নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(কৌতুক-১)
টিভির এক চ্যানেলে গতানুগতিক লাইভ প্রোগ্রাম হচ্ছে। উপস্থাপিকাঃ হ্যালো, আপনি কোথা থেকে কল করেছেন?
কলারঃ ঢাকা থেকে
উপস্থাপিকাঃ ঢাকার কোথা থেকে?
কলারঃ লালমাটিয়া
উপস্থাপিকাঃ ওয়াও! আমিও লালমাটিয়াতে থাকি! লালমাটিয়ার কোথায় থাকেন আপনি?
কলারঃ আমিনুদ্দি এপার্টমেন্টে
উপস্থাপিকাঃ কি আশ্চর্য!! আমিও তো ওই এপার্টমেন্টে থাকি!! আপনার ফ্ল্যাট নাম্বার কত??
কলারঃ আরে উজবুক! আমি তোমার স্বামী! বাসার চাবি তুমি কোথায় রেখে গেছো!”
হাস্য গবেষণা কেন্দ্রের মিটিংয়ে কৌতুকটি পরিবেশিত হলো। তারপর চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন এলো এরকম,
"কৌতুকটিতে বেশ কয়েকটি গলতি রয়েছে। প্রথমত, স্বামী ভদ্রলোক প্রথমেই কেন বললেন না চাবির কথা? দ্বিতীয়ত, এখানে লালমাটিয়ায় বসবাসরত বিবাহিতা নারীদের মোটাদাগে উপস্থাপন করে এক ধরনের বৈষম্য প্রকাশিত হয়েছে। কল্পিত কোন নাম ব্যবহৃত হলে সমস্যাটা কাটানো যেতো। তৃতীয়ত, উপস্থাপিকা মহিলা টেলিফোনে তার স্বামীর গলার স্বর চিনতে এত সময় নিলেন কেন? তবে কি এটা আমাদের সমাজের ভেঙে পড়া দাম্পত্য ব্যবস্থাকে আরো উশকিয়ে দিতে উৎসাহ যোগাবে? এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চতুর্থত, স্বামী ভদ্রলোক উজবুক গালি দেয়ায় উজবেকিস্তানের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন, যেটা স্পষ্ট রেসিজম। সবদিক বিবেচনা করে কৌতুকটিকে হাস্য অনুপযোগী বিবেচিত করা হলো"।
ঢাকা শহরের হাস্য গবেষণা কেন্দ্রের বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। এই অঞ্চলের মানুষ হাসতে ভুলে গেছে। যদিও পৃথিবী এখন খাদ্যে, প্রাচুর্যে, বিত্তে, বস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, সবার জন্যে রয়েছে কাজ এবং বাসস্থান। তারপরেও ঢাকার মত বিভিন্ন শহরে মানুষ হাসতে ভুলে যাচ্ছে। এটা আদতে কোন সমস্যা ছিলো না, কারণ হাসতে না পারলেও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে, কাজ করতে পারে। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা হঠাৎ করে বাড়তে থাকলে এটা নিয়ে একটা সমীক্ষা চালানো হয়, এবং সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় যে হাস্যহীনতার দরুণ মানুষ স্নায়বিক এবং উচ্চরক্তচাপে ভুগে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে করে শহরের কর্মযজ্ঞ ব্যাহত হলে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটাকে গুরুত্বের সাথে নেয়, এবং হাস্য গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত করে। বর্তমানে হাস্য গবেষণা কেন্দ্রের কর্মপরিধি ব্যাপক। এখানে মোটা বেতনে চাকুরী করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী আমলারা পায়াভারী পদবী বগলদাবা করতে ছাড়েন না। সরকার হাস্য মন্ত্রনালয়ও খুলেছে হাস্য উন্নয়নের জন্যে। প্রচুর টাকা, প্রচুর মেধা ব্যয় হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মানুষ হাসছে না। হাস্য গবেষণা কেন্দ্রের একটি বড় শাখা হলো কৌতুক গবেষণা। আগেকার যুগে মানুষ কী ধরনের কৌতুক পড়ে হাসতো তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয় এখানে। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে তারা এমন একটি কৌতুক রচনার গবেষণায় মশগুল যা মানুষকে হাসাবেই। তাই জনপ্রিয় প্রাচীন কৌতুকগুলোকে কাটাছেড়া করে তা যুগোপোযোগী করা যায় কী না সেটা নিয়ে তারা এন্তার ভাবছেন।
(কৌতুক-২)
রাতের বেলা চান্দু ঘুমাতে গেলো। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে সে মশারি টানালো। কিন্তু ভুলক্রমে একটা জোনাকি পোকা মশারির ভেতর ঢুকে পড়ল। বাতি নিভানোর পরে চান্দু যখন জোনাকিটা দেখল তখন হাহাকার করে উঠে
বলল...হায় হায়!! মশা তো আমারে টর্চলাইট জ্বালাইয়া খুঁজতেছে! আমি এখন কই যাই?"
গবেষণালদ্ধ ফলাফলঃ
এই কৌতুক থেকে আমরা দেখতে পাই, চান্দু নামের যুবকটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। তাই জোনাকি আর মশার মধ্যে তফাৎ বোঝার সক্ষমতা তার ছিলো না। মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকা একজন মানুষকে নিয়ে হাস্যরস সমীচীন নয়। অথবা এমনও হতে পারে, সে নেশাগ্রস্ত। তাই তার স্বাভাবিক বুদ্ধি লোপ পেয়েছিলো। নেশার করাল গ্রাসে যুবসমাজ আক্রান্ত। সেটাকে গ্লোরিফাই করে কৌতুক বানিয়ে হাসাটা রীতিবিরুদ্ধ। এছাড়াও চান্দুর জীবন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে আমরা দেখতে পাবো, সে একজন দরিদ্র এবং উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলে। কোনো স্বাভাবিক পরিবার তাদের সন্তানাদির নাম চান্দু রাখবে না। চান্দু নামটি অপরাধপ্রবন মানুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে কি এটা তাদের নতুন কোন অপরাধের পায়তারা? অনেক অসঙ্গতি এবং অপ্রীতিকর বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত কৌতুকটিকে হাস্য অনুপযোগী ঘোষনা করা হলো।
মানুষ হাসছে না, মানুষ মরছে। মানুষ হাসছে না মানুষ কাঁদছে। মানুষ হাসছে না, তবুও ভালোবাসছে। বিজয়ী মানুষ হাসছে না। আনন্দাশ্রূ বলে কিছু নেই। আছে শুধু বেদনার অশ্রূ। এমন কী কিছু কিছু শিশুও জিনগতভাবে বিবর্তিত হয়ে হাস্যহীন হয়ে জন্মাচ্ছে। শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে দুর্গমতম অঞ্চলেও হাস্যহীনতার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। বেশিরভাগ বিজ্ঞ ব্যক্তিই মনে করেন কারণটা সামাজিক না, জীবতাত্ত্বিক। নইলে না হাসার তো কোনো কারণ নেই। ভয়ানক কোনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে হাস্যআলস্য তৈরি করছে বলে তাদের ধারণা। এর স্বপক্ষে অবশ্য এখনও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। সমাজ গবেষকেরা বলেছেন অঞ্চলভেদে মানুষের হাস্য উৎপত্তির কারণ বিভিন্ন হতে পারে। সবার এমন সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না। হাসিমুখ কমছে তো কমছেই। আর হাস্য গবেষণা কেন্দ্রগুলো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই...
(কৌতুক-৩)
এক ক্রেতা একটি ব্যাগের দোকানে গিয়ে দোকানদারকে বলছে
ক্রেতা: তাড়াতাড়ি আমাকে একটা ব্যাগ দিন তো! ট্রেন চলে যাচ্ছে। ট্রেন ধরতে হবে !
দোকানদার: দুঃখিত। ট্রেন ধরার মতো এতো বড় ব্যাগ আমার দোকানে নেই।
গবেষণালদ্ধ ফলাফল: যান্ত্রিক সভ্যতাকে তুচ্ছ করে দেখা হয়েছে এই কৌতুকে। আমাদের মহান যন্ত্রাদীই তো সর্বোৎকৃষ্ট অবলম্বন। ট্রেন নামক যানটি যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। একসাথে এত মানুষ আর কোন মাধ্যমে পরিবহন করা যায় না। সেই ট্রেনকে ব্যাগের মাধ্যমে ধরতে চাওয়ার যে হীন প্রচেষ্টা তা নিঃসন্দেহে আমাদের সভ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। অতএব, এটি হাস্য অনুপোযোগী।
(কৌতুক-৪)
মেয়ে দেরী করে বাড়ি ফিরলো|
বাবা জিজ্ঞাসা করলো “কোথায় ছিলে ?”
মেয়ে বললো -বন্ধুর বাসায় ।
বাবা মেয়ের সামনেই তার দশজন বন্ধুকে ফোন দিল
৪ জন বললো “ও তো এখানেই ছিলো”
২ জন বললো “ওহ আংকেল! ও তো এই মাত্র বের
হয়ে গেল”!
৩ জন বললো “ও তো আমার বাসায় ।পড়ছে । ও
কে কি ফোনটা দিব?”
শেষজন আরো এক কাঠি সরেস । সে বললো “হ্যা ,বাবা,
বলো…”
গবেষণালদ্ধ ফলাফল: গণমনস্তাত্ত্বিক মনোসংবেদনশীলতার একটি করুণ উদাহরণ। আজকালকার মেয়েরা পুরুষতান্ত্রিকতার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে নিজেদেরকে আর আলাদা ভাবতে পারছে না। সবে মিলে এক বিশাল একীভূত অস্তিত্ত্ব হিসেবে ভাবছে নিজেদের। এর ফলে মিথ্যে কথা বলার প্রবনতা বাড়ছে। হারিয়ে যাচ্ছে পিতার প্রতি আনুগত্য। আর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো তারা নিজেদের আলাদা করে চিনতে পারছে না। এ সংক্রান্ত নথি নারী মন্ত্রনালয়ে পেশ করার জন্যে বলা হলো।
(কৌতুক ৫)
হাবলু নতুন টেলিভিশন কিনেছে। বাড়ি ফিরেই সে টেলিভিশনটা এক ড্রাম পানির ভেতর ডুবিয়ে দিল।ঘটনা দেখে ছুটে এলেন এক প্রতিবেশী।
প্রতিবেশী: আরে, করছ কী, করছ কী?!
