নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*
প্রিয় মুক্ত,
শান্তর কাছে তোমার জন্যে সামান্য একটা উপহার পাঠালাম। সময়াভাবে দেখা করা হল না। ভালো থেকো।
শাপলা আপা
ক্ষুদে চিঠির মত করে লেখা এই মেসেজটা আমার সেলফোনে একটা জলতরঙ্গের মত শব্দ তুলে রোদ চড়ে বেড়ানো মার্চের সকালবেলার আধোঘুম আর বিভ্রান্তিকর স্বপ্নের জগৎ থেকে বাস্তবতায় নিয়ে এলো। শাপলা আপা। মায়াবতী, যত্নশীলা, দেবীতমা বড়বোন, পাড়াতো সম্পর্কে। উনি কখন আসলেন আর কখন চলে গেলেন জানাই হলো না। অবশ্য জানলেই যে আমি ছুটে গিয়ে দেখা করে আসতাম তার সাথে দামী উপহার বগলদাবা করে, এমনটা না। তার হঠাৎ চলে যাওয়া নিয়ে আমার কোন অভিযোগও নেই। তিনি এসেছিলেন, আমার কথা মনে করে উপহার সাথে এনেছিলেন, সেটাই বড় ব্যাপার। শান্তর বাসাটা কোথাও তা আমার জানা নেই। সম্ভবত মোহাম্মদপুরের দিকে। দেখি, নাম্বারটা যোগাড় করে ফোন করতে হবে ওকে। মেসেজ এর রিপ্লাই দিতে আলসেমী লাগছিলো, শাপলা আপার নম্বরে কলব্যাক করতে গিয়ে দেখি নম্বরটা বন্ধ। ভালোই হয়েছে, প্রতিউত্তর কেন করিনি এমন তাগাদাও অনুভব করবো না ভেতর থেকে, টাকাও বেঁচে গেলো বেশ কিছু। জাপানে ফোন করা মানেই পঁচিশ টাকা খরচ। এর চেয়ে বিনা খরচে স্মৃতির কলোনীতে ঘুরতে ঘুরতে শাপলা আপার বাসায় কড়া নাড়া যায়।
ঠক ঠক!
-কে রে? মুক্ত? কেমন আছিস?
-শাপলা আপা, তোমরা নাকি জাপান চলে যাচ্ছো?
-হ্যাঁ। আগামী মাসের ২৪ তারিখে। দেরী আছে এখনও।
জানি না কেন অভিমানে ঠোঁট ফুলে উঠেছিলো আমার সেইদিন। শাপলা আপা তার জীবনের প্রয়োজনে, জীবিকার তাগিদে যেখানে খুশি যেতে পারেন, তাকে বাধা দেবার অধিকার আমার ছিলো না, অভিমান করারও কোন কারণ নেই। তবে কারণ ছাড়াও তো কতকিছু হয়! আমাদের কলোনি থেকে কিছু দূরে, প্রাচীর টপকে এক আশ্চর্য স্বচ্ছপানির শাপলাপুকুরে যাওয়া যেতো। সেখানে দুপুরবেলায় সবাই যখন ভাতঘুমে ব্যস্ত, উচ্ছল কিশোরীর ঠোঁটের মত তিরতির করে কাঁপতো ফুলগুলো, পানির প্রবাহে ছিলো মেঘ আর হাওয়ার অবাধ আনুকূল্য আর সূর্যের রোশনাই। হঠাৎ করে সেই পুকুর কেন শুকিয়ে গেল কেউ বলতে পারে না। আমারও জানতে ইচ্ছে করে নি। কারণ ছাড়া তো কতকিছুই হয়!
-তুই যাবি নাকি আমাদের সাথে? তোর জন্যে একটা টিকেট কাটবো নাকি হু?
শাপলা আপুর টিকিটের রসিকতা আমার কাছে টিটকিরির মত লাগে। আমি চলে যাবার উপক্রম করি। ক্ষীণস্বরে বলি 'যাই'। ক্ষীণস্বরে বলা শব্দেও হয়তোবা মনের মেঘ ঢুকে পড়ে সন্তর্পণে। তারা গুমগুম শব্দ করে। তারা চোখকে বলে অশ্রূকে বৃষ্টির মত ঝরাতে। ঝুমবৃষ্টি না, টিপটিপ। বোঝা যায় কী যায় না, গায়ে লাগে কী লাগে না এমন। শাপলা আপু ঠিক ঠিক বুঝতে পারেন। সংবেদনশীল কিশোর মনের মর্যাদাকে সম্মান করে তিনি এই চেপে রাখা কান্না না বোঝার ভান করেন। মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বাসায় বানানো সন্দেশ খাবার জন্যে ভেতরে ডাকেন।
স্মৃতিসংলগ্ন হয়ে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। আবার বেজে ওঠে সেলফোন।
-হ্যালো মুক্ত ভাই, আমি শান্ত বলছি।
-কী খবর শান্ত? কেমন আছো?
-এইতো ভাই। শাপলা আপা আমার কাছে একটা প্যাকেট দিয়ে গিয়েছিলো আপনার জন্যে। সময় করে নিয়ে যেয়েন।
-আচ্ছা। তোমাদের বাসাটা যেন কোথায়?
-মোহাম্মদপুরে। রিং রোড দিয়ে ঢোকার পরে...
সে আমাকে লোকেশন বুঝাতে থাকে। আমি তাকে বলি যে সময় করে একদিন নিশ্চয়ই নিয়ে আসবো উপহারগুলো, এবং সে সময়টা সন্নিকটেই।
মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুর, দূরত্বটা খুবই অল্প। ঢাকা থেকে জাপান অনেক বেশি দূর। আর তার থেকেও বেশি দূরত্বে শুকিয়ে যাওয়া সেই শাপলাপুকুর যা একসময় অলসদুপুরে ঘরপালানো কিশোরের রূপকথাকালের মায়ামঞ্চ ছিলো। শাপলা আপা আর শাপলাপুকুর, কে আমাকে ডাক দিয়ে নিয়ে যায় নিভৃতের ধূসর জমিনে, অবহেলে পড়ে থাকা শরৎকালের ঝকঝকে রোদ্দুরে...। শাপলা আপারা জাপানে গেছেন প্রায় সাত বছর হলো। এরপর কয়েকবার এসেছিলেন, মনে পড়ে প্রথমবার ঢাকায় ফেরার কথা জানার পর আমার সেই উত্তেজনাকাল! তখন আমাদের মধ্যে চিঠি লেখার খুব চল ছিলো। দীর্ঘ সুললিত এক চিঠিতে শাপলা আপা আমাকে জানান তারা খুব শীঘ্রই ঢাকায় আসছেন, থাকবেনও অনেকদিন। প্রায় মাসখানেক। আমার সে কী আনন্দ! কত পরিকল্পনা, কত জমে থাকা গল্প, কত দুরন্তপনার কথা ভেবে মিটমিটিয়ে হাসি! সেদিন আমি ছুটে গিয়েছিলাম সেই হাজা-মজা শাপলাপুকুরটায় অনেকদিন পরে কিছু সংস্কারকাজ করবো বলে। কচুরিপানাগুলো পরিষ্কার করা দরকার। শাপলা আপা এসে নিশ্চয়ই খুব রাগ করবেন পুকুরের এই অবস্থা দেখে? এখন অবশ্য শাপলা ফোটার মৌসুম না, তাতে কী! শাপলা আপা তো আসছেন! আমার সেলফোনের ডায়াল লিস্ট থেকে কী মনে করে আবার শাপলা আপার নাম্বারটা রি-ডায়াল করি। নাহ নাম্বারটা মনে হয় পার্মানেন্টলিই বন্ধ। আর ব্যবহার করেন না হয়তো। পঁচিশ টাকা বেঁচে যাওয়ার পরিতৃপ্তিতে হৃষ্টচিত্তে আমি আবারও স্মৃতিকলোনিতে নিখরচা ভ্রমণে বেরুই।
শাপলা আপারা এসে গেছেন। বাসার কলিংবেল বাজাই আমি। সুন্দর একটা মেলোডি ভেসে বেড়ায় ঘর-বাহির জুড়ে।
-কে?
