নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"এই চলো না আত্মহত্যা করে ফেলি!
এমন করে তাকিও না আমার কথা শুনে। তুমি ভালো করেই জানো আমি কোন দুঃখবিলাসী সুপার সেনসেটিভ টিন নই। জীবন সম্পর্কে বরাবরই ইতিবাচক ভাবনা করে এসেছি। তুমি তো ভালো করেই জানো, দীর্ঘস্থায়ী ডিপ্রেশন অথবা সাময়িক তীব্র জীবন অনীহা কোনটাই আমার মধ্যে নেই। আমি বরাবরই ছটফটে, চঞ্চল, উদ্যমী, ভালোবাসায় পূর্ণ মানবী। আমি সাজতে ভালোবাসি, নাচতে ভালোবাসি, গাইতে ভালোবাসি, আর ভালোবাসি ভালোবাসতে। শীতের সকালগুলোয় লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে না থেকে বারান্দায় গিয়ে কুয়াশা দেখেতে ভালোবাসি। গ্রীষ্মের দুপুরগুলোতে ঘুঘুর ডাক শুনে উন্মনা হতে ভালোবাসি। ভালোবাসি জীবন। আমার কথা কি তোমার কাছে পরস্পরবিরোধী মনে হচ্ছে? হতেই পারে, তোমাকে দোষ দেবো না। এলোমেলো কথা আর অগোছালো অনুভূতিগুলো সত্যিই বড় বিভ্রান্তিকর; জীবনের মত। মৃত্যুতে কোন বিভ্রান্তি নেই। বিশেষ করে আত্মহত্যায়। আর তা যদি হয় দুজনে মিলে একসাথে হাতে হাত, অধরে অধর মিলিয়ে তাহলে তো রীতিমত শৈল্পিক সুষমায় মণ্ডিত এক মহাকাব্য রচিত হবে প্রকৃতির বায়োস্কোপঘরে। আমার হাতটা ধরে দেখো, খুব গরম না? আমার শরীরের ভেতরে রক্তকণিকারা ছুটোছুটি করছে প্রবল বেগে, জলপাই বন থেকে পাতার পাল্কি নিয়ে আসছে ফিঙে পাখির দল। তুমি কখনও পাতার পাল্কিতে চড়েছো? জানি তো চড়ো নি। চড়ার কথা ভাবোও নি। এমন কী কখনও এর নামই শোনো নি। এসব সবসময় শোনা যায় না। এসব সবাই শুনতে পায় না। খুব ভাগ্যবান যারা, আর যাদের কল্পনাশক্তিতে মিশে থাকে মৃত্যুর আহলাদে আপ্লুত জীবনবোধ, শুধু তারাই এসব খুব গোপন কথা জানতে পারে।
তুমি বলছো জীবনবোধে ভাস্বর থাকে যারা তারা কেন আত্মহত্যা করতে যাবে? মৃত্যুকে সবকিছুর বিনাশ ভাবছো কেন বোকা? মৃত্যু হল লাল জর্জেট শাড়ী পরা, কানে জূঁইদুল, পায়ে ঘাসের নুপূর পরিহিত এক লাজুক বোকা মেয়ে। অবশ্য বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই সে ভয়ংকর হিংস্র বিশালদেহী, কালো আলখেল্লা পরা, সবুজ চোখের ভয়ানক হন্তারক। তোমার কাছেও কি সে এমন? এত কিসের ভয় বলো তো? মৃত্যুকে তারাই ভয় পায়, যারা জীবনের দেয়া উপচে পড়া উপহারগুলো দেখেও দেখে নি, শুনেও শোনে নি, বুঝেও বোঝে নি। যারা হাঁটে নি শ্রাবণের বৃষ্টিভেজা দূর্বাঘাসের পথে, যারা শোনে নি বসন্তের গান; কোকিলের সুরকাব্য, যারা বোঝে নি শেষরাতের স্বপ্নে টুনটুনি পাখির কিচিরমিচিরে বুনে দেয়া জীবনালেখ্য। কী হলো, কিছু বলছো না কেন? এত চুপচাপ স্বভাব তোমার! অবশ্য একদিক দিয়ে এটা ভালোই, আমার বকবক করতে খুব ভালো লাগে, তাই চাই একজন মনোযোগী শ্রোতা। তুমি ঠিক তাই। তুমি একজন ধ্যাণমগ্ন ঋষি, নির্বিকার নীরবতায় বুনে যাও হিরন্ময় মুহূর্তের নকশীকাঁথা। তোমার সাথে হীরকমুহূর্তগুলো স্মৃতিস্মারক হিসেবে সংগ্রহ করি আমি। আর তাই জীবন-মৃত্যু-আত্মহত্যাচিন্তা-জীবনের আনন্দভ্রম, সবকিছুর দোলাচলে ঘুরতে ঘুরতে, লাফাতে লাফাতে, আমি খুঁজে নেই বেঁচে থাকা অথবা মরে যাওয়ার আশ্চর্য সাদৃশ্য, তাদের সঙ্গমস্থল; এক নীল মোহনায় লীন হয়ে যাই। কত কী পড়ে মনে! প্রথম স্কুলে যাবার দিন, প্রথম ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলা, প্রথম ছক্কা মারা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া, প্রথম দেশের বাইরে যাওয়া, শেষবারের মত বাবা-মার সাথে সাগরদর্শন, তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া... দেখেছো, কী বিটকেলে বুদ্ধিঅলা দুষ্টু আমার মনটা! আমার মুড অফ করে দিতে চায়! উহু বাবা, অত সোজা না! আমার মন খারাপ হয়ে গেলেই আমি তোমার কথা ভাবি...
