নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইয়াসমিন
-তুমি কি ঐ মাগীটাকে চুমু খেয়েছো?
-আহ! ইয়াসমিন! আর কতবার এই একই কথা জিজ্ঞাসা করবা? বাদ দাও না!
-বাদ দিতে চাইলেই কি বাদ দেয়া যায়। ঐ হারামজাদী তোমাকে কেন বিয়ের পরেও নক করলো? আর তুমিই বা কেন গদগদ হয়ে তার মেসেজের রিপ্লাই দিলা?
-আমি কই গদগদ হয়ে রিপ্লাই দিলাম? আমি তো তাকে যথেষ্ট এ্যাভয়েড করেছি। দেখো এখন আর সে আমাকে মেসেজ পাঠায় না। তোমাকে আর কতবার বোঝাবো...
জুবায়ের আর ইয়াসমিনের দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সমঝোতা এসবের কোন অভাব নেই। নেই ব্যক্তিত্বের দন্দ্বের মতো রাশভারি পরিভাষার স্থিতিকাল। সমস্যা একটাই, জুবায়েরের যে আগে কোন প্রেম ছিলো এটা ইয়াসমিন মেনে নিতে পারে না। জুবায়ের যদিও বিয়ের আগে আবেগমথিত কণ্ঠে ইয়াসমিনকে দলছুটের গান শুনিয়ে অতীত ভুলে বর্তমানের স্বর্গীয় রথে চলার আহবান জানিয়েছিলো 'বাজী' গানটার নিম্নোক্ত লাইনগুলো শুনিয়ে,
"তুমি প্রথম, বলিনা এমন
শেষ হতে পারো কি?
তাই নিয়েছি শেষ বিকেলে
নিঃস্ব হবার ঝুঁকি"
ইয়াসমিন তখন আবেগের ভেলায় ভেসে সানন্দে মেনে নিয়েছিলো নবজীবনের এই আহবান। কিন্তু বিয়ের পরে আবেগ থিতিয়ে আসে, হানা দেয় অতীতের স্নিগ্ধ পুষ্প বিষাক্ত কালো মাকড়সা হয়ে। তারপরেও ইয়াসমিন সেসব প্রসঙ্গ তুলতো না, মনের সাথে লড়াই করে অনভিপ্রেত প্রশ্নগুলোর গলা টিপে ধরতো। তবে জুবায়েরের প্রাক্তন প্রেমিকা সোহানা যখন তাকে ফেসবুকে মেসেজ পাঠালো তাদের বিয়ের খবর সম্পর্কে অবহিত হয়ে, সেই ডুবোবেদনার চোরাবালিতে নিমজ্জিত হওয়া মেসেজটি ইয়াসমিনের সামনে এতদিনের চেপে রাখা জিজ্ঞাসাগুলোকে ভুল পথে পরিবাহিত হবার সুযোগ করে দিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনের প্রথম জটিলতা সৃষ্টি করলো। সেদিন সে জুবায়েরকে অনেকটা হালকা মেজাজে খেলাচ্ছলে তদন্ত করার উদ্দেশ্যেই জিজ্ঞাসা করেছিলো,
-সোহানা তোমাকে খুব ভালোবাসতো, না?
জুবায়ের তখন বুঝতে পারে নি যে ব্যাপারটা এত গুরুতর আকার ধারণ করবে। তাই সে গাঢ় স্বরে হৃষ্টচিত্তে জবাব দিয়েছিলো,
-হ্যাঁ!
এই ইতিবাচক উত্তরটি যে কত নেতিবাচকতার সম্মুখীন করিয়ে দিবে তাদেরকে তা যদি সে জানতো! এরপর ইয়াসমিন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সোহানা সম্পর্কিত নানাবিধ প্রশ্ন করে, এবং তাদের সম্পর্কের গুরুত্ব সম্বন্ধে অবহিত হয়ে রাগে, ক্ষোভে, হিংসায় ফুঁসতে থাকে। তার আয়েশী মেজাজ ক্রুদ্ধতায় রূপান্তরিত হতে থাকে। এবং অবশেষে সে মুখ খারাপ করেই বসে, যেটা পরবর্তীতে সময়ের ছন্দিত স্পন্দনে বারবার পুনরাবৃ্ত হতে থাকে।
-তুমি ঐ মাগীটার শুধুই হাত ধরেছো? নাকি আরো কিছু করেছো? লুচ্চা কোথাকার!
জুবায়ের
আমি যখন ইয়াসমিনের প্রেমে পড়ি, তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, অনেক হয়েছে, আর কোন ছেলেমানুষী নয়, অতীতের উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিজে বেশ হালকা থাকবো। প্রেমে পতিত হওয়ার সময়টায় শুধু নিজের আশ্চর্য পতন উপভোগ করতেই ব্যস্ত ছিলাম। কখনও ভাবি নি ভবিষ্যতগামী পতনোন্মুখ আমার দিকে অতীতের কড়া আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাকে আলোখেকো পতঙ্গের মতো টেনে নিবে, আর আমি পুড়বো, পুড়বো কেবল। বিয়ের আগে ইয়াসমিনের প্রাক্তন ভালোবাসা সম্পর্কে বিষদ জেনে নিয়েছিলাম আমি। জানতাম, এসব জিনিস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকলে হঠাৎ আবির্ভাবে তা একদম জাঁকিয়ে বসতে পারে মনের ওপর, যন্ত্রণা দিতে পারে অসীম। তাই এসব অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির আগমন রহিত করতে আমি জেনে নিয়েছিলাম তার শাহীন নামে একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো, এবং সেই ছেলেটার অতি অধিকার ফলানো এবং সন্দেহবাতিকতার কারণে দুই বছরের গভীর সম্পর্কটি আর টেকে নি।
ব্যস!
আমি ভেবেছিলাম ঘটনা এখানেই শেষ। এ নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনো কথা হবে না তার সাথে। কিন্তু আমি জানতাম না যে অতীত স্মৃতি বড়ই প্রবঞ্চক এক খেয়ালী হেয়ালী। কোন না কোন ভাবে এটা একদিন সম্মুখে আসবেই, ছোবল দেবে, বিষ উগড়ে দেবে। ঘটনার সূত্রপাত এভাবে, সে তার এক বান্ধবীর বিবাহ সম্পর্কিত জটিলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো। সম্পর্কটার সূতো কোনভাবেই গিঁট বাধছিলো না। তার বান্ধবীর প্রবাসী স্বামীর সন্দেহপ্রবণতা এবং পজেসিভনেস ক্রমশ সম্পর্কটাকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছিলো। ইয়াসমিন পুরো পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে অবলোকন করে মতামত ব্যক্ত করে যে, তাদের ডিভোর্স হয়ে যাওয়া উচিত। আমি অবশ্য এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ছিলাম। ছেলেটা বিদেশে থাকে একা একা, এমন অবস্থায় তার মনে নানারকম সংকীর্ণতা এবং সম্পর্ক সম্বন্ধে নিরাপত্তাহীনতা অনুভূত হতেই পারে। এজন্যে ডিভোর্স চাওয়াটা বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। আমার এই যুক্তির পাল্টা জবাব দিতে গিয়েই ইয়াসমিন তার বাচালতা এবং নির্বুদ্ধিতার কারণে বড় একটা ভুল করে ফেললো। সে হয়তো বা সৎ মনেই পরিস্থিতিটা নিজের মত করে বিবেচনা করে একটা অনুপুঙ্খ মতামত দিতে চেয়েছিলো, সে বলেছিলো তার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সে জানে এসব লোক দূরে থাকুক বা কাছে, তাদের স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয় না। নিজের জীবনের কথা উল্লেখ করায় আমার ভেতর ফ্ল্যাশব্যাকের মতো তার অতীতের ব্যক্ত এবং অব্যক্ত কথাগুলোর চিত্ররূপ ভেসে উঠলো।
সে তার নিজের জীবনের প্রসঙ্গ তুললো কেন? এই জীবনের সাথে নিশ্চিতভাবেই তার প্রাক্তন প্রেমিক শাহীন জড়িত! যে কিনা ছিলো এক নির্বোধ খবরদারকারী সন্দেহবাতিকতায় আক্রান্ত অসুস্থ যুবক। তার কথা সে কেন উত্থাপন করলো? সে কি এখনও তাকে ভুলতে পারে নি? আমার প্রশ্নের জবাবে সে ব্যাপারটা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইলো।
-আরে কী যে তুমি বলো না! ওকে আমি ভুলে গিয়েছি সেই কবে! এখন আমার জীবনে শুধু তুমি।
এসব সিনেমাটিক ন্যাকাবোকা কথাবার্তায় আমি বিরক্ত হচ্ছি বুঝতে পেরে সে কাব্যিকতার আশ্রয় নেয়।
-দেখো, তোমার সাথে আমার সম্পর্ক হবে এটাই ছিলো নির্ধারিত, এটাই আমাদের নিয়তি। আর সবকিছু মিথ্যে। আমি জানি, সেসবকিছু ঘটেছিলো তোমার আর আমার সম্পর্কের উপলক্ষ্য হবে বলে।
ততক্ষণে আমার ভেতর স্মৃতিসর্পরা ছোবল দিতে শুরু করেছে। আমার বারবার মনে হচ্ছিলো, এসব কথা সে আগেও কাউকে বলেছে, আমি তার জীবনের প্রথম পুরুষ নই, আমার আগে কেউ তাকে স্পর্শ করেছে। আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না এসব। বারবার তাকে জিজ্ঞেস করছিলাম নানারকম অস্বস্তিকর এবং অনাহূত প্রশ্ন।
-তুমি কি এখনও তাকে ভালোবাসো?
