নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূল্য এক টাকা মাত্র

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫



ঘুম থেকে উঠে দাঁত মেজে মুখ ধুয়ে নাস্তা গলাধঃকরণের পর পেপারটা হাতে নিয়ে দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা করার মতো সুঅভ্যাস আমার কখনই ছিলো না। অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে মায়ের গজগজানি আর বাবার হুমকি শুনে ঝিমুনি কাটিয়ে পাশের চায়ের দোকানটায় গিয়ে এক কাপ চা আর সিগারেট দিয়েই না দিনটা শুরু করতে হবে! বেলা পর্যন্ত ঘুমোবার ফলে আমার ক্লাশ মিস হয়, প্রেমিকার সাথে ডেটিং অবশ্য মিস হয় না। ওসব বিকেল বা সন্ধ্যায়ই মানায় ভালো। বেলা পর্যন্ত ঘুমোবার ফলে আমার মায়ের সাথে কথা বলার সুযোগ থাকে না, বাবা অফিসে যাবার সময় আমার বন্ধ ঘরের দরজায় কড়া নেড়ে সাড়া না পেয়ে চলে যান। আমি দুপুরে চা-সিগারেট খেয়ে বাসায় ফিরে দিনের শুভ উদ্বোধন করি ব্রাঞ্চ দিয়ে। ব্রাঞ্চ মানে হলো ব্রেকফাস্ট+লাঞ্চ। তারপর আবারো ঘুরে ফিরে বেড়ানো। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, সিগারেটের চেয়েও উচ্চমানের ধূম্র উদগীরণ আর লেটেস্ট সেলিব্রেটি পর্নো ভিডিও নিয়ে মেতে থেকে সময় বেশ কেটে যায়। এর ফলে আমার সামাজিকতা রক্ষা তেমন হয়ে ওঠে না। বিকেলে কেউ বাসায় বেড়াতে এলে রাত এগারটার পর বাড়ি ফিরে গল্পই শুনতে পারি কেবল। বাবা-মা'র আমাকে নিয়ে অনেক অভিযোগ, কিন্তু আমার বাবা মাকে নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। কারণ দুজনের কাছ থেকেই চলার জন্যে মাসোহারা পাই আমি। পাড়ার চায়ের দোকানে আমার হিসেবের খাতা খোলা আছে। চা-সিগারেটের দাম অন্যসব বিলাসদ্রব্যের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম হলেও অতিরিক্ত সেবনের ফলে তার সর্বমোট মূল্য হাজার ছাড়িয়েও বহুদূর চলে যায় প্রায়ই। দোকানদার আনিসুর ভাই খুব তাগাদা দিচ্ছে ইদানিং বিল পরিশোধ করতে। বাসা থেকে বেরুনোর সময় মায়ের কাছ থেকে বাবার দেয়া এ্যালাউন্সটা নিয়ে প্রথম কাজটাই হবে আনিসুর মিয়ার বিল শোধ করা। কানের কাছে বারবার ঘ্যানঘ্যান করতে থাকলে কাঁহাতক ভালো লাগে!

-গতমাসের বিল কত হইসে আনিসুর মিয়া? আইজকা সব শোধ কইরা দিমু।

ভরা মানিব্যাগে তাড়িয়ে তাড়িয়ে আদর করে আমি গৌরববোধক প্রশ্নটা করি।

-আপনের হৈসে টুটাল...খাড়ান হিসাব কৈরা লই। মোট ১৭৯৩ টাকা।

-১৭৯৩ টাকা! বল কী! এত কেমনে হইলো?

-সিগারেটের দাম বাড়সে জানেন না? গত মাসে তো ধুমাইয়া সিগারেট খাইসেন।

সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টা আমার জানা ছিলো না। আমি আবার একটু বড়লোকী সিগারেট টানি। বেনসন সুইচ। প্রতিদিন দোকান থেকে ৬-৭টা সিগারেট খেলে মাসে হয় প্রায় দুইশটা। আট আনা দাম বাড়লেও একশ টাকা বেশি দিতে হয়। নাহ ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে হচ্ছে!

-সুইচের দাম কত এখন?

-দশ টেকা।

-তাইলে এক টাকা বাড়সে?

বলে আমি নীরসমুখে সিগারেটের প্যাকেট থেকে একটা নিয়ে ধরাই।

-হ ভাই। আর এখুন থিকা নিউ নিয়ম। বাকি বাদ। বাকি দিয়া পোষায় না ভাই।

-আইচ্ছা যাও তোমারে নগদই দিমু।

বিরক্তির সাথে তার দিকে আমি একটা দশ টাকার নোট বাড়িয়ে দেই।



জগৎ সংসারের সাথে আমার সম্পর্কটা হিংসুটে সৎ মায়ের সাথে জেদী ছেলের মত অনেকটা। অনেক কিছুই চোখে পড়ে না, এড়িয়ে যাই। এড়িয়ে যাই ভালোবাসায় এগিয়ে দেয়া হাত, নির্ভরতার বাহু, শনির গ্রাস-রাহু, সংসদ অধিবেশন, মালীবাগে গনপিটুনি, ফতুল্লায় গণধর্ষণ ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে এক টাকা মূল্যবৃদ্ধি আমার প্রাত্যহিক জীবনে কোন ব্যত্যয় ঘটাবে না এটাই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু মাঝেমধ্যে হয়না এরকম... কোন কারণ ছাড়াই মেজাজটা খিচড়ে যায়, সবাইকে দোষ দিতে ইচ্ছে করে, মনের ভেতর সহিংসতার চারাগাছ লতিয়ে ওঠে! আমারও ঠিক তেমন হলো এবার। এক অদ্ভুত দার্শনিক বোধ। মনে হচ্ছিলো যে ঐ এক টাকা আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে আর বলছে, দেখো তুমি কতটা অপটু বাস্তব জীবনে! আমার মেজাজ আরো খিঁচড়ে গেলো। আমি বাকি এবং নগদ সব দাম পরিশোধ করে আনিসুর মিয়াকে অযথাই চায়ে চিনি বেশি দেয়ার অপরাধে ভর্ৎসনা করে বেরিয়ে এলাম। আজকে আর বাসায় গিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে না। কী মনে করে যেন কলেজের দিকে রওনা হলাম। আমাদের সরকারী কলেজটা অতি প্রসিদ্ধ হলেও ক্লাশ করা না করার ব্যাপারে ছাত্ররা পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়ে থাকে। সময়মতো শিক্ষকবৃন্দ সাজেশন দিয়ে দিলেই আমাদের বিদ্যার্জন সাফল্যের সাথে শুভসমাপ্তির দিকে এগোয়। আজ বিকেল তিনটায় ফিজিক্স ক্লাশ আছে। যদিও ফিজিক্স ক্লাসটা খুব বোরিং, একজন হোৎকামুখো ভারী ভুড়ির কর্কশকন্ঠা প্রৌঢ় নেন। তাতে কী! তার ক্লাশ নেবার মূল্য নিশ্চয়ই এক টাকার চেয়ে বেশি! আনিসুরের দোকানে যত সময় কাটাবো তত একটাকা করে লোকসান হতে থাকবে, এর চেয়ে ফিজিক্স ক্লাসে গিয়ে একটা ঘুম দিয়ে নেয়া যায়। পথে একটা বার্গার খেয়ে নেবো। তারপর ভরপেটে আরামের ঘুম। স্প্যানিশরা যাকে বলে সিয়েস্তা।



ফিজিক্স ক্লাশে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ! কোথায় হোৎকামুখো স্যার! অপ্সরার মতো রূপবতী একজন শিক্ষিকা ক্লাশ নিচ্ছেন। ক্লাশে ছাত্র উপস্থিতিও সে কারণে আজ অনেক বেশি। আমি কোনকর্মে শেষের দিকের একটি বেঞ্চিতে ঠেলেঠুলে বসার জায়গা করে নিলাম। ম্যাডাম ব্ল্যাকবোর্ডে একের পর এক জটিল সমীকরণ লিখে যাচ্ছেন। কারো সেদিকে মনোযোগ নেই। আমিও সিগারেটের দামবৃদ্ধির ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি নিষ্পলক। চল্লিশ মিনিট যেন ঝড়ের বেগে চলে গেলো। ক্লাশ শেষ হবার পর আমি কিছুটা বেদনার্তই হলাম বলা যায়। পাশে বসে থাকা সহপাঠীকে জিজ্ঞেস করলাম,

-ইনি কবে থেকে পড়াচ্ছেন?

