নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারণক্রেতা

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪



এভাবে আমার দিকে তাকাবেন না! হ্যাঁ, কিছুটা মোটা হয়ে গেছি স্বীকার করছি। তারপরেও বডি মাস ইনডেক্স অনুযায়ী আমি স্লাইটলি ওভারওয়েটেড মাত্র। অবেসিটির পর্যায় আসতে অনেক দেরী আছে। এটা ঠিক, ইদানিং আমি খুব বেশি বেশি খাচ্ছি। চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় যা পাচ্ছি সামনে বাদ দিচ্ছি না কিছুই। ব্যাপারটা আমার আদর্শের সাথে সংঘাতপূর্ণ। কারণ আমি বরাবরই সংযমের নীতিতে বিশ্বাসী। এতদিন অধিক ভোজনের দায়ে অভিযুক্ত করেছি কাছেরজনদের সবসময়। সেই আমিই কী না শরীরে চর্বি জমিয়ে শম্বুক গতির হয়ে গেছি! তবে এজন্যে শুধুমাত্র আমাকে দোষারোপ করলে ভুল করবেন। এর পেছনে রয়েছে ষড়যন্ত্রকারী ভাগ্যের কূটচালের নাতিদীর্ঘ ইতিহাস। শুনুন তবে,



আমার উত্তরবঙ্গ নিবাসী চাচার রয়েছে বিশাল পেয়ারা বাগান। মাঝেমধ্যে তাকে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় আসতে হয়। ঢাকায় এলে আমাদের বাসায়ই থাকেন। আর সাথে নিয়ে আসেন প্রচুর পেয়ারা। সবুজ, কচকচে পেয়ারা। কখনও এক ঝুড়ি, কখনও দুই ঝুড়ি। এমন টাটকা তাজা ফলের লোভ কেই বা সামলাতে পারে? তবে আগেই তো বলেছি, আমি ছিলাম সংযমে বিশ্বাসী। যে কোন কিছুই অতিরিক্ত করাকে নিজের দুর্বলতা মনে করতাম। তাই এক ঝুড়ি থেকে কখনও ৫-৬ টির বেশি পেয়ারা খাই নি। কিন্তু চাচা এবার আমাকে প্রলুদ্ধ করলেন বেশি পেয়ারা খেতে। সাধারণত তার সাথে আমার তেমন একটা কথা হয় না। কাজের লোক তিনি। ঢাকায় এলে সারাদিন এখানে-ওখানে তাঁর বিভিন্ন কাজ থাকেই। বাসায় আসার পর খেয়েদেয়ে দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়েন। তাই তার সাথে আমার সেভাবে কথা বলা হয়ে ওঠে না। শেষবার যখন তিনি এলেন মাসখানেক আগে তখন তার কাজের চাপ কম ছিলো। একদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখি তিনি আরাম করে সোফায় আধশোয়া হয়ে চায়ের কাপ হাতে চুমুক দিতে দিতে টিভি দেখছেন। আমাকে দেখে আন্তরিকতার সাথে আহবান জানালেন বসতে। আমরা বসে দেশ-দশ-পরিবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলাম। কথা প্রসঙ্গে অবধারিতভাবে শারীরিক অবস্থার জিজ্ঞাসা চলে এলো। আমিই পাড়লাম প্রসঙ্গটা। তিনি বয়স্ক মানুষ। তাঁর শরীরের খোঁজ নেয়াটা আমার কর্তব্য এবং সৌজন্যতার মধ্যেই পড়ে। তিনি জবাবে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে মফস্বলের তাজা সবজি এবং ফলমূলের প্রশংসা করে জানালেন যে তারা তাঁকে যথেষ্ট ভালো রেখেছে। শুনে বেশ হতাশা এবং ঈর্ষা বোধ করলাম। আমার শরীরটা বেশি ভালো যাচ্ছিলো না। ঠিকমত পেট পরিষ্কার না হবার ফলে মেজাজ খিঁচড়ে থাকতো। হতাশা বোধ করতাম। মনে হতো যে যাদের কোষ্টকাঠিন্য নেই, তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। চাচাকে বললামও সে কথা। শুনে তার মুখে প্রশান্তির হাসি খেলে গেলো। এটাকে নেহায়েৎ স্বার্থপর এবং নিষ্ঠুর আচরণ মনে হলো আমার। তবে আমার ধারণা ভুল ছিলো। তিনি আমার অসুবিধার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তা নিরসনের জন্যে একটি উপায়ও বাতলে দিলেন।

-বেশি বেশি কইরে পিয়ারা খাবে বুঝিসো ভাতিজা? পিয়ারা খালি পরে দেখপা যে পেট একদম কিলিয়ার হয়ি গেছে।

-বেশি বেশি কোন কিছুই খাওয়া ঠিক না চাচা। সবকিছুরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।

