নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই শহরে কোন মানুষ নেই। কখনও ছিলো কী না আধো ঘুম আধো তন্দ্রার প্রভাবে ক্ষয়াটে স্বপ্নের জঠরে বাস করে ববির তা মনেও পড়ে না। সে শুধু জানে একাকীত্বের বর্ণমালা। সে জানে ঘর থেকে বেরিয়ে দিগন্তের দিকে তাকালে শুধু শূন্যতার ঘরবাড়ি, ক্ষেত, আর বাগান চোখে পড়ে। শূন্যতার সমাগম বড়ই কোলাহলপূর্ণ মনে হয় তার কাছে। সে কোলাহল পছন্দ করে না। সে মানুষ পছন্দ করে না। হয়তোবা একসময় করতো। হয়তো বা একসময় ভালোবাসা, পাপ-পূণ্য, লাভ-ক্ষতির খতিয়ান লিখতো সে তার ইচ্ছেখাতায়, রোজনামচায়। সে খাতার পাতাগুলো পুড়ে গেছে, উড়ে গেছে সেই কবে! হয়তোবা মানুষই পুড়িয়ে দিয়েছে সব। ববির আবছা আবছা মনে পড়ে, এখানে তন্বী তরুণীর নিষ্ঠুর ভ্রূকুটি ছিলো, ডাকসাইটে মানুষদের ভীড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে একটা অনিচ্ছুক জীবন ছিলো, হল্লাপ্রেমী বারফেরতা যুবকের দলের খিস্তিতে অস্বস্তি ছিলো। ববি কোনকিছুর সাথেই খাপ খাওয়াতে পারতো না। একা থাকতো, একা থাকাই ভবিতব্য মেনে নিয়েছিলো সে। তাই যখন সবাই দল বেঁধে মারা গেলো একদিন, একসাথে; ববির খুব একটু খারাপ লাগে নি। কী কারণে মারা গিয়েছিলো তারা? না, কোন মহামারী বা দুর্ভিক্ষ নয়। নয় কোন কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব, অথবা মোড়ল রাষ্ট্রের পরিচালিত ম্যাসাকার। ববি এজন্যে নিজেকেই দায়ী করে। তার ইচ্ছেখাতায় সে একদিন সবার মৃত্যু কামনা করে অল্প কিছু লাইন লিখেছিলো। স্রষ্টার কাছে মিনতি জানিয়েছিলো যেন এই চিরযৌবনা, অমিত শক্তিধর, পায়াভারী মানুষগুলো সবাই শহর থেকে চলে যায়। তাকে যেন একা থাকতে দেয়। এই শহরের সবাইকে ববির মনে হতো বিপুল শক্তির উৎস, যারা একাকীত্বে ভোগা মানুষকে কীটসম মনে করে পদদলিত করতে ভালোবাসে। সেই যে ভ্রুকুটি করা তন্বী তরুণীর কথা বলা হলো না? সেও সুযোগ পেলেই ববিকে হাই হিল দিয়ে খোঁচা মারতো। আর তার বান্ধবীরা সবাই বেদম হাসতো। সে হাসি ছড়িয়ে যেতো সবখানে। অফিস বাদ দিয়ে লোকজন এসে মজমা বসাতো ববির নাকাল হওয়া দেখার জন্যে। তারা এসব উপলক্ষ্যে মদ্যপান করলে তাদের স্ত্রীরা কিছু মনে করতো না। করবে কেন? তারাও যে মজা দেখতে বিভোর তখন। হাইহিল পরা মেয়েগুলোকে উৎসাহিত করার জন্যে চিৎকার করে যেতো। সেই চিৎকার শুনে আমোদিত হয়ে আশেপাশের অন্যসব শহর থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়ে যেতো। ববির প্রার্থনাদ নালায় ভেসে যাওয়া কেঁচোর মতো হারিয়ে যেতো। তারপর যথেষ্ট হয়েছে মনে করে ববিকে ছেড়ে দিলে ক্লান্ত-বিদ্ধস্ত ববির দেহে চোরকাঁটা আর বিছুটি ছেড়ে দিয়ে ঘুমুতে যেত প্রশান্তির অনুভূতি নিয়ে।
এতসব কিছুর পরেও ববি হাল ছাড়ে নি। সে খুব বোকার মতো বিশ্বাস করতো একদিন তারও একটা বন্ধু হবে। প্রেমিকার দুরাশা করা ছেড়ে দিয়েছিলো সে অনেক আগেই। একজন বন্ধু, তার কাছে সে ভালোবাসা বা সহানুভূতি কিচ্ছু চাইতো না। শুধু চাইতো তার ইচ্ছেগুলোর কথা ব্যক্ত করতে, তার প্রবঞ্চণাময় জীবনের গল্প শোনাতে। প্রায় জুটেও গিয়েছিলো একদিন। সেদিন সে বাস থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে পা ছিলে ফেলেছিলো অনেকখানি। ফার্মেসিতে সেলাইয়ের জন্যে গেলে দোকানদারের হাসি দুকান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
-আরে ববি... দ্যা আলটিমেট লুজার যে! পা ছিললে কীভাবে?
-বাস থেকে নামতে গিয়ে।
-তোমার মতো বোকার হদ্দের ক্ষেত্রে তো এমনই হবে। বাস থেকে নামতে গিয়ে পা হড়কাবে, ভীড়ের মধ্যে মেয়েদের হাইহিলের গুঁতো খেয়ে ত্রাহিসুরে চিৎকার করবে, মদ খেতে গেলে এক পেগ খেয়েই বমি করে দিবে...
-এখন দয়া করে আমার ক্ষতটা ব্যান্ডেজ করে দিন না, বড় কষ্ট পাচ্ছি।
এই কথা শুনে দোকানদার আরো উল্লসিত হয়। প্রফুল্ল কণ্ঠে সে বলে,
-আরে তোমার পা কেটে গেছে এটা তো বিশাল খবর। এই খবর শহরের আর সবাই জানবে না তা কী করে হয়। তোমার পায়ের পরিচর্যা করার জন্যে মেয়েরা আসবে, চিকিৎসার খরচ বহনের জন্যে চাকুরেরা আসবে, ব্যবসায়ীরা তোমার পায়ের পরিচর্যা অনুষ্ঠান দেখানোর জন্যে টিকেটের ব্যবস্থা করবে, তারপরেই না চিকিৎসা! এখন তো তোমার কাছে ফুটো পয়সাটাও নেই। হয় মানিব্যাগ হারিয়েছো, নয়তো আনতে ভুলে গেছো, ঠিক না?
-ঠিক না। মানিব্যাগটা পকেটমার হয়ে গেছে।
এবার দোকানদারের কন্ঠ কঠোর হয়।
-খবরদার আমাদের শহরের অন্য কাউকে নিয়ে কুৎসা রটাবি না। কার এমন দায় পড়েছে যে তোর মতো লুজারের পকেট কাটবে? মনে রাখবি, এই শহর আমাদের, তোর না। এখন যা ভাগ! সন্ধ্যের পর তোর কাটা পা নিয়ে আমরা উৎসব করবো।
বিষণ্ণ মনে ফার্মেসি থেকে বের হয়ে হাঁটতে থাকে সে। যথাসম্ভব দ্রুত পায়ে। কারণ এই এলাকাটা জনবহুল। কিছুক্ষণ পর তাকে নিয়ে মজা দেখতে মানুষজন উপস্থিত হবে। তার আগেই শহরের নির্জন কোন প্রান্তে গিয়ে লুকিয়ে থাকা ভালো। হাঁটতে থাকে ববি। হাঁটতে হাঁটতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। দূর থেকে শোনা যায় কোলাহল। তাকে খুঁজতে বের হয়েছে শহরবাসী। হঠাৎ একজনের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায় ববি। শঙ্কিত হয় সে। আবার না নতুন কোন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাকে! কিন্তু লোকটা তাকে দেখে হাসলো না, বিদ্রুপ, কটাক্ষ বা গালাগালি কিছুই করলো না। জড়ানো গলায় আশ্চর্য কোমল কণ্ঠে সে বলে,
-ইটজ ওকে। আপনি ব্যথা পান নি তো!