-আমি মুক্ত।
-ও, মুক্ত! কী খবর বাবা? আসো ভেতরে আসো। উফ বাসায় এত মানুষ। কোনটা ছেড়ে কোনটা সামলাই। এই শিউলি, শিউলি...
খালাম্মা অকারণেই তারস্বরে কাজের মেয়েটিকে ডাকতে থাকেন। ততদিনে আমার বয়স বেড়েছে, বুঝতে শিখেছি নতুন অনেক কিছুই। বুঝতে শিখেছি ভদ্রতার আড়ালে মানুষ কীভাবে প্রচ্ছন্ন অনিচ্ছা আর অবহেলা লুকিয়ে রাখে। ঘরভর্তি মানুষের সাথে আমাকে যোগ করতে তার অনীহা আমার কাছে স্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে। আমি নিঃশব্দে চলে আসি। শাপলা আপারা সেবার একমাস থাকলেও এই বাড়ি, ওই বাড়ি, চট্টগ্রামের শ্বশুরবাড়ি, কক্সবাজারে সমুদ্রযাপন, সৈয়দপুরে গ্রামের বাড়ি, তার বিয়ের দাওয়াত, ওর জন্মদিনের দাওয়াত ইত্যাদি আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিকতায় আমাকে খুব বেশি সময় দিতে পারেন নি। প্রবাসফেরতা এক মাস যে সাধারণ হিসেবের এক দিনের চেয়ে খুব বেশি না, বিশেষ করে দিনটা যদি হয় আকাঙ্খিত কোন প্রিয়জনের কাছ থেকে; এই বোধ আমাকে বিষাদী করে। আমি উন্মনা হয়ে শাপলাপুকুরটার পাশে গিয়ে মাটির ঢেলা ছুড়ে ওটাকে আরো নোংরা করতে থাকি। এরপরে গত কয়েকবছরে শাপলা আপারা এসেছে, গিয়েছে তেমন খোঁজখবর, দেখা সাক্ষাৎ কিছুই হয় নি। ধীরে ধীরে আমার জীবনগ্রন্থ থেকে শাপলা আপা এবং শাপলাপুকুরের অধ্যায়গুলি বিবর্ণ হতে থাকে, বিদীর্ণ হতে থাকে পৃষ্ঠাগুলো। ছেড়া পৃষ্ঠাগুলো কোথাও রাখবার জায়গা না পেয়ে কোন শার্টের কোন পকেটে যে রেখেছি মনে পড়ে না। এইবারের ঢাকা সফরে হঠাৎ করে শাপলা আপা কী মনে করে আমার জন্যে উপহার রেখে গেলেন? প্রশ্নটা করে আমি নিজেই নিজেকে তিরস্কার করি। দিবেন নাই বা কেনো? সব পৃষ্ঠা তো এখনও ছিড়ে যায় নি! আর যা কিছু ছিড়ে গেছে তা তো সযতনে আমি তুলেই রেখেছি শার্টের পকেটে। অনেক খুঁজতে হবে এই যা।
*
শান্ত আমাকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ফোন করেছে প্যাকেটটা নিয়ে যাবার জন্যে। আমি সময় ও সুযোগ এক করতে পারি নি। খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে ইদানিং। নতুন ব্যবসা ধরেছি, ইতালিয়ান গেলাতো আইসক্রিমের বাংলাদেশি ব্র্যাান্ড বাজারজাত করবো, রমরমা ব্যবসা। চাকরি-বাকরি করার ইচ্ছা আমার কোনকালেই ছিলো না তেমন। তক্কে তক্কে ছিলাম কবে একটা মনমতো ব্যবসা ধরে ভালো দাঁও মারতে পারবো। বাবাকে বুঝিয়ে টাকা ম্যানেজ করতে ঝামেলা গেছে ভালো। এরপর লাইসেন্স যোগাড় করা, ভালো জায়গায় দোকান স্থাপন, ডেকোরেশন, সব মিলিয়ে খুব ব্যস্ততা গেছে। সূচনাটা বেশ ভালোই হয়েছে বলা যায়। আর্থিকভাবেও যেমন সফল, তেমন প্রেস্টিজিয়াসও। 'ব্যবসা', 'দোকান' এসব নাম শুনলে পাত্রীপক্ষ যেমন নাক কুঁচকিয়ে একটা হামবড়া ভাব ধরে, এক্ষেত্রে তা হবে না মোটেও। গেলাতো আইসক্রিম মেয়েরা খুব আগ্রহ করেই খায়। শান্তকে আমি ফোন করে বলি আমার দোকানে এসে একদিন আতিথ্য গ্রহণ করে যেতে। ওরা ততদিনে বাসা পরিবর্তন করে আরো দূরে জিগাতলার ওদিকে চলে গেছে। মিরপুর থেকে জিগাতলা খুব বেশি দূরে নয় অবশ্য। আর আমার ব্যস্ততাও ইদানিং বেশ কমে এসেছে। কোনই অযুহাত নেই না যাবার। শান্তর হয়তো কুন্ঠা হয় আমার দোকানে আসতে। ও বেকার ছেলে, মফস্বঃল থেকে বাবার পাঠানো টাকায় কায়ক্লেশে মেস করে থাকে, আমার দোকানের দামী আইসক্রিম কেনার বিলাসিতা করা ওর সাজে না, আর ফ্রি খাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না, এ যে খাঁটি বাঙালি মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্ট! আমারই যাওয়া উচিত। বুঝতে পারি, একজনের জিনিস অন্যজনের কাছে গচ্ছিত রাখলে সেইজনের ফেরত দেবার তাগাদা একসময় যন্ত্রণাবিদ্ধ করতে থাকে তাকে যদি সে সুচেতনার অধিকারী মানুষ হয়। যতখানি বিরতি দিয়ে ফোন করলে ভদ্রতার লঙ্ঘন হবে না তা বজায় রেখে শান্ত আমাকে ফোন করতে লাগলো। আর আমিও উপহারটি শীঘ্রই নিতে আসবো বলে তাকে আশ্বস্ত করতে থাকলাম।
*
