা, সে অন্যান্য সুবিধাকে তুচ্ছ করে লেখার ওপর ভর করে ভয়াবহ সাইড এফেক্টগুলোকে কাটাতে পারবে কী? শিল্প জীবনের বিপক্ষে জিতে যাক মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে। কী দারুণ হবে ব্যাপারটা!
২২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
গোর্কি বলেছেন:
আমরা বাঁচার জন্যে লিখি না। লেখার জন্যে বাঁচি।
-গল্পের ভেতর এ লাইন দুটো দারুণ লেগেছে।
-পঠনে ভাললাগা জানাই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গোর্কি। ভালো থাকবেন।
২৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: ভাল লাগা বার্টনে চাপদিয়ে বিপদে আছি ভাই। শুধু ঘুরতেই আছে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী আর করা! সবারই এক সমস্যা।
২৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঐ রকম করে কখনো বলতে পারব কি না জানি না " লেখালেখি করতেই বেঁচে আছি "। বেঁচে থাকার জন্য লিখে যাওয়া - চমৎকার একটা ব্যাপার। সাফল্য পেতে পেতে বা পরিচিত হয়ে গেলেই তার মাঝে হারাবার একটা ব্যাপার কাজ করে হয়তো বা , সেই হারিয়ে যাবার নাম " রাইটার্স ব্লক " -- চরম এক অসহনীয় যন্ত্রণার নাম।
রায়হানের ক্যারেক্টার গল্পের লিডিং চরিত্র মনে হলেও তার মাঝে একটা বোধ কাজ করে মহান হবার। এ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ড্রাগ নিয়ে শৌভিককে সে দারুন একটা মেন্টাল প্রেসার দিয়েছে সত্য। আর সেই " কলম " টা যাতে হারিয়ে না যায় সেটা প্রতিটা লেখকেরই কাম্য।
এ মাসে আপনার তিনটা গল্পের মাঝে এটা ভালো লাগার মতো, মনে রাখার মতো একটা গল্প ।
সুপ্রভাত
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মজার ব্যাপার কি জানেন? গল্পটা লেখার কোন প্ল্যানই ছিলো না। বাসায় আসলাম। পিসির সামনে বসলাম। মেয়েকে নিয়ে খেললাম। তারপর রাত আটটার দিকে থিমটা মাথায় বনবন করে ঘুরতে লাগলো। রাত দশটার সময় লেখা না শুরু করে পারলাম না। একটানেই লিখেছি। মাঝে তিয়াসের সাথে কথা বলেছিলাম মেডিক্যাল টার্মগুলো শিওর হবার জন্যে।
ধন্যবাদ এবং শুভদুপুর।
২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২১
নেক্সাস বলেছেন: এত বড় গল্প পড়ার মানসিক শক্তি এখন আমার নাই। তবুও প্রিয় গল্পকার হাসান মাহবুব বলে কথা। আপনার মেটাফোর আমাকে ভীষন টানে। একটানে গল্পটা পড়লাম। অদ্ভুত সুন্দর। কোথাও কোন ছন্দপতন নেই। যেভাবে শুরু সেভাবে শেষ। শুরু থেকে শেষ অবধি পাঠক কে ধরে রাখার কি চৌম্বকীয় মুন্সিয়ানা।
সাহিত্যে লেখকের মুন্সিয়ানা বলে একটা কথা আছে। সেটা হাসান ভাই আপনার লিখায় আমি টের পাই।
শৌভিকের এহেন প্রতিক্রিয়ায় সোৎসাহে রায়হান চ বর্গীয় শব্দ দিয়ে চালিয়ে যেতে থাকে চাকা। আজকে অনেক দূরে চলে যাবে তারা এ্যালকোহলের উড়ালগাড়িতে করে।
আপনার এমন চাতুর্যপূর্ন লিখা আমাকে বোমিহিত করে।
লিখে যান অনন্তর। রাইটার্স ব্লক যেন আপনার জীবনে মিথ্যে হয়ে যায়।
শুভ কামনা ভাই
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই অবস্থাতেও যে আমার লেখা পড়ছেন এবং মতামত জানাচ্ছেন, এটা আমার জন্যে বিশেষ একটা প্রেরণা। সুস্থ থাকুন, লেখায় থাকুন। অনেকদিন আপনার কবিতা পড়া হয় না।
২৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
সোমহেপি বলেছেন: ভাল লেগেছে অনেক।
