নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দয়া করে বৃহস্পতিবারে মরুন

২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:০৫



দৃষ্টি আকর্ষণ

এতদ্বারা সবার অবগতির জন্যে জানানো যাচ্ছে যে আপনার শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক বৈকল্য, আত্মহত্যা করার ইচ্ছা, পুরোনো রোগের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা, কিংবা অলঙ্ঘনীয় মৃত্যু, যাই আসুক না কেন, বৃহস্পতিবারের আগে আপ্যায়ন করা যাবে না। এটা সকল হোস্টেল, বসতবাড়ি এবং মেসের জন্যে প্রযোজ্য হবে। আর আপনি যদি একান্তই অসমর্থ হোন সামলাতে, তাহলে এর দ্বারা উদ্ভুত অনাকাঙ্খিত অসহযোগিতার দরুণ সৃষ্ট দুর্বিপাকের জন্যে কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করা যাবে না। নিম্নে কিছু বিশেষ নিয়মাবলী বর্ণিত হলো, যা আপনাকে এ প্রজ্ঞাপনটি অনুসরণ করতে সাহায্য করবে।

১/ আত্মহত্যা করতে চাইলে শক্ত নাইলনের রশি দিয়ে ফাঁস নিন। এতে মৃত্যু তরান্বিত হবে, ঝুঁকিবিহীন একটি প্রক্রিয়া। বিষপান করবেন না। স্টোমাক ওয়াশের হ্যাপা রয়েছে। ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়বেন না। আপনার আশেপাশের পরিবেশ সুন্দর রাখুন। বিষপান বা ঘুমের বড়ি সেবনে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে গ্রেপ্তার করা হবে।

২/ প্রেসার হাই হয়ে গেলে অহেতুক কাউকে ডাকাডাকি করবেন না। মাথায় জলপট্টি দিয়ে শুয়ে থাকুন। এমনিতেই কমে যাবে। তবে বৃহস্পতিবার হলে যদি প্রেসার ১৬০/১০০ এর মতো অনুভব করেন, তাহলে অন্যান্যদের ডাকতে পারেন। অন্য দিনগুলিতে স্ট্রোক করার আগ পর্যন্ত শুয়ে থাকুন।

৩/ হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে হার্টের রোগ ভেবে কাবু না হয়ে গ্যাসের ট্যাবলেট খান। ভালো হয় সিরাপ পান করলে। অনেকসময় গ্যাসের চাপ হার্টএ্যাটাকের মতো দেখায়। আর এতেও যদি সমাধান না হয় তবে বৃহস্পতিবারের জন্যে অপেক্ষা করুন।



অন্যান্য সব আচমকা প্রাণঘাতী রোগের ক্ষেত্রেও এমন পন্থা অবলম্বন করুন।



কেন এই বৃহস্পতিবার?

কারণ এর পরে দুটো ছুটির দিন আছে। ফলে আপনি অসুস্থ হলে বা মারা গেলে আপনার শোকসন্তপ্ত পরিবার/রুমমেট শোকের ধকল কাটিয়ে নেবার সময় পাবেন, অথবা হাসপাতালে সারারাত ছোটাছুটি করতে হলে তারা পরের দুইদিন বিশ্রাম নিয়ে সতেজ হয়ে কর্মস্থলে যোগদান করতে পারবেন। এভাবে আপনার মৃত্যু বা অসুস্থতা বৃহস্পতিবারে সংঘটিত হবার ফলে রবিবার থেকে সবাই শোক এবং ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বড় ধরণের কোন গড়মিল দেখা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে।



-আদেশক্রমে নগর কর্তৃপক্ষ।



সারা শহর ছেয়ে গেছে এই নির্দেশিকায়। শহরের মানুষজন এই অদ্ভুত দীর্ঘ পোস্টার দেখে চমকে গেলেও কর্মজীবী মানুষেরা ধাতস্থ হয়ে ঠান্ডা মাথায় বিবেচনা করে এতে নগর কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাই দেখতে পান। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক দৈন্যের কথা চিন্তা করলে এটি চমৎকার একটা সুপারিশ। আর নগরায়নের সাথে সাথে সাম্পর্কিক বিচ্ছিন্নতা বাড়তে থাকার ফলে পরস্পরের প্রতি যে সামাজিক অনাস্থা তৈরি হয়েছে তার উপশমের জন্যে বৃহস্পতিবারকে মরণ বা অসুস্থতা দিবস হিসেবে পালন করলে সামাজিক দায়িত্ব পালনে কুণ্ঠা থাকবে না, উপরন্তু পারস্পরিক সম্পর্কটা ঝালাই করে নেবার একটা ভালো উপলক্ষ্য হতে পারে সেটা। অবশ্য বেকার এবং অকর্মণ্য মানুষেরা, মূলত বৃদ্ধেরা এই বিজ্ঞপ্তি দেখে ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করা শুরু করলেন। তারা এক ঝটিকা মিছিল করে মৃতবন্ত শ্লোগান দিয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করেন। সেখানে তাদের উদ্যোক্তা বলেন,

"কেন শুধু বৃহস্পতিবারকে প্রাধান্য দেয়া হবে? আমরা অথর্ব বৃদ্ধ অসুস্থ মানুষ। পরকালের ডাক শুনতে পাচ্ছি। আমরা বুড়ো বয়সে প্রচুর এবাদত করে পর্যাপ্ত পরিমাণ সোয়াব কামিয়েছি, এখন সুবিধেমত ওপারে গিয়ে অপ্সরা আর সুরার হিসেব বুঝে নিলেই হয়। তো আমরা যেকোন দিন অসুস্থ বা মৃত হতে পারি, এতে কর্মঘন্টায় কি রদবদল হলো বা কে বিশ্রাম পেলো না, কে শোকাভিভূত হলো, এসব ভেবে দেখার সময় আমাদের নেই। সারাজীবন তো কষ্ট করেছি, মৃত্যুটাও কি পছন্দমত দিনে হবে না?"

বক্তৃতার এ পর্যায়ে তিনি থেমে গিয়ে যথাযথ আবেগ প্রকাশ করলে সবার প্রবল হাততালি উপহার পান। তার বক্তব্য শেষে মঞ্চে অধিষ্টিত হন বেকার সমাজের একজন প্রতিনিধি। বৃদ্ধের করুণ থরোথরো ভাষণের পর তার তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠ শুনে সবাই নড়েচড়ে বসে।

"আমরা আপনাদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে এখানে এসেছি। আমরা বয়সের ভারে ন্যুব্জ নই, তবে হতাশার পেষণে ক্লান্ত। আমাদের তেমন কোন অসুখ বিসুখ নেই, তবে আত্মহত্যাপ্রবনতা আছে। উল্লেখিত প্রজ্ঞাপনে ঝঞ্ঝাট কমানোর জন্যে নাইলনের রশি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের অনেকেরই এই পন্থাটা পছন্দ নয়। আমাদের বিশাল একটি অংশ হতাশা ভুলবার জন্যে ঘুমের বড়ি সেবন করে। এতে নেশা এবং ঘুম দুই'ই হয়। আত্মহত্যা করার ক্ষেত্রে আমরা এটাকেই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হিসেবে মেনে নিয়েছি। এটা ব্যথাহীন এবং নরম মৃত্যুর নিশ্চয়তা দেয়। অনেকসময় ব্যর্থ হতেই পারি আমরা, কিন্তু সেক্ষেত্রে স্টোমাক ওয়াশকে ঝামেলা এবং কর্মঘন্টা থেকে বিয়োজন ধরে নিয়ে জরিমানা করাটা কোনমতেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা এর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।"



