নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১)
-কাল সকালে ফ্রি আছো?
-না কাজ আছে।
-কী এমন রাজকার্য?
-তার চেয়েও বেশি, ঘুমকার্য।
-ওহ, আমি ভাবলাম কী না কী! শোনো...
-কিচ্ছু শুনতে পারবো না। কোনো কাজ গছিয়ে দেয়া চলবে না। সপ্তাহে একটা দিন মাত্র ছুটি পাই, ঐদিন ঘুম ছাড়া আর কোনকিছুই গুরুত্ব পেতে পারে না।
-একটু সময় দিতে পারবে না? খুব জরুরী। রক্ত দিতে হবে একটা বাচ্চাকে। মাত্র দেড় বছর বয়স। ও নেগেটিভ ব্লাড খুব রেয়ার জানোই তো।
দেখো, শুরু করেছে এখন ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং! দেড় বছরের বাচ্চা অসুস্থ, তার জন্যে জরুরী ভিত্তিতে রক্ত দরকার, এসব কথা শুনিয়ে আমাকে পরোপকারী ব্যক্তি হতে বাধ্য করে মহৎ কার্যে নিয়োগ করা! কী জ্বালা! অত মহৎ হবার শখ নেই আমার। সারা দেশে অসংখ্য অসুস্থ শিশু আছে, তাদের মর্মন্তুদ কাহিনী শুনলে হৃদয় আর্দ্র হবেই কিছুটা, কিন্তু এসব ছুটির দিনের ঘুম নষ্ট করে এসব মানবিকতাপনা করে বেড়ানোর কোন মানে হয় না। কিছুক্ষণ নীরব থেকে আমার আপত্তি জানানোর কৌশল গ্রহণ করি। সভ্য সমাজে তো আর সবকিছু সরাসরি বলা যায় না!
-কী হলো? চুপ করে রইলে যে? দেবে না রক্ত?
-না, আসলে হয়েছে কী আমার শরীরটা বেশি ভালো না...দেখো না অন্য কোথাও...
এবার রিনা তার মোক্ষম চালটা দিলো।
-ঠিক আছে। তুমি রেস্ট নাওগে। আমি যাই রায়ানের সাথে কথা বলে আসি। ও তো সন্ধানীর মেম্বার। ঠিক খুঁজে দিতে পারবে।
রিনা ভালো করেই জানে যে রায়ানের সাথে ওর মেলামেশা, এমন কী কথা বলা পর্যন্ত আমি সহ্য করতে পারি না। ইদানিং ও রায়ানের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছে নাকি? আমি জানি রায়ানের মত সুযোগসন্ধানী পাকা খেলুড়ের পাতা ফাঁদ অবলীলায় এড়িয়ে যাওয়াটাই রিনার জন্যে স্বাভাবিক, তবে সুযোগ বুঝে রায়ানের কথা বলে আমাকে রাগিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ার মেয়েলীপনাটাও সে ছাড়বে না! বরাবরের মত এবারও এই পদ্ধতিতে চমৎকার কাজ হলো। ফোন রাখার সময় আমি হাসপাতালের লোকেশন, কেবিন নাম্বার আর রক্ত গ্রহীতা শিশুর অভিভাবকের ফোন নাম্বার নিয়ে গজগজ করতে করতে থাকলাম।
কিছুই ভালো লাগছে না। কী করবো ভেবে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। আজকে রাত জাগবো বলে বেশ কয়েকটা গা শিউরানো হরর মুভি যোগাড় করে রেখেছিলাম। রাতের বেলায় হরর সিনেমা দেখে ঘুমোনোর মজাই আলাদা। চমৎকার সব দুঃস্বপ্ন দেখা যায়। দুঃস্বপ্নের সাথে সখ্য করেই তো বেঁচে থাকা! দুঃস্বপ্নের মাঝে আমি আকাশচুম্বী অট্টালিকা থেকে মাটিতে পড়ি, খুনীদের সাথে হুল্লোড় করে মদ খাই, এলোপাথারি চাকু চালিয়ে দেই প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বুকে, কখনও কখনও মারাও যাই গলায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন নিয়ে। আজ রাত জেগে আরো কিছু দুঃস্বপ্নের সেলুলয়েডীয় উপাদান সংগ্রহ করতে গেলে কাল সকালে আর ওঠা হবে না। তার ওপর আবার রয়েছে রক্ত দেবার ধকল। সাধারণত ছুটির দিনটায় আমি বিকেল পর্যন্ত ঘুমাই। কাল সকালে উঠে রক্ত দেবার পর সারাদিন করবোটা কী? একবার ঘুম চটে গেলে আমার আর ঘুম আসে না, ক্লান্তি আর অস্বস্তি জেঁকে ধরে। অবশ্য রিনার উষ্ণ স্পর্শ পেলে ক্লান্তভাবটা কেটে যাবে। রিনাকে কালকে পেতেই হবে যে করে হোক! সারাদিনের জন্যে। আশা করি সে তার প্রিয় হাত- অজুহাত দিয়ে আলগোছে সরিয়ে দেবে না আমার স্পর্শপ্রস্তাব। স্পর্শের অগ্রীম বোধ আমার শরীরে তাপ ছড়িয়ে দেয়। তপ্ত হাতে আমি ফোনটা হাতে নিই।
-রিনা, কালকে ফ্রি আছো?
-না। কাল আমার একটা পরীক্ষা আছে। তোমাকে আগে বলি নাই?
-কখন পরীক্ষা?
-২টা থেকে ৪টা। কেন?
-কেন আবার? তোমার সাথে ঘুরবো ভেবেছিলাম।
-নাহ। কালকে বাদ দাও। পরীক্ষা শেষ হতে হতে বেলা পড়ে যাবে প্রায়। বাসায় দেরীতে পৌঁছুলে আবার রাগ করবে। যা ছোট দিন এখন! আর রাস্তাঘাটের অবস্থা তো বোঝোই!
-এনাফ! আর ফিরিস্তি দিতে হবে না। আহা...সতী, দয়াবতী মেয়ে একজন! রোগীদের রক্তঘটক হয়েছো! একে ওকে রক্ত খুঁজে দেবার মহান দায়িত্ব নিয়েছো! ব্লাডি ব্লাডম্যাচার! আমার সারাটাদিন কালকে তোর কারণে নষ্ট হবে। আগে রায়ানের কাছে যাস নাই কেন? লয়ালিটি দেখাইতে?
-তোমার মধ্যে কী বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্ব নেই? একটা বাচ্চা মেয়ে মারা যাচ্ছে, আর তুমি আছো সিলি জেলাসি, উইকেন্ড ফান আর মাথায় শিশ্ন নিয়ে!
-হ্যাঁ আমার মাথায় শিশ্ন! আমি সাধু না। আর তোমার সতীপনা আমি ছুটাবো বুঝলা? অনেক রাইখা ঢাইকা চলছো, ভেতরে যে তোমার মধ্যেও একটা কামুকী বাস করে তা জানি না ভাবছো?
-হতে পারে, আমার ভেতরে বাস করে, অনেক ভেতরে। কিন্তু তোমার ভেতরে, বাহিরে সবখানেই বিচরণ করে বেড়ায় একজন কামুক। মাঝেমধ্যে খুব প্রকটভাবে তা প্রকাশিত হয়। একটা বাচ্চা মেয়ে রক্তের অভাবে মারা যাচ্ছে, আর তুমি ভাবছো মাংসের কথা! থাক, তোমার রক্তের দরকার নেই ওর। মৃত মানুষের রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকার দরকার নেই অভাগীর। মরুক!
-আমাকে মৃত মানুষ বলছো কোন আক্কেলে? রূপক মারাচ্ছো, না? আমার ভেতর মনুষ্যত্ব মারা গেছে হেন তেন...এসব কে শিখাইছে তোমাকে? রায়ান হারামজাদাটা?
