নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১)
মেসের নাম শান্তিনিকেতন। নামের সাথে মিল রেখে কামরুল আর সাজ্জাদের দুইজনের সংসার বেশ শান্তিতেই কাটছে বলা যায়। দুজনই চাকুরি করে। কামরুল বিবাহিত আর সাজ্জাদ অবিবাহিত। চাকুরিবেলা শেষে ঘরে ফিরে কামরুল ধূলোবালি, ঊর্ধ্বতনের শাসানি আর কন্ডাকটরের সাথে ভাড়া নিয়ে খিটমিট ভুলে গিয়ে সেলফোন নিয়ে বসে যায় বউয়ের সাথে আলাপে। যার অল্পকিছু অংশ সাংসারিক, আর বেশিরভাগই কামজ। যথাসম্ভব নিচু গলায় কথা বললেও সাজ্জাদ ওই ফিসফিসানির মধ্যেই বোঝা না বোঝা কথাগুলোর অর্থ নিজের মত করে দাঁড় করিয়ে নিয়ে সুখযৌনকল্পনায় মনোনিবেশ করতে পারে। সুতরাং, সান্ধ্যকালীন বিনোদনেও মেসের অন্যান্য খরচের মতো সুষম কামজ বন্টনের ভাগ পেয়ে দুজনেই বেশ খুশি থাকে। কামরুল যখন জানতে চায় রোখসানার পরনে কী, সাজ্জাদ তখন তার শ্রবণেন্দ্রিয়কে সজাগ করে। এরপর যখন কাপড়ের রঙ জানতে চায়, ওপাশের মিষ্টি রিনরিনে কামনামদির কৃত্রিম অনিচ্ছুক কন্ঠটা সে কল্পনা করে নেয়,
-লাল কামিজ পইরা আছি। কেন কনতো? আপনের মতলব ভালা না। আর কিছু জিগাইবেন না।
যথারীতি কর্ণপাত না করে কামরুল জিজ্ঞেস করতে থাকে অন্তর্বাসীয় কাপড়ের রঙ, কামিজের নিচে বক্ষবন্ধনী পড়েছে কী না, পড়লে তা কী রঙয়ের, আশেপাশে কেউ আছে কী না ইত্যাদি।
এই পর্যায়ে সাজ্জাদ তার নিম্নাঙ্গকে হস্তনির্দেশিত আহবান জানানো শুরু করে জেগে ওঠার জন্যে। ওপাশের কথাগুলো সে কল্পনা করে নেয়,
-কালা রঙের বেরা পরসি। আপনে যেটা দিসিলেন ঐডা। ছি! কী কন এইগুলা, আমি পারুম না।
এসময় কামরুল কী বলবে তা সাজ্জাদের মুখস্থ,
-দরজাটা বন কইরা দেও না!
তারপর কামরুলের গলা ভারী হয়ে আসার সমানুপাতে সাজ্জাদের শরীরে হস্তচালিত কম্পন বৃদ্ধি পেতে থাকে। সে অপেক্ষা করে শেষ সময় পর্যন্ত। তাদের কথা শেষ হলে সাজ্জাদ গোসল করতে যায়।
কামরুল যে এসব বোঝে না তা, না। তার বরং গর্ববোধ হয় এই ভেবে যে কেউ একজন তার বিশেষ পরিস্থিতির সুযোগের অপেক্ষায় বুভুক্ষু থেকে মনোরঞ্জন করছে। ঐ মুহূর্তটাতে তার মনে হয় সে কেবল একজন কামলা খাটা অধস্থন কর্মচারী না, যাকে সবসময় ঊর্ধ্বতন মহলের নজরদারীর ব্যাপারে তটস্থ থাকতে হয়। তার ইচ্ছে অনিচ্ছের ওপর অন্য একজনের দেহজ বিনোদন নির্ভরশীল। নিজেকে তার তখন বিরাট হোমরা-চোমরা মনে হয়। এই কলমপেষা নিস্তরঙ্গ জীবনে এটুকুই তার অনেক বড় অর্জন, সে অন্তত তাই মনে করে। শান্তিনিকেতন মেসের সুখময় পরিবেশ শুধুমাত্র এই দুইজনের পারস্পরিক অদৃশ্য সমঝোতার ভিত্তিতে রচিত কাম উপাখ্যানে নিহিত না। বিনোদনের জন্যে তারা সস্তা ডিভিডি প্লেয়ারে হিন্দি সিনেমা ও গান দেখে। তারা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজকর্মেও নিয়োজিত। দাবা খেলে সময়টা তাদের বেশ কেটে যায়। যদিও তারা দাবার আধুনিক রীতি, গিয়াকো পিয়ানো বা সিসিলিয়ান ডিফেন্স, ক্যাসলিং, এসব সম্পর্কে কোন ধারণা রাখে না। প্রথমে ঘোড়ার চাল দেয়া যাবে কী না, দুই নৌকা এক ঘর করে এগিয়ে দেয়া যাবে কী না এ নিয়ে প্রায়ই তাদের বচসা হয়। তবে খেলা শেষে জয়ীজনের আত্মপ্রসাদ হয় দেখার মতো। ওইদিন রাত্রে তার ভালো ঘুম হয়। সিগারেট একটা বেশি টেনে ফেলে। দাবার মতো সূক্ষ্ণ বুদ্ধির খেলায় জয়ী হয়ে তারা নিজেদের বাহবা দেয় এই বলে, "বুদ্ধি, জ্ঞান কম নাই তোমার। শুধুমাত্র ভাগ্যদোষেই এই কেরাণীর জব করতাছো"। তাদের জীবন এভাবেই ধীরগতিতে সম্পূরক ভালো বা মন্দ থাকায় বেশ কেটে যায়।
(২)
কদিন ধরে তাদের দুইজনের মন ভালো নেই। অফিসে দুজনকেই নানা ঝামেলায় পর্যুদস্ত হতে হচ্ছে। তাদের আনন্দ-বিনোদন-সুখের সাথে বেদনা এবং অশান্তিটাও সমান্তরালে আসাটা কাকতালীয় ব্যাপারই বটে। ইনক্রিমেন্ট হবে ভেবে রোখসানাকে একটা জামদানী শাড়ি এবং কিছু কসমেটিকস কিনে দিয়েছিলো কামরুল । কিন্তু এখন ইনক্রিমেন্ট তো দূরের কথা, চাকুরি বাঁচিয়ে রাখাই দায়! তাই বাসায় ফিরে সে এখন আর রোখসানার সাথে রঙ্গকথায় মেতে ওঠে না। ফোনই করে কালেভদ্রে। নতুন মুক্তি পাওয়া হিন্দি গান শুনতেও তেমন ভালো লাগে না। দাবার কোর্টটাও বের করা হয় না অনেকদিন। মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে হাজারো অশান্তির মাঝেও বিনোদন খুঁজে নিতে হয়। তাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটলো না। সাজ্জাদ একদিন দাবার কোর্টটা ঝাড়মোছ করে কামরুলকে আহবান জানালো,
-হবে নাকি কামরুল ভাই এক দান?
দাবা খেলতে বসলে এক দান কখনও খেলা হয় না। দুই-তিন দান খেলা হয়েই যায়। সময় এখন সিন্দাবাদের ভূতের মত তাদের পিঠের ওপর চেপে বসে আছে। সেটাকে ঝাড়া দিয়ে একটু ভারমুক্ত হওয়ার তাগিদে কামরুল সম্মতি জানালো। তবে দাবা খেলা জমলো না অন্যদিনের মতো। যেসব নিয়মের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত অমিমাংসিত ছিলো, সেসব নিয়ে অন্যদিন তাদের হালকা বচসার পর সানন্দে কেউ না কেউ মেনে নিতো। তারপর খেলা চলতো রাত পর্যন্ত। দাবা খেলায় রাজা-উজির মারার সুখকল্পনায় মজে থেকে ঘুমুতে যেতো জীবনের সাফল্যের সনদ আরো ঋদ্ধ হয়েছে ভেবে। কিন্তু এবার সাজ্জাদ প্রথম চালে দুই সৈন্য এগিয়ে দিলে সেটা নিয়ে দীর্ঘ বাকবিতন্ডা হয় তাদের। ক্ষেপে উঠে কামরুল বলে,
-ঐ মিয়া, দুই সৈন্য আগায় দিলেন যে? এইসব বালের নিয়ম কৈত্থিকা পাইছেন?
কামরুল মুখ খারাপ করায় সাজ্জাদও তেড়ে ওঠে,
-কই পাইছি মানে? এটাই ইন্টারন্যাশনাল নিয়ম। না জাইনা হুদাই ফাল পারবেন না।
-ইন্টারন্যাশনালগিরি মারাবেন না আমার লগে। কাজ করেন তো ব্রোকার হাউজে। আপনে ইন্টারন্যাশনাল নিয়মের কী জানেন?
চাকুরি নিয়ে কথা বলায় আঁতে ঘা লাগে সাজ্জাদের,
-আপনেই বা কী শ্যাটার চাকরি করেন? নামেই কোহিনূর ইন্টারন্যাশনাল। কাম তো হয় লুকালের চেয়ে খারাপ। বেতন পান না দেইখা বউয়ের লগে কথা কইতে পারতাসেন না কয়েকদিন। বুঝি তো!
