নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

থেকো আগ্নেয় শহরে অপেক্ষমান

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১



আমাদের অবরুদ্ধ শহরে হেমন্তের হিমেল প্রশান্তিময় হাওয়া প্রবেশ করতে গিয়ে গোত্তা খেয়ে অপ্রস্তুত হয়ে যায়। সে দেখে এই শহরে মানুষের শ্বাসনালী পুড়ছে, মানুষের গা থেকে গ্রিলড খাদ্যবস্তুর উৎকট গন্ধ বেরুচ্ছে। আর সেখানে হামলে পড়ে মাংস খুবলে খাচ্ছে আগুনপোকা। আগ্নেয় শহরে স্বজনের উৎকন্ঠা আর শোকের তাপ যুক্ত হয়ে বাড়িয়ে দেয় স্ফুটনাঙ্ক। আর তাই, অনলবর্ষী কৌটোর উৎক্ষেপন আর উল্লাসের ধাক্কা সয়েও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে শহর এবং শহরবাসী। তারা এক আশ্চর্য কঠিন পদার্থ। অজস্র অগ্নুৎপাতের পরেও ফোটে না, গলে না, আরো আগ্নেয় উৎসবের সুযোগ করে দেয় কেবল। পালা-পার্বণের মতো চলে আসে অনলঋতু, চারিদিকে পেট্রলের পুষ্প, ককটেলের বৃক্ষ। এমন বিরুদ্ধ পরিবেশে হেমন্ত, নবান্ন, শীতের সকালের মিঠে রোদ, এসব শব্দ হাস্যকর হলেও তাত্ত্বিকভাবে বেঁচে থাকে।



বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে বিভাজিত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। গোলাপি মসনদে বসা রাণীর নির্দেশে মহান সচিব যখন দুয়েকটা যানবহন ভাঙা অপ্রতুল বোধ করে আরো বৃহত্তর নাশকতার নির্দেশ দেন, স্বাভাবিকভাবেই বোমাবাজির হোতা হিসেবে তার নাম চলে আসে। দলের সাঙ্গপাঙ্গরা তখন ব্যাপারটিকে লঘু করতে স্মরণ করিয়ে দেয় যে আরো এক যুগ আগে প্রতিপক্ষের নির্দেশে এমনতর ঘটনায় এর চেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলো। তাই এই ঘটনার লঘুতা তাদের মধ্যে প্রশান্তির সুবাতাস এনে দেয়। তারা হেমন্তসন্ধ্যার ওম উপভোগ করে পেট্রোলপুষ্প পকেটে নিয়ে। আরেকদলের উল্লাসও কম না। প্রতিপক্ষের কুকীর্তি তাদেরকে কিছু ব্যালট উপহার দেবে এই সুখস্বপ্নে মজে থেকে তারা হ্রদের ধারে বসে বাদাম চিবোয়। এদেরকে বাদ দিলে, অবশ্য এদের বাদ দিলে যারা থাকে তাদের প্রতিক্রিয়াকে ধর্তব্য বলে অন্তত এই মুহূর্তে উভয় দলের কেউই মনে করে না। এখানে মিলে যায় তাদের মিত্রতা, অদৃশ্য চিয়ার্সে নরক থেকে চিয়ারগার্লরা নেমে এসে উদযাপন শুরু করে এই শহরে। রাত্তির ঘনিয়ে এলে বাসায় না ফেরা মানুষটির জন্যে স্বজনদের উৎকন্ঠাকে নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ধরে নেয়া যায়।



এখন সন্ধ্যা মানেই সন্দেহের কাল। বিকেলের ক্ষয়ারোদ ফুরিয়ে সন্ধ্যা নামলে বন্ধ্যা হয়ে যায় আলোককেন্দ্রগুলো। আঁধারে পথ হারানোর বা মরণঘাতী পেট্রলপুষ্পের কবলে পড়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়। তাই সন্ধ্যা নামলে শারমীন তার বেসরকারী অফিসের চাকুরে স্বামীর জন্যে উৎকন্ঠামিশ্রিত অপেক্ষা শুরু করে। সাধারণত শিমুল ছয়টার মধ্যেই ঘরে ফেরে। আজ ছয়টা পার হয়ে পাঁচ মিনিট পনের সেকেন্ড, এখনও ফিরলো না। শারমীন উদ্বিগ্ন হয় কিছুটা। অবরুদ্ধ শহরের একজন সুখী বাসিন্দা নওশাদ, তার ছোট ভাই, ক্লাশ বন্ধ থাকার কারণে যে মনের সুখে কম্পিউটারে সিনেমা দেখে নিজেকে শিল্পোন্নত করছে, সে বোনের অকারণ উদ্বেগ দেখে তাকে সাহস দেয়,

-আরে এত অল্পে উতলা হলে চলবে? রাস্তায় জ্যাম নেই এখন বটে, কিন্তু বাস পাওয়াও তো মুশকিল, সেটা ভাববে না? চলে আসবে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই। ধৈর্য্য ধর।



সাড়ে ছটা বেজে গেলেও শিমুল না ফিরলে শারমীন টেলিভিশনের হাস্যরসাত্মক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে মজে থাকার বৃথা চেষ্টা বাদ দিয়ে ফোন করে। ফোন বাজছে। রিং। রিং। রিং। রিং...



