নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাতিঘরের সংবিধান

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫০



বিশাল সমুদ্রের মাঝে একটা বাতিঘর ঠিক কতটা একাকী হতে পারে? ওহ আপনারা তো আবার বলবেন বাতিঘরের আবার একাকীত্ব কী! বাতিঘর কোন জীবিত বস্তু না। তাহলে ব্যাপারটা এভাবে ভাবুন, বছরের পর বছর, বছরের পর বছর সমুদ্রের অসীম বিস্তারের মাঝে একটি বাতিঘরে জীবনযাপন করছে একজন মানুষ। এখন ভালো শোনাচ্ছে? এখন একাকীত্ব আর বিষণ্ণতার সংযোগে গঠিত অনুভূতি আড়মোড়া ভাঙছে? সমুদ্রতীরে বসে থাকা আপনারা স্যান্ডেল খুলে রেখে পায়ের পাতা ভিজাতে ভিজাতে দূর থেকে দেখা ক্ষুদ্র আলোকবিন্দুর দিকে তাকিয়ে উদাস হন। আপনারা কয়েকদিনের জন্যে সমুদ্রে আসেন, দামী হোটেলে থাকেন, হালকা মিউজিকের সাথে প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে লবস্টার খান, প্রচুর ছবি তোলেন আর কেনাকাটা করেন। ঝিনুক-শামুক-কাঁকড়া দেখে উদ্বেলিত হন। কখনও কি ভেবে দেখেছেন অনন্তকাল ধরে একজন নিঃস্বঙ্গ মানুষ বাতিঘরে কীভাবে জীবন কাটাতে পারে? হ্যাঁ আমি তেমনই একজন একাকী মানুষ। তবে আমি কারো কাছে কোন অনুযোগ করছি না আমার একাকীত্ব নিয়ে। আপনাদেরকে এখানে আসার আমন্ত্রণও জানাচ্ছি না। আমার বাতিঘরে অনন্তকাল বন্দী থাকার গল্পটা আমি নিজেকে নিজে মনে মনে শোনাতেই ভালোবাসি। শ্রোতা হিসেবে অবশ্য অন্য কাউকে কল্পনা করে নিলে সুবিধে হয়। কখনও অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা শিশু, কখনও জবুথবু বৃদ্ধ, কখনও উদ্দাম আবেগী তাগড়া শরীরের যুবক। গল্প বলেই বেশ সময় কেটে যায় আমার!



অনন্তকাল ধরে বাতিঘরে বিচরণ মানে আবার ভেবে বসবেন না সৃষ্টির শুরু থেকে অসীমের শেষ সংখ্যা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। অসীম বা অনন্ত ব্যাপারটা নিয়ে আপনাদের ভাবনাটা একদম ছিরিছাদহীন, কাটখোট্টা। বিজ্ঞানীদের কথামত অতসব সমীকরণ আর অংক কষে অসীমের সংজ্ঞা জানতে হলে তবেই গেছি! সমুদ্র জানে অসীমের সংজ্ঞা। সমুদ্রের কাছে বইপত্র নিয়ে এসে আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ো অসীমের পাঠ নেয়। আপনারা অবশ্য উচ্চপ্রযুক্তির মাধ্যমে সমুদ্রের গভীরতা বা বিশালটা মেপে মোটা মোটা বইয়ে রেখে দিয়েছেন। কী হাস্যকর! এর থেকে হাস্যকর কিছু আর হতে পারে না। একাকীত্ব সমুদ্রকে দিয়েছে নীল রঙ, শঙ্খের হাহাকার থেকে প্রতিধ্বনিত হয় যে আর্তনাদ তা কেউ শোনে না। সেই রঙ আর শব্দ মাপার কোন যন্ত্র বা একক নেই।



আমি মনে করতে পারি না কবে এখানে এসেছি বা কী কারণে। আমার কী কোন শৈশব ছিলো? বাবা-মা ছিলো? আমি কি কোন ভয়ংকর অপরাধ করেছিলাম, যার কারণে আজ আমাকে প্রতিনিয়ত দীর্ঘশ্বাসের সাইক্লোনের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে? এত দুঃখ কোথায় পেলে তোমরা প্রিয় মানবজাতি? সন্তান হারানোর দুঃখ, প্রেমিকা বিচ্ছেদের দুঃখ, যুদ্ধে হাত পা হারিয়ে অথর্ব হয়ে যাবার দুঃখ... সাগরের জল এত নোনা কেন বলোতো? তোমাদের অশ্রূনীতি সমুদ্রের সংবিধান। বাতিঘর থেকে অনেকদূর দেখা যায়। শুধু জল আর জল। সেই জলের ভেতর উজবুক বিজ্ঞানীরা হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের পরমাণু খুঁজে পায়। আসলে সেখানে কি থাকে জানো তো? তোমাদের দুঃখকণা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কিন্তু অদৃশ্য কণা। তোমরা তা দেখতে পাবে কী করে? সমুদ্রের ধারে তো বিচ ভলিবল খেলছো অর্ধউলঙ্গ হয়ে মহামৌজে! না, সমুদ্রের পাশে আনন্দ করতে কোন দোষ নেই, সমুদ্র আপ্যায়নে কখনও ত্রুটি করে না। শুধু জেনে রেখো, তোমাদের সমস্ত অশ্রূ, কান্না, ঘাম, কালসিটে, রক্ত, প্রহারচিহ্ন, কালোপ্রহর সব নবজাত শিশুর কাঁথার মতো গুছিয়ে রাখে সমুদ্র। তারপর ঢেউয়ের দেরাজ থেকে সযতনে বের করে ছেড়ে দেয়। দুঃখী ঢেউরা তোমাদের এসে ভিজিয়ে দিয়ে যায়। অনাদিকাল ধরে এই প্রক্রিয়া চলে আসছে। আর তোমরা সমুদ্রকে মাপছো মিটার-ফার্লংএর নিক্তিতে। যত্তসব!



বাতিঘরের স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করে যাচ্ছি যুগের পর যুগ। আমি এসব জানি। আমার কি কখনও ফিরে যেতে ইচ্ছে করে? আমি জানি না। বাতিঘরের নিঃসঙ্গ অচন্দ্রচেতন জীবন আমাকে মোহগ্রস্থ করে রেখেছে। হঠাৎ যখন রাতের বেলা তারাগুলো সব ক্লান্ত হয়ে নিভে গিয়ে সমুদ্রকে ভীতি উদ্রেককারী কালচে বর্ণে পরিণত করে, তখন আমি দেখতে পাই শিশুদের লাশ। সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, ইরাক, কোথায় শিশুদের লাশ নেই? সমুদ্রের বিশাল গর্জনে মায়ের বুকফাঁটা কান্না ঢাকা পড়ে যায়। আমি কান চেপে ধরি তবুও। অনন্তকালের জন্যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আমাকে এখানে। মহাকালের কোন এক কোণা থেকে উঠে এসে দুঃখকণা হিসেব মিলিয়ে যেতে হবে আজীবন। সমুদ্রে যখন ঝড় হয় খুব, আমি বুঝতে পারি তোমাদের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগে গেছে আবার। ভালো কোন খবর বাতিঘরে আসে না। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি রেলিং ধরে। দুঃখকণার হিসেব রাখা ছাড়াও অন্য কাজ আছে আমার। বাতিগুলোতো আছেই তীরহারা নাবিকদের দিকনির্দেশনা দেবার জন্যে। আমার খুব কাছ থেকে যখন কোন জাহাজ চলে যায়, ইচ্ছে করে চিৎকার করে বলি, "নিয়ে যাও আমাকে!"। ইচ্ছেটা অবদমন করতে অবশ্য বেগ পেতে হয় না মোটেও। সাধারণ মানুষদের মাঝে আমায় বড় বেখাপ্পা দেখাবে। নিজেকে অসাধারণ বলছি না অবশ্যই, তবে অন্যদের থেকে আলাদা তো বটেই। আমি ছাড়া আর কে যেচে পড়ে বাতিঘরে বাসস্থান গড়বে!



দিনের বেলায় উজ্জ্বল সূর্যালোকে যখন ডলফিনেরা খেলা করে আমার ইচ্ছে হয় পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে ডেকে নিয়ে এসে বলি, "দেখো, পৃথিবীটা কত সুন্দর!" কিন্তু আমার বলার কেউ নেই। আমায় কেউ দেখতে পায় না। খুব চেষ্টা করলে হয়তো পেতো। কিন্তু কার এত দায় পড়েছে মাঝসমুদ্রে ভুলজোনাকের মত মিটমিটিয়ে থাকা এক গম্বুজের ভেতর বিষাদমোম দিয়ে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করা একজনকে খুঁজতে?



