নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানেন, আমাদের বাসায় একটা জবাইঘর আছে। খুব চমকে গেলেন শুনে? চমকানোর মতো ব্যাপারই বটে। মানুষের বাসায় থাকে হাওয়াঘর, জলসাঘর, আরো কতো আদুরে বিলাসী কক্ষ, আমাদের ক্ষেত্রে ওসবের বালাই নেই। ওসব সুসজ্জিত, সুরভীময় ঘরগুলি আপনাদের নান্দনিক রুচির প্রকাশ করে, আর আমাদের জবাইঘরের নাম শুনলেই কেমন একটা আতঙ্কের শিহরণ বয়ে যায় শিরদাড়া দিয়ে তাই না? তবে আপনাদের আশ্বস্ত করছি, ব্যাপারটা যত ভয়ানক ভাবছেন, ততটা না মোটেও। প্রতি মাসে একবার একজন অভিজ্ঞ কসাই এসে আমাদের পরিবারের একজনকে লটারির মাধ্যমে বেছে নিয়ে তার গলায় চালিয়ে দেয় চাপাতি। কিছুক্ষণ খুব ধস্তাধস্তি আর চিৎকার চলে। তারপর... না যা ভাবছেন তা নয়। জবাইকৃত ব্যক্তির গলায় আবার সেলাই করে দেয়া হয়। এবং সে দিব্যি হেসে খেলে বেড়াতে থাকে। ভাবছেন এটা কী করে সম্ভব? কেন সম্ভব হবে না? আমাদের পারিবারিক কসাই জবাই করা ছাড়াও সেলাইয়েও বেশ পটু। আজকে ফেব্রুয়ারির দুই তারিখ। তার আসার সময় হয়ে এসেছে। আমি যাই এখন, কেমন? প্রার্থনা করবেন যেন এবার আমার নাম লটারিতে ওঠে। আমার গলা থেকে গলগল করে রক্ত বেরুবে, আর আমি পরিশূদ্ধ হবো রক্তস্নাত হয়ে। কত পাপ জমে আছে!
*
-সব ঠিকঠাক?
-হ্যাঁ।
-সব টিপটপ?
-একদম। বিছানা, বালিস, তোষক, মশারি, সিলিং, মেঝে সব ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলেছি।
-গুড। মহামান্য কসাই নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট হবেন।
-আশা করা যায়।
-আজকে যে কার পালা পড়ে! বেশ উত্তেজিত বোধ করছি।
-আমিও।
মহামান্য কসাই এলেন বিকেল পাঁচটার সময়। বাসার সবাই তটস্থ। একটুখানি ভুলের জন্যে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তিনি যদি আসা বন্ধ করে দেন, তাহলে কীভাবে আমরা আমাদের পূর্বপাপের প্রায়শ্চিত্য করবো? পাপ! পাপের তো কোনো অভাব নেই আমাদের। বনেদী জমিদার বাড়ি ছিলো এটা একসময়। খাজনার টাকা গুনে আর বাজনা শুনে দিনগুলো বেশ যাচ্ছিলো আমাদের। কত মানুষকে ভিটেছাড়া করেছি তার হিসেব নেই। আর সুন্দরী মেয়ে দেখলেই হলো, তার শরীরে প্রবেশ করে নিজেদের পৌরুষত্ব জাহির করতে বিন্দুমাত্র সময়ক্ষেপন করতো না আমাদের বীরপুঙ্গবরা। এভাবে কেটে গেছে বছরের পর বছর। পাপের পাহাড় বড় হয়েছে কেবল। সেই পাহাড়ে মানবিক অনুভূতিগুলো মৃত আগ্নেয়গিরির বুকে চুপটি করে ঘুমিয়ে থাকে। কবে যে জ্বালামুখ খুলে যায়! পাপের আগ্নেয়গিরি থেকে বের হতে থাকবে উত্তপ্ত লাভা। আমাদের সবাইকে মানবিক বোধের সাথে পরিচিত করিয়ে দিয়ে পাপস্খলনের সুযোগ করে দেবে, আমরা সেই অপেক্ষাতেই আছি, অঙ্গার হতে। প্রজ্জ্বলনের প্রতিশ্রূতিতে পরিশ্রান্ত আমরা পাপের বোঝা আর বইতে পারছি না। নাকি আরো বড় কোন পাপের পুনরাবৃত্তির জন্যে অপেক্ষা করে আছি?
এখন, এই সময়ে আমাদের জমিদারীও নেই, সোল্লাসে পাপ করার সুযোগও নেই। মহামান্য কসাইকে মাসে একবার বাসায় আনতেই অনেক খরচ পড়ে যায়। তিনি আবার বেশ খুঁতখুঁতে ধরণের। কোথাও অপরিষ্কার কিছু দেখলে, বা কেউ বেয়াদবি করে বসলে ভীষণ চটে যান। তিনি বংশানুক্রমে আমাদের পারিবারিক কসাইয়ের কাজটা পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ফলে তিনি বুঝে নিয়েছেন, আমরা যতই তাকে সমাদর করি না কেনো, যদি আমাদের পারিবারিক জঘন্যতম পাপের ইতিহাস জানতে চান, তাহলে উল্টো আমরাই তাকে মেরে ফেলবো। তিনি আমাদের রক্তস্নাত জমিদারীর ইতিহাস জেনেই তুষ্ট। আমরা কয়শো ঘর পুড়িয়েছি, কতজনকে হত্যা করেছি সেসবের বিবরণ শুনে আমাদের এই পড়ন্তবেলার বনেদী পাপমোচনের উদ্দেশ্যে পরিবারের সদস্যদের গলা কেটেই তিনি খুশি। আজ তার মনটা বেশ ফুরফুরে। নাস্তা দেয়া হয়েছে বেশ ভালো। তিনি ছিলেন ক্ষুধার্ত। ভালোমতো খানাপিনা করার পর তিনি মূল কাজের দিকে নজর দেন। দশটি কাগজের পোঁটলায় পরিবারের দশজনের নাম লেখা আছে। যেকোন একটি তুলে নিয়ে তিনি যার নাম উঠবে তাকে জবেহ করবেন। আজ উঠেছে পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য রিকির নাম। বাচারার নামই বেশিরভাগ সময়ে ওঠে। রিকির বয়স এখন চৌদ্দ। বড্ড দূরন্ত ছেলে। প্রতিবার জবাই করার সময় কয়েকজন মিলে তাকে ধরে রাখতে হয়। আজকে তার নাম ওঠার পর সে চিৎকার করে ছুটে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।
-তোমাদের এসব ভয়ানক খেলায় আমাকে আর নিও না। জবাই করলে বড় কষ্ট লাগে, বড় কষ্ট। এর চেয়ে মৃত্যু অনেক ভালো। আমি মরি না কেন ছাই! ছেড়ে দাও আমাকে! আমার পাপ কী?