সান্ধ্যকালীন ইরোটিক বিনোদন থেকে বেশ কদিন বঞ্চিত থাকায় সাজ্জাদ বেশ ঝাঁঝের সাথেই বলে কথাগুলো।
-আর তুমি যে হাউয়া আমগোরে কথা শোনার জন্যে আড়ি পাইতা থাকো সেইটা বুঝি না ভাবসো? শালা লোফার!
লোফার মানে সাজ্জাদ জানতো না, তবে এটা যে একটা ইংরেজি গালি, তা সে বেশ বুঝতে পারে। তাই প্রতিউত্তরে সেও একঝাঁক ইংরেজি গালির পসরা বসিয়ে নিজেকে এই খেলায় এগিয়ে নিতে চায়,
-ইউ টক মি লোফার? আই নট লোফার। ইউ আর আ ইডিয়ট।
দাবাখেলা পণ্ড হলো, তাতে কী! নতুন এই খেলায় সাজ্জাদ মজা পেয়ে গেছে। আরো ইংরেজি কথা সে ঝুলি হাতড়িয়ে খোঁজার চেষ্টা করে প্রাণপন। কামরুলই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? সে ক্লাশ এইটে থাকতে তাদের ইউনিয়নের নামকরা ইংরেজি শিক্ষকের কাছে পড়েছে। সে কম পারে ইংরেজি?
-ইউ টক লেস। ইউ আর লোফার। ভেরি লোফার। লোফার ক্যান্ট বি ইয়ে... ইয়ে...ইয়ে...
বাক্য সম্পূর্ন না করতে পেরে রেগেমেগে দাবার গুটি এলোমেলো করে দেয় সে। তারপর গজরাতে গজরাতে বাথরুমে যায় আধখোলা লুঙ্গিটা কোমরে গুঁজতে গুঁজতে।
রাতে খাবারের পর সাজ্জাদ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায়। তা দেখে কামরুল খুশি হয়ে ওঠে। অনেকদিন যাবৎ কোনকিছুতে জেতা হয় না তার। আজকে রাতে ফাঁকা মাঠ পেয়ে দূরন্ত স্ট্রাইকারের মত ড্রিবলিং করে গোল দেবে। দাবার বোর্ডটা সন্তর্পণে বের করে সাজায় সে। অদৃশ্য প্রতিপক্ষ সাজ্জাদকে একের পর এক মোক্ষম চাল দিয়ে নাস্তানাবুদ করতে থাকে। পরপর দুইটা গেম জেতার পর সে সিদ্ধান্ত নেয়, হ্যাট্রিক করে তবেই ছাড়বে। খেলা যখন মাঝপথে, নিশ্চিত আরেকটা বিজয়ের সম্ভাবনায় যখন সে উল্লসিত, তখন তার কাঁধের কাছে একটা হাতের স্পর্শ টের পায়।
-একা একাই খেলতাছেন ভাইজান? সিস্টেমটা ভালো। আমিও এখন থিকা একা একাই খেলুম আপনার বিরুদ্ধে। কোনকিছুতে জিততে না পারাটা বড় কষ্টের ভাইজান।
সে রাত্রে কামরুলের আর হ্যাট্রিক করা হয় না। সন্ধ্যার ঝগড়া বিবাদ ভুলে গিয়ে তারা নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করে এক চমৎকার সমাধানে উপনীত হয়। দুইজনের পক্ষে মেসের ভাড়া মিটিয়ে জীবন চলাটা কষ্টকর। এখন সময়ের দাবীতেই তাদের আরাম-আয়েশ কিছুটা কাটছাট করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হতে হবে। তারা দুজন মিলে নতুন মেস মেম্বারের জন্যে বিজ্ঞাপন লিখে ফেলে একটা।
"৫৭/৩ হাতিরপুলস্থ শান্তিনিকেতন ভবনে নিরিবিলি পরিবেশে একজন মেস মেম্বার আবশ্যক (পুং)। মেসমেম্বারকে অবশ্যই নামাজী এবং অধূমপায়ী হতে হবে। যোগাযোগ..."
যদিও তারা দুজনের কেউই নামাজী এবং অধূমপায়ী না, তবে এসব লেখাই দস্তুর। লেখার পর তারা দুজনেই মুগ্ধ হয়ে তৎসম শব্দগুলির দিকে তাকিয়ে থেকে একে অপরকে বাহবা দেয়। এবং তারা এও একে অপরকে জানায় যে, তাদের কেউই বাংলায় প্রাইভেট পড়ে নি কখনও।
-কম্পিউটার কম্পোজের দোকানে নিয়া কম্পোজ কইরা পরে ফটোকপি লাগবো ১০০ কপি।
-আরে দোকানে দেওন লাগবো না। আমি বাংলা টাইপ পারি। অফিসের প্রিন্টারে প্রিন্ট দিমু নি।
কামরুল ঈর্ষাণ্বিত হয় সাজ্জাদের কম্পিউটার পারদর্শিতার কথা জেনে। তার আবার প্রিন্টারও আছে নিজের! পরাজিত বোধ করে সাজ্জাদকে উল্লসিত অবস্থায় রেখে বিমর্ষ মনে ঘুমুতে যাবার সময় মনে হয়, তার অফিসেও প্রিন্টার আছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যে না অবশ্য। তবে কম্পিউটার অপারেটরকে রিকুয়েস্ট করলে কি কম্পোজ করে প্রিন্ট দিতে দেবে না? গর্বভরে সে সাজ্জাদকে শোনায়,
-আপনের অত কষ্ট করতে হইবো না। আমিই অফিসের কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট কৈরা নিয়া আসুমনে। ইট ইজ ভেরি ইজি জব!
পাশের বাসার মেয়েটা অতরাত্রেও বেআক্কেলের মতো জোরে তপুর গান বাজাচ্ছে,
"খুব তুমি জিতসো, তাই খুশিতে বাংলাদেশ..."
এরকম গান শুনে তারা অভ্যস্ত না, তবে সেই রাতে তাদের ভালোই লাগে গানটি।
(৩)
তাদের নতুন রুমমেটের নাম কবীর। এখনও চাকরি বাকরি কিছু করে না, তবে বেশ চৌকস ছেলে। বাসা থেকে মাসোহারাও কম পায় না বোঝা যায় তার সৌখিন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি, দামী পোষাক আর সুগন্ধী পারফিউমে। সে আসার পর থেকে ইংরেজি গান চলে লাগাতার মেসটাতে, ছেলেটার আবার নিজের কম্পিউটারও আছে। বেশ জাঁকজমকপূর্ণ কম্পিউটার। গান, সিনেমা তো দেখা যায়ই, আবার ইন্টারনেটে কী কী যেন করাও যায়। মাঝেমধ্যে কানে হেডফোন লাগিয়ে চোস্ত ইংরেজিতে কাদের সাথে যেন কথা বলে স্কাইপিতে। কামরুল আর সাজ্জাদের সাথে সে কথা বলতে তেমন আগ্রহী হয় না কখনও। সাজ্জাদ অবশ্য একদিন বড়ভাইসুলভ ভারিক্কী ভাব ধরে ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো,
-কই থিকা পাস করসো তুমি?
-ঢাবি। বিবিএ।
ও আচ্ছা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে বলে এত ফুটানি দেখায়! ছোহ! থাকে তো বাপের পয়সায়, এইসব লাফাঙ্গা ছেলেকে পাত্তা দিলেই মাথায় উঠে বসবে। খুব জানা আছে তাদের। কামরুলও তাই জিজ্ঞাসাবাদে যোগদান করে।
-চাকরি বাকরি কিছু আছে, নাকি বাপের পয়সায় চলো?
-বাসা থেকে কিছু টাকা পাঠায়। তবে না পাঠালেও চলতো। আমি ফ্রি ল্যান্সিং জব করি। ওডেস্কে। ঘরে বসে উপার্জন। আপনারাও করতে পারেন। ওডেস্কে একাউন্ট আছে?
ওডেস্ক কি তা তারা জানতো না। তারপরেও অনুজ রুমমেটের কাছে নত না হবার অভিপ্রায়ে গম্ভীর কণ্ঠে সাজ্জাদ বলে,
-হ আছিলো, তয় বুঝছো ঝামেলা লাগে। অফিসের কাম কইরা অতসব ইন্টারনেট পোষায় না। এমনিতেই ভালো আছি, বুঝলা? শখের কাজ আমগো মতন লোকের জন্যে না।
-ওহ আচ্ছা!
কবীর নিমিষেই তাদের কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট বিদ্যার গতিক বুঝে আর কথা বাড়ায় না। গভীর মনোযোগের সাথে কাজ করতে থাকে।
ইদানিং সাজ্জাদ আর কামরুল দুজনেরই অফিসের গুমোটাবস্থা কেটে গেছে অনেকটা। এখন আগের মতই কামরুল অফিস থেকে এসে রোখসানার সাথে কথা বলে যার প্রভাবে সাজ্জাদও উত্তেজিত হয়। কামরুল কবীরের কাছ থেকে শুনে বেশ কয়েকটা ইংরেজি শব্দ শিখেছে। সেগুলোর ব্যবহার করে বউকে চমৎকৃত করে সে।
-কাম অন বেবি, ইউ আর মাই হার্ট। আই মিস ইউ। ইউ মিস মি ঠু?