-প্রায় এক মাস তো হবেই! দোস্ত! তুই এতদিন কি মিসটাই না করছিস! মাঝেমধ্যে এমন পাতলা শাড়ী পরে আসে, সব দেখা যায় ম্যান!

একমাসে কত কিছুই না ঘটে যায়! সিগারেটের দাম বাড়ে এক টাকা। ভোম্বলমার্কা শিক্ষক হয়ে যায় অপ্সরা শিক্ষয়ত্রী। পরের ক্লাশ ম্যাথমেটিকস। জ্যামিতি আর বীজগণিতের জটিল ধাঁধায় হাবুডুবু খাওয়ার সময় এটা না। ক্লাশ ডাম্প করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিন্তু ম্যাডামের সৌন্দর্যজনিত বিহবলাতাই আমার কাল হলো। সময় মতো পেছনের দরজা দিয়ে বেরুতে পারলাম না। ইতিমধ্যেই ম্যাথের টিচার এসে উপস্থিত। সিগারেটের মূল্য এক টাকা বৃদ্ধির মাশুল আমাকে বেশ ভালোভাবেই দিতে হবে দেখছি! অনেকেই অবশ্য বের হয়ে গেছে। আমাদের বেঞ্চিটাতো পুরোই ফাঁকা। শুধু আমি আর গত ফিজিক্স ক্লাশে ম্যাডাম সম্পর্কে কামনামদির বাক্য প্রক্ষেপ করা ছেলেটি আছে। আমাদের কলেজের এই এক ভালো নিয়ম, কোনদিন দেখা না হলেও পাশাপাশি এক বেঞ্চে এক পিরিয়ড বসলেই একে অপরের বন্ধু হওয়া যায়!



স্যার তখন ক্লাশে পরাবৃত্তের সমীকরণ শিখাচ্ছেন। আর আমি খোশগল্পে মত্ত পাশের ছেলেটার সাথে।

-জানিস সিগারেটের দাম এক টাকা বেড়েছে? বেনসন সুইচ।

-হু জানি তো।

-সিগারেটের দাম বাড়াতে আমি খুবই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি জানিস!

-কেন কেন!

উৎসুক প্রশ্ন তার।

-আর বলিস না, সিগারেটের দাম এক টাকা না বাড়লে আমি রাগ করে টং দোকানের আড্ডা থেকে সরে আসতাম না। আর তাহলে এই বিদঘুটে ম্যাথ ক্লাশও করতে হতো না!

-দোস্ত, বিড়ির দাম বাড়াটা আসলেই দুঃখজনক। দুঃখজননীও বলতে পারিস। থাক মন খারাপ করিস না।

-আসলে সমস্যাটা "বিড়ির দাম এক টাকা বেড়েছে" এত সরল না। বেড়েছে এক মাস আগে, অথচ আমি টেরই পাই নাই! যেটা না হলে আমার চলে না তাকে আমি এতটা অবমূল্যায়ন করেছি ভেবে খুব খারাপ লাগছে।

কথা বলতে গিয়ে আবেগে আমার কন্ঠস্বর একটু উচ্চগ্রামেই উঠে যায়। তা নজর এড়ায় না অংক শিক্ষকের।



-এই, এই যে তোমরা দুইজন, কী কথা হচ্ছে ক্লাশ বাদ দিয়ে? দাঁড়াও! স্ট্যান্ড আপ!

আমরা বিনাবাক্যব্যয়ে দাঁড়ালাম।

-এখন বলো কী সমস্যা। মন কোথায় আছে?

-স্যার, সমস্যা খুবই গুরুতর। গত একমাসে বিড়ির দাম বেড়ে গেছে এক টাকা, নতুন সুন্দরী ফিজিক্স ম্যাডাম ক্লাশ নিয়ে গেছে, আমি কিছুই জানতে পারি নি। আর কত কিছু হয়েছে কে জানে!

ফুঁপিয়ে উঠি অপারগতার বর্ণনা দিতে গিয়ে। অংক শিক্ষকটিকে যতটা কদাকার দেখা যায়, আদতে সে তা না। তার কন্ঠে আমার প্রতি সহানুভূতিই প্রকাশ পেলো।

-বিড়ির দাম বেড়েছে তো কী হয়েছে! বৃত্তের কেন্দ্র থেকে ব্যাসার্ধের দূরত্ব সর্বত্রই সমান। তার তো কোন পরিবর্তন হয় নি।

এবার আমি ফুঁসে উঠি,

-আপনি তো খালি আছেন ওই এক অংক নিয়ে। বৃত্তের কেন্দ্রের সমীকরণে কী এসে যায়! ওটা তো ধ্রুব। পৃথিবীতে সবচেয়ে ছ্যাবলা এবং বোকা জিনিসগুলো কখনও পরিবর্তিত হয় না। জ্যামিতির সুত্রগুলোও ওরকম।

-তুমি কিন্তু বেয়াদবি করছো ছোকড়া! ওয়াচ ইয়োর টোন।

-দেখুন স্যার, গণিতের সাথে দর্শনের সম্পর্ক সবসময়ই বিদ্যমান। আপনি যদি আমার দিক থেকে ভেবে দেখেন, তাহলে কথাগুলো মোটেই অর্বাচীনতা বা বাচালসুলভ মনে হবে না।

-কী বলতে চাও তুমি?