হাবলু: আর বলবেন না। নতুন টিভি কিনলাম।দোকানদার বলল, রঙিন টিভি! ভাবলাম, ব্যাটা ঠকিয়ে দিল কি না, তাই পানিতে ডুবিয়ে দেখছিলাম,রং উঠে যায় কি না!
গবেষণালদ্ধ ফলাফল: আবারও মহান যন্ত্রের ওপর আঘাত। আবারও সেই হীন ষড়যন্ত্র। সাদাকালো টেলিভিশন বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগেই। সুতরাং এখানে সাদাকালো বা রঙীন যাচাই করার কোন সুযোগ নেই। কৌতুকটির প্রাচীনত্ব বিবেচনায় নিলে তো আরো ভয়াবহ বিপদ। পৃথিবীর অনেক অধিবাসীই যান্ত্রিক সভ্যতা, ঘন্টা বেঁধে দেয়া জীবনে খাপ খাওয়াতে না পেরে অরণ্য অভিবাসী হবার কথা ভাবছে। কেউ কেউ পুরোনো জিনিস ফিরিয়ে এনে সভ্যতার অগ্রগতির চাকা বন্ধ করার কৌশল ফাঁদছে। এক্ষেত্রে রঙীন আর সাদাকালোর বিভাজন প্রকট করে তুললে তা আমাদের অর্জিত উন্নতি এবং মহান যন্ত্রাদির প্রতি হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়ে মানুষকে অতীতচারী করে দিতে পারে। আমরা পশ্চাদপদ হতে চাই না। স্মৃতি আঁকড়ে ধরে থাকার রোমান্টিসিজম গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সুতরাং অবশ্যই এটি হাস্যউদ্রেককারী নয়, বরং বিপদজনক হিসেবে বিবেচিত হবে।
মানুষ নির্বিকার মুখে কাজ করে যায়। দেশে এখন কোনো বেকার নেই। মানুষ অবলীলায় অন্যজনের গলায় ছুরি চালায়। কারো কোনো বিকার নেই। শহরে খুনী বাড়ছে। পেডোফিল বাড়ছে। ধর্ষণ প্রতিদিনকার ব্যাপার। শহর থেকে দেশ, দেশ থেকে মহাদেশে, পুরো পৃথিবীতে ঘোর ডিসটোপিয়া। মানুষের অস্থিরতা প্রকাশ পাচ্ছে মানচিত্রে। ভূমি আর তেল দখলের জন্যে যুদ্ধাবস্থা চতুর্দিকে। প্রতিটি দেশেরই এখন আছে নিজস্ব পারমানবিক সমরাস্ত্র। অস্ত্র আর যন্ত্র ঈশ্বরকে হটিয়ে দিয়ে শীর্ষস্থানে এখন। চারিদিকে কাজ। চারিদিকে মেশিনের শব্দ। চারিদিকে যুদ্ধ। চারিদিকে মৃত্যুর স্পর্শ। হয় কাজ, নয় যুদ্ধ, চালাও যন্ত্র, ধরো অস্ত্র! সভ্যতার শীর্ষবিন্দুতে এসে এটাই এখন মূলমন্ত্র মানুষের। এই বিশ্বাস মানবজাতির মধ্যে জন্মেছে যে যন্ত্র দিয়ে যেকোন কিছু পাওয়া সম্ভব। অস্ত্র দিয়ে যেকোন স্থান অধিগ্রহণ সম্ভব। এই সব সম্ভবের যুগে উৎকর্ষের চরম সীমায় পৌঁছে মানুষ হাসতেই পারতো প্রাণখুলে। কিন্তু কোথায় হাসি? কোথায় সে বিলীন? বায়োলোজিকাল, মেটাফিজিকাল, সোশাল, সব ধরণের গবেষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাসি উধাও। হাস্য গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে কারিকুলাম ভিটা জমা পড়ছে সবচেয়ে মেধাবীদের।
(ইন্টারভিউ-১)
-আপনি হাস্য গবেষণা কেন্দ্রে কেন কাজ করতে চান?
-আমার কাছে ব্যাপারটা বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে।
-একটু বিস্তৃত করে বলুন।
-এই যে হঠাৎ করেই মানুষ হাসতে ভুলে গেলো...
-হঠাৎ করে না। এটা এক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পরিণতি। আপনি আসতে পারেন এখন।
বাতিল!
পান থেকে চুন খসলেই প্রার্থীকে বাতিল ঘোষণা করা হয় এখানে। হাস্য গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে সবচেয়ে মেধাবীরাই কেবল কাজ করতে পারে। আগে যেমন ছিলো নাসা।
(ইন্টারভিউ-২)
-আপনি হাস্যবিলুপ্তির ইতিহাস সম্পর্কে কতটুকু জানেন?
-যতটুকু পারি জেনেছি।
-তা তো মুখস্থ অনেকেই বলতে পারবে। ব্যাপারটা আসলে আপনাকে ভাবতে হবে সভ্যতার উৎকর্ষের মন নিয়ে। মহান যন্ত্রের দর্শন অনুধাবন করে। অস্ত্রের অধিকারসূচক বিস্ফোরনে।
-হ্যাঁ, আমি জানি সেটা। হাসির বিষয়গুলো অবশ্যই হতে হবে যন্ত্রসম্মত এবং সভ্যতার অনুগামী। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানি যে, হাসি দেহকে সচল রাখে। ফলে মানুষ দীর্ঘদিন কাজ করতে এবং বাঁচতে পারে। সভ্যতার জন্যে এটা শুভ বিষয়। এছাড়া হাসিকে খুঁজে ফেরার কোন যুক্তি আছে বলে আমি মনে করি না।
সিলেক্টেড।
(কেস স্টাডি
স্থান- ল্যাবরেটরি, হাস্য গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা)
গম্ভীরমুখো প্রফেসর গুরুত্বের সাথে একটি জীবন্ত নমুনা বিশ্লেষণ করছেন।
"এখানে দেখতে পাচ্ছেন একজন পাহাড়ী তরুণকে, যে এখনও হাসতে জানে। সে সময়ে অসময়ে, কারণে অকারণে হাসে। আপাতদৃষ্টিতে অর্থহীন মনে হলেও তার এই অফুরান প্রাণচাঞ্চল্যের মর্মোদ্ধার করতে পারলে আমরা হাস্য উৎপত্তির ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে যাবো।"
তরুণটি তাদের দিকে তাকিয়ে হাসে। দরাজ গলায় একটা প্রাচীন গান ধরে,
"তুই লাল পাহাড়ের দেশে যা
রাঙামাটির দেশে যা
ইথাক তুকে মানাইছেনা রে
ইক্কেবারে মানাইছেনা রে"
"আমাদের গবেষণালদ্ধ ফলাফলে দেখতে পাচ্ছেন, তার হাসির কার্ভটা শহরে আসার পরেই হঠাৎ ফল ডাউন করেছে আকস্মিকভাবে। আমরা এর কারণ অনুসন্ধান করে বের করবো।"
উৎসুক প্রশিক্ষনার্থীরা এগিয়ে আসে। তারা নানা প্রশ্ন করতে থাকে পাহাড়ী যুবকটিকে। এভাবে এক সপ্তাহ পার করার পর যা হয়, তা হলো আরো একজন হাস্যলুপ্ত মানুষের আবির্ভাব ঘটলো। গবেষণাগার থেকে বাইরে পাঠিয়ে তাকে একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে সেঁধিয়ে দেয়া হলো। প্রশিক্ষনার্থীরা আলোচনা করতে থাকে এই বলে যে, খুব কাছাকাছি পৌঁছুনো গিয়েছিলো এবার। হাসিকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে তা দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করতে উৎসাহী একজন পদার্থবিদ তো বলেই ফেললেন আর মাত্র একমাসের মধ্যেই হাসির রহস্য উদঘাটিত হবে। মানুষ হাসবে, প্রাণপ্রাচুর্যে বলীয়ান হয়ে দেশকে আরো যন্ত্রবতী এবং অস্ত্রবতী করে ফেলবে। নতুন একটা পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এসময় প্রচুর শ্রম এবং শক্তি প্রয়োজন। এই অস্ত্রটা পৃথিবীর তাবৎ মোড়ল আর তার সাঙ্গপাঙ্গ ষণ্ডাগুণ্ডাদের সিধে করে দেবে। এখন হাসির অভাবে যদি কিছু শক্তি নষ্ট হয়ে কাজের গতি মন্থর করে দেয়, আখেরে তার জন্য দেশকে কঠিন মাশুল দিতে হতে পারে।
(বিশেষ সভা)
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে জাতিসংঘ তার সকল সদস্য দেশগুলিকে নিয়ে একটি বিশেষ সভা আহবান করেছে। মোটামুটি সব দেশই এই সমস্যায় আক্রান্ত। গ্লোবালাইজেশনের কঠিন শিকলে সবাই বাঁধা। তাই শিকলের একপাশ আক্রান্ত হলে আরেক পাশ কি আর স্থির থাকতে পারে? তবে এই গুরুতর পরিস্থিতিতেও জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান অসম যুদ্ধ স্থগিত করতে পারে নি। বলা ভালো, চেষ্টাই করে নি তেমন। এজন্যে অবশ্য অদৃশ্য পিঠ চাপড়ে দেয়ার লোকজন আছে। সবাই জানে তারা কে, কিন্তু কেউ বলছে না।
জাতিসংঘের মহাসচিব তার বক্তৃতা শুরু করলেন। সব ভাষায় তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুদিত হয়ে পৌঁছে গেলো প্রতিটি রাষ্ট্রের নিযুক্ত দূতের কাছে। কথা তো সেই একই, সেই গৎবাঁধা বুলি, মানুষ হাসতে পারছে না। এর ফলে অনেক শক্তির অপচয় ঘটছে। হাস্য গবেষণা কেন্দ্রগুলো কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু কাঙ্খিত ফলাফল আসছে না। ইত্যাদি। সবাই যখন আলোচনায় অথবা ঝিমুনিতে ব্যস্ত তখন একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটলো। কোথা থেকে যেন একটা কাগজ উড়ে এলো মহাসচিবের কাছে।
আশ্চর্য সে কাগজ। কতরকম বর্ম আর বুহ্য ভেদ করে ঠিক ঠিক ঢুকে গেলো! হালকা নীলচে রঙের লাইনটানা কাগজ। সুপ্রাচীন এক বস্তু।
সেই কাগজের ইতিহাসটা দীর্ঘ।
(আশ্চর্য কাগজ)
এখানে মিশে আছে ভাবুক কবির রাতজাগা অস্থিরতা, প্রণয় অপেক্ষায় অস্থির হয়ে থাকা চপলা তরুণী, পাখিদের ঠোঁট, মেঘেদের খুনসুটি, জোনাকির ওম, শিশুর গায়ের ঘ্রাণ, ঘাসের নুপুর, বুনোহাসের টাপুর টুপুর। কোন এক বর্ষারাতে ছাদে গান করতে থাকা যুবকের দল হয়তোবা এই কাগজে লিখেছিলো দারুণ নতুন কোনো গান। অথবা অভিমানী কোনো বালক চুপদুপুরে লিখেছিলো ঘর ছাড়ার পিছুটান! হয়তোবা সেই কাগজটা ছিলো কোনো ব্যর্থ কবির কবিতা লেখার চেষ্টায় ক্রমাগত কাটাকুটি করে যাওয়া। যারই হোক, এই কাগজ ছিলো না যন্ত্রের, ছিলো না অস্ত্রের, ছিলো না ভূমি অধিগ্রহণের মরণপন লড়াইয়ে, ছিলো না তেল উত্তোলনের উত্তাল সমরে, ছিলো না পারমাণবিক বোমার প্রনেতা বিজ্ঞানীর হস্তে। সেই কাগজটা পড়ে ছিলো কোন গুহায়, বা সমুদ্রতটে অথবা নিঝুম অরণ্যে। বছরের পর বছর, নির্জীব। তার হঠাৎ ডানা গজালো পাখিদের মতো, পরীদের মতো, আর সে উড়ে চললো বিশ্বসভার মধ্যলগ্নে।
এই কাগজের জন্যে কোনো অনুবাদক যন্ত্র নেই। কিন্তু কী আশ্চর্য, সবাই ঠিকঠাক পড়তে পারছে এর দুর্বোধ্য লিপি। আর তার চেয়েও আশ্চর্য, এসব পড়ে তারা হাসছে! এতদিনের গবেষণায় কোনো ফল পাওয়া যায়নি, মেধাবী বিজ্ঞানী, সমাজতাত্ত্বিকরা ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু এই আশ্চর্য কাগজের অবাক অক্ষরগুলো এই অসাধ্য সাধন করলো কত আয়েশে! শুরুটা হলো মহাসচিবকে দিয়ে। কাগজটার হঠাৎ উড়ে আসায় বিরক্ত হয়ে তিনি যখন এটাকে ছুড়ে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীদের গাফিলতির কারণ অনুসন্ধান করে আচ্ছা করে কড়কে দিবেন বলে ভাবছিলেন, তখনই কাগজের অক্ষরগুলো তার কাছে স্পষ্ট হতে থাকে, এবং তিনি এর মধ্যে তুমুল হাস্যরসের উপাদান খুঁজে পান। সেখানে ছন্দে ছন্দে লেখা ছিলো,
যুদ্ধ না করিলে পরে
দেখো কত মানুষ বাঁচে
করিলে আক্রমন অপরে
নিজে কি জ্বলবেনা আঁচে?
