নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভায়োলেন্স ড্রেইন

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭



আমার বুকের মধ্যে প্রতিদিন গোখরা সাপের বিষ জমে। রক্ত হয়ে যায় জমাট বাধা কালো বরফির মতো পিণ্ড। এত বিষ আমি উগড়ে দেবো কোথায়? শিরায় শিরায় রক্তের বদলে বিষ, সিনায় সিনায় পলাতক সাহসের চোরাটান। আমার অক্ষম সাহস শরীর ও মন থেকে বের হয়ে গিয়ে ভীতমুখে জানায়, সে আসতে চায় আমার কাছে। কত দূরের সেই ডাক...আবছা হতে হতে আমার কাছে আসতে গিয়ে মিলিয়েই যায় প্রায়। আমি শুনি কী শুনি না...বড় ইচ্ছে করে সকল দ্বিধা ছুড়ে ফেলে তার সাথে সাথে পথ চলতে। কিন্তু আমি পারি না। দেহের ভেতর বিষ জমে জমে আমাকে জীবন্মৃত করে ফেলেছে। এই বিষ দৃশ্যমান নয়। আমি জানি না তার আকার, রঙ। তাতে কী! বিষাদ এবং অক্ষম ক্রোধের উপজাত এই বিষ যেন পণ করেছে আমাকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়বেই। এই বিষে মিশে আছে ধর্ষিতা তরুণীর রক্ত, তার বাবা মার কান্না। এই বিষে মিশে আছে কলেজপড়ুয়া উচ্ছল প্রাণবন্ত সেই কিশোরের হাহাকার, যার বিকেল বেলায় মাঠ দাপিয়ে ফুটবল খেলার কথা ছিলো, অথচ এখন হাসপাতালে শুয়ে আছে দুর্বৃত্তদের আঘাতে হারানো পায়ের স্মৃতি নিয়ে। অথবা সেই লোকটি, ব্যাংক থেকে নিজের সঞ্চয় নিয়ে ফেরার পথে ছুরিকাহত, তার সর্বস্ব হারানোর চিৎকারে বেড়ে চলে আমার বিষের কাঁটা। এত ভার আমি বইবো কী করে? আমি যে আর পারি না! অন্তস্থ গরলের বুদবুদ পেট-বুক হয়ে আমার গলার কাছে এসে থমকে গিয়ে চেপে ধরে। এত বিষ আমি উগড়াবো কোথায়?

গত কয়েকমাস ধরে আমি প্রবল মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমার চোখের সামনে একজনকে খুন হতে দেখেছিলাম। ব্যাপারটা খবরের কাগজে পড়লে স্রেফ একটা সংখ্যাই পড়তাম আমি হয়তো, যেমন "পান্থপথে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে একজন নিহত"। এ তো কোনো ব্যাপারই না! মাত্র একজন নিহত। আমি হয়তো সকালের নাস্তার সাথে খবরের কাগজটা হাতে নিয়ে খেলা আর বিনোদনের পাতায় চলে যেতাম পরমুহূর্তেই। ডিমের কুসুমটা আয়েশ করে পাউরুটির সাথে মাখাতে গিয়ে "কাওরানবাজারে জোড়া খুন" দেখে হয়তো বা ইশ বা আহা উহু জাতীয় কোন শব্দ করে টিভির চ্যানেল পাল্টাতাম। কিন্তু সেদিন আমি চোখের সামনে একজনকে খুন হতে দেখে, তার যন্ত্রণাকাতর মুখ, হাত দিয়ে পেট চেপে রেখে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা, সর্বোপরি চোখের সেই নীরব আকুতি, তার নিঃশ্বাসেরা বিশ্বাস ভঙ্গ করে চলে যাচ্ছিলো, এমন অবস্থায় খুব কাছে থেকে কাউকে দেখলে মানসিক বিপর্যয় ঘটা অস্বাভাবিক কিছু না। এখন পত্রিকায় এরকম কোনো খবর দেখলে, যা মানবিকতার পরিপন্থী;খুন,জখম, ধর্ষণ, ইত্যাদি চোখে পড়লেই আমার নিঃশ্বাস ঘন হতে থাকে, মুষ্টিবদ্ধ হয় হাত, আমার ইচ্ছে করে খুনী, ধর্ষক; এমন গুরুতর অপরাধীদের নিজের হাতে শাস্তি দিতে। সেইদিনের প্রত্যক্ষ করা ঘটনাটি আমার জীবন আমূল বদলে দিয়েছে। আমরা যারা নিরীহ মানুষ, যাদের জীবনে তেমন কিছু ঘটে না কখনো, তাদের ওপর মানুষরূপী দানবদের এই সহিংসতা মেনে নিতে পারি না কোনভাবেই। খবরের কাগজে এমন ঘটনাগুলোর শিরোনামে ব্যবহৃত সংখ্যাগুলোকে শুধুই সংখ্যা হিসেবে দেখি না এখন আর। প্রতিটি মৃত্যুর পেছনে রয়েছে প্রাণবন্ত একটি জীবন। আমি খবরের কাগজে শুধু সংখ্যা না, জীবন পাঠ করি। মৃত্যু আমার কাছে জীবনের স্মারক হিসেবে ধরা দেয়। আমাদের তিলেতিলে গোছানো জীবনকে অনাকাঙ্খিত মৃত্যু এসে এক লহমায় নেই করে দিবে, এতই সহজ ব্যাপারটা? আমি মেনে নিতে পারি না কোনোভাবেই। আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, বৃদ্ধি হয় রক্তচাপ, কপালের ওপর বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে।