-বলছি যে, গত এক মাসে অনেককিছুই পরিবর্তিত হয়েছে। এখন বিড়ির দাম বৃদ্ধিকে যদি কেন্দ্র হিসেবে ধরে একটা বৃত্ত আঁকি, তাহলে আমরা বৃত্তের প্রতিটি বিন্দুতেই কিছু না কিছু স্থানাঙ্ক পাবো স্পর্শক আঁকার যোগ্য। আমার মাথার ভেতর এখন ঘুরছে সিগারেটের দাম বাড়ার ব্যাপারটা। ফিজিক্স ম্যাডামের স্লিভলেস ব্লাউজ, আপনার একঘেয়ে বক্তৃতা, ক্যান্টিনে সকালের বানানো স্পেশাল চপ মিস করা, সবই আবর্তিত হচ্ছে এই সিগারেটের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে। আমার যেমন সিগারেট, আপনারও নিশ্চয়ই তেমন কিছু আছে যার মূল্য পরিবর্তনকে কেন্দ্র হিসেবে ধরলে আপনিও আপনার নিজের বৃত্ত খুঁজে পাবেন।

স্যার নিজের মনেই বিড়বিড় করতে থাকেন,

-জর্দার দাম বেড়েছে, পানের সাথে জর্দা না থাকলে ধক পাই না।

উনাকে এই অবস্থায় রেখে আমি ক্লাশরুম থেকে বের হয়ে যাই। ক্যান্টিনে সকালের স্পেশাল চপ মিস হয়ে গেছে, সমস্যা নেই। নতুন কিছু খুঁজে বের করবো, স্পেশাল।

ক্যান্টিনটা কেমন যেন নিস্তব্ধ। খাবার টেবিলের সামনে সবাই শোকগ্রস্ত হয়ে বসে আছে। যেন খুব কাছের কেউ মারা গেছে। যেন এটা ক্যান্টিন না গীর্জা, শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। সব মুখ অচেনা। একমাস পরে এলাম এখানে। একমাসে এতকিছু পাল্টে যায়? কাউকে যে জিজ্ঞেস করবো সেই ভরসাটাও পাচ্ছি না। সবার মুখে এতটাই ছাপ ফেলেছে বিষাদ। ফিজিক্স ম্যাডামও দেখছি বিষণ্ণমুখে বসে আছে সেখানে। সেও কি ধূমপান করে? সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যথিত? আমি চেয়ার টেনে ম্যাডামের পাশে বসলাম সাহস করে। উদ্দেশ্য, তার রুপবর্তী হবার পাশাপাশি গ্রেডিংয়ের ব্যাপারেও কিছুটা তোয়াজ করা। আমাকে বসতে দেখে তিনি অভিব্যক্তিহীন কন্ঠে সুধোলেন,

-বিড়ির দাম বেড়ে গেছে, তাই না ছেলে?

তার বলার মধ্যে এমন একটা কিছু ছিলো, তার দৃষ্টি এমন তীর ছুড়ছিলো ম্যাডাম সম্পর্কিত কামনাতুর ভাবনা পুরোপুরিই রহিত হয়ে যায়।

-বিড়ির দাম বাড়ার সাইড এফেক্ট কিন্তু ব্যাপক।

বলে তিনি তার শাড়ী এক ঝটকায় সরিয়ে ফেললেন। পরনে শুধু ব্লাউজ আর সায়া।

-একটাকা মূল্য বৃদ্ধি তোমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে, কিছু রঙ্গ না দেখালে কেমন হয়! হিহিহি!

তিনি হাসতে থাকলেন ঘোরগ্রস্থের মতো।

-ঐ যে দেখো, তোমাদের অংক টিচারও ক্লাশ শেষে উপস্থিত। হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটছে। বিড়ির দাম বাড়ার এটাও একটা এফেক্ট। সিগারেটের দাম বাড়লে উঠতি বয়সের ছেলেরা বিষণ্ন হয়। সেখান থেকে রাগ, তা থেকে ক্ষোভ, তারপর কেউ কেউ বেপরোয়া সাহসী হয়ে ওঠে, শিক্ষকদের সাথে হম্বিতম্বি করে ছাত্ররা। যেমনটা তুমি তার সাথে করেছিলে আজকের ক্লাশে। তাই তিনি এখন তার উচ্চাসন বর্জন করে সারা ক্যাম্পাস হামা দিয়ে বেড়াবেন। আর আমি শাড়িহীন, তার ওপর চড়ে টগবগ টগবগ করে দাপিয়ে বেড়াবো। তোমরা তো তাই দেখতে চাও, না? বিড়ির দাম বেড়েছে বাবা, সোজা কথা তো নয়! হুহু।

গণিত শিক্ষক ততক্ষণে হামা দিয়ে আমাদের টেবিলের কাছে উপস্থিত। ম্যাডাম তার পিঠের ওপর বসে চাবুক মারার ভঙ্গি করলেন, আর স্যার ঘোড়ার মতো চিহিহি শব্দ করে এগুতে থাকলেন। তা দেখে ক্যান্টিনের শোকগ্রস্থ বালকেরা উঠে দাঁড়ালো সবাই। নেতাগোছের একজন বললো,

"এখন হবে এক মিনিট নীরবতা। সিগারেটের দাম বাড়ার ফলে যে শোকাতুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্যে সবাই এক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকবে"



বাধ্য হয়েই আমাকে এক মিনিট নীরবতা পালন করতে হলো দাঁড়িয়ে।



"এখন আমরা এই শোকাতুর দিনে দেখবো গত একমাসে কী কী খারাপ ঘটনা ঘটেছে এই ক্যান্টিনে"

বলা শুরু করে সে,

"সিঙ্গারা পুড়ে গেছে একাধিকবার, সমুচা এখন আর বানানো হয় না, একাধিক চায়ের কাপ এবং প্লেট নিহত হয়েছে, ফ্রায়েড রাইসের দাম বাড়ানো হয়েছে..."



মনটা খারাপ হয়ে গেলো আমার। কত নিষ্ঠুর এই পৃথিবী! বেঁচে থাকার জন্যে কত সংগ্রাম! ফিজিক্স ম্যাডাম শাড়ি খুলে ফেলে, অংকের স্যার হামাগুড়ি দেয়, সিঙ্গারা পুড়ে যায়, সমুচা বানানো হয় না, সিগারেটের দাম বাড়ে এক টাকা...



বিষণ্ণচিত্তে আমি ক্যাম্পাস থেকে বের হই। কলেজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষেধ। এখন ইচ্ছেমত রেডিওতে গান শুনতে শুনতে পথ চলা যাবে। কিন্তু রেডিওর সবগুলো চ্যানেলে এখন সরকার নিয়ন্ত্রিত বেতারের খবর প্রচারিত হচ্ছে-

"রাজধানীর সবুজবাগে এক শিশু ট্রাক চাপায় নিহত। কুড়িগ্রামে খেতে না পেয়ে সন্তান বিক্রী করেছে বাবা মা। কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে পচিশজন আহত, নিহত পাঁচ। মেঘনায় লঞ্চডুবিতে একশজন নিহত..."

খবর কখন শেষ হবে! বিরক্তির সাথে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিই আমি। পথিমধ্যে একটা সিগারেটের দোকান দেখে হু হু করে ওঠে বুকটা। এক টাকা বেড়ে গেছে দাম। অথচ আমি জানতেই পারি নি!