দিনগুলো ভালোই কাটছিলো তাদের, শুধু গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে ছিলো নতুন রুমমেট। তার ঝলমলে উচ্ছল পরিচ্ছন্ন জীবনচর্চা প্রতি পদে পদে তাদেরকে বুঝিয়ে দিতো, তারা কত দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে, রুচি, রোজগার এবং আভিজাত্যে। দাবা খেলা নিয়মিত হলেও জয়ের স্বাদ কেউই তেমন উপভোগ করতে পারছিলো না।
(৪)
ওডেস্ক থেকে মোটা অংকের একটা বিল পেয়ে কবীরের মন বেশ ভালো। সে একটা মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ফেলেছে সেই খুশিতে। কক্ষপ্রতিবেশীদের অগ্রাহ্য করে চলা কবীর খোশমেজাজে তাদেরকে বললো,
-আজকে বুয়ার ওইসব হাবিজাবি রান্না খাওয়ার দরকার নাই। আপনাদেরকে পিজ্জা বানিয়ে খাওয়াবো।
ইতালিয়ান খাবারটির নাম তারা শুনলেও এটির স্বাদ সম্পর্কে অবগত ছিলো না কামরুল ও সাজ্জাদ। তাদের সংকুচিত ভাব দেখে অভয় দিলো কবীর,
-আরে ভয় পাবেন না। আমি রান্না বেশ ভালোই পারি। খেয়ে দেখেন, পিজ্জা হাটের চেয়ে কম স্বাদ হবে না।
পিজ্জা হাটের নাম অবশ্য তারা শুনেছে। তবে কখনও ঢোকার সাহস হয় নি। সেসব আড়ালে রেখে মওকামতো কামরুল দাও মারে,
-হ, পিজ্জা হাটের ঐসব খাওন দাওন কি ঘরের খাবারের সাথে পারে? আমার তো ভালোই লাগে না খাইতে ওগুলা।
-তাহলে আর চিন্তা কী! আপনারা দুজন আরামে দাবা খেলতে থাকেন। গেম শেষ হলে আমাকে বলবেন, গরমাগরম পরিবেশন করবো।
তারা দুইজন গভীর মনোযোগে দাবা খেলতে লাগলো। আজকের এই খেলায় জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুজন নিজের সর্বোচ্চ মেধা আর চিন্তাশক্তি ব্যয় করে সময় নিয়ে খেলতে থাকে, ফলশ্রূতিতে পিজ্জা তৈরি হবার পরেও তাদের খেলা অমিমাংসিতই থেকে যায়। তারা খাবারের স্বাদে যত না, তার চেয়ে বেশি মুগ্ধ হয় তার সৌন্দর্য দেখে। কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো, গাঁজর আর রুটি মিলে যেন একটা গোলাকৃতি ফুল হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে সূর্যমুখী হাসি হাসছে। আয়েশ করে খেতে খেতে সাজ্জাদ তারিফ করে তার রান্নার।
-বহুদিন পর এত মজার পিজা খাইলাম বুঝলা? পিজা হার্টের পিজা খায়া অভক্তি ধইরা গেসিলো।
কামরুলও তার কথায় সম্মতি জানিয়ে মাথা নেড়ে বলে,
-সামনের শুক্কুরবারে তোমারে আমরা রান্না কইরা খাওয়ামু।
(৫)
দেখতে দেখতে শুক্রবার এসে যায়। ছুটির দিনে স্বাভাবিকভাবেই তারা একটু বেশি বেলা পর্যন্ত ঘুমোয়। তবে আজ তাদের একটু সকালে ওঠার তাড়া। কবীরকে রান্না করে খাওয়াতে হবে। সকাল নয়টায় এ্যালার্ম দেয়া ছিলো, কিন্তু ঘুম ভেঙে যায় সাড়ে আটটাতেই কবীরের উল্লসিত চিৎকারে।
-ইয়াহু! আমি সার্ক স্কলারশিপ পেয়েছি। ওহ এতদিন পর সাড়া মিললো!
ঘুমচোখে বিরক্তি জড়িয়ে তারা তাকায় কবীরের দিকে,
-কী পাইছো?
-সার্ক স্কলারশিপ।
কবীর বৃত্তান্ত বলতে থাকে এটা পেতে তাকে কত কষ্ট করতে হয়েছে, এবং এর ফলে সে কী কী সুফল ভোগ করবে।
-ভালা করছো। আমিও অবশ্য বৃত্তি পাইছিলাম কেলাশ ফাইভে থাকতে।
মিনমিন করে বলে অপ্রতিভ হয়ে যায় কামরুল । সার্ক স্কলারশিপের সাথে যে সেটা তুলনীয় না তা বেশ বুঝতে পারে। আর তাছাড়া বৃত্তি পাওয়ার কথাটাও মিথ্যে। সে কবীরকে রূঢ়ভাবে অগ্রাহ্য করে সাজ্জাদকে তাগাদা দেয়,
-ওঠেন মিয়া, বাজারে যাইতে হইবো না? আইজকা কবীররে স্পেশাল খানা খাওয়ামু। হ্যায় বিত্তি পাইছে।
সাজ্জাদ আনমনা মুখে বসে থাকে। কবীর হাসে।
বাজার করে আসবার পরে এবার রান্না করার পালা। বুয়া আজকে আসতে পারবে না, তাই তারা ঠিক করেছে দুজন মিলেই রান্নাপর্ব সারবে। রান্নাঘরে সবজি আর মাংস কাটতে কাটতে সকল হীনবোধ ছাপিয়ে তাদেরকে হামলে ধরে ভীষণ ক্ষুধা। এত ক্ষুধা কখনও পায়নি তাদের।
-তাড়াতাড়ি হাত চালাও মিয়া। ক্ষিদায় ছটফট করতাছি।
কামরুলের তাগাদার জবাবে সাজ্জাদ জানায় যে সেও ভীষণ ক্ষুধায় আক্রান্ত, এমনটা নাকি সে কোনদিন অনুভব করে নি।
-আপনাদের কাজে হেল্প করতে পারি? উৎসুক কণ্ঠে আগ্রহ প্রকাশ করে কবীর। কামরুল আর সাজ্জাদের তর সইছিলো না, তাই কাটাকুটির পর্ব ত্বরাণ্বিত করবার জন্যে তারা কবীরকে স্বাগত জানায়।
চটপটে ছেলে কবীর। অন্য সব কাজের মতো সবজি এবং মাংস কর্তনের ক্ষেত্রেও সে পিছু ফেলে দেয় তাদের দুজনাকে। তারা মনে মনে গজগজ করতে থাকে। হঠাৎ একটা দুর্ঘটনা ঘটে। পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে আঙ্গুল কেটে ফেলে কবীর।
-উফ!
মৃদু আর্তনাদ করে ওঠে সে।
-কী হইছে?
-হাত কেটে ফেলেছি।
-কই দেখি?
সাজ্জাদ আর কামরুল বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকে। এমন জিনিস দেখার জন্যে তারা প্রস্তুত ছিলো না। কবীরের আঙুল বেয়ে রক্তের ধারা বইছে, সে রক্তের রঙ নীল!
-এভাবে কি দেখছেন? স্যাভলন ট্যাভলন আছে কী না দেখেন না!
কবীরের হাত বেশ অনেকটাই কেটে গেছে!
-তোমার রক্তের রঙ নীল!
বিমূঢ় কণ্ঠে বলে সাজ্জাদ। কামরুলও হা করে তাকিয়ে দেখছে।
-কী বলেন এইসব? এটা মশকরা করার টাইম হলো?