জীবনে প্রথম এমন কোমল আচরনের মুখোমুখি হয়ে তার ভেতর এক অনির্বচনীয় অভূতপূর্ব অনুভূতি হয়।
-না ব্যথা পাই নি।
বাষ্পরূদ্ধ ববির কণ্ঠ।
-আমি এই শহরে নতুন এসেছি। চলে যাবো আজকেই। আপনি কি এখানকার স্থানীয়?
এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুশকিলে পড়ে যায় ববি। সে আসলে কে? কোথায় তার জন্ম? এই বিরুদ্ধ বাতাসের নিষ্ঠুর শহরে সে কীভাবে এলো? প্রশ্নগুলোর উত্তর হাজারো হাতরেও সে খুঁজে পায় না।
-আমি... ঠিক জানি না।
-বলেন কী! আমিও তো নিজের পরিচয় জানি না। হয়তো বা জানতাম কোন এক কালে, কিন্তু কারা যেন ভুলিয়ে দিতে চায়। কারা যেন বলে, "ইউ ডোন্ট বিলং হিয়ার"।
এই কথাগুলো ববিকেও কে যেন বলে। নিজের এক সতীর্থ পেয়ে সে আবেগপ্রবণ হয়। কিন্তু কথা বলা শেষ করে আগন্তুক ভীষণ কাশতে শুরু করলে ববিকে উদ্বিগ্নতা পেয়ে বসে। লোকটা কাশতে কাশতে রক্তাভ বমিতে রাস্তা ভাসিয়ে দেয়।
-আপনি কি অসুস্থ?
উদ্বিগ্ন ববির জিজ্ঞাসা।
-হ্যাঁ। আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। আমি মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছি।
-প্লিজ মারা যাবেন না!
আকুল অনুরোধ ববির।
-মারা না গিয়ে উপায় নেই আমার। আপনিও বাঁচতে চাইলে মরে যান, অথবা সবাইকে মেরে ফেলুন।
-সবাইকে মেরে ফেলবো! অত শক্তি তো আমার নেই।
-তাহলে আমি কীভাবে মারলাম! আমার শহরের সবাই মৃত। কারণ তারা আমাকে চাইতো না। আমি তাদেরকে চাইতাম। একসময় আমার চাওয়াটা তাদের মৃত্যুকামনায় রূপ নিলো। তারপর থেকে সবাই মরে গেছে। আমি জানি, আপনিও আমার মতো একজন। আপনি চান আমার মত করে, পেয়ে যাবেন।
সেই রাতে ববি তার ইচ্ছেখাতায় লিখলো,
"এই শহরে কোন জীবিত মানুষ নেই। এই শহরের কাউকে আমি চাই না। হে ঈশ্বর, আমাকে পূর্ণ একাকীত্বে ঋদ্ধ করো। এই কোলাহলচর্চিত, অপমানকর একাকীত্ব থেকে আমাকে মুক্তি দাও।"
ববি তার ইচ্ছেখাতাটি নিয়ে সন্তর্পণে চললো শহরের নির্জনতম জায়গায়। একটি পরিত্যক্ত কসাইখানায়। এখন থেকে এটাই হবে তার নতুন নিবাস।
তারপর...
ববির ইচ্ছেখাতাটি দমকা বাতাসে উড়ে গেলো। সেদিন ভীষণ ঝড় হচ্ছিলো। বিজলীর চমকে পুড়ে গেলো। তারপর বাতাসে মিশে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাস হয়ে সবার শ্বাসরূদ্ধ করে ববির ইচ্ছে পূর্ণ করলো।
এখন এই শহরে কেউ নেই। ববি আর কসাইখানায় প্রাপ্ত একটা বখাটে শুকর ছাড়া। ববি পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে দেখেছিলো অসংখ্য লাশ। সেই বালিকার, সেই দোকানীর, সেই গৃহবধুর... চমকে উঠে সে দৌড়ে ফিরে গিয়েছিলো তার নতুন আস্তানায়। তার ঘুম ঘুম ভাব কাটেনি তখনও। এখন যদি আবার দেখে যে সবাই বেঁচে উঠেছে, কিংবা সে ঘুমের ঘোরে ভুল দেখেছে, তবে উপায়! তাই ববি এর পরের দশ বছরে আর জঙ্গলের ভেতর নিভৃত কসাইখানাটি থেকে বের হয় নি।
*
ববির আশা পূরণ হয়েছে। অবশেষে সে সত্যিকারের একাকীত্বের স্বাদ পেয়েছে। এখন এই কসাইখানা, পচে যাওয়া মাংস, শুকিয়ে যাওয়া রক্ত আর ধেড়ে শুকরটা নিয়ে বেশ ভালো আছে সে। শুকরটার সাথে সে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করেছে। তবে বন্য শুকর তো, সহজে পোষ মানতে চায় নি। ববি তার নিয়মিত পরিচর্যা করতে লাগলো। নিজের মল প্লেটে করে সাজিয়ে খাইয়ে বেশ নধর করে তুললো শুকরটাকে। এখন সে ববির আহবানে সাড়া দেয় ঘোঁতঘোঁত করে। শুকরটাকে নিয়ে ববির অনেক স্বপ্ন। তবে তার ইচ্ছেখাতাটি হারিয়ে গেছে বলে সে সমস্ত লিখে রাখার সুযোগ হয় না। তার পৃথিবী বলতে ছোট্ট এই জংলা জায়গা আর পরিত্যক্ত কসাইখানাটাই। সে এর বাইরে যাওয়ার সাহস পায় না। তার দিনকাল অবশ্য বেশ ভালোই কাটছে। কসাইখানাটায় পচা গলা মাংসের অভাব নেই। সেসব খেয়ে তার ক্ষুধা নিবৃত্ত হয়। মাঝেমধ্যে ঝড়ো বাতাসের সাথে চলে আসা পচা বটফল পেলে তো রীতিমত একটা ভোজ হয়ে যায়। এমনই এক ঝড়ের দিনে পচা মাংস আর বটফল দিয়ে আহার করতে করতে সে শুকরটার সাথে গল্প করছিলো,
"বুঝলি বেশ ভালো আছি আমরা, কী বলিস? ভাগ্যিস সেদিন সেই মাতাল লোকটার সাথে দেখা হয়েছিলো! সে উপায় বাতলে না দিলে আজো মানুষের কিল-চড়, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, আর অসুস্থ আনন্দের উপকরণ হয়ে থাকতে হতো। আজ তারা সবাই মৃত। ঈশ্বর আমার কথা শুনেছেন"
জবাবে শুকরটি ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে আপত্তি করে ওঠায় ববি মনে করে যে কথাটি সে পছন্দ করে নি, তাই অন্যভাবে বলে,
"আরে শোন রাগ করিস কেন? ঈশ্বর আমার কথা শুনেছেন না কি শোনেন নি, সেটা বড় ব্যাপার না। আমি আমার ইচ্ছাশক্তির বলে পরম একাকীত্ব অর্জন করতে পেরেছি। মুছে দিতে পেরেছি সমস্ত দীনতা, হীনমন্যতা, প্রতিষ্ঠা করেছি আমার একলার রাজত্ব। আর হ্যাঁ, আমি ভুলেও ঐ পৃথিবীতে দেখতে যাবো না কিছু অবশিষ্ট আছে কী না। আমাদের এ রাজত্বে আমি আর তুই'ই হলাম রাজা গজা হাহাহা!"