সন্ধ্যা নেমেছে। এই সময়টায় আমরা ধানমন্ডি লেকের ধারে আড্ডা দেই। কিন্তু আজ কিছুই হলো না। সবারই মন খারাপ। সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে মাসাধিককাল আগে, কিন্তু তরুণ সমাজে তার প্রভাব রয়ে গেছে এখনও। যেই ছেলেটা দিনের পর দিন সঞ্চয় করে এক ক্যান বিয়ার খায়, তার সাথে সিগারেট লাগবে না প্রচুর? যে মেয়েটা শখ করেছিলো সিগারেট ঠোঁটে গুজে ধোঁয়া ছেড়ে একটা অসামান্য প্রোপিক বানাবে তার কথা কে ভাববে? যাকগে, সবকিছুই প্রতিস্থাপনযোগ্য। এটা আমি জীবনের সত্য দর্শন মনে করি। এবং এই দর্শনে জীবন পরিচালিত করে বেশ লাভবানও হয়েছি এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। সিগারেটের দাম বেড়েছো বলেই তো ফিজিক্স ম্যাডামের ক্লাশে থাকতে পারলাম, সিগারেটের দাম বেড়েছে বলেই তো অংক স্যারের মুখের ওপর ওভাবে কথা বলতে পারলাম! ফিজিক্স ম্যাডামকে দেখছি শুধুমাত্র ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে অংক স্যারের পিঠে চড়ে শহর প্রদক্ষিণ করছে। তবে তাদের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না আমি ছাড়া। এই মুহূর্তে এখানে আমাদের কলেজের আমি ছাড়া আর কেউ নেই। ব্যক্তিগত মূল্যসূচকের পরিবর্তনে যে দৃশ্যমন্ডল সৃষ্টি হয় তা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই দেখতে পাবে এটাই স্বাভাবিক। ম্যাডাম আমার কাছে এসে বলেন,

-কাল থেকে আমি আর ক্লাশ নিবো না! তোমাকে আর পড়িমরি করে ছুটে এসে আমার ক্লাশ ধরতে হবে না! আমি ছুটিতে যাচ্ছি। ছুটি ছুটি ছুটি ছুটি ছুটি ছুটি ছুটির দুপুরে দুপুরে! সেখানে সিগারেটের দাম বাড়বে না কখনও।

-জর্দার দামও না।

যোগ করেন অংকের শিক্ষক।

-না ম্যাডাম, আপনি যাবেন না!

কাতর অনুরোধ করি আমি।

-তুমি তো ভালো করেই জানো সবকিছুই প্রতিস্থাপনযোগ্য। বিড়ির দাম বাড়লে মেজাজ খারাপ হয়, সেটা ঝাড়তে ক্লাশে এসে সুন্দরী ম্যাডামের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়, জগৎটা চলছেই তো এই লুপে!

-তা অবশ্য ঠিক। গুডবাই ম্যাডাম।



ম্যাডাম শাড়ি ঠিক করে চলে যান। স্যারও সোজা হয়ে দাঁড়ান। বাসার কাছাকাছি এসে গেছি। এত তাড়াতাড়ি বাসায় যাবার কোনো পরিকল্পনা ছিলো না আমার। এই দুজনের সাথে কথা বলতে গিয়ে কখন যে চলে এসেছি খেয়ালই করি নি। আজকে সন্ধ্যা থাকতে থাকতে বাসায় ফেরার ফলে কিছু অপরিচিত প্রতিবেশীকে দেখলাম ড্রয়িংরুমে। মা তাদের সাথে গল্প করছেন। সম্ভবত প্রতি সন্ধ্যায়ই এখানে আসর বসে। ভালোই লাগে দেখতে।

-এত তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরলি যে? সুমতির কারণটা কি শুনি?

হাস্যোজ্বল মুখে মায়ের জিজ্ঞাসা। খুশি লুকিয়ে রাখতে পারছেন না তিনি কোনভাবেই। অবশ্য তার সেই ইচ্ছেও নেই। আমি দুচোখ ভরে দেখি মায়ের হাসি, পাশের ফ্ল্যাটের পিচ্চিটাকে; বেশ বড় হয়ে গেছে, নতুন আসা বউটাও সংকোচ কাটিয়ে সাচ্ছন্দ্যে গল্প করছে। এক মাসে সিগারেটের দাম বাড়ে এক টাকা। বদলে যায় মানুষগুলোও। অবশ্য সিগারেট বা মানুষ সবই প্রতিস্থাপনশীল!

-বস না এখানে। দেখ ওরা কী দারুণ কেক বানিয়ে এনেছে আমার জন্মদিন উপলক্ষ্যে!



আজকে মা'র জন্মদিন ছিলো! দিব্যি ভুলে বসে ছিলাম। সিগারেটের দাম মাঝেমধ্যে বাড়া ভালো। তাহলে মেজাজ খারাপ করে ঘরে ফিরে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। মা'র জন্মদিনটা মিস হয়ে গেলে তো আর ফিরে পাওয়া যেতো না। সবকিছু কী প্রতিস্থাপন করা যায়! টিভিতে তখন লঞ্চডুবিতে নিহতের সংখ্যা দেখাচ্ছিলো। আহারে বেচারা মানুষগুলো! আনন্দের মধ্যেও মন খারাপ হয় আমার।



গল্পটি লেখার অনুপ্রেরণা নম্রতার স্মোকি কবিতাটি। তাকে ধন্যবাদ।



মন্তব্য ১৩৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:

পুরো গল্প পড়ার পর ১ টাকার ভ্যালু নিয়ে মাথা ব্যাথা করছে।

"একমাসে কত কিছুই না ঘটে যায়! সিগারেটের দাম বাড়ে এক টাকা। ভোম্বলমার্কা শিক্ষক হয়ে যায় অপ্সরা শিক্ষয়ত্রী। " বুঝলাম।

লেক থেকে বাসা পর্যন্ত কল্পনা ভালো লাগলো। এইসব কল্পনা যান-জটের সময় কাজে লাগে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐটা কল্পনা না। বাস্তব। জাদুবাস্তব বা গল্পের বাস্তব।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লেখনি। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। ফিজিক্স, গণিত আর সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধির কাহিনীতে একটু হাসলাম।
শুভেচ্ছা নিবেন।

লিংকটা মনে হয়, কাজ করছে না। দেখে নিবেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। লিংক ঠিক করা হয়েছে। কবিতাটিও পড়ে নিয়েন।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: সুন্দর গল্প ।

-স্যার, সমস্যা খুবই গুরুতর। গত একমাসে বিড়ির দাম বেড়ে গেছে এক টাকা, নতুন সুন্দরী ফিজিক্স ম্যাডাম ক্লাশ নিয়ে গেছে, আমি কিছুই জানতে পারি নি। আর কত কিছু হয়েছে কে জানে!
ফুঁপিয়ে উঠি অপারগতার বর্ণনা দিতে গিয়ে। অংক শিক্ষকটিকে যতটা কদাকার দেখা যায়, আদতে সে তা না। তার কন্ঠে আমার প্রতি সহানুভূতিই প্রকাশ পেলো।
-বিড়ির দাম বেড়েছে তো কী হয়েছে! বৃত্তের কেন্দ্র থেকে ব্যাসার্ধের দূরত্ব সর্বত্রই সমান। তার তো কোন পরিবর্তন হয় নি।
এবার আমি ফুঁসে উঠি,
-আপনি তো খালি আছেন ওই এক অংক নিয়ে। বৃত্তের কেন্দ্রের সমীকরণে কী এসে যায়! ওটা তো ধ্রুব। পৃথিবীতে সবচেয়ে ছ্যাবলা এবং বোকা জিনিসগুলো কখনও পরিবর্তিত হয় না। জ্যামিতির সুত্রগুলোও ওরকম।
-তুমি কিন্তু বেয়াদবি করছো ছোকড়া! ওয়াচ ইয়োর টোন।
-দেখুন স্যার, গণিতের সাথে দর্শনের সম্পর্ক সবসময়ই বিদ্যমান। আপনি যদি আমার দিক থেকে ভেবে দেখেন, তাহলে কথাগুলো মোটেই অর্বাচীনতা বা বাচালসুলভ মনে হবে না।

এই লাইন গুলো পড়তে বেশ লেগেছে :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

কালোপরী বলেছেন: কত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো তুচ্ছ বিষয়ের আড়ালে হারিয়ে যায়, পারিবারিক বন্ধন ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠে সাময়িক লাস্যময়ী আবেগ



:)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি এত ভালো পাঠক, গল্পের থিমটাকে অল্প কথায় তুলে ধরেছেন। খুব ভালো লাগলো। এরপর থেকে শুধু স্মাইলি দিয়ে চলে গেলে কিন্তু রাগ করবো!