প্রবল করতালি শেষে তারা যখন সমাজের দন্ডমুন্ডের নির্বাহী আদেশের প্রতিবাদে বড় একটা জমায়েত করার সন্তুষ্টিতে কিছুটা জিরিয়ে নেবে ভাবছে, ঠিক তখনই বেরসিক, নিষ্ঠুর পুলিসের দল এসে তাদের ঠেঙিয়ে উচ্ছেদ করে ফেললো।



নগরবাসী, যারা এতক্ষণ দ্বিধার মধ্যে ছিলো, তারাও প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থান দেখে নিশ্চিত হয়ে গেলো যে বৃহস্পতিবারের ব্যাপারটা কোন কৌতুক নয়।



ব্যাপারটা কৌতুক তো নয়ই, এটা সাম্প্রতিক আলোচিত ঘটনাবলী এবং প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচীর মধ্যে সবচেয়ে উচ্চস্থানে থাকবে সেটা ঠাহর করা গেলো কিছু ঘটনা ঘটার পর।



ছেলেটি একা থাকে। তার মা সমুদ্রসমান ভালোবাসা নিয়ে পড়ে আছে দূরের সবুজ এক গ্রামে। সবুজ গ্রাম। কোমল মাটি। উড়োংধনু ফড়িং। মিঠে মেঠোপথ। সেখানে কোন সাপ্তাহিক ছুটি নেই। সাতদিন কাজ করার বালাইও নেই। তারা এখনও শহরের দিন মেপে একে অপরকে সহযোগিতা করার বা মরার নতুন প্রকল্প সম্বন্ধে জানে না। সেই মেঠোভুলোটিয়ে গ্রাম থেকে ছেলেটা কর্ম সংস্থানের জন্যে শহরে চলে এলো। কংক্রিট অরণ্যে রোপিত হলো আরো একটি শেকড়। অনেক গভীরে। শেকড় প্রতিস্থাপনের এই জটিল প্রক্রিয়ায় মানিয়ে নিতে না পেরে সে মানসিক বৈকল্য এবং শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হলো। শহরে নতুন হওয়ায় সে সাম্প্রতিক আলোচিত প্রজ্ঞাপনটি ঠিক বুঝে উঠতে পারে নি। তাই সপ্তাহের মধ্যিখানে যখন তার পেট নেমে গেলো, বার পনেরো বাথরুমে গিয়ে সে নেতিয়ে পড়লো, তখন তার ভয় হলো ভীষণ। সে কাতরস্বরে তার রুমমেটকে অনুরোধ করতে লাগলো তাকে হাসপাতালে নেবার জন্যে। রুমমেট ঝানু শহরবাজ। সে গ্রাম্য বালকটিকে এক পলক নিরীখ করে কড়া স্বরে সুধোলো,

-আজকে কী বার?

-জ্বী মঙ্গলবার।

-তাহলে আজকে তুমি কি মনে করে অসুস্থ হলে? আর হলেই যদি, তবে সেটা প্রকাশ করে সাহায্য চাইলে কেন? দিনকাল খুব খারাপ ভাইডি, চারিদিকে চর। কেউ যদি এখন পুলিসে খবর দিয়ে বলে যে, এই মেসের একজন পেট খারাপ হবার কারণে সপ্তাহের মাঝামাঝিতে রাত দশটার সময় হাসপাতালে যাবার জন্যে পীড়াপিড়ী করছে, তাহলে জরিমানাটা কি আমি দেবো?

অবুঝ গ্রাম্য বালক পেটের মোচড় ভুলে গিয়ে হা করে তাকিয়ে থাকলো। পরমুহূর্তেই বমি করে ঘর ভাসানোর পর সে আবারও তার অনুরোধের পুনরাবৃত্তি করতে থাকলে তার কক্ষ প্রতিবেশী বাধ্য হয়ে পুলিসে খবর দেয় এই গর্হিত আইনবিরোধী কাজটি করার জন্যে। তাকে দুইশত টাকা জরিমানা করা হয়, আর একরাত জেলযাপন। তার কক্ষ প্রতিবেশী সুচারূভাবে নাগরিক দায়িত্ব পালন করে আরামের একটা ঘুম দিয়ে পরদিন ঝরঝরে শরীরে অফিসে যায়।



এভাবেই গ্রাম্য বালক, আত্মহত্যাপ্রবণ কিশোরী, এবং শয্যাশায়ী বৃদ্ধেরা জেল জরিমানার সম্মুখীন হলে পরে তাদের আন্দোলন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসে। এই প্রকল্পটি সাফল্যের পথে এগিয়ে যায় এবং বৃহস্পতিবারে মৃত্যু এবং অসুস্থতার হার বাড়তে থাকে।



এই চক্রের মধ্যে পড়ে আমি পুষে রাখি পৈটিক গোলযোগ, আর কাশি এবং গ্যাসের সমস্যা। আমি তেত্রিশ বছর বয়সের তাগড়া জোয়ান। আমার তেমন অসুখবিসুখ নেই। সারা সপ্তাহ কাজ করি আর সাপ্তাহিক ছুটির দুইদিন ঘুমাই। তাই বৃহস্পতিবারের বায়নাক্কা নিয়ে আমাকে আপাতত চিন্তিত না হলেও চলবে। আর থাকিও পরিবারের সাথে। স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই। তাই কোন গোলযোগ হলে "বিশ্বস্ত সূত্রের ভিত্তিতে" আমাকে ধরে নিয়ে যাবে এমন সম্ভাবনাও নেই। সেই আমার একদিন বৃহস্পতিবার রাতে শরীরটা ভীষণ খারাপ লাগতে শুরু করলো সম্ভবত হাই ব্লাড প্রেসার। দরদর করে ঘামতে লাগলাম, আর মাথাটা মনে হচ্ছিলো কেউ একজন চেপে ধরে বসে আছে। চোখ বন্ধ করলেই মাথায় একটা চক্কড় লাগে। বাসায় প্রেসার মাপার যন্ত্র আছে। মেপে দেখা গেলো ১৪০/৯০। কিছুক্ষণ মাথায় পানি ঢালার পর কমবে কী, আরো বেড়ে দাঁড়ালো ১৫০/৯৫! হাসপাতালে মনে হয় যেতেই হচ্ছে! অসুস্থ হবার জন্যে চমৎকার একটি দিন। বৃহস্পতিবার। আমার স্ত্রী এবং বাবার অফিস নেই কাল। হাসপাতালে নেবার দরকার হলে ছুটোছুটি করতে কোনই দ্বিধা হবে না তাদের। আবার প্রেসার মাপলাম, ১৫০/১০০। বাসার সবাই বলতে লাগলো হাসপাতালে নেয়া দরকার। আমি এই শারীরিক বিপর্যয়ের মধ্যেও একটা আত্মশ্লাঘা অনুভব করলাম। মেসবাড়ি বা হোস্টেলে যেখানে ১৬০/১০০ প্রেসার না ওঠা পর্যন্ত অন্যদের ডাকা নিষেধ, আর আমি এবং আমার পরিবার ১৫০/১০০ রক্তচাপ নিয়েই হাসপাতালে যাবার বিলাসী চিন্তা করতে পারছি। পরিবারের সাথে থাকার সুবিধেটাই আসলে অন্যরকম। আর তাছাড়া আমার নিজেরও অনেক কাজ জমে ছিলো অফিসে। বুধবার বা মঙ্গলবার হলে বিপাকে পড়ে যেতাম। বাসার কাউকে না বলে হয়তো বা চুপ করে শুয়ে ঘামতাম। এই, প্রেসারটা মাপো তো আরেকবার,