তিনি হলরুম কাঁপিয়ে হেসে ওঠেন। কাগজটা উড়তে উড়তে প্রতিটি রাষ্ট্রের নিয়োজিত প্রতিনিধিদের কাছে যেতে থাকে। আর একজন করে হাস্যরত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কখনও সেখানে সূক্ষ্ণ অর্থবাহী ছড়া, কখনও সেখানে বলিষ্ঠ শ্লোগান। দেশের সাথে সাথে কাগজের লেখাটাও পাল্টাতে থাকে। যেমন, জাপানের প্রতিনিধি পড়লেন এভাবে, "অধিক শ্রম দিয়ে নিজেদের যন্ত্রের দাসানুদাস করে কি সুখ পান আপনারা? ছুড়ে ফেলুন এই যান্ত্রিক, প্লাস্টিক সভ্যতা!" এটা পড়ে হাসতে হাসতে ক্ষুদ্র চোখগুলো ক্ষুদ্রতর হতে থাকলো জাপানিজ ভদ্রলোকের। আমেরিকার নিযুক্ত দূতের কাছে লেখাটা ছিলো,
"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সকল যুদ্ধের হোতা এই ঘৃণ্য আমেরিকা ধ্বংস হবে যেইদিন, সেদিন সভ্যতার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে"।
আমেরিকান ভদ্রলোক গমগমিয়ে হেসে উঠলেন। এভাবে স্থানান্তরিত হতে হতে শ্লোগানে, ছড়ায়, কবিতায়; শান্তি, সাম্য, ভ্রাতৃত্য, যুদ্ধবিরোধী, যান্ত্রিক সভ্যতা বিরোধী নানারকম কথকতা হাসির কৌতুক হয়ে বেদম হাসাতে লাগলো সবাইকে। সবার পড়া শেষ হলে কাগজটি ভগ্ন মনোরথে আবার উড়াল দেয় নতুন গন্তব্যের দিকে। এমন বিদঘুটে হাসির কোন কারণ খুঁজে না পেয়ে নিজেকে অবহেলিত এবং অপমানিত মনে করছে সে। সে না হয় প্রাচীন কোন বৃক্ষের পাদদেশে অবস্থিত গুহায় বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবে। উড়তে উড়তে সভ্যতার প্রতিনিধিদের সভাকক্ষ থেকে ভেসে আসা হাসির শব্দে স্বস্তি পেতে চাইলো একবার, কিন্তু সেটা আর মানুষের হাসির মতো লাগে না তার কাছে। হায়েনার ক্ষুধার্ত আস্ফালন মনে হয়। ছিড়ে-খুড়ে সব খেয়ে নিবে, সবারই অসীম ক্ষুধা, কিচ্ছু অবশিষ্ট রাখবে না আর। বোকা কাগজটা বুঝতে পারে, পাখি হওয়া হবে না তার আর। ডানাদুটো বুঝি খসেই যাবে এবার!
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজ আমরা দুজনেই প্রায় একই সময়ে গল্প দিলাম। এবং দুজনের গল্পই ভবিষ্যত পৃথিবীকে নিয়ে। মজা পেলাম ব্যাপারটায়।
শুভরাত্রি প্রফেসর।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন মানবতার জয় একদিন হবেই। শেষ হবে সব পিশাচ কাহিনী।
চমৎকার লিখেছেন হামা ভাই।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই। শুভরাত্রি।
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
হাসান রাজু বলেছেন: এতো লিখলেন ! খ্যামনে পাড়েন ম্যান !?!?
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখলাম, কিন্তু পড়লেন না, কেমন হৈলো ম্যান?
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: হাস্য গবেষণা কেন্দ্র
যদি এই ভাবে হাসি নিয়ে গবেষণা শুরু হয় তাহলে তো বিপদ ....
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটাই যথেষ্ট হাস্যকর হয়ে যাবে!
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দেখেন অবস্থা! হাসি আসবে কি করে? হাসি বিষয়ক এ লিখাটা পড়তে হচ্ছে যন্ত্রে বসে! যান্ত্রিকতা আমাদের কি দিয়েছে, এখানে বসে কেন আমাদের হাসি সংক্রান্ত গবেষণায় মন
দিবো?
মানবতা কিংবা জোক্সস এক পাল্লায় চলে আসা আপনার মূল ফোকাস ছিল মনে হয়! ভালোলাগা রইলো হামা ভাই
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অভি। শুভরাত্রি।
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৪
হিমালয় হিমু বলেছেন: আমরা আশাবাদী
সুন্দর লিখেছেন.ভাল লাগলো।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৭
হাসান রাজু বলেছেন: আরে ফইচ্ছি তো ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আচ্ছা!
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৭
ভারসাম্য বলেছেন: দারুন থীম! শওকত ওসমানের ' ক্রীতদাসের হাসি' বইটির কথা মনে পড়ল, যদিও সেটার মূল থীম হয়তো আরও আগের 'সুখী মানুষের জামা' লোকগল্প থেকে নেয়া হতে পারে।
থীম প্রায় একই রকম হলেও, আপনার লেখার ক্লাস সত্যিই অসাধারণ!
+++
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও সুখী মানুষের জামার কথা মনে পড়ছিলো। ক্রীতদাসের হাসি এখনও পড়া হয় নি। লজ্জার ব্যাপার।
শুভরাত্রি।
৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩০
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন।
গুড নাইট।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।
১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫১
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: থিমটা অনেক সুন্দর ভাই (আগেও বলসিলাম )
আপনি লিখসেনও অনেক সুন্দর, এইরকম গল্পে ফিনিশিং টানা টাফ, গুড জব ম্যান।
*ট্রেনের জোক্সটা পড়ে ব্যাপক হাসলাম।
*Grumpy cat নামে একখান ইন্টারনেট জন্তু আছে, বসরে নিয়া হালকা গুতাইলেই দেখবেন- সে আপনার গল্পের একটা চরিত্র
*ব্যক্তিগত অভিমত- মাইনষের সেন্স অফ হিউমার বার্সে, কিন্তু ব্যাপারটায় গ্রুপিং আছে, এক গ্রুপের মাইনষে অন্য গ্রুপের লগে জামাইতারেনা।
শুভরাত্রি।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস নিগা! (এইটা কিন্তু আমার এক গ্রুপের সাথে কমন সৌহার্দিক সম্ভাষণ!)।
গ্রাম্পি ক্যাটরে দেখলাম। এরে তো অনেক ইন্টারনেট মিমিতে দেখসি। পরিচয় হো আজ।
সে আমার এই গল্পের চরিত্র তাই বলতে চাইছো তো?
শুভ সকাল।
১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৮
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: একবারে সেইরম হইছে
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!
১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার গল্প পড়ার আগে প্রোফেসর শঙ্কুর গল্প পড়ে একটা কথাই বলেছিলাম- মারাত্মক!
আপনারটা পড়ে জাস্ট একটাই বলছি- ফাটাফাটি।
থিমটা খুবই ভালো লেগেছে। আপনার লেখার সাথে সাথে আপনার থিমের ফ্যান আমি। +
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস কাভা।
১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৩
এম এম করিম বলেছেন: চমৎকার লেখা।
শুভরাত্রি।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর!