-না!
-তুমি কি তাকে স্বপ্নে দেখো?
-না!!
-হঠাৎ যদি তার সাথে তোমার দেখা হয়ে যায় তাহলে তুমি কী করবে?
চোয়াল শক্ত করে শুধোই আমি। তবে সেদিনকার মতো বুদ্ধিদীপ্ত এবং কৌতুকপ্রদ এক বিচক্ষণ উত্তরে সে সেদিনকার মতো প্রসঙ্গটি চাপা দিতে সক্ষম হয়!
-যদি তার সাথে আমার দেখা হয়, তাহলে আমি কিছু করবো না। আমার সাথে তো তুমি থাকবেই, তুমি গিয়ে ওর ঠ্যাংটা ভেঙে দিবে!
সে হাস্যচ্ছলে কথাগুলো বললেও আমার সত্যিই তখন তেমন কিছু ইচ্ছে করছিলো। আমি জানতাম না এই ইচ্ছেটা কিছুদিন পর পর ফণা তুলে ছোবল দিয়ে আমাদের সুখী দাম্পত্য জীবন তছনছ করে দেবে!
সোহানা
জুবায়েরের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের পর আমাকে খুব ভুগতে হয়েছে। আঘাতটা এত তীব্র ছিলো যে আর কখনও কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক হতে পারে এটা আমি ভাবতেই পারতাম না। মনে হতো সারাজীবন আমাকে একলাই থাকতে হবে। একা থাকা নিয়ে আমার কোন সমস্যা ছিলো না, জুবায়ের আবার আমার কাছে ফিরে আসবে এমন অলীক কল্পনায় বিভোর হয়ে বেশ কাটতো সময়। আমাদের মধ্যে ব্রেকআপ হবার পরপরেই অনুভূতিটা মোটেই দুঃখের ছিলো না। আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, সে যদি তার ভুল বুঝতে পেরে কোনদিন আমার সাথে যোগাযোগ করেও আমি আর তার সাথে সম্পর্ক পুনরুস্থাপন করবো না। যথেষ্ট হয়েছে প্রেমের নামে কদর্য ঝগড়া আর ছেলেমানুষী ভুল বোঝাবুঝি। আমি আর এসবের মধ্যে নেই। আমার ধারণা সত্যি প্রমাণ করে জুবায়ের ফোন করেওছিলো মাস ছয়েকের মধ্যে। আমার রাগ আর জেদ তখনও ভালোবাসা আর আবেগকে ঠুনকো অনুভূতি ভেবে অগ্রাহ্য করতে সক্ষম ছিলো। আমি ফোন ধরি নি। ফোন ধরলে কি আমার জীবনের গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো? কে জানে! মাস তিনেক পরে আমার জেদ আর রাগ দূরীভূত হতে শুরু করলো। আমি ভাবলাম, তাকে আরেকটা সুযোগ দিয়েই দেখি! কিন্তু ততদিনে তার ফোন নম্বর পাল্টেছে, ফেসবুকেও আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমাকে ব্লক করেছিলো সে। তখন আমার ভেতর ধীরে ধীরে একটা পরিবর্তন আসতে থাকে। ইস্পাতদৃঢ় জেদ আর আগুনমুখো রাগের পরিবর্তে স্থান করে নেয় শঙ্কা। সে অন্য কারো সাথে জড়িয়ে গেলো না তো? আমাকে ভুলে থাকুক, মানতে পারি। আমাকে ভুলে সারাজীবন একা থাকুক তাও মানতে পারি, যেমনটা আমি থাকবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমাকে ভুলে, তাকে ভুলে। কিন্তু সে আর কতদিন স্মৃতি আঁকড়ে ধরে জাবর কাটবে! সে তো কোন চতুষ্পদ গৃহপালিত জানোয়ার না! তার জীবনে যদি অন্য কেউ আসে, আমি কি মেনে নিতে পারবো? সে কি আমাকে ভুলে অন্য কারো সাথে জড়িয়েছে? দিনে দিনে জমতে থাকে প্রশ্নের পাহাড়। উত্তর মেলে না। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে একাকী প্রেমহীন কাটখোট্টা জীবন কাটানোর জন্যে প্রস্তুতি নিতে থাকি।
শাহীন
মানসিক চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বেড়ুনোর পর শাহীনের মনে হতে থাকে, কী লাভ এসব করে! যে যন্ত্রণা তার বুকে বিষাক্ত তীরের মত বিদ্ধ হয়েছে, তা কি কখনও লাঘব হবে? সে বিষ তো ছড়িয়ে পড়েছে শরীরের সবখানে। হৃদয়ঘাতী নিরাময়ের অযোগ্য বিষ। ইয়াসমিনকে সে কখনও ভুলতে পারবে? ইয়াসমিন! বড় সুন্দর একটা মেয়ে ছিলো। তার মতো একটা কালো-মোটা-বেঁটে-গুণহীন ছেলের জন্যে বড্ড বেশি কিছু। এই সৌন্দর্যই তাদের সম্পর্কের ইতি টেনে দিলো। শাহীন সবসময় একটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো। ইয়াসমিনের কতদিন তাকে ভালো লাগবে আর? সে কি অন্য কোন দেখতে সুন্দর ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হবে না? তার তো আবার বড্ড উচ্ছল,বেড়ুনো স্বভাব। তার চারিদিকে গুণগ্রাহীর অভাব নেই কোনো। সেই ছেলেরূপী লোভী হায়েনাগুলোর মধ্যে থেকে কখন কে ক্যাসানোভার চরিত্রে আবির্ভূত হয় কে বলতে পারে! এসব ভাবনা থেকে শাহীন ইয়াসমিনের গতিবিধির ওপর চরম কড়াকড়ি আরোপ করলো। তার কারণেই সে শিক্ষা সফরে যেতে পারে নি, তার কারণেই তাকে সেলফোনের সিম বদলাতে হয়েছিলো। এতসবকিছুও ভালোবাসার মোহে অন্ধ হয়ে ইয়াসমিন সানন্দে মেনে নিয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও যে সংশয় কাটে না! বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারিতে ইয়াসমিন উত্তীর্ণ হবার পরে তার সৌন্দর্য ছাপিয়ে যোগ্যতাটা শাহীনের মনে নতুন প্রতিবন্ধকটা সৃষ্টি করে। ইয়াসমিন বড্ড বেশি উঁচুতে উঠে যাচ্ছে না? সে যদি বিসিএস এর রিটেন এবং ভাইবাতেও টিকে গিয়ে উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা হয়ে যায় তাহলে কি আর তাকে পাত্তা দেবে? মনে হয় না। ততদিনে শাহীন বেশ ভালো খবরদারী আরোপ করতে সক্ষম হয়েছে ইয়াসমিনের ওপর। সে আদেশের সুরে ঘোষণা করলো, তার বিসিএস এর রিটেন পরীক্ষা দেয়ার দরকার নেই।