আমার জীবনের চলার পথ আশ্চর্য মসৃণ। ঠিক যেন আইসক্রিমের ক্রিমের মতো। গেলাতো আইসক্রিমের জমিনে স্কি করে তড়তড়িয়ে উঠতে থাকলাম উচ্চ থেকে উচ্চতর ধাপে। দোকানের শাখা ছড়িয়ে গেলো ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং সিলেটে। বিয়ে করলাম ত্রিশ বছর বয়সে এক সুন্দরী এবং গুণবতী গেলাতো ফ্যানকে! যথাসময়ে নাদুসনুদুস সুস্থসবল একটা পুত্রসন্তানও লাভ করলাম। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাড়ি, গাড়ি হলো। লোন পরিশোধ করে ফেললাম যথাসময়েই। আমি নিয়মিত কর দিই, ফলে আয়কর অফিসের লোকেরা বছর দশেক পর হঠাৎ করে এসে একটা বিশাল অংকের টাকা চাপিয়ে দিয়ে যাবে আর আমাকে সেসব এড়াতে নানারকম ফন্দিফিকির করতে হবে এমন সম্ভাবনাও নেই। ছুটি কাটাতে আমি বিদেশে যাই। শীতকালে ইতালি বা মালয়েসিয়া, গরমে দার্জিলিং। প্রচুর নতুন বন্ধুবান্ধব হয়েছে আমার। একজন সফল ব্যবসায়ী, সুখী স্বামী, সন্তুষ্ট পিতার বন্ধু-বান্ধব, তুচ্ছার্থে সাঙ্গপাঙ্গ, হীনার্থে অনুচর হতে সময় লাগে না। আমাকে খুশি করতে তাদের উদ্যোগ আয়োজনেরও কমতি নেই। কারণ আমি সবাইকে খুশি করে চলি। এমন কী মাস্তানরাও আমার ওপর খুশি। ব্যবসা করতে গেলে মাস্তানদের সাথে যোগসাজস রাখতে হয় বৈ কি। নইলে কবে আবার স্কুলে যাবার পথে ছেলেটাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বসবে! সবাইকে তুষ্ট করা এই বিলাসদার জীবনে আমাকে তুষ্ট করতেও মুখিয়ে থাকে তারা সবাই। তাই আমার চল্লিশতম জন্মদিনে ধানমন্ডির বাসায় বিশাল আয়োজন। অনেককেই আসতে বলেছি। বেশিরভাগই আমার নতুন জীবনের নতুন বন্ধু-বান্ধব। পুরোনোদের সাথে এখন আর যোগাযোগ নেই বললেই চলে। ওহ, সেদিন হঠাৎ দেখা হয়ে গেলো শান্তর সাথে। ওরা এখনও জিগাতলাতেই থাকে। রাইফেলস স্কয়ারের ওখানে দেখা হয়ে গেলো। ওকে বললাম আমার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসতে। বলার জন্যেই বলা। জানি তো আসবে না। যেমন মুখচোরা ছেলে ও। আচমকাই আমার মনে পড়ে যায় শাপলা আপার দেয়া উপহারটি ওর কাছ থেকে নেয়া হয়নি এখনও। কিন্তু তখন বড্ড তাড়া ছিলো আমার। চলে আসতে হলো বিদায় জানিয়ে। আর তাছাড়া সামান্য একটা উপহারের জন্যে জিগাতলার সংকীর্ণ অলিগলিতে গাড়ি ঢোকানোর কোন মানে হয় না। গাড়ি রাখার জায়গা পাবো না। ওসব জায়গা কেমন হয় জানি তো আমি!
*
রঙীন গ্লাস। ঝাঁঝালো পানীয়। প্লাস্টিকের বল। বাচ্চাদের কলরব। আড়ি পাতা ব্যবসায়ী কুশলতা। মেয়েদের মুখে হাসি মনে হিংসা, ওর পোষাকটা সুন্দর। কেউ কেউ বেশি পান করে ফেলেছে। বেসিন ঝকঝকে। বমি লাগছে? ওখানটায় ওখানটায়! বাচ্চাদের জন্যে রয়েছে হরেক রকম চকলেট আর বেলুন। শানিয়ার ক্লিভেজে সন্ধ্যের আলো পড়ে তড়পাতে তড়পাতে আমাদের আন্ডারওয়্যারে ঢুকে যায় ওয়্যারউলফের মতো। হুল্লোড়ের শব্দ, কেউ লটারি জিতেছে। দারুণ গান গেয়ে কেউ তরুণীদের আর্দ্র করেছে। জানালাটা খুলে দাও না, দারুণ বাতাস! নতুন প্রজেক্ট প্রপোজালটা দেখলাম, একটু কস্টলি আর হাই এ্যাম্বিশাস। ভাবী শোনেনতো একটু, ইউ আর গর্জিয়াস! থ্যাংকিউ! টুংটাং। গোপনে গোপনে চুমু। পরে। ইশারা। এই এখন কেক কাটা হবে, সবাই একসাথে বলো
"হ্যাপি বার্থডে টু ইউ..."
-মুক্ত ভাই?
-আরেহ কে! শান্ত নাকি! হোয়াট্টা প্লিজেন্ট সারপ্রাইজ! তুমি আসবে আমি সত্যিই ভাবি নি।
-একটু যদি বাইরে বাগানের এখানে আসতেন। আপনি তো জানেনই ভীড়ের মাঝে আমি একটু ইয়ে মানে আর কী...
এত হেজিটেশনের কী হলো! ছোকড়ার ওপর আমার মেজাজ বিগড়ে যায়।
-ওহ বুঝেছি তুমি না বরাবরই বাড়াবাড়িরকম লাজুক। কোন ব্যাপার না। চলো ওখানটায়।
এই বাগানটা আমার নিজের করা। এখানে কত রকমের ফুল বুনেছি! কত রাত বারান্দায় জেগে তাদের শোভা দেখেছি, ঘ্রাণ নিয়েছি! মাঝেমধ্যে তুমুল ব্যস্ততায় যখন আমার নাভিঃশ্বাস ওঠে, তখন এই এক টুকরো স্বর্গের মাঝে আমি সতেজ বাতাস খুঁজে পাই। প্রাণ ভরে শ্বাস নেই, ফুলের দল আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে "এসবই তোমার, এসবই তোমার!"।
-মুক্ত ভাই, শুভ জন্মদিন। আপনার জন্যে আমি কিছু আনতে পারি নি, দুঃখিত। তবে শাপলা আপার দেয়া সেই উপহারের প্যাকেটটা নিয়ে এসেছি।
-এতদিন ধরে ওটা রেখেছো! থ্যাংকস থ্যাংকস, মেনি থ্যাংকস! দাও ওটা আমার কাছে।
-কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি মুক্ত ভাই?
-হ্যাঁ শিওর, বলো!
-এতদিন ধরে প্যাকেটটা আমার কাছে ছিলো, খুলে দেখি নি। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে এর ভেতর কী আছে। যদি একটু দেখাতেন...
-নিশ্চয়ই!
আমি প্যাকেটটা খুলতে শুরু করি। চমৎকার র্যাদপিং কাগজে মোড়ানো, এখনও রঙ চটে যায় নি। তার ভেতর একটা ছোট্ট বাক্স। বাক্সটার ভেতরে ফুজিয়ামা পর্বতের একটা ছোট্ট রেপ্লিকা। বাহ! সুন্দর। আর সাথে একটা সোনালী রঙা চাবির রিং। শাপলা আপার সাথে লাস্ট যেন কবে দেখা হয়েছিলো?
-শাপলা আপা এই কিছুদিন আগেও ঢাকায় এসেছিলেন। আপনার খোঁজ করেছিলেন।
এতদিনেও মনে রেখেছে! অদ্ভুত মহিলাতো!
-আমি যাই মুক্ত ভাই। শাপলা আপা বলেছে তাকে ই-মেইল করতে। মনে করে করবেন কিন্তু।
ই-মেইল ঠিকানা কোথায় কোন বাজে কাগজের স্তুপে বা সহস্র সেন্ট আইটেমের মাঝখানে সেঁধিয়ে আছে কে জানে!