আধুনিক সভ্যতার উৎকর্ষতায় দিনে দিনে আমরা যন্ত্র মানব হয়ে যাচ্ছি। হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা, মানবিকতা। তবুও আমরা আশাবাদী একদিন সত্যিকার সভ্য মানব সমাজ গড়তে পারব। যার মূলমন্ত্র হবে মানবতা।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ।
১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৫৮
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
থিমটা দারুণ! আর আমরা সবসময় আশাবাদী।
খুব দারুণ লিখেছেন।
শুভকামনা হাসান ভাই।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। শুভ সকাল।
১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অদ্ভুত একটা লেখা! কৌতুক সবগুলোই নতুন লেগেছে তাই প্রতিটাতেই হাসলাম বেশ কিছুক্ষণ। শেষে এসে যেভাবে হাসির বিপরীতে সভ্যতার সীমাবদ্ধতাগুলও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে! গ্রেট। একেবারে পার্ফেক্ট ফিনিশিং । এই ধরনের লেখা প্রিয়তে নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। শুভেচ্ছা।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সম্মানিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৩২
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
থিমটা সত্যিই অসাধারণ ।
৪নাম্বার কৈতূকটা নিকট বাস্তব।
গবেষণালব্ধ ফলাফল কঠিন ভাবে মাননিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:০২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভালো গবেষণা। বিষয় আর উপস্থাপনে নতুনত্ব।
মজা পাই নাই বা ভালো লাগে নাই বললে মিছা বক্তব্য হবে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগসে বা মজা পাইসেন এটা সোজাসুজি কৈলেই তো পারেন! থেংকু।
১৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৪৫
মেঘলা মানুষ বলেছেন: সচলে ঢুকে সাম্প্রতিক মন্তব্যের মাঝে 'হাস্য' শব্দটা চোখে পড়ল। ক্লিক করলাম, পড়াও শুরু করলাম, শেষের দিকে আসতে আসতে মনে হল, "আরে! এই লোকটার লেখা তো হামা'র মত।"
পড়া শেষ করে তারপর ব্লগারের নাম দেখার জন্য স্ক্রল করে উপরে উঠে বুঝলাম কেন হামা'র লেখার মত লাগছিল! এ তো হামা'রই লেখা!
আপনার লেখা পড়তে পড়তে এখন আপনার টোন আর স্টাইল টের পেতে শুরু করেছি
শুভেচ্ছা
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
২০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:০২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
১নম্বর আর ৪নম্বরটি পড়ে এখনও হাসছি, ভাই! আপনি পারেনও!
গবেষণালব্ধ ফলাফলগুলো অতিরিক্ত রসের সঞ্চার করেছে...
শুনুন, আপনার গবেষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে একটি কৌতুকে আমি একটু বিকল্প প্রস্তাব দিতে চাই:
--
এক ক্রেতা একটি ব্যাগের দোকানে গিয়ে দোকানদারকে বলছে
ক্রেতা: তাড়াতাড়ি আমাকে একটা ব্যাগ দিন তো! ট্রেন চলে যাচ্ছে। ট্রেন ধরতে হবে !
দোকানদার: এত তাড়া কিসের, টিকেট আছে না?!
--
খবরদার, মাইন্ড খাইবেন না
এবং শুভেচ্ছা....
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আপনার এই কৌতুক নিয়ে গবেষণা করতে গেলে বিপদে পড়ে যেতাম।
শুভেচ্ছা।
২১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৯
ইমিনা বলেছেন: আপনার অটোগ্রাফ্ টা কি পেতে পারি প্লিজজজজ ...
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি কি অটোগ্রাফ দেয়ার মতো কেউ নাকি? কী যে বলেন!
২২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুধু কৌতুক হিসাবে পড়লে সত্যিই অসাধারণ। তবে আপনার পোস্ট মর্টেম গুলো বিবেচনায় নিলে পাঠকের চোখ কান খুলে যায়। নিঃসন্দেহে প্রথম শ্রেনির লেখা।
ধন্যবাদ, হাসান মাহবুব ভাই।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভকামনা হেনা ভাই।
২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
আমিজমিদার বলেছেন: জটিল লাগসে ম্যান।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ম্যান!
২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
ইমিনা বলেছেন: কি জানি
পোস্ট পড়ার পর মুগ্ধতায় অতকিছু মাথায় আসে নি
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ইমিনা।
২৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
সুমন কর বলেছেন: হাসির বিষয়গুলো অবশ্যই হতে হবে যন্ত্রসম্মত এবং সভ্যতার অনুগামী। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানি যে, হাসি দেহকে সচল রাখে। ফলে মানুষ দীর্ঘদিন কাজ করতে এবং বাঁচতে পারে। সভ্যতার জন্যে এটা শুভ বিষয়।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে, আমরা বর্তমানে যন্ত্রমানব হয়ে পড়েছি। পুরোটাই যান্ত্রিক। বিশ্বাস করুন, অনেক আগে থেকেই নিজেকে যন্ত্রমানব হিসেবে ভাবি। চারিদিকে নেই কোন মানবতা ও আন্তরিকতা।
প্রতিটি কৌতুক, গবেষণালব্ধ ফলাফল দারুণ।
এই কাগজ ছিলো না যন্ত্রের, ছিলো না অস্ত্রের, ছিলো না ভূমি অধিগ্রহণের মরণপন লড়াইয়ে, ছিলো না তেল উত্তোলনের উত্তাল সমরে, ছিলো না পারমাণবিক বোমার প্রনেতা বিজ্ঞানীর হস্তে। সেই কাগজটা পড়ে ছিলো কোন গুহায়, বা সমুদ্রতটে অথবা নিঝুম অরণ্যে। বছরের পর বছর, নির্জীব। তার হঠাৎ ডানা গজালো পাখিদের মতো, পরীদের মতো, আর সে উড়ে চললো বিশ্বসভার মধ্যলগ্নে।
ইন্টারভিউ, সভা আর আশ্চর্য কাগজে ছিল মূল বক্তব্য। যেভাবে শেষ করেছেন, সেটা একমাত্র আপনার পক্ষেই সম্ভব। অসাধারণ কাজ। প্লাস।
সব কিছু শেষে একদিন মানবতার জয় হবে, সেটাই কাম্য।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মাঝে মধ্যে ভীষণ বীতশ্রদ্ধ হয়ে যাই এই হাইটেক যুগের বাঁধাধরা জীবনে। সেই রিপালশন থেকেই গল্পটা লেখা।
অনেক ধন্যবাদ সুমন।
২৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
না পারভীন বলেছেন: জোকসগুলোতে কেন হাসা উচিত হবেনা সেটা পড়েই হাহাপগে
হামা আপনি যে এত হাসির গল্প এত গম্ভীর ভাবে লিখেদিবেন, গল্প পড়ার আগে বুঝতেই পারিনি।
এই গল্পটি প্রিয়তে
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পারভীন আপা। শুভদুপুর।
২৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
পথহারা সৈকত বলেছেন: ভাল হইছে......... সামুতে এখনও লেখক আছে তাহলে......
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সামুতে অনেকেই ভালো লেখেন। একটু খুঁজলেই পাবেন।
২৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
দুঃখ বিলাস বলেছেন: যান্ত্রিক জীবনে বিনোদনের বড় অভাব ।
চমৎকার।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভবিকেল।
২৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার হৈছে। ট্রেনের জোক্সটা পইড়া অনেক্ষণ হাসছি। গবেষণালব্ধ ফলাফলগুলো পড়ে মনে হচ্ছিল সত্যিই কোন গবেষণার রেজাল্ট পড়ছি।
টুপি খোলা অভিনন্দন হাসান ভাই
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুপ্রানিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ।
৩০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: এপিক বিশ্লেষণ ভাইই
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৩১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//চতুর্থত, স্বামী ভদ্রলোক উজবুক গালি দেয়ায় উজবেকিস্তানের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন, যেটা স্পষ্ট রেসিজম।//
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: উজবেকিস্তানের কোন ব্লগার নাই তো আবার এখানে
৩২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৬
আমি ই শুভ্র বলেছেন: পোস্ট দারুন হয়েছে কিন্তু এখন আর ঐ কৌতুকগুলো মনে করে হাসতে পারব না। কৌতুকের গলতিগুলো মনের মধ্যে বেজে উঠবে
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: কন কী!
৩৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: অভিনব একটা প্লট নিয়ে কঠিন কাজ করেছেন । এই গল্পটাকে আমি অনেক দিক দিয়েই এগিয়ে রাখব । সভ্যতার মডার্নাইজেশন আমাদের জীবন আর মনোজগতকে এতোটাই জটিলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে যে হাসির মত সরল অনুভূতি
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই, আপনার পুরো মন্তব্যটা মনে হয় আসে নি
৩৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪১
যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাই....
ভাললাগলো..
থিমটা বেশ পছন্দ হয়েছে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ যুবায়ের। শুভরাত্রি।
৩৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৮
আরজু পনি বলেছেন:
ইদানিং বইয়ে প্রকাশিত বা কৌতুক অনুষ্ঠানগুলো দেখলে মেজাজটা খারাপই লাগে...কিন্তু
হায় হায়!! মশা তো আমারে টর্চলাইট জ্বালাইয়া খুঁজতেছে! আমি এখন কই যাই?"..হাহাহাহা এটা পড়ে মজা পেয়েছি
তবে, কৌতুক ৪ নম্বরটা পড়ে আমার পরিচিত একজনের খুব বাজে একটা অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল
মানুষ এখন হাসতে ভুলে যাচ্ছে... বড্ড বেশি যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে...তাই মানুষকে খুশি করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
ভিন্নধর্মী হলেও হাসানিয় স্টাইলটা ঠিক আছে।
অনেক শুভেচ্ছা রইল, হাসান।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপা।
৩৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
ডি মুন বলেছেন: গল্পের থিম চমৎকার।
ভালো লেগেছে। সম্ভব হলে আরেকবার পড়ে বিস্তারিত মন্তব্য করবো।
ভালো থাকা হোক।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ মুন।
৩৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
পাজল্ড ডক বলেছেন: আপনার লিখা গুলো বেশ গভীর হয়,গভীরতা উপলব্ধি করতে পারলাম,অনেক শুভেচ্ছা।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৩৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৬
কোজাগরী চাঁদ বলেছেন: গোপালভাঁড়ের গল্পগুলি এই গবেষনাগারে পরীক্ষা করা দরকার
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বুদ্ধি দিসেন।
৩৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৯
কালের সময় বলেছেন: চমৎকার লেখেছেন প্রিয়তে না নিয়ে পারলাম না
শুভেচ্ছা থাকলো
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৩১
বৃতি বলেছেন: সবার পড়া শেষ হলে কাগজটি ভগ্ন মনোরথে আবার উড়াল দেয় নতুন গন্তব্যের দিকে। এমন বিদঘুটে হাসির কোন কারণ খুঁজে না পেয়ে নিজেকে অবহেলিত এবং অপমানিত মনে করছে সে। সে না হয় প্রাচীন কোন বৃক্ষের পাদদেশে অবস্থিত গুহায় বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবে।
দুটো চমৎকার গল্প পড়লাম- পরপর। প্রোফেসর শঙ্কু'র আর এই গল্পটা। ভবিষ্যৎ মানুষ নিয়ে আমি শঙ্কিত। অনেক ভাল লাগা।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা বৃতি।
৪১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: বিশাল একটা মন্তব্য করেছিলাম মোবাইল থেকে, কিন্তু হায়!