গম্ভীর কন্ঠে দ্বিমত প্রকাশ করি আমি।

হাত দিয়ে মাছি তাড়ানোর ভঙ্গি করে আমার কথা উড়িয়ে দেন তিনি।

-আরে দূরো! ওসব কিচ্ছু হবিনানে। তুমি খায়েই দেখো না।

সেই রাতে খাবার পর দুটো ডাঁসা ডাঁসা পেয়ারা খেয়ে আশু ফলপ্রাপ্তির প্রত্যাশা নিয়ে ঘুমোলাম। চাচার টোঁটকা কিছুটা হলেও কাজে লাগলো। তখন আমার মাথায় বেশি বেশি পেয়ারা খাবার চিন্তা এলো। তবে তার আগে সতর্কতা হিসেবে ইন্টারনেটে "Side effects of guava" লিখে ফলাফল দেখে নিশ্চিত হয়ে নিলাম। পেয়ারা এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে খুবই ভালো, শরীরের জন্য উপকারী, এসব ভালো ভালো কথা পড়ার পর সাইড এফেক্ট সেকশনে গিয়ে দেখলাম খাদ্য হিসেবে পেয়ারা খাওয়া নিরাপদ, ওষুধ হিসেবে খেলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কী না এ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য তাদের কাছে নেই। গর্ভবতী অবস্থায়... ধুর ছাই এটা পড়ে কী হবে! মোদ্দাকথা, পেয়ারাকে একটা নিরাপদ ভেষজ হিসেবে মেনে নিয়ে এটা বেশি পরিমাণে খেতে যে সংকোচটা ছিলো তা কেটে গেলো আমার। সেদিন সারাদিন মোট চারটে পেয়ারা খেলাম। এভাবে দুইদিন খাবার পরে সত্যিই ভালো ফল পেলাম বেশ। পেট ক্লিয়ার হবার ফলে আমার মনটাও বেশ প্রসন্ন হয়ে গেলো, আর ঠিক তখন আমি আবিষ্কার করলাম বেশি বেশি পেয়ারা খাবার ভয়াবহ সাইড ইফেক্ট। স্থূলতার সাথে পেয়ারার একটা সূক্ষ্ন সংযোগ আছে। পেয়ারা রূচিবর্ধক। যেকোন ধরণের ভিটামিন সি জাতীয় ফল বা সবজিই অবশ্য তাই। তবে ভিটামিন সি জাতীয় দ্রব্যের মধ্যে পেয়ারা আমার সবচেয়ে প্রিয় হওয়াতে এটাই বেশি খাই এবং সুরূচির কোপানলে পড়ি। প্রচুর ক্ষুধা পায় আমার, খেতে থাকি হা-ভাতের মত। খাবার পরেও একটা না খেলে ভালো লাগে না। খাবার আগে খেলে ক্ষুধা এবং রূচি বাড়ে, পরে খেলে হজমসহায়ক হয়। ভিটামিন সি'র প্রভাবে আমি খাদ্যের দুষ্টচক্রে পড়ে যাই, আমার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তিত হয়, আমি ওজন অর্জন করতে থাকি। আর একবার বেশি খেয়ে পাকস্থলীর আকার বেড়ে গেলে সেটা আরো খাবার চায়।



ক্রমশ স্থূলকায় হয়ে ওঠার পেছনে এটাই আমার নেপথ্য ইতিহাস।



ব্যাপারটা এখন বিপদজনক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। বিএমআই অনুযায়ী আমি এখন কেবল "স্লাইটলি ওভারওয়েট" না, "জাস্ট ওভারওয়েট"। চেষ্টা করেও কমাতে পারছি না। একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আমার এ করুণ অবস্থার নেপথ্য কাহিনী প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্যে বার্তা দেবার প্রস্তুতি নেই আমি। প্রথম দফায় প্রেসক্লাবে "ভিটামিন সি জনিত স্থূলতা"র ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে অনশন করা যেতে পারে। এতে জনসমর্থন বেশি পেলে একটা ছোটখাট হলে সাংবাদিকদের ডেকে প্রেস কনফারেন্স করবো। এরপর দেশব্যাপী ক্যাম্পেইন, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি, ফেসবুক ইভেন্ট খোলা...অনেক কাজ রয়েছে বাকি। টিভি চ্যানেলগুলোকেও জানাতে হবে।



প্রেসক্লাবের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতীক অনশন করেছি আজ। প্রথম প্রচেষ্টায় তেমন জনসমাগম হবে না ভেবেছিলাম, কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে বেশ কিছু লোকজন জুটে গেলো আমার সাথে। তারা আমাকে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে লাগলো এ ব্যাপারে। এটাইতো আমি চাইছিলাম! কোত্থেকে অপরিচিত একটি পত্রিকার একজন সাংবাদিকও জুটে গেলো। স্বস্তির শ্বাস ফেললাম আমি। অপরিচিত পত্রিকা হোক, সাংবাদিক তো! প্রথম দফায় এর থেকে বেশি আর কী বা চাইতে পারি আমি! তবে ছোকড়ার প্রশ্ন করার ধরণ ভালো লাগলো না আমার কাছে। মর্মান্তিক বিষয়টার বেদনা সে উপলদ্ধি করতে পারছে বলে মনে হলো না। অবশ্য সাংবাদিকেরা এমনই হয়! সে আমাকে অস্বস্তিকর কিছু অনুসন্ধানী প্রশ্ন করতে লাগলো, যার কোন মানেই হয় না!

-আপনার পেটের সমস্যা কী এখনো আছে?

-না।

-আপনার চাচা কি তাঁর ঝুড়িভর্তি পেয়ারা নিয়ে এখনও আছেন বাসায়?

-না, নেই।

-তাহলে আপনার বর্তমানের পেয়ারা প্রাপ্তির উৎস কী? এখন তো সিজনও নেই।

-আমি তো এখন আর পেয়ারা খাই না!

-অন্যান্য কোন ভিটামন সি জাতীয় ফল/সবজির প্রতি এ্যাডিকশন?

-তাও নেই।

-তারপরেও আপনি যেহেতু বেশি খাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আপনার স্থূলতার জন্যে ভিটামিন সি কে দায়ী না করে নিজের রসনাকামনাকেই দায়ী করা উচিত নয় কি?

অত্যন্ত আক্রমণাত্মক প্রশ্ন। আমি বিস্মিত হয়ে যাই তার এহেন নির্দয় প্রশ্নবানে। মানুষের মধ্যে থেকে মানবিকতা উঠেই গেলো নাকি? চোখ ছলছল করে ওঠে আমার।

-দেখুন...

কিছু একটা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলি আমি। বাক্য অসম্পূর্ণই রয়ে যায়। তবে তা মাটিতে পড়তে দেয় না উপস্থিত আবেগপ্রবণ এবং সমব্যথী জনতা।

-একটা লোক ভিটামিন সি এর এ্যাডভার্স এফেক্টে বিপর্যস্ত আর আপনি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেরবার করছেন। উনাকে কি রিমান্ডে নিয়েছেন নাকি?

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক প্রতিবাদী তরুণের মার্জিত প্রতিবাদে শামিল হয় অন্যেরাও। সাংবাদিকদের নামে নানারকম কটূক্তি এবং দুয়োধ্বনির মাধ্যমে তারা তাকে অকুস্থল থেকে চলে যাবার আহবান জানায়। সাংবাদিকটি গতিক ভালো না বুঝে কেটে পড়ে। জনতার মধ্য থেকে স্থূলতম ব্যক্তিটি আমার কাছে এসে জড়িয়ে ধরে আবেগে।

-ভাই! আপনি যে কী ভালো একটি কাজ করছেন তা নিজেও জানেন না। সবাই আমাকে মোটা বলে ক্ষ্যাপায়। আমি নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম হরমোনাল প্রবলেম বলে। কিন্তু প্রতিবেলা কাচ্চির সাথে যে দুটো করে লেবু খাই এ কথা তো আমার মনেই আসে নি। আপনি আমাদের পথের দিশারী।

এটুকু বলার পর তার কন্ঠ থেকে আবেগের মেদ ঝরে পড়ায় তা ঝরঝরে শরীরের জোশ লাগা তেজালো স্বরে পরিণত হয়। সে উল্টোদিকে ঘুরে জনতার উদ্দেশ্যে শ্লোগান দেয়,

"ষড়যন্ত্রকারী ভিটামিন সি, নিপাত যাক নিপাত যাক!"