-তুই খবরের কাগজ পড়া বাদ দে। এসব পড়ে কোনো লাভ নেই। খামোখা নিজের ওপর প্রেসার নেয়া।

আমার অগ্রজ 'তুতো ভাই শাহীন আমাকে পরামর্শ দিলেন।

-না, আমি খবরের কাগজ পড়া বাদ দেবো না। এসব এড়িয়ে চলা মানে অস্বীকার করে চলা। আমি কিন্তু খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এই খবরগুলি পড়ি। এ থেকে সৃষ্ট শারিরীক এবং মানসিক সমস্যার কথা জেনেও। কেন জানো?

-কেন?

-আমি একবারের জন্যে হলেও প্রতিশোধ নিতে চাই। আমাদের ঢিমেতালে চলা করাপ্টেড বিচার ব্যবস্থার কথা তো জানাই আছে। ওরা কখনই সুবিচার এনে দিতে পারবে না। তাই আমি অন্তত একবার প্রতিশোধ নিতে চাই, নিগৃহতদের হয়ে।

-এর সাথে খুঁটিয়ে পড়ার কী সম্পর্ক?

-আমি দেখি এমন কোন ঘটনা আমার আশেপাশে ঘটছে কী না। অপরাধীর কাছে কোনভাবে যাওয়া যায় কী না। যদি আমার আয়ত্তের মধ্যে থাকে তবে আমি প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বো।

-কীভাবে প্রতিশোধ নিবি? খুন করবি?

-খুন-অঙ্গহানি-আহত যেকোন একটা করবোই।

-খারাপ না ব্যাপারটা। এটার সঙ্গে আমিও যুক্ত হতে চাই।

-সত্যি? তাহলে তো খুব ভালো হয়। আসলেই, বুঝেছো এভাবে আর কতকাল নতজানু হয়ে থাকবো? তোমার সমর্থন পেয়ে বেশ চাঙা অনুভব করছি। এখন থেকে তাহলে তুমিও খবরের কাগজে খুন-ধর্ষণ বা এরকম অন্যান্য সংবাদগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ো। খেয়াল রাখবে, আমাদের আশেপাশে এমন কিছু ঘটছে কী না।

-খেয়াল রাখবো।

তার এই আশ্বাসে আমি সাহস পাই। শরীরে জমে থাকা বিষ আক্রান্ত রক্তপিণ্ডগুলো যেন একটা তরলতা পায়। আমি বেশ হালকা অনুভব করি।



এক মাস পার...