চারবার রিং হলো এখনও ধরছে না কেন? সে তো সাধারণত তিনবারের মধ্যেই ধরে। বাহিরের উচ্চ কোলাহলের কারণে শুনতে পাচ্ছে না? কিন্তু ফোনের ভাইব্রেশন অন থাকার কথা তো! আর সে পরেও আঁটোসাঁটো পকেটঅলা প্যান্ট। টের না পাবার কোন কারণ নেই। চতুর্থ আর পঞ্চম রিংয়ের মাঝের যতকিঞ্চিৎ সময়টাতে ভাবনার ঝড় বয়ে যায় শারমীনের মনে।



রিং। রিং।



কেটে গেলো ফোন। ধরলো না কেন? ফোন মিউট হয়ে গেছে কোনভাবে? ভাইব্রেশন বন্ধ হয়ে গেছে? শিমুলের বিলম্বের সাথে ফোন না ধরা, এই দুই মিলে তার মনে এক পশলা অন্ধকারের বৃষ্টি ঝরায়। আবার ডায়াল করার সাহস হয় না তার। যদি ফোন না ধরে? আরো আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে ফোন করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে আর জোর করেও মন বসানো যাচ্ছে না। সে খবরের চ্যানেল দেয়। নওশাদও সিনেমা দেখা বন্ধ করে খবর দেখতে বসে।



রাজধানী পেরিয়ে মফস্বঃল, রাজপথ থেকে মহাসড়ক, সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। জেলাওয়ারী আহত, নিহত আর ধ্বংসের সংখ্যায় কেউ যেন পিছিয়ে থাকতে চায় না। সাড়ে সাতটা বেজে গেছে। উদ্বেগাকুল মুখে সে ফোনটা হাতে নেয়। ডায়াল করে শিমুলের নাম্বারে। ছয়টা সুদীর্ঘ রিং এর শব্দ হয়। কেউ ধরে না। ওদিকে টিভিতে ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছে,

"শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ। ১৯ যাত্রী দগ্ধ"। শিমুলের বিলম্ব, ফোন না ধরা এসব মিলিয়ে যে জটিল অবস্থার উদ্ভব হয়েছিলো তাকে আরো বাড়িয়ে দেয় খবরটি। কারণ মতিঝিল থেকে মিরপুরে আসতে হলে শাহবাগ হয়েই তো আসতে হয়!



পোড়া মানুষদের কোন তালিকা পাওয়া যায় না। শুধু কিছু সংখ্যা-১৯ বা ১৮ লুকোচুরি খেলতে থাকে তাদের সাথে। সংখ্যাগুলোর অফুরন্ত দম। টিভির টেলপে ছুটে চলে বিরতিহীন। সংখ্যাগুলো কৌশলী। অশ্রু, অপেক্ষা, উৎকন্ঠা; কোন কনভার্টার দিয়েই তাদেরকে সংখ্যাবাচক শব্দ থেকে নামবাচকে পরিবর্তিত করা যায় না। ফোন বেজে চলে শিমুলের নাম্বারে, কেউ ধরছে না। নওশাদ সন্ধ্যার এই সময়টায় সিনেমা দেখার বিরতিতে চা সংযোগে টিভি দেখে খানিক। তার ভেতর উপলদ্ধি জাগ্রত হয় , সিনেমা দেখার বিরতিটা প্রলম্বিত করা উচিত উৎকন্ঠিত বোনের সাথে থেকে তাকে সাহস যোগানোর জন্যে।

-চিন্তা করো না আপা। দুলাভাই ঐ বাসে নেই।

-তুই কী করে বুঝলি যে নেই?

তার কাঁপা কাঁপা কন্ঠে আশাবাদে আকুতি ফুটে ওঠে।

-যদি থাকতো, তাহলে ফোন করলে ফোন অন পেতে না। এই দুর্যোগে ফোন বিকল হয়ে যেতো, বা পুড়ে যেতো। দুলাভাই যদি আক্রান্তদের কেউ হয়ে থাকেন, তাহলে এতক্ষণে কেউ না কেউ তার পাশে আছেই। যদি থেকে থাকে, তার উদ্দেশ্য সৎ হলে ফোনটা রিসিভ করে কথা বলবে। আর অসৎ হলে ফোনটা বন্ধ করে কেটে পড়বে। অর্থাৎ দুলাভাইয়ের যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে হয় তুমি ফোনটা বন্ধ পাবে, নয়তো কেউ না কেউ ফোনটা ধরবে। রিং হচ্ছে, কেউ ধরছে না এমন হবে না।



নওশাদের কথায় শারমীন কিছুটা ভরসা পায়। আর কিছুক্ষণের মধ্যে আহতদের তালিকা টিভিতে প্রকাশ করা হলে সেখানে শিমুলের নামটা না দেখে স্বস্তির শ্বাস ফেলে। টিভির কড়িৎকর্মা সাংবাদিকেরা ততক্ষণে অগ্নিদগ্ধদের সম্পর্কে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করতে অকুস্থলে চলে গিয়েছে। পোড়া-আধাপোড়া মানুষের চিৎকার আর বিলাপে এক বিভৎস পরিস্থিতি।



সচিত্র প্রতিবেদনের নিচে মোবাইল কোম্পানিগুলোও জায়গা করে নিয়েছে ব্যবসায়ের দখল নিতে। "এই ভিডিওটি আপনার মোবাইলে পেতে "পোড়ামানব" লিখে "***" নাম্বারে ডায়াল করুন"।



কেটে যায় আরো পাঁচটি মিনিট। তিনশ সেকেন্ড। ঘড়ির কাঁটা দুইটি খুনী নর্তকীর মত আট আর বারোতে অবস্থান নিয়ে নিজের নির্দয় অবস্থানটা জানান দেয়া শুরু করেছে। আটটা বেজে গেছে। দুর্বৃত্তরা গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। এখান সেখান থেকে আরো বাস পোড়ানোর খবর আসছে। শারমীনের উৎকন্ঠা বেড়ে চলে। শিমুল এখনও ফোন ধরছে না। নওশাদকেও এবার উৎকন্ঠা পেয়ে বসে। নিজেকে প্রবোধ দেয়ার জন্যেই হয়তোবা সে তার চর্চিত প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা ব্যবহার করে স্বগোতোক্তি করে বা শারমীনকে শোনায়,

-স্ট্যাটিসটিক্যালি এ্যানালাইজ করলে দেখতে পাবে, এক দিনে একই শহরে দুটো বড় অগ্নি বিষয়ক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। আজকে একটা বড় ঘটনা ঘটেছে, পরবর্তীটা ঘটতে একটা বড় পজ লাগবে। আজকে আর কিছুই হবে না। তুমি নিশ্চিত থাকো।

-সবখানে কি আর থিওরি খাটে?