একবার মনে হয়েছিল যে সত্য প্রকাশের ব্যপারটা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো সবটা শেষ করে মনে হচ্ছে যে ঠিকই আছে কলমটা েতা আসলে মিথ্যাবাদী লেখকের ই বেশি দরকার সেটা যত শীঘ্রই হোক।
সুন্দর গল্প। রেশ রেখে যাওয়ার মত।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু ইমন। রেশ রাইখা দাও।
২৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
টুম্পা মনি বলেছেন: মাতালদের আলাপণে মজা পেলুম। আমি অনেক দিন ধরে মদের সাইড ইফেক্ট নিয়ে একটা গল্প লেখার ট্রাই দিতেসিলাম। কিন্তু কেন যেন কিছুতেই পূর্ণতা পায় না। আমার গপ্পও আর শেষ হয় না।
আপনার গল্প অনেক ভাল্লাগলো। শুভকামনা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় নেন। আপনার কাছ থেকে এমন একটা লেখা বেশ ইন্টারেস্টিং হবার কথা। অপেক্ষায় রইলাম।
২৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২
নীল-দর্পণ বলেছেন: সলিলকেলি ভেবেছিলাম জলকেলি টাইপ ই কিছু হবে। ডিক্সনারি ঘাটবো নাকি আপনাকে জিজ্ঞেস করবো ভাবছিলাম। পড়ার শেষে দেখি কমেন্টেই আছে!
একটানে পড়েছি, শেষ দিকে যেভাবে মোড় নিলো! কি রকম একটা তৃপ্তি যে পাইছি পরে...সত্যিই
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুক্তাফা ইদানিং আমার গল্প পড়ছে এটা তৃপ্তির!
২৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: হামা ভাই ইদানিং সহজ করে লেখেন তাই তো মুক্তাফা পড়তে পারে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাই! তাহলে সামনে কঠিন হোমওয়ার্ক দিবো
৩০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
কি লিখলেন এইটা !! বুঝতে পারছেন নিশ্চয় যে লিখাটি অনেককেই দারুনভাবে প্রভাবিত করবে...
সাহিত্য চর্চা বা লিখলিখির ক্ষেত্রে একটি বা একের অধিক এরকম কলম যদি থাকে তবে রাইটার্স ব্লক হবার একদমই সম্ভাবনা থাকেনা... একটি বন্ধু কলম একজন লেখকের জন্য প্রত্যাশার অধিক কিছুই পেয়ে যাবার মতো...
ভাবছিলাম এরাম...ভদকা...হ্যানিকেনের কথা... শুক্রাবাদ লিখেদিলেন বলে অনেক অন্ধকারে ডুবে থাকা দৃশ্য অবয়ব পেতে শুরু করলো যেন...
অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে লিখাটি এবং যথেষ্ট স্পর্শকাতর...
শুভকামনা...
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটির প্রভাব অন্য লেখার চেয়ে বেশি হলে আমি খুশিই হবো। ক্ষ্যাপাটে শিল্পীরা কলম দিয়ে হৃদয় রক্তাক্ত করে সেই রক্ত দিয়ে লেখুক! তারপরেও লেখা যেন না থামে। এ এক অভিশাপ!
শুভেচ্ছা কবি।
৩১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
খাটাস বলেছেন: এটা আমার পড়া আপনার দ্বিতীয় লেখা। প্রথম দিকে পড়ার সময় মনে হয়েছে, মানুষ সব সময় একই যোগ্যতা দেখাতে পারে না, কথা টা সত্যই, যদি ও মাতালের মাতলামি বেশ ভালই লাগছিল।
শেষ টুকু দেখার পর মনে হল অন্তত এবার সমান যোগ্যতা দেখাতে না পারলে ও আগের গল্প টা কে বহু গুনে ছাড়িয়ে গেছেন।
খাটাসিয় মুগ্ধতা।
শুভ কামনা। প্লাস। ভাল থাকবেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৩২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
নীলপথিক বলেছেন: আমিও রাইটার্স ব্লকে পড়ে আছি ফেব্রুয়ারী থেকে (মজা করলাম)
দূর্দান্ত হয়েছে। অনেক দিন পরে ব্লগে এলাম। আসুন কোলাকুলি করি।
ইউ আর মাই নিগা। খামোন ম্যান। গিম্মি আ হাগ...