আমাদের মধ্যে কিছুটা অসহিষ্ণুতা দেখা দিয়েছে। এখন আর ওই ধরণের কোন খবর পড়লে আমি অসুস্থ বোধ করি না। ওরকম কোনো খবরের শিরোনাম দেখলে উত্তেজিত হই বরঙ। কোথায় খুন হলো বা কে মারা গেলো এসবের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোথায় ঘটলো ঘটনাটি। আমাদের কাছেপিঠে কিছু ঘটে না বলে মনমরা হয়ে থাকি। আর হাতের মুঠো আরো শক্ত হতে থাকে প্রতিজ্ঞার দৃঢ়তায়। আমাদের এই ছোট্ট সবুজ দেশটায় এত বেশি অনাচার, অবিচার, সহিংসতা...বিচারব্যবস্থার কম্ম নয় সবগুলোর সুরাহা করা। তাই আইন নিজের হাতে তুলে নিবো আমরা। মুছে দেবো অকালপ্রয়াত ছেলের জন্যে ক্রন্দনে বেদনাবিহবল মায়ের অশ্রূ। ধর্ষিতা কন্যার বাবাকে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ উপহার দিয়ে উচিত বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো। এসব চিন্তা আমাকে উদ্দীপ্ত করে। ফলে আমার মানসিক সমস্যাটা অনেকটাই কেটে যায়। শরীরের ভেতর মওকা পেয়ে জাঁকিয়ে বসা বিষটুকু নেমে যায়। আমি এবং শাহীন ভাই এসব নিয়ে আলোচনা করি।

-নিখোঁজের চারদিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার।

-কোথায়?

-ঢাকাতেই। তবে ধামরাইয়ে।

-বাদ। মিরপুর স্পেসিফিক্যালি মিরপুর এক নংয়ে কিছু পাও কী না দেখো। আর আমাদের এলাকায় হলে তো কথাই নেই!

-ফটিকছড়িতে সিএনজি চালক খুন। ধুর!

-ফটিকছড়িটা কোথায়?

-চট্টগ্রাম।

-শিক্ষকদের মারপিটও ভৎর্সনায় স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা। বাগেরহাটে।

-ধুর! ধুর!



হঠাৎ করে আমি আমাদের এই কর্মপ্রক্রিয়া এবং পরিকল্পনার মাঝে একটা গলদ আবিষ্কার করি। এর আগে এসব খবর পড়লে আমি যন্ত্রণা অনুভব করতাম। মানুষ কেন এত নিষ্ঠুর, মানুষ কেন মানুষের ওপর এত নিষ্ঠুরতা দেখায় এসব ভাবনা আমার মনটাকে তিক্ত করে দিয়ে বিষের মত প্রতিক্রিয়া দেখাতো। আমি চাইতাম পৃথিবীতে মমতার মেঘ থেকে বৃষ্টি নামুক, তাতে স্নাত হই আমরা সবাই। কিন্তু এখন,অবচেতন মনেও কি আমি চাইছি না,আমার এলাকায় খুন-ধর্ষণ বা এরকম ভয়াবহ কোন অপরাধ সংঘটিত হোক? ব্যাপারটা আসলে এভাবে দেখা উচিত ছিলো, ওসব অপরাধ কমে আসুক, আমাদের এলাকাতেও না আসুক। কিন্তু আমরা এখন যেন নিজেদের বীরত্ব এবং শক্তিমত্তা পরখ করে দেখতে এতটাই উৎসুক, কোন অপরাধকর্মের বিবরণ পড়ে ওটা আমাদের এলাকার মধ্যে না পড়লে ক্ষেপে যাই।

-সাতক্ষীরায় কিশোরীকে গণধর্ষণ।

শাহীন ভাই বিরক্ত মুখে পড়ে শোনালেন।

-বাড্ডায় ট্যাক্সিক্যাব চালক খুন। কাম অন ম্যান! সব অপরাধীরা অন্য এলাকায় থাকে কেন? এটা কেমন কথা! আমাদের এলাকাতেও কিছু থাকতে পারতো।

নিজেকে আমার এ্যাকশন সিনেমার দুর্ধর্ষ নায়কের মতো লাগে। যে অপেক্ষা করছে ভিলেনের আগমনের।

-আমাদের এলাকায় একবার ঘটুক না এরকম কিছু! একদম সাইজ করে দেবো!