রিনা ফোন রেখে দিলো। আমার শরীর রাগে কাঁপছে। মাথার ভেতর কে যেন উনুন চাপিয়ে দিয়েছে। টগবগ করে ফুটছে মগজ, পুষ্টি, বিবেক। আজ রাতে আর ঘুম হবে না। একটা ঠান্ডা শাওয়ার দরকার আমার এই মুহূর্তে।
(২)
বেসিনের সামনে গিয়ে নিজের মুখটা ভালো করে দেখি। চমৎকারভাবে কামানো মুখমন্ডল। ঢেউ খেলানো চুল। চোখে এখনও রাত্রির রঙদানী থেকে আঁকিয়ে এসে এক ছোপ দিয়ে যায়নি। চমৎকার দেখাচ্ছে আমাকে। তবে কালকে সকাল নাগাদ এই সতেজ ভাবটা থাকবে না আর। না ঘুমোনোর অবসাদ এবং রক্ত দেয়ার ধকল মিলিয়ে রূক্ষ্ণ হয়ে যাবে। গালের কাছে একটা ব্রনের মতো দেখতে পাচ্ছি। এটা আবার কবে গজালো? বিরক্ত হয়ে খুঁটতে গিয়ে রক্ত বের হয় সেখান থেকে। বেশ ব্যথাও অনুভূত হলো। রক্ত প্রদানের প্রতি অনিচ্ছার রূপক হিসেবেই যেন ব্রনটা হঠাৎ করে গজিয়ে হঠাৎ মরে গেলো। ওটাকে সমূলে বিনাশ করার উদ্দেশ্যে আরো খোঁটাতে লাগলাম আমি। এবার রক্তের বদলে হলুদ রঙের বিচ্ছিরি পুঁজ বের হতে থাকলো। রক্ত যতটা গ্ল্যামারাস, পুঁজ ঠিক ততটাই কুৎসিত। আবার ফোঁড়া টোড়া হয়ে গেল নাকি? তুলো আর স্যাভলন দিয়ে যত্নের সাথে পরিষ্কার করার পরেও দেখি গড়িয়ে পড়ছে কালচে রক্ত আর হলদে পুঁজের ধারা। রাত এখন নিজঝুম, আমার চোখ ঘুমঘুম, কিছুক্ষণ বিছানায় গিয়ে গড়িয়ে নেয়া যেতে পারে, কিন্তু হতচ্ছারা ব্রনটা দিচ্ছে কই! বেশি রাত জাগা, সারাদিনের অবসাদ এবং মানসিক অস্থিরতার ফলেই হয়তোবা আমার দৃশ্যবিভ্রম হতে শুরু করলো। আমি দেখতে পাচ্ছি, অসংখ্য ব্রন আমার মুখ ঢেকে দিচ্ছে, আমি প্রাণপনে খাঁমচে যাচ্ছি, খাঁমচি খেয়ে সেগুলো ধেবড়ে যাচ্ছে, কিন্তু রক্ত বা পুঁজ কোনটাই বের হচ্ছে না। মৃত মানুষের মতো! শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে ঘাড়ের ওপরে শীতল পানি প্রবাহিত হতে দিই আমি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতনন্ত্রের উত্তেজনাকে মন্ত্র পড়িয়ে ঠান্ডা করতে। এমন বিশ্রী রকম হ্যালুসিনেশন হবার পেছনে রিনারও দোষ আছে। সেইতো আমাকে মৃত, শিশ্নমস্তক আরো কী কী বাজে কথা বললো! কালকে কাছে পেলে তার কথার যথার্থতা প্রমাণ করেই ছাড়তাম। অনেক হয়েছে সাধু সেজে থাকা। তিক্তমুখে বাথরুম থেকে বের হবার সময় বেসিনের আয়নায় এক পলক নিজেকে দেখে নিতে গেলে মৃত ব্রনটা যেন নীরবে আমাকে লক্ষ্য করে উপহাসের হাসি হাসে। অযথাই!
(৩)
সকালে ঘুম ভাঙলো অচেনা নাম্বারের ফোনে। যশোর-খুলনা অঞ্চলের কড়া আঞ্চলিক টানে একজন কথা বলছে ও প্রান্ত থেকে।
-হ্যালো, আপনি কি রেজা সাহেব বলতিছেন?
-জ্বী, বলেন।
-বলছি রিনা কি আপনাকে বলিছে কোন কিছু রক্ত দিয়ার ব্যাপারে?
-হ্যাঁ বলেছে।
ঘুমজড়িত ক্লান্তি আর বিরক্তি ঢাকার কোন চেষ্টাই করি না আমি। কিন্তু গাঁইয়া লোকটা তা বুঝলে তো!
-তা ভাইজান, রক্তটা একটু আর্জেন্ট দরকার পইড়ে গেছে। আপনি তাড়াতাড়ি আসলি পরে সুবিদে হয়।
কী আবদার! আমি আদৌ আসবো কী না সে হিসেব নেই, এখনই চলে আসার ফরমায়েশ করছে! ঠিক আছে, যাবো। একটা ছুটির দিন না হয় বঞ্চিত হলো আয়েশী যাপন থেকে!
-হাসপাতালের লোকেশনটা বলেন।
যেতে হবে শহরের আরেক প্রান্তে। গিয়ে আবার অলিগলি খুঁজতে হবে। হ্যাঁ, এমনটাই তো হবার কথা আজকে। না হলেই অবাক হতাম।
ছুটির দিনেও মানুষের কর্মচাঞ্চল্যের শেষ নেই! ছুটির দিন পেয়েছো, একটু আরাম করো, তা না গুষ্টিশুদ্ধ সবাই নেমে পড়েছে রাস্তায়! যে শহর এত কর্মমুখর তার এই দুরবস্থা হলো কেন ভাববার বিষয় বটে!
হাসপাতালের সামনে পৌঁছুলে একটা ঢ্যাঙামত লোক হন্তদন্ত হয়ে আমাকে খুঁজে নিলো।
-আপনিই রেজা সাহেব?
-জ্বী। আপনি?
-আমার নাম শাহীন। সামিহা, মানে মিয়েটা আমার ভাস্তি।
-ও আচ্ছা। তা রক্ত দিতে হবে কোথায় চলেন।
-একটু তো টাইম লাগবে। ক্রসম্যাচিং করতি হবে। তারপর না সেন নেবে! আসেন, ক্রসম্যাচিংটা সাইরে নেই।
ভালো! ক্রসম্যাচিং করতে গিয়ে আরো কতক্ষণ লাগে কে জানে! তবে ব্যাপারটার সুখকর দিক হলো, ক্রসম্যাচিংয়ের জন্যে রক্ত নিতে যে নার্সটা এসেছে সে বড়ই সুন্দর। তার হাতের ছোঁয়া পেয়ে জানলাম সে নরমও! আমার বাহুতে, আঙুলে তার হাতের স্পর্শে নিমিষেই চাঙ্গা হয়ে উঠলাম। মেয়েটা কথাও বলে বেশ মিষ্টি করে।
-এর আগে কখনও রক্ত দিয়েছেন?
তার টিয়াকন্ঠ আর গোলাপস্পর্শে আমার প্রথমবারের মত মনে হয় দিনটা নেহায়েৎ মন্দ না! প্রসন্ন কন্ঠে তাকে জিজ্ঞেস করি রক্ত নেবার সময়ও সে থাকবে নাকি।
-হ্যাঁ আমিই থাকবো। কোন ভয় নেই!
নাও হে শুভ্রসেবিকা, আমাকে নিঙড়ে নাও। অনেকক্ষণ ধরে নিও কেমন! রক্তের নমুনা দেয়া শেষ হলে হাত দিয়ে চুল আঁচরাতে গিয়ে তার উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিই অদৃশ্য বাক্যাবলী। সে না বুঝলেও ক্ষতি নেই। সবকিছু বুঝিয়ে দেবার দরকারটা কী!
-রিপোর্ট পাতি আরো আধাঘন্টার মতো লাগবে। চলেন একটু চা খায়ে নেই এই ফাঁকে।
-চলেন!