শুকরটি এবার নরম হয়ে মৃদু গরগর শব্দ করতে থাকলে ববি আশ্বস্ত হয়। সে শুকরের নরম গালে হাত বুলিয়ে দেয়, তার পিঠ চুলকে দেয়। জীবনটা বেশ সুখময় মনে হয় তার কাছে।
যদিও ববি অলৌকিক কোন প্রক্রিয়ায় হোক বা নিজের ইচ্ছের দুনিয়ার বাদশাহ হয়ে হোক, আশেপাশের মনুষ্যজাতিকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বময় একাকীত্ব আর নির্জনতায় ডুবে থেকে মানুষের অভাব পুরোপুরি ভুলে থাকতে পেরেছে, তবুও মাঝেমধ্যে জৈবিক কামনা জেগে ওঠে তার। স্বমেহন করে সে সেই চাহিদা মেটায়। একদিন সেরকম এক সকালে মর্নিং ইরেকশনের সময় ববি বিছানায় শুয়েই ঝাঁকাচ্ছিলো নিজেকে, তখন হঠাৎ খেয়াল করে শুকরটা অগ্নিদৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে আছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সে স্বমেহন বন্ধ করে শুকরটির দিকে ছুটে যায়। তাকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে বলে,
"দেখ, ব্যাপারটা তুই অন্যভাবে নিস নে। আমি তো মানুষ। আমারও তো কিছু চাহিদা আছে। আমি তো আর ব্রহ্মাচার ব্রত নিই নি। তোর কাছে ব্যাপারটা হয়তোবা খারাপ লেগেছে। কিন্তু বিশ্বাস কর আমি তোর প্রতি সৎ"
এটুকু বলার পর ববি শুকরটার দিকে গাঢ় মমতার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তার কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। সে তার কসাইখানার নিভৃত জীবনে প্রথমবারের মতো খেয়াল করে দেখতে চায় শুকরটা মাদী না মর্দা।
মাদী শুকর। ববি ভাবে তাদের সম্পর্কটা নতুন একটা পর্যায়ে উপনীত হতে যাচ্ছে। যেখানে পারস্পরিক দায়বোধ, বিশ্বাস, আস্থা, আর সম্মানের ব্যাপারগুলো মেনে চলতে হবে। আর এভাবেই ববির জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়। সে নতুন স্বপ্ন দেখে।
এইখানে কেউ নাই। সমাজের চোখ রাঙানি, বস্তাপচা যতসব নিয়মকানুন, আদ্যিকালের নীতিবোধ, পাপ পুণ্যের খতিয়ান, কিছু নাই। এখানে ভালবাসাকে নতুন করে জানবার অবারিত সুযোগ, নতুন স্বপ্ন দেখার উৎসব। ষোড়ষী মেয়ের চেয়ে মাদী শুকরটাই ববির কাছে বেশি কামনার বস্তু হয়ে ওঠে। সে এখন স্বমেহন করে লুকিয়ে, শুকরটার ওপর উপগত হবার কথা ভেবে। ইদানিং সে তাকে তুমি করে বলা শুরু করেছে। তার বেশি করে যত্ন নিচ্ছে। শুকরটাও এখন ববির সাথে সময় কাটাতে বেশ পছন্দ করে। ববি সময় নেয় তাদের সম্পর্কের গভীরতা আরো বেড়ে যাওয়াতক। তার কোনো তাড়াহুড়ো নেই। একদিন সে লাজুক কণ্ঠে তাকে বলেই বসে,
"আমি তোমাকে ভালোবাসি। আশা করি আমার হতে তোমার কোন আপত্তি নেই।"
শুকরটা ববির পাশ ঘেঁষে আসে। ববি বুঝতে পারে, তাদের সেই সময় এসে গেছে। এখন শারীরিক মিলন করলে দোষ হবে না...
*
এক বছর পর। ববির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সে এখন চার চারটি শুকরশাবকের পিতা। যেদিন প্রথম সে শুকরটির সাথে মিলিত হলো, তাতে কোন বিকৃত যৌনকামনা বা লালসার ব্যাপার ছিলো না। সে ভালোবেসে প্রেমিকার মতো করে আদর করেছিলো তাকে। এরপর এ বিষয়টি ক্রমাগত চলতে থাকে, এবং শুকরটি গর্ভবতী হয়। তখন ববির ইচ্ছে করেছিলো মৃত মানুষদের অথবা শূন্যের বসতিতে গিয়ে চিৎকার করে বলে,
"হ্যাঁ, এই দেখ, আমি ববি। আমিও কাউকে ভালোবাসতে পারি। আমিও কারো পিতা হতে পারি, স্বামী হতে পারি, প্রেমিক হতে পারি। তোদের কারো সাহস থাকলে আয় এখন আমাকে অপদস্থ করার জন্যে। আমি এখন হবু পিতা, আমি একটি মহিয়সী শুকরের বিশ্বাসী প্রেমিক, আমার শক্তি কত বেড়ে গেছে জানিস তোরা? এখন কেউ আয় আমার সামনে যদি সাহস থাকে"
কিন্তু ববি যায় না ওকথাগুলো বলার জন্যে। তার চোখে মৃত মানুষের সারি, ইচ্ছেখাতার ছেড়া পৃষ্ঠার দূরন্ত অভিযাত্রা, আর শূন্যের নামতা ভাসে। সে একবার ঐ জিনিস দেখেছে, হয়তোবা ঘুমের ঘোরে, হয়তোবা ঈশ্বরের ইচ্ছায়, হয়তো বা সত্যি হয়তো বা মিথ্যা, সে এটুকু দেখেই খুশি। তার আর দ্বিতীয়বার যাচাই করার ইচ্ছে জাগে না। তার আগত সন্তানদের জন্যে ছোট ছোট কাপড় বুনে বেশ সময় কেটে যায়। সন্তানগুলো মানুষ না শুকর হবে, নাকি কোন এক শঙ্কর প্রজাতি, তা নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। তবে এটা তার অবকাশকালীন ভাবনার চমৎকার একটা উপকরণ হয়ে থাকে। সে ছোট্ট কিছু ছড়াও বেঁধেছে। যেমন,
"ওরে আমার বাচ্চাটা
তুই কি হবি, মানুষ নাকি?
হলিই না হয় ছোট্ট শুকর
খোদার কাছে হাজার শোকর"
ছড়াটি সে তার প্রেমিকাকে পড়ে শুনিয়েছে। সে পছন্দ করেছে বলেই মনে হলো। এভাবে আশ্চর্য নির্মল অনুভবে কেটে যাচ্ছিলো ববির দিনকাল। হঠাৎ একদিন তাদের মধ্যে দাম্পত্য জটিলতা শুরু হলো। দোষটা অবশ্য ববিরই। সে স্বপ্নে দেখেছিলো তার প্রেমিকাকে গর্ভবতী করেছে অন্য কোন শুয়োর। এরপর সে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি শুরু করে তাকে অযথাই। তাকে "চরিত্রহীনা" পর্যন্ত বলে বসে। এবং এই কসাইখানা থেকে তার আর কোথাও যাওয়া বারণ বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে অবশ্য তার অনুতাপ হয়েছিলো। সে জানে তার প্রেমিকা অমন শুকরিনীই নয়। তবে দাম্পত্য জীবনে মাঝেমধ্যে তো এমনটা হতেই পারে। ববি আচ্ছা করে স্যরি বলে মাফ চেয়ে নেয়।
দিনগুলো কেবল দীর্ঘ হতে থাকে। বুনতে বুনতে কাপড় শেষ হয়ে যায়। নতুন জামা বানানোর আর কোন সুযোগ নেই। ববি ছটফট করতে থাকে পিতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার জন্যে।
"শরীর খারাপ করছে তোমার সোনা?"
শুকরিনী সকাল থেকেই কেমন যেন অস্বস্তি প্রকাশ করছে ব্যথায়। মাঝেমধ্যেই ককিয়ে উঠছে। ববি বুঝতে পারে আজকেই সেই দিন! উত্তেজনায় অধীর হয়ে পড়ে সে। পানি গরম করা, ছুরিটা পরিষ্কার করা, কত কাজ!
"একটু ধৈর্য্য ধর সোনা, মা হতে হলে একটু কষ্ট করতেই হয়"
সে নিবেদিতপ্রাণ স্বামীর মত করে সাহস যোগায় তাকে।
অবশেষে চারটি ফুটফুটে শুকর ছানা পৃথিবীর আলো দেখে। ববির জীবনটাও আলোকিত হয়ে ওঠে। সে তাদের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চাগুলো বেশ লাফঝাঁপ শুরু করে। ববি তাদেরকে যত্ন করে গোসল করায়, পোষাক পরায়, মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তার স্ত্রীকে বলে,
"ছেলেগুলো দেখতে আমার মতো হয়েছে, আর মেয়েগুলো তোমার মতো, তাই না?"