আমি স্মৃতিনশ্বরতায় আক্রান্ত, তবে কোনো এক পাপের কৃতকর্ম বহন করে চলতে হচ্ছে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কী পাপ করেছিলাম আমি? খুন? ধর্ষণ? কারো মনে আঘাত দেয়া? কিচ্ছু মনে নেই। শুধু এটা জানি সাগরের বিশাল জলরাশির প্রতিটি ঢেউয়ের একটা করে কাহিনী আছে। আমি ইদানিং ঢেউয়ের গঠন এবং প্রকৃতি দেখে তার কাহিনী বোঝার চেষ্টা করি।



আমার চারিপাশে মনমরা ঢেউ, বিষাদী ঢেউ, জোনাকখুন ঢেউ, আকাশাকাঙ্খী ঢেউ, সিগালের ডানার স্মৃতিরুদ্ধ ঢেউ, টুনামাছের আঁশটে গন্ধা ঢেউ। ঢেউয়ের মাঝেই লুকিয়ে থাকে কেউ। আমি, তুমি, তোমরা, আপনারা, ছোট্ট বাবুটা, বয়স্ক লোকটা, সুক্রন্দসী তরুণী, বেবাক বিবাগী যুবক। আমার ঢেউটা কোথায়? কবেই হারিয়ে গেছে! সময়ের সাথে ঢেউয়ের তুলনা দিয়ে তোমরা যে প্রবচন বানিয়েছো "সময় এবং ঢেউ কারো জন্যে অপেক্ষা করে না" এটা খুব সত্যি। আমি অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু খুঁজে পাই নি। চলে গেছে সে ঢেউ মহাসাগরের মহাজাগতিক আহবানে। এসব দেখেশুনে আমার নিঃসঙ্গতা বেড়ে চলে। অযুতমরুপথ পাড়ি দেয়া তৃষ্ণার্ত মানুষের মত পিপাসা লাগে, সঙ্গপিপাসা।



মাঝেমধ্যে আমার সাঁতার কাটতে ইচ্ছে হয়। ইচ্ছে হয় জল কেটে কেটে পটু সামুদ্রিক প্রাণীর মত গভীরে ডুব দিয়ে আবার উঠে আসতে। কিন্তু আমি কোথাও যাই না। কোথাও যাবার নিয়ম নেই আমার। এই নিয়ম কে তৈরি করেছে জানি না, তবে আমার মনের মধ্যে তা লহরিত হয়ে গেছে। প্রায়শ্চিত্তকাল হয়তো একদিন শেষ হবে, সেইদিন আমি সমুদ্রতটে গিয়ে অন্যদের মতো লাফালাফি করবো, বিচ ভলিবল খেলবো, সস্তায় শুঁটকি মাছ কিনবো, ঝিনুকের মালা রেখে দেবো কারো জন্যে...



কেন যেন মনে হয় এমন "কারো জন্যে"ই আমার এই নির্বাসনদন্ড। ছিলো কি এমন কেউ? আমি কি তাকে ছেড়ে গিয়েছিলাম? কষ্ট দিয়েছিলাম খুব? সে কী ন্যুব্জ লতার মত হেলে পড়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলো? জানার কোন উপায় নেই। সেরকম কেউ থাকলে সে ঢেউ হয়ে চলে গেছে মহাসাগরে। এই আকর্ষণ অগ্রাহ্য করা অসম্ভব। সময় এবং ঢেউয়ের মত না হলেও মানুষও অপেক্ষার ক্ষেত্রে খুব পারঙ্গম ছিলো কখনও এমন শুনি নি।



বাতিঘরের রাত বড় রহস্যময়। রাতে এখানে জোছনার ফেনিল ঢেউ এসে রূপকথা হয়ে যায়। দুঃসাহসী জেলে তার ডিঙি নৌকো করে মাছ ধরতে চলে আসে মাঝসাগরের উত্তাল অংশে। কখনও কখনও দূর থেকে বিলাসবহুল জাহাজের বিত্তবান যাত্রীদের কলরব শোনা যায়, কখনও খালাসীরা মাতাল হয়ে হেঁড়ে গলায় গান ধরে। আমার বাতিঘরের মোমবাতিগুলো লেন্সে প্রতিফলিত হয়ে তাদের আলো দেখায়। সবকিছু মিলেমিশে আলোকপোকায় পরিণত হয়ে ছোট্ট একটা উড়ালদর্শন দিয়ে যায় আমার নিবাসে। কিছু জ্বলনোন্মুখ পতঙ্গ স্বেচ্ছায় নিজেদের বিলিয়ে দেয় তীব্র আলোর ঝলকানিতে। আমার বাতিঘরের আলো এমন না। মন্দ্রসপ্তক বাজিয়ে চলা আলোকপতঙ্গগুলোও এমন না। তারা আবার জলে চলে যায়। ঢেউ হয়ে যায়। ঢেউয়ের কণা হয়তো বা কোনো সার্ফারের গায়ে লাগে। হ্যাঁ, রাতের বেলা সার্ফিং করতে আসে এমন সাহসী মানুষও আছে! এসব দেখে আমার নিযুতমরুপথ পাড়ি দেয়া অভিযাত্রীর মত তৃষ্ণা জাগে। জলের তৃষ্ণা না, সঙ্গোপনে জমিয়ে রাখা সঙ্গতৃষ্ণা।



তবে আমি জানি, আমি এসব কখনও পাবো না। আমি অভিশপ্ত। মাঝসমুদ্রে আলোকপ্রদায়ী ঘরের ভেতর অন্তরীণ হয়ে থেকে সময়ের ঋণ মেটাতে হবে। কত সময় নিয়েছিলাম আমি নষ্ট করার জন্যে? খুব বেশি পরিমাণ নিঃসন্দেহে। সুদের হারও বেশ চড়া।



নির্জনতার একটা সৌন্দর্য আছে। আমার বাড়ির পাশে হকার এসে ইনিয়েবিনিয়ে পণ্য বিক্রীর বিজ্ঞাপন করে না, পাশের বাড়ি থেকে ঝগড়া, সোহাগ বা শীৎকার শুনতে হয় না। তাই বলে এমন ভয়ংকর অনন্ত নির্জনতা? মাঝেমধ্যে তা অসহনীয় হয়ে ওঠে। একেকটা দিন যায় এমন। সাগর থাকে নিস্প্রভ, দিকভ্রান্ত জাহাজের নাবিকদের দেখা মেলে না, ডলফিনরাও আসে না কসরৎ দেখাতে। তখন আমি বিলীন হয়ে যাই। তখন আমার আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় এই নির্জনতার কোমল বাহু ধরে বসে থাকি। অনুনয় করি, "প্রিয় নির্জনতা, আমায় নির্জন করে দিয়ে চলে যেয়ো না"। এত বছরের, কত তার হিসেব রাখি নি, সম্ভবও না, একাকী জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নির্জনতাই আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিলো। যেহেতু একা থাকাটাই ভবিতব্য জেনেছিলাম আমি, তাই আশেপাশের মোহনীয় চিত্রকল্পকে অনায়াসে অগ্রাহ্য করে নির্জনতার পাশে গুটিশুটি মেরে শুয়ে থেকে ফিসফিসিয়ে বলতে চাই আমার বেদনার কথা। সমুদ্র আর সময়ের মত নির্জনতাও অসীমকে ধারণ করতে পারে। সমুদ্রের কাছ থেকে আমি প্রতিদিন বুঝে নিই প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন অশ্রুগাঁথার ঢেউয়ে রূপান্তর। নির্জনতা আমার পাশে বসে অথবা আমার চারিপাশে ঘুরঘুর করে জানিয়ে দেয় পরম একাকীত্ব অসম্ভব। যার কিছু নেই, চালচুলো, আয়-রোজগার, সন্তান-সন্তদি, তার আছে নির্জনতা। এতদিন ধরে আমি যা বুঝেছি, একাকীত্বের পরম সীমা না থাকলেও তার একটি পরিপৃক্তিক পর্যায় আছে। সেই দরজায় করা নাড়তে পারে খুব কম মানুষ। আমি কীভাবে যেন কড়া নেড়ে এই ঘরে ঢুকে পড়লাম!



ইদানিং আমার চিন্তাধারা পরিবর্তিত হয়েছে। আমি কী আসলেই কোন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি এখানে, নাকি দুঃখের বহুমাত্রিক অবগুন্ঠণে হাজারো স্বত্ত্বা জড়ো হয়েছে একসাথে? নইলে একেকদিন কারণ খুঁজতে গিয়ে আমি একেকরকম উত্তর পাবো কেনো? কেনোই বা চোখের সামনে ভেসে উঠবে নানাবিধ পরস্পর সম্পর্কহীন দৃশ্যপট? না, আমি কোনো সম্মিলিত স্বত্তা হতে চাই না! আমি স্বকীয় হবো। দৃশ্য পরম্পরায় নিজেকে বেছে নিব খুব যাচাই বাছাই করে। সেদিন বুঝতে পারবো আমি স্ত্রী হন্তারক নাকি সুদখোর মহাজন, নাকি জগৎসংসারের শক্তিশালীতম সঙ, যার খেলনা হলো নাপাম বোমা আর যুদ্ধবিমান। এমনতর চিন্তায় আমি যখন উদভ্রান্ত, তখন আমার প্রিয় নির্জনতা দূরের পাহাড় থেকে পাখিদের সুর এনে দিয়ে কলমীলতার মোড়কে করে উপহার দেয়। সেই সুর শুনে অনেকদিন পর আমি নির্জনতার সৌন্দর্য বুঝতে পারি। নিজেকে বাতিঘরের "দুঃখরক্ষক" হিসেবে মেনে নিয়ে ঢেউগুলো গুনতে, চিনতে থাকি। প্রতিটা ঢেউ যেন আমাকে এসে বলে যায়, "তুমি একা! তুমি একা! তুমি একা! আমাদের সমস্ত বেদনা তোমাকে বহন করে যেতে হবে প্রতিদিন। অনন্তকাল!"