১৪০/৯০

এইতো কমে আসছে। তবে বাড়লেও ক্ষতি ছিলো না। আজ বৃহস্পতিবার। হাসপাতাল বা কবরে যাবার জন্যে উৎকৃষ্ট একটা দিন।



সেই গ্রাম্য ছেলেটি, যে পেটের দুর্দিনে পেটের দুর্বিপাকে পড়ে জরিমানা গুনেছিলো, সেও ইদানিং শহরের হালচাল শিখে গেছে খুব। পেটব্যথা হলে এখন আর সে কাউকে ডাকে না। চুপিসারে মায়ের কথা মনে করে এক গেলাস স্যালাইন খেয়ে নেয়। সে শিখে গেছে শহরের বিচ্ছিন্ন এবং হঠাৎ জেগে ওঠা সামাজিকতা। যে ছেলেটি গ্রামে থাকতে তার পোষা বাছুরের অসুস্থতার জন্যে পশু চিকিৎসকের বাড়িতে যেতো দুবেলা, সে তার আশেপাশের মানুষের অসুস্থতা দেখলে ভ্রু কুঁচকে ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে দিন দেখে নেয়। হ্যাঁ, ছেলেটা এখন শহুরে আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিয়েছে, শরীরটা পোক্ত হয়েছে বেশ, আর চাকুরীও পেয়ে গেছে একটা কর্পোরেট হাউজে। সে এখন আর সবুজ ঘাসের মালা গলায় হাওয়ার মুকুট মাথায় বেঁধে আল ধরে হাঁটতে হাঁটতে মুরুব্বীদের শরীরের হাল হকিকত জানতে চায় না। এই শহর যাকে একবার নেয়, তার খোলনলচে পাল্টে দেয় পুরোপুরি।



...তারপরেও কেউ কেউ থাকে না, যাবতীয় নিয়ম আর শেকলের বিরুদ্ধতাবাদী, শহরবিমুখ, সবুজআকুল মেঠোমনের মিঠে মানুষ? ঐ যে, ফুটপাতের আবর্জনার সাথে বাস করা ক্ষুধার্ত শিশুটিকে অম্লানবদনে কোলে তুলে নিয়ে খাবার গুঁজে দেয় হাতে? তারা এসব মানতে চায় না। না চাইলে হবে কী, তাদেরও তো রোগবালাই আছে, এবং শহরের নিয়মানুযায়ী বৃহস্পতিবারের আগে অসুস্থ হওয়া বা মৃত্যুবরণ করা যাবে না, শরীর না মানলে তারা কি স্পর্ধার সাথে রোববার রাতে মেসের মানুষজনকে ডেকে অনুকম্পা চায় জেল জরিমানার ভয় না করেই?



হ্যাঁ,



-ভাই, আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। ছোটবেলা থেকে আমার হার্টের সমস্যা, কিছু একটা করেন!

সে অনুরোধ জানায় মেসবাসীকে। সবাই তার সাহস দেখে অবাক হয়ে যায়! সপ্তাহের সূচনাদিনে এমন করে কেউ বলতে পারে? মানুষের কি কাজকাম নেই? ঘুম নেই? বিশ্রাম নেই? ছেলেটির যে হার্টের ব্যারাম আছে তা কমবেশি সবাই জানে। একদম মরমর অবস্থা হলে অন্য কথা, কিন্তু সামান্য বুকব্যথার জন্যে কে এত ছুটোছুটি করতে যাবে? অসুস্থ হবার জন্যে বড় খারাপ একটা দিন। এখন যদি কেউ পুলিসে খবর দেয়, তাহলেই হয়েছে! মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হবে। সাথে হাজতবাস তো রয়েছেই! ছেলেটি আবারও অনুনয় করে, এবার বেশ তেজের সাথে

-ভাই, এসব বৃহস্পতিবারের অমানবিক নিয়মকানুন আপনারা কেনো মানছেন? এই আইনটা কি আপনাদের সভ্যতা পরিপন্থী মনে হয় না? আমরা মানুষ, কেউ স্বার্থপর, কেউ উদার, কেউ সুস্থ, কেউ অসুস্থ, এই ভিন্নতাই তো আমাদের সৌন্দর্য। এভাবেই তো আমরা পরস্পরের সাহায্যে এগিয়ে আসবো, মানবতাকে ঋদ্ধ করবো। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করছি, আমি সয়ে যেতে পারবো, বৃহস্পতিবারের জন্যে অপেক্ষা করতে পারবো। কিন্তু এ আমার প্রতিবাদ, অমানবিক আইনের বিরুদ্ধে। আসুন আপনারা, আমাকে হাসপাতালে নিন, সারারাত আমার পেছনে ব্যয় করুন, একটা দিন না হয় রাতে ঘুমুলেন না, কী এমন ক্ষতি হবে তাতে?

দেশের আইনের প্রতি এরকম খোলাখুলি বিরুদ্ধাচরণে সবাই স্তম্ভিত হয়ে গেলো। পুলিস ডাকার কথাও ভুলে গেছে সবাই। তবে গোলমাল শুনতে পেয়ে পুলিস উপযাচক হয়ে এসে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলো।



আইনভঙ্গ, নৈরাজ্যসৃষ্টি এবং রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার কারণে তার এক মাসের জেল হয়ে গেলো। সাথে দুই হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরো পনেরো দিনের জেল।