যাইহোক, হাসির অনুভূতি সরলতা থেকেই তৈরি হয় । কিন্তু জীবন এবং মনোজগতের জটিলতা ক্রমশ হাসির মত অনুভূতিকেও গ্রাস করে নেয় । গল্পটিতে হাসি ফিরে আনার হাস্যকর চেষ্টা করা হলেও এটা মুলত যান্ত্রিক অনুভূতিহীন জীবন থেকে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার আকুতির গল্প ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, তাও কিছু অংশ ফিরে পেলাম। আবারও ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৪২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
উপস্থাপনা ভিন্নতায় ভাল লাগল ৷ আপনার ব্যখ্যাগুলিও ভাবার মত ৷ যদিও ভবিষ্যতের ঘটনা তবু বর্তমানেরও আভাস পাওয়া যায় ৷ লেখার আঙ্গিকের তীরগুলো বুমেরাং হলে ভাল হয় তাতে পাঠকের বোধকে ক্ষণিক হলেও নাড়া দিবে আশা রাখি ৷ হাস্য নিয়ে বিবৃত হলেও চিত্রটা ব্যাপক ও বিধ্বংসী ৷
সুন্দর থাকুন ৷
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৪৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০১
মুদ্দাকির বলেছেন: উফ ভাই, আপনার লেখা পড়া একটা পেইন!! কেন যে এত মানুষ এই পেইন নেয় ? আমার মত সহজ মানুষের জন্য এগুলা না, আই এম টোটাললি ব্লোন!!!!!!! এর চেয়ে আমার লেখাগুলা পড়লেও পারে।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সহজ মানুষকে নিয়ে লালনের একটা গান আছে না? লিরিকটা ঠিক মনে পড়ছে না। সহজ মানুষ হওয়া সহজ না। সাধনা করতে হয়।
৪৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: পোস্টে ++++++++ ।ভাল থাকুন সব সময় ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
৪৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
লিরিকস বলেছেন:
১ নং টা
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৪৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অস্থির পোষ্ট। কৌতুকেরও ব্যবচ্ছেদ করে ছেড়ে দিলেন?? :!> :!>
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী আর করবো বলেন...অলস মস্তিষ্ক!
৪৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ মনে হচ্ছে ...
প্রথম কৌতুকটা সহ দেড় প্যারা পড়তে পারলাম আপাতত ... হাতে সময় যেহেতু কম ...
আগে বলি, ঈদ কেমন গেল ???
বিলম্বিত কিন্তু প্রলম্বিত ঈদ শুভেচ্ছা ...
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় নিয়ে আরাম করে পড়েন। তারপর জানান। আমার ঈদ ভালোই কেটেছে। আপনার? শুভেচ্ছা।
৪৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
হামাভাই, প্রথমত গল্পের জন্য সাধুবাদ! তারপর কিছু কথা আছে, সেটা পিসিতে বসে করবো।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। কী কথা? ফেসবুকে জানায়ো।
৪৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আপনার গল্পের প্রসংশা সবাই করল, কিন্তু আমি একটু ব্যাতিক্রম কিছু লিখতে চাচ্ছি! মোবাইলে গুতানো অনেক কষ্টের কাজ, জানেনই!
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা যা বলার সময় নিয়ে বলো। তোমার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
৫০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কয়দিন বাচবো খোদা মালুম, তয় হাসা-হাসির কামটা ভালো পারি। একটু আগে হাসতে গিয়া বেশম খাইয়া মরতে লইছিলাম!
গল্প খুবই ভালো লাগলো। যুদ্ধ,অস্ত্র, যন্ত্র ইত্যাদি কঠিন সব বিষয়ের মাঝেও হাসিটা কষ্ট করে বেঁচে থাকুক।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকুন। হাস্যোজ্বল থাকুন। শুভরাত্রি।
৫১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভালো লাগলো হাসান ভাই। দুখের সময়ে একটা উপযুক্ত পাঞ্চ , যা আপনার কাছ থেকে আমরা আশা করতেই পারি।
ভালো থাকুন সবসময়।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা সাজিদ।
৫২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৮
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সত্যিই হামা ভাই, এই টাইপ গবেষণাগার মনে হয় খুব বেশী দুরে নয়, আপনার কোনকোন চিন্তাধারা সময়ের চাইতে কয়েক ধাপ সবসময়ই এগিয়ে থাকে.......
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৫৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৫
টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার গবেষণা। শক্তিশালি লেখা। হাসি তার সৌন্দর্য ধরে রাখুক এই প্রত্যাশা।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা টুম্পামনি।
৫৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারন।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৫৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
লেখোয়াড় বলেছেন:
গল্প রেখে অন্য ধরনের লেখা।
মাঝে মাঝে এটা করেন বটে এবং সেজন্য আপনাকে 'হামা' বলাই যায়।
হামা=হানি ম্যাচিওরড।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ।
৫৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ফা হিম বলেছেন: প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমরাও দিন দিন কেমন যান্ত্রিক হয়ে চলেছি!! আমাদের হাসিগুলোও দিন দিন যান্ত্রিক হয়ে চলেছে। কি হাসি জিনিসটা তো নিয়ম মেনে চলে না।
উড়তে উড়তে সভ্যতার প্রতিনিধিদের সভাকক্ষ থেকে ভেসে আসা হাসির শব্দে স্বস্তি পেতে চাইলো একবার, কিন্তু সেটা আর মানুষের হাসির মতো লাগে না তার কাছে। হায়েনার ক্ষুধার্ত আস্ফালন মনে হয়। ছিড়ে-খুড়ে সব খেয়ে নিবে, সবারই অসীম ক্ষুধা, কিচ্ছু অবশিষ্ট রাখবে না আর।
শেষের এই লাইনগুলো বড় বাস্তব মনে হয়। হয়তো বিশ্বশান্তির ঠিকুজী-ধারীরা এমন হাসিই হাসে।
আপনার গল্পের বিষয়বস্তুগুলো খুব ইউনিক হয়। তাই প্রতিটাই মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ফাহিম।
৫৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
লেখোয়াড় বলেছেন:
হাসলেন কেন?
নামটি আশ্চর্য হাস্যদৃশ্য দিলেন কেন?
প্রত্যেকটি কৌতুককে যুক্তি দিয়ে নামালেন কেন?
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হানি ম্যাচিওরড মানে বুঝি নাই। মানে না বোঝার অক্ষম বিব্রতবোধটা ঢাকার জন্যে হাসছি।
৫৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
লেখোয়াড় বলেছেন:
ও আচ্ছা,
হাই হানি, মানে ও প্রিয়।
আপনি প্রিয় ম্যাচিওরড ব্যক্তি ( ব্লগার )
এনি ওয়ে, আপনার গল্প বলার স্টাইলটা একটু পরিবর্তন চাই।
পরবর্তী গল্পসমুহের কথা বলছি।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আচ্ছা। পরিবর্তন করার চেষ্টা থাকবে।
৫৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৪
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
প্রথমত সাধুবাদ জানাই এমন একটা টপিক নিয়ে লেখার জন্য। তারচেয়েও বড় কথা হলো লেখাটা দিয়ে প্রমাণ করেছেন হাস্যরস দিয়েই মূলে আঘাত করা অনেক সহজ।আমি আসলে এসব লিখবো বলে বসি নাই। এর আগে একটা কমেন্ট লিখেছিলাম সেটা হারিয়ে যাওয়াতে নতুন করে লিখছি, তাই একটু ভূমিকা করলাম!
আপনার গল্পের শেষদিকে এসে ''আশ্চর্য কাগজ'' অংশ থেকে আপনার লেখার গাঁথুনি দূর্বল হয়ে গেছে।বিশেষ করে আপনাদের সভাসদদের হাসানোর চেষ্টা ছিলো চোখে পড়ার মতো। আর যেহেতু এটাই গল্পের সবচেয়ে ইম্পোর্টেন্ট অংশ তাই চোখে লেগেছে খুব!
যুদ্ধ না করিলে পরে
দেখো কত মানুষ বাঁচে
করিলে আক্রমন অপরে
নিজে কি জ্বলবেনা আঁচে?
এই চারলাইন গল্পকে শক্তিশালী করতে পারে নাই অন্তত আমার কাছে তাই মনে হইসে। যদিও মেসেজ খুবই স্ট্রোং। জানিনা আমার পড়ার দূর্বলতা কিনা। আমার মনে হয় এই লাইনগুলোর ভাষা ঠিক গল্পের ভাষার সাথে যাচ্ছে না। কেমন যেন হালকা ধরণের!