-খুনের বদলা খুন। ধর্ষণের বদলে লিঙ্গ কর্তন। নো মার্সি।

চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা আমাদের।



আমি আবারও আমাদের গলদটা দেখতে পাই। আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতি এখন কাজ করছে না সেরকম। গলা অবধি জমে থাকা বিষ উগরানোর অপেক্ষায় নেই। আমরা চরমতম ভায়োলেন্স দ্বারা অবসেসড হয়ে আছি। কবে এরকম ঘটবে আমাদের এখানে, কবে? কবে আমরা সবার সামনে উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবো? দূর ছাই, এটা কোনো গলদ না। গলায় বিষের থলি নিয়ে কোঁকানোর চেয়ে এই নায়ক হবার পরিকল্পনা হাজার গুণ ভালো। দিনে দিনে জমেছে অনেক চর্বি আর মাংস আমাদের শরীরে। ওগুলো টগবগ করে ফুটছে। শরীর থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে। মানুষমাত্রই কি সুযোগের অভাবে নিরীহ? আমরা ন্যায়বিচার কায়েমের জন্যে বেশি উৎসুক নাকি সহিংসতার মাধ্যমে নিজেদের অতৃপ্ত খুনে স্বভাবকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছি? একবার কোথায় যেন পড়েছিলাম, প্রতিটি মানুষেরই ভায়োলেন্সের চাহিদা রয়েছে। ছোটবেলায় সে চাহিদা পূরণ করা হয় খেলনা অস্ত্রাবলী দ্বারা, আর বয়স হলে সাইকো অথবা এ্যাকশান জাতীয় সিনেমা দেখে। এইভাবে কামার্ত ভায়োলেন্সকে পাচার করে শরীরের ভার লাঘব করার পদ্ধতিকে বলা হয় ভায়োলেন্স ড্রেইন! আমরা কি তবে আমাদের ভায়োলেন্সের চাহিদাকে পূরণ করার জন্যে মিছে ন্যায়বিচারক সাজছি? গোল্লায় যাক ওসব চিন্তা ভাবনা। আমি উত্তেজিত হয়ে রহিত করে দেই ভাবনাগুলো।



হঠাৎ একদিন আমাদের চাহিদামতো একটি খবরের সন্ধান পাই। "মিরপুরের পাইকপাড়ায় খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে কিশোর খুন"। আমি উত্তেজনায় প্রায় দাঁড়িয়ে পড়ি! আরে, এ তো আমাদেরই এলাকা! শাহীন ভাইকে ডেকে বিস্তারিত পড়ে শোনাই খবরটা। নিহত কিশোরের বয়স চৌদ্দ। খুনীর বয়স সতেরো। খুন করা হয়েছে পিস্তল দিয়ে। খুনীর বাবা প্রভাবশালী লোক হওয়ায় পুলিশ না কি কোনরকম ট্যাঁ ফো করছেন না। সে না করাই ভালো। আমরা আছি কেন তাহলে? ভয়ানক পৈশাচিকতা অনুভব করি আমি নিজের ভেতর।

-কাজ শুরু করে দেয়া দরকার।

গম্ভীর মুখে শাহীন ভাইকে বলি।

-হ্যাঁ। জিনিসপাতি যোগাড় করতে হবে আজকের মধ্যেই।

কী কী জিনিস লাগবে তার একটা লিস্ট করি আমরা। কীভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে তার পরিকল্পনা করি।



যথাসময়ে শাহীন ভাই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে আসেন। সবকিছু ঠিকঠাক। একটু পরেই কাজে নেমে পড়বো। শাহীন ভাই অর্ডার দিয়ে বেশ চমৎকার একটা কাকতারুয়া বানিয়েছেন। সাথে দুটো খেলনা পিস্তলও কিনে এনেছেন। একদম আসল পিস্তলের মত শব্দ হয়। ফটাস ফটাস! ঢিশিয়া ঢিশিয়া! কাকতারুয়াটিকে দশ মিটার দূরে রেখে আমরা গুলিবর্ষণ করি তার ওপর। ঢিসা ঢিসা! খুনের বদলে খুন। এটাই তোর প্রাপ্তি। ঢিশিয়া!