আমাদের প্রথম দেখা হওয়াটা নিশ্চয়ই তোমার মনে আছে? সেই যে, তোমরা কলোনির ছেলেপিলেরা ক্রিকেট খেলছিলে, মাঝখানে উটকো আপদের মত উদয় হলাম আমি। গোঁ ধরলাম, আমাকেও খেলায় নিতে হবে। তোমাদের মধ্যে দুটো ভাগ হয়ে গেলো। কেউ নিতে চায়, কেউ চায় না। আর তুমি! বড্ড বিরক্ত হচ্ছিলে, চোখ কুঁচকে তাকাচ্ছিলে, খেলায় বিঘ্ন হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছিলে। তোমার হুড়োহুড়িতেই সবাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিল আমায় খেলায় নিতে। আমাকে দাঁড় করিয়েছিলো লং অনে। তুমি বোলিং করছিলে। বেশ ভালো পেস ছিলো তোমার বলে। একটা ফুলটস বল ব্যাটসম্যান সপাটে চালিয়ে দেয়ার পর সেটি আমার কাছে এলে আমি মিসফিল্ড করে বসি। কিছুটা নার্ভাস ছিলাম কী না! তুমি চোখ গরম করে তাকিয়ে ছিলে আমার দিকে। তোমার সেই রাগরক্তিম চোখ আর ঋজু ভঙ্গি দেখেই প্রেমে পড়ে যাই আমি। এরপর যে কটা দিন কলোনিতে ছিলাম, প্রতিদিনই ক্রিকেট খেলেছি তোমাদের সাথে। তারপর হুট করেই চলে যাওয়া। তোমার সাথে একান্তে কত কথা বলার ছিলো, তার কিছুই হলো না। যাকগে, অবশেষে এই জীবনসায়াহ্নে এসে যে তুমি আমার কাছে এলে, এর জন্যে আমি ভুলে যেতে পারি গত সহস্র দিনের অপরাগতা, অবহেলা, আর অনাদর।
ওহ! জীবনসয়াহ্ন কথাটা শুনে তুমি রাগ করছো? হ্যাঁ সত্যিই, এই শব্দবন্ধটা বড়ই বুড়োটে, নিষ্প্রাণ আর বিষাদী শোনায়। তাহলে কী বলা যায়? জীবনের ট্রানজিট পয়েন্ট? এটা হয়তো খুব একটু কাব্যিক শোনায় না, তবে আমার বর্তমান অবস্থানকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে এটাকেই উপযুক্ততম মনে হয়। আবারো রাগ করলে? উপস! ভুল করে ফেলেছি। স্যরি স্যরি! 'আমার' নয়, কথাটি হবে 'আমাদের'। আমরা দুজনে হাতে হাত ধরে মিশে যাব অমানিশার মন্দ্রসপ্তকে। আকাশে ছুড়ে দেবো উড়ালফানুস। তারাদের কাছ থেকে নিয়ে আসবো উজ্জ্বলতার অভিধান। তারপর সব শিখে নিয়ে আমরাও মহান আকাশে, মহাবিশ্বের বর্ননাতীত বিশালতায় নিজেদের বিলীন করে দেবো। আর ভুলে যাবো চেপে বসতে থাকা শয়তান অতীতের কূটচালসমূহ"
-রিনা, একটু দুধ খাবে মা?
-উফ! তুমি যাও তো বাবা এখান থেকে! দেখছো না আমি এখন মীরুর সাথে কথা বলছি!
-দুধটুকু খেয়ে নিয়ে তারপর কথা বলো। তুমি তো প্রায় কিছুই খাচ্ছো না গত কয়েকদিন যাবৎ। শরীর খারাপ করবে তো!
-আমার শরীর খুব ভালোই আছে। তোমরা খামোখাই এত দুশ্চিন্তা করছো।
-ডাক্তারের কথা শুনতে হয় মা। এত জেদ ধরলে চলে? তুমি না লক্ষ্ণী মেয়ে? খেয়ে নাও মা।
-আচ্ছা দাও... এহ কী ভীষণ বাজে গন্ধ! এ কী খাওয়া যায়!
মাত্র দুই চুমুক কোনমতে গিলেই পেটের যাবতীয় খাদ্যদ্রব্যাদী বমি করে উগড়ে দিলো রিনা। তার বাবা আর মা ভেজা চোখে তাকিয়ে দেখতে লাগলেন মেয়ের এই ভীষণ দুর্দশা। কী সুন্দর, কী প্রাণচঞ্চল ছিলো তাদের মেয়েটা! হঠাৎ করে...
"সেই অতীত... সেই বিচ্ছিরি অতীত...