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

মশিকুর বলেছেন:
এক মাস আসলেই অনেক সময়, আবার দশ বছরও কেটে যায় চোখের পলকে। সময়ের সাথে পরিবর্তনটা কতটুকু হচ্ছে, তার উপর আসলে নির্ভর করে সবকিছু। সবকিছুই পরিবর্তিত হতে থাকুক... ভালোর দিকে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ফিজিক্স ম্যাডামকে দেখতে ইচ্ছুক !!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুঁইজা লও!

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

কয়েস সামী বলেছেন: বুঝলাম না! ধুমাইয়া লিখতেসেন? ছুটিতে নাকি?

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ ম্যান, ফর্মে আছি!

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভাই, কবিতার লিংক কি ঠিক আছে? আমার এখানে কাজ হচ্ছে না।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন ঠিক করে দিয়েছি।

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তওসীফ সাদাত বলেছেন: হুম। সময় এর সাথে সাথে সবকিছুই প্রতিস্থাপিত হয়ে যায় ধিরে ধিরে। কৌশলে, আড়ালে অথবা সুম্মুখেই।


ঠিক এই অনুভূতি বেশ কিছু দিন আগে হয়েছিল আমার। ফেইসবুক এর পুরনো কিছু স্ট্যাটাস আর মেসেজ চেক করছিলাম। শেষ করে যখন হোম পেইজ এ আসলাম। সব কিছু খুব বেশি অচেনা লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমি কোথায় আসলাম, কোথায় ছিলাম। কিছু জটিল জটিল স্ট্যাটাস, কিছু স্বরচিত কবিতার লাইন, স্বরচিত গল্প। সবকিছু মিথ্যে মনে হতে শুরু করলো।

এই যে এত কিছু, এখন অনেক মানুষের প্রশংসা পাই। এরপরও অস্ফুট ভাবেই মুখ দিয়ে বের হল, ফিরে যেতে চাই আমি। সেই সাধারণ জীবনে ফিরে যেতে চাই।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব সুন্দর একটা ভাবনা তওসীফ। অনেক ভালো থাকুন।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২০

আশিক মাসুম বলেছেন: onek din por mon doye porlam..... jai goto ekmashe amar jibone ki ki holi ektu vhabar proyojon onuvhob krchi.....

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে ধন্যবাদ আশিক মাসুম।

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেলো আমার। কত নিষ্ঠুর এই পৃথিবী!
বেঁচে থাকার জন্যে কত সংগ্রাম! ফিজিক্স ম্যাডাম
শাড়ি খুলে ফেলে, অংকের স্যার হামাগুড়ি দেয়,
সিঙ্গারা পুড়ে যায়, সমুচা বানানো হয় না, সিগারেটের
দাম বাড়ে এক টাকা...
চরম হইছে হাসান মাহবুব ভাই।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস অভি। শুভেচ্ছা।

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: জনাব, বেনসনের দাম এক টাকা বাড়লেও বাড়েনি গোল্ড লিফের দাম ! ;)

ভালো লাগলো ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: গুল্লিপ সেই যে ছাড়সি আর ধরা হয় নাই।

থেংকু।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

অচিন্ত্য বলেছেন: ব্যক্তিগত দৈনিক রুটিনে খাবার আয়োজনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন-বিবর্তনে যে বিশেষ মেনু তৈরি হয় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই তাকে ব্রাঞ্চ নামে আবিষ্কার করতে পারে। পারবেই তো গল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেও তো সুইচ খায়। অ্যালাউয়েন্স হাতে পাওয়ার পর দোকানদারের প্রতি অনিবার্য তাচ্ছিল্যে ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্ন যদি গৌরববোধক না হবে, পৃথিবীতে গৌরবের অমর্যাদা হবে যে। কীভাবে যে এতটা তলিয়ে বুঝতে পারেন ! এড়িয়ে যাওয়ার ফর্দটা দারুণ হয়েছে। ইশকুলের কার্যসূচী থেকে বাদ পড়ল না সাজেশনামৃতের কথাও। বেশ। ‘কোনকর্মে’, ‘রূপবর্তী’ লিখেছেন। ইচ্ছাকৃত কি ? ‘কামনামদির বাক্য’, ‘দুঃখজননী’ দারুণ শব্দবন্ধ। আগে কোন একটা গল্পে বোধ হয় ‘ছেনালী বাক্যমদিরা’ লিখেছিলেন। কেন্দ্র-ব্যাসার্ধের ধ্রুব অনুপাত একটি গাণিতিক/জ্যামিতিক সত্য। এই সত্যকে এমন অপূর্ব সাহিত্য উপাদান করে তোলাটা আপনার হাতেই মানায়।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার খুব আফসোস হয়। কেন গণিত আরো ভালো করে বুঝলাম না, পড়লাম না। গণিত দিয়ে সবকিছুই ব্যাখ্যা করা সম্ভব। রূপবর্তী শব্দটা ইচ্ছেকৃত। যেমন নিকটবর্তী তেমন রূপবর্তী। ব্যাকরণ ঠিক আছে কী না বুঝতে পারছি না!

শুভেচ্ছা অচিন্ত্য।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: গল্প পড়তে ভাল লাগছিলো চুম্বকীয় গতি যাকে বলে। অথচ একটা ব্যাখা জানতে মন চাইছে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কোনটা মাফ্লো?

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সিগারেটের দাম এক টাকায় বাড়ায় এত কিছু !! :)


একমাত্র আপনার দ্বারাই পসিবল এরকম একটা ছোট বিষয় নিয়া এরকম একটা গপ লেখা

দারুণ লাগছে পড়তে

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নম্রতার কবিতাটা না পড়লে লেখাই হতো না। তাকেও ক্রেডিট দিতে হবে।

শুভরাত ভ্রাতা।

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এই যে এই গল্পটার।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের পরিপার্শ্ব কীভাবে বদলে যায় আর আমরা কীভাবে সঠিক জিনিসকে গুরুত্ব না দিয়ে ভুল জিনিসের পেছনে ছুটি, এক টাকা মূল্য বৃদ্ধির সময়টাতে অনেক কিছুই ঘটেছে যা এক টাকার মতোই সস্তা। কিন্তু আমরা সেগুলোকেই দামী ভেবে ভুল করি। এইতো...

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: চমৎকার ভাবনা, সুন্দর বুনট। গল্পে ভালোলাগা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

ইখতামিন বলেছেন:
অনেক সুন্দর চমৎকার গল্প.. পরিবারটাই আসল :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন।

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: কেন্দ্র থেকে পরিধি মাপছিলাম, কিছুতেই মিলছে না । বৃত্তের ব্যাসার্ধ সব দিক থেকেই সমান হওয়ার কথা । কিন্তু হয়েও হচ্ছিল না, ব্যাপারটা ধোঁয়াটে..

তারপর ঘুরে এলাম নম্রতার স্মোকি পোয়েম । বুঝলাম, ওটা বৃত্ত ছিল না- পরাবৃত্ত ।

আর কি বলব! সিগারেটের দাম এক টাকা বাড়লে ক্ষতি নেই, মুহূর্তের পরিবর্তনের সাথে যদি অভিযোজন করা যায় । অভিযোজিত না হতে পারলেই সব কিছু ধোঁয়াটে..

