নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(মূল গল্প)
জেনির জীবনে এত বড় দুঃসময় আর আসে নি। ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা সামনেই, কত পড়া বাকি! গত চার বছরে কঠোর পরিশ্রম করে নিজের পড়ালেখার খরচ চালিয়েছিলো সে, কখনও টিউশনি করে, কখনও পার্টটাইম জব করে। কখনও সে অবুঝ ছাত্রের বোকা বোকা প্রশ্নের সামনে অনেক কষ্টে মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে চশমাটা ঠিক করতে করতে শান্ত স্বভাবের শিক্ষিকা, কখনও ফোনে মধুকণ্ঠে কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে লাস্যময়ী সেলসগার্ল। কত কিছুই না করলো সে গত চার বছরে! এমন অবস্থা হবার কথা ছিলো না যদি তার বাবা সুস্থ থাকতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার কিছুদিন পরেই তার বাবা স্ট্রোক করে শয্যাশায়ী হলেন। আর সেই সাথে ভেঙে পড়লো টিমটিম করে জ্বলতে থাকা সম্মানিত জীবন যাপন করার চেষ্টায় নিয়োজিত মধ্যবিত্ত পরিবারের অর্থনৈতিক কাঠামো। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের অবশ্য এমন অবস্থার জন্যে প্রস্তুত থাকতেই হয় সবসময়। জেনিও নিজের খরচ চালানোর ভারী জোয়ালটাকে কাঁধে নিয়ে অসুস্থ বাবার স্বপ্নপূরণের আচষা রুক্ষ জমিনটা কর্ষণ করে চলছিলো। তাই সে পড়াশোনা করার সময় পেত খুব কম। পরীক্ষার দু সপ্তাহ আগে থেকে যে পড়াটা পড়তো, তাতেই মোটামুটি মানুষকে বলার মতো ফলাফল আসতো। কিন্তু এবার আর তাও হলো না। পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে বাবা মারা গেলেন। বাবাহীন পৃথিবীর কাঠিন্য ভালোমত বোঝাতেই যেন জেনির মৃত্যুর সাথে যুক্ত হলো সর্বশেষ কেতাবী পরীক্ষা।
কাটপিস-১
(এই অংশের সাথে মূল গল্পের কোন সম্পর্ক নেই। পরস্পর সম্পর্কহীন কিছু যৌন বর্ণনা মাত্র। আপনি চাইলেই সাচ্ছ্যন্দের সাথে এটাকে এড়িয়ে যেতে পারেন। পরবর্তী কাটপিস অংশগুলোর জন্যেও একই কথা প্রযোজ্য)
-কী করো জেনি?
-এই তো, কিছু না।
-রুমে কেউ আছে?
-না, নেই। কেন গো?
-দরকার আছে গো!
-উমম! তোমার দরকার তো জানি পাজি কোথাকার!
-তুমি এখন কী পরে আছো?
-সালোয়ার কামিজ।
-কী রঙের?
-সবুজ।
-নিচে কিছু পরোনাই?
-এ্যাই রাসেল, আমি ফোন রেখে দিবো কিন্তু। হিহিহি!
-বলো না, নিচে কিছু পরো নাই?
-উম। হু। পরেছি।
-কোন কালারের ব্রা পরেছো?
-সাদা।
-তোমার কামিজটা খোলো।
-এ্যাই! উহু! হুম! ন্ না!
-খোলো না লক্ষী!
-উম।
-খুলেছো?
-হুম।
-ব্রাটাও খুলে ফেলো।
-খুলেছি।
-তোমার বুকে আমার মৃদু স্পর্শ...
-হু...
-তোমার নিপল চুষছি... আহা! কত তৃষ্ণার জল সেখানে!
-রাসেল...
(মূল গল্প)
খবরটা যখন পেলো, তখন সকালের পিঠে সূর্যটা আলতো করে চাপড় দিয়ে তাকে জাগাচ্ছিলো। মৃদু সূর্যালোক। মিষ্টি তার স্পর্শ। জেনি গভীর ঘুমে নিমগ্ন ছিলো তখন। সারারাত জেগে পড়তে হয়েছে। আধোঘুমে ফোনটা ধরে সে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারে নি যে বাবা নেই। মনে হচ্ছিলো স্বপ্নলোকের দেবতারা তার সাথে কোন নির্মম রসিকতা করছে। ধাতস্থ হবার পরেও তার মাথা কাজ করছিলো না। বাবা নেই! বাবাবিহীন পৃথিবী সে কল্পনাও করে দেখে নি কোনদিন। দুঃখ-কষ্ট ছাপিয়ে সে আশ্চর্য এক শূন্যতা অনুভব করতে লাগলো। তার মনে হচ্ছিলো মগজের ভেতর কেউ একটা দ্রুত ঘুর্ণায়মান লাটিম ছেড়ে দিয়েছে। সে দাঁড়াতে গিয়ে পাঁক খেয়ে পড়ে গেলো। সে অবস্থায় অনেকক্ষণ বসে থাকলো জড়ভরতের মতো। মাথার মধ্যে ঘুরেছে উদ্ভুত পরিস্থিতির সাথে হাত ধরে আসা নতুন বিপর্যয় গুলো।
টাকা, টিকেট, বাস নাকি ট্রেইন? পাওনা আদায়, কাপড়-চোপড়। ব্যাগ গোছানো। পরীক্ষা, শোকপালন, আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। পারবে কি সে?
কাটপিস-২
এখানে জেনির গোসল করা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। গোসলখানায় ঢোকার পর সে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে যায়। তার পিনোন্নত বক্ষ, ছিপছিপে শরীর আর বাঁক খাওয়ানো শরীরের মধ্যপ্রদেশ সে নিজেই মুগ্ধ হয়ে দেখে। এই তো আরেক সম্পদ তার। মাঝেমধ্যে সাবান দিয়ে গা কচলাতে গিয়ে যখন তার ক্ষুধার্ত বন্য জংলি ত্রিভুজটার কাছে হাত চলে আসে, সেই হাত আরো গভীরে ঢুকতে চায়। সে দুটো আঙুলকে শিশ্ন মনে করে নিজেতেই নিজে প্রবেশ করে। তখন তার রাসেলের কথা মনে পড়ে খুব। রাসেল এত লাজুক কেনো? সে কি বোঝে না তাকে সমস্ত দেয়ার জন্যে সবসময়ই প্রস্তুত থাকে জেনি? রাসেল যদি এখন থাকতো, যদি তার শক্ত দুটো হাত দিয়ে স্তন চেপে ধরতো, যদি তাদের ঠোঁট আর জিভ পরস্পর সংযুক্ত হয়ে শুষে নিতে চাইতো একে অপরের শরীরের অমৃতসুধা! আগ্নেয়গিরির গিরিখাঁদে দ্রুত জেনির আঙ্গুল চলতে থাকে।
মূল গল্প
ধারের টাকাগুলো আদায় করে আর কিছু টাকা ধার করে যাওয়া আসার ভাড়া যোগাড় হলো শেষপর্যন্ত। সে আশ্চর্য বিষণ্নতার সাথে লক্ষ্য করলো যে সদ্য পিতা হারানোর শোককে কীভাবে কবজা করে নিচ্ছে নিষ্ঠুর দৈনন্দিন! বাবা মারা গেছেন, সেই সময়টা সে পাশে থাকতে পারে নি, এই কষ্টের সাথে যোগ হয়েছে বাড়িতে যাবার টাকা যোগাড়ের চিন্তা, করুণ মুখ করে একে একে বন্ধুদের কাছে যাওয়া, আর অশ্রূর বিনিময়ে অর্থ পেয়ে ভারমুক্ত হওয়া। ভারমুক্ত! এই কঠিন পরিস্থিতে কী লাগসই একটা শব্দ! যে শূন্যভার বাবা তার বুকে জমা দিয়ে গেছেন, তা কি কখনও পূরণ হবে? কিছুতেই না। কেন সে বাবার পাশে বসে তার হাত জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারলো না? কেন সে তাকে "কিছু হয়নি বাবা, এই যে আমি তোমার পাশে" বলে সাহস যোগাতে পারলো না? কেন সে এখন বাড়ি যাওয়া আসার ভাড়া ওঠাতে এবং পরীক্ষার কারণে বাড়িতে কয়দিন থাকা যাবে এসব নিঠুর হিসেব কষতে ব্যস্ত? কিন্তু হিসেব না করে উপায়ই বা কী! পরীক্ষা তাকে দিতেই হবে। নিজের জন্যে। সংসারের জন্যে। হিসেবটা না করলেই নয়। বাসায় কিছু বইপত্র নিয়ে যাবে নাকি? এই শোকের পরিবেশে সে বাবার মৃতদেহের গন্ধমাখা ঘরে বসে বসে অর্থনীতির কঠিন সূত্রগুলো মুখস্ত করছে ভাবতেই কেমন গা রি রি করে ওঠে। সুতরাং সেই চিন্তা বাদ দিয়ে দিলো সে। দুঃখিত বাবা, তুমি কেনো ভুল সময়ে চলে গেলে? কিসের এত তাড়া ছিলো তোমার? জেনি ভাবে। ভাবতে ভাবতেই নাঘুমো রাতের ক্লান্তি নিয়ে টলোমলো পায়ে হাঁটতে হাঁটতে বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সকালের বাস মনে হয় না পাওয়া যাবে। দুপুরের বাস অবশ্যই পাওয়া যাবে। এর ফাঁকে একটু সময় ঘুমিয়েও নিতে পারবে! হাহ! ঘুম! জৈবিক প্রয়োজনের কাছে শোকার্ত মন শেষতক পরাজিতই হয়, এমন কঠিন নিয়ম সৃষ্টিকর্তা কেন বানালেন?
কাটপিস-৩
সেদিন রুমে কেউ ছিলো না, এক বড় আপা সোনিয়া আর জেনি ছাড়া। সোনিয়ার আচরণ বড্ড ক্ষ্যাপাটে। সে মাঝেমধ্যে এমন সব কথা বলে, জেনির মধ্যে একটা আধা আকৃষ্ট আধা বিকর্ষিত সাইকোসেক্সুয়াল অনুভূতির জন্ম নেয়। মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এই তো সেদিন সোনিয়া বলেছিলো
"জেনি, আমি যদি ছেলে হতাম, তাহলে তোকে তুলে নিয়ে গিয়ে রেপ করতাম। তুই এত সেক্সি কেন রে?"