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার ব্লগ খুব ভালো লাগতো। হঠাৎ এত অনিয়মিত হয়ে গেলেন কেন? আবার ফিরে আসুন আগের মত।
শুভেচ্ছা।
৩৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অনেক বিষয়ে আলোকপাত করেছেন, রাইটারস ব্লগ নিয়ে গল্প লিখতে গিয়ে। মজা পেলাম। লেখার বিস্তারণ ও সাবলীলতায় মুগ্ধ হলাম।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার গল্প। না লিখতে পারার যে মানসিক যন্ত্রনা তা খুব চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। লেখকদের জন্য মায়া হয় যারা এই যন্ত্রনায় ভুগেন। গল্পের নাম এবং প্রচ্ছদ অনেক ভালো লেগেছে।
ভাগ্যিস লেখক নই, সাধারন ব্লগার। সাধারন ব্লগারদের মনে হয় "বিবি" বলে কিছু নেই। ইয়ে মানে এই বিবি আবার সেই বিবি না, ব্লগারর্স ব্লক
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! ভালো নাম দিয়েছেন। তবে 'বিবি'ও কিন্তু হয়। আমার যে কবে হবে! বেশি বেশি লিখে গেলছি ইদানিং।
৩৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
ভিয়েনাস বলেছেন: এক বার একটা নাটক দেখেছিলাম টিভি তে। একজন কবির মাথা প্রায় খারাপ হয়ে গেছে কারণ সে কবিতা লিখতে চায় কিন্তু কবিতা তার ভেতর থেকে আসেনা। সবার কাছে নিজের অপারগতা বলে বলে বেড়ায়। শেষে এক শুভাকংখি বনধু পরামর্শ দিল কষ্ট না পেলে কবিতা আসবেনা। সে কষ্ট পাওয়ার জন্য ট্রাকের নিচে ঝাপিয়ে পড়লো,হাত পা ভাংলো ,হসপিটালে গেল তবুও সে কবিতা লিখতে পারলো না... তাহলে কবিতা আসার জন্য কেমন কষ্ট দরকার???
আপনার গল্পটা পড়ে হঠাৎ নাটকটার কথা মনে পড়লো
লেখদের জন্য রাইটার ব্লক সত্যি অনেক যন্ত্রনাদায়ক ব্যাপার। এ থেকে বেরিয়ে আশা কষ্টকর।
গল্পে ভালো লাগা......
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাহ! বেশ মিল আছে তো দুটোয়! নাটকটা দেখতে ইচ্ছে করছে।
ধন্যবাদ ভিয়েনাস।
৩৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: রাইটারস ব্লগ= রাইটারস ব্লক
(ব্লগিং করতে করতে ব্লগ ছাড়া কিছু হাতে আসে না! আমি থাকি আবার জি ব্লগে!)
আবারও শুভেচ্ছা
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: কোন ব্যাপার না। শুভবিকেল।
৩৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
এটা বাস্তব আর লেখাটা দারুন, উপভোগ্য।
(ব্লগ ভালোবাসি কেন জানেন! ফ্রি -তে এসব অনকোরা,
ঝরঝরে এবং দামী লেখা অনায়সে পড়া যায় বলে.......)
শুভদুপুর হাসান ভাই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।
৩৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: অ্যালকোহল আর ক্লোনাজিপাম (অথবা যেকোন বেনজোডায়াজিপিন) বেশ বিপদের কারণ হতে পারে। তবে সেফটি মার্জিন খুব একটা খারাপ নয়।
লেখাটা খুব সাধারণ মনে হয়েছে। পানশালায় আলাপচারিতা সুন্দর হয়েছে, বাস্তব মনে হয়েছে এবং আরোপিত মনে হয়নি। কিন্তু কেন যেন মনে হলো একটু তারাহুরো করে লেখাটা শেষ করেছো, অথবা নিজেই হয়ত একটা ভয়ের মাঝে আছো সামনেই তোমার "রাইটার্স ব্লক" হতে যাচ্ছে!