মা,

আমি ওদের এসব নিয়মকানুন মানতে চাইনি। মানুষের এই যে একে অপরের প্রতি সহানুভূতির অভাব, স্বার্থাণ্বেষণে অবিরত ছুটে চলা, মেপে মেপে কথা বলা, কড়া গুনে আবেগ প্রকাশ, এমন তো তুমি আমাকে শিখাও নি। তুমি আমাকে শিখিয়েছিলে পাখিপ্রকরণ, মেঘনামচা, আকাশচুরি। তুমি না আমাকে শিখিয়েছিলে মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ? মনে আছে তোমার? সেই যে আপা যখন মেডিক্যাল ফার্স্ট ইয়ারে পড়তো, আমি রাস্তা থেকে একজন মুমূর্ষু রোগীকে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম। রক্ত দরকার ছিলো তার। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হবার মতো সামর্থ্য তার ছিলো না। আমরা তার জন্যে ক্যানুলা, সিরিঞ্জ এসব কিনে ঘরেই রক্ত দিলাম। সেটা কী অপরাধ ছিলো মা? বলো! ধুর, তুমি তো কোনো কথাই বলতে পারো না। কেন তুমি হারিয়ে গেলে কথা না বলার দেশে? এখন এখানে আমাদের নিয়ম করে বাঁচতে হয়, দিন মেপে অসুস্থ হতে হয়, অসময়ে মৃত্যুও এখানে অসম্মানের ব্যাপার। আমি আর এসব নিতে পারছি না মা। আমিও তোমার কাছে যাবো। জেলখানার ত্রিশ দিনে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। ওরা আমার সাথে কেমন আচরণ করেছে তা বলে তোমার মন খারাপ করিয়ে দিতে চাই না। আমি চলে যাচ্ছি। ১২০টা ডরমিকাম ট্যাবলেট কিনেছি। আমার ফাঁসি নেবার সাহস নেই। আজ বৃহস্পতিবার। ওদেরই জয় হোক। আমার খুব আপন কিছু মানুষজন এখানেও আছে। লাশ সৎকার এবং শোকযাপনের জন্যে দুটো দিন তো ওরা পাচ্ছেই! তারপর গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে।



এটুকু লিখে কী মনে করে যেন খিলখিল করে হেসে উঠলো ছেলেটা। ট্যাবলেটগুলো ফেলে দিলো জানালা দিয়ে। চিঠিটা কুচিকুচি করে ছিড়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলো। তারপর ব্যাগ নিয়ে রওনা দিলো প্রাচীন সবুজের দিকে। যেখানে তার নাড়ী পোঁতা। মৃত্যুর জন্যে ভালো দিন বাছাই করার ঔদ্ধত্য সে দেখাতে চায় না। সে যাবে সেই পাখিদের নিবাসে, যেখানে বেঁচে থাকার জন্যে প্রতিটা দিনই ভালো। যাবার পথে দেয়াল থেকে একটা সেই দিবসীয় পোস্টার ছিড়ে নিলো। এটা দিয়ে কাগজের নৌকো বানিয়ে ঝিলের জলে ভাসানো যাবে।

মন্তব্য ১৩৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৫৫

নোমান নমি বলেছেন: শহরকে এক চোট নিয়ে নিলেন। অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়লাম। অনেক ভাল্রাগছে। তবে একটা জিনিস ভাবছি ছেলেটা না হয় চলে গেলো, শহরের শেষটা কি ছিলো? অন্যান্য সব নিয়মের মত এটাও মৌলিক নিয়ম হয়ে গেছে?

২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস নমি। শহরের নিয়তি শুধু বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া স্বার্থাণ্বেষী ইদুর দৌড়ে কে কতটা এগুতে পারে। যে জিতবে সেই সভ্য! একসময় শহর গ্রাস করে ফেলবে সব। গ্রামের যে চিত্র আমি ভেবেছি সেটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৫:১৬

বাকতাড়ুয়া বলেছেন: এই সভ্যতার নাটক ই আমাদের অসভ্য করে দিচ্ছে। গল্প খুব ই ভালো লাগলো :)

২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বলেছেন। শুভেচ্ছা।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৫৭

জাফরুল মবীন বলেছেন: অমানবিক অানুষ্ঠানিকতার শ্বাসরোধে মৃতপায় মানবতা!

ভালো লাগলো +++

২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৬:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫০

রাগিব নিযাম বলেছেন: ওরে... সেইইইইই হইসে! অসাধারণ! ++

২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরিব্বাপ, সাংঘাতিক লিখেছেন তো! চমৎকার লাগলো।

২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রতিদিনই বাঁচুন। ভালো থাকুন।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ভালো লেগেছে হামা ভাই।শুভ দুপুর।

২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হাসপাতালে বসে কিন্তু বাইরের এই ধরনের প্রবনতা বুঝা যায় না, বাস্তবতার সাথে তেমন মিল পেলাম না!! মানুষ এখনও অনেক ভালোই আছে, অন্তত আমার তাই মনে হয়!!

২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্পের বিষয়বস্তু ছিলো এক বিশেষ ধরণের বাস্তবতা, যেখানে খারাপটাই জুড়ে আছে সবখানে। আমি বিশেষ করে ঐ অংশটার ওপরেই আলোকপাত করেছি। তাই ঘটমান বাস্তবের সাথে মিল না পাওয়াই স্বাভাবিক। শুভেচ্ছা।

৮| ২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই বেঁচে থাকা !
খুব ভালো লাগলো হাসান ভাই !

২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অভি। শুভেচ্ছা।

৯| ২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
সভ্যদের নগরে ব্যস্ততার খোলসে চিন্তায় মনোবৈকল্যের ব্যবচ্ছেদ ৷ পাঠক বুঝলে উপলব্দিতে নাড়া খাবেন প্রচণ্ড রকমেই ৷ সরললৈখিক না বলে নিজের অভিযোজনহীনতাকেই চরম আঘাত করলেন ৷ একটি বিশেষ দিক দেখা যায় গ্রামের প্রেক্ষাপটকে তুলনায় মেলে ধরা যা আপনার অন্য গল্পগুলো থেকে স্বাতন্ত্র্য ৷

যাতে মুগ্ধ পাঠক ৷

২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠককে নাড়া দিতে পারলে লেখাটা সার্থক মনে করবো। অনেক ধন্যবাদ আল জাহাঙ্গীর।

১০| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

না পারভীন বলেছেন: মেজাজ কিঞ্চিত খারাপ ছিল, গল্প টি এক্সথাযথ সময়েই পড়া হয়েছে। গল্প পড়ে আবার কমেন্ট ও লিখছি, বুঝতে পারছেন গল্পটি অসাধারণ লেগেছে

২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পারভীন আপা। মেজাজ ভালো হয়ে যাক।

১১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: ইন্টারেস্টিং গল্প! গল্পটা পড়ে কি মন্তব্য করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না! শুধু বলছি গল্পের আইডিয়াটা ইউনিক। ভিন্ন ধরনের!

২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগলো। গল্পের আইডিয়াটা কিন্তু নিজের জীবন থেকেই নেয়া! মানে এক বৃহস্পতিবার রাতে আমার প্রেসার উঠে গেছিলো, তখন মাথায় এলো গল্পটা।

১২| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
মুগ্ধপাঠ!!!