বলতে বলতে সে জেনিকে জড়িয়ে ধরে। ঠোঁটে চুমু দেয়ার চেষ্টা করে। জেনি প্রথমদিকে খুব বিরক্ত হলেও অভ্যাসবশত, অথবা পুরুষসঙ্গের স্বল্পতায় ভোগা অবদমিত কামনার বশে পরের দিকে অনিচ্ছা স্বত্তেও নিজেকে ছাড়িয়ে নিতো। সেদিন, সেই নির্জন রুমে বর্ষার তুমুল বর্ষণে প্রকৃতি যখন সিক্ত, সোনিয়া আপা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরার সময় সে নিজেও সিক্ততা অনুভব করে। জংলি মাংসল ত্রিভুজের প্রারম্ভিক সিক্ততা। সোনিয়া আপা তাকে গলা জড়িয়ে ধরে বলে,
"কী করো জেনিসোনা? কী এত পড়ো?"
সোনিয়া আপার কণ্ঠে মাদকতা। ভারী নিঃশ্বাসের সাথে সর্বগ্রাসী আগুন জ্বলে উঠছে। তার হাত স্থির থাকছে না। পিঠ থেকে কাঁধে, কাঁধ থেকে কামিজের ভেতর স্তনবৃন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সেইসাথে কাঁধে একটা চুমু। খুব মৃদু। যেন এক কোটি কিলোমিটার দূরের সাইক্লোনের হাওয়া একটু ছুঁয়ে গেলো। তারপর আরো এলাকা অধিগ্রহণের সাথে সাথে সাইক্লোনটা ক্রমশ কাছে আসতে থাকলো। জেনি ঝট করে ঘুরে তাকালো সোনিয়ার দিকে। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলো সে। তাকে জাপটে ধরে জোর করে ঠোঁটে চুমু দিতে লাগলো। ন্যাচারাল রিফ্লেক্সে জেনি প্রথম প্রথম বাধা দিলেও পরে সে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
-একটা দুমুখো বড় ডিলডো থাকলে বেশ হতো রে জেনিসোনা, তাই না?
জেনি কোন উত্তর দিতে পারে না। সে তখন তার সংরক্ষিত ত্রিভুজ এলাকা উন্মুক্ত করে দিয়েছে সোনিয়ার জন্যে। সোনিয়া পাকা মেয়ে। ঠিক ঠিক জি স্পট খুঁজে নিয়ে জিভ দিয়ে লিক করতে লাগলো। এই অবস্থায় কামাতুর গোঙ্গানি ছাড়া আর কোন শব্দ বের হতে পারে মুখ থেকে?
মূল গল্প
বাসায় মাত্র একদিন থাকলো জেনি। মরাবাড়িতে মানুষের ভীড়ে সৌজন্য রক্ষা করে চা-নাস্তার ব্যবস্থা করার মতো কাজ করতে করতে জেনির উপলদ্ধ জীবনে কঠিন বাস্তবতার প্রলেপ শোককে কিছুটা হলেও হালকা করলো। আর ফাঁক পেয়ে নিজের ঘরে একা কাঁদতে কাঁদতে তার নতুন উপলদ্ধি হলো যে, বাবা ছাড়া জীবনও সম্ভব। কষ্টকর, তবুও সম্ভব। শোকের শকুন তারদিকে আড়চোখে চেয়ে থাকলে জেনি তাকে ধাওয়া দিয়ে উড়িয়ে দেয়। জেনি আবার উঠে দাঁড়াবে। পরীক্ষা দেবে। সংসারের খরচ চালাবে। পরদিন সকালের বাসেই সে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
কাটপিস-৪
জেনি স্বপ্ন দেখছে। রাসেল তার বলশালী দু হাত দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে জেমির সবুজ শাড়ি খুলে ফেলছে। তার পরনে এখন ব্লাউজ আর পেটিকোট। ব্লাউজের বোতাম খুলবার সময় রাসেল কোন তাড়াহুড়ো করলো না। ধীরতার সাথে একটা একটা করে বোতাম খুলছে। আবার সেই বক্ষবন্ধনী কেনো! রাসেল এবার আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারলো না। টান দিয়ে ছিড়েই ফেললো। জেনি থরথর করে কাঁপছে। তার স্তন আর স্তনবৃন্তে অজস্র চুমুর চুমুক। আর এক হাত পেটিকোটের ভেতর দিয়ে রসসিক্ত যোনীতে নিবিড়ভাবে আঙলি করছে। জেনি আর পারছে না। উত্তেজনার বশে মারাই যাবে যেন...
মূল গল্প
গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে নেমে সাত নাম্বার লোকাল বাসে চড়ে বসলো জেনি। সিএনজিতে গেলে ভালো হতো, তবে অত টাকা তার নেই এই মুহূর্তে। এখন সন্ধ্যা সাতটা। বাসের কন্ডাক্টর যাত্রীদের গালিগালাজ আর কটুক্তি উপেক্ষা করে এখনও ডেকেই চলেছে "এই শ্যামলী, কলাবাগান, সাইন্সল্যাব, আজিমপুর..." "ভাই একটু চাইপা দাঁড়ান না"
জেনি মনে মনে বড়ই অস্থির বোধ করছে। সাড়ে আটটায় হলের গেট বন্ধ করে দেয়। সে কি সময়মত পৌঁছুতে পারবে?
" একটু তাড়াতাড়ি করেন না ভাই"
মিনতিভরা কণ্ঠে সে আবেদন জানায় কন্ডাক্টর আর ড্রাইভারের কাছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সবাই শুধু নিজ প্রয়োজনটাই বোঝে। জেনির হলে কখন গেট বন্ধ হবে এটা তাদের জ্ঞাতব্য বিষয় হতে পারে না। অবশেষে একটি পিঁপড়াও ঢুকতে পারবে না, এমন অবস্থার সৃষ্টি হলে ড্রাইভার গাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জ্যাম ঠেলে অবশ্য এগুতে পারে খুব সামান্যই। পৌনে আটটার সময় কেবল শ্যামলীতে পৌঁছুলো বাসটি।
জেনির শোকের ঘায়ে নুনের ছিটার মতো জড়ো হয়েছে হোস্টেলে সময়মতো পৌঁছোনোর চিন্তা। সাড়ে আটটার মধ্যে পারবে তো? রাস্তার ভাবচক্কড় খুব একটু সুবিধের মনে হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে এখন হলের লিডারগোষ্ঠীর দ্বারস্থ হতে হবে। গত চার বছরে জেনি এ কাজটি একবারও করে নি। নেতৃস্থানীয় সুকন্যারা উপকার করেন ঠিকই, কিন্তু তার বদলে অনেকসময় বিশাল খেসারত দিতে হয় বেশিরভাগকেই। কিন্তু জেনির অতশত ভাবলে তো চলবে না! আর মাত্র পাঁচদিন পর পরীক্ষা শুরু। আর আজ রাতে সময়মত যদি হলে পৌঁছুতে না পারে, থাকবে কোথায় সে? এই শহরে রাত্রি যতই নিঝুম হয়, তার সাথে সাথে পাশবিক যৌন দুর্বৃত্তপনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বাসটা এইবার কিছুটা জোরে চলছে। জ্যাম ফিকে হয়ে এসেছে শ্যামলী পার হবার পর। আরো ৩৫ মিনিট সময় বাকি আছে। এর মধ্যে কি যেতে পারবে সে? বাধ্য হয়ে জেনিকে ফোন করতেই হয়,
-হ্যালো! সুমাইয়া আপা? আমি জেনি বলছি। ফোর্থ ইয়ার ফাইনালের জেনি। জ্বী খুলনার। হ্যাঁ বাড়ি গিয়েছিলাম। আমার বাবা মারা গেছেন তো। আজকে আমার পৌঁছুতে দেরী হতে পারে। একটু দেখেন না বিষয়টা! জ্বী? কেয়া আপার কাছে ফোন করবো? উনার নাম্বারতো আমার কাছে নেই। কষ্ট করে যদি মেসেজ করে দেন... ওকে আপা। অনেক ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ।
কেয়া আপার কাছে ফোন করে জেনি। ফোন বাজছে, কেউ ধরছে না। জেনি উৎকন্ঠিত হয়ে বারবার ফোন করেই যায়। ওদিকে সোয়া আটটা বেজে গেছে। সায়েন্স ল্যাবের কাছে আবার সিগন্যাল পড়লো একটা। কী যে হবে!
কাটপিস-৫
জেনির পরনে সবুজ রঙের কামিজ। নীল সালোয়ার। আকাশী রঙের ওড়না। তার বুকের মাপ ৩৬ ডি। নিপলের রঙ খয়েরি। ব্রা পরেছে কালো রঙের। তার ফর্সা চেহারার সাথে এই রঙ খুব মানায়। জেনির মুখোমুখি বসা ছেলেটা উঁকিঝুকি মেরে দেখার চেষ্টা করছে। ষোল বছররের ছেলেরা আইন অনুযায়ী শিশু। আসলে তাদের মতো লম্পট কমই থাকে। ছেলেটা এক দৃষ্টিতে জেনির কাঁধের দিকে তাকিয়ে থাকে। কালো রঙের ব্রায়ের স্ট্র্যা প দেখা যাচ্ছে। শরীরের ভেতরটা আরো না জানি কত সুন্দর! আজকে একে ভেবে হাত না মারলেই না!