আমি শেষটা পছন্দ করিনি। এমনভাবে শেষ হতে পারতো যেখানে পাঠকের কাছে পুরো গল্পটাই একটা পাজল হয়ে থাকতো।
প্রিয় হামা!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার থিম মাথায় আসছে হুট করেই এবং তখনই লিখতে বসা, তবে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি তারাহুড়ো না করার। এই গল্পের সাহিত্যিক মূল্য বিচার কারা ছাড়াও অন্য ধরণের মন্তব্য আশা করছিলাম। মেডিক্যাল রিলেটেড। যাক, ফার্মাসিস্ট আমার শংকা দূর করলো।
ধুরো হেমা!
৩৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমার এই কলমটা দরকার। খুব দরকার।
রাইতে আরেকটা কমেন্ট করমু।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেই কলম দিয়েই কৈরেন!
৪০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হা হা!!
বেনজো কিন্তু খুবই (এবং খুবই) ভয়ঙকর ড্রাগ। এটা খুব দ্রুত এর প্রতি মানুষকে নির্ভরশীল করে তোলে এবং ছেড়ে দেয়া খুব কঠিন। যত দিন যাবে ভয়াবহতা বেড়েই যাবে।
সবচেয়ে ভয়ঙকর যে বিষয়টা ঘটতে পারে সেটা একজন মানুষের পুরো জীবনের ছক পাল্টে দিতে পারে। এই গ্রুপের ঔষধগুলো সেক্সুয়াল ইন্টারেস্ট কমিয়ে দেয়, পুরুষের ক্ষেত্রে ইরেকটাইল ডিসফাংশন এবং ইমপোটেন্সির কারণ হতে পারে।
মজার বিষয় কি জানো গাঁজা কিন্তু সিগেরেটের চেয়ে কম ক্ষতিকর আবার বেনজোর চেয়েও। বেনজো ভয়ঙকর!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিস্তারিত একটা পোস্ট দিয়া দাও।
৪১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
সায়েম মুন বলেছেন: মনে রাখার মত গল্প। শেষ দিকের টুইস্টটা দারুণ হয়েছে। প্রিয়তে রেখে দিলাম। গল্পটা আবারও পড়বো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রিয়তে ঠিকমত রাইখেন। যত্নআত্মি কৈরেন। বড় প্রিয় গল্প আমার
৪২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: নাহ! লেখার আইডিয়া আসে, কিন্তু লেখা আর হয়ে ওঠে না। কলম নেই
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: কমেন্ট দুইটা তো বিশাল বড় দিছো। আরেকটু বাড়াইলেই তো লেখা হয়া যায়! আইলসামী করো ক্যা?
৪৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আরেকটা ওয়াও গপ!
শেষের দিকটা খুবই জমছে!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু! গুডনাইট।
৪৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪
বোকামন বলেছেন:
দ্বাদশ খেলোয়াড়ের গল্প খুব ভালো লাগলো !
“রাইটার্স ব্লক” এড়িয়ে যাওয়া খুব সহজ যদি লেখকের একটি ছদ্ম লেখক পরিচয় থাকে ...
ড্রাগস ! লেখকের জন্য নয় তবে লেখার জন্য হতে পারে :-)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ভালো কথা বলেছেন তো! অন্য নাম দিয়ে যা ইচ্ছে তাই লিখতে থাকবো, কে কী ভাবছে পরোয়া করবো না। লেখার আনন্দটাই তো আসল!
৪৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কি চমৎকার একটা থিম! কি চমৎকার একটা থিম!!
গল্প স্বাভাবিকের চেয়ে 'পিচ্চি' ছিল, বর্ণনা খুব একটা রূপক বা কাব্যনির্ভর ছিল না- কিন্তু থিমটা সম্পূর্ণ গল্পকে একাই টেনে নিয়ে গেছে। মুগ্ধ করে দেবার মত।
দস্তয়ভস্কি একবার তাঁর 'দ্য ইডিয়ট' উপন্যাস সম্পর্কে বলেছিলেন, 'আই অনলি হ্যাড ইট'স থিম, বাট ওয়ান্স স্টার্টেড, ইট প্র্যাক্টিকালি কমপ্লিটেড ইটসেলফ। আই জাস্ট রোট।' মিলে যাচ্ছে না কেমন?