গল্পের গতি আর বুননে মুগ্ধ ।

রেখে গেলাম একরাশ বিস্ময় আর মুগ্ধতা :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্য সবসময়ই প্রেরণা যুগিয়ে আসছে। ধন্যবাদ জানবেন মামুন ভাই।

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: গল্পে আপনি কল্পনার পাগলা ঘোড়ার উপর থেকে লাগাম সরিয়ে নিয়েছেন, এই ব্যাপারটা ভালো লাগে, কারণ সবাই এটা করার সাহস পায় না। মনোযোগ দিয়ে পড়েছি, ভালো লেগেছে। যাই কবিতাটা পড়ে আসি।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। কবিতাটাও ভালো লাগবে আশা করি।

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আইনস্টাইন সাধে বলেননি, ইমাজিনেশন জ্ঞানের চাইতে শ্রেয়তর...

প্রত্যহ একই ছকে না চলে একটু ভিন্নতা আনতে পারলে অনেক কিছুই নতুনভাবে পাওয়া যায়, দেখা যায়, অনুভব করা যায়............

হামা ভাই, একটাকাতো এখন আর নেই, একটাকা লজেন্স হয়ে গেছে সেই কবে...........

ক্যামন আছেন ?

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইতো আছি! অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। ভালো লাগলো। ভালো থাকুন। শুভরাত।

২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

গোর্কি বলেছেন:
গল্প পাঠোত্তর মন্তব্যের প্রতিউত্তর ঘরে ব্যাখ্যা পেয়ে মূলভাবটা পরিষ্কার হলো। ধন্যবাদ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিশাল একটা মন্তব্য করছিলাম। করার সাথে সাথে দেখি লগ আউট!!!!! X( X( X( X( মেজাটা পুরাই বিলা হইয়া গেসেগা!!

আপনি আসলে ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর মত একটা কষ্টকর কাজকে ভৃত্য বানিয়ে ফেলেছেন। সাধারন শব্দকেও যে দারুন ভাবে উপস্থাপন করা যায় তা আপনার কাছ থেকেই শেখা উচিত। সমাজের যে কঠিন অংশটি আমরা দেখেও না দেখার ভান করি, যেখানে অনেক বড় বড় সমস্যাগুলো ব্যক্তিগত সমস্যার কাছে পরাজিত হয়, এই গল্প সেটারই এক দূর্দান্ত প্রতিচ্ছবি।

আর ৪ নাম্বার কমেন্ট দেখে বুঝা যাচ্ছে গল্প কতটা ভালো হয়েছে। এই প্রথম দেখলাম তিনি হাসির ইমো ছাড়া সুন্দর কমেন্ট করেছেন :D B-)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সামু যে কি শুরু করসে! তারপরেও এখানে রয়ে যাই আপনারা আছেন বলে। অনেক ধন্যবাদ কাভা। শুভরাত্রি।

২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

শ্যামল জাহির বলেছেন: এই ছোট্ট কবিতা চিপে রস বের করে, যেই গল্পের সৃষ্টি করেছেন হাসান মাহবুব ভাই, জাদুই মনে হলো।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা সেই কবিতারই গুণ। আমার কৃতিত্ব সামান্যই।

শুভরাত্রি।

২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৩

নিয়েল হিমু বলেছেন: সিগারেট বা মানুষ সবই প্রতিস্থাপনশীল!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: একমত হবার জন্যে ধন্যবাদ।

শুভরাত্রি।

২৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিতা অসাধারণ, আর গল্প নিয়ে নতুন কিছু বলার মত পাচ্ছি না। পড়তে ভালো লাগে, কিন্তু বিশেষণ খুঁজে পাই না! যাই হোক, আগের ব্যবহৃত জরাজীর্ণ বিশেষণগুলো থেকে পছন্দমত নিয়ে নিন একটা:) তবে শেষে যে সামান্য হলেও দুঃখ অনুভূত হচ্ছে মূল চরিত্রের, এই অংশটুকু ভালো লেগেছে।

কবিতা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে লেখা গল্প পড়ে আমারও কতগুলো প্রিয় লাইন শোনাতে ইচ্ছা হল। শহীদ কাদরীর। গল্পের সাথে থিমে মিল না থাকলেও শব্দে শব্দে ঝংকার মিলে যায় অনেকটাই-

এইক্ষণে আঁধার শহরে প্রভু, বর্ষায়, বিদ্যুতে
নগ্নপায়ে ছেঁড়া পাৎলুনে একাকী
হাওয়ায় পালের মত শার্টের ভেতরে
ঝকঝকে, সদ্য, নতুন নৌকার মতো একমাত্র আমি
আমার নিঃসঙ্গ তথা বিপর্যস্ত রক্তমাংসে
নূহের উদ্দাম রাগি গরগরে লাল আত্মা জ্বলে
কিন্তু সাড়া নেই জনপ্রাণীর অথচ
জলোচ্ছ্বাসে নিঃশ্বাসের স্বর, বাতাসে চিৎকার
কোন আগ্রহে সম্পন্ন হয়ে, কোন শহরের দিকে
জলের আহলাদে আমি একা ভেসে যাবো?


একটা প্রশ্ন, কবি নম্রতা কি সামুতেও লেখেন? তাহলে তাঁর ব্লগটা অনুসরণে নেয়া যেত।

শুভেচ্ছা রইল, প্রিয় হাসান। শুভ রাত্রি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ, মন্তব্য এবং কবিতার জন্যে। নম্রতার ব্লগিংয়ের শুরু সামু থেকেই। তবে তিনি এখানে এখন আর লেখেন না। চতুরের ব্লগটা ফলো করতে পারেন।

শুভরাত্রি প্রফেসর।

২৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৬

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ভালো লাগলো ! +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
আপনার অনেক গল্প পড়ার অপেক্ষায় আছি । সময়ের সাথে পারছি না । ভালো থাকবেন ভাইয়া ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ তিতির।

শুভেচ্ছা।

২৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ফিজিক্স ক্লাশের পেছনের বেঞ্চে বসে আলাপচারিতা পর্যন্ত ঠিক ছিল, হালকা মেজাজে পড়ছিলাম; তারপর যখন টিচারের সাথে বাতচিৎ শুরু হলো ! একটু ঝাকি খেলাম! আসলে এখান থেকেই মনে হল গল্পটা শুরু হয়েছে; শুরু বলতে এখান থেকে হামা স্টাইল শুরু আর কী!
ওয়াও! জীবনের এক অস্থির বয়সের চিন্তা চেতনাকে বেশ মুন্সিয়ানার সাথেই ফুটিয়ে তুলেছ; যেখনে সিগারেটের এক টাকা মূল্যবৃদ্ধির কাছে ম্লান হয়ে উঠে জাগতিক যত অনিয়ম, যত বিভৎসতা, যত নির্মমাতা; গ্রেট থিংকিং; সবশেষে আবার নীড়ে ফিরেই স্বস্থি, যথারীতি! ওয়াও!

উফ! এগুলো যে কিভাবে লেখে!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার উদ্ভট চিন্তাগুলোকে প্রশ্রয়ের চোখে দেখার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!

২৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নম্রতার লেখা সবসময়ই ভালো লাগে। এই কবিতাটা আগেই পড়েছিলাম।

আপনার গল্পের মূল থীম টুকু ভালো লাগছে। অর্থাৎ - মানুষকে সময়ের প্রয়োজনে অভিযোজিত হতেই হয়।

শুভেচ্ছা

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা।

৩০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: একটাকার এত দাম ??? :-* :-*

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু অনেক দাম! পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

৩১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

সোমহেপি বলেছেন: একটার দামই একটাকা বাড়ছে।প্রতি প‌্যাকেটে ২০ টাকা।

তেলের মূল্যের মতই ব্যাপারটা।প্রতি কিমিতে ২০পয়সা বাড়লেও সিরেট-ঢাকা যেতে খরচ প্রায় দুইগুণ বাইড়া যায়।আপনে কি বুঝবেন মিয়া ? ঘর থাইকা বাইর হইলেতো বড়জোর উত্তরা যান।


গফ বালা লাগছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস।

৩২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সিগারেটের দাম একটাকা বৃদ্ধির এই সময়টাতে অনেক কিছুই ঘটে যায়। সময় পালটে যায়, পালটে যায় জীবনের গতি, পারিপাস্বিক অনেক পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন ঘটে। কিন্তু কখনো কখনো অযথাই আমরা সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধির সাথে তাদের যোগসুত্র খুঁজে ভুল করে এই গুরুত্বহীন ঘটনাগুলো নিয়ে চিন্তিত হই।

এটাই আমার কাছে গল্পের মুল থিম বলে মনে হল। আপনার খুব কম গল্পের ডেপথে আমি যেতে পারি। মনে হয় এইটাতে পেরেছি। :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইয়াহ! দারুণভাবেই বলেছো। এখন যাও আগের গল্পটা পড়ো (থট ডায়েরি)। সাইকোলোজিক্যাল থ্রিলার। তোমার পছন্দের জেনার। তোমার কেমন লাগবে জানতে আগ্রহ হচ্ছে।

৩৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

নেক্সাস বলেছেন: আপনার কল্পনা শক্তি আমাকে বিমোহিত করলো। ছোট্ট একটা বিষয় থেকে পুরা গল্প।


গ্রেট

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস। শুভদুপুর।

৩৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

প‌্যাপিলন বলেছেন: ভাল্লাগ্ছে

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: তেংস।

৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
কবিতাটি আর আপনার গল্পটি ও পড়লাম, আপনার কল্পিতআবেগ বিষ্ময়কর!!!
হয়ত এটাই লেখকের মূল শক্তি।

শুভবিকেল ভাই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

আমাদের এখানে এখন রাত।

৩৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


প্রিয় হাসান ভাই, চমৎকার একটি গল্প পড়লাম।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভ সকাল।

৩৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

কয়েস সামী বলেছেন: গল্পটা পড়ে শেষ করলাম। ভাল লেগেছে। শব্দবুননটা বিশেষ করে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল।

৩৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৮

রাহি বলেছেন: বেনসন সুইচের দাম সত্যিই কি দশ টাকা? আহা! আমিও আটকে গেলাম সেই ক্লাসরুমে! সুন্দর গল্প।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু দশ টাকা। শুভেচ্ছা রাহি।

৩৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২২

অদৃশ্য বলেছেন:






লিখাটি চমৎকার হয়েছে হাসান ভাই... কবিতাতো পড়া ছিলোই, আপনার এই লিখাটি ডাবল বোনাস হিসেবে পেলাম... দারুন করেই ভাঙলেন কবিতাটি...


শুভকামনা...

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কবিতাটি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম ঠিকমতো হবে কী না। আপনার কথায় আশ্বস্ত হলাম। অনেক ধন্যবাদ!

৪০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: সিগারেটের দাম বেড়ে যাওয়া অতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সিগারেটের দামটা কমলেই তো তবে অন্য দিকে নজর দেয়া যায়! কিন্তু সিগারেটের দাম কমছেই না!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাড়ছে বেঁচে থাকার খরচা
বাড়ছে তোমার পরচর্চা
কমছে প্রাণের আয়ু
এসব দেখে মুচকি হাসে ঈষাণ কোণের বায়ূ

৪১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার কঠিন কঠিন গল্পের ভীড়ে এটা একটু কম কঠিন । সিগারেট যদি কেন্দ্র হয় এক টাকা ব্যসার্ধ তাহলেও ভাবনার কোন পরিধী (বল্গাহীন কল্পনা) খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা । শেষটা ভয়ানক ভাবে দারুন । মানুষকে ফিল্টারিং করতে হলে কোনটা ফিল্টারিং করা প্রয়োজন মন, আত্না,হৃদয় ? শব্দ চয়নে আপনার দক্ষতা অতুলনীয় ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর এসে চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ পুলক ঢালী।

শুভ রাত্রি।

৪২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২২

নাসরীন খান বলেছেন: চমৎকার ভাবে শেষ হয়েছে,ভাল লাগল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাসরিন। শুভকামনা।

৪৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৮

চটপট ক বলেছেন: কালোপরী বলেছেন: কত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো তুচ্ছ বিষয়ের আড়ালে হারিয়ে যায়, পারিবারিক বন্ধন ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠে সাময়িক লাস্যময়ী আবে


সহমত

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল।

৪৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

ভিয়েনাস বলেছেন: একটা সিগারেট আর একটা এক টাকা নিয়ে এতো হৈ চৈ হামা ভাই....

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ ভিয়েনাস! শুভ সকাল।

৪৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

বৃতি বলেছেন: সিগারেটের দাম এক টাকায় বাড়াতে এতো দ্বন্দ্ব? :) :) গল্পটা চমৎকার লেগেছে । কিছু শব্দের ব্যবহারে মজা পেলাম; যেমন টুটাল, জর্দার ধক ইত্যাদি ।

শুভকামনা ।


২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি। শুভকামনা।

৪৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: এক টাকা বাড়াতে এত হ্যাপা !?! ধ্যাত্তেরিকা এই জীবন ....................

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরাই ধ্যাত্তেরি!

৪৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

জিএম শুভ বলেছেন: সিগারেটের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এতো ঝামেলা!! :P

ভালো লাগল :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস শুভ।

৪৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

মশিকুর বলেছেন:
যেকোনো লেখা প্রতিবার পড়ার সময় নতুন কিছু না কিছু বেরিয়ে আসে। আরও একবার পড়লে হয়তো অন্য রকম কিছু বেরিয়ে আসবে, আমি নিশ্চিত।

তবে এবার পড়ে বলতে হচ্ছে, প্রায় প্রতিটি মানুষ তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়, সবচেয়ে কমমূল্যে বিক্রি করে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, এটাও বেশ ভালো পাঠ উপলদ্ধি।

শুভবিকেল।

৪৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

তাসজিদ বলেছেন: লেখায় কতটুকু বাস্তব আর কতটা কল্পনা সেটা কিন্তু ক্লিয়ার না। যদি ধরে নেই, সুন্দরী মেড়াম কে দেখার পর অংশটুকু কল্পনা। তাহলে স্যার এর সাথে বাক্যলাপ কি শুধুই ভ্রম??


আর ম্যাডাম এর বস্র বিসর্জন এর কারণ কি? সবটাই তার কাম ভাবনাকে প্রকাশ করে?????