রেগে যায় কবীর। সে লাল রঙই দেখছে। রক্তের রঙ নিয়ে এসময় কেন তারা ফাজলামো করছে বুঝে উঠতে পারে না।
সাজ্জাদ আর কামরুলের মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় স্কুলে শেখা ফ্রেজ এ্যান্ড ইডিয়মসের কথা। ব্লু ব্লাড! নীল রক্ত। অভিজাত ঘরের সন্তানের রক্তপ্রবাহ দেখার জন্যে তারা এগিয়ে এসে ঘিরে ধরে তাকে। নীল রক্তের সুবাসে তারা মাতোয়ারা হয়ে যায়। এমন গন্ধ কামরুল কোথাও পায় নি। রোখসানার স্তনউপত্যকায় মুখ গুঁজে দিয়ে সে পাগল হতো, এ গন্ধ তার চেয়ে অনেক বেশি তীব্র, সম্মোহনী, আকর্ষক। সাজ্জাদও এমন গন্ধ কোথাও পায় নি। বেতন পাওয়া কড়কড়ে টাকার নোট আর কাপড়ে রাখা ন্যাপথালিনের গন্ধে সে নেশা খুঁজে পেতো। এ গন্ধের কাছে সেসব কিছুই না। ঘোরগ্রোস্ত জিন্দালাশের মতো তারা টলতে টলতে এগুতে থাকে। বটিটা দিয়ে এক পোঁচে কেটে ফেলে কবীরের গলা। অবিরাম ধারায় নীল রক্ত বের হতে থাকে। আরো ভালো করে দেখার জন্যে বটিটায় চাপ দিয়ে গলা থেকে মাথা খণ্ডিত করে ফেলে। নীলের প্রবাহে সারাঘরে সৌরভ ছড়িয়ে পড়ে। সারা ঘর প্রজ্জ্বলিত হয় উজ্জ্বল নীল আলোতে। নীল আলো আর রক্তে স্নাত হয়ে তারা কবীরের বাকি অঙ্গপ্রতঙ্গগুলোও কাটতে থাকে বেভুলের মতো।
-আজকে খাওনটা ভালো জমবো ভাই।
সোৎসাহে সাজ্জাদ জানায় কামরুলকে। কামরুল তখন কবীরের দেহ খন্ড-বিখণ্ড করতে ব্যস্ত। এখন তারা বুঝতে পারছে কিসের এত ক্ষুধা জমে ছিলো তাদের, কেন তারা এত ক্ষুধার্ত ছিলো। নীল রঙের এমন নেশা, তাদের জানা ছিলো না। কলেজে থাকতে কামরুল একবার একটা গলাকাটা লাশ দেখেছিলো। তা থেকে লাল রঙের ভীতিকর রক্ত বইছিলো। আর এখন... এই নীল রঙ তাদের ক্ষুধা, যৌনতা, রুচি, গর্ব সব বাড়িয়ে দেয়। কাটাকাটি শেষ হলে একটা বড় গামলায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো রেখে ক্ষুধার্তের মতো গিলতে থাকে তারা। কবীরের নাক, কান, গলা, লিভার, কিডনী, হাত, পা সব খেয়ে শেষ করে ফেলে মুহূর্তের মধ্যে।
মাথাটা ওভেনের মধ্যে রেখে দেয় পরে খাবে বলে। ওটাই সবচেয়ে আকর্ষনীয় অংশ। নীলখেলা স্থগিত রেখে তারা দাবা খেলতে বসে। তবে এবারের বোর্ড সাজানো অন্যবারের চেয়ে অনেক আলাদা। শুধু একটি রাজা এবং একটি মন্ত্রী নিয়ে খেলছে তারা। সাদা-কালো গুটির কোন প্রভেদ নেই সেখানে। মেঝেতে গড়িয়ে পড়া রক্ত গুটিতে এবং বোর্ডে মেখে নীলাঞ্চল বানিয়ে ফেলে। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত তারা চেক দিতে থাকে একে অপরকে, ইচ্ছেমত জিততে থাকে। এভাবে তারা যখন জয়শিকারে মগ্ন, তখন ওভেন থেকে কবীরের মাথাটা গড়িয়ে তাদের কাছে এসে বলে,
"বিশ্বাস করেন ভাই, আমার রক্তও লাল!"
(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইনসমনিয়াকের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই গল্প লেখা। )
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভপাঠ।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মারাত্মক মজা পাইসি শেষে এসে !
জোস, ডাবল জোস !!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
ইখতামিন বলেছেন:
মাঝখান থেকে পড়া শুরু করছি। শেষ পর্যন্ত পড়ে আবার শুরু থেকে শুরু হবে। কেনো এমন মনোভাব আসলো! বুঝলাম না... তাই মন্তব্য করলাম।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন যে এমনভাবে পড়ছেন! শুভপাঠ।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪০
ইখতামিন বলেছেন:
বিশ্বাস করেন ভাই, আমার রক্তও লাল!
এটা কেমন হলো!!!!!!!!!!!!!!!!!
নীলখেলা, নীলাঞ্চল
দারুণ
ট্রায়াল দেখা শেষ। এইবার শুরু থেকে পড়ি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে!
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
অনিকেত রহমান বলেছেন: এ ধরনের গল্প গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি।। এটাও পড়লাম খুবই ভালো লেগেছে।। +++++
ভাই এধরনের কোন বাংলা অনুবাদ বইয়ের সাজেশন দিলে উপকৃত হতাম।।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। এরকম কোন বইয়ের কথা মনে পড়ছে না আপাতত। দুঃখিত।
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার! মেস বাড়ির নৈমত্তিক সম্পর্কগুলো চমৎকার বর্ণনা করেছেন । সেই সাথে অভিজাত নীল রক্তের বিরুদ্ধে দুর্ভাগ্য আর বঞ্চনার লাল রক্তের চির ক্ষোভ আর ঈর্ষার মেটাফোর চিত্রণ অসাধারণ লেগেছে ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। থিমটা জ্বালাচ্ছিলো বেশ কিছুদিন ধরে। অবশেষে লেখা হলো!
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫০
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: পরে পরমু নে !! এই মুহুর্তে এইটা পরলে মাথায় কিচ্ছু ঢুকতনা
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে।
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কেমন আছেন, প্রিয় লেখক?
বাসে ঢুলতে ঢুলতে আগের লেখাগুলো অফলাইনে পড়া হয়েছে, কিন্তু সুযোগ পাইনি লগিন করার, কমেন্ট করার। আজ মুগ্ধতা প্রকাশ করে গেলাম।
বইমেলায় আপনার বই পাচ্ছি নিশ্চয়ই? নাম আর প্রকাশনীটা বলবেন একটু। ভাল কিছু বই সংগ্রহে রাখতে চাই।
শুভেচ্ছা।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইতো ভালো আছি। আপনাকে খুব মিস করছিলাম। শিগগীরই ফিরুন আগের মতো করে।
একটা বই আসবে আমার সম্পাদনায়। "ভ্রম, স্বপ্ন ও ব্যাধি"। আদী প্রকাশন থেকে বের হবে।
শুভরাত্রি।
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
দুঃখিত বলেছেন: লাল ও নীল এর মাঝে ফারাক অনেক বেশিই । শুভকামনা !
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা সাইকো গল্প হাসান ভাই। চরিত্রগুলো বিকারগ্রস্থতা বেশ রিয়েলিস্টিকই লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম এবং শেষ দৃশ্যের ব্যাপারটি মনে দারুন নাড়া দেয়! ব্যক্তিগত জীবনের গোপন কথা শুনে অন্য একজন স্বমোহিত হচ্ছে এবং কিছুটা অন্তত কেউ একজন তার উপর নির্ভরশীল হচ্ছে এটা ঊর্ধ্বতনের শাসানিগ্রস্থ একজন কেরানীর মানসিক চরিত্র হতেই পারে।
আসলে আমরা নিজেদের কষ্টক্লান্ত জীবনে যখন একজন সুখী মানুষ বা সব পাওয়া মানুষ দেখি তখন সেখানে প্রানঘাতী ঈর্শ্বা খুব সাধারন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা। ইদানিং সাইকো টাইপ গল্প লিখতে মজা পাচ্ছি
গুড নাইট। হ্যাভ সাম নাইটমেয়ার!
১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১১
ইখতামিন বলেছেন:
হাসান ভাই.. এক কিলোমিটার বড় মন্তব্য করবো। আজ সময় হাতে নেই। কালকে।
গল্প অসাধারণ হয়েছে শুধু এইটুকুই বলবো।
কিছু জায়গায় বুঝতে পারিনি। আমার সীমাবদ্ধতা।
শুভ রাত্রি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: যেসব জায়গায় বুঝতে পারেন নি বলবেন। আলোচনা সবসময়ই আমন্ত্রিত। মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভরাত্রি।
১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা লাগছে! শেষের দিকটা দারুণ। এই টাইপের লেখা খুব ভালো লিখেন, ডেটেইলিংটা চমৎকার হয়!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ লাগলো!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।
১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫২
টুম্পা মনি বলেছেন: আরেক টা চমৎকার লেখা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস টুম্পা।
১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শেষ দিকে নীল রক্তের নেশায় খুনের আগের অংশটা খুবই ভাল্লাগছিলো।
আমার কাছে মনে হচ্ছিলো, এই তিনটা চরিত্র নিয়ে আপনি চাইলে উপন্যাসেও হাত দিতে পারেন। শুধু তিন চরিত্রের ব্যক্তিক দিকগুলো আর কথোপকথন যদি এভাবে চলে তাতেই পাঠক সন্তুষ্ট হতে বাধ্য।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আমারও মনে হচ্ছিলো এটা নিয়ে উপন্যাস লেখা যায়। কিন্তু আমার মত আইলসা মানুষকে দিয়ে উপন্যাস! তাইলেই হইছে!