হঠাৎ একদিন সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যেতে লাগলো। অল্প একটু পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যেতাম। ক্রিকেট খেলতে গেলে দৌড়ে একটা রান নেয়ার পর আর দ্বিতীয় রান নিতে পারতাম না। এভাবে বেশ কয়েকবার রানআউট হবার পর খেলাটাই ছেড়ে দিলাম। বুঝলাম, শরীরটা বিশ্রাম চাইছে। আমার মন ভীষণ রেগে গেলো এতে। শরীরটাকে আচ্ছা করে বকে দিলো। কিন্তু দুর্বল হয়ে পড়া শরীরটা কোন প্রত্যুত্তর করলো না। শেষতক শরীর আর মনের পতাকা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তে আমার কিছুদিন বিশ্রাম নেয়া সাব্যস্ত হলো। আর তখন থেকে নানারকম উটকো লোক এসে বিরক্ত করতে থাকলো। উৎসাহী আত্মীয়স্বজন, উপযাচক চিকিৎসক, সহানুভূতিশীল বন্ধু বান্ধবেরা। বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনদের সাথে গল্প করতে আমার ভালোই লাগতো। তবে তাদের আচরণের মধ্যে এক ধরণের করুণা প্রকাশিত হতো, যা আমার অসহ্য লাগতো। কী এমন হয়েছে যে দলবেঁধে এসে দেখে যেতে হবে! তাদের সঙ্গ ধীরে ধীরে আমার কাছে অসহনীয় ঠেকতে লাগলো। আর সেইসময় যেন রূপকথার জগৎ থেকে হাজার ক্রোশ পাড়ি দিয়ে পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় করে তুমি চলে এলে। আর চারপাশের সবকিছুই রঙ ফিরে পেতে শুরু করলো। আমি সেরে উঠতে লাগলাম। কিন্তু উজবুক ডাক্তার আর অবুঝ বাবা-মা তা বুঝলে তো! ওরা আমাকে আবদ্ধ করে ফেললো বাড়ির ভেতরে, ক্রিকেট খেলা বন্ধ, সাইক্লিং বন্ধ। ওরা আমাকে খেতে দিতো রোগীর পথ্য। পাতলা চিকেন স্যুপ আর কাঁচকলা ভর্তা দিয়ে জাউভাত। ইয়াক! এসব খেলে কি কেউ সুস্থ হয়ে উঠতে পারে? এসব খেলে আমি শক্তি পাবো কোথায়? তানজিলের তুমুল গতির বলে ডাউন দ্যা উইকেট এসে ছক্কা মারবো কীভাবে? রোজি, ইষিতা আর অপুদের সাইকেল রেসে টেক্কা দিবো কীভাবে? এই স্তব্ধ আবদ্ধতায় আটকে পড়ে হয়তো বা আমি নিঃশেষ হয়ে যেতাম যদি তুমি না থাকতে। তোমার স্পর্শে আমার গায়ের র্যা শগুলো মিলিয়ে গিয়ে উপহার দিতো যন্ত্রণাহীন এক অপূর্ব সমদর্শিতা। গলার কাছে ফাঁস হয়ে থাকা খাবারগুলো স্লিপারে চড়ে স্লাইড করে নিচে নেমে যেতো। এভাবেই আমি এক নতুন ধরণের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আবিষ্কার করি, আর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে থাকি। আর তখনই আমার মাথায় জীবন থেকে মরণের মাঝখানের ট্রানজিটে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার বদলে নতুন জীবনে (বোকারা যাকে মৃত্যু বলে), স্থানান্তরিত হবার চমৎকার পরিকল্পনাটি মাথায় আসে। আর তুমিও এতে সায় দিলে। কথা দিলে একসাথে এই পথ পাড়ি দেবার। আমি সাহস পেলাম, শক্তি পেলাম। তারপর থেকেই আমি আর এইসব বিস্বাদ ঔষধ, জঘন্য খাবার, করুণামিশ্রিত চোখ, কৃত্রিম সহানুভূতি, ক্রিকেট অথবা সাইক্লিং না করতে পারার আফসোস, সবকিছুকে নির্বিকারভাবে অগ্রাহ্য করে এই আনন্দভ্রমণের জন্যে কাউন্টডাউন করতে লাগলাম।"
-রিনার অবস্থাটা বেশ ক্রিটিকাল পর্যায়ে চলে গেছে। অবস্থার অবনতি যদি এই হারে হতে থাকে, তাহলে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে ওর আয়ু আর বেশিদিন নেই। মাসখানেক বড়জোর। আমরা অবশ্য একটা লাস্ট ট্রাই করতে পারি। খুব এক্সপেনসিভ এবং জটিল একটা অপারেশন করতে হবে। সেখানে অবশ্য সাফল্যের সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু এ ছাড়া আর কোন গতি দেখছি না। আপনারা কি এটা করাতে ইচ্ছুক?