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: কোনোটাই ভ্রম না। পুরোটাই বাস্তব। তবে যে বাস্তবকে আমরা সাদাচোখে দেখি তাকে মনের আলমারিতে রেখে একটু পরীক্ষা করে দেখলাম বাস্তবের ভেতরের বাস্তব/অবাস্তব/ভ্রম/স্বপন। বাস্তব অনুভূতি প্রকৃতপক্ষে অনেকগুলো অবাস্তবেরই মিশ্রণ।

বস্ত্র বিসর্জনের মাধ্যমে সিগারেটের দাম এক টাকা বেড়ে যাওয়ার মধ্যেকার সময়ের পরিবর্তনের তীব্রতা বোঝাতে চেয়েছি। এক টাকা পণ্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সময় এবং জীবনের সাথে সম্পৃক্ত সবকিছুই বদলে যায়...

৫০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

তাসজিদ বলেছেন: আপনার ঘটনার ভেতর ঘটনা আসলেই বুঝতে পারি না।

তবে মেডাম এর বস্ত্র হরণ ও তার পর math teacher র ঘাড়ে ঘুরে বেড়ানো অড মনে হয়েছে।

আমার মাঝে মাঝে আপনার লেখাকে inseption এর ব্লগ ভার্সন মনে হয়

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাদাচোখে দেখলে অডই মনে হবে। এর চেয়ে ইনসেপশনের চোখেই দেখুন। অথবা যেভাবে দেখলে সুবিধা হয় ব্যাখ্যা করতে। স্বপ্নের স্তরবিন্যাস সে তো অবচেতনের খেয়ালীপনা, ভাবার বেশ ভালো একটা উপায়।

৫১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

আশা জাগানিয়া বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানাতে এলাম হাসান । :D

শুভকামনা রইল ।।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং পনি আপা!

৫২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

কালীদাস বলেছেন: মাঝমাঝি এসে খানিকটা ঘোরে পরে গেলাম :|

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘোরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করা তো ভালো!

৫৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:১২

নস্টালজিক বলেছেন: তোমার এই লেখাটা প্রথমবার পড়ে ভালো লাগে নাই আমার। বাট আই মাস্ট সে, আই ওয়াজ রং!

জেম অফ আ রাইটিং!


নামকরণ আর প্লট-দু'টাতেই মুন্সিয়ানা দেখাইসো!


২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু বাডি। শুভসকাল।

৫৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: কেমন জানি লাগলো !! :| :|

" কত নিষ্ঠুর এই পৃথিবী! বেঁচে থাকার জন্যে কত সংগ্রাম! ফিজিক্স ম্যাডাম শাড়ি খুলে ফেলে, অংকের স্যার হামাগুড়ি দেয়, সিঙ্গারা পুড়ে যায়, সমুচা বানানো হয় না, সিগারেটের দাম বাড়ে এক টাকা..."

এই অংশটুকু আমার পুরো গল্পের পাঞ্চলাইন মনে হইছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। থেংকু রেজা।

৫৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
ঘুরে ফিরে একটা লাইনকে টেনে এনে সেটাকে মূল্য দিতে চাইলেও লেখকের লেখার মুন্সিয়ানায় গল্পের উপস্থাপন দারুণ হয়েছে।

তোমার জন্য অনেক শুভকামনা.....
লিখতে থাকো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাজি'পা। লিখতে থাকবো। দোয়া করেন।

৫৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

মাক্স বলেছেন: পুরা গল্পেই ডার্ক হিউমারের ছড়াছড়ি। মজা পাইসি পৈড়া!
কবিতাটা অবশ্য পড়ি নাই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ডার্ক হিউমার পছন্দের জিনিস। কবিতাটা পড়ে দেখেন। ভালো লাগবে।

৫৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,

সামান্য একটি বিষয়কে ধোঁয়ার মতো কুন্ডলী পাকিয়েছেন বেশ চাতুরীয়াণায় । তাতে দামের সাথে গল্পের ঝাঝটা ও বেড়েছে .......

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুনে প্রীত হলাম। অনেক ধন্যবাদ!

৫৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪২

মাক্স বলেছেন: কয়েকবার ট্রাই করেও কবিতার লিংকটায় ঢুকতে পারি নাই তাই পড়া হয় নি! ব্লগের লিংকটা দিয়েনতো একটু কষ্ট করে!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: Click This Link

৫৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা এটাই আপনার গল্পের অনবদ্য দিক। হঠাৎ করে একটা টুইস্ট। ভাবাও যায় না এমন কিছু হবে। অসাধারণ বিগ হামা। কেরি অন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ টুম্পামনি। শুভরাত্রি।

৬০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৬

অযুত বলেছেন: লাইক দেওয়া যায় না কেন?

দারুণ হয়েছে।
++

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!

শুভভোর।

৬১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

আরজু পনি বলেছেন:

শেষটায় এসে খুব ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছা রইল, হাসান ।।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পনি আপা।

শুভরাত্রি।

৬২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: গল্পের মূলসুর আপনার প্রোফাইল পিকচারে যে চলচ্চিত্রটির পোস্টার ব্যবহার করেছেন তার মূলসুরের সাথে সাযুয্যপূর্ণ। অনেক ভাল লেগেছে গল্পটি, আর গল্পটির আড়ালে যে অনুচ্চারিত বার্তাটি রয়ে গিয়েছে তা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

কুমার মিজান বলেছেন: সুন্দর গোছানো একটি গল্প। ধন্যবাদ। এইখানে ক্লিকান

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আইচ্ছা।

৬৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: এক টাকা দিয়ে এত কিছু দেখিয়েছেন যে মুগ্ধ। মজাও পেয়েছি, তরুণদের জীবনটাকে ফ্রাঙ্কলি তুলে ধরেছেন।

শুভকামনা।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভদুপুর।

৬৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

বোকামন বলেছেন:

গল্পের প্রথম থেকে কিছুটা একঘেয়ে লাগছিলো ! ধীরে ধীরে আকর্ষণটা বাড়লো। একটি অংশে(ক্লাসরুমে) কুবরিকের মতো পাগলাটে মেটাফোর ! তার প্রভাব ভালোই আছে আপনার ভাবনায় (হয়তো)

সব মিলে কথকের বেঁচে থাকার অন্তর্দর্শন মূল্যমানে বিবেচিত করা হয়ে উঠলো না । বরাবরের মতই ব্রিলিয়ান্ট রাইটিং ...


+

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার ভালো লাগায় প্রীত হলাম।

শুভবিকেল।

৬৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: গল্পটাতে সূক্ষ্ম রস আর ব্যাকানো বিদ্রুপ প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছে । তবে তুলনায় নিলে কিছুটা সাদামাঠা তো বটেই । ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন ! :) :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পাঠ এবং মতামতের জন্যে।

৬৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার চমৎকার লেখনীতে দারুন আরেকটা লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা অর্জন করে প্রীত হলাম। অশেষ ধন্যবাদ!

৬৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এই গল্পটা দারুণ লাগলো ভাইয়া। ভুল/অপ্রয়োজনীয় কিছুকে মূল্যায়ন করা ব্যাপারটা বোধ হয় আমাদের মজ্জাগত। গল্পে তরুণের চিন্তাধারার অসামঞ্জস্যতা ও ঐক্যতান মুগ্ধ করেছে।


ভালো থাকুন ভাইয়া। শুভকামনা রইল।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিবিড় পাঠে।

৬৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪২

এহসান সাবির বলেছেন: আপনার নতুন লেখা পাই না বেশ কয়েক দিন হামা ভাই।

ব্লগে ভালো গল্প আসেনি তেমন.....!!!

তাই আপনার পুরানো গল্পই সই।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: খরা চলচে খরা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.