১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৮
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন লাগল...!!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এহসান।
১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
পুলক ঢালী বলেছেন: গল্পটা দারুন হয়েছে। আমি আসলে অবাক হয়েছি একটা মেসের সাধারন নিম্নবিত্তের মানুষের গল্পের মাঝে এমন চমকপ্রদ টার্নিং দিয়ে এটাকে ভয়াবহ রূপ দেওয়ার ভাবনার সাথে চিরাচরিত মানব ইর্ষাকে পৈশাচিকতায় রূপান্তরের দক্ষতা দেখে । ভাল থাকুন ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই দন্দটা এবং ক্ষোভ আর ঈর্ষা হয়ত চিরকাল মানুষের মাঝে এভাবেই পার্থক্য হয়ে থাকবে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। শুভেচ্ছা।
১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
উদাস কিশোর বলেছেন: বেসম্ভব মজা পাইলাম ।
অসাধার ভাবে শেষ হলো গল্প টা
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। শুভকামনা।
২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
মেঘবালিকাণ বলেছেন: দারুন এন্ডিং!!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
২১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
লাবনী আক্তার বলেছেন: ও মাই গড! কি ভয়ংকর!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন:
২২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কামরুল আর সাজ্জাদের বিষয়টা ইন্টারেস্টিং। মজা লাগছে পড়তে।
ব্লু ব্লাড হলেও সে সবের মোহ ত্যাগ করে সাধারন জীবনযাপন সহজ না। কোনও না কোনও ভাবে তার মাঝে কাজ করে তার জীবনবোধ, স্বপ্ন, এগিয়ে চলা। কিন্তু সে মানুষের আগমন বা উপস্থিতি মেসবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে -- সে ছবিই যেন দেখলাম গল্পে।
ভালো লাগছে পড়তে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এ এক চিরন্তন দ্বন্দ্ব আর বৈষম্যের গল্প। বাস্তবে যার কোন প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও মনের ভেতর তারা হয়তোবা তেমনি কোন ক্যানিবাল হলোকাস্ট পুষে রাখে।
শুভদুপুর।
২৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
ডানাহীন বলেছেন: কামরুল আর সাজ্জাদের হীনমন্যতা বা ঈর্ষাপরায়ণতার ব্যাপারগুলি চমৎকারভাবে পরিবেশিত হয়েছে তবে কবীরকে যতটা না অভিজাত তার চেয়ে বেশি যোগ্য এবং মেধাবী মনে হচ্ছে । রক্ত লাল না নীল কি এসে যায় .. জয়ী হবার অলীক নেশাতে সবাই একাকার ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আভিজাত্যের রঙকে নীল ধরা হয়, যোগ্য এবং মেধাবীরা এক অর্থে নিম্নস্তরের মানুষদের চেয়ে অভিজাতই তো! নীল বা লালের ভেদাভেদ প্রকট হয়ে উঠলে সবাই মানুষ না হয়ে টিকটিকি হয়ে যায়। (টিকটিকির রক্তের রং নাকি সাদা?)
২৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
হাসান ভাই,
অদ্ভুত এক শিহরণে গল্পটার শেষ আমাকে সন্তুষ্ট করলো,
দারুণ গল্প, মনস্তাতিক বেড়াজালের আবহে বর্ণনাও মুগ্ধকর!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনালী কবি। শুভবিকেল।
২৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: চরম লাগছে। আমি মেসে থেকেছি, ব্যাপারগুলো বেশি পরিচিত লাগলো। তখন কেবল ইউনিতে ভর্তি হইছি, এক বান্দুবীর সাথে কথাবার্তা বলতাম, ঐরাম অন্তর্বাস নিয়ে কথা বলিনি যদিও, তবুও কথা বলার সময় সবাই কান খাড়া খাড়া করে রাখত :-&
সবচেয়ে ধনী এবং সুন্দর ছেলে ছিলো টনি ভাই - মেয়েদের চেয়ে বেশি ফর্সা মজার ব্যাপার হইলো সবাই তারে খুব আদর করতো, এমনও হইছে শীতের মধ্যে তাঁর লগে ঘুমানোর জন্য আবদার করতো কেউ কেউ - শীতের দিনে এক লগে ঘুমাইলে ঠান্ডা কম লাগে এই ছুতো ধরে।
হাহাহাহ। বেশ মজার ছিলো। এরকম ঈর্ষার ব্যাপারগুলো অত প্রকট ছিলো না, হয়ত ছিলো টের পাইনি আমি, ক্যাম্পাস লাইন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলাম তাই হয়তো।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই মেস মেস না আরো মেস আছে! এখন তো হোস্টেলে আছো, মজা যা করনের কৈরা লও!
২৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭
সকাল রয় বলেছেন:
মেস বাড়ির চরিত্রগুলো পরিচিত লাগলো্। যেভাবে গল্পটা পড়তে শুরু করেছিলাম শেষটাও করতে পারলাম একটানে।
অনেক ধন্যবাদ
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।
২৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
সোমহেপি বলেছেন: প্রথমে ভাবছিলাম হামা ভাই কি সব লেখা শুরু করলো আবার! পরিচিত ঢঙয়ের ধারে কাছেও নাই।
শেষে এসে মনে হল একটু ডসই খাইসি তাইলে? এইডা আমার অনেক পছন্দ হইছে। শেষটা না পড়লে কারো দ্বারাই বলা সম্ভব না মালটা কি দিছেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমার মতো চাল্লু মালরে ডজ খাওয়াইতে পাইরা ভাল্লাগতাচে।
২৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সুদীপ্ত কর বলেছেন: জোস...
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সুদীপ্ত।
২৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৮
ইখতামিন বলেছেন: কামরুল ও সাজ্জাদের কথার ফাঁক বুঝে দাও মারাটা বেশ উপভোগ্য হয়েছে। জ্ঞান-বুদ্ধির চেয়ে তিন সিঁড়ি উপরে তাদের পা ফেলার বিষয়টি ফুটে ওঠেছে। নিম্নবিত্ত রুমমেট ও অভিজাত পরিবারের ছেলে কবীরের জীবন চর্চার ব্যবধানগুলোও সুন্দর করে ফুটে ওঠেছে।
কিন্তু সাজানো পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন জীবনের কবীর হাতিরপুলের এতো এতো বাসা থাকতে কামরুলদের বাসায় কী করে উঠল তা আমার বুঝে আসছেনা। নিশ্চই কামরুলদের আলনায় কাপড়গুলো আগোছালো থাকতো। ওদের বাসার পরিবেশটা পরিচ্ছন্ন ছিলোনা। গুমোট আবহাওয়া লেগেই থাকতো। ঠিকমতো ঝাড়মোছ হতোনা। কবীরের উচিৎ ছিল তার সমপরিবেশের রুমমেটের সন্ধান করা। তাছাড়া কবীরের মতো ছেলের জন্য একাই একটা বাসা ভাড়া করে থাকা সম্ভব। তবে বিপদের হাত পা বলে কোনও কথা নেই। বিপদে পড়ে মানুষ নরকেও থাকতে পারে। কিন্তু কবীরের বর্ণনায় তেমন কিছু চোখে পড়েনি। কিন্তু নিম্নবিত্তের মেসে কবীরের আগমন চমৎকার একটা পয়েন্ট তৈরী করেছে।
সঙ্গত কারণেই। কবীরের পরিবেশ-রুচি অনুযায়ী তার উচিৎ ছিল দু'একদিন পরই উক্ত মেস ছেড়ে দেওয়া, যার মেম্বারদের জ্ঞান সীমিত, যারা ভিন্ন পরিবেশের, ভিন্ন মানসিকতার।
কবীরের কাটা হাত থেকে পড়া রক্ত আসলেই কি দেখতে নীল ছিল? না হ্যালুসিনেশন? কেবল কামরুলদেরই চোখে নীল দেখা গেছে!! কবীরের রক্ত নীল হলে প্রশ্ন থাকে। আবার লাল হলেও অন্য প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়।
গল্পের শেষ দৃশ্যে বিকৃতরুচির সাজ্জাদ আর কামরুলের হঠাৎ সাইকো হয়ে ওঠা যেমন অবাক করেছে। তেমনি তাদের হঠাৎ অজানা ক্ষুধায় পেটের ভেতর হাতুড়িপেটাও অবাক করেছে খুব। ক্ষুধার তাড়না যদি কবীর বা কবীরের রক্ত হয়ে থাকে (তাই হবে), তাহলে এতোদিন তো কবীর ওদের সাথেই ছিল। তখন তাদের এই নীলক্ষুধা লাগেনি কেনো!
পথের কাঁটা কবীরের উপর বহুদিনের ক্ষোভ কামরুলদের কবীরকে হত্যায় ধাবিত করতে পারে। কিন্তু ক্ষোভ থেকে হিংসা ও ঘৃণার মাধ্যমে হত্যার নেশা উৎপন্ন হতে পারে। তবে ক্ষোভের লক্ষবস্তু থেকে পারফিউমের ঘ্রাণ ও সুস্বাদু খাবারের নেশা উৎপাদিত হওয়াটা কেমন পরস্পরবিরোধী হয়ে যায়। কারণ, তখন তা অনুরাগের পর্যায়ে চলে যায়। ক্ষোভ থেকে হত্যা করা যায়। অনুরাগ থেকেও কামোন্মত্ত হয়ে হত্যা করা যায় (যেমনটা পারফিউম মুভিতে রয়েছে)। দুটোর পরিণতি হত্যা হলেও ক্ষোভের লক্ষবস্তুকে মজা করে খেতে পারা যায় না। অথচ এখানে দেখা গেল অনেক দিন ধরে যেই ছেলেটাকে সহ্য করা যায়নি। সেদিন তাকেই খুব মজা করে আনন্দের সাথে নীল খাবার মনে করে খাওয়া হলো।
যে ছেলে কামরুল ও সাজ্জাদের সামান্য কথা ও ব্যবহারে তাদের সম্পর্কে নিমিষেই অনুমান করতে পারে, সে তাদের রক্তনেশায় মাতাল টলমান দেহদুটো তাকে ঘিরে ধরতে দেখেও কিছু অনুমান করতে পারলোনা!!