আর তখন থেকেই সম্পর্কের ভাঙ্গন শুরু। ইয়াসমিন ছিলো হিন্দি রোমান্টিক ছবি দেখে প্রেমের প্রতি ইউটোপিয়ান ধারণায় নিমগ্ন এক কল্পনাচারী তরুণী। হিন্দি ছবির মতোই তার প্রেমবিষয়ক দর্শন ছিলো সরল এবং কিছু অনুমেয় বাঁক এবং প্রতিবন্ধকতার মোড়কে আবৃত। সে কখনও ভাবতেও পারে নি বাস্তব জীবনের প্রেমে এতসব বিচিত্র জটিলতা থাকতে পারে। তাই প্রেমমগ্ন সে শাহীনের সব অন্যায় আবদার আর খবরদারী মেনে নিলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুঝতে পারে, কোন একটা কিছু খুব ভুল খাতে প্রবাহিত হচ্ছে। জীবন সম্পর্কে বাস্তব এবং বৈষয়িক মনোভাবের আগমনের সাথে সে বুঝতে পারে শাহীনের সাথে সম্পর্ক টেকসই হবার নয়। তাই কোন এক বিষণ্ন শরতদিনে সে শাহীনকে চুড়ান্ত কথাটি বলে দেয়। "এ সম্পর্ক রাখতে আমি আর আগ্রহী না"। বলার পর কিছুদিন তার মন খারাপ থাকলেও ধীরে ধীরে তার উপলদ্ধি হয়, কত বড় একটা আপদ থেকে বেঁচে গেছে সে। তার মাথাটা হালকা লাগতে থাকে, আর শাহীন মানসিকভাবে চূড়ান্ত অবনমনের শিকার হয়। বাধ্য হয়েই টানা এক বছর সাইক্রিয়াটিস্টের দ্বারস্ত হওয়া, এবং আবিষ্কার করা, জীবন কারো জন্যে থেমে থাকে না। বরং জীবনের চলার বাঁকে নতুন নতুন উপাদান উপহার হিসেবে সামনে আসে। ঠিকমতো বুঝে বেছে নিতে পারলেই হলো। ঠিক যেমন তার জীবনে এসেছিলো সোহানা!
চতুষ্কোণ
সোহানা এবং শাহীন। দুজনেই ছিলো বিপর্যস্ত এবং বিদ্ধস্ত অবস্থায়। এমবিএ করতে গিয়ে একই ইউনিভার্সিটির একই ক্লাশে পাশাপাশি বসার সূত্র ধরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা। এরপর যা হয় আর কী, নিজেদের জীবনের কষ্টকর অভিজ্ঞতার কথা ভাগাভাগি করে তারা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায়। তারপর শোককে ভালোবাসায় পরিণত করে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। তবে তারা সঙ্গোপনে লুকিয়ে রেখেছিলো প্রাক্তন প্রেমের প্রতি প্রবল টানের কথা। সুযোগ পেলে যে আবার তারা প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক ঝালাই করতে এগিয়ে যাবে, তা নয়। তবে বুকের ভেতর গোপন দীর্ঘশ্বাসের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবার কথা তারা একে অপরকে জানতে দিতো না কখনই।
এদিকে ইয়াসমিন আর জুবায়েরের সমস্যাটা অন্য। তাদের কারোরই নিজেদের অতীত হয়ে যাওয়া ভালোবাসা নিয়ে মাথাব্যথা নেই, কিন্তু অন্যের অতীত নিয়ে খোঁচানোটা তাদের অবসেশনে পরিণত হয়েছে। কেন ইয়াসমিন শাহীনের সাথে সম্পর্ক করেছিলো, কেন সে আরো অপেক্ষা করতে পারলো না জুবায়েরের জন্যে, এসব বলে নিষ্ফল ক্রোধে জুবায়ের দেয়ালে ঘুষি মেরে নিজের হাত জখম করে। আর ইয়াসমিন জুবায়েরকে তিরষ্কার করে কেন সে সোহানার ফেসবুক মেসেজের জবাবে এড়িয়ে না গিয়ে উত্তর দেবার ভদ্রতাটা করলো! এসব ভাবতে গিয়ে তার হৃদয় জখম হয়।
পৃথিবীটা আশ্চর্য রকম ছোট। তাই এর বাসিন্দাদের জীবনের জটিল উপাখ্যানগুলো অনেকসময় জট পাকিয়ে একে অপরের মুখোমুখি হয়ে সৃষ্টি করে অনভিপ্রেত পরিস্থিতির। যেমনটা ঘটলো গল্পে উল্লেখিত দুই জোড়া প্রেমিক প্রেমিকার জীবনে। তারা জুটি বেঁধে ঘুরছিলো নিউমার্কেটে। হঠাৎ একে অপরের সাথে দেখা হয়ে যায় তাদের। শাহীন প্রথম দেখতে পায় ইয়াসমিনকে। দেখে তার মধ্যে যে চঞ্চলতা সৃষ্টি হয়েছিলো তা সে কোনভাবেই প্রবোধ দিতে পারে না। তার এমন চঞ্চল দৃষ্টি অনুসরণ করে সোহানা খুঁজে নেয় ইয়াসমিনের পাশে তার কাঁধ ধরে থাকা জুবায়েরকে। দীর্ঘশ্বাস গোপন করার কোন চেষ্টাই করে না সে। তার আশঙ্কাই সত্যি হলো! জুবায়েরের বাহুলগ্না হয়ে অন্য কোন মেয়েকে তার দেখতে হলো! ততক্ষণে ইয়াসমিন দেখে ফেলেছে শাহীনকে, আর জুবায়ের সোহানাকে। তাদের বিমুঢ় দৃষ্টি কিছুক্ষণের জন্যে অপ্রতিভ করে ফেলে নিজেদের। ইয়াসমিনই প্রথম নীরবতা ভাঙে,
-দেখো, আমার দিকে এগিয়ে আসছে যে ছেলেটা সেটাই শাহীন। তুমি দয়া করে কোন সিনক্রিয়েট করো না।
-ওটা শাহীন! গড! ওর পাশে ওটা কে, জানো?
-কে! সোহানা না নিশ্চয়ই!
-গড ফরবিডস! ওটাই সোহানা।
ততক্ষণে তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়ে গেছে। সোহানা ভাবছে, সেদিন কেন সে জুবায়েরের ফোন ধরলো না! তাহলে ইয়াসমিনের জায়গায় সে থাকতে পারতো। শাহীনের বুক ধড়ফড় করছে, ইয়াসমিনকে দেখে মনে হচ্ছে এতদিনের কাউন্সেলিং, ঔষধপত্র, চিকিৎসা সব বুঝি গেলো বৃথাই! তার অসুস্থতা ফিরে আসছে আবার! ইয়াসমিন ভাবছে, এই ডাইনীটাই তাহলে সোহানা! এর মধ্যে কি মধু পেয়েছিলো জুবায়ের? বিচ! জুবায়েরের তখন ইচ্ছে করছে সভ্যতার সমস্ত নিয়ম কানুন ভেঙে ফেলে শাহীনের কলার ধরে ঝাঁকিয়ে বলে "হারামজাদা! কেন তুই আমাকে ইয়াসমিনের জীবনের প্রথম পুরুষ হতে দিলি না?"