কিছুদিন পর ববির মধ্য থেকে আনন্দের ভাবটা কেটে গিয়ে বিষাদ ভর করে। কারণ, তার সন্তানেরা মোটেও তাকে পছন্দ করে না। মায়ের ন্যাওটা হয়েছে বড়। ববির জীবনটা শূন্য লাগে। যে পরম একাকীত্বের জন্যে সে মনুষ্যপ্রজাতির হন্তারক হয়ে পরিত্যক্ত কসাইখানায় শুকরিনীর সাথে একাকী জীবন ভাগাভাগি করছিলো সেই একাকীত্ব তাকে এমন উপহাস করবে সে ভাবতেই পারে নি। ববি চেষ্টার কোন ত্রুটি করে নি। সে তাদেরকে খাইয়ে দেয়, কাপড় চোপড় পাল্টে দেয়, শরীর নোংরা হলে পরিষ্কার করে, খুশির আতিশয্যে সে কয়েকটি নতুন ছড়াও লিখে ফেলেছিলো তার সন্তানদের জন্যে। এখন এসব কিছুই অর্থহীন মনে হয়। বাচ্চাগুলো তাদের মায়ের কাছেই ঘুমোয়, মায়ের সাথেই খেলা করে, আহ্লাদ দেখায়। শুধুমাত্র প্রয়োজন হলে ববির কাছে আসে। যেন সে পরিবারের পরিচারক। ববির পিতৃসত্ত্বা প্রবলভাবে আহত হয়। তার স্বপ্নগুলো ভীষণ গোত্তা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। আসলে পরিবারের স্বপ্ন দেখাই তার জন্যে কাল হয়েছে। সে একাকী ছিলো তাই ভালো ছিলো। আবার বাড়ছে ভীড়, বাড়ছে শঙ্কা, বাজছে অপমানিত আর হেনস্থা হবার টঙ্কার। দরকার নেই তার প্রেমিকার, দরকার নেই সন্তানের। মুখ ভার করে ভাবে সে। বিক্ষিপ্ত মনকে স্থির করার জন্যে সে বুনো মহুয়া ফুল খায়। প্রায়ই সে মহুয়া খেয়ে মাতাল হয়ে বাড়ি ফেরে গভীর রাত করে। এ নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে মাঝেমধ্যেই তর্ক হয়। একদিন, মহুয়া একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছিলো সে। উৎফুল্ল মনে বাসায় এসে সন্তানদের কোলে তুলে নিতে চায়। কিন্তু তারা বন্য ঘোঁৎঘোঁৎ শব্দ করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। এবার ববির ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায়। নিজের সন্তান তার সাথে এমন বেয়াদবী করবে ভাবতেও পারে নি। ছেলেমেয়েদের সামনে সে কখনও মুখ খারাপ করে নি, কিন্তু এবার সে বিশ্রী গালাগাল করে ওঠে।
"নটি মাগীর ছেলেপিলে সব! তোদের মা যেমন অসতী তোরাও তেমনই হবি। তোদের জন্যে কী না করেছি! জামা কাপড় বানিয়ে সভ্য করেছি, খাইয়ে দিয়েছি, আদর করেছি আর তোরা বাপের সাথে বেয়াদবী করিস! এমন সন্তান দরকার নেই আমার। মর তোরা!"
বলেই হাতের কাছে ছুরিটা নিয়ে তার চার সন্তানকেই গলা কেটে হত্যা করে। হত্যা করার পর নেশা কেটে সে অনুতাপ-শোক ইত্যাদি করতো হয়তো, কিন্তু সে সুযোগটাই দিলো না তাকে তাদের মা। ভীষণ আক্রোশে ধাওয়া করে তাকে মেরে ফেলার জন্যে পাগল হয়ে ওঠে। হয়তো বা নিজের সন্তানদের হত্যা করার পর তার জীবনের কোন অর্থই থাকতো না, সে হয়তো নিজেই নিজের প্রাণ সংহার করতো, কিন্তু মনের ভেতর আদিম, বুনো কেউ তার মধ্যে বাঁচার জন্যে দৌড়োতে উদ্বুদ্ধ করে,
"পালাও ববি পালাও"
ববি ছুটতে থাকে। সে ভুলেই যায় পরম একাকীত্ব অর্জনের জন্যে তার প্রার্থনার অলৌকিক ফলাফলে অথবা দৃষ্টিভ্রমে অথবা অবচেতন মনের কারসাজিতে সে একটা মৃত শহর উপহার পেয়েছিলো, যার সীমানায় যাওয়া বারণ। গেলেই যদি মৃতেরা বেঁচে ওঠে! অথবা, হয়তো তারা সবাই একসাথে ঘুমোচ্ছিলো, যদি জেগে ওঠে! যদি তার কসাইখানার পচা মাংস, বীর্য, মানবসারের প্রাসাদ ভেঙে যায়! যদি...
*
-এই দেখ দেখ, ওটা কে দৌড়ুচ্ছে ববি না?
-হ্যাঁ, পেছন পেছন একটা শুকর। আজকে মজা জমবে ভালো। দাঁড়া সবাইকে খবর দিয়ে আসি!
দুই কিশোরীর মন ফূর্তিতে ভরে ওঠে।
ববি তার নিজস্ব বলয় পেরিয়ে হতাশ চোখে দেখতে পায়, শহরের কিছুই বদলায় নি!
গল্পটি একটি বেলজিয়ান ফিল্ম Vase de noces দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিটার ব্যাপারে একমত নই। আমার চিন্তার জগতে তোলপাড় তুলেছিলো বলেই না এটা নিয়ে গল্প লিখলাম। হ্যাঁ, পাঠকের রেসপন্স নিয়ে একটু শঙ্কাতেই আছি বটে।
শুভরাত্রি।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
সকাল রয় বলেছেন: ঈশ্বর বোধহয় এভাবে কাউকে একা করেন না। আপনার কল্পনাশক্তি বেশ শক্তিশালী। আমি প্রায়শই আপনার লেখার একমুখি বারান্দায় হাটতে থাকি ফিল্মের মতো। গারিটা চরম হইসে
অনেক অনেক ভালোলাগা____
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: যদি করেন তাহলে কী হবে সকাল? সবকিছুর এক্সট্রিম দিক নিয়ে আমার আগ্রহ রয়েছে।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
সকাল রয় বলেছেন: দু:খিত গালিটা হবে
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। শুভরাত্রি।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০১
সাধারন এক মেয়ে বলেছেন: বুঝি নাই
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: একাকীত্ব আর বঞ্চনায় পর্যুদস্ত একজন তৃষিত মানুষ কতটা একাকী হলে অস্বাভাবিক কোন কিছুকে ভালোবাসার সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্টিত করে... এই তো। শহরের সমস্ত মানুষকে মেরে ফেলা আসলে মেটাফোর, মানে তাদের কাছ থেকে আরো সরে এসে পূর্ণ একাকীত্বের মুখোমুখি হওয়া। কখন এমন কিছু মানুষ করে? কখন?
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৩
ফা হিম বলেছেন: কাহিনীটা যেন কেমন কেমন...