বার বার অনুরোধের পরও কামরুলদের ব্যবহার যখন তার কাছে ফাজলামো মনে হলো তখন তার নিজেকেই ব্যান্ডেজের ব্যবস্থার জন্য এদিক-ওদিক কিছু খোঁজা উচিৎ ছিল।
বটির পোঁচে কেটে যাওয়া গলা থেকে যখন রক্ত বেরুচ্ছিল তখন কবীরের চিৎকার করা উচিৎ ছিল। সেখানে ঘড়ঘড় জাতীয় শব্দও হলোনা। কবীর যেনো বেশ সুখ করেই তাদের হত্যাযজ্ঞ বেশ উপভোগ করছিলো।
মৃত্যুর পরও কবীরের শুধু একটাই কথা ছিলো- “বিশ্বাস করেন ভাই, আমার রক্তও লাল!” এখানে একটা প্রশ্ন যুক্ত হতে পারতো- “আমাকে কেনো খুন করলে?” সেটাই স্বাভাবিক ছিলো। অবশ্য এই কথার দ্বারা গল্প অপারর্থিব কিছুর জানান দেয়। কিছুটা ভৌতিক ও বিনোদনপূর্ণ।
পুরো গল্পটা পড়ে মনে হলো- আগে-পরে ও মাঝে আরও অনেক কিছু ছিলো। অথবা আরও কিছু প্রবেশ করানো যায়। দূর্জয় ভাই ঠিকই বলেছেন। গল্পটা একটা উপন্যাস অথবা কেটে ছেটে হলেও বড় গল্পে রূপ নিতে বাধ্য।
----------------------------------------------
অনেক কিছুই লিখলাম। মনে যা আসলো তাই। হাসান ভাই হয়তো ভাববেন, ইখতামিনের মাথা খারাপ। বুঝেনা কিছু, ফালতু...
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য ইখতামিন। খুব ভালো লাগলো। কবীরের হাতিরপুলের মেসে ওঠার ব্যাপারটা আসলেই প্রশ্ন জাগাতে পারে। এ ব্যাপারটা ভেবে দেখিনি। সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে পারছি না। ধরে নিন, শখ করে উঠছিলো।
নীল রক্তের ব্যাপারটায় গল্পটা বাস্তব থেকে জাদুবাস্তবে টার্ন করেছে। এটা গল্পের বাস্তব, যেখানে লেখক অনেক আজগুবি ঘটনা ঘটাবেন, সেগুলো বাস্তবে সম্ভব না, তবে গল্পে এসবের মাধ্যমে রূপকার্থে অনেক কিছুই প্রকাশ করা যায়। তাদের ক্ষুধা আর খাদ্যের ব্যাপারটা হীনবোধ থেকে উৎসারিত ক্ষোভকেই নির্দেশিত করে। এই ধ্বংসস্পৃহা সবার মধ্যেই কাজ করে। অবচেতনের এই চিন্তাটাকেই গল্পে শরীর দান করেছি।
আপনার খোলামেলা মন্তব্য খুব ভালো লাগলো। এরকম করে বলবেন আরো।
৩০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
ইখতামিন বলেছেন:
শুভ সন্ধ্যা
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।
৩১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬
মৌ রি ল তা বলেছেন: স্বাধারনত যে সমাজের নিউরনকে আমরা শিখ্যাতরা এরিয়ে থাকতে চাই ঠিক তাদের নিয়ে লেখা ! ব্লগার হা.মা. তো দেখি বিশাল মনস্তাত্তিক রে ভাই!!!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাহলে একটা চেম্বার খুলে বসি
৩২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
অচিন্ত্য বলেছেন: ডিয়ার লিটল হামা। আপনার লেখা ক্রিটিক্যাল্যি পাঠ করা আর সম্ভব হচ্ছে না। আমি আপনার প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ হয়ে উঠেছি। তাই আপনার লেখার দুর্বল দিক আছে কিনা সেদিকে আর মন যায় না। খুব ভাল লেগেছে।
আবার আমাদের কাকতাল ঘটল। আমার ছাই হওয়া পাণ্ডুলিপিতে ঠিক এরকম একখানা গল্প ছিল। সেখানেও ভাতিজা তার অভিজাত কাকা'র নীল রক্ত পান করে। যাই হোক। দাবা বিষয়ে খুব উস্কানি পেলাম। ভাবছি একটা পোস্টই দিয়ে দেব।
ভাল থাকুন। আর হ্যাঁ, বইমেলায় আপনার বই বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য দিন। বিস্তারিত।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমার সাথে আমার কাকতালীয় ঘটনার সংখ্যাধিক্য নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে হচ্ছে এখন দেখি!
বই হলো থিম বেজড। সাইকো থ্রিলার টাইপ গল্প সবগুলো। লেখক চারজন। আমি সহ বাকিরাও ব্লগার। অপর্ণা মম্ময়, নাজিম উদ দৌলা আর ইনকগনিটো। সবার তিনটি করে গল্প থাকছে। তবে বইয়ের প্রচ্ছদে আমার নাম বড় করে লেখা, কারণ আমি হলাম সম্পাদক। হাহাহা! বের হচ্ছে আদী প্রকাশন থেকে। বইমেলা আসুক, বিস্তারিত জানাবো।
৩৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ওফফফ!
পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম হাসান ভাই কি টুইষ্ট রেখেছেন? ভাবছিলাম খানিকটা উচ্চবিত্ত কবির হয়তো বাকি দুজনের স্বাভাবিক অস্বাভাবিক কাজের চেয়ে নিচু কিছু করে বসবে! কিন্তু শেষে এসে থমকে গেলাম!
আমাদের দেশেও কি নীল রং এর রক্তধারা দেখা যায়? তারপর খুনীদের কি কেউ বলে আসে ভাই আমার রক্ত লাল ই ছিল!! বাংলাদেশের রক্তের রং ও কেউ কেউ নীল দেখে!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: লাল নীল রক্তের এই ব্যবধান, দ্বন্দ্ব এবং সংঘাত পৃথিবীর সবখানেই। শুধু মরে যাবার পরেই হয়তো বা বোঝা যায় সবার রক্তই লাল।
শুভেচ্ছা অভি।
৩৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: totally unexpected turn.
সাজ্জাদ আর কামরুলের ডার্ক ফ্যান্টাসি নিয়ে আগে কিছু আলামত পাইলে ভালো হইতো। নর্মাল আট দশটা লোকের মতই হিংসা কাম রাগ ইত্যাদিতে ভুগে ভুগে রাক্ষসের মত কবিরের উপরে ঝাপায় পড়াটা... একটু কেমন কেমন।
আবার যদি সেটা নীল রক্তের যাদু ধরি, তাহলেই বা কবির কেন এতো আটপৌড়ে ?
যাই হোক, আমার কাছে জাদু বাস্তবতা পার্টটার চেয়ে বাস্তবতা পার্টটা বেশি ভাল্লাগসে।
শুভ সন্ধ্যা
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: জাদু বাস্তবতা পার্টটা লিখতে গিয়ে শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। নাহ, গল্পটায় এডিটিং করতে হবে।
শুভরাত্রি।
৩৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: তীব্র মানসিকতা আর প্রবৃত্তি-ফ্যান্টাসি ভাবনার খোরাক যোগানোর মত।
শুভেচ্ছা। আরও সুন্দর গল্পচর্চা চলতে থাকুক।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৩৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মুগ্ধতার বয়ান -
, ঠিক যে রকম প্রত্যাশা করি আপনার উপর , এই গল্পে তা শতভাগ পূর্ণ হল । আগের গল্পেই অনেক টা হামা হামা ধাচ পাওয়া যাচ্ছিল , এই গল্পে তা পরিপূর্ণ ।
দীর্ঘদিন ধরে আপনার এমন একটা গল্প পড়তে চাচ্ছিলাম , মন ভরে গেছে । সাইকো গল্পে আপনাকে অনেক ভালা পাই !