২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যা।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ভয়ানক লেখা :)
চরমভাবে মুগ্ধ হলাম B-)

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আনন্দিত হলাম শুনে। শুভকামনা মইনুল ভাই।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৩

সাদরিল বলেছেন: আপনার সাম্প্রিতিক সময়ের গল্পগুলো পড়ে আপনার একটা প্যাটার্ন বের করার চেষ্টা করছি (আমার বিশ্লেষন ভুল হতে পারে)। আপনার গল্পগুলো কখনো মূল চরিত্রের সাথে মূল চরিত্রেরই দ্বন্দ্ব নির্ভর। আবার কখনো মূল চরিত্র নিজের সাথের দ্বন্দ্বকে অতিক্রম করে মিশে যায় সমাজ, শ্রেণী ও লাইফ স্টাইলের সাথে। এই গল্পটি দ্বীতিয় টাইপ গল্প এবং দারুন গল্প। প্রায়ই দাতের ডাক্তারে কাছে জ্জেতে হয়। সোমবার ব্যাথা উঠলেও বৃস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েইট করি।

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পর্যবেক্ষণ সাদরিল। শুভেচ্ছা।

১৫| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৯

চটপট ক বলেছেন: সে যাবে সেই পাখিদের নিবাসে, যেখানে বেঁচে থাকার জন্যে প্রতিটা দিনই ভালো।


গল্পে ভয়ানক ভালো লাগা :)

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১৬| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

চড়ুই বলেছেন: ভালো

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:১৯

ডি মুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: শহরের নিয়তি শুধু বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া স্বার্থাণ্বেষী ইদুর দৌড়ে কে কতটা এগুতে পারে। যে জিতবে সেই সভ্য! একসময় শহর গ্রাস করে ফেলবে সব। গ্রামের যে চিত্র আমি ভেবেছি সেটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বাহ, ভালোই বলেছেন।

২৮ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভভোর ডি মুন।

১৮| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অনুভূতিশূন্য নাগরিক সভ্যতা নিয়ে নিদারুন পরিহাস ।


ভালো লেগেছে গল্প । শেষটায় সবুজের কাছে ফেরার আকুতি বেশ লেগেছে ।

২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। শুভেচ্ছা।

১৯| ২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন এবং মুগ্ধ হলাম হামা ভাই। আপনার লাস্ট যে কয়টা গল্প পড়েছি, তার মধ্যে এটা আমার কাছে অন্যতম সেরা লেগেছে।

২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস কাভা। অনুপ্রানিত হলাম মন্তব্যে।

২০| ২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: তারপর ব্যাগ নিয়ে রওনা দিলো প্রাচীন সবুজের দিকে

সবাই তো আর এমন পারে না ! তবে আমি পারবো ! একদিন সব কিছু ফেলে ঠিকই চলে যাবো...... ঠিক চলে যাবো.....

২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখা যাবে! শুভকামনা রইলো।

২১| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

ফা হিম বলেছেন: ওরে বাপ্‌স্‌!!! তবে কে বলতে পারে, একদিন হয়তো এমন নিয়মও চালু হয়ে যাবে... যান্ত্রিক শহরের অমানবিক বাস্তবতা, গরীব এবং প্রভাবশালীদের ক্ষেত্রে আইনের পক্ষপাতমূলক প্রয়োগের ব্যাপারটা সুন্দর ফুটে উঠেছে।


অফটপিক ঃ খোলনলচে শব্দটা আপনার বুঝি খুব প্রিয়, তাই না হামা ভাই?

২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহিম। আপনি মনোযোগী পাঠক, চোখ এড়ায় নি। হ্যাঁ শব্দটা বেশ লাগে। শুভেচ্ছা।

২২| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

অচিন্ত্য বলেছেন:
সেই হইসে। সেই। সব বাদ দিয়ে চিঠি ছিঁড়ে ফেলে ওষুধ ফেলে দিয়ে নগর আর নাগরিক শাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সবুজের টানে ফিরে যাওয়া। আহ। দেখতে খুবই শান্তি লাগছে। কিন্তু আমি তো সেই বৃহস্পতিবারেরই অপেক্ষায় আছি। ক্যালেন্ডারটা ভাল করে দেখতে হবে কোনভাবে অদল বদল করা যায় কিনা।

২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: বদলে ফেলো সব। অন্তত একদিনের জন্যে হলেও। ফিরে চলো।

২৩| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: দারুন একটা লেখা পড়লাম। সতিই অসাধারণ।

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শুমা। শুভবিকেল।

২৪| ২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৫

খাটাস বলেছেন: সত্যজিৎ রায়ের "হীরক রাজার দেশে" অন্যায় শাসনের আমরণ প্রতিলিপি- যা যুগে যুগে থাকবে।
আপনার পড়া গল্প গুলোর মাঝে এটা সবচেয়ে অসাধারণ, হীরক রাজার দেশে গল্পটার আধুনিক প্রতিলিপি নিঃসন্দেেহ- আমার দৃষ্টিতে।
রেখে দিলাম বক্সে।
তবে একটু অভিযোগ আছে, তা গল্পের বর্ণনা নিয়ে। কিছু জায়গায় যেমন রোগের বর্ণনা দেয়ার ভাষা গুলো নতুন হাতের লেখার মত কাচা মনে হয়েছে- আমার কাছে। ভুল হতে পারে। তবে ভাষার বুনন আর একটু শক্ত হলে ষোল কলা পূর্ণ হত।
গল্পে ভাল লাগা। শুভ কামনা জানবেন।

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। রোগের বর্ণনা দেয়ার অংশটা নতুনকরে আরেকবার পড়ে দেখবো আর কী কী বদল করা যায় ভাববো। এভাবে খামতিগুলো ধরিয়ে দিলে খুব ভালো হয়।

ভালো থাকবেন।

২৫| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: বৃহস্পতিবারের ব্যাপারটা কিন্তু খারাপ না ;) ;) ;)
বিষয়টা ভেবে দেখবার মত ;)


হাঃ হাঃ হাঃ

তারপর ব্যাগ নিয়ে রওনা দিলো প্রাচীন সবুজের দিকে। যেখানে তার নাড়ী পোঁতা। মৃত্যুর জন্যে ভালো দিন বাছাই করার ঔদ্ধত্য সে দেখাতে চায় না। সে যাবে সেই পাখিদের নিবাসে, যেখানে বেঁচে থাকার জন্যে প্রতিটা দিনই ভালো। যাবার পথে দেয়াল থেকে একটা সেই দিবসীয় পোস্টার ছিড়ে নিলো। এটা দিয়ে কাগজের নৌকো বানিয়ে ঝিলের জলে ভাসানো যাবে।


'' মা আমি আসছি, শাক পাতা কিছু রান্না করো...............''

+++++++++

৩০ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৫:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভভোর।

২৬| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ;) ;)

৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এর মানে কী? :||

২৭| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

রোদেলা বলেছেন: পড়তে গিয়ে প্রথমটায় চোট পেলেও শেষ টা এসে সস্তি পেলাম।

৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষটা অন্যরকম করার ইচ্ছে ছিলো। আমি নিজেও অস্বস্তি বোধ করছিলাম। তাই আশাবাদপূর্ণ সমাপ্তি। শুভেচ্ছা রোদেলা।

২৮| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খিলখিল করে হেসে উঠলো ছেলেটা। ট্যাবলেটগুলো ফেলে দিলো জানালা দিয়ে। চিঠিটা কুচিকুচি করে ছিড়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলো। তারপর ব্যাগ নিয়ে রওনা দিলো প্রাচীন সবুজের দিকে। যেখানে তার নাড়ী পোঁতা। মৃত্যুর জন্যে ভালো দিন বাছাই করার ঔদ্ধত্য সে দেখাতে চায় না। সে যাবে সেই পাখিদের নিবাসে, যেখানে বেঁচে থাকার জন্যে প্রতিটা দিনই ভালো। যাবার পথে দেয়াল থেকে একটা সেই দিবসীয় পোস্টার ছিড়ে নিলো। এটা দিয়ে কাগজের নৌকো বানিয়ে ঝিলের জলে ভাসানো যাবে।

সবাই চলো সবুজে! পাখিপ্রকরণ, মেঘনামচা, আকাশচুরি, মানুষের প্রতি বিশ্বাসের দেশে.............................