বেচারা রিকি! আমাদের পাপের বোঝা তাকে বইতে দিয়ে, প্রায়শ্চিত্য করতে দিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে বারেবার! তা করবে না! আমাদের গায়ে যে এখনো প্রবাহমান নীল রক্ত। কয়েকজন মিলে রিকিকে ধরে মেঝেতে শুইয়ে ফেলে। তার গলায় মহামান্য কসাই চাপাতিটা ধরে শুরু করেন পোঁচ দেয়া। রিকির বুনো চিৎকার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরঘরে শব্দে পরিণত হয়। এ বড্ড আমোদের কাজ। সবাই হাততালি দিয়ে ওঠে। প্রায়শ্চিত্য, প্রায়শ্চিত্য হচ্ছে! অত্যন্ত আনন্দদায়ক খবর।
*
আপনাদের একটা গোপন কথা বলে রাখি, কাউকে বলবেন না যেন! আমাদের জবাইঘরে লটারি করে জবেহ করার কথা থাকলেও আদতে তা একটা প্রহসন মাত্র। আমাদের বাসায় মোট দশজন থাকে। আমি, ওহ আমার নামটাইতো বলা হলো না, আমি নিহিলা, আমার বাবা, মা, চাচা- চাচী কাজের লোক, সব মিলিয়ে দশজনের পরিবার। জবেহ দিনের লটারিতে শুধুমাত্র কাজের লোকদের নাম দেয়া হয়। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। জমিদারী ছাড়তে হয়েছে বটে, কিন্তু এখনও রয়ে গেছে সেই নীল রক্ত আমাদের শরীরের ভেতরে। তাই পাপমোচনের নামে আমাদের অধীনস্থ কর্মচারীদের জবাই করিয়ে নিজেরা নিজেদের গলা বাঁচিয়ে চলি। রিকি বেচারার গলাটার দিকে তাকালে কষ্টই হয়।
মনে আছে,আমি প্রথমে বলেছিলাম, লটারিতে যেন আমার নাম ওঠে এজন্যে প্রার্থনা করতে? করেন নি তো আবার? আসলে ওটা এক মুহূর্তের আবেগী চপলতার প্রকাশ। আমি এ বাড়ির বড় মেয়ে। কার এত সাহস আমার গলায় ছুরি বসাবে? হাহাহা! বনেদিয়ানা চলে গেলেও তেজটা ঠিকই আছে আমার ভিতরে। তবে একটা ব্যাপার কি জানেন? ওসব জমিদারী আমলের প্রজাদের ওপর সংঘটিত অপরাধের চেয়েও বড় অপরাধ আমাদের পরিবারের ভেতর ঘটেছিলো। বলেছিলাম বোধ হয় আগে, তাই না? কী ঘটেছিলো? আমি নিজেও জানি না। তবে খুব গোপন আর পাপময় ছিলো ব্যাপারটা। যারা জানে, তাদের কেউ এই ব্যাপারে মুখ খোলে না। গোয়েন্দাগিরি করে জানারও কোন উপায় নেই। এ বড় শক্ত গেঁড়ো। আমার ধারণা ব্যাপারটা অযাচার বা ইনসেস্ট জাতীয় কিছু হবে। এই ব্যাপারে কেউ মুখ খুলছে না, খুলবেনা। চুপ চুপ চুপ! এর চেয়ে বরং আপনাদেরকে জবাইঘরের ইতিহাসটা জানাই।
জমিদারী করতে গেলে কিছু লাশ ফেলতেই হয়। জমিদারদের শত্রু এবং প্রতিপক্ষের অভাব থাকে না। একবার বেশ ধুন্ধুমার লেগে গেলো। এক সপ্তাহের মধ্যে পাল্টাপাল্টি লাশ পড়লো দশটা। আমরা এখন যে ঘরটা জবাইঘর হিসেবে ব্যবহার করি, তা আগে টর্চার রুম হিসেবে পরিচালিত হতো। সেইবার এতগুলো লাশ পড়ার ফলে আমাদের খুব ক্ষতি হয়ে গেলো। আমরা পিছু হটা শুরু করলাম। এই রণডম্বুরি সময়ে আমাদের পরিবারে সেই গভীর গোপন ব্যাপারটি ঘটলো। ঘটনায় জড়িতদের জবাইঘরে নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড টর্চার করা হলো। আমাদের পরিবারের তৎকালীন জ্যেষ্ঠতম ব্যক্তিটি ততদিনে এই মারমার কাটকাট দুনিয়ার প্রতি মোহ হারিয়ে ফেলেছেন। পরাজয়ের হতাশায়, আর পরিবারের গোপনতম পাপের প্রকাশ্যকরণের প্রভাবে তার ভেতর কিছুটা দুর্বলতা এবং অনুশোচনা সৃষ্টি হয়েছিলো হয়তোবা। তিনি নির্দেশ দিলেন, প্রতিমাসে একজন ভালো জল্লাদ বা কসাই নিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের গলা কেটে প্রায়শ্চিত্য করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপারটা কারো মনঃপুত হলো না। তারপরেও মেনে নিতে হলো। কারণ তারা একদম কোনঠাসা হয়ে গিয়েছিলো। প্রতিপদে পদে মার খেতে খেতে তাদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিলো। কোনঠাসা অবস্থায় তারা ফুঁসছিলো। তাদের দেহের নীল রক্ত ফুটছিলো টগবগ করে। রক্তের তৃষ্ণার বিকল্প কোথায়? তাই তারা খুঁজে খুঁজে দেশের সেরা কসাইকে নিয়ে এসে চুক্তি করলো। সেই থেকে জমিদারবাড়ি হয়ে গেলো কসাইবাড়ি। এখানে প্রতিমাসের প্রথম বুধবারে আমাদের বাসার চাকরশ্রেণীর মানুষদের লটারি নামক প্রহসনের মধ্য দিয়ে গিয়ে জবাই হতে হয়।
জবাই করার সময় যে রক্তের ছটা ছিলকে আসে সেটা আমাদের সবার প্রিয়। মানুষের রক্তের রঙের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। পূর্বপাপের জের টানতে গিয়ে এই জবাই উৎসব মূলত আমাদের সহিংসতার প্রতি আসক্তিটাকেই জিইয়ে রাখে। আমরা একসময় ছিলাম প্রবল প্রতাপশালী। মানুষ খুন করাটা আমাদের জন্যে ছেলেখেলা ছিলো। আমাদের সম্পদ কমে আসার সাথে সাথে ক্ষমতাও কমে আসতে থাকে। তাই মানুষের তাজা রক্ত সেভাবে আর দেখা যাচ্ছিলো না। এটা নিঃসন্দেহে একটা দুর্ভোগের বিষয় আমাদের জন্যে। এজন্যেই হয়তো বা প্রায়শ্চিত্যের নামে রক্তধারা অব্যাহত রাখার জন্যে আমার দাদার দাদা এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি যে একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
*
আজকে একটা কান্ড হয়েছে। রিকির ভাই ভিকির নাম উঠেছিলো লটারিতে। বেশি চাপ পড়বার ফলে তার মাথাটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরোপুরি। তারপর সে কী আমোদ! আমরা সবাই তার মাথাটাকে নিয়ে ফুটবল খেলতে থাকি। জোরে জোরে লাথি মারি, গোল করি, আর ওদিকে মুন্ডুহীন ভিকি বারেবারে এসে তার মাথাটা ফেরত চাইতে থাকলো। মাথা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হবার ফলে ফিনকি দিয়ে ঝর্নার মতো রক্ত বের হতে থাকলো ওখান থেকে। রক্তক্ষরণ শেষে সে যখন নেতিয়ে পড়ে যাচ্ছিলো, তখন আমরা মহামান্য কসাইকে মাথাটা ফেরত দেই, এবং তিনি আমাদের উল্লসিত করে ঠিকঠাক মাথাটা জোড়া লাগিয়ে দেন। যাক বাবা! বাঁচা গেলো! ভিকি যদি মরে যেতো তাহলে রিকির ওপর চাপটা বড় বেশি পড়তো। ভিকি বেঁচে উঠলে ওকে আমরা এক কাপ আদা চা দেই। আর আজকের দিনের বিশেষ আমোদের জন্যে মহামান্য কসাইকে বাড়তি কিছু টাকা গছিয়ে দিই।
*
ব্যাপারটা কিছু বুঝতে পারছি না। লটারিতে আজ আমার নাম উঠেছে। এটা কী করে হলো! এমন তো হবার কথা না কোনভাবেই। বিশ্বাসঘাতকতাটা কে করলো? মহামান্য কসাই দেখলাম বেশ খুশি হয়েছেন আমার মিইয়ে যাওয়া মুখ দেখে। আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও কেমন একটা হতচকিত ভাব। ওদিকে রিকি আর ভিকি হাসছে। আমাকে ধরে নিয়ে গেলো ওরা দুইজন। আমি বাধা দেয়ার কোনো চেষ্টাই করলাম না। কী হবে বাধা দিয়ে! আর তাছাড়া একটা নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে এটাই বা মন্দ কী! আমাকে শুইয়ে দিলো ওরা। চাপাতি হাতে মহামান্য কসাই প্রস্তুত আমার গলা কাটতে। গলায় একটা ঠান্ডা ধাতব স্পর্শ পেলাম। ধীরে ধীরে গলার ভেতর ঢুকে যাচ্ছে ব্লেড। আমার কণ্ঠনালী ছিড়ে যাচ্ছে। আমি চিৎকার করছি। আমি কি মারা যাচ্ছি? নাহ। এই খেলায় মরে যাবার নিয়ম নেই। প্রায়শ্চিত্য হবে না, প্রায়শ্চিত্য? পূর্বপাপ আর গভীর গোপনের হামলা আমাকে রক্তে রঞ্জিত করছে। জবেহকার্য শেষ। এখন সেলাই চলছে আমার গলায়। এটাও খুব কষ্টদায়ক। আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে আছে। রিকি আর ভিকির ঠোঁটে হাসি। মৃত্যুমুখী হয়ে রক্তপ্লাবিত আমি ক্ষীণস্বরে পানি চাইতে থাকি। ষড়যন্ত্রটা করলো কে? কেন দিনের পর দিন চলে আসা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলো?