-জ্বী। শেষ চেষ্টাটা করে দেখা যাক।
-আচ্ছা। আপনাদের একটা কনসেন্ট ফর্মে সাইন করতে হবে।
"এই যে রাজপুত্তুর, কিছু বুঝতে পারছো? নাহ, তোমার এই সরল ঔদাসীন্যে তুমি অনেক কিছুই ওভারলুক করো। চারিপাশের খোঁজ-খবর তো রাখো না কিছুই। ওদের ষড়যন্ত্রটা টের পাচ্ছো? ওরা আমাকে কাঁচঘেরা, শব্দরোধী এক বিষাক্ত ঘরে নিয়ে যাবে। যেখানে একবার গেলে আর কেউ ফিরে আসে না। মৃত্যু। আমি খুব ভয় পাই মরে যেতে। নিঃশব্দ একটা ঘরে মুখোশে ঢাকা একদল মানুষের ছুরি কাঁচির নিচে আমার রক্তাক্ত দেহকে ওরা ঢেকে দেবে সাদা চাদর দিয়ে। আমার খুব শীত করবে হয়তো। হয়তো তখন আমি এতদিনের উপেক্ষা করা যন্ত্রণাকে শতগুণ বিবর্ধিত অবস্থায় সহ্য করব। আমি পারবো না, পারবো না! আমার খুব কান্না পাচ্ছে। তুমি কবে একটু গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে বলো তো? সময় কিন্তু বেশি নেই। ওরা ওৎ পেতে আছে আমাকে ধরার জন্যে। তবে আমি খুব সজাগ থাকি সবসময়। রাতে ঘুমোই না। আসলে সত্যি কথা বলতে কী, প্রচণ্ড বেদনা হয় সারা শরীরে। ঘুমোতে পারি না। আমি এতদিন সব সহ্য করতে পেরেছিলাম তোমায় ভেবে, আমাদের আত্মহত্যা পরবর্তী নতুন জীবন শুরু করার আশ্বাসে। কিন্তু এখন আর পারছি না। তোমাকে বলতে ভয় লাগে। কারণ তুমি এতদিন আমাকে জেনে এসেছো প্রচণ্ড প্রাণশক্তিতে ভরপুর, ভয়ডরব্যথাবেদনাহীন উচ্ছল এক তরুণী হিসেবে। সেই মেয়ে যদি সংসারের হাল টানতে টানতে ক্লান্ত, বৃদ্ধাবয়সী অসুখে জর্জর, সারাক্ষণ ব্যথায় কোঁ কোঁ করতে থাকা মহিলার মত কাতরাতে থাকে তাহলে তুমি আমাকে অগ্রাহ্য করবে না তো? মনে করবে না তো, পরের জনমে দুজনে একসাথে মিলে বসতি গড়ার আনন্দভ্রমণের যে বৈপ্লবিক পরিকল্পনা করেছিলাম, তা ছিলো শুধুই আমার আনন্দভ্রম? তুমি ভাববে না তো আমি এই ভ্রমণের জন্যে মোটেও উপযোগী নই, আমি শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হবো? এই যে, শুনতে পাচ্ছো না আমার কথা? আমার বেডের পাশের দেরাজটাতে এক কৌটো ফেনোবারবিটন আছে। খুব সাবধানে ওটা বের করে নিয়ে এসো। কেউ যেন টের না পায়। হ্যাঁ, এটাই প্রকৃত সময়। নাউ অর নেভার! পালাতে হবে, পালাতে হবে আমাদের এই ভয়াবহ বন্দীদশা থেকে। আমি এখন খুব উত্তেজিত বোধ করছি। শারীরিক ব্যথা বেদনা কিছুই অনুভব করছি না। আমি তৈরি, হ্যাঁ আমি তৈরি। তুমি কোথায়? কোথায় হারিয়ে গেলে? আমার কথা কি শুনতে পাচ্ছো না? "
-এই, আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আপনারা? খবরদার, খবরদার বলছি থামুন! বাবা! মা! তোমরা ওদের ভয়াবহ চক্রান্ত বুঝতে পারছো না? ওরা কেউ মানুষ নয়। ওরা দানব। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে বাঁচাও তোমরা। আমি এত সহজে মরতে চাই না! নাহ তোমাদের কিছু বলে লাভ হবে না। মীরু কোথায়, মীরু! তোমরা মীরুকে মেরে ফেলেছো। আমাকেও মেরে ফেলবে, তাই না?
-চুপ কর মা! কিচ্ছু হবে না তোমার। তুমি আবার সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। তখন তুমি যত খুশী ক্রিকেট খেলবে, সাইকেল চালাবে, সালসা ড্যান্স শিখবে, আমাদের সাথে অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে যাবে...
অপারেশন টেবিলে শায়িত রিনা আতঙ্ক ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, মুখোশ পরা মুখগুলোর দিকে। অতঃপর এ্যানাসথেটিস্ট তার চেতনা নাশ করে।
শহরের অপরপ্রান্তে মীরু তখন এলভিস প্রেসলির গানের সাথে নাচছে,
"It's now or never,
come hold me tight
Kiss me my darling,
be mine tonight"
০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: লাইনগুলো তো আসলেই ভালো হয়েছে দেখছি
ধন্যবাদ!