আজ একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করলাম। একটা বিচিত্র রকম ঢেউ বারবার ফিরে ফিরে আসছিলো সন্ধ্যার পর। এরকম সাধারণত হয় না। মানুষ তার দুঃখ-কষ্ট মুছে ফেলতে খুব বেশি সময় নেয় না। মৃত্যুর মত পরম দুঃখজনক ব্যাপারও একসময় উৎসবে রূপান্তরিত হয়। ঢেউ হয়ে চলে যায় মহাসাগরের অমোঘ আকর্ষণে। কোথা থেকে আসছে এই ঢেউটা? আমি গভীরভাবে এর উৎস নিরীখে উন্মুখ হই।



ঐ যে...



ঐ যে বসে আছে একটা দম্পতি অথবা প্রেমিকযুগল। সন্ধ্যা থেকে রাত বারোটা অবধি টানা বসে রয়েছে এখানে। ওদের হয়েছে টা কী!



*

-বিথী, দুরে একটা আলোকবিন্দু দেখতে পাচ্ছো?

-হ্যাঁ, কি ওটা? বাতিঘর নাকি?

-হু। আচ্ছা আমরা সমুদ্রে একটা ঘর বানাই চলো! এই বাতিঘরের মতো।

-চলো বানাই!

-চিন্তা করে দেখেছো, এই বিশাল সাগরের মাঝে ছোট্ট একটা বাতিঘর... হয়তো বা খুব ছোট না, দূর থেকে দেখছি বলে এমন লাগছে; এখানে যদি কোন মানুষ একলা থাকে দিনের পর দিন, তাহলে কেমন অনুভূতি হবে তার?

-ভাবতেই পারছি না!

-আসলেই ভাবতে পারার মতো না। পৃথিবীতে অনেকরকম অনুভূতি আছে, তার কয়টা আমরা ধরতে পারি? আমরা খুব মোটা দাগে নামকরণ করেছি, আনন্দ, বেদনা, সুখ, দুঃখ ইত্যাদি। কিন্তু এই যে আমরা কক্সবাজারে এলাম, জোছনায় সমুদ্র দেখলাম, দূরের বাতিঘর নিয়ে পরিকল্পনা করলাম, এসবকে তুমি কোন নির্দৃষ্ট অনুভূতির ছকে ফেলতে পারবে?

-আসলেই তো। ঠিক বলেছো। বাতিঘরের ব্যাপারটা আমাকেও একটা অদ্ভুৎ অনুভূতি উপহার দিচ্ছে। হুহু করে উঠছে বুকটা। সমুদ্রের ঐশ্বরিক বিশালতার মাঝে ছোট্ট একটা বাতিঘর, তাতে একজন মানুষ, দিনের পর দিন...কীভাবে থাকতে পারবে!

-উঠবা না?

-না আরো কিছুক্ষণ বসি।

-রাত বারোটা বাজে কিন্তু। সেই সন্ধ্যা থেকে বসে আছি।

-কী হয়েছে তাতে?

-তাই তো! কিছুই হয় নি। আচ্ছা ধর ঐ বাতিঘরটাতে যদি আমি চলে যাই? কীভাবে যাওয়া যায় এখান থেকে?

-বুঝেছি, তোমাকে সমুদ্রগ্রস্থতায় পেয়েছে। এমন মুহূর্তে এরকম হতেই পারে। আমি তোমাকে বাধা দেবো না। যা ইচ্ছা কর। এসময় কোন ইচ্ছায় বাধা দিতে নেই। আমি নিজেও সমুদ্রগ্রস্থ এখন। সমুদ্র যা বলবে আমরা তাই করবো।

-তোমার কি খুব আনন্দ হচ্ছে বিথী?

-আনন্দ হবে কেন?

-মানুষজন মধুচন্দ্রিমায় সমুদ্রযাপন করতে আসে তো আনন্দের জন্যেই!

-আমার সেরকম কিছু মনে হচ্ছে না। ভেতর থেকে একটা মহান বিষণ্ণতা উঠে আসছে।

-মহান বিষণ্ণতা! বেশ ভালো নাম দিয়েছো।

-হ্যাঁ, কিন্তু এই বিষাদ কষ্ট দেয় না। ভাবতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়, উপলদ্ধি করতে শেখায়। আনন্দের চেয়ে বহুগুন সুন্দর এই বিষাদ।

তারা দুইজন একে অপরের হাত ধরে থাকে। মহান বিষাদের বশবর্তী হয়ে তারা দু ফোঁটা অশ্রূ বিসর্জন দেয় সমুদ্রে।



*

হু! অদ্ভুত ঢেউয়ের ব্যাপারটা বুঝলাম এবার। কিছু কিছু মানুষ থাকে এরকম ঘোরে পাওয়া। অথবা সমুদ্র তাদের মধ্যে একটা ঘোর সৃষ্টি করে।

*

-বিথী, আমার খুব যেতে ইচ্ছে করছে ওই বাতিঘরটায়। এমন অসহ্য একাকীত্বের প্রতিকৃতি আমি আর দেখি নি।

-চলো যাই।

মাঝরাতে এমনিতেই সমুদ্রতট ফাঁকা থাকে। তারপরেও যে কয়েকজন ছিলো অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো দুই তরুণ-তরুণীর সমুদ্রে নেমে যাওয়া।



*

ঢেউগুলো খুব দ্রুতগতিতে আসছে এবার। আছড়ে পড়ছে বাতিঘরের গম্বুজে। ওরা কী চায়! ওরা কী সত্যি আসবে এখানে? মুক্তি দিবে আমাকে এই অসহনীয় একাকীত্ব থেকে? সঙ্গী হবে আমার?

*

বিথী এবং রেজোয়ান এক অদ্ভুত অনুভূতির জালে আঁটকা পড়ে গেছে। বাতিঘরটা তাদের মোহগ্রস্থ করে রেখেছে। কিন্তু বাস্তবতা জানে তারা। তাই আর খামোখা আবেগের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃতদেহে পরিণত হতে চায় না। ঢেউ এসে তাদেরকে ধাক্কা দেয়, তারা পড়ে যায়, আবারও উঠে দাঁড়ায়। সামনে এগোয় না, পেছনেও ফিরে যায় না।



*

এ কী দেখছি আমি! একটা নতুন বাতিঘর! অনেক অনেক দূরে অবশ্য। আলোকবিন্দুর মত লাগছে দেখতে। অবশেষে তারা পারলো! মহান বিষণ্ণতাকে ধারণ করা যা তা ব্যাপার না। তাদের ঢেউগুলো জমে জমে আস্ত একটা বাতিঘর হয়ে গেছে! এরকম নির্মাণ প্রচেষ্টা অবশ্য আমি আগেও দেখেছি। কিন্তু সবই ভেস্তে গেছে। ভেসে গেছে প্রবল স্রোতে। সমুদ্রের সাথে কোন চালাকি চলে না। সমুদ্র ভন্ড অথবা সাময়িক আবেগকে স্থান দেয় না। ওদেরটা সাময়িক মোহ না, খাঁটি সামুদ্রিক অনুভূতি। ওদের সাথে অবশ্য আমার দেখা হবে না কখনও। বাতিঘরনিবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের নিয়ম নেই। পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ, কষ্ট এবং অমানবিকতার বিরুদ্ধে যারা দাঁড়ায়, যারা পরের এসব অনুভূতিকে নিজের মনে করে তারাই মহান সমুদ্রে বাতিঘর স্থাপন করতে পারে। বাদামবিক্রেতা ছেলেটা চড় খেয়ে কাঁদলে তারা দোষী ব্যক্তিকে দু-কথা শুনিয়ে দেয়। সিরিয়ায় বোমা হামলা হলে তাদের বুক ডুকরে ওঠে। পাশের বাড়ীর কাজের মেয়েটা গৃহকর্ত্রী কর্তৃক নিগৃহীত হলে তারা মানবাধিকার কমিশনের কাছে যায়। ওদেরটা দেখে এখন একটু একটু বুঝতে পারছি আমার এখানে আসার কারণ। প্রায়শ্চিত্তের জন্যে না, কিছু বোকামানুষী কাজকারবারই আমাকে এখানে টেনে এনেছে। সেসব আমার নিজের কাছেই থাকুক না হয়...