দেখুন, আপনারা আবার ভাববেন না যে আমরা ভয় পেয়েছি বা আমাদের মুরোদ নেই বাস্তব জীবনের সত্যিকারের ভিলেইন এলাকার প্রভাবশালী নেতার সন্তানকে খুন করার। অবশ্য ভাবতেও পারেন সেরকম, ভাবতে তো আর বাধা নেই! কী আর করা! আমি কাকতারুয়াটিকে আবার মারতে গিয়ে দেখি গুলি শেষ হয়ে গেছে!

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল ভাবনা, আর কি করার আছে জানা নেই। ভাল লেখা।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ১ম ভালোলাগা ফটাস ফটাস! ঢিশিয়া ঢিশিয়া!...

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাল্টা ফটাস ফটাস!

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: সমাজের ধারাবাহিক নৃশংসতা মানুষের মনে অবসেশনালি নৃশংসতা তৈরি করে । যার প্রকাশের মুরোদ থাকেনা, সে বেছে নেয় কাকতাড়ুয়া । তবু সেই প্রাচীন দর্শনেই ফিরে যাই, চোখের বদলে চোখ নেয়া পৃথিবীটাকে কেবল অন্ধ করেই দিতে পারে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে আইন বন্দী থাকে প্রভাবশালীদের পকেটে, সেখানে চোখের বদলে চোখ খুব একটা খারাপ পন্থা নয়। কিন্তু সেটিও কার্যকর হয় না প্রভাবশালীদের প্রতাপে। সাধারণ জনগণ এই বৃত্তের মাঝেই আটকা পড়ে থাকে।

শুভদুপুর।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অসাধারণ! চমৎকার লাগলো! যেমন ধরেন পুলিশ যখন রাতের বেলা কাউকে চেক করে, তখন যেন অবৈধ কিছু না পেলেই মন খারাপ হয়, কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পরে প্রত্যাশা তৈরী হয় যেন আশেপাশে খারাপ কিছু ঘটুক! শেষে কাকতাড়ুয়ার উপর গুলি বর্ষনের আইডিয়ায়টা দারুণ হয়েছে।

শুভেচ্ছা!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইফতি। শুভেচ্ছা।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
কঠিন বাস্তবতার চিত্র এঁকেছেন। গল্পে একটা প্রশ্ন এসেছে, সেই একই প্রশ্ন আমারও । আমরা কি কেবল তাহলে আমাদের ভায়োলেন্সের চাহিদা পূরণ করার জন্যে মিছে ন্যায়বিচারক সাজছি??

জবাবটাও হয়ত হ্যাঁ, ঠিক তাই।

গল্পটা ভালো লেগেছে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: যেখানে বিচারই নেই সেখানে ন্যায়বিচারের প্রশ্ন আসে কোথা থেকে! আর যদিওবা সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারক হয়ে উঠতে চায়, তারা আটকা পড়ে সমাজের উচুস্তরের বাধায়। তখন আর কী করার থাকে খেলনা পিস্তল দিয়ে কাকতাড়ুয়াকে গুলি করা ছাড়া? এমনই অসহায়ত্বে আমরা সময় কাটাই, সমাজের নিয়ম মেনে চলি।

শুভদুপুর কাভা।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

সোহেল মাহমুদ বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
কঠিন বাস্তবতার চিত্র এঁকেছেন। গল্পে একটা প্রশ্ন এসেছে, সেই একই প্রশ্ন আমারও । আমরা কি কেবল তাহলে আমাদের ভায়োলেন্সের চাহিদা পূরণ করার জন্যে মিছে ন্যায়বিচারক সাজছি??

জবাবটাও হয়ত হ্যাঁ, ঠিক তাই।

গল্পটা ভালো লেগেছে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে ধন্যবাদ সোহেল।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ ভাবে মানব মনের দ্বিমুখিতা ফুটিয়ে তুলেছেন। আমরা মানুষেরা আমাদের চিন্তার সীমাবদ্ধতায় বন্দী। নিজের অজান্তেই বন্দী হয়ে থাকি চিন্তার মায়াজালে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পামনি। শুভেচ্ছা।

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার !!!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভদুপুর।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: মানুষ ব্যক্তিগতপর্যায়ে ভায়োলেন্সপন্থী। নিরীহ মানুষরা যখন ইট নিয়ে চোর ছিনতাইকারীর মাথা থেতলে দেয়, তখন এটাই মনে হয়। বিচারব্যবস্থার দুর্বলতা এই ভায়োলেন্সপন্থী মানসিকতার কার্যক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়।