-না, তা খাটে না। তবে তোমাকে প্রবাবিলিটির কথা বলছি। তুমি আমাকে বলো, বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়ার ফলে একসাথে উনিশজন অগ্নিদগ্ধ হবার ঘটনা শেষ কবে ঘটেছে? অনেকদিন আগে না? আর আজকে একটা ঘটলো। ডেনসিটি আর ফ্রিকোয়েন্সি হিসেব করে দেখো। আজকে আর এরকম ঘটনা ঘটবে না। আর যদি ঘটেও, দুলাভাইয়ের ফেরার রুটে ঘটবে না। একদিনে একই জায়গায় একইরকম ঘটনা একই বা কাছাকাছি সময়ে ঘটবার প্রোবাবিলিটি কেমন? হিসেব করে এক্সাক্ট ফিগারটা বলা কঠিন, তবে খুব সামান্য এটা বলা যায়।



বিপন্ন মানুষের কাছে সামান্য অবলম্বনও অনেক। তাই পরিসংখ্যান আর সম্ভাব্যতার হিসাবে আশ্বস্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা আরেকপ্রস্থ চায়ের সাথে বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠান দেখতে থাকে। সেই সাথে ফোন বেজে চলা এবং না ধরার ব্যাপারে নওশাদের প্রণীত সন্তোষজনক ব্যাখ্যা তো আছেই! শারমীনের মন চায় ফোন করতে, ভয় হয়। যদি না ধরে? যদি ফোনটা বন্ধ পায়? যদি অন্য কেউ ধরে কোন দুঃসংবাদ দেয়? দামী ফ্লেভারের চা বিস্বাদ লাগে। বিনোদনে বিবমিষা জাগে। সে আবারও চ্যানেল পাল্টে খবর দেয়।



"শাহবাগ মোড়ে এলোপাথাড়ি গোলাগুলি, আরো চারটি বাসে আগুন। বিশজনের বেশি অগ্নিদগ্ধ"



ব্রেকিং নিউজে নওশাদের আস্বস্তকারী থিওরি মুখ থুবড়ে পড়লে শারমীনের কম্পমান হাত ফোনটা হাতে নিতে গিয়ে চায়ের কাপ উল্টে দেয়। গরম চায়ের স্পর্শে নওশাদের হাত জ্বলে যায়। "উফ মা গো!" বলে সে দগ্ধস্থানে পানি দিতে ছুটে গেলে টিভিতে শরীরের পঁচিশ শতাংশ পুড়ে যাওয়া একজনের আর্তনাদে সে থমকে দাঁড়ায়। গরম চায়ের উত্তাপে হাতের সামান্য অংশ জ্বলে যাওয়া আর পেট্রোলবোমার আঘাতে শরীরের এক চতুর্থাংশ ঝলসে যাওয়া মানুষটির সাথে নিজের তুলনা অজান্তেই চলে আসে। শিউড়ে ওঠে সে। পরক্ষণেই মাথা থেকে চিন্তাটা ঝেঁটিয়ে বিদায় করে শীতল পানির স্পর্শ আরাম নেয়। অতকিছু ভাবতে নেই। অতকিছু ভাবলে এ অবরুদ্ধ শহরে বেঁচে থাকা যাবে না। সে তাকিয়ে আছে শারমীনের আতঙ্কিত ফ্যাকাশে মুখের দিকে।

-ফোন বন্ধ কেন?

হাহাকার করে ওঠে সে?

-কী বলছে?

-বলছে যে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

-আরে নেটওয়ার্কের সমস্যা। এখন সবাই ট্রাই করছে তো। তাই জ্যাম লেগে গেছে।

আরো কয়েকবার ডায়াল করার পরে অবশেষে শারমীন শিমুলকে পায়। নিষ্ঠুরভাবে রিং হতে থাকে ফোন, প্রাপক অবিচল। এবার শারমীন নিজেই নিজেকে শুনিয়ে সান্ত্বনা দেয়,

-ফোনটা মনে হয় সাইলেন্ট হয়ে আছে। ভাইব্রেশনটাও বন্ধ করা। তাই টের পাচ্ছে না। কিন্তু সে ফোন করছে না কেন? সম্ভবত ব্যালান্স নেই। কালকে রাতেই তো বলছিলো কার্ড ভরতে হবে। ভুলে গেছে ভরতে। বড় ভুলোমন তার। কিন্তু দেরী করছে কেন এত?

উৎসাহ পেয়ে এবার নওশাদও যোগ দেয়,

-আরে প্রাইভেট অফিসগুলো কী রকম খাটিয়ে মারে জানো না? গত মাসেই তো আসতে একবার দশটা বাজালো, মনে নেই?

-একবার না, দুবার।

-হ্যাঁ সেই। আজকেও তেমন কোন কাজে আটকা পড়েছে। আর জানোইতো জুন ফাইনালের সময় অফিসগুলোতে কী রকম চাপ থাকে।