*

-বাবা, তুমি কাঁদছো কেন?

-মমতাজের জন্যে খারাপ লাগছে মা। খবর দেখনি? তিনি বীরাঙ্গনা ছিলেন। পাকিস্তানীরা তার ওপর এমন অত্যাচার করেছিলো যে তাকে ৫ বার অপারেশন করেও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। বিকল্পভাবে তলপেটে পায়ুনালী স্থাপন করে কৃত্রিম পাইপ দিয়ে মলত্যাগ করছেন ৪০ বছর।

মমতাজ কে আজও প্রতিদিন ২০০ টাকার ঔষুধ খেতে হয়, যা তার বৃদ্ধ ও দরিদ্র স্বামী যোগাড় করতে হিমশিম খায়।


বলেন আনোয়ার সাহেব।

-এই শোন তুমি কিন্তু এইবার আর বেতন থেকে কোন টাকা কাউকে সাহায্য করার জন্যে দিবা না। এত পরোপকারী হতে তোমাকে কে বলেছে? প্রতি মাসে হিসেবের টাকা থেকে বাড়তি কিছু যাচ্ছেই সম্পূর্ন অপরিচিত মানুষদের কাছে!



স্ত্রীর কথা শুনে তিনি বিব্রত হাসি হাসেন। আর মিথ্যে করে না বলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বীরাঙ্গনা মমতাজের মর্মন্তুদ দূর্দশার কথাই তার আগে মনে হয়। কিছু একটা করা দরকার, কিন্তু তার বড় একা লাগে। "সে যাই হোক, ধার করে হলেও তাকে টাকা দেবোই" প্রতিজ্ঞা করেন তিনি।

-ইস রে! কারেন্ট চলে গেলো একদম সিরিয়াল শুরু হবার সময়!



*

বিথী, রেজোয়ান আর আনোয়ার সাহেব মমতাজের প্রাপ্য সম্মান এবং চিকিৎসার জন্যে প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করছেন। বেশ কিছু লোক জড়ো হয়ে তামাশা দেখছে।



*

"আমি মনে হয় বুঝতে পেরেছি কেন আমি এখানে" বাতিঘরনিবাসী ভদ্রলোক নতুন দুটো বাতিঘরের দিকে সন্তুষ্টচিত্তে চেয়ে থেকে ভাবেন। যোগাযোগ, লৌকিকতা এসবের বালাই নেই অবশ্য তাদের মাঝে। নির্ঝঞ্জাট একলা জীবনই তাদের পছন্দ। মাঝেমধ্যে অবশ্য সমুদ্রের গভীর থেকে অক্টোপাস এসে তাদের পরিপার্শ্ব চেপে ধরে রেখে এখান থেকে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কখনও কখনও তারা একটু দুর্বল হলেও ঠিকই মাটিতে দাঁত কামড়ে পড়ে থাকেন প্রলোভন অগ্রাহ্য করে। কিছু কিছু মানুষের জন্যে বাতিঘরজীবনই শ্রেয়তর।





#বোল্ড করা অংশটুকু আম্মানসুরার মুক্তিযুদ্ধের বীভৎস হামলার শিকার মমতাজের জন্য একটু মমতা হবে কি? লেখাটি থেকে নেয়া।

মন্তব্য ১৪৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: এত বড় লেখকের প্রথম মন্তব্য......... নার্ভাস......... তারপর পড়ছি.....

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ে জানিও।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১০

বৃতি বলেছেন: আপনার অন্যান্য লেখাগুলোর থেকে টোন কিছুটা আলাদা । অন্যরকম ভালো লাগলো । প্রিয়তে নিলাম ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বৃতি। ভালো থাকবেন।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৩

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: এত এত্ত ঘুরানো ঠিকনা লেখক..... কবিতা, কথোপকথন, সমাজ ব্যাবস্থা.. তারউপর লেখার ধরন ।
আমার ভেতরের কথা..... এত্ত সব ক্যামনে আসে লেখক?

প্রায়শ্চিত্তকাল হয়তো একদিন শেষ হবে, সেইদিন আমি সমুদ্রতটে গিয়ে অন্যদের মতো লাফালাফি করবো, বিচ ভলিবল খেলবো, সস্তায় শুঁটকি মাছ কিনবো, ঝিনুকের মালা রেখে দেবো কারো জন্যে...

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা কক্সবাজারে লাস্ট যেইবার গেসিলাম- জুন মাসে তখন এমন একটা অনুভূতি হৈসিলো। সেটার সাথে আরো যোগ কৈরা লিখসি।

শুভসকাল।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৪

ফাহাদ রহমান খান কবির বলেছেন: পরে পড়বো সময় নিয়ে। শুভ সকাল হামা ভাই

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: মনে করে পড়েন। শুভসকাল।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৯

নোমান নমি বলেছেন: আচ্ছা মানুষের মন কি অহেতুক রাত কিংবা ধরেন বিশেষ সময় সমুদ্রের বাতিঘরের মত হয়ে যায়? এসব বাতিঘর হয়ে গেলে তারা কি আজীবন বাতিঘরে থাকতে চায়?

আপনার বাতিঘরের একাকীত্বটা ফিল করছি প্রচন্ড! বরাবরের মত ভাল।

গল্পের শেষ প্যারাটা উত্তম পুরুষে না কেন? বুঝতে পারতেছি না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: তেমন মানুষ আছে। তবে কম।

শেষ প্যারাতে লেখকের কনক্লুশন।

শুভসকাল নমি।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২১

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো কাটুক দিন।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
শাটার আইল্যান্ডের লাইটহাউস টার কথা ভাবতেসিলাম পড়তে পড়তে।
"প্রিয় নির্জনতা, আমায় নির্জন করে দিয়ে চলে যেয়ো না" !!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভদিন মুন।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: বাতিঘরের গল্পটা ছুঁয়ে গেল । বীরাঙ্গানা মাতা মমতাজ এর অংশটা হৃদয়স্পর্শী ।

দুঃখরক্ষক নির্বাসনদন্ডপ্রাপ্ত বাতিঘর তারাহীন রাতে পথহারা নাবিকের পথ দেখিয়ে দেয় । আমাদের সমাজের নিভৃতে পড়ে থাকা বিথী-রেজোয়ান-আনোয়ার সাহেবেরা নীরবে নিঃশব্দে বাতিঘরের মতই এখনো আমাদের পথ দেখিয়ে দেয় ।

গল্পে ভাললাগা +++

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই!

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: নিসংগ বাতিঘরের নিসংগতার সংগী হতে ইচ্ছে করে আমার! কিছু মানুষ বাতিঘরের মত পথ দেখিয়ে যায় আজীবন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন হতে পারলে তো খুবই ভালো।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১

নেক্সাস বলেছেন: আমিও বাতিঘর....

খুব ভালো লাগলো হামা ভাই গল্পটা পড়ে

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস। শুভসকাল।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১

গোর্কি বলেছেন:
-সমুদ্রতীরবর্তী শ্মশানে দাঁড়িয়ে একাকীত্বের মূর্চ্ছনা অনুভবের চেষ্টা করলাম। -ব্যতিক্রমধর্মী লেখা উপস্থাপনায় চমৎকৃত হলাম।
-পাঠে অবশ্যই দারুণ মুগ্ধতা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গোর্কি। ভালো থাকবেন।

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!! :) বাতিঘরকে যেন নতুন ভাবে অনুভব করলাম! মানুষের মনে এমন বাতিঘর আছে না নেই কে জানে!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আছে সবারই। খুব গভীরে, খুব গভীরে যেতে হবে। নইলে পাওয়া যাবে না।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: লেখা একটু কেমন যেন, অন্য লেখার চেয়ে আলাদা
পড়তে গিয়ে অনেকবার হোঁচট খেয়েছি
লেখাটার মানে মনে হয় পুরোপুরি বুঝতে পারিনি ভাইয়া
আরো কয়েকবার পড়তে হবে :|| :||

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা খুব কঠিন কিছু না। গভীরতম অনুভবের গল্প। আরেকবার পড়লেই আশা করি বুঝতে পারবেন।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ট্রেনে করে যাওয়ার সময় খুব ছোটবেলায়, এখনও, মাঠের পর মাঠ দেখতে দেখতে হঠাৎ একটা খড়ের বাড়ি দেখতে পেতাম যদি, দ্বিপের মতো, কিংবা বাতিঘরের মতো একা দাঁড়িয়ে আছে, ইচ্ছে করতো কখনও এইভাবে শূন্যতায় কাটিয়ে দেওয়া যেতো দীর্ঘকাল । এই লিখাটা পরে বুঝলাম আমি এখনও আক্রান্ত হইনি মহান বিষণ্ণতার , কে জানে হবো হয়তো কোনোদিন ।


শেষটা এসে একটু কঠিন লাগলো বলে কয়েকবার পড়তে হলো, বাকিটুকু নিয়ে কথা হবে না । শব্দের ঘোরলাগা পরিভ্রমণ আনন্দায়ক সূচনা করলো দিনের । শুভেচ্ছা জানবেন ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: কথা হবে। আনন্দময় হোক দিন।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: লেখার গভীরতায় বিমুগ্ধ হলাম #:-S