এখন যেহেতু মহাসচিব মাইকের সামনে পড়ছেন তাই ধরে নিতে পারি অন্যান্য সভাসদগণ এটা শুনেছেন, শুনলে নিশ্চয়ই পড়ার দরকার পড়ে না। এবং এও ধরে নিলাম মহাসচিব যখন এগুলো পড়ছিলেন তখন তা তাদের বৈশষ্ট্য তুলে ধরছে এবং বিদ্রুপ করেছে! এখন আমার কথা হলো আমি যদি আপনার দোষ বলে বেড়াই তবে কি আপনি হাসবেন? নাকি রেগে যাবেন? বরং এই লেখা তো ক্ষোভের উদ্রেক করার কথা কিন্তু ওরা এখানে হাসছে। যা আমার কাছে কন্ট্রাডিক্টরি মনে হচ্ছে। অথবা আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা আমি বুঝতে পারি নাই।
শুভেচ্ছা হা-মা ভাই।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আশ্চর্য কাগজে যেসব বাক্য বর্ণিত ছিলো, সেগুলো সাধারণ মানুষের মনের কথা, যা বিশ্ববিবেকেরা উপেক্ষা করে চলেছেন। তাই সেখানকার লেখাগুলো সিম্পল রাখতে চেষ্টা করেছি। আর বর্ণনা দুর্বল লাগলে সেটা আমার লেখনীর অক্ষমতা সেটা মেরামত করা কঠিন।
মহসাচিব মনে মনে পড়েছিলো এবং হেসেছিলো। তারপর কাগজটি উড়ে উড়ে সবার কাছে গিয়েছিলো। যারা যে বৈশিষ্ট্যের কারণে সভ্যতার অনেক ওপরের স্তরে থাকা স্বত্ত্বেও মানবিক এবং অনুভূতিশীল মনের বিবেচনায় পিছিয়ে ছিলো তাদেরকে সেটাই বলা হয়েছে। আর সেই কথাগুলো তাদের কাছে এমন উদ্ভট লেগেছে যে হাসতে বাধ্য হয়েছে। যেমন, জাপানের মানুষ বেশি পরিশ্রম করে যন্ত্রের মতো সভ্যতার উন্নয়নের খাতিরে। সময়টা তখন এমন, তারা এর বাইরে কিছু ভাবতে পারে না। তাই শুধু যন্ত্রের মত কাজ না করে মনের খোরাক যোগানোর কাগজীয় প্রস্তাব তাদের কাছে হাস্যকর লাগে। তেমনিভাবে আমেরিকা দম্ভের শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছে। তাই তাদের ক্ষমতালিপ্সা এবং পতনের ভবিষ্যদ্বাণী তাদের কাছে কোন অর্থ বহন করে না, তাদের হাসি পায়। এমনিভাবে মহাসচিবের কাছে যুদ্ধ থামানোর জন্যে পদ্য লেখাও হাস্যকর। তাই তারা হাসে।
ব্যাখ্যা দিলাম। মতামত জানায়ো।
শুভরাত্রি।
৬০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বেশ ভিন্নরকম।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভদুপুর দূর্জয়।
৬১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
প্যাপিলন বলেছেন: হাস্যদৃশ্য ছিল আমার জন্য চমতকার ঈদ উপহার.... যদিও কমেন্টটা বাসী হয়েই থাকল
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যাপার না। বাসি পোলাও এর স্বাদ বেশি।
৬২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
লেখোয়াড় বলেছেন:
"হাসির বিষয়গুলো অবশ্যই হতে হবে যন্ত্রসম্মত এবং সভ্যতার অনুগামী।"
হাসি যন্ত্রের মতো হতে হবে এটা দিয়ে কি একজন মানুষের সমগ্র অবয়বকে বোঝাতে চেয়েছেন। হাসি তো ছোট বিষয় আজকাল মানুষই তো যন্ত্র।
আজকাল কাউকে ডাকলে ঘাড় না ঘুরিয়েই উত্তর করে, যেন সে কত ব্যস্ত, অথচ আগে কাউকে ডাকলে সে পিছন ফিরে অনেক সৌজন্যতায় কথা বলত।
মানুষের আবিস্কৃত যন্ত্র তাহলে মানুষকেই আবেগহীন করে তুলছে।
নাকি?
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাসি যন্ত্রসম্মত হবে মানে, হাসির মধ্যে এমন কোন বিষয় থাকবে না যা যান্ত্রিক সভ্যতাকে অবমাননা করে। আসলে এভাবেই তারা হাস্যবিচ্যূত হয়েছিলো সভ্যতার উন্নয়ন এবং যন্ত্রের আনুগত্য করতে গিয়ে হাসিকে দূরে ঠেলতে ঠেলতে হারিয়েই ফেলেছে।
৬৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
''জাপানের মানুষ বেশি পরিশ্রম করে যন্ত্রের মতো সভ্যতার উন্নয়নের খাতিরে। সময়টা তখন এমন, তারা এর বাইরে কিছু ভাবতে পারে না। তাই শুধু যন্ত্রের মত কাজ না করে মনের খোরাক যোগানোর কাগজীয় প্রস্তাব তাদের কাছে হাস্যকর লাগে। তেমনিভাবে আমেরিকা দম্ভের শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছে। তাই তাদের ক্ষমতালিপ্সা এবং পতনের ভবিষ্যদ্বাণী তাদের কাছে কোন অর্থ বহন করে না, তাদের হাসি পায়। এমনিভাবে মহাসচিবের কাছে যুদ্ধ থামানোর জন্যে পদ্য লেখাও হাস্যকর। তাই তারা হাসে। ''------ এই শ্লেষ মিশ্রিত হাসি কী আদৌ কোন হাসি সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম? যদি হয় তবে ঠিক আছে। না হয় আমার আগের কমেন্টে উল্লেখিত কন্ট্রাডেকটরি শব্দটায় আটকে যাচ্ছি!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: না, সমস্যার সমাধান তো হবে না। এ কারণেই আশ্চর্য কাগজটা যখন উড়ে বাইরে চলে যায়, তখন সভাস্থ হাসাহাসি তার কাছে হায়েনার আস্ফালনের মত লাগে। প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটা তো তাই! যে হাসি আমরা খুঁজে ফিরছিলাম তার পুরোই বিপরীত এ হাসি।
৬৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
যেড ফ্রম এ বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে, অসম্ভব রকমের ভালো হয়েছে!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে ফিরতে দেখে ভালো লাগলো।
৬৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
আদ্রিতা বলেছেন: বাপরে! এরকম আইডিয়া পান কো্ত্থেকে! মারাত্বক! ভালো লাগা রইলো।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: কীভাবে যেন পেয়ে গেলাম আদ্রিতা! ভালো থেকো।
৬৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৩
নস্টালজিক বলেছেন: থিমটা ভালো।
কিন্তু পুরো কম্পোজিশনটা ভালো লাগে নাই আমার। নির্যাস-টা পেলাম না পড়ে।
দুঃখিত, হাসান।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যাপার না মাইট!
৬৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
আরজু মুন জারিন বলেছেন: কলারঃ আরে উজবুক! আমি তোমার স্বামী! বাসার চাবি তুমি কোথায় রেখে গেছো!”
ব্যাপক বিনোদন হল আপনার পোষ্টে।এরকম আর ও পোষ্ট করলে খুশী হব।হাসতে হাসতে মন হালকা হয়ে যাবে।
অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য।শুভেচ্ছা রইল।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা জারিন।
৬৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
খাটাস বলেছেন: ব্রিলিয়ান্ট কাজ। ম্যাগনেট থিম। বর্ণনা ও ভাল।।
অদ্ভুত একটা শিহরণ কাজ করল। যদি ও বেশ বড়, তবে প্রায় পুরটাই প্রয়োজন ছিল লেখা টা সাজাতে। অনেক কিছুই কাভার করেছেন।
তবে এই লেখার থিম টা যে ভবিষ্যতে সত্যি হবে না, তা নিশ্চিত করে আপনি ও বলতে পারবেন না।
সভ্যতা তো আবেগের ই ব্যস্তানুপাতিক।
পোস্ট টির জন্য অভিনন্দন।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৬৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার এই গল্পটা ভালো লেগেছে।
কৌতুকটিকে হাস্য অনুপযোগী বিবেচিত কেন করা হলো এই ব্যাখ্যা গুলো অদ্ভুত এবং ভাবার মতো।
আশ্চর্য চিঠির ভাষাটা সুন্দর।
আমি ইদানীং ভালো কমেন্ট ( ব্যাখ্যা সহ ) কমেন্ট করতে পারছি না। জাস্ট বলে গেলাম -- মেসেজ এবং লেখার স্টাইল টা ভালো লাগছে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: যেটুকু বলেছেন তাই অনেক। শুভেচ্ছা।
৭০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: কৌতুকগুলো ভালো ছিল। হেসেছি প্রচুর।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটা অবশ্য আমার কৃতিত্ব না। শুভেচ্ছা।
৭১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৭
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: দারুন একটা গল্প ! প্রথমে খুব একটা ভাল লাগছিলনা, স্পর্শ করতে পারছিলনা । হাসান এর গল্প, তাই শেষ পর্যন্ত পড়ে যাওয়া। আর শেষে এসে মনে হল -শেষটাই এ গল্পের প্রান। আপনার লেখা গল্পের মধ্যে অন্যতম ভাল গল্প এটি।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্যে ধন্যবাদ নুসরাত। ভালো থাকুন।
৭২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৮
সালমাহ্যাপী বলেছেন: বাপ্রে... অসাধারন একটা গল্প... অনেক দিন পর গল্প পড়া শুরু করেছি...
কৌতুকগুলা জোস ছিলো... ৪আর ৫ নাম্বার পড়ে মজা পাইছি...।
এইভাবে কিভাবে পারেন লিখতে ... !!
এক কথায় অসসাধারন ...
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সালমা।
৭৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
ইনকগনিটো বলেছেন: কী সুন্দর!!
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু কুশল।
৭৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
লাবনী আক্তার বলেছেন: অফলাইন থেকে বাধ্য হলাম লগইন করতে। এত সুন্দর লেখা পড়লাম যে কমেন্ট না করলে ভালই লাগবেনা।
ভালো লিখেছেন হামা ভাই, যদিও বরাবরই ভালোই লিখেন আপনি।
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লাবনী। শুভেচ্ছা।
৭৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
রোদেলা বলেছেন: হাসি নিয়ে গবেষনা-অন্যরকম।ভালো লাগলো।
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রোদেলা। শুভবিকেল।
৭৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
আমি জুহি বলেছেন: ইমিনা বলেছেন: আপনার অটোগ্রাফ্ টা কি পেতে পারি প্লিজজজজ ...
একমত।
জেনারেল হলাম তাই প্রথম কমেন্ট আপনার ব্লগে এসেই করে গেলাম।
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা জুহি। হ্যাপি ব্লগিং।
৭৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৮
নীল ভোমরা বলেছেন: উপভোগ্য কৌতুক!...জটিল এনালাইসিস!
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস।
৭৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩০
আরজু মুন জারিন বলেছেন: রাতের বেলা চান্দু ঘুমাতে গেলো। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে সে মশারি টানালো। কিন্তু ভুলক্রমে একটা জোনাকি পোকা মশারির ভেতর ঢুকে পড়ল। বাতি নিভানোর পরে চান্দু যখন জোনাকিটা দেখল তখন হাহাকার করে উঠে
বলল...হায় হায়!! মশা তো আমারে টর্চলাইট জ্বালাইয়া খুঁজতেছে! আমি এখন কই যাই?"
আপনার কৌতুক আবার ও পড়লাম হাসার জন্য। আপনি ও দেখি আরেকজন ভি আইপি। এত কমেন্টস এত প্রদর্শন আপনার পোস্ট এর।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আবার ও। ভাল থাকবেন কেমন।
১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।
৭৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন:
ছদ্ম নামে নয় যারা
পোষ্টে আপনার নাম এ্যাড করা হয়েছে, আপনার কোন অপত্তি আছে কি?