#পাঠক, জেনি গন্তব্যে সঠিকসময়ে পৌঁছুতে পেরেছে কী না তা জেনে আপনার, আমার লাভ কী! কাটপিসগুলো কেউ এড়িয়ে যায় নি আমি বাজী ধরে বলতে পারি। কাটপিসগুলো জোড়া লাগিয়ে আমরা বরং জেনির যৌন অভিজ্ঞতা এবং ভাবনাকে সম্বল করে ঘুমোনোর আগে একবার হস্তমৈথুন করে নেই, কী বলেন? আমাদের কাছে হয়তো এটাই মূল গল্প। পিতৃশোকে কাতর এবং নানা ঝঞ্ঝায় পর্যুদস্ত জেনিকে নিজ বাসায় একরাত রাখলে যে আপনি তার ওপর মাঝরাতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না তার নিশ্চয়তা কী? তাই জেনির গন্তব্য নিস্প্রয়োজন। ওহ, শেষ করার আগে জেনি সম্পর্কে আসল কথাটাই তো বলা হলো না! তার ভাইটাল স্ট্যাট ৩৬-২৬-৩৬।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মৌরিলতা।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাসান ভাই, কার কেমন লাগবে আমি জানি না, তবে আমার ব্যক্তিগত মতে এই গল্পটি নিঃসন্দেহে আপনার সাম্প্রতিক কালের লেখা অন্যতম ভালো গল্প। পাঠকের মন নিয়ে লেখক অত্যন্ত গভীর ভাবেই খেলেছে। স্পর্শকাতর এই বর্ননাগুলোকে শুধুমাত্র স্থুলভাবে দেখার অবকাশ নেই। জীবনের নির্মম বাস্তবতায় কিছু অন্ধকার গল্প হয়ত এইভাবেই কাটপিস নাম ধারন করে, যা হয়ত কিছু মানুষকে স্বমেহনেরই আনন্দ দেয়। আর হ্যাঁ, জেনিদের গন্তব্যের শেষ ঠিকানা জানা আমাদের নিষ্প্রয়োজন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা! রাত জাগা সার্থক মনে হচ্ছে এখন।
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪৯
ডি মুন বলেছেন: অপেক্ষায় ছিলাম প্রত্যাশিত সমাপ্তির এবং তা সম্পন্ন হলো।
শুভকামনা হাসান ভাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন।
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪৯
joos বলেছেন: "কাটপিস"গুলো না দিলেই কি হতো না? "মূল গল্প"টাই তো যথেষ্ঠ ভাল ছিল...
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাংলা সিনেমায় একটা সময় ছিলো না? মূল ছবির সাথে সম্পর্কহীন অশ্লীল কাটপিস দিয়ে ছবি চালাইতো? আমি সেটা গল্পের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলাম। পাঠকের মনের সাথে একটা খেলা করা। মূল গল্পটি নিরানন্দময়। তাই পাঠক আশা করি জেনির দুঃসময় কে তোয়াক্কা না করে তার যৌনজীবন নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পারবে। এরকমটাই যে হয়। বাস্তবে, সিনেমায়, সাহিত্যে...
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১২
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পের প্রথম অংশ শেষে, প্রথম কাটপিস দেখে একটু ভয়ে ভয়ে এগুচ্ছিলাম। পড়ার সময় চিন্তা করছিলাম শেষটা কেমন হতে পারে। তবে শেষে এসে সব দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। পারফেক্ট সমাপ্তি।
অনেকেই হয়ত কাটপিস রাখা নিয়ে দ্বিমত করতে পারে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মতামত কাটপিসগুলো রাখা যথার্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা ছাত্রীদের সম্পর্কে জেনারেলি আমরা কি ধারণা পোষণ করি? তাদের পড়াশুনা, তাদের কষ্টের কথা আমারা কি একটি বার চিন্তা করি? না আমারা প্রথমেই যে জিনিসটা ভাবি টা হচ্ছে এই মেয়েগুলো নিশ্চয়ই অনৈতিক কাজে লিপ্ত থেকে অর্থ উপার্জন করে ব্যয়ভার বহন করে। প্রায় সময় তাদের নিয়ে মুখরোচক গল্প তৈরি করি। কিন্তু একবারও তাদের কষ্ট, তাদের অধ্যাবসায় আমাদের আকৃষ্ট করে না। কিন্তু তাদের ফিগার, তাদের অন্তর্বাস আমাদের ঠিকই আকৃষ্ট করে।
গল্পে ভালো লাগা রইল হাসান ভাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনোযোগী পাঠের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। শুভসকাল।
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৬
joos বলেছেন: "মূল গল্পটি নিরানন্দময়"!! কি বললেন এইটা??? আমার উল্টা কাটপিস বিরক্ত লাগছিলো পড়তে। তাই প্রথম দুইটা কাটপিস পড়ার পর থেকে কাটপিস স্কিপ করে মূল গল্প পড়ে গেছি। তবে আরেকভাবে চিন্তা করলে বলা যায় কাটপিস থাকায় ওভারঅল ভাল একটা কন্ট্রাস্ট তৈরি হয়েছে। কাটপিস পড়ে বিরক্ত লাগছিলো দেখেই হয়তো মূল গল্পটা আরো বেশি ইন্টারেস্ট নিয়ে পড়েছি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা আসলে পাঠকের সাথে একটা খেলা ছিলো। আপনি জিতেছেন।
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:২৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভাইরে ভাই! এইভাবে কেউ পাঠককে নিয়ে খেলে জানাছিল না।
কাটপিসগুলো খুব স্থুল হলেও, গল্পের শেষের লাইনগুলো সবাইকে নাড়া দিতে বাধ্য।
+
গুরু টাইপ লেখা হইসে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রায়ান! শুভদিন।
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৩
জুপিটার মুহাইমিন বলেছেন: কাটপিস!!! অশ্লীলতার তুঙ্গে.........
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হয়।
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৯
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: বাবা-মা খারাপ বলতে যা বুঝিয়েছে সারাজীবন তা এড়ানোর মতো লক্ষ্মী মেয়ে আমি। তাই কেমন অস্বস্তি হচ্ছিল লেখাটা পড়তে। মানুষের মনোজগতের অন্ধকার নিয়ে আমি লিখতে পারি না। আমার আঙুল সযতনেই কোনো অশ্লীল শব্দ এড়িয়ে যায়, ঠিক পরিণত মানসিকতার লেখা গ্রহণ করার মতো মানসিকতা আমার এখনো তৈরি হয়নি। শব্দের বুননে শরীরী বিষয়গুলো ঢেকে দেওয়া যেখানে শিল্পের রূপান্তর সেখানে অন্ধকারকে কাছ থেকে দেখে কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা কজনের সাহসী কলম তুলে আনতে পারে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার আছে অন্ধকার
তোমাকে আমি দেবো...
জুয়েলের গান। খুব প্রিয় আমার।
তবে অন্ধকারের বিক্রিবাট্টা কম হওয়াই ভালো। কিন্তু একদম শূন্যতে নেমে যাওয়া মানে শক্তিশালী আলোকরশ্মি দ্বারা পর্যুদস্ত হওয়া।
শুভ সকাল।
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জেনির গল্পটি যেকোন মানুষের গল্পের মতো অসম্পূর্ণ রয়ে গেলো। বেচারা...
কাটপিসের ব্যাপারে আপনার সতর্কতায় যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছি।
শুভ শুক্রবার!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ। শুভ ছুটির দিন।
১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৪
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: শুভ সকাল।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো কাটুক দিন।
১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: যখন প্র্যাকটিস করতাম তখন পেশাগত কারণেই জেনিদের মত বেশ কিছু মেয়েকে তাদের প্রচন্ড মানসিক অসুস্থতায় কাউন্সেলিং করতে হয়েছে-দেশে ও বিদেশেও।আপনার গল্পটা তাদের নিখুঁত কেস হিস্ট্রি।তবে এটা তাদের বাহ্যিক দিক।এদের ভিতরে যে প্রচন্ড মানসিক দ্বন্ধ ও কান্নার স্রোত বয়ে যায় সেটা কেউ দেখে না,আর সেটা ওরা দেখাতেও চায় না মনে হয়।যেহেতু আমি বিষয়টা সম্পর্কে কিছুটা জানি তাই গল্প ছাপিয়ে জেনি’র অপ্রকাশিত মনোজাগতিক বিষয়গুলোই আমার কাছে প্রতিভাত হয়েছে
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার পছন্দের বিষয় সাইকোলজি। কেন যে ঢাবিতে সাইকোলজিতে পড়লাম না, এ নিয়ে অনেক দুঃখ হয়।
শুভদিন।
১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কাটপিসগুলো নিয়ে পাঠকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। ব্যাপারটা অভিনবও বটে। মূল গল্প ১০০তে ১০০ পেয়ে পাশ।
ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ১০০ তে ১০০ পাইসি হুররে! এখন ভার্চুয়াল মিষ্টি খান!
১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কাটপিস আর মূল গল্প !!
২০০৬-০৭ এর বাংলা সিনেমার পোষ্টার মাথায় ভাসছে হাসান ভাই !
শুভ সকাল !~
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আমি পুরোনো পাপী। ৬-৭ সালের দিকে কিছুই ছিলো না। ২০০১ থেকে ৫ পর্যন্ত যা চলসে না!
১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১১
আলম দীপ্র বলেছেন: হামা ভাই আর কি বলব ! সবাই তো কত কথা বলল । আমি সমস্ত গল্পটাই উপভোগ করেছি ভাই ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। শুভদিন।
১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: গপ্পো পড়িয়া রীতিমত আঁতকে উঠিয়াছি ভ্রাতা । ঘুম থেকে উঠেই অফলাইনে পড়েছি । কাটপিস এড়িয়ে যাই নি , গল্প যদি ধরতে না পারি তাই ! আপনার গপ্পোখানা পড়িয়া মাথায় একখানা বদ মতলব ঘুরিতেসে । আই মিন , লেখালেখির বদ মতলব
গল্পে ৫ম ভালোলাগা রইল । ভালো থাকবেন সবসময়
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার বদ মতলবটা শিঘ্রই ব্লগপোস্ট আকারে দেখতে চাই।
শুভেচ্ছা।
১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ২০০১ এ হাই ইস্কুলে ভর্তি হইছি , অত ছুডুকালের কথা মনে নাই !
তবে কবে জানি মনে আছে এক সেই লেবেলের সিনেমার পোষ্টারে লেখা ছিল
" অশ্লীলতা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার , অশ্লীলতার সংজ্ঞা নাই "
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। মোহাম্মদ হোসেনের ছবি ছিলো ওটা সম্ভবত।
১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩১
শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: কাটপিস টা নিয়ে একটূ দ্বিধায় ছিলাম!
কিন্তু একদম শেষ এ এসে এন্ডীংটা ভাল্লাগলো হামা ভাই !
ধন্যবাদ ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস!
১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটি গবেষণা ধর্মী গল্প কিন্তু অল্প বয়সের মানুষ পড়লে তাদের জন্য সুখকর কিছু বয়ে আনবে না ।
অনেক বাস্তবতা রাতের পর্দার আড়ালে থাকা মঙ্গলজনক মাহবুব ভাই ।
আপনার দারুন সৃষ্টিখানি উপলব্ধি করা ও এটি স্বাদ আস্বাদন করতে
অনেকে ব্যর্থ হবে বলে আমার আশংকা ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।
২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: মুল গল্পের শেষ অংশটা অনেক টানটান, ভাবছিলাম কি হবে সে কি পারবে টাইম মত পৌছতে, না পারলে কি হবে........... এর মাঝে শেষ করে ফেললেন!