-আমি যাই এখন মুক্ত ভাই। ভালো থাকবেন।
-হ্যাঁ যাও।
বলে আমি আবার পুরোনো দিনের মতো করে স্মৃতিকলোনি, শাপলাপুকুর পেরিয়ে শাপলা আপার বাসায় কড়া নাড়তে গিয়ে কিছুতেই আর খুঁজে পাই না। ঠং করে কিচু পড়ার শব্দ হয়। ফুজিয়ামা পর্বতের রেপ্লিকাটা পড়ে গেছে হাত থেকে। হাতে আছে শুধু চাবির রিংটা। চারিপাশে কোন ফুল নেই। গান নেই। আলো নেই। আনন্দ নেই। অতিথিদের কলরব নেই। শিশুদের হুল্লোর নেই। যুবকের গান নেই। যুবতীর নৃত্য নেই। জন্মদিনের কেক নেই। আঁধার আঁধার... বিবর্ণ মরাপাতা মাড়িয়ে আমি শাপলাপুকুরটার কাছে যাই। সেখানে আবার চারিদিকে গ্রিল দিয়ে ঘিরে রেখে তালা মেরে দিয়েছে কে? আমার হাতে চাবির রিং, কিন্তু চাবি তো নেই? কোথায় সে চাবি? কোথায়? আমি পকেটের আনাচে কানাচে, মরা পাতা আর ঘাসের স্তুপে, শ্যাওলা জমা সিমেন্টের আসনে খুঁজতে থাকি। চারিপাশে প্রহরীদের সতর্ক পাহাড়া, শ্রমিকদের নির্মাণ। সব জায়গা গ্রিল দিয়ে ঘিরে তালা মেরে দিচ্ছে। আমার খোঁজার জায়গাগুলি রুদ্ধ হয়ে আসছে। কোথাও যেতে চাইলে সবাই বলে "চাবি কই? চাবি দেখান!"। আমি নিশ্চিত চাবিটা এই রিংয়ের সাথেই ছিলো। আতঙ্কে দৌড়ুতে গিয়ে আমি মুখ থুবড়ে পড়ি। তালাবদ্ধ সব জায়গা। আমাকে টেনে তোলে শানিয়া, যার ক্লিভেজ থেকে সন্ধ্যের আলো তড়পিয়ে আমাদের আন্ডারওয়্যারের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলো ওয়্যারউলফের মতো।
-বোকা! ওসব জায়গায় পরে যেও। আর চাবি খুঁজছো? আমার লকেটটা দিয়ে চলবে নাকি দেখো তো?
ঝলমলে পোষাকের আড়ালে তার তীব্র সাদা বুক... সাদা রঙয়ের সাথে তীব্রতা শুধু ওখানেই মানায়...
শানিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে আমি শাপলাপুকুর, স্মৃতিকলোনি, বিবর্ণ ঘাস পার হয়ে চলে আসি উৎসবস্থলে, গোপন আলোর তৈরি রম্বসে, নাহ চারিপাশে কেউ দেখছে না। শানিয়ার বুকে হাত দিয়ে তার লকেটটাকে কী মনে করে যেন চাবির রিংটার সাথে মেলাতে থাকি, নাহ... দুটো ম্যাচ করছে না কিছুতেই। ঐ চাবিটা যে কোথায়...
শানিয়া আমার ছেলেমানুষী দেখে হাসে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকে সবাই লেখা দিতাসে। তিথি, রানা ভাইয়া, আমি... তুমিও দিয়ালাও!
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৯
রাজসোহান বলেছেন: আমার থেকেইতো শুরু হইছে, সবার আগে আমি দিছি, সেই ধারাবাহিকতায় রানা ভাই দিছে, তারপর তিথি আপু দিছে, তারপর আপনি দিলেন।
হেহে
মজার জিনিস দেখেন
০ কইরা ফেলছি
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাবাশ!
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: একবার মনে হচ্ছে বুঝতে পেরেছি চাবির রিঙটা কি আরেকবার মনে হচ্ছে বুঝতে পারিনি । তবে জানতে ইচ্ছে করছে না । কনফিউশনই ভালো লাগছে ! ও হ্যাঁ ঘুম যথারীতি চটিয়ে দিয়েছেন !
গল্পে ভালো লাগা তবে খানিকটা অসম্পূর্ণ লাগলো বলে পুরো তৃপ্তি পেলাম না। শুভ রাত্রি । +++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: চাবির রিঙটায় এমন এক চাবি জুড়বে যা খুলে দিবে সম্পর্ক এবং স্মৃতির সব তালাবন্ধ দরজা-জানালা।
শুভরাত্রি।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৬
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
ঘটনা কী! আজকে সবাই পোষ্টাইতাসে! আর মজার বিষয় হলো আজকে অনেকদিন পর আমিও পড়তে পারছি।
কৈশরের অভিমান দারুন লাগছে।
লাস্টে স্মৃতির ধারাপাতে ধরা দেয়া অতীত আর বর্তমানের মিলনে যে দ্বিধা তৈরী হয়েছে তা বেশ উপভোগ্য।
হা-মা ভাই, আমি কী ঠিক আছি?
শুভ রাত্রি।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকের দিনটা ভালো। আরাম করে পড়তে পেরেছেন তো? ভালো লাগলো জেনে। পাঠ ঠিক আছে। গল্পটা তো খুব একটু জটিল না!
শুভরাত্রি।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কনফিউশন ভেঙ্গে গেলো ! যাই হোক, দ্বিতীয় পাঠে অধিকতর মজা পেলাম । +++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: কনফিউশন ভাঙায় তো ভালো হৈসে, মন খারাপ কেন! শুভ সকাল।
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কিশোরের অভিমান আর স্মৃতি বর্ণনা অসাধারন।
চাবির বিষয় আমিও ধরতে পারছিলাম না, মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেল।
আপনার এই লেখাটি অন্য অনেক পোস্টের তুলনায় সহজ মনে হলো আমার কাছে পড়ায় আনন্দ ও ছিল বেশি।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুনে আনন্দ পেলাম। শুভসকাল দূর্জয়।
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমার মাথায় ব্যেমো হইসে! আজকাল সহজে কিছু ঢুকে না। সেদিন আপনার লাস্ট পোষ্ট পড়তে এসে ফিরত গেছি। মাথায় শব্দ থাকে না, তাই পুরো বাক্যের মানে অধরা থেকে যায়।
তবে আজকে সেইরকম পড়া দিসি। গত দেড়মাসেও এতো পড়ি নাই।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যামো সাইরা গেসে মনে হয়!
৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গেলাতো
শব্দটা নতুন লাগছে , আকর্ষণ করল বেশ , আপনার লিখার ধরণ অনুযায়ী
এই গল্পটা একটু অন্যরকম ।
অনুভুতিময় চমৎকার এক গল্প , অভিমানি ভালবাসা কি আসলেই হারাতে চায় ?
চারিপাশে কোন ফুল নেই। গান নেই। আলো নেই। আনন্দ নেই। অতিথিদের কলরব নেই। শিশুদের হুল্লোর নেই। যুবকের গান নেই। যুবতীর নৃত্য নেই। জন্মদিনের কেক নেই।
খেয়াল করেছি এভাবেও লিখেন আপনি , এটা কি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই হচ্ছে নাকি ইচ্ছে করে লিখেছেন ?
ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই
শুভকামনা নিরন্তর ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম ছোট ছোট বাক্যে আগে লিখতাম। চর্চাটা আবার শুরু করলাম। ভালোই লাগছিলো লিখতে!
অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ।
৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এত সুন্দর করে শব্দ প্রয়োগ করে বর্ননা করেছেন, মুগ্ধ হয়েছি। শাপলা পুকুরের বর্ননা এবং নিজের একান্ত সময়ে সেখানে অভিমানী হয়ে ফিরে যাওয়া দৃশ্যটা অনেক ভালো লাগল।
শাপলা আপা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়াটা নেহায়ত কৈশরের কোন দামী অভিমান নয় বরং মনে হয়েছে শাপলা স্মৃতি থেকেই বাঁচতে চাওয়ার কোন প্রচেষ্টা!!
অটঃ আজ আশা করি আমরা একটি সফল রায় পেতে যাচ্ছি, পছন্দের সকল ব্লগাররাও কি ঠিক এই কারনে আনন্দ উদযাপন করছে!!
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা!
হ্যাঁ, ব্লগাররা বোধ হয় আগাম উদযাপন করতে যাচ্ছে। আশা করি হতাশ হবো না।
১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৪
মেঘলা মানুষ বলেছেন: অনেক দিন পরে আসলাম ব্লগে, আর এসেই আপনার গল্পগুলো পড়লাম টানা। দুর্ঘটনা, ব্যাঞ্জো, কলম আর এইটা।
এইগুলোর মধ্যে এটা ভালো লেগেছে সবচেয়ে।
শুভেচ্ছা, হামা আপনাকে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগলো। এসেছেন যখন রয়েই যান না। পুরোনো সঙ্গী-সাথীদের দেখলে মন ভালো হয়।
১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০২
তওসীফ সাদাত বলেছেন: গল্পের মধ্যে কিছু একটা ছিল যেটা আমার প্রচণ্ড অপছন্দের। যদিও গল্প টা ভাল লেগেছে। তবুও !! কিছু একটা ছিল, যেটা আমি সহ্য করতে পারিনি।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু একটা কী বুঝতে পারছি না। আর আপনিও সম্ভবত সেটা নিয়ে কথা বলতে চান না। তাই আর জিজ্ঞেস করলাম না।
শুভসকাল।
১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:২০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: স্মৃতিকলোনি !!
ভালো লেগেছে হাসান ভাই ! বেশী ভালো লেগেছে আপনার অনন্য প্রকাশ ভঙ্গিমার কারণে !
মুখে মুখে +++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি। শুভসকাল।
১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৮
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: সময় আর ব্যস্ততা মানুষের অনেক সুখ এবং দুখ স্মৃতি অসচেতন ভাবে ভুলিয়ে দেয়। গল্পতে এই সত্যি বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মাহবুব ভাই।
পড়ার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায় নি কোথাও।
কিছুটা অসম্পূর্ণ মনেহয়েছে আমার কাছে। আরেকটু পূর্ণতা যদি দিতেন তবে আর অনেক বেশি ভালো লাগতো
"গেলাতো" শব্দটির বিষয়ে আপনি কি সিওর হমাহবুব ভাই? মনে হচ্ছে এখানে ছোট্ট একটু ভুল হয়ে গেছে
সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে...+++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটিতে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনার কাছে অপূর্ণ মনে হলে ব্যর্থতার দায় মেনে নিতেই হবে আমাকে।
গেলাতো, ইংরেজি বানান Gelato সঠিক উচ্চারণটা নিয়ে আমি কনফিউজড। আপনি শিওর হয়ে থাকলে বলে দিন না!
শুভসকাল।
১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
গেলাতো দেখতে মারাত্মক ডেলিশিয়াস !
শাপলা আপার নম্বরে কলব্যাক করতে গিয়ে দেখি নম্বরটা বন্ধ। ভালোই হয়েছে, প্রতিউত্তর কেন করিনি এমন তাগাদাও অনুভব করবো না ভেতর থেকে, টাকাও বেঁচে গেলো বেশ কিছু। এ রকম ব্যাপার ঘটলে আমার মাঝে মাঝে ভালৈ লাগে ||
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও ভালো লাগে। দেখতে লোভনীয়, খাইতে চাই! শুভসকাল মুন।
১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬
আম্মানসুরা বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে। আপনার অন্য লেখাগুলোর থেকে এই লেখাটা সহজেই বুঝা গেছে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস তন্বী। ভালো থাকবেন।
১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ভাল লাগল ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসকাল।
১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
প্রিয় হাসান
জীবনের জলরং ছবি, কাল্পনিক চরিত্র ভেবে লেখা গল্প চেয়ে অনেক বেশি সহজ এবং সুন্দর।
এত মন ছোঁয়া লেখা।
মনের ভিতর অনুভবের পুকুরে ঢেউ খেলে গেলো।
তোমার সব লেখা আমার প্রিয়।
তোমার জন্য অনেক শুভকামনা...........একদিন পৃথিবীর সব বাংলা ভাষাচাষী মানুষ যেনো তোমাকে চেনে তোমার নামে এই দোয়া করি ।
আর শাপলা
শাপলাকে ভালো না বেসে কোন উপায় নেই।
সবাই ভালো থেকো।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার এমন স্নেহে মন আর্দ্র হয়। খুব ভালো থেকেন সাজিপা।
১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ভাষার দারুণ কারুকাজ আর উপমার নিপুন বুননে গড়া স্নিগ্ধ মনোহর একটা গল্প পড়লাম । গল্পের প্রতিটি লাইনে, পরতে পরতে লুকিয়ে ছিল নিষ্কলুষ আবেগ । সে আবেগ বাঁধ ভেঙ্গে উপচে পড়েনি, দিঘীর ভরা জলের মত থৈথৈ দোলাচলে দুলিয়েছে সারাক্ষন ।
মুগ্ধ সকাল!
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। খুব সুন্দর করে বললেন।
শুভদুপুর।
১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইংরেজি বানান Gelato হলেও ইতালিয়ান উচ্চারন -- জেলাতো, আইসক্রিম। সেই রকম টেস্টি
শাপলাপুকুরে স্মৃতিচারণ ভালো লেগেছে। তবে মুক্ত অপেক্ষা করে করে ক্লান্ত, বিষাদগ্রস্ত হয়ে তার অনুভব এখন পলকা, হালকা হয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গা ভালো লেগছে তবে লেখায় গভীরতা কম লাগলেও চাবির হারিয়ে যাওয়াটা একটু অন্যরকম। নাকছাবিটা হারিয়ে যাবার মতোই সুখচাবিটা হারিয়ে গেলো ! প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত অনেকটা, সেটা কিশোর মুক্তর আঙিনায়ই হোক কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক শাপলা আপাই হোক !