আপনার গল্প বরাবরের মত জমাট। তবে দুইজনের মানসিক জগতে আরো আলো ফেলতে পারতেন, যেমনটা আপনি খুব সহজেই পারেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ এবং পরামর্শের জন্যে। হ্যাঁ ঐ জায়গায় কিছু কাজ করা যেতো এটা ঠিক।

শুভদুপুর।

১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

 বলেছেন: ++ :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাস্যমুখর প্লাসকে ধন্যবাদ জানাই।

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শেষটা প্রেডিক্টেবল ছিলনা , আমাদের বাস্তবতা নিয়ে আসলেই কি এতটাই রসিকতা করে সব সময় ?
সম্ভবত তাই।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাস্তবতা...এত কিছু বুকে নিয়ে বেঁচে থাকাটা আসলেই বিরাট ব্যাপার। ভুলে যাবার শক্তি পর্বতসম চাই।

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: *আমাদের বাস্তবতা আসলেই কি এতটা রসিকতা করে আমাদের সাথে সব সময় *
হবে ।
শুভেচ্ছা হাসান ভাই !

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ শীতবিকেল অভি।

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সামাজিক উৎপীড়ন নৃশংসতা আমাদের কে খুনী মানসিকতার কাছে পৌঁছে দেয় এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। অন্তত ক্ষোভগুলো আমরা কোনো সামান্য অবজেক্টে উগড়ে দিয়ে সাময়িক শান্তি নেই।

ভালো লাগলো গল্প , হাসান ভাই।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসন্ধ্যা দূর্জয়।

১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: সমাজের ধারাবাহিক নৃশংসতা মানুষের মনে অবসেশনালি নৃশংসতা তৈরি করে । যার প্রকাশের মুরোদ থাকেনা, সে বেছে নেয় কাকতাড়ুয়া । তবু সেই প্রাচীন দর্শনেই ফিরে যাই, চোখের বদলে চোখ নেয়া পৃথিবীটাকে কেবল অন্ধ করেই দিতে পারে ।

সহমত জানাচ্ছি ।

গল্প পাঠে মুগ্ধতা জানালাম ।

ভালোলাগা রইলো ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।

১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৫

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: শেষ ২প্যারা পড়ে ধাক্কা খেলাম একটা। শেষটা এমন হবে তা আশা করিনি। আমাদের কাছে এখন এই সব বাস্তবতা গুলো আসলেই মনে হয় কেবলই রসিকতা।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৪

আবু শাকিল বলেছেন: এত বিষ আমি উগড়ে দেবো কোথায়?

বাস্তবিক লেখা ।

শুভেচ্ছা জানবেন ;)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। চোখে কী হৈসে? :-/

১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমারো মনে হলো, বিবেকের দংশণ প্রশমিত করার জন্য একটা কাকতাড়ুয়ার ওপরই কি অভশাপ বর্ষণ করতে হবে আমাদের??

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, সেভাবে কিছু ভায়োলেন্স ক্যালরি ক্ষয় হতে পারে। ধন্যবাদ।

১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫২

জাফরুল মবীন বলেছেন: মানুষের ধৈর্য্য ও সভ্য বিচারিক ক্ষমতার উপর কীভাবে তার ধবংসাত্মক প্রতিক্রিয়াশীলতা স্থান নিতে শুরু করেছে বর্তমান সমাজের সে বাস্তব রূপটি গল্পের মাধ্যমে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২৬

বৃতি বলেছেন:
ভালো লাগলো হাসান ভাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।

২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার শুরু এবং শেষটা দারুণ হয়েছে। কঠিন বস্তবতার গল্প। একদম সময়োপযোগী গল্প। অাজকাল ঐসব ঘটনা যেন স্বাভাবিক কার্যকলাপ হয়ে গেছে ! ইদানিং বেশী ঘটছে এবং অামাদের মধ্যে বিষ জমছে। এ জন্য কি বর্তমান যুগটা দায়ী না !!!