১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: না।
৮০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৫
হায়দার চৌধুরী বলেছেন: সভ্যতার বিবর্তনের সাথে মানবিক অনুভূতির বিবর্তনের কি বৈপরিত্য রয়েছে। প্রস্তর যুগের মানুষেরা কি হাসত? যান্ত্রিক যুগে হাস্যদৃশ্য বিরল, ভার্চুয়াল যুগে কি তা সত্যই বিলুপ্ত হবে। যন্ত্র মানুষের মনে প্রস্তর যুগের অনুভূতি জাগাচ্ছে কেন?
আশ্বর্য হাস্যদৃশ্য আশ্বর্য অনুভুতির উপলব্ধি ঘটাল যান্ত্রিক মানসে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৮১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: প্রিয়তে !
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তিতির!
৮২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
সায়েম মুন বলেছেন: চমৎকার প্লটের সুন্দর বুননের গল্প। বর্তমান পৃথিবীর দুঃসময়ের গল্প। ভাল লেগেছে হামা আশ্চর্য হাস্যদৃশ্য।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুনাপ্পা।
৮৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: খুব মজার একটা কাজ হইসে হামা ভাই! বিকালে পড়ে গিয়েছিলাম। হাসির মাধ্যমে মানবিকতা ও যুক্তি-প্রযুক্তি-যান্ত্রিকতার প্লটিং খুব চমৎকার লাগলো! শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েক ভঙ্গিমায় লেখাটা গড়িয়েছে!
শুভেচ্ছা!
১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা ইফতি।
৮৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৮
নাসরীন খান বলেছেন: বিশাল চিন্তা্খরচ করতে হয়েছে ম্যান।এত ধৈর্য!!!
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনমতো চিন্তা পেলে ধৈর্যের অভাব হয় না। শুভেচ্ছা নাসরীন!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!
৮৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
১৯৭১স্বাধীনতা বলেছেন: খুব জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব নিয়া কমেন্টাইতে পারলে একটু ভালো লাগতো,থিম টাই এমন।কিন্তুক কথা হইতেছে লেখা পইড়া আর জ্ঞান কাজ করতেছে না।
অনেক মানুষ যখন একই বিষয় নিয়া ভাবে,এবং বলে তখন মনে হয় দুইটা ব্যাপার ঘটতে পারে।১।যে বিষয় নিয়ে ভাবিত তাই ঘটা
২।যে ব্যাপার নিয়ে বলতেছে সেটা কখনোই না ঘটা।যান্ত্রিকতা আর প্লাস্টিক সভ্যতা এই নিয়ে অনেকেই ভাবতেছে,বলতেছে বোধহয়।
আশা করতেছি ২ নং বিষয়টাই ঘটবে অর্থাৎ মানুষ মহান যন্ত্রের দাস হবেনা,হাসতে ভুলে যাবেনা।
আরে--------জ্ঞান!!!!!! ইয়েস----জ্ঞানী কমেন্ট।
লেখা ভালো লাগছে এইটা কি বলা লাগবে?
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্ঞানী কমেন্টে সাধুবাদ। শুভ সারাদিন।
৮৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
আম্মানসুরা বলেছেন: চমৎকার ও অভিনব!!
অকারন ও কারন সবসময় খুজে নিলে পরিবেশ হাস্যকর রকমের গম্ভির হয়ে যায়।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তন্বী। শুভকামনা।
৮৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অন্যরকম সরল এবং জটিলের মিশেলে চিন্তা।
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা।
৮৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: থ্যাংকস নিগা । ফর দিস নাইস এন্ড উমারাস পিস অফ রাইটিং
++++++ হলুদ তারকা ভাই , মাঝে মাঝে পড়তে হবে ।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!
৯০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬
পেন আর্নার বলেছেন: কী যে চমৎকার করে, পর্যায়ে পর্যায়ে, 'সুবিধাবাদী' গুষ্টিদেরকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে হাসির এই উপাখ্যান গড়েছেন হাসান ভাই, তা বলাই ভার!
অনেক শুভেচ্ছা এবং দোয়া।
শুভসকাল।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৯১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ইউনিক অথচ অনেক শক্তিশালী একটা থিম। খুব ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সকল যুদ্ধের হোতা এই ঘৃণ্য আমেরিকা ধ্বংস হবে যেইদিন, সেদিন সভ্যতার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে--সহমত।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৯২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪১
আরমিন বলেছেন: সত্যিই মনে হয় এমন হবে একদিন, মানুষ হাসতে ভুলে যাবে,
কিংবা আমার মত হাসতে ভয় পাবে !
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: তেমন না হোক। সকল ভয় জড়ো করে আবার হেসে উঠুন। শুভসকাল।
৯৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
যন্ত্রনিগড়ে ঠোক্কর খেয়ে যে হাসি উবে গেছে কবির রাতজাগা অস্থিরতা থেকে, প্রণয় অপেক্ষায় অস্থির হয়ে থাকা চপলা তরুণীর নম্র অধর থেকে, মেঘেদের পাঁখৌয়াজ খুনসুটি থেকে , জোনাকির জ্বলা নেভা ওম থেকে ; তাকে আবার ফিরিয়ে এনে ভবিষ্যতের পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে আমুল পাল্টে দিতে চাইছেন ।
১নং মন্তব্যের জবাবে বলেছেন তাই-ই .....দুজনের গল্পই ভবিষ্যত পৃথিবীকে নিয়ে।
পৃথিবীকে পাল্টে দেয়ার যতো চিন্তা ভাবনা আর ইচ্ছে আছে তাতে যা যা করার তা বিয়ের আগেই করে ফেলুন । বিয়ের পরে সামান্য টিভির একটি চ্যানেলও পাল্টাতে পারবেন না , হুমমমমমমম..........।
ভালো লেগেছে ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সে কী! আমি বিয়ে করে বাচ্চার বাপ হয়ে গেলাম, আর আপনি বলছেন বিয়ের আগে যা করার করে নিতে! আপনি তো আমার বিয়ে নিয়ে পোস্টও দিয়েছিলেন। ভুলে গেলেন!
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! গানের প্রতি আপনার এই ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করে।
৯৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
ভুলে যাই কি করে নিজের দেয়া পোষ্ট ? ভুলে যাইনি মোটেও ।
আপনাকে শিখন্ডী বানিয়ে তরুন প্রজন্মকে সাবধান করে দেয়া আর কি ! পৃথিবীটা পাল্টাতে হবে যে !
তাছাড়া প্রোফেসর শঙ্কু ঐ কাজটি সেরে ফেলেছেন কিনা তা তো জানিনে ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ আচ্ছা! তাইতো বলি।
শুভরাত্রি।
৯৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
আবু শাকিল বলেছেন: পোস্ট দেরিতে পরলাম।পড়ার পর মনে হচ্ছে কি মজাটাই না মিছ করেছিলাম।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৯৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: খিতা হইল ভন্দু?
৯৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার। ++।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শরৎ!
৯৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: +
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
১০০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ লেখনী। এক মাস আগে লেখা আপনার এই পোস্টটি আমার চোখ এড়িয়ে যাওয়ায় দুঃখিত। এই লেখায় কমেন্ট করার মধ্যেও আনন্দ আছে।
ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হেনা ভাই। ভালো থাকবেন।
১০১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, আমার ভুল হয়েছে। আগেই পড়েছি এবং কমেন্টও করেছি। ১ আগস্ট তারিখেই। আপনি ওই দিনই উত্তর দিয়েছেন।
মনভুলো মানুষের কত সুবিধা দেখুন। ভালো লেখা একাধিকবার পড়া হয়ে যায়। হাঃ হাঃ হাঃ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আমিও ফাউ কমেন্ট পেলাম। ধন্যবাদ!
১০২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১১
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: মজার গবেষণা...মন ভাল হয়ে গেল।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুনে আমারও ভালো লাগলো সাদিয়া।
১০৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
লিরিকস বলেছেন: ভাইয়া ছোট একটা বিরতির পর আপনার একটা ভালোলাগা গান নিয়ে হাজির হয়েছি। ভাইয়া আরেকটা লিস্ট বানাতে হবে, আচ্ছা ওটা নিয়ে আমি ইনবক্স করব।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা, কথা হবে। ভালো থেকো।
১০৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:১৭
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: পড়ে ফেললাম স্টাইলটা নতুন লাগলো। আমিতো মাখখানে ভাবতেই শুরু করছিলাম এইবার সায়েন্স ফিকশনেও হাত দিয়ে ফেললেন বুঝি!
কাগজটা কী আসলেই কাগজ? না মেটাফোরিক? কনফিউজড।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাগজটা মেটাফরিক। অনেক দিন পর তোমার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ইমরান।
১০৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
লিরিকস বলেছেন: কেমন আছেন ভাইয়া ?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইতো বেশ ভালো আছি!
১০৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
জয় অপূর্ব বলেছেন: অনেক ক্ষন ভাবাতে বাধ্য করল আপনার লেখাটা। নৈরাশ্যবাদী হওয়ার মত অনেক উপাদান বিদ্যমান। অনেক সস্তা লেখার ভীড়ে এমন একটা অসাধারণ লেখা পেয়ে স্বস্তি লাগল।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। ভালো থাকবেন।
১০৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গত ২ - ৩ মাস ধরে অসাধারণ সব গল্প লিখছেন হাসান ভাই ।
কমেন্টের ঘরে আসলে খেই হারিয়ে ফেলি , কি লিখব ।
হাতের মুঠোয় এত কিছু ধরে ফেলেন ,বিস্তারিত বলতে গেলে ত আরেক পোস্ট হয়ে যাবে।
আপনার এই আঙ্গিক নিয়ে নিরন্তর ভাবনা এবং তার সার্থক
অর্থময় প্রকাশ আমাকে অভিভূত করে ।
আপনাকে পুরোপুরি উম্মোচিত করতে পারে ব্লগে এমন কেউ থাকলে ভাল হত । আমরাও আরো ভালভাবে আপনাকে বুঝতে পারতাম ।
মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আপনার এই সাধনা সফল হবেই ।
ব্লগে আপনাকে লেখা পড়তে পারার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি ।
যান্ত্রিক ভয়াবহতার ভেতর হাসির জন্য আকুলতা
এর ভেতরেই যা আশা খুজে পাই। বন্য পাখি হবার সাধটুকু পূর্ণ
হোক মানুষের ।
ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই ।
শুভেচ্ছা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন কমেন্ট পেয়ে আপ্লুত হলাম। নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছিলাম। এমন দুঃসময়ে খুব দরকার ছিলো এরকম কিছু।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১০৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
রিফাত ২০১০ বলেছেন: +++++++++
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস!
১০৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
কালীদাস বলেছেন: গল্পটা চমৎকার, খুবই ভালো হয়েছে! অনেকদিন পরে আসার কারণে মিস করেছিলাম।
আছেন কেমন?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই আছি। শুভরাত্রি। ব্লগে নিয়মিত হয়া যান!
১১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: +++
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, গল্পের থিমটা ঠিক আছে। আপনার লেখাও ভালো কিন্তু কোথায় যেন একাট সমস্যা আছে, ধরতে পারলাম না।
১)
যেমন গল্পটা শুরু হয়েছে মানুষ হাসতে পারছে না এটা নিয়ে।
"যদিও পৃথিবী এখন খাদ্যে, প্রাচুর্যে, বিত্তে, বস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, সবার জন্যে রয়েছে কাজ এবং বাসস্থান। তারপরেও ঢাকার মত বিভিন্ন শহরে মানুষ হাসতে ভুলে যাচ্ছে। এটা আদতে কোন সমস্যা ছিলো না, কারণ হাসতে না পারলেও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে, কাজ করতে পারে। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা হঠাৎ করে বাড়তে থাকলে এটা নিয়ে একটা সমীক্ষা চালানো হয়, এবং সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় যে হাস্যহীনতার দরুণ মানুষ স্নায়বিক এবং উচ্চরক্তচাপে ভুগে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।"
আমার কমন সেন্স যা বলে মানুষ খাদ্যে, প্রাচুর্যে, বিত্তে, বস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে আনন্দে থাকার কথা। আর আনন্দিত মানুষ হাসবে।
কিন্তু তারা হাসছে না। কারণ কি? সেটার সঠিক ব্যাখ্যা ঠিক খুঁজে পেলাম না।
২)
গল্পের একটা পর্যায়ে এসে থিম একটু বদলে গেল -
"মানুষ অবলীলায় অন্যজনের গলায় ছুরি চালায়। কারো কোনো বিকার নেই। শহরে খুনী বাড়ছে। পেডোফিল বাড়ছে। ধর্ষণ প্রতিদিনকার ব্যাপার। শহর থেকে দেশ, দেশ থেকে মহাদেশে, পুরো পৃথিবীতে ঘোর ডিসটোপিয়া। মানুষের অস্থিরতা প্রকাশ পাচ্ছে মানচিত্রে। ভূমি আর তেল দখলের জন্যে যুদ্ধাবস্থা চতুর্দিকে।"
আগের পয়েন্টটা যদি কারো মাথায় থাকে তাহলে এই লাইনগুলো পড়ে তার মাথায় একটা প্রশ্ন আসবে।
মানুষ না খাদ্যে, প্রাচুর্যে, বিত্তে, বস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল? তাহলে তো তারা সভ্যতার মাত্রায় অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এই উন্নত সভ্যতায় কি পুলিশ টুলিশ কিছু ছিল না?
তাছাড়া স্বয়ংসম্পূর্ণতা আর অস্থিরতা একসাথে যায় না। আমেরিকাকে যদি স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরি তাহলে বলা যায় যে ওরা পৃথিবীতে যুদ্ধ সৃষ্টি করে অস্থিরতা তৈরি করছে। কিন্তু আমেরিকানরা কি তাতে অস্থির হয়ে আছে? আমার কাছে কিন্তু তা মনে হচ্ছে না।
এখানে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
৩) শেষ পর্যায়ে এসে বিশ্ব নেতাদের কাছে একটা মেটাফর ম্যাসেজ আসে যার বক্তব্য এতটাই সত্য ছিল যে সেটা তাদের হাসতে বাধ্য করে।
নেতারা হাসল বুঝলাম, কিন্তু বাকি মানুষগুলো নিয়ে পাঠকের মনে যে দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে সেটা দূর হল না। তারা কি হাসতে পারলো?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: (১) এমন যদি হতো যে প্রযুক্তি তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছে, নতুন করে আর কিছু পাওয়ার নেই, সেক্ষেত্রে মানুষ আয়েশ করতে পারতো। আনন্দ করতে পারতো। ভারহীন অনুভব করতো। কিন্তু প্রাযুক্তিক সভ্যতার সেই শীর্ষবিন্দু কোথায় কেউ জানে না। একটা সময়ে মানুষ সেই শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছাতে গিয়ে কাজ করতে করতে হাসতে ভুলে যায়। এটাকে সভ্যতার অভিশাপ বলতে পারেন। একটা বিশাল পারমাণবিক চুল্লী নির্মানের জন্যে মানুষ কাজ করে যাচ্ছে। তারপর? আরো বড় কিছু। তারপর আরো বড় কিছু। এভাবেই কাজের মধ্যে বিলীয়মান হয়ে মানুষ হাসতে ভুলে যাচ্ছে। হাসার সময় কই?
২)পৃথিবীর কুখ্যাত সব সিরিয়াল কিলারদের বেশিই কিন্তু "মহান সভ্য দেশ" আমেরিকার। এক দল যদি শুধু কাজ করে যায়, আরেকদল ধরে নিলাম, তারা শুধু ভোগেই ব্যস্ত। কিন্তু আর কতো? তারা নতুন আনন্দের সন্ধান করতে গিয়ে অপরাধী হয়ে পড়ে।
৩) নেতারা হাসলো। এতে কী দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারলেন আপনি? তারা হাসলো ঠিকই, কিন্তু এটা ব্যঙ্গের হাসি। মানবিকতা আর সহজ মানবজনমকে অস্বীকার করার হাসি। এই হাসি কি আমরা চেয়েছিলাম? না। সুতরাং, তাদের এই হাসির ফলে আরো অশ্রূ আর রক্তই ঝরবে কেবল, হৃদয় থেকে উৎপন্ন সহাস্য মুখ দেখা যাবে না আর।
শুভদুপুর।
১১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, প্রতিমন্তব্য দেখতে পাচ্ছি না কেন?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: দিয়েছি তো! আমি দেখতে পাচ্ছি।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি তো দেখতে পাচ্ছি!
১১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সাদরিল বলেছেন: এক সময় সামুতে লোক হাসানোর জন্য রম্য লিখতাম। সমাজবিজ্ঞানের গবেষনায় মন দিতে গিয়ে যত গুরুগম্ভীর তত্ত্বের ভারে চাপা পড়েছে সেন্স অব হিউমার। ভাবছি হাস্যরস গবেষণাকেন্দ্রে চাকুরীর জন্য সিভি জমা দিবো। এই গল্পের থিম আপনি কীভাবে বের করলেন সেটা নিয়ে একটি বিশাল গবেষণার হতে পারে। এই গল্পের প্রত্যেকটি লাইন যেকোন গবেষণার জন্য হতে পারে একেকটি হাইপোথিসিস।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: বলেন কী!
১১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একটু অন্যরকম, একটু না অনেকখানিই অন্যরকম। রিয়েলি ডিফরেন্ট প্লট। +++
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
১১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
আহসানের ব্লগ বলেছেন: পোস্ট টা আরেকবার পড়ে গেলাম ।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস!
১১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
তুষার আহাসান বলেছেন: প্রিয় তে
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন:
১১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাসতে নাকি জানেনা কেউ
কে বলেছে ভাই
এই দেখোনা কত হাসির
খবর বলে যাই!
খোকন হাসে ফোকলা দাতে
চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে
...
বোয়াল মাছে হাসি দেখে
হাস পাতি হাস...
পুরাটা মনে নাই। কুট্টি কালের ছড়া....
এই নেন এত্তগুলা হাসি
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন:
১১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
আরিফ রুবেল বলেছেন: বেশ দেরি করে পড়লাম লেখাটা। হাস্য গবেষনা কেন্দ্রের গবেষক কর্মকর্তাদের থাপরানোর কাম, কৌতুকের আবার বিশ্লেষন তার আবার যন্ত্র আর সভ্যতার অনুগামী হওয়া ! যন্ত্র তো হাসে না আর মানুষ অসভ্য জিনিসে রসবোধ করে বেশি, একেবারে যাকে বলে গোড়াতেই গলদ
পুরো গল্পটায় একটু ছেড়া ছেড়া ভাব ছিল, আপনার সিগনেচারটা অস্পষ্ট। অবশ্য অনেক দিন পর পড়লাম এটা একটা কারন হতে পারে।
আমরা কিন্তু আসলেই হাসতে ভুলে যাচ্ছি, অবাক হওয়া ভুলে যাচ্ছি, খুব সহজে আর আমরা শকডও হই না। আমাদের কাছে সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। খুব সম্ভবত আমরাও দূর ভবিষ্যতে আপনার গল্পের সমাজের মত এক সময় হাসতে ভুলে যাবো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ। সেরকম কিছু হবে না। মানুষ দোজখে গেলেও হাসবে।
শুভেচ্ছা আরিফ।
১১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: কৌতুক ও বিশ্লেষণের গল্প ভালোলাগল
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
১২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ...উড়তে উড়তে সভ্যতার প্রতিনিধিদের সভাকক্ষ থেকে ভেসে আসা হাসির শব্দে স্বস্তি পেতে চাইলো একবার, কিন্তু সেটা আর মানুষের হাসির মতো লাগে না তার কাছে। হায়েনার ক্ষুধার্ত আস্ফালন মনে হয়। ছিড়ে-খুড়ে সব খেয়ে নিবে, সবারই অসীম ক্ষুধা, কিচ্ছু অবশিষ্ট রাখবে না আর। ....
বছর শেষের সংকলন লেখার সৌজন্যে মিস হয়ে যাওয়া দারুন একটা লেখা পেয়ে গেলাম।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা পলক শাহরিয়ার।
১২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪১
মহান অতন্দ্র বলেছেন: খুব ভাল লাগল +++
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শক্তিশালি থিম।
যেখানে মানবতা স্রেফ রুপকথা, যেখানে শান্তিরক্ষীরা চোখকান ঢেকে লুডু খেলে ঘরে বসে; বাঁচার স্বাভাবিক উপাদান হারিয়ে যেতে থাকে, সেখানে আমরা ঘটতে দেখি ক্রিসক্রস খেলার মতন আশ্চর্য এক বিবর্তন। কৌতুক হয়ে ওঠে মানবতার গবেষণার বস্তু, আর মানুষের প্রেম-সৃষ্টি- ভ্রাতৃত্বের কথা শুনে মনে হয় কৌতুক, স্রেফ কৌতুক।
প্রথম প্লাস দিলাম শুভরাত্রি।