ততক্ষণে অনেকেই চলে গেছে তেমন মজা না পেয়ে। তাই পাল্টা শ্লোগান আসে খুব ক্ষীণস্বরে। আমি প্রথম দিনের সাফল্যে সন্তুষ্ট হয়ে স্থানত্যাগ করি। সামনে আরো অনেক কাজ পড়ে রয়েছে। সেসব নিয়ে ভাবতে হবে গভীরভাবে।



আজকের ঘটনার ছবি এবং আবেগপ্রবণ কিছু কথাবার্তা দিয়ে একটা ফেসবুক ইভেন্ট ক্রিয়েট করি আমি। ভিটামিন সি এর কারণে আমার ফুলে ফেঁপে ওঠা, সৌন্দর্যহানি এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিপত্তিসমূহ, যেমন বান্ধবী হারানো, বন্ধুদের টিটকারি, ইত্যাদি বর্ণনা করি সবিস্তারে। সেইসাথে সাবধান করে দেই যে কেউ এর শিকার হতে পারে যখন তখন। এ এক নীরব এবং ভয়াল ঘাতক। ইভেন্টটি আশাতীত সাড়া পায়। শেয়ারে শেয়ারে ভরে যায় ওয়াল। একজন নব্য সেলিব্রেটি কবি এটা নিয়ে নিম্নে উল্লেখিত কবিতাটি লিখে ফেললে সবার উৎসাহ তুঙ্গে ওঠে,



তুমি ভেবেছো বেশি খাও বলে স্থূল

ভুলেও করোনা এমন ভুলও

হয়তোবা ডাঁসা পেয়ারার বেশে

গলার ভেতর সেঁধিয়ে গেছে ক্ষুধাতুর ভিটামিন সি

নিশ্চুপ আজ মানবতা, নিশ্চুপ রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে থানার ওসি

জেগে ওঠো বন্ধুরা, বন্ধুর পথ দিতে হবে পাড়ি

শুলূকসন্ধানে হয়োনা তুমি আনাড়ী

(এক হাজার শেয়ার চাই)



কবিতার শেষ লাইনটি, "এক হাজার শেয়ার চাই" ছিলো খুবই স্ট্রাইকিং। মানুষের মধ্যে আলোড়ন তুলে তা ছড়িয়ে যেতে থাকে। কিছুদিন পর আমি ইভেন্টের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাওয়া কয়েকটা ছেলেকে ডেকে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে বলি। এবার আমাদের সময় হয়েছে বড় পরিসরে প্রেস কনফারেন্স করার।



প্রেস কনফারেন্সের দিন শহরে প্রচন্ড যানজট ছিলো। কোথায় যেন আগুন লেগেছে, সেজন্যে। আমরা বিরক্ত হতে থাকি। সময়মতো শুরু করতে না পারলে মিডিয়ার লোকজন ভালোভাবে ট্রিটমেন্ট দেবে না। আমাদের মধ্যে থেকে একজন খুব বোকার মত বলে ওঠে এইযে অগ্নিকান্ড, যানজট, বিল্ডিংধ্বস এসব নিয়েও আমাদের ভাবা উচিত। এসবের কারণ বের করে প্রতিবাদের সমাধানের জন্যে কিছু করা যায় কী না ভেবে দেখার অনুরোধ করলো সে। আমরা তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলাম। তুচ্ছ এবং গা সওয়া বিষয় নিয়ে কাজ করে কোন লাভ আছে? মিডিয়া দু পয়সা দাম দেবে না। আমাদের বর্তমান ভাবনার বিষয়টিতে স্থির থাকার জন্যে উপদেশ দেই আমরা তাকে। ততক্ষণে জ্যাম ছেড়ে গেছে। অগ্নিস্থলের পাশ দিয়েই আমাদের গাড়ি চলে যায় হুশ করে। আমরা মুগ্ধ হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা দেখি। হঠাৎ করে কাছাকাছি এসে যাওয়ায় আগুনের ভাঁপ গায়ে লাগলে আমরা ড্রাইভারকে দ্রুত গাড়ি চালানোর তাড়া দেই।



কনফারেন্সে আমাদের তরুণ সৈনিকরা চমৎকার সব ভাষণ দিতে থাকে। শুধুমাত্র ভিটামিন সি নিয়ে না, আমরা বৃহৎ পরিসরে আলোচনা করি। নিজেদের নানারকম অভিজ্ঞতার বয়ান এবং বিশ্লেষণ আর সাংবাদিকদের সাথে প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠানটি দারুণ জমে ওঠে। সমাপনী ভাষণটা দিতে গিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি।

-আমাদের এই এ্যান্টি ভিটামিন-সি ক্যাম্পেইন অনেকের চোখ খুলে দিয়েছে। আপনারা আজকে অনেকের কথা শুনলেন। অনেক কিছু জানলেন। অনেক অজানা অন্ধকারের দুয়ার খুলে গেলো। এই যেমন যে ছেলেটি পর্ণোহলিক, নিজেকে সে পারভার্ট ভেবে অনুশোচনায় ভুগতো। কিন্তু আমাদের ইভেন্টের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সে বুঝতে পেরেছে নিজেকে দোষ না দিয়ে কারণ অনুসন্ধান করে কিছু একটার ওপর চাপিয়ে দিলে কত ভালো থাকা যায়! সে এখন দৃপ্তকন্ঠে বলতে পারে, ছোটবেলায় তাকে বেশি মধু খাওয়ানোর ফলে তার যৌন উদ্দীপনা বেড়ে গেছে। তাই সে এত পর্ণ দেখে। এতে তার কোন দোষ নেই। এখন সে মধু খাওয়ানোকে দুষে তৃপ্তি করে পর্নো দেখতে পারে। কিংবা ধরুন সেই ছেলেটার কথা, মিথ্যা কথা বলে টাকা নেয়া যার অভ্যাস, সে বলতে পারে এটা তার রাজনীতিবিদ বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসুত্রে পেয়েছে। সেখানে তার কী করার আছে? সেভাবেই আমরা যারা স্থূল, তার পেছনে বেশি খাওয়াই কি কেবল কারণ? বেশি কেন খাই? ভিটামিন সি এর রূচিবর্ধকতার প্রভাবে। কেউ লেবু, কেউ পেয়ারা, কেউ বরই, কেউ আমলকি দ্বারা আক্রান্ত। তাই বেশি খাওয়ার জন্যে নিশ্চয়ই আমরা দায়ী হতে পারি না!