লোকটার সঙ্গ আর আঞ্চলিক টানের কথা খারাপ লাগছে না আমার এখন আর। তবে চা পানের আগে মুখে একটু পানির ঝাপটা দিয়ে আসা দরকার। শুভ্রসেবিকার সামনে কর্কশ চেহারা নিয়ে যাওয়াটা মোটেও উচিৎ হবে না।
বাথরুমে গিয়ে আমি চুলে পানি দিই, আঙুল দিয়ে আঁচড়ে নেই, মুখে পানির ঝাপটা দেই। সবকিছুই ঠিকঠাক, শুধু গতকাল রাতে খোঁচানো ব্রনটা আরো বিকশিত হয়ে জাঁকিয়ে বসেছে। মৃত জিনিসেরও বিকাশ ঘটে! রেগে গিয়ে আমি ওটাকে আরো খোঁচাতে গিয়ে থেমে যাই। আবার যদি পুঁজটুঁজ বের হয় বিচ্ছিরি ব্যাপার হবে। মৃতদেরও বিশ্বাস নেই আজকাল।
টঙ দোকানে বসে দু-কাপ চা হাতে নিয়ে আমরা আলাপ চালাতে থাকি। আলাপ বলতে গেলে পুরোটাই একপাক্ষিক। সে বিস্তারিত বলছে কীভাবে রোগ ধরা পড়লো, কতখানি ভুগলো মেয়েটা, তাদের কত খরচ হলো ইত্যাদি ইতং বিতং। আমিও বেশ আগ্রহ করে শোনার ভান করছি।
-বুঝলেন ভাই, আর্লি স্টেজে যদি ধরা পড়তো বাচ্চাটাকে এতো ভুগতি হতো না। কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যখন প্রথম নিয়ে যাই, তারা নাইরে চাইরে দেইখে বললো যে সে কিছু না। তারো মাসখানিক পরে যখন ব্যথায় আর টিকতি দিচ্ছিলো না, সদর হাসপাতালে নি গেলাম। ততদিনে বাচ্চা আমাগের পিশাপ করতি পারে না, পেট ফুইলে সে কী অবস্থা!
-বলেন কী!
আমারও তখন বেশ প্রস্রাবের বেগ পেয়েছিলো। তাই বাচ্চাটার দুরবস্থাটা বেশ ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারি। শিউরেও উঠি কিছুটা।
-হয় ভাই। তারপর ডাক্তার কলো যে মায়ের পেটেরথেই এই রোগ নিয়ে আসিছে সে। টিউমার অপারেশন করে পিশাপ-পাইখানার জন্যি বাইপাস কইরে আলাদা রাস্তা বানায়ে দিতি হবি। অপারেশন তো আর যশোরে সম্ভব না, বায়োপসি করতি পারে বড়জোর। তো তারা বললো...
আমার কেমন যেন অস্বস্তি লাগছিলো শুনতে। ছোট্ট শরীরে এত ধকল সইছে কীভাবে? আমি জোয়ান পুরুষ গ্রীষ্মের দুপুরে পানি কম খেয়ে বেশি হাঁটলেই ঘেমে টেমে জলস্বল্পতায় ভুগে প্রস্রাবের যে যন্ত্রণায় ভুগি তাই মাঝেমধ্যে অসহ্য লাগে, আর এখানে ছোট্ট একটা বাচ্চা, দিনের পর দিন...মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে আমার। তবে এটা কেটে যাবে শীঘ্রই। এমন তো কতই দেখি, কতই শুনি। সবকিছু মনে রাখলে ছুটির দিন দুপুরে সিনেমা দেখতে দেখতে শিল্প আলোচনা করার তাগদ থাকে না। বাসায় গিয়ে একটা ভালো কমেডি মুভি দেখতে হবে, ভাবি আমি।
-চলেন মিয়েটাকে দেইখে আসি।
-চলেন যাই।
অসুস্থতা প্রত্যক্ষণের কোন অভিপ্রায় না থাকলেও অনিচ্ছাকৃত সহমর্মিতা দেখাতেই হয়।
লিফটে করে চারতলায় উঠে যাই আমরা। ৪০৬ নং কেবিন। ঢুকতেই একটা অসুস্থ এবং অশুভ গন্ধের ঝাঁপটায় আমার নাক কুঁচকে আসে।
-সামিহা কি ঘুমাচ্ছে?
বিছানায় বসে থাকা রুগ্ন এক মহিলাকে জিজ্ঞেস করে সে।
-হয়। এতক্ষণ চিক্কুর পাইরে মাত্রই ঘুমালো।
-জ্বর আসিছিলো?
-আছে, কম।
আমিও ভদ্রতা করে জ্বর দেখার জন্যে তার কপালে হাত রাখি।
সামিহা আমার দিকে পেছন ফিরে ছিলো। আমার স্পর্শ পাওয়া মাত্রই সে মাথা ঘুরিয়ে ডুকরে কাঁদা শুরু করলো। আশ্চর্য, মেয়েটা আমার চোখের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? এত তিব্র চোখ! এত প্রখর অভিমান! শিশুরা বুঝদার হয়ে গেলে বড়দের বিপন্নতার শেষ থাকে না। এই মেয়ে চোখ সরাও! চোখ সরাও মা। দোহাই লাগে মামনি চোখ সরাও! হ্যাঁ আমার ভুল হয়েছে। আমি তোমার ছোট্ট অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ভেতর কর্কট বিষের জ্বালা বুঝতে পারি নি। আমি তোমাকে রক্ত না দেয়ার জন্যে ছুতো তৈরি করে বিলাসী অবকাশ যাপন করতে চেয়েছিলাম। আমি তোমাকে রক্ত দিতে এসে নানাবিধ দেহজ লোভকল্পনায় মজে ছিলাম। আমি বুঝতে পারি নি মা। কান্না বন্ধ কর। আমার দিকে এভাবে অভিমানের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছিস কেন? আমি কে তোর? ওহ, তোরা তো দুনিয়ার আত্মীয়তার এত জটিল হিসেব-নিকেশ বুঝিস না। সবাইকেই আপন ভাবিস। দেবশিশুদের এত কষ্ট দেয় কেন ঈশ্বর? তোর শরীরে সূঁচের আগ্রাসন। স্যালাইন, ক্যাথেটার। তোর ব্যথা কমানোর জন্যে বটিকার ভেতর নানা রসায়ন। তোর মাংস কেটে যন্ত্রণা লাঘব করার চেষ্টায় চিকিৎসকেরা। আর আমি...হ্যাঁ আমিও আছি এই আয়োজনে মামনি। কাঁদিস না। কাঁদিস না এভাবে প্লিজ! ও কী! চোখ ফিরিয়ে নিলি কেন? আমার দিকে তাকা, দেখ ভালো করে দেখ। তোর কাছে তো কিছুই লুকোনোর নেই। দেখ আমার চোখের মামুলি নির্ভরতা, জলজ মমতা, কোন কাম নেই, লোভ নেই। ওহ, তুই তো এসব শব্দের মানে শিখিস নি এখনও। তুই খালি জানিস আদর আর অভিমান। আর অভিমান করিস নে আমার ওপর মা। আমি কথা দিচ্ছি এই ঔষধের ঘ্রাণঅলা বাজে ঘরটা থেকে তোকে সূর্যের কাছাকাছি খোলামেলা প্রান্তরে নিয়ে যাবো, সেখানে থাকবে সরিষার তেলের স্বাস্থ্যকর গন্ধ আর আদরকাঁথার ওম। সেরে উঠলে পরে ফুলতোলা বিছানায় গড়াগড়ি দিয়ে তুই তোর বাবা-মাকে খুব জ্বালাবি, কেমন?