বাবুই পাখির চোখে লাগা সৌন্দর্য টূকু -
সাজ্জাদ তার নিম্নাঙ্গকে হস্তনির্দেশিত আহবান জানানো শুরু করে ।
ঝলমলে উচ্ছল পরিচ্ছন্ন জীবনচর্চা প্রতি পদে পদে তাদেরকে বুঝিয়ে দিতো, তারা কত দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে, রুচি, রোজগার এবং আভিজাত্যে।
কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো, গাঁজর আর রুটি মিলে যেন একটা গোলাকৃতি ফুল হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে সূর্যমুখী হাসি হাসছে। - পরিপূর্ণ একটা ছবি ।
গল্পবিষয়ক -
মনস্তাত্ত্বিক ঘাত , অভিঘাত , চিন্ত্রা , আবহ , টেনশন সবকিছুই খাপে খাপ ।
একটি রাজা এবং একটি মন্ত্রী নিয়ে খেলছে তারা। সাদা-কালো গুটির কোন প্রভেদ নেই সেখানে। মেঝেতে গড়িয়ে পড়া রক্ত গুটিতে এবং বোর্ডে মেখে নীলাঞ্চল বানিয়ে ফেলে। -
এভাবে সাজ্জাদ আর কামরুল এক প্রবাহে মিলে যায় । খুব ধাক্কা খাই যখন "বিশ্বাস করেন ভাই, আমার রক্তও লাল!" - এ লাইনটা পড়ি । পারকেক্ট একটা ফিনিশিং ।
ভাবিয়েছে এবং কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে । উত্তর টা নিজেই মিলাই ।
শুভেচ্ছা ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম পাঠ প্রতিক্রিয়া পেলে আনন্দ হয়। অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ।
৩৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি, প্রথমে পড়া শুরু করে খানিকটা হতাশই হয়েছিলাম । মনে হচ্ছিলো, শব্দের খুরে ছিঁড়ে ফেলা হাসান ভাই কই । বোধহয় মেসের জীবনের বর্ণনা দিতেই এমন সরলতা । তারপর কবিরের আগমন খটকা লাগলো । কারণ, এমন মেসে কবিরকে ঠিক মানানসই লাগলো না । কবিরের এমন মেসে আসার কারণটাও বুঝিনি । তখন মনে হচ্ছিলো, শেষে পড়ে দেখি কি টুইস্ট এর জন্য কবিরের আগমন । ভাগ্যিস পড়ি নাই । তীব্র বঞ্চনা আর না পাওয়ার তীব্র রূপ যেভাবে টার্ন নিলো, আহ হ হ মধু ! আমার প্রথমে ধারণা ছিল, সাজ্জাদ বা কামরুলের কেউ একজন বিষাক্ত হবে, কিন্তু দুইজনের একসাথে জ্বলে ওঠা আনন্দ দিয়েছে । তাদের দুইজনের জন্য যে করুণাবোধ জন্ম দিয়েছিলেন শুরুতে শেষে এসে কবিরওঁ ভাগ বসালো । কারও জন্যই ঘৃণা থাকে না কারও জন্যই দুঃখবোধ থাকে না, কেবল গল্পটার জন্য ভালো লাগা থাকে।
দাবা খেলা আর নীল রক্তের রূপকে আদর । আর শেষলাইন, "বিশ্বাস করেন ভাই, আমার রক্তও লাল!" এর চেয়ে ভালো ভাবে আর শেষ হতে পারতো না ।
শুভেচ্ছা হাসান ভাই, ভালো থাকবেন ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আদনান। মন্তব্যে ভালো লাগা দিলাম।
৩৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
কয়েস সামী বলেছেন: মেস জীবনের বর্ণনা বেশ হাস্যরসের সাথে করা হয়েছে যা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি।
গল্পের শেষে এসে চিরচরিত হামা কে পেলাম যাতে ভাল্লাগাটা আরো বেড়ে গেছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৩৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: সব কমেন্টইতো করে ফেলা হয়েছে। সুন্দর লাগল অনেক। বাস্তবতা আর পরাবাস্তবতার ব্যালেন্সটা পারফেক্ট ছিল।
আপনার এই ঢংটাই ভাল্লাগলো খুব।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নিলয়। শুভকামনা।
৪০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
না পারভীন বলেছেন: গল্প পড়লাম , কমেন্টগুলো ও সব পড়লাম , তবু ঘোর এখনো কাটেনি । বিশাল ধাক্কা খেলাম ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘোরময়তা ঘিরে থাকুক। শুভেচ্ছা।
৪১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
মশিকুর বলেছেন:
প্রথম কয়েক লাইন মনোযোগ দিতে পারছিলাম না তবে মেস লাইফের খুঁটিশুটি গুলো আসতেই গল্প গতি পেল। এই পার্টটা খুবই মজার হইছে
তবে 'ব্লু ব্লাড' আসার পর হুমায়ূন আজাদের টেস্ট পাচ্ছিলাম। তবে সেই স্টাইল হারিয়ে গেছে আপনার নিজস্ব স্টাইলের কাছে। আপনার স্টাইলটার সবচেয়ে ভালো দিক হল তা অন্য কারও সাথে মিলে না। বীভৎসতার বর্ণনা আপনি অবলীলায় দিতে পারেন, যেটা বর্তমানে রেয়ার। আমার কাছে বর্ণনা পারফেক্ট লাগছে +++
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মশিকুর। বিভৎসতা আরো যত্ন করে বর্ণনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গত গল্পে অনেক বেশি বিভৎসতা থাকার কারণে আর দেই নি।
শুভরাত্রি।
৪২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অসাধারণ একটি সাইকো গল্প!!
গল্পের মেসেটাটা থেকে কামরুল আর সাজ্জাদের সাইকো চিন্তু ভাবনা এবং কাজকর্মটাই ভালো লাগছিলো।।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাইকো গল্প লিখতে খুব মজা। আপনি অনেকদিন ধরে লিখছেন না। ফিরে আসাটা সাইকো গল্প দিয়েই হোক!
৪৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
একজন সৈকত বলেছেন:
অন্ধকারের গল্পে বরবরই আপনি স্বকীয়। গল্পের শেষের টুইস্ট সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল। এর শক ভ্যালু কার্যকরী!
গল্পের নামটাও চমৎকার। - ভালো থাকুন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সৈকত। শুভকামনা।
৪৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০২
সাগর রহমান বলেছেন: হঠাৎ করে সাধারণ হয়ে বলতে থাকা গল্পে চলে এলো সাইকো.... এমন ধারাটাই আসলে টানে বেশি। পাঠক তৈরী থাকে না। ধাক্কা খেয়ে এলোমেলো হয়ে যায় পূর্বভাবনা।
আপনি আরেকটু সময় দিলে এ গল্প স্মরনীয় একটা কাজ হবে নিশ্চিত।
শুরুর প্যারায় নিম্নবিত্তের যন্ত্রনা্ আর বাস্তবতার যে ছবি এঁকেছেন, তা অনবদ্য।
সবমিলিয়ে চমৎকার পাঠ হলো। শুভকামনা হাসান ভাই।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। লেখাটায় সময় করে হাত দেবার ইচ্ছে আছে।
শুভকামনা।
৪৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার গল্প। প্রথমে কিছু সেক্স কথাবার্তা ছিল, না হলেও চলতো। আবার গল্পের সাথে মিল রেখে ভালই ছিল। লাল আর নীলের দ্বন্দ্ব দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। শেষের বীভৎস বর্ণনাটায় মুগ্ধ। সবমিলিয়ে দারুণ একটি সাইকো পড়লাম।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৪৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
শেষটা জঘন্য ছিলো। তবুও বলবো লেখাটি ভালো লাগলো।
লাল রক্তের উৎসব ... সুন্দরম ...
সাদা-কালোর জয় জয়কার !
[প্লাস]
ভালো থাকুন, আপনার লেখার ডিপথ্ এবং শব্দের যে সাইকো বলয় তৈরি করেন। সেটা আমি বেশ উপভোগ করি। আমাদের দেশে লেখালেখির প্রকৃত মূল্যায়ন হবে এবং আপনাকে আরো অনেকটা উপরে দেখতে পাবো একদিন -এই কামনা করি। শুভকামনা।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষটা খুব একটু ভালো লিখতে পারি নি, তাই বলে জঘন্য লাগবে ভাবি নি! অনেক ধন্যবাদ মতামত এবং আমাকে নিয়ে আশাবাদের জন্যে। শুভেচ্ছা।
৪৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২০
জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
বুঝাতে পারি নি হয়তো ...
আপনার লেখনী জঘন্য ছিলো না। যা দেখালেন সেটা জঘন্য ছিলো। গল্পের ‘ফলিং এ্যাকশন’ যাকে বলে আর কি ...
ধন্যবাদ।।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ আচ্ছা... বুঝতে পেরেছি। শুভেচ্ছা।
৪৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারন
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভকামনা।
৪৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: বেশ কয়েকবার পড়লাম গল্পটা ।দারুণ একটি গল্প । এ ধরনের গল্প গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়। এটাও পড়লাম খুবই ভালো লেগেছে।।
প্রথমে মুল ভাবটা ধরতে একটু কষ্ট হচ্ছিল। পরে অবস্য বুঝতে পেরেছি। সাথে সবার মন্তব্যগুলো ও দেখলাম। বিশেষকরে কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ার মন্তব্যটা খুব ভাল লেগেছে।
সত্য অসাধারন একটি সাইকো গল্প............।।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রোকেয়া। শুভেচ্ছা।
৫০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
আমিজমিদার বলেছেন: লাস্টে হ্যানিবল হ্যানিবল গন্ধ পাইলাম। দারুণ লাগল ভাই।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা। হ্যানিবাল আমার ফেভারিট সাইকো।
৫১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নাছির84 বলেছেন: নীল রক্তের (অভিজাত) প্রতি ঈর্ষাণ্বিত হয়েই কি ......!!!
গল্পে ভাল লাগা। বিশেষ করে সাবলীল বর্ণণায়।
তবে রোকসানা কেন্দ্রিক শুরু এবং বীভৎস শেষের মাঝে কোথায় যেন একটা খাপছাড়া ভাব আছে। অর্থাৎ, শেষের বক্তব্য কিংবা ঘটনাটা এসটাবলিশ করার জন্য পুর্বের ঘটনাক্রম কিংবা মানসিক প্রবাহে কোথায় যেন একটা খামতি আছে। আমি দুঃখিত। এটা সম্পুর্ণই ব্যক্তিগত মতামত।
কিন্তু হলফ করে বলতে পারি কস্মিনকালেও ভাবিনি শেষটা এমন হবে!