পরস্পরকে অতিক্রম করার সময় তাদের মধ্যে কোন কথা হয় না। তবে দৃষ্টির দূরদর্শীতায় তারা জেনে যায় এই মৌন আলাপ তাদের অনেক ভোগাবে। কাকতালীয়ভাবে তারা একে অপরকে একই প্রশ্ন করে বসে, জুবায়ের ইয়াসমিনকে সুধোয় যদি তারা আজ বাসায় গিয়ে দেখে যে সোহানা আর শাহীন তাদের পাশের ফ্ল্যাটেই ভাড়া নিয়েছে তাহলে কী হবে? নতুন করে প্রেম চাগাড় দিয়ে উঠবে? অতীত স্মৃতি খল অভিনেতা হিসেব উচ্চকণ্ঠে হেসে দুর্দান্ত গতিতে তাদের ভালোবাসার প্রাসাদে প্রবেশ করবে? শাহীন আর সোহানার মধ্যেও এমন কথার আদান প্রদান হয়, তবে তা নীরবে, অবচেতন মনের পাগলাঘন্টিতে চেতন মনের জাগরূক হবার অভব্যতায়।
চতুষ্পদ
তারা সবাই সুস্থ সবল মানুষ। হাত এবং পা অক্ষত। চারটে হাত পা প্রতিজনের, কিন্তু এ অংকের হিসেব করার সময় সবার হাত-পা একটি করে ধরতে হবে। বাকি তিনটির একটি করে খেয়েছে মোহ, একটি ঈর্ষা, আর একটি ক্ষোভ। তারা চারজনে যদি কখনও আবার এক হয়, যদি তাদের অমূলক এবং অবিশ্বাস্য নাটুকে চিন্তাকে সত্যি করে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে, কিংবা এতকিছু যদি নাও হয়, অনেক দূরে থেকে অতীতকে কাছে টেনে বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে গ্রাস করতে চায়, তাহলে তাদের শূন্যস্থানের মাঝখানের অনুর্বর ভূমি ভরে উঠবে অসংখ্য ধারালো ক্যাকটাসে। আর তারা তাদের ক্ষয়ে যাওয়া হাত পা গুলি বিসর্জন দিয়ে অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত-শরীর-মন সব একীভূত করে একটি করে হাত বা পা নিয়ে তৈরি করবে এক কাঁটাখেকো অদ্ভুত প্রাণী। যাদের প্রিয় খাদ্য জীবনসংহারী ক্যাকটাস।
অথচ পাশেই ভালোবাসার উর্বর ভূমি, স্বচ্ছ জলাধার, স্নাত হয়ে সবকিছু ধুয়ে মুছে ফেলার সুবর্ণ সুযোগ।
কিন্তু অত পথ তারা যাবে কীভাবে, তাদের তো মাত্র একটি করে হাত বা পা, এবং পরস্পর সংযোগে তৈরি হয়েছে এক উদ্ভট মন্থর প্রাণী!
সেদিন নিউমার্কেটে এমন একটি অদ্ভুত মন্থর কাঁটাখেকো হাঁচড়ে পাঁচড়ে ছেচড়ে যাচ্ছিলো, অন্য সবার দৃষ্টি এড়িয়ে,
গোপনে।
০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যবচন এবং ধৈর্য্যের জন্যে ধন্যবাদ।
২| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০১
দিবা স্বপ্ন বলেছেন: সামুতে অনেক দিন পর আপনার লেখাটিকে ভালো লাগা জানানোর জন্য লগ ইন করলাম।
০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৩| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১১
স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন বলেছেন: লেখাটা পড়ে বেশ ভাল লাগলো . .
০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত।
৪| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জুবায়ের, ইয়াসমিন, শাহীন, সোহানা এই চরিত্র গুলোর গঠন আমার কাছে বেশি পোক্ত লাগে নাই। আর কেন জানি প্রেমের গল্প আমার কাছে পানসে লাগে, নিজে লিখলেও আর অন্যেরটা পড়লেও! ব্যতিক্রম ভাবে প্রেমের গল্প লেখা আসলেই খুব কঠিন। সে হিসেবে এই লেখাটা আমাকে হতাশ করছে।
শেষের চতুষ্কোণ আর চতুষ্পদ সে তুলনায় ভালো লাগছে । তবে প্লটটা চেনা আর সাধারণ হলেও আরো ভালো করে লেখার সুযোগ ছিল আপনার। বেশি তাড়াহুড়া করে লেখাটা প্রসব করছেন মনে হয়
শুভ রাত্রি
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগে নাই এটা মানলাম, তবে প্লটটা পরিচিত সেটা মানতে পারলাম না। অন্তত আমার কাছে না। কিছুটা তাড়াহুড়ো ছিলো এইটা মানি। দেখি লেখাটাকে আরো ঘষামাজা করা যায় কী না!
৫| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন বর্ননা।+
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা।
৬| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২৭
মামুন রশিদ বলেছেন: চার জোড়া চোখ পরষ্পরের দিকে এগিয়ে আসছে, পক্ষে এবং প্রতিপক্ষে রয়েছে বর্তমান আর প্রাক্তন সম্পর্কের অদ্ভুদ সমীকরণ,,,
ভাবাই যায় না !!!
টেট্রাপডের চার লেগের থিউরি ভালো লাগছে । মোদ্দাকথা এদের জীবনটা এই বোধগুলোর উপরই দাঁড়িয়ে আছে । তবে আমার মতে কোন সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে সম্পর্কের মাঝে যে আত্মা জন্ম নিয়েছিল তা 'অতৃপ্ত আত্মা'য় রুপান্তরিত হয়ে ঐ মানুষগুলোকে জীবনভর খুঁচিয়ে চলে । অন্তত এর থেকে কোন প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার মুক্তি নেই ।
ভিন্ন সমীকরণে হলেও হামা ভাইয়ের একটা রোমান্টিক গল্প পড়লাম !
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার থিওরির সাথে একমত নই মামুন ভাই। মানুষের জীবনে ভুলে যাওয়ার ক্ষমতা পর্বতসম। নতুন একটা মনে ঠাঁই নেবার আনন্দ নতুন একটা মহাদেশ আবিষ্কারের চেয়ে কম না। তবে অতৃপ্ত আত্মার ব্যাপারটাও একদম ফেলে দেয়ার মতো না। অনেককেই দেখেছি ভুগতে।
শুভসকাল।
৭| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
রোমান্টিক গল্প লিখেছেন, বেশ ভালো লেগেছে। আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, বাঙালি আর্ট ফ্লিম খুব ভালোবাসে, কিন্তু তারা প্রতিদিন তা দেখে না। সেই হিসাবে এই ধরনের গল্পে সব শ্রেনীর পাঠকেরই প্রত্যাশাপূরনের সম্ভবনা আছে।
তাছাড়া সাধারন জিনিসকে আপনি গভীর ভাবে দেখেন, এবং তার উপস্থাপনও চমৎকার ভাবে করেন। এটা দারুন একটা ব্যাপার। গল্পের ব্যাপারে গভীর বিশ্লেষনে না যাই, সেটা বোদ্ধাদের জন্যই ছেড়ে দিলাম।
শুভ রাত প্রিয় হাসান ভাই।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটু ইচ্ছে হলো নিজের গণ্ডি থেকে বের হয়ে অন্যরকম কিছু লিখতে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেলে তো খুবই ভালো লাগবে।
শুভসকাল কাভা।
৮| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৩০
সুইট এঞ্জেল বলেছেন: এখানে খারাপ কথা লেখা হয়েছে।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি খ্রাপ।
৯| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৩৬
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভালো লিখছেন ভাই গল্প । ভালো লাগা রইলো
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নাজমুল। শুভসকাল।
১০| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৫
আকিব আরিয়ান বলেছেন: রাতে ঘুমানোর আগমূহুর্তে একটা সিগারেট আর দু চুমুক পানির সাথে গল্পটা পড়ে মাথার মধ্যে আমার নিজের আশু ভবিষ্যতের চিন্তার উদ্রেক হলো
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেঁধে কেন ক্যাকটাসের কাঁটার খোঁচা খেতে যাবেন? যেখানে একটু দূরেই রয়েছে স্বচ্ছ জল আর নরম মাটির কোমল স্পর্শ?