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিমুগ্ধ হবার ইমোটা কেমন যেন লাগলো তপন ভাই :|

১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

আম্মানসুরা বলেছেন: পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ, কষ্ট এবং অমানবিকতার বিরুদ্ধে যারা দাঁড়ায়, যারা পরের এসব অনুভূতিকে নিজের মনে করে তারাই মহান সমুদ্রে বাতিঘর স্থাপন করতে পারে[/sb

কিভাবে লেখেন এত গভীর অনুভূতির সত্য কথা গুলো!!!!!! আমার সীমিত শব্দ ভাণ্ডারে চমৎকার শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। চমৎকার লিখেছেন!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার সীমিত শব্দভান্ডার থেকে আপনি মণিমানিক্য খুঁজে পেয়েছেন এটার কৃতিত্ব আপনারই, আমার না।

অনেক শুভেচ্ছা।

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন হামা ভাই! মুগ্ধপাঠ! বেশ কিছুদূর পর্যন্ত মনে হয়েছে যেন একটা কবিতাই পড়ছি!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: একজন কবির কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া আনন্দের। শুভদিন।

১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

জাফরিন বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগল। প্রতিটা লাইন মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। অনেক ভাল লাগসে!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাফরিন। নতুন জীবন ভালো কাটছে আশা করি।

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপাতত সোকেসে তুইলা রাখলাম। পরে সময় নিয়ে পড়ব।
তবে তোমার প্যাসন সত্যিই ঈর্ষনীয়। কিছু কি ধার দেয়া যায়? আইডিয়া গিজগিজ মাথা, কিন্তু লিখতে পারছি না, খাস্তগীররে বলতে হবে প্যাসন ট্রানফার যন্ত্র বানাতে /:) /:)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আশা করি আপাতত না স্থায়ীভাবেই থাকবে! যার যার প্যাশন তার তার কাছে ভাইয়া!

২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: এই বাতিঘর কি ব্যক্তিগত জীবনের নির্জনতা যেটা মানুষকে অন্যদের থেকে, অন্যদের ভাবনা থেকে আলাদা করে তোলে, মানবিক বা অন্যান্য গূণে গুণান্বিত হতে ভিতরে ভিতরে তাতিয়ে দেয়?


দূর্দান্ত বর্ণনা। আপনার লেখার হাতকে হিংসা না করে উপায় নেই।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসল ঘটনা কি জানো নাহোল? আমি আর তিথি যেবার কক্সবাজারে গেলাম, জুন মাসে, সেইবার সমুদ্রের পাড়ে বসে অনেকক্ষণ যাবৎ একটা বাতিঘর দেখতেসিলাম আর ভাবতেসিলাম এই বিশাল জলরাশিতে একটা ছোট্ট বাতিঘরে একজন মানুষ দিনের পর দিন থাকলে কেমন হতে পারে বিষয়টা। সেটাই সাম্প্রতিক কিছু প্রেক্ষাপটের সাথে সংযুক্ত করে গল্প বানায় ফেললাম। বাতিঘরের মানুষেরা আছে বলেই পৃথিবী এখনও মানবিক এবং অনুভূতিময়।

২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই বিষাদ কষ্ট দেয় না। ভাবতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়, উপলদ্ধি করতে শেখায়। আনন্দের চেয়ে বহুগুন সুন্দর এই বিষাদ।


খুব ভালো লেগেছে হাসান ভাই !
নির্জনতা আর নিঃসঙ্গতা আসলে উপকারী জিনিস , উপলদ্ধি উন্নত হয় মাঝে মাঝে !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অভি। ভালো কাটুক সময়।

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিষাদমোমের মতো বাতিঘরের অহর্নিশি জ্বলে চলা -- এই আবেগ আক্রান্ত করলো আমাকে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠককে আবেগী করে তোলাটা দারুণ ব্যাপার। ধন্যবাদ অপর্ণা।

২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: ইমোর ব্যাপারে আমি খুব অপটু! ভুল-ভাল ইমো দিয়ে থাকলে স্যরি রে ভাই :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে কোন ব্যাপার না তপন ভাই!

২৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: প্রথমে ভাবছিলাম গল্পটা আপনার সহজাত টুইস্টে 'সঙ্গোপনে জমিয়ে রাখা সঙ্গতৃষ্ণা' কেই প্রকট করে তুলবে।

শেষে এসে তাই ই হয়েছে তবে বরাবরের মত এবারো আগাম ধরে ফেলতে পারার সুখটা নিতে পারি নি।

এই শহরের অনেক বাতিঘর আছে যার সঙ্গোপনে জমিয়ে রাখা সঙ্গতৃষ্ণা নিয়ে ঘোরে।



সঙ্গোপনে জমিয়ে রাখা সঙ্গতৃষ্ণা

কবিতা মনে হচ্ছে এই চারশব্দকে :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: বুখে আয় বাভুল :((

২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, কোথায় ইমন জুবায়ের ভাইয়ের গল্প বাছাই করবো, তা না, আপনার বাত্বিঘরের সংবিধান পড়ছি।

কেমন লাগলো? নির্জনতা আমার প্রিয়ো বিষয়। তাই এইটাকে কেবল গল্প বলতে আমার দ্বিধা আছে। এইটা একটা গদ্য কবিতা। সত্যি কবিতার মতোই মনে হলো।

ভালো থাকুন। বিশেষ আর কি বলবো। কাজ শেষ হলে মেইল করেন। মেইল এড্রেস কি দিয়েছিলাম আগে? আমার পোস্টে যদিও আছে। তবু আপনাকে মেইল এড্রেসটা দিলাম। [email protected]

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে আমি খুব চাপের মধ্যে আছি। কাজ শুরু করিনি এখনও। তবে শিঘ্রই শুরু করবো। ধন্যবাদ সজীব।

২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০

কালোপরী বলেছেন: গল্প পড়তে ইচ্ছা করতেছে না


ছবিটা সুন্দর

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কখনও ইচ্ছে হলে ঘুরে যেয়েন। শুভকামনা।

২৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

মাক্স বলেছেন: কিছুদূর পড়ে মনে হইসিল কেবল বাতিঘরের বাসিন্দার বিষণ্ণতাই অনুভব করতাসি। শেষ পর্যন্ত বাতিঘরের অন্য অর্থ খুঁজে পেলাম। ঠিক এমন একটা গল্পই যেন খুজতেসিলাম আপনার কাছ থেকে।

২য় প্লাস!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক জিনিস উপহার দিতে পেরে খুশি হলাম।

আহা! প্লাস! 8-|

২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নতুন কি বলব বুঝতে পারছি না। নিজের শব্দ ভান্ডার যে কত খানি দূর্বল, প্রতিবার আপনার গল্প পড়তে এসে আমি তা উপলব্ধি করি। ফলে মুগ্ধ হয়েও নতুন কিছু বলতে পারি না। ঘুরে ফিরে সেই এক ঘেয়েমি চমৎকার এবং দূর্দান্ত বলতে হয়।

যাইহোক, খুব চমৎকার একটা লেখা। প্রথম প্রথম মনে হচ্ছিল আমি কোন মুক্তগদ্য পড়ছি। একাকীত্বের যে অনুভূতি তা প্রবল ভাবে ধরা দিচ্ছে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা। ভালো থাকবেন।

২৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'দিনের বেলায় উজ্জ্বল সূর্যালোকে খন ডলফিনেরা খেলা করে আমার ইচ্ছে হয়... '

গল্পের প্রথমটা পড়তে গিয়ে লাইটহাউস নিয়ে আগেকার লেখকদের লেখা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সমুদ্রের কোথায় কে জানে কত ভেতরে, জনমানবশূন্য দ্বীপে একাকী বসবাস, বা ভাগ্য ভালো থাকলে একজন সঙ্গী। খাবারের জন্য জাহাজের ওপরে নির্ভরশীল, সেটা আসে মাসে একবার- সভ্য পৃথিবীর সাথে একমাত্র যোগসূত্র। জলদস্যুদের ভয়, দ্বীপে হিংস্র প্রাণীদের ভয়, একটু পর পর আছড়ে পড়া স্রোতের ভয়, আর সবচেয়ে বড়ো যেটা- একাকীত্বের ভয় চেপে বসে বুকের ওপরে। দারুণ একটা দৃশ্যপট।

কিন্তু গল্পের সাথে সাথে আরেকটা দিক উন্মোচিত হল, আবেগি কাব্যিক বর্ণনায় সমাজের কয়েকজন প্রদীপঘরের কথা এলো। সম্পূর্ণ অন্য একটা অনুভূতি প্রকাশ পেল। চমৎকার লেগেছে।

শুভরাত, প্রিয় হাসান মাহবুব।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর সাহেব। আপনিও আপনার অনুভূতি চমৎকারভাবে বলেছেন।