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প পড়া শুরুর আগেই, ছবিটা দেখে থমকে গিয়েছিলাম। তারপর ধীরেসুস্থে পুরোটা পড়লাম। একটা লাইন- যে পরম একাকীত্বের জন্যে সে মনুষ্যপ্রজাতির হন্তারক হয়ে পরিত্যক্ত কসাইখানায় শুকরিনীর সাথে একাকী জীবন ভাগাভাগি করছিলো সেই একাকীত্ব তাকে এমন উপহাস করবে সে ভাবতেই পারে নি- এটা পুরো গল্পেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। গল্পটা শেষ হল একটা দীনমনস্ক চিত্রে, যেটা সম্ভবতঃ একমাত্র সম্ভাব্য সিনারিও ছিল।
এবার গল্পের শক ফ্যাক্টরে আসি- শুকরের ওপর উপগত হবার ব্যাপারটি ধর্ম ও সমাজবিরুদ্ধ, নিষিদ্ধ, বমি-উদ্রেক-কারি, অসম্ভব ঘেন্না জাগায় ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এই কারণেই গল্পে এর ভূমিকা ঠিকমত এসছে। ববি একা, সমাজচ্যুত, ঘৃণিত- অন্ততঃ তার ধারণা এটাই। ফলে এসবের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ জমতে জমতে সে নিরুপায় হয়ে কাল্পনিক এক জগত গড়ে নিচ্ছে, যেখানে তাকে নিচু করে দেখার মত কেউ নেই। কোন মানুষই নেই। মানুষের প্রতি এই ঘৃণা, একাকীত্বের মিশেল আর সদ্য-আবিষ্কৃত নিয়মহীন পৃথিবীর স্বাধীনতা পেয়ে তাই সে উদ্দাম হয়ে ওঠে। সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার রূপকটা এই আদিম পশুত্বের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। আর তাই, এই পুরো ব্যাপারটা ববির কল্পনা ছিল কি না, নাকি বাস্তব ছিল- এই প্রশ্ন অর্থহীন হয়ে যায়।
বরঞ্চ গল্পের শেষ লাইনে ববির বাস্তবোপলব্ধি ঘটেছে, এইটেই সবচে হতাশাজনক। সে পাগল হয়ে নিজের কাল্পনিক জগতে ডুবে থাকলেই তার জন্যে ভাল হত। বেচারা!
আইএমডিবিতে মুভিটার বর্ণনা পড়লাম। মনে হচ্ছে না উপভোগ করব। এতোটা ভাইব্র্যান্ট, রূঢ় দৃশ্যের বর্ণনা গল্পের ক্ষেত্রে কাজ করে, কিন্তু লাইভ অ্যাকশান মুভিতে এসব স্রেফ বিরক্তি উৎপাদন করবে। বিশ-তিরিশ মিনিটের শর্ট মুভি হলেই মানাত।
এটা আপনার লেখা সাহসি এবং শক্তিশালি গল্পগুলোর মাঝে একটা। উপভোগ করলাম একাকীত্বের চরমতম পরিণতিতে ডুবে যাবার গল্প।
শুভরাত্রি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পে আমার যা যা বলার ছিলো তাতো আপনিই বলে দিলেন টু দ্যা পয়েন্টে। রিপ্লাইয়ে আমার আর বলার কী আছে! মুভিটা দেখতে ভালো লাগার কথা না। তবে আমাকে কেন যেন বেশ আলোড়িত করেছিলো। মুভিটায় আরো অনেক 'র' ব্যাপার স্যাপার আছে। আর কেন্দ্রীয় চরিত্রের একাকীত্বের কোন ব্যাখ্যা নেই। আমি দেখতে চাইলাম সেলুলয়েড থেকে অক্ষরে এটার ট্রান্সফরমেশন কেমন হয়।
শুভরাত্রি প্রফেসর।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: আসলে কিছুই বদলায় না । ডে-ড্রিমিং এট এ্যাবনরমাল মেন্টাল স্টেজ । এই স্টেজে লোকজন নিজেকে তার প্রত্যাশিত জায়গায় এবং অবস্থায় কল্পনা করে নেয় । যদিও ঘোর কেটে গেলে তাকে নেমে আসতে হয় মাটিতে, বাস্তবতায় ।
'শুকরের সাথে সহবাস' থেকে মনে হচ্ছিল ভিন দেশী কোন রুপকথা পড়ছি । নিজেরও ধাতস্থ হতে সময় লেগেছে ।
গল্পে একরাশ ভালোলাগা ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধাতস্থ হতে সময় লাগা মানে আপনি কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছেন। এই অস্বাভাবিক সম্পর্কের চিত্রায়নের মাধ্যমে আমি একটা ধাক্কাই দিতে চেয়েছি। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ও, আর এক জায়গায় পড়েছিলাম- মানুষ বেশি একাকী হয়ে পড়লে, নিজেকে নিয়ে দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকলে একটা সময় মানুষের সঙ্গ পেতে ভয় পায়, তখন একাকীত্ব কাটাতে মানবসংসর্গ ছেড়ে জড়-বস্তুর প্রতি রোমান্টিক্যালি ঝুঁকে পড়ে। একে নাকি অবজেক্টোফিলিয়া বলে। শক ফ্যাক্টরের সাথে এই ব্যাপারটার মিল খুঁজে পেলাম
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই বিষয় নিয়েও একটা গল্প লিখেছিলাম। 'জড়' নামে। আপনি পড়েছেন। গত বছরের মার্চে লেখা বোধ হয়।
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নিজের সাথে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।
কিছু বিষয়ে একমত হতে পারলাম না। হয় তো ভিন্নভাবে ঠিক, নয়তো আমি মানতে পারি নি। লেখকের দোষ নেই।
ভালো লেগেছে। ভিন্ন স্বাদ।
অনুপ্রেরণা সার্থক হলো। শুভেচ্ছা জানবেন, হাসান মাহবুব
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: দ্বিমতই তো মতপ্রকাশের সৌন্দর্য। ভালো থাকবেন।
শুভরাত্রি।
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আজকেই বলছিলেন আপনি লিখতে পারছেন না , আর এখন দেখেন লিখে ফেলেছেন আস্ত একটা গল্প !
এমনিতেই মুভি কম দেখা হয়। তবে গল্পের বিষয়বস্তু একাকীত্বকে ঘিরে হলেও সেটা কাটাবার যে উপায় আপনার প্রিয় চরিত্র ববি অবলম্বন করেছেন সেটা ভিজুয়ালাইয করা একটু কঠিনই বটে, ইরোটিক কিন্তু লেখার আকারে পড়তে খারাপ লাগছে না। শুকর স্ত্রীর সাথে ববির খুনসুটি টা ইন্টারেস্টিং যা আর একটা পর্যায়ে কল্পনার পর্যায়ে থাকেনি।
তবে এই ধরণের ইল্যুশন বা মেন্টাল ট্রমা বড়ই ভয়াবহ ব্যাপার ! একটা পর্যায়ে চরম অসম্ভব জিনিসকেই তারা সম্ভব বলে ভাবতে শুরু করে!
শঙ্কুর বিশ্লেষণটা ভালো লাগলো।
শুভ রাত্রি ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যিই আমার এরকম লাগছিলো। আসল যে সমস্যাটা হচ্ছিলো তা হলো, আমি শুরু করতে পারছিলাম না কোনভাবেই। একবার শুরু করার পর তরতরিয়ে এগিয়ে গেলো। ববিকে নিয়ে আমি সব ভয়াবহ মানসিক অবস্থার গল্পই লিখে থাকি। ববি-দ্যা আল্টিমেট লুজার!
শুভরাত্রি।
১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৭
আকাশচুরি বলেছেন: বেচারা ববি! ভালো লাগলো হামা ভাই
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আকাশচুরি। শুভরাত।
১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মানুষ ক্রমাগত আশা হত হতে হতে এক পর্যায় দিবাসপ্নে বা উগ্র চিন্তা ধারায় ডুবে যায়। সেই ডুবে যাওয়া মনে যদি ভালোবাসার স্পর্শ বুলিয়ে দেয়া যায় তাহলে জীবনটা নতুন করে সাজানো যায়। তখন কোন অপবিত্রতা আর স্পর্শ করার বাসনা জাগেনা।
ভালো লিখেছেন। +++++
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসকাল।
১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:০৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: উদ্ভট গল্প পড়ে উদ্ভট মজা পাইসি !