১১| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:২৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্প পড়লাম দু ঘন্টা আগে। মন্তব্য দিতে এলাম এখন।
মধ্যে বার কয়েক ব্যর্থ হইছি।
দেখি এবার অন্তত পাঠ উপস্থিতি জানান যায় কিনা।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এবার ব্যর্থ হও নাই। পাঠ প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা গেলো না।
১২| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:৩০
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন:
চার টা ক্যারেক্টারের উপস্থাপনে অন্যরকম লাগছে।
আর নৌকাডুবির কথা মনে হল।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: নৌকাডুবি তো পড়ি নাই। ঐডায় কী লিখসে?
১৩| ০৮ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//"তুমি প্রথম, বলিনা এমন
শেষ হতে পারো কি?
তাই নিয়েছি শেষ বিকেলে
নিঃস্ব হবার ঝুঁকি"//
ইয়াসমিন-জুবায়ের-সোহানা-শাহীন: চতুষ্কুণের চতুস্পদী সমীকরণটিও পড়লাম। জটিল!
“স্মৃতিসর্প” ধারণাটি পুরাতন হলেও আমার কাছে অভিনব মনে হয়েছে
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই। শুভকামনা।
১৪| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
কয়েস সামী বলেছেন: অাপনার বৃত্তের বাইরে যেয়ে লেখার চেষ্টা করেছেন বুঝা যাচ্ছে। গল্পটা মস্তিষ্ককে নাড়া দিয়েছে, হৃদয়কে না!
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাড়া খাইছেন এতেই খুশি!
১৫| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
বৃতি বলেছেন: রোম্যান্টিক প্রেমের গল্প একেবারেই মনে হয়নি আমার কাছে, শাহীন-সোহানা জুটিকে আরোপিত মনে হয়েছে। গল্পটাতে মনস্তত্ত্বের ব্যাপারগুলোই মুখ্য মনে হয়েছে।
তবে আপনার লেখনী অনেক শক্তিশালী- যে কোন সাধারণ ঘটনাও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
শুভেচ্ছা।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার কাছেও এটা সাইকোলোজ্যিকাল ক্রাইসিসেরই গল্প। আরো বিস্তারিত লেখা উচিত ছিলো মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ বৃতি।
১৬| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩১
অদৃশ্য বলেছেন:
দুর্দান্ত... লিখাটির ভেতরে দারুনভাবেই ক্রস তৈরী করতে পেরেছেন আপনি... এই লিখাটি পড়ে অবশ্যই মুগ্ধ হয়েছি... আর কিছু ডায়ালগ যা আপনার স্পেশাল, সেগুলো ফাটাফাটি ছিলো... ওসব জায়গাগুলোতে আমি খুব হাসি... গল্পটা জটিল ছিলো তবে আপনার প্রকাশে তা মোটেও জটিল কিছু হয়ে যায়নি..
গল্পের ক্যাকটাসের বিষগুলোতে আশাকরি সবাই কিছুটা হলেও আক্রান্ত হবে...
শুভকামনা...
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। ভালো থাকবেন।
১৭| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
বৃতি বলেছেন: সুইট এঞ্জেল এর কমেন্টে প্লাস
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐটা পুরান পাপী শিওর।
১৮| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
সোহানী বলেছেন: ভালো লেগেছে কিন্তু একটু বেশীই কম্লিকেটেড লেগেছে লিখাটা... আসলে অনলাইনে ছোট লিখা পড়ে অভ্যস্থ বলে হয়তো একটু মনযোগ হারিয়েছি শেষ পর্যন্ত।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ সোহানী।
১৯| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৯
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: একদম বাস্তব কাহিনি মনে হল। আর অজান্তেই কেন জানি মনটা খারাপ হল। অতীত ভুলে যাওয়াই ভাল। বর্তমানকেই সবার প্রাধান্য দেয়া উচিত। অতীতে কার জীবনে কি ছিল তা সামনে আনা উচিত নয়।
আর যে অতীত বর্তমান সুখ কে নষ্ট করবে সেই অতীত কখনোই সামনে আনা উচিত না। আর মনে না আনাটাই সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে।
ভালোলাগা রইল গল্পে।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
২০| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
নোমান নমি বলেছেন: ক্যান জানি ভাল্লাগেনাই। শাহীনের প্রেমিকা সোহানা, সোহানা আবার জুবায়েরের সাবেক প্রেমিকা, শাহীন আবার ইয়াসমিনের সাবেক প্রেমিকা। বেশী বেশী লাগছে এটা।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পে যেহেতু নিজের মত করে কাহিনী সাজানোর স্বাধীনতা আছে, তাই তাদের চারজনকে ফেলেই দিলাম একটা কমপ্লিকেটেড পরিস্থিতিতে! বাস্তবে এই জিনিস দেখতা পাইবা?
২১| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: গল্পের কাঠামোতে নতুনত্বের স্বাদ আছে, ফিনিশিংটা বেশি ভাল লেগেছে। তবে কিছুটা কমপ্লিকেটেড।
০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। নর নারীর প্রেমবিষয়ক জটিলতাগুলো কিছুটা কমপ্লিকেটেডই হয়।
২২| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের প্রস্তাবনা চমৎকার! চারজনকে নিয়ে একটা চতুষ্কোণ সৃষ্টি এবং প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা একক ভাবে দেখানোয় গল্পের মাঝে মানসিক টানাপোড়েনের ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার একটা সুযোগ এসে যায়। জিনিসটা যথেষ্ট আকর্ষণীয়।
কিন্তু গল্পটা তারপরই শেষ হয়ে গেল। তাদের এই কমপ্লিকেটেড জীবন আরও কোন কোন সূত্রে বিবর্তিত হতে পারে সেটার আভাস শেষের প্যারায় পাচ্ছি। মনে হচ্ছে চতুষ্পদ আর চতুষ্কোণের মাঝখানে আরও কিছু হয়তো ঢুকতে পারত।
সবমিলিয়ে ইন্টারেস্টিং এক্সপেরিমেন্ট!
০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি গল্পটা লেখার সময় ভেবেছিলাম তাদেরকে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে রাখবো, নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করাবো, কিন্তু সেটা একটু বেশি জটিল হয়ে যেতো। তাই সেসবের বিবরণ পর্ব টপকে গিয়ে একটা বার্তা সম্বলিত ফিনিশিংয়ে চলে গেলাম। আর পাঠককে স্বাধীনতা দিলাম তাদের চৌকোণিক মানসিক দ্বন্দ্ব নিজের মত করে ভেবে নেয়ার।
শুভেচ্ছা প্রফেসর।
২৩| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
এম মশিউর বলেছেন: কি কমপ্লিকেটেড প্লট!!
ইয়াসমিন-জোবায়ের, শাহীন-সোহানা জুটি যুগলের একত্রে এনেছেন দেখেই অবিভূত!
গল্পে দারুণ একটা আর্ট ফিল্ম ফুঠিয়ে তুলেছেন।
০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মশিউর। শুভেচ্ছা।
২৪| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
ইমিনা বলেছেন: এতো ভিন্ন আঙ্গিকের প্লট কিভাবে আসলো মাথায়? এতো সুন্দর করে প্রতিটি মানুষেরে ভিতরের কথা বর্ণমালার গাথুনিতে প্রকাশ করা কিভাবে সম্ভব হলো?
গল্প পড়ে কেমন লাগলো তা বলবো পরে। তার পূর্বে বলেন তো - এতো সুন্দর করে মানুষ কিভাবে লিখে?
০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আগে বলেন এত সুন্দর করে মানুষ কমেন্ট করে কিভাবে? :!>
২৫| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
ইমিনা বলেছেন: গল্প পড়ে মাথাটা কেমন জানি হয়ে গিেয়ছিল। সেই কেমন হয়ে যাওয়া মাথায় যা আসছে ঠিক ঠিক তা ই কমেন্টে লিখে দিয়েছি। এই হলো আমার উত্তর। এবার আপনার উত্তর দেওয়ার পালা
০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার হাতের লেখা আসলে ভালো না। তবে ব্লগ লিখতে গেলে একদম ছাপার অক্ষরের মত সুন্দর হয়ে যায় যেন কীভাবে!