প্রকৃতপক্ষে এটাই হয়তোবা ভবিতব্য ছিলো। আমাদের ক্ষমতা আর প্রতাপ দিনদিন কমে যাচ্ছে। এখন তো রিকি আর ভিকি এই সুযোগটা নিবেই! ওদের দল ভারী হচ্ছে। বাসার গৃহপরিচারিকা মেয়েটি সম্প্রতি অন্তস্বত্তা হয়েছে। রিকি বা ভিকি কারো কাজ হবে এটা। নাকি অন্য কেউ? আমার বাবা? ভাই? চাচা? আবারো কি ফিরে আসছে সেসব পাপজর্জরিত উদ্দাম সময়? নীল রক্তের সাথে লাল রক্ত মিশে নতুন এক প্রজাতি সৃষ্টি হচ্ছে? এর প্রায়শ্চিত্য কি আমাকে করতে হবে? ব্যাপারটা সম্ভবত তেমনই।
একবার যেহেতু পাপের বীজ বপন করা হয়েছে, এর জের টানতে টানতে আরো কতদূর যেতে হবে কে জানে! আমি প্রস্তুত ছিলাম। তাই একদিন রাতে যখন চাচা আমার বিছানায় এলো, তখন আমি একটুও বাধা দেই নি। পরের মাসে মহান কসাই তো আসবেনই। তিনি এসে ন্যায়বিচার করবেন। আমার মাথায় শুধু একটাই প্রশ্ন এখন। যে গহীন পাপের বোঝা এতদিন ধরে টেনেছি আমরা সবাই, তা কি আরো ভয়ানক ছিলো? আরো কাছের সম্পর্কের? আমি আর ভাবতে চাইছি না। কিন্তু বংশলতিকায় স্পষ্ট করে লেখা আছে সেই পাপের বিবরণ। আমি পড়তে না চাইলেও পড়া হয়ে যায়। চাচা আমাকে বীর্য আর রক্তে মাখিয়ে বিদ্ধস্ত অবস্থায় রেখে চলে গেলো। এসেছে! ফিরে এসেছে পুরোনো পাপ আবার! এইবার আর মহামান্য কসাইয়ের সাথে লটারি খেলায় রিকি,ভিকি আর অন্তস্বত্তা কাজের মেয়ে পারুলের নাম বারেবার উঠবে না। আমি কি এর সুবিচার পাবো? মহামান্য কসাই কবে আসবেন? আগামী মাসের প্রথম বুধবার আসতে এখনও অনেক দেরী। তার চাপাতিাটা আমার খুব দরকার এখন। ওদিকে রিকি আর ভিকিও এখন আমার দিকে কামজর্জর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ওদের দল ভারী হচ্ছে। নবজাতক আসছে। যেন পুরোনো দিনের মতো প্রজারা জেগে উঠছে। আমাদের বিগতযৌবনা বনেদিয়ানা খতম করে ফেলবে তারা।
আর আমরা, ক্ষয়িষ্ণু ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যরা নিজেদের পাপকর্মের জের টানতে গিয়ে নতুন পাপে বাঁধা পড়ি। মহামান্য কসাইয়ের পসার বাড়তে থাকে। আমি ভাবছি তার কাছ থেকে জবাই করার শিল্পটা শিখে ফেলবো। কখন কোন কাজটা করার দরকার হয়ে পড়ে বলা তো যায় না! শিখে রাখা ভালো। চাচার পরে কে আসবে আবার আমার বিছানায়। ভাবতে গিয়ে একটা ভয়ানক ধাক্কা খেলাম আমি। আমাদের সেই পুরোনো পাপ কীভাবে এবং কাদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছিলো বুঝতে পারি আমি। দরোজায় ঠকঠক শব্দ হচ্ছে। কেউ একজন আসতে চাচ্ছে ভেতরে। আমি পাশে রাখা ফল কাটার ছুরিটা আমার গলায় চালিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করি। বৃথাই চেষ্টা। জানি এমন করে হবে না। মহামান্য কসাই আসবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ জবাই করে আমাদের পাপরক্ত বের করে দিতে পারবেন না। আমি মনে মনে প্রার্থনা করে গুটিশুটি মেরে বসে থাকি। হঠাৎ দরজাটা খুলে যায়। কে আসলো?
আতঙ্কিত চোখে তাকিয়ে আমি দেখি...
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি সবার ব্লগে যায়া একই কথা বলেন কেন?
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পড়ার সময় কেমন একটা মোহগ্রস্ততা অনুভব করলাম।
পড়ে গেলাম। একবারও থামি নি।
ভালো লাগার বাড়তি কিছু পেলাম।
তাই ধন্যবাদ।
প্রথম প্লাচ +++
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
লিমন আজাদ বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরের মতই চমৎকার। কিন্তু গল্প পুরোটা ধরতে পারলাম না। মাঝরাতে আবার পড়তে হবে।
শুভ কামনা ভাই।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ৪র্থ ভাল লাগায় আপনার জন্য শুভকামনা।
গল্পের থিমটা বুঝার জন্য আরেক বার পড়তে হবে মনে হয়, তবে পাপ কাউকে ছাড়ে না।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে অনেকক্ষেত্রে পাপীর চেয়ে ভুক্তভোগীদেরই নাকাল হতে হয় বেশি।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
মোঃ সাকিব সরোয়ার বলেছেন: সুন্দর !!! সুন্দর !!!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
এনামুল রেজা বলেছেন: শোষক আর শোষিতদের নিয়ে মেটাফোরিক গল্প! আমার কাছে এমনি মনে হলো।
কারণ এমন পংকিলতা সমাজ থেকে মুছে তো যায়নি। ন্যায় বিচারের নামে এখনও প্রহসন চলে। এখনও নিজ গৃহে কিংবা নিজ পরিমন্ডলেও নারী নিরাপদ নয়।
আপনার ইনোভেটিভ সব থিম। মুগ্ধতা।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: পড়লাম...ভাল লাগলো...কিন্তু কিছু বুঝলাম না...