২| ০১ লা জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: রিনার ভালবাসা হলো আল্টিমেট ভালবাসা! কিন্তু সে সাহসের আড়ালে পালিয়ে যেতে চাচ্ছে জাগতিক চ্যলেঞ্জ থেকে!! শহরের ওপরপ্রান্তে মীরু গান গাচ্ছে এটা দ্বারা আসলে কি বুঝানো হচ্ছে সেটা নিয়ে বেশ দ্বন্দে আছি। হয়তো সে ওপারই রিনার অপেক্ষায় আছে অথবা অন্য পার্থিব ব্যাপার হতে পারে।
চমৎকার গল্পে ভাললাগা। (+)
০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মতবাদটাও ভালো, তবে আমি বলতে চেয়েছি মীরু এসবের কিছুই জানে না। কেয়ার করে না। রিনার কল্পনার জগতে মীরু তীব্রতম প্রেমিক, কিন্তু আসলে তাদের মধ্যে কোন সম্পর্কই নাই
৩| ০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৪০
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: চমত্কার গল্প!! এত এত ভালো লাগল....
০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
৪| ০১ লা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২০
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: বই থেকে আগেই পড়া ছিল। ভালোই। এখানে আবার কিছু কিছু শব্দ হাইলাইট করার কারণ কি? বিশেষ করে, এই!
০১ লা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি আমার বই কিনেছেন! গ্রেইট।
কিছু না, আলাদা প্যারাকে হাইলাইট করা শুধু।
শুভদুপুর।
৫| ০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
প্রামানিক বলেছেন: সহজ সরল সাবলীল বর্ননায় চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে ভালোবাসার গল্প।
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
৬| ০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
তানজির খান বলেছেন: "It's now or never,
come hold me tight
Kiss me my darling,
be mine tonight"
চমৎকার ভাইয়া। আপনার ফেইসবুক পোস্ট দেখে আসলাম। সুন্দর
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তানজির। শুভেচ্ছা রইলো।
৭| ০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭
আরমিন বলেছেন: ভালো লেগেছে হামা ভাই, তবে প্রথম প্যারাটা বেশী!
থিম সুন্দর !
০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাকে ভাই বললে আমি আপু কমু।
ধন্যবাদ আরমিন আপু
৮| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৬
ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন হামা ভাই। আমার কাছে প্রতিটা লাইন-ই ভালো লাগছে।
০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৯| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:০৮
জেন রসি বলেছেন: মৃত্যু নিয়ে আপনি অনেক ভাবেন। গল্পে মনে হচ্ছে সেসব ভাবনারই প্রতিফলন ঘটেছে। মৃত্যুকে অভিজ্ঞতা দিয়ে স্পর্শ করা যায়না। কল্পনা দিয়েই করতে হয়। অপর দিকে জীবনকে অভিজ্ঞতা দিয়ে স্পর্শ করতে হয়। একজন প্রবল ভাবে জীবিত মানুষ বেঁচে থাকার স্বার্থেই কাল্পনিক মৃত্যু ভাবনা থেকে দূরে থাকতে চায়।
০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক বলেছেন জেন রসি।এজন্যেই আপনারে ভালা পাই।
শুভেচ্ছা।
১০| ০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: দু'জন দু'রকম স্বভাবের হলে বোধ হয় জমে ভালঃ
//এত চুপচাপ স্বভাব তোমার! অবশ্য একদিক দিয়ে এটা ভালোই, আমার বকবক করতে খুব ভালো লাগে, তাই চাই একজন মনোযোগী শ্রোতা। তুমি ঠিক তাই। তুমি একজন ধ্যাণমগ্ন ঋষি, নির্বিকার নীরবতায় বুনে যাও হিরন্ময় মুহূর্তের নকশীকাঁথা। তোমার সাথে হীরকমুহূর্তগুলো স্মৃতিস্মারক হিসেবে সংগ্রহ করি আমি। আর তাই জীবন-মৃত্যু-আত্মহত্যাচিন্তা-জীবনের আনন্দভ্রম, সবকিছুর দোলাচলে ঘুরতে ঘুরতে, লাফাতে লাফাতে, আমি খুঁজে নেই বেঁচে থাকা অথবা মরে যাওয়ার আশ্চর্য সাদৃশ্য, তাদের সঙ্গমস্থল; এক নীল মোহনায় লীন হয়ে যাই।//
আনন্দভ্রমণের জন্য অপেক্ষাটা বেদনাদায়ক লেগেছেঃ
//আর তুমিও এতে সায় দিলে। কথা দিলে একসাথে এই পথ পাড়ি দেবার। আমি সাহস পেলাম, শক্তি পেলাম। তারপর থেকেই আমি আর এইসব বিস্বাদ ঔষধ, জঘন্য খাবার, করুণামিশ্রিত চোখ, কৃত্রিম সহানুভূতি, ক্রিকেট অথবা সাইক্লিং না করতে পারার আফসোস, সবকিছুকে নির্বিকারভাবে অগ্রাহ্য করে এই আনন্দভ্রমণের জন্যে কাউন্টডাউন করতে লাগলাম।" //
তারপর আনন্দভ্রমণটা যখন রিনার কাছে আনন্দভ্রমতে পরিণত হলো, তখন একটা করুণামিশ্রিত অনুভূতিতে মনটা ভরে গেলঃ
//কিন্তু এখন আর পারছি না। তোমাকে বলতে ভয় লাগে। কারণ তুমি এতদিন আমাকে জেনে এসেছো প্রচণ্ড প্রাণশক্তিতে ভরপুর, ভয়ডরব্যথাবেদনাহীন উচ্ছল এক তরুণী হিসেবে। সেই মেয়ে যদি সংসারের হাল টানতে টানতে ক্লান্ত, বৃদ্ধাবয়সী অসুখে জর্জর, সারাক্ষণ ব্যথায় কোঁ কোঁ করতে থাকা মহিলার মত কাতরাতে থাকে তাহলে তুমি আমাকে অগ্রাহ্য করবে না তো? মনে করবে না তো, পরের জনমে দুজনে একসাথে মিলে বসতি গড়ার আনন্দভ্রমণের যে বৈপ্লবিক পরিকল্পনা করেছিলাম, তা ছিলো শুধুই আমার আনন্দভ্রম?//
গল্পের নামকরণের সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে চমৎকার বর্ণনাভঙ্গি।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কমেন্টে ভালো লাগা। ভালো থাকবেন।
১১| ০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই, চমৎকার গল্পটা... লিখাটিতে পার্থিব ও অপার্থিব টান রিনার মাঝে দেখা যায়... আর আপনার মন্তব্যে বুঝলাম মীরু তার কল্পনা...