২৬| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
অস্থির_অশান্ত বলেছেন: কী বলবো দাদা, ফাটিয়ে দিয়েছেন......+++
০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বলচেন দাদা?
২৭| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
আপেক্ষিক বলেছেন: খুবই সুন্দর হয়েছে। অসাধারণ। +++++
০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৮| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
নোমান নমি বলেছেন: হাহাহা তা অবশ্য ঠিক বলছে হামা ভাই। গল্পকাল হইলো ঈশ্বর।
০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হয়।
২৯| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
মশিকুর বলেছেন:
অনেক সময় হালকা বাতাসে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ভালোবাসা এমনই। অনেক সময় অনভিজ্ঞ ভালোবাসা সবচেয়ে অভিজ্ঞকেও নাড়িয়ে দেয়। সেটা প্রকাশ পাক কিংবা না পাক। ভিতরে ভিতরে একটা অস্থিরতাতো থাকেই।
চারজনে যদি হঠাৎ একসাথে দেখা হয়ে যায় তাহলে যেকোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে... তবে নিয়মিত দেখা হতে থাকলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে... যাহোক গল্পে ভাবনার উপাদান অনেক
রোমান্টিক গল্পে +
ভালো থাকুন।
০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মশিকুর। শুভবিকেল।
৩০| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: তৃতীয় মন্তব্য প্রচেষ্টা!
গল্পের দুইটা অংশ, প্রথম অংশে চার চরিত্রের পরিচয় প্রদান ও কাহিনীর দানা বেঁধে ওঠা, পরের অংশে তার চতুষ্কোন বিশ্লেষন। প্রথম অংশ খানা কিঞ্চিত দূর্বল, বেশ কিছু ঘটনা ঘটাতে লেখককে তার বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করতে হয়েছে! (নোমান নমি মন্তব্য দ্রষ্টব্য ) , যেহেতু এখানে কাহিনী কোনো ঘটনা না, ঘটনা হচ্ছে শেষের অংশ, তাই আমার কাছে এই গল্পের গল্পটা দূর্বল, কিন্তু যে ভাষায় যে দর্শন লেখক আমাদের বলতে চেয়েছেন, তা অতি চমতকার! চরিত্র গুলো ঠিক জমে নাই,(কেন তারা চার জনই পুরোনো প্রেমে কাতর থাকবে? এই অর্থে আমার কাছে জমে নাই) পড়তে পড়তে মনে হয়েছে উহারা বিগত জনমের প্রেম নিয়ে এত কাতর কেন হে! উহাদের কি চাকুরী, বন্ধু, যাতনা জগত কিছু নাই! উহারা জলদি পরিবার পরিকল্পনা আপিসে গিয়ে মানুষের সঙ্খ্যা বাড়িয়ে নিজেদের সমস্যার সমাধান করুক! ( বেশির ভাগ দম্পতির এইসব অতি প্রেম কাতরতাজনিত সমস্যাগুলো প্রকৃতি এভাবেই সমাধান করে দেয় )
আপনার ভাষা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই, শেষের অংশ আমার অনেক ভালো লাগল, প্রথম অংশটা নিয়ে অতৃপ্তি!
শুভ দুপুর!
০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষ দুটো পার্ট সবারই ভালো লেগেছে। প্রথম দিকটা নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন। আমি আসলে ঠিক বুঝতে পারছি না কী করে লিখলে ওটাকে মানসম্মত করা যায়।
আর ওই চারজন সবসময় তাদের পূর্বপ্রেম নিয়ে কাতর থাকতো না। মাঝে মাঝে এসব নিয়ে তারা একে অপরকে চার্জ করতো (প্রথম জুটি) কখনও দীর্ঘশ্বাস ফেলতো (দ্বিতীয় জুটি)। এই জায়গাটাই সম্ভবত গল্পের মিসিং লিংক। তাদের প্রাত্যহিক জিবনের ফাঁকে ফাঁকে এই অস্বস্তিগুলো তুলে ধরলে হয়তোবা জোরদার হতো বেশি।
শুভবিকেল।
৩১| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: "হারামজাদা! কেন তুই আমাকে ইয়াসমিনের জীবনের প্রথম পুরুষ হতে দিলি না?"
আমার মনভাব ঠিক একই রকম ! সত্যি বলতেছি হামা ভাই আমি এটা কোন দিন মেনে নিতেই পারবো না যে আমার আগেও তার জীবনে কেউ ছিল । দরকার হলে একাই সই, একাই থাকবো তবুও না !
০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাব্বাশ প্রেমিক!
৩২| ০৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
ভবঘুরে মিথি বলেছেন: প্লটটা খুব বাস্তবসম্পন্ন। হিংসা আর রাগই আমাদের মূল শত্রু। সব ভালো লেগেছে। কিন্তু হুট করে শাহীন-সোহানার প্রেমটা আজব লেগেছে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এরকমটা হয় কিনা আমি জানি না..মোড় অন্য দিকে নিলে লিখাটা আরো শক্তিশালী হত। তবু খারাপ লাগেনি। জুবায়ের-ইয়াসমিনের দাম্পত্য ডায়লগ বেশি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে
০৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাহীন সোহানার প্রেমটা আসে হুট করে না, তাদের প্রেম ভেঙে যাবার অনেক পরে। টাইমলাইনটা আরো স্পষ্ট করে প্রকাশ করা দরকার ছিলো মানছি।
শুভেচ্ছা।
৩৩| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৫
সাদা আকাশ বলেছেন: সত্যি বলছি। গল্পটা পড়ার সময় অনেক বেশি জটিল মনে হয়েছে। প্রথম একবার কিছু অংশ এসে আবার প্রথম থেকে দেখতে হয়েছে। ৪টি ভিন্ন ভিন্ন গল্পের উপস্থাপন আর সবগুলি একটা বিন্দুতে নিয়ে আসা। তারপর আবার সেই ৪জনের সমস্যাকে একত্রে দাড় করিয়ে দেয়া। চরম ভাবে মস্তিষ্কে চাপ দিয়েছেন। ভালো লাগে নি বললে মিথ্যা হবে, তবে কিছু অংশে মাঝে একটু বেশি সাদামাটা মনে হয়েছে। ঘষামাজা করলে হয়তো আরও অনেক আকর্ষণীয় করা যাবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘষামাজা না করে উপায় নেই দেখছি... সবাই যেভাবে বলছে! অনেক ধন্যবাদ।
৩৪| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৮
এহসান সাবির বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঘষামাজা না করে উপায় নেই দেখছি... সবাই যেভাবে বলছে!
বেশ!!
ঘষামাজা করলেই কি সব সময় চকচকে হয়?
০৯ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: দিলেন তো প্যাচ লাগায়া!
৩৫| ০৯ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালো লেগেছে, নতুন ধরনের লেখা। প্রথম দিকে একটু পানসে মনে হচ্ছিলো, কিন্তু শেষে এসে এক হাত পা চতুষ্পদ প্রাণীর মাধ্যমে যে জিনিসটা ফুটিয়ে তুলেছ পুরাই ইম্প্রেসড। গল্পের শেষে মেসেজটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভরাত্রি।
৩৬| ০৯ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: গল্পটা পড়ে বুঝতে পারলাম। আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আপনিও কাঁটাখেকো হৈতে চান?