প্রবল করতালির মধ্যে হৃষ্টচিত্তে আমার বক্তব্য শেষ করি।



শীতকাল এসে গেছে। আমার জন্যে সুসময়। টাটকা শাক-সবজি আর ফলমূলে বাজার ভরপুর। টমেটো আর ফুলকপি দিয়ে রুইমাছ রান্না করা হবে আজ। আসন্ন ভোজের সুখকল্পনা করতে করতে শীতের সকালের পুষ্টিকর রোদ শরীরে নিচ্ছি। এই রোদে ভিটামিন ডি থাকে। ভিটামিন ডি এর ওভারডোজে অবশ্য কিডনীর সমস্যা দেখা দিতে পারে, আর্টারি হার্ডেনিং হতে পারে। তার জন্যে এই রোদ তোলা থাক। ইদানিং অধিকমাত্রায় মদ্যপান আর ধূমপানের কারণে অনেকেই আমার এসমস্ত অঙ্গ নিয়ে ভয় দেখানো কথাবার্তা বলছে। কখনও তেমন পরিস্থিতি এলে বলে দেবো যে এগুলো ভিটামিন ডি এর প্রভাব। শীতের সকালে রোদ তাপানোর জন্যে নিশ্চয়ই আমাকে দোষ দেয়া যায় না? আর তারপর আমার সাহায্যার্থে একটা ফেসবুক ইভেন্ট খুলবো। "ভিটামিন ডি এর ভয়ানক ছোবলে মুমূর্ষু একজনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন"। আমি ইদানিং সেলিব্রেটি হয়ে গিয়েছি। আমার জন্যে সাহায্যের অভাব হবে না। শীতের রোদে শরীর এলিয়ে দিয়ে টমেটো আর ফুলকপি দিয়ে তৈরি তরকারির সুখকল্পনার সাথে সন্ধ্যায় কারো কাছ থেকে একটা ভদকার বোতল ম্যানেজ করার ইচ্ছেসুখ যোগ হয়।

মন্তব্য ১৪৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: হ, এইযে আমাদের ফেবু-ব্লগাসক্তি এবং তুচ্ছ দায়িত্বসমুহ নিয়ে নিরাসক্তি এর পেছনে দায় আসলে আমাদের না, সুলেখক কতিপয় ব্লগার-ফেসবুকারদের ;)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলো।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
ছোট বেলায় অনেকে রাবার , পেন্সিল , টুথপেস্ট খেত আর আমি খেতাম কাঁচা টমেটো ! :!>

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: পুষ্টিবালক।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: হাহাহাহাহা , মজা পাইছি হামা ভাই

ফেবুতে প্রায়শই ডুকা হয় এর জন্য আমি দায়ী নই , দায়ী আমাদের এরিয়া । সেখানে পথে ঘাটে নেট প্রভাইডার । তারা আমাকে প্রলুব্ধ করছে লাইন নিতে । এই লাইনের ফলে ফেবু জ্বরে আমি আমরা আক্রান্ত :)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! কমেন্টে সবাই এরকম যার যার অজুহাত বলে গেলে ভালোই হয়! কারণ কিনা নিমু

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: গল্পের থিমটা দারুণ লেগেছে । তবে " কারণ ক্রেতা " শিরোনাম দেখে ঐ "কারণ" এর কথা ভেবেছিলাম ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। কোন কারণের কথা বললেন ঠিক বুঝলাম না।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মজা পাইসি, হেহেহ ॥

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও মজা পাইসি লিখে।

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ মজা পেলুম।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্তির।

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

ধূর্ত উঁই বলেছেন: সুন্দর ভাল লেগেছে। :)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দ্বিমুখী ইভেন্ট আয়োজক ও দেখেছি কিছু।
পক্ষেও আছে, বিপক্ষেও তার সমর্থন আছে।
তবে এসব মিস করতে কম চাই বলেই আছি :)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে দূর্জয়, এখানে ফেসবুক ইভেন্টের থিমটা অক্সিলারি। মূল বিষয়টা হলো নিজেদের অপরাধের মুখোমুখি হতে ভয় পাওয়া, এড়িয়ে গিয়ে নতুন ব্যাখ্যা প্রদান করে ব্যাপারটাকে ভালো শেইপ দিয়ে অপরাধকে জায়েজ করার চেষ্টা।

৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: শো কেইস এ রাখলাম। আস্তে আস্তে পড়ব। :)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরোটা পড়া হলে জানায়েন। শুভেচ্ছা।

১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

ড. জেকিল বলেছেন: ভিটামিন সি এই পোস্ট দেখে ক্ষেপে না যায় আবার।

বেশি পেয়ারা খাওয়ার একটা ক্যম্পেইন করবো ভাবতেছি। আপনি আবার আমার সাথে কলিশন বাধায়ে দিয়েননা। :P

রোদ পোহাতে আজকাল ভালোয় লাগে। কিন্তু নিয়ে দিয়ে তো মোটে দুইটাই কিডনি .................. ভয় লাগে :(( :((

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! প্রথমে ভাবসিলাম গল্পের নাম দিবো ভিটামিন সি বিষয়ক বিহবলতা! সেটা দিলেই মনে হয় ভালো হতো।

রোদ পোহানোর ব্যাপারে সাবধান!

১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

প‌্যাপিলন বলেছেন: আহ ফুলকপি :( :( পেইনজনিত কারণে নিষিদ্ধ খাদ্যদ্রব্যের তালিকায় প্রথম সারিতে...ডাক্তারের বিরুদ্ধে সত্যিই মানববন্ধন করতে মন চাইছিল...গল্প ব্যাপক ভাল্লাগছে..