আমি ইদানিং মৃত্যুকে ভয় করা শুরু করেছি... আগে ভাবতাম মরতেতো হবেই... এখন ভাবি কিভাবে মরবো... মৃত্যুর সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি কি আমার থাকবে... আমি ক্রমশ আরও ভীত হয়ে পড়ছি...
শুভকামনা...
০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আবার সেই আগেকার মত আপনার কমেন্ট পেয়ে খুব ভালো লাগছে কবি।
১২| ০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
আলোরিকা বলেছেন: এবারের বইমেলায় যাওয়াও হয়নি আপনার বইটি কেনাও হয়নি এখানে টুকরো টুকরোভাবে পোস্ট করছেন পড়তে খুবই ভাল লাগছে ( বইটি ব্যক্তিগত সংগ্রহেও রাখার ইচ্ছে পোষণ করি ) । চমৎকার বিষণ্ণ এক মনোলগ ! মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী ------ কিন্তু হতে হবে ইচ্ছেমৃত্যু । রসি ভাইয়ার মন্তব্যও বেশ লাগলো । ভাল থাকুন । শুভকামনা
০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলোরিকা। আলোকিত হোক জীবন।
১৩| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
কল্লোল পথিক বলেছেন:
চমৎকার গল্প।
ভালো লেগেছে।
০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো পথিক।
১৪| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:১০
সুমন কর বলেছেন: আনন্দভ্রমণের জন্যে কাউন্টডাউন ভালো লেগেছে। শুরুর কথাগুলো বেশ হয়েছে।
০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন।
১৫| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:১২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বইয়ের সবগুলো কি ব্লগে দেবার প্ল্যান? নতুন কিছু লিখছেন না?
০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: যেগুলো ব্লগে দেয়া হয় নি...
আর চারটা আছে।
লিখছি, স্লো অনেক। তবে সেগুলো ব্লগে দিয়ে দিলে কি আর মাইনষে বই কিনবে?
১৬| ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: কঠিন শব্দে সুন্দর লেখা গল্প।
০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৭| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন উপভোগ্য গল্প
০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৮| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৮
আরমিন বলেছেন: হাহাহাহা
আইচ্ছা হামানদিস্তা পছন্দ হয়?
আমারে আপু বললে অসুবিধা নাই অবশ্য! অন্তত অন্যান্য ব্লগারের মতো ভাই তো আর বলতেছেন নাহ!
আর মনের বয়স না বাড়লেও দিনে দিনে বেলা তো আর কম হয়নাই! আয়নার দিকে তাকালেই তো হাসন রাজার গানটা মনে পড়ে!! :v :v
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ...অথবা হামাগুড়িও ডাকতেে পারেন।
বড় হয়ে যাচ্ছে মন
বড় বড় স্বপ্ন সে দেখতে শিখবে এখন...
সাবধান মিসসেস আরমিন
১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখা হয়েছে
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে।
২০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
বিজন রয় বলেছেন: হাসান মাহবুবের পরিবর্তনটা চোখে পড়ছে।
কিপ ইট আপ।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ক্রিকম পরিবর্তন চোখে পড়ছে? যাবেন না, কৈয়া যান
২১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: লিখতে থাকুন কথা হবে নিশ্চয়ই। বলবো একদিন। অবশ্যই গঠনমুলক কিছু।
তার আগে আপনার আরো লেখা পড়ে নি।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা!
২২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: লেখার ধারাটি খুব সুন্দর হয়েছে ,পড়তে খুব ভাল লাগল ।
০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো কাটুক সারাদিন।
২৩| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
আরমিন বলেছেন: হামাগুড়ি দেয়া হামানদিস্তা ভাই,
কি মনে করে আমাকে চিল্লা পাল্লা দিয়ে সাবধান বানী শুনাইলেন, ঠিক বুঝলাম না। মিতিন রুহিন এর প্রভাব হতে পারে!