৩৭| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
সুন্দর গল্প আর পিকটাও দারুন মানিয়েছে।
০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৮| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: হাসান ভাই, সময় নিয়ে, ৩ দিন গ্যাপ দিয়ে দুই ধাপে বেশ কয়েক ভাবে গল্পটা পড়েছি।
গল্পের যে দিক গুলি ভাল লেগেছে সে গুলি হল -
১। ছবিটা। খুবই সেনসুয়াস। একই সাথে কামনা এবং গা শিউরে ওঠার অনুভূতি দেয়।
২। আপনি আপনার স্টাইল নিয়ে এক্সপিরিমেন্ট করেছেন। সিগনেচার একটা স্টাইল, প্রথমে একটা প্যারায় কাব্যিক একটা বর্ণনা দিয়ে গল্পের শুরু , এবারে সেটা নেই।
৩। বর্ণনাভঙ্গী অন্য সববারের মতই সুন্দর।
যে দিকগুলি ভাল লাগে নি সে গুলি হল-
১। আপনার সিগনেচার শুরুটা মিস করেছি। এটা বাদ দিলেন , তা আমার ভাল লাগে নি।
২। গল্পের প্লটটা নিয়ে চাইলে হয়ত আরও কিছু করতে পারতেন। বিবাহিত দম্পতির পূর্বের সম্পর্ক নিয়ে খোঁচাখুঁচি, তাদের প্রাক্তন প্রেমিকদ্বয়ের অদ্ভুত ভাবে মিলে যাওয়া এবং দৈবাৎ মার্কেটে তাদের দেখা হয়ে যাওয়া পরবর্তী মানসিক চিন্তা- প্লট হিসেবে এতটুকু আমাকে তৃপ্তি দেয় নি।
৩। সরল একটা গল্পের বর্ণনায় বারবার পয়েন্ট অফ ভিউ বদল করাটা আমার কাছে লেখকের আলসেমি মনে হয়। আপনি কিছু কাহিনি বা ঘটনা জুড়ে দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারতেন চারজনের মানসিক অবস্থা।
ব্যাপারটা আরেকটু ভেঙ্গে বলতে গেলে সুনীলের প্রথম আলো আর হুমায়ুন আহমেদের মধ্যাহ্ন- এই দুটি উপন্যাস পড়ার পর আমার প্রথম আলো অনেক অনেক বেশী ভাল এবং উচ্চমানের সাহিত্য মনে হয়েছে তার কারন ,সুনীল দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস এবং চরিত্রগুলোকে জুড়ে দিচ্ছিলেন কাল্পনিক ঘটনাপ্রবাহের দ্বারা। আর মধ্যাহ্নে হুমায়ুন আহমেদ ইতিহাস আর ঘটনা খুবই দায়সারা ভাবে আলাদা আলাদা করে উল্লেখ করেছিলেন।
শেষ করতে চাই এই বলে, সামুর গল্পকারদের মধ্যে হাসান মাহবুব নিঃসন্দেহে একটা ব্র্যান্ড, যার প্রতি গল্পে এভারেজ শ পাঁচেক পাঠক থাকে। মানুষের দ্বারা লেখনীর প্রশংসায় আপনার প্লটের দুর্বলতা বাড়ুক, এটা আমি চাই না। গল্পের কাব্যিকতা থাকুক , আপনাকে সাইকো থ্রিলারের মাষ্টারমাইন্ড বলেন যে কেউ কেউ - তারও যথার্থতা বজায় থাকুক।
শুভকামনা রইল।
( একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্নঃ প্রায় পাঁচ বছর যাবত ব্লগে গল্প লিখে চলেছেন। লেখালিখি কি এখনও আগের মতই উপভোগ করছেন, না অপেক্ষাকৃত কিছু কম বা বেশী?)
০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পটায় অনেক সমালোচনা পেলাম আপনারটা সহ। ব্যাপারটা খুব পজিটিভলি নিলাম। বুঝলাম যে আমার গল্প সবাই মনোযোগ দিয়েই পড়ে। শুধুমাত্র মন্তব্য করার জন্যে মন্তব্য করে না। আমি এটা অনুভব করছি যে কিছু পরিবর্তন দরকার এখানে। কিন্তু অন্য গল্পের থেকে এটার পার্থক্য হলো, অন্য গল্পে একটা এডিট করলেই হয়তো চলতো এখানে সে জায়গায় চারটে করতে হবে। কারণ সবগুলো অধ্যায়ই একে অপরের সাথে অন্বয়িত। আলসেমি না...আসলে বলতে পারেন ধৈর্য্যহীন হয়ে পড়া। এ ব্যাপারটা থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা থাকবে সামনে। শুভেচ্ছা।
লেখালেখি এখনও সমানভাবে উপভোগ করি, তবে ব্যস্ততার কারণে আগের মত লেখা নিয়ে ভাবা বা সময় দেয়া হয় না।
৩৯| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: কাঁটাখেকো???
০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু
৪০| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৫
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: না।
১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাহলে যান করেন চান স্বচ্ছ জলে।
৪১| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৫১
চানাচুর বলেছেন: কাহিনীতে শেষে কিছুটা নাটকীয়তা চলে আসলেও চরিত্রগুলো একেবারেই বাস্তবসম্মত হয়েছে। আমার বেশ ভালো লেগেছে পড়তে।
১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকিউ
৪২| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
রোদেলা বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে নিলেন ,কিিনতু বিফলে যায়নি।
১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রোদেলা।
৪৩| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনেকগুলো বছর পর হয়ত প্রাক্তন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার প্রতি আর কোন অনুভূতিই থাকে না, তবুও মানুষ স্মৃতিরোমান্থন করতে ভালবাসে, নিজের অজান্তেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে একটা 'ইশ' কিংবা 'হয়ত' আর তাতেই সাজানো গোছানো বর্তমান তছনছ হয়ে যায়।
চমৎকার এই গল্পটিতে ভাল লাগা রইল ... ...
১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। শুভেচ্ছা।
৪৪| ১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: এই নিয়ে ষষ্ঠবার কমেন্ট করতে আসলাম । এইবার যদি না পারি আবার যদি লগ আউট হয়ে যাই তাহলে আর আসবই না । গল্পটা পড়ে কিছু অনুভুতি হয়েছিলো সেসব লিখেছিলাম । এইবার আর অতকিছু লিখবো না । জাস্ট তিনটা কথা , গল্পের থিমটা অসাধারণ হয়েছে , পা বাড়ালেই সমুদ্র আর আমরা ডুবে যেতে চাই চোরাবালিতে । দুই, আপনার তীক্ষ্ণ বর্ণনা মাথার ভিতরে লেগে থাকা শব্দগুচ্ছের স্বাদ মিস করেছি । তিন , গল্পটা শেষ থেকে শুরু করলে কেমন হতো ??
শুভেচ্ছা ভাইয়া, ভালো থাকুন সবসময় ।
১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা শেষ থেকে শুরু করলেই মনে হয় ভালো হতো। তাহলে কাব্যিক মেজাজ আর মেটাফরের প্রয়োগটা বলবৎ থাকতো। দারুণ চিন্তা আদনান! শুভেচ্ছা।
৪৫| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৭
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: কেমন যেন খাপছাড়া লাগলো,কিছু একটা নাইক্কা!
১২ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। নাইক্কাটারে ধরা লাগবো। শুভ সকাল।
৪৬| ১২ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
লিমন আজাদ বলেছেন: এতো সুন্দর বিশ্লেষণ ! এই গল্পটা আমার বাস্তব জীবনের চারপাশে কিছুদিন ধরে ঘুরঘুর করছে। আজ এই virtual লাইফে পেয়ে গেলাম। ধরে রেখে দিলাম মনের ভিতরে। কাজে লাগবে।
১২ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাজে লাগবে জেনে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা।
৪৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চারটা ভিন্ন মানুষের গল্প ! যেখানে অতীত আর বর্তমান এক হয়ে যায় ! গল্পের নামকরণ টা ঠিক বুঝতে পারিনি হামা ভাই !
১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাঁটাখেকো- যারা সেঁধে বর্তমানের উপহারকে অগ্রাহ্য করে অতীতের কন্টক ভক্ষণ করতে চায়।
শুভদুপুর।
৪৮| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: শাহীনের সাথেই সোহানা কেন??