সুপ্রভাত।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেই দরকার ছিলো। উচ্চারণ নিয়া ঝামেলায় ছিলাম। ঠিক করতে হবে এখন।
চাবির ব্যাপারটাই আসল। সেটা আপনার মন্তব্যে আসাতে ভালো লাগলো।
শুভদুপুর।
২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
রুপ।ই বলেছেন: প্রিয় লেখকের গল্প পড়বোনা এমনটি হয়নি। কিশোরের অভিমান এত সুন্দর করে তুলে এনেছেন ! আপনার মত লেখকরা আছেন বলেই ব্লগে
বিচরন। আমার মনে হয় আপনার লেখা বই বেশী বিক্রি হবে না কোনোদিন কেন যানেন ? আপনার লেখা বুঝতে একটু মাথা খাটাতে হয়............।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: বই আর বের করে কাজ কী! এর চেয়ে ব্লগে লিখি, আপনারা পড়ুন। অনেক ধন্যবাদ।
২১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২২
অচিন্ত্য বলেছেন: স্মৃতিকাতর করে তুললেন। কিছু সম্পর্ককে ডিফাইন করা যায় না, দরকারও পড়ে না। এমন কত সম্পর্ক পথের বাঁকে ফেলে এসেছি। শেষ হয়ে যায় সবকিছুই বারবার।
'সুচেতনা' শব্দটি পড়ে জীবনানন্দ দাশ এর কথা মনে পড়ল
"সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ
বিকেলের নক্ষত্রের কাছে;
সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
নির্জনতা আছে।
এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা
সত্য; তবু শেষ সত্য নয়।"
[প্লাস ক্লিক করে কাজ হচ্ছে না কেন যেন]
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুচেতনা নিয়ে জীবনানন্দের কবিতাটি পড়া ছিলো না। তোমাকে নস্টালজিক করতে পেরে ভালো লাগলো।
শুভদুপুর।
২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এক ঘন্টা ধরে চেষ্টা করলাম। প্লাস বাটনটা আমাকে ঘুরায়াই গেল। প্লাস আর দিতে পারলাম না
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত চেষ্টা করার কী দরকার ছিলো অযথা! :-<
২৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
রাইসুল সাগর বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা রেখেগেলাম গল্পে। শুভকামনা জানিবেন সব সময় হামা ভাই।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভকামনা।
ধন্যবাদ।
২৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
লাবনী আক্তার বলেছেন: আপনার অন্য গল্পের থেকে এই গল্পটা একটু ভিন্ন মনে হয়েছে। আপনার সব লেখাই ভালো লাগে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ লাবনী।
শুভেচ্ছা।
২৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
লিখাটি পাঠে মুগ্ধ হয়ে গেলাম... দারুন প্রকাশ
লিখাটিতে যে ফিলিংটা আপনি পাঠককে দিতে চেয়েছিলেন তা সম্ভবত আমি দারুনভাবেই অনুভব করতে পেরেছি...
আবারো বলছি... দুর্দান্ত প্রকাশ
শুভকামনা...
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা তো বিশাল পাওয়া কবি। অনেক ধন্যবাদ!
২৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার লেখনী। অনেক ভালো লাগা।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ টুম্পা। শুভেচ্ছা।
২৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১০
শ্রাবণধারা বলেছেন: অসাধারণ লেখা। মুক্তোর উলম্ফনের চিত্রটায় রং একটু বেশী পড়েছে মনে হল, এ ছাড়া বাকীটা অতি চমৎকার এবং সুখপাঠ্য.........।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।
২৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: আমি তো গল্প পড়ে ধাঁধায় আছি ভাই । এটা গল্প না বাস্তব !
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাস্তবাশ্রয়ী গল্প!
২৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এককথায় ডুবে যাবার মত ! আমিও কিছুক্ষনের জন্য দোল খেলাম শাপলা পুকুরে।
অসাধারন...
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাফ্লো। শুভসন্ধ্যা।
৩০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৯
কয়েস সামী বলেছেন: গল।পটা অনেক সহজ করে লেখা। খুব ভাল লাগল।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৩১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:০৭
শাহরিয়ার পলক বলেছেন: আজকে আবার পড়লাম গল্পটা। পড়ার পর আগের দিনের অনেক কনফিউশন দূর হয়ে গেলো মাহবুব ভাই। আজকে আরো বেশি ভালো লাগলো
ইংরেজি বানান "Gelato" এর ইংলিশ উচ্চারন গেলাতো হলেও এর ইতালিয়ান উচ্চারন "জেলাতো" মাহবুব ভাই। জেলাতো মানে আইসক্রিম।
শুভ সকাল...
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পূনর্পাঠের প্রতিক্রিয়া জেনে ভালো লাগলো। উচ্চারণ সংশোধনীর জন্যে ধন্যবাদ।
শুভসকাল।
৩২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সাবলীল গপ, পড়ে ভালা লাগছে!
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসকাল।
৩৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
প্যাপিলন বলেছেন: জেলাতো নয় গেলাতোই হবে......যতদুর মনে পরেড় রোমান হলিডে'তেই প্রথম গেলাতোর নাম জেনেছিলাম এবং গেলাতো উচ্চারণটাই শুনেছিলাম..........
এরকম একটি চাবি পেতে খুব ইচ্ছে করে
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম চাবি পেলেও ধরে রাখতে পারবেন না। পারা যাবে না।
গেলাতো না জেলাতো... দোলেন তো প্যাচ লাগায়া!
৩৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
অনাহূত বলেছেন: কি মন্তব্য করবো।
আমি মুগ্ধ। অনেক ভালো লাগসে, অনেক।
মুগ্ধতা সবসময় এক্সপ্রেস করা যায় না। অনেক গভীরে পৌঁছে গেছে শাপলা আপা সংক্রান্ত অনুভূতি।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা হে গভীর অনুভূতিসম্পন্ন বালক!
৩৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
নেক্সাস বলেছেন: স্মৃতি কাতরতা বা ফেলে আসা দিনের জন্য এলিজি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। পড়াি সব মানুষের জীবনে এমন কিছু না কিছু থাকে। যা হঠাৎ হঠাৎ ফুজিয়ামার অগ্নুৎপাতের মত জেগে উঠে।
হৃদলুপ্ত স্মৃতির সাথে ফুজিয়ামার মেটাফোর অসাধারণ হয়েছে।
উচ্ছল কিশোরীর ঠোঁটের মত তিরতির করে কাঁপতো ফুলগুলো, বরাবরের মতই মন ছুঁয়ে যাওয়া উপমা।
গল্পে শানিয়ার উপস্থিতি একটু খাপছাড়া অনাডম্বর। আরেকটু ভিন্নমাত্রিক নাটকীয়তায় ভাবে শানিয়া মূর্ত হয়ে উঠলে ভাল লাগতো। আপনার গল্পে অভিমত দেওয়ার দৃষ্টতার জন্য ক্ষমা করবেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্প এমন কিছু না যে ভিন্নমত দেয়া যাবে না। আর ধৃষ্টতা ভাবার তো প্রশ্নই ওঠে না। শানিয়াকে হঠাৎ করেই এনেছি স্মৃতিকলোনীতে ভ্রমণ থেকে বর্তমানে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্যে।
ভালো থাকবেন। শুভবিকেল।
৩৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
শ্যামল জাহির বলেছেন: দিবেন নাই বা কেনো? সব পৃষ্ঠা তো এখনও ছিড়ে যায় নি! আর যা কিছু ছিড়ে গেছে তা তো সযতনে আমি তুলেই রেখেছি শার্টের পকেটে। অনেক খুঁজতে হবে এই যা।
চমৎকার হাসান মাহবুব ভাই!
ইতালিয়ান আইসক্রিম(জেলাতো) ফ্রি-তে খাবনা। কিন্তু দুইটা কিনলে একটা ফ্রি হবেতো?
ভাল থাকুন সব সময়।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্যামল জাহির। জেলাতো কই যে পাই! পাইলে কিনতাম।
শুভবিকেল।
৩৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
যাকে ঠিক সুখপাঠ্য বলা যায়, এ লেখাটি এমন।
লেখাটির সাবলিলতা আপনার কঠিনতর লেখাগুলোকেও
অতিক্রম করেছে মনে হয়, এ ধরনের লেখা আরও আশা
করছি..............
শুভদুপুর।।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা থাকবে।
শুভেচ্ছা।
৩৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
গোর্কি বলেছেন:
সাবলীল, অধিকতর সহজ ভাষার গল্প পড়ে ভাল লেগেছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ গোর্কি।
শুভরাত।
৩৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২১
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: পড়তে পড়তে হারিয়ে গেলাম ...