-কিন্তু এখন তো নভেম্বর মাস।

-ওহ! তা হোক। তবে কাজের আবার জুন-নভেম্বর কী।



আরো দশ মিনিট কেটে যায় নীরব অসহিষ্ণুতায়। ওরা সিদ্ধান্ত নেয় দশ মিনিট পরপর ফোন করবে। রাত দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তারপর যা হোক কিছু একটা করা যাবে। ততক্ষণ শিমুলের ভুলোমন, অফিসের চাপ, যৌক্তিক এবং পারিসংখ্যিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে ঘরে না ফেরাকালীন সময়টায় তাকে বাঁচিয়ে রাখবে। অবরুদ্ধ শহরে অগ্নিচোখে হন্তারকেরা তাকিয়ে থাকলে, পেট্রোলাগ্নির আঁচে স্বজনদেরকে ভাঁপ ওঠা সুস্বাদু খাবার বানাতে চাইলে এটুকু ঘরোয়া প্রতিরোধের মাধ্যমে নিজেদের প্রবোধ না দিলে পরাজয়টা বড্ড আগেভাগেই স্বীকার করা হয়ে যায়। প্রবল প্রতিপক্ষের কাছে হেরে যাওয়াটা হয়তোবা সময়ের ব্যাপার, তারপরেও জানালা খুলে দিলে আগুনের হলকার বদলে হেমন্তের বাতাসই আসে এখনো। শারমীন জানালা খুলে দিয়ে পথের দিকে তাকিয়ে থাকে। হেমন্তের হিমেল হাওয়া তার শরীরে পরশ বুলিয়ে যেন দু:সময়ের সাথী হতে চায়। দূরে তবে দৃষ্টিসীমার মধ্যে বড় রাস্তাটায় ভীষণ শোরগোল, আগুন, পুড়ছে যানবাহন। টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে বেড়ে চলা সংঘাতের খবর।



দশ মিনিট হয়ে গেছে। শারমীন রিডায়াল করে অসংখ্যবার ফোন করা নাম্বারটায়। "দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না"। নেটওয়ার্কের সমস্যা এতক্ষণ ধরে থাকার কথা না। চার্জ ফুরিয়ে গেছে মনে হয়। শারমীন ভাবে। তাদের চার্জারটা মনে হয় নষ্ট ছিলো। চার্জ হয়নি ঠিকমতো। তাহলে তো ফুরিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। তারপরেও খতিয়ে দেখা দরকার। ড্রয়িংরুমে গিয়ে সে চার্জারটায় কানেকশন দেবার আগে ইচ্ছাকৃতভাবেই সেটাকে হাত থেকে ফেলে দেয়। এবার চার্জ না হবার সম্ভাবনাই বেশি। তার হাত থেকে চার্জারটা তুলে নিয়ে নিজের ফোনে ঢিল করে লাগিয়ে চার্জ দিয়ে নওশাদ ফলাফল নিরীখ করে স্বস্তির হাসি হাসে,

-দেখলে তো আপা, এটা নষ্ট! দুলাভাইয়ের ফোনে চার্জ হয়নি ঠিকমতো। তাই এতক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে।

টান দিয়ে প্লাগ খুলে ফেলে সে।



বেআব্রু আশা আর সঙ্গোপন হতাশার প্রতীক হয়ে চার্জারটা লুটিয়ে থাকে ঝাট না দেয়া নোংরা মেঝেতে।

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

কালোপরী বলেছেন: প্রতিদিন অফিসে যাওয়া আসার সময় এত অদ্ভুত এক অনুভূতি হয়, যদি আর ফিরে না আসি, যদি এই শেষ দেখা হয় বাবা মায়ের মুখ :(

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: একই অনুভূতি প্রায় সবার!

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: এর শেষ কোথায় ? প্রতিদিন উৎকণ্ঠা -- হয় আজ মরো না হয় পরদিন মরো । বিনাকারনে

সমাধান সবাই খুঁজি , কিন্তু সঠিক সমাধানে কেউ এগিয়ে আসি না । একসাথে এগিয়ে আসি না

পোড়া লাশের গন্ধ মুক্ত বাংলাদেশের চাওয়া খুব বেশি কিছু নয়

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপাতত এটাই পরম প্রার্থিত।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দেশের অনেক পুরানো বাজেয়াপ্ত বিমান বন্দর আছে , সেখানে দু দল শক্তি পরীক্ষা দিক , আমাদের জ্বালা যন্ত্রণা দেয়ার কি দরকার !

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেশটা একটা বিশাল বোর্ড, আর আমরা গুটি।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০

ধূর্ত উঁই বলেছেন: সমসাময়িক পরিস্থিতির উদ্বিগ্নতা ফুটে ওঠেছে চমৎকার ভাবে। প্রিয়জন দূর্ঘটনায় পড়েনি এমন একটা প্রবোধ আশপাশ থেকেই পওয়া যায়।ভয়ংকর কোন আশংকা থেকে মনকে হয়তো মনই প্রবোধ দেয়। প্রেক্ষপটটা বলতে গেলে আজকের দিনের। চমৎকার বর্ণণায় সত্যি উপভোগ্য হয়েছে গল্পটি । ভাল লাগলো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যেও ভালো লাগা। ভালো থাকুন।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উৎকণ্ঠা প্রতীক্ষা ।।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। শুভকামনা মনিরা।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০

তাসজিদ বলেছেন: প্রতিদিন মৃত্যুর মুখমুখি.....................


বার বার, বার বার

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এ জীবন কি আমাদের কাম্য ছিলো!

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের কাব্যিক ব্যঞ্জনা আর মোহময় সুররিয়েলিজম আবেদন হারায় এর সুপ্ত ব্যাপ্ত বীভিষিকাময় পৈচাশিক উল্লাসের কাছে । প্রশান্তির বদলে প্রাণের গভীর বোধ থেকে উঠে আসে তপ্ত ক্ষিপ্ত উৎকন্ঠার হাহাকারময় নিঃশ্বাস । আদিম বর্বর রন্ধনশিল্পী যেমন উনুনে ভাজে জীবন্ত মৎস্য, অর্ধেকটা ফ্রাই কিন্তু কানকায় তখনও জীবনের আশ্বাস । নিজেকে আধপোড়া মৎস্য বলেই ভ্রম হয়, যারা মেটায় রাজন্যের বিকৃত রসনা ।

অন্য এক মৎস্যনায় সময় পাড়ি দেই আমরা নির্বিকারে ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয়াবহ কিন্তু যথাযথ কথা বলেছেন মামুন ভাই। শুভরাত।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩

মশিকুর বলেছেন:
রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম। প্রতীক্ষা, উৎকণ্ঠা, উদ্বিগ্নতা, আশংকা, প্রতিক্রিয়া, অদৃষ্ট, সহিংসতা, উদ্বেগ, অসহিষ্ণুতা শব্দগুলো এখন প্রতিনিয়ত আমাদের দীর্ঘশ্বাস বাড়িয়েই চলছে:(

এই ভিডিওটি আপনার মোবাইলে পেতে "পোড়ামানব" লিখে "***" নাম্বারে ডায়াল করুন। -মনেহচ্ছে অজানা কেউ, উক্ত লাইনের মত বিদ্রুপের হাসি হাসছে:( :( :(

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরাতো বিদ্রুপের পাত্রই হয়ে গেছি এখন!