"নটি মাগীর ছেলেপিলে সব! তোদের মা যেমন অসতী তোরাও তেমনই হবি। হাসুম না কান্দুম বুজবার পারিনাই। শেষ-মেষ হাসতে হাসতে শ্যাষ
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন:
১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০১
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভিন্ন মেজাজের গল্প ভাল লাগল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
গোর্কি বলেছেন:
সম্পূর্ণ দুই ভিন্ন ভাষার প্রকাশের প্রথা স্বতন্ত্র। তদুপরি অনুপ্রানিত হয়ে ভিনদেশী ছবির ছায়া অবলম্বনে লেখা গল্পে ব্যবহৃত রূপকালংকার বেশ ভাল লেগেছে। অন্তত দৃষ্টিকটু মনে হয়নি একদমই। শুভেচ্ছা রইল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: গল্পে ভিন্নতা ছিল । লিখার মাধুর্যে ভিন্নতা উপভোগ্য লেগেছে ।
মুভিটি দেখা হয়নি । দেখার ইচ্ছে রইল ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সিফাত। শুভেচ্ছা।
১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
লেনিন বলেছেন: সাহসী লেখার জন্য আপনাকে সবসময়ই ধন্যাবাদ জানাতে হয়। পাঠকের মগজে ধাক্কা দেওয়া আপনার প্রিয় খেলা, তাইনা? এ ধরনের জটিল গল্প লিখতে যেখানে যে শব্দটা ব্যবহার করা দরকার ঠিক সেটাই করা হয়েছে। ভাল লাগল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পাঠকের মগজে ধাক্কা দিতে আমার ভালো লাগে। আমি নিজেও ধাক্কা খেতে পছন্দ করি।
১৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মুভিটা দেইখা তারপর কমেন্ট করুম আবার। তবে আপনার কল্পনা শক্তির যে প্রাচুর্য তা হিংসে করার মত। এত প্রাচুর্য আমার নেই।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে নাহ। হাবিজাবি চিন্তা করি আর কি। অলস মস্তিষ্কের এলোমেলো ভাবনা। শুভরাত্রি কাভা।
১৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
এহসান সাবির বলেছেন: কাল পড়ব। সময় পেলে রাতেই পড়তে পারি।
আপনার গল্প ঠান্ডা মাথায় পড়তে হয় আমার।
শুভ রাত্রি।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ রাত্রি।
২০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভিন্নরকম।
ভালো লাগলো।
মুভি দেখতে হবে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়। মুভি নিজ দায়িত্বে দেইখো। আমি রেফার করতেছি না।
২১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
ইমিনা বলেছেন: এত্তো বড় লেখা?
আচ্ছা, একটু পর এসে বিশাল সময় নিয়ে পড়া শুরু করবো ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: চলে আসেন। স্বাগতম।
২২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অভিনব এবং বৈচিত্র্যময় একটি ব্যাপারকে তীব্রভাবে তুলে আনতে পেরেছেন। একটি মুভি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা হলেও অনুভূতি সৃষ্টির বিচারে চমৎকার।
শুভেচ্ছা রইলো।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
২৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
এহসান সাবির বলেছেন: ওফ!! পড়লাম। আপনি পারেনও.....!!!
আমার ভালোই লাগে। ভিন্নতার স্বাদ পাওয়া যায়।
মুভি টা দেখবো ভাবছি।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। দেখে ফেলেন মুভিটা। মিলিয়া নেন দুইটা!
২৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: একাকীত্ব ভয়ংকর । আমরা সবাইই নিজেকে একা ভাবি, হয়তো দিনের শেষে আমরা একাই কিন্তু সত্যিকারের একাকিত্তের মুখোমুখি হইনি । তাই ববিকে আপন করে নিতে চাইলেও আপন মনে হয় না । ববি যেনও দুর্বোধ্য কিন্তু সহজ একটা ধাধা , একবার কাছে টানতে ইচ্ছে করে , আবার প্রবল ঘৃণাবোধও জন্ম দেয় । এমনকি ববির শেষ পরিণতিও একইভাবে প্রবল করুণা আর বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দেয় । এই গল্প অস্বীকার করতে ইচ্ছে করে কিন্তু প্রবলভাবে টানেও । আপনার দুর্দান্ত বর্ণনা হৃদয় স্পর্শ করেনি কিন্তু ধাক্কা দিয়েছে বারবার ।
ভালো থাকবেন প্রিয় হাসান ভাই । শুভেচ্ছা সবসময়
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আদনান।
২৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
এক্সট্রিম,
এক্সট্রিম, অ্যান্ড
এক্সট্রিম...!!
ভালোলাগা/ভালো থাকুন ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এক্সট্রিম ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা।
২৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
অচিন্ত্য বলেছেন: হাহাহাহা। বলয় ভাঙার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত নতুন বলয়ের সৃজন প্রয়াস হয়েই দাঁড়ায়। আপনার আগের গল্পখানিতেও এই বিষয়টা ছিল। ['প্রার্থনাদ' ব্ল্যাক এর একটি গানের নাম। ব্ল্যাকের অনেক গান নাকি ইমন জুবায়ের লিখেছিলেন ?] 'আরে ববি... দ্যা আলটিমেট লুজার যে!' এই কথাটির পরের অংশ অর্থাৎ 'দ্যা আলটিমেট লুজার যে!' এই কথাটি না বললে মনে হয় সংলাপটি আরো ন্যাচারাল হত। 'আমাকে পূর্ণ একাকীত্বে ঋদ্ধ করো' এই বাক্যাংশটি অতি সুন্দর লেগেছে। এর পরের বাক্যেই 'অপমানকর একাকীত্ব' এর কথা বলা হয়েছে। এই কন্ট্রাস্টটা দারুণ হয়েছে। এখনও সে হাজার মানুষের ভীড়ে একা। তারপরও সে একা হতে চাচ্ছে। কারণ সে চায় 'পূর্ণ একাকীত্ব' যা তাকে অপমানিত করবে না; 'ঋদ্ধ' করবে। দারুণ ! একটা কথা- গল্পখানি শুরু হয়েছে 'এই শহরে কোন মানুষ নেই' কথাটা দিয়ে। কিন্তু কসাইখানাটি জঙ্গলে। এই বিষয়টা একটু স্থানের অনৈক্য তৈরি করেছে।
[হাসান ভাই 'বিদ্ধস্ত' নয় 'বিধ্বস্ত'; 'প্রবঞ্চণা' নয় 'প্রবঞ্চনা'; 'ছিলো কী না' নয় 'ছিলো কি না'; 'হাতরে' নয় 'হাতড়ে'; 'আচরন' নয় 'আচরণ'। 'শ্বাসরুদ্ধ' পদটির ব্যবহার (...বিষাক্ত গ্যাস হয়ে সবার শ্বাসরূদ্ধ করে ববির ইচ্ছে পূর্ণ করলো) মনে হয় সঠিক হয়নি। 'শ্বাস' এবং 'রুদ্ধ' একপদে পরিণত হলে তা উলটে গিয়ে 'রুদ্ধশ্বাস' হয়, যা একটি নাম বিশেষণ। আবার শ্বাস গ্রহণে ও ত্যাগে যে বাধা সৃষ্টি হয় তাকে আমরা বলি 'শ্বাসরোধ'। কাজেই রীতি অনুযায়ী বলা যেতে পারে 'শ্বাসরোধ করে হত্যা'। 'শ্বাস কে রুদ্ধ করা'- এই অর্থে সম্ভবত শব্দ দুইটি আলাদা করে লেখা উচিত। ব্রহ্মচারীর করণীয় ব্রত হল 'ব্রহ্মচর্য', 'ব্রহ্মাচার' নয়। 'দূরন্ত' নয় 'দুরন্ত'। 'শঙ্কর' হলেন দেবতা শিব। আর মিশ্র বা হাইব্রিড হল 'সংকর' বা 'সঙ্কর'। 'সত্ত্বা' নয় 'সত্তা'; 'ধৈর্য্য' নয় 'ধৈর্য'; 'ফূর্তি' নয় 'ফুর্তি'। ইন ফ্যাক্ট ফ এর সঙ্গে দীর্ঘ ঊ কার দিয়ে কোন শব্দই নেই।]
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: কমেন্টে প্লাস দিলাম। কত ছোটখাটো ভুল এখনও রয়ে যায় লেখায়! থেংকু।
হ্যাঁ, প্রার্থনাদ ব্ল্যাকের একটি গান ছিলো। ইমন ভাইয়ের লেখা।
শুভেচ্ছা।
২৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭
অদৃশ্য বলেছেন:
লিখাটির শুরু থেকে ববির নিজেকে নির্বাসিত করা পর্যন্ত বা বনের পরিত্যাক্ত খোয়াড়ে যাওয়া পর্যন্ত লিখাটি আমাকে দারুন এক অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো... এ পর্যন্তকে আমি বলবো... অনন্য ...