-রেজা সাহেব, আধাঘন্টা মনে হয় হইয়ে গেছে। চলেন নিচে যায়ে ক্রসম্যাচিংয়ের রিপোর্ট দেইখে আসি।
-ও, হ্যাঁ! যেতে হবে। এক মিনিট, আমি একটু বাথরুম থেকে আসি।
কান্নার দমকটাকে ছেড়ে দিতে বাথরুমে যেতে হয় আমার। মমতার সাগর কী আর কোন বাঁধ দিয়ে আঁটকানো যায়? চোখ মুছতে মুছতে বেসিনের আয়নায় তাকালে পরে কোন মৃত ব্রন আমার চোখে পড়ে না।
রক্তের ছটায় প্লাবিত মুখে অশ্রুর সংযোগে আমি বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পাই।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনুষ্যত্বের পাঠ মানুষ জীবন থেকেই নিক, গল্প পড়ে পেলে সেটা তো উপরি।
ভালো থাকুন।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
সুমন কর বলেছেন: হৃদয়স্পর্শী লেখা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন:
কিছু বলার নাই -- একটা জীবন ও যেন রক্তের অভাবে কষ্ট না পায় ।
বর্ণনা শৈলী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই । শেষের দিকে নিজের চোখ ও ভিজে যাচ্ছিল না
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষ ভিজুক মমতার জলে।
শুভেচ্ছা সিফাত।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মামুনূর রহমান বলেছেন: অন্যের অনুভূতি উপলদ্ধি করতে পারলেই গুরুত্বহীন অনুভূতিও পরম তাত্পর্যে পর্যবসিত হয়।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। এই উপলদ্ধি সবার মাঝে আসুক।
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বাহ, বাহ !
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমার বাহবা পেয়ে ধন্য হলাম!
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বাবুল হোসেইন বলেছেন: মানুষের ভিতরের পশু আর বাহিরের মানবিকমন দুটোই এসেছে। আদতে আমরা এরকমই।
তবে কিছু জায়গায় স্ল্যাং টাইপের কথাবার্তা ভালো লাগেনি। মানে ঐটা কি না হলেই হতো না। অবশ্য এরকম গল্পে এগুলো ব্যাপারই না, যেহেতু এগুলোতে আমরা ইউজড টু।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্ল্যাং আরো আসতে পারতো। পরিমিতি বজায় রাখতে চেয়েছি। কিছুই না দিলে ট্রাঞ্জিশনটা জোরালো হতো না।
শুভেচ্ছা।
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:
পুরো গল্পটা পড়লাম। ভালো লাগল। +++
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাসান ভাই, মনটা খারাপ হয়ে গেল লেখাটা পড়ে। বড় বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। ঈশ্বর যদি আমাদের জন্মগত ভাবে স্বার্থপর না বানাতেন, তাহলে আমরা হয়ত অন্যের জন্য সামান্য ত্যাগ স্বীকার করে মানুষ হওয়ার দূর্লভ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতাম।
খুব চমৎকার ভাইয়া, চমৎকার লিখেছেন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: রক্ত দেবার মধ্যে আমরা সেই দূর্লভ আনন্দ পাই। আমাদের রক্ত জীবনের জন্যে ব্যবহৃত হোক, মরণকে রুখে দিক।
শুভেচ্ছা কাভা।
৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: চমৎকার ভাই
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: লিখে যান ভাইয়া
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখে যাব আশা করি। ধন্যবাদ।
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: রক্তের ছটায় প্লাবিত মুখে অশ্রুর সংযোগে আমি বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পাই।
অসাধারণ , ভালো লাগলো ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্ত্রী মহোদয়।
১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের শেষটায় এসে আর্দ্র হয়ে গেল মন । দেখ আমার চোখের মামুলি নির্ভরতা, জলজ মমতা, কোন কাম নেই, লোভ নেই। সত্যিই আমাদের সবার ভেতরে আছে এই জলজ মমতা, বিষাক্ত পর্দার আবরণে । কখনো বিষটুকু ফুড়ে বেরিয়ে এসে ভিজিয়ে দেয় আমাদের ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই মায়াজলে ভেসে যাক সব বিষবস্তু।
শুভেচ্ছা মামুন ভাই।
১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চারদেয়ালে নিজের ভিতরেই পৃথিবী !
আর প্রকৃতির কাঠিন্য যখন চোখের সামনে তখন ভিতরের পুঁজ গুলো রক্ত হয়ে সমাজ সেবক হতে চায় !
দুর্দান্ত একটা মেসেজ দিয়েছেন হামা ভাই !
চমৎকার লাগলো !
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়েল সেইড অভি। শুভেচ্ছা।
১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
তাসজিদ বলেছেন: আসলে আমরা জীনগত ভাবেই স্বার্থপর। “প্রত্যেকে আমারা পরের তরে” কি শুধুই বুলি?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এ্যাবসোলুট খারাপ পৃথিবীতে নেই। তাই আমরা এখনও বাঁচি এবং ভালোবাসি।
১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: রক্তের ছটায় প্লাবিত মুখে অশ্রুর সংযোগে আমি বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পাই।
ভাল লাগল।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ...রোগীদের রক্তঘটক হয়েছো! একে ওকে রক্ত খুঁজে দেবার মহান দায়িত্ব নিয়েছো! ব্লাডি ব্লাডম্যাচার! ....নাও হে শুভ্রসেবিকা, আমাকে নিঙড়ে নাও। অনেকক্ষণ ধরে নিও কেমন! ... //
-সুন্দর শব্দ চয়ন।
//ব্রনটা আরো বিকশিত হয়ে জাঁকিয়ে বসেছে। মৃত জিনিসেরও বিকাশ ঘটে! রেগে গিয়ে আমি ওটাকে আরো খোঁচাতে গিয়ে থেমে যাই। আবার যদি পুঁজটুঁজ বের হয় বিচ্ছিরি ব্যাপার হবে। মৃতদেরও বিশ্বাস নেই আজকাল।//
-দারুণ বলেছেন!
//আমি তোমাকে রক্ত না দেয়ার জন্যে ছুতো তৈরি করে বিলাসী অবকাশ যাপন করতে চেয়েছিলাম। আমি তোমাকে রক্ত দিতে এসে নানাবিধ দেহজ লোভকল্পনায় মজে ছিলাম। আমি বুঝতে পারি নি মা।//
-সুন্দার বার্তা দিয়েছেন।
ভালো একটি গল্প পড়লাম। ধন্যবাদ
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুপুঙ্খ মন্তব্যে তৃপ্ত হলাম।
শুভরাত্রি।
১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৪
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: হৃদয়কে ছুয়েছে আপনার লেখুনি।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
১৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯
মশিকুর বলেছেন:
"Human mind is a complex maze."
সঠিক সময়ে আমাদের বিবেক জাগ্রত হোক। ভালো থাকুন।।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিবেক জাগ্রত হোক। শুভকামনা।
১৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
আমি সিহাব বলেছেন: ভাই রুপক হিসেবে ব্রন কে এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ... তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: রূপকটা নিয়ে বেশ ভাবতে হয়েছিলো। আপনার চোখে পড়েছে দেখে ভালো লাগলো।
শুভরাত।
২০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: হামা ভাই,অসম্ভব মানবিক একটা গল্প লিখেছেন।পড়তে পড়তে চোখটা ঝাপসা হয়ে গেল!!!!!ভাল থাকবেন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুভূতিগুলো এভাবেই প্রবাহিত হোক পরিশূদ্ধতায়। শুভেচ্ছা।
২১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
//রক্তের ছটায় প্লাবিত মুখে অশ্রুর সংযোগে আমি বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পাই//
দুর্দান্ত!!!!