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

সুমন কর বলেছেন: ছোট একটি ভয়াবহ ঘটনাকে, আপনি অসাধারণ সব বাক্য দ্বারা দারুণ বর্ণনা করেছেন। একটানে পড়ে ফেললাম। আর এখন প্রতিনিয়ত যা ঘটছে, তা আমাদের দুইটি বড় দলের নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। তারা ১৬কোটি জনগণকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি খেলবে, এটাই স্বাভাবিক।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন। শুভেচ্ছা।

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: শান্তি আসুক। আর একটাও অপ্রত্যাশিত বীভৎস মৃত্যু দেখতে না হোক। সবাই নিরাপদে বের হতে পারুক এবং নিরাপদে প্রিয়জনের কাছে ফিরে আসতে পারুক।

সতত শুভেচ্ছা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা। শুভরাত্রি।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এই দেশ থেকে সঠিক গণতন্ত্র চর্চা উঠে গেছে। এখন যা হচ্ছে ক্ষমতার লিপ্সা। আপনার গল্পে নির্মম বাস্তবতা খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। কিন্তু এর জন্য প্রকৃত দোষী কারা ? তাদের কি আদৌতে কিছু হবে না। সব সময় সেই একই রকম পরিস্থিতির শিকার হচ্ছি আমরা সাধারন জনগণ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদেরই দোষ। এই দেশে জন্ম নিয়ে। আর প্রকৃত গণতন্ত্র? কবেই বা ছিলো সেটা!

১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
প্রতিদিন সকালে মা ফোন ধরেই বলে, বের হোস না। কিন্তু নানা কারনে বের হতেই হয়। মা অনিশ্চয়তায় থাকে। মাঝে মাঝেই মনে হয়, যে বাসটিতে চড়ছি, রাস্তায় হাটছি, সেখানেই কি শেষ হয়ে যাব? ভয় লাগে খুব।

এক সময় ভাবতাম, এদেশে অনেকে ভালো ক্যারিয়ার রেখেও কেন বিদেশে থাকে, যায়। এখন বুঝি, স্বাভাবিক জীবন মানুষের কতটা জরুরী। কত জরুরী, স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া। এদেশে তো আমরা অস্বাভাবিক মৃত্যুকে প্রায় নিশ্চিত জেনে বের হচ্ছি। কি বাজে অবস্থা। অথচ প্রায় ৮০ মানুষই অতি সাধারণ, যারা ক্ষমতার গন্ধ ও শুকতে চায় না।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী আশ্চর্যভাবে আমরা অভিযোজিত হচ্ছি দূর্জয়!

১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সারাটা দিন উৎকণ্ঠায় কাটাতে হয়।

ইহাই আমাদের নাগরিক অধিকার :) আমাদের গণতান্ত্রিক দলগুলো থেকে পাওয়া।


০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। পুড়বার অধিকার।

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: :( :( :( ইমো ভুল হইছে ।

ইহাও উৎকণ্ঠার কারণ হয়তো।

সুন্দর ভাবে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইমো ঠিকই আছে শোভন। অনেক কষ্ট আর তিক্ততার মধ্যেও তো আমরা হাসি!

১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা হচ্ছে এমন একটি নির্মম সময়ের গল্প যা কিনা ৪২ বছরের আগের ৩০ লক্ষ মানুষের একটি বিশাল স্বপ্নবাজ দল কোন ভাবেই কল্পনা করতে পারেনি। যদি তারা বিন্দু মাত্র টের পেত তাহলে হয়ত আমাদের দেশের জনসংখ্যা বর্তমানের চাইতে নূন্যতম হলেও ২৫ লক্ষ বেশি হত।

ইদানিং ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগে প্রিয়জনের মুখটা ভালো করে দেখে নিই। সময়ের নির্মম রসিকতায় এমন জীবনই আমাদের কপালে জুটেছে। ক্ষমতার লড়াই এ মানুষ পুড়িয়ে মারার যে খেলা তার অভিযোগ নিয়ে আমরা কার কাছে যাব?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: একদিন প্রশ্নগুলির জবাব বের করতেই হবে অস্তিত্ব বিপন্ন হবার আগে।

শুভেচ্ছা কাভা।

১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

লাবনী আক্তার বলেছেন: সত্যি খুব ভয়ে থাকি। চারদিকে এতো দুর্ঘটনা ভয় লাগে কখন যেন নিজেই পরে যাই এমন বিপদে। ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে মা-বাবাও চিন্তায় থাকে যে ঠিক মত পৌছালাম কিনা অফিসে।

এর শেষ কবে হবে কে জানে?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা সবাই এর শেষ দেখতে চাই।

শুভকামনা লাবনী।

১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন হামা ভাই! বিশেষ করে আমাদের উৎকণ্ঠার পর উৎকণ্ঠা, নানা রকম সান্ত্বনা- এগুলোর বর্ননা খুব চমৎকার হয়েছে! আর শেষটা একে একটা সব সময়ের গল্প হিসেবে দাঁড় করিয়েছে! দারুণ!

শুভকামনা রইলো! সবাই যেন প্রিয়জন সহ নিরাপদে থাকতে পারি!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইফতি। শুভকামনা।

১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

অদৃশ্য বলেছেন:





লিখাটি খুব ভালো লাগলো হাসান ভাই...



শুভকামনা...