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা মূলত মানুষের গহীন অবচেতনায় লুকিয়ে থাকা পাপাচারের বাহ্যিক প্রকাশ। জবেহকারী এবং জবেহকৃত চরিত্রগুলো মেটাফরিক। বনেদী জমিদার বাড়ির লোকেরা আগে নির্মম নির্যাতন চালাতো প্রজাদের ওপর। এখন আর জমিদারী নেই, কিন্তু ঘরের মধ্যেও তারা পুরোনো সে হিংস্রতা চর্চা করতে চায়। তবে তাদের পাপ শুধুমাত্র প্রজা নির্যাতন না। আরো গোপন এক পাপ যার কথা মুখে আনাও এক ধরণের পাপ। সেই পাপের মুখোমুখি হলে শৃঙ্খল ভেঙে যায়। নিম্নপদস্থরা সেই সুযোগে নিজেদের দল ভারী করে। কিন্তু ভুগতে হয় এক চপলা কিশোরীকে যার আর কোথাও যাবার জায়গা নেই।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৮
টুম্পা মনি বলেছেন: ভয়াবহ লিখেছেন! ভয় পেয়েছি! আমাদের মনোজগতটা সম্ভবত এমনই ভয়াবহ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয় পেয়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম। অবচেতন মনের কানা গলি ঘুঁপচিতে স্বাগতম!
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৮
সানজিদা হোসেন বলেছেন: ভয়াবহ থিম । সুন্দর প্রাঞ্জল লেখনি। আবার আপনার লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়লাম
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সানজিদা। ভালো থাকবেন।
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
তাশমিন নূর বলেছেন: ভাল লাগল। লাল রক্ত বিদ্রোহী হয়ে উঠলে নীল রক্তের পতন অনিবার্য।
শুভকামনা।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা তাশমিন।
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
গল্পের থিমটা ধরতে পারলাম হামা ভাই।
শোষক আর শোষিতদের গল্প নাকি?
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকটা সেরকমই। ফয়সাল রকিকে দেয়া উত্তরটি দেখুন।
ধন্যবাদ।
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ফয়সাল রকির উত্তরটি দেখলাম তারপর বুঝলাম।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পে । প্রকাশ্য ও নিরব পাপের ব্যপক উপস্থাপন এবং সো কল্ড প্রায়শ্চিত্য । +++
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অল্প কথায় গল্পটিকে তুলে ধরেছেন।
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
আরজু পনি বলেছেন:
শিরোনামটা ভয়াবহ !
আর ছবিটাও...
পড়ার পর মন্তব্য করবো ...
হাসানের বই মিস করছি এবারের মেলায় ...
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার আর বই! শুভেচ্ছা পনি আপা। দেখা হবে বইমেলায়।
১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
Limon BD বলেছেন: অনেক লেখার ভীড়ে আপনাকে আলাদা করা যাবে,লেখনী খুব ভাল ছিল
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
ফয়সাল রকি বলেছেন: হুম, বুঝলাম। ভাল থিম আর পরিবেশনটা আরো চমৎকার।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রকি।
১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২
সোহানী বলেছেন: খুব আতংক নিয়ে লিখাটা শেষ করলাম। তারপর কি... তারপর কি...
হাঁ, তারপরের উত্তর পেয়েছি.......... কিন্তু এরকম উত্তরের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না !!!!!!!!!
সম্পূর্ন নতুন ধরনের লিখায় ভালো লাগা। একটা লিখায় লোভ ধরিয়ে দিলেন তাই অনুসরন করলাম.. বাকিগুলো সময় নিয়ে পড়বো। ++++++
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা সোহানী। আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে স্বাগত জানাই।
১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: প্রথমেই +++++++++++++++
মারাত্নক শুরু লেখার প্রথমেই হাসান ভাই ।
সাসপেন্স ভালো লাগছে খুব ।
অন্যরকম লেখা
শুভেচ্ছা
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভবিকেল।
১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শুরুতেই ব্রিদটেকিং সাসপেন্স... ভয়াবহ প্রতীক নিয়েছেন।
আরেকটু ধোয়ামুছা করলে আমার মতো সরল পাঠকদের উপকারে আসবে।
শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় জনাব হাসান মাহবুব
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই। এটা ঠিক, এই গল্পটা কিছুটা দুর্বোধ্যতার দায়ে দোষী। তবে ৭ নম্বর মন্তব্যের জবাবে কিছুটা খোলাশা করার চেষ্টা করেছি।
শুভবিকেল।
২০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি মুগ্ধ ! অসাধারণ লিখেছেন হামা ভাই ।
শুভ কামনা রইল ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
নীল লোহীত বলেছেন: পুরোটা পড়লা
আর বার বার অবাক হলাম। একটা জটিল বিষয় দুর্দান্ত উপ্সথাপ।
পুরো গল্প ধাঁধাঁর মত লেগছে
হামা ভাই সত্যি আপনি অসাধার।
শুভকামনা রেখে গেলাম।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইলো।
২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
মাটিরময়না বলেছেন: চরম একটা গল্প পড়লাম। সোজা প্রিয়তে।
প্রথম অংশটা পড়ে একটো চুপ করে ছিলাম। মেলাতে চেষ্টা করছিলাম কি হবে। নোংরা কিছু একটা হবে আঁচ করেছিলাম কিন্তু এই রকম বীভৎস কিছু একটা হবে আশা করিনি।
যাই হোক- চরম উত্তেজনায় এক শ্বাসে পড়া হয়ে গেল। নেশা ধরে গেল আপনার লিখার প্রতি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছে রইলো হাসান মাহবুব।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রানিত হলাম আপনার মন্তব্যে। শুভকামনা রইলো।
২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
হামা ভাই আপনার চিন্তার উচ্চতার সাথে নিজের চিন্তা শক্তিকে এক করতে পারিনা কখন। তাই আপনার প্রায় সব গল্প আমার কাছে অধরা রয়ে যায়। তাই সব সময় মন্তব্যের ঘরে নজর দিতে হয়।
মন্তব্যতে আপনার রিপ্লায় দেখে ক্লিয়ার হলাম।
অনেক ভালো লাগলো থিম।
আমাদের মত পাঠকদের জন্য একটু ছেড়ে লেখার আহবান রইলো
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পটা একটু বেশিই জটিল হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ব্যাপারটা খেয়াল করবো। শুভসন্ধ্যা।
২৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: একটু বড় মনে হয়েছিল, তবে ভাল লাগল। সুন্দর।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। শুভেচ্ছা।
২৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গল্পটা পড়ে মনেহল, কসাই হচ্ছে ধর্মীয় পুরোহিতদের প্রতিনিধি।
আর গল্পে যে যৌনপাপের উল্লেখ করা হয়েছে তা সমাজে বিরল হলেও ঘটে চলেছে যুগেযুগে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, সেরকমই ব্যাপারটা অনেকাংশে। ভালো লাগলো অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে।
২৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আপনার লেখা উঁচু একটা মান ধরে রাখে সবসময়।
এই লেখাটা আপনার স্বাভাবিক মানদণ্ডের সীমা অতিক্রম করছে।
বর্ণনাশৈলীও অসাধারণ!
অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। অনেক।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ৭ নং মন্তব্যের উত্তরে মোটামুটি সব ফাঁস করে দিয়েছেন। এতো তাড়াতাড়ি করলেন কেন? যেকোনো লেখা পড়ার পর আমি মর্মোদ্ধার করার চেষ্টা করি। কখনো হয়তো উদ্ধার করতে পারি কিন্তু অনেক সময়েই ব্যর্থ হই।
আপনার গল্পটা পড়ছিলাম আর চিন্তা করছিলাম। কিন্তু মন্তব্য পড়ার পর চিন্তায় ছেঁদ পড়লো। ভাবনাটা যদিও কাছাকাছি পর্যায়েরই ছিল। তবুও স্বীকার করতে দোষ নেই যে পুরোপুরি ছিল না।
তবে পাপাচারের ভয়ংকর মূর্তিটা আপনি শেষ বাক্যে গোপন রেখে দিয়েছেন মনে হল। কারণ ঐ সময় হয়তো নিহিলার ঘরে তার বাবাই প্রবেশ করেছে। এর আগে করেছিল চাচা।
নামপুরুষে লিখেছেন বলে স্বাধীনতাটা বেশী ভোগ করতে পেড়েছেন। তাই অনেক কিছুই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন। আর আপনার কথন বরাবরই মুগ্ধ করার মতো। এক ধরণের যাদু থাকে, যা পাঠককে টেনে নিয়ে যায় গল্পের শেষ অবধি। কাহিনী বিন্যাসে মুনশিয়ানার ছাপ আর বয়ানের সাবলীলতা মাধুর্য মিশিয়ে দিয়েছে গল্পের বাঁকে বাঁকে। কিছুটা দুর্বোধ্য হলেও পাঠককে যথেষ্ট আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি নৈতিকতাবোধ নিয়ে ভাবনার সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো হাসান। 'এক পাতা সিভিট' পাঠকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অনেক দিন উধাও হয়ে ছিলেন। ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: "তবে পাপাচারের ভয়ংকর মূর্তিটা আপনি শেষ বাক্যে গোপন রেখে দিয়েছেন মনে হল। কারণ ঐ সময় হয়তো নিহিলার ঘরে তার বাবাই প্রবেশ করেছে। এর আগে করেছিল চাচা।"
আপনার তীক্ষ্ন চোখে কিছুই এড়ায় না। অজস্র ধন্যবাদ।
২৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
সৌদি প্রবাসী আশরাফ বলেছেন: গতানুগতিক লেখা ছাপিয়ে এমন ব্যাতিক্রমধর্মী ভিন্ন স্বাদের লেখা পড়তে অনেক ভালো লেগেছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
চটপট ক বলেছেন: ভাইয়া আমি শুধু গল্প পড়ে যাই, মন্তব্য করি না, মাঝে মাঝে করি।
আজকেও করছি, আমাদের মত পাঠক দের জন্য আরেকটু সহজ করে লিখলে, একবার পড়েই বুঝে ফেলতাম ,আপনার মন্তব্য দেখতে হত না । আপনার গল্প গুলা পড়া শুরু করলে শেষ পর্যন্ত যেতেই হয়, প্রতি টা লাইন টেনে নিয়ে যায়
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৩০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০২
ডি মুন বলেছেন:
চমত্কার।
প্রথম থেকেই টান টান অবস্থা। মাঝখানে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ছিল বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষটা দুর্দান্ত হওয়াতে সেটা এখন আর মনে হচ্ছে না।
+++++
শুভকামনা সবসময় প্রিয় হাসান ভাই
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা মুন।
৩১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাস্তব অসহ্য, অসহনীয় হয়ে উঠলে আমরা খোলসে নিজেদের ঢেকে ফেলি। লুকিয়ে রাখি কল্পনার সুরক্ষাজালে। মেয়েটার কল্পনাজাল ধীরে ধীরে ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে প্রাচীন আদিমতার পাশব প্রকাশ, যাকে ন্যায্যরূপে প্রতিপাদন করতে গিয়ে এসেছেন মহামান্য কসাই, এসেছে কসাইঘর।
চমৎকার।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য। ভালো ছিলেন তো? নিয়মিত হন আবার। শুভেচ্ছা রইলো।
৩২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩০
অক্টোপাস পল বলেছেন: বরাবরের মতোই দুর্দান্ত!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৩৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪২
ডেড আকাশ বলেছেন: বাউরে বাউ কি ভয়ংকর
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হয়
৩৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনার লেখার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তা পাঠককে পুরোটা আগ্রহের সাথে পড়তে বাধ্য করে এবং পাঠকের ভাবনার জগৎকে সক্রিয় করে তোলে।
গল্পের বিষয়বস্তু এবং গল্প বুননের দক্ষতায় অনেক অনেক ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।
শুভকামনা জানবেন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসকাল।
৩৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ডেড আকাশ বলেছেন: বাউরে বাউ কি ভয়ংকর
আমার কাছে ফিনিশিং লাইনটা সবচেয়ে ভাল লাগছে ।
আর পুরো গল্পে বরাবরের মতই ভাল লাগা ।
শুভেচ্ছা ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা মাহমুদ।
৩৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
সোহেল মাহমুদ বলেছেন:
দারুণ গল্পে ভালো লাগা।++
যদিও প্রথমে বুঝতে পারি নাই।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৩৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
নেক্সাস বলেছেন: সেই হামা। দারুণ থিম নিয়ে দারুণ হামা পরিবেশনা। একটু ভাবতেই হয় মূল নির্যাসটুকু খুঁজে নিতে। এটাই গল্পের স্বার্থকতা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।
৩৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা । ত্থিম চমৎকার।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিনুল। শুভদুপুর।
৩৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল জবাই ঘরের থিম। ভাল থাকবেন
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।
৪০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
খেলাঘর বলেছেন:
?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭ ০
লেখক বলেছেন: এটা মূলত মানুষের গহীন অবচেতনায় লুকিয়ে থাকা পাপাচারের বাহ্যিক প্রকাশ। জবেহকারী এবং জবেহকৃত চরিত্রগুলো মেটাফরিক। বনেদী জমিদার বাড়ির লোকেরা আগে নির্মম নির্যাতন চালাতো প্রজাদের ওপর। এখন আর জমিদারী নেই, কিন্তু ঘরের মধ্যেও তারা পুরোনো সে হিংস্রতা চর্চা করতে চায়। তবে তাদের পাপ শুধুমাত্র প্রজা নির্যাতন না। আরো গোপন এক পাপ যার কথা মুখে আনাও এক ধরণের পাপ। সেই পাপের মুখোমুখি হলে শৃঙ্খল ভেঙে যায়। নিম্নপদস্থরা সেই সুযোগে নিজেদের দল ভারী করে। কিন্তু ভুগতে হয় এক চপলা কিশোরীকে যার আর কোথাও যাবার জায়গা নেই।
৪১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সুমন কর বলেছেন: অাপনার লেখায় প্রাচীন জমিদারদের নোংরা চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ফুঁটে উঠেছে। চমৎকার বর্ণনা।
একটি কথা হাসান ভাই, অাপনার বেশ কিছু লেখায় অাজকাল মৃত্যু, খুন পাপাচার বিষয়গুলো অাসছে। যতটুকু মনে পড়ে, মৃত্যানুষ্ঠান, ভায়োলেন্স ড্রেইন, দয়া করে বৃহস্পতিবারে মরুন, রঙানুপাতিক গল্পগুলোতেও বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছিল।
খুন করবেন/খুন হবে !! হাহাহাহাহাহা
গল্পে (১২) ভাল লাগা।
জবেহ শব্দটি কি ঠিক অাছে?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনটা খুব বিক্ষিপ্ত থাকে। তাই ভায়োলেন্সনির্ভর লেখা এসে যায় সাথে নৈরাশ্যবাদীতা। আপনি মনোযোগী পাঠক। ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার।
জবেহ শব্দটা ঠিকই আছে। শুভেচ্ছা।
৪২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
আবু শাকিল বলেছেন: আপনি দীর্ঘ বিরতি নিয়ে গল্প লেখেন,সে জন্যই গল্পের ভাল একটা মান বজায় থাকে।
ব্যাক্তিগত ধারনা আবার ভূলও হতে পারে।
গল্প ভাল লাগল মাহবুব ভাই।
ভাল থাকবেন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৪৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হাসান ভাইয়ার লেখা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। প্রকাশভঙ্গী বরাবরের মতই অনবদ্য। ভিন্ন আঙ্গিকের মেটাফরিক উপস্থাপন।
পুরনো পাপ ব্যাপারটা সাদামাটা দুনিয়ার পক্ষে হজম করা কষ্ট সাধ্য
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্রী শিরোনাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু।
৪৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
প্রফেসর মরিয়ার্টি বলেছেন: স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
হামা ভাই আপনার চিন্তার উচ্চতার সাথে নিজের চিন্তা শক্তিকে এক করতে পারিনা কখন। তাই আপনার প্রায় সব গল্প আমার কাছে অধরা রয়ে যায়। তাই সব সময় মন্তব্যের ঘরে নজর দিতে হয়।
মন্তব্যতে আপনার রিপ্লায় দেখে ক্লিয়ার হলাম।
অনেক ভালো লাগলো থিম।
আমাদের মত পাঠকদের জন্য একটু ছেড়ে লেখার আহবান রইলো
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে। শুভরাত্রি।
৪৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৬
পার্থ তালুকদার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
গল্পের শেষটা জানার জন্য টান টান উত্তেজনা ছিল।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভয়াবহ লিখেছেন!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অভি।
৪৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
আলম দীপ্র বলেছেন: ওয়াও ! নাম আর ছবিটা দেখেই ভয় পেয়েছি!