এটাই হয়তো লেখকের সার্থকতা। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষের অংশটা হঠাৎ করেই আনতে চেয়েছিলাম। বেশি হুট করে আনা হয়ে গেছে বলেই হয়তো খামতি মনে হচ্ছে। বর্ণনার বিস্তার আরেকটু বাড়ালে মনে হয় ভালো হতো। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৫২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
ইখতামিন বলেছেন:
গল্পটা পড়ে আজ আমার মনে হলো- মাঝে মাঝে তাড়াহুড়ার পরিণতি মর্মান্তিক হয়ে ওঠে। কবীর যদি পেঁয়াজ কাটতে আরেকটু সতর্ক হতো, আরেকটু ধীরে কাটতো, তাহলে হয়তো ছেলেটা এই যাত্রায় বেঁচে যেতো...
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও অন্যভাবে তাকে একই পরিণতি বরণ করে নিতেই হতো। আমি যে তার কপালে এভাবে মরণই লিখে রেখেছিলাম!
৫৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
কেমনাছেন...
আপনার ট্রেডমার্ক গল্প থেকে ডিফরেন্ট...
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি। শুভরাত্রি।
৫৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
অনেকদিন পর আপনার এই লেখাটি পড়লুম ।
দাবার চালের মতো কোথা থেকে যে কোথা নিয়ে যান গল্পের গুটি.......
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভরাত্রি।
৫৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
অথৈ সাগর বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম । ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৫৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: একসময় মেসে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। অর্থের ফুটানি আর দারিদ্রতার দির্ঘশ্বাস দুইটাই মনে পড়ে গেল। শেষটা অবশ্য একটু বেশী ভয়াবহ। এমন এন্ডিং হবে চিন্তা করি নাই। ভাল লিখসেন।
আপনাদের ''স্বপ্ন, ব্যাধি, ভ্রম ও অন্যান্য'' বইয়ের সাফল্য কামনা করছি।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ব্রাদার। শুভকামনা।
৫৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৯
সাদরিল বলেছেন: গল্প ছিলো সাইকো, গল্প পড়ে আমি নাইকো।
গল্পের ভেতরটা কেটে রেখেছে কীটে, এই গল্প সোজা ফেভারিটে
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! অনেক ধন্যবাদ সাদরিল।
৫৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এভাবে তারা যখন জয়শিকারে মগ্ন, তখন ওভেন থেকে কবীরের মাথাটা গড়িয়ে তাদের কাছে এসে বলে,
"বিশ্বাস করেন ভাই, আমার রক্তও লাল!" এটা যেন একটু কেমন কেমন লাগলো। গল্পে একধরনের অবিশ্বাস্য আলৌকিকত্ব নিয়ে এসেছে। কিছু মনে করবেন না, এটা একান্তই আমার নিজস্ব মতামত।
বাকি গল্পটুকু দুর্দান্ত হয়েছে, অনেক অনেক ভালোলাগা, যদিও কবীরের শেষ পরিণতি ভয়াবহ, কিন্তু এ ছাড়া আর কোনকিছুই হতে পারত না। এই পরিণতির কারনেই গল্পটা মনকে এতখানি ধাক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: তনিমা, গল্প অবাস্তব বা গল্পের ভাষায় পরাবাস্তব অংশে উপনীত হয়েছে কর্তনকর্মের ক্রম থেকেই। কারো রক্ত কি নীল হয়? এটা কি অবাস্তব না? শেষ অধ্যায়ের বক্তব্যটা সাধারণ, মানুষের পোষাকি পরিচয় যেমনই হোক, মারা গেলে কোন ভেদাভেদ থাকে না। লাল রক্ত, নীল রক্ত সবার বাঁচার আকাঙ্খাই সমান।
শুভেচ্ছা।
৫৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
অদ্ভুত জোনাক পোকার বাতিঘর বলেছেন: বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা, জ্ঞান এইসব উচ্চমারগিয় ব্যাপার স্যাপার ছাপিয়ে কারো প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠরজন্য তার অর্থবিত্তই যথেষ্ট।
কামরুল এবং সাজ্জাদের অবচেতন মনের ঈর্ষাই কি দায়ি শেষ পর্যন্ত কবিরের এমন পরিনতির জন্য?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক তাই।
আপনার নিকটা চমৎকার। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৬০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২০
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: হাসান ভাই তেমন ভালো লাগেনি আমার
ভালো থাকুন
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যনাদ রাসেল। শুভকামনা।
৬১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার একটা কড়কড়ে গল্প পড়লাম ভাইয়া। ভাল লেগেছে।
সবার রক্তের রঙ লাল হোক।
ভাল থাকুন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। তুমিও ভালো থাকো।
৬২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: রঙানুপাতিক, অনেক ভাল লাগল লেখাটা।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ্র। শুভকামনা।
৬৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০২
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মাঝরাত্তিরে দুইটা অপশন ছিল হাসান ভাই, মারকেজের প্রায় সমাপ্ত একটা বইয়ের বাকি দুইটা গল্প পড়ে বইটা শেষ করা - অথবা আপনার গল্পটা পড়া। দুইনম্বর অপশনটা বেছে নিলাম এবং পরিশেষে বলতে বাধ্য হচ্ছি , আমার চয়েজে ভুল হয় নি।
গল্পের গঠন চাবুকের মত ছিপছিপে, প্লট চাবুকের বাড়ির মতই সপাং করে এসে মনে আঘাত করেছে।
অত্যন্ত সার্থক একটা ছোট গল্প।
শুভরাত্রি।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে শপাং শপাং ধন্যবাদ!
৬৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
অপ্রচলিত বলেছেন: গল্পটি আপনার ব্লগে আগেই পড়েছিলাম। মন্তব্য করিনি কেন বোধগম্য হচ্ছে না। আজ আবার পুরোটা পড়লাম।
বরাবরের মতই আপাদমস্তক চমৎকার লেখনী, খোলামেলা প্রাঞ্জল বর্ণনা খুব ভালো লাগলো। শেষের টুইস্টটা আশা করিনি, দুর্দান্ত ছিল স্বীকার করতেই হবে। গল্পে সূক্ষ্ম স্যাটায়ারের রেশটা অতুলনীয়।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা।
ভালো থাকুন সদা সর্বদাই।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে। শুভেচ্ছা।
৬৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: উফ্! কি লিখছ হাসান এটা! তোমার এখন পর্যন্ত বেস্ট। অবশ্য তুমি তো নিত্যই নিজের বেস্ট লিখে যাচ্ছ।
শেষে এসে ভীষণ চমকে উঠেছিলাম, তবে গল্পটা পড়তে পড়তে আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো তারা কবিরকে খুন করবে, শেষে এসে সেটার সাথে মিলে গেলেও নীল থীমটায় চমকৃত হয়েছি।
বেশ বেশ। চালিয়ে যাও। এই গল্পে আরেকটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে কিছু সুক্ষ্ণ হিউমার। সব মিলিয়ে এক্সিলেন্ট। হ্যাটস অফ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। এই গল্পের থিম আমাকে খুব জ্বালাচ্ছিলো। লিখতে পেরে ভালো লেগেছে। আপনার ভালো লাগাতে আরো খুশি হয়েছি।
৬৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০১
নোমান নমি বলেছেন: এই গল্পটা ভাল্লাগেনাই। ভাবছিলাম কামরুল আর সাজ্জাদের মানসিক দ্বন্ধ নিয়েই এগুবে। কিন্ত শেষটা ভাল্লাগেনাই।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্প নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাইসি, এই জিনিসটা আমার ভালো লাগসে। আশ্বস্ত হইসি যে আমার পাঠকেরা শুধু কমেন্ট বিনিময়ের জন্যে কমেন্ট করে না। থ্যাংকিউ নোমান।
৬৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:০৮
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: অনেকদিন পর অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম। মনটা ভালো হয়ে গেলো।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। শুভভোর।
৬৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
ইলুসন বলেছেন: সচ্ছল মানুষের জীবন অনেক সময় আশেপাশের অসচ্ছল মানুষকে ব্যথিত করে, তা অনেক সময় জিঘাংসায় রূপ নিতে পারে। চমৎকার গল্প। শেষ দিকে নীল রক্তের ব্যাপারটা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু ইলুসন। শুভসন্ধ্যা।
৬৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
রুপ।ই বলেছেন: আজকে সময় করে আপনার না পড়া জমানো লিখাগুলো পড়ছি , একের পর এক, আহা মরি কিছু লাগেনি এটা পড়ে এরকম গল্প আপনি আগেও লিখেছেন।
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্যে।
৭০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল ভয়ে। এমন টুইস্ট হবে স্বপ্নেও ভাবিনি। অসাধারণ!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৭১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
সুবিদ্ বলেছেন: অনেক অনেক দিন পড়লাম তোমার ব্লগ! আর কি বলবো বুঝতে পারতেছি না, ওহ গল্পটা দারুন!
১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! অনেক ধন্যবাদ সুবিদ্।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৪
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: ভ্রাতা পড়া শুরু করিলেম___