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা অদৃশ্য।

১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

সোমহেপি বলেছেন: গদি নিয়া গদাগদি। মাসুল গুণে আমজনতা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী অয়।

২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: উপভোগ্য কিন্তু উপভোগ করা গেলো কই !!!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: একসময় হয়তো সয়ে যাবে। তখন উপভোগ করতে পারবেন!

২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

সোজা কথা বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।মনকে মিথ্যে সান্তনা দেয়ার ভাষাগুলো সত্যিই চমত্‍কার ছিল।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: মিথ্যের ভালো দিক অস্বীকার করার জো নেই এই আগ্নেয় সময়ে।

শুভবিকেল।

২২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

সায়েম মুন বলেছেন: প্রতিদিন অফিসগামী বা কর্মক্ষেত্রগামী মানুষরা উৎকন্ঠায় থাকে আজকে কি সুস্থমত ফিরতে পারবো। অপেক্ষমান স্বজনেরাও উদ্বিগ্ন থাকে সারাটাক্ষণ। আর কত জীবন্ত মানুষ পুড়ে মরবে জানি না। আর কত স্বজনের বুক খালি হবে জানি না। তবে এটুকু জানি এদের লালসা এত সহজে পূরণ হবার মত নয়। আরও চাই লাশ। আরও চাই রাজনীতি করার, নির্বাচন করার, জয়ের ঝান্ডা নাড়ানোর উছিলা। এখন আমার শুধু একটাই চাওয়া তোমরা এই দেশটা দুই বা তিন ভাগ করে চালাও। তবু আমাদের মুক্তি দাও।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কবে যে আসবে একটা পোড়া গন্ধবিহীন মুক্ত সকাল!

২৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: অসাধারণ!! চমৎকার বুনট সারা গল্প জুড়ে এবং শেষটা চমৎকার। বর্তমান সময়ের, পরিস্থিতির এবং ভাবনার এক দলীল।

হ্যাটস অফ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস হেমা।

২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: সেদিন জনৈক কলিগ (তিনি আবার খবর পাঠক) লিখেছিল-

Malibag e bus e patrol boma. One killed, 2 injured. Ironically I read in news, ebar oborodh er prothom diney rajdhanite 'uttap' chilona.

আমি যা লিখেছিলাম তা তুলে দিলাম-

স্বাধীন একটা দেশে বাস করি অথচ কি অদ্ভুত। আমার ইউনিভার্সিটি যাওয়া আরো অদ্ভুত- প্রথমে বাসা থেকে রিকশায় একটা পয়েন্টে আসি। রিকশাকাওয়ালাকে বলি মেইন রোডে না উঠতে, এরপর এদিক ওদিক চোরের মত তাকাই আর তারপর মেইন রোড ভয়ে ভয়ে পার হই। তারপর একটা রিকশা নিয়ে মৌচাক। ওখানে আবার চোখ কান খোলা রাখতে হয়। হেটে এদিকে এসে সিদ্বেশ্বরী, রিকশা বা হেটে!! আমি নাগরিক সুবিধা হিসেবে শুধু একটু ভয় ছাড়া হাটতে চাই, রিকশায় চড়তে চাই। তাও সম্ভব নয়!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী আর বলবো! মাহমুদুজ্জামান বাবুর গান শোনো,

"ভোর হয়নি
আজো হলো না
কাল হবে কী না
তাও জানা নেই
পরশু ভোর ঠিকই আসবে
এই আশাবাদে তুমি ভুলো না..."

২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: গনতন্ত্র-- সেটা আবার কি জিনিস? খায় না মাথায় দেয়? দ্যাশটা আমার বাপের ..............আমার একবেম অদ্বিতীয় সোয়ামীর..!! শিলা জলে ভাসে বানরে গায় গান!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

শুভরাত্রি।

২৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

শ্যামল জাহির বলেছেন: শংকার মাঝেও; চমৎকার বর্ণন-বুননে ভাল লাগা রইলো হাসান মাহাবুব ভাই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভভোর।

২৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত শিমুল পুড়লো না ঘরে ফিরলো? শারমিনের উৎকন্ঠা কি শেষ হল?

আমরা চাই শিমুল ঘরে ফিরুক, শারমিনের উৎকন্ঠা শেষ হউক। শিমুল ঘরের ফিরার পর শারমিন তাকে মোবাইল বন্ধ কেন বা রিং হয় ফোন ধরো না কেন বলে প্রচন্ড ঝাড়ি দিয়ে কেঁদেকুটে শিমুলের বুক ভাসিয়ে দিক।

এই পুড়াপুড়ির রাজনীতি বন্ধ হউক।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রশ্নের উত্তর অজানা। আশাবাদের সাথে একাত্মতা।

শুভভোর।

২৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

মেঘলা মানুষ বলেছেন: আপনার লেখা গুলোর মাঝে আমার পড়া অন্যতম শক্তিশালী গল্প এটা। লেখক হিসেবে সময়ের প্রয়োজনটাকে উপেক্ষা করেননি আপনি।

মনে পড়ে (১৯৮৯-৯০) বাবা ফিরতে দেরি করলে কিরকম চিন্তায় কাটত সময়টা। এখনও দুশ্চিন্তা হয়, তবুও প্রার্থনা করে যাই যেন সবার স্বজন এসে দরজায় দাঁড়ায় দিনের শেষে।

আপনার নভেম্বরের গল্প দু'টোও পড়ে ফেললাম একইসাথে। ৮১৬৬৬ টা একটু স্যুরিয়ালিস্টিক লেগেছে, যদিও জানি না আমি যে মানে বের করলাম সেটা ঠিক কিনা!