চরম গল্পও হামা ভাই !
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা দীপ্র।
৪৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গল্পটা পড়ে ভয় লাগলো। কিন্তু এটাই সম্ভবত এটার উদ্দেশ্য ছিলো।
পাপের শাস্তি বেশিদিন এড়ানো যায় না।
শুভেচ্ছা।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা তনিমা।
৫০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
কূপমণ্ডুকতার পুরোহিতেরা কতটুকু নড়ে উঠে তাই দেখার বিষয় ৷
পাঠক লেখাটির গভীরতা অনুভব করবে প্রত্যাশা রইল ৷ দ্রোহী প্রেক্ষাপট ৷
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
বৃতি বলেছেন: ভয়ংকর থীম। সুন্দর গল্প। বরাবরের মত আপনার শক্তিশালী লেখনী।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।
৫২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: কী ভয়ংকর !
তবে হামা ভাইয়ের বেশিরভাগ গল্পের মত পড়তে কষ্ট হয়নি। পড়ার সময় ভয় পাচ্ছিলাম খুব এই যাহ...
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয় পাইসো বলে আমার লেখাটা সার্থক! ভালো থাইকো।
৫৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৮
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ভিন্ন রকম একটা গল্প পড়লাম। ভালো লাগলো ভীষন। হামা ভাইয়ের জন্য শুভকমনা রইলো।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাহিদ। আপনার জন্যেও শুভকামনা।
৫৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
ইব্রাহিম বিন আজিজ বলেছেন: ধাক্কার মত খেলাম। অনেকদিন পর এত ভয়াবহ একটা গল্প করলাম। আপনার লেখার হাত খুব শক্তিশালি। সামুতে আশা হয়না শুধুমাত্র ভাল লেখার অভাবে।
লিখে যান। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভাল কিছু লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৫৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১২
রোদেলা বলেছেন: ছবিটা দেখেইতো আমি ভয়ে গুটি শুটি ,গল্পের কথা আর কি বলবো।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৫৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাহ অদ্ভুদ লেখা তো
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু। ভালো থাকবেন।
৫৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৮
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাশেদিন ভ্রাতা।
৫৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবি দেখে গা শির শির করছে ।ব্লেড ওভাবে কেউ রাখে ! গল্প ভাল লেগেছে ভ্রাতা ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই।
৫৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০০
পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার গল্পে দাত বসানো কঠিন। কয়েকটা মাত্র মন্তব্য পড়লাম। সব পড়িনি পড়লে হয়তো দেখতাম আমার ভাবনা আরেকজন প্রকাশ করে ফেলেছে । আপনার মেটাফোরিক চরিত্র জবেহকারীকে বুঝতে পারছিনা। মেটাফোরিক শব্দটার মানে জানিনা।খুব সম্ভব তথাকথিত। জবেহকারির মাধ্যমে পরিশোধিত হচ্ছে, এই জবেহকারী কে অথবা কি এটা কি কোন বিপ্লব কোন সমাজ সংস্কারকারী আন্দোলন ? বুঝছিনা । শেষে বাবা এসেছে ধারনা করলেও ভাবতে সাহস পাচ্ছিলামনা । কারন এটা চিন্তা চেতনা আর সংস্কারের শেকড় উৎপাটনের মত ভাবনা । এবার আপনার রিপ্লাই নিয়ে বলি এখানে আমাদের বাঙ্গালীদের ভাবনা চিন্তার দৈন্যতা আছে।
" এটা মূলত মানুষের গহীন অবচেতনায় লুকিয়ে থাকা পাপাচারের বাহ্যিক প্রকাশ""বনেদী জমিদার বাড়ির লোকেরা আগে নির্মম নির্যাতন চালাতো প্রজাদের ওপর"
নির্যাতনকারীকে আমরা বনেদী বলছি কেন? অভিজাত মানে কি? জমিদাররা ছিলো খাজনা আদায়কারী একপ্রকার দালাল। একই প্রথা বর্তমানে ইজারাদার নামে চলছে। আচার,আচরন,শিক্ষা,সংস্কৃতি ও অর্থের সম্মীলন হলে অভিজাত হতে পারে।অত্যাচারী কখনো নয়। মানুষ আদিমতা নিয়েই জন্ম নেয়। শ্রেষ্ঠ হতে চায়, ক্ষমতা অর্জন করে দূর্বলকে পদদলিত করতে চায় । দুর্বলরা ভয়ে ক্ষমতাবানের প্রশংসা করে তাকে অভিজাত বানায় । জমিদারদের ক্ষমতার উৎস ছিল বৃটিশরা। কিন্তু এখনও দেখি কোন কোন ভদ্রলোক নিজের আভিজাত্য প্রকাশ করার জন্য বলেন আমার দাদা বা দাদার আব্বা জমিদার ছিলেন। অমনি আমরা বাঙ্গালীরা তাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখতে চেষ্টা করি। ভাবিনা উনি ছিলেন আসলে বৃটিশ সরকার নিয়োজিত শোষক।
ভালো থাকুন ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রাজ্ঞ মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।
৬০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভয় ও লাগে আবার পড়া ও ছাড়া যায় না ...
আপনার লেখায় সব সময় ++++++++++
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনিরা।
৬১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: একসাথে পুরো গল্পটা মিলাইতে পারলাম না। জমিদার বংশ তার পাপের ঋণ শোধ করে এক কসাই এর মাধ্যমে, নিজেদের গলায় চাপাতি চালায়া। জমিদারের উপর এই হায়ার অথোরিটিটা বাস্তবে কে?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাস্তবে ধরে নিলে তো মিলাইতে পারবেন না। এটা জাদুবাস্তব। অবচেতন মনের কায়া হয়ে ওঠা।
৬২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯
সাসুম বলেছেন: শেষ দৃশ্যে প্রবেশ করছিল বাবা এম আই রাইট ?
অসাধারণ ইউনিক একটা থীম । জাস্ট ফেবুলাস
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ!