+++++++++++++++++++++++++

৩০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

২৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৪২

এম এম করিম বলেছেন: বৃহস্পতিবারের আইডিয়াটা ইনোভেটিভ লাগলো।
ভালো লাগলো।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভভোর।

৩০| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: নিজের মধ্যেও এই অমানবিকতা আর নির্লিপ্ততা অনুভব করি মাঝে মাঝে,লজ্জিত হই।
ফিরে যেতে পারে কেবল নায়করাই।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা বরাবরই খলনায়ক হতে অভ্যস্ত, অথচ ভাবি যে পার্শবচরিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছি।

স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

হায়দার চৌধুরী বলেছেন: অসাধারণ! পড়ে মুগ্ধ হলাম!

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩২

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: যান্ত্রিকতাময় আমাদের এ শহরে সত্যি সত্যি এমন দিন আসতে দেরি নেই।

ভাল লাগলো।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৩৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থিমটা দারুণ।

আপনার আশাবাদি গল্পগুলোর মাঝে একটা। ছেলেটা শহুরে ঘড়িয়ালদের একজন হয়ে বৃহস্পতিবারকে কেন্দ্র করে বাচতে পারত, কিন্তু এক লাইনের মোচড়ে সে ফিরে গেল সবুজে। প্রতিটি সম্ভাবনাই ইন্টারেস্টিং।

তেত্রিশ বছরের তাগড়া জোয়ান ন্যারেটরের কি হল? এইখানে আবার নিরাশাবাদের মাথা জাগান দেওয়া দেখতে পাই। সে কি ওই বৃহস্পতি-চক্রেই আটকা পড়ে গেছে?

সবমিলিয়ে ভাল লাগল আইডিয়াটা। অষ্টম প্লাস।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর।

হ্যাঁ, সে হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়াদেরই গল্প এটা, তবে শেষটায় আশাবাদ রেখে দিলাম।

শুভরাত্রি।

৩৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা পড়েছিলাম আগেই।

শহরবাসীদের সভা সমাবেশ, শ্লোগান এবং নগর কর্তৃপক্ষের ব্যাপার গুলো মজা লাগলো। আধুনিক নগরায়নে মানবিকতা আড়াল হয়ে গেলেও একেবারে যায়নি আসলে।

ছেলেটার গ্রামে প্রত্যাবর্তন এবং প্রতিবাদ ভালো লেগেছে। শুভ সমাপ্তি, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী সবসময়ই ভালো লাগে।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা। শুভদুপুর।

৩৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এক কথায় দুর্দান্ত লিখেছেন হামা ভাই।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই। শুভেচ্ছা।

৩৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

প‌্যাপিলন বলেছেন: কর্পোরেট নিষ্পেশনের ফলে কতগুলো অবদমিত ক্ষোভের একটি আপনার গল্পে খুব চমতকার অনুদিত হল

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। কোথায় হাওয়া হয়ে গেসিলেন?

শুভবকেল।

৩৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: নাগরিক সার্কাস নিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ । ভালো লাগলো ভীষন ।

:-B

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,

[ মন্তব্যটি গতকালের করা । টেকনিক্যাল কারনে গতকাল এটা দিতে পারিনি, দুঃখিত । সম্ভবত আমেজটুকু নষ্ট হয়ে যায়নি । ]

যান্ত্রিক এই সভ্যতা, খোলনলচের পুরোটা বদলে দেবার আগে ঘুমের ট্যাবলেট ফেলে দেয়া ছেলেটির মতো কিছুটা মানবিক হতে চাই বলে , নিষেধ অমান্য করে আজ বুধবার মানবিক এই মন্তব্যটি করছি ।

যাতে কাল বেষ্পতিবার, মন্তব্য পেয়ে সন্তুষ্টির প্রবল আবেগ আর সুখের আতিশায্যে লেখকের রক্তচাপ যেন লঘু হয়ে ৬০/৪০ তে নেমে আসে । এতে মৃত্যু অবধারিত হলে নগর কর্তৃপক্ষের আদেশ যেমোন শিরোধার্য্য করা হবে তেমনি তার আত্মীয় স্বজন সহ সমগ্র ব্লগাররা ........... ।

শোককৃত্য পালনের পরে রোববার কর্মদিবসে আবার হানা দিয়ে তারা দেখবে লেখক পরলোক থেকে " প্রতিবাদী মানুষ"হয়ে ফিরলো কিনা কর্তৃপক্ষের সব আদেশ আমান্য করে ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখক পরলোক থেকে কিছুই অবলোকন করার সুযোগ পাবেন না। নরকে প্রতিদিনই ঠাসা ব্যস্ততা হাহা।

ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্যে। শুভসন্ধ্যা।

৩৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,



কে বললো , লেখক নরকে যাবে ?
যে লেখক লিখতে পারে , --- তারপর ব্যাগ নিয়ে রওনা দিলো প্রাচীন সবুজের দিকে। যেখানে তার নাড়ী পোঁতা। তার তো স্বর্গে যাবার কথা । স্বর্গে ভিডিও কন্ফারেন্স করার ব্যবস্থা আছে , জানেন তো ? তাই ঐপারে তেমন অসুবিধা হবার কথা নয় ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বর্গে গেলে মানুষ স্বার্থপর হয়ে যায়। তখন আর এই ধূলো কাঁদার স্মৃতি মনে পড়বে না। এর চেয়ে পৃথিবীতে থেকে স্বর্গে না গড়তে পারলেও কিছু সবুজ গড়ি...

শুভেচ্ছা।

৪০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩১

হালি্ বলেছেন: গল্প ভালোলাগলো, কিন্ত শুক্রবার আইসা পরছে হামা ভাই :((

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকে অসুস্থ হন। অনেক সেবা পাইবেন।

৪১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

আরুশা বলেছেন: আপনার গল্প বরাবরের মতই অসাধারণ হাসান ভাই। সত্যি কথা বলতে কি, আপনার লেখা পরতেই অনেক সময় হাজার ব্যস্ত থাকলেও লগ হই ব্লগে :)
++++++++++্

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুনে সম্মানিত বোধ করছি। ধন্যবাদ আরুশা।

৪২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

ডি মুন বলেছেন: আবারো পড়লাম এবং প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

অদ্ভুত বাস্তবতা। গতিশীল অথচ ক্লিশে জীবন। কিসের পেছনে আমরা? এভাবে কতদূর যাওয়া যায়?