শুভরাত্রি, প্রিয় লেখক।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের থিম পেয়ে গেলে আর রূপক, কাব্যিকতার কী দরকার বলেন! আমার গল্পে তো কাহিনীটাই মূলত রূপকাবৃত থাকে। এই গল্পের একদম প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত কাহিনী মাথায় ছিলো। তাই কলমও চলেছে দ্রুত।
দস্তয়ভস্কির কথাটা আমার ক্ষেত্রে খুব প্রযোজ্য। কতবার কিছু না ভেবে লেখা শুরু করেছি, বাকিটুকু কলমই শক্ত কাঁধে জোয়াল টেনে নিয়ে কর্ষণ করেছে। কলম খুব স্বাধীনতাপ্রিয়।
শুভরাত প্রফেসর।
৪৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পের মাঝখান থেকেই শুরু হয়েছে গতিময়তা !
ভয়ানক লিখেছেন !
জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝি একটা কলম !
অনবদ্য হাসান ভাই !
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি! শুভরাত্রি।
৪৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১
ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ লাগল!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভরাত্রি।
৪৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: গল্পটা পড়তে পড়তে মনে হলো বাস্তব কোন ঘটনার মিশ্রন নয়তো ? অনেক ,অনেক ভাল লাগলো।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনে হতেই পারে! গল্পের কিছু অংশ বাস্তব থেকে আসেই। হতে পারে সেটা কোন ঘটনা বা চিন্তা।
শুভরাত নুসরাত।
৪৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
এতো বড় লিখেন ক্যাঁ -
অসল মানুষের জন্য বড়ই বিরক্তকর -
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী দরকার কষ্ট করার!
৫০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৪
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: সুন্দর গল্প। রাইটার্স ব্লক-প্লেয়ারদের ফ্লপ করার মত একটা ব্যাপার। প্যাশন থাকুক, " কলম " টা যাতে হারিয়ে না যায়, তবে সেটা অবশ্যই ড্রাগ নিয়ে নয়।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। শুভভোর।
৫১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: দারুন লিখেছেন! গল্পটা পড়ার সময় শৌভিকের উপরের সাইকোলজিক্যাল টর্চারটা নিজেও অনুভব করছিলাম যেন।
অসাধারণ লেখনী!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পাঠককে নিজের অনুভূতির ভাগীদার করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। ভালো থাকবেন।
৫২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
অচিন্ত্য বলেছেন: গালিগালাজ আর মাদক ছাড়া বাকিটা অতি সুস্বাদু
i violently hate drugs
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আগে আমি আরো Raw লিখতাম। দুই বছর এগে এটা লিখলে তোমার হজম হইতে সমস্যা হইতো হাহা! এখন কেমন সংকোচ এসে যায় স্ল্যাং ইউজ করতে।
৫৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
অচিন্ত্য বলেছেন: আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা-
আপনার লেখার ক্ষেত্রে এই প্রথম আমি সঠিক ভাবে আন্দাজ করতে পেরেছিলাম কী হতে যাচ্ছে। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যে আসলে ওষুধ মেশানো হয় নি।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার এত কলাকৌশল ছলচাতুরী কোন কাজেই আসলো না!
৫৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: অদ্ভুদ লেখারে ভাই। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। আর শুক্রাবাদের বার কি নাম করা?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অদ্ভুত জিনিসে বিশ্বাস করা ভালো। আমাদের জীবনটা নাহলে নিরামিষ হয়ে যাবে। শুক্রাবাদের এ্যারাম বার বেশ প্রসিদ্ধ ঢাকার মধ্যে।
৫৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
রুপ।ই বলেছেন: সাইকোলোজিকাল স্টেট গুলো আপনি এত ভাল বর্ননা করতে পারেন । দারুন বরাবরের মত । ও আরেকটা কথা আজকাল আপনার লেখাগুলো গালিগালাজ বিবর্জিত অনেকটাই যা চোখের জন্য সহনীয় ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, সময়ের সাথে সাথে লেখার ধরণও পাল্টে যায়!