৬৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: হাসান ভাই , আপনার লেখার আঙ্গিক- অলঙ্কারের ওপর নতুন করে কিছু বলার নাই। তবে প্লট নিয়ে চিন্তা ভাবনার সময় আসছে। দেড় বছরের পঠন থেকে বললাম। আপনি সাইকো থ্রিলার, ম্যাজিক রিয়ালিজম নিয়া বেশী মাত্রায় চিন্তা করেন, সাহিত্যের মান বিচারে এইটা আপনারে লঙ্গিটিভিটি দিবে না।
তবে আপনার প্লানই যদি হয় যে আপনি মূলত এই জেনারটাতেই কাজ করতে চান, তইলে ভিন্ন কথা।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার সাথে একমত। আমিও এমনটা ভেবেছি। ধন্যবাদ এবং শুভরাত্রি।
৬৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৫
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: পাপ মোচন করার মধ্যবৃত্তের কোন পন্থ্যা আছে? ণাকি এক্ষেত্রেও নীল রক্তের অধিকারী না হওয়াটাই আজন্মের পাপ
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রাহাত।
৬৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৯
সোহান মোল্লা বলেছেন: চমৎকার একটা থিম | ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমাদের দেশে অনেক মানুষ তওবা করে | কিছুদিন পর আবার তওবা করে | আবার তওবা করে | উনাদের পাপের শেষ নেই তওবারও শেষ নেই |
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা সোহান।
৬৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অন্য ধাঁচ তৈরির চেষ্টা আছে।
সাধুবাদ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৬৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩২
এহসান সাবির বলেছেন: শুভ বসন্ত।
গল্প এখনো পড়িনি।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ বসন্ত।
পড়ে ফেলেন।
৬৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
এহসান সাবির বলেছেন: নিহিলা এক চপলা কিশোরী যার আর কোথাও যাবার জায়গা নেই........
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, বেচারা!
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৬৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
ইমিনা বলেছেন: পোস্ট পিকটা দেখে ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু গল্পটার থিমটায় ক্লিয়ার হতে পারছি না
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থাকুক কিছু ধোঁয়া ধোঁয়া অস্পষ্টতা! শুভদুপুর ইমিনা।
৭০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার কিছুদিন আগের একটা লেখার অংশ কপি করে দিচ্ছি -
" সাব্বিরের জ্ঞানি টাইপ কথা শুনলে সবসময়ই ফাহিমের রাগ লাগে। কিন্তু বন্ধু মানুষ বলে ফাহিম চুপ করে থাকে। এইত কিছুক্ষণ আগেও কথার ফাঁকে টুক করে বলে দিলো -
আরে মিয়া এই লিগ্যাই কই, লিখতেই যদি হয় এমন ভাবে লিখবা যাতে মাইনসে পইড়া বোঝে। তোমার লেখা বুঝাইয়া দেওনের লিগ্যা যদি তোমারে পাঠকের বাইত্যে যাইয়া বা সাহিত্য আড্ডা কইরা লেখার থীম বুঝানি লাগে তাই লেইখ্যা লাভ কি ! মানুষ তো টেকা দিয়া তোমার বই কিনবো, বুঝছ না বন্ধু ?
ফাহিম ঠিক বোঝে সাব্বিরের মনের মাঝে খুব হিংসা। কবিরা গল্প লিখলে একটু তো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লিখবেই। সবই যদি ফকফকা দৃশ্যমান হয়ে যায়, অধরা না থাকে মানুষ কীসের টানে আমার লেখা পড়বে, এই আঁতেলটাকে সেটা বলতে ইচ্ছে করে না। তার বদলে ও বলে -
লেখক কি ভেবে লিখেছে সেটা লেখকই জানে । পাঠক অনেক কিছু ভেবে নিতে পারে।
- কিন্তু তাই বইল্যা তুমি বুঝাইতে চাইবা এক জিনিস আর পাঠক তোমার লেখার মূল্যায়ন করতে না পাইরা তোমার খারাপ লেখার প্রশংসা কইরা লেখার মান নষ্ট কইরা দিলো আর ভালো লেখারে পচাইয়া দিলো, হেইডা তুমি মানতে পারবা, দোস্তো "
ফাঁকে নিজের লেখার এড দিলাম। এই অংশটা আপনি পড়েন নাই আগে।
কেন এই টুকু কোট করলাম বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই ? আবিরের কমেন্টে আমি লাইক দিয়েছি। আপনি আপনার লেখার ধারাবাহিকতা একই টাইপ লিখে সবকিছু সেই " কুমীরের গল্প " এর দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আমার কথা খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু যেটা ভালো লাগে সেটা আমি ভালো বলতে পারি।। কিন্তু ভালো না লাগ্লে সেটার ব্যাখ্যা অনেক বিশদভাবে দিতে পারি।
আপনার সুন্দর লেখক জীবনের কামনায় রইলাম।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বীকার করছি গল্পের দুর্বোধ্যতা অনেকটা জোর করে চাপিয়ে দেয়ার মত হয়েছে। যেটা লেখক ছাড়া অন্যের বুঝতে কষ্ট হবে। তবে একই টাইপ লিখে কুমীরের ছানা বারবার দেখাচ্ছি এটার সাথে একমত হতে পারলাম না। এর আগের এক পাতা সিভিট গল্পটাইতো রোমান্টিক একটা গল্প। তবে হ্যাঁ, আমার কম্ফোর্ট জোন হলো সুররিয়ালিজম। তাই এই ধারার লেখা বেশি। তাই এমন লেখাও বলবৎ থাকবে, ফাঁকে সিভিটের গল্পটার মতো লেখাও দেয়ার চেষ্টা থাকবে। আমি আসলে মেইনস্ট্রিমের লোক না। আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকি।
অনেক ধন্যবাদ।
৭১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কুমীরের ছানা মানে একই গল্প বারেবারে না, আসলে বলতে চাইছিলাম একই প্যাটার্ন হয়ে যাচ্ছে। জানি আপনার পছন্দের প্ল্যাটফর্ম বাট নিড টু চেঞ্জ ---- অ্যাজ অ্যা পাঠক হিসাবে বলি।
এইবার টিনটিনকে লিখে লেখেন। কিংবে দুইজনকে নিয়েই একসাথে।
শুভকামনা রইলো
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক আছে। আপনার পরামর্শ মনে রাখবো।
শুভবিকেল।
৭২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: বহুদিন পর আবার সামুতে। আবার হামার গল্প। একটা দারুণ বিষণ্নতা পুরো গল্পটা জুড়ে।
তবে শেষে রিকি,ভিকি না তার আরো নিকট কেউ এসেছিল। পাপের সিকুয়েন্সে কিন্তু চাচার থেকে আরো নিকট কেউ...
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা দুজনেই জানি সে কে। কিন্তু বলতে গিয়ে বিবমিষা লাগছে।
শুভেচ্ছা সুপান্থ।
৭৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৫
তুষার কাব্য বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার !
শুভকামনা নিরন্তর।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
৭৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: অনলাইনে বিচরণ করাই হয়না বলতে গেলে। অনেকদিন পর এলাম প্রিয় গল্পকারের আঙিনায়! পাঠ-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলবো, পাঠককে গভীরভাবে ইনভলভড করে রাখার জাদু আছে গল্পে। স্যাটায়ার/রূপকের ব্যবহার খুব স্পষ্ট, তারপরো নার্ভের উপর প্রচন্ড চাপ পড়লো। যেমনটা হয়েছিলো Misery মু্যভি দেখবার সময়ে। আমি উদাহরণটা টানলাম কেবল আমার মানসিক ইনভলভমেন্ট কতখানি ছিলো গল্প পাঠের সময়ে, তা' প্রকাশ করবার তাগিদে। বরাবরের মত রুদ্ধশ্বাস পাঠ! ভালো থাকা হোক অনন্ত, হাসান!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাঈফা। ভালো থাকুন/
৭৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: প্রথমবার মন্তব্যগুলো পড়া হয়নি একটাও, এবারে এলাম মন্তব্য পড়তে। গল্পের শুরু থেকেই স্যটায়ার (মেটাফরের চাইতে আমার কাছে বরঞ্চ স্যাটায়ার প্রতীয়মান হয়েছে গল্পটা, যেমন গালিভার্স ট্রাভেলসকে স্যাটায়ার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।) আমার কাছে সুস্পষ্ট ছিলো। মন্তব্য পড়ে দেখলাম অনেক পাঠকের কাছে বিষয়টা ছিলো ধোঁয়াশা। তাতে যা অনুধাবন করলাম, তা' হল গল্পকারের সাথে আমার রিসেন্ট ভাবনাগুলো, যেভাবেই হোক, সিনক্রোনাইযড! আমার পাঠে 'জবাইঘর' তীব্র রাজনৈতিক স্যাটায়ার প্রতীয়মান হয়েছে - এমনকি' অজাচারের প্রসঙ্গও - নিজের সন্তানকে/মাতাকে ধর্ষণ! বেশ প্রগলভ মন্তব্য হয়ে গেল! আশা করি কিছু মনে করবেন না, হাসান!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু মনে করার প্রশ্নই ওঠে না। ভালো থাকুন নাঈফা।
৭৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
পাপের আগ্নেয়গিরি থেকে বের হতে থাকবে উত্তপ্ত লাভা। জমাট বাঁধবে তা একসময় । পাপ কিন্তু জবাই হয়না বোধহয় কখনও !
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। শুভকামনা।
৭৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৮
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
লেখাটা মন দিয়ে পড়লাম,
অনেক কিছুই ভাবছি, ++
সহমত @ সাজিদ উল হক
ভালোলাগা জানবেন, ধন্যবাদ মাহবুব ভাই।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৭৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন:
জবাইঘর নাম শুনেই তো ভয় পেয়েছি ভাইয়া... এরপর পড়ার পর ঠিক ধরতে পারছিলাম না কি...! তারপর সকলের কমেন্টের উত্তরগুলি দেখে একটু একটু বুঝতে পারছি... আমাদের ভেতর কালো রূপটা ... মনে হয় এমন-ই!
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মনটা শুভ্রতার ধারক হোক। শুভেচ্ছা।
৭৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেকটা দেরী করেই পড়লাম।। আসলে কিন্তু দাস-দাসীদের আর প্রতাপে টিকে থাকতো জমিদারিত্ব।। তাদের ত্যাগেই থাকতো বাড়-বাড়ন্ত।। তাই তো তাদের নামই আসবে!!
তবে হঠাৎ করে নিজের নাম দেখে চমকে উঠলাম।। এমনতো হবার কথাই না!!তবুও!!যা অবাস্তব লেগেছে,আমার কাছে।।
ভাল লাগলো গল্পটা।। তবে বোঝার হয়তো ভুল হতে পারে।। ধন্যবাদ।।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৮০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
অচিন্ত্য বলেছেন: অনেক হাতড়েও একটু সময় সময় পাইনা কোথাও।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাও পড়তে বসো
৮১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
ইখতামিন বলেছেন:
বহুদিন পর যখন সামুতে আপনার কোনও গল্প (এক পাতা সিভিট) পড়লাম, তখনই ভেবে রেখেছিলাম- সময় করে আপনার পরের গল্পগুলোও পড়বো। গতকাল এই ‘জবাইঘর’ পড়েছি। এক কথায় শিরোনাম চমৎকার। কিন্তু প্রচ্ছদটা খুবই সস্তামানের মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে কোনও বাচ্ছা মেয়ে খেলাচ্ছলে একটা ব্লেড মুখে নিয়ে ছবি তুলিয়েছে। যদিও তা বিপদ বয়ে আনতে পারে। তবে সেটা নিতান্তের ব্যাপার। চিত্রটি আরও অর্থবোধক হলে আরও সুন্দর লাগতো।
তবে গল্প আগের অনেকগুলো গল্পের চেয়ে অনেক অনেক গভীরতার প্রকাশ করেছে। একটু পর পর রহস্যের জন্ম দেয়া এই গল্প আমাদের সমাজের কিছু মানুষের মুখোশ খুলে ফেলেছে বলা যায়। যারা নিজেদের রক্ষা করতে নিম্নশ্রেণীর মানুষকে বলির পাঠা বানায়। এক পাপের সমাপ্তি টানতে আরেকটি পাপের সূচনায় ব্যস্ত। পাশাপাশি আরেকটা বিষয়ও হতে পারে- বর্তমান সমাজে যে ব্যাপারটি মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। নৈতিকতার ক্যান্সার বলা যেতে পারে। 'ধর্ষণ' নামক একটি মৃত্যুব্যাধি দমকা বাতাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের চারপাশে। যা খুব আপন মানুষদেরও ছাড়ছে না। অসাধারণ এই গল্পে বরাবরের মতোই আপনি কিছু ম্যাসেজ পাঠককে দিয়েছেন। যা গল্পকে পাঠকের কাছে সমাদৃত করতে বাধ্য।
আমি 'পুরুষত্ব' এবং 'পৌরুষ'-এর ব্যবহার দেখেছি। কিন্তু 'পৌরুষত্ব' শব্দটার সঙ্গে এখনও পরিচিত নই। তবে রণডম্বুরি'র মানে কি রণডুবি? না অন্য কিছু, তা আমি ধরতে পারি নি। হতে পারে তা আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।
চৌদ্দতম ভালো লাগা রইলো। শুভ সকাল।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: পৌরুষত্ব শব্দটা মনে হয় ভুল। ধন্যবাদ খেয়াল করে বলে দেবার জন্যে। রণডম্বুরি মানে ধরে নেন যুদ্ধের দামামা।
গভীর পাঠে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
৮২| ১০ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
অপ্রতীয়মান বলেছেন: অনেক গল্পের ভীরে ভিন্ন স্বাদের গল্প, সত্যিই অসাধারণ।
১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৮৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
শশী হিমু বলেছেন: গল্পটা আগে পড়ছিলাম কিনা ঠিক মনে পড়ে না। আবার পড়তে পড়তে কোন কোন জায়গায় মনে হইছে পড়ছি। সে যাই হোক, পড়ার পরের উপলব্ধি এখন যেটা হইলো, সেটা একেবারেই নতুন না, এরকম একটা উপলব্ধি আগেরবার পড়ার মতনই ঠেকলো। তাই মনে হচ্ছে পড়ছি। গল্পটার চরিত্রগুলা কীসের বা কাদের রূপক হিসেবে চিত্রিত হচ্ছে, এমন একটা ভাবনা কাজ করতে থাকে। এবং অনেকটাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটই চলে আসে আমার সামনে। পাপী পাকিস্তানি, জবাইঘরে জবেহ করা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের। যারা বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে আছে। তাদের পূর্বপুরুষের পাপের প্র্যাওশ্চিত্ত করছে।
মোটামুটি এমন একটা ভাবনাই কাজ করলো পুরো গল্প জুড়ে।
০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্পগুলোর ইন্টারপ্রিটেশন এমনই সাবজেক্টিভ। তুমি যেভাবে ভেবেছো, ঠিক সেভাবে আমি ভাবি নি। তবে এভাবে ভাবা যেতে পারে অবশ্যই।
থ্যাঙ্কিউ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২০
নিলু বলেছেন: লিখে যান