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নিমগ্ন পাঠের জন্যে।
৪০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
আরুশা বলেছেন: চাকরী আর পড়াশোনায় ব্যাস্ততা আপনাদের অসম্ভব সুন্দর গল্প কবিতা আমাকে বঞ্চিত করে । খুব ভালোলাগলো সহজ করে লেখা শাপলা পুকুর।++++++++্
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে ধন্যবাদ আরুশা।
৪১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
ফয়সল নোই বলেছেন:
প্রযত্নে শাপলাপুকুর
অনেক ভাল লাগলো পড়ে। ভাল থাকবেন শুভেচ্ছা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফয়সল।
শুভদুপুর।
৪২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
উচ্ছল কিশোরীর ঠোঁটের মত তিরতির করে কেঁপে কেঁপে যে আধো আধো কথারা বেরোয় সুন্দর হয়ে , তেমনিই সুন্দর লেখাটি ।
অনেক কথাই বলে গেছেন অনেক কিছু না বলেই ....
শুভেচ্ছান্তে ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।
৪৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
সায়েম মুন বলেছেন: শাপলাপুকুর কেন্দ্রিক সুন্দর শব্দচয়নের গল্প। পুরনো, হারানোকে ঘিরে গল্প। কিছু কথা বুকের মাঝে এসে আঘাত করে। গল্পে অনেক ভাললাগা রইলো।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক থিংকু! শুভদুপুর। শুভলাঞ্চ।
৪৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
টিসেলিম বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো .।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৪৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: "বুঝতে শিখেছি ভদ্রতার আড়ালে মানুষ কীভাবে প্রচ্ছন্ন অনিচ্ছা আর অবহেলা লুকিয়ে রাখে"
এই জিনিস বুঝতে শেখা মানেই জীবনের গন্ডগোল শুরু... আর আশা-নিরাশায় দুলতে দুলতে হতাশায় নিপতিত হওয়া .....
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষ কেন যে বড় হয়! আবার বড় না হলে ছোটদের দেখে রাখবে কারা? বিশাল ক্যারফা!
৪৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
প্রথমেই একটা জিনিস জানতে ইচ্ছা করছে, গল্পের সাথে মিলিয়ে এমন অদ্ভুত সুন্দর সুন্দর ছবি কিভাবে পাও? আমার লেখায় তো ছবি খুজতেই ৩/৪ দিন কাটিয়ে দেই, তাও মনমত পাই না!
গল্পের প্রথম দিকে আর শেষের দিকে হাসান মাহবুব ছিল, মাঝে একটু হারিয়ে গিয়েছিলে বলে মনে হলো। আর উপমার বাহার সেই আগের মতই! তোমাকে গদ্যের জীবনানন্দ দাশ বলা যায় নির্দিধায়।
শাপলাপুকুরকে যেভাবে পুরো গল্পে টেনে নিয়ে গেছ, অসাধারন! গল্পের অনেক কিছুই এসেছে, কিন্তু শাপলাপুকুরটার ছায়া ছিল পুরাটা জুড়ে। হঠাৎ করে যখন বললে "কারন ছারাই পুকুরতা শুকিয়ে গেছে", তখন কেন যেন বুকের ভিতর ছ্যাৎ করে উঠলো!! কেন জানি না!
অনেক ভাল লেগেছে। টুপির ফ্যাক্টরী দিতে হবে একটা, তোমার লেখায় বিসর্জন দেওয়ার জন্য।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু ভাইয়া। ছবি খোঁজার একটা নিজস্ব পদ্ধতি আছে আমার। গল্পের যেটা মেইন এলিমেন্ট সেটা লিখে তার নামের আগে surreal বসায়ে গুগল ইমেজ সার্চ দেই। এতেই মিলে যায়!
গদ্যের জীবনানন্দ! কী যে বলেন! প্রতিবাদ জানাই।
আপনার উপস্থিতি আশা করছিলাম। ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকবেন।
৪৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: সামুর যে কি হইল! প্লাস দেওয়া যায় না! অনেক কসরত করে তবেই দিতে পারলাম ২য়টা আমার
কাল থেকে আবার দেখছি অনলাইন ব্লগার লিস্ট গুবলেট পাকিয়ে ফেলেছে। পরিচিত কে কে অনলাইনে আছে আগে সব মুখস্ত ছিল এখন খুজেও পাই না! নিজেকেই খুঁজে পাই না!!
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আর তাছাড়া সার্ভার বিজি থাকার সমস্যা তো আছেই! দুইটা মাত্র প্লাস পেলাম। একজনের পরিচয় জানা হলো। আরেকজন কে সেই শুভানুধ্যায়ী! প্লাস এখন হলুত তারার চেয়েও দুস্প্রাপ্য হয়ে গেছে!
৪৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
বৃতি বলেছেন: সুন্দর গল্প । তবে কিশোর বয়সের উপহার চল্লিশতম জন্মদিনে শান্ত'র কাছ থেকে পাওয়া- সময়টা অনেক লম্বা! আমি শান্ত হলে এতদিন মনে রাখতে পারতাম না ।
এই বাগানটা আমার নিজের করা। এখানে কত রকমের ফুল বুনেছি! কত রাত বারান্দায় জেগে তাদের শোভা দেখেছি, ঘ্রাণ নিয়েছি! মাঝেমধ্যে তুমুল ব্যস্ততায় যখন আমার নাভিঃশ্বাস ওঠে, তখন এই এক টুকরো স্বর্গের মাঝে আমি সতেজ বাতাস খুঁজে পাই। প্রাণ ভরে শ্বাস নেই, ফুলের দল আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে "এসবই তোমার, এসবই তোমার!"।
কথাগুলো সুন্দর এবং নস্টালজিক ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুক্তও ভুলে গিয়েছিলো। শান্ত মনে না করায়ে দিলে সেও ভুলেই যেতো। ভুল করে মনে করার পর আবারও সে ছুড়ে ফেলে দেয়। এমনই দস্তুর।
শুভরাত বৃতি।
৪৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
আরজু পনি বলেছেন:
অভিমানে ভুলতে চাওয়া এক কিশোরের স্মৃতিময় লেখা মনে হলো...
রিনরিন করা ভাললাগা...
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: রিনরিনে ভালো লাগা! চমৎকার একটা উপমা।
শুভরাত্রি পনি আপা।
৫০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৮
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: মুগ্ধপাঠ! আর কী বলবো!
ক্যানো জানি লোকটা'র কথা মনে পড়ে গেলো। যদি খুব একটা মিল নেই!
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুটা মিল আছেই! থ্যাংকস ইমরান। তোমার লেখাটা অনেকদিন বাদে পড়া হলো। চমৎকার লেখা ছিলো।
৫১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লেখা আর আমার বিলম্বিত ভাল লাগা।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিলম্বে হলেও পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
৫২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২০
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: চাবির রিংটা নিয়া পেচগি লাইগা গেছিল। তবে দ্বিতিয় বার পরে খুব ভাল লাগল। আসলেই খুব ভাল লিখেন আপনি।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! স্বাগতম আমার ব্লগে।
৫৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
গরম কফি বলেছেন: দারুন তো ! সত্যি ভালো লাগলো ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে।
৫৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শিশেন সাগর বলেছেন: লেখাটা আয়না ছবির মতো পড়তে গিয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠছে সব কিছু। এতো সুন্দর গাথুনীর লেখা পড়তে পেরে খুব ভালো লাগছে। আপনার জন্য শুভ কামনা।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।
৫৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০০
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
অসম্ভব সুন্দর ! ( পড়ি নাই :!>
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৫৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: শেষ অংশটা বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে... মুগ্ধপাঠ...