ধন্যবাদ।
৫৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লিখতে না পারার বিড়ম্বণা আবার মাথায় লিখা চেপে বসাও আরেক ধরণের চাপ।যতক্ষণ সেটি না লেখা যাচ্ছে। চমৎকার লিখেছেন। মাহবুব ভাই। ভাল লেগেছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভবিকেল।
৫৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: বেশি ভালো লাগে নাই
স্ল্যাংগুলো আরোপিত লাগে নাই, আপনার গল্পের এই একটা বৈশিষ্ট্য বিশ্বাসযোগ্য লাগে সংলাপ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্ল্যাং কম হয়া গেছে। স্ল্যাং লিখতে যে মজা!
৫৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মাক্স বলেছেন: গল্প ভাল্লাগসে!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মাক্স!
৫৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: ঠিক এই কলমটাই আমি খুঁজছিলাম..........................................
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: পেয়ে যাবা। শুভকামনা।
৬০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: সকালে পড়লাম!
টুইস্ট গুলো দারুণ। অনবদ্য লেখনি স্নায়বিক উত্তেজনা ফুটিয়ে তুলেছেন! নিজেকে ওখানে কল্পনা করে শিহরিত হলাম!
কী সব ব্লক টক বলে না! ওসব চলছে কিনা
মুগ্ধপাঠ!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি ইমরান।
৬১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: লিখতে না পারার আকুতি নিয়ে লেখা চমৎকার লাগলো হামা ভাই! পানশালায় দুই বন্ধুর সংলাপ স্মৃতিকাতর করে দিল! স্ল্যাঙ্গের ব্যবহার মজার হইসে, ন্যাচারাল!
বিষ তার অন্ন।
তার বিষ অন্য।
তাই সে বিষণ্ণ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতি। লাইনগুলো আমার পছন্দের।
৬২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
মিনেসোটা বলেছেন: মাথার উপরে দিয়া গেল
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুনে দুঃখিত হলাম।
৬৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০
মিনেসোটা বলেছেন: একটু আমাদের মতো ক্ষ্যাতদের জন্য কিছু লেখেন, এইসব হাইথট লেখা পড়তে গেলে মাথাব্যাথা করে
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা লিখুম!
৬৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: উফ! তোমার লেখায় সেই একই প্রশংসা করতে করতে হাপিয়ে উঠেছি, কি আর বলার থাকে এমন লেখায়!
একটু সাসপেন্সের গন্ধ ছিল লেখাটায়, আর শেষে কি টুইস্টরে বাবা!!! পুরাই ধরা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! টুইস্ট সাধারণত দিতে পারি না। এটায় দিয়ে আমিও মজা পাইছি। একটা গল্প লেখার চেষ্টা করছি রাত জেগে। কিছুই হচ্ছে না। দোয়া করবেন ভাইয়া।
৬৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: এখন রাত জেগে গল্প লেখার ট্রাই করছ! এত এনার্জি যে কোথা থেকে পাও!!
ও, এই গল্পে আরেকটা জিনিস খুব ভাল লাগেছে, পড়তে পড়তে ভাবছিলাম কমেন্টে উল্লেখ করব, কিন্তু কমেন্ট করার সময় ভুলে বসে আছি। খুব ভাল হিউমার হয়েছে। রাইটার্স ব্লকের মায়েরে বাপ! --- এই লাইনটা পড়ে অনেকক্ষণ হেসেছি। কমেন্ট করার সময়ও মুখ ভর্তি হাসি, হা হা হা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্যাশন ভাইয়া প্যাশন! যদি অফিসের কাজ করতে হতো তাহলে কোন ছুতোয় অন্যকে গছিয়ে দিতাম নিশ্চিত!