গল্পে ভাল লাগা। ৬+।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন।

২১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নাইস কনসেপ্ট বললে ভুল হবে, রিয়েলিটি এইটা।
তবে মাথা যতোটা ভারী হবে ভাবসিলাম ততোটা হয়নাই ||

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ মুন।

২২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল লেগেছে হাসান ভাই , তবে আমি শেষ এভাবে আশা করি নাই ।।
ভেবেছিলাম এদের মাঝে কেউ হয়ত ভিক্টিম হবার পর ই মনে হবে এর প্রতিকার দরকার ।
বাস্তব জীবনে তো তাই দেখছি ।।


শুভ কামনা ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা মনিরা।

২৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৭ম ভালোলাগা ভ্রাতা ++++++++++

চমৎকার লিখেছেন ।

অনেক শুভকামনা :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপূর্ণ।

২৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৪

না পারভীন বলেছেন: রাগে ক্ষোভে বিপর্যস্ত হলেও শেষ পর্যন্ত আমাদের আসলে বেশি কিছু করা হয়না ।অতি চমতকার ভাবে ফুটে উঠেছে এটাই আমাদের প্রকৃতচিত্র । ধন্যবাদ হা মা ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পারভীন আপা।

২৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪২

মাহবু১৫৪ বলেছেন: চমৎকার

৮ ম ভালোলাগা

++++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১১

ডি মুন বলেছেন:
" ভুলে যাওয়ার ক্ষমতা পর্বতপ্রমাণ হওয়া চাই " ---- না হলে বেঁচে থাকা মুশকিল।

তবু যদি মনে কিছুটা থেকে যায়; তখন কল্পনায় কাকতাড়ুয়া মারা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। হাত-পা-মুখ বাঁধা মানুষ যুদ্ধ করতে পারে না।


দুর্দান্ত গল্প, কঠিন বাস্তবতা।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন।

২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

তুষার কাব্য বলেছেন: নির্মম বাস্তবতার গল্প...ভালো লাগলো খুব...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে ধন্যবাদ তুষার কাব্য।

২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০১

এহসান সাবির বলেছেন: আমরা তাহলে এই রকমই অসহায়..........!


ভালো লাগা রইল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভবিকেল।

২৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: দূর্দান্ত গল্প। আমরা অধিকাংশই মনের দিক দিয়ে ভায়োলেন্ট, কেবল বাস্তব জীবনে সেই হিংস্রতা দেখানোর সুযোগ পাই না।চমতকারভাবে আমাদের চরিত্রের এই দিকটা তুলে ধরেছেন।আর অসাধারন ফিনিশিং এর জন্য একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০১

অচিন্ত্য বলেছেন: রিপ্রেজেন্টেশনের অসুবিধা নিয়ে মিশেল ফুকো লিখেছিলেন যে এটি এক গোলক ধাঁধাঁ। কোন একটি 'ডিসকোর্স' দিয়ে আরেকটি 'ডিসকোর্স' কে রেজিস্ট করতে গেলে তা রেজিস্ট না করে প্রমোট করে বসে। আপনার অনেক গল্পের মত এখানেও এমন ঘটেছে।

অপ্রাণীবাচক অবজেক্টগুলো আপনার হাতে পড়লে অবিকল প্রাণীর মত আচরণ করে! (ইংরেজি সাহিত্য পড়ার সময় জেনেছিলাম একে বলে পারসনিফিকেশন।) "অক্ষম সাহস শরীর ও মন থেকে বের হয়ে গিয়ে ভীতমুখে জানায়, সে আসতে চায় আমার কাছে।"- অদ্ভুত সুন্দর এক্সপ্রেশন। শট!!!