আমি মানুষ টা কিছুটা বিরক্তিকর, তাই ব্যাক্তিগত এবং ব্লগ জীবনে বন্ধুবান্ধব কম, অল্প কিছু মানুষ কে চিনি, সেখানেই ঘুরেফিরে কথা বলতে আসি, বিরক্ত করে থাকলে দুঃখিত।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অঞ্জন দত্তের মিসেস মুখার্জি গানটা শোনেন নাই আরমিন আপা?
বড় হয়ে যাচ্ছে মন
বড় বড় স্বপ্ন সে দেখতে শিখছে এখন
পৃথিবীটা তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে
মানবে সে কী করে বলুন
আপনার ছোটখাটো শাসন
তাই সাবধান মিসেস মুখার্জী, সাবধান মিসেস সেন
ঐ গান থেকে লাইন কোট করছিলাম। হুদাই। একটু মডিফাইড করে।
এতে কোন ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে সেটা দুঃখজনক আরমিন আপু।
২৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৫
আরমিন বলেছেন: হে হে মফিজ হয়ে গেলাম! গান শুনি নাই!!
"উল্টা পাল্টা বুঝা আমার একটি রোগ,
এ কারণে দিয়েছি বহু খেসারত!"
- হে হে, আমিও কবি হয়ে গেলাম।
শুভরাত্রি এবং শুভকামনা হামা!
০৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো কাটুক সারাদিন আরমিন।
২৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪২
বন্যলোচন বলেছেন: আরেক আইডি দিয়া আপ্নার গপ পড়ি, কমেন্টাই, তাই এই আইডি আপ্নার পোস্টে অনুপস্থিত থাকে। মনে কিছু নিয়েন না
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন:
২৬| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: অসাধারন ভালোলাগার মত গল্প।
ভালো লাগলো খুব। এগিয়ে যান ভাই । শুভাশিস রইল।
০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
২৭| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: প্রতিউত্তরের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদের জবাবে আবারও ধন্যবাদ!
২৮| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: শুভ কামনা থাকল।
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৯| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৪
সায়েম মুন বলেছেন: সুইসাইট খ্রাপ জিনিস। জীবনে দুই সময়ে এই মিষ্টি খাওয়ার কথা খুব করে ভেবেছিলাম। পারিনি। বেঁচে থাকার রশদ আবারও সংকীর্ণ হয়ে আসছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর সম্পর্ক আছে বোধয়।
গল্প ভাল লেগেছে। অনেকটাই মনোলগ টাইপ। এজন্য বোধয় কিছুটা খেই হারাচ্ছিলাম। খেই হারালেও অনেক দিন পর আপনার গল্প শুরু ও শেষ করতে পেরেছি এজন্য কয়ডা আলজেরিয়ান খেঁজুর দেন। :/
১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইগুলা কী কন? বাবা হৈসেন সদ্য, এখন তো বাঁচবার শুরু। বয়স এখন খুব দ্রুত বাড়বে এটা ঠিক, তবে বেঁচে থাকার সাধটাও বাড়বে। পরথম পরথম খানিকটা এলোমেলো লাগতে পারে অবশ্য।
খেজুর ইফতারির সময় দিমু নে।
৩০| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৮
সায়েম মুন বলেছেন: বাবা হৈসেন সদ্য, এখন তো বাঁচবার শুরু------এইটা অবশ্য লাইফে দারুন পাঞ্চিং পয়েন্ট। আপাতত কাছে নেইতো তাই মাঝে মাঝে ভুলে যাচ্ছি। স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য থেংকু।
১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাবুর ছবি দিয়েন ফেসবুকে।
৩১| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: মুগ্ধপাঠ!!!
অনিঃশেষ শুভকামনা প্রিয় কথাসাহিত্যিক।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা বড় অর্জন। ভালো থাকবেন।
৩২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
সাদাসিধে কাহিণী, তবে লেখার ধরণে গল্পটা ভাল লেগেছে । পৃথিবীতে এমন অনেক ভালবাসা এমনভাবে সুপ্ত রয়ে যায়, মনের গহীনে তারা তীব্র জ্বালাতন করে আবার কল্পনায় রঙিনও হয়ে ওঠে । এমন অজানা ভালোবাসাই মনে হয় অনেক বেশি স্বার্থহীন । তবে গল্পের রিনা হয়তো এই ভেবে মিরুকে কখনো ভালবাসার কথা বলে নি কারণ সে এখন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত । আবার এমনো হতে পারে রিনার যন্ত্রণাক্লেষ্ট হৃদয়ে নিজেকে একাকিত্ব থেকে মুক্ত রাখার জন্য ইমাজিনারী চরিত্র মিরু । আবার সেই নামেই অনেক মিরু আছে পৃথিবীতে যাদের সাথে এই কল্পনার কোন সম্পর্ক নেই ।
১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: বহুমাত্রিক পাঠ ভাবনাকে স্বাগত জানাই। ভালো কাটুক দিন।
৩৩| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালো লেগেছে, পড়তে পড়তে ভাবছিলাম মিরু হয়তো কোন ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার, আবার মাঝে মনে হলো সে হয়তো প্রতারক প্রেমিক, আবার মনে হচ্ছিল সে হয়তো মারা গেছে, ভালো লাগছিল নিজের মত করে ভাবতে, কিন্তু দ্বিতীয় কমেন্টের জাবাবে তো সেই আনন্দভাবনায় পানি ঢেলে দিলে হে!