++++++
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন। শুভরাত্রি।
২২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: পলক আদ্র করে দেওয়ার মতো গল্প । লোভকে পাশে রেখে মানবিক হয়ে যাওয়ার জায়গাটা বারবার পড়তে ইচ্ছে করে ।
"দুঃস্বপ্নের সাথে সখ্য করেই তো বেঁচে থাকা! দুঃস্বপ্নের মাঝে আমি আকাশচুম্বী অট্টালিকা থেকে মাটিতে পড়ি, খুনীদের সাথে হুল্লোড় করে মদ খাই, এলোপাথারি চাকু চালিয়ে দেই প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বুকে, কখনও কখনও মারাও যাই গলায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন নিয়ে" এই লাইনগুলো প্রিয় হয়ে গেলো ।
ধন্যবাদ । শুভকামনা ! ভালো থাকবেন ভাইয়া ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: লাইনগুলো আমারও পছন্দের। শুভরাত্রি আদনান।
২৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
টাচি। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাড়ানোর যে সুযোগ থাকে, তা কাজে লাগাতে পারলে শান্তি আসে হৃদয়ে। রক্ত দান সবচেয়ে বড় সুযোগ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ দূর্জয়। রক্তদানে অনেক শান্তি। আমার কাছে কেউ রক্ত চেয়ে বিমুখ হয় নাই।
শুভরাত্রি।
২৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩০
এহসান সাবির বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল.......
চমৎকার গল্প ভাই......
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন ভালো হয়ে যাক। ভালো কাটুক দিন।
২৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগছে।
গপটারে দুই/তিন লাইনে বলে শেষ করা যাবে! কিন্তু আপনার ডিটেলিং, বর্ণনা আর উপস্হাপনা লেখাটারে দারুণ উপভোগ্য করে তুলেছে
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৮
তওসীফ সাদাত বলেছেন: হারিয়ে গিয়েছিলাম সে অনুভূতিতে... যে অনুভূতি তে হারিয়ে যাওয়ার পর মৃত ব্রন টা হারিয়ে যায় রেজার।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই অনুভূতিটা বেঁচে থাকুক।
২৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৫
নূর আদনান বলেছেন: ভাল লাগল, মনের গভীরের গভীর বাস্তবতা...
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৭
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ।মমতার সাগর কি আর কোন বাঁধ দিয়ে আটকানো যায়! ??
শেষ টা পড়ে কোথায় যেন একটু চিনচিন ব্যথা অনুভব হল !!
শুভকামনা
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ সোহেলী। শুভেচ্ছা।
২৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৫
মাহবু১৫৪ বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর হৃদয় নিংড়ানো লেখা।
শেষ লাইনটা দারূণ লাগলো
+++
একটা বাচ্চা মেয়ে মারা যাচ্ছে, আর তুমি আছো সিলি জেলাসি, উইকেন্ড ফান আর মাথায় শিশ্ন নিয়ে!
এখানে শিশ্ন মানে কি?
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
শিশ্ন মানে পুংজননতন্ত্র।
৩০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১১
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: এক কথায় অসাধারন।আমি সামুতে নতুন। এই প্রথম আপনার গল্প পড়া। সত্যিই ফ্যান হয়ে গেলাম।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। নিয়মিত কথা হবে আশা করি।
৩১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সুন্দর লেখা।
শেষ লাইনটা পাঠককে তীব্রভাবে স্পর্শ করবার মত।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠককে স্পর্শ করতে পারাটা আনন্দের। শুভকামনা।
৩২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনবদ্য গল্প হয়েছে হাসান।+।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শরৎ। শুভকামনা।
৩৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
জাফরিন বলেছেন: ভাইয়া, আপনার লেখার থীম আর শব্দচয়ন সবসময়ই আমাকে মুগ্ধ করে!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো জাফরিন। শুভেচ্ছা।
৩৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
অদৃশ্য বলেছেন:
অপুর্ব... স্পর্শ করেছে লিখাটি...
হসান ভাইয়ের জন্য
শুভকামনা...
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য। শুভকামনা।
৩৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
ধূর্ত উঁই বলেছেন: কাম,মানবতা,দায়িত্ববোধ,সব কিছু বুঝিয়েদিলেন এক গল্পে। এমনকি সাম্প্রতিক কালের কিছু ব্যাপারে উপলব্ধি হলো । দারুণ গল্প।অসাধারণ গল্পে ভাল লাগা।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর উপলদ্ধির জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৩৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
শীলা শিপা বলেছেন: আমরা মানুষ!!! স্বার্থপরতা আর মানবিক গুণাবলীর জটিল এক মিশ্রন...
অসাধারন...
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শীলা।
শুভদুপুর।
৩৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
ফারুক আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: দারুণ, চরিত্র নির্মানে আপনার সংযম আমার ঈর্ষা জাগায়।
অনেক ভাল লাগা হামা ভাই।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভবিকেল।
৩৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ...রোগীদের রক্তঘটক হয়েছো! একে ওকে রক্ত খুঁজে দেবার মহান দায়িত্ব নিয়েছো! ব্লাডি ব্লাডম্যাচার! ....নাও হে শুভ্রসেবিকা, আমাকে নিঙড়ে নাও। অনেকক্ষণ ধরে নিও কেমন! ... //
-সুন্দর শব্দ চয়ন।
//ব্রনটা আরো বিকশিত হয়ে জাঁকিয়ে বসেছে। মৃত জিনিসেরও বিকাশ ঘটে! রেগে গিয়ে আমি ওটাকে আরো খোঁচাতে গিয়ে থেমে যাই। আবার যদি পুঁজটুঁজ বের হয় বিচ্ছিরি ব্যাপার হবে। মৃতদেরও বিশ্বাস নেই আজকাল।//
-দারুণ বলেছেন!
//আমি তোমাকে রক্ত না দেয়ার জন্যে ছুতো তৈরি করে বিলাসী অবকাশ যাপন করতে চেয়েছিলাম। আমি তোমাকে রক্ত দিতে এসে নানাবিধ দেহজ লোভকল্পনায় মজে ছিলাম। আমি বুঝতে পারি নি মা।//
-সুন্দার বার্তা দিয়েছেন।
ভালো একটি গল্প পড়লাম। ধন্যবাদ :
ভাই, এর বাইরে আর কিছু কি বলার আছে???
অনেক ভালো লাগল লেখাটি। শুভকামনা রইল
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
শুভেচ্ছা।
৩৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম
হাসান ভাই এখন সময় নাই
পরে এক সময় পড়ে কমেন্ট করব ইনশাল্লাহ
শুভ কামনা
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় করে পড়ে জানায়েন।
শুভসন্ধ্যা।
৪০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: হলুদ তারা
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: তারায় তারায় খচিত হোক জীবন। শুভরাত্রি তিতির।
৪১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার এই গল্পটা। একটু আলাদা লেগেছে অন্য গল্পগুলো থেকে। এই লাইনটা পড়ে মজা পেলাম " শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে ঘাড়ের ওপরে শীতল পানি প্রবাহিত হতে দিই আমি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতনন্ত্রের উত্তেজনাকে মন্ত্র পড়িয়ে ঠান্ডা করতে।"
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে তিনদিনের একটা বাচ্চাকে কোয়ার্টার ব্যাগ রক্ত দিয়েছিলাম, কিন্তু কোয়ার্টার ব্যাগ রক্ত মোটা সিরিঞ্জ দিয়ে যেভাবে টেনে বের করছিল তাতে মনে হচ্ছিল আমার শরীর থেকে যদি দুই ব্যাগ রক্তও নিয়ে নিত তাহলেও এত বিব্রত হতাম না। কিন্তু রক্ত দেয়ার পর যখন বাচ্চাটাকে দেখতে গেলাম তখন কিছুই মনে ছিল না, মনে হচ্ছিল খুব পবিত্র একটা কিছু দেখছি, একটা মহৎ কাজে কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করলাম।
শুভকামনা।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো মন্তব্যটা পড়ে। শুভকামনা।
৪২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: এনাফ! আর ফিরিস্তি দিতে হবে না। আহা...সতী, দয়াবতী মেয়ে একজন! রোগীদের রক্তঘটক হয়েছো! একে ওকে রক্ত খুঁজে দেবার মহান দায়িত্ব নিয়েছো!
চমৎকার হয়েছে আপনার গল্পটা
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৪৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
আদ্রিতা বলেছেন: রক্তঘটক! আপনার শব্দের ব্যবহার সব সময়কার মতোই সুন্দর। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ছি। খুব ভালো লাগলো। And the ending was really good. আমি একবার রক্ত দিয়েছিলাম। ভালো লেগেছে। কিন্তু খারাপ লাগে তখনই যখন রক্ত পাওয়া গিয়েছে সব হয়েছে, শুধুমাত্র ডাক্তারের আনাড়ীপনার জন্যে একটা রোগী মারা যায়। কবে য্যানো একটা ভিডিওতে দেখলাম, ঢাকা মেডিক্যালে সুইপার দিয়ে অপারেশন চালাচ্ছে কারণ অতিমাত্রায় পেসেন্ট। ভালো হয় যদি আমাদের দেশে সরকার থেকে হেল্থ ইনসুরেন্সের ব্যাবস্থা করা হয়। সবাই নিজের হেল্থ কেয়ারের জন্য মাসে ইনকাম অনুযায়ী একটা ফিক্সড এমাউন্টের টাকা দিবে সরকারকে। কারো বড় কোনো অসুখ হলে যার হেল্থ ইন্সুরেন্স আছে শুধুমাত্র তার চিকি*সার জন্য সরকার সব টাকা দিবে। সবাই যদি মাসে ৫০ টাকা করেও দেয় তো মাসে মাসে কয়েক কোটি টাকা উঠে যায়। মানে আার কী বলবো। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের চেষ্টার শেষ নাই। শুধু সরকারই বসে আছে।
গল্প ভালো লাগলো খুব।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমার চিন্তাভাবনা চমৎকার লাগলো আদ্রিতা। ভালো থেকো। অনেকদিন পর দেখে আনন্দিত হলাম।
৪৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: কিছুক্ষণ নীরব থেকে আমার আপত্তি জানানোর কৌশল গ্রহণ করি। সভ্য সমাজে তো আর সবকিছু সরাসরি বলা যায় না!
অনেক ভালো লাগলো হাসান ভাই
আসলে ছুটির দিনে মানুষ আরাম আয়েস চায় বটে
কিন্তু কিছু কিছু মায়া মমতা আর কর্তব্যের চেয়ে কখনো
আরাম আয়েসের বেপারটা বেশি হতে পারেনা
যান্ত্রিক জীবনের নিজের কথা আর সুখের কথা ভাবতে ভাবতে আমারা অনেক কিছুই ভুলে যাই
অনেক কিছুই উপেক্ষা করি
লেখাটি অনেক ভালো লাগলো বাস্তব সত্য কিছু জিনিস খুঁজে পেয়েছি
শুভ কামনা
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাসেল। শুভকামনা।
৪৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনি তো যশোর অঞ্চলের ভাষায় চমৎকার লিখেছেন!
গল্প অসাধারণ লেগেছে, - দারুণ! দারুণ!
শুভকামনা রইল! ভালো কাজের শুরুটা পেইনফুল, নানা ঝামেলা দিয়ে মোড়া, কিন্তু এক পা এগুতে পারলে যে আনন্দটা পাওয়া যায়, ওইটাই বেঁচে থাকার মৌলিক রসদ! ব্রণ দিয়ে যে উপস্থাপনা- সেইটা মুগ্ধ করেছে!
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্রনের ব্যাপারটা লিখতে গিয়ে আমাকেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে। সফলভাবে লিখতে পেরে ভালো লাগছে। আর যশোরের ভাষা ভালো পারবো না! খুলনায় ছিলাম ৬ বছর।
শুভদুপুর ইফতি।
৪৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন একটা হৃদয়স্পর্শী লেখা। অসাধারণ শব্দের ব্যবহার গল্পটিকে বেশী সুখপাঠ্য করেছে।
৭ম ভালো লাগা।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইহতিব। শুভেচ্ছা।
৪৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
হা-মা রকস! মানুষ ও মানবিকতা।
অসাধারণ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ভ্রাতা। শুভবিকেল।
৪৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
দারুণ হয়েছে হাসান ভাই।
খুব মন ছুঁয়ে গেল, শুভকামনা আপনার জন্য!!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। শুভকামনা।
৪৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১২
লাবনী আক্তার বলেছেন: ভাইয়া গল্পটা খুব ভালো লেগেছে। একদম বাস্তব একটা চিত্র তুলে ধরেছেন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা লাবনী।
৫০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
নীলপথিক বলেছেন: আজকে অফিসে আসতেই মন খারাপ হয়ে গেলো। দুই বছরের ছোট্ট বাচ্চার পা ঝলসে দিয়েছে নরপশুরা। আহা ! কি কষ্ট।
বাচ্চার বাবা আকুতি (আমার সাথে বাচ্চা আছে, ছেড়ে দেন ভাই) মন গলাতে পারেনি নরপশুদের। সি.এন.জি তে আগুন দিয়ে মেয়ে শিশু আর তার মা কে মেরে ফেলেছে। দুই বছরের একটা বাচ্চা, আরেক মেয়ে সহ প্রাণে বেঁচে গেছেন বাবা। হাসপাতালে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন কিন্তু স্ত্রীর দাফনে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি।- এমন একটি খবর পরেই মনটা খুব খারাপ ছিলো। প্রথম আলোয় ছবি এসেছে। বাচ্চাটা চেঁচিয়ে কাঁদছে। মর্মান্তিক দৃশ্য। আমার বাচ্চার বয়স এখনও তিন হয়নি। ওকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে মন চাইছিলো। পারিনি। আমাকে বেরোতে দেখলেই বাইরে যাবার জন্য পাগল হয়ে যাবে।
আপনার গল্প পড়ে মনের ক্ষততে একটু হলেও প্রলেপ দেয়া গেলো।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: পৃথিবীতে যতই নরপশুদের নিষ্ঠুর আষ্ফালন চলুক, মানবতা এখনও মরে যায় নি। এই শুভবোধই আমাদের বাঁচিয়ে দেবে। আমরা বেঁচে থাকবো।
৫১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০
নীলপথিক বলেছেন: একটু ভুল হয়ে গেলো বোধ করি। অফিসে আসার আগেই মন খারাপ ছিলো। প্রথম আলোয় খবরটা দেখেই বেরিয়েছিলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন খবর যেন আর দেখতে না হয়।
৫২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অসুন্দরের মাঝেও, কামনার মাঝেও মানবতা মাথা চাড়া দিয়েছে। ভালো লেগেছে পড়তে। ইনফ্যাক্ট আগেই পড়েছিলাম।
শুভকামনা রইলো
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা। শুভবিকেল।
৫৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
কালীদাস বলেছেন: মনটা খারাপ হয়া গেল গল্প পইড়া
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন ভালো করার জন্যে চেষ্টা করার দরকার নাই। কিছু বিষাদের দরকার আছে।
৫৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩
সায়েম মুন বলেছেন: আপনের গপ পইড়া মনে পড়লো বহু দিন ব্লাড দেইনা। লাস্ট জন ফুসফুস ক্যান্সার রোগী ছিল। মারা গেছেন।
দেহজ বা মনোজ কামবাসনার উতরে মানুষ শেষ পর্যন্ত মনুষ্যত্বের পরিচয় দেয়। বেশ কিছু জায়গায় বর্ণনা এবং আঞ্চলিক ডায়ালগগুলো সুন্দর হয়েছে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: তেংস সায়েম চাঁদ! রক্ত দেন কাউকে।
৫৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেমন আছেন ?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো। অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। ভালো লাগলো। নিয়মিত দেখলে খুশী হবো।
৫৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৫
চটপট ক বলেছেন: রক্তের ছটায় প্লাবিত মুখে অশ্রুর সংযোগে আমি বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পাই
শেষ লাইনটা জাস্ট অসাধারণ , ভাইয়া কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না , জাস্ট অসাম
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষ লাইনটা দেখছি অনেকেরই ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা।
৫৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনার গল্প পড়ার আগে মানসিক প্রস্তুতি নেয়া লাগে, কোন না কোনভাবে ডুবে যাওয়ার অনুভূতি হবেই!
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিয়মিত ডুব দেয়ার আমন্ত্রণ রইলো।
৫৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গল্পটা পড়ে মনটা মিশ্র অনুভূতিতে ছেঁয়ে গেছে, কামুক প্রাণীর সাথে মনুষ্যত্বের দ্বন্দ্বে শেষে তো মানবিকতাই বিজয়ী হলো।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা।
৫৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
অচিন্ত্য বলেছেন: অপূর্ব !!!
+++
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা ভ্রাতা।
৬০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
clingb বলেছেন: ব্লগে কিছু পড়া ছেড়েই দিয়েছিলাম। আমি আসি কেবল বিজয় লে আউট ব্যবহার করে বাংলা লিখতে। লিখে কপি করে চলে যাই।
আজ মনে হলো এমন একটা লেখা না পড়া থাকলে একটা কিছু মিস হয়ে যেতো। অনেক শুভকামনা থাকলো আপনার লেখক জীবনের জন্য।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ।
৬১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৪
নোমান নমি বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম। আপনার লেখা পড়েই শুরু করলাম। এইটা একটু অন্যরকম হইছে হামা ভাই। প্রথম থেকে ভাবছিলাম ডার্ক কিছু হবে। পরে আইসা দেখলাম না। শেষটা কিছুটা কমন। এছাড়া ভালো লাগছে।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস নমি।
৬২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আমিও নোমান ভাইয়ের আশংকা করছিলাম বুঝি খুব ডার্ক একটা এন্ডিং পাব। রিনা বা রায়ানের খুনোখুনি টাইপের কিছু হবে ভাবছিলাম। তবে শেষে এসে মনে হল যেন নতুন একটা গল্পে প্রবেশ করলাম।
আমার প্রথমবার রক্ত দেওয়ার কথা মনে পড়ে গেল হামা ভাই। এক বড়ভাইয়ের স্ত্রীর জন্য রক্ত দিয়েছিলাম। আমি খুব চেষ্টা করছিলাম ফাক ফোঁকর খুঁজে রক্ত না দিয়ে বেরিয়ে আসার জন্য। কিন্তু ভাবীর অবস্থা দেখে শেষ পর্যন্ত রক্ত দিয়েছিলাম। এবং রক্ত দিয়ে ফেলার ঠিক পরবর্তী মুহূর্তের অনুভূতি ছিল স্বর্গীয়!
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি নিজেও ভাবসিলাম সেরকম একটা এন্ডিং দিবো কী না, পরে মনে হলো থাক একটা গল্পে কিছু মানবতার আলো!
শুভসন্ধ্যা।
৬৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: জাস্ট নজর বুলাইলাম, আসছি বিস্তারিত সমাচার নিয়ে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম!
৬৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: ব্রন সেকশনটা আকস্মিক আসার পরে কিঞ্চিত অবাক হইসিলাম, তারপর সেইটাকে ধরেই যখন অস্থির একটা ফিনিশিং টানলেন; মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। সবচাইতে মজার ব্যাপারটা হইলো রিনার সাথে কথকের অপ্রকাশিত সম্পর্কটা এবং একই মানুষ রিনার প্রতি হঠাত আক্রোশে লিপ্ত হয়ে কীভাবে রক্তগ্রহীতার প্রতি সফট হয়ে ওঠে।
গল্প ভালো লাগসে, অনেক ভালো লাগসে, টুইস্টহীনতাও ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করসে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্রনের অংশটা লিখে আমি নিজেও ভালা পাইসি। টুইস্ট আমি অবশ্য সাধারনত দেই না। আমার গল্পে তো কাহিনী থাকে না সেরম!
৬৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
অপু তানভীর বলেছেন:
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন খারাপের কিছু নাই। সামিহা ভালো হয়ে যাবে।
৬৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
জুনায়েদ রাহিমীন বলেছেন: ভালো লাগলো। সত্যিই যদি মানুষ এভাবে পাল্টে যেতো, বিশেষ করে রাজনীতিবিদেরা!
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সে দুরাশা করে লাভ কী! গল্প পড়ার জন্যে ধন্যবাদ!
৬৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
কয়েস সামী বলেছেন: valo hoise brother. derite porar jonno dukhito.
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।
৬৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
একজন সৈকত বলেছেন:
দীর্ঘ এক মন্তব্য লেখার পড়ে সাবমিট করার পর জানলাম আমি নাকি লগ ইন করা নাই। এমন মনটা খারাপ লাগল!
হামা ভাই, সামুতে বেশ কিছু দিন অফ থাকার পর, অনেক দিন পর আপনার ব্লগ পড়তেছি আর এই গল্পটা পড়ে ভিন দেশে মধ্যরাতে চোখ জলে ভিজাচ্ছি।বিশেষ করে এই ক'টি লাইন পড়ে-
" আশ্চর্য, মেয়েটা আমার চোখের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? এত তিব্র চোখ! এত প্রখর অভিমান! শিশুরা বুঝদার হয়ে গেলে বড়দের বিপন্নতার শেষ থাকে না। এই মেয়ে চোখ সরাও! চোখ সরাও মা। দোহাই লাগে মামনি চোখ সরাও! হ্যাঁ আমার ভুল হয়েছে। আমি তোমার ছোট্ট অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ভেতর কর্কট বিষের জ্বালা বুঝতে পারি নি। আমি তোমাকে রক্ত না দেয়ার জন্যে ছুতো তৈরি করে বিলাসী অবকাশ যাপন করতে চেয়েছিলাম। আমি তোমাকে রক্ত দিতে এসে নানাবিধ দেহজ লোভকল্পনায় মজে ছিলাম। আমি বুঝতে পারি নি মা। কান্না বন্ধ কর। আমার দিকে এভাবে অভিমানের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছিস কেন? আমি কে তোর? ওহ, তোরা তো দুনিয়ার আত্মীয়তার এত জটিল হিসেব-নিকেশ বুঝিস না। সবাইকেই আপন ভাবিস। দেবশিশুদের এত কষ্ট দেয় কেন ঈশ্বর? তোর শরীরে সূঁচের আগ্রাসন। স্যালাইন, ক্যাথেটার। তোর ব্যথা কমানোর জন্যে বটিকার ভেতর নানা রসায়ন। তোর মাংস কেটে যন্ত্রণা লাঘব করার চেষ্টায় চিকিৎসকেরা। আর আমি...হ্যাঁ আমিও আছি এই আয়োজনে মামনি। কাঁদিস না। কাঁদিস না এভাবে প্লিজ! ও কী! চোখ ফিরিয়ে নিলি কেন? আমার দিকে তাকা, দেখ ভালো করে দেখ। তোর কাছে তো কিছুই লুকোনোর নেই। দেখ আমার চোখের মামুলি নির্ভরতা, জলজ মমতা, কোন কাম নেই, লোভ নেই। ওহ, তুই তো এসব শব্দের মানে শিখিস নি এখনও। তুই খালি জানিস আদর আর অভিমান। আর অভিমান করিস নে আমার ওপর মা। আমি কথা দিচ্ছি এই ঔষধের ঘ্রাণঅলা বাজে ঘরটা থেকে তোকে সূর্যের কাছাকাছি খোলামেলা প্রান্তরে নিয়ে যাবো, সেখানে থাকবে সরিষার তেলের স্বাস্থ্যকর গন্ধ আর আদরকাঁথার ওম। সেরে উঠলে পরে ফুলতোলা বিছানায় গড়াগড়ি দিয়ে তুই তোর বাবা-মাকে খুব জ্বালাবি, কেমন? "
- এত অসাধারন আপনার লেখার হাত! অনেক ভাল থাকুন ব্রাদার। আর মৃত বিবেককে নাড়া দেয়া এমন অপূর্ব সব গল্প লিখতে থাকুন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে নাড়া দিতে পেরে আমি আনন্দিত। ব্লগে নিয়মিত হয়ে যান সৈকত। অনেকদিন আপনার কবিতা পড়া হয় না।
৬৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫১
অন্তরন্তর বলেছেন:
সত্য, সুন্দর ও মানবিকতার জয় সবসময় হয়। কোথায় যেন
পড়েছিলাম মানব শরীরে ৮৯% এনিমেল জিন এবং বাকিটা
এঞ্জেল বা ভাল জিন বলতে পারেন( যদি জানায় ভুল থাকে তাহলে ক্ষমা
চেয়ে নিচ্ছি)। আমরা মানুষ যে ভাল কাজগুলো করি বা করছি তা সেই
এনিমেল জিন কে পরাস্ত করে তবেই করছি।
এত সুন্দর করে লিখেছেন যা বিবেক কে জাগ্রত করবেই। কমেন্ট বেশি
বড় হবে দেখে আর লিখলাম না। ভাল থাকুন প্রিয় লেখক।
প্লাস দিতে পারছি না কেন বুঝলাম না।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। ভালো থাকুন।
শুভভোর।
৭০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
আট বছর আগের এক দিন বলেছেন:
৩
শুরুতে মেজাজ খ্রাপ হৈতেছিল পড়তে । আসলে আপনা্র গল্পের এলিমেনট হিসাবে দুঃস্বপনে্র ইউজটা আগে এত্ত বেশি করছেন, ঐ জায়গায় এসে ভাবতেছিলাম আর পড়ুম না । প্রথম অংশের ডিস্ক্রাইপশন টাতে মজা পাই না । সাধারন মনে হৈসে । স্পেশালিটি পাই নাই ।
তিনে এসে ভাল লাগলো ।
এক আর দুই যদি তিনের মত জমতো আপনার সেরা গুলোর একটা হত ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: দুঃস্বপ্নের কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বর্ণনা নাই। আমার প্ল্যান ছিলো গ্রাজুয়ালি গল্পটার ইমোশনাল ইনভলভমেন্টের ইনটেনসিটি বাড়ানো। সেইভাবেই লিখসি। তবে এখন মনে হচ্ছে ১ এর দিকে আরেকটু খেয়াল রাখা উচিত ছিলো।
৭১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে। কিছু বলার নাই।
বুঝতে পারতেসি, আমি নিজে কিছু লেখার আগে অনেক পড়তে হবে.....
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাকেও অনেক পড়তে হবে। অনেকদিন আয়েশ করে বই পড়া হয় না।
শুভেচ্ছা সাজিদ।
৭২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
আলোর পরী বলেছেন: লেখার শেষটা যখন এভাবে হৃদয় ছুঁয়ে যায় তখন মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কি বা করার থাকে
শুভকামনা
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলোর পরী। শুভকামনা।
৭৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৫
ফালতু বালক বলেছেন: ভালো লাগলো খুব, বরাবরের মতই।
ভালো থাকবেন হাসান ভাই।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৭৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: রাতের বেলায় হরর সিনেমা দেখে ঘুমোনোর মজাই আলাদা। চমৎকার সব দুঃস্বপ্ন দেখা যায়। দুঃস্বপ্নের সাথে সখ্য করেই তো বেঁচে থাকা! দুঃস্বপ্নের মাঝে আমি আকাশচুম্বী অট্টালিকা থেকে মাটিতে পড়ি, খুনীদের সাথে হুল্লোড় করে মদ খাই, এলোপাথারি চাকু চালিয়ে দেই প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বুকে, কখনও কখনও মারাও যাই গলায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন নিয়ে।
- চিন্তার প্যাটার্ন টা ভাল লেগেছে ।
মাথার ভেতর কে যেন উনুন চাপিয়ে দিয়েছে। - এ বাক্য টা হবুহু বেশ কয়েকজন রাইটারের লিখায় পড়লাম । আপনি অন্যভাবে লিখলে খুশি হব । যদিও এটা তেমন কিছু না তবু বললাম এ কারণে
আপনার গল্পের বাক্য থেকে আমি সবসময় শিখি । যদি অনভিপ্রেত কিছু মনে হয় ,
রেজার বিরক্তমুখর মানসিকতা যথার্থভাবে ফুটে উঠেছে । আমরাও ত রেজা তাই মিল খুজে পাই ।
বুঝলেন ভাই, আর্লি স্টেজে যদি ধরা পড়তো এখানে পড়তো শব্দটায় মনে হয় আঞ্চলিক ভাষার আচ পরেনি মনে হচ্ছে । পড়তো বলে ? আমি কনফিউজড । আবার এ বাক্যটাও
এতক্ষণ চিক্কুর পাইরে মাত্রই ঘুমালো।
এত তিব্র চোখ! তীব্র হবে ।
এই মেয়ে চোখ সরাও! চোখ সরাও মা। - মেয়ে থেকে মা কি সুন্দর করে এক লাইনেই মানসিকতার পরিবর্তন দেখিয়ে দিলেন ! আমি অভিভুত ।
গল্পে ভাল লাগা থাকল।
বিজয়ের শুভেচ্ছা ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার এই খুঁটিয়ে পড়াটা খুব ভালো লাগলো মাহমুদ। চিন্তার উনুন-আগে কোথাও পাইনি। তবে আমি যেহেতু একবার ব্যবহার করে ফেলেছি, তাই আর দ্বিতীয়বার করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
যশোর অঞ্চলের ভাষায় স্ট্যান্ডার্ড কথ্যভাষার সাথে খুব বেশি পার্থক্য নেই। এই যেমন 'নেই' কে তারা নেই'ই বলে। কিছু কিছু জায়গায় তাই অবিকৃত রেখে দিয়েছি শব্দ।
অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা বিজয়মাসের।
৭৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
প্যাপিলন বলেছেন: এই ধরনের গল্প হজম করা কষ্টকর। কেবিনে ঢোকার পর্ব এসে যাওয়ার সময় মনে হল আর পড়বনা, কেটে পড়ি। তারপরও শেষ করলাম। হাসপাতাল আর থানার প্রতি বরাবরই তীব্র আতঙ্ক কাজ করে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থানায় গেসি জীবনে মাত্র একবার। ওটা ভীতিকর কিছু মনে হয় নাই। তবে হাসপাতালের অভিজ্ঞতা আসলেই মর্মান্তিক। মনকে ভেঙে দেয়।
৭৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২
এম মশিউর বলেছেন: গল্পে ডুবে গিয়েছিলাম। এইমাত্র সৎবিৎ ফিরে পেলাম।
অনেক ভালো লেগেছে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৭৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা পড়ে মাথার ভেতরে একটা কিছু খোঁচাচ্ছে। লিখতে হবে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: দ্রুত লিখে ফেলুন। পড়তে চাই।
৭৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৩
না পারভীন বলেছেন: বরাবরের মত আলাদা ধরনের । পড়ে আবারো মুগ্ধ হলাম ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস পারভীন আপা।
৭৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অসাধারন গল্প। আপনার লেখার স্টাইল চমৎকার!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৮০| ২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারন গল্প।শেষ পর্যন্ত মানবতারই জয় হয়।
প্রিয়তে নিলাম
২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মানবতাবধে নাড়া দিতে পেরে আমি আনন্দিত। মানবতার জয় হোক। শুভকামনা।
৮১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
বিলয় বিন্দু বলেছেন: শেষের দিকে চোখের কোনে একটু জল....!!!
০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি আর কোন খবর রাখিনি মেয়েটার। ইচ্ছে করেই। কী না কী শুনতে হয়!
৮২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
অনিক্স বলেছেন: চোখে পানি এসে গেলো।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা অনিক্স।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
ডট কম ০০৯ বলেছেন: রক্তের ছটায় প্লাবিত মুখে অশ্রুর সংযোগে আমি বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পাই
প্রত্যেক্টা মানুষের এই গল্প পড়া উচিত।