নাগরিক জীবনের অবসাদ। ক্লান্তি। প্রতিবাদ। হৃদয়হীনতা। সবুজে ফিরে যাওয়ার আহবান। যেহেতু একটাই জীবন।

ইমন জুবায়েরের কথা মনে পড়ে। কেন জানিনা, এমন লেখা দেখলেই যেন মনে হয় ইমন জুবায়েরকে ভীষণ মনে পড়ে। মন নরম হয়ে যায়। কারণ তিনিও গ্রাম্য কৃষক অথবা রাখালের জীবন কামনা করতেন।


সবমিলিয়ে দারুণ একটি গল্প। একটি দুর্দান্ত স্যাটায়ার। লিখে চলুন নিরন্তর; প্রিয় হাসান ভাই ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডি মুন।

ইমন ভাই ছিলেন নগরঋষি। আশ্চর্য কোমল মনের এক জ্ঞানতাপস। আমার লেখা তাকে মনে করিয়ে দিয়েছে জেনে আপ্লুত হলাম।

শুভবিকেল।

৪৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২২

আরজু পনি বলেছেন:

দয়া করে ইদের পরের দুই একদিনের মধ্যে কেউ অসুস্থ হবেন না :|

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা সরকারী প্রজ্ঞাপন আকারে আসা উচিত।

৪৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

আমার আমিত্ব বলেছেন: ভালো আইডিয়া দিয়েছেন আপনি।

তবে মৃত্যুর জন্যে ভালো দিন বাছাই করার ঔদ্ধত্য আমরা কেউই হয়ত দেখাতে চাই না।


পুরো গল্পই যেন শেষ অংশের জন্য অপেক্ষা করে ছিল।


শুভেচ্ছা।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৬

সুমন কর বলেছেন: বুক মার্ক করা ছিল। আজ পড়লাম। প্রথম দিকের শুরু ও নগর কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাপন দারুণ লাগল। আইডিয়াটা মন্দ না। ঐ বারে মরলে, আসলেই কর্মজীবীদের কিছু ঝামেলা কমে যায়।

এরপর গল্পে যান্ত্রিক সভ্যতাকে ধুয়ে ফেলাটা উপভোগ করলাম।

মনে হয়, কিছু নতুন শব্দ দেখলাম।

উড়োংধনু ফড়িং, পৈটিক গোলযোগ।

মাকে লেখা চিঠি হৃদয় ছুঁয়ে গেল। আমার কাছে, আপনার এ গল্পটি অনেক ভাল লাগল। বাক্য আর শব্দবুনন বেশ হয়েছে।

মানুষের এই যে একে অপরের প্রতি সহানুভূতির অভাব, স্বার্থাণ্বেষণে অবিরত ছুটে চলা, মেপে মেপে কথা বলা, কড়া গুনে আবেগ প্রকাশ, এমন তো তুমি আমাকে শিখাও নি। তুমি আমাকে শিখিয়েছিলে পাখিপ্রকরণ, মেঘনামচা, আকাশচুরি। তুমি না আমাকে শিখিয়েছিলে মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ?

আপনি আমাকে সব সময় লাইক দিয়ে উৎসাহ দেন, ভাল লাগে।

হা-মা ভাই লাইক।

ভালো থাকবেন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।

৪৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অভিনন্দন হাসান মাহবুব। অবশেষে আপনার সমর্থিত দল সেমিতে। :)

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু।

৪৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

আলম িসিিদ্দকী বলেছেন:
সেখানে কোন সাপ্তাহিক ছুটি নেই। সাতদিন কাজ করার বালাইও নেই। তারা এখনও শহরের দিন মেপে একে অপরকে সহযোগিতা করার বা মরার নতুন প্রকল্প সম্বন্ধে জানে না। সেই মেঠোভুলোটিয়ে গ্রাম থেকে ছেলেটা কর্ম সংস্থানের জন্যে শহরে চলে এলো।

আহা, মাহবুব ভাই কত সাবলীল আপনার বয়ান ! বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। অনেক ভালো লাগলো।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

জিএম শুভ বলেছেন: বৃহস্পতিবারে মরার যুক্তিটা টেকনিক্যাল্লি ভাল্লাগছে B-)

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো একটা বৃহস্পতিবার দেইখা মৈরা যান!

৪৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: Ami nirbak! Thursday kobe?

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: যে কোন ছুটির দিনের আগের দিন হলো বিষ্যুদবার।

৫০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ফটিকের কথা মনে পড়ে গেল, বেচারা তো টিকতে না পেরে মরেই গেল।চমৎকার লেখা। ফার্স্ট ক্লাস।

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রায়ান। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৫১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনেক দেরি করে পড়লাম। কিন্তু ভালো লাগা কাজ করলো।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভভোর দুর্জয়।

৫২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

হামিদ আহসান বলেছেন: আমার এক আত্মীয় মৃত্যুপথযাত্রী। আমি ভাবছিলাম ওনি মারা গেলে যেন বৃহ্সপতি বার মারা যান। অন্যদিন মারা গেলে কীভাবে যাব। র্কমস্থল পরির্বতন করে নতুন ব্যাংকে যোগ দিলাম। এখন কি ছুটি পাব? আর তখনই দেখলাম আপনার গল্পটি............................

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা অনেকেই এমন ভাবি। মাঝেমধ্যে ভাবনার নগ্নতা এমন প্রকট হয়ে ওঠে।

শুভদুপুর।

৫৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

জেরিফ বলেছেন: অন্যরকম ভালো লাগলো , ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা ।

এককথায় অসাধারণ ............

১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জেরিফ। শুভকামনা।

৫৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: চরম!

শহরের সামাজিক নিয়মের কাবজাব ভেঙে যে ছেলে গ্রামে ফিরে গেছে, সে গিয়ে নতুন নিয়ম করে নেবে গ্রামে।

গ্রাম শহর হতে গিয়ে হয়ে যাবে বিতিকিচ্ছিরি। গ্রাম আর গ্রাম নেই হাসান ভাই।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: একদিন সবকিছু শহরের পেটে যাবে। একদিন বৃহস্পতিবার বলে কিছু থাকবে না।

৫৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

সায়েম মুন বলেছেন: এই শহর যাকে একবার নেয়, তার খোলনলচে পাল্টে দেয় পুরোপুরি।
----ঠিক তাই। জীবনের কোমল অনুভূতিগুলোর মোড় ঘুরিয়ে জড় বস্তুতে রূপান্তর করার জন্য শহরটা যথেষ্ঠ।
ছেলেটার মত ব্যাগ পোটলা গুছিয়ে আবারও গ্রামে যেতে পারলে মন্দ হতো না। কিন্তু ফেরারও তো জো নেই। খিদে যেখানে নিত্য প্রহর---কর্ম সেখানে অষ্টপ্রহর।
অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়া হলো। ভাল লাগলো বৃহস্পতিবারে মরার যৌক্তিকতা। ভাল থাকুন হামা। এভাবে লিখে যান অবিরত।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম চন্দ্র। লেখায় ফিরুন আবার।

৫৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ;) ;) এর মানের রিপ্লাই দিতে লেট হয়ে গেলো, দুঃখিত!
মানে আহামরি কিছুনাহ, বেশ অনেক দিন পরপর দেখা হচ্ছে বেশ খানিকটা বিরতিতে ... দেখা হচ্ছে বলতে ব্লগ দেখা হচ্ছে বোঝাচ্ছি...
আমার অনিয়মিত থাকাতেই বোধহয়... :(
যাহোক, ভালো আছেন নিশ্চয়ই??
B-)

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি। নিয়মিত হন। দেখা হবে। শুভবিকেল।

৫৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: এটা তোমার একটা মাস্টারপিস হয়েছে। শহুরে জীবন, মানবিকতা, কালো আইন, স্বৈরতন্ত্র সবগুলোকে বেশ ভালোই ঘুটা দিয়েছ। গ্রেট।

তোমার বেশিভাগ লেখাই ভালো হয়, এ পর্যন্ত হয়ত শ এর কাছাকাছি গল্প পড়েছি তোমার লেখা, পড়ার সময় বেশ ভালো লাগে, উপভোগ্য কতকটা হৃদয়ে ঝড় তোলে, কতগুলো আবেগকে নাড়া দেয় ভীষণ কিন্তু সত্যি বলতে কি কয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলো আবার বেমালুম ভুলে যাই। তবে এই গল্পটার প্লট মনে হয় মগজে স্থায়ী হয়ে গেল। অনেক ভালো লিখেছে।

শুভকামনা রইল, এমন আরও কালজয়ী লেখা আমাদের উপহার দিবে এই প্রত্যাশা তোমার কাছে।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কমেন্টে তো চাপের মুখে পড়ে গেলাম! তবে এমন চাপ সবসময়ই চাই!