কাটপিসগুলা ২১ + হয়ে গেছে, কাটপিস৩ দিয়ে একটা মুভির স্কিপ্ট লেখা যাবে!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী আর করা। গল্প হিট না হৈলেও কাটপিস হিট হৈব শিওর।
২১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলা মানুষের ভিতরে বাস করা শ্বাপদকে।
একই জেনি, দুইটা রুপ, একই পাঠক, মনের এপিঠ ওপিঠ...অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকেই দুর্দান্ত একটা কন্সেপ্ট দেখলাম। অসাম হামা ভাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমাকে খুব মিস করি তন্ময়। রেগুলার হওয়া যায় না?
২২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: ভালো ফলাফল ++++++++
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
বাংলার পাই বলেছেন: একই মানুষের দুইটা রূপ বেশ চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
সত্যি একই মানুষের মধ্যে কত রকমের মানুষ যে বাস করে। কত রকম যে তাদের ভিন্ন ভিন্ন রূপ---কেউ সংগ্রামী কেউ প্রেমিক, কেউ প্রতারক।
মুল গল্পের জেনির মত বর্তমান সময়ের অনেকই কঠোর সংগ্রাম করে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে। কিন্তু তাদের সংগ্রামকে আমরা মর্যদা দিতে শিখিনি। বরং তাদেরকে বিভিন্ন মুখোরচক উপাধি দিয়ে থাকি।
আপনার গল্পের জন্য অনেক অনেক ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
২৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: এবসুলেট মানুষ আর জীবন একেছেন। গল্পে সত্য লেখার সাহসকে সালাম।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাবেয়া।
২৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার গল্প পড়ার আগে আমি মন্তব্য গুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নেই ! আমার জন্য সুবিধা হয় !
কেবল মুলগল্পই পড়লাম প্রথমবার । রান্না করে খেয়েদেয়ে াসল জিনিস পড়তাছি দাড়ান
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন:
২৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনে যে বস এইডা তার উৎকৃষ্ঠ প্রমান। গল্পের পাদটিকা যা দিলেন না??? সব পাঠকের বাশঁ মেরে দিলেন!!!!
গল্প সম্পর্কিত দুইটি কথা।
১ম কথা: অনেক আগে একবার আমার নানা বাড়ির এলাকা থেকে আমার এক বন্ধু এসেছিল আমাদের বাড়ি। তার আবদারে মনিহারে ঢুকছিলাম সিনেমা দেখতে। ছবি শুরুর বিশ মিনিটের মাথায় হঠাৎ করে দৃশ্য চেঞ্জ হয়ে যায়। কাহিনীটা আমার জন্য ছিল একেবারে নতুন।
২য় কথা: এলাকায় থাকতে যখন আমার গল্প কবিতা দৈনিক পত্রিকার সাময়িকিতে প্রকাশ পেত তখন আমাদের বাজারের এক লাইব্রেরীর দোকানদার আমাকে বলেছিল উপন্যস লিখে বই বের করতে। তবে উপন্যাসে যেন এডাল্ট কিছু থাকে। তাহলে নাকি সেই বই পাবলিকে খাবে। আমি তখন এডাল্ট লিখতেও পারিনি, বইও বের করা হয়নি। তবে আজকে আপনার গল্পটা দেখে উৎসাহ পেলাম।
চ* সাহিত্যের মতো অসাহিত্যকে সাহিত্যের সংমিশ্রনে এনে এমন সাহিত্যে রুপদান করতে পারাটা একজন সফল সাহিত্যিক এর কাজ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে অভিভূত। অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।
২৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
আমি ইহতিব বলেছেন: সিরিয়াস ভয় পেয়েছি ভাইয়া।
আপনার অনেক লেখাই আমার মাথার উপর দিয়ে যায় (নিজের নেটওয়ার্ক খুব দুর্বল বলে) । তাই অনেক লেখা পড়েও যখন বুঝিনা যা কি মন্তব্য করবো তখন চুপিসারে চলে আসি পোস্ট ছেড়ে। এই লেখাটাও মাথার উপর দিয়ে গেলো। বুঝিনি কাটপিসগুলোর কি দরকার ছিল।
শেষে এসে কিছুটা বুঝলাম আর অনেকের মন্তব্য - আপনার প্রতিউত্তর দেখে আরও কিছুটা বুঝলাম। সাহসী লেখার জন্য স্যালুট রইলো।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাহস করে যখন মন্তব্য করেই ফেলেছেন, তাহলে ধন্যবাদটা নিয়েই নেন!
২৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: কাটপিসগুলো পড়তে গিয়ে একটু ভয় একটু উশকুস লাগছিল, কিন্তু শেষের কথাগুলো অস্বীকার করলেতো মিথ্যাবাদী হয়ে যাব ।
পাঠকের মনোজগত নিয়ে ভালো খেলেছেন । গল্প পরীক্ষণও হয়ে গেল ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর একটু এক্সপেরিমেন্ট করলাম মামুন ভাই। শুভেচ্ছা।
২৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২
এনামুল রেজা বলেছেন: কাটপিস এড়িয়ে গেলে চলবে কিভাবে? লিখতে যখন পেরেছেন, মানুষ পড়তেও পারবে..
সাহসী লেখাটার জন্য ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। এমন চাবুকের ঘা বড় দরকার আমাদের জন্য, আমাদের সমাজের জন্য। সকাল দুপুর, দুবেলা...
(বাই দ্যা ওয়ে, স্যালুট.. আপনি জিনিয়াস বটে!)
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি একটা অপদার্থ। মিথ্যা মহিমায় কি আর সাধন হবে? এখনও গুটি গুটি পায়ে হাঁটছি।
ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৩০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: যদিও আমার জ্ঞান খুব সীমিত তবু ক্ষমা করবেন। আপনার এই গল্পটাতে যদি কাটপিস ও মূল গল্প নাও লিখে দিতেন তাহলেও গল্পটা তার স্বাভাবিক মাত্রায় উজ্জ্বল থাকত।
দুটো ভিন্ন কাহিনীর সাথে যে মেলবন্ধন রয়েছে এখানেই এই গল্পের প্রকৃত সার্থকতা।
যখন আমার ঘরেতে আঁধার নেই এক ফোঁটা কেরোসিন তখন আমি পারবনা খেতে চাইনীজে চাওমিন...
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি এ ব্যাপারে দ্বিমত প্রকাশ করছি। আমার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবার সম্ভাবনা ছিলো এতে। একটা ভালো সিনেমায় দুই মিনিটের দুটো কাটপিস থাকলেই দর্শক বর্তে যায়। আর এখানে তো দেয়া হচ্ছে আরো বেশি। পাঠক কোনটা গ্রহণ করবে? যদিও বিষয়দুটোর মধ্যে অনেক পার্থক্য তবুও একটা নামকরণ দিলে ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট হতো।
শুভদুপুর।
৩১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
চমৎকার...
গল্পে প্লাস...
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস নাসিফ।
৩২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ব্যাতিক্রমি ধাঁচের গল্প, নিঃসন্দেহে, আঙ্গিকে-কাঠামোয়, চিন্তায়- দর্শনে।
পাঠকের মন নিয়ে খেলাটা উপভোগ করেছি। কাটপিস ও বেশ লেগেছে, এড়িয়ে যাই নি।
কিন্তু মেয়েদের প্রতি এই নির্মমতাকে আমার বিচ্ছিন্ন একটা ইস্যু নয়, বরং পৃথিবীর বিশাল পলিটিক্সের একটা অংশ বলেই মনে হয়। যদিও একে জেন্ডার ইস্যু বানিয়ে পৃথিবীজুড়ে ফেমিনিজমের ধিক্কার বয়ে যায়।
পৃথিবীতে দুর্বলরাই সবসময় সবলদের অত্যাচারের স্বীকার হয়। পুরুষ শিশুও বিকৃত যৌনাচারের স্বীকার হয়, পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে ধর্মের নামে সংখ্যালঘুদের(একটা শব্দ যা আমি ব্যাবহার করতে আসলেই ঘৃণা করি) ওপর নিপীড়ন চালান হয়, আমি বা আমরা যারা সমাজের মধ্যম শ্রেণীর বাসিন্দা তারা আমাদের নিচের লকদের শাসন করি, গরিব রিকশাওয়ালাকে গালমন্দ করি, আমাদের বসেরা আবার আমাদের ওপর ছড়ি ঘোরায়। এভাবেই তো চলছে সব!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ সাজিদ। শুভেচ্ছা।
৩৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: গল্পটার পরিবেশনায় আপনার উদ্দেশ্য সার্থক হয়েছে। ভিন্ন একটা মাত্রা যুক্ত হয়েছে অবশ্যই। আমি শুধু আপনাকে বলতে চেয়েছি যে যদি স্বাভাবিক ভাবেই গল্পের দুটো অংশ রেখে দিতেন তাহলেও গল্পটা তার এতটুকু পরিমান উজ্জ্বলতা হারাত না।
একটা দিক হচ্ছে প্রথমেই আপনি গল্পের থিমটা বলে দিয়েছেন পাঠক সতর্ক হয়ে পড়বে। অন্য আরেকটা বিষয় হত যদি পাঠক নিজেই বের করে নিত। ব্যাখ্যাটা আপনার কাছ থেকে পরে আসত। সবটাই আসলে নির্ভর করে পাঠকের হজম শক্তির উপরে।
শুভ দুপুর।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্প দুর্বোধ্যতার দায়ে অভিযুক্ত হয় প্রায়শই। তাই একটু পাঠকের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা। শুভেচ্ছা।
৩৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
আবু শাকিল বলেছেন: কাটপিস গুলো যে এড়িয়ে যাব না।আপনি জানতেন।এড়িয়ে যাই কি করে বলেন মাহবুব ভাই।নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ আমার আছে।
পুরু গল্প টা ভাল ভাবেই আমাদের খাওয়াইলেন।
জেনির যা বৈশিষ্ট আপনি দেখিয়েছেন তা সত্যি ।তবে ভিতরকার অপ্রকাশিত।আপনি লেখার মাধ্যমে তা খুব সুন্দর করে সামনে তুলে এনেছেন।
সমাপ্তি তে মুগ্ধ হয়েছি।
লেখায় +
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাকিল!