এইটা কেমন যেনো লাগতেসে ভাইয়া
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা না মিলাইলে তো আর গল্প হৈতো না
৪৯| ১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
রাহি বলেছেন: চতুষ্পদ অংশটা অসাধারণ হয়েছে। ভালো লাগলো।
১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাহি।
৫০| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
অনেকদিন পর এবারে বেশ সচ্ছন্দে বাস্তবতার কাছে এলেন ।
মনস্তত্ত্বের ঘোরপ্যাচগুলো এমনি করেই হাঁচড়ে পাঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে যায় আমাদের হৃদয় নামের কিছু ........
শুভেচ্ছান্তে ।
১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৫১| ১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: চমৎকার হামা ভাই
১৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল।
৫২| ১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল।
১৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৫৩| ১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, পড়তে পড়তে আমার যে অনুভূতি হয়েছিলো তা লিখলেই আরো বেশি ভালো হতো অন্যদের মন্তব্য না পড়ে। আমি অন্যদের মন্তব্য আমার অনুভূতির ধর্তব্যের মধ্যে আনতে চাইনা। জানিনা এসে পড়বে কিনা?
গল্পটা ধীর গতির বটে, তবে এইটা এই গল্পের জন্য আদর্শ। অনেকটা ধীরে ধীরে জাল টানার মতো। চারজন মানুষ চার রকম। তাদের চিন্তা-চেতনা চার রকম। তাদের একত্রিত হওয়ার মুহূর্তে তাদের অনুভূতি চার রকম। এই প্রত্যেকের অনুভূতি একত্রিত করার মতো দুঃসাধ্য আপনি সাধন করেছেন। এটা আমার খুব খুব পছন্দ হয়েছে।
হয়তো অনেক বর্ণনা দেয়া যেতো, কিন্তু আমার এই নিপাটা সাধাসিধা বর্ণনাটাই বেশ লাগলো।
আমি বোধহয় অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়লাম। আর সত্যি বেশ ভালো লাগা নিয়ে যাচ্ছি। সাইকো আমার খুব একটা টানে না, এটা আপনার অন্যান্য লেখা গুলোর থেকে খুব আলাদা তা নয়, তবে অবশ্যই আলাদা। এবং এর একটা স্বতন্ত্র ভাবের ও স্বাদ পেলাম।
বর্ণনা প্রধান এ লেখায় কথা এসেছে যেনো বর্ণনাকে আরো পাকা পোক্ত করতে। যেনো কিছু পুডিং দিয়ে কাঠের ছিদ্র বন্ধ করা হলো। আবার এই কথামালা না এলে একে অন্যের সম্পর্কে ঠিক ঠিক কি ধারণা পোষণ করে বোঝা যেতো না।
ভালো থাকুন, ভালো লিখুন।
১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্যগুলো পড়ার পরেও প্রভাবিত না হয়ে নিঃস্বঙ্কোচে নিজের মন্তব্য জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ। গল্প ভালো বা খারাপ যেমনই লাগুক এমনিভাবেই আপনার খোলামেলা মতামত জানিয়ে যাবে। আপনার মন্তব্যটা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। অবশেষে মনে হচ্ছে, আর এডিট করার দরকার নেই। তবে আপনার জন্যে দুঃসংবাদ, সামনে সম্ভবত সাইকো টাইপ গল্প আসছে!
শুভেচ্ছা।
৫৪| ১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আমার ভালো লাগছে খুব।
১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবি নাই তোমার ভালো লাগবে। থেংকু!
৫৫| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
পংবাড়ী বলেছেন: ভালোই
১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৫৬| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩২
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: আপনার অন্যান্যগল্প থেকে ভিন্নরকম ৷ এক এক চরিত্রের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের সম্পর্কের বিশ্লেষণ দৃষ্টিভঙ্গিতে উঠে এসেছে ৷ তারপর জড়িয়ে গেল ধীরে ধীরে পরস্পরের অন্তঃসত্তায় ৷ এই ক্রমশঃ বর্ণনারছলে গল্পে ঢোকাটা আরো একটু ভিন্ন রকম হতে পারত ৷ গল্পে আপনি ইংরেজী শব্দের সরাসরি ব্যবহার কি ইচ্ছাকৃত নাকি কথা প্রসঙ্গে ৷ মৌন কথোপকথন অংশটি ভাল লাগল৷ এখানেও আপনার প্রায় প্রিয় শব্দ স্মৃতিসর্প দেখা গেল ৷
ভাল থাকবেন ৷
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ইংরেজি শব্দের ব্যবহার চরিত্রের মেজাজ বুঝে করি। আমরা অনেকেই তো ইংরেজি শব্দের প্রয়োগ করে থাকি কথায়, তাই না? সর্প শব্দটি খেয়াল করা আপনার নিবিষ্ট পাঠের পরিচায়ক।
শুভরাত্রি।
৫৭| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫০
সাদরিল বলেছেন: গল্পের ভেতরে গল্প। ভালো লাগাটা বেড়েছে অল্প অল্প করে। দারুন
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫৮| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৪২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: মানসিক দ্বিধা দ্বন্দ্বের গল্প। সাথে কিছু ভালবাসাময় কথা। বেশ লাগল।
+++++
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৫৯| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: স্মৃতিসর্প শব্দটায় ভাল লাগা ।
অনেক আগে নগিব মাহফুজের এই প্যাটার্নের একটা গল্প পড়ছিলাম - প্রত্যেকের
বয়ানে গল্প বলা ।
গল্প নিয়ে বললে অনেক কথাই বলা যায় - জগতের সব সেরা গল্পেই
ত্রুটি আছে ।
আগে দেখতে হবে '' টেক্সট '' এর রস উপভোগ করতে পারি কিনা ।
রস উপভোগ টাই রবি ঠাকুর , বুদ্ধদেব বসু সবার আগে বিবেচনা করতেন । আমি ও তাদের দলে ।
এটা ঠিক থাকলে সব ঠিক । এটা না থাকলে জিরো সাইজেও কাজ নাই । ( কারিনা র কথা মনে পড়তাছে )
আপনার গল্পের স্বাদ নিতে পেরেছি - এটাই আসল ।
গল্পে অনেক ভাল লাগা থাকল ।
আপনি সবসময়েই অসাম ।
ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই ।
শুভকামনা ।
৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা।
৬০| ৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
জেরিফ বলেছেন: সহজাত ভাবেই সমাজের কিছু ঘটনা তুলে ধরেছেন । প্লট সুন্দর চাইলে আরো সহজ করা যেত । গল্পে ভালো লাগা +++
৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জেরিফ। শুভকামনা।
৬১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২২
আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমি বলতে চাই,
আপনি দারুণ লিখেন।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভভোর।
৬২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: লেখক কে অনেক ধন্যবাদ এত জটিল কাহিনীর সুন্দর বর্ণনার জন্য ।ভাল থাকুন সব সময় ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৬৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৫
আলীমূল রাজী বলেছেন: যদি তাদের অমূলক এবং অবিশ্বাস্য নাটুকে চিন্তাকে সত্যি করে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে, কিংবা এতকিছু যদি নাও হয়, অনেক দূরে থেকে অতীতকে কাছে টেনে বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে গ্রাস করতে চায়, তাহলে তাদের শূন্যস্থানের মাঝখানের অনুর্বর ভূমি ভরে উঠবে অসংখ্য ধারালো ক্যাকটাসে। আর তারা তাদের ক্ষয়ে যাওয়া হাত পা গুলি বিসর্জন দিয়ে অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত-শরীর-মন সব একীভূত করে একটি করে হাত বা পা নিয়ে তৈরি করবে এক কাঁটাখেকো অদ্ভুত প্রাণী। যাদের প্রিয় খাদ্য জীবনসংহারী ক্যাকটাস।
অথচ পাশেই ভালোবাসার উর্বর ভূমি, স্বচ্ছ জলাধার, স্নাত হয়ে সবকিছু ধুয়ে মুছে ফেলার সুবর্ণ সুযোগ।
ভাল লাগল।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ধৈর্য নিয়ে পুরোটা পড়লাম ।
খারাপ বললে মিথ্যে বলা হবে ।
ভালো লাগলো ।