শুভরাত।

৩০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
হাসান,
দারুণ লাগলো গল্পটা।
বাতিঘর,বাতিঘরের সেই একাকী মানুষ,
জীবনের গভীরতম বোধের কথাগুলো সহজ করে লিখেছো।

গতবছর অষ্ট্রেলিয়ার পার্থ এ গেছিলাম বেড়াতে।
ওখানে তো অনেক সী বীচ।
fremantle নামে সী বীচে একটা বাতিঘর দেখে কেমন যে এক অদ্ভুত অনুভূতির মুখোমুখি হয়েছিলাম। রাতের বেলা সমুদ্রের ঢেউ এর গর্জন আর সেই নির্জন বাতিঘর।
বেশিক্ষন থাকতে পারিনি.....চারিদিকের নির্জনতা কেমন চেপে ধরেছিল।

তোমার লেখার ভক্ত আমি........খুব ভালো থেকো। লেখায় থেকো।
শুভ অনুভব রেখে গেলাম।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো! আপনার মতই অনুভূতি আমার হয়েছিলো গত জুনে কক্সবাজারে। সেটা থেকেই গল্পটা লেখা।

অনেক ভালো থাকবেন সাজিপা।

৩১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
আমি বুঝেছি,
কক্সবাজার ভ্রমন ,এই লেখার অনুপ্রেরণা।
কি যে সুন্দর সব ছবি তোমাদের................

এবার দেশে এলে আমরা আবার কক্সবাজার এ যাবো।
অনেক স্মৃতি আছে আমাদের ।

ভালো থেকো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থেকেন আপু। দোয়া করবেন।

৩২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৯

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: কত বছর হয়ে গেল কক্সবাজার যাই না.. আমার ডিস্ট্রিক. কিন্তু যাইনা.. .......... যাব একদিন যদি মানুষ হই... আপনি পরিপূর্ন মানুষ তাই যাইতে পারছেন...... আমার মত মানুষের যাওয়াও নিসিদ্ধ... বাই দা ওয়ে শুভ কামনা হাসান ভাই. ... এই ব্লগে লিখতে আসি পড়তে আসি আপনার মত কিছু ব্লগারের জন্য.... সত্যি বলছি... বানাইয়া বলছিনা.....

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাগরসন্তান খুব দ্রুতই তার মায়ের কাছে ফিরে যাক এই শুভকামনা রইলো।

৩৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

নাসরীন খান বলেছেন: অাপনার কল্পনা শক্তি প্রবল,সেখানে নিপুণতা যথেষ্ট।চমৎকার লাগল

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাসরীন। ভালো থাকবেন।

৩৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: আপনার মতই লেখা! নতুন করে ওখানে আর বলার কিছু নেই!

থিমটা অনেক ইউনিক এবং বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, মাঝে মাঝে আমারো বাতিঘর হয়ে যেতে ইচ্ছা করে। বাসিন্দা না কিন্তু!

ঢেউ গুলোর নামকরণ ব্যাপারটা বেশ নাড়া দিলো! আপনার শব্দের বুনণের শক্তিমত্তা বা গভীরতা গুলো এই ছোট ছোট জায়গায় খুব বেশি করে চোখে পড়ে!

বাতিঘরের সংবিধান- নামটাও মনে ধরেছে বেশ!


গানটা মনে পড়ে গেলো।

দূরে দেখো আলো দেখা যায়
দূরে দেখো অন্ধকার
তোমার ভেতর দেখো কত অচেনা
তুমি আছো দাঁড়ায়

দূরে দেখো বাতিঘর
অন্ধকার তোমার ভেতর
জেগে জেগে সারারাত
অথবা ঘুমে বিভোর
দূরে দেখো শুণ্যতা
আলো ছড়ায় বাতিঘর
এখনো ক্যানো অন্ধকার তোমার ভেতর?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিমটা অনেকদিন যাবৎ বুকের ভেতর পুষে রেখেছিলাম। লিখতে পেরে এবং তোমাদের অনুভূতির ভাগীদার করাতে পেরে ভালো লাগছে।

শুভকামনা ইমরান।

৩৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

আরজু পনি বলেছেন:

কার এত দায় পড়েছে মাঝসমুদ্রে ভুলজোনাকের মত মিটমিটিয়ে থাকা এক গম্বুজের ভেতর বিষাদমোম দিয়ে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করা একজনকে খুঁজতে?

নিযুতমরুপথ পাড়ি দেয়া অভিযাত্রীর মত তৃষ্ণা জাগে। জলের তৃষ্ণা না, সঙ্গোপনে জমিয়ে রাখা সঙ্গতৃষ্ণা।

সমুদ্রের সাথে কোন চালাকি চলে না। সমুদ্র ভন্ড অথবা সাময়িক আবেগকে স্থান দেয় না

পড়ছিলাম আর মেসেজটার কী হতে পারে ভাবছিলাম...

পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ, কষ্ট এবং অমানবিকতার বিরুদ্ধে যারা দাঁড়ায়, যারা পরের এসব অনুভূতিকে নিজের মনে করে তারাই মহান সমুদ্রে বাতিঘর স্থাপন করতে পারে....এই লাইনগুলোতে খুবই পরিষ্কার হয়ে গেলাম ।

শেষে এসে নিশ্চিত হলাম ।
মনটা খারাপ লাগছে...
লেখাটা নিয়ে গেলাম ...

অন্তর থেকে দোয়া করি হাসান, গল্পচ্ছলে এই মেসেজগুলোই পৌঁছে যাক দুয়ার থেকে দুয়ারে ...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের সবার ভেতরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে একটা বাতিঘর জ্বলুক, সময়মত দিক দেখাক যখন আমরা পথ হারিয়ে ফেলি।

অনেক শুভকামনা পনি আপা।

৩৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

সোমহেপি বলেছেন: গল্পটা আসলে কতটুকু?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ক্যা পুরাটুকুই :||

৩৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

বোকামন বলেছেন:

পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ, কষ্ট এবং অমানবিকতার বিরুদ্ধে যারা দাঁড়ায়, যারা পরের এসব অনুভূতিকে নিজের মনে করে তারাই মহান সমুদ্রে বাতিঘর স্থাপন করতে পারে।

গল্পজুড়ে যে আবেগ এবং মানবিকতার ঢেউ দেখালে তা সত্যিই অনন্য !
পৃথিবীতে অনেকরকম অনুভূতির হরেক রকম প্রকাশ হয় তবে কিছু কিছু অনুভূতি একই দৃশ্য হওয়া উচিত ছিলো -

বাতিঘরের ব্যাপারটা আমাকেও একটা অদ্ভুৎ অনুভূতি উপহার দিচ্ছে।

আপনার ভিতরে থাকা বাতিঘরের আলোতে দিক খুঁজে পাক “নাবিক” আপনি -এই কামনা করছি :-)
ভালো থাকবেন।।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

৩৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

সোমহেপি বলেছেন: প্রথমে যখন পড়ছিলাম এমন শিহরিত হচ্ছিলাম ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। শেষে এসে যে অংশটুকু জুড়েছেন এতে করে গল্পের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। মেজাজটা অনেক থারাপ হয়া গেছে।

বাল!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইদানিং সহজ হবার চেষ্টা করছি। দুর্বোধ্যতা কমানো দরকার :-<

৩৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

অদৃশ্য বলেছেন:





হাসান ভাই

বাতিঘর আমার কাছে সবসময়ই রহশ্যাবৃত একটি ব্যাপার... এই জিনিসটার প্রতি আমার খুবই আগ্রহ... যে কিনা একাকীত্বের প্রতিক, আজীবন প্রতীক্ষার ব্রত নিয়ে বসে আছে যে...

আমি একটি লাইট হাউজের ফটো পেলে খুব মনযোগ দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি, অথবা তার আশপাশটা... কি দেখি? জানিনা...

আপনার লিখাটি খুব গভীরভাবে স্পর্শ করলো... অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে লিখাটি... এইসব ভাবের স্পর্শে মুগ্ধ হয়েছি...