লেখাটায় যে জিনিসটা চোখে পড়েছে সেটা হলো, এত কষ্টের মাঝেও রিনার বেচে থাকার তিব্র ইচ্ছা। শুভেচ্ছা রইল।
১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি আমার ভাবনাটা বলেছি। যেহেতু স্পষ্ট কোন ইঙ্গিত নাই, তাই পাঠকের ভাবনাটাও সাদরে গ্রহণযোগ্য। আসলে আমি শক দিতে পছন্দ করি। ট্রাজেডি ভালো লাগে।
ভালো আছেন আশা করি প্রিয় বড় ভাই। নতুন লেখা দেন।
৩৪| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১০
নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ লাগলো ! ++
ইশ আমি কি দেরী করে পড়লাম ।
১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে।
৩৫| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩১
নীলপরি বলেছেন: আরে আপনার ব্লগে তো আগেও এসেছি । ইশ আপনি ভুলে গেছেন !
১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ও হ্যাঁ তাই তো! কী করে ভুললাম! স্যরি।
৩৬| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
নীলপরি বলেছেন: আরে ঠিক আছে ।
১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আনন্দে থাকুন। ভ্রমে নয়।
৩৭| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাঝে মাঝে ব্যর্থতায় আচ্ছাদিত হলে মনে হয় মরণটাই ভালো। কিন্তু সবকিছু উৎরে শেষ পর্যন্ত মনে হয় ভালোমন্দ নিয়াই তো জীবন। আর জীবনের বিকল্প তো কিছুই হতে পারে না। একটা সময় খুব আবেগী আর রোমান্টিসিজমে ভুগতাম যা এখন বিগত তাই গল্পের রিনার ভাবনা গুলো ক্লান্তি এনে দিচ্ছিলো। গতিময়তা কম মনে হচ্ছিলো লেখায়। রিনার ক্রিকেটীয় জীবন , সাইকেল রেস, উদ্দ্যমে ভরা জীবন এই দিকে আরেকটু আলোকপাত করা যেতো হয়তো। কাল্পনিক ভ্রমণের শেষাংশ সুখকর হয় না আসলে!
ভালো থাকুন। আপনি দেখি অনেকগুলো নতুন লেখা দিছেন। দেখে আসি সেগুলো।
২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা অনেক আবেগ দিয়ে লেখা। কিন্তু মানুষজন তেমন পছন্দ করে নি। হয় এরকম মাঝে মাঝে। আর এমন মন্তব্যেই লেখালেখির উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ থাকে।
ধন্যবাদ অপর্ণা।
৩৮| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৪
এহসান সাবির বলেছেন: রিনা বেঁচে গেছে.......!! মীরুর মত কাউকে সে পেলেও কাউকে না কাউকে সে খুঁজে পাবে!!
আমি খুব পজিটিভ লোক হামা ভাই হা হা হা।
গল্প ভালো হইছে।
২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান। শুভকামনা রইলো।
৩৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
আলম দীপ্র বলেছেন: শুরুটা মোটামোটি সবাইকে আকর্ষণ করবে, সমাপ্তি টাও বেশ দারুণ! ছোট গল্পে যা লাগে আরকি। পড়তে বেশ লেগেছে আমার !
আপনার বইটা আর সংগ্রহ করতে পারিনাই।
ভালো থাকুন ভাই।
১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা দীপ্র।
৪০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৬
নাসের গ্যাং ০০৭ বলেছেন: অসাধারন একটি লেখা!!! চমৎকার+
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এবং স্বাগতম।
৪১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
রিফু আলম বলেছেন: অনেক ভাল হয়েছে
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৪২| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৯
মন থেকে বলি বলেছেন: আমি শুধু একটা কথাই ভাবছি, এরকম লেখা যেদিন লিখতে পারব, সেইদিন হব শান্ত।
মনে হচ্ছে একজীবনে এরকম লেখার ক্ষমতা হবে না।
আপনি আসলেই দুর্দান্ত লেখেন।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! মন থেকে বললেন তো?
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: খুব সহজ-সরল অকপট ভাল-মন্দে মেশানোয় ভালবাসার কথা।। আছে দুর্দমনীয় সাহস যা মৃত্যুকেও জয় করতে চায়।। আবার কোন একসন্ধি ক্ষনে তাকে ভয়ও পায়।।
তবে সবচেয়ে ভাললাগা লাইনটি আপনারই লেখা, মৃত্যুকে তারাই ভয় পায়, যারা জীবনের দেয়া উপচে পড়া উপহারগুলো দেখেও দেখে নি, শুনেও শোনে নি, বুঝেও বোঝে নি। যারা হাঁটে নি শ্রাবণের বৃষ্টিভেজা দূর্বাঘাসের পথে, যারা শোনে নি বসন্তের গান; কোকিলের সুরকাব্য, যারা বোঝে নি শেষরাতের স্বপ্নে টুনটুনি পাখির কিচিরমিচিরে বুনে দেয়া জীবনালেখ্য। ।।