এর পর থেকে যা কিছু ঘটলো তা মোটামোটি টাইপের মনে হয়েছে আমার কাছে হাসান ভাই... আর শুয়োরের সাথে বসবাস সহবাস ব্যাপারটা প্রাশ্চাত্যের জন্য কোন বিষয়ই নয়, তবে আমরা যারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী তারা এই জিনিসটাকে মোটামোটি ঘৃণার চোখেই দেখি... ব্যাপারটা এমন যে এর নাম নিতে গেলেও অনেকের মানসিক সমস্যা হয়... এটা হয়তো আপনি অন্যকোন ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারতেন... একারনেই হয়তো লিখাটি পড়ে তৃপ্তির ঢেকুরটা তুলতে গিয়েও আটকে যাচ্ছে কোথাও...
শুভকামনা...
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুল বললেন। শুকরের সাথে সহবাস যেকোন সমাজেই চরম নিন্দিত এবং ঘৃণ্য একটি কাজ। বলা যায় এক্সট্রিম লেভেলের মনোবিকার। তো এই গল্পে ববি এক্সট্রিম একাকীত্ব আর অবহেলার সম্মুখীন হবার পর যখন নির্বাসিত জীবন যাপন করা শুরু করলো, তখন তো তার কাছ থেকে এক্সট্রিম আচার আচরণই আশা করা যায় তাই না! এই যে এটা পড়ে আপনার মনের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে সেক্ষেত্রে বলবো আমার উদ্দেশ্য সফল!
শুভেচ্ছা।
২৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৪
অদৃশ্য বলেছেন:
কিছু কথা / সংলাপ ও দৃশ্য দেখে হাসতে হাসতে শেষ... চিত্রগুলো কিন্তু অত্যন্ত চমৎকারভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন... গতকালকে রাতেই লিখাটি পড়েছিলাম... ভাবছিলাম মন্তব্যে কি লিখলে ঠিক হবে...
শুভকামনা...
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভকামনা।
২৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
অদৃশ্য বলেছেন:
শুধু শুকোর কেন, যে কোন পশুর সাথে মানুষের মিলনই চরম রকমের মনোবিকার... আমার বলাতে কিছুটা ভুল হয়েছে যেমন বললাম প্রাশ্চাত্য... আসলে এমন আরও পশুর সাথে সহবাসের কথা আমরা শুনে থাকি... এমন কিছু রাখাল বা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা মানুষ আছেন যারা এমনটা করেছেন বা করে থাকেন... একেবারেই যে ভুল বলেছি ঠিক তা নয়, শুধু গুছিয়ে বলতে পারিনি এই যা...
শুভকামনা...
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন ঘটনা সবখানেই ঘটে। বাংলাদেশেও এমন ঘটনার কথা শুনেছি। মনোবিকারগ্রস্ত বিকৃত মানসিকটার মানুষ পৃথিবীর সবখানেই বিদ্যমান ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে।
৩০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: আপনার আগের ববিগুলোর তুলনায় একটু ডিফ্রেন্ট মনে হলো। এতোটা একাকীত্ব !! এতো ডার্ক ফ্যান্টাসি!! ববিকে আমরা কী বলতে পারি ? স্যাডিস্ট ? ম্যাসোকিস্ট ? জুফাইল নাকি সাইকো ?
পুরা অন্য জগতে চলে গেসলাম, ফিরে আসি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ববিকে ছাপোষা পরাজিত জীবন থেকে একটু অন্য জগতে ঘুরায় নিয়ে আসলাম আর কী! তবে দিনশেষে সব ববিই একরকম। দ্যা আল্টিমেট লুজার।
শুভসন্ধ্যা।
৩১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৬
সায়েম মুন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়লাম হামা। কিন্তু মূল সুরটা ধরতে পারলাম না। সাম্প্রতিক কোন ঘটনা বা দেশ বা সমাজের বিপর্যয় নিয়ে লিখেছেন কিনা! একটু আকারে ইশারায় বললে বড্ড উপকৃত হতাম। আশা রাখি ভাল আছেন। শুভকামনা রইলো।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: রূপকধর্মী বা সারকাস্টিক কিছু না। একাকীত্ব আর বঞ্চনার চরম সীমায় উপনীত হলে মানুষ কোথায় সুখ খুঁজতে পারে কতটা কাঙাল হতে পারে, যাকে আমরা সভ্য মানুষেরা বিকারগ্রস্ততা বলবো! একাকীত্ব আর বঞ্চনায় পর্যুদস্ত একজন তৃষিত মানুষ কতটা একাকী হলে অস্বাভাবিক কোন কিছুকে ভালোবাসার সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্টিত করে... এই তো। শহরের সমস্ত মানুষকে মেরে ফেলা আসলে মেটাফোর, মানে তাদের কাছ থেকে আরো সরে এসে পূর্ণ একাকীত্বের মুখোমুখি হওয়া। কখন এমন কিছু মানুষ করে? কখন?
৩২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪২
সায়েম মুন বলেছেন: যাক এখন একটা সমাধান পাওয়া গেল। আসলে ডিপ থিংক এই মুহূর্তে অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। বলা যায় গল্প খুব ভাল লাগলো।
কিপ ইট আপ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু! আপনি বেজায় ব্যস্ত বুঝতে পারলাম। থিতু হয়ে আবার লেখালেখি শুরু করেন।
শুভরাত্রি।
৩৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪১
এহসান সাবির বলেছেন: মুভিটা দেখলাম। ৮০ মিনিটের মুভি, ৭৮ মিনিট দেখেছি.... মোরগ মুরগি ২ মিনিট স্কিপ....
বিকট!!!
তোর অত কসরৎ করে গু খাবার দরকার কি ছিল রে বাবা.....!!
বিকট!!
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিতে অনেক কিছু ব্যাখ্যা দেয়া যায় না এবং অনেক বেশি নোংরা ব্যাপার আছে। গল্পে কিছুটা পোলিশড করার চেষ্টা করেছি। সাথে কিছু প্রশ্নের উত্তর।
৩৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মুভিটা দেখি নি হাসান ভাই , তবে বর্ণনাময় শব্দ চয়ন , বর্ণনাভঙ্গী এবং তার পেছনে ভালবাসাহীনতা- বিকৃত ভালবাসা লাভ এবং আরও কিছু মেটাফরিক্যাল সিম্বল বিশেষ ভাবে ব্যাঞ্জনা দিয়েছে গল্পটিকে।
ববির জন্য সমবেদনা, গল্পের প্রতি ভালবাসা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবির। শুভকামনা।
৩৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: একটা নিঃসঙ্গ স্বগতোক্তি আর বয়ান। মুখ্যত নিবিড়....যোগাযোগের এই কাঙ্খায় হয়তো অনিবার্য এক বে-যোগাযোগ ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।
চমৎকার।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শরৎ। শুভদুপুর।
৩৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৩
টুম্পা মনি বলেছেন: ভয় পেলাম একাকীত্বের ভয়াবহতা দেখে! শব্দচায়ন বরাবরের মতই অসাধারণ! শুভরাত্রি।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা। শুভ সকাল।
৩৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
সাসুম বলেছেন: বরাবরের মতই ভয়ংকর সুন্দর লিখা । ৩ বার পরছি বুঝার জন্য
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: বলেন কী! ধন্যবাদ অনেক।
৩৮| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ২:০৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
গল্পটি পড়তে গিয়ে যদিও ভীষণ ভাবে নাড়া খেয়েছি তবুও চমৎকার বলতে কোন দ্বিধা নেই।
++++++
০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাড়া দিতে পেরে আনন্দিত। শুভেচ্ছা।
৩৯| ০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
মশিকুর বলেছেন:
একাকীত্বের খারাপ/ভাল দুই দিকই আছে। কে কোনটা ব্যবহার করে সেটা তার উপরই নির্ভর করে। তবে পালিয়ে বাঁচা যায় না। যুদ্ধটা চালিয়ে যেতে হয় সাবার সাথে, নিজের সাথে
ভালো থাকুন।
০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবাই কি আর সেই শক্তি রাখে!