কারণক্রেতা একটা চমৎকার গল্প। আসলেই, একটা অজুহাত খুঁজে নিলেই আর নিজেকে দোষী দোষী লাগে না।

ভাল থাকুন, হাসান মাহবুব।
আরও লিখুন।

শুভেচ্ছা :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: তিনটা গল্পের মন্তব্য একসাথে পেয়ে আনন্দিত হলাম। ব্লগে যখন নতুন আসি, তখন ইংরেজি শব্দ নিয়ে আপনার দুটো ধাঁধা পোস্টে খুব মজা পেয়েছিলাম। ব্লগিং শুরু করুন আবারও পূর্ণোদ্যমে।

শুভকামনা।

২৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

মেঘলা মানুষ বলেছেন: সুহৃদ হামা,
সত্যিই আপনার মেমরির তারিফ না করে পারছি না!

ব্লগ লেখার মত কিছু একটা তেমন মাথায় আসে না, তাই নিজের খেলো কথাবার্তা লিখে সামুর সার্ভার বোঝাই করার সাহসটাও পাই না। :|

লেট মি পুট দ্য ক্রেডিট ইন ডিউ প্লেস, মাঝে মধ্যে সামুতে এসে র‌্যান্ডমভাবে কিছু জিনিস পড়ে যাই। নাম মনে আছে এমন কারো গল্প খুঁজে দেখি। আপনার নামটা সবার আগে আমার মাথায় আসে। সামুতে এলেই প্রথমে আমার মনে হয়, "দেখিতো, হাসান মাহবুব নতুন কিছু লিখে ফেলেছেন কি না এই কয়দিনে?"


শুভেচ্ছা :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আভিধানিকভাবে ব্লগের সংজ্ঞা তো সেটাই, নিজের মনের কথা বার্তা, যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা। আসলে অনেকদিন ব্লগিং না করার কারণে আপনার মধ্যে জড়তা কাজ করছে। দুয়েকটা পোস্ট দেন। সব ঠিক হয়ে যাবে।

আমাকে এভাবে মনে রাখায় সম্মানিত বোধ করছি।

শুভদুপুর।

৩০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

প‌্যাপিলন বলেছেন: ঠিক ৭৫/৮০ মিনিট পরেই মৃত্যু উপত্যকা পাড়ি দিতে নামব, আর ৬০/৭৫ মিনিট পর একটা স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলব - যার অনুবাদ আজও বেঁচে গেলাম (হয়তোবা)। তারপর আবার মৃত্যুপ্রস্তুতি প্রত্যুষে.............

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজম খানের গান শোনেন,

হয়তোবা এই দিন...
থাকবে না চিরদিন।

৩১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:

পোড়া সময়ের এই উৎকট আকুতি ছড়িয়ে দারুণ পোক্ত শব্দবিন্যাস আমাকে মোহিত করেছে এই লেখায়, আর বিষাদী হতাশায় তো
আমরা এ বসতিতে অবরুদ্ধ!!

তারপরেও শুভকামনা হাসান ভাই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। আপনার জন্যেও শুভকামনা।

৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০৬

নস্টালজিক বলেছেন: একটা ভয়ঙ্কর দৃশ্যকল্পের দেয়ালঘড়ি!


ভালো ধরসো শব্দে!


শুভেচ্ছা, হাসান!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস বাডি।

শুভদুপুর।

৩৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দুর্ঘটনা নিশ্চিত জেনেও আমরা নিজেদের অবোধের মতো কতো সান্ত্বনাই না দেই !!

সবমিলিয়ে দুঃখ হয় ভীষণ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা কেমন নিশ্চিন্তে অনিশ্চিতের পথে যাত্রা করি!

শুভবকেল।

৩৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কালীদাস বলেছেন: বাসার কেউ বাইরে গেলে সারাক্ষণ এই টেনশন কাজ করে এখন। ফোন না ধরার ঘটনা আমার বাসার লোকজনের একটা কমন ব্যারাম, যেকারণে এই টেনশন আরও বেড়ে যায়/

১০দিন ধইড়া অফিসে যাই না অবরোধের ঠেলায় :)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে আপনি দেশে নাকি!

৩৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
একটা কমেন্ট লিখতে চেয়ে লিখতে পারছি না। আসলে শব্দ ধরা দিচ্ছে না। সেদিন একটা কাজে বের হইছিলাম আমার রিক্সার একটু অদূরে দুইটা ককটেল ফুটলো, সেদিন ভয় খুব পাইছিলাম। গতকাল আড্ডা দিচ্ছিলাম বসুন্ধরার সামনে। কাকরাইল মোড়ে পর পর চারটা ককটেল ফুটলো কিন্তু ভয় লাগে নাই একটুও। যদি গাড়ী বাস গুলো দেখলাম পাগলের মতো টানা শুরু করছে, কিন্তু ভয় পাচ্ছিলাম না।

ককটেলের শব্দের সাথে পরিচিত হয়ে কি গেলাম নাকি! না বুঝতে অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গেলো? কিছু বুঝি না।

কবে যে আবার দেশটা স্বাভাবিক হবে। :(

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কবে যে হবে!

শুভেচ্ছা আলাউদ্দিন।

৩৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অস্থির ম্যান। ধুম করে যখন গুরুগম্ভীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে শারমিনদের বাসায় চলে গেলেন, কেমন যেন ধাক্কা খাইলাম। কিন্তু, সত্যিই অসাধারণ সুইচ।
এন্ডিং টাও অস্থির হইসে (মাই কাইন্ডা জয়েন্ট) :)

সমকালীন দেশ, সমাজ, পরিবার, অনুভূতি, রাজনীতি, মুঠোফোনের ব্যবসা সবকটিই খুব চমৎকার তুলে ধরেছেন হাসান ভাই। অসাম কোলাজ।

(বাকি গল্প গুলাও পড়ছি, রয়েসয়ে)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এন্ডিংটা নিয়ে কেউ কেউ বলছিলো অসম্পূর্ন লেগেছে বা অতৃপ্তি রয়ে গেছে। আমার কাছে তা মনে হয়নি অবশ্য।

পুনরায় ব্লগে ফিরে আসার জন্যে অভিনন্দন। লেখা এবং কমেন্ট চলুক!

৩৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

বোকামন বলেছেন:





মন্তব্যে কী লিখবো...
কী বলবো... বলেন !