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ফুলকপি আমারও প্রিয় খুব।

১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: দিনে দুই বেলা কাচ্চিতে সমস্যা নাই, সাথে দুই টুকরো লেবুতে যত দোষ! সেরা তৃতীয় হাত (অজুহাত!) :P

আমার রসনাবিলাস চরম, বিএমআই ইনডেক্সে অবেসিটির রেড লাইন পেরিয়েছি এক যুগ আগে । এর জন্য কি কারণ দেয়া যায়? আমার কোন দোষ নাই, পূর্বপুরুষের খাই খাই রসনা চর্চাই এর কারণ :-* :-B

সূক্ষ্ণ এবং খুব তীর্যক স্যাটেয়ার! গল্পে ফেলা যায় কি?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: দিনে দুই বেলা কাচ্ছি! বলেন কী! :|

এটাকে অবশ্যই গল্প বলবো। স্যাটায়ারধর্মী গল্প।

অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।

১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাল রাতে পড়েছিলাম। অজুহাতের স্যাটায়ার।

দোষ করলেও তাহলে দোষ হয় না দেখা যাচ্ছে! যত দোষ ঐ অজুহাত ব্যাটার।

ভালো লেগেছে পড়তে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস অপর্ণা। শুভেচ্ছা।

১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

জিএম শুভ বলেছেন: মজা পাইলাম...আচ্ছা সেলেব্রিটি রোগটা উপশমের কোনো উপায় আছে??? 8-|

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু। সেলিব্রেটি ভালা জিনিস। ইহাকে রোগ ভাবিবেন না!

১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: বাংলা মদকে "কারণ" বলে । কালী পূজায় কারণ খাওয়া হয় ! ;)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো একটা জিনিস শিখলাম। তয় 'কারণ' খামু না। সহ্য হৈবো না।

১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

লালপরী বলেছেন: ভাললাগলো আপনার মজার গল্প :)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ লালপরী। স্বাগতম আমার ব্লগে।

১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
এই রকম যদি অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দেয়া যেত তবে মন্দ কিছু ছিলো না। B-)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সিস্টেম জানতে হৈবেক!

১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। নামটা ভালো লাগল। গল্পের কথা আর কি বলব বলেন, অযুহাত! সে তো আমার বেশ প্রিয় জিনিস। :P


আর হামা ভাই আর একটা বলতে চাচ্ছি, তাহলো, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে গত কয়েকটা গল্পের সূচনা অনেকটা প্রায় একই রকম ভাবে হচ্ছে। মানে অনেকটা একই ভাবে বর্নিত হচ্ছে। আসলেই কি তাই? নাকি ব্যাপারটা সম্পূর্ন কাকতালীয়।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস কাভা।

ভেবে দেখলাম আপনি ভুল বলেন নি। লাস্ট চারটা গল্পের শুরুই উত্তম পুরুষ দিয়ে, এবং 'আমি' 'আমার' জাতীয় শব্দ বেশি। ব্যাপারটা আসলেই একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে চমৎকার একটা বিষয় নোট করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

শুভসন্ধ্যা।

১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

সোমহেপি বলেছেন: শেষ লাইনটা ভাল হইছে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু।

২০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

মায়াবী ছায়া বলেছেন: বাহ্...... বেশ মজা পেলাম :)
ভাল থাকুন ।।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।

২১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
নামটা সুন্দর
ছবিটা সুন্দর
লেখাটাও উপভোগ্য

শুভকামনা হাসান ভাই!!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।

২২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: বেশ মজা পেলুম!! :-B

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু!

২৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমার ফেসবুক আসক্তির কারণ টিম বারনারস লি নামের এক ভদ্দরনক ইন্টারনেট নামক একটু আজিব জিনিস আবিষ্কার করেছেন!!!! :-<

গল্প পড়ে ভয়াবহ মজা পেয়েছি, এটার কারণ কি হতে পারে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত !!!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: MAIDS(Mobile and Internet Dependency Syndrome) হৈব।

২৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

সোমহেপি বলেছেন: লিখার মইধ্যে নতুনত্ব আছে কিন্ত্তক গভীরত্ব নাই। হালকা।

কিছুটা বিভ্রান্তিকর। কখনো মনে হইছে সাটায়ার আবার কখনো রম্য আবার শেষে আইসা অন্য একটা সুর কাজ করেছে।

তয় আমি বুছছি।

আজাইরা প্রলাপ/ কর্ম কাহিনী ।টক শো প‌্যাচাল ইত্যাদি বিষয়ক বিষয় নিয়া আপনের লিখা। লিখক এইবার কইন ঠিক আছে?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সবসময় গভীর লেখা লিখতে হবে এমন কোনো কথা নাই। এখানে মূল বিষয়টা হলো নিজেদের অপরাধের মুখোমুখি হতে ভয় পাওয়া, এড়িয়ে গিয়ে নতুন ব্যাখ্যা প্রদান করে ব্যাপারটাকে ভালো শেইপ দিয়ে অপরাধকে জায়েজ করার চেষ্টা।

২৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

সোমহেপি বলেছেন: সত্যকে আড়াল করে ত্যানা প‌্যাচানো ?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক সেভাবে ভাবি নাই। এভাবে ভাবো, সত্যকে আড়াল করে অনুশোচনাকে কবর দিয়ে অপরাধী হবার লাইসেন্স নবায়ন করা।

২৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: কেন দেরিতে পড়লাম....দিমু নি একখান অজুহাত? ;)

গল্পটা মজার....
শুভেচ্ছা ভাইজান!



‘ওবেসিটি’ নিয়ে একটু বলে যাচ্ছি: আমি আজকাল ওবেসিটি এবং ঢাকা সিটি উভয় শহরেরই কাছে ;)
-দোয়া কাম্য!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা মজার... আপনিও মজার! রসবোধে মুগ্ধ। শুভেচ্ছা!

২৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কারণসমূহের কারণসুধায় পরিণত হবার কারণে গল্প নিখুঁত স্যাটায়ারে রূপান্তরিত হল! এর পেছনের হতাশাটা ঠিকই ফুটে উঠেছে স্বচ্ছন্দে।

শুভরাত্রি।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর। আমার লেখাগুলো এত ভালোভাবে রিলেট করেন আপনি, অবাক ও কৃতজ্ঞ হই।

২৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অনেক মজা পাবার মত একটা লেখা।

শুভেচ্ছা রইলো।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

২৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মাঝরাতে মজা দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ !

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ সকাল। সারাটা দিনও আনন্দেই কাটুক।

৩০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

অদৃশ্য বলেছেন:





লিখাটা খুব পছন্দ হইছে হাসান ভাই... যথেষ্ট রসসমৃদ্ধি মজাদার লিখা



শুভকামনা...