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবসময় এসে ঘুরে যাও, এবার একটু বসে গেলা, ভালো লাগলো। ভালো থেকো। শুভকামনা।
৫৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
কালীদাস বলেছেন: মাথায় প্যাঁচ লাইগা গেছে আজকেরটা পড়তে গিয়া
ভাল কথা, আপনের এবং আরো অনেক পুরান ব্লগারের প্রোপিক পরের ব্লগারদের এত নিচে দেখায় কেন? নতুন বাঘ/ভাল্লুক ঢুকছে নাকি?
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: নতুন বাগ না, এটাই নয়া সিস্টেম। সম্ভবত লগইন টাইমের ওপর ভিত্তি করে দেখায়। পুরাই ভুয়া সিস্টেম -_-
৫৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার র্যাদপিং কাগজে মোড়ানো
একটু দেরিতে এলাম।
গল্পে ছোট ছোট বাক্যের অংশটুকু ভালো লেগেছে আমার, আর উপমা তো বরাবরের মতই চমৎকার। প্রিয় একটা লাইন- একজন সফল ব্যবসায়ী, সুখী স্বামী, সন্তুষ্ট পিতার বন্ধু-বান্ধব, তুচ্ছার্থে সাঙ্গপাঙ্গ, হীনার্থে অনুচর হতে সময় লাগে না- ক্লাসিক!
পারস্পরিক সম্পর্ক, অভিমান আর ভুলে যাওয়ার খেলা নিয়ে চমৎকার লেখায় প্লাস দেওয়ার চেষ্টা করছি!
শুভরাত্রি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ প্রফেসর। রিভাইজ দেই তারপরেও থেকে যায়! ছোট ছোট বাক্যের অংশটুকু লিখে মজা পেয়েছিলাম। কিন্তু ওটা নিয়ে কেউ কিছু বললো না। আপনি বলাতে আনন্দিত হলাম।
আপনার অপেক্ষায় ছিলাম। প্লাসটা দিতে পেরেছেন! কীভাবে যে পারলেন! আমি পারি না।
শুভরাত্রি।
৫৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: আপনি শব্দ নিয়ে চমৎকার খেলা করতে পারেন। শাপলা পুকুর নিয়ে শুরু থেকেই আশ্চর্য মাধুর্য দেখা গেলো।
বিলম্বিত মন্তব্য করলাম।
শুভেচ্ছা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
শুভসকাল।
৬০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
বোকামন বলেছেন:
শব্দের বাগানে দৃশ্যদের নৃত্য
উপমার চমৎকার সব ব্যবহার ...
আপনার প্রতিটি গল্পকেই সুপাঠ্য করে তোলে। থিম যাই হোক না কেন, ভালো লাগে গল্পটি শেষ অবধি পড়ে যেতে।
এই গল্পটির প্লট প্লেয়িং-এ গল্পকারকে বেশ অমনোযোগী মনে হলো। অথবা হতে পারে বোকামনের পাঠ দুর্বলতা :-)
গল্পে প্লাস রইলো, লেখকের জন্য শুভকামনা ।।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার পেছনে ভাবনাটা খুব সামান্য ছিলো। চেষ্টা করেছি কিছুদূর টানার। অমনোযোগই ছিলাম না, তবে পাঠকের অতৃপ্তি থাকতেই পারে।
শুভবিকেল।
৬১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
সোমহেপি বলেছেন: প্রযত্নে প্দ্মপুকুর।
গফ ভালো হইছে।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
আমি সাজিদ বলেছেন: চাবিটা কি মুক্তের সেই আবেগ,যাতে চড়ে বারবার সে শাপলা পুকুরে ছুটে গ্যাছে ? এখন তার কাছে সেই আবেশটুকু নেই, তাই শাপলাপুকুরে প্রবেশের তার অনুমতি নেই।
আমার মনে হয় চাবিটা সে অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছিল, সেসময় যখন শাপলারা প্রথমবারের মতো ভ্যাকেশনে দেশে এসেছিল।
মুগ্ধ পাঠক আমি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প ভাবনা খুব ঠিক আছে।
শুভরাত্রি সাজিদ।
৬৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
কিছু সম্পর্কই আজন্মের। যার সাথে কখনোই কোনকিছুর ম্যাচ হয়ণা...যতই শ্যাওলা জমুক।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইদানিং খুব বেড়ে গেছে শ্যাওলার আবাদ...
৬৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৭
মাক্স বলেছেন: কিছু কিছু সম্পর্কের উপরে হঠাত কিভাবে যেন জং ধরে, চট করে বুঝাও যায় না।
গল্প ভাল্লাগসে!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মাক্স।
৬৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
সানজিদা হোসেন বলেছেন: সুন্দর সুন্দর
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সানজিদা।
৬৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: শুভকামনা রইল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে।
৬৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
আলোর পরী বলেছেন: ঘোর লাগা সমাপ্তি , এক শীতল শাপলা পুকুরে যেন নিজেই হাবু ডুবু খেলাম ।
চমৎকার
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভদুপুর।
৬৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
খাটাস বলেছেন: ক্যারেক্টার ডেভলপমেন্ট এর সাথে ঘটনা প্রবাহ সমানুপাতিক হউয়ায় ভাল লেগেছে। পাঠকের অক্ষমতার জন্য কিছু বিশেষণ মুলক বর্ণনা একটু কঠিন লেগেছে। বহুমাত্রিক ছাপ টা অটুট ছিল। কিন্তু বাস্তবতার সাথে অবাস্তবতার হেলুজিনারি সম্পর্ক দিয়ে প্রকাশের কারনে আপনার রোল নাম্বার গল্পটার সাথে কিছু টা একই ধাঁচের লেগেছে। তবে ওভার ওল ভাল লেগেছে। নিজের দৃষ্টিকোণ টা বললাম। পাঠকের ক্ষুদ্র জ্ঞানের দ্বারা বেক্তিগত সমালোচনা কে পাঠকের ধৃষ্টটা মনে করবেন আশা করি।
ভাল থাকবেন প্রিয় হামা ভাই।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার সমালোচনা ভালো লাগলো। তবে রোল নং গল্পে পুরো জগৎটাই ছিলো অবাস্তব আর এখানে বাস্তব অবাস্তব এর যাওয়া আসা ছিলো আছে। তারপরেও কাঠামোটা কিছুটা একরকমই স্বীকার করছি পরের গল্পে অন্যরকম কিছু দেয়ার আশা রাখছি। সাথেই থাকুন আর নি:স্বংকোচে এমন সমালোচনা করুন
শুভেচ্ছা।
৬৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১০
অন্তরন্তর বলেছেন:
অসাধারন। অনেক লিখা পড়া হয়নি। ধীরে ধীরে পড়ার
চেষ্টা করছি। ভাল থাকুন প্রিয় গল্পকার।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার গল্পকে সময় দেবার জন্যে। ভালো থাকুন নিরন্তর।
৭০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: "ক্ষীণস্বরে বলা শব্দেও হয়তোবা মনের মেঘ ঢুকে পড়ে সন্তর্পণে। তারা গুমগুম শব্দ করে। তারা চোখকে বলে অশ্রূকে বৃষ্টির মত ঝরাতে। ঝুমবৃষ্টি না, টিপটিপ। বোঝা যায় কী যায় না, গায়ে লাগে কী লাগে না এমন"
চমৎকার একটা গল্প! অনেক অনেক ভাল লাগসে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভদুপুর।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
রাজসোহান বলেছেন: পুত্তুম কমেন্ট, প্লাস দেওন যায় না