উপমা দেওয়ার ব্যাপারে আপনার আশ্চর্য নিজস্বতা বারবার আমাকে মুগ্ধ করে। চিতকার যখন কাঁটা বাড়িয়ে তোলে, সেকথা আবার নতুন করে জানি। আপনাকে দেখি সাধারণ বিষয়ের মধ্যে অসাধারণের সন্ধান করতে। এই সন্ধানের হাত ধরেই খবরের কাগজ শুধু সংখ্যাপাঠের নয়, হয়ে ওঠে জীবনপাঠের অধ্যায়।

অগ্রজতুতো -lol

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মিশেল ফুকো অনেক ওপরের স্তরের মানুষ। তার সম্পর্কে আমার জ্ঞান নাই।
পারসনিফিকেশনের ব্যাপারটা জানলাম নতুন। মজা পেলাম।

একটা মজার ব্যাপার কি জানো? ভায়োলেন্স ড্রেইন শব্দবন্ধটি প্রথম প্রয়োগ করেছিলাম তোমার একটি লেখায়। Click This Link

শুভেচ্ছা।

৩১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: শেষের চমকটা বুকের ভেতর গেঁথে গেল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জনয়ে অনেক ধন্যবাদ সাদিয়া।

৩২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

ডানাহীন বলেছেন: গল্পে মানবমনের দারুন বিশ্লেষণ এসেছে কিন্তু শেষের অংশটুকু আমার কাছে মনে হয়েছে স্রেফ যেন চমক দিতেই আনা .. কেউই নিজেদের সহিংসপ্রবনতা নিয়ে এরকম রসিকতা করতে চাইবে না বোধহয় ।
লেখায় বরাবরের মতোই মুগ্ধতা ..

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি কিন্তু শেষের অংশটুকুর জন্যেই মূলত গল্পটা লিখেছি। মাঝখানের ভায়োলেন্স এ্যাডিকশনের ব্যাপারটা কলমের টানে চলে এসেছে।

শুভেচ্ছা ডানাহীন।

৩৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

সোলায়মান সুমন বলেছেন: আপনার মধ্যে ভাবনার রসদ আছে। চরিত্রগুলোর মধ্যে চমক আছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

৩৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: লেখনীতে এক অন্যরকম ইমেজ , ভাললাগা ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু।

৩৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

অন্তরন্তর বলেছেন:

অপূর্ব লিখা হাসান ভাই। আমার মনে হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে নয়, পৃথিবীর
সবদেশেই আইন সমাজের তথাকথিত প্রভাবশালীদের পকেটে থাকে।
আমরা সাধারন মানুষ পৃথিবীর সবদেশে অবহেলিত।
ভাল থাকুন সর্বদা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

এনামুল রেজা বলেছেন: শেষতক সাধারণ মানুষ কিইবা করতে পারে.. কাকতাড়ুয়াকে গুলি করেই নিজেকে শান্তনা দিতে পারে, অপরাধ নিজ চোখে সইতে না পারার বিষ ঝাড়তে পারে..
চমৎকার সাইকোলোজিকাল গল্প হাসান ভাই।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভদুপুর।

৩৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: গল্প বুননে আপনার দক্ষতার কথা চলে আসছে আবার।

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ। সবসময়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

৩৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

আলম দীপ্র বলেছেন: শেষটা একটা বিরাট চমক । পুরোটা লেখাই ভালো লেগেছে ।
চমৎকার বরাবরের মতই ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৩৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমি কাকতারুয়াটিকে আবার মারতে গিয়ে দেখি গুলি শেষ হয়ে গেছে!
হাহাহা ! না হেসে পারলাম না।
সময়োপযোগী স্যাটেয়ার।
ভাল লাগা রইল ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ।

৪০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আমাদের এই ছোট্ট সবুজ দেশটায় এত বেশি অনাচার, অবিচার, সহিংসতা...বিচারব্যবস্থার কম্ম নয় সবগুলোর সুরাহা করা। তাই আইন নিজের হাতে তুলে নিবো আমরা।

এর বুঝি কোন শেষ নেই হামা ভাই ।
গুলি কি ফুরিয়ে গেলে চলবে !! ++

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি এ বড় সংকটকাল। শুভরাত্রি।

৪১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ব্ল্যাক কমেডি ৷ ভায়োলেন্স ড্রেইনের ব্যাখ্যাটি কি খুব দরকার ছিল, লেখায় নাম উল্লেখই বোধহয় পাঠককে আরো গভীরে যেতে বাধ্য করবে মনে হল ৷ শেষের রিভার্সটুকু পাঠককে ধপাস্ করে ভুতলে পতিত করবে নিশ্চয় সেটাই লেখকের নিয়ন্ত্রণ ৷ সাহসের সন্ধান জেগে থাকুক ৷

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.