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য। শুভকামনা।

৩১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

সাদরিল বলেছেন: আমাদের মধ্যে থেকে একজন খুব বোকার মত বলে ওঠে এইযে অগ্নিকান্ড, যানজট, বিল্ডিংধ্বস এসব নিয়েও আমাদের ভাবা উচিত। এসবের কারণ বের করে প্রতিবাদের সমাধানের জন্যে কিছু করা যায় কী না ভেবে দেখার অনুরোধ করলো সে। আমরা তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলাম। তুচ্ছ এবং গা সওয়া বিষয় নিয়ে কাজ করে কোন লাভ আছে? মিডিয়া দু পয়সা দাম দেবে না।

আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে এই কয়টিই লাইনই পুরো গল্পের সম্ভাব্য সামারাইজেশন।

ভিটামিন সি সিভিট চুষতে চুষতে গল্পটা পড়লাম। দারুন গল্প।



১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি ঠিকই ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৩২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কালোপরী বলেছেন: :)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ আবার! আপনের না মুখে বোল ফুটসিলো?

৩৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সেই আদিম যুগ থেকে দেখে আসছি - যে কোন কিছু একটার উপর চাপিয়ে দিয়ে পাবলিক নিজের আকাম কুকাম যায়েজ করার টেন্ডেসিটা।

আর আজকাল ইভেন্ট খুলা আর সেলেব্রেটি হওয়ার টেন্ডেসিটা খুব চোখে পড়ে!

গপ ভালা পাইছি

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পের মেসেজটা ভাল লেগেছে। যাক বাবা, কোন কিছুর উপর ঝেড়ে দিতে পারলেই হলো, তারপর নিশ্চিন্তে টানতে থাক।
এ্যান্টি ভিটামিন-সি ক্যাম্পেইন পড়ে কিছুক্ষণ হাসলাম! :)

দুইটা ইনফো, ভিটামিন সি কি আসলেই ক্ষুদা বাড়ায়? আর ভিটামিন ডির ওভারডোস কি আসলেই কিডনির জন্য ক্ষতিকর? যাস্ট কউরিসিটি।

গল্পের ব্যাপারে বলতে গেলে কেন যেন খুব একটা ভাল লাগেনি; ঠিক যেন হাসান মাহবুবিয় লাগেনি পড়ার সময়। কি জানি! হয়তো আমার নিজেরই সমস্যা, তোমার পোষ্টে ঢুকিই অনেক বেশি প্রত্যাশা নিয়ে!

ভাল থাক, প্রিয় গল্পকার; শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: খোলামেলা মন্তব্যের জনয়ে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভিটামিন সি খেলে আমার তো ক্ষুধা বাড়ে! সত্যি কথা বলতে কী, মাঝখানে আমি অনেক পেয়ারা খাবার ফলে অনেক ক্ষুধা অর্জন করেছিলাম, যার ফলে ওজন বেড়ে গেছে... হাহাহা!

ভিটামিন ডি এর ব্যাপারটা গুগল ঘেঁটে দেখেছি লেখার আগে। হ্যাঁ, সত্যিই ওরকম হয়।

শুভসকাল!

৩৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দারুন লেগেছে, আপনার আগের পড়া গল্প গুলোর মতই সুলিখিত, আকারে প্রকারে যতই বড় হোক না কেন ধরলে শেষ না করে ছাড়া যায় না।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা।

৩৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

মশিকুর বলেছেন:
সবার পুত্তুম আমিই পরছিলাম, কিন্তু হরতালের কারনে মন্তব্য করতে দেরি হইলো।

"নিজেকে দোষ না দিয়ে কারণ অনুসন্ধান করে কিছু একটার ওপর চাপিয়ে দিলে কত ভালো থাকা যায়!"


বর্তমান জনজীবনে অজুহাত একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ। বামহাত, ডানহাতও এত গুরুত্বপূর্ণ না। বামহাত, ডানহাত না থকলেও অজুহাত আমাদের লাগবেই লাগবে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! হরতালের কারণে লেট :#)

থেংকু। ভালো কাটুক দিন।

৩৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

গোর্কি বলেছেন:
আগে খেয়ে পরে দাম / তারপরে তে কোম্পানির বদনাম।
অন্য কারো ইচ্ছায় কর্ম সাধন। আমি তো অজুহাত মাত্র।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটাই! শুভকামনা গোর্কি।

৩৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৮

তওসীফ সাদাত বলেছেন: গল্প চমৎকার।

থিম টা বিশেষ করে। :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস তওসীফ। শুভসকাল।

৩৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: সেই মানের ভাল হইছে!!!!!!!



বি দ্রঃহামা ভাই,আপ্নার গল্পের ধরনগুলা আমি ফলো করা শুরু করছি।এখন বুদ্ধি কম তাই লিখতে পারতেছি না।বছরখানেক পর বুদ্ধিসুদ্ধি বাড়লে ওম্নে লিখুম। B-)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু। আমার লেখা খুব বুদ্ধিদীপ্ত কিছু না। সব ভুগিজুগি :-<

৪০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হাসান ভাই এমন সেলিব্রেটি হয়ে কি লাভ যদি মানুষের প্রকৃত উপকারে নাই আসা গেলো। তার চেয়ে বরং সাধারন মানুষ হিসেবে প্রয়োজনে নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে হলেও যদি কারও উপকার করা যায় তবেই জীবনে সার্থকতা ও শান্তি।

আপনার সাথে কখনও এক কাপ চা খেয়ে আড্ডা দেয়ার ইচ্ছে রাখি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশ্চয়ই। হবে একদিন। শুভেচ্ছা।

৪১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৯

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: হা হা হা! দারুন!
আমার পেট ঠিকঠাক পরিস্কার হতে চায় না। আর খাওয়ার রুচিও ভাল না। পেয়ারা তে কি উপকার পেতে পারি? প্রশ্নটা কিন্তু সিরিয়াস ;)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আমি কিন্তু উপকার পেয়েছি। গল্পের মূল চরিত্রতো আমিই B-)

৪২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

সায়েম মুন বলেছেন: উদরপিন্ডি বুদোর ঘাড়ে! #:-S

স্যাটায়ার মজার হৈছে। অনেক মজাক পাইছি।

আপনে অবশ্য যতই খান না কেন মডু হৈতে পারবেন না। 8-|

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: বুধোমিয়া থাকতে আমগো চিন্তা কী! :#)

মডু হবার ব্যাপারটা বুঝলাম না। :|

৪৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

সায়েম মুন বলেছেন: পেয়ার খাওয়ায় পেট পরিস্কার হয় এটা অবশ্য সইত্য কথা। কিন্তু ভসভসে খসখসে পেয়ারারই আজকাল যে দাম সেই দামে এক প্লেট কাচ্চি অনায়াসে গলাধকরণ করা যেতে পারে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ। আউট অফ সিজন হয়ে যাচ্ছে। বড় দুঃখে আছি :(

৪৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

ডানাহীন বলেছেন: কারন ছাড়া নাকি এই জগতে কুটোটিও নড়ে না .. এ তো সামান্য অজুহাত মাত্র ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অজস্র কারণ ছড়িয়ে আছে। বেছে নিন ইচ্ছেমত!