৩৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: সেলিম ভাই এবং আবু হেনা ভাইর সাথে সহমত, তবে গল্পের সাথে সাহস করে কাটপিস গুলো ও পড়ে ফেললাম খেলায় আপনি জিতে গেলেন হামা ভাই|
এখনো বোধ করি পোলাপাইন ই রয়ে গেলাম নিষেধে আগ্রহ দিগুণ হয়ে যায়
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা আসলে সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। শুভেচ্ছা।
৩৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: এতো ভারী কিছু দৃশ্যপটকে হলিউডের সাইফাই থ্রিলার মুভির আদলে এমনভাবে সাজিয়েছেন যে শেষ না করে ওঠার উপায় নেই ।
অসম্ভব ভালো লেগেছে । যদিও পুরোটা বোঝার মত জ্ঞান নেই, অজ্ঞানতাবশত গল্পের ভেতরের গল্পটাকে পুরোটা ধরতে পারছিনা ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এখানে কোনটা মূল গল্প আর কোনটা কাটপিস আর পাঠক কোনটার পরিণতি দেখতে চায় এসমস্ত বিষয়ে আলোকপাত করেছি। এইটা একটা গেম। আপনি যদি জেনির বর্তমান দুরবস্থা দেখতে না চেয়ে তার যৌনজীবন নিয়ে বেশি আগ্রহী হন, তাহলে আপনি হেরে গেলেন। এর উল্টোটা হলে আপনি জিতবেন!
শুভসন্ধ্যা।
৩৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১২
মশিকুর বলেছেন:
আমি আসলেই জানতে আগ্রহী জেনি গন্তব্যে সঠিকসময়ে পৌঁছুতে পেরেছিলো কিনা??? তবে আমার ধারনা সে পৌঁছুতে পারেনি। তাহলে কি কাটপিস গুলো আমার এই ধারনার তৈরি করলো? যদিও প্রথম ২টার পর কাটপিস পড়িনি; মূল গল্পের সাথে বেমানান লাগছিলো বলে।
তবে আমি ১০০% শিওর কাটপিস না থাকলে আমার ধারনা হতো যে "সে সময়মতো পৌঁছুতে পেরেছিল।" এখন ঘুরেফিরে আবার সেই প্রশ্নে আসি 'জেনি কি গন্তব্যে সঠিকসময়ে পৌঁছুতে পেরেছিলো???'
?
আমি বাজী ধরে বলতে পারি আপনি এ প্রশ্নের উত্তর(সরাসরি) দিবেন না
ভালো থাকুন সবসময়
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: যদি আপনি মূল গল্পটাতেই বেশি মনোযোগ দেন, তাহলে জেনি সময়মত পৌঁছুতে পারবে। আর কাটপিস গোগ্রাসে গিললে তার আর কখনও ঘরে ফেরা হবে না।
৩৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৫
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটির জন্য। লেখক হিসেবে আপনি স্বার্থক --কারন পাঠক ধরে রাখতে পেরেছেন। আমার কাছে ভাল লেগেছে আপনার মূল গল্পটি।
আসলে জেনিদের জীবন সংগ্রাম আমরা কজনেইবা উপলব্দি করতে পারি !!
নিয়তি --পরিস্থিতি ওসবের সাথে কুলিয়ে ওঠা খুব একটা সহজনা। জেনির গন্তব্য জানা নাইবা থাকল
ভাল থাকবেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাসরিন। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৩৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আমার কাছে গল্পদুটু পড়ে মনে হয়েছে আপনি মানব মনের হিংস্রতার পরিমাপ করতে চেয়েছেন । দুটো গল্পই দুই জগতের । একজন পাঠক কাটপিসগুলোর অনুভূতির মধ্যে থেকেও মূলগল্পকে কতটুকু উপলব্ধি করতে পারে । উপলব্ধির মত্রাটাই প্রমান করবে কার ভেতর কতটুকু হিংস্রতা লুকিয়ে আছে ।কাটপিচগুলোকে চাপিয়ে মূলগল্পকে অনুভব করার মাত্রাতেই ঘটবে মনুষ্যত্বের প্রমান । আমার কথা বললে বলবো কাটপিসগুলোর কারনে মূলগল্পটার অনুভূতি একটু কমই ফিল করেছি তার মানে আমি হিংস্র জগতের বাসিন্দা ।প্রোভট ।
জানি না আপনার গল্পের উদ্দেশ্য অন্যরকম থাকতে পারে । তবে আমার ভাবনার দিক থেকেও গল্পগুলো প্রমানে স্বার্থক । লেখক স্বার্থক ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ বলেছেন। লাইক দিলাম কমেন্টে।
৪০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
সুমন কর বলেছেন: ...নিজের খরচ চালানোর ভারী জোয়ালটাকে কাঁধে নিয়ে অসুস্থ বাবার স্বপ্নপূরণের আচষা রুক্ষ জমিনটা কর্ষণ করে চলছিলো।
মনে হচ্ছিলো মগজের ভেতর কেউ একটা দ্রুত ঘুর্ণায়মান লাটিম ছেড়ে দিয়েছে।
এই শোকের পরিবেশে সে বাবার মৃতদেহের গন্ধমাখা ঘরে বসে বসে অর্থনীতির কঠিন সূত্রগুলো মুখস্ত করছে ভাবতেই কেমন গা রি রি করে ওঠে।
লাইনগুলো বেশ লাগলো।
একই চরিত্রের দু'টি রূপ দারুণ ভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন।
৯ম লাইক।
অার হ্যাঁ, কাটপিসগুলো অবশ্যই পাঠকের নজর এড়িয়ে যাবে না।
এগুলো পড়া যতটা সহজ; লেখাটা নয়। অামি হয়ত কখনো এভাবে প্রকাশ করতে পারব না।
জেনিদের গন্তব্য কোথায় শেষ, এর উত্তর অামি বা অামাদের সমাজ, কেউ দিতে পারবে না।
ভালো থাকুন, সব-সময়।।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন। শুভরাত্রি।
৪১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথমত যে জিনিষ ভালো লাগে নাই, তা হল কাটপিস দিয়ে পাঠকের মনোজগৎ নিয়ে খেলার ব্যাপারটা। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী কষ্টকর হল মানসিক যুদ্ধ, আর মনজগতের সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় হল "কাম-প্রবৃত্তি"র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। আর এই যুদ্ধে বেশীরভাগ মানুষই হেরে যায়।
শেষের প্যারাতে সবাই খুব প্রশংসা করলো, এখানেও পাঠক হিসেবে নিজেকে অপমানিত মনে হয়েছে। পশু-পাখি থেকে নিয়ে পাগলেরও এই "কাম-প্রবৃত্তি" সৃষ্টিকর্তা রেহাই দেন নাই। কাটপিসগুলো জোর করে এঁটে না দিয়েও কি পারতেন না, জানি আপনি পারতেন।
আইয়ুব বাচ্চুর "মাধবী" গান কাটপিস ছাড়া অনেক কিছু বলে গেছে। নচিকেতা'র "যে মেয়েটা রোজ রাতে....বদলায় হাতে....তার অভিশাপ নিয়ে চলাই জীবন......অন্তবিহীন পথে চলাই জীবন" দুটি লাইনেই অনেক কিছু। কিছু শব্দ ইচ্ছে করলেই এভয়ড করতে পারতেন।
অনেক কথা বলে ফেললাম, সাহিত্য সম্পর্কে যদিও আমার পরিধি শুন্য'র কোঠায়। জাস্ট একজন পাঠক হিসেবে আমিও আপনার মত সাহস করে বলে ফেললাম, "গল্প ভালো লাগে নাই" পাঠক হিসেবে আমার অপরিপক্কতা হয়তো এজন্য দায়ী।
আরেকটা কথা, জুয়েল কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় শিল্পী। একসময় তার সব কয়টা সোলো এলবাম সংগ্রহে ছিল। দ্বিতীয় পছন্দ বাচ্চু বস।
এতো বড় কমেন্টের জন্য দুঃখিত।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এতো বড় কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ নিন। কাটপিসের বিষয়টা একটা নিরীক্ষা ছিলো। হয়তো আরো ভালোভাবে করা যেতো। আমি চাইছিলাম পাঠক আর লেখকের মধ্যে একটা ইন্টারএ্যাকটিভ সম্পর্ক নিয়ে গল্পটা বানানো। এক্ষেত্রে কখনও পাঠক জিতবে, কখনও লেখক। এইবার আপনি জিতে গেসেন! অভিনন্দন।
৪২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫২
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম। নিজেকে ভাংছেন স্পষ্ট। ভাল্লাগছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়!
৪৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩২
কালীদাস বলেছেন: খানিকটা এডাল্ট। তবে এক্সপেরিমেন্ট ভালই হয়েছে কাটপিস নিয়ে
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ব্রো।
৪৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:১৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: নিতান্তই বাজে গল্প। ৩নং কাটপিসটা ব্লু ফিল্ম থেকে ধার করা, অর্থাৎ লেখকের কল্পনাজাত নয়। বাবা মারা যাওয়ার শোকটাও যথার্থ ভাবে ফুটে উঠেনি।
মূল গল্পের একদম শেষ অংশটাই শুধু অতি চমৎকার।
শুভকামনা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! তবে আমি কোন ব্লু ফিল্ম থেকে ধার করিনি কিছুই।
৪৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: কমার্শিয়াল ফিল্মে নাম লেখাইলেন নাকি
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধরে নিতে পারো!
৪৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
তাসজিদ বলেছেন: আসলে সমাজ বুঝি নারীর শুধু যৌন সত্তাই খুজে বেড়ায়।
রাস্তায় কোন সুন্দরী মেয়েকে দেখলে সবাই কি ভাব? মেয়েটি কি অদ্ভুত সুন্দর নাকি ১ ঘণ্টার জন্য পেলে কি হত তাই ভাবে................................................।।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৪৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
তাসজিদ বলেছেন: তবে একটু বেশিই এডাল্ট হয়ে গেছে। জি স্পট, লেসবিয়ান, মাস্তারবেড, সাক কিছুই বাদ যায় নি।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটু এক্সপেরিয়েন্ট করলাম আর কী!
৪৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনার গল্পটা পড়তে পড়তে অস্বস্তি ও কিছুটা লজ্জা লেগেছে। আমরা মানুষেরা আসলে এমনই। এক অদ্ভুত বৈশিস্ট্যে গড়া আমরা। সকল মানুষের মধ্যেই দ্বৈত সত্তা কাজ করে। অনেকটা 'জেকিল এন্ড হাইড' এর মত। যখন যেটা বলশালী হয় তখন ওটাই তার পরিচয় বহন করে।
আমরা এমন একটা সমাজ পেলে খুব ভাল হত যেখানে মানুষেরা তাদের শক্তিশালী সদগুণসমূহ দিয়ে অবিরত কুপ্রবৃত্তিসমূহকে দমন করতে পারত!
অসাধারণ লিখেছেন ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৪৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
অথৈ শ্রাবণ বলেছেন: নিতান্তই সাধাসিধা একজন পাঠক হিসেবে আমার মনে হয় লেখক পাঠক নিয়ে খেলতে গিয়ে নিজেই নিজেকে হালকা করে ফেলেছেন ।সরি ভাইয়া একজন খ্যাতিমান ব্লগারকে কেন জানি তেল দিয়ে গ্রেট বলতে ইচ্ছা করল না ।আপনি চাইলেই মূল গল্পটার সুন্দর সমাপ্তি হতে পারত ।অযথা পাবলিক খাওয়ানোর জন্য কাটপিস দরকার ছিল না ॥
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাবলিক খাওয়ানোর জন্যে কাটপিস আনি নি। এখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি গল্পপ্রবাহে পাঠক কোনটা , কোন গল্পটার ফিনিশিং দেখতে চায় সেটাই আমার উদ্দেশ্য ছিলো। সুন্দর আশাবাদী সমাপ্তি আমার গল্পে সাধারণত থাকে না। কুৎসিত বিষয়গুলোই গেড়ে বসে।
শুভেচ্ছা।
৫০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৩
এহসান সাবির বলেছেন: ১মে পুরোটা পড়লাম।
তার পর মূল গল্প আলাদা করে পড়লাম।
তারপর পড়লাম কাটপিস!!
গল্প = দারুন।
কাটপিস = উফ!!!
একটি কাটপিসযুক্ত গল্প = একটি পয়সার এপিট ওপিট থাকে.....!!
শুভেচ্ছা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অন্যরকম মন্তব্যে ভালো লাগা রইলো। শুভরাত্রি এহসান।
৫১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসম্ভব ভাল লেগেছে ------ এত সুন্দর !!! মুগ্ধ আমি ------
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপমার মুগ্ধতা অর্জন করে আনন্দিত আমি।
৫২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে- লেখক কি ''কাটপিসে''র লোভ দেখিয়ে গল্পে টেনে রাখছেন তাড়াহুড়ো-করে-চোখ-বুলিয়ে-যাওয়া পাঠককে? নাকি চোখের সামনে অশ্লীল ফ্যান্টাসি আর অশ্লীল বাস্তব দুটোই ঝুলিয়ে রেখে একটা চয়েস নিয়ে জিজ্ঞেস করছেন- আপনি কোনটা বেছে নিলেন? হোয়াট মেকস ইউ টিক?
বাস্তবজীবনের অশ্লীল ভাঙাগড়াকে পেছনে ফেলে, সবাই মিলে বাঁচি বলেই আমরা মানুষ। এখানে আমরা যখন লোভী চোখে দেখছি মুদ্রার অবাস্তব আরেক পিঠ, যখন একজন মানুষকে না দেখে তার 'ভাইটাল স্ট্যাটে' আমাদের নজর, তখন এরকম প্রশ্নের কোন দাম থাকে না। মানবতা শব্দটা একটা কুটিল কৌতুক মনে হয়। সেই ব্যাপারটা আপনি দেখিয়েছেন। উপস্থাপনাটা ধাক্কা দেবার মত। প্রথমে কাটপিসগুলো পড়ে ক্ষুব্ধ হচ্ছিলাম, 'সস্তা', 'মানহীন' ইত্যাদি শব্দ ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথায়। কিন্তু শেষটায় উদ্দেশ্য বুঝতে পারলাম।
এক্সপেরিমেন্ট যথেষ্ট সফল। ভাল লাগল সব মিলিয়ে।
শুভরাত্রি
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি হিটের আশায় ছুটে আসা কমেন্টারদের একটু ডজ খাওয়াইলাম আর কী। আর পুরোটা যারা পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গল্পের থিম!]
শুভেচ্ছা প্রোফেসর সাহেব।
৫৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: দুই দিন আগে পড়েছিলাম মোবাইলে, কমেন্ট করতে পারিনি। এখন কমেন্ট করছি। ভালোই হল ভাবনার জন্য পুরো দুইদিন সময় পাওয়া যাওয়াতে, প্রাথমিক উত্তেজনাটা কিছুটা প্রশোমিত হয়েছে।
প্রথমে একটু ধাক্কার মত খেয়েছি, সেই সাথে কিছুটা অবাকও হয়েছিল; ভাবছিলাম বাংলা সিনেমার কাটপিস পরিচালকদের মতো তো তুমি না। তুমি নিঃসন্দেহে ব্লগের এবং বর্তমানের সেরা গল্পকারদের মধ্যে একজন। তুমি কেন কাটপীস যুক্তলেখা লিখলে। যাই হোক, ফিনিসিং এ এসে কিছুটা যুক্তিযুক্ত লেগেছে, যদিও কাটপিস অংশগুলি ছাড়াও গল্পটি স্বমহিমায় তোমার সেরা গল্পগুলোর একটিতে জায়গা পাবে। হোস্টেলের মেয়েদের জীবন সংগ্রামের কিছু অংশ চমৎকার করে তুলে এনেছ। ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা রইল। পরের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার সাথে একমত নই ভাই। এটা ধরে নিন দুইটা গল্পের মধ্যে রেসের বাজী। পাঠক কাকে সাপোর্ট করবে? পাঠক কি জেনির জন্য কাতর হবে নাকি তার যৌনজীবনকে আরো পাঠ করতে চাইবে? এই গল্পের শেষে যদি কেউ বলে ধুস শালা! তবেই আমি সার্থক!
৫৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
আজকাল আর কেউ শুধু সিঙ্গল পানীয়তে মজে না । ককটেল চাই । শ্যাম্পেন এর সাথে ভোদকা মিশিয়ে ককটেলটা জম্পেশ হয়েছে বটে তবে টক্সিসিটির কারনে শ্যাম্পেন এর গোলাপী আমেজটা তলিয়ে গেছে অনেক খানি ।
একজন সাধারন মানুষের বিশেষ করে একজন মেয়ে মানুষের দিনগুলোর যন্ত্রনা, অযাচিত ভাবে কাঁধে এসে পড়া বোঝার ভার সুন্দর ফুঁটে উঠেছিলো শ্যাম্পেন এর রংয়ে । তাই তার জীবন সংগ্রামের চালচিত্র সততই সহমর্মীতার আবহ তৈরি করেছে পাঠকের মনে । কঠিন পারিপার্শিক ও বৈষিক বাস্তবতার পাশাপাশি জৈবিক বাস্তবতাও বিরাজ করে সব মানুষের জীবনে, এটা অস্বীকার করছিনে। তবে সব ছাপিয়ে জৈবিকতাই এখানে মূখ্য হয়ে উঠেছে যেন ।
তাই শ্যাম্পেন এর গোলাপী আমেজ ছাপিয়ে ভোদকার ঝাঁঝালো নেশাতেই মাতোয়ারা অনেকেই ।
অবশ্য আপনার গল্পে যে একটা ধ্রুপদী স্যাটায়ার থাকে তা এখানেও ষ্পষ্ট ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৫৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনি বলেছেন মূল গল্পটা নিরানন্দময়। আমাদের জীবনের অনেক নিরানন্দময় ঘটনাই আমরা লেখনীর গুণে আকর্ষণীয় করে তুলি। যেমন টা আপ্নিও তুলেছেন বা তুলতে পারেন।
কাটপিস মূল গল্পের সাথে সংযুক্ত করেছেন, সেটা না পড়ে তো উপায় নাই, কি বলেন ? হাহাহহা।
গল্পের সাথে সম্পর্কিত একটা ঘটনার প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করছি। এমনিতে আমি ইমসমনিয়াক মানুষ কিন্তু আমার বাবা যেদিন দুপুরে মারা গেলেন সেদিন এবং পরবর্তী আরো কয়েকদিন আমার চোখে ছিল অফুরন্ত ঘুম, পেটে প্রচণ্ড খিদে। কিন্তু সামাজিকতার নিরিখে শোকের বাড়িতে ঘুম বা খাওয়ার কথা উচ্চারণ করা বিশেষ করে সন্তানের জন্য দৃষ্টিকটু ব্যাপার। সে সময় আমার শাশুড়ি বারবার বলছিল , বৌমা তুমি খাইবা না, খাইবা না ? ঐ সময়টা খুব রাগ হচ্ছিলো উনার কথা শুনতে কিন্তু বাস্তবতা টা এইটা তখন খেতে পারলে আমার ভালো লাগতো, ঘুমোতে পারলে ভালো লাগতো। গল্পের জেনিও অনেক বাস্তব চিন্তার বাইরে যেতে পারেনি হোস্টেল, পড়াশুনা, স্ট্রাগল ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপার।
আপনার গল্প দুর্বোধ্যতার দায়ে অভিযুক্ত হয় বলে কিংবা পাঠক আর লেখকের মধ্যে একটা ইন্টারএ্যাকটিভ সম্পর্ক নিয়ে গল্পটা এভাবে লেখার যৌক্তিকতা অবশ্য আমি খুঁজে পাই নাই। যদিও অনেকেই আপনাকে বরাবরের মত প্রশংসা করে আনন্দিত করেছে লেখার মান নিয়ে। আমি খুব ভালো বুঝিয়ে বা আলোচক , সমালোচক না। তাই আপনার এক্সপেরিমেন্ট এর যথার্থ উদ্দেশ্য বুঝতে পারি নাই। সাহিত্যে শ্লীল বা অশ্লীল ব্যাপার নিয়ে আমার তেমন ট্যাবু নাই কিন্তু বারবার আমার অস্বস্তি হচ্ছিলো এইটা ভেবে, একজন নারী সবসময় কি এমন নাজুক পরিস্থিতিতে এভাবে ভাবতে পারে কিংবা 'জেনির' জায়গায় চরিত্র যদি 'ববি' হইত ( জেন্ডার ইস্যু যাতে না আসে তাই এইভাবেও ভাবছি) তাহলেও কি রাসেল এর সাথে জেনির ফোন সেক্স, সোনিয়া আপার লেসবিয়ানিজম এসব ব্যাপার কি আসতে পারতো ববির জীবনে ? যে মেয়ের জীবনে এত স্ট্রাগল তার আপ কামিং ফিউচার নিয়ে তার মাথায় সেক্সচুয়াল ভাবনা গুল অন্তত সে সময় কাজ করার কথা না, নারী বা পুরুষ উভয়ের জন্যই। মানুষের মৌলিক চাহিদার যোগান যখন নিশ্চিন্ত হয় তখন কাম, প্রেম এই ব্যাপার গুল ডানা মেলে হয়ত বা। ষোল বছররের ছেলেদের বা এই টিন এইজদের ভাবনা চিন্তায় এমনটা আসে যেহেতু সে জেনির অবস্থায় নাই! তবে জীবনের মূল্যায়ন এত ঠুনকো নয়, চাইলেই আমি আরোপিত কিছু আনতে পারি না।
আপনি বিভিন্ন সময়ে ডার্ক বা স্যাটায়ার আনেন লেখায়, সবার জেনর ( লেখার) এক নয় এজন্য। কিন্তু সেটা যদি লেখক সত্তায় চেপে বসে তাহলে সেটাই অভ্যস্ততায় পরিণত হতে পারে। আমার বিশাল মন্তব্যে আশা করি বিরূপ ভাব আসবে না, তবে এই ব্লগে বা চতুরে আপনার লেখার বরাবরই অনুসারি ছিলাম, মূলত আমার গল্প লেখার আগ্রহের পেছনে আপনার একটা ভূমিকা ছিল, আমিও চাইতাম আমিও আপনার বা আপনাদের মত গল্প লিখবো। একজনের সব লেখা মানুষের হৃদয় ছুঁতে পারে না, তেমনি এই লেখাটা মূল উদ্দেশ্য বা পাঠকের সাথে এইরকম স্থূল ব্যাপারটা পরিচয় করিয়ে দেয়াটা আমাকে ছুঁতে পারেনি।
ভালো থাকবেন হাসান ভাই।
** বোকা মানুষ বলতে চায়, তার কমেন্ট ভালো লাগছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধরে নেন এটা একটা কমার্শিয়াল গল্প!
পরমা মুভিটা দেখেছেন? ঐটা দেখলে মনোভাব কিছুটা পাল্টাতেও পারে।
আর লেডিজ হোস্টেলে এসব অস্বাভাবিক না। একজনের কাছে শুনসি
৫৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
ইমরান নিলয় বলেছেন: হামা ভাই, আপনি একটা চিজ।
এর কাছাকাছি দুর্বল প্যাটার্নের একটা গল্প এসেছিল একবার। চলে গেছে পরে।
[আপনারে একটা গল্প উৎসর্গ করবো বলে ভাবছি প্রায় বছরখানেক। জুতসই গল্প পাওয়া যাচ্ছে না বলে কাজটা হচ্ছে না। জানায়ে রাখলাম।]
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাকে গল্প উৎসর্গ করতে চাইলে শরম্পাই!
৫৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
টুম্পা মনি বলেছেন: এত কঠিন গল্প আমি নিতে পারি না। তাই কয়েকদিন লাগায় আপনার গল্প পড়লাম। ভালো লেগেছে। গতকালও মনে হল আপনার একটা গল্প দেখেছিলাম। যদি মিস্টেক না হয়ে থাকে কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো ঐটা কই?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐটা একটা লুতপুতু টাইপ গল্প ছিলো। ভালো লাগে নাই। তাই ডিলিট করসি।
৫৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৪
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: ব্যাপাট্টাকে দুইভাবে দেখা যায়। ১- মূলগল্প সত্য, কাটপিসগুলো কামার্ত দর্শকের কল্পনা। ২- গল্পটা ননলিনিয়ার, সবকিছুই সত্য। কোনটা আগে আর কোনটা পরে সেটা পাঠক বুঝে নিবে।
আমি ধরে নিলাম দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি সত্য, তাতে গল্পটা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। ননলিনিয়ার সিন্মা মেলা দেখলাম, কিছু অস্থির ননলিনিয়ার গল্পও দরকার।
টোটালি ডিফারেন্ট একটা গল্প পড়লাম। অনেক ভাল লাগলো।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে লিখতে পারিনা তো, তাই ননলিনিয়ার দিয়া পাঠককে ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ায় দেই।
নতব গল্প পাচ্ছিনা অনেকদিন ধরে।
৫৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
সময় করে আসলাম ৷ প্রথমদিকে দেখলেও পাঠক প্রতিক্রিয়া দেখার সৎইচ্ছা ছিল ৷ পোস্ট সাবমিটের সময়টাও ভাবার মত ৷
গল্পের আঙ্গিক ও বিন্যাস নিয়ে কিছু ভাবার ছিল ৷ ক্ষুদ্র কাটপিসগুলোকে আলাদাভাবে না দিয়ে মূল গল্পেই জুড়ে দেওয়া যেত ৷ ফ্ল্যাশব্যাকে বা অবচেতনে মাঝে মাঝে যদিও প্রাচীন পদ্ধতি হয়ত ৷ একবার মনে হচ্ছিল পাঠকে আপনি বাধ্য করছেন ধাপে ধাপে পড়তে ৷ মনযোগের ধারাবাহিকতার ব্যঘাত মনে হয় সেখানটাই ৷ ফলে মূল ভাবনাকে স্পর্শ করবে খুব কম পাঠককেই ৷ উদ্দেশ্যও রহিত হবে ক্ষণিকের জন্য ৷ যেকোন নীরিক্ষা ভাল তবে পাঠককে বাধ্য করা ভিন্ন বিষয় ৷ সব জায়গাতেই আজকাল উপস্থাপনা নিয়ে নানান কাজ হচ্ছে ৷ পাঠকও নানান দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন ৷ আচ্ছা আপনি কি গল্প এডিট করেন পোস্ট দেওয়ার পর জানার আগ্রহ ছিল ৷ গল্পের ভাবনা শক্ত কাঠামোতে দাড়িয়ে যাক আপনার লিখনশৈলীতে ৷ আপনি পারবেন সময় নেন ৷
মঙ্গল হোক ৷
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাটপিসের কনসেপ্টটাই এরকম,একটা দুঃখের দৃশ্যের পর হঠাৎ করে নগ্ন দৃশ্য। দর্শক খুশি। আমারে এখানে পাঠকেরাও খুশি হতে পেরেছিলো কী না তা জানা। মূল ভাবনা বলে এখানে কিছু নাই। যার কাছে কাটপিস ভালো লাগবে তার কাছে সেটাই মূল গল্প। আবার কেই গল্পের মাঝে এসব দেখে এড়িয়ে যাবেন, অথবা বেরিয়ে যাবেন, কেউ বা আবার দুটোই উপভোগ করবেন। পাঠকের জন্যে অনেক অপশন রেখে দিয়েছি এখানে।
শুভেচ্ছা।
৬০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
আহসানের ব্লগ বলেছেন: +
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
ফা হিম বলেছেন: জায়গামত ঘা দিছেন ভাই!!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৬২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ১৮ ++ এবং মজার ----------
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৬৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন:
আপনি সিনেমার ওই জিনিস টা ভেবে
একটা আঙ্গিক ই বানিয়ে ফেলেছেন , আপনার ক্রিয়েটিভিতে
খুবই বিস্মিত হয়েছি ।
আপনার কাছ হতে অনেক কিছু শেখার আছে। বর্তমান সময়েও আঙ্গিক নিয়ে এত নাড়াচাড়া করে কয়জন ? আঙ্গুল দিয়া গোনা যাবে । আরেকটা ব্যাপার হল আঙ্গিক যদি গল্পের সাথে না মিশে তাহলে
আঙ্গিকটা খুব চোখে লাগে । ভারবাহী গাধার মত মনেহয় ।
সেক্ষেত্রে আপনি খুবই সফল। সঠিক বিষয়ের জন্য সঠিক আঙ্গিকে
আপনার পারদর্শিতা আমাদের মত নবিশ দের পথ দেখাচ্ছে , স্বপ্ন
দেখাচ্ছে।
সেলুট আপনাকে ।
ভাল লাগলো মনে যেভাবে চাইছে সেভাবে লিখছেন ।
মাঝে মাঝে আমারো ইচ্ছে হয় একটু সাহস করি। যদি কখনো
সাহস সঞ্চয় করতে পারি জেনে রাখবেন তাতে আপনার ও
অবদান আছে ।
গল্প বিষয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছে ।
আমার সাফ কথা - হাসান মাহবুব আপনাকে অভিনন্দন ।
শুভেচ্ছা ।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুপ্রানিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ।
৬৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৭
নোমান নমি বলেছেন: স্টাইলটা ভাল্লাগছে।
আমার মনে হচ্ছিলো আপনি কাটপিসগুলা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছেন এবং সেটা মানব চরিত্রের কথা ভেবেই। কাটপিসের বর্ণনাগুলো দেখে আরও নিশ্চিত হলাম।
কাটপিস এবং মূলগল্প এই দুইটা মিলে গল্প হলো। ভালো লাগছে খুব। মনে হচ্ছে আমিও এরকম কিছু একটা লিখি
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইচ্ছে পূরণ করে ফেলো। শুভদুপুর।
৬৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: মারাত্মক আইডিয়া। গল্পের সাথে সম্পর্কহীন কাটপিসগুলো দিয়ে পাঠকের মনোজগত নিয়ে ভালই খেলা করেছেন।তবে মূল গল্পের উপস্থাপনটাও চমতকার ছিল। জেনি শেষ পর্যন্ত হলে পৌছুতে পারল কিনা সেটা জানার আগ্রহটা রয়ে গেল।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৬৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন গল্প কথন , অনেক ভাললাগা +
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৫
না পারভীন বলেছেন: কাটপিসের গল্প প্রকাশের সাথে সাথেই পড়েছি। রগরগে কাটপিস, যেমন দেয়া হয় চলবেনা টাইপের হিন্দি মুভিতে
হামার বেশির ভাগ গল্পের মনযোগী আর মুগ্ধ পাঠক আমি। ব্যক্তি গত অভিমত হল আরো ক্রিটিকাল লেখা আশা করি এইরাম সাদা মাটা না।
যাই হোক, আমি ঈদুল ফিতর ২০১৪ এর শুভেচ্ছা রইলো আপনার আর আপনার পরিবারের প্রতি।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা পারভীন আপা।
৬৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৮
এহসান সাবির বলেছেন: হামা ভাই কই হারাইছেন আপনি?
বেশ কয়েকদিন আপনাকে দেখহি না...
সব ঠিক আছে তো?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটু ডুব দিয়ে আসলাম। এখন মাথা তুলতাসি ধীরে ধীরে!
৬৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:২৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জেনীর জন্য খারাপ লাগছে । কিন্তু এটাই কঠিন বাস্তবতা।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে তনিমা।
৭০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০১
ঢাকাবাসী বলেছেন: অন্য স্টাইলে লেখাটি ভাল লাগল।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসকাল।
৭১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২০
কয়েস সামী বলেছেন: অনেকদিন পর আপনের লেখা পড়লাম। গল্পে ইন্টারেস্ট ছিল শেষ পর্যন্ত। মূল গল্প পড়তে হয়েছে কাটপিসের সাথে সম্পর্ক আছে ভেবে। মনে হচ্ছিল মূল গল্প না থাকলেই তো ভাল ছিল। গল্পের শেষে এসে মূল গল্পের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারি!
আচ্ছা কেবল কাটপিস দিয়ে একটা গল্প লেখা যায় না?!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুধু কাটপিস নিয়ে? ব্যান খামু তো
৭২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
আরিফ রুবেল বলেছেন: প্রথমেই পরাজয় স্বীকার করে নিচ্ছি। লেখক হিসেবে যে এক্সপেরিমেন্ট আপনি করতে চেয়েছিলেন সেই এক্সপেরিমেন্টে পাঠক হিসেবে আমি পরাজিত। লেখক হিসেবে আপনি এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন তবে তাতে আমি পাঠক বিব্রতকর অবস্থায় পরতেই পারি, তাই বলে সেটা নিয়ে আক্ষেপ থাকা উচিত না বলেই মনে করি। তবে যার যার নিজস্ব জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনাবোধ আলাদা, তাই মানুষের কাজও আলাদা।
গল্পটা নিয়ে উপরে অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করেছেন; ইতিবাচক, নেতিবাচক। লেখক কাম ব্লগার হিসেবে এটাও আপনার সাফল্য, আপনার লেখা নিয়ে বলা যায়, গল্প নিয়ে গল্প করা যায়। অনেক দিন পর পর ব্লগে আসি, অন্য কারো ব্লগে যাই বা না যাই আপনার ব্লগে আসতেই হয়।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রুবেল। শুভকামনা।
৭৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
যোগিনী বলেছেন: পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছিলাম। আপনার পোষ্টটা পড়ে আবার উদ্ধার করলাম ।
যখন বাস্তবতা সামনে দাঁত কিলিয়ে হাসে তখন শোক করার বিলাসিতা দরজা দিয়েই পালায়।
অফটপিক- কাছের কাউকে কখনো মরতে দেখেছেন?
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক যোগিনী!
না দেখি নি। দেখতে চাইও না।
৭৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২১
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: মানুষের মন নিয়ে এভাবে খেলেন কিভাবে ?
গল্পটা পড়া শুরু করেছিলাম নর্মালভাবেই। পুর্বঘোষনা দেয়া প্রথম পর্বের কাটপিস আসার পর একটু বিরক্তই হয়েছিলাম। স্ক্রল করে একটু নিচে নেমে দেখলাম কয়েক লাইনের কাটপিস। পড়েও ফেললাম। আবার মূলগল্প দেখে পড়াশুরু করলাম। শেষ হতে না হতেই কাটপিস রিটার্নস। দেখেই পুরো গল্পটি স্ক্রল করে দেখে নিলাম। বুঝলাম গল্প ও কাটপিস দুটোই রেলের মত সমান্তরালভাবে চলবে। আমিও ভাবলাম চলুক , লেখক যদি চালাতে পারে আমিও পারব। দুটোর সম্পর্ক ধরতে পারছিলাম না। এতে মনযোগ দিয়ে না গল্প না কাটপিস পড়া হলো। শেষ কয়েক লাইন পড়ে বুঝলাম লেখকের মানব মনস্তত্বনিয়ে খেলা।
আপনি আসলেই...........
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। শুভেচ্ছা।
৭৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৩
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগা রইল ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৭৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৩
আরজু পনি বলেছেন:
কাটপিস সহই পড়েছি ।
পড়ার সময় কাটপিস এর সাথে কোনভাবে মূল ঘটনার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে ভাবছিলাম।
তবে আপনি পাঠকের সাথে খেলাটা বাড়াবাড়ি রকমের করে ফেলেছেন। শব্দ প্রয়োগে আরেকটু নমনীয় হতে পারতেন । আপনার লেখাকে অনেকেই অনুসরণ করে ।
এই লেখা যেন তাদেরকে উদ্বুদ্ধ না করে সে কামনাই করবো ।
শুভেচ্ছা রইল, হাসান ।।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখার পর আমিও তাই ভেবেছি। বেশি হার্ডকোর হয়ে গেছে বর্ণনা। ভবিষ্যতে এমন করবো না আর।
শুভরাত্রি পনি আপা।
৭৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
সজীব বলেছেন: ++++++++++++++
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সজীব
৭৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
অদৃশ্য বলেছেন: Bangla likhte parsina, tay pore kisu likhe jabo...
Hasan vai er jonno
shuvokamona...
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা কবি।
৭৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
অদৃশ্য বলেছেন: আমি আমরা জানি যে আপনার লিখাতে মাঝে মাঝেই কিছু ম্যাটেরিয়াল থাকে... এই যেমন গালিগালাজ, বা কাপড় খোলার অর্ধেক দৃশ্য, সফ্টকোর আরকি... এগুলা অস্বস্তি তৈরি করেনা...
এই লিখাটির কাটপিস সমান হার্ডকোর পর্ণ... এই লিখাটা পড়ে আমি সত্যই টাস্কি খাইছি... যদিও পর্ণ শব্দটা আর কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের সামাজকতার সহ্যের মধ্যে চলে আসবে... সময় তেমনই বলছে... তখন হার্ডকোর সফ্টকোর বলে কিছু থাকবেনা... তখন হয়ে যাবে আর্ট...
হ্যাঁ, মনে পড়ছে সেই সময়ের কথা যখন হলে ছবি দেখতে গিয়ে কাটপিস দেখছি নাকি কাটপিসের জন্যই ছবি দেখতে গেছি... ভাবনার বিষয়... ঐ সময়টাতেই বাংলা সিনেমার নাড়িভুড়ি বের হয়ে গেছে...
শুভকামনা...
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখে আমি নিজেও টাস্কি খাইসি। এত অশ্লীল না হলেও হৈতো!
শুভকামনা কবি।
৮০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
যোগিনী বলেছেন: ধন্যবাদ, আমি কিন্তু এইবারের লেখার চেয়ে কমেন্ট পড়ে বেশি মজা পেয়েছি।
মানুষ সানী লিউনের শরীর দেখতে যেমন মজা পায় ঠিক তেমনি তাকে গাল পাড়তেও অনেক আনন্দ পায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি বুঝিয়েছি
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৮১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
খেলাঘর বলেছেন:
বুলশিট পর্ণগ্রাপি
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ।
৮২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
নাজমুস বলেছেন: আপনি কি মাইন্সের ফোনে আড়ি টাড়ি পাতেন্নাকি??? ধূরররর, মোবাইল ও নিরাপদ না!!!! পুরা কপি-পেস্ট
গল্পের নাম, গল্পের গঠন আর গল্প; অসাধারন। পুরা অস্থির হয়ে গেলাম। একটা কাল কৌতুক ।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু। আপনেকে বহুদিন পর দেইখা ভালা পাইলাম। ভালো থাইকেন।
৮৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আপনি অনেক সুন্দর করে বিশ্লেষণ করে গল্পটা লিখছেন হাসান ভাই ।
বাস্তবতা যেন প্রকাশ পেল ।
আরও লেখেন এই প্রত্যাশা
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজমুল।
৮৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২১
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গল্পটা পড়লাম এবং আপনার জন্য একটা কবিতা---
আব্বা মারা যাওয়ার পর পর আব্বার নাম কেউ নেয়নি
সবাই খুব যত্ন-আত্নি করছিলেন ওনার শরীরের
আমরা ভাই বোনরা, ওনার ভাই ভাতিজারা, পরিচিত পরিজনরা
স্ব স্ব রিলেশন ভুলে ভেউ ভেউ করে হয়তো কেঁদেছিলেন।
আমরা কেউ আর ওনাকে আব্বা বলে সম্বোধন করিনি
ওনার ভাই ওনাকে একবারও ভাই বলে ডাকেনি
ওনার ভায়-ভাতিজীরা একবারও চাচা বলেনি
একটা বিষয় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিলো সেইদিন আমাদের আচরণে...
কেউ মনে রাখেনা গতকাল কী হয়েছিলো
কী হবে আগামীকাল, আজ যাকিছু তাতেই সব
হোক সে শুরু কিংবা শব...
শুভেচ্ছা হা-মা ভাই।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্য এবং কবিতার জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থেকো।
৮৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০০
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
কাটপিস বিষয়টা অনেক জট্টিল
গল্পটাআবার পড়তে হবে
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত।
৮৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রথমে আমি মূলগল্পটা পড়ে শেষ করলাম। বাহ চমৎকার একটা মানবিক গল্প। এরপর শুধু কাটপিসগুলি পড়লাম। খুব বেশি অশ্লীল হয়ে গেছে কোথাও কোথাও। আরেকটু নরম করে বলতে পারলে আমার মনেহয় আপনার পরীক্ষাটার ফলাফল অসাধারণ হত। সেক্ষেত্রে আমি বলতে পারতাম জেনির জীবনটাকে দুইটি কোণ থেকে দেখার ইচ্ছা সফল হয়েছে।
বৃত্তের কোণ ৩৬০ ডিগ্রি কিন্তু মানুষের অসংখ্য। আমরা গল্পকারেরা তার কয়টি কোণেইবা আলো ফেলতে পারি।
এইবার একখান সত্যকথা কই, কাটপিসের গন্ধ পেয়েই কিন্তু এই গল্প আসা।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেইটা বুঝেছি, আশা করি হতাশ হন নাই মাঝেমধ্যে কাটপিস ছাড়মু আরো কিছু। হিট হৈবো তুক্ষোর
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩২
মৌ রি ল তা বলেছেন: ..................................................ভালো লাগলো