ভালো থাকুন দেবদূত ভাই।

৫৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:১৩

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: এই শিরোনাম দেখেই চমকে লগইন করলাম। কিছুদিন আগে মরতে মরতে বেঁচে ফিরেছি। হাসপাতালে ভর্র কথা যখন হচ্ছিল, তখন ভাবা হচ্ছিল আমার হাজবেন্ড কবে ছুটি নিয়ে আসতে পারবে? বৃহস্পতিবার হলে স্টেশন লিভসহ শুক্র-শনি ছুটি পাবে!!!
এমন অসম্ভব নিষ্ঠুর বাস্তব সত্যের শিরোনামের গল্প আমি বহু বছর পড়িনি। আপনি লেখালেখির জগতে পুরো ভিন্ন মাত্রা আনছেন। আমার একটা দোষ হচ্ছে নিজের জ্ঞান সীমিত থাকায় দোষ খুঁজতে কষ্ট হয়। আপনার গল্পটি এত অবাক করে দিয়েছে যে দোষ ত্রুটি বা ভ্রান্তি খোঁজার দুঃসাহস নেই। ভাল থাকুন।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার নিজেরও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই এই গল্পটি লেখার ভাবনা মাথায় এসেছিলো। ভালো থাকুন, সৃজনে থাকুন।

শুভেচ্ছা।

৫৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

লিরিকস বলেছেন: ভাইয়া আপনার ভালো লাগা কিছু গানের একটা লিস্ট দেবেন আমাকে।

প্লিজ।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার প্রিয় গানের লিস্ট তো বিশা...ল। আচ্ছা দেবো। আমাকে ফেসবুকে এ্যাড করে নিয়েন।

৬০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:০৪

অপ্রতীয়মান বলেছেন: সমাজের ধরাবাঁধা নিয়ম ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়া, নিজের মুক্তি খুঁজে নেয়া। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বিফল হয়ে যাই কিংবা সফলতার দরজা আমাদের সামনে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। এই ছেলেটার মত ছুটে গিয়ে নিজের স্বাধীনতা নিয়ে নিতে পারলে মন্দ হতো না।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। শুভ সকাল।

৬১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ছোটবেলায় বিটিভিতে তৌকির আহমেদ ও মুনিরা ইউসুফ মেমি অভিনিত "ফিরিয়ে দাও অরণ্য" নামে একটি ধারাবাহিক নাটক দেখাতো্ । পোস্টের শেষ এ এসে কোথায় যেনো সেই নাটকটির আকুতিটা মনে পড়ে গেলো।

বৃহস্পতিবার নিয়ে এই লেখাটি পড়তে গিয়ে নিজেকে বারবার দেখছিলাম। আসলেইতো আমি অসুস্থ্যতাবিষয়ক ব্যপারগুলি সবসময়ই চাই বৃহস্পতিবারে ঘটুক, কিভাবে জানি আমার ক্ষেত্রে অনেকসময়ই তা ঘটেও। তখন আশ্চর্য্যহয়ে লক্ষ্য করি বৃহস্পতিবারে এই টাইপ ঘটনাগুলি ঘটলে কেমন জানি হাঁফ ছেড়ে বাঁচি । ভাবি ঝামেলাগুলি শনিবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আপনি আসলেই ওয়ান এন্ড অনলি।

অনেকদিন পর ব্লগে আবার নিয়মিত হবার চেষ্টা করব বলে মনস্থির করেছি্। তবে কতদিন পারি তা জানি না। ভাল থাকবেন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিয়মিত হন। শুভেচ্ছা।

৬২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে হার্টের রোগ ভেবে কাবু না হয়ে গ্যাসের ট্যাবলেট খান। ভালো হয় সিরাপ পান করলে। অনেকসময় গ্যাসের চাপ হার্টএ্যাটাকের মতো দেখায়। আর এতেও যদি সমাধান না হয় তবে বৃহস্পতিবারের জন্যে অপেক্ষা করুন।

হাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাা াাাাাাাাাাাাাাাাাাাাা

বৃহস্পতিবারে মরার জন্য আবেদন আল্লাহকে দরখাস্ত পাঠাতে হবে।
বৃহস্পতিবারে আজরাইলকে নিমন্ত্রণ আমার বাড়িতে। ................এই জাতীয় দরখাস্ত লিখতে হবে আকাশের ঠিকানায়।

অভিনব পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ হাসান মাহবুব।

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে ধন্যবাদ মুন। শুভরাত্রি।

৬৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

টুম্পা মনি বলেছেন: শেষের চিঠিটা পড়ে খুব দুঃখ পেলাম। মনের সব কথাগুলো যেন ঐখানে। :( :( :( :( :( অনেক ভালো লাগল।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস টুম্পা।

৬৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: আশ্চর্য এই !! তারপরো দেখা যায়, এই আপনি আমি আমরাই শহরটা ছাড়তে পারি না, বাধ্য হয়ে আটকে আছি বলে প্রবোধ হয়তো দিতে পারি, কিন্তু, ডিপ ইনসাইড, আমরা কী এই আজব ভূখন্ডটা ভালোবাসি না ?
গ্রামের ব্যাপারে দূর্বল করে দিলেন। বিশেষ করে এইজায়গায় - সবুজ গ্রাম। কোমল মাটি। উড়োংধনু ফড়িং। মিঠে মেঠোপথ।

খেলাটা আপনার পছন্দ হোক বা না হোক, ছেলেটা কিন্তু হেরে গেছে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা ভ্রাতা।

৬৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১১

অর্নি বলেছেন: অসাধারন!!

৩১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অর্নি!

৬৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট হাসান ভাই। ভাবিয়েছে বেশ। সমাজ বৃহস্পতিবারের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করবে কি করে ?? প্রজ্ঞাপনের ভাষা বিন্যাস দেখে মনে হচ্ছিল সরকারি চিঠি পড়ছি।



শুভ সন্ধ্যা :)

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৬৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০১

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: দারুণ। ছেলেটার সাথে চলে যেতে পারলে ভালো হত! :(

ক্যানো জানি আমার একটা লেখার কথা মনে পড়ে গেলো।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কোন সে লেখা?

৬৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: এটা ভাইয়া View this link

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: গ্রেইট!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.