শুভকামনা...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাতিঘর নিয়ে আমার একার না, অনেকেরই ঘোরগ্রস্থ আকর্ষণ আছে দেখছি।

ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

৪০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

টুম্পা মনি বলেছেন: সমুদ্র, বাতিঘর এই দুটো অংশের মুক্তগদ্যটুকু অসাধারণ মনে হল। এই লেখাটা আপনার গত কয়েকটা লেখা থেকে আলাদা। অনেক আবেগ অনুভূতির ঘনঘটা এখানে পরিলক্ষিত হল যা লেখার মাধুর্যতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ টুম্পা। শুভকামনা।

৪১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: মাই গড!!
আমি সত্যি কালো উত্তাল সমূদ্রে হারিয়ে গিয়েছিলাম! নিজেকে দেখতে পাচ্ছিলাম হেলে-দুলে ধেয়ে আসা ঢেউয়ের সামনে! আর এই বিচ্ছিন্ন আবেগটা এত স্পষ্টভাবে তুলে ধরলেন, যেটা সবাই পারেনা!
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই লেখাটা।
উপমা দিয়েই লিখেন সাধারণতঃ কিন্তু এবারেরটা ভীষণ সহজবোধ্য!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখার সময় মনে হচ্ছিলো সমুদ্র সম্পর্কে যদি রো বেশি জানতে পারতাম তাহলে বেশ করে লিখতে পারতাম। তারপরেও আপনাদের কিছুটা সামুদ্রিক করতে পেরেছি এটা আমার জন্যে অনেক বড় ব্যাপার।

ধন্যবাদ।

৪২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৪

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: হা হা হা, সমূদ্র সম্পর্কে এত কম জেনেও আপনি এনশেন্ট ম্যারিনারের চেয়ে খুব একটা কম পারেননাই :D
নাকি "লাইফ অফ পাই" এর প্রভাব?? ;)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী যে বলেন! তবে সমুদ্র সম্পর্কে অনেক বই পড়া আছে, লাইফ অফ পাই দারুণ ছবি।

৪৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বোল্ড করা অংশটা চোখে আসছে বার বার।
স্বাধীনতার জন্য মহান মানুষগুলোর কষ্ট, ত্যাগ, তিতিক্ষা স্বীকার ভাবলেই কেমন লাগে। পরবর্তী প্রজন্মের আমাদের জন্য একটা স্বাধীন দেশ দিতে বছরের পর বছর কষ্ট বয়ে বেড়ানো মানুষগুলোর প্রাপ্য সম্মান দেবার মত পৃথিবীতে কিছুই নেই।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাতিঘর থেকে দিক নির্দেশনা আসুক!

৪৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

রাজসোহান বলেছেন: ফানি কমেন্টঃ আপনার গল্প সুন্দর, আই এম ইওর ফ্যান, অ্যাড মি পিলিজ :P


সিরিয়াস কমেন্টঃ দারূন বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন। গল্পের সাথে ছবিটা মানিয়েছে। পুরো গল্প পড়ার সময় ছবিটার মতো সমুদ্রের ঢেউয়ের একটা ইমাজিনেশন ছিলো।

আমি কিন্তু কইছিলাম ২০০ তম গল্পে পুত্তুম প্লাস দিবো, আপনি কইছিলেন ম্যালা দেরী আছে! বাট যেই ফর্মে আছেন .... ;)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফর্ম বেশিদিন থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। আর যদি থাকেও, সামুর প্লাস এর যেই ফর্ম! দেয়াই তো যায় না! /:)

৪৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

সায়েম মুন বলেছেন: এই গল্পটা মোলায়েম হয়েছে। বাতিঘর নিজে আলোক নির্দেশনা বা পথ নির্দেশনা দিয়ে চললেও সারাটাজীবন একা ও নিঃসঙ্গ। কিছু মানুষ বোধয় এক সময় বাতিঘর হয়ে যায়। তারা জীবনে শুধু কষ্টই পেয়ে যায়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: তেমন মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা বাসযোগ্য!

থিংকু মুনাপু।

৪৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

রাইসুল সাগর বলেছেন: চমৎকার বর্ননাময় লিখা +।

শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা নিরন্তর।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

৪৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: মোজার্ট আর সালেরিরে নিয়া একটা ছবি বানাইছিল, নাম মনে নাই। ঐখানে মোজার্টের এক কনসার্টে আষ্ট্রিয়া না সার্লবুর্গের রাজা হাই তুলে ফেলে। হাই ওঠা মানে মিউজিক সুবিধার হয় নাই। বাতিঘরের বাতিওয়ালার বর্ণনা পড়ে হাই উঠছে একটা। সম্ভবত নিজে বাতিওয়ালা না হয়ে বাতিওয়ালার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন বলে, অনেকটা যে কবি নারী শরীর দেখে নাই, তার নারী শরীরের সৌন্দর্য নিয়ে লিখা কবিতার মত। দুঃখিত, গল্পটা কষ্টকল্পিত ও আরোপিত মনে হইছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ঠিক, খুবই ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশাল থিম দাঁড় করাইতে চাইসি। তাই তোমার মত করে কেউ বলবে এই ধারণা ছিলোই। এরকম একটা কমেন্ট প্রত্যাশিতই। থ্যাংকস।

৪৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ!!
আপনি স্বভাবকবি বলেই আপনার গদ্য এতটা উপভোগ্য হয়।

শুভকামনা হাসান ভাই।।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি স্বভাবকবি না। আমাকে অনেক কষ্ট করে শব্দ বের করতে হয়।

শুভেচ্ছা।

৪৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সব কিছু মিলাইয়া দারুণ লাগলো

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৫০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: প্রিয় লেখক হাসান মাহবুব এর গল্প , খুব ভাল না লাগলেও পড়ে যাচ্ছিলাম । শেষ করলেন--- " কিছু কিছু মানুষের জন্যে বাতিঘরজীবনই শ্রেয়তর" --কথাটি দিয়ে। সমস্ত গল্পটা এই একটি বাক্যে কি চমৎকার ভাবে বলা হয়ে গেলো !

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা শেষ পর্যন্ত আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। প্রিয় লেখক বলায় সম্মানিত অনুভব করছি।

শুভরাত নুসরাত।

৫১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

ভিয়েনাস বলেছেন: গভীর সমুদ্রে দিকহারাদের দিক নির্দশনা দেওয়ায় বাতিঘর কে মহান কিছু মনে হতো কিন্তু বাতিঘরের ব্যাক্তিকে নিয়ে এমন করে ভেবে দেখা হয়নি। এতো গভীর থেকে কিভাবে ভাবেন সেটাই ভাবছি।কি অসাধারন করে বাতিঘরের মানুষটার আবেগ অনুভূতি বিষাদ বেদনা তুলে এনেছেন !! অসাধারন লাগলো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।

৫২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
"মহান বিষাদ!", "দুঃখরক্ষক" !!! কোথায় পাও এগুলা!!!
"বেশ কিছু লোক জড়ো হয়ে তামাশা দেখছে।"- চরম সত্য লিখছ! ভন্ড সব ! শুধু বাতিঘরের নিঃসঙ্গ মানুষটিই খাঁটি।

কি যে লেখছ তুমি নিজেই উপলব্ধি করতে পারছি কি না জানি না! মাস্টার অফ মাস্টার পিস।

নিঃসঙ্গতাকে লিখে এমন জীবন্তকরে তুলে ধরেছ ! অসাধারন। নিঃসঙ্গতাকে খুব কাছ থেকে না দেখলে এমন লেখা কিভাবে সম্ভব!
সিমপ্লি গ্রেট

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এগুলো পেয়েছি লাবণী বিচে এক সন্ধ্যায়। গত জুন মাসে। প্রমত্ত সাগর। টিপটিপ বৃষ্টি। তিন নং সিগন্যাল। দূরে একটা বাতিঘর।

এই অনুভূতি প্রকাশযোগ্য না। তারপরেও আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে কিছুটা হলেও প্রকাশ করতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৫৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

অচিন্ত্য বলেছেন: আহ অপূর্ব !
সমুদ্রের কাছে গিয়ে কিচ্ছু লুকানো যায় না। আমি একবার সমুদ্রের কাছে গিয়েছিলাম। একেবারে চুপ হয়ে গিয়েছিলাম। সমুদ্র ঘুরে এসে একটা লেখা ব্লগে দিয়েছিলাম। সময় পেলে পড়লে খুশি হব। শেষে লিংক দিলাম। আর হ্যাঁ, লেখায় সমুদ্রের সুবিশাল শান্ত সৌম্য রূপ যেন আমায় আবার চুপ করিয়ে দিল। অনেক কথা। কিন্তু কিছুই যেন বলতে পারছি না। খুব ভাল লাগল।
Click This Link

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়লাম লেখাটা। অনুভবও করতে পারলাম কিছুটা। সাগর যাদের ডাকে তাদের বুকে এমনই বিষাদ জমে মুক্তো হয়।

শুভেচ্ছা।

৫৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

শ্যামল জাহির বলেছেন: 'বাতিঘরের সংবিধান' পড়ে কী মন্তব্য করবো বুঝতে পারছিনা!
নির্লজ্জের মত শুধু এটুকু বলবো- একটা সিগারেট ধরালাম!


ভাল থাকুন কবি।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাকে কবি বলে কবিদের ক্ষেপায় দিয়েন না!

ভালো থাকুন।

শুভবিকেল।

৫৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: বাতিঘরের স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করে যান ভাই। শুভ কামনা।
লেখা দারুন লাগলো

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

কয়েস সামী বলেছেন: কবিতার মতো গল্পটা উচ্চস্বরে পাঠ করে পড়া হল। কিভাবে লিখেন?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি আবৃত্তি পারেন নাকি! বাহ। শুভকামনা।

৫৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

তওসীফ সাদাত বলেছেন: অসাধারণ। একদম ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলাম। অনুভব করছিলাম বাতিঘর এর একজন নিঃসঙ্গ মানুষ এর নিঃসঙ্গতা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তওসীফ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৫৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

তওসীফ সাদাত বলেছেন: আমার ব্লগ তো সবে শুরু, এখনও বেশি কিছু জমেনি। তবে আপনাকে নিমন্ত্রণ করছি :) যাবেন কিন্তু :) !!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ নিশ্চয়ই যাবো।

৫৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

তৌসিক তানভীর বলেছেন:
ভাল লাগল :#)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিনকিন পার্ক-২ নাকি?