শুভসকাল।

৪৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক দেরীতে পড়া হলো বলে দুঃখিত। আপনার নামকরন সবসময় অন্যরকম এবং আকর্ষনীয়।
স্যাটায়ারধর্মী গল্পটা অবশ্যই অসাধারন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

৪৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: :D :D যাই ঘটুক দোষ আর একজনকে দিতে হবে

মজা পেলাম বেশ

গল্পে ভালো লাগা

ভালো থাকুন বেশী করে খাবেন যাতে আরও একটা এমন মুটিয়ে যাওয়া গল্প পাই ;)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। মোটাসোটা গল্প লেখার প্ল্যান আছে। দেখি!

৪৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

সায়েম মুন বলেছেন: ৪২ নং কমেন্টের পরের অংশটা অফটপিকের। #:-S

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: B:-)

৪৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৮

সকাল রয় বলেছেন:
সমসামায়িক।

গল্পটা পড়ে অন্যরকম লাগলো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৪৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~
মজা পাইলাম অনেক ভাইয়া

তবে মনে হয় ভিটামিন সি খাওয়া কমাতে হবে
ভয় লাগসে একটু :|| /:)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! মজা ভয় দুইটাই লাগসে। শুভদুপুর।

৫০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

অচিন্ত্য বলেছেন: চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় ছোটবেলায় বাবা শিখিয়েছিল। বহু বছর পর আবার পড়লাম। হাহ হাহ সাংবাদিকের জেরার বর্ণনা শুনে সুন্নী মাহা'র ছবিটা ভেসে উঠল। খুব মজা পেলাম পড়ে। হালকা মেজাজের গল্প হলেও কটাক্ষের আভাষ আছে। বেশ হয়েছে।

পুনশ্চঃ আমাদের ব্লগাসক্তির জন্য কি শুধু ক্ষয়ে যাওয়া মূল্যবোধই
দায়ী ? কদাচ নহে। এজন্য ব্লগের গল্পকাররা দায়ী। গল্পকার হইতে সাবধান- এই শিরোনামে একটা ফেসবুক পাতা খোলা দরকার। দরকারে অনশন, প্রেস কনফারেন্স, লং মার্চ...

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্নি মাহা তোমার মাথায় বেশ ভালোই গেড়ে বসেছে দেখছি! গল্পকার তো তুমিও! মাহফুজ আর অনন্ত জলিলকে নিয়ে লেখাটা নামায়ে ফেলো!

৫১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

আমিজমিদার বলেছেন: আপ্নের লেখা ভুগিজুগি। কিচ্ছু বুঝি না!! প্লাস দেইনাই :)

কিন্তু মজা পাইছি পইড়া। সিরিয়াস, আমিও লেখুম। এই রকম লেখা কেম্নে লেখা যায়, কিছু সাজেশন দেন (অ্যাটলিস্ট ৫টা পয়েন্ট কইবেন!)।



২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই সহজ লেখাটাকেও দুর্বোধ্যতার দায়ে দোষী করলেন! যাই হোক মজা পাওয়াটাই মূল কথা।

আপনি লিখবেন, বেশ ভালো কথা। আমাকে পাঁচটি পয়েন্ট বলতে বলেছেন দেখে বলছি। না বললে আবার মাইন্ড করবেন বলে। আসলে টিপস দিয়ে কি লেখক বানানো যায়?

১/প্রচুর পড়বেন
২/প্রচুর দেখবেন
৩/পড়া আর দেখার মাঝে সমন্বয় করবেন।
৪/ সমন্বিত বস্তুকে সম্প্রসারিত করবেন।
৫/প্রচুর ভাববেন। একটা সাধারণ দৃশ্য, ঘটনা বা অনুভূতিকে কীভাবে গল্পে রূপদান করা যায় চিন্তা করবেন।

শুভকামনা।

৫২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

আমিজমিদার বলেছেন: অনেক থ্যাংকস। আর তুমি কৈরা কইবেন- আমি কেবল ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা।

৫৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্পটা খুব উপভোগ করেছি । মাঝে মাঝে এমন গল্প পড়তে ভাল লাগে ।

ভিটামিন সি কে বাহন করে গল্প বলার কায়দাটায় মুগ্ধতা রইল । আপনার কাছ হতে সবসময়েই কিছু না কিছু শিখা যায় ।

সমন্বিত বস্তুকে সম্প্রসারিত করবেন । এ কথাটা বুঝিনি । ভাল থাকুন হাসান ভাই , শুভকামনা রইল । ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানে ভাবনার ডালপালা বিস্তারের কথা বলেছি। ধরুন আপনি একটি টিয়াপাখি দেখলেন। তার গান শুনলেন। এটা আপনার মধ্যে একটা অনুভূতি সৃষ্টি করলো। এই দেখা আর শোনার সম্মিলিত মানষিক অবস্থাকে লিখুন। এবার গল্পে রূপ দেবার পালা। টিয়াপাখি দেখে আপনার কি মনে হয়েছে? গান শুনে আপনার কেমন লেগেছে? এসবের সাথে আর কী কী জড়িত? মনে করুন। ছেলেবেলার সাথে কোন সংযোগ আছে? পাখিবিক্রেতার সাথে কি কারো মিল পান? পাখি দেখার সময় এবং তার পূর্বাপর মানসিক অবস্থা কেমন ছিলো? এভাবেই দেখা এবং শোনার সমন্বিত অনুভূতিকে সম্প্রসারণ করতে বলেছি।

পাঠের জন্যে অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ।

৫৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হা হা হা! গল্পটা খুবই চমৎকার লাগলো। একটা অমায়িক তীর্যক চপেটাঘাত হিসেবেই ভেবে নিলাম।

:)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: না না! তোমার নরম গালে আমি থাব্রাইতে পারমু না। এ হয় না।

৫৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,


একটি সত্য কথা বলে ফেলেছেন - কোনও দোষ না দিয়ে কারণ অনুসন্ধান করে কিছু একটার ওপর চাপিয়ে দিলে কত ভালো থাকা যায় !