৬৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
নীলপথিক বলেছেন: জিম্যাট করবো করবো বলে বসে ছিলাম। পি.এইচ.ডি করতে বাইরে যাবো ভাবছি, হঠাৎ ব্যস্ত হয়ে গেলাম। তাই বসা হয়ে উঠছে না। নিশ্চয়ই নিয়মিত আসবো। আর একটু সময় নিচ্ছি আর কি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় নেন। সবকিছু গুছিয়ে আবার পুরোদমে শুরু করুন। শুভকামনা।
৬৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
প্যাপিলন বলেছেন: ভাবছিলাম এ্যালকোহলের সাথে রিভ্রোটিল এক অন্য জগতে সৌভিকের গল্প টেনে নিয়ে যাবে............যেটা হয়েছে সেটাও চমতকার লেগেছে
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৬৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: অসাধারণ লিখছেন। শেষের দিকের টুইষ্টটা আমি মনে করছিলাম শৌভিকরে প্লাসিবো ইফেক্ট দিয়া মানে মিথ্যা বলা হইতাছে, আসলে ড্রাগ মিশায় নাই। আপনি টুইষ্টরে উল্টা টুইষ্ট বানাইয়া দিছেন। স্যালুট। অসাধারণ সমাপ্তি। কোন মুভিতে এই সমাপ্তি দৃশ্যটা থাকলে মুখ হা করে দেখতাম।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: টুইস্ট দেয়ার পরিকল্পনা ছিলো না প্রথমে। লিখতে লিখতে আয়া পড়লো। তোমার মতো খুঁতখুঁতে পাঠকের ভালো লাগাতে খুশি হৈসি। আর প্লাসিবো (Placebo) জিনিসটা সম্পর্কে ধারণা ক্লিয়ার হৈলো সেজন্যেও একটা থ্যাংকস তোমারে। ব্যাপারটা নিয়ে আমি কয়েকদিন ধরেই গুগলিং করবো ভাবতেসিলাম।
৬৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফাটাফাটি ফিনিশিং। অনেকদিন পর আপনার গল্পে এমন টুইস্টিং ফিনিশিং পেলাম। ভাল লাগল।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! শুভসকাল।
৭০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
আরজু পনি বলেছেন:
বিষণ্ন এর রকমফের আর বিয়ারের কায়েন ...এই দু'টো আমার জানা শব্দের ঝুলিতে নতুন যোগ হলো ।
আর প্রতিশোধটা কখনো অভিমানে রূপ নেয়...বন্ধুত্বের দারুণ প্রকাশ ।
সব মিলিয়ে অনেক বেশিই ভালো লাগা ।।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপা। ভালো কাটুক দিন।
৭১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
ইলুসন বলেছেন: চরম একটা লেখা পড়লাম!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চরম লেগেছে জেনে আনন্দিত।
শুভবিকেল।
৭২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অসাধারণ বর্ণনা , যা বুঝাতে চাচ্ছিলেন পাঠক পড়া মাত্র তা
উপলব্দধি করতে পারবে ।
চমৎকার হামা ভাই
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সিফাত। ভালো থাকবেন।
৭৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
মশিকুর বলেছেন:
স্ল্যাং গুলা মানিয়ে গেছে।
"আমরা বাঁচার জন্যে লিখি না। লেখার জন্যে বাঁচি। আমাদের লিখতে না পারার কষ্ট এত খেলো না। আমাদের নিয়ে খেলো না হাস্যরত করুণাগদগদ সমাজ! উই উইল কামব্যাক!"
"হয়তোবা সেটাই ছিলো তার লেখার সত্যিকারের শুরু অথবা মিথ্যামিথ্যি শেষ!" - ভাল লাগলো, ভাল থাকবেন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মশিকুর। আপনিও ভালো থাকবেন।
৭৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
আমি সাজিদ বলেছেন: হয়তোবা সেটাই ছিলো তার লেখার সত্যিকারের শুরু অথবা মিথ্যামিথ্যি শেষ!
রায়হানের কোনটা হয়েছিল জানতে খুব আগ্রহ আমার। সৌভিক কি পরে লিখতে পেরেছিল তাও জানার ইচ্ছে খুব।
আর মাঝের টুইস্ট টা দারুন হয়েছে, দুর্দান্ত।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময় হামা ভাই।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরোনো লেখায় কমেন্ট পাওয়ার অনুভূতিটা চমৎকার। এই অনুভূতিটা উপহার দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ!
৭৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
রাহি বলেছেন: কলমটা দিয়ে যা! এটা এখন আমার। শুধুই আমার।
লেখালেখির প্রতি আবার আগ্রহ বেড়ে গেল! ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখালেখির প্রতি আবার আগ্রহ বেড়ে গেল এটা খুব ভালো কথা। শুভেচ্ছা রাহি!
৭৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
আলম দীপ্র বলেছেন: বাহ ! অসাধারণ লেগেছে !
বর্ণনা থেকে শুরু করে প্লট সবটাই অসাধারণ !
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যনহকস দীপ্র
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
প্রথম মন্তব্যে মজা আছে
পড়া শুরু করি এই আনন্দে।