শুভ দুপুর।
৪০| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার কল্পনাশক্তি দারুণ ।
শুয়োরের সাথে সহবাস টা পছন্দ হয়েছে - জায়গামত ধাক্কা দেবার জন্য এর চেয়ে মোক্ষম অস্ত্র আর কি হতে পারে । গল্পে
এখন শারীরিক মিলন করলে দোষ হবে না... এই লাইন টা
না থাকলেও মনে হয় চলে ।
পারসনালি গল্পটা এঞ্জয় করেছি । ভাল লেগেছে ।,
ভাল থাকুন প্রিয় হামা ভাই ।
শুভবিকাল ।
০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ। ঐ লাইনটা রাখার কারণ ববি এবং শুকরের সম্পর্কের কেমিস্ট্রিটা বোঝানো। ববি তো চাইলেই যখন তখন সহবাস করতে পারতো, কিন্ত সে তা করে নি। সম্ভাব্য সেরা সময়ের জন্যে অপেক্ষা করেছে। এর থেকে বোঝা যায় একাকীত্বের চরম পর্যায়ে উপনীত ববি ভালোবাসার জন্যে কতটা কাঙাল হয়েছিলো!
৪১| ০১ লা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নিশাত তাসনিম বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো +
০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৮:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নিশাত।
৪২| ০২ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
তারাবেষ্ট বলেছেন: ....now, you are observing- what you have done whole life!....only Porno.........you have to sufer rest life- & no Treatment
...try to check your all old writings....justice ownself....!!
০২ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থাবর চিনোস?
৪৩| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:০১
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: গল্প পড়ে, মন্তব্য পড়তে পড়তে নিচে নামছি, নিচের মন্তব্যটি দেখে চমকে গেলাম। কি কি ভেবেছিলাম ভুলে গেছি। আমার ভয় লাগে লেখা পোস্ট করতে আর মন্তব্য করতে। কে যে কিভাবে নেয়! আপনি কিন্তু অনেক সাহসী লেখক ও পাঠকও! নাহলে এতসব ব্যতিক্রম লেখা সম্ভব না। অনেক পড়েন আপনি। তবে, আমার লেভেল খুব সাধারণ। তাই লেখাটি আবার পড়বো। ভাল থাকুন। যে যাই বলুন লিখতেই থাকুন।
০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা নতুন কিছু না সাদিয়া। এর আগেও এমন ঘটেছে। আমাকে সাহসী বলে সাহস দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৪৪| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
বৃতি বলেছেন: গল্পটা অফলাইনে পড়েছিলাম- এতে অনেক gross elements আছে, কিন্তু ববির একাকীত্ব আর বিচ্ছিন্নতাবোধটা চমৎকার লেগেছে।
ভাল থাকবেন।
০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি। শুভেচ্ছা।
৪৫| ০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
ডানাহীন বলেছেন: আপনার সাহসের তারিফ করতে হয় । এধরনের একটি লেখা লেখার সময় প্রত্যেক লেখকই দুবার ভাববে । আমার কাছে যদিও যথেষ্ট মার্জিত মনে হয়েছে তবে ধাক্কাটা ভালোই খাইছি ।
গল্পের মুল বিষয়টা অফুরন্ত চিন্তার খোরাক । একা একটি অস্তিত্ব যেকোনো কিছুই ভাবতে পারে বা করতে পারে, আর একাকীত্ব যখন আকাঙ্খায় পরিনত হয় চূড়ান্ত পর্যায় কেবল সময়ের ব্যাপার .. আলো বা অন্ধকার ..
০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ডানাহীন। আমিও লেখাটি প্রকাশের আগে কয়েকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি। আর চেষ্টা করেছি শকিং ভ্যালুটা বজায় রেখে যথাসম্ভব মার্জিত ভাবে লিখতে।
শুভবিকেল।
৪৬| ০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৪৬
সানড্যান্স বলেছেন: চরম মাত্রার প্যারানয়া!! ওনলি ইউ ক্যান রাইট দিস কাইন্ডা স্টোরি! আমি আর কাউকে দেখিনি এভাবে লিখতে এদেশে! ইউ আর গ্রেট!
০৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সানড্যান্স। আমি হাসান মাহবুব হতে চাই।
৪৭| ০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
আরজু পনি বলেছেন:
প্রথম প্যারাটা দারুন মুগ্ধ হয়ে পড়েছি ।
পুরোটা পড়ে সাথে আইএমডিবির কাহিনীটা পড়লাম ।
মনে হলো হরর সিনেমার চেয়ে আপনার বর্ণনা নিশ্চয়ই ভালো হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল, হাসান ।।
০৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিটায় অনেক অপ্রয়োজনীয় বিষয় ছিলো, আবার অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় ছিলো না। গল্পটায় আছে। তাই মনে করি গল্পটা মুভির চেয়ে ভালো হয়েছে। (ধৃষ্টতা ক্ষমা করবেন পনি আপা)।
৪৮| ০৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
এই শহরে কোন মানুষ নেই -এ লাইনের অনেকখানি বলে ফেলেছেন ৷ আর জানি আপনার শকিং ও এক্সিট্রিম মুভি পছন্দের ৷ তাই হয়তো এতো টিটেইলস প্রকাশভঙ্গিতে আনতে পেরেছেন ৷
একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতার আবনরম্যাল রসায়নকে বাংলা ভাষায় শৈল্পিক রূপান্তরের ভিন্ন ঘরানার সাহসী প্রয়াস ৷ লেখায় নিয়ন্ত্রিত লাগাম ধরে রাখতে সক্ষম আপনি ৷
আশা করি যুগান্তরী হউক হাসান ভাই ৷
০৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আল জাহাঙ্গীর। অনুপ্রানিত।
৪৯| ০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: কিছু সীমাবদ্ধতা কারও কারও থাকে, অতিক্রম করা যায়না তা। হয়তো এমন সীমাবদ্ধতা আমারও আছে বলেই গল্পটা পড়তে পড়তে বিচলিত বোধ করেছি। তবে গল্পতে যা বলে চেয়েছেন নিঃসন্দেহে তা স্পর্শ করেছে।' বাতিঘরের সংবিধান' গল্পটাও এই একাকীত্ব নিয়ে লেখা । অনেক ভাল লেগেছিল ঐ গল্পটি।
০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গল্পটি ভালো লেগেছে বলে। আপ্লুত হলাম পুরোনো গল্পটিও মনে রেখেছেন জেনে। এমন পাঠকের প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানালে অবিচার হবে। ভালো থাকুন নুসরাত।
৫০| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০০
সাদরিল বলেছেন: ববি নামটা দেখি আপনার বেশ পছন্দের।আপনার আরো একটা গল্পের মূল চরিত্রের নাম ববি। গল্পের কিছু জিনিষ বুঝে উঠতে পারি নাই দ্রুত পড়ায় এমন হতে পারে।আবার পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ববি হচ্ছে এমন একটা চরিত্র যার জীবনের গল্পে সবসময় থাকে চরম ট্রাজেডি। ববি ছেলেও হতে পারে আবার মেয়েও হতে পারে।
পড়েন। এটা আমার বিশেষ পছন্দের গল্প।
৫১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
আমার আমিত্ব বলেছেন: মুভিটা দেখা শুরু করেছিলাম, অল্প সময় পর থেমে গিয়েছিলাম।
ভালো লাগছিল না।
আপনার লেখা ভালো হয়েছে।
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিটা আসলেই বেশ বোরিং। তবে থিমটা নিজের মত করে ভেবে নিয়ে একটা দুর্বিসহ একাকীত্বের প্লট পেয়ে গিয়েছিলাম।
ধন্যবাদ।
৫২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
নীল আতঙ্ক বলেছেন: গল্প টার ভিতরের গল্প বুজতে পারলে গল্প টা মনে হবে অসাধারন একটা গল্প।
আর খালি গল্পটাই পড়ে গেলে মনে হবে লেখক মানসিক বিকার গ্রস্থ।
গল্পে একাকীত্ব খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে............ খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার এই গল্প টা......
আপনার অন্য গল্প গুলো থেকে অনেকটাই আলাদা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৬
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হাসান,
মুভিটা ছিলো আবর্জনা। আপনি তাতে মল-মূত্র ঢেলে দিলেন। দু”য়ে মিলে মহা ঔষধ হলেও পাবলিক খাবে না। জানেন তো, দৃষ্টিতে বিষ্ঠা লেগে আছে . . .