গল্প যে আর গল্প রইছে না, বাস্তবতা এর চাইতেও নির্মম-নিষ্ঠুর । আমরা বাকরুদ্ধ, হতাশ, শঙ্কিত । লাভ-ক্ষতির খাতায় দু অংকের সংখ্যা মাত্র ..।

আর কত ? বব ডিল্যনের গান মনে পড়ে গেলো -

Yes, how many deaths will it take till he knows
That too many people have died ?
The answer my friend is blowin' in the wind
The answer is blowin' in the wind.

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুমনের অনুবাদ,

"কবার তুমি অন্ধ সেজে থাকার অনুরাগে
বলবে তুমি, দেখছিলে না তেমন ভালো করে"

অথবা,

"কত হাজার মরলে পরে বলবে তুমি শেষে
বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে"

আমাদের পাথরের চোখে সানগ্লাস।

৩৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

বোকামন বলেছেন:
তবুও ভালো থাকুন, থাকার চেষ্টা করুন। শুভকামনা ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! আপনিও ভালো থাকবেন।

৩৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

কালীদাস বলেছেন: এ্যাঁ! আমি আবার মাইগ্রেশন করলাম কবে?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি বিদেশে থাকতেন না? অবরোধের ঠেলায় অফিস যান না কিরকম?

৪০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

মেঘ মেয়ে বলেছেন: খুব পরিচিত গল্প। রোজ শুনছি... তবু পড়তে গিয়ে শিউরে উঠতে হলো। শেষটা ভালো লেগেছে। প্রথম দিকের বর্ণনাও অসাধারণ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে মেঘ মেয়ে।

৪১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

কালীদাস বলেছেন: নারে ভাই, আমি এখনও দেশেই আছি। এমন একটা সরকারি চাকরি করি, যেইখানে অবরোধ না থাকলেও রেগুলার যাওয়া মেন্ডেটরি না ;)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কে কইছে সুখ নাই দুনিয়ায়! /:)

৪২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ধারালো । অনুপুঙ্খ ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

৪৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৯

কয়েস সামী বলেছেন: আপনার অন্যান্য গল্পের তুলনায় এটা অনেক সহজ। সহজ এই গল্পটাতেও শবদ্ নিয়ে লেখকের খেলা চোখে পড়ে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসকাল।

৪৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

বৃতি বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন, কিন্তু এই দৃশ্যপটগুলো সত্যি না হোক- মনেপ্রাণে চাই । এসব দেখতে শুনতে আর ভালো লাগে না ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা বৃতি।

৪৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
১টা টাইম মেশিন দরকার, ২মাস কাটায়ে দিতে পারলে হৈতো ||

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুই মাস পরে যে আরো খারাপ অবস্থা হবে না তার নিশ্চয়তা কী!

৪৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

ফারুক আব্দুল্লাহ্‌ বলেছেন: চোখ বন্ধ করে প্রলয় থামিয়ে দেয়া ছাড়া আর কিইবা করার থাকে!

অনবদ্য গদ্য!
খুব ভাল থাকুন হামা ভাই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা ফারুক।

৪৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

অচিন্ত্য বলেছেন:
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী শকুনময়
গদিয়ান মসনদ যেন পচা গলা হাড্ডি

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়েল সেইড!

৪৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
শুরুতে প্রবন্ধ টাইপের লেখা মনে হলেও হঠাৎ দেখলাম মোড় ঘুরে গল্পে প্রবেশ করল। সারাক্ষন ভাবছিলাম শেষটা যেন ভাল হয়, শেষে যেন দেখি শিমুল ফিরে এসেছে অপেক্ষারত শারমিনের কাছে। কিছু কিছু মানুষের তো ফিরে আসা উচিত। চারিদিকে হাবিবুরদের মত মানুষেরা আর বাড়ি ফেরেনা দেখে যখন শেষ আশাটুকুও ফুঁড়িয়ে যায়, তখন দুই একজন শিমুলরা বাড়ি ফিরে এসে নতুন আশায় বুক বাঁধতে শেখায় আমাদের। কিন্তু আপনি আপনার সেই স্বভাবজাত সমাপ্তি টানলেন। তবু ভাল অগ্নিদগ্ধ মানুষের ভিড়ে আমরা শিমুলের নামটি শুনলাম না। এইটুকু আশা আঁকড়ে ধরে আমরা প্রতিক্ষায় রব!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: শিমুল বাড়ি ফিরবে। যেহেতু খবরে তার পোড়াদেহ দেখা যায় নাই। মোবাইলটাতে কোন একটা সমস্যা হয়েছে। আর রাত জেগে কাজ করছে। চিন্তার কিছু নাি। শিমুল ফিরবে।

৪৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না । আমরা কি গিনিপিগ হয়েই থাকব ?
ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন। শুভকামনা।

৫০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

বৃশ্চিক রাজ বলেছেন:
নিয়মিত হব আশা করি।

ভালো থাকুন ব্রাদার। :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।

৫১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
কূজনপথে কেউ একজন ফিরবে বলে কুকরটা দাঁড়িয়ে থাকে পথেই
হেমন্তের হিমেল প্রশান্তিময় হাওয়ার স্বগোতোক্তি- তিনি ফিরবেন কী !

রিডায়াল করছি বারবার; হয়তো ফিরে আসবেন...

তিনি ফিরবেন এই আশায় লিখাটি প্রিয়তে থাকলো।

ভালো থাকবেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৫২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দারুন উৎকন্ঠাভরা একটা লেখা, শারমীনের সাথে একাত্ন হয়ে গিয়েছিলাম, নিজেরই যেন কোন প্রিয়জন ফিরছে না অহেতুক বিলম্বে।

অসাধারন.......।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা।

৫৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: শারমিনরা শিমুলের জন্য অপেক্ষা করতেই থাকে... ... :(

২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব খারাপ সময় ছিলো যখন এটা লিখেছিলাম। সেই সময়টা যেন আর ফিরে না আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.