৬০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
১ বছর ৯ মাস আগে শখ হইছিল নিজের নামে অ্যাকাউন্ট খুলব ! শেষমেষ খুলেই ফেললাম :!>

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষ নিজের নামে মেইন এ্যাকাউন্ট খুইলা আরেকটা খোলে অন্য নামে। তোমার বেলায় দেহি উল্টা :-<

৬১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: পড়তে পড়তে নিবিড় নিঃসঙ্গতার গভীরে চলে গিয়েছিলাম

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

শুভরাত্রি।

৬২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

কালীদাস বলেছেন: লাইফের অনেক কথা মনে পড়ে গেল পোস্ট পড়ে। নিঃসঙ্গতা ভাল না খারাপ জাজমেন্ট করা কঠিন জিনিষ :|

কক্সবাজারের লাইট হাউসটায় গেছেন কখনও? কক্সবাজারে মাবাপের সাথে বেড়াতে গেলে ওটার গেস্টরুমগুলোতে উঠতাম আগে....রাতে কঠিন ফিলিংস আসত ওটার বারান্দায় দাড়ালে /:)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কক্সবাজারের লাইট হাউজে কেমনে যায়! লাইট হাউজের আবার গেস্টরুমও আছে? কঠিন তো! আমি যেতে চাই একদম সাগরের মাঝখানেরটায়।

৬৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

প‌্যাপিলন বলেছেন: বাতিঘর কল্পনাতে ভালই লাগে, বাস্তবিক সাহসে কুলায়না
গল্পে ভাললাগা (বাটন কাজ না করায় এটাকেও কাল্পনিক ধরা যেতে পারে)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: কাল্পনিক ভালো লাগা বুঝে নিলাম। বাতিঘর আমারও বাস্তবে সাহসে কুলোবে না, কিন্তু কল্পনাটা কি বিপুলবিস্তারী! তাই গল্পই লিখে ফেলতে হলো এটা নিয়ে।

৬৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
লেখা অর্ধেক পড়ে ঠিক করলাম কমেন্টে বাতিঘরের জন্য একটা 'গার্লফ্রেন্ড আবশ্যক' লিখব। তাতে তার একাকীত্ব যদি কমে।

শেষাংশে এসে ভাবনাটা পরিবর্তন হল। বাতিঘর একটা বাতিঘর'ই রয়ে যায়। নিঃসঙ্গতায় বাতিঘরের সঙ্গী।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ এই চিন্তাটাই ভালো, রিয়াদ। বাতিমানব একলাই থাকুক।

শুভরাত্রি।

৬৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

রাজসোহান বলেছেন: এসে গেছেন কবি মাহবুব :P

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার কোথাও কোন শাখা নেই :-<

৬৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

রাজসোহান বলেছেন: আপনি হাসান মাহবুব, অথচ হাসাননা :(

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি সিরিয়াস মাহবুব।

৬৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২

রাজসোহান বলেছেন:

সবার নোটিফিকেশনই কি এই অবস্থা নাকি আমারই? আপনার কয়টা নোটি জমা ভাই? নাকি নিয়মিত চেক করে? #:-S

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ৬১৯টা। চেক তো করা যায় না। সার্ভার বিজি দেখায়।

৬৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

রাজসোহান বলেছেন: আমারটা চেক করা যায় :)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এ কেমন অবিচার!

৬৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখছি , এই মন্তব্যের দাম ৩ গুণ ! একবার কারেন্ট গেছে মন্তব্য করতে গিয়ে , আরেকবার লগ আউট হইছি । আর শালার
যখন নোটপ্যাডে ব্যাকআপ নিছি এইবার আর ঝামেলা হয় নাই । প্রথমবারেই প্রকাশ ।

প্রত্যেক মানুষই কোন না কোন মুহূর্তে , কোন না কোন অবস্থায় বাতিঘর ।
কেউ সেটা ভালভাবে অনুধাবন করবে , কেউ করবে না ।
জীবনের আশ্চর্য সত্যগুলো কি অদ্ভুত ভঙ্গিমায় আপনার গল্পে চলে আসে হাসান ভাই ।

যখন আগের গল্পটা পরেছিলাম , অইটাই ছিল আমার কাছে আপনার এই মাসের শ্রেষ্ঠ গল্প , এটা পড়ার পর এটা হয়ে গেল !

অচন্দ্রচেতন শব্দটায় ভাল লাগা । .
একাকীত্ব সমুদ্রকে দিয়েছে নীল রঙ, শঙ্খের হাহাকার থেকে প্রতিধ্বনিত হয় যে আর্তনাদ তা কেউ শোনে না। ভাল লাগল ।
এভাবে ত ভাবিনি ।

পৃথিবীতে অনেকরকম অনুভূতি আছে, তার কয়টা আমরা ধরতে পারি? আমরা খুব মোটা দাগে নামকরণ করেছি, আনন্দ, বেদনা, সুখ, দুঃখ ইত্যাদি। কিন্তু এই যে আমরা কক্সবাজারে এলাম, জোছনায় সমুদ্র দেখলাম, দূরের বাতিঘর নিয়ে পরিকল্পনা করলাম, এসবকে তুমি কোন নির্দৃষ্ট অনুভূতির ছকে ফেলতে পারবে?


আসলেই হাসান ভাই । এ গল্পটা বার বার পরার জন্য প্রিয়তে নিচ্ছি ।
গল্পটা আমার অনুভূতিকে দারুণভাবে স্পর্শ করেছে ।

ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই :)
শুভকামনা রইল অনেক ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পটা নিয়ে ফেসবুকেই বিশদ আলোচনা হয়েছে। সমুদ্রের আসলেই মানুষকে দেয়ার শেষ নেই। বারবার নিতে যাবো। কুতুবদিয়ার আমন্ত্রণ হৃদয়ে থাকলো।

শুভরাত মাহমুদ।

৭০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: শিরোনামটা ভালো লাগলো ভাই। পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। যখন ব্যান্ডের সাথে জড়িত ছিলাম তখন আমি ব্যান্ডের জন্য লিরিক লিখতাম। একটা গান লিখেছিলাম ''ছায়ার বাতিঘর'' নামে।
'ছায়ার বাতিঘরে অস্থির সব কল্পনার মত
ছায়ার আকাশের প্রতিবিম্ব যত-
ফুটে ওঠে ঘোলাটে মেঘের আড়ালে
মুছে যায় জীবন মৃত্যুর শেষ প্রহর।'

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার লিরিকটাও তো সুন্দর। গান বাজনা ছাইড়েন না ব্রো।

৭১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

শাহেদ খান বলেছেন: প্রায়শ্চিত্তের জন্যে না, কিছু বোকামানুষী কাজকারবারই আমাকে এখানে টেনে এনেছে।

কিছু কিছু মানুষের জন্যে বাতিঘরজীবনই শ্রেয়তর।


-- যেমন ইউনিক থিম তেমন লেখনী। দুর্দান্ত মেটাফর। ব্যস্ত কোলাহলের দিকে তাকালেই এখন হয়তো শুধু মনে হবে, এদের মাঝে ক'জন আছে বাতিঘরনিবাসী? কেউ জানতেও পারবে না কখনও !

অনেক ভাল লাগা জানবেন, হাসান ভাই। শুভেচ্ছা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহেদ। নিয়মিত কথা হলে ভালো লাগবে।

শুভবিকেল।

৭২| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ২:১২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
প্রত্যেকের মাঝে হৃদনিভৃতে নির্জনতার বুভুক্ষ বাতিঘরসদৃশ বিদ্যমান ৷ কখনও তা হয়ত কিয়ৎকালে আবছায়ায় থাকে ৷ মিঁটিমিঁটি নয়ত অন্যের জন্য পাথেয় আলোকবর্তিকা রূপে যুগান্তরে প্রবাহমান ৷ চলে মহাকাল জুড়ে ৷ কল্পনা ও অলীকের মাঝে হৃদয়াঙ্গম অতি বাস্তব ৷ আমাদেরই কথা ৷

পাঠে ভাল লাগল ৷

১৫ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৭৩| ১৫ ই মে, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গল্পটা দারুন লাগল। বাতিমানবের একাকিত্ব নিঃসঙ্গতার নতুন সঙ্গাকরণ।

১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।

৭৪| ১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

নীলপরি বলেছেন: বাতিঘর দেখলে মনে হয় , ও যেন অফুরান গল্পের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । আপনার গল্পটা পড়তে খুব ভালো লাগলো ।

১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.