যেমোন - .......টমেটো আর ফুলকপি দিয়ে তৈরি তরকারির সুখকল্পনার সাথে সন্ধ্যায় কারো কাছ থেকে একটা ভদকার বোতল ম্যানেজ করার ইচ্ছেসুখ যোগ হয় .... এমোন ইচ্ছেরা যখোন ফেল্টুস মারবে তখোন সবটাই "তকদীর" এর উপর চাপিয়ে দিয়ে বেশ মোল্লা মোল্লা একটা ভাব নেবেন । ( হা.....হা.....হা .....)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: তা আর বলতে! শুভরাত।

৫৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ মানানসই লেখা
ধন্যবাদ লেখায়
শুভকামনা

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ সকাল।

৫৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

অ্যানোনিমাস বলেছেন: পেয়ারার যে দাম এখন। তার থেকে আপেল কেনা ভালো। দেশী ফলের এত্ত দাম হলে খাবার দরকার নাই। চমতকার পোস্টে প্লাস। পড়ে ভাবছিলাম এমন একটা ইভেন্ট খুললেও খোলা যায় B-)

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আসো একটা ইভেন্ট খুলি। আজকাল ব্যতিক্রমী ইভেন্ট না খুললে দাম নাই :-<

৫৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বেশ কিছুদিন পর আপনার গল্প পড়লাম ভাইয়া। তুলনামূলক অনেক সহজেই বুঝতে পেরেছি এই গল্পটা। চমৎকার একটা স্যাটায়ার !!

অনেক ভালো লাগলো :)


অজুহাতের জয় হোক B-) B-)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: জয় হোক। শুভসকাল।

৫৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: কলমধারী(অথবা কীবোর্ড) সন্ত্রাসীদের জন্যে ধিক্কার; আর আপনাকে অসংখ্য সাধুবাদ! :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

৬০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

কালীদাস বলেছেন: ফিনিশিং-এ হিমুর ছায়া দেখলাম :)
ইয়ে, গত দুই মাসে আমার ওজনও বেড়েছে তিন কেজি :!>

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হিমু!

আমারো বাড়সে #:-S

৬১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

রুপ।ই বলেছেন: চরম ++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রুপাই। শুভরাত্রি।

৬২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভিটামিন সি আর ডি মিশিয়ে গল্পটা চমৎকার!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৬৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

গল্প প্রসঙ্গে আসলে কি বলা যায় বুঝতেছি না।

১০১ নং কমেন্টের আন্সারে প্লাস।
টিপস গুলা দারুন ছিল।
৪নং টিপস টা আরও একটু খোলাসা করলে ভাল হয় হামা ভাই।
ভাল থাকেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমার কনফিজড মতামত আমাকেও কনফিউজড করে দিলো।

গল্পের ব্যাপারে আমি টিপস দেয়ার কে নাজিম! তাও লজ্জা শরম বিসর্জন দিয়ে সাহস করে কিছু বলেছিলাম। আরো কিছু বলতে বলে আমাকে অপ্রস্তুত করো না।

৬৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অন্তর্জাল প্রজন্মের এখন আর পেয়ারার অভাব নাই। এক একটা পেয়ারা থেকে তৈরি হয় কত শত বিদ্রোহী, বুদ্ধিজীবী, টক শো আর্টিস্ট। পেয়ারা চেঞ্জ হয়ে যায় ভিটামিন ডি তে, শুধু চেঞ্জ হয় না পেয়ারা খাদক আর সুযোগ সন্ধানী রা।

অনেক দিন পরে ব্লগে ঢুকলাম হামা ভাই, আর ঢুকেই তোমার গল্প, আহা :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ বলেছো ভ্রাতা। নিয়মিত হয়ে যাও আবার। তোমাকে মিস করি।

৬৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তবে শিরোণাম টা বেশী জোস হইসে ব্রো :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু!

৬৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

আরজু পনি বলেছেন:
:(

ঘরের কথা পরে জানলো কেম্নে !

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি কিছু জানি না। সত্যি!

৬৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
মুগ্ধতা আবারও।

ভাল লাগল গল্পটা। খাওন-দাওনের কথা তো বেশ ভালই কইলেন!

হামা ভাই আপনার 'অগ্নিঘড়ির ডায়াল' গল্পটা সাহিত্য কাগজ আনতারা'য় প্রিন্ট হইছে। আপনাকে কেমনে পাঠানো...

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

ফেবুতে যোগাযোগ করেন। বলে দিবো।

৬৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০১

অযুত বলেছেন: মজা পেলুম। B-)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধইন্যা B-))

৬৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

পুলক ঢালী বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার একটা সহজবোধ্য লেখা পড়লাম । মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি যা ভাবছিলাম তা একজন লিখে ফেলেছে । যাই হোক সহজের ভিতরেও তীর্যক খোচাটা ঠিকই আছে । ধন্যবাদ ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।

৭০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০

জাফরিন বলেছেন: কিছু মন্তব্য থেকে লেখার উন্নতি করার বিষয়ে টিপস পেলাম। অনেক কিছু শিখলাম। ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় এসবের পাশাপাশি সবকিছু একটু অন্য রকম ভাবে- খানিকটা গভীর ভাবে চিন্তার চর্চা করলে ভাল লেখা যায়। আর যে কোনো মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, তাদের অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করারও জরুরী, তাই না ভাইয়া?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই বলেছো। বই পাঠ করে যত না শেখা যায় মানুষকে পাঠ করে তার চেয়ে অনেক বেশি শেখা যায়। শিখসো, এখন এ্যাপ্লাই করো। একটা গল্প লিখে ফেলো!

৭১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১

রাহি বলেছেন: চমৎকার স্যাটায়ার। এইসব পেয়ারাখাদক আজ অলিতে গলিতে। ভালো থাকবেন ভ্রাতঃ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা ভ্রাতা।

৭২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: খাদ্যের দুষ্টচক্র :D :D

স্যাটায়ার, মেটাফোর সবই চমৎকার হইসে। আর আঞ্চলিক ভাষার উপরে আসলেই আপনার দখলদারিত্ব প্রচুর। পরপর দু'টো গল্পে অসাধারণ ব্যবহার করেছেন।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু! আঞ্চলিক ভাষা মানে ঐ পাবনা-কুষ্টিয়া-যশোর-খুলনা রিজিওনেরটা খুব ভালো পারি। দেশের বাড়ি, উচ্চশিক্ষা সব এইখানে তো, না পাইরে উপায় নেই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.