নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিতিন
ছোট্ট একটা সরিষাবীজের আকৃতি নিয়ে পৃথিবীর বিশাল কর্মযজ্ঞে নিজেকে অধিষ্ঠিত করার আগ্রহে চুপচাপ শুয়ে আছি এমনিয়োটিক ঝুলির ভেতর। একটু ভয় ভয় করছিলো অবশ্য, কিন্তু প্লাসেন্টার মাধ্যমে যখন মায়ের শরীরের সাথে সংযুক্ত হলাম, খাদ্য এবং পুষ্টির অবাধ যোগানে ভয়টা কেটে গেলো। এই অবস্থায় আমাকে বলা হয় এমব্রায়ো। কী সব বিটকেলে যাচ্ছেতাই নাম রে বাবা! আর তোমরা বড়রা আমার কথা শুনে এমন গোলগোল চোখ করে তাকিয়ে থেকোনা তো! পঞ্চম সপ্তাহের মধ্যেই আমার ফুসফুস, মস্তিষ্ক, হৃৎপিন্ড, স্পাইনাল কর্ড তৈরি হয়ে যাবে। একটা মানুষের মিনিয়েচার না হলেও মাইক্রোয়েচার তো বলা যেতে পারে আমাকে তখন নাকি! আমি হয়তো বা এখন তোমাদের দৃষ্টিতে একটা এককোষী জীবের বেশি কিছু নই, তাই আমার এমন গড়গড় করে কথা বলায় তোমাদের ভারী গড়বড় হয়ে যাচ্ছে। বড়দের নিয়ে এই এক ঝামেলা। সবকিছুর শূলুকসন্ধান, তত্ত্বতালাশ তাদের করা চাই'ই চাই! যাও তো, আমাকে একটু বুঝতে দাও ব্যাপারস্যাপার। মায়ের শরীর থেকে খাদ্য আসছে আমার কাছে। আমার এখন লাঞ্চটাইম। বিরক্ত করো না।
জীবনের প্রয়োজনে আমাকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছে, চিনতে হয়েছে প্রথম আবাস, সুপেয় তরল, বন্ধু গ্রন্থিসমূহ। আমার ভেতরেও যে জীবনের অনুরণন বয়ে চলেছে, বাঁচার তীব্র আকুতি তোমাদের কারো চেয়ে কম নয়, তা কি তোমরা বোঝো? তোমরা না বুঝলেও মা ঠিকই বুঝবে। তবে মাকে আমি এখনও ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারি নি। যুগ যুগান্তর থেকে বয়ে আসা আদিম বুনো তথ্য আমাকে বাঁচার প্রেষণা যুগিয়েছে, মায়ের কথা জানিয়েছে। শুনেছি মাকে ছাড়া নাকি আমাদের মত প্রাকপ্রাণীপর্বের জীবেরা একদম থাকতে পারে না। ব্যাপারটা শুধুমাত্র খাদ্য আর পুষ্টির নিশ্চিত নির্ভরতা আছে বলে নয়, তাহলে তো কেমন যেন দেয়া-নেয়ার মত হয়ে গেলো। এটা আরো গভীর এবং অসম্ভব প্রভাববিস্তারী। সামনের দিনগুলোতে জানতে পারবো। আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
আমি
আর মাত্র দুই দিন পর মিতিনের প্রথম জন্মদিন। প্রথম জন্মদিনে বেশ ঘটা করে আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবার এক আবদার-খাওয়াতে হবে। সে খাওয়ানো যাবে। দু:খের বিষয় এত আয়োজন-আনন্দের কোন স্মৃতিই তার থাকবে না পরবর্তীতে। এক বছর বয়সের স্মৃতি কি মানুষের মনে থাকে? গত একবছরে আমার জীবন পাল্টে গেছে অনেকটাই। পাল্টাবে না কেন! বাবা হওয়া কী যে সে কথা? আগে বাসায় ফিরতে দেরী করতাম মাঝেমধ্যেই; ইচ্ছে করেই। আর এখন মনটা ছটফট করে কখন বাসায় গিয়ে আমার ছোট্ট জীবন্ত পুতুলটাকে কোলে নেবো, আদর করবো। লোকে বলে ও নাকি দেখতে একদম আমার মতই হয়েছে। বেশ ভালো লাগে শুনতে। "রক্তের বন্ধন" "নাড়িছেঁড়া ধন" এসব শব্দের মানে এখন বেশ বুঝতে পারি আমি। আগে কেমন অতি নাটুকেপনা আর কৃত্রিম আবেগের সমন্বয় মনে হতো শব্দগুলোকে। রাতের বেলা ঘুম ভেঙে বাজে স্বপ্ন দেখে কিংবা পেটব্যথায়; কে জানে, মিতিন যখন করুণ স্বরে কেঁদে ওঠে, তখন তাকে কোলে নিয়ে হাঁটার সময় বুঝি, রক্ত বস্তুটা কত শক্ত সূতোয় বাঁধতে পারে পরস্পরকে। এই যে একবছর কেটে গেলো তার জন্মের, গত এক বছরে একটা বোধ আমাকে ঋদ্ধ করেছে। আগে একটা বছর পেরিয়ে গেলে অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস পড়তো। মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া হলো আরো একধাপ। আর এখন? এখন মনে হয় আমার মেয়ের বয়স যত বাড়ছে তা যেন আমার জীবনসম্ভারে ধনাত্মক প্রাণচিহ্নের আকারে যুক্ত হচ্ছে। গত একবছরে আমার বয়স এক বাড়লেও তা মৃত্যুমুখী ছিলোনা, ভীষণভাবেই জীবনমুখী।
মিতিন
আরেব্বাহ! আমার নাক, মুখ, আঙুল, পায়ের পাতা তৈরি হয়ে গেছে। আকারও পেয়েছে বেশ সুন্দর। অবশ্য বড় মানুষেরা বলে এই পর্যায়ে নাকি এলিয়েনের মতো লাগে দেখতে। এলিয়েনরা দুষ্টু। আমার মনটা তাই একটু খারাপ। আরো একটা ব্যাপার নিয়ে বিব্রত, ব্যাঙাচির মত একটা লেজ গজিয়েছে আমার। উটকো জিনিসটাকে মোটেই সহ্য হচ্ছে না। যদি ওটা থেকেই যায় ভুমিষ্ট হবার পরেও? বাবা-মা কি তখন আমাকে এখনকার মতো করে এত যত্ন করবে? এই যে তারা এখন রিক্সায় চড়লে ভাঙা রাস্তা এড়িয়ে চলে, সাবধানে চালানো নিয়ে রিকশাঅলার সাথে ঝগড়া করে, সামনে কোন স্পিডব্রেকার থাকলে ঝাঁকুনি এড়ানোর জন্যে মা দাঁড়িয়ে যায়, মাথাব্যথা হলেও আমার ক্ষতি হতে পারে ভেবে ঔষধ খায় না, এই যে আমাকে নিয়ে বাবার এত দুশ্চিন্তা, মাসে মাসে চেক-আপ, গাদাগাদা ঔষধ কেনা, এতকিছুর পরে যদি দেখে যে আমি লেজঅলা কিম্ভূত একটা প্রাণী, তখন কী হবে? মনমরা হয়ে আছি কদিন ধরে এ কথাটা ভেবে।
যাক! লেজটা খসে গেছে অবশেষে! ছোটছোট দাঁতও গজিয়েছে আমার। ইচ্ছে করে কুটকুটিয়ে কামড় দেই সবাইকে। এখানে কামড়ানোর মত তেমন কিছু নেই। আচ্ছা, বড় হয়ে নেই দাঁড়াও! হৃৎপিন্ডটা সারাক্ষণ প্রবল গতিতে স্পন্দিত হতে থাকে। বেশ মজা লাগে আমার। সারাক্ষণ যেন ড্রামস বাজছে। আমি এখন চোখ পিটপিট করতে, হাত নাড়াতে পারি। আঙুল বাঁকানোটাও শিখে গেছি। সপ্তাহখানেক এভাবে বেশ মৌজে কাটলো। তারপর একদিন দেখি কী, তাজ্জব ব্যাপার! আমি রেগে গেলে, বিরক্ত হলে তাও প্রকাশ করতে পারছি! সেদিন যখন বাবা রাত করে বাসায় ফিরে মায়ের সাথে ঝগড়া করছিলো, আমার রাগ হচ্ছিলো খুব। রেগেমেগে কিছু বলবো ভাবতেই দেখি যে আমার চোখ কুঁচকে আসছে বিরক্তিতে! এ এক দারুণ নতুন ব্যাপার। এখন থেকে আমার সামনে বাবা-মা কোন ঝগড়াঝাটি করলে এভাবে খুব বকে দেবো। আরো একটা বিষয় নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমাকে এখন আর এলিয়েনদের মত দেখায় না। এবার যখন আল্টাসনোগ্রাম করতে গেলো, ভীষণ উত্তেজিত ছিলাম আমি। বাবা-মার সাথে যোগাযোগের এ মাধ্যমটা বেশ পছন্দ আমার। তারা আমাকে দেখছে! কী দারুণ! একটু সাজুগুজু করতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু সে সুযোগ তো নেই, তা নিয়ে আর ভেবে কী হবে! আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম তাদের দুজনের আবেগটুকু। আনন্দাশ্রু লুকোনোর ছল করে অন্যদিকে তাকানো, কী ছেলেমানুষ আমার বাবাটা!
আমি
যতই দিনটা এগিয়ে আসছে, আমার মানসিক অস্থিরতা তত বাড়ছে। মাঝেমধ্যে মনে হয় অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা করে আছি। মাতৃগর্ভে শিশু থাকা অবস্থায় হবু বাবারা অনেকসময় মানসিক বিপর্যয়ে পতিত হয়। আমার ক্ষেত্রে অবস্থাটা বিপর্যস্ত না হলেও খুব একটু ভালোও না। নানারকম আশঙ্কা আর উদ্ভট চিন্তায় মন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে। তিথির পেটে হাত দিয়ে আমার অনাগত সন্তানের 'কিক' অনুভব করা এখন আমার শ্রেষ্ঠ বিনোদন। কখনও কিক দিতে দেরী হলে বা কমজোরী কিক হলে মুখ শুকিয়ে আমসি হয়ে যায়। গত ১৪ই ডিসেম্বর দিনটা যা গেলো না! সকাল থেকে প্রায় চার ঘন্টা বাচ্চার নড়াচড়ার কোন লক্ষণ নেই। ওর মায়ের তো কাঁদোকাঁদো অবস্থা। দুপুর ১২টার পর সিদ্ধান্ত নিলাম আর অপেক্ষা নয়, আর কোনো ঝুঁকি নেয়া চলবে না। রবি ফুপার গাড়িটা ধার করে হাসপাতালে ছুটলাম। বেছে বেছে ওইদিনই যে কেন শুক্রবার পড়লো! আশেপাশের ডেল্টা আর সেলিনা হসপিটালের ইমার্জেন্সি বন্ধ। ছুটতে হলো সেই গ্রিন লাইফে। ডাক্তার এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বললেন বেবির হার্টবিট নরমালের তুলনায় বেশি। সম্ভবত অক্সিজেন কম পাওয়াতে এমন হচ্ছে। এ্যামনিয়োটিক কর্ডের অবস্থানগত পরিবর্তনে এমন হতে পারে। অক্সিজেন দিতে হবে তিথিকে। অবশেষে অক্সিজেন দেয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক হলো। সস্তা ঘিঞ্জি ওয়ার্ডে সারাক্ষণ তিথির সাথে কাটিয়ে দিনটা অবশ্য খারাপ গেলো না একেবারে। আগত মাতৃসম্ভাবনা, স্বস্তিদায়ক অক্সিজেন আর সবার সামনে নির্লজ্জের মত হাত ধরে থাকা, ফাঁকতালে একটা চুমু সব মিলিয়ে তার মুখে এক আশ্চর্য আনন্দ আভা খেলা করছিলো, যা আগে কখনও দেখি নি।
সামনের মাসটা যেন কতদূর! আল্টাসনোগ্রামের রিপোর্টে লেখা আছে সম্ভাব্য তারিখ ৮ থেকে ১৮ই জানুয়ারির মধ্যে। ইদানিং আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সন্তানকে দেখে যাবার সৌভাগ্য নেই আমার। তার আগেই ভয়ানক কিছু একটা ঘটবে। আমি মারা যাবো। এরকম অবশ্য অনেকদিন ধরেই মনে হচ্ছে, তবে তীব্রতাটা খুব বেশি আজকাল।
আমাদের সন্তানের নাম কী দেবো সব বাবা-মার মতই আমরাও সেটা নিয়ে ভাবছিলাম খুব। কত সাহিত্যিভরা, দুষ্টুমী মাখা দেশী, ইরানি, আরবী, ইতালিয়ান, ইংরেজি শব্দ মাথায় আসে, কোনটাই আমাদের নিরীখ পার হয়ে চুড়ান্ত হতে পারে না। একদিন হঠাৎ করেই নাম নিয়ে চিন্তা ভাবনার অবসান ঘটলো। কবিবন্ধু শিরীষের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে মিতিন নামটা পেলাম। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি শব্দ, যার অর্থ বন্ধু। নামটা আমাদের দুজনেরই খুব পছন্দ হয়ে গেলো। ঠিক করলাম, ছেলে হোক বা মেয়ে, ডাকনাম এটাই হবে।
অবশেষে সেই দিনটি এলো! সকাল ছটায় তিথি আমার ঘুম ভাঙিয়ে জানালো যে তার পেইন হচ্ছে। আমি তার চোখমুখ দেখেই বুঝলাম হাসপাতালে নিতে হবে। বাসার সবাই তড়িঘড়ি করে প্রস্তুত হয়ে গেলো। গাড়িও রেডি। গন্তব্য সেই গ্রিন লাইফ হসপিটাল। তিথির ডাক্তার চাইছিলো নরমাল ডেলিভারিই হোক, দুটো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন। তখন বাজে কেবল দশটা। আরো চার ঘন্টা! এদিকে তিথির পেইন দেখে আমার নিজেরও কেমন যেন লাগছে। মাথা ঝিমঝিম আর শরীর দুর্বল করতে লাগলো। একটু পানি দেয়ার জন্যে বেসিনের কাছে গিয়ে আমি এক অদ্ভুত কান্ড করলাম। পিতা হবার ঘন্টাকয়েক আগের টেনশনটা ফ্রেমবন্দী করে রাখতে সেলফোন দিয়ে কয়েকটা ছবি তুললাম নিজের। বুকের ভেতর ভীষণ তোলপাড়। মনে হচ্ছিলো হৃৎপিন্ডটা ছিটকে বের হয়ে আসবে। হার্টের কোন সমস্যা হলো নাকি কে জানে!
বেলা দেড়টার সময় তিথির ভাই ইশতিকে নিয়ে রক্তের ক্রসম্যাচিং করার জন্যে গ্রিন লাইফের আরেকটা ভবনে যেতে হলো। 'ও' নেগেটিভ রক্ত খুব রেয়ার, তাই ডাক্তার বলেছে আগে থেকেই ডোনার রেডি রাখতে। বেলা ১.৩৮ এ আমার মা ফোন করে আনন্দমুখর উষ্ণ কণ্ঠে জানালেন "হাসান তোর মেয়ে হয়েছে!"। খবর শুনেই আমি দৌড়ে ছয়তলা সিঁড়ি ভেঙে হাঁপাতে হাঁপাতে পৌঁছুলাম ওটিতে। আমার কোলে যখন মিতিনকে দেয়া হলো, সময় তখন ১.৪০, তারিখ ৩'রা জানুয়ারি,২০১৩।
মিতিন
এখন আমার ওজন কত জানো? আড়াই আউন্স। দৈর্ঘ্যে চার ইঞ্চি। দাঁড়াও দাঁড়াও! এখন আমি পাঁচ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের পাঁচ আউন্স ওজনের একটা দশাসই শিশু! গত দুই সপ্তাহে খুব দ্রুত বেড়েছি। মাথাটা ঘাড়ের ওপর শক্তভাবে সেঁটে থাকে। নরম কার্টিলেজগুলো ক্রমশ শক্ত হয়ে হাড়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। প্লাসেন্টার সাথে সংযোগকারী নলটা অনেক দৃঢ় এবং পুরু। মাতৃগর্ভ জায়গাটা দিনদিন আরামদায়ক হয়ে উঠছে। মন ভালো থাকলে আমি নড়াচড়া করি, খেলি। তবে বেশিরভাগ সময়ই কাটে ঘুমিয়ে। না ঘুমিয়ে করবোই বা কী! এত উষ্ণ, আরামদায়ক জায়গা আর কোথাও আছে! আমার নড়াচড়াকে প্রথমে মা বুঝতে পারে নি। প্রথমে নাকি বোঝা যায় না অতটা। ছোট্ট প্রজাপতির হালকা করে ডানা ঝাপটানোর মত করে এতটুকু নড়েছি, আর মামনি ভেবেছে মনে হয় গ্যাসের কারণে পেট গুড়গুড় করছে। হাহা! কী বোকা বলতো? ধীরে ধীরে আমি দ্রুত এবং জোরে নড়াচড়া করা শিখছি। একদিন মামনি বুঝে গেলো যে ওটাই আমি। বুঝতে এতো সময় লাগলো! বড়দের নিয়ে আর পারা যায় না! আমার সবরকম ইন্দ্রিয় অনুভূতি তৈরি হয়ে গেছে। স্বাদ, বর্ণ, গন্ধ, স্পর্শ, শ্রবণ সব বুঝি সব! বড় হয়ে যাচ্ছি আমি। মামনিও এখন খুব বুঝতে পেরেছে যে আমি আর সেই ছোট্ট ব্যাঙাচিটা নেই। আমার সাথে কথা বলা যেতে পারে, গান শুনতেও খুব ভালোবাসি। গানের ব্যাপারটা অবশ্য বাবাই বেশিরভাগ সময় করে। কন্ঠ শুনেই বুঝতে পারি ওটা বাবা। মা আর বাবা, এই দুজনের কণ্ঠ আর কথা বলার ভঙ্গি সবার থেকে কী ভীষণ আলাদা!
বড় হচ্ছি, তাই জীবনযাপনের ধারাও পাল্টে যাচ্ছে। এখন আমি আর ছোটদের মত সারাক্ষণ ঘুমাই না। ঘুমের একটা রুটিন তৈরি হয়েছে। নতুন একটা ব্যাপার শিখেছি, হেঁচকি তোলা। প্রথমদিকে মা ভয় পেয়ে গিয়েছিলো, এটা আবার কেমনতর বিষয় ভেবে! আমি নিয়মিত বিরতিতে হেঁচকি তুলে তাকে বুঝিয়ে দিই যে এটা অস্বাভাবিক কিছু না। মা দ্রুতই বুঝতে পারে। আমাকে সে না বুঝলে কে বুঝবে?
আমি
এক হাজার টাকা খরচ করে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর চলচ্চিত্রটি দেখে আসলাম আজকে আমরা। চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য অবশ্য খুব কম, মিনিট পাঁচেক হবে। খরচটা সেই তুলনায় বেশি মনে হচ্ছে? মোটেও না। আল্টাসোনোগ্রাম মেশিনে যখন তার গুটিসুটি মেরে থাকা অস্পষ্ট হাত-পা দেখলাম আমার মনে তখন অনির্বচনীয় অনুভূতি। তিথির প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই আমার ভেতর নানারকম অযৌক্তিক বাজে চিন্তা কাজ করা শুরু করেছিলো। আমার সন্তান ঠিকমতো আছে তো? ডাক্তাররা ডায়গনোসিস করতে কোন ভুল করে নি তো? স্বচক্ষে দেখার পর একটা বিশাল ভার যেন নেমে গেলো শরীর থেকে, সাথে ঝিরঝিরে প্রশান্তির হাওয়া আর গলায় দলা পাঁকিয়ে ওঠা কান্না। একটি শিশুকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত জটিলতা এবং ঝুঁকির কথা ভেবে দুশ্চিন্তা করা অবশ্য এরপরেও থেমে থাকে নি। আমার শুধু সবচেয়ে খারাপ সম্ভাবনার কথাই মনে আসতো সবসময়। এমনিতে অবশ্য সব ঠিকঠাকই চলছিলো, মাঝখানে একবার চেক-আপের সময় দেখা গেলো তিথির শরীরে হিমোগ্লোবিন কম। হিমোগ্লোবিন কম থাকা মানে প্রসব-পরবর্তী রক্ত সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাওয়া। আয়রন ট্যাবলেট আর সুষম খাদ্যের প্রচেষ্টায় এক মাস পর হিমোগ্লোবিন কিছুটা বাড়লো বটে, তবে তা যথেষ্ট ছিলো না। ডাক্তারের পরামর্শে তাই প্রথমবারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো তাকে। আয়রন ইনজেকশন দিয়ে হিমোগ্লোবিন লেভেল বাড়াতে হবে।
আমার মনে হয় ছেলেই হবে। যে কিক পায়ের! এ ফুটবলার না হয়েই যায় না! আর যদি মেয়ে হয়, তবে অবশ্যই সে নৃত্যপটিয়সী হবে। তার কিকের মধ্যে আমি এক ধরণের ছন্দ খুঁজে পাই। হয়তো বা এটা পিতৃমনের অতিকল্পনা। হোক না! এইসব সুখকল্পনাই তো জীবনের স্বাদ! ডান্স বিটের গান ছেড়ে দিলে সে খুব লাফায়। বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান একটা গান আছে এলিট স্কোয়াড সিনেমার "মোরো দি দান্দো" না কী যেন নাম, ওটা ছেড়ে দিলে তো দস্যিটা ঘুমিয়ে থাকলেও উঠে এক পাক নেচে নেবেই! ওর ঘুম, জেগে ওঠা, নেচে নেয়া, খেলা করা, এসব আমার দৈনন্দিন জীবনের সাথে জরিয়ে গেছে। তবে নারী হওয়ার বিশেষ সুবিধার বলে তিথি বুঝতে পারে আরো বেশি কিছু। ওর হেঁচকি তোলা, হাই তোলা এসবও নাকি সে বোঝে! জীবনে এই প্রথমবারের মত আমার মেয়ে হয়ে না জন্মানোর জন্যে দুঃখ হলো।
সেদিন তিথির বাবার বাড়ি থেকে সবাই এসে শুভকামনামন্ডিত মিষ্টান্ন দিয়ে গেলো। সবাই ভালো ভালো খাবার খেলাম। ছবি তুললাম। আশীর্বাদ বা দোয়াতে আমার বিশ্বাস নেই, কিন্তু সেদিন আমার মনে হচ্ছিলো শুভার্থী অগ্রজদের আশীর্বাদ বা দোয়ার চেয়ে বেশি প্রার্থিত আর কিছু নেই। আমাদের চলার পথে আরো বেশ কিছুদূর বাকি। এখন আমি শুভ কোনকিছু থেকেই বঞ্চিত করতে রাজী নই নিজেকে। আজকের দিনটা তো বেশ ভালোই গেলো। সামনের দিনগুলোও যাবে তো? শুনেছি একসময় নাকি সবকিছু অসম্ভব রকমের দীর্ঘ মনে হতে থাকে। তেমন কিছু হবে নাকি?
মিতিন
আমি এখন প্রায় ষোল ইঞ্চি লম্বা। ওজন তিন পাউন্ড। মাতৃগর্ভের আরামদায়ক দিন মনে হয় শেষের পথে। আমারও কেমন যেন হাঁসফাঁস লাগে। কম তো বড় হই নি। কবে তোমরা আমাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে? এই ছোট্ট জায়গায় আমার শরীর যে আর আঁটে না! মায়ের কাছে ঘ্যানঘ্যান করতে থাকি। আমার নড়াচড়া এখন বাইরে থেকেও টের পাওয়া যায়। আমি খুব অস্থির হয়ে গেছি ইদানিং। নড়াচড়া বেশি করছি। মামনির ঘুমের ব্যাঘাৎ হচ্ছে এজন্যে, বুঝতে পারছি। এছাড়া আমার চুল আর নখের জন্যেও তার সমস্যা হচ্ছে খেতে, হজমে। আরো দ্রুত ওজন বাড়ছে আমার। নড়াচড়ার জায়গা সীমিত হয়ে আসছে। কী ভীষণ আঁটোসাঁটো অবস্থা! ভালো লাগছে না আর এ জায়গাটা। কবে আমি পৃথিবীর আলো দেখবো? কবে, কবে, কবে? এমনতর মানসিক দূরাবস্থার মধ্যে একটা ভালো ব্যাপার ঘটে গেলো। আমার শরীরের কুঁচকানো চামড়াগুলো সব ঝরে গেলো। এখন নিশ্চয়ই আলটাসনোগ্রামে আমাকে আরো ভালো আর স্পষ্ট আকৃতির দেখাবে? বাবা-মা নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে? এই চিন্তাটা মাথায় আসার পর আমার মন ফুরফুরে হয়ে গেলো।
শরীরের ভেতর নতুন কিছুর উপস্থিতি টের পাচ্ছি। কত্তগুলা নতুন রে! এটাকে নাকি বলে ফ্যাটসেল। আমার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হবে এর মাধ্যমে। জিনিসটা নেহায়েৎ মন্দ না বোধ হয়!
নড়াচড়া এখন আর প্রায় করতেই পারি না। পারবো কী করে? প্রায় আঠার ইঞ্চির মতো লম্বা হয়ে গেছি। এতটুকু পেটে এত বড় একটা বাচ্চা কীভাবে নড়বে? বিরক্ত হয়ে মাঝেমধ্যে কিক দিই, এই আর কী। তবে পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, মানিয়ে নিয়ে নতুন কিছুতে মজে থাকার দক্ষতা আমাদের, মাতৃগর্ভের শিশুদের সহজাত। এখন মামনির পেটে বাবা টোকা দিলে আমিও পাল্টা কিক দিয়ে জানান দেই। এই খেলাটার নাম দিয়েছি টরেটক্কা খেলা। খুব মজা লাগে খেলতে।
আমার ওজন এখন প্রায় সাত পাউন্ড, দৈর্ঘ্য ২০ ইঞ্চি। আর কতোকাল আমাকে এই অন্ধ গহবরে থাকতে হবে? আমার ফুসফুস, হৃৎপিন্ড, হাত, পা, চোখ সবকিছুই পৃথিবীতে আসতে প্রস্তুত। আর কত দেরী মা? কবে তোমার কোলে উঠবো বাবা?
আমি
গতকাল রাতে বিচ্ছিরি কান্ড ঘটে গেছে। বাবা-মার সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে ভীষণ তর্কাতর্কি, তিথি তাদের পক্ষ নেয়াতে তাকে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি। বিয়ে করাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল, এ কথাটা পুরুষতান্ত্রিক দম্ভে জানিয়ে তিথিকে তার বাপের বাড়িতে চলে যাবার আহবান জানালাম। বাবা-মা'কেও তুচ্ছ এবং অজানা সব কারণে দায়ী করে গলা ফাটাতে লাগলাম। চরম বেয়াদবিটা করলাম শেষ পর্যায়ে। আমাকে তারা সোফায় বসিয়ে রেখে কী সব ইতং বিতং বোঝাচ্ছিলো, আমি ঝামটা মেরে উঠে এসে ঘরের দরোজা খোলা রেখেই একের পর এক সিগারেট টানা শুরু করলাম ভোঁসভোঁস করে। সিগারেট টানতে টানতে উত্তপ্ত মস্তিষ্কে বিবাহপরবর্তী পরাধীন জীবনে আটকে পড়ে এবং প্রাকবৈবাহিক স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বঞ্চিত হয়ে কী ভুল করেছি তা সশব্দে জানান দিতে থাকলো আমার মন। আগেই বোঝা উচিত ছিলো বৈবাহিক জীবন আমার জন্যে না। আমি সিগারেট, হার্ড ড্রিংকস, হার্ড রক, ডার্ক থটস, ফ্লার্ট গার্লস এসব নিয়ে মজে থেকে ভার্চুয়ালি নিজেকে সেলিব্রেটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো। কোন বাঁধনে বাধা পড়া কি আমার মানায়? সবার কী আর রুটিনমানা আটপৌরে জীবনে চলে? কোথায় গেলাম সেই আত্মবিধ্বংসী, নিহিলিস্ট, সেল্ফ স্যাডিস্টিক রেকলেস ছেলেটা? ল্যাপটপের সামনে পড়ে থাকা সিডিটা নিয়ে ভেঙে নিজের হাত কেটে রক্ত ঝরিয়ে এক মুঠো ঘুমের ট্যাবলেট মুখে পুরে তবেই আমার ঘুম এলো।পরদিন বাসায় ফিরলাম ইচ্ছে করেই দেরীতে। বাসায় ফেরার পথে এক সিএনজিঅলার সাথে ভাড়ায় বনিবনা না হওয়ায় তাকে যাচ্ছেতাই গালি দিয়ে গাড়িতে বেশ কয়েকটা ঘুষি মেরেছি। এর ফলে অবশ্য বেশ ব্যথা অনুভূত হচ্ছে, তবে রাগটা ঝাড়া গেছে এতেই খুশি। কালকে থেকে মেজাজটা বড্ড খিঁচড়ে আছে।
বাসায় ফেরার পর তিথি গতকাল রাতের কথা ভুলে গিয়ে আশ্চর্য কোমল ব্যবহার করলো আমার সাথে। ব্যাপারটা কী? ও তো এমন মেয়ে না। বড্ড জেদ তার। ভেবেছিলাম টানা দুই দিন কোন কথাই বলবে না। কিন্তু যে কথা তার পেটে জমে আছে, যে কবিতার পঙক্তিতে তার শরীরে আশ্চর্য আবৃত্তি অনুষ্ঠান, তার ভাগীদার আমাকে না করে সে পারে কীভাবে? ভালোবেসে ডাকলো সে আমায়,
-শোনো...
-হু বলো।
কিছুক্ষণ নীরবতা। তার গালে লজ্জার রক্তিম দীপ্তি। আমি হঠাৎ করেই যেন বুঝে গেলাম সব। তার দিকে ভালো করে তাকিয়ে ব্যগ্র কণ্ঠে বললাম,
-সত্যি?
-হ্যাঁ সত্যি!
*
আজ মিতিনের জন্মদিনে বায়োস্কোপের রিলের মতো পুরোনো সব ছবি ভাসতে লাগলো আমার চোখের সামনে। এই যে বদলে যাওয়া, এই যে উৎকন্ঠার প্রহর, এই যে টুকরো দুষ্টুমী, এই যে স্বপ্নভরা চোখ, প্রতীক্ষার যন্ত্রণা, মানসিক অবসাদ, অজানা আশঙ্কা, শুভাকাঙ্খীদের ভালোবাসা এসবকে আমি অস্বীকার করি কীভাবে? মিতিন যত বেড়ে উঠেছে আমি ততই ফিরে গেছি উৎসে। উচ্ছাসের উৎসাহে। আমার রাজকন্যাটা, আমার তোতোরো, মেরি পপিন্স তার অদৃশ্য ডানা দিয়ে যতই এগুতে থাকবে সামনে, যতবার তার জন্মদিন ফিরে আসবে, মৃত্যুর দিকে ধীরে এগিয়ে যাওয়া এই আমি বয়সের হিসেব তুচ্ছ করে বুড়ো থেকে প্রৌঢ়, প্রৌঢ় থেকে যুবক হয়ে বারবার ফিরে যাবো সেই উৎসমুখে, মৃত্যুকে অস্বীকার করে নতুন জীবনের আনন্দ আবিষ্কারে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা পড়ে একটা মতামত জানায়েন।
শুভকামনা।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আপনাকে, ভাবীকে আর মিতিনকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা।
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মিতিনের জন্য অনেক আদর হামা ভাই, আপনার জন্য আর আপুর জন্য শুভেচ্ছা নতুন বছরের !
পরে আবার এসে গল্প পড়ে যাবো !
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা অভি। গল্প পড়ে আরেকটা কমেন্ট কইরো কিন্তু।
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
ঘাসফুল বলেছেন: মিতিন- লক্ষ- কোটি আলোক বর্ষ দূর থেকে আসা বারবিটাকে সম পরিমান আদর...
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিতিন আর আমার পক্ষ থেকে।
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
জাফরিন বলেছেন: আপনাদের দুজনের মতই গভীর মনের মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক মিতিন।
শুভ নববর্ষ। আর ওর জন্মদিনের অগ্রীম শুভেচ্ছা
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা জাফরিন। আশা করি তোমার কাছ থেকেও এমন অনুভূতির প্রকাশ সম্বলিত একটি লেখা পাবো কোন একদিন।
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুভজন্মদিন মিতিন।অনেক দোয়া থাকলো। আপনাকে আর ভাবিকেও অনেক অভিনন্দন ।
আপনার গল্প পড়ে ভাল লেগেছে।চমৎকার ভাবে আপনার পিতৃঅনুভূতি প্রকাশ হয়েছে। আসলে মায়ের যে অনুভূতি সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে সেটা তো আর বাবার হতে পারে না।দুঃখ করে লাভ কি?
চমৎকার গল্পে অনেক ভালো লাগা ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
জাফরিন বলেছেন: আরেকটা কথা। বাবা বা মা হওয়া ব্যাপারটা যে এত আনন্দের আপনাদের (সমুদ্রকন্যা আপুর লেখাটাও পড়েছি) লেখা না পড়লে বুঝতাম না। খুব অবাক লাগে অবশ্য!
মিতিন বড় হয়ে এই লেখাগুলো পড়ে অনেক মজা পাবে
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: তুলনাহীন আনন্দের, তবে অপেক্ষার অংশটা বড়ই দীর্ঘ লাগে।
৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাদের দুই জনকে ( তিথি আর আপনি ) নববর্ষের শুভেচ্ছা।
আর মিতিনকে অনেক অনেক আদর ।
-----
গল্পে মিতিনের পার্টটা খুব উপভোগ্য লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে --
লেজটা খসে গেছে অবশেষে! ছোটছোট দাঁতও গজিয়েছে আমার। ইচ্ছে করে কুটকুটিয়ে কামড় দেই সবাইকে। এখানে কামড়ানোর মত তেমন কিছু নেই। আচ্ছা, বড় হয়ে নেই দাঁড়াও!
---- ওর দাঁত দেখলে এমনিতেই আমার মনে হয় ও সুযোগ পেলে কুটুস কুটুস করে কামড়ে দিতে চায়।
মিতিনকে নিয়ে গল্প লিখতে বলার পেছনের যে কারণটা ছিল ---
আমি নিজে মা, তাই আরেক মায়ের অনুভব তার সন্তানকে ঘিরে কেমন সেটা বুঝি। আর নারীরা তাদের স্বভাবজাত অনুভূতি কারণে অকারণে বারবার প্রকাশ করে/ করতে চায়। যা একজন বাবা সহজে করে না, সন্তানের কাছেও বাবার একটা পার্ট যা লুকায়িত থাকে। বাবাদের প্রকাশভঙ্গী কতোটা স্বতঃস্ফূর্ত হতে পারে সেটা দেখতে চাওয়াই ছিল মুখ্য।
পিতা হবার ঘন্টাকয়েক আগের টেনশনটা ফ্রেমবন্দী করে রাখতে সেলফোন দিয়ে কয়েকটা ছবি তুললাম নিজের।
--- দেখতে পারলে ভালো লাগতো।
আপনার মেরি পপিন্স অনেক সাফল্য পাক জীবনে, ভালো থাকুক এই দোয়া রইলো।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: কারো অনুরোধ রাখতে পারলে ভালো লাগে। ভালো লাগছে আমার অনুভূতির কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করে। অনেক শুভেচ্ছা আপনার এবং বাবুইয়ের জন্যে।
৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
পড়লাম, মিতিনের অংশটুকুয় অনেকটা তাত্ত্বিক হলেও আপনার অনুভূতিগুলো বুঝতে পারছি। সত্যি বলতে কি, ফেসুবুকেও যখন মিতিনের বেড়ে উঠা দেখছি, ভালো লাগাটা দারুণ হয়ে যায়। শিশুদের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা আরো অধিক হবার পেছনে মিতিনের এইসব ফুটফুটে ছবিগুলোর ও অনেক অবদান।
এই লেখা যখন পড়ছি, ভাবছিলাম ছোট্ট মিতিন যখন বড় হবে, বুঝতে শিখবে, তখন এই লেখাসকল যখন পড়বে, তার অনুভূতি কিরকম হতে পারে। তার বাবা-মা এমন সব অনুভূতির লিখে যাচ্ছে, যা তাকে গর্বিত করবে, আনন্দে কাদাবে, হাসাবে।
ছোট্ট মিতিন অনেক বড় হয়ে উঠুক, মানুষ হিসেবে এই জঞ্জালের দেশে দৃষ্টান্ত হোক। বাবা-মা কে গর্বিত করুক।
হ্যাপি নিউ ইয়ার আপনাদের।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মায়ের পেটের ভেতর বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার যে অভিযাত্রা তা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে। তাই মিতিনের অংশে গল্পচ্ছলে তত্ত্বকথা বলেছি।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা দূর্জয়।
১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
লাবনী আক্তার বলেছেন: মিতিনের জন্য অনেক আদর ও দুয়া রইল।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাইয়া।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লাবনী। শুভেচ্ছা।
১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বাহ, কত সুন্দর করে জীবনের কথাগুলো লেখা। ভাল লাগল অনেক।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রিয়াদ। আঁধার কেটে যাক।
১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মিতিন, আপনার ও ভাবির জন্য নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি ভ্রাতা। শুভকামনা।
১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
একজন আরমান বলেছেন:
গল্প পড়ার ধৈর্য খুব কম আমার। কিন্তু এতো বড় একটা গল্পের শেষে এসেও মনে হল এতো তাড়াতাড়ি কেন শেষ হয়ে গেলো? ভালোই তো লাগছিল মিতিন আর মিতিনের বাবার মনের কথাগুলি।
মিতিনের কথাগুলি মনে হচ্ছিল যেন ওর কথাগুলিই আপনি লিখে দিয়েছেন। আর শেষটাতে এসে আপনার মানসিক অবস্থার কথা পড়ে কেমন যেন অনুভুত হচ্ছে, ঠিক বোঝাতে পারবো না।
অনেক শুভকামনা রইলো মিতিনের জন্য আর মিতিনের আব্বু-আম্মুর জন্য।
মিতিনের জন্মের কয়েক ঘন্টা আগের তোলা ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন না? আমার খুব দেখতে ইচ্ছা করছে সে সময়ের হাসান ভাইকে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার আবেগ আপনাকে এতটা ছুঁয়ে গেছে জেনে অভিভূত হলাম আরমান। ছবি দেবো বাসায় গিয়ে।
শুভকামনা।
১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
আমি ইহতিব বলেছেন: এমনিতেই এখন সামুতে খুব কম আসা হয় বা এলেও খুব কম পোস্টই পড়া হয়। বছরের শুরুতে এমন পোস্ট সামুতে আবার নিয়মিত আসার আগ্রহ বাড়িয়ে দিলো।
আপনি খুব আবেগপ্রবণ তাইনা ভাইয়া? পোস্ট পড়ে আমার তেমনই মনে হল।
দারুন আনন্দে বড় হবে মিতিন সোনা। বুক ভরা ভালোবাসা নিয়ে যে বাবা মা তাকে বড় করে তুলছে, তাদের সে গর্বিত করবে বড় হয়ে এই দোয়াই করি।
নতুন বছর শুভ হোক আপনাদের।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভার্চুয়াল লাইফে আমি সবসময় নিজেকে একটা শক্ত খোলসের মধ্যে বন্দী কঠিন মানুষ হিসেবে দেখাতে চেয়েছি। কিন্তু এইবেলা তা আর পারা গেলো না!
শুভেচ্ছা বিথী।
১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
আরজু পনি বলেছেন:
অদ্ভুত !
ব্লগে লগইন হওয়ার আগেই শিরোনাম আর ছবিটা দেখে মনে হয়েছিল নিজের ব্লগে যাওয়ার আগে লেখাটা পড়ে মন্তব্য করে যাই ।
কিন্তু নিজের ব্লগের মন্তব্যের জবাব আগে দিয়ে শেষ করা উচিত...হাসানের এই কথাটা মনে আছে...যা আমার জন্যে ভালো হয়েছে ।
পড়তে পড়তে চোখে পানি চলে আসছিল কেন বুঝতে পারছিলাম না । তবে অদ্ভুত এক ভালো লাগায় মনে হচ্ছিল হয়তো ২০১৪ এর সেরা অনুভবের লেখাটা পড়লাম ।
চাইল্ড সাইকোলজি পড়ার সময় মাতৃগর্ভের বাচ্চার বেড়ে উঠার ব্যাপারগুলো বিদঘুটে নামগুলো সহ পড়ার সুযোগ হয়েছিল...মজা পেয়েছি তাই বেশি ।
মিতিনের জন্মদিন '৩' ... !
আমি কোনদিনই এই তারিখটা ভুলতে পারবো না ।
পোস্টের ছবিটা দারুণ হয়েছে ।
অসাধারণ পোস্টটা প্রিয়তে রেখে শুরু করলাম আমার নতুন বছরের শোকেস সাজানো ।
অনেক অনেক আদর রইল মিতিন বাবুটার জন্যে ।
আর তার বা-মার জন্যে অনেক শুভকামনা ।।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই বছরের শুরুতে লেখার অক্ষরের মিতিন আপনার শোকেসে জায়গা করে নিয়েছে, বড় হয়ে সে যেন সবার মনেতে জায়গা করে নিতে পারে দোয়া করবেন।
শুভবিকেল পনি আপা।
১৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মিতিনের জন্য আপনার আবেগ আর আদর অনুভব করছি !
মিতিন বড় হয়ে উঠুক সবার আদর আর ভালোবাসায়!
আমি ভাবছি মিতিন যখন বড় হয়ে আপনার এই লিখাগুলো পড়বে , তখন ওর কি অনুভূতিটাই না হবে , এটা নিশ্চই ওর জন্য অনেক বড় একটা উপহার হয়ে থাকবে !
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি নিজেও এ ব্যাপারটার জন্যে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছি।
শুভেচ্ছা অভি।
১৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: অতি চমৎকার।
মিতিনের জন্য শুভকামনা..........।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রাবণধারা। শুভকামনা।
১৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: তন্ময় হয়ে পড়লাম বাপ মেয়ের কাহিনী । প্রকাশভঙ্গীটা অন্যরকম, কিন্তু আবেগটাতো ঐ একই । দুইবার বাবা হয়েছি, জানি নিজেকে ভবিষ্যত প্রজন্মে বিলিয়ে দেয়ার হিরন্ময় ইতিহাস । মানুষের আজন্ম সাধ অমরতা, সেতো প্রবাহিত হয় নিজ সন্তানের মধ্য দিয়েই ।
শুভেচ্ছা মা-বাপ-বেটি তিন জনকেই । শুভকামনা সতত ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষের আজন্ম সাধ অমরতা, সেতো প্রবাহিত হয় নিজ সন্তানের মধ্য দিয়েই ।
চমৎকার একটা কথা বলেছেন মামুন ভাই। এই একটা কথা বলতে পারে যে কেউ, কিন্তু অনুধাবন করতে পারে ভাগ্যবানেরাই কেবল।
শুভকামনা নিরন্তর।
১৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা এত সুন্দর এবং বিস্তারিত ছিল যে, লেখাতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। জানা গেল অনেক কিছু। আপনিও অনেকটা শেয়ার করে হালকা হলেন। এ যেন সব বাবার মনে লুকিয়ে থাকা কথা। মিতিনের জন্য দোয়া, আপনার ও ভাবীর জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
আপনি সেলিনা হাসপাতালের কথা বলেছেন, তার মানে আমি আপনি মনে হয় খুব কাছাকাছি থাকি।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন। কাছাকাছি থাকি, হয়তো দেখা হয়ে যাবে কোন একদিন। শুভেচ্ছা।
২০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
ইখতামিন বলেছেন:
মিতিনের জন্য নতুন বছরের শুভ কামনা
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
২১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বাহ, টাচি লিখা।
শুভকামনা হাসান ভাইয়া ||
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুন। শুভকামনা।
২২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শুভকামনা।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুরাদ। নিয়মিত মন্তব্য পেলে ভালো লাগবে।
২৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: এখানে আর কিছু বলার নেই, অতিমাত্রায় আবেগায়িত হইলাম, যদিও কেউ সেটা বুঝবে না।
পোস্ট নিয়ে অসাধারণ, চমৎকার অমুক তমুক কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে না, সেইটা অন্য সময়ের জন্য তোলা থাক!
মিতিনরা ভালো থাকুক, মিতিনরা আসে বলেই আমরা এই অর্থহীন জীবনটা টানতে পারি হাসি মুখে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: "মিতিনরা আসে বলেই আমরা এই অর্থহীন জীবনটা টানতে পারি হাসি মুখে"
খুব সুন্দর একটা সত্যি বলেছেন ইফতি। শুভেচ্ছা।
২৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: আপনার বাবা হওয়ার অনুভূতিগুলো মন স্পর্শ করে গেলো ভাইয়া
খুব সুন্দর করে ফুটে উঠেছে লেখাটাতে
ভালো লেগেছে অনেক,
আপনি, তিথি আপুনি,মিতিন সবার জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
২৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
ফেরদৌসী বলেছেন: অনেক দিন পর একটা পুরো লেখা পড়লাম।মিতিনকে শুভ জন্মদিন।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো ফেরদৌসী।
২৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
এয়ী বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে,মিতিনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
২৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: মিতিন বড় হয়ে এই লেখা গুলো পড়ে কি যে খুশি হবে, সেই বিস্ময় মাখা হাসিমুখটা কল্পনা করতেই ভাল লাগছে।
শুভ নববর্ষ মিতিন বাবু, মিতিন বাবুর বাবা এবং মাকে।
অনেক ভালো থেকো, নিরাপদ থেকো--
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ! আপনাকে দেখে কী যে ভালো লাগছে রেজু আপু মাম্মা! একটা পোস্ট চাই খুব তাড়াতাড়ি।
২৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৮
আকিব আরিয়ান বলেছেন: ভালো লাগা। আপনাকে ও আপনার পরিবারকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
২৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: অসাধারন ভাই। মুগ্ধপাঠ। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৩০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল। লিখে যান আর ভাল থাকবেন।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখে যাবো। আপনারা পাশে থেকেন। শুভেচ্ছা।
৩১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০
কালীদাস বলেছেন: এই লেখাটা এক্সপেক্ট করছিলাম খুব। ভাল হয়েছে।
আরও তো মনে হয় দুইদিন বাকি আছে। তাও হ্যাপি বার্থডে জানিয়ে গেলাম ভাগনী/ভাতিজিকে
হ্যাপি নিউ ইয়ার, ভাইয়া
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: মিতিন যখন পেটে তখনই এমন একটা গল্প লেখার পরিকল্পনা ছিলো। মাঝখানে বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম প্ল্যানটা। অবশেষে লিখতে পেরে আমারও ভালো লাগছে।
শুভকামনা ভ্রাতা।
৩২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অনুভবে নিজেকে পেলাম।
পিতা হিসেবে আমার বয়স সাতের ওপরে।
সন্তান যত বড় হয়, পিতৃত্ব বড় হয়...
অনেক কথাই বলতে চেয়েছিলাম।
শুধু বলছি, অসাধারণ
মিতিনকে স্নেহাশীষসহ শুভ জন্মদিন...
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব অসাধারণ অনুভবের জন্যেই তো জীবন, বেঁচে থাকা।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৩৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪০
এক্স রে বলেছেন: গর্ভে থাকা অবস্থায় মিতিনের বক্তব্য র
এক কথায় দারুন। গল্প হিসেবে পুরোপুরি আলাদা একটা কন্সেপ্ট। পিতা হিসেবে সন্তানের প্রতি উজাড় করা ভালোবাসা। মিতিন কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনার আর ভাবীর জন্য অনেক শুভকামনা। এবং সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছাও রইলো :-)
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এক্সরে। ভালো থাকুন।
৩৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই গল্পটি আসলে সত্য বলতে ব্যক্তিগত ভালো মন্দ লাগার উর্ধে। কারন এটা একজন সন্তান আর তার বাবার গল্প। তাদের ভালোবাসা আর আবেগের গল্প। ছোট্ট মিতিন যখন বড় হবে তখন এই গল্প আর তা মায়ের লেখা চিঠিগুলো হবে তার জীবনের অদ্ভুত দামী কিছু সম্পদ। সাহিত্যকের সন্তানরা যে সাধারনের চাইতে অনেক বেশি গর্ব করতে পারবে- এই লেখা, চিঠি এবং গল্পগুলোই হবে তার সঠিক ও সুন্দর উপলক্ষ।
ছোট মিতিনকে অনেক আদর এবং আপনাদের প্রতি রইল অনেক শুভেচ্ছা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক সুন্দর করে বলেছেন কাভা। শুভেচ্ছা।
৩৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: মন ছুয়ে যাওয়া লেখা। ফেসবুকের কল্যানে মিতিনের অনেক ছবি দেখা হয়েছে। ঐ দুষ্ট বুড়িটাকে আমার আদর দিয়েন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: পৌঁছে দেয়া হবে। শুভেচ্ছা।
৩৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১০
নস্টালজিক বলেছেন: তোমার আর মিতিনের এই গল্প পড়ে, অনেকদিন পর আমার আবার লেখায় বসতে ইচ্ছে করছে।
অনেকদিন পর তোমার লেখা প্রিয়তে নিলাম!
বড় আব্বা মিতিনের জন্য বুক পাজঁরের সব ভালোবাসা জমা আছে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইসব ভালোবাসাই ওর সবচেয়ে বড় সম্বল।
শুভেচ্ছা বাডি।
৩৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৫
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে লেখা। মিতিনকে অনেক ভালোবাসা আর জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংক্স ভেবু। বুনোর জন্যে আদর।
৩৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৩৬
অন্তরন্তর বলেছেন:
একজন বাবার সন্তান পৃথিবীতে আসার পূর্ববর্তী অনুভূতি
খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
মিতিনের অংশটুকু পড়ে অনেকক্ষণ চিন্তাভাবনা করলাম
যদি আমার বাবা-মা এভাবে লিখে রাখত তবে আমার
অনুভূতি কেমন হত। মিতিন একদিন তার মায়ের চিঠিগুলো
পড়বে, বাবার এত আবেগ মিশানো লিখাটা পড়বে। আমি
ওর মায়ের অনেকগুলো লিখা পড়েছি, কখনও কমেন্ট
করিনি(নানাবিধ কারনে)।
মিতিন মানুষের মত মানুষ হউক, বাবা-মার গর্বের
সন্তান হউক এই দোয়া করি।
মামুন সাহেবের কমেন্টে একটা লাইক না দিয়ে পারলাম না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কমেন্টেও একটা লাইক। ভালো থাকুন অন্তর।
৩৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৪০
আহাদিল বলেছেন: ব্রাভো!!
খুবই সুন্দর হয়েছে লেখাটা, বিশেষ করে তৃতীয় এবং শেষ দু'প্যারা!
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। মিতিনের জন্মদিনে সে বড়আব্বা আর বড়আম্মাকে মিস করবে।
৪০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
শাহেদ খান বলেছেন: হাসান ভাই, এত চমৎকার করে লিখলেন সব'টা ! কেমন অদ্ভুত একটা বোধ হচ্ছিল !
লেখা'টা প্রিয়তে নিচ্ছি।
শুভকামনা এবং প্রার্থনা আপনাদের জন্য। সবসময়ের।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহেদ। শুভেচ্ছা।
৪১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
মামুন হতভাগা বলেছেন: গতকাল থেকে এই পর্যন্ত মোট তিন ভাগে পড়ে শেষ করলাম।
মিথিন সোনাকে অনেক অনেক আদর।আশা করি ও আমাদের হামা ভাইয়ের থেকেও অনেক টাচি কিছু লিখবে একটা সময় তার মা-বাবাকে নিয়ে।তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আর আপনি আর ভাবীর জন্য নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। ভালো থাকুন।
৪২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
নিয়েল হিমু বলেছেন: মিতিন অনেক সুন্দর একটা নাম । পুরা লেখা ভাল লাগছে খুব । কিন্তু লেখার প্রশংসায় গেলে মিতিন সুন্দর নামটার প্রসংসা উহ্য হয়ে যাবে । পিচ্চিটার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিয়েল। শুভবিকেল।
৪৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
ভোর বলেছেন: অসাধারণ লেখা! মিতিনের জন্য এর চেয়ে ভাল বার্থ ডে গিফ্ট আর কি হতে পারে?
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভোর। কবে যে মিতিন লেখাটা পড়তে পারবে!
৪৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে লেখাটা এরচেয়ে ভাল গিফট আর হয়না। মিতিন যেন লেখাটা পড়ে
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মিতিন অবশ্যই পড়বে।
শুভকামনা।
৪৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা,,,,,,,,,,,
শুভ নতুন বছর
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৪৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২০
জেরিফ বলেছেন: অসাধারন একটি লেখা , অনেক অনেক ভালো লাগলো
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জেরিফ। শুভকামনা।
৪৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩২
সায়েম মুন বলেছেন: মিতিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
এবং সেই সাথে পুরো ফ্যামিলিকে নব বর্ষের শুভেচ্ছা। একজন পিতা এবং একজন সন্তানের উৎস থেকে গন্তব্য যাত্রায় পথের গল্প জানা হলো। যদিও সব অনুভূতি প্রকাশ বা উপলব্ধির বিষয় নয়, তবু এই গল্পটা ছুঁয়ে গেল। ভাল থাকুন হামা আর লিখে যান নিয়ত।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চন্দ্র সায়েম। শুভরাত।
৪৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২০
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনাদেরর গপ পড়লাম। দারুণ লাগলো
মিথিনের জন্য অনেক দোয়া রইলো
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো। শুভকামনা।
৪৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫৯
আরমিন বলেছেন: মিতিন আম্মুটার প্রথম জন্মদিনে রইলো অনেক অনেক আদর আর দোয়া!
চোখের সামনে দিয়ে দিন যে কিভাবে চলে যায়!
হ্যাটস অফ হামা ভাই, এত সুন্দর, মায়াময় লেখা, যাই বলি কম হবে, আপনারা বাবা রা এমন কেন? আপনার জন্য দোয়া থাকলো, আমি আমার বাবাকে যত ভালবাসি, মিতিন আপনাকে ততটাই ভালবাসুক।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা উইশ আরমিন। আপনার এবং আপনার বাবার জন্যে অনেক শুভকামনা।
৫০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:২১
বৃতি বলেছেন: অসাধারণ মনে হয়েছে গল্পটাকে । প্রিয়তে নিচ্ছি ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আনন্দিত হলাম বৃতি। শুভকামনা।
৫১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ওর জন্য শুভকামনা ! লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে ভাই !
নতুন বছরটি আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য সুন্দর হোক ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস লিও। শুভকামনা।
৫২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
ডানাহীন বলেছেন: লেজকাটা মিতিনের জন্য জন্মদিনের শুভেছা ..
ওর অংশের বর্ণনা পড়েই বেশী ভালো লেগেছে, বাবাটা তো আবেগে ডুবেই শেষ .. শিশুরা আসলেই মানুষ পরিবর্তনের সবচে বড় হাতিয়ার ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও ওর অংশটা লিখতে খুব ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা।
৫৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
সকাল রয় বলেছেন: বৃক্ষের মতো গল্পটা শুনছিলাম।
অন্ধভূমি গর্ভ হতে বৃক্ষ যেমন অপেক্ষা করে ঠিক তেমনি অপেক্ষা থাকে মানব প্রজাতি জন্ম নেবার অপেক্ষা। সাবলীল বর্ণনা মনে করিয়ে দিচ্ছিল জন্মের কথা।
সিগারেট, হার্ড ড্রিংকস, হার্ড রক, ডার্ক থটস, ফ্লার্ট গার্লস এসব নিয়ে মজে থেকে ভার্চুয়ালি নিজেকে সেলিব্রেটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাটাকেই অনেকে মুখ্য মনে করে আর এটাই এখনকার ষ্টাইল। একেকটা দৃশ্যপট স্লাইডশোর মতো চোখের সামনে পেরিয়ে গেল। আপনার লেখায় অনেক শব্দের উপস্থিতি দেখতে পাই যে শব্দগুলো গল্পের প্রয়োজনে সমসাময়িক ভাবে বেশ মজবুত ভীত তৈরি করে। গল্পটির থীম কিন্তু বেশ ভাববার।
কাউকে কাউকে জন্মবৃত্তান্তের ভাবনায় ফেলে দিতে পারে। জন্মবীজ বপনের পর থেকে পিতার ভাবনায় অতোসব না থাকলেও মায়ের জঠর কিন্তু ভাবনার ইঙ্গিত দেয় তাকে ভাবায়। সন্তানের উপস্থিতি বা লালন-পালনের কষ্ট কতটা তীক্ষ্ণ সেটা অনেক শিক্ষিত সন্তানই বুঝতে চায়না, শেষ বয়সের মা, বাবা যেন জঞ্জাল।
গল্পের আমিটা কিন্তু ঠিক আমির মতো। সাবলীল বর্ণনার গল্পের জন্য ধন্যবাদ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক সুন্দর করে বলেছেন সকাল। ভালো লাগা রইলো। শুভকামনা।
৫৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মশিকুর বলেছেন:
"খবর শুনেই আমি দৌড়ে ছয়তলা সিঁড়ি ভেঙে হাঁপাতে হাঁপাতে পৌঁছুলাম ওটিতে। আমার কোলে যখন মিতিনকে দেয়া হলো, সময় তখন ১.৪০, তারিখ ৩'রা জানুয়ারি,২০১৩।" >>জীবনের সেরা তিন চারটা অনুভূতির মধ্যে এটা থাকতেই হবে। আসলে এধরনের অনেক অনুভূতি ছড়িয়ে আছে পুরো লেখাতেই।
এই লেখাটা বেঁচে থাকবে অনেক অনেক বছর। চিঠি গুলো আগেই পড়েছি। মিতিন একদিন তার বাবা-মাকে নিয়ে লিখবে, সেদিনও আমরা মুগ্ধ হয়ে পড়বো। সে আশাতেই রলাম...
জন্মদিনের শুভেচ্ছা মিতিন মামনি।।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই সে এক অবিস্মরণীয় অনুভূতি। আপনাকেও তা ছুঁয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা।
৫৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১১
বুকের মধ্যে বায়ান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি বলেছেন:
মিষ্টি মিতিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর আদর!
নতুন বছরের শুভেচ্ছা হামা ভাই!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা তিতি।
৫৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
কিছুদিন আগে মিতিনের জন্ম পরবর্তি ছবি দেখলাম! আর এখনি ওর জন্মদিন চলে আসলো!
আপনার পার্ট খুব টাচি। মিতিনের পার্ট ত্বাত্তিক হলেও আপনার লেখহার সাবলীলতায় সেই ত্বাত্তিকতা হারিয়ে গেছে। গল্পই মনে হচ্ছে।
মিতিনের জন্য আদর ও ভালোবাসা।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা হা-মা ভাই।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা আলাউদ্দিন।
৫৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৮
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা পড়লাম ভাইয়া। অনেক ভাল লাগল। এই অনুভূতিগুলোকে বলে বোধহয় স্বর্গীয় অনুভূতি। আর বেশি কিছু বলতে পারছিনা। খুব বেশি কিছু ভাল লাগলে প্রকাশ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
আপনাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। মিতিন মামনিকে অনেক অনেক আদর।
ভাল থাকুন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত কিছু লিখেও অনুভূতির কতটাই বা প্রকাশ করতে পেরেছি! কত কথা, স্মৃতি বাকি রেয়ে গেছে আরো!
শুভেচ্ছা।
৫৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৮
সানজিদা হোসেন বলেছেন: শুভ জন্মদিন বাবুনিকে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার বাবুটার জন্যেও আদর।
৫৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৪
উদাস কিশোর বলেছেন: শুভকামনা মিতিন
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভকামনা।
৬০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: শুভ কামনা মিতিনের জন্য ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৬১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: আবেগ অনুভূতি, সর্বোপরি বর্ণনার অনুপম অভিনব ভঙ্গীটি লেখাটিকে চমৎকার এবং পরিপূর্ণ করেছে।
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৬২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩২
আমি সাজিদ বলেছেন: মিতিন আর মিতিনের বাবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
আমি সাজিদ বলেছেন: ছবিটাতে দুইজনকে অনেক ভালো লাগতেছে। মিতিন যখন একটু বড় হবে তখন নিজেই দেখে লজ্জায় হাসবে ।
ছবিটা কিন্তু পৃথিবীর অন্যতম সেরা মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিঃসন্দেহে।
৬৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫১
সুবিদ্ বলেছেন: বাহ!
শুভকামনা নিরন্তর...
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সুবিদ।
৬৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মিতিনের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন হামার জন্ম প্রত্যক্ষ করলাম লেখার পরতে পরতে। এই অনুভূতিটার সঙ্গে কিছুর তুলনা চলে না।
একজন মানুষ হামা থেকে মিতিনের বাপ হামা যেন আরো বেশি প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরা, কল্প জগতের হামার চেয়ে বাস্তবের মিতিনের বাপ আরো বেশি উজ্জ্বল।
মিতিনের বাপের জন্য অনেক শুভ কামনা। সেই সঙ্গে নিরাপদ জীবন হোক মিতিন আর তার জননীর।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা। অনেক ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই।
৬৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৫২
হামিম কামাল বলেছেন: শেষটায় চোখ ভিজে গেলো হাসান ভাই। একদিন আমিও এমন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাবো। এমন একটা গল্প, বা এর কাছাকাছি একটা কিছু কি সোদন আমি লিখতে পারবো না? ...
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অবশ্যই পারবে। না লিখেই বরং তুমি পারবে না।
৬৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
একলা ফড়িং বলেছেন: ভীষণ আবেগ আর মায়া দিয়ে লেখা। মায়েদের অনুভূতির কথা কয়েকবার জানার সুযোগ হলেও একজন বাবার জন্মের অনুভূতিগুলো এমনভাবে জানার সৌভাগ্য হয়নি আগে। পড়তে পড়তে খুব অদ্ভুত লাগছিল। মিতিনের জন্য অনেক আদর আর শুভকামনা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৬৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২২
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: প্রিয় হামা ( একটা সময়ে সব কিছু থিতু হয় , সেটা খারাপ কিছু না)
প্রিয় থিতি ( দ্য মাদার )
প্রিয়তিপ্রিয় মিতিন (ওকে কোলে নিতে হবে শিঘ্রি, খুব বড় হয়ে যাচ্ছে !)
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শিঘ্রি যেন ওকে কোলে নিতে পারো সে আশাবাদ ব্যক্ত করলাম।
শুভেচ্ছা মাশরুর।
৬৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম । মন লাগিয়ে পড়বো ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তিতির।
৭০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমি হাতে সময় নিয়ে আসলাম , আপনার গল্প পড়ার জন্য সব সময়
এমনটাই করি ।
কিন্তু আসলে দরকার ছিল না এই গল্পের জন্য এত প্রসতুতির ।
কিন্তু যে সময়টায় পড়লাম , এটাই হয়তবা সবচেয়ে ভাল সময় আমার জন্য ।
আমার কোলে যখন মিতিনকে দেয়া হলো, সময় তখন ১.৪০, তারিখ ৩'রা জানুয়ারি,২০১৩।
এই লাইন টা পড়ে চোখটা ভিজে গেল , কেন জানি না ।
আপ[নার আবেগ অনুভব করতে পারছি ।
আমার যখন ভাতিজি হল তখন আমার ভাই আমাকে ফোন করে জানাল ,
বলল তোকেই সবার আগে কল করে জানালাম ।
আমার তখন যে কেমন লাগছিল !
গল্পের ব্যাপারে কিছু বলতে ইছে করছে না , দরকার ও নেই । মন ছুয়ে গেছে
।
ভাল থাকুন আপনি , ভাবি , এবং মিতিন ।
শুভেচ্ছা /
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক শুভকামনা আপনার জন্যে।
৭১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১০
ভিয়েনাস বলেছেন: প্রথম বাবা হবার খুব টাচি আবেগ ও অনুভূতির দারুন প্রকাশ...
নতুন কিছু পাওয়ার উত্তেজনা মানুষকে কেমন করে বদলিয়ে দেয় তার সুন্দর বর্ণনা।
শুভ কামনা আপনার জন্য,শুভ কামনা মিতিনের জন্য,শুভ কামনা আপনার সুন্দর পরিবারের জন্য
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস।
৭২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২১
প্যাপিলন বলেছেন: বেশ উপভোগ্য আর আমার জন্য একটু বেশিই। মিতিনের গল্প এক বছরের বেশি হলেও আমরটা যে বেশ নতুনই বলা চলে। একই অনুভুতি তবে হাসান ভাইয়ের মততো আর লিখতে পারিনা। শুভ কামনা মিতিনের সবাইকে
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাবা হবার জন্যে অভিনন্দন। ভালো থাকুক আপনার সন্তান।
৭৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এত সুন্দর একটা একটা লেখা! প্রতিটা লাইনের অনুভুতি গুলো মূর্ত হয়ে চিত্রনাট্যের মতো চোখের সামনে ভাসছিলো!!!
মিতিনের জন্যে শুভকামনা ছাড়া কিছু জানাতে পারছি না!!
শুভকামনা মিতিন! সুখে থেকো আনন্দে থেকো!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সিজেল। শুভকামনা।
৭৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৩
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: গল্পটা অদ্ভুত এই জায়গায়, গল্পটা দেখতে দেখতে পেছনে গেছে!
আমার একটা সরিষাবীজের মত দানাকে গভীরে পাবার অনুভূতিটা টের পাচ্ছিলাম। আমি পেছনে ফিরে যাচ্ছিলাম।
শুভকামনা!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার অংশটুকু পেছনে গেছে মিতিনেরটা সামনে এগিয়েছে। আমাদের স্মৃতির তরীতে করে পেছনে যাবার এই ব্যাপারটা কী দারুণ, তাই না? প্রয়োজন হয় মাঝে মাঝে।
৭৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
সোজা কথা বলেছেন: হাহাহা।খুবই ভালো লাগল।বাস্তবিক দ্বি- পক্ষীয় কথাবার্তা। সত্যিকারের আবেগ উত্কণ্ঠা দুঃশ্চিন্তা দারুণভাবে তুলে ধরেছেন।নামটা সত্যিই খুব সুন্দর।আর রাগ মেটানোর কৌশলটা দেখে খুব মজা পেলাম।
আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৭৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
একজন সৈকত বলেছেন:
"মৃত্যুর দিকে ধীরে এগিয়ে যাওয়া এই আমি বয়সের হিসেব তুচ্ছ করে বুড়ো থেকে প্রৌঢ়, প্রৌঢ় থেকে যুবক হয়ে বারবার ফিরে যাবো সেই উৎসমুখে, মৃত্যুকে অস্বীকার করে নতুন জীবনের আনন্দ আবিষ্কারে।"
- এই শেষের এই লাইনটি পড়ে পিতা 'হামা' ভাই কে সম্পুর্ন অন্যরূপে দেখলাম। আর নিজে হলাম আবেগাপ্লুত।
পিতা-পুত্রীকে খোদা অনেক ভালো রাখুন।
একটু দেরী হলেও ছোট্ট রাজকন্যা মিতিনকে জানাই, "শুভ জন্মদিন"!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সৈকত। ভালো থাকবেন।
৭৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় হামা ভাই, আজকাল খুব একটা ব্লগে আসা হয় না। আসলে বলা উচিত আসাই হয় না। অনেক দিন পর ফেবুতে আপনার সাথে লিংক বিনিময় এবং তারই ফলশ্রুতিতে এখানে আসা। দারুণ লিখেছেন। এক কথায় অনবদ্য। ভিতরে জানার, শেখারও ছিল অনেক কিছু।
ভাল থাকবেন।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৭৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
শীলা শিপা বলেছেন: আপনার পার্ট টা বেশ ভাল লাগল... অনুভুতি হয়ত একই সবার... কিন্তু এত চমৎকার প্রকাশ সবার দ্বারা হয় না...
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শীলা। শুভসন্ধ্যা।
৭৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
সোমহেপি বলেছেন: অনেক ভাললাগা।
আর মিতিনের জন্য শুভকামনা।
২০০৪ সাল তখন সম্মান ২য় বর্ষে পড়ি। হাসপাতালে বউকে ভর্তি করিয়ে বিবাড়িয়া গিয়ে থেকে কুমিল্লাতে পরিক্ষাতে বসি। বলেছিলাম পরিক্ষা শেষ হবার আগে ভাল মন্দ কোন খবরই না জানাতে। তারপর পরিক্ষা শেষ হলে নিজেই ফোন করি। জানতে পারি স্বপ্ন'র জন্ম হয়েছে। একদিন গ্যাপ দিয়ে আবার পরিক্ষা। পিতানুভূতিটা ঠিক বুঝতাম না। কিন্ত্ত সংবাদ টা জানার পর কেমন যেনো বাঁধ ভাঙ্গা একটা আবেগে ভেসে যেতে থাকলাম। নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। আমার একটা মোল্লা টাইপের বন্ধু ছিলো তাকে বল্লাম। সে বল্ল স্নতান মায়ের পেটে আসার পর পরই নাকি আল্লাহপাক বাবা-মায়ের মনে সন্তানের প্রতি মায়া জাগ্রত করার জন্য ৭০ হাজার/লক্ষ ফেরেস্তা নিয়োগ করেন।
তো ফেরেস্তাদের টানাটানিতে নাকি জানি না আমি যখন আবার বিবাড়িয়াতে হাসপাতালে ছেলেকে দেখতে যাই তখন রাত সাড়ে তিনটে। সে ঘুমিয়ে আছে । হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে। একবার তাকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছিলো কিন্ত্ত কেউ কোলে তুলে দেয় নাই আমিও শরমে কইতে পারি নাই।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শরমে কৈতে পারো নাই! হাহাহা! শুভকামনা তোমার সন্তানাদির জন্যে।
৮০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:২১
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: এই যে হিয়া থরথর..............
হাসান ভাই আপনার ব্লগে কমেন্ট করতে ভয় লাগে যেহেতু এটা শ্রদ্ধার কমেন্ট... দুদিন সময় নিলাম শুধু কমেন্ট করতে..
মিতিনের জন্য শুভকামনা...... এই নস্ট পৃথিবীতে সে যেন শুদ্ধ ভাবে বেঁচে থাকুক...
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত সময় একটা মন্তব্যের পেছনে! ভয়ের কী তুহিন? শুভেচ্ছা।
৮১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: মিতিনের জন্য আদর ও ভালোবাসা।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা রইলো।
৮২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: ছবিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৮৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
জিএম শুভ বলেছেন: মিতিন তো খুব কিউট। মিতিনের জন্য শুভকামনা
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ। শুভেচ্ছা।
৮৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
কয়েস সামী বলেছেন: আবারো দেরীতে পড়া হল। স্যরি বস!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যাপার না।
৮৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
অচিন্ত্য বলেছেন: দারুণ !!!
মিতিন নামের অর্থ জানলাম। ভাল। মিতিন সম্পর্কে শুভ কোন কিছুই যখন আপনি মিস করতে চান না, তাহলে আরেকটু শুনুন। তার জন্ম তারিখ ০৩-০১-২০১৩ > অংকগুলো যোগ করলে হয় ১০ > এই অংকগুলো যোগ করলে হয় ১। সংখ্যাতত্ত্ব বলে যাদের জন্মসংখ্যা ১ তারা নাকি এক্সট্রা অর্ডিনারি (যেমন আমি )
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাহ! দারুণ। জয় হোক সংখ্যাতত্ত্বের!
৮৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
মৌ রি ল তা বলেছেন: মিতিনকে জন্মদিনের হিমেল শুভেচ্ছা
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৮৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০২
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: সুন্দর!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু এক্কু!
৮৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬
এম মশিউর বলেছেন: আপনার ও মিতিনের অনুভূতিগুলো সত্যিই হৃদয়স্পর্শী! অসম্ভব রকমের ভালো লাগা কাজ করছে।
মিতিনের জন্য শুভকামনা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৮৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লগার বলেছেন: আমি যে মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম তা অনেকেই করে ফেলছেন । সত্যি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। অসাধারণ বর্ননা। অসাধারণ লাগলো।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৯০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখক কে দেখিনি, একজন পিতাকে দেখলাম। আবেগের থিরথির প্রকাশ। জীবনের যে কয়টা শুদ্ধতম অনুভূতি আছে তার একটা। পিতার সাথে এই অনুভূতির ভাগ পেয়ে সম্মানিত মনে হচ্ছে নিজেকে।
মিতিন, মিতিনের বাবা-মা- ভাল থাকুন সবাই মিলে। শুভেচ্ছা।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর। শুভেচ্ছা।
৯১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৯
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। আমারও প্রায় একই অবস্থা হয়েছিল।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৯২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: মিতিনের একটু একটু করে বেরে উঠা, আর তোমার পিতৃত্বের অনুভূতি বেশ নাড়া দিয়েছে। দেরিতে হলেও জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল মিতিন পরীর জন্য।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু ভাইয়া।
৯৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
নেক্সাস বলেছেন: অনকে সুন্দর করে লিখলেন প্রিয় হামা ভাই
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা।
৯৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
আসিফ_মাহমুদ বলেছেন: অনুভূতিগুলো অসাধারন বর্ননায় তুলে এনেছেন ভাইয়া। পড়ার সময় বেশ কয়েকবার চোখ ভিজেছে।
মিনিত এবং ওর বাবা-মা অনেক অনেক ভাল থাকুক।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে আমার অনুভূতির অংশীদার করতে পেরে আনন্দিত। ভালো থাকুন।
৯৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার লেখা আমার সবসময়েই ভালো লাগে, এটা একটু বেশীই ভালো লাগলো। মিতিনের জন্য অনেক অনেক আদর ও দোয়া।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা। শুভেচ্ছা।
৯৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: এত চমৎকার আবেগময় লেখা ,মিতিন কে নিয়ে আপনার অনুভূতি ছুঁয়ে গেল । পড়ছি আর ভাবছি আমার বাবার হয়ত তখন আমাকে নিয়ে অনুভূতি এমন ছিল ।
মেয়েরা কিন্তু বাবাকে বেশি ভালবাসে , আমার কাছে আমার বাবা সবচে প্রিয় ।
মিতিনের জন্য অনেক আদর আর শুভকামনা ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাদের জন্যেও অনেক শুভেচ্ছা।
৯৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
উজবুক ইশতি বলেছেন: মিতিনের জন্য অনেক অনেক ভালবাসা
খুব ভালো লাগলো পড়ে
শুভ কামনা
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইশতি। শুভকামনা।
৯৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
ব্রতচারী মেয়ে বলেছেন: বাাহ!!!
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৯৯| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০২
পেন আর্নার বলেছেন: পড়ে কী যে ভাল লেগেছে!
লেখনির ধারা-প্রবাহটাও খুব সুন্দর।
ভাইয়া-ভাবি আর ছোট্ট মিতিনের জন্য শুভকামনা।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভকামনা।
১০০| ১৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
চতুষ্কোণ বলেছেন: অসাধারণ লাগলো পড়ে! ছবিটা বাঁধায়ে রাখার মতো সুন্দর।
১৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চতুষ।
১০১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মিতিনের জন্য শুভকামনা।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই। ভালো থাকবেন।
১০২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন,পড়ে অনেক ভাল লাগল।
ভাল থাকুন।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল। অনেক শুভকামনা রইলো।
১০৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০১
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর লেখা। শিশুরা পৃথিবীর আর যাবতীয় সবকিছুর উর্ধ্বে। শিশুদের কী রকম ভালো লাগে, আর এই লেখাটা কী রকম ভালো লাগছে তা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই।
মিতিনের জন্য ভালোবাসা...
শিশুদের সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্কের জানালায় কোনো গ্রিল নেই...
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সন্ধ্যাটা সুন্দর হয়ে গেলো। অনেক ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
হা হা হা ...............
পেয়ে গেলাম আপনাকে আজ।
আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা।
লেখাটি পড়তে সময় লাগবে, তাই সে কাজ পরে